Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর প্রত্যাঘাত ভারতের। পহেলগঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপরেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান। ভারতের উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো হয়, বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরই পরিকল্পিতভাবে মিডনাইট স্ট্রাইক ভারতের। তিনি যোগ করেন, এই ঘাঁটি থেকে আরও হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তাই এগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

    সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলার তদন্তে পাকিস্তানের যোগসূত্র সামনে এসেছে। ২২ এপ্রিলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করা। এই হামলা ছিল অমানবিক এবং নির্মম। এর মাধ্যমে কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা হয়েছে। হামলার ধরন স্পষ্টভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত। এটি শুধুই একটি প্রাণঘাতী আক্রমণ নয়, বরং বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাধ্যমে এক আতঙ্কের বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা।’’ বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িতদের এবং পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করেছে। ভারত সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস করার জন্য তার অধিকার প্রয়োগ করেছে।’’

    কোথায় কোথায় হামলা

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের ২টি জায়গা, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি এবং ভীমবের। এছাড়াও গুলপুর ও চক আমরুতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি, সারজালে জইশ ঘাঁটি, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, বারনালায় লস্করের ঘাঁটি, কোটলিতে জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি, মুজফ্ফরাবাদে লস্কর ও জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিচালিত এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দেন ভারতীয় স্থলসেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানের যে কোনও প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, বলে জানান সোফিয়া। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি দেখানো হয় সাংবাদিক বৈঠকে। এরপর তাঁরা বলেন, “কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।

  • Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত (India)। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী (Operation Sindoor)। ভারতের এই প্রত্যাঘাত অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। সেনার তরফ থেকে এয়ার টু সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে এই সফল হামলা চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভারতের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, সংখ্যাটা হতে পারে আরও কয়েক গুণ বেশি।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল (Operation Sindoor)?

    ● বাহওয়ালপুরের মারকাজে জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে

    ● মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● তাহরা কালানের সারজালে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● শিয়ালকোটের মেহমুনা জোয়ায়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মারকাজে আহলে হাদিসে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের শাওয়াই নাল্লা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্পে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    কতজন সন্ত্রাসী খতম (Operation Sindoor)?

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিধন হয়েছে। তবে, এটাই শেষ নয়। কারণ, ভারতীয় সেনা গোয়েন্দাদের সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই সব জঙ্গি ঘাঁটিতে ৯০০-র কাছাকাছি জঙ্গি ছিল। বাহওয়ালপুরে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। মুরিদকে ছিল ১২০ জনেরও বেশি জঙ্গি। মুজাফ্ফরাবাদে ১১০-১৩০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। কোটলিতে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। গুলপুরে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। ভিম্বারে ৬০ জন জঙ্গি ছিল। চক আমরুতে ৭০-৮০ জন জঙ্গি ছিল। শিয়ালকোটে ১০০ জন জঙ্গি ছিল। এই ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে, ধ্বংসস্তূপ সরলে সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। পাকিস্তান দাবি করেছে ৮ জন মারা গিয়েছে। এদিকে, সূত্রের খবর, বাহওয়ালপুরে নিহতদের মধ্যে জৈশ প্রধান আজহার মাহমুদের পরিবারেরই ১৪ সদস্য রয়েছে।  ফলে, পাক কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণিত।

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! পাকিস্তানের ১০০ কিমি ভিতরে ঢুকে চলল হামলা (Operation Sindoor)

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! অর্থাৎ ‘‘ঢুকে মারব’’। পহেলগাঁও হামলার পর বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা রেখেছেন তিনি। শুধু পাক-অধিকৃ ত কাশ্মীরই নয়, একেবারে পাকিস্তানের (Operation Sindoor) ভূখণ্ডেও এয়ারস্ট্রাইক চালাল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। ৯ জায়গায় প্রত্যাঘাত। ১৯৭১ সালের পরে পাকিস্তানের এত বেশি অভ্যন্তরে গিয়ে অভিযান চালাল ভারত।

