Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Modi in Maldives: “ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কের শিকড় সমুদ্রের মতোই গভীর”, মুইজ্জুকে পাশে নিয়েই দাবি মোদির

    Modi in Maldives: “ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কের শিকড় সমুদ্রের মতোই গভীর”, মুইজ্জুকে পাশে নিয়েই দাবি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কের (Modi in Maldives) শিকড় ইতিহাসের চেয়েও পুরোনো এবং সমুদ্রের মতোই গভীর। মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে পাশে নিয়ে এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতকে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু (India-Maldives) বলে অ্যাখ্যা দিলেন মুইজ্জুও। এখানেই শেষ নয়, মলদ্বীপে বিপুল বিনিয়োগেরও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫৬৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪,৮৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।

    প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহায়তা

    শুক্রবার মলদ্বীপের (Modi in Maldives) মাটিতে পা রাখার পর মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত-মলদ্বীপের শিকড় আমাদের ইতিহাসের চেয়েও পুরনো। উভয় দেশ প্রতিবেশীর চেয়েও বেশি কিছু।” এরপরই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মলদ্বীপের অর্থনীতির উন্নতিতে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।” মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে ভারত সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন মোদি। এমনকী মলদ্বীপের সেনার সাহায্যে ৭২টি সামরিক যান দেওয়ার ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী কথায়, “প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার প্রমাণ। মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারত সর্বদা সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সমৃদ্ধিই আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য। আমরা মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সবরকম সহযোগিতা করে যাব। দুর্যোগ বা মহামারি—ভারত সবসময় প্রথম সাড়া প্রদানকারী হিসেবে মলদ্বীপের পাশে থেকেছে।”

    বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস

    মলদ্বীপে (Modi in Maldives) বিপুল বিনিয়োগেরও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫৬৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪,৮৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা। মলদ্বীপ সফরে প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক মহলের দাবি, মলদ্বীপে থাবা বসাতে থাকা চিনকে সরাতে ভারতের এই পদক্ষেপ। দীর্ঘ দিন ধরে ভারত ঘনিষ্ঠ ছিল মলদ্বীপ। তবে চিনের বিপুল ঋণের টোপ গিলে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় মুইজ্জু সরকার। দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হয়। এর পালটা মলদ্বীপ বয়কটে বিপাকে পড়ে সেখানকার অর্থনীতি। বিপদ বুঝে ভুল শুধরে ফের ভারতের কাছে আসেন মুইজ্জু। বন্ধুকে ক্ষমা করে তার পাশে দাঁড়ায় দিল্লি।

    বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী

    মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর “ইন্ডিয়া আউট” প্রচারের মাধ্যমে ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Modi in Maldives) কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছিল। তবে এবারে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনাকে “গঠনমূলক” উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু বলেন, “আমাদের সহযোগিতা নিরাপত্তা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ছড়িয়ে পড়েছে, যা আমাদের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।” মুইজ্জু ভারতকে মলদ্বীপের “সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী” বলে আখ্যা দেন। মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ৪,০৭৮ দিন ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রিত্ব পালন করায় অভিনন্দন জানান এবং বলেন, “এই অভাবনীয় মাইলফলক আপনার নিষ্ঠা ও জনগণের কল্যাণে অবিরাম কাজের প্রতিফলন।” ভারতের সহায়তায় মলদ্বীপে নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। ভারতের সাহায্যে তৈরি হওয়া মলদ্বীপের নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবনকে “বিশ্বাসের কংক্রিট ভবন” হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এটি ভারত-মলদ্বীপ (India-Maldives) মজবুত অংশীদারিত্বের প্রতীক।”

  • Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas 2025)। ১৯৯৯ সালের এই দিনে কার্গিল যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন বিজয়’ এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীকে হটিয়ে কার্গিল অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিল। প্রতি বছর এই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি আমাদের মনে করায়, ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ (1999 India Pakistan War) জয়। এবছর কার্গিল জয়ের ২৬তম বর্ষপূর্তি পালন করছে দেশ।

