Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে নাকি বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চলছে। এমনই মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণ করতে ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে শাসক নেতাদের। বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সাফ বললেন, ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি। আসলে সামনে ভোট, তাই তৃণমূল এটাকে ইস্যু করে কাজে লাগাতে চাইছে।’’ অন্যদিকে ভোটার তালিকা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁর দাবি, ‘‘ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার বের করে দিলে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না।’’

    তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    বিজেপি নেতার (Mithun Chakraborty) বক্তব্য, ‘‘কোথাও কোনও বাঙালির ওপর অত্যাচার বা কোনও সত্যিকারের নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। বেছে বেছে তাঁদেরই বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন।’’ তৃণমূলের আক্রমণের সামনে যাতে মাথা নত না করে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কমিশনকে যোগ্য সাহায্য করতে বাংলার সমস্ত নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘প্রতিটি এলাকায় কর্মীদের বলব, খোঁজখবর শুরু করুন, কারা অনুপ্রবেশ করে বাংলায় রয়েছে। কারও ওপর কোনও আক্রমণ হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’’এজন্য বৃহস্পতিবার নিজের দুটি ফোন নম্বরও দিতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি এদিন তিনি বাঙালি বিদ্বেষ ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিন রাজ্যে কোথাও কোনও রকমভাবে বাঙালিকে হেনস্থা করা হচ্ছে না। যে দল বলছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের দল না, সেই দল আদৌ বাংলার দল তো? নাকি অন্য কোন দেশের দল?’’

    বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন নিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    প্রসঙ্গত, বিহারে চালু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR। এখানেই দেখা গেছে, ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়ে গেছেন। এমনকি অনেক মৃত ব্যক্তির নাম এখনও তালিকায় রয়েছে, এবং কারও কারও নাম দুই জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরাও বিহারের ভোটার তালিকায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলতে দেখা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকে। তিনি তৃণমূল ও মমতা সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বিজেপি নেতা মিঠুন বলেন, ‘‘যারা বেছে বেছে এখানে এসেছেন, তাদের বেছে বেছে ফেলে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বেশি সমস্যা, তাই এত চেঁচামেচি হচ্ছে। ওরা জানে, যদি বেছে বেছে যাদের তোলা দরকার, তাদের তোলা হয়—তাহলে এই সরকার ৭০টা আসনও পাবে না।’’

    মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে হুঁশিয়ারি মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    তৃণমূলকে (Tmc) হুঁশিয়ারি দিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে যা ঘটে গেছে তেমন ঘটনা আর ঘটলে আমরা আর চুপ করে থাকব না। ২৬-এর বিধান সভা ভোটে তৃণমূলের বিসর্জন অনিবার্য।’’ নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে এদিন তৃণমূলের তোলা যাবতীয় অভিযোগকে নস্যাৎ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘বেছে বেছে ইলেকশন কমিশন কেন নাম বাদ দেবে? তাদেরই বেছে বেছে বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেছে বেছে এদেশে অবৈধভাবে এসেছেন। বাংলায় এরকম ঘটনা অনেক বেশি, তাই তৃণমূল চেঁচামেচি করছে।’’

    তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’

    বাঙালি বিদ্বেষ নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’ বলেও এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেল খুলেছি, যেখানে বেশিরভাগই বাঙালি পরিযায়ী। তবে সেখানে কোনও বাংলাদেশি নেই। যদি বাংলাদেশি কেউ থাকেন তাঁকে অবশ্যই বাংলাদেশি বলেই চিহ্নিত করা হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ চাপের রয়েছে। নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, মুর্শিদাবাদ হিংসায় রাজ্যজুড়ে এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন মহিলা সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেই যাচ্ছে শাসক দলের। এই আবহে তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা একেবারেই নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে সামনে বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলে, রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য ‘বাইরের রাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতন’ বলে একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব সামনে এনে প্রচার চালাতে শুরু করেছে তৃণমূল, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    অনেকেই বলছেন, ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার—এই মিথ্যা অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে তৃণমূল, যাতে রাজ্যের প্রকৃত দুরবস্থা ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবচিত্র অন্য কথা বলছে। কোথাও কোনও বাঙালি নির্যাতিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ‘ব্যাকফুটে’ এবং রাজনৈতিকভাবে সেই অবস্থান থেকে বেরোতে নানা কৌশল নিচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হল—বাঙালিদের সঙ্গে ‘বৈষম্য’র মিথ্যা তত্ত্ব।

  • Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এর প্রোমোটার-ডিরেক্টর অনিল আম্বানিকে (Anil Ambani) ‘প্রতারক’ ঘোষণা করার পরই এই অভিযান শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।

    তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    ইডি-র তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। যদিও অনিল আম্বানির ব্যক্তিগত বাসভবনে এদিন তল্লাশি চালানো হয়নি (Anil Ambani)। মুম্বই ও দিল্লি থেকে আসা ইডি-র (ED Raid) যৌথ দল তাঁর বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দফতর এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালায়। জানা গিয়েছে, মুম্বই ও দিল্লির প্রায় ৫০টি অফিসের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

    ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এছাড়াও, এই মামলায় নাম জড়ানো ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে (Anil Ambani)। ইডি সূত্রে (ED Raid) জানা গিয়েছে, এসবিআই কর্তৃক ‘প্রতারক’ ঘোষণার পর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি), সেবি, ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি (এনএফআরএ), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতেই হয় এই তল্লাশি।

    ইডি-র প্রাথমিক ধারণা অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত

    তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার ঋণের বড় একটি অংশ সন্দেহজনকভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, কিছু অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে ওই অর্থ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। ইডি-র প্রাথমিক ধারণা, এই অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত কৌশলের অংশ। এর ফলে প্রতারিত হয়েছেন শেয়ারহোল্ডার, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং একাধিক ব্যাঙ্ক। তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স-এর কর্পোরেট ঋণ বিতরণ এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা আর্থিক অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাবের বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (Anil Ambani)।

  • PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাক্ষরিত হল ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল এ বার তা বাস্তবায়িত হল লন্ডনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা। দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৬ মে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যচুক্তির চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হয়েছিল। এবার মোদির সফরের সময়েই তা বাস্তব রূপ পেল। চুক্তি স্বাক্ষরের পর, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ‘ইউকে-ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩৫’ নামে একটি নতুন কৌশলগত রূপরেখা প্রকাশ করেন, যা আগামী দিনে ভারত-ব্রিটেন অংশীদারিত্বের দিকনির্দেশ ও লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    ভারত এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন

    ভারতের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ব্রিটেনের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই চুক্তিকে ভারত ও ব্রিটেনের ‘যৌথ উন্নয়নের নীলনকশা’ হিসেবে অভিহিত করেন। চুক্তির আওতায়, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    চুক্তির ফলে কী লাভ হবে

    এই চুক্তির ফলে কী লাভ হবে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ব্রিটেনের বাজারে ভারতীয় বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান রত্ন, গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং প্রযুক্তিগত পণ্য আরও বেশি করে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভারতের কৃষিজাত পণ্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য ব্রিটেনের বাজার আরও প্রশস্ত হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই চুক্তির ফলে ভারতের তরুণ প্রজন্ম, কৃষক, মৎস্যজীবী এবং ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর।

    ব্রিটেনে কাজের সুযোগ বাড়বে

    চুক্তি অনুযায়ী, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো মসলা জাতীয় কৃষিপণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডাল ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্রিটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন ভারতের মৎস্যজীবীরাও—চিংড়ি, টুনা-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য এখন ব্রিটেনে শুল্কছাড়াই রফতানি করা যাবে। চুক্তির আওতায় শুধু ভারত নয়, ব্রিটেনেরও কিছু পণ্য ভারতীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যার ফলে দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য ও পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। আইটি, আইন, শিক্ষা, ব্যাংকিং ইত্যাদি পেশাজীবীরা সহজেই ব্রিটেনে কাজের সুযোগ পাবেন এই চুক্তির মাধ্যমে।

    কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ আমাদের দুই দেশ একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

    কী বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

    এই ঐতিহাসিক চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।”

    ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে

    ব্রিটেনের ব্যবসা ও বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে। এর ফলে ব্রিটিশ সংস্থাগুলির জন্য সফট ড্রিংকস, প্রসাধনী, গাড়ি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো পণ্য ভারতে রফতানি করা আরও সহজ হয়ে উঠবে। বিশেষভাবে লাভবান হবেন হুইস্কি নির্মাতারা। আগে যে হুইস্কির ওপর ভারতীয় শুল্ক ছিল ১৫০ শতাংশ, তা প্রথম ধাপে কমে ৭৫ শতাংশে নামবে, এবং আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও হ্রাস পেয়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়াবে। এর ফলে ব্রিটেনের জন্য ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

  • Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) এক ভারতীয় ছাত্রের উপর নৃশংস হামলার ঠিক একদিন পরেই মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় রাতে ঘৃণামূলক ও বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার হিন্দু কাউন্সিলের সভাপতি মকরন্দ ভগবত বলেন, “আমাদের এই মন্দির শান্তি, ভক্তি এবং ঐক্যের প্রতীক। সেখানে এ ধরনের চিত্র দেখে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ নয়, আমাদের অস্তিত্ব ও বিশ্বাসের উপর আঘাত (Indians)।”

