Tag: মাধ্যম

  • Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এই আবহে একটি খবর প্রচারিত হয় যে ধনখড়কে নাকি অবিলম্বে তাঁর বাসভবন ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ে, সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর ঘর—এমন খবর ঘুরতে থাকে। তবে এই তথ্য সম্পূর্ণ এবং ভিত্তিহীন—সে কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট পিআইবি-র (Jagdeep Dhankhar)

    এমনও খবর রটে যায় যে পদত্যাগের রাত থেকেই নাকি ধনখড় বাংলো ছাড়ার জন্য প্যাকিং শুরু করে দিয়েছেন। এর পরে পিআইবির ফ্যাক্ট চেকিংয়ে জানা যায়, তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। এবং এমন কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিকে। এ নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করে পিআইবি। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে জগদীপ ধনখড়ের বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে তা খালি করতে বলা হয়েছে—যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন তথ্য।’’ এই ধরনের ভুয়ো তথ্যে পা দিতেও বারণ করেছে পিআইবি।

    টাইপ-এইট বাংলো পেতে পারেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)

    প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনখড়ের বর্তমান বয়স হল ৭৪। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে,  চার্চ রোডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভে তিনি চলে এসেছিলেন। বিগত ১৫ মাস ধরে এটাই ছিল জগদীপ ধনখড়ের বাসভবন। সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে তৈরি করা হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভ। বর্তমানে তাঁর স্বাস্থ্যজনিত উদ্বেগ রয়েছে। এই কারণে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি একটি নয়া সরকারি বাংলোতে স্থানান্তরিত হতে চলেছেন বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং জাতীয় দলের নেতাদের জন্য যেরকম বাসস্থান বরাদ্দ করা হয়, সেরকমই কোনও বাসস্থান তিনি পেতে চলেছেন। দিল্লিতে তাঁকে টাইপ-এইট বাংলো দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন (PIB)। অন্যদিকে, পদত্যাগ করার ফলে উপরাষ্ট্রপতির পদ খালি রয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উপররাষ্ট্রপতি নির্বাচন শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইমতো প্রস্তুতিও চলছে (Jagdeep Dhankhar)।

  • Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাধারণ কয়েকটি ঠিকানা কিংবা কয়েকজনের নাম, মনে রাখতেই অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে পারেন না। আবার স্মৃতিশক্তি হ্রাসের এই সমস্যা অনেকের খুব কম বয়সেই দেখা যায়। স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার এই সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তাঁরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুকাল থেকেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজর দিলে পরবর্তীতে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। জীবনের নানান পর্যায়ে যা খুবই সাহায্য করে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবারের পাশপাশি কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পরিবারের খুদে সদস্যকে সেই অভ্যাস রপ্ত করাতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং স্মৃতিশক্তিও প্রখর হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    নিয়মিত মেমোরি গেম কিংবা পাজল সলভ করা!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন কিছু খেলায় শিশুদের অভ্যস্ত করা দরকার, যাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এতে শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের পাজল গেম, জিকসো পাজল বা ব্লগ পাজলের মতো খেলায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এই ধরনের খেলায় নতুন ভাবে কিছু সমাধান করার চেষ্টা থাকে। তাই চিন্তাশক্তি বাড়ে। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে‌। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও বাড়ে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের বিনোদনের সময়ে মোবাইল বা টিভির কার্টুনের পরিবর্তে নিয়মিত এই পাজল সলভ ধরনের খেলায় অভ্যস্ত করলে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। পাশপাশি নানান ধরনের মেমোরি গেম খেললে স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে।

    নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস!

    শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গান শরীরের একাধিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশপাশি গান মস্তিষ্কের উপরেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। তাই শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শুনলে মস্তিষ্কে দীর্ঘ প্রসারী প্রভাব পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস হরমোন মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ভয় এগুলো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়। পাশপাশি যেকোনও কাজের আত্মবিশ্বাস কমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে খুব কম বয়স থেকেই নানান জটিলতার মধ্যে শিশুদের থাকতে হচ্ছে। এর ফলে তার প্রভাব তাদের মস্তিষ্কে পড়ছে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে তার জোরালো প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত গান শুনলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক হয়। স্নায়ুর শক্তিও বজায় থাকে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হয় না। এর ফলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। যেকোনও কাজে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাই ছোটো থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস তৈরি হোক।

