Tag: Balurghat

Balurghat

  • Balurghat: বালুরঘাটে বিজেপি নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল, পুলিশের সঙ্গে বচসা সুকান্তর

    Balurghat: বালুরঘাটে বিজেপি নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল, পুলিশের সঙ্গে বচসা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার তপনের পতিরামপুরে বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ রায়কে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ক্যাম্প বসানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তখন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা সুকান্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি যাতে কোনও ভাবে ওই এলাকায় ঢুকতে না পারে, তাঁকে ঘিরে রাখার অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনার ভিডিও তোলেন সুকান্ত। সেটি তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাবেন বলে সূত্রের খবর।

    পুলিশ চুপচাপ বসে আছে, সরব সুকান্ত (Balurghat)

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাটের (Balurghat) আইসি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, “প্রার্থীকেই বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ কিচ্ছু করছে না। পুলিশ চুপচাপ বসে আছে। ১০০ মিটারের মধ্যে থেকে ক্যাম্প অফিস না ওঠালে আমি এখানেই থাকব। এখান থেকে আমরা লিড পাব, সেটা ওরা জানে। তাই আমাদের মহিলা কর্মীদের হেনস্থা করছে।” বিজেপির দাবি, গঙ্গারামপুরে পুলিশকে কিনে নেওয়া হয়েছে। বারান্দায় উঠে তৃণমূলে লোকজন ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। আশ্রমপাড়া, অমল বন্ধু হাইস্কুলের বুথে পুলিশি নজরদারি অভাবের অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মী খুন, শোরগোল

    বাড়ি বাড়ি ঘুরে ‘টাকা বিলি করছে তৃণমূল!

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার (Balurghat) হরসুরা অঞ্চলের রামপুর ও কৃষ্ণবাটি বুথে তৃণমূলের লোকজন টাকা দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ঢুকছিল বলে অভিযোগ বিজেপির। সেই সময় রাস্তায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আটকায় বিজেপি। এনিয়ে দু’তরফে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বিজেপি এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের গুন্ডা আবার নাকা চেকিং করছে!

    বালুরঘাটে (Balurghat) সাংবাদিক বৈঠকে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ” গঙ্গারামপুরে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পেয়েছি। কাল রাতে হামলাও হয়েছে আমাদের বুথ সভাপতির বাড়িতে। তাও সাহস দিয়ে বসিয়েছি। গঙ্গারামপুরেই সবচেয়ে বেশি গন্ডগোল হয়েছে। গঙ্গারামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর বাড়ি, তাই ওখানে অশান্তি বেশি। তৃণমূল গুন্ডা আবার নাকা চেকিং লাগিয়েছে, কারা ভোট দিতে যাচ্ছেন। যাঁরা তৃণমূল ভোটার, তাঁদেরকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে।”

    সস্ত্রীক ভোট দিলেন সুকান্ত

    সস্ত্রীক ভোট দেন বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী এদিন বলেন, “গোটা রাজ্যটাই ওকে ঘুরতে হচ্ছে। যতটা পারছি, ওর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। যতটা পারছি ঠান্ডা খাওয়ানোর চেষ্টা করছি ওকে। খুব কম সময় পাই ওকে আমরা। আমিও কম পাই, আমার মেয়েরাও বাবাকে কম পায়। যখন পায় আর বাবাকে ছাড়তে চায় না।” পাশেই ছিলেন সুকান্ত। তাঁকে একেবারেই রাজনৈতিক প্রশ্ন করা হয়, জানতে চাওয়া তৃণমূল যে বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখাচ্ছে, এটা কি সঠিক? সুকান্ত বলেন, “কেন্দ্রের জিনিস দেখলে ভয় পায়। আমরা কথা বলে দেখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা ও তাঁর শাগরেদ পার্থ,” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা ও তাঁর শাগরেদ পার্থ,” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সোমবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ বরাহারে জনসভা করতে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি মঞ্চে রয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার, জেলার তিন বিজেপি বিধায়ক, সন্দেশখালির তিন মহিলা সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।  

    তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন সুকান্ত

    মঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন, কয়লা চুরি, বালি চুরির পাশাপাশি সবুজ সাথির সাইকেল চুরি করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকে সভা করে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে এই সভা হয়।  সুকান্ত মজুমদারের হয়ে সভাতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, তৃণমূল মানুষদেরকে ভয় দেখাচ্ছে যে আধার কার্ড বাতিল হবে। আমি এই মঞ্চ থেকে বলছি, একটা আধার কার্ড বাতিল হবে না। আধার কার্ড বাতিল না হলে তৃণমূল নেতাদেরকে বিজেপি কর্মীরা জুতার বাড়ি মারবেন, আমি এই মঞ্চ থেকে বলে গেলাম। আমি আরও এই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকদের বলছি, আপনারা লাঠিতে তেল দিয়ে রাখুন, ভোটের দিন তৃণমূল খেলা হবে বলে ছাপ্পা দিতে আসলেই ছক্কা মেরে দেবেন।

    আরও পড়ুন: ভোটের পরেই কি মুখ্যমন্ত্রী বদল! ইঙ্গিত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Suvendu Adhikari)

    এস‌এসসির চাকরিতে অতিরিক্ত শিক্ষক পদ তৈরিতে অভিযুক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রীসভায় উপস্থিত সকলকে সিবিআই হেফাজত নেওয়ার দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সোমবার বিকেলে কুমারগঞ্জের জনসভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “ডিভিশন বেঞ্চ অতিরিক্ত পদ তৈরি কারীদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।” তা হলে ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রী সভার বৈঠক করে বাড়তি শিক্ষক পদ অনুমোদন করা হয়েছিল। ওই বৈঠকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের অবিলম্বে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হোক বলে শুভেন্দু দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, “যাদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু, এদের দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শাগরেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৩০ লক্ষ কর্ম প্রার্থীর সর্বনাশ করেছিলেন যাঁরা আজ তাঁদের সর্বনাশ হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি গেল একসঙ্গে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তৃণমূলের শাসনে একটি বড় দুর্নীতি। তাহলে তৃণমূলের ঢাকি সমেত বিসর্জন কি একেই বলে? ফেসবুকে একথা ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাল গতিতে। সাম্প্রতিক কালে এত সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে চাকরি যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। এরই মাঝে চাকরি যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।”

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বালুরঘাটে (Balurghat) তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে চলছে প্রচার। প্রচারের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মাস্টার মশাইদের চাকরি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির মতো বিক্রি হয়েছে। তার ফল আজ এই পরিবারগুলোকে ভুগতে হচ্ছে। ২৬ হাজার পরিবার অথৈ জলে পড়ে গেল। ক্যাবিনেটের শীর্ষে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে (CM) এর দায় নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই অন্ধকার থেকে বের করে আনতে হবে।”

    ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

    একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার সরকারি কর্মচারীর চাকরি গেল। যার মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এর প্রভাব পড়বে ছাত্রদের পড়াশুনায়। প্রভাব পড়বে সমাজেও। স্বাভাবিক ভাবে চাপে শাসকদল। চাপে শিক্ষা দফতর। এরই মাঝে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া এসেছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তিনি বলেছেন, “রায়ের কপি হাতে পাইনি। তবে রায়ের কপি হাতে পেলে আরও বিস্তৃতভাবে বলতে পারব। এসএসসির কর্তাদের সঙ্গে আমার প্রাথমিক কথা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট থেকে আমি বলতে পারি প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। প্রায় ২৬ হাজার লোকের চাকরি গেল। অর্থাৎ যারা যোগ্য এরকম প্রায় ১৯ হাজারেরও চাকরি চলে গিয়েছে। অথচ এসএসসি কমিশনকে মাননীয় বিচারপতি বলছেন টেন্ডার প্রক্রিয়া ডেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে। যে ওএমআর শিট আছে সেগুলো নতুন করে যাচাই করতে। আমরা আইনি পরামর্শ নেব যে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারি কিনা। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে পারি প্রায় ১৯ হাজার জনের যদি চাকরি চলে যায়, তাহলে সেটা অত্যন্ত চিন্তার। যেভাবে বিজেপির নেতারা যোগ্য মানুষদের চাকরি যাওয়াতে আনন্দ প্রকাশ করছে সেটা সমাজের পক্ষে এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে খুবই বেদনার বলে আমরা মনে করি।”

    আরও পড়ুনঃ “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    দিলীপ ঘোষের বক্তব্য

    এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে এদিনের হাইকোর্টের রায়ের ফল তাতে সিলমোহর পড়ল। এই রায় ঐতিহাসিক বলেছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ঢাকি সমেত বিসর্জন ও দুর্নীতির কথা বলে আসছিলেন সেই তত্ত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনেও। এত সংখ্যক চাকরি যাওয়ার ফল ভুগতে হবে তৃণমূলকে। এদিকে সুকান্তের পাশাপাশি, বর্ধমান দুর্গাপুরে প্রচার শেষে দিলীপ ঘোষ (Sukanta Majumdar) বলেন, “হাজার হাজার কোটি টাকা যাঁরা কামিয়েছেন দুর্নীতি করে, তাঁদের জেলে যেতে হবে। যে অন্যায় করেছেন তাঁদের ফল ভুগতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তীব্র গরম উপেক্ষা করে হুডখোলা জিপে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তীব্র গরম উপেক্ষা করে হুডখোলা জিপে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের দলীয় প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সমর্থনে বিজেপি প্রচারের কোনও খামতি রাখছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পর শনিবার মিঠুন চক্রবর্তী জেলা বিভিন্ন অংশে রোড শোয়ের পাশাপাশি জনসভা করেছেন। রবিবাসরীয় প্রচারে এদিন ঝড় তুলেছেন সুকান্ত। হুডখোলা গাড়িতে তীব্র গরম ও রোদকে উপেক্ষা করে গ্রামের পর গ্রাম প্রচার করে বেড়াচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর সঙ্গে এদিন প্রচারে ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

    ভোট প্রচারে সুকান্তর স্ত্রী (Sukanta Majumdar)

    এদিন বালুরঘাট শহর লাগোয়া তপন ব্লকের একাধিক গ্রামে জনসংযোগ করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। ভোটের আগে শেষ রবিবারের প্রচারে সারাদিনই জনসংযোগ কর্মসূচিতেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। প্রচারে বেরিয়ে ২৬ তারিখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান সুকান্ত। পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার দ্বিতীয়বারের জন্য এবার নির্বাচনে লড়াই করছেন। প্রসঙ্গত,দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাতটি ও উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভা মিলিয়ে বালুরঘাট লোকসভা আসন। মোট ১৮০০ বেশি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে বুথে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না  প্রার্থীর। কারণ, এক মাসের মধ্যে লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। এই অবস্থায় বালুরঘাট শহরে স্বামীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী কোয়েল চৌধুরী মজুমদার। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে নির্বাচনী প্রচারে সারছেন সুকান্ত মজুমদারের সহধর্মিণী। ভোট পর্যন্তই এভাবেই তাঁর স্ত্রী প্রচার চালাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও জেলা জুড়ে চুটিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    কী বললেন সুকান্ত?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,ভোটের আগে শেষ রবিবার। তাই, রোদ গরমকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়লাম প্রচারে। প্রচারে বেরিয়ে ২৬ তারিখে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি ভোটারদের। যেহেতু আমি সব জায়গায় প্রচার করছি বালুরঘাটে সেই ভাবে প্রচারে সময় দিতে পারছিনা। তাই আমার হয়ে আমার স্ত্রী প্রচার করছে। তাঁর রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছে নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “১ লক্ষ ভোটে সুকান্ত মজুমদারকে আমরা জয়ী করব”, বললেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা

    Balurghat: “১ লক্ষ ভোটে সুকান্ত মজুমদারকে আমরা জয়ী করব”, বললেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বালুরঘাটে (Balurghat)  তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। ভোটের মুখে এই যোগদানের ঘটনায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা হয়ে উঠেছে।

    কারা যোগদান করলেন? (Balurghat)  

    ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রঞ্জিত সরকার, ওয়ার্ডের যুব সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, মহিলা তৃণমূল সভাপতি টুম্পা সান্যাল সরকার, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রবীন সূত্রধর-সহ শতাধিক কর্মী, সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রঞ্জিত সরকারের নেতৃত্বে ওয়ার্ডের মহিলা প্রেসিডেন্ট টুম্পা সরকার, বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বুথের তৃণমূলের মহিলা নেত্রী এসেছেন। আরও অনেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির কাজ দেখে। এতে ভোটের আগে আমাদের অনেকটাই শক্তিবৃদ্ধি হল।