    ২৬ জুলাই দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সেই সমস্ত সাহসী সৈন্যদের প্রতি, যাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ ময়দানে নেমেছিলেন। এই দিনটির অন্যতম গুরুত্ব হল, কার্গিলে যে সমস্ত অঞ্চল পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল করেছিল, ভারতীয় সেনা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই স্থানগুলিকে দখলমুক্ত করে। ভারতীয় সেনার এমন দাপটে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা। কার্গিল বিজয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারতের বীর সেনার বলিদান স্মরণ করার দিন (India Salutes War Heroes)।

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ (1999 Kargil War)

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ, যখন পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা যৌথভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কার্গিলের বেশ কিছু অঞ্চলকে দখল করে। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে ভারতীয় সেনা শুরু করে ‘অপারেশন বিজয়’ (Operation Vijay)। এর মাধ্যমে কার্গিলকে পাকিস্তানি জঙ্গি ও সৈন্যদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে সেনা। ১৯৯৯ সালে ২৬ জুলাই সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সৈন্যকে পরাস্ত করে কার্গিলকে দখলমুক্ত করে ভারতীয় সেনা। চলতি বছরে কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে।

    লাহোর ঘোষণাপত্রে সই সত্ত্বেও শান্তি স্থায়ী হয়নি

    কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও, শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে শীতকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় অনুপ্রবেশ শুরু করে, কাশ্মীর এবং লাদাখের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ভূমিও দখল করে তারা। এরপর মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশের বিষয়টি চিহ্নিত করে, এরপরই শুরু হয় কার্গিলে ভারতীয় সেনার অভিযান। তীব্র যুদ্ধের সঙ্গে শুরু হয় ‘অপারেশন বিজয়’।

    অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও

    ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জম্মু এবং কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরে চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ চলতে থাকে কার্গিলে। পাকিস্তান প্রথমে দাবি করে, জঙ্গিরাই এ সব করছে। এখানে পাক সেনার কোনও ভূমিকা নেই। পরে যদিও পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ তাঁর আত্মজীবনী ‘ইন দ্য লাইফ অব ফায়ার’-এ স্বীকার করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও।

    আমেরিকার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান

    কার্গিলের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অবস্থা যখন একেবারে বেসামাল, তখন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সহযোগী ব্রুস রিডেল দাবি করেছিলেন, বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি আমেরিকা। আমেরিকার দাবি ছিল, ভারত থেকে পাকিস্তান সৈন্য প্রত্যাহার না করলে তারা কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না।

    ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন এই যুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, কার্গিল হল জম্মু-কাশ্মীরের একটি জেলা। এই জেলাকে নিয়ে তখনই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যখন পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা এখানে অনুপ্রবেশ করতে থাকে সীমান্ত পেরিয়ে। এই অঞ্চলের একাধিক স্থান তারা নিজেদের দখলে আনতে থাকে। এরপরে ‘অপারেশন বিজয়ে’র মাধ্যমে অসম্ভব সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ভারতীয় সেনা। দখলমুক্ত হয় কার্গিল। কার্গিল বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই সমস্ত ভারতীয় সেনাদের প্রতি যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছেন। জানা যায়, ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা মাতৃভূমির মাটি দখলমুক্ত করতে শহিদ হন এই যুদ্ধে। প্রতিবছরের ২৬ জুলাই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

    কীভাবে পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস

    কার্গিল বিজয় দিবসে সারাদেশে যুদ্ধের যে স্মৃতিসৌধগুলি রয়েছে সেখানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় দ্রাসে, এই স্থানটি কার্গিলে অবস্থিত। সেখানে উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা ও নেতা-মন্ত্রীরা শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। কার্গিল বিজয় দিবসের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় দেশ জুড়ে। দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যের মাধ্যমে ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বগাথাকে স্মরণ করা হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করানো হয় দেশের যুবসমাজকে। দেশের স্কুল-কলেজ তথা বিভিন্ন এনজিও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনে।

  • Chhattisgarh: মাথার মোট দাম প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা! পাঁচ জেলায় আত্মসমর্পণ ৬৬ মাওবাদীর