    ক্রসওয়ার্ড দিয়ে শব্দের ভাণ্ডার বাড়ানো!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শব্দ শেখানো নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত দীর্ঘ সময় কথা বললে তাদের শব্দ ভাণ্ডার বাড়ে। এর ফলে সহজেই দুটি সমস্যার সমাধান করা যায়। একদিকে শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। আরেকদিকে শিশুর কথা বলা সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিশুদের কথা বলার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শিশু ঠিকমতো কথা বলছে না। ইশারাতেই কথা বলছে। শারীরিক সমস্যা না থাকলেও এমন ঘটনা ঘটছে। তার নেপথ্যে রয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং কথা বলার মানুষের অভাব। এর ফলে পরবর্তীতে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা জরুরি।‌ পাশপাশি বছর পাঁচেক বয়সের পরে শিশুদের শব্দ ভাণ্ডার কতখানি বাড়ছে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। এতে তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে, আরেকদিকে তাদের যেকোনও ভাষায় দক্ষতাও বাড়বে। তাই নিয়মিত শিশু যাতে নতুন শব্দ শেখে সে নিয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর পাশপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে তাঁরা শিশুকে ক্রসওয়ার্ডের মতো খেলায় অভ্যস্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    সাবেকি ঘরোয়া খেলায় বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবেশ একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু যদি তার পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়, স্বচ্ছন্দ থাকে তবেই তার মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং বিভিন্ন কাজে আত্মবিশ্বাস পাবে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোবাইল কিংবা ট্যাবলেটের ভিডিও গেম নয়। বরং পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে কিছু সাবেকী খেলা শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিডিও গেম একদিকে একাকিত্ব বোধ বাড়িয়ে দেয়, আরেকদিকে চোখের পক্ষে এবং স্নায়ুর পক্ষেও ক্ষতিকারক। কিন্তু লুডো, ক্যারমের মতো খেলা বা যে কোনও কার্ড গেম পরিবারের সঙ্গে বসে খেললে, একদিকে পরিবারের সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শিশু অন্যরকম সময় কাটানোর সুযোগ পায়। মানসিক চাপ কমে‌। একাকিত্ব বোধ তৈরি হয় না। আর এগুলো শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শিশুর জন্য বাড়তি উপকারি হয়।

    নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়!

    নিয়মিত নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাচ নিয়মিত করলে শরীরের একাধিক পেশি যেমন সক্রিয় থাকে, তেমন মস্তিষ্কের স্নায়ুও সক্রিয় থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পারকিনসনের মতো মস্তিষ্কের জটিল সমস্যায় আক্রান্তদের অত্যন্ত কার্যকরী থেরাপি হলো নাচ। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, সক্রিয় রাখতে নিয়মিত নাচ জরুরি। এতে মস্তিষ্কের স্নায়ু সুস্থ থাকে। শরীরে অন্যান্য পেশির সক্রিয়তা বজায় থাকে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ayodhya: মিলবে রামায়ণ যুগের অনুভূতি, ‘পঞ্চবটি’ বন তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায়, থাকছে ৮৮টি ঔষধি গাছ

    Ayodhya: মিলবে রামায়ণ যুগের অনুভূতি, ‘পঞ্চবটি’ বন তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায়, থাকছে ৮৮টি ঔষধি গাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হচ্ছে কুড়ি একরের পঞ্চবটি বন, রামায়ণের আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতির সম্পূর্ণ প্রতিফলন দেখা যাবে এই পঞ্চবটিতে (Panchavati)। এই উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে লক্ষ্য হলো রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যায়ন এবং সেখানে এক শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি, যেখানে ভক্তরা বসে জপ, ধ্যান, প্রাণায়াম—সবকিছুই করতে পারবেন, ঠিক যেমনটা রামায়ণে পঞ্চবটি বনে দেখা যেত (Ayodhya)।

    পঞ্চবটি বনের প্রতিটি স্তরেই দেখা যাবে রামায়ণের প্রতিফলন

    এই পঞ্চবটি বনের প্রতিটি স্তরতেই দেখা যাবে রামায়ণের প্রতিফলন। মনে হবে, ঠিক যেন রামচন্দ্রের যুগেই ফিরে এসেছেন ভক্তরা। কোন কোন গাছ দিয়ে সাজানো থাকবে এই রামচন্দ্রের পঞ্চবটি বন (Ayodhya)? রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, পিপল গাছ, বটগাছ, আমগাছ, সমী গাছ, সীতা অশোক, কদম্ব, পলাশ, পারিজাত, চম্পা ইত্যাদি গাছ দিয়ে সাজানো থাকবে পঞ্চবটি বন। এখানে থাকবে ৮৮টি ঔষধি গাছও। যা  প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রগুলিতে উল্লেখ রয়েছে।

