Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    NCERT: এনসিইআরটি-র সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে বাদ মুঘল এবং সুলতানি শাসন, স্থান পেল ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-র পাঠ্যবইয়ে (NCERT) সপ্তম শ্রেণির নতুন সমাজবিজ্ঞান বইয়ে বাদ পড়ল দিল্লির মুঘল এবং সুলতানি সাম্রাজ্যের অধ্যায়। তার পরিবর্তে নতুন সংযোজন করা হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্যের কথা। রাখা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যকে। একইসঙ্গে ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে হওয়া মহাকুম্ভও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন পাঠ্যবইয়ে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী পরিবর্তন

    এই পরিবর্তনগুলি জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং স্কুল শিক্ষার জন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো (এনসিএফএসই) ২০২৩ অনুযায়ী করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুই নীতিই স্কুল শিক্ষায় ভারতীয় ঐতিহ্য, দর্শন, সভ্যতাকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছে। এনসিইআরটির এমন সিদ্ধান্তে তারই প্রতিফলন দেখা গেল (Indian Heritage)। প্রসঙ্গত, এর আগে তুঘলক, খিলজি, লোধি প্রভৃতি শাসন ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রথম মুঘল এবং দিল্লির সুলতান সম্পর্কিত অধ্যায়গুলি বাদ পড়ল।

    তীর্থভূমি ভারত নিয়ে আলাদা অধ্যায় (NCERT)

    সমাজ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক (NCERT) ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ এই বইয়ে ভারতীয় সাম্রাজ্যগুলির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহনের মতো প্রাচীন ভারতীয় রাজবংশগুলির শাসন। এই অধ্যায়েই দেশের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ, চারধাম যাত্রা এবং নদীসঙ্গম, পর্বত ও জঙ্গল সহ শক্তিপীঠের স্থানগুলিকে ‘ধর্মীয় ভূগোল’ (Sacred geography) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রেক্ষাপট সম্বলিত স্থানগুলির অধ্যয়ন। এর মাধ্যমে স্থানগুলির প্রতীকী ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বোঝাতে চাওয়া হয়েছে। এটি এমন স্থানগুলিকে চিহ্নিত করে যা ধর্মীয় বিশ্বাস ও প্রথার সঙ্গে সম্পর্কিত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করা হয়েছে এই অধ্যায়ে, যেখানে ভারতবর্ষকে তীর্থভূমি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসলাম, খ্রিস্টান, ইহুদি এবং হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ- এই ধর্মগুলি নিয়ে একটি নয়া অধ্যায় রাখা হয়েছে।

    স্থান পেয়েছে মহাকুম্ভ

    নতুন সংশোধিত পাঠ্যপুস্তকে (NCERT) দাবি করা হয়েছে, ‘বর্ণ-জাতি ব্যবস্থা’ প্রাচীন ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা প্রদান করলেও, পরে তা বৈষম্যের আকার নেয়। বিশেষত ব্রিটিশ শাসনের অধীনে কঠোর হয়ে ওঠে। ২০২৫ সালে উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া মহাকুম্ভ সম্পর্কেও উল্লেখ রয়েছে বইতে। এখানেই বলা হয়েছে ৬৬ কোটি মানুষ এই বিরাট ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

    নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনও স্থান পেয়েছে (Indian Heritage)

    ভারতের সংবিধান সম্পর্কিত একটি অধ্যায় স্থান পেয়েছে বইটিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘একটা সময় ছিল যখন সাধারণ নাগরিকদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি ছিল না। কিন্তু পরে ২০০৪ সালে এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়। নাগরিকদের নিজেদের দেশের প্রতি গর্ব প্রকাশ করতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা তোলার আর্জি জানান। সুপ্রিম কোর্টও এবিষয়ে সম্মতি জানিয়ে বলেছিল যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাও মৌলিক অধিকারের অঙ্গ। বর্তমানে আমরা গর্বের সঙ্গে নিজেদের বাড়িতে তেরঙ্গা উড়াতে পারি, এটা মাথায় রেখেই যে জাতীয় পতাকার যাতে কোনও অসম্মান না হয়।’’ এনসিইআরটি কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, এই সংশোধনী কেবল বইয়ের প্রথম অংশের জন্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের সংশোধনী আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে এনসিআরটি।

    ভারতের উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প স্থান পেয়েছে

    একই সঙ্গে নয়া পাঠ্যপুস্তকে একটি অধ্যায় (NCERT) আনা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক এবং সামাজিক পরিবর্তনগুলিকে। এই বইতে স্থান পেয়েছে মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বগুলিও। যথা মেক-ইন-ইন্ডিয়া, বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও, একই সঙ্গে অটল টানেলের মতো ভারতবর্ষের বড় পরিকাঠামোগত সাফল্যগুলিও এই বইতে স্থান পেয়েছে। এনসিআরটি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই অধ্যায়গুলির সংযোজনের আসল লক্ষ্য হল- ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত করানো দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং মাইলস্টোনগুলিকে।