    Chhattisgarh: মাথার মোট দাম প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা! পাঁচ জেলায় আত্মসমর্পণ ৬৬ মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের বড়সড় সাফল্য মিলল। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh)বস্তার ডিভিশনে আবার সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করল ৬৬ জন মাওবাদী জঙ্গি। ছত্তিশগড়-সহ বিভিন্ন রাজ্যে লাগাতার চলতে থাকা অভিযানের মাঝে ফের মাওবাদীদের আত্মসমর্পণকে পুলিশ এবং নিরাপত্তরক্ষীদের বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

    মূল স্রোতে ফেরার লক্ষ্যে 

    পুলিশ জানিয়েছে আত্মসমর্পণকারী ৬৬ জন মাওবাদীর মধ্যে ৪৯ জনের মাথার উপর মোট দাম ছিল ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র আত্মসমর্পণকারী ৬৬ জন নেতা-কর্মীর মধ্যে ২৭ জন মহিলা। বিজাপুরে ২৫ জন, দন্তেওয়াড়ায় ১৫ জন, কাঁকেরে ১৩ জন, নারায়ণপুরে আট জন এবং সুকমায় পাঁচ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটিবিপির উদ্যোগে আত্মসমর্পণ হয়েছে বলে জানান বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্রকুমার যাদব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মূল করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পালন করতে ছত্তিশগড় বদ্ধপরিকর। মাওবাদী নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তিশগড় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। তার আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি।

    সক্রিয় সরকার

    প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের অস্ত্র ত্যাগ করাতে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’-এ বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ছত্তিশগড় সরকার। যেখানে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হয়। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হয় নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

     

     

     

     

  • Central Government on Soft Porn: ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ দেখানোর অভিযোগ! সরকারের নিশানায় উল্লু-সহ একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম

    Central Government on Soft Porn: ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ দেখানোর অভিযোগ! সরকারের নিশানায় উল্লু-সহ একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সুস্থ-সাংস্কৃতিক পরিবেশ রাখতে সক্রিয় মোদি সরকার। ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ (Central Government on Soft Porn) দেখানোর অভিযোগে এবার নড়চড়ে বসল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক উল্লু, এএলটিটি, ডেসিফ্লিক্স, বিগ শটস সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল। এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে ব্যান করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নামের তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে মন্ত্রক থেকে।

    কোন কোন অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ

    সূত্রের খবর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আপত্তিকর বিজ্ঞাপনের ২৫টি লিঙ্ক শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে পর্নোগ্রাফিক বিষয়বস্তু রয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মতে, অশ্লীল বিষয়বস্তু এবং আপত্তিকর বিজ্ঞাপন দেখানো অ্যাপগুলি চিহ্নিত করে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, এই বিষয়ে সব ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকায় উঠে এসেছে ‘অল্ট’, ‘উল্লু’, ‘বিগ শটস অ্যাপ’, ‘দেশি ফ্লিক্স’, ‘বুমেক্স’, ‘নবরস লাইট’, ‘গুলাব’-সহ আরও কিছু অ্যাপ এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নাম। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অভিযোগ, ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন (বিশেষ করে ধারা ৬৭ এবং ৬৭এ), ২০২৩-এর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ২৯৪ এবং ১৯৮৬ সালের অশ্লীল ভাবে নারী শরীর প্রদর্শন (নিষেধ) আইন, ধারা ৪-এর নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলি।

    কেন নিষিদ্ধ করল সরকার

    এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর বারবার প্ল্যাটফর্মগুলির দায়িত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর দাবি, সৃজনশীল অভিব্যক্তির আড়ালে অশ্লীলতা এবং নিজেদের দায়িত্বের অপব্যবহার করে কিছু প্রচার না করাই উচিত। ২০২৪ সালের ১২ মার্চ অশ্লীল কন্টেন্ট দেখানোয় ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর।’ প্রসঙ্গত, আইটি আইনের ধারা ৬৭ এবং ৬৭এ অনুযায়ী বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কোনও ভাবে অশ্লীল বা যৌন উত্তেজক কোনও কিছু দেখানো যায় না। একই ভাবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ২৯৪ অনুযায়ী গানের দৃশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও নিষিদ্ধ। আবার ১৯৮৬ সালের আইন অনুযায়ী, কোনও মাধ্যমেই নারীকে অশ্লীল ভাবে উপস্থাপন করা যায় না। দফতরের দেওয়া তালিকায় উল্লিখিত ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলো এই সব ক’টি আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মন্ত্রকের দাবি।

  • Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফর সেরে মলদ্বীপে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Maldives)। শুক্রবার সকালে ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মহম্মদ মুইজ্জু। মোদিকে ২১টি তোপধ্বনি দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। এই বছর দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মোদির আগমন বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মলদ্বীপ সফর। শুধুমাত্র মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কারণেই নয়, বরং মোদির এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনীতির সম্পর্কে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের চিহ্ন।

    প্রোটোকল ভেঙে মোদিক স্বাগত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার মলদ্বীপের মালেতে পৌঁছেছেন। সেখানে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। প্রোটোকল ভেঙে এদিন মোদিকে বিমানবন্দরেই আলিঙ্গন করেন মুইজ্জু। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মোদি যান রিপাবলিক স্কোয়ারে, যেখানে তাঁকে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক স্বাগত-সম্মান । এই আয়োজন ভারতের প্রতি মলদ্বীপের বিশেষ মর্যাদার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা স্বভাবতই চিনের মাথাব্যাথার কারণ।

    গেস্ট অফ অনার মোদি

    আগামিকাল, ২৬ জুলাই, মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসে, প্রধানমন্ত্রী মোদি হবেন ‘গেস্ট অফ অনার’। নতুন রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর আমলে এই প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে এমন সম্মান জানানো হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে ভারতের প্রতি মলদ্বীপের কূটনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরছে। ভারতের “প্রতিবেশী প্রথম” নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ মলদ্বীপ। এছাড়াও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের বড় পরিকল্পনা “মহাসাগর” (MAHASAGAR – Mutual and Holistic Advancement for Security and Growth Across Regions) নীতির একটি প্রধান স্তম্ভ মলদ্বীপ। এ অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই ভারত কাজ করে চলেছে।

    ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    মলদ্বীপে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে গদিতে বসেছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। এরপর থেকেই একের পর এক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল মালে। আদতে ভারত বিরোধিতার রাজনীতিতেই গদিতে বসেছিলেন মুইজ্জু। তবে প্রয়োজনের সময় সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছিল মলদ্বীপকে। আর দ্বীপরাষ্ট্রের চরম সংকটের সময়ে ফের একবার স্বস্তি দেয় সেই ভারতই। আর তাই মুইজ্জুও নিজের অবস্থান বদল করছেন ভারত নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এক সময় ভারতকে হেয় করা মুইজ্জু ভুল বুঝতে পেরেছেন। দেশের অর্থনৈতিক শিরদাঁড়া ভগ্নপ্রায় হওয়ায় ভারতের কাছে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের দেওয়া অর্থসাহায্য পেয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ঋণখেলাপি হওয়া এড়াতে সক্ষম হন মুইজ্জু। মলদ্বীপকে সে সময় ৭৫.৭ কোটি ডলারের সহায়তা প্রদান করেছিল ভারত। উত্তর মলদ্বীপে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দক্ষিণ মলদ্বীপে একটি সেতু ও সড়ক প্রকল্প, রাজধানী মালেতে একটি বৃহৎ আবাসন উন্নয়ন প্রকল্প এবং মালেকে তার পশ্চিম শহরতলির দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নতুন সেতু নির্মাণেও সাহায্য করে ভারত।

    মূল বৈঠক ও নতুন চুক্তি

    এই সফরে মোদি ও রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হবে। ইতোমধ্যেই দুই দেশ একটি ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব’-এর চুক্তি করেছে, যা এবার বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছবে। এদিন বিকেলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলগুলির মধ্যে আলোচনা হয় এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি (MoU) সই হয়। চুক্তিগুলি বাণিজ্য, পরিকাঠামো, পর্যটন, শিক্ষা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। মোদি ভার্চুয়ালি মলদ্বীপে ভারতের সহায়তায় নির্মিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন মোদি।

    মোদি-মুইজ্জু সম্পর্কের উষ্ণতা

    এদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্মানে একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। এতে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ভারত ও মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে এই নৈশ ভোজ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঙ্গিত বহন করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি নিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ভারত এবং মলদ্বীপের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল, তা পুরনো অবস্থায় ফেরানোর কাজ শুরু হল মোদির সফরের পর।