    ১. বাহাওয়ালপুর – ১০০ কিমি ভেতরে
    ২. মুরিদকে – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৩. গুলপুর – ৩৫ কিমি ভেতরে
    ৪. সাওয়াই ক্যাম্প – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৫. বিলাল ক্যাম্প – দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়নি
    ৬. কোটলি ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে
    ৭. বার্নালা ক্যাম্প – ১০ কিমি ভেতরে
    ৮. সরজাল ক্যাম্প – ৮ কিমি ভেতরে
    ৯. মেহমুনা ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারতীয় সেনা! কেন এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’? কার দেওয়া জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৬ দিন আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। হাতে মেহেন্দি, মাথায় সিঁদুর নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বৈসরণে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন হিমাংশী নরওয়াল। হঠাতই চোখের সামনে স্বামীকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয় জানার পরই গুলি চালানো হয়। ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান নৌসেনার অফিসার লেফটেন্যান্ট বিনয় নরওয়াল। হাতের মেহন্দি ওঠার আগেই সিঁথির সিঁদুর মুছে যায় হিমাংশীর। কয়েকদিন পর স্বামীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর সময় তাঁর সিঁথি ফাঁকা ছিল। সেই সিঁদুরেরই মূল্য চোকাতে হল পাকিস্তানকে। নির্ভুল প্রত্যাঘাত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখার জন্য বলেন। সেইমতো ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)।

    সিঁদুর বিবাহিত হিন্দু নারীর সম্মানের প্রতীক

    ‘সিঁদুর’ শব্দটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর তাৎপর্য বহন করে। হিন্দু ঐতিহ্যে সিঁদুর বিবাহিত নারীর সৌভাগ্য ও সম্মানের প্রতীক। এটি রক্তের সঙ্গেও যুক্ত, যা সাহস, ত্যাগ এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতি তাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে ৷ ‘সিঁদুর’ নামটি শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানই নয়, বরং জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করছে।

    সিঁদুর বীরত্বের প্রতীক

    হিন্দু মহিলাদের কাছে সিঁদুরের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার সিঁদুরের তিলক বীরত্বেরও প্রতীক। ভারতের যোদ্ধারা শত্রুকে নিধনে যাওয়ার সময় এই সিঁদুরের তিলক পরেন। মারাঠা ও রাজপুত যোদ্ধারা কপালে সিঁদুরের তিলক নিয়েই যুদ্ধে যেতেন। বিজয়ী হয়ে ফিরলেও তাঁদের এই তিলকে বরণ করা হতো। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) রাখার জন্য বলেন। সেইমতো এই অভিযানের নাম রাখা হয় অপারেশন সিঁদুর। এই অভিযানের নাম অপারেশন সিঁদুর রাখা নিয়ে নিহতদের পরিজনরা বলছেন, ভারতীয় সেনা মহিলাদের সম্মান জানাল। জঙ্গি হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ায়ও খুশি তাঁরা এছাড়া, ‘সিঁদুর’ শব্দটি সিন্ধু নদীর সঙ্গেও সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ত। সিন্ধু নদী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

  • PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    PM Modi on Indus Water Treaty: ‘দেশের জল বইবে দেশের স্বার্থেই’, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল নিয়ে প্রথমবার কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইচ্ছাতেই নদীর জল বইবে এবং থামবে। ভারতের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে সেই জল। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল (PM Modi on Indus Water Treaty) করা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, ভারতের জল বইবে ভারতের স্বার্থেই। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তান শুকিয়ে মরলেও সিন্ধুর জল নিয়ে আগে দেশবাসীর কথা ভাববে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ চাপানউতর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহল।

    প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে নদী সংযুক্তিকরণ শুরু করেছে। কেন-বেতোয়া সংযুক্তিকরণ, পার্বতী-কালীসিন্ধ-চম্বল সংযুক্তিরণের কাজ চলছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আজকাল তো সংবাদমাধ্যমে জল নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। আপনারা খুব দ্রুত বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন। আগে ভারতের হকের জল বাইরে যেত। কিন্তু এখন ভারতের জল ভারতের কথায় বইবে। যদি কোথাও থামাতে হয়, সেটাও দেশের স্বার্থে থামানো হবে। ভারতের জল শুধু ভারতেরই কাজে লাগবে।’’ পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। আগামী দিনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে যে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসবে না নয়াদিল্লি, সেটা মোদির কথাতেই স্পষ্ট। পাকিস্তানকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি ভারত মানছে না। ভারতের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, চুক্তির উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। সেকারণেই এই চুক্তি বাতিল করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছেন জলশক্তি মন্ত্রী