    সীতা অশোক গাছ আনা হচ্ছে শ্রীলঙ্কা থেকে

    এই গাছগুলোর হিন্দু ধর্মে শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক তাৎপর্যই নেই, এগুলির পরিবেশগত এবং ঔষধি মূল্যও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সীতা অশোক গাছ, যা পবিত্র মনে করা হয় এবং যার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় রামায়ণের যুগ থেকেই। সীতা অশোক গাছ আমদানি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কা থেকে, অন্যান্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকেও (Ayodhya) অনেক গাছ আনানো হয়েছে। তাই রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে এবার জীববৈচিত্র্য দেখা যাবে পঞ্চবটি বনকে কেন্দ্র করে।

    পঞ্চবটি বনে থাকছে কুণ্ড

    পঞ্চবটি বনকে (Panchavati) সাজানো হচ্ছে প্রাচীন ভারতের ধর্মশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে—এমন গাছ দিয়ে। গাছ এবং সবুজ ছাড়াও, পঞ্চবটি বনে আধ্যাত্মিক ধ্যান, জপ ইত্যাদি করার জন্য অনেকগুলি ‘কুণ্ড’ তৈরি করা হচ্ছে। ‘কুণ্ড’ মানে হচ্ছে পবিত্র পুকুর—এর চারপাশটা সাজানো হচ্ছে ফুলের বাগান দিয়ে। এর পাশাপাশি একটি বনবাসী আশ্রমও সেখানে থাকবে, সেখানেই দেখানো হবে জীবনের চারটি ভাগ (Ayodhya)।

    মাইলফলক হিসেবেই দেখছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এই পঞ্চবটি বনকে একটি মাইলফলক হিসেবেই দেখছে, যা অযোধ্যার সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত করবে। এই পঞ্চবটি বনের মাধ্যমেই ভক্তরা অনুভব করতে পারবেন রামায়ণের যুগের অরণ্য জীবনকে—এমনটাওই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। একবার সম্পূর্ণ হলে, প্রকৃতির সাথে সনাতন ধর্মের যে ঐক্য ও সম্প্রীতি, তাও দেখা যাবে (Ayodhya)।

  • WhatsApp: ব্যস্ততায় চ্যাটের অনেক মেসেজ পড়া হয়নি? চিন্তা নেই, হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ‘কুইক রিক্যাপ’

    WhatsApp: ব্যস্ততায় চ্যাটের অনেক মেসেজ পড়া হয়নি? চিন্তা নেই, হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ‘কুইক রিক্যাপ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) তার ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসছে একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং সময়-সাশ্রয়ী ফিচার, যার নাম কুইক রিক্যাপ (Quick Recap)। এই ফিচারের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা একাধিক চ্যাট থেকে না-পড়া মেসেজগুলির সংক্ষিপ্তসার দেখে নিতে পারবেন সহজেই।

    সর্বাধিক ৫টি চ্যাটের অপঠিত মেসেজের সংক্ষিপ্তসার দেখা যাবে

    ইতিমধ্যেই Android বিটা সংস্করণ ২.২৫.১৯.১৪-তে চালু হয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ফিচার (WhatsApp), যেখানে না-পড়া মেসেজগুলোর সারাংশ দেখা যাচ্ছিল। এবার এই ফিচারে যুক্ত হচ্ছে আরও অত্যাধুনিক সুবিধা, না-পড়া মেসেজগুলির সংক্ষিপ্তসার একসঙ্গে দেখা যাবে। এই ফিচারটির মাধ্যমে যদি ব্যবহারকারীদের ফোন বন্ধ থাকে বা ইন্টারনেটেও কোনও সমস্যা থাকে, তবুও জমে থাকা মেসেজগুলি দ্রুত পড়ে ফেলা সম্ভব হবে। এই ফিচারের মাধ্যমে একসঙ্গে সর্বাধিক ৫টি চ্যাট নির্বাচন করে সেখানকার না-পড়া মেসেজগুলির সারসংক্ষেপ দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

    বজায় থাকবে গোপনীয়তা (WhatsApp)

    না-পড়া বা অপঠিত মেসেজের এই সারসংক্ষেপ তৈরি হবে Private Processing-এর মাধ্যমে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নিজেও ব্যবহারকারীর বার্তা কোনওভাবেই পড়তে পারবে না। এর ফলে প্রাইভেসি বজায় থাকবে—ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া কারোর পক্ষেই বার্তার কোনও রকম তথ্য দেখা সম্ভব নয়।

    আপনা আপনি চালু হবে না এই ফিচার

    তবে এই ফিচারটি আপনা-আপনি চালু হবে না। ব্যবহারকারীরা চাইলে সেটিংসে গিয়ে এটি চালু করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ-এর (WhatsApp) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং শুধুমাত্র বেটা ব্যবহারকারীরাই এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। সফলভাবে পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষ হলে সকলের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপ-এর এই নতুন ফিচার (Quick Recap) ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত সুফল নিয়ে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, অনেকেই আছেন যাঁরা দিনভর ব্যস্ত থাকেন—তাদের জন্য এক ঝটকায় সমস্ত চ্যাটের সারসংক্ষেপ দেখে নেওয়া সম্ভব হবে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মূল বিষয়গুলো বুঝে নেওয়া যাবে। প্রযুক্তি প্রয়োগ করে একটি উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে চলেছে মার্ক জুকারবার্গ-এর হোয়াটসঅ্যাপ।