    ভারতীয় লেখকদের লেখা প্রাধান্য পেয়েছে

    প্রসঙ্গত, সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ইংলিশ কারিকুলাম বিষয়টিও সংশোধন করা হয়েছে। আগের পাঠ্যপুস্তকের নাম ছিল Honeycomb. বর্তমানে তা বদলে করা হয়েছে Poorvi. আগের Honeycomb-এ ১৭টি অংশ ছিল সাহিত্যের। যার মধ্যে মাত্র চারটি ছিল ভারতীয় লেখকদের অধ্যায়। নতুন Poorvi-তে পনেরোটি বিভিন্ন গল্প ও কবিতা রয়েছে। যেগুলির মধ্যে ৯টি লেখা রয়েছে ভারতীয় লেখকদের। এখানেই স্থান পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এপিজে আবদুল কালামের লেখা। বিদেশীদের মধ্যে স্থান পেয়েছে রাসকিন বন্ডের লেখা।

  • Akshaya Tritiya 2025: ২৪ বছর পর অক্ষয় তৃতীয়ায় বিরল যোগ! জানেন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব?

    Akshaya Tritiya 2025: ২৪ বছর পর অক্ষয় তৃতীয়ায় বিরল যোগ! জানেন এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম ও বৈদিক জ্যোতিষে অক্ষয় তৃতীয়া (Akshaya Tritiya 2025) দারুণ শুভ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও শুভ কাজ করার জন্য এই দিনটি বিশেষ শুভ। শাস্ত্র অনুসারে বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়া পালিত হয়। অক্ষয় শব্দের অর্থ ‘ক্ষয় নাই যার’ এবং তৃতীয়া অর্থ ‘চাঁদের তৃতীয় দিন’। হিন্দু পঞ্জিকায় বৈশাখ মাসের ‘তৃতীয় চন্দ্র দিন’-এর নামানুসারে এই দিনের নামকরণ করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) দিন থেকে নানা শুভ কাজ শুরু হয়। এছাড়াও অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে কেনাকাটা করা বা সোনার গহনা কেনা খুবই মঙ্গল বলে মনে করা হয়। অনেকের বিশ্বাস, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে শুরু করা কাজ শুভ ফল দায়ক হয়। এই কারণেই মানুষনতুন ব্যবসা শুরু করে এই তিথিতে।

    চলতি বছরে কবে অক্ষয় তৃতীয়া

    এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া পড়েছে আজ, ৩০ এপ্রিল বুধবার। চলতি বছর অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya 2025) থাকছে দারুণ শুভ ও বিরল অক্ষয় যোগ। চাঁদ ও বৃহস্পতির অবস্থানের ভিত্তিতে ২৪ বছর পর অক্ষয় তৃতীয়ায় এই যোগ গঠিত হবে। এর আগে ২০০১ সালের ২৬ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ায় অক্ষয় যোগ গঠিত হয়েছিল। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এই দিনে সূর্য এবং চন্দ্র তাদের সর্বোচ্চ রাশিতে থাকে। শাস্ত্রে অক্ষয় তৃতীয়ার তিথিকে স্বয়ংসিদ্ধ মুহূর্ত বলা হয়। কথায় বলে এর মানে বৈশাখের মতো কোনও পুণ্য-মাস নেই, সত্যযুগের মতো কোনও যুগ নেই, বেদের মতো কোনও শাস্ত্র নেই এবং গঙ্গার মতো কোনও তীর্থযাত্রা নেই। একইভাবে অক্ষয় তৃতীয়ার মতো কোনও তিথি নেই।

    সোনা-রুপো কেনার রীতি

    অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya 2025) সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সোনা ও রূপো কিনে থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে সোনা কিনলে ঘরে ধন-সম্পদ, সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে সোনা কিনলে ঘরে অর্থের অভাব হয় না বলেও বিশ্বাস রয়েছে। ব্যক্তি এবং পরিবারের যশ ও খ্যাতি বৃদ্ধি পায়। এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অশেষ ঐশ্বর্য প্রদান করেছিলেন। কুবেরের লক্ষ্মীলাভ হওয়ায় এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। তাই প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে, অক্ষয় তৃতীয়ার এই শুভ দিনে সোনা-রুপো কিনলে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। কথিত আছে যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ধন সম্পদের দেবতা কুবেরকে দেবলোকের অধিপতি নির্বাচন করা হয়। তাই এই দিনে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে কুবেরেরও পুজো করা হয়। মনে করা হয় যে অক্ষয় তৃতীয়ায় কুবের দেবের পুজো করলে সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

    খুলে যায় বদ্রীনাথধাম

    অক্ষয় তৃতীয়া (Akshaya Tritiya 2025) থেকেই খুলে যায় চারধামের অন্যতম বদ্রীনাথধাম মন্দিরের দরজা। তার সঙ্গে এদিনই মথুরায় বাঁকে বিহারীর দর্শন পাওয়া যায়। সারা বছর পোশাকের আড়ালে ঢাকা থাকেন বাঁকে বিহারী। এই একদিনই তাঁর চরণ দর্শন করা সম্ভব হয়। এছাড়াও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) দিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে সমুদ্র, গঙ্গা বা যে কোনও পবিত্র নদীতে বা বাড়িতে স্নান করার পর শান্ত চিত্তে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পুজো করার বিধান রয়েছে। সুখ, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মীনারায়ণের পাশাপাশি এই দিনে ভগবান শিব এবং মা পার্বতীরও পুজো করা হয়।

  • PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    PM Modi: প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মিশনের জন্য একেবারে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। কীভাবে হবে প্রত্যাঘাত তা নিয়েই এদিন জরুরি বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এনএসএ, সিডিএস এবং ৩ বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, অজিত দোভাল এবং অনিল চৌহান। কাশ্মীরে কাপুরুষোচিত হামলার পর কীভাবে পাকিস্তানকে জবাব দেওয়া যায়, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপই তৈরি করা হয় এই বৈঠকে। এবার প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে সেনার উপরে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।

    ভারত একাধিক পদক্ষেপ আগেই করেছে (PM Modi)

    দেশজুড়ে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা ও ক্ষোভের আবহে আগেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছে কেন্দ্র। একইসঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, এবং আটারি সীমান্ত বন্ধের মতো নানা পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। শুধু যে আকাশসীমা তাই নয়, সরকারি আধিকারিকদের সূত্র বলছে, ভারতীয় বন্দরগুলিতেও পাকিস্তানি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

    মঙ্গলবারই ৭ দিন পূর্ণ হল পহেলগাঁও হামলার (PM Modi)

    মঙ্গলবারই পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহ পূরণ হয়েছে। ধর্ম বেছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। এর পরেই কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালায় সেনা। ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এদিকে এই হামলার পরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেন মোদি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সোমবারও এই একই ধরনের বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

  • Pakistani: কলকাতায় গ্রেফতার পাকিস্তানি আজাদ, বানিয়ে দিত বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট

    Pakistani: কলকাতায় গ্রেফতার পাকিস্তানি আজাদ, বানিয়ে দিত বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রে এবার পাকিস্তান (Pakistani) যোগ সামনে এল। খাস কলকাতায় বসেই জাল পাসপোর্ট চক্র চালাচ্ছিল আজাদ মল্লিক নামের ওই যুবক। বিরাটি থেকে ১৪ দিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আজাদ মল্লিককে। বাংলাদেশি (Bangladeshis) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় আজাদকে। পরে জানা যায় সে আসলে আদতে পাক-নাগরিক। ২০১৯ সালেই বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ। এরপরেই বাংলায় ঢুকে জোড়া ভোটার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও পেয়ে যায় সে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, পাক নাগরিক হয়ে কীভাবে বাংলায় ঢুকে এত সরকারি পরিচয়পত্র আজাদ? জানা গিয়েছে, নিজের পাকিস্তানি পরিচয় লুকোতেই এই আজাদই বাংলাদেশি পরিচয় দিয়েছিল তদন্তকারীদের কাছে। পাসপোর্ট মামলায় আদালতে এদিন এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।

    ১২-১৩ বছর পাকিস্তান (Pakistani) থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজাদ

    পাকিস্তানের (Pakistani) নাগরিক কলকাতায় বসে জাল পাসপোর্ট তৈরি করছে, এমন তথ্য সামনে আসার পরেই ব্যাপক উদ্বিগ্ন প্রশাসনিক কর্তারা। একজন পাকিস্তানি কলকাতার বুকে বসে বাংলাদেশিদের জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দিচ্ছিলেন এতদিন! এতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জানা যাচ্ছে এদেশে আজাদের নাম ছিল আজাদ মল্লিক। প্রায় ১২-১৩ বছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজাদ। নিজের জালিয়াতি কাজ চালাতে একাধিক ডেরা বদল করে থাকছিল সে।

    সন্দেহ এড়াতে বাংলা ভাষাও রপ্ত করেছিল আজাদ

    সন্দেহ এড়াতে বাংলা ভাষাও রপ্ত করেছিল আজাদ। বাংলাদেশ থেকে যারা বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করত, তাদের জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়ে দিত আজাদ। ১৪ দিন আগেই আজাদকে বিরাটির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। এজলাসে বিচারকের সামনে আজাদ পাকিস্তানি (Pakistani) এমন বিস্ফোরক দাবি করেন ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ধৃত আজাদের কাছে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে

    একইসঙ্গে আজাদের সঙ্গে এক মহিলার সঙ্গীর তথ্যও এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। তবে পাসপোর্ট মামলায় আজাদ গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায় আজাদের (Pakistani)। ওই মহিলাকে খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে আজাদ ইতিমধ্যে ভিসা ও ভারতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও আবেদন করেছিলেন। একইসঙ্গে কীভাবে ধৃত আজাদের কাছে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেল? কী উদ্দেশ্যেই বা ভারতে ঢুকেছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি।

  • India Canada Relation: কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে শুভেচ্ছা মোদির, সহজ হবে দুদেশের সম্পর্ক?

