Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পশ্চিমবঙ্গ (Birbhum) থেকে গ্রেফতার ২ জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। মূলত মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করে (Militants Arrested) ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার কাজই এরা করত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    বীরভূম থেকে ধৃত ২ (Birbhum)

    বছর আঠাশের আজমল হোসেন ও সাহেব আলি খান দুজনেই বীরভূমের বাসিন্দা। প্রথমজন থাকেন নলহাটিতে, আর অন্যজন মুরারইয়ে। তবে দুজনেই জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। জামাতের যে মডিউলের সদস্য এরা, তাদের দায়িত্ব ছিল মুসলমান যুবকদের মগজধোলাই করা। অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তাও ছড়িয়ে দিত এরা। পুরোটাই হত এনক্রিপ্টেড ভার্সানে। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে বিশেষ বিশেষ জায়গা ও বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার ছকও কষেছিল তারা। সেই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে নিরন্তর মগজধোলাই করে যেত মুসমনান তরুণদের।

    বাজেয়াপ্ত হয়েছে এই জিনিসগুলি

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমলের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। আজমল বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ও জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সে। আজমল বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিল বলে খবর। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল ও সাহেব। জেহাদিদের সঙ্গে টাকা লেনদেনও করত আজমল ও তার দোসর। আজমলের বাবা জার্জেশ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলে কোনওভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আজমল ছেলে কোনওদিন বাংলাদেশেও যায়নি বলেও দাবি তার। তিনি বলেন (Birbhum), “সাহেব মাঝে মাঝে আমার ছেলের কাছে আসত। সে-ই বইটই দিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালায় (Militants Arrested)। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বাংলাদেশি কিছু বই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে তারা।”

    কী বলছে অপারেশন টিম

    অপারেশন টিমের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এরা দুজনেই সক্রিয় ছিল দেশবিরোধী কাজে। দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের জেরা করে সম্পূর্ণ চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” তিনি বলেন, “দেশের বাইরে দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং সাহেব। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেনদেনও চলত বলে খবর।” জানা গিয়েছে (Birbhum), ধৃতদের আরও কয়েকজন সহযোগী বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের সাহায্যে আজমল ও সাহেব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। এর পাশাপাশি ধৃতেরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’-এর মতাদর্শ প্রচার ও বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল। ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ শব্দের অর্থ ‘ভারতে সশস্ত্র জেহাদ’ (Militants Arrested)। সূত্রের খবর, চণ্ডীপুর গ্রামের আজমল পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার। আর পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা সাহেব দর্জির কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজে লোকজন আসত। সেই সুযোগেই তরুণদের মগজ ধোলাই এবং সংগঠনে নিয়োগের চেষ্টা করত তারা।

    বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়

    বীরভূমের (Birbhum) সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল জমানায় বেশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গিদের। যেহেতু মুসলমানদের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যেহেতু তিনি অবিরাম তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছেন, তাই, বিরোধীদের মতে, পেয়ে বসেছে জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয় ঠাওরে নিয়ে আড়ে বহরে বাড়ছে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, মগজ ধোলাইয়ের কাজও করে চলেছে অবিরাম। অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হিন্দু বিতাড়নের ঘটনায়ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের উসকানি ছিল।

    জঙ্গি ধরা পড়েছে আগেও

    তবে বীরভূমের এই পাইকর থানা এলাকা নানা সময় খবরের শিরোনামে এসেছে জঙ্গি ধরা পড়ার কারণে। বছর পাঁচেক আগে এই থানারই কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা নাজিবুল্লা হাক্কানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেও জেএমবির সদস্য। নাজিবুল্লার আত্মীয়রা তাকে (Birbhum) নির্দোষ দাবি করলেও, এসটিএফ সেই সময় দাবি করেছিল, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারের সূত্র ধরে গ্রেফতার হওয়া নাজিবুল্লা আদতে জঙ্গি সংগঠনের তাত্বিক নেতা। তার হাত ধরেই বীরভূমে নয়া মডিউল তৈরির কাজ এগোচ্ছিল। তার সপক্ষেও নাজিবুল্লার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা।