    ভারতের জল যাবে না পাকিস্তানে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বিস্তারিত রোড ম্যাপ তৈরির পরই এই ঘোষণা করেছেন জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল (CR Patil)। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী দিনে ভারত থেকে এক ফোঁটা জল পাবে না পাকিস্তান। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিআর পাটিল বলেন, ‘‘হোম মিনিস্টারের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান যাতে ভারতের থেকে এক ফোঁটা জল না পায়, সেই জন্য কম, মাঝারি ও দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নদীর পলি তোলার কাজ শুরু করে গতিপথ পরিবর্তন করা হবে।’’

    সিন্ধু জলচুক্তি কী

    ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জলচুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। ১৯৬০ সালের চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুযায়ী, বিতস্তা ও চন্দ্রভাগার জলের উপরে পাকিস্তানের অধিকার ৮০ শতাংশ, ভারতের ২০ শতাংশ। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত। দীর্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লির দাবি ছিল, সিন্ধু জলচুক্তিতে সংশোধন করতে হবে। কারণ ভারতের নদীবাঁধ দেওয়া নিয়ে বরাবর ইসলামাবাদের প্রবল আপত্তি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও এই চুক্তিতে সংশোধন চেয়ে ইসলামাদকে কড়া নোটিসও পাঠায় ভারত। এবার পহেলগাঁও হামলার পরে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত চরম পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি।

    কী বলেছে কাশ্মীর

    সিন্ধু জল চুক্তির বিষয়ে মুখ খুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬০ সালের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া এই চুক্তি কাশ্মীরের জন্য সবথেকে বৈষম্য়মূলক একটি নথি। অবশেষে ভারত সরকার পদক্ষেপ করল। আমরা কখনওই এই চুক্তির সঙ্গে সহমত ছিলাম না। কাশ্মীরবাসী বরাবর এই চুক্তির বিরোধিতাই করেছে। এক্ষেত্রে আমরা মোদি সরকারের পাশ আছি।’’

    দেশবাসীর স্বার্থই সবার আগে

    এদিনের অনুষ্ঠানে সরকারের ব্যর্থতা এবং তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগের সরকার বড় পদক্ষেপ করতে পারত না। চিন্তা করত দুনিয়া কী ভাববে? ভোট পাওয়া যাবে কি যাবে না? কুর্সি থাকবে কি থাকবে না? ভোট ব্যাঙ্ক ধসে যাবে না তো? কিন্তু আমরা সংস্কার করেছি, নানা ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ করেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই তিন তালাক প্রথা রদ করার কথা উল্লেখ করেন মোদি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের সরকারি সিদ্ধান্তও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে অন্যেরা ভারতকে কেবল একটি বাজার হিসাবে দেখত। কিন্তু এখন ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে। তা কেনে অন্য দেশ। নিজের জোরে ভারতের কাছে এখন রয়েছে আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস নীলগিরির মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ।’’ তিনি আরও দাবি করেন, গত এক দশকে ২৫ কোটির বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের সীমার বাইরে আনা হয়েছে। ‘মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে ছোট উদ্যোক্তারা সরকারী ঋণ পেয়ে নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন, যা গণতন্ত্রের কার্যকারিতার দৃষ্টান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একমাত্র নীতি হওয়া উচিত দেশ সবার আগে।’’

  • Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    Operation Sindoor: পহেলগাঁওয়ের বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’, মধ্যরাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত। মঙ্গলবার মধ্য রাতেই প্রত্যাঘাত করল ভারতীয় সেনা। রাফালের হানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, খতম প্রায় ৯০০ জঙ্গি। জয়শ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর ৪টি ঘাঁটি, হিজবুল-মুজাহিদিনের ২টি ও লস্কর-ই-তৈবার ৩টি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে দুটো নাগাদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) শুরু করেছে। পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানে এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গায় শুধু মাত্র জঙ্গি পরিকাঠামোগুলিকে লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে।

    ‘‘সুবিচার হয়েছে, জয় হিন্দ’’, পোস্ট সেনার (Operation Sindoor)

    জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, মুজফফরাবাদে লস্কর-ই-তইবার ট্রেনিং সেন্টার সহ মোট নটি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। এই প্রত্যাঘাতের পরেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ভারতীয় সেনা। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সুবিচার হয়েছে। জয় হিন্দ।’’ সেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের কোনও মিলিটারির কোনও ক্যাম্পকে এক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ নির্দিষ্ট, পরিমিত বলেও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতের কথা রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেনকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের (Operation Sindoor) বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথাও বলেছেন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন

    অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের একটি ফাইটার জেট জেএফ১৭-কে গুলি করে নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সফল ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সারারাত ধরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্ট্রাইকের পরিস্থিতি দেখেন। ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকের কথা স্বীকারও করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের এই অভিযানের জেরে একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে তারা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ইতিমধ্যেই ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে লাহোর- শিয়ালকোট বিমানবন্দর।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল?

    জানা যাচ্ছে, ভারতের এই বিমান হানায় (Operation Sindoor) মুজফফরবাদে লস্করের ট্রেনিং ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাহাওয়ালপুরে মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে। পাকিস্তানে বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশের সদর দফতরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ট্রেনিং সেন্টারেও করা হয়েছে হামলা । যে জায়গাগুলিতে হামলা চলেছে, এর প্রতিটি ঘাঁটি থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে বলে খবর। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এর পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    ভারতের হাতে থাপ্পড় খেয়ে বদলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই এক্স হ্যান্ডলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ভারত মাতা কী জয়!’ এদিকে মঙ্গলবার রাতেই হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতের এই জঙ্গি দমন অভিযানকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে তোপ দাগা হয়েছে। ভারতের হাতে এমন বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় খেয়ে রেগে কাঁই হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই হামলার বদলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই হামলায় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধেরও অভিযোগ তুলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সময়মতো এর যোগ্য জবাব দেবে পাকিস্তান। এদিকে, প্রত্যাঘাতের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানের তৎপরতা বেড়েছে। গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। পালটা যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।

    কেন নামকরণ অপারেশন সিঁদুর?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি পহেলগাঁও হামলায় নিহত নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ এবং জাতির সম্মান রক্ষার প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় মহিলাদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই এই নামকরণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোটা সন্ত্রাসী হামলার তদারকি করা হয় পাকিস্তানে বসেই। ২৫ হিন্দু মহিলার স্বামীকে হত্যা করা হয় পহেলগাঁওয়ে। এঁদের মধ্যে একজনের স্বামীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা বলেছিল, ‘‘মোদিকে গিয়ে বলো’’! এবার হিন্দু মহিলাদের সিঁদুর মোছার বদলা নিল ভারত।

  • Mizoram: রেলওয়ে মানচিত্ৰে মিজোরামের রাজধানী, আইজলের সাইরাং পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান

    Mizoram: রেলওয়ে মানচিত্ৰে মিজোরামের রাজধানী, আইজলের সাইরাং পর্যন্ত সফল ট্রায়াল রান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের রেল মানচিত্রে যুক্ত হল মিজোরামের (Mizoram) রাজধানী আইজল। এখানকার সাইরাং পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান সফলভাবে সম্পন্ন করে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (NF Railways)। উত্তরপূর্ব রাজ্যের সাথে রেল সংযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। মিজোরাম হল উত্তর-পূর্বের চতুর্থ রাজ্য যা ভারতের রল-ম্যাপে নিজেদের জায়গা পাকা করল।

    কঠিন ভূখণ্ড ভেদ করে রেল সংযোগ

    উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা সম্প্রতি এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ) অরুণকুমার চৌধুরী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন রেলকর্মীদের উপস্থিতিতে গত ২ মে, বৃহস্পতিবার এই ঐতিহাসিক ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়েছে। কঠিন ভূখণ্ড ও লজিস্টিক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে এই রেল যাত্রা উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নিষ্ঠার প্রতিফলন। সাইরাঙে সফল পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর পর অরুণকুমার চৌধারী মিজোরামের রাজ্যপাল অবসরপ্ৰাপ্ত জেনারেল (ড.) বিজয়কুমার সিং এবং মিজোরামের (Mizoram) মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমাকে ভৈরবী-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পের পরিধি, অগ্রগতি এবং কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে নানান কথা জানান।