    চিনের জন্য অস্বস্তি

    রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মুইজ্জু চিনের সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেন। ‘নন-লেথাল’ অস্ত্র সরবরাহ চুক্তি, চীনে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর, এবং মলদ্বীপ সেনাদের চিনা প্রশিক্ষণ সবই ভারতের জন্য চিন্তার কারণ ছিল। তবে মোদির এই সফর ফের ভারতকে মলদ্বীপের দিকে ফিরিয়ে আনছে। মুইজ্জুর এই ভারত প্রীতি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে চিনের জন্য। ভারত মহাসাগরে তার ভূ-কৌশলগত অবস্থানের জেরে ও এই অঞ্চলে ভারতের উপরে চাপ বজায় রাখতে মলদ্বীপকে কোনও দিনই হাতছাড়া করতে চাইবে না বেজিং। অন্য দিকে, ভারত মহাসাগরে চিনা আধিপত্য একেবারেই চায় না ভারত। তাই মলদ্বীপকে হাতে রাখতে চায় নয়াদিল্লিও।

  • India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Free Trade) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী—নরেন্দ্র মোদি এবং কেয়ার স্টারমার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। এই আবহে, চুক্তির উপকারিতা এবং এতে রাজ্যওয়ারি কী কী লাভ হতে চলেছে, তা আগেভাগেই তুলে ধরেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)?

    নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) মাধ্যমে এবার থেকে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটেনে যেন লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রস্তুত। ভারতীয় সামগ্রী আরও সহজে ও শুল্কছাড় সুবিধা পেয়ে ব্রিটেনে রপ্তানি করা যাবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় পণ্য বিশ্ববাজারে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে, বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

    কোন রাজ্য থেকে কী কী পণ্য এবার সহজেই ব্রিটেনে রফতনি করা যাবে

    জম্মু-কাশ্মীর: পশমিনা, তশর সিল্ক, বাসমতী চাল, কাঠের তৈরি কাশ্মীরি ক্রিকেট ব্যাট

    পাঞ্জাব ও দিল্লি: জলন্ধরের স্পোর্টস সামগ্রী, বাসমতী চাল

    উত্তরপ্রদেশ: আগ্রা ও কানপুর থেকে চামড়ার পণ্য, মিরাট থেকে খেলাধুলার সামগ্রী, খুরজা থেকে মাটির জিনিসপত্র

    গুজরাট: বন্ধনী কাপড়, মরবি সিরামিক্স, হীরা

    মহারাষ্ট্র: কোলাপুরের চামড়ার জুতো, আইটি পরিষেবা সংক্রান্ত সামগ্রী

    তামিলনাড়ু: কাঞ্চিপুরম শাড়ি, হলুদ (টারমেরিক), থাঞ্জাভুরের পুতুল, ভেলোরের চামড়ার পণ্য

    পশ্চিমবঙ্গ: দার্জিলিং চা, বালুচরী শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চামড়ার জিনিস, নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল

    অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা: কফি, হলুদ, ডিজিটাল সার্ভিস সংক্রান্ত পণ্য

    কেরল ও ত্রিপুরা: রাবারজাত পণ্য, হলুদ

    বিহার: ভাগলপুর সিল্ক, গ্লাস ক্লিপস, মাখানা

    রাজস্থান: জয়পুরের গয়না ও অলঙ্কার

    হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড: স্থানীয় হস্তশিল্প, খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী

    প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৈরি জিনিসও পাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) ফলে ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি থেকে পণ্য অত্যন্ত সহজে ও কম খরচে ব্রিটেনে রফতানি করা যাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরকেন্দ্রিক উৎপাদন, সব কিছু পণ্যের জন্য এবার খুলে গেল আন্তর্জাতিক বাজারের দরজা।
    উদাহরণস্বরূপ, বিহারের হাতে তৈরি মাখানা, ভাগলপুর সিল্ক এবং কাঁচের গয়না, যেগুলি এতদিন স্থানীয় বা সীমিত পরিসরে বিক্রি হত, এবার সেগুলিও শুল্কছাড় সুবিধায় ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।

    এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। কারণ, চুক্তির আওতায় প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক (tariff) কমানো হয়েছে অথবা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, ভারত থেকে যেসব পণ্য ব্রিটেনে রফতানি হবে, সেগুলির দাম কমে যাবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে।

    এই চুক্তি ঐতিহাসিক মাইলফলক (India UK Free Trade)

    এছাড়াও এই চুক্তির একটি বড় দিক হল, ভারতীয় পেশাদারদের (professional workers) জন্য ব্রিটেনের শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অন্যান্য দক্ষ পেশাদারদের জন্য ব্রিটেনে কাজের ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হবে। এই চুক্তিকে তাই দুই দেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

    ২০২৩ জি-২০ সম্মেলনে এনিয়ে আলোচনা হয়

     ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় (India UK Free Trade) এবং তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিও ঘটে। তবে এর মাঝেই ব্রিটেনে পালাবদল ঘটে, ক্ষমতায় আসে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করা, বিশেষ করে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করাই হয়ে ওঠে অগ্রাধিকার। শুধু তাই নয়, স্টারমার শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা-সহ একাধিক খাতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন। অবশেষে, স্টারমারের সরকারের সময়েই বহু প্রতীক্ষিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

  • PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুলাই এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। টানা প্রধানমন্ত্রী থাকার হিসেবে ভাঙলেন ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড (Indira Gandhi)। তিনিই হলেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি টানা ১১ বছর ২ মাস ধরে দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। তাঁর সামনে বর্তমানে রয়েছেন কেবল জওহরলাল নেহরু। এর আগে পর্যন্ত একটানা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নেহরুর কন্যা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ১১ বছর ৫৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্র। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৬ বছর ২৮৬ দিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিপুলভাবে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জয়লাভ করে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরে আসেন। ২৫ জুলাই, ২০২৫-এ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১১ বছর ৬০ দিন পূর্ণ হল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল, কারণ ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম কোনও একক রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জনতা পার্টি—দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেছিল।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, তিন তালাক প্রথার অবসান, রাম মন্দির নির্মাণ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা বা ২০২৫ সালের পহেলগাঁও ঘটনার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’—সবই ছিল তাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত (Indira Gandhi)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সেই দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সরকারের মূলনীতি —“সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস”।

  • Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হতে চলেছে নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision – SIR)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হবে এই বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে, নিবিড় সমীক্ষা বা SIR রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে (SIR) এবং বহু ভুয়ো ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে (Election Commission)।

    বিএলওদের ভাতা দ্বিগুণ করল কমিশন

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন এক ধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন।  দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন, নবীন ভোটার যুক্তকরণ এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরিচালনার জন্য বুথ লেভেল অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতি বছর হাজার হাজার বিএলও, সুপারভাইজার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই কাজে নিযুক্ত থাকেন। নির্বাচন কমিশনের মতে, তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতেই এই আর্থিক সংস্কার।

    বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কার্ড সংশোধনের হিড়িক

    বিহারে SIR-এর সময় দেখা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট সংখ্যা ৫২ লাখ বলে জানিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে চিহ্নিত হয়েছে এমন বহু ভোটার, যাঁরা এখন আর বিহারের স্থায়ী বাসিন্দা নন কিংবা যাঁদের নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেরই একাধিক রাজ্যে ভোটার কার্ড রয়েছে—এদেরও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিহারের তালিকা সংশোধনের আবহে পশ্চিমবঙ্গে গত এক সপ্তাহে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ অনলাইনে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Election Commission) জন্য আবেদন করেছেন। কেউ নাম সংশোধনের জন্য, কেউ ঠিকানা বদলের জন্য। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই আবেদন বেশি।

    বিরোধীদের আপত্তি, কমিশনের জবাব (Election Commission)

    বিহারে নিবিড় সমীক্ষা শুরুর পর থেকেই বিরোধী দলগুলি কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। তাদের প্রশ্ন ছিল—এটার দরকার কী ছিল? এই প্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “মৃত ভোটার অথবা বিদেশি নাগরিকদের কোন যুক্তিতে ভোটার তালিকায় রাখা যেতে পারে? SIR বা নিবিড় সমীক্ষা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।” এদিকে পশ্চিমবঙ্গে নিবিড় সমীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশনকে। অন্যদিকে, বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে— মুখ্যমন্ত্রী কাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন? নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কেন তিনি সরব হচ্ছেন (Election Commission)? বাংলায় SIR হলে ‘ ৯০ লক্ষ নাম বাদ’ যাওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী ভালোভাবেই জানেন, রাজ্যে কত ভুয়ো ভোটার রয়েছে। সেই নামগুলি কাটা গেলে, তৃণমূলের ভোট অনেকটাই কমে যাবে, সেই আশঙ্কা থেকেই কি বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল?