    বর্ধমানের খাগড়গড়কাণ্ডে যে ১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল আদালত, তাদের মধ্যে ছিল ওই বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হাকিমও। তার বাড়ি বীরভূমেরই দেউচায় (Militants Arrested)। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে যেসব জেলায় জঙ্গি জাল ছড়ানোর হদিশ পেয়েছিল এনআইএ, সেই তালিকায় ছিল বীরভূমও। ওই কাণ্ডে একাধিক অভিযুক্তের (Militants Arrested) খোঁজ মিলেছিল বীরভূমের (Birbhum) নিমড়া গ্রামে।

  • India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    India Pakistan War: আকাশপথে পাকিস্তানের ৬টি এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত বিরাট কৌশলগত জয় ভারতের, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া ভারতের ২৬টি জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তান। মূলত, ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে হামলা চালায় পাকিস্তান (India Pakistan War)। শুক্রবার সন্ধে পেরিয়ে রাত গড়াতেই জম্মু-কাশ্মীর-সহ পঞ্জাব ও রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলা চালায় পাক সেনা। হামলা চালানো হয় জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে অবস্থিত এয়ার বেস সহ বিভিন্ন সামরিক পরিকাঠামোকে লক্ষ্য করে। তবে, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব হামলাকে প্রতিহত করে। পাশাপাশি, জনবসতি লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। তাতে নিহত হন কাশ্মীরের এক শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা। আহত হয় বেশ কয়েক জন ভারতীয় নাগরিকও।

    শনিতে প্রত্যাঘাত ভারতের, স্বীকার পাকিস্তানের

    এর পরই, শনিবার ভোরে প্রত্যাঘাত করে ভারত। আকাশপথে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সামরিক পরিকাঠামো। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যে, ৬টি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে একসঙ্গে আক্রমণ শানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (India Airstrike Pak Bases)। এই অভিযানের কথা ভারত সরকার জানিয়েছে। এদিন প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারত পাকিস্তানের ঠিক কোন কোন সামরিক অবকাঠামোয় আঘাত হেনেছে (India Pakistan War)। এদিন সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া জানিয়েছেন— যুদ্ধবিমান থেকে আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রফিকি, মুরিদ, চাকলালা (নূর খান) এবং রহিম ইয়ার খানে স্থিত পাক এয়ারবেসে ভারত অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়া, সুক্কুর ও চুনিয়ায় পাক বায়ুঘাঁটি, পসরুর রেডার স্টেশন এবং শিয়ালকোটের ঘাঁটিতেও প্রত্যাঘাত হানা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই অভিযান সংগঠিত করা হয়েছে। ভারতের এই প্রত্যাঘাতের (India Airstrike Pak Bases) কথা স্বীকার করে নেওয়া হয় পাকিস্তানের তরফেও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনসংযোগ বিভাগ ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স বা আইএসপিআর-এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ চৌধুরি তাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, নূর খান, মুরিদ ও রফিকি পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে ভারত।

    পাকিস্তানের এয়ারবেসে ভারতের এই প্রত্যাঘাত (India Pakistan War) ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা। শুধু তাই নয়, এর অভিযানের ফলে পাকিস্তান আরও দিশেহারা হয়ে পড়বে। কারণ, ভারত যে জায়গাগুলিতে বেছে বেছে আক্রমণ শানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য সেগুলির সামরিক ও কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই এয়ারবেসগুলিতে কী হয়? কেন ভারতের এই সামরিক অভিযান এত তাৎপর্যবহ।

    চাকলালা বা নূর খান এয়ারবেস (Chaklala/Noor Khan)

    ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাকলালা বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও উচ্চ-সুরক্ষিত সামরিক পরিকাঠামোগুলির মধ্যে একটি। পাক বায়ুসেনার বিভিন্ন অভিযান থেকে ভিআইপি পরিবহণ— উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ এই ঘাঁটি। এটি ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধ সহ অতীতের ভারত-পাক সংঘাতগুলিতে (India Pakistan War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মাঝ-আকাশে যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরা এবং সামরিক পরিবহণ মিশনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই ঘাঁটিতে। একইসঙ্গে, এটি শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের ব্যবহৃত বিমান সহ পাঁচ থেকে ছয়টি শীর্ষ সামরিক পণ্যবাহী স্কোয়াড্রনের ঘাঁটিও। ভবিষ্যতের অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য এখানে পাক বায়ুসেনার কলেজও রয়েছে। চাকলালায় আক্রমণ (India Airstrike Pak Bases) করে ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে যে, পাকিস্তানের সবচেয়ে সুরক্ষিত সম্পদও নাগালের বাইরে নয়।