    ভারতীয় রেলের বিস্ময়

    অরুণকুমার চৌধারী বলেন, প্রকল্পের নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, জুনের শুরুতে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার এই প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ১৭ জুনের পর ভৈরবী-সাইরাং রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেলওয়ে প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি প্রকৌশল বিস্ময়। এই প্রকল্পে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি প্রধান সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট টানেলের দৈর্ঘ্য ১২,৮৫৩ মিটার। ১৯৬ নম্বর সেতুর উচ্চতা ১০৪ মিটার, যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার বেশি। এই প্রকল্পে পাঁচটি রোড ওভারব্রিজ এবং ছয়টি রোড আন্ডার ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নতুন এই লাইন প্রকল্পকে চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলি ভৈরবী-হরতকি, হরতকি-কাউনপুই, কাউনপুই-মুয়ালখাং এবং মুয়ালখাং-সাইরাং।

    এক নতুন দিগন্ত

    প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নতুন রেল প্রকল্পের দ্রুত সমাপ্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মিজোরামে সংযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য স্থানীয় পর্যটন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র শিল্পকে সহায়তা করা এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ খরচ কমানো। এটি মিজোরামের (Mizoram) রাজধানী থেকে দেশের অন্যান্য অংশের মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে আনবে। এই প্রকল্পটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

     

     

     

  • Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বুধবার। এদিন মক ড্রিল করবে ভারত। এজন্য সারা হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এহেন আবহে সুর নরম করে ‘সন্ধির প্রস্তাব’ দিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তানের (Pakistan) সম্পর্ক। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতও। তখনই বিলাওয়াল গর্জন করেছিলেন, “সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্তগঙ্গা বইবে।” এর পরেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেল ব্লক করে দেয় কেন্দ্র।

    কী বললেন জারদারি? (Bilawal Bhutto Zardari)

    পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে বিলাওয়াল বলেন, “ওই অপরাধে পাকিস্তানের কোনও হাত ছিল না। আমরা সন্ত্রাসবাদ রফতানি করি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।” তিনি বলেন, “ভারত যদি শান্তির পথে হাঁটতে চায়, তাহলে তাদের খোলা হাতে আসা উচিত, মুষ্টিবদ্ধভাবে নয়। তাদের তথ্য নিয়ে আসা উচিত, মিথ্যা নয়।” বিলাওয়াল বলেন, “আসুন, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বসে সত্য কথা বলি। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত যে পাকিস্তানের জনগণকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়নি। পাকিস্তানের জনগণের লড়াই করার দৃঢ় সঙ্কল্প আছে। কারণ আমরা সংঘাত ভালোবাসি না, আমরা ভালোবাসি স্বাধীনতা।”

    ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন 

    পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari) বলেন, “ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সে কি আলোচনা করবে নাকি ধ্বংস হবে? সহযোগিতা করবে নাকি সংঘাত চায়?” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি ট্যাঙ্ক দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে দমন করা যাবে না। একে ন্যায়ের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে। গুলি দিয়ে একে উৎখাত করা যাবে না, আশা দিয়ে নিরস্ত্র করতে হবে।” বিলাওয়াল বলেন, “জাতিগুলিকে দানব হিসেবে চিত্রিত করে নয় (Pakistan), বরং যে অভিযোগগুলি এর জন্ম দেয়, সেগুলির মোকাবিলা করেই একে পরাস্ত করতে হবে (Bilawal Bhutto Zardari)।”

  • Road Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় জাতীয় নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র, জারি বিজ্ঞপ্তি

    Road Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় জাতীয় নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র, জারি বিজ্ঞপ্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সড়ক দুর্ঘটনার (Road Accident) শিকার ব্যক্তিদের জন্য একটি জাতীয় নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার (Govt Notification)। এক্ষেত্রে প্রতিটি দুর্ঘটনায় প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হবে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য ঘটনার সাত দিনের মধ্যেই সরকারি নির্দেশিত হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তির। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের যে কোনও সড়কে মোটরযান সংক্রান্ত দুর্ঘটনার শিকার যে কোনও ব্যক্তি (জাতি, শ্রেণি বা অন্য কোনও বিভাগ নির্বিশেষে) এই নগদবিহীন চিকিৎসার আওতায় আসবেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্ঘটনার তারিখ থেকে সর্বোচ্চ সাত দিনের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচে ক্ষতিগ্রস্তরা যে কোনও নির্ধারিত হাসপাতালে নগদবিহীন চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন। এই পরিকল্পনার অধীনে নির্ধারিত নয় এমন হাসপাতালে চিকিৎসা শুধুমাত্র রোগীকে স্থিতিশীল করার ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, যা পরিকল্পনার নির্দেশিকায় বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (Road Accident)

    জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ) এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করবে, যা পুলিশ, হাসপাতাল এবং রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালিত হবে। প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নোডাল সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এতে একটি পোর্টালের মাধ্যমে চিহ্নিত হাসপাতালগুলিকে যুক্ত করা, দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা, হাসপাতালে অর্থপ্রদানের প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই জাতীয় কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন তদারকি ও পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করবে।

    পাইলট প্রকল্প চালু

    প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক ইতিমধ্যে ১৪ মার্চ, ২০২৪-এ সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের নগদবিহীন চিকিৎসার জন্য (Govt Notification) একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছিল (Road Accident)। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি গত বছর এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এপর পর গত বছরের ১৫ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে চণ্ডীগড়ে এই প্রকল্প শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, এই সুবিধা পেতে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, হিট অ্যান্ড রানের ক্ষেত্রেও মৃতের পরিবারকে দু’লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। মঙ্গলবারের বৈঠকে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গড়করি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষের। হেলমেট না পরায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়া, স্কুলে ঢোকা-বেরনোর যথাযথ পথ না থাকায় মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার শিশুর (Road Accident)।

    কী বললেন গড়করি?

    জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড়ে পাইলট প্রজেক্ট চালু হলেও, পরে এই প্রজেক্টে আরও ছটি রাজ্যকে যুক্ত করা হয়। দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন বাণিজ্যিক গাড়িতে চালকের ক্লান্তির কারণেও দেশে অসংখ্য পথ দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিষয়টিতেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মন্ত্রক। গড়করি জানিয়েছেন, শ্রম আইনের অধীনে বাণিজ্যিক গাড়ি চালকদের কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। তিনি বলেন, “দেশে ২২ লাখ প্রশিক্ষিত চালকের ঘাটতি রয়েছে। সার্বিকভাবে দেশের সড়ক পরিবহণ ক্ষেত্রকে আমূল পরিবর্তনের রূপরেখা তৈরি করতে ৬ ও ৭ জানুয়ারি দুদিন ব্যাপী ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিল মন্ত্রক।” অভিজ্ঞ মহলের মতে, শুধু চালকের দোষে নয়, খারাপ রাস্তাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী পথ দুর্ঘটনার জন্য (Govt Notification)। সেই বিষয়টির দিকেও নজর দিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজ্যগুলির সড়ক পরিবহণমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন গডকরী। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি এবং পরিবহণ সংক্রান্ত নীতিগুলি নিয়ে আলোচনা করা। সেই বৈঠকেই নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়েছিলেন তিনি (Road Accident)।

  • Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    Mock Drill: বুধবারের মহড়ায় নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান বিজেপি ও এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই আবহে বুধবার (৭মে) সারা দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মহড়ায় (Mock Drill) সাধারণ নাগরিক, নেতা-কর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে এসে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাল সর্বভারতীয় বিজেপি ও এবিভিপি। মঙ্গলবারই এনিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপির এক্স হ্যান্ডল থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই নাগরিকদের মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই আবেদন রেখেছে এবিভিপি।

    নিজেদের বিবৃতিতে কী জানাল এবিভিপি (Mock Drill)

    যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহড়া নিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে এসেছে। সেখানে তারা স্পষ্ট ভাবে বলছে, ‘‘এই মক ড্রিল কোনও সামান্য ব্যাপার নয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। যেভাবে আমাদের দেশে নিরাপত্তার হুমকি আসছে, তা প্রতিরোধ করতে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন দেখা যাবে এই মক ড্রিলে।’’ এই সংগঠন আরও বলেছে, ‘‘দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর উপরেই নয়। দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেকটি সাধারণ জনগণকে নিতে হবে। বিশেষত যুব সমাজকে। আমাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, এই সমস্ত জায়গাতে এই সচেতনতা ছড়াতে হবে। সতর্কতা বাড়াতে হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাগরিক মহড়ার প্রস্তুতি চালাতে হবে।’’