    আরও পড়ুন: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

    ১ লক্ষ ভোটে জয়ী করাই লক্ষ্য

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে রঞ্জিত সরকার বলেন, আমি তৃণমূলে  নানা পদে থেকেছি। কিন্তু বিজেপি এখানে যা কাজ করেছে, তা দেখেই আমরা দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিই। সুকান্ত মজুমদার বিভিন্ন পরিষেবা দিয়েছেন এই বালুরঘাটকে। অমৃত ভারত স্টেশন দিয়েছেন। তাই আমরাও বিজেপিতে এলাম। আর অনেকে আসতে চান, নানা কারণে আসতে পারছেন না। আমাদের টার্গেট সুকান্ত মজুমদারকে ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জেতানোর। সেই লক্ষ্যপূরণে আমরা নিজের এলাকায় কাজ করা শুরু করেছি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্বাচনী প্রচারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নরেন্দ্র মোদি এসে ঝড় তুলেছিলেন। এবার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী সুকান্তর সমর্থনে বালুরঘাটে প্রচারে আসেন। শুক্রবার তপনে জনসভা করেছেন। এদিন রোড শো করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলে ভাঙন! সুকান্তর হাত ধরে শয়ে শয়ে যোগদান বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলে ভাঙন! সুকান্তর হাত ধরে শয়ে শয়ে যোগদান বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার যখন প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন চলছে, ঠিক সেই সময় দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বোল্লা মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোটের প্রচার শুরু করলেন। এরপর এক যোগদান সভায় শয়ে শয়ে তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। এই ঘটনায় জেলা বিজেপি আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    যোগদান কর্মসূচি (Sukanta Majumdar)

    ভোট প্রচারে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমাধব এলাকায় যান প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রায় ২৫০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এদিনের যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। বিজেপিতে যোগদান করে গ্রামবাসীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “চকমাধব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ২ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা সমস্যায় রয়েছে। যার ফলে একবার ভোট বয়কটর ডাক দিয়েছিল গ্রামবাসীরা। রাস্তার সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এদিন ভোট প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন গ্রামবাসীরা।

    সুকান্তর বক্তব্য

    প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আজ বোল্লা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে বালুরঘাট ব্লকে ভোট প্রচার শুরু করলাম। প্রচারে লোকের উৎসাহ দেখে বুঝতে পারছি জয় নিশ্চিত। বালুরঘাট ব্লকের চকমাধব গ্রামে প্রচার করতে এসে প্রায় ২৫০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। কারণ তাঁদের গ্রামে যাবার রাস্তা বেহাল। আমি তাঁদের আশ্বাস দিলাম আমি জেতার পর সর্বপ্রথম এই রাস্তাটি সংস্কার করব।”

    শুট এন্ড সাইটের অর্ডার

    প্রসঙ্গত এদিন ছিল প্রথম দফার নির্বাচন। প্রথম দফাতেই অশান্তি শুরু। শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিজেপি নির্বাচনী বুথে আগুন সহ তিন জেলার অশান্তি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ভোটে তৃণমূল কিছু করবে না, এটা হতে পারে না। সেই জন্য বারবার বলছি এই সিইও থাকলে নিরপেক্ষ ভাবে ভোট সম্ভব নয়। এই সিইও উস্কানিমূলক আচরণ করছে। ওনাকে সাসপেন্ড করা দরকার। স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে কমপক্ষে ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া দরকার ছিল। তাঁদের শুট অ্যাট সাইটের অর্ডার দেওয়া দরকার ছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: হাসপাতালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আপত্তি, কমিশনে অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    Balurghat: হাসপাতালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আপত্তি, কমিশনে অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বালুরঘাটে এসে জনসভা করে ঝড় তুলে গিয়েছেন। তৃণমূল বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে। কর্মীদের অক্সিজেন দিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে জনসভা করবেন। আর এই সভা ঘিরে বিতর্ক জেলাজুড়ে । বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে হরিরামপুর হাসপাতালের বিপরীত দিকের মাঠে জনসভা করবেন। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিককে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। সভার আগে কমিশনে নালিশ জানানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে।

    হাসপাতালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে বিতর্ক (Balurghat)  