    মুরিদ (Murid) এয়ারবেস, চাকওয়াল

    গত দুই দিন ধরে ভারতকে লক্ষ্য করে ড্রোন অভিযানের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে পাকিস্তানের চকওয়াল জেলায় অবস্থিত মুরিদ বিমানঘাঁটি। এখানে পাক বায়ুসেনার একাধিক স্কোয়াড্রন রয়েছে, যারা ‘শাহপার-১’ এবং তুরস্কের ‘বায়রাক্তার টিবি২’-এর মতো উন্নত ইউএভি (নজরদারি ড্রোন) এবং ইউসিএভি (হামলাকারী ও আত্মঘাতী ড্রোন) পরিচালনা করে। পাকিস্তানের ড্রোন যুদ্ধ কর্মসূচিতে এই ঘাঁটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সহায়তা থেকে শুরু করে হামলা— সব কিছুই সংগঠিত হয় এই এয়ারবস থেকে। ভারতের ওপর শয়ে শয়ে ড্রোন হামলাগুলি এখান থেকেই সংগঠিত করেছে পাকিস্তান। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত করে (India Airstrike Pak Bases) ভারত কড়া জবাব দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    রফিকি (Rafiqui) এয়ারবেস, শারকোট

    ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের (India Pakistan War) নায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সরফরাজ আহমেদ রফিকির নামে নামকরণ করা এই ঘাঁটিতে জেএফ-১৭ এবং মিরাজ যুদ্ধবিমানের একাধিক স্কোয়াড্রন এবং ইউটিলিটি হেলিকপ্টার রয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতের উপর সাম্প্রতিক আক্রমণে ব্যবহৃত প্রধান জেটগুলির তালিকার মধ্যে একটি ছিল জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। মধ্য পাঞ্জাবে এই বায়ুঘাঁটির অবস্থানের ফলে পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় ফ্রন্টে দ্রুত যুদ্ধবিমন মোতায়েন করতে পারে পাক বায়ুসেনা এবং পরিকাঠামোর দিক দিয়েও এই ঘাঁটি পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে, এখানে প্রত্যাঘাত বিরাট সাফল্যের।

    রহিম ইয়ার খান (Rahim Yaar Khan) এয়ারবেস, দক্ষিণ পাঞ্জাব

    রহিম ইয়ার খান ঘাঁটি দক্ষিণ পাক-পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান শহরের কাছে অবস্থিত একটি পাক বায়ুসেনার অন্যতম বড় সামরিক পরিকাঠামো। এটি শেখ জায়েদ বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। এটি ভারতের রাজস্থানের দিকে মুখ করে গড়ে ওঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরোয়ার্ড অপারেটিং ঘাঁটি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে, দক্ষিণ ও পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে দ্রুত বাহিনী মোতায়েনের এবং অভিযানের জন্য এই ঘাঁটির কৌশলগত মূল্য রয়েছে। পাকিস্তানের হামলার মুখ ভোঁতা করতে এখানে প্রত্যাঘাত প্রয়োজন ছিল।

    সুক্কুর (Sukkur) এয়ারবেস / পিএএফ ঘাঁটি ভোলারি

    সিন্ধুর প্রদেশের জামশোরো জেলায় করাচি এবং পাক-হায়দরাবাদের মাঝামাঝি অবস্থিত সুক্কুর বায়ুঘাঁটি। এটি ভোলারি বেস নামেও পরিচিত। পাক বায়ুসেনার এই ঘাঁটি দক্ষিণ বায়ুসেনা কমান্ডের অধীনে পড়ে। এটি নতুন পরিকাঠামো, সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে পাক বায়ুসেনার ১৮ এবং ১৯ স্কোয়াড্রন, যা যথাক্রমে জেএফ-১৭ এ/বি ব্লক-২ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করে। এছাড়া, অপারেশনাল কনভার্সন ইউনিট (ওসিইউ) এর ঘাঁটিও হল সুক্কুর। এখানে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রত্যাঘাত (India Airstrike Pak Bases) করে পাকিস্তানকে জোর ধাক্কা দিয়েছে ভারত।