  • Supreme Court: ৪৯৮(এ) মামলায় প্রথম দু’মাস করা যাবে না গ্রেফতার, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ৪৯৮(এ) মামলায় প্রথম দু’মাস করা যাবে না গ্রেফতার, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশিকা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে গার্হস্থ্য হিংসার অন্তর্গত ৪৯৮(এ) ধারায় অভিযোগ দায়েরের পর দুই মাস পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে এবং সমস্ত বিভাগকে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রসঙ্গত, এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০২২ সালের রায়ে তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮(এ) ধারার অপব্যবহারের বিষয়ে, অপব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা রোধ করার জন্য এই নির্দেশিকা জারি করে।

    “কুলিং অফ পিরিয়ড”-এর সময় করা যাবে না গ্রেফতারি

    আইপিসি’র ৪৯৮(এ) ধারা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তখন মনে করেছিল যে স্বামী এবং তার পুরো পরিবারকে মিথ্যা ভাবে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ধারার অপব্যবহারের মাধ্যমে। সেই সময় এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে নির্দেশ দেয়, সেখানে তারা জানায় যে এফআইআর বা অভিযোগ দায়েরের পর দুই মাসের “কুলিং অফ পিরিয়ড”-এর সময় কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি বা পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি প্রতিটি জেলার পরিবার কল্যাণ কমিটির কাছে পাঠানো হবে।

    প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ মহিলা আইপিএস-কে

    সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একজন আইপিএস অফিসারকে, তাঁর প্রাক্তন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একটি বৈবাহিক মামলায় স্বামী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণার অভিযোগ তোলেন ওই আইপিএস অফিসার। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তার রায়ে উল্লেখ করেছে যে স্ত্রীর দায়ের করা ফৌজদারি মামলার কারণে তাঁর স্বামী ১০৯ দিন এবং তার শ্বশুর ১০৩ দিন জেলে কাটিয়েছেন। আদালত বলেছে, যে কষ্ট তাঁদেরকে সহ্য করতে হয়েছে, তা অপূরণীয় এবং এই জন্য অফিসারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলেছে, ওই মহিলা তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন এবং একটি ইংরেজি ও হিন্দি সংবাদপত্রে ওই ক্ষমা চাওয়ার ভাষা প্রকাশ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, এই আদেশটি তিন দিনের মধ্যেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ ও শেয়ার করতে হবে ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘বিশ্বের যে কোনও সংকট মেটাতে পারে ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধ’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘বিশ্বের যে কোনও সংকট মেটাতে পারে ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধ’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধই পারে বিশ্বের সংকটগুলির মোকাবিলা করতে।’’ এমনটাই মত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের। মঙ্গলবার আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘সারা বিশ্বে যে সংকটের পর্বত দেখা দিয়েছে— তা সে বৈষম্য হোক, পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা কিংবা জাতিগত সংঘর্ষ—এই সমস্ত কিছুই সমাধান সম্ভব একমাত্র ভারতীয় মূল্যবোধের দ্বারা।’’ এটাই একমাত্র পবিত্রতম বিকল্প বলে উল্লেখ করেন মোহন ভাগবত

    আধুনিক ইতিহাস তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমী ন্যারেটিভকে মেনে

    প্রসঙ্গত, মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) উপস্থিত ছিলেন একটি অনুষ্ঠানে যার নাম ছিল ‘দশম অনুব্রত ন্যাস নিধি’। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল যৌথভাবে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি এবং অখিল ভারতীয় অনুব্রত মঞ্চ। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘আধুনিক ইতিহাস যা সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমী ন্যারেটিভকে মেনে এবং সেভাবেই গঠন করা হয়েছে—সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে ভারতের অবদানকে। আজকে বিশ্বজুড়ে যে বইগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেখানে চিন এবং জাপানের সভ্যতা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই ঠাঁই পেয়েছে, কিন্তু সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে ভারতকে।’’