  • West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather Update) জানিয়েছে, রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ভারী, কোথাও মাঝারি। যার জেরে জলমগ্ন কলকাতা তো বটেই বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতভর বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি ভেজা জল জমে, আবার কোথাও হাঁটু সমান। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। এমনকি, শুক্রবারও নিস্তার নেই বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টির তেজ কমলেও আকাশ মেঘলা। আগামী কয়েকদিন গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rainfall Alert) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর । ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা ও শহরতলিতেও।

    কোথায় দাঁড়িয়ে নিম্নচাপ?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়ায় নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গের সব জায়গায় (West Bengal Weather Update)৷ জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে ১৭০ কিমি দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সাগরদ্বীপ থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব ১৫০ কিমি। নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও পশ্চিম-উত্তর থেকে পশ্চিম দিকে সরবে৷ যার অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশা উপকূলের দিকে। তারপর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে নিম্নচাপটি। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, এদিন দুপুরে বাংলা হয়েই স্থলভাগে ঢুকবে। দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডে সরবে নিম্নচাপটি। সংলগ্ন ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উপরে।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    এর প্রভাবে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওায়া দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় চরম ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও ৪ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে (West Bengal Weather Update)। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও অঞ্চলে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। রবিবার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা (West Bengal Weather Update)। সোমবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানে।

    কী পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে?

    দক্ষিণের পাশাপাশি, ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার। বাকি জেলায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। শুধু বাঁকুড়াতেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানে ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আরও ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন বজ্রাঘাতে। শুক্রবারও, একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস (West Bengal Weather Update) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে থাকার আবেদন জানানো হয়।

  • SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বরে হবে এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষা (SSC Recruitment)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। একইসঙ্গে পরীক্ষার দিনক্ষণ ও সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে এসএসসি। কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, একদিন নবম-দশম ও আর একদিন একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র নিয়োগের পরীক্ষা হবে। ৭ তারিখে নবম-দশম ও ১৪ তারিখে একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা হবে। ওই দু’দিনই দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। দেড় ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা চলবে। দৃষ্টিশক্তিহীন প্রার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। পরীক্ষার বাকি নিয়ম পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এসএসসি-র নতুন (SSC Recruitment) বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রাজ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ৩০ মে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ১৪ জুলাই আবেদন জানানোর শেষ দিন ছিল। সেটাই এবার বেড়ে হয় ২১ জুলাই। কমিশন জানিয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ–দ্বাদশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য মোট ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০০ জন পরীক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। মোট আবেদনকারীর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৫০ জন পরীক্ষার্থী, একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ২০১৬ নিয়োগের তুলনায় ২ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে এবারের নিয়োগে।

    পরীক্ষার (SSC Recruitment) প্রশ্নপত্র কেমন হবে? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত পরীক্ষা মাল্টি চয়েস কোয়েশ্চেন বা এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। মোট ৬০টি প্রশ্ন করা হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ১ নম্বর। তবে কোনওরকম নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যাপার থাকবে না। অর্থাৎ যতগুলি প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেবেন, তত নম্বরই পাবেন। আর কোনও যোগ-বিয়োগের ব্যাপার থাকবে না। তবে লিখিত পরীক্ষার জন্য কবে থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আপাতত কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি, লিখিত পরীক্ষার (SSC Recruitment) দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেমন হবে, তার পরিকল্পনা করতে শীঘ্রই উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হবে। কমিশন সূত্রে খবর, ফল প্রকাশ করা হতে পারে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা।

LinkedIn
Share