    চুনিয়ান (Chunian) এয়ারবেস

    চুনিয়ান বায়ুঘাঁটি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রাথমিক অপারেশনাল ঘাঁটিগুলির মধ্যে একটি। পাঞ্জাবের চুনিয়ান শহরের কাছে অবস্থিত। এটি লাহোর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত (India Pakistan War)।

  • India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    India-Pakistan War: সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা! ‘‘ভারত প্রস্তুত’’, সম্মুখ সমরের ইঙ্গিত দিয়ে বলল সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্গিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতের পশ্চিম সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। তারা অনবরত আগ্রাসী ভূমিকা বজায় রাখছে। শনিবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান বারবার হামলার চেষ্টা করছে। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলি তাদের নিশানায়। পাক সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে, যদিও হামলার চেষ্টা প্রতিহত করছে ভারতীয় সেনা। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

    সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল পাকিস্তান

    সব সীমা ছাড়াচ্ছে পাকিস্তান (India-Pakistan War)। লাগাতার গোলাবর্ষণ তো করছিলই, এবার সীমান্তে বাহিনী এগোতে শুরু করল। ভারত সরকারের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর প্রথম এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তান চার রাজ্যে মোট ২৬টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলিক নিষ্ক্রিয় করেছে। ভারতও পাল্টা জবাবে ৪টি পাকিস্তানি এয়ারবেসে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া হামলা চালানো হয়েছে আরও ২ পাক এয়ারবেস, একটি সেনা বেস ও একটি রেডার স্টেশনে। পাকিস্তান সেনা সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোনো শুরু করতেই ভারতও তাদের সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।

    সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত পাকিস্তানের

    এ দিন উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জানান, পাকিস্তানের সেনা এগোনোর সিদ্ধান্ত তাদের আক্রমণাত্বক অভিপ্রায়কেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্নেল সোফিয়া বলেন, ‘‘পাকিস্তান মিলিটারি সীমান্তে তাদের বাহিনী এগোচ্ছে। দেখা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনা তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে আনছে। এতে তাদের আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় প্রকাশ পাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা। পাকিস্তান সেনা সীমান্তের দিকে যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা নিছক প্রতিরক্ষা কৌশল নয়—এটি সরাসরি আক্রমণের ইঙ্গিত। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং যেকোনও আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে।”  উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং-ও এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে জানান যে, পাকিস্তান তাদের বাহিনী সীমান্ত বরাবর এগিয়ে এনে ভারতের সার্বভৌমত্বে সরাসরি আঘাত হানতে চাইছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের পরিচয় বহন করে।” তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী (India-Pakistan War) সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ভারতের তিন বাহিনী।

    পাকিস্তানের লক্ষ্য সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি সাধন 

    জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গত কয়েক দিন ধরে পাকিস্তান ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এই ধরনের গোলাবর্ষণ যুদ্ধে কোনও অগ্রগতি এনে দেয় না। সীমান্তবর্তী সামরিক চৌকিতে উচ্চক্ষমতার আর্টিলারি গান (কামান) বসিয়ে সীমান্তের অন্য দিকে একনাগাড়ে গোলাবর্ষণ করাই যায়। যে কোনও দেশই সেটা করতে পারে। কিন্তু তাতে সীমান্ত এগোবে বা পিছোবে না। শত্রুপক্ষও খতম হবে না।পাকিস্তানের সামরিক কর্তারা সে কথা ভালই জানেন। তবু অনবরত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের সামরিক বাহিনীর দুর্ভেদ্য বর্মে পাকিস্তান এত জোরে ধাক্কা খাচ্ছে যে, অপমান ভুলতে লোকালয়ে গোলা ছুড়ছে, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। প্রেস বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল সারা রাত ধরে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। উধমপুর, পাঠানকোট, ভূজ, ভাটিন্ডা সহ ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাকিস্তান হাই স্পিড মিসাইল দিয়ে পাঞ্জাবের একটি এয়ারবেসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। ভারত সেই হামলাও প্রতিহত করেছে। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একটানা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, এমনকী লং রেঞ্জ মিসাইল দিয়েও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