    পার্কিং-এ বচসা থেকে ভারতীয়কে মারধর (Australia)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার (Australia) অ্যাডিলেডে পার্কিংকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয় এবং সেখানেই ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবক চরমপ্রীত সিং-এর উপর হামলা হয়। চরমপ্রীত নিজেই জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে বসে ছিলেন, সেই সময় একদল ব্যক্তি এসে বর্ণবিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহার করে এবং তাঁর মুখে ঘুষি মারে। এই আঘাতে তিনি গুরুতরভাবে জখম হন। ঘটনার পর পুলিশ ২০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে—সেখানে দেখা যাচ্ছে আক্রমণকারীরা ধাতব বক্সার দিয়ে মারছে এবং ভারতীয়দের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে।

    বর্ণবিদ্বেষী হামলা ২০০৯-১০ থেকেই চলছে

    এ নিয়ে চরমপ্রীত সিং বলেছেন, “সবকিছু বদলানো যায়, কিন্তু গায়ের রং তো পাল্টানো যায় না।” প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর এ ধরনের হামলা নতুন নয়। ২০০৯-১০ সালেও একাধিক ভারতীয় ছাত্রের উপর বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলা (Indians) হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মেলবোর্ন, সিডনি সহ একাধিক জায়গায় ভারতীয় যুবকদের ট্রেনে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে বহু সময় পেরিয়ে গেলেও, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর হামলা যে আজও বন্ধ হয়নি, তা ফের একবার প্রমাণিত হল।

  • Fake Embassy Scandal: ভুয়ো দেশের ভুয়ো রাষ্ট্রদূত! পর্দা ফাঁস করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    Fake Embassy Scandal: ভুয়ো দেশের ভুয়ো রাষ্ট্রদূত! পর্দা ফাঁস করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো দেশের জাল রাষ্ট্রদূতের (Fake Embassy Scandal) পর্দা ফাঁস করে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ভুয়ো পাসপোর্ট, জাল ভিসার কথা শোনা গিয়েছে। তা বলে একটি ভুয়ো দেশের ভুয়ো রাষ্ট্রদূতের খবর! না, এমনটা এতদিন শোনা যায়নি। এবার গেল। সৌজন্যে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্সের নয়ডা ইউনিট (Harshvardhan)।

    বাড়ি ভাড়া নিয়ে দূতাবাস (Fake Embassy Scandal)

    জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের কবিনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে দূতাবাস তৈরি করেছিলেন জনৈক হর্ষবর্ধন জৈন। বাড়িটির বাইরে সব সময় পার্ক করা থাকত একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। হর্ষবর্ধন নিজেকে সব সময় এক জন কূটনীতিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাঁর বাড়ির বাইরে যেসব গাড়ি পার্ক করা থাকত, সেগুলির নম্বরপ্লেটও আর পাঁচজন কূটনীতিকের মতোই। তাই দীর্ঘদিন ধরে কারবার চালিয়ে গেলেও সন্দেহ হয়নি কারও। হর্ষবর্ধন কখনও নিজেকে ওয়েস্টার্কটিকা, কখনও আবার সাবোরগা, পুলভিয়া, লোডেনিয়ার মতো ছোট ছোট দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয় দিতেন। শুধু তাই নয়, ওই সব দেশের জাল পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র এবং ভুয়ো সরকারি নথি ব্যবহারও করতেন তিনি।

    ওয়েস্টার্কটিকা

    আন্টার্কটিকা মহাদেশের একটি ছোট্ট দেশ হল ওয়েস্টার্কটিকা। বিশ্বের কোনও প্রতিষ্ঠিত দেশ ওয়েস্টার্কটিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তার মতোই অন্য ছোট ছোট দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে ওয়েস্টার্কটিকা। মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রাক্তন কর্তা ট্র্যাভিস ম্যাকহেনরি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ওয়েস্টার্কটিকা। তিনি নিজেকে তার ‘গ্র্যান্ড ডিউক’ বলে দাবি করেন। দেশটির আয়তন ৬ লাখ ২০ বর্গমাইল। ওয়েস্টার্কটিকার দাবি, তাদের দেশে ২ হাজার ৩৫৬ জন নাগরিক রয়েছেন। যদিও তাঁদের কেউই দেশটিতে থাকেন না। দেশটির নিজস্ব পতাকা এবং মুদ্রাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও জোটেনি কোনও প্রতিষ্ঠিত দেশের স্বীকৃতি।