    বিশ্বমঞ্চে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে

    বিশ্বের প্রসঙ্গের পাশাপাশি, মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) নিজের বক্তব্যে টেনে আনেন ভারতের প্রসঙ্গ। তিনি জানান, বিশ্বমঞ্চে ভারতকে তো বাদ দেওয়া হয়েছে, আবার ভারতের অভ্যন্তরেও শিশুরা যখন ইতিহাস পড়ছে, তখন তাদের দেখানো হয়েছে যে ভারত মানে শুধুমাত্র মুঘল যুগ। বর্তমানে, মোদি সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল বদল এনেছে এবং সেখানে ভারতীয় রাজাদের অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের ইতিহাসও পড়ানো হচ্ছে। ‘কাটছাঁট’ করা হয়েছে মুঘল যুগকে, কিছু ক্ষেত্রে তা বাদও দেওয়া হয়েছে। মোহন ভাগবতের বক্তব্যে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসাও দেখা গিয়েছে। বর্তমানে দেশের সংস্কৃতিকে পুনরুত্থিত করার যে প্রয়াস শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার, তাকে তিনি স্বাগত জানান।

    বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মেটাতে পারেনি বিশ্বের সমস্যা

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সারা বিশ্বজুড়ে দেখা গেলেও, মানব সভ্যতার যে মূল সমস্যা—তাকে চিহ্নিত করে তা দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে এই অগ্রগতি। তিনি বলেন, “বিজ্ঞান আজ বিস্তৃত হয়েছে, মানবীয় জ্ঞান থেকে ক্রোমোজোম এবং জিন—সমস্ত কিছু তারা স্পর্শ করেছে, চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ, সব জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, গরিব ও ধনীর মধ্যে এক বিশাল ফারাক তৈরি হয়েছে এবং তা ক্রমাগত চওড়া হচ্ছে। যাঁরা বিত্তশালী, তাঁরা আজ সৎভাবে স্বীকার করছেন যে তাঁরা ভিতরে অসুখী।’’ অর্থাৎ মোহন ভাগবতের বক্তব্য অনুযায়ী প্রযুক্তি বা বিজ্ঞান সমাধান দিতে পারেনি এই অসুখের।

    সাম্যবাদ ও পুঁজিবাদ নিয়ে কী বললেন তিনি

    তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশ্বের সমস্ত সভ্যতাই পরখ করেছে রাজতন্ত্র, অঞ্চলভেদে আলাদা আলাদা সরকার, পুঁজিবাদ (ক্যাপিটালিজম), সাম্যবাদ (কমিউনিজম)।’’ এরপর তিনি বলেন, “এই সমস্ত মতাদর্শ উঠে এসেছে একটি অসম্পূর্ণ দর্শন থেকে এবং তারা গোটা বিশ্বকে একপাক্ষিক চোখে দেখেছে। কিন্তু এদের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয় ভারতীয় সভ্যতার, তাহলে দেখা যাবে—এখানে সম্প্রীতি আছে, আত্মনির্ভরতা আছে।”

    সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণে কাজ করে ভারতীয় মূল্যবোধ

    মোহন ভাগবত বলেন, “ভারতের ঐতিহ্য হল সকলকে এই শিক্ষা দেওয়া যে আমরা যা করব, সেটা যেন সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণে লাগে।” তিনি আরও বলেন, “ধর্ম ছাড়া ধন-সম্পদ এবং কোনও কিছু পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা, শেষ পর্যন্ত অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।” তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘আদিবাসী সম্প্রদায়—যাঁরা ভারতবর্ষে প্রাচীনকাল থেকে বসবাস করছেন—তাঁরা প্রকৃতির মধ্যেই বেঁচে থাকেন এবং আধুনিক প্রবণতা ও সভ্যতাকে সমালোচনা করেন।’’ তাঁর মতে, “আজ আমরা অনেক কিছুই করি সংবাদমাধ্যম বা ইন্টারনেটে যা পাই সেই অনুসারে। আমরা আমাদের চিন্তাভাবনার উপরে অন্যের প্রভাব তৈরি করেছি।” তিনি বলেন, “পরিবর্তন আনতে হবে ব্যক্তির মধ্যে, পরিবারের মধ্যে।”

    আগে জাগতে হবে ভারতকে

    মোহন ভাগবত বলেন, “ভারত কখনও এটা মনে করে না যে ভারতীয় মডেলকে তারা অন্য সভ্যতার উপর চাপিয়ে দেবে। বরং আমরা আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত এবং প্রভাবিত—সেই পথে থেকেই আমরা বিশ্বের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।” তিনি বলেন, “ছোট কিন্তু সচেতন পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা সমাজকে বদলাতে চাই, বদলাতে চাই বিশ্বসভ্যতাকেও। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান বিশ্বের যে কোনও সমস্যা—সম্পদ নিয়ে সংঘর্ষ হোক বা সংস্কৃতি নিয়ে সংঘাত—তার সমাধান রয়েছে ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধে।’’ তাঁর নিজের ভাষায়, “প্রথমে ভারতকে জাগতে হবে। সেটা সম্ভব হলেই, বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।”

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে নিম্নচাপ! বুধবার রাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, কেমন থাকবে উত্তর?