    একটানা ড্রোন হামলা পাকিস্তানের

    দেশের পশ্চিম সীমান্তে ড্রোন হামলাও চালাচ্ছে পাকিস্তান। শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অমৃতসরের খাসা ক্যান্টের উপর শত্রুপক্ষের একাধিক সশস্ত্র ড্রোন দেখা উড়তে দেখা যায়। যা প্রতিহত করে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বিদেশ মন্ত্রক, সেনার সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এই দাবিগুলি ভুয়ো বলে জানান বিদেশসচিব। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, তা–ও মিথ্যা বলে জানান তিনি। মিস্রি বলেন, ‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    এই প্রেক্ষাপটে দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে (India-Pakistan War) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে আলোচনা করছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক (India-Pakistan Conflict) থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডার এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা এবং রণসজ্জা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এই ধরণের আচরণ করে (India-Pakistan Conflict) আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করতে চাইছে। এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়ম ও সমঝোতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

  • RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে। দেশটি অচিরেই পাঁচভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।” শুক্রবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রবীণ প্রচারক ইন্দ্রেশ কুমার। পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ (RSS)

    ইন্দোরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘জিএএফসিওএন-এবিসিআই নর্থ ইন্ডিয়া লিডারস কনফারেন্স’-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “আমরা জানি না পাকিস্তানের কী হবে। কিন্তু মানুষ বলছে এই দেশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।” ইন্দ্রেশ কুমার ব্যাখ্যা করেন, ‘কিছু লোক মনে করে পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের শিকার। তারা এও মনে করে যেহেতু দেশটি ইতিমধ্যেই ৮০ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে, তাই এর অস্তিত্বের সময় হয়তো শেষের পথে। কারণ প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুই এক সময় বিলুপ্ত হয় (RSS)।’

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারত সনাতন সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা দেশ যার কোনও নির্দিষ্ট জন্মতারিখ নেই। সেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে নতুন রাষ্ট্র।” তিনি বলেন, “এই সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের যে নয়া রাষ্ট্রস্বত্ত্বা তার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না।”

    অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ এই আরএসএস নেতা বলেন, “পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি উঠছে। সিন্ধু, বালুচিস্তান, পশতু অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের মতো এলাকাগুলো আলাদা হতে চাইছে। আর পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।” তাঁর মতে, এসব আন্দোলন পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি দেশবাসীকে জাতপাত, দলীয় রাজনীতি, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও ভাষাভিত্তিক বিভাজন অতিক্রম করে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বানও জানান। বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যের পার্থক্য ভুলে একত্রিতভাবে সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে হবে এবং পাকিস্তানকে শক্ত বার্তা দিতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ গোটা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এটি আদতে (Operation Sindoor) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স মনোভাবেরই প্রতিফলন (RSS)।

  • India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    India Pakistan War: ধর্মীয় স্থানকে নিশানা! জম্মুর শম্ভু মন্দিরে মর্টার হামলা পাকিস্তানের, জবাব দিচ্ছে সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মুতে (Jammu) জারি হল রেড অ্যালার্ট৷ শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকেই জম্মুতে লাগাতার শেলিং শুরু করে পাকিস্তান (India Pakistan War) ৷ পাক হামলায় এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই, তিনজন আহত৷ গতকাল রাত থেকে জম্মু থেকে শুরু করে শ্রীনগর, এদিকে পঞ্জাবের অমৃতসর থেকে রাজস্থানের একাধিক এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান৷ জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার চলছে গোলাবর্ষণ ৷ তবে পাকিস্তানের হামলা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে ভারত। শনিবার সকালে জম্মুর শম্ভু মন্দিরে পাকিস্তানের গোলা এসে পড়েছে। মন্দির চত্বরে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।

    মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ

    উত্তর পশ্চিম সীমান্তে টানা গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ জম্মুর আপ শম্ভু মন্দিরের কাছে ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। মন্দিরের দরজার সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সেই ড্রোন ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কাছে থাকা একটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলিরও ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে আপ শম্ভু মন্দিরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পাকিস্তানের হামলায় রজৌরিতে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের ছোড়া একটি গোলা গিয়ে পড়ে। তিনি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

