Tag: মাধ্যম

  • Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    Indian Medical Team: কূটনৈতিক দূরত্ব ভুলে সৌজন্যতার নজির, বাংলাদেশে বিশেষ চিকিৎসক দল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক দূরত্ব সত্ত্বেও ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাকাণ্ডে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ভারত। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের এই খারাপ অবস্থার সময়ে ভারত সবরকমভাবে পাশে থাকতে রাজি। সেই মতো এবার মহম্মদ ইউনূসের দেশে ভারত থেকে যাচ্ছে ডাক্তার-নার্সদের টিম। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, চিকিৎসক এবং নার্সদের দলকে বাংলাদেশে পাঠানো হবে, তাঁরা এরকম পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ। শীঘ্রই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জামও পাঠাচ্ছে ভারত।

    সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মোদি

    সোমবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ বায়ুসেনার প্রশিক্ষণরত একটি বিমান। ফলে আগুন ধরে যায়। দগ্ধ হয় অনেক পড়ুয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শিশু-সহ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১২ বছরের নিচে। আহতের সংখ্যা ২০০-র মতো। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢাকার প্রায় ৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহতদের। বিমান দুর্ঘটনার পর উত্তরার ওই স্কুলের অনের শিশু আহত হয়। বেশিভাগই অগ্নিদগ্ধ। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
    এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘ঢাকায় একটি মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত ও দুঃখিত বোধ করছি। যেখানে মৃতদের মধ্যে অনেকেই তরুণ শিক্ষার্থী। পরিবারগুলোর জন্য আমাদের হৃদয় শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও ব‌লেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে এবং সম্ভাব্য সব সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’’

    বার্ন-স্পেশালিস্ট ডাক্তার ও মেডিক্যাল টিম

    মোদি সাহায্যের বার্তা পাঠানোর পরে দুই দেশের বিদেশ সচিব স্তরে যোগাযোগ বজায় ছিল টানা। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টকে ফোন করেন। যে কোনও দরকারে ভারত যে সর্বতোভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত, সে কথাও জানিয়ে দেন। কী ধরনের চিকিৎসার সাহায্য প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছিল ভারত। তার উত্তরে বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যেহেতু জখমরা সকলেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, সেই কারণে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন রয়েছে। সেই মতো পদক্ষেপ করেছে ভারত। দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আলোপ আলোচনা চলার পরই ভারত সেই দেশের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, বার্ন ইউনিটে কাজ করার অর্থাৎ অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্মীদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমে দিল্লির দুজন ডাক্তার রয়েছেন- একজন রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এবং অন্যজন সফদরজং হাসপাতালের। প্রয়োজনে আরও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে বলে ভারতের তরফে থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    ভারতেও চিকিৎসার আশ্বাস

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আহতদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে ভারতের বিশেষ চিকিৎসার সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ তাঁরা সুপারিশ করলে আহতদের ভারতে নিয়ে আসার দরজাও খুলে দিচ্ছে নয়াদিল্লি। এমনকী প্রয়োজন হলে চিকিৎসার জন্য ভারত আরও এরকম বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে বলেও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বেড়েছে দূরত্ব। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দেখা দিয়েছে কূটনৈতিক লড়াই। বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে প্রবল ভারত বিরোধিতার সুর। সবকিছুকে উপেক্ষা করে, প্রতিবেশীর বিপর্যয়ে সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভারত।

  • India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    India: চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে ‘বিকল্প পথ’ নির্মাণ করছে ভারত, দু’দিনের যাত্রা করা যাবে ১২ ঘণ্টায়

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: চিন সীমান্তের (China) গা ঘেঁষে সড়ক নির্মাণ করছে ভারত (India)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬,০০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি, যার নাম দৌলত বেগ ওল্ডি (সংক্ষেপে ডিবিও)। লাদাখে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অস্ত্র, বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম ছাড়াও সেনাবাহিনীর অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেতে অসুবিধা হয়। এই আবহে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর, অর্থাৎ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল-এর অদূরেই তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা।

    লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে এই রাস্তা

    এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের (India)। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, লাদাখে অবস্থিত গাপসান ক্যাম্প থেকে এই রাস্তাটি সরাসরি ডিবিও পর্যন্ত যাবে। এই রাস্তাটি ১৩০ কিলোমিটার লম্বা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই রাস্তা তৈরি করছে এবং তারা জানিয়েছে, নতুন এই রাস্তাটি লেহ থেকে ডিবিও-র দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে।

    সহজেই পৌঁছানো যাবে রসদ (China)