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে নিম্নচাপ! বুধবার রাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, কেমন থাকবে উত্তর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে, একইসঙ্গে তৈরি হচ্ছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চলও। এই দুইয়ের মিলিত প্রভাবে বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে দুর্যোগের প্রকোপ আরও বাড়বে (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, চিন ও ভিয়েতনামে ঘূর্ণিঝড় ‘উইফা’ আছড়ে পড়েছে। তার প্রভাবেই উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (South Bengal)।

    বুধবার রাতেই ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update)

    জানা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের উপরে তিনটি পৃথক ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। একই সময়ে, রাজ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে স্থলভাগে, যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) কয়েক দিন ধরে ঝড়বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার দিনের বেলায় কিছুটা অস্বস্তিকর গরম থাকতে পারে, তবে রাতের দিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহে বুধবার দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    দুর্যোগ বাড়বে বৃহস্পতিবার থেকে

    দুর্যোগ আরও বাড়বে বৃহস্পতিবার থেকে (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। বাকি জেলাগুলির জন্য রয়েছে হলুদ সতর্কতা। শুক্রবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গে আপাতত বড় ধরনের দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই

    বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে (Weather Update)। শনিবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবি ও সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    সমুদ্র থাকবে উত্তাল (Weather Update)

    নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েক দিন সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাই বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

  • PM Modi: লন্ডনে পা রাখলেন মোদি, বৈঠক করবেন স্টারমারের সঙ্গে, সই হবে ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    PM Modi: লন্ডনে পা রাখলেন মোদি, বৈঠক করবেন স্টারমারের সঙ্গে, সই হবে ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার লন্ডনে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং এখানে তিনি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Deal) সম্পাদন করবেন ব্রিটেনের সঙ্গে, যাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি খালিস্তানপন্থীদের কথাও উঠে আসবে এই আলোচনায় — এমনটাই মনে করা হচ্ছে, কারণ ব্রিটেনে সম্প্রতি বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থীদের। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের গাড়ির উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির এটি চতুর্থ ব্রিটেন সফর বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বিক্রম মিস্রি।

    খালিস্তানপন্থী ইস্যু নিয়ে আলোচনা

    বিদেশ দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে ব্রিটেন সরকার ইতিমধ্যেই খালিস্তানপন্থী ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং তারা জানিয়েছে যে এই ধরনের শক্তিকে তারা ব্রিটেনের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। বিক্রম মিস্রি আরও জানিয়েছেন, যারা ভারত থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের বিষয়টিও আলোচনা করা হবে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে। নিজের সাংবাদিক সম্মেলনে বিক্রম মিস্রি উল্লেখ করেন, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক ২০২১ সাল থেকে খুবই উন্নত হয়েছে।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা করবেন মোদি (PM Modi)

     ২৩ এবং ২৪ জুলাই ব্রিটেনে থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এবং একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হবে স্টারমারের সঙ্গে। মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর বিস্তারিত সফরে উঠে আসবে বিভিন্ন অংশীদারিত্বের আলোচনা — যথা: বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য এবং শিক্ষা। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা বেশ কয়েক বছর ধরেই আটকে রয়েছে। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও ব্রিটেনের বাণিজ্য দ্বিগুণ করা অর্থাৎ ১২০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে পৌঁছে দেওয়া। মঙ্গলবারই এই বাণিজ্য চুক্তিতে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে দেশের মন্ত্রিসভা।

    চুক্তির ফলে কতটা লাভবান হবে ভারত?

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (Free Trade Deal) ফলে ব্রিটেনে রফতানি করা ভারতের কিছু পণ্য, যেমন চামড়া, পোশাক, জুতো, গয়না, সামুদ্রিক মাছ ও খেলনার উপর থেকে শুল্ক অনেকটাই কমে যাবে। এরফলে সেসব পণ্যের দাম ব্রিটেনে সস্তা হবে। অন্যদিকে, ভারতেও ব্রিটিশ পণ্য—যেমন স্কচ, হুইস্কি, জাগুয়ার-ল্যান্ডরোভার গাড়ি, চকলেট, কসমেটিকস ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম কম দামে আমদানি করা যাবে। এছাড়া, ভারতীয় পেশাদাররা ব্রিটেনে গিয়ে কাজ করলে, সামাজিক সুরক্ষা খাতে দুই দেশকে আলাদা করে টাকা দিতে হবে না। বেতনের প্রায় ২০ শতাংশ টাকা বাঁচবে। ৬০ হাজারের বেশি তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী উপকৃত হবেন। উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াতে এই চুক্তিকে বিরাট পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মোদির (PM Modi)  এই সফরে সঙ্গী হচ্ছেন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা এই চুক্তিতে সাক্ষর করবেন। এরপর চুক্তি কার্যকর হতে গেলে ব্রিটিশ সংসদের অনুমোদন লাগবে।