    জম্মুতে লাগাতার হামলা পাকিস্তানের

    জম্মু (Jammu) উধমপুরে শোনা যাচ্ছে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ। শহরের মধ্যে আকাশ ঢেকে যাচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডলিতে। জম্মু, পাঠানকোট, শ্রীনগর, উধমপুর লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করছে পাকিস্তান। প্রায় প্রতি ২ মিনিট অন্তর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। জম্মুর পাশাপাশি ভারতের পশ্চিম সীমান্তে লাগাতার ড্রোন দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান (India Pakistan War)। সাধারণ নাগরিকদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চলছে। সেনা প্রতিহত করছে। পাল্টা জবাবও দেওয়া হচ্ছে, বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর, জম্মু, রজৌরিতে শোনা যাচ্ছে পর পর বিস্ফোরণের আওয়াজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডির কাছে তিনটি এয়ারবেসে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির নুর খান, সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুর, চাকওয়ালের মুরিদ এয়ারবেস ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের আকাশে আপাতত সমস্ত রকম বিমানের উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে। হরিয়ানার সিরসার আকাশে পাক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, উধমপুরে বায়ুসেনা চিকিৎসা কেন্দ্র ও স্কুলকে নিশানা করেছে পাকিস্তান। বারবার সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সেনা সূত্রে খবর, অন্তত ২৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। দ্রুত জবাব দিয়েছে ভারত।

  • BSF: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে বিএসএফ, বাড়বে ১৭০০০ জওয়ান

    BSF: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে বিএসএফ, বাড়বে ১৭০০০ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের (Indo Pak War) আবহে ১৬টি নয়া ব্যাটেলিয়ন পেতে চলেছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ (BSF)। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ১৭০০০ জওয়ান বাড়তে চলেছে সব মিলিয়ে। একইসঙ্গে দুটি নতুন ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার বা অপারেশনাল কমান্ড সেন্টারও তৈরি হচ্ছে। নতুন দুটি ফিল্ড হেডকোয়ার্টার গড়ে উঠবে দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডে, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জম্মু ও পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে জম্মুতে একটি সেক্টর তৈরি করা হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তে আরও ভালো নজরদারির জন্য দ্বিতীয় সেক্টরটি (BSF) মিজোরামে তৈরি হবে।

    অপেক্ষা কেন্দ্রের চূড়ান্ত অনুমোদনের

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১৬টি নতুন ব্যাটেলিয়নের অনুমতি মিলেছে, আপাতত অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রের চূড়ান্ত সম্মতির। আরও জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর ধাপে ধাপে এভাবেই বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে, খবর বিএসএফ সূত্রে। এই নতুন ব্যাটেলিয়নগুলি বিএসএফ-কে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা দেওয়ার কাজে সহায়তা করবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ছাড়পত্র মিললেই এর কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডের সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ-এর ১৯৩টি ব্যাটেলিয়ন

    একদিকে, পাকিস্তানের (Indo Pak War) সঙ্গে যুদ্ধের আবহ তো রয়েছে পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকেও বাড়ছে অনুপ্রবেশ। ২০২৪ সালে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের ভারত বিরোধী কার্যকলাপ খুবই বেড়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি মডিউলগুলিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই বিএসএফে বাহিনীর সংখ্যা বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশের ওয়েস্টার্ন ও ইস্টার্ন কমান্ডের সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ-এর ১৯৩টি ব্যাটেলিয়ন। এক একটি ব্যাটেলিয়নে থাকে ১০০০ জনেরও বেশি আধাসেনা। এরপর ১৬টি নতুন ব্যাটেলিয়ন (BSF) পাওয়া গেলে আধাসেনার সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজারের কাছাকাছি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    India-Pakistan War: যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব, ৩২টি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বড় পদক্ষেপ করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত দেশের ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাক সীমান্তবর্তী উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দর গুলিতে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ১৫ মে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ফের এখানে পরিষেবা চালু হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘোষিত এই সিদ্ধান্তটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অশান্তির আবহে নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।