    এতদিন পর্যন্ত এই দুর্গম পথে যাতায়াত করতে সময় লাগত প্রায় দুই দিন। পাহাড়ি ভূখণ্ড, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর জন্য দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও)-তে পৌঁছানো ছিল যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও কষ্টকর। কিন্তু এই নতুন বিকল্প সড়ক তৈরির ফলে সেই দীর্ঘ যাত্রা অনেকটাই সহজ এবং দ্রুততর হয়ে উঠবে। এই পথ ব্যবহার করে এখন মাত্র ১১ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ডিবিও-তে পৌঁছানো যাবে। এই রাস্তা নির্মাণ শুধু সময় সাশ্রয়েই সাহায্য করবে না, ভারত যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর নজরদারির ক্ষমতা বাড়াতে পারবে—তাও নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক দিক থেকেও এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। সীমান্তবর্তী এই স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে দ্রুত রসদ, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সেনা সহায়তা এবং অন্যান্য লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যাবে। চিনের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, এই রাস্তা কেবল প্রতিরক্ষার দিক থেকেই নয়, বরং কূটনৈতিক ও কৌশলগত দৃষ্টিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে (India)।

    নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে, বহন করবে আরও বেশি ভার

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (India) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী যানবাহন ও কামান চলাচলের সুবিধার্থে এই নয়া রাস্তায় নয়টি সেতুকে সংস্কার করা হয়েছে। যার ফলে, এতদিন যা ৪০ টন ভার বহন করতে পারত, তা এখন ৭০ টন পর্যন্ত বহন করতে পারবে। সিয়াচেন সেনা ক্যাম্পের কাছে নুব্রা উপত্যকার শাসুমা থেকে এই রাস্তাটি শুরু হয়েছে এবং লেহকে সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম না করেই ডিবিও-র সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।

    প্রকল্পের বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, চরম আবহাওয়াতেও এই রাস্তা কার্যকর থাকবে। জানা গিয়েছে, ১৭ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলে ভারী তুষারপাত হয় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে, যার ফলে বছরে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস কাজ চালানো সম্ভব হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে ‘অক্সিজেন ক্যাফে’।

    দেশের সীমান্তে রাস্তা তৈরি হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে

    এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, সারা দেশে (India) এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ কখনো একভাবে হয় না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রক, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের, আর সেই কাজ তদারকি করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO)। লাদাখের এই নতুন সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও তাদের হাতেই।

    আগামী বছরেই তৈরি হয়ে যাবে এই রাস্তা

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুন মাসে চিনের সঙ্গে গালওয়ান সংঘর্ষ ঘটে। সেই আবহেই এই নির্মাণকাজ শুরু করে BRO। এই রাস্তা একবার সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বহু সুবিধা মিলবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা, বিশেষত লাদাখের নিরাপত্তাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশ্ন, কবে সম্পূর্ণ হবে এই নতুন সড়ক? প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে বিকল্প পথ তৈরির কাজ ধাপে ধাপে শুরু করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। তবে এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না, আর তার বড় কারণ আবহাওয়া। তবুও সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এই রাস্তা এখন অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরেই বিকল্প এই পথ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে যাবে।

  • Islamic Conversion: গ্রেফতার আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের মাথা আবদুল রহমান, আগেই মিলেছিল কলকাতা-যোগ

    Islamic Conversion: গ্রেফতার আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের মাথা আবদুল রহমান, আগেই মিলেছিল কলকাতা-যোগ

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: বড়সড় ধর্মান্তকরণ চক্র ফাঁস করেছে আগ্রা পুলিশ। এই আবহে দিল্লি থেকে ধর্মান্তকরণ চক্রের (Islamic Conversion) মাস্টারমাইন্ড আবদুল রহমানকে (Abdul Rehman) গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আবদুল রহমানের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং সেখানে ধর্মান্তরের নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে পরে তাদেরকেই এই চক্রে কাজে লাগানো হত। এরমধ্যে কলকাতার দুজনের নাম সামনে এসেছে। যাদের হিন্দু থেকে মুসলিম করা হয়। পরে তাদেরকেই ধর্মান্তকরণের কাজে লাগানো হয় (Islamic Conversion)।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১১ জন (Islamic Conversion)

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ফিরোজাবাদের বাসিন্দা আবদুল রহমান আগে হিন্দু ছিল এবং তার নাম ছিল মহেন্দ্র পাল। পরে সে প্রথমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন, এরপর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। জানা গেছে, এই চক্রে সে কলিম সিদ্দিকীর সংস্পর্শে আসে। তারপরেই কাজ শুরু করে। উল্লেখ্য, কলিম সিদ্দিকী বর্তমানে জেলবন্দি এবং ধর্মান্তকরণ নেটওয়ার্ক পরিচালনার দায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে, আবদুল রহমানের ভাগ্নে বর্তমানে লন্ডনে থাকে এবং সন্দেহ করা হচ্ছে, ধর্মান্তকরণ চক্র চালানোর জন্য বিদেশি তহবিল সংগ্রহে সে সহায়তা করত। তদন্তের স্বার্থে এটিএস ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বর্তমানে দিল্লি ও কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, হেফাজতে থাকা ১০ জন ব্যক্তি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে (Islamic Conversion)। বর্তমানে তারা ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে (Abdul Rehman)।

    হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে কাজে লাগানো হত চক্রে

    এই দশজনের মধ্যে অনেকেই আগে হিন্দু ছিল এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, কীভাবে তাদের মগজধোলাই করা হয়েছিল এবং পরে এই চক্রে নিয়োগ করা হয়। তারা আরও জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছিল—ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমেই ‘জান্নাত’-এর দরজা খুলবে। এজন্য তারা দুর্বল ব্যক্তিদের লক্ষ্য করতে শুরু করে এবং নতুনভাবে সম্পর্ক তৈরি করে। আবদুল রহমানের বাড়ি থেকে পুলিশ মমতা নামে এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে, যাকে হরিয়ানা থেকে আনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাকেও ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। ধর্মান্তকরণ উৎসাহিত করে এমন বহু বইও উদ্ধার করা হয়েছে (Islamic Conversion)। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় তদন্তকারীরা ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের অনেকের পূর্ব পরিচয় সামনে এনেছেন। দেখা গিয়েছে, এদের অনেকেই একসময় হিন্দু ছিলেন। যেমন—

    গোয়ার এসবি কৃষ্ণাকে ধর্মান্তরিত করে ‘আয়েশা’ করা হয়।

    কলকাতার শেখর রায়কে ‘আলি হাসান’ করা হয়।

    দেরাদুনের রূপেন্দ্র বাঘেলকে ‘আবু রহমান’ করা হয়।

    জয়পুরের পীযূষ সিং পানোলকে ধর্মান্তরিত করে ‘মোহাম্মদ আলি’ করা হয়।

    দিল্লির মনোজকে ধর্মান্তরিত করে ‘মুস্তাফা’ করা হয়।

    কলকাতার রিত বণিককে ধর্মান্তরিত করে ‘মহাম্মদ ইব্রাহিম’ করা হয়।

  • National Flag Day: ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’, ১৯৪৭ সালের এই দিনেই গণপরিষদে গৃহীত হয় ‘তিরঙ্গা’

    National Flag Day: ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’, ১৯৪৭ সালের এই দিনেই গণপরিষদে গৃহীত হয় ‘তিরঙ্গা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছর ২২ জুলাই জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন করা হয়। এই দিনেই গৃহীত হয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালের এই দিনেই ভারতের গণপরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তিরঙ্গা’কে জাতীয় পতাকা হিসেবে গ্রহণ করে। জাতীয় পতাকার (National Flag Day) বর্তমান নকশাটি তৈরি করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। ‘তিরঙ্গা’ শব্দের অর্থ হল ‘ত্রিবর্ণ রঞ্জিত’।

    নিবেদিতার পতাকা (National Flag Day)

    প্রসঙ্গত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকা বিকশিত হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতের জাতীয় পতাকা কেমন হবে, তার বিভিন্ন নকশা প্রস্তাবিত হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথম পতাকাটি ছিল ১৯০৪ সালে, যা তৈরি করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। এই পতাকাটি ছিল লাল এবং হলুদ রঙের এবং তা বিজয় ও শক্তির প্রতীক ছিল। ওই পতাকায় লেখা ছিল ‘বন্দেমাতরম’।

    বর্তমান জাতীয় পতাকায় তিনটি রঙ (National Flag Day)

    পরবর্তীতে জাতীয় পতাকার বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। বর্তমানে যে জাতীয় পতাকা রয়েছে, তাতে তিনটি রঙ দেখা যায়—গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। জাতীয় প্রতীক হিসেবে চরকার পরিবর্তে অশোকচক্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত (India) স্বাধীনতা লাভ করে এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

    ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ দেশপ্রেমের অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে (India)

    ২২ জুলাই ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ দেশবাসীর জন্য গর্ব, দেশপ্রেম এবং জাতীয় ঐক্যের এক অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলে। একই সঙ্গে, এই দিনটি নাগরিক কর্তব্যকেও মনে করিয়ে দেয়। ভারতের জাতীয় পতাকা ‘ফ্ল্যাগ কোড’-এ বর্ণিত রয়েছে। ভারতীয় জাতীয় পতাকার প্রতিটি রঙের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ আছে, যা দেশের মূল আদর্শ ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।

    জাতীয় পতাকার তিন রঙ কিসের প্রতীক (National Flag Day)