    নজর মোদির মলদ্বীপ সফরেও

    অন্যদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সঙ্গে দেখা করার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি উড়ে যাবেন মলদ্বীপের উদ্দেশে। মলদ্বীপ (Maldives) সফরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সফর করবেন ২৫ এবং ২৬ জুলাই, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মইজুর (Mohamed Muizzu) আমন্ত্রণে। এই সফরে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন প্রকল্প এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে মলদ্বীপ সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

  • Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: বিহারে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষা (Bihar Electoral Revision) বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনে, সংক্ষেপে ‘SIR’, উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভোটার তালিকায় নাম থাকা ১৮ লক্ষ মৃত ব্যক্তি এখনো তালিকায় রয়েছেন। এর পাশাপাশি, ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকায় রয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের (ECI) তথ্যে জানা গেছে, ৭ লক্ষ ভোটারের নাম দুটি স্থানে একসঙ্গে রয়েছে।

    মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন

    ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ECI) যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে ৯৭.৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪২৮ জন ভোটারের নাম তালিকায় যাচাই করা হয়েছে। বাকি ২.৭০ শতাংশ এখনো যাচাই বাকি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, তারা সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে একযোগে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (Bihar Electoral Revision) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫২.৩০ লক্ষ ভোটার তালিকায় রয়ে গেছেন, যাঁরা আসলে বাতিল হওয়ার কথা — হয় তাঁরা মারা গেছেন, নয়তো স্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন, অথবা তাঁদের নাম দুটি জায়গায় রয়েছে।

    ১ অগাস্ট থেকে চলবে তালিকা সংশোধনের কাজ

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন (Bihar Electoral Revision) জানিয়েছে, এক মাস সময় ধরে — ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত — ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে। এই সময়ের মধ্যে সংযোজন, সংশোধন ও অপসারণ হবে। এই পরিস্থিতিতে, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা শোনা যাচ্ছে, আবার বিরোধীরা ভোটার তালিকার সংশোধন বা সংযোজন প্রক্রিয়ায় সম্মত হচ্ছেন না। তাঁদের মতে, এভাবে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে ইন্ডিয়া সরকার। চলতি বছরের শেষের দিকে, অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসে বিহারে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোটার কার্ড ও তালিকা বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিহারের (Bihar Electoral Revision) প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো হলো বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং এলজেপি।

  • Bangladesh Jet Crash: মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কেনার পরিণাম! অধিক চিন-প্রীতির খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Jet Crash: মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কেনার পরিণাম! অধিক চিন-প্রীতির খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাতেই রয়েছে, ‘চায়নার মালের কোনও গ্যারান্টি নেই।’ বাজারে সস্তার জিনিসকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বোঝাতেও মানুষজন ‘চাইনিজ মাল’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে থাকে। এই ধারণা যে অমূলক নয়, তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রমাণিত। সাংসারিক হোক বা সামরিক— চিনা জিনিস কোথাও নির্ভরযোগ্য নয়। একে ভরসা করেছে কী মরেছে! ঠিক যেমনটা টের পাচ্ছে ভারতের দুই প্রান্তের দুই প্রতিবেশী। হালে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের বিরুদ্ধে চিনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে একেবারে পর্যুদস্ত হয়েছে পাকিস্তান। এবার বাংলাদেশও টের পেতে শুরু করেছে ‘চাইনিজ মাল’-এর অর্থ। সোমবার, ঢাকার উত্তরায় একটি স্কুল বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ বায়ুসেনার একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ‘এফ-৭বিজিআই’ বিমানটি চিনের একটি সংস্থা তৈরি করে। সংস্থার নাম চেংডু এয়ারক্র্যাফট কর্পোরেশন। যারা কিনা পাকিস্তানকে জে-১০ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে।

    ৩৩ বছরে ২৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস

    পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক দশকে একাধিক চিনা যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, বাংলাদেশে চিনা যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খতিয়ান। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৯২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের অন্তত ২৭টি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সেই সব বিমানের বেশিরভাগই চিনের তৈরি। বিশেষ করে এফ-৭, এফটি-৭ এবং পিটি-৬ মডেলের বিমানই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। গত ২০ বছরের সময়সীমা ধরলে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা ১১। তার মধ্যে ৭টি চিনের তৈরি। আবার, শেষ ১৭ বছরে ভেঙে পড়েছে চিন থেকে কেনা চারটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান। ২০১৮ সালের নভেম্বরে টাঙ্গাইলে একটি এফ-৭ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে বিমানটির পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ নিহত হন। ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে প্রশিক্ষণের সময় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান ভেঙে পড়ে। এর আগে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ বিমান ধ্বংস হয়ে তামান্না রহমান নামের এক পাইলট নিহত হন।