    কোন কোন বিমানবন্দরকে নির্দেশ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (AAI) এবং সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ বিমানকর্মীদের (NOTAMs) জন্য একাধিক নোটিস জারি করেছে। যে ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে অমৃতসর, চণ্ডীগড়, শ্রীনগর, লুধিয়ানা, ভুন্টার, কিষেণগড়, পাটিয়ালা, সিমলা, কাংড়া-গগ্গল, ভাটিণ্ডা, জৈসলমের, জোধপুর, বিকানের, হলওয়ারা, পঠানকোট, জম্মু, লেহ্‌, মুন্দ্রা, জামনগর, হিরাসর, পোরবন্দর, কেশোড়, কান্দলা, ভূজ। ইতিমধ্যে এই ৩২টি বিমানবন্দরে ওঠানামা করার কথা ছিল যে সব বিমানের, সেগুলি বেশির ভাগই বাতিল করে দিয়েছে সংস্থাগুলি। এয়ার ইন্ডিয়া জম্মু, শ্রীনগর, লেহ্‌, জোধপুর, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, ভূজ, রামনগর, রাজকোটে যাতায়াতকারী তাদের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে। যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সংস্থা। বিমান সংস্থা ইন্ডিগোও বেশ কিছু বিমান বাতিল করেছে।

    কেন বন্ধ বিমান চলাচল

    অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। যার বেশিরভাগই মাঝ আকাশে নষ্ট করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই অবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে সরকার। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ১৪ মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।

    কলকাতা বিমানবন্দরে জারি হাই অ্যালার্ট

    ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ আবহে কলকাতা বিমানবন্দরে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সিআইএসএফের সমস্ত কর্মীদের ছুটি। যারা ছুটিতে ছিলেন, তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে অ্যারাইভাল, ডিপারচারে কোন গাড়ি দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। অসামরিক উড়ান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। যাত্রীদের উড়ানের ৩ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেড় ঘণ্টা আগেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

  • Indus Waters Treaty: বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা শুধু সাহায্যকারী হিসাবে, সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বললেন অজয় বঙ্গা

    Indus Waters Treaty: বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা শুধু সাহায্যকারী হিসাবে, সিন্ধু চুক্তি নিয়ে বললেন অজয় বঙ্গা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত করা নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে একাধিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। এই আবহে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের (World Bank President) প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গা। অত্যন্ত নির্দিষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গার মতে, ‘‘সাহায্যকারীর বাইরে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। মিডিয়াতে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে কীভাবে বিশ্বব্যাঙ্ক এনিয়ে পদক্ষেপ নেবে ও এই সমস্যাটা ঠিকঠাক করবে। কিন্তু এগুলি সব বাজে কথা। বিশ্বব্যাঙ্কের ভূমিকা কেবলমাত্র একজন সাহায্যকারী হিসাবে।’’

    পহেলগাঁও হামলার পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে ভারত

    এইভাবেই কার্যত নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল বিশ্বব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হানার পরেই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করে ভারত। তারমধ্যে অন্যতম ছিল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের ((Indus Waters Treaty) ) মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দুই দেশ ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাক্ষরকারী ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী – চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলামের জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল (Indus Waters Treaty)। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একে অপরের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু, জলসেচ ইত্যাদি কাজে।

    বৃহস্পতিবারই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এই সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন

    প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবারই বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এই সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে কিছু ইস্যু আমি বলতে চাই। কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে এই ইস্যু সম্পর্কে। আসল বিষয়টি হল পরিস্থিতির মূলগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে যার জেরে সিন্ধু জলচুক্তিটা (Indus Waters Treaty) আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।’’

  • Vikram Misri: ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান’’, বললেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    Vikram Misri: ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান’’, বললেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিকালেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। সেখানেই পাকিস্তানের তৈরি করা ভুয়ো খবর নিয়ে হাটে হাড়ি ভাঙলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। এদিন তিনি বলেন, ‘‘কোণঠাসা হয়ে গোটা বিশ্বের কাছে মিথ্যে তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান (India Pakistan War)।’’

    কী বললেন বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)?