    এছাড়া, এটি ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগ ও সংগ্রামকেও তুলে ধরে। যেমন—

    গেরুয়া রঙ সাহসিকতা ও ত্যাগের প্রতীক,

    সাদা রঙ পবিত্রতা, সত্য ও শান্তির প্রতীক,

    সবুজ রঙ উর্বরতা, বৃদ্ধি ও শুভভাগ্যের প্রতীক।

    পতাকার মাঝখানে নীল রঙের যে অশোকচক্র রয়েছে, তা জীবনের অবিচ্ছিন্ন গতির প্রতীক এবং একটি জাতির অগ্রগতিকে (National Flag Day) চিহ্নিত করে।

  • CBSE Schools: পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় সিবিএসই-র নয়া নির্দেশিকা, সমস্ত স্কুলে বসাতে হবে সিসিটিভি

    CBSE Schools: পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় সিবিএসই-র নয়া নির্দেশিকা, সমস্ত স্কুলে বসাতে হবে সিসিটিভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই-এর অনুমোদিত সমস্ত স্কুলে (CBSE Schools) এবার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি (CCTV) বসানো হচ্ছে। সোমবার এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিএসই-এর তরফ থেকে। স্কুলগুলোকে এই নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুলের সমস্ত প্রবেশপথ, প্রস্থানপথ, শ্রেণিকক্ষ, যেকোনও করিডর এবং অন্যান্য সাধারণ জায়গাতেও অডিও-ভিজ্যুয়াল রেকর্ডিং ক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

    কেন এই নির্দেশিকা (CBSE Schools)

    সিবিএসই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন এই নির্দেশিকার লক্ষ্য হল যাতে ক্যাম্পাসজুড়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা যায় এবং যে কোনও ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ রোধ করা যায়। ছাত্রদের যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিরাপদ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (CCTV)।

    ১৫ দিনের ফুটেজ ধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন স্টোরেজ ডিভাইস থাকতে হবে

    সিবিএসই (CBSE Schools) আরও জানিয়েছে, এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিতে কমপক্ষে ১৫ দিনের ফুটেজ ধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন স্টোরেজ ডিভাইস অবশ্যই থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ীই ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ, সমস্ত স্কুলকে নিশ্চিত করতে হবে যেন কমপক্ষে ১৫ দিনের ব্যাকআপ সংরক্ষণ করা যায়, যাতে প্রয়োজনে সিবিএসই কর্তৃপক্ষ তা অ্যাক্সেস করতে পারে—এমনটাই বলা হয়েছে সিবিএসই-এর অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে।

    পড়ুয়াদের সুরক্ষা (CBSE Schools)

    সিবিএসই জানিয়েছে, পড়ুয়াদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্কুলগুলিকে অভ্যন্তরে এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যা পড়ুয়াদের যে কোনও ধরনের নির্যাতন, হিংসাত্মক কার্যকলাপ, প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি ও পরিবহন সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এই প্রসঙ্গে সিবিএসই মানসিক নিরাপত্তার ওপরেও জোর দিয়েছে। তারা বলেছে, এটি একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ শিক্ষক ও অভিভাবকদের পক্ষে পড়ুয়াদের মানসিক সমস্যা ও অসুবিধাগুলি সনাক্ত করা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে। সিবিএসই (CBSE Schools) জানিয়েছে, স্কুলে একটি নিরাপদ এবং সুসংগঠিত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

  • Agniveer Result: ২০২৫ সালে ইন্ডিয়ান আর্মির অগ্নিবীর পরীক্ষার ফলাফল শীঘ্রই প্রকাশিত হচ্ছে

    Agniveer Result: ২০২৫ সালে ইন্ডিয়ান আর্মির অগ্নিবীর পরীক্ষার ফলাফল শীঘ্রই প্রকাশিত হচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান আর্মির অগ্নিবীর নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল (Agniveer Result) খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ বা অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। যাঁরা কমন এন্ট্রান্স টেস্ট (CET) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা joinindianarmy.nic.in এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের রেজাল্ট ডাউনলোড করতে পারবেন (Agniveer Result 2025)।

    পরীক্ষার বিবরণ (Agniveer Result)

    সম্প্রতি, অগ্নিবীর ২০২৫ নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় বিভিন্ন পদে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ছিল:

    জেনারেল ডিউটি

    টেকনিক্যাল

    ট্রেডসম্যান

    নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট

    সিপাহী ফার্মা

    অনলাইন মোডে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৩০ জুন থেকে ১০ জুলাই এর মধ্যে।