    কী বললেন এবিভিপির (ABVP) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডক্টর বীরেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। মক ড্রিল (Mock Drill) নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ স্বাগত জানাচ্ছে সিভিল ডিফেন্সকে। আমরা সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং দেশের আপামর জনগণের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়ায়। এভাবেই গড়ে উঠবে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভর ভারত।’’ এবিভিপি’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘‘মহড়ার প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে, আজকের ভারত যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে জবাব দিতে প্রস্তুত। প্রত্যেক নাগরিকের এটা স্মরণ করা উচিত। প্রত্যেক নাগরিক যেন মনে রাখেন দেশের এই সংকটের পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।’’

    এবিভিপির আহ্বান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবিলায় নাগরিক মক ড্রিল-এ (Mock Drill) অংশগ্রহণের জন্য এবিভিপির এমন আহ্বানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এবিভিপি তাদের যেকোনও আন্দোলনেই তুলে ধরে নেশন ফার্স্ট স্লোগান। আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের এই আহ্বানে তাদের সেই নীতিই প্রতিফলিত হলে বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় কর্তব্য পালনে এবং দেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ করা ঠিক কতটা জরুরি, সেই বিষয়টিও এবিভিপি নিজেদের বার্তায় তুলে ধরেছে। প্রসঙ্গত, এই নাগরিক মহড়ায় সাইরেন যেমন বাজবে, তেমনই ব্ল্যাকআউটও করা হবে অর্থাৎ বড় বড় শপিং মল, বাড়ি-ঘর, শিল্প-কলকারখানা এই জায়গাগুলিতে আলো বন্ধ করা হবে। এর পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কীভাবে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া যায় সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ রেডার স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে এই ধরনের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মহড়ায় অংশ নিতে আবেদন এবিভিপির

    একই সঙ্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন পড়ুয়াদের উৎসাহিত করে মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে সেই আহ্বানও জানিয়েছে এবিভিপি। এই ছাত্র সংগঠনের মতে, এর ফলেই গড়ে উঠবে আত্মনির্ভরশীল এবং ঐক্যবদ্ধ ভারত। প্রসঙ্গত, বুধবার সব মিলিয়ে দেশের ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়া চলবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও। সারা দেশের পাশাপাশি, বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গায় ‘মক ড্রিল’ হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে এমন মহড়া হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের আগে। তারপরে ৫৪ বছর পরে তেমনটা হতে চলেছে বুধবার।

    সবার উপরে দেশ, স্মরণ করাল বিজেপি-এবিভিপি

    এই মহড়া (Mock Drill) মূলত হবে বিমান হামলা হলে নাগরিকরা কী ধরনের পদক্ষেপ করবেন সেটা নিয়ে। দেশের সব রাজ্যকে কেন্দ্রের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে বার্তা পাঠিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, বুধবারের মহড়ায় খতিয়ে দেখে নিতে হবে, বিমান হামলার সময়ে সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে কি না। এর পাশাপাশি রাতে যদি হামলা হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়ামাত্র হঠাৎ করে সমস্ত আলো বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে শত্রুপক্ষকে বিভ্রান্ত করা যায়। এমন পরিস্থিতিতে সবার উপরে দেশ এই কথা স্মরণ করিয়ে, নাগরিকদের যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিতে আহ্বান জানাল বিজেপি-এবিভিপি।

  • Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে ভারত-বিরোধী প্যারেড (Anti India Parade)। তায় আবার যোগ দিলেন খোদ কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী। প্যারেডে দেশ থেকে হিন্দুদের ভারতে নির্বাসনের দাবি ওঠে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর পথেই হাঁটছে কানাডা? ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ভারত। সোমবার ভারত নয়াদিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনের কাছে টরন্টোর ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই প্যারেডে একটি ট্রাকর ওপর জেলের আদলে কারা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের খাঁচাবদ্ধ কুশপুতুল রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ৮ লাখ হিন্দুকে ভারতে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানানো হয় ওই প্যারেডে। দিন কয়েক আগে কানাডার টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে আয়োজিত হয়েছিল হিন্দু বিরোধী একটি কুচকাওয়াজ। সেখানেই ওঠে কানাডা থেকে হিন্দু বিতাড়নের দাবি। জানা গিয়েছে, কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানপন্থীরা এই প্যারেডের আয়োজন করেছিল।