    India Canada Relation: কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে শুভেচ্ছা মোদির, সহজ হবে দুদেশের সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় মিটেছে নির্বাচন। ফের ঝড় তুলেছে লিবারল পার্টি। মঙ্গলবার ছিল ফলাফল ঘোষণা। আপাতত কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে পাকাপাকিভাবে থাকছেন মার্ক কার্নি। জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের মাস কয়েক পরেই নির্বাচিত হয়েছিল তাঁর নাম। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ট্রুডো ‘জেদী’ হলেও, মার্ক কার্নি কিন্তু তেমন নয়। বছর কয়েক আগেই নিজ্জর-কাণ্ডের জেরে ট্রুডোর সময়কালে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে কানাডার (India Canada Relation)। এবার সেই দেশে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন, সেই বিষিয়ে যাওয়া সম্পর্ক নতুন করে স্বাভাবিক হতে পারে বলেও অনুমান একাংশের। নির্বাচনের আগে রাম নবমীর উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগদানের মধ্য দিয়ে কার্নি একপ্রকার বার্তাই দিয়েছেন—ভারতের সঙ্গে তিক্ততা ভুলে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে তিনি অগ্রসর হতে চান।

    কার্নিকে শুভেচ্ছা মোদির

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়া এবং লিবারেল পার্টির জয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্ক কার্নিকে (Mark Carney) অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্নিকে উদ্দেশ্য করে এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ভারত এবং কানাডা অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার এবং প্রাণবন্ত মানুষে-মানুষে সম্পর্কে আবদ্ধ। আমাদের অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আমাদের জনগণের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

    কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকছেন মার্ক কার্নিই। সোমবার ফেডেরাল সরকারের নির্বাচনে জয়ী কার্নির লিবারেল পার্টি। পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে প্রতিপক্ষ পিয়ের পলিয়েভেরের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টিকে। দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল পার্টিই আবারও কানাডার শাসনভার হাতে তুলে নেবে। কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার বার্তা দিয়েছিলেন লিবারেল পার্টির নতুন দলনেতা। কার্নি বলেছিলেন, ‘সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৈচিত্রময় করতে আগ্রহী কানাডা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের একাধিক সুযোগ রয়েছে। তার জন্য আমাদের একে অপরের মূল্যবোধকে সম্মান জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর আমি অবশ্যই নতুন করে সম্পর্ক তৈরির সুযোগ খুঁজব।’

    ট্রুডোর আমলে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক

    ট্রুডোর আমলে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় নয়াদিল্লিকে দায়ী করেছিলেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। শুরু থেকেই যাবতীয় অভিযোগ নাকচ করে এসেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি ট্রুডো প্রশাসন। বিতর্কের জেরে কূটনীতিকদের ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত ও কানাডা। ভারত অস্থায়ীভাবে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এই আবহে প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাঙ্ক অফ কানাডা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর কার্নির বার্তা ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    নির্বাচনে এনডিপির ভরাডুবি

    কার্নি সরাসরি হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মুখ না খুললেও একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বহুস্তরীয়—ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্কে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, তা পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে সমাধান করা সম্ভব।” ট্রুডোর নীতিতে প্রবাসী কট্টর শিখ গোষ্ঠীর প্রভাব এবং এনডিপি নেতা জগমিত সিংয়ের সমর্থন লাভের জন্য আপসের রাজনীতি ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিল কানাডার। তবে এইবার নির্বাচনে এনডিপির ভরাডুবি এবং জগমিত সিংয়ের পদত্যাগ সেই বাধাগুলিকে অনেকটাই সরিয়ে দিয়েছে।

    ভারত-কানাডা বাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

    বর্তমানে কানাডায় প্রায় ১৮ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ এবং ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২০২৩ সালে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৩.৪৯ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছায়, যদিও সিইপিএ (Comprehensive Economic Partnership Agreement) আলোচনাগুলি তিক্ত সম্পর্কের কারণে স্থগিত ছিল। কার্নির সময়ে সেই আলোচনাগুলির নতুনভাবে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তিনি আগেই বলেছিলেন, “আমরা নতুন মিত্র খুঁজছি এবং ভারত সেই তালিকায় শীর্ষে।”

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারত ইতিমধ্যে কানাডায় ভারতীয় হাই কমিশনার পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করছে। কার্নির জাতীয়তাবাদী অবস্থান এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির মোকাবিলায় কানাডার অর্থনীতি ও বিদেশনীতিতে ভারসাম্য আনার উদ্যোগ—এই সবই ভারত-কানাডা সম্পর্ককে নতুন রূপ দিতে পারে। জাস্টিন ট্রুডোর অধীনে যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল, তা মার্ক কার্নির সময়ে আবার উপরে উঠতে পারে বলেই আশা করছে দুই দেশ।

  • Rafale-M Jets: ২৬টি রাফাল-মেরিন জেট কিনছে ভারত, সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Rafale-M Jets: ২৬টি রাফাল-মেরিন জেট কিনছে ভারত, সীমান্তে অশান্তির মধ্যেই ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েই ছিল। ২৬টি ‘রাফাল মেরিন’ (Rafale-M Jets) যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে ফ্রান্সের সঙ্গে অবশেষে চুক্তি সই করে ফেলল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার ফ্রান্সের সঙ্গে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর ইতিহাসে সবচেয়ে মহার্ঘ প্রতিরক্ষা চুক্তি (India France Deal)। দুই দেশের সরকারের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, ২২টি এক আসনের নৌ-সংস্করণ এবং চারটি দুই আসনের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতে সরবরাহ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, লজিস্টিক সহায়তা, কর্মীদের প্রশিক্ষণও চুক্তির আওতায় রয়েছে।

    সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি

    রাফাল-এম (Rafale-M Jets)  বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত নৌ-যুদ্ধবিমান, যা শুধু এখন ফ্রান্সের কাছেই রয়েছে। এ বার তা ভারতও পেতে চলেছে। পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েই চলেছে। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করায় যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই রাফাল বিমানগুলি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত থেকে পরিচালিত হবে। সেখানে বর্তমানে থাকা মিগ-২৯কে বিমানগুলিকে অবসরে পাঠানো হবে। এই যুদ্ধবিমানগুলি নৌসেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৬টি ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান এলে জলপথ থেকেই আক্রমণ শানাতে পারবে ভারত। এই ২৬টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ২২টিতে এক জন পাইলট বসার জায়গা থাকছে। বাকি চারটি বিমানে দু’জন করে পাইলট বসতে পারবেন। দুই আসন বিশিষ্ট জেটগুলি কেবলমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য। এগুলি বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠানামা করতে পারবে না।

    কবে আসছে নতুন রাফাল এম

    এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আনার চুক্তি হয়। সেগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য। রাফালের প্রথম ব্যাচটি এসে পৌঁছায় ২০২০ সালের জুলাই মাসে। এ বার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে বায়ুসেনার পাশাপাশি নৌসেনার হাতেও রাফাল শ্রেণির যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাফাল-এম ভারতে আসা শুরু করবে ২০২৮ সাল থেকে ২৯ সালের মধ্যে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে গোটা ডেলিভারির কাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৮ সালে ৯টি, ২০২৯ সালে ১২টি এবং ২০৩০ সালে বাকি ৫টি রাফাল-এম ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসবে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “রাফাল-এম একটি ক্যারিয়ার-নির্ভর বহুমুখী যুদ্ধবিমান, যার প্রমাণিত অভিযানক্ষমতা রয়েছে। এটি সমুদ্রে ভারতের আকাশক্ষমতা অনেকগুণ বাড়াবে।” ভারতের স্টোবার-প্রযুক্তির বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকেই উড়ান কিংবা অবতরণ করতে পারবে রাফাল-এম।

    চুক্তির অধীনে কী কী

    সোমবার সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দফতরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। অন্যদিকে, ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেন ভারতে ফরাসি রাষ্ট্রদূত থিয়েরি ম্যাতু। উপস্থিত ছিলেন নৌসেনার উপপ্রধান এবং বিমান ও অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা যথাক্রমে দাসো ও এমবিডিএ- কর্তারা। ডিজিটালি উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং ও ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এই চুক্তিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনায় থাকা ৩৬টি রাফালের জন্যও অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত। যদিও এই চুক্তিতে মোট প্রযুক্তি স্থানান্তরের কথা নেই, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র যেমন ‘অস্ত্র’ মিসাইল এবং ডিআরডিও-র তৈরি নৌবাহিনীর এনএসএম ক্ষেপণাস্ত্র রাফাল-এম যুদ্ধবিমানে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চুক্তির আওতায় ভারতে একটি বিমানের ফিউসেলাজ উৎপাদন কেন্দ্র এবং ইঞ্জিন, সেন্সর ও অস্ত্রের এমআরও (মেইনটেন্যান্স, রিপেয়ার ও ওভারহল) কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থাও থাকবে।

    ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান ছাড়াও ফ্রান্সের ডুবোজাহাজ!

    ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা শুরু করেছে এক বিরাট সামরিক মহড়া। যার নাম ‘আক্রমণ’। বিমানবাহিনী পাহাড় এবং স্থলে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের ড্রিল সারছে। দেশের মূলধারার যুদ্ধবিমানগুলি সেখানে আকাশ দাপাচ্ছে। রয়েছে সুখোই স্কোয়াড্রন। বায়ুসেনা রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি বর্তমানে হরিয়ানার অম্বালা এবং আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা— এই দুই ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হয়। ‘রাফাল-এম’ যুদ্ধবিমান ছাড়াও ফ্রান্সের থেকে স্করপিন শ্রেণির ডুবোজাহাজ কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে ভারতের। ওই ডুবোজাহাজগুলির জন্যও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি এখনও তাতে অনুমোদন দেয়নি। এছাড়া, এমআরএফে চুক্তির আওতায় ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আরও ১১৪টি রাফাল কেনার প্রাথমিক কথাবার্তাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।

    কোথায় অন্য যুদ্ধবিমানদের মাত দেয় রাফাল

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গোটা বিশ্বজুড়ে এক নামে পরিচিতি রাফালের। মাল্টি রোলিং ক্ষমতা সঙ্গে শত্রু নিক্ষেপে ধুরন্ধর। সব মিলিয়ে রাফালের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তার সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির তৈরি অস্ত্র। যত দূরেই থাকুক শত্রু, রাফালের স্ক্যাল্প (SCALP) ক্রুজ মিসাইল তাকে নিমিষে ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়াও, রাফাল কিন্তু নিজের মধ্যে বইতে পারে পরমাণু বোমাও। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ঘণ্টায় ২ হাজার ২২২ কিলোমিটার গতিবেগে আকাশকে চিরে দিয়ে ছুটে যেতে পারে রাফাল। যা মিনিটে পার করে দেবে পাকিস্তানকে। বুঝে উঠতেও পারবে না তারা। যখন একদিকে মাথার উপর বসে সর্বক্ষণ হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে চিন। তাদের আবার দোসর হচ্ছে পাকিস্তানও। সেই আবহে এদের মুখ বন্ধ করতেই রাফালকেই মোক্ষম জবাব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের মুখ পুড়ল বিরোধীদের। পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) ব্যবহারকাণ্ডে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, নাগরিক সমাজকে নিশানা করা না হলে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়। ২০২১ সালে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার প্রসঙ্গে জমা পড়া রিট পিটিশনের শুনানি হয় মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। পেগাসাস নিয়ে এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন এমনই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।