    প্রতিটি পোস্ট অনুযায়ী পরীক্ষার ধরন এবং পূর্ণমান ভিন্ন ছিল।

    কিছু পরীক্ষার পূর্ণমান ছিল ৫০ নম্বর, যার জন্য ১ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত ছিল।

    আবার কিছু পরীক্ষার পূর্ণমান ছিল ১০০ নম্বর, সেক্ষেত্রে ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।

    আবেদন ও প্রবেশপত্র (Agniveer Result)

    অগ্নিবীর নিয়োগের আবেদন শুরু হয় ১২ মার্চ ২০২৫ থেকে।

    জানা যাচ্ছে, প্রায় ২৫,০০০ শূন্যপদে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

    ১৬ জুন তারিখে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করা হয়।

    এই নিয়োগে পুরুষ প্রার্থীদের পাশাপাশি মহিলাদের (Agniveer Result 2025) জন্যও কিছু পদ সংরক্ষিত ছিল। এই পরীক্ষা ১৩টি ভাষায় অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে ছিল:
    ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, মালয়ালম, কান্নড়, তামিল, তেলুগু, পাঞ্জাবি, ওড়িয়া, উর্দু, গুজরাটি, মারাঠি এবং অসমীয়া।

    উত্তরপত্র ও ফলাফল যাচাই (Agniveer Result)

    পরীক্ষার উত্তরপত্র (Answer Key) খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। পরীক্ষার্থীরা উত্তর মিলিয়ে বুঝতে পারবেন, তারা কতগুলি উত্তর সঠিক করেছেন। ফলাফল প্রকাশের সময় পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর ও জন্মতারিখ (Date of Birth) দিয়ে লগইন করতে হবে।

    কিভাবে রেজাল্ট চেক ও ডাউনলোড করবেন:

    ১. প্রথমে ইন্ডিয়ান আর্মির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট joinindianarmy.nic.in এ যান।
    ২. হোমপেজে ‘Indian Army Agniveer Result 2025’ লিংকে ক্লিক করুন।
    ৩. এরপর একটি নতুন লগইন পেজ আসবে। সেখানে আপনার রোল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিয়ে লগইন করুন। (Agniveer Result)
    ৪. লগইন হয়ে গেলে আপনার ফলাফল স্ক্রিনে দেখতে পারবেন।
    ৫.  সবশেষে এটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে রাখতে পারেন।

  • Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    Nyoma Airbase: ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস! এলএসি-র গা ঘেঁষে তৈরি ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি, চালু অক্টোবরেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের চোখরাঙানির সমুচিত জবাব দিতে বিরাট পদক্ষেপ ভারতের। লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় চিন-সীমান্ত (India China Border) ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে দেশের বায়ুসেনার সর্বোচ্চ নিয়োমা বিমানঘাঁটি (Nyoma Airbase)। নির্মাণ-পর্ব প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরেই এই ‘এয়ারফিল্ড’ অপারেশনাল হতে চলেছে।

    ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল, তেজস

    পূর্ব লাদাখের মুধ-নিয়োমায় (Mudh-Nyoma Airfield) ভারতের সর্বোচ্চ বিমানঘাঁটি তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৩,৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, পূর্ব লাগাখের মুধ-নিয়োমা হতে চলেছে এলএসি-র নিকটতম অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড (Advanced Landing Ground)। এলএসি-র কাছে এই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বিমানবাহিনীকে (Indian Air Force) বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও গোলা-বারুদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।

    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে নিয়োমা

    চিন সীমান্তের কাছে, লাদাখেই আছে বায়ুসেনার আরও একটি এয়ারস্ট্রিপ। সিয়াচেন হিমবাহের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬,৬১৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দৌলত বেগ ওলডি-ই হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ এয়ারস্ট্রিপ। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে তা তৈরি হয়েছিল। তার পরে দীর্ঘদিন তা ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৮ সালে তা নতুন করে চালু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখান থেকে এএন-৩২, সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান উড়তে পারে। কিন্তু, এই এয়ারস্ট্রিপ ঘিরে কোনও বিমানঘাঁটি তৈরি হয়নি। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দৌলত বেগের দূরত্ব বেশি হওয়ায় নতুন এয়ারফিল্ড নির্মাণ অবশ্যাম্ভাবী হয়ে পড়ে। লাদাখের এই নিয়োমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত

    ২০২১ সালে মুধ-নিয়োমা প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এ বার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও। ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।