    স্বীকৃতিহীন এই দেশটিরই রাষ্ট্রদূত

    স্বীকৃতিহীন এই দেশটিরই রাষ্ট্রদূত বলে নিজেকে জাহির করে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছিলেন হর্ষবর্ধন। বুধবার ভুয়ো ওই দূতাবাসে অভিযান চালিয়ে এসটিএফ বাজেয়াপ্ত করে কূটনৈতিক নম্বরপ্লেটযুক্ত চারটি বিলাসবহুল গাড়ি। ১২টি কূটনৈতিক পাসপোর্টও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের স্ট্যাম্প-সহ জাল নথিও মিলেছে। শুধু তা-ই নয়, দু’টি জাল প্যান কার্ড, বিভিন্ন দেশ এবং কোম্পানির ৩৪টি রবার স্ট্যাম্পও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪.৭ লাখ টাকাও। উদ্ধার হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাও। গ্রেফতার করা হয়েছে হর্ষবর্ধনকে (Fake Embassy Scandal)।

    কে এই হর্ষবর্ধন?

    প্রশ্ন হল, কে এই হর্ষবর্ধন (Harshvardhan)? জানা গিয়েছে, লন্ডন কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্স থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন হর্ষবর্ধন। এর আগে তিনি গাজিয়াবাদেরই আইটিএস কলেজ থেকে এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন। তাঁর বাবা গাজিয়াবাদের এক ব্যবসায়ী ছিলেন। রাজস্থানে তাঁদের পরিবারের মার্বেল খনি ছিল। তবে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা। এই সময় হর্ষবর্ধনের সঙ্গে দেখা হয় বিতর্কিত ধর্মগুরু চন্দ্রস্বামীর। তিনি তাঁকে লন্ডনে চলে যেতে সাহায্য করেন। সেখানে বেশ কয়েকটি কোম্পানি খোলেন হর্ষবর্ধন। তদন্তকারী সংস্থাগুলির মতে, এই কোম্পানিগুলি বেহিসাবি অর্থ লুকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। হর্ষবর্ধন একজন আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী আদনান খাশোগির সঙ্গেও কাজ করেছিলেন। পরে হর্ষবর্ধন তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন দুবাইয়েও।

    চন্দ্রস্বামীর মৃত্যুর পর গাজিয়াবাদেই ফিরে আসেন হর্ষবর্ধন

    এদিকে, চন্দ্রস্বামীর মৃত্যুর পর গাজিয়াবাদেই ফিরে আসেন হর্ষবর্ধন। ব্যাপক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। তার পরেই ফাঁদেন ভুয়ো দূতাবাসের ‘ব্যবসা’। এই ব্যবসা ফেঁদেই গত সাত বছর ধরে লোক ঠকিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন (Fake Embassy Scandal), ওই জাল রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এডিট করা ছবি ব্যবহার করে লোক ঠকিয়ে যাচ্ছিলেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, হর্ষবর্ধনের (Harshvardhan) চক্রটি বিদেশি ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষ এবং বিভিন্ন সংস্থাকে প্রতারণা করে চলেছিল। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে একটি হাওলা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছিলেন তিনি। হর্ষবর্ধনের ভাড়া করা বাড়িতে যে নেমপ্লেট লাগানো ছিল, সেখানে লেখা ছিল সুশীল অনুপ সিং। সোনালি রংয়ে আঁকা দ্বিতীয় নেমপ্লেটে লেখা ছিল এইচভি জৈন।

    আন্তর্জাতিক চাকরির আড়ালে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা

    কূটনৈতিক সংযোগ এবং আন্তর্জাতিক চাকরির আড়ালে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন হর্ষবর্ধন। বছর সাতচল্লিশের এই ব্যক্তি কয়েকটি স্বঘোষিত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের একজন হাইপ্রোফাইল রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতেন এবং মিথ্যে অজুহাতে হাওলা লেনদেন, জালিয়াতি এবং দালালাতি জড়িত ছিলেন (Fake Embassy Scandal)। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে হর্ষবর্ধন তাঁর ভাড়া বাড়িতে বিভিন্ন দেশের পতাকা উত্তোলন করতেন। অনুমোদন ছাড়াই তিনি জাল কূটনৈতিক ও প্রেস আইডি কার্ডও ব্যবহার করতেন। এসবের আড়ালেই চলছিল জালিয়াতির কারবার (Harshvardhan)।

  • Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ ধাঁধানো উত্থান ভারতীয় পাসপোর্টের (Indian Passport)! গত বছর যেখানে ভারতীয় পাসপোর্টের ক্ষমতা নেমে গিয়েছিল পাঁচ ধাপ, সেটাই এবার এক লাফে আট ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। ২২ জুলাই প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচক ২০২৫ অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্ট ৭৭তম স্থানে উঠে এসেছে (Visa)। গত বছর এটাই ছিল ৮৫তম ধাপে। জানা গিয়েছে, এই র‌্যাঙ্কিং নির্ধারিত হয় প্রতিটি দেশের পাসপোর্টধারীরা পূর্ববর্তী ভিসা ছাড়াই কতগুলি দেশে যেতে পারেন, তার ভিত্তিতে।

    শুধু পাসপোর্টেই যাওয়া যাবে এই দেশগুলিতে (Indian Passport)

    বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বা ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা পাচ্ছেন ৫৯টি দেশে। ভিসা ছাড়াই ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে যেসব দেশে যাওয়া যাবে সেগুলি হল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং তাইল্যান্ড। ভিসামুক্ত আরও কয়েকটি দেশ হল ভুটান, ইরান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ডোমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, হাইতি, কিরিবাস, ম্যাকাও, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, নিউই, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডিনস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ভানুয়াত, অ্যাঙ্গোলা এবং বারবাডোস।

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, মলদ্বীপ, বলিভিয়া, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, ইথিওপিয়া, গিনি-বিসাউ, লাওস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, পালাউ দ্বীপপুঞ্জ, কাতার, সামোয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সেন্ট লুসিয়া, তাঞ্জানিয়া, তিমোর-লেস্তে এবং তুভালু (Indian Passport)। এবার আসা যাক ইটিএ প্রসঙ্গে। ইটিএ হল একটি ডিজিটাল ভ্রমণ পারমিট যা ভারতীয়দের ভিসা-মুক্ত প্রবেশের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণ বা ট্রানজিটের জন্য একটি দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই তালিকায় ৫৯তম দেশ হিসেবে রয়েছে সেশেলসের নাম।

    এই র‍্যাঙ্কিং উন্নতি ভারতের বিশ্বমঞ্চে ক্রমবর্ধমান মর্যাদা ও উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে (Visa)। এটি ভারতীয় পর্যটকদের প্রতি বাড়তি আস্থা এবং দেশের স্থিতিশীলতারও ইঙ্গিত দেয়। ভারতের নাগরিকদের জন্য এটি বিশ্ব ঘোরার নতুন দোর খুলে দেয় (Indian Passport)।

  • Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এই আবহে একটি খবর প্রচারিত হয় যে ধনখড়কে নাকি অবিলম্বে তাঁর বাসভবন ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ে, সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর ঘর—এমন খবর ঘুরতে থাকে। তবে এই তথ্য সম্পূর্ণ এবং ভিত্তিহীন—সে কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট পিআইবি-র (Jagdeep Dhankhar)

    এমনও খবর রটে যায় যে পদত্যাগের রাত থেকেই নাকি ধনখড় বাংলো ছাড়ার জন্য প্যাকিং শুরু করে দিয়েছেন। এর পরে পিআইবির ফ্যাক্ট চেকিংয়ে জানা যায়, তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। এবং এমন কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিকে। এ নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করে পিআইবি। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে জগদীপ ধনখড়ের বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে তা খালি করতে বলা হয়েছে—যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন তথ্য।’’ এই ধরনের ভুয়ো তথ্যে পা দিতেও বারণ করেছে পিআইবি।

    টাইপ-এইট বাংলো পেতে পারেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)

    প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনখড়ের বর্তমান বয়স হল ৭৪। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে,  চার্চ রোডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভে তিনি চলে এসেছিলেন। বিগত ১৫ মাস ধরে এটাই ছিল জগদীপ ধনখড়ের বাসভবন। সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে তৈরি করা হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভ। বর্তমানে তাঁর স্বাস্থ্যজনিত উদ্বেগ রয়েছে। এই কারণে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি একটি নয়া সরকারি বাংলোতে স্থানান্তরিত হতে চলেছেন বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং জাতীয় দলের নেতাদের জন্য যেরকম বাসস্থান বরাদ্দ করা হয়, সেরকমই কোনও বাসস্থান তিনি পেতে চলেছেন। দিল্লিতে তাঁকে টাইপ-এইট বাংলো দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন (PIB)। অন্যদিকে, পদত্যাগ করার ফলে উপরাষ্ট্রপতির পদ খালি রয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উপররাষ্ট্রপতি নির্বাচন শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইমতো প্রস্তুতিও চলছে (Jagdeep Dhankhar)।

  • Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাধারণ কয়েকটি ঠিকানা কিংবা কয়েকজনের নাম, মনে রাখতেই অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে পারেন না। আবার স্মৃতিশক্তি হ্রাসের এই সমস্যা অনেকের খুব কম বয়সেই দেখা যায়। স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার এই সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তাঁরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুকাল থেকেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজর দিলে পরবর্তীতে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। জীবনের নানান পর্যায়ে যা খুবই সাহায্য করে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবারের পাশপাশি কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পরিবারের খুদে সদস্যকে সেই অভ্যাস রপ্ত করাতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং স্মৃতিশক্তিও প্রখর হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    নিয়মিত মেমোরি গেম কিংবা পাজল সলভ করা!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন কিছু খেলায় শিশুদের অভ্যস্ত করা দরকার, যাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এতে শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের পাজল গেম, জিকসো পাজল বা ব্লগ পাজলের মতো খেলায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এই ধরনের খেলায় নতুন ভাবে কিছু সমাধান করার চেষ্টা থাকে। তাই চিন্তাশক্তি বাড়ে। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে‌। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও বাড়ে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের বিনোদনের সময়ে মোবাইল বা টিভির কার্টুনের পরিবর্তে নিয়মিত এই পাজল সলভ ধরনের খেলায় অভ্যস্ত করলে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। পাশপাশি নানান ধরনের মেমোরি গেম খেললে স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে।

    নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস!

    শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গান শরীরের একাধিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশপাশি গান মস্তিষ্কের উপরেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। তাই শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শুনলে মস্তিষ্কে দীর্ঘ প্রসারী প্রভাব পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস হরমোন মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ভয় এগুলো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়। পাশপাশি যেকোনও কাজের আত্মবিশ্বাস কমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে খুব কম বয়স থেকেই নানান জটিলতার মধ্যে শিশুদের থাকতে হচ্ছে। এর ফলে তার প্রভাব তাদের মস্তিষ্কে পড়ছে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে তার জোরালো প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত গান শুনলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক হয়। স্নায়ুর শক্তিও বজায় থাকে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হয় না। এর ফলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। যেকোনও কাজে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাই ছোটো থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস তৈরি হোক।

    ক্রসওয়ার্ড দিয়ে শব্দের ভাণ্ডার বাড়ানো!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শব্দ শেখানো নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত দীর্ঘ সময় কথা বললে তাদের শব্দ ভাণ্ডার বাড়ে। এর ফলে সহজেই দুটি সমস্যার সমাধান করা যায়। একদিকে শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। আরেকদিকে শিশুর কথা বলা সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিশুদের কথা বলার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শিশু ঠিকমতো কথা বলছে না। ইশারাতেই কথা বলছে। শারীরিক সমস্যা না থাকলেও এমন ঘটনা ঘটছে। তার নেপথ্যে রয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং কথা বলার মানুষের অভাব। এর ফলে পরবর্তীতে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা জরুরি।‌ পাশপাশি বছর পাঁচেক বয়সের পরে শিশুদের শব্দ ভাণ্ডার কতখানি বাড়ছে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। এতে তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে, আরেকদিকে তাদের যেকোনও ভাষায় দক্ষতাও বাড়বে। তাই নিয়মিত শিশু যাতে নতুন শব্দ শেখে সে নিয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর পাশপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে তাঁরা শিশুকে ক্রসওয়ার্ডের মতো খেলায় অভ্যস্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    সাবেকি ঘরোয়া খেলায় বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবেশ একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু যদি তার পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়, স্বচ্ছন্দ থাকে তবেই তার মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং বিভিন্ন কাজে আত্মবিশ্বাস পাবে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোবাইল কিংবা ট্যাবলেটের ভিডিও গেম নয়। বরং পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে কিছু সাবেকী খেলা শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিডিও গেম একদিকে একাকিত্ব বোধ বাড়িয়ে দেয়, আরেকদিকে চোখের পক্ষে এবং স্নায়ুর পক্ষেও ক্ষতিকারক। কিন্তু লুডো, ক্যারমের মতো খেলা বা যে কোনও কার্ড গেম পরিবারের সঙ্গে বসে খেললে, একদিকে পরিবারের সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শিশু অন্যরকম সময় কাটানোর সুযোগ পায়। মানসিক চাপ কমে‌। একাকিত্ব বোধ তৈরি হয় না। আর এগুলো শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শিশুর জন্য বাড়তি উপকারি হয়।

    নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়!