    আড়ি পাতার অভিযোগ (Pegasus Spyware)

    প্রসঙ্গত, পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এনিয়ে বিশদ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তা নিয়ে একটি কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও সেই তদন্তের রিপোর্ট আজও দেখেনি দিনের আলো।

    কী বলল বেঞ্চ

    এদিন মামলাটির শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চের প্রশ্ন, “দেশ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করলে সমস্যা কোথায়? বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার, স্পাইওয়্যার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করাই ভালো। কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, অবশ্যই সে প্রশ্ন উঠবে।” এর পরেই বেঞ্চ বলে, “নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে, অবশ্যই দেখা হবে।” বিচারপতি সূর্যকান্ত (Supreme Court) বলেন, “আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি, তাতে সাবধানী হতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

    তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবি

    আবেদনকারীর হয়ে এদিন আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান পেগাসাস (Pegasus Spyware) তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানান। সে প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমিকতার প্রশ্ন জড়িয়ে যে রিপোর্টের সঙ্গে, তা ছোঁয়া যাবে না। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি জানতে চান, তাঁর নাম আছে কি না, আলাদাভাবে তাঁকে তা জানানো যাবে। এদিন মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন দীনেশ দ্বিবেদী নামেও এক আইনজীবী। তিনি বেঞ্চকে বলেন, পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেন্দ্রীয় সরকার কিনেছে না কেনেনি, সেটা আমাদের সমস্যা নয়। আমার মামলাকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে যদি সত্যই এটা থাকে, তবে তাদের এটা ব্যবহার করা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ নেই। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি সূর্যকান্তের পর্যবেক্ষণ, “সরকার যদি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেও, তাহলে সমস্যাটা কোথায়? স্পাইওয়্যার রাখায় কোনও সমস্যা নেই। আমরা কোনও মতেই দেশের নিরাপত্তাকে সঙ্কটে ফেলতে পারি না।”

    সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য

    কেন্দ্রের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের গোপনীয়তা রক্ষার কোনও অধিকার নেই (Supreme Court)।” এদিকে, অন্য কয়েকজন মামলাকারীর তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের রায় তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওদের আদালত আগেই বলেছিল, ভারত অন্যতম যেখানে পেগাসাস (Pegasus Spyware) ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।”

    স্পাইওয়্যার পেগাসাস

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতানেত্রী এবং কয়েকজন সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর-সহ একাধিক নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ফোনেও আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল সেই সময়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন। সেই মামলারই শুনানি হল এদিন।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার

    পেগাসাসকে আড়িপাতার অভিযোগে দায়ি করেছিল আমেরিকার একটি আদালত। সেই সময় জানা গিয়েছিল, ১৪০০ ডিভাইসে তাদের স্পাইওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছিল। মার্কিন আদালতের সেই রায়ের কপিও এদিন দেখতে চায় আদালত। ব্যক্তিবিশেষের উদ্বেগের কারণ থাকলেও, সেই সংক্রান্ত নথি রাস্তায় মুখরোচক আলোচনার বিষয় হতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত এদিন এও জানিয়ে দেয়, যাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে, তাঁদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হবে সংবিধানের আওতায়। ডিভিশন বেঞ্চ এটাও জানিয়ে দেয়, দেশের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত কোনও রিপোর্টে হাত দেওয়া যাবে না। তবে ব্যক্তিগত আশঙ্কার সমাধান করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এও জানিয়ে দিয়েছে, টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের কতটা অংশ কাউকে দেওয়া হবে, সেটা খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত (Pegasus Spyware)।

  • Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ৪৮টি পর্যটন স্থল। সব মিলিয়ে এখানে রয়েছে ৮৭টি পর্যটন স্থান। তারই একটা বড় অংশ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৮। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এমন আবহে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, পহেলগাঁওয়ে হামলা সফল হওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে জঙ্গিরা। তাই সক্রিয় হয়েছে উপত্যকায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কিছু স্লিপার সেল। তাদের অপারেশন শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওপর মহল থেকে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি কাশ্মীরি নন, এমন ব্যক্তিদেরও লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মারফত এমন খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তার জেরেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৪৮টি পর্যটনস্থলের দ্বার।

    বাড়ছে জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা! (Pahalgam Attack)

    গোয়েন্দা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই শ্রীনগর ও গান্ডেরবাল জেলায় বিশেষ করে স্থানীয় নন এমন ব্যক্তি, সিআইডি কর্তা-কর্মচারী এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করেছে (Jammu and Kashmir)।পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীরে ৯ জন জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর পরেই জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা আরও জোরালো হয়েছে। সেই কারণেই এবার তারা শুরু করেছে আরও বড় ধরনের হামলা চালানোর সলতে পাকানোর কাজ। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রেল পরিকাঠামোর সংবেদনশীলতা ও উপত্যকায় স্থানীয় নন এমন রেলকর্মীদের ব্যাপক (Pahalgam Attack) উপস্থিতির কারণে রেলওয়েকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই কারণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তাঁদের নির্ধারিত ক্যাম্প ও বারাকের বাইরে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিয়েছে।