    কয়েকদিন বাদে বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা নির্বাচন হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লব মিত্র। আর বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের ওপর এবারও আস্থা রেখেছে বিজেপি। এমনিতেই এই লোকসভার একাধিক বিধানসভায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। দুদিন আগে বালুরঘাট থেকে দিল্লিগামী এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় এই লোকসভার লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদায়ী সাংসদ সুকান্তর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। এই অবস্থায় সুকান্তর খাসতালুকে অনেকটাই ব্যাকফুটে তৃণমূল। আর তাই,দলীয় প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর হয়ে জনসভা করতে জেলার বিভিন্ন ব্লকে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারও জনসভা করতে জেলার হরিরামপুর ব্লকে হরিরামপুর হাসপাতালের বিপরীত দিকের মাঠে জনসভা করবেন তিনি। আর এই সভা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    কমিশনে অভিযোগ সুকান্তর

    বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে, অর্থাৎ জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসককে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, নির্বাচন কমিশনের সুবিধা পোর্টালে আবেদন করেই সভার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেখানে অনুমতি দিয়েছে সেখানে সুকান্তবাবুর বলার কিছু নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বালুরঘাট শহরে রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় হাজার দুয়েক রাম ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে নানা রকমের ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিদর্শন করেন। এই মিছিলকেই অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই মিছিল শুরু হয় বিজেপি মোড় থেকে এবং সাড়ে তিন নম্বর মোড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফুল ছিটিয়ে মিছিল কে অভ্যর্থনা জানান। অবশ্য এই মিছিলে পা মেলান  বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।

    তৃণমূল প্রার্থীর গড়ে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল করলেন রাম ভক্তরা (Ram Navami 2024)

    পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ির এলাকায় রাম নবমী (Ram Navami 2024) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুরে বাড়ি তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর, আর গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রর ভাই প্রশান্ত মিত্র। সেই গঙ্গারামপুরে রাম নবমীর বিশাল শোভাযাত্রায় হাজারখানেক রাম ভক্তর সঙ্গে পায়ে হেঁটে সামিল হন সুকান্ত মজুমদার। জেলার বুনিয়াদপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, আজ রাম নবমীর দিনে আপনাদেরকে বলছি রামকে ভোট দিন, রাবনকে ভোট দেবেন না।

    রামকে নিয়ে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ভুল বোঝাচ্ছে

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,আজ রামের জন্মদিন। আজকের দিনে সমস্ত সমাজের মানুষ রাম নবমী (Ram Navami 2024) পালন করে ও রামকে শ্রদ্ধা জানান। কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি উস্কানি দিয়ে ভোট ব্যাংকের জন্য এই সব করে। কিন্তু, মানুষ উস্কানিতে পা দেবে না।আজ আমি জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাম নবমীর শোভাযাত্রায় পা মেলালাম। গতবারের রাম নবমীর উদাহরণ তুলে ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতি তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, রামকে নিয়ে দেশের কারও সমস্যা নেই। কিছু পার্টির নেতাদের সমস্যা আছে। রাম তো এই দেশের আদর্শ। সবাই চেনে রামকে, অন্য ধর্মের মানুষেরা সম্মান করেন রামকে। কিন্তু, কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি কিছু লোককে ভুল বুঝিয়ে রাখতে চায়।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    অসমে উস্কানি দিচ্ছেন মমতা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমে গিয়ে বলেন আপনাদের উপর অত্যাচার হলে আপনারা বাংলায় আসুন এই প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান,এইটা উস্কানিমূলক বক্তব্য। অহমীয়া ও বাঙালিদের মধ্যে একটি গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছে। গন্ডগোল হলে তো বাঙালিরা বিপদে পড়বে। অসমে বাঙালিরা ভালোই আছেন। তারা আমাদের সমস্ত ধরণের সাহায্যে পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। জয় শ্রীরাম বলার জন্য কনভয় থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে এক যুবকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই তৃণমূল দলের নেতাদের গলায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন তৃণমূলের নেতাদের রাম নাম জপতে দেখে বালুরঘাটবাসী হাসাহাসি করছেন।

    তৃণমূল নেতাদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান (Ram Navami 2024)