    কানাডাক কড়া বার্তা ভারতের (Anti India Parade)

    সূত্রের খবর, এদিন ভারতের তরফে কানাডার হাইকমিশনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, “আমরা আবারও কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে ভারত-বিরোধী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যারা ঘৃণা ছড়ায় এবং চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে।” কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “জিহাদিরা আমাদের রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে, ইহুদিদের হুমকি দিচ্ছে, সামাজিক কাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করছে।” তিনি (Canada) বলেন, “খালিস্তানিরা সমাজের জন্য সব চেয়ে ঘৃণ্য বিদেশি অর্থায়নের হুমকির বিরুদ্ধে তাদের অর্থের জন্য ভালো সুযোগ করে দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, “মার্ক কার্নির কানাডা কি জাস্টিন ট্রুডোর থেকে আলাদা হবে?” কানাডার ওই সাংবাদিক শন বিন্দা নামে এক ইউজারের একটি এক্স পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী হিন্দু বিরোধী ঘৃণা থেকে এই প্রতিবাদ করেছে।

    টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বার

    এক্স হ্যান্ডেলে বিন্দা লিখেছেন, “টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারার কে-গ্যাং নির্লজ্জভাবে ৮ লাখ হিন্দুকে – যারা ত্রিনিদাদ, গায়ানা, সুরিনাম, জামাইকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া ও তার বাইরেও বিস্তৃত – তাদের হিন্দুস্তানে নির্বাসিত করার দাবি করছে। এটি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ নয়, এটি কানাডার সব চেয়ে মারাত্মক হামলার জন্য কুখ্যাত একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর স্পষ্ট হিন্দু বিরোধী ঘৃণা, তবুও অহংকার করে থাকার অধিকার দাবি করছে।” এর পরেই তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, “খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদ (Anti India Parade)।”

    হুমকিমূলক ভাষা প্রয়োগ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, “টরন্টোতে আয়োজিত এক প্যারেডে আমাদের নেতৃত্ব এবং কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য চিত্র ও হুমকিমূলক ভাষা ব্যবহারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডীয় হাই কমিশনের কাছে আমরা জোরালো ভাষায় আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”  বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “আমরা কানাডীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতবিরোধী সেইসব শক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানাই, যারা বিদ্বেষ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি প্রচার করে চলেছে।” টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে একটি হিন্দুবিরোধী প্যারেড হয়। প্যারেডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনাটি কানাডায় শিখ গুরুদ্বার ও একটি হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থী গ্রাফিতি এঁকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে (Canada)।

    বার বার বিতর্কিত প্যারেড

    কানাডার এক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করে এটিকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দ্বারা প্রচারিত প্রকট হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ বলে নিন্দা করেন (Anti India Parade)। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করার কয়েকদিন পরেই টরন্টোতে হিন্দু বিরোধী প্যারেড হয়। কানাডার জাতীয় নির্বাচনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ কার্নি নয়া ম্যান্ডেট পেতে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যিনি তাঁর দলের মধ্যে সমর্থন হারানোর পরে তাঁর মেয়াদের শেষের দিকে পদত্যাগ করেছিলেন (Canada)।

    বিতর্কিত এই প্যারেডটি হয়েছে ঠিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের কয়েক দিন পরেই। অনেকেই আশা করেছিলেন যে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে উন্নত হবে কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Anti India Parade)। এপ্রিল মাসে সারে শহরে বার্ষিক খালসা দিবস বৈশাখী মিছিলেও খালিস্তানপন্থী পতাকা ও ভারতবিরোধী ছবি দেখা গিয়েছিল (Canada)। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহের ছবিসহ ‘ওয়ান্টেড’ পোস্টার প্রদর্শনের ঘটনায় সেই মিছিলটি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয় (Anti India Parade)।

LinkedIn
Share