    গালওয়ানের পর থেকেই কাঠামো বৃদ্ধিতে জোর

    পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে আগ্রাসন দেখিয়েছিল চিন। গালওয়ান সংঘর্ষে কর্নেল বি সন্তোষ বাবু-সহ নিহত হন ২০ জন জওয়ান। পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই ঘটনায় ৪০ থেকে ৫০ জন সৈনিক হারিয়েছিল চিনা ফৌজ। যা সরকারি ভাবে কখনই স্বীকার করেনি বেজিং। এর পরই, এলএসি জুড়ে বিপুল সেনা মোতায়েন করে বেজিং। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নয়াদিল্লিও। রাতারাতি লাদাখ সীমান্তে বাহিনীর পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। গত পাঁচ বছরে লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। সামরিকভাবে লাল ফৌজের মোকাবিলা করার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে সহজ যাতায়াত করার জন্য রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণে কাজে গতিও আনে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে মুধ-নিয়োমায় এয়ারফিল্ড নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং। সেই চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করেই দ্রুত গতিতে এয়ারফিল্ড তৈরির কাজ চালিয়ে যায় ভারত।

    চিনকে আবার বিশ্বাস! নৈব নৈব চ…

    গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ঢোকার চেষ্টা চালায় পিএলএ। কিন্তু ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নিয়োমার গুরুত্ব বেড়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তিব্বতের বায়ু সেনাঘাঁটিতে একাধিক যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ। ফলে সংঘর্ষের সময়ে অনায়াসে সেখান থেকে এলএসিতে থাকা ভারতীয় সৈনিকদের উপর আক্রমণ শানাতে পারবে বেজিং। সে ক্ষেত্রে নতুন এয়ারফিল্ড থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

  • AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। এবার থেকে ভারতেই তৈরি হবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন, যার নাম অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax)। জানা যাচ্ছে, ভুবনেশ্বরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যালেরিয়া রিসার্চ এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির যৌথ প্রচেষ্টাতেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে এই প্রথম এই ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, অর্থাৎ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় (Modi Government) আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রচেষ্টা। একাধিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে যুদ্ধ সরঞ্জাম, করোনা মহামারীতেও ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন সারা দুনিয়াতে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার গুণমানের জন্য। এবার এই আবহে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) নামের এই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ভ্যাকসিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে।

    অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। এটা একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপারাম-কে। প্রসঙ্গত, এই প্যারাসাইট ম্যালেরিয়ার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক বলে মনে করা হয় এবং তা প্রাণঘাতীও হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে। সেই প্যারাসাইটকেই একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে ভারতবর্ষে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স।

    কেন অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে আলাদা?

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে ফোকাস করে প্যারাসাইটের লাইফ সাইকেলের উপর। কিন্তু ভারতে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা সহজে এবং একেবারে শেষ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। ম্যালেরিয়ার ফলে মানবদেহে সংক্রমণ যে স্তরেই থাকুক না কেন, এই ভ্যাকসিন লড়াই চালাতে সক্ষম তার বিরুদ্ধে। এর আগে এই ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিকবার ল্যাব টেস্টিংও হয়েছে এবং সেখানে বিজ্ঞানীরা যে ফলাফল পেয়েছেন, তা এক কথায় অত্যন্ত ইতিবাচক।

    সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন

    বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করছেন, এই ভ্যাকসিনের ফলে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের প্রভূত উপকার হবে। বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, যেমন: RTS,S/AS01, R21/Matrix-M. এই সমস্ত প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলির থেকে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন অনেক দিকেই কাজ করবে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে প্রতিরোধক ব্যবস্থা। অর্থাৎ, সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করবে — এর পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করবে।

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে?

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে, এর উত্তরও দিচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনকে ৯ মাস ধরে রাখা যেতে পারে ঘরের তাপমাত্রায় এবং খুব সহজেই এটা রাখা যাবে। সহজে এই ভ্যাকসিনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে, বিশেষত ক্রান্তীয় অঞ্চলে। শুধু তাই নয়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত খরচ-সাশ্রয়ী হতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, যাতে সাধারণ মানুষ এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবেন।

    সাত বছরের মধ্যে আসছে বাজারে

    এই ভ্যাকসিন (AdFalciVax) বর্তমানে প্রি-ক্লিনিকাল স্তরে রয়েছে এবং সমস্ত কিছু পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলেছে বলে জানাচ্ছেন এই ভ্যাকসিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। কতদিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে গবেষণা চলছে, তাতে ৭ বছর লাগবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে এই ভ্যাকসিন। একে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত কঠোর।

    গোষ্ঠী সংক্রমণও রুখবে এই ভ্যাকসিন

    চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে তৈরি করতে ল্যাকটোকোকাস ল্যাকটিস (Lactococcus lactis) ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি নিরাপদ এবং প্রচলিত ব্যাকটেরিয়াম। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে এটি রোগীকে যেকোনো ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল— এই ভ্যাকসিন ম্যালেরিয়াকে যেকোনও গোষ্ঠীর মধ্যেও সংক্রমিত হওয়া থেকে বাধা দেবে।