    রুশ মিগ-২১ বিমানের সস্তা কপি এফ-৭

    আদতে, বাংলাদেশের এফ-৭ যুদ্ধবিমানটিকে রাশিয়ার মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের সস্তা কপি-ও বলা যেতে পারে। সাবেক সোভিয়েতের তৈরি মিগ-২১ যুদ্ধবিমানকে নকল করে ষাটের দশকে লাল ফৌজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল জে-৭ নামে এক-ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই যুদ্ধবিমানটি। পরে বিদেশেও রফতানি হয় এই যুদ্ধবিমানকে। তবে, জে-৭ নামে নয়, এফ-৭ নাম দিয়ে। চিনের তৈরি এফ-৭ যুদ্ধবিমান এক সময় অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য ছিল তুলনামূলক কম খরচে আকাশ প্রতিরক্ষার একটি সমাধান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সমাধান আজ পরিণত হয়েছে বিপদে। মান্ধাতা আমলের প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের চেয়ে এফ-৭ জেটের দুর্ঘটনার হার বেশি। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশে ব্যবহার হওয়া এই বিমানটি এখন প্রায়ই শিরোনামে আসে—বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণে। এর প্রধান কারণ, পুরনো নকশার এয়ারফ্রেম, সীমিত নিরাপত্তা, আধুনিক ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অভাব ইত্যাদি। ইঞ্জিনের ব্যর্থতা থেকে শুরু করে কারিগরি এবং পাইলটের ত্রুটির সঙ্গে জড়িত অসংখ্য কারণ বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে, সোমবারের দুর্ঘটনার কারণ ঠিক কী, এখনও অবধি সবিস্তার তা জানা যায়নি।

    বাংলাদেশের মধ্যেই এবার উঠছে প্রশ্ন

    বর্তমান বাংলাদেশের কাছে ২০১৩ সালে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এফ-৭ সংস্করণের ৩৬টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এফ-৭ বিজিআই ভ্যারিয়েন্ট। তবে এফ-৭ এমবি ও এফটি-৭ ভ্যারিয়েন্টও রয়েছে। একাংশের মতে, চিনের তৈরি এই সব ফাইটার এয়ারক্র্যাফটকে যুদ্ধবিমান না বলে ‘উড়ন্ত কফিন’ বলাই ভালো। সোমবারের দুর্ঘটনার পর থেকেই চিন থেকে সস্তায় সমরাস্ত্র কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই বিষয়ে বাংলাদেশ বায়ুসেনা কিংবা তদারকি সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে, বাংলাদেশ মুখে কুলুপ আঁটলেও, সময়টা খারাপই চলছে চিনের, বিশেষ করে চেংডুর চিনা যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থাগুলির। প্রথমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাক বায়ুসেনার জে-১০ ও জেএফ-১৭ বিমান ভূপতিত। সম্প্রতি, মায়ানমারে বিদ্রোহীদের স্টিঙ্গার মিসাইলে ভূপতিত জুন্টার বায়ুসেনার চিনা যুদ্ধবিমান। এখন বাংলাদেশে দুর্ঘটনার কবলে চিনা যুদ্ধবিমান। গত কয়েক মাসে, চিনা যুদ্ধবিমান সংস্থাগুলির শেয়ারের মূল্যে বিরাট পতন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবারেই চেংডুর শেয়ার দর ২ শতাংশ পড়েছে।

    খয়রাতি সাহায্য এবং কম দামের আশায়…

    সামান্য কিছু খয়রাতি সাহায্য এবং কম দামের আশায় চিন থেকে একের পর এক মান্ধাতা আমলের যুদ্ধবিমান কিনেই চলেছে বাংলাদেশ। তার ফলে খেসারত দিতে হচ্ছে সেদেশের বায়ুসেনাকেই। তবে, সোমবারের ঘটনার পর চিন থেকে সরে অন্য দেশ থেকে যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবনাচিন্তা করছে বাংলাদেশ, এমন খবর সেদেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি অবশেষে চিন থেকে মন উঠল মহম্মদ ইউনূসের? কিছুদিন আগে পর্যন্ত তো চিনে গিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব তথা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন তিনি? এবার কি তাহলে ‘চিনা মাল’-এ ভরসা রাখতে পারছেন না মহম্মদ ইউনূস? সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।

LinkedIn
Share