    বুধবার সকাল সকাল গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, এমসিআইসি বিপুল ঘোষ এবং টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল রাম নবমীর (Ram Navami 2024)  মিছিলে হাঁটেন। শহরের মানুষ সকালে এই দৃশ্য দেখে কিছুটা চমকে ওঠেন। অনেককে বলতে শোনা যায়, ভেবেছিলাম তৃণমূল নেতারা দল বদল করল না তো। পরে, দেখি তৃণমূলে থেকেই রাম নাম জপছেন। কারণ, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি সাধারণত বিজেপি  কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়। আজ রাম নবমী উপলক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট শহরের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় এবং মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেখে অবাক বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    ভূতের মুখে রাম নাম, কটাক্ষ সুকান্তর

    রাম নবমী উপলক্ষে রাম নবমী উদযাপন কমিটির মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিল থেকে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তৃণমূলের এ হেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বেড়াল ঠেলায় না পড়লে গাছে ওঠে না। আগে রাম নবমীতে ছুটি ছিল না। এখন তৃণমূল নেত্রী রাম নবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় মাদার টেরেসার মূর্তি বসিয়ে এলাকার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আজ তারাই রাম নাম বলছে। এটা কিছুটা ভূতের মুখে রাম নামের মতো শুনতে লাগলেও লক্ষণ ভালো।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এটা তৃণমূলের কোনও শোভাযাত্রা না। এই শোভাযাত্রাটা সাধারণ মানুষ করেছিল, সেখানে তৃণমূলের কিছু নেতা হেঁটেছেন। জয় শ্রীরাম তাঁরা বলেননি। তৃণমূল এর সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ এর উত্তর ভোটের ব্যালট বক্সে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে বালুরঘাট রেল স্টেশন মাঠে মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারের সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মোদির সেই সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় উজ্জীবিত বিজেপি শিবির। যদিও বিজেপি শিবিরের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। এদিন দুপুর আড়াইটে ছিল প্রধানমন্ত্রীর সভা। তাতে কী হয়েছে, সামনে থেকে মোদিকে দেখার জন্য সকাল থেকেই কাতারে কাতারে পুরুষ ও মহিলারা লাইন দিয়ে রেল মাঠের দিকে এগোতে থাকেন। সবমিলিয়ে মোদিকে দেখতে প্রায় এক লক্ষের উপর ভিড় হয়েছিল। গোটা মাঠ জন সুনামির আকার নেয়। শঙ্খ ও উলু ধ্বনি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মানুষ। সভামঞ্চে পৌঁছে ভারত মাতা কি জয় ধ্বনি দিতে থাকেন তাঁরা। এদিন মোদি বলেন, হেলিকপ্টার থেকে নামার সময়ে দেখছি, চর্তুদিকে মানুষ। মা-বোনেদের আর্শীবাদ বলছে, বাংলায় উন্নয়নের জয় হবে। চার জুন চারশো পার।

    রামলালার ছবি দেদার বিক্রি হয় সভায় (Narendra Modi)

    সভাকে কেন্দ্র করে মেলার চেহারা নেয় বিস্তীর্ণ এলাকা। মেলাতে দেদার বিক্রি হচ্ছে রাম লালার মূর্তির ছবি। সকাল থেকেই ট্রেনে করে সভার দিকে আসতে শুরু করেন মানুষ। প্রসঙ্গত,২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় গঙ্গারামপুর মহকুমা এসে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহাড়িতে সম্প্রতি সভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পরই মোদির সভাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের উৎসাহ যেন আরও চরমে ওঠে। সভা মঞ্চে ঢোকার জন্য রেলস্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকায় চারটি অস্থায়ী রাস্তা করা হয়েছে। মোদির সভাকে কেন্দ্র করে রেল স্টেশন মাঠে বসেছে রকমারি খাবার ও খেলনার দোকান। তবে, সভা মঞ্চে ঠিক পিছন দিকেই অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়। সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারের নামবার মাঠের চারপাশে।

    আরও পড়ুন: “অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক মোদি

    প্রধানমন্ত্রীকে দেখে আল্পুত বালুরঘাটবাসী

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) সভায় হাজির হওয়া কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে নির্বাচনী প্রচারসভায় এসে মোদি কি বার্তা দিচ্ছেন তা শোনার আগ্রহ থেকেই দলে দলে মানুষ এই সভায়। সভাতে আসা বালুরঘাটবাসী বলেন, এবারে নিজের চোখে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পেলাম। আমরা ওনাকে দেখবার জন্য ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছি। সভাতে থেকে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত কথা শুনলাম। সভাতে এতো লোকের সমাগম দেখে বিজেপির জয় নিচ্ছিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share