    অনেক কোম্পানি তৈরি করতে পারবে এই ভ্যাকসিন

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর তরফ থেকে কর্তা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই ভ্যাকসিন প্রযুক্তি অন্যান্য সংস্থাকেও দেবেন এবং নন-এক্সক্লুসিভ চুক্তির মাধ্যমে তাঁদেরকে তৈরি করার অনুমোদন দেবেন। অর্থাৎ, এর মানে হচ্ছে বিভিন্ন এবং অনেকগুলি কোম্পানি এই ভ্যাকসিনের উপর কাজ করতে পারবে এবং এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। এর ফলে জনগণের যতটা চাহিদা থাকবে, ঠিক ততটাই ভ্যাকসিন বাজারে সর্বত্র পাওয়া যাবে।

  • Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    Workout Diet: শরীর সুস্থ রাখতে ওয়ার্ক আউট করছেন! তার আগে জরুরি কোন খাবার?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়ছে ব্যস্ততা! কিন্তু তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নানান রোগের দাপট। সুস্থ জীবন যাপনের প্রধান হাতিয়ার নিয়মিত যোগাভ্যাস। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক রোগের মোকাবিলা করবে নিয়মিত শারীরিক কসরত। কিন্তু নিয়মিত এই ওয়ার্ক আউটের আগে জরুরি শরীরকে প্রস্তুত করা। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, জিম কিংবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যেকোনও ধরনের শারীরিক কসরত করার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা জরুরি। তবেই ক্যালোরি ক্ষয় হওয়া এবং এনার্জি ধরে রাখা যাবে। কাজ করতে অসুবিধা হবে না। পাশপাশি ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই ওয়ার্ক আউট করার আগে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    নিয়মিত একটি কলা খাওয়া জরুরি!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকাল হোক বা সন্ধ্যা, ওয়ার্ক আউটের আগে অন্তত একটি কলা খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওয়ার্ক আউটের আগে সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জি পৌঁছয়। ফলে, শারীরিক কসরত করলে বাড়তি ক্লান্তিবোধ হয় না। আবার সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমেও অসুবিধা তৈরি করে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সরল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার হিসাবে সবচেয়ে উপযুক্ত হলো কলা। শারীরিক কসরতের আগে এই ফল খেলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। আবার কলায় থাকে আয়রন এবং পটাশিয়াম। এই খনিজ পদার্থ একাধিক রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতার মতো সমস্যাও রুখতে সাহায্য করে। তাই কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    পোরিজ জাতীয় খাবার জরুরি!

    সকালে জিম বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ শুরু করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে কখনই শারীরিক কসরত করা উচিত নয়। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয় না। বরং পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সারাদিন ক্লান্তি বোধ হয়। স্বাভাবিক কাজ ব্যহত হয়। তাই সকালে শারীরিক কসরত করার আগে পোরিজ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম, পেস্তা, খেজুর, বেদানা আর কয়েক টুকরো আপেলের মতো ফল যেকোনও দানাশস্য জাতীয় খাবার যেমন মিলেট, বাজরা বা সাধারণ মুসুর বা ছোলার ডালের সঙ্গে মিশিয়ে পোরিজ জাতীয় খাবার তৈরি করা যেতে পারে। এই সব উপকরণগুলো শরীরে এনার্জি জোগাবে। পেশি মজবুত করতে সাহায্য করবে। তাই ক্যালোরি বার্ন হলেও শরীর দূর্বল হবে না। বরং সারাদিনের কাজের বাড়তি এনার্জি পাওয়া যাবে।

    প্রোটিন জাতীয় খাবারে নজরদারি!

    ওয়ার্ক আউট শুরুর অন্তত আধ ঘন্টা আগে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকাল বা বিকেল, যেকোনও সময় ওয়ার্ক আউট শুরু করার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে, প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেশি সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। নিয়মিত শারীরিক কসরত করলে পেশিতে বাড়তি চাপ পড়ে। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো না পৌঁছলে হাত-পায়ে যন্ত্রণা শুরু হবে। আবার পেশি অসাড় হয়ে যেতে পারে। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেয়ে তবেই শারীরিক কসরত শুরু করার পরামর্শ দিচ্ছেন। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, সকালে শারীরিক কসরত করলে, তার অন্তত কুড়ি মিনিট আগে ফ্লেক্স সীড, চিয়া সীড কিংবা তিলের বীজ জাতীয় বীজ মিশিয়ে ডিমের পোচ খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হবে না। বিকেল বা সন্ধ্যায় ওয়ার্ক আউট করলে দুপুরের মেনুতে প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, চিকেন স্টু, সোয়াবিন বা পনীর জাতীয় খাবার অবশ্যই মেনুতে রাখা জরুরি। প্রোটিন শরীরে ঠিকমতো পৌঁছলে তবেই ওয়ার্ক আউট ফলপ্রসূ হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Islamic Conversion: ফান্ডিং করত লস্কর, হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ চক্র আগ্রা পুলিশের জালে, উঠে এল কলকাতা যোগ