    নিয়মিত নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাচ নিয়মিত করলে শরীরের একাধিক পেশি যেমন সক্রিয় থাকে, তেমন মস্তিষ্কের স্নায়ুও সক্রিয় থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পারকিনসনের মতো মস্তিষ্কের জটিল সমস্যায় আক্রান্তদের অত্যন্ত কার্যকরী থেরাপি হলো নাচ। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, সক্রিয় রাখতে নিয়মিত নাচ জরুরি। এতে মস্তিষ্কের স্নায়ু সুস্থ থাকে। শরীরে অন্যান্য পেশির সক্রিয়তা বজায় থাকে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ayodhya: মিলবে রামায়ণ যুগের অনুভূতি, ‘পঞ্চবটি’ বন তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায়, থাকছে ৮৮টি ঔষধি গাছ

    Ayodhya: মিলবে রামায়ণ যুগের অনুভূতি, ‘পঞ্চবটি’ বন তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায়, থাকছে ৮৮টি ঔষধি গাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হচ্ছে কুড়ি একরের পঞ্চবটি বন, রামায়ণের আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতির সম্পূর্ণ প্রতিফলন দেখা যাবে এই পঞ্চবটিতে (Panchavati)। এই উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে লক্ষ্য হলো রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যায়ন এবং সেখানে এক শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি, যেখানে ভক্তরা বসে জপ, ধ্যান, প্রাণায়াম—সবকিছুই করতে পারবেন, ঠিক যেমনটা রামায়ণে পঞ্চবটি বনে দেখা যেত (Ayodhya)।

    পঞ্চবটি বনের প্রতিটি স্তরেই দেখা যাবে রামায়ণের প্রতিফলন

    এই পঞ্চবটি বনের প্রতিটি স্তরতেই দেখা যাবে রামায়ণের প্রতিফলন। মনে হবে, ঠিক যেন রামচন্দ্রের যুগেই ফিরে এসেছেন ভক্তরা। কোন কোন গাছ দিয়ে সাজানো থাকবে এই রামচন্দ্রের পঞ্চবটি বন (Ayodhya)? রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, পিপল গাছ, বটগাছ, আমগাছ, সমী গাছ, সীতা অশোক, কদম্ব, পলাশ, পারিজাত, চম্পা ইত্যাদি গাছ দিয়ে সাজানো থাকবে পঞ্চবটি বন। এখানে থাকবে ৮৮টি ঔষধি গাছও। যা  প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রগুলিতে উল্লেখ রয়েছে।

    সীতা অশোক গাছ আনা হচ্ছে শ্রীলঙ্কা থেকে

    এই গাছগুলোর হিন্দু ধর্মে শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক তাৎপর্যই নেই, এগুলির পরিবেশগত এবং ঔষধি মূল্যও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সীতা অশোক গাছ, যা পবিত্র মনে করা হয় এবং যার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় রামায়ণের যুগ থেকেই। সীতা অশোক গাছ আমদানি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কা থেকে, অন্যান্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকেও (Ayodhya) অনেক গাছ আনানো হয়েছে। তাই রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে এবার জীববৈচিত্র্য দেখা যাবে পঞ্চবটি বনকে কেন্দ্র করে।

    পঞ্চবটি বনে থাকছে কুণ্ড

    পঞ্চবটি বনকে (Panchavati) সাজানো হচ্ছে প্রাচীন ভারতের ধর্মশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে—এমন গাছ দিয়ে। গাছ এবং সবুজ ছাড়াও, পঞ্চবটি বনে আধ্যাত্মিক ধ্যান, জপ ইত্যাদি করার জন্য অনেকগুলি ‘কুণ্ড’ তৈরি করা হচ্ছে। ‘কুণ্ড’ মানে হচ্ছে পবিত্র পুকুর—এর চারপাশটা সাজানো হচ্ছে ফুলের বাগান দিয়ে। এর পাশাপাশি একটি বনবাসী আশ্রমও সেখানে থাকবে, সেখানেই দেখানো হবে জীবনের চারটি ভাগ (Ayodhya)।

    মাইলফলক হিসেবেই দেখছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এই পঞ্চবটি বনকে একটি মাইলফলক হিসেবেই দেখছে, যা অযোধ্যার সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত করবে। এই পঞ্চবটি বনের মাধ্যমেই ভক্তরা অনুভব করতে পারবেন রামায়ণের যুগের অরণ্য জীবনকে—এমনটাওই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। একবার সম্পূর্ণ হলে, প্রকৃতির সাথে সনাতন ধর্মের যে ঐক্য ও সম্প্রীতি, তাও দেখা যাবে (Ayodhya)।

  • Ex President Nasheed: মোদির মলদ্বীপ সফরের আগে চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে ব্যাপক প্রশস্তি ভারতের

    Ex President Nasheed: মোদির মলদ্বীপ সফরের আগে চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে ব্যাপক প্রশস্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ’২৫-’২৬ জুলাই তিনি থাকবেন চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে। ২৬ তারিখ সে দেশের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরেই গলবে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বরফ (Ex President Nasheed)।

    মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ (Ex President Nasheed)

    ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরের আগেই নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মলদ্বীপের রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ। প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফর প্রসঙ্গে কথা বলতে (Maldives) গিয়ে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ বলেন, “ভারতের সময়মতো সাহায্য মলদ্বীপকে ঋণখেলাপি হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে। যদি ভারত না থাকত, তবে আমরা ঋণখেলাপি হয়ে যেতাম।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মলদ্বীপে ভারতের সাহায্য ও অংশীদারিত্ব অত্যন্ত মূল্যবান। আমাদের কঠিন সময়ে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপ এবং বড় অঙ্কের দেনা শোধের দায়বদ্ধতার মুখে, ভারতের সময়োপযোগী সাহায্য আমাদের ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করেছে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও সাহায্য করেছে।” নাশিদ বলেন, “অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শুধুই আর্থিক সাহায্য নয়, বরং এটি বিশ্বাস ও আঞ্চলিক সংহতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।” তিনি বলেন, “এই ধরণের অংশীদারিত্ব প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তোলে।”

    ‘ভারত-প্রথম’ বিদেশনীতি

    মলদ্বীপের বিদেশনীতি প্রসঙ্গে নাশিদ বলেন, “দেশটি (মলদ্বীপ) সব সময় ভারতের দিকে ঝুঁকে থেকেছে। যদিও নির্বাচনী চক্করে পড়ে কখনও কখনও ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মধ্যে দোলাচলে থেকেছে।” তিনি বলেন, “মলদ্বীপ সব সময় একটি ‘ভারত-প্রথম’ বিদেশনীতি বজায় রেখেছে। তবে অতীতে নির্বাচনের সময় এটি কখনও চিনপন্থী, আবার কখনও ভারতপন্থী অবস্থানে চলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে মলদ্বীপে গণতন্ত্রের বিকাশ একটি আরও স্থিতিশীল এবং ধারাবাহিক বিদেশনীতি অনুসরণ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আজ আগের চেয়ে ভিন্নভাবে মলদ্বীপের রাজনৈতিক পরিসরে একটি সুদৃঢ় ‘ভারত-প্রথম’ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

    ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ

    নাশিদ বলেন, “মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলির ওপর অবস্থিত। এটি উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ১,০০০ কিলোমিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর ভারতের মালদ্বীপের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বকে ফের তুলে ধরবে। আমরা এই সম্পর্ককে স্বাগত জানাই। কারণ এটি আমাদের জাতীয় স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং যৌথ সমৃদ্ধির নতুন পথ উন্মুক্ত করে।” দ্বীপরাষ্ট্রের এই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি (Ex President Nasheed) বলেন, “ভারত মহাসাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে দৃঢ় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশীদারিত্ব কেবল কাঙ্ক্ষিত নয়, এটি অপরিহার্যও বটে।” তিনি (Maldives) বলেন, “উভয় দেশেরই সমুদ্রপথ রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা উন্নত করা এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।”

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে নাশিদ বলেন, “ভারতের উত্থান বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, বরং এটি সমন্বিত উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করেই গঠিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারত দ্রুত বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হচ্ছে, যার জিডিপি এখন ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমরা অনেক আগেই বুঝেছি, ভারতের সমৃদ্ধি তার প্রতিবেশীদের ক্ষতির বিনিময়ে আসেনি। ভারতীয় সমাজের স্বভাব নয় একা বড় হওয়া। তারা এক সঙ্গে এগিয়ে যেতে চায়। আমরা তা বুঝি।”

    ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি

    নাশিদ (Ex President Nasheed) বলেন, “ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি মলদ্বীপকে ভারতের গতিশীল অর্থনৈতিক গতিপথের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দিয়েছে। এই আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব ফলও আছে। মলদ্বীপের উচ্চমানের রিসোর্টগুলিতে ভারত থেকে আগত পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এটি খুব দ্রুত বেড়েছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং উন্নয়নের প্রতি আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।” দুই দেশের বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিরবিচ্ছিন্ন বাণিজ্য সর্বদা পারস্পরিক উপকার করে। ভারতের বাজারে মলদ্বীপীয় মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যা শুধু আমাদের রফতানির মানকেই নয়, বরং আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতাকেও প্রতিফলিত করে।”

    ভারতীয়দের প্রশংসা

    মোদির মলদ্বীপ (Maldives) সফরের আগেই ভারতীয়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মলদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদও। তিনি বলেন, “ভারত সব সময় আমাদের পাশে থেকেছে। শুধু একটা ফোন করলেই হল। ভারত সাড়া (Ex President Nasheed) দেবেই।” তিনি বলেন, “ভারতীয়রা উদার মনের মানুষ। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

LinkedIn
Share