    তিনি (Vikram Misri) আরও বলেন, ‘‘গত রাতে পাকিস্তান যে হামলা চালিয়েছে, সেই সম্পর্কে দেশের জনগণ জ্ঞাত। ভারতীয় সেনাও তাদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে। তবে পাকিস্তান বারংবার দাবি করেছে, ওরা কোনও ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ চালায়নি। উল্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলে বলেছে, আমরা নাকি অমৃতসরের নানা জায়গায় হামলা চালিয়ে, ওদের দিকে দোষ ঠেলছি। কিন্তু গোটাটাই ভুয়ো। কাশ্মীরের পুঞ্জের একটি গুরুদ্বারে এই সময় হামলা চালায় পাকিস্তান। যার জেরে ওই ধর্মীয় স্থানের এক প্রধানের মৃত্য়ু হয়।’’ ভারতের বিদেশ সচিব আরও বলেন, ‘‘শুধুই পুঞ্চ নয়। ভারতের একাধিক এলাকাতেও হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। এমনকি, ওরা কোণঠাসা হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আরও একটি ভুয়ো অভিযোগ করে। পাকিস্তানের দাবি, ভারত নাকি তাদের দেশের অন্দরে থাকা গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছে। আসলে ওরা গোটা ব্যাপারটাকে একটা সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ দিতে চাইছে।’’

    ৩৬ জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলারও চেষ্টা করে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি ছাড়াও হাজির ছিলেন সেনার দুই মহিলা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। কর্নেল কুরেশি বলেন, ‘‘রাত আটটা থেকে ৯টার মধ্যেই সবথেকে বেশি হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। পশ্চিমী সেনা ঘাঁটিগুলিতে সবথেকে বেশি হামলার চেষ্টা। বারবার বায়ুসীমা পার করার চেষ্টা করে পাক বায়ু সেনা। ৩৬ জায়গায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলারও চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সমস্ত ড্রোনকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে সমর্থ হয় ভারতীয় সেনা।’’

  • Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভারতের হাতে মার খেয়ে আপাতত নানা আজব যুক্তি সাজাতে ব্যস্ত পাকিস্তান (India Pakistan War)। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Pakistan) বলেছেন, তাঁরা চাইলেই নাকি এই ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারতেন। কিন্তু চেষ্টা করেননি! কেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আসিফ। তাঁর মতে, ইন্টারসেপ্টর কোথায় রাখা আছে এর ফলে জেনে যেত ভারত, তাই ইচ্ছে ভারতের ড্রোন হামলা আটকায়নি পাকিস্তান! এমন আজব যুক্তি শুনে স্তম্ভিত সব মহলই।

    কী বললেন আসিফ?

    পাক সংসদে (Pakistan) বক্তব্য রাখার সময়ে আসিফ দাবি করেন, ‘‘পাকিস্তান চাইলেই ভারতের ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারত। কিন্তু তা করতে গেলে পাক সেনার নানা ক্যাম্পের হদিশ পেয়ে যেত ভারত। তাই প্রতিঘাত করা হয়নি!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের লোকেশন জানাতে চাইনি ভারতকে। তাই ইচ্ছে করেই ড্রোন হামলা করতে দিয়েছি। তা প্রতিহত করার চেষ্টা করিনি। পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কোথায় আছে, তা খুঁজতেই ড্রোনগুলি পাঠিয়েছিল ভারত।’’ আসিফের এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে এবং তা কার্যত অবাক করেছে সকলকে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তান (Pakistan) এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে নানা রকম ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পাকিস্তান খবর রটিয়ে দিয়েছিল ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান নাকি পাকিস্তান ধ্বংস করে দিয়েছে। পরে স্পষ্ট করা হয়, সেই খবর নাকি ভুয়ো। খোদ পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করে তার পক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, কোনও ভারতীয় নয়, এবার এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল পাকিস্তানের (Pakistan) সাংসদকেই। ভারত-পাক উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির মাঝেই নিজের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে ‘কাপুরুষ’ বলে আক্রমণ করলেন পাক রাজনৈতিক নেতা সৈয়দ আহমেদ। পাকিস্তানের (India Pakistan War) সংবাদমাধ‍্যমে ইতিম্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও। ইমরান খানের দলের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতিও আসেনি। সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যরা আশা করে যে সরকার সাহসিকতার সাথে লড়াই করবে। যখন আপনার নেতা একজন কাপুরুষ যিনি মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, আপনি সীমান্তে লড়াই করা সৈন্যকে কী বার্তা দিচ্ছেন?’’

LinkedIn
Share