    Islamic Conversion: ফান্ডিং করত লস্কর, হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণ চক্র আগ্রা পুলিশের জালে, উঠে এল কলকাতা যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা হিন্দু মেয়েদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার কাজ চলছিল একেবারে জঙ্গি সংগঠন আইসিস-এর ধাঁচে (Islamic Conversion)। ফান্ডিং করত লস্কর জঙ্গি সংগঠন। এমনই একটি বড় ধর্মান্তরণ চক্রের মুখোশ খুলে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ‘অপারেশন অস্মিতা’ নামক এই অভিযানে উঠে এসেছে কলকাতার যোগসূত্রও। আগ্রার দুই হিন্দু বোন একসঙ্গে নিঁখোজ হয়ে যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয় কলকাতা থেকে (Islam)। গোটা সিন্ডিকেটটি পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে আগ্রার আবদুর রহমান কুরেশি এবং কলকাতার ওসামা নামে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, কুরেশি ‘দ্য সুন্নাহ চ্যানেল’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের মগজধোলাই করত। আগ্রা পুলিশ ইতিমধ্যেই আবদুর রহমান কুরেশিকে গ্রেফতার করেছে। সে একটি জুতার দোকানে একজন সামান্য কর্মচারী। স্থানীয়দের মতে, সে খুবই শান্ত স্বভাবের এবং কম কথা বলত। তার পরিবারও জানিয়েছে, সে খুব একটা বাইরে যেত না বা বাইরের লোকদের সঙ্গে বেশি মিশত না।

    নিখোঁজ দুই বোন, কলকাতা থেকে উদ্ধার (Islamic Conversion)

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আগ্রার সদরবাজার থানায় দুই হিন্দু বোন একসঙ্গে নিখোঁজ হন। কয়েকদিন পরে তাঁদের কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, বড় বোনটি আগে কাশ্মীরের সায়মা নামে এক মহিলার সংস্পর্শে আসে। সায়মা তাঁর মগজধোলাই করে (Islamic Conversion)। ওই হিন্দু মেয়ে এরপর নিজ ধর্মের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে তিনি জম্মু-কাশ্মীরে ঘুরতে যান এবং পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরিবার তাঁকে ফেরত আনলেও ততদিনে তিনি হিজাব পরা শুরু করেন এবং নামাজ পড়তেন। ২০২৫ সালের মার্চে তিনি আবার নিখোঁজ হন এবং এবার তাঁর ১৯ বছর বয়সি ছোট বোনও নিখোঁজ হয়। পরে দুই বোনকেই কলকাতা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, তাঁরা আলাদা ঘরে থাকতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বড় মেয়েকে ধর্মান্তরিত করার পর ছোট বোনকেও টার্গেট করে জেহাদিরা (Islam)।

    ফান্ডিং করত লস্কর-ই-তৈবা (Islamic Conversion)

    পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, বড় মেয়েটি কাশ্মীর থেকে ফিরে আসার পর নিয়মিত নামাজ পড়ার অনুমতি চাইতেন। পরিবার স্পষ্ট জানিয়েছে, এই জেহাদি সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য ছিল দুই মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তাঁদের নিকাহ (বিয়ে) দিয়ে জিহাদি উদ্দেশ্য পূরণ। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রের পেছনে অর্থায়ন করত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। আন্তর্জাতিক কিছু চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ এবং প্রচার চালানো হত।

    কীভাবে চলত ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়া?

    আগ্রা পুলিশের দাবি, গোয়ার আয়েশা ওরফে এসবি কৃষ্ণা কানাডাস্থিত সৈয়দ দাউদ আহমেদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ভারতে বিতরণ করত। আয়েশার স্বামী শেখর রাই ওরফে হাসান আলি, কলকাতা থেকে সিন্ডিকেটের আইনি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করত, ধর্মান্তরের জন্য নথিপত্রের ব্যবস্থা করত। আগ্রার আবদুর রেহমান কুরেশি এবং কলকাতার হাসানের মতো ব্যক্তিরা মৌলবাদ পরিচালনা করেছিল। অন্যদিকে, দিল্লির মুস্তাফা ওরফে মনোজ মেয়েদের জন্য নতুন ফোন এবং জাল সিম কার্ড সরবরাহ করত, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে। একবার উগ্রপন্থী হয়ে উঠলে, ধরা এড়াতে মেয়েদের গোপনে বাসে করে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হত।

LinkedIn
Share