    এই জায়গাগুলি ঝুঁকিপূর্ণ

    কাশ্মীর প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হল পর্যটকদের নিরাপত্তা। সে কথা বিবেচনা করেই আগেভাগে পদক্ষেপ করা হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ৪৮টি জায়গাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলি হল, শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ, বাদামওয়ারি, রাজোরি কাদল হোটেল কানাজ, আলি কাদল জেজে ফুড রেস্তোরাঁ, আইভরি হোটেল, পদশপাল রিসর্ট এবং রেস্তোরাঁ, চেরি ট্রি রিসর্ট (ফকির গুজরি), নর্থ ক্লিফ ক্যাফে এবং স্টে প্যাটার্ন দ্বারা রিট্রিট, ফরেস্ট হিল কটেজ, ইকো ভিলেজ রিসর্ট, আস্তানমার্গ ভিউ পয়েন্ট, আস্তানমার্গ প্যারাগ্লাইডিং, মামনেথ এবং মহাদেব পাহাড়, বৌদ্ধ মঠ, দাচিগাম – বিয়ন্ড ট্রাউট ফার্ম / ফিশারিজ ফার্ম এবং আস্তানপোরা (বিশেষ করে কায়াম গাহ রিসর্ট এবং লাচপাত্রি)।

    দ্বার বন্ধ

    বারমুল্লা জেলার যে পর্যটন স্থলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে, তার মধ্যে রয়েছে, উলার / ওয়াটল্যাব, রামপোরা এবং রাজপোরা, চেয়ারহার, মুন্ডিজ-হামাম-মারকুট জলপ্রপাত, খাম্পু, বসনিয়া, ভিজিটপ, বাবরেশি, শ্রুঞ্জ জলপ্রপাত, কামানপোস্ট, নাম্বলান জলপ্রপাত (Pahalgam Attack), ইকোপার্ক খাদনিয়ার, গোগলদারা, হাব্বা খাতুন পয়েন্ট, রিঙ্গাওয়ালি এবং বদরকোট। বদগাঁও জেলায় যেসব স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল ইউসমার্গ, তৌসিময়দান এবং দুধপাথরি (Jammu and Kashmir)। অনন্তনাগ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সূর্য মন্দির, ভেরিনাগ গার্ডেন, সিন্থান টপ, মারগানটপ এবং আকদ পার্ক। কুলগাঁও জেলায় বন্ধ করা হয়েছে আহরবাল এবং কাউসারনাগের দরজা। কুপওয়াড়া জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঙ্গুস, কারিওয়ান ডুবুরি চান্দিগাম এবং বাঙ্গুস ভ্যালি। গান্ডেরবাল জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাং পার্ক এবং নারানাগ। পুলওয়ামা জেলায় বন্ধ করা হয়েছে একটিমাত্র পর্যটনস্থল। সেটি হল সাঙ্গারওয়ানি।

    এনআইএ-র তদন্ত

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেও ভূস্বর্গে আসছেন পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়েও বেড়াতে আসছিলেন পর্যটকরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা রাজ্যজুড়ে জোরালো জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে। আটক করা হয় শতাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলকে (Pahalgam Attack)। গোয়েন্দারা জেনেছেন, পহেলগাঁওকাণ্ডে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের রাস্তা চিনিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় এক জঙ্গি। সেই কারণেই আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের। দুরমুশ করে দেওয়া হয়েছে ৯ জঙ্গির বাড়ি। এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণ করেছে। এনআইএর আধিকারিকরা স্থানীয় কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন। গুজরাটি পর্যটক ঋষি ভট্টের মতো যাঁরা সেদিন বেঁচে ফিরেছেন পহেলগাঁও থেকে এবং যাঁর (Jammu and Kashmir) ভিডিও ফুটেজে জঙ্গিদের ছবি ধরা পড়েছে, তাঁদেরও জেরা করা হবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

  • Supreme Court: শরিয়ত এবং কাজি আদালতের নেই কোনও আইনি ক্ষমতা, গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শরিয়ত এবং কাজি আদালতের নেই কোনও আইনি ক্ষমতা, গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনত বৈধ নয় ইসলামি আদালতের রায়। শরিয়ত এবং কাজি আদালতেরও নেই কোনও আইনি ক্ষমতা। এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ে একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শরিয়ত আদালত (Sharia Court) এবং কাজি আদালত আইনতভাবে স্বীকৃত নয়। তাই তাদের দেওয়া সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই আইন দ্বারা প্রয়োগ করা যাবে না। ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝে সুপ্রিম কোর্টের এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

    সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, কাজির আদালত, কাজিয়তের আদালত (দারুল কাজা) বা শরিয়ত আদালতের মতো ইসলামি আদালতগুলির কোনও আইনগত স্বীকৃতি নেই। অর্থাৎ ইসলামি আদালতের রায় এ দেশে কোনও সরকারি ক্ষমতা রাখে না।প্রসঙ্গত, এক মহিলার খোরপোষ নিয়ে দায়ের করার মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি আহসানাউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। এমন পর্যবেক্ষণের সময় শীর্ষ আদালত ২০১৪ সালের একটি রায়ের উদ্ধৃতি দেয় এবং জানায়, শরিয়ত আদালত এবং ফতোয়ার আইনি স্বীকৃতি নেই।

    ভরণপোষণের জন্য প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা করে দিতে নির্দেশ

    উল্লেখ্য, একটি ইসলামিক পারিবারিক আদালত ওই মহিলাকে ভরণপোষণ বা খোরপোষ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টও এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান ওই মহিলা। শুনানিতে পারিবারিক আদালতের পদ্ধতির সমালোচনা করেন বিচারপতি আমানউল্লাহ। তিনি জানান, কাজি আদালত, দারুল কাজা বা কাজিয়ত আদালত, শরিয়ত আদালতগুলির আইনগত কোনও স্বীকৃতিই নেই। তাদের সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক নয়। এই সঙ্গেই ওই মহিলাকে ভরণপোষণের জন্য প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য আদালত তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইসলামিক নিয়ম মেনে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীকালে ২০০৫ সালে মহিলার স্বামী ভোপালের একটি ‘কাজি আদালতে’ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুরু করেন।

  • Vaibhav Suryavanshi: বিস্ময় বালক! আইপিএলে ৩৫ বলে ১০০ করে ৫টি বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব

    Vaibhav Suryavanshi: বিস্ময় বালক! আইপিএলে ৩৫ বলে ১০০ করে ৫টি বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিস্ময় বালক, বৈভব সূর্যবংশী! ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএল অভিষেক (IPL 2025) করে তিনি আগেই রেকর্ড করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার বৈভবই (Vaibhav Suryavanshi)। তবে সোমবার যা করলেন তা হয়তো কেউ কল্পনা করেননি। মাত্র ৩৫ বলে শতরান এল তাঁর ব্যাট থেকে! আইপিএলে সবথেকে কম বলে সেঞ্চুরি করা ভারতীয় ব্যাটার হয়ে গেলেন তিনিই। তাঁর শতরানে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে কুর্নিশ জানালেন স্বয়ং রাহুল দ্রাবিড়। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছো জানিয়েছেন প্রাক্তন ‘হার্ড হিটার’ ইউসুফ পাঠান, মহম্মদ শামি, যুবরাজ সিংরা। যুবি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘১৪ বছর বয়সে তুমি কী করছ! পলক না ফেলে দুনিয়ার সেরা বোলার নিয়ে ছেলেখেলা করলে। বৈভব সূর্যবংশী-নামটা মনে রেখো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে আমি গর্বিত।’

    রেকর্ড বুকে সূর্যবংশী

    সোমবার আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেছেন ১৪ বছরের রাজস্থান রয়্যালস তারকা বৈভব সূর্যবংশী। শুধু ২১০ রান তাড়া করে দলকে সহজ জয় এনে দেওয়া নয়, সেঞ্চুরি করে নিজেও গড়েছেন ৫টি বড় রেকর্ড।

    আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে কম বয়সে আইপিএলের হাফ সেঞ্চুরি করলেন বৈভব সূর্যবংশী (Vaibhav Suryavanshi)। মাত্র ১৭ বলে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ১৪ বছরের তারকা।

    শুধু আইপিএলের ইতিহাসে নয়, বিশ্বে টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবথেকে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার অনন্য রেকর্ড গড়লেন বৈভব সূর্যবংশী। এর আগে ১৮ বছরের আগে কেউ বিশ্বে যে কোনও ধরনের টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করতে পারেনি।

    আইপিএলের ইতিহাসে সবথেক কম বয়স মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিনে সেঞ্চুরি করলেন বৈভব সূর্যবংশী। ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। ১১টি ছয় ও ৭টি চারে সাজানো তাঁর ইনিংস।

    এই সেঞ্চুরির সৌজন্যে আইপিএলের ইতিহাসে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সবথেকে দ্রুততম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করলেন বৈভব সূর্যবংশী। এর আগে ইউসুফ পাঠান ৩৭ বলে সেঞ্চুরি কলেছিলেন।

    আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি গড়লেন বৈভব সূর্যবংশী। ৩০ বলে শতরান করে শীর্ষে ক্রিস গেইল। ১৮ বছর হওয়ার আগে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার নজির গড়েছে বৈভব। ইতিমধ্যেই ১৬টি ছয় হয়ে গিয়েছে তার।

    অবাক বিশ্ব

    লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নিজের আইপিএল (IPL 2025) জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন বৈভব (Vaibhav Suryavanshi)। সেই ম্যাচেই রেকর্ড করতে পারতেন হাফ সেঞ্চুরি করে। তবে অল্পের জন্য সেটা করতে পারেননি। বৈভব ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল ২টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা। অর্ধ শতরান হাতছাড়া করে কেঁদে ফেলেছিলেন। তবে সোমবার গুজরাটের বোলারদের বলে বলে কাঁদালেন ১৪ বছরের ‘শিশু’।

LinkedIn
Share