Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Nepal Unrest: অগ্নিগর্ভ নেপাল! পার্লামেন্টে ঢুকল জেন জি-রা, পুলিশের গুলিতে মৃত ১৪

    Nepal Unrest: অগ্নিগর্ভ নেপাল! পার্লামেন্টে ঢুকল জেন জি-রা, পুলিশের গুলিতে মৃত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ নেপাল (Nepal Unrest)। কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিলই। সম্প্রতি সেদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ হওয়ায় আগুনে ঘি পড়েছে। ব্যাপক প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে সেদেশের তরুণ প্রজন্ম। রাস্তায় নেমে কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তাঁরা। এমনকী একদল উত্তেজিত জনতা ব্যারিকেড টপকে ঢুকে যায় সংসদে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সংসদ ভবনের পর সচিবালয়ের দিকে এগোন বিক্ষোভকারীরা। জ্বলছে একাধিক এলাকা। সবচেয়ে উত্তপ্ত কাঠমাণ্ডু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। এরপরেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় নেমেছে সেনা। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪ প্রতিবাদীর। জখম শতাধিক।

    উত্তপ্ত কাঠমানডু

    গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কাঠমান্ডু সরকার। এমন সিদ্ধান্তেই বেজয় ক্ষেপেছে নেপালের ‘জেন জি’। প্রথমে বিষয়টি শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে ধীরে ধীরে উত্তাপ বাড়তে থাকে। সংসদে প্রবেশ করেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। সেখানে ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকেই বাড়ছিল ক্ষোভের আঁচ। বেলা বাড়তেই বিক্ষোভের সামনে থাকা জেন জি-রা ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্টে ঢুকে পড়ে। তারপর থেকেই আরও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে তাদের লক্ষ্য করে। পথে, প্রাণ হাতে নিয়ে তাদের স্লোগান, দুর্নীতি বন্ধ হোক, সোশ্যাল মিডিয়া-অ্যাপ নয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে, পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করে। বিক্ষোভের পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর বানেশ্বর এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছিল। নতুন বিধিনিষেধে বেশকিছু বদল করা হয়েছে। পরে রাষ্ট্রপতির বাসভবন (শীতল নিবাস), উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, লৈনচৌর, মহারাজগঞ্জ, সিংহ দরবারের চারপাশে, বালুওয়াতারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং সংলগ্ন এলাকাগুলির মতো বেশ কয়েকটি উচ্চ-নিরাপত্তা অঞ্চলে কারফিউ জারি। প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছাবিলাল রিজাল জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে রাত ১০:০০ টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। এই অঞ্চলগুলির মধ্যে জনসাধারণের চলাচল, জমায়েত, বিক্ষোভ বা ঘেরাও কার্যক্রম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

  • Sand Mining Scam: কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডির হানা, বালি পাচার মামলায় ভোর থেকে তল্লাশি ঝাড়গ্রামেও

    Sand Mining Scam: কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডির হানা, বালি পাচার মামলায় ভোর থেকে তল্লাশি ঝাড়গ্রামেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালি পাচার মামলায় (Sand Mining Scam) কলকাতার একাধিক জায়গায় সোমবার ভোর থেকে তল্লাশি চালাল ইডি (ED Sand Raid)। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে শেখ জাহিরুলের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, রবিবার মধ্যরাতেই রাজ্যের নানা দিকে রওনা দেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। সোমবার ভোরে প্রায় একই সময়ে প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২০টিরও বেশি জায়গায় রেইড করে ইডি। কলকাতার বেহালা, রিজেন্ট পার্ক, বিধাননগর, কল্যাণীর মতো এলাকায় পৌঁছে যায় ইডির বিশেষ টিম।

    সাইকেল মিস্ত্রি থেকে কোটিপতি

    সূত্রের খবর, একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হলেও, তদন্তকারীদের মূল ‘টার্গেট’ ছিল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের শেখ জাহিরুল। সুবর্ণরেখা নদীর তীরে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। তাঁর গাড়িও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। শেখ জাহিরুলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালি তোলা ও ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, জাহিরুলের বাড়ি থেকে বিপুল অঙ্কের নগদ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শেখ জাহিরুল একসময় সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন। অতি কষ্টে দিন কাটত। পরে ভিলেজ পুলিশের চাকরি পান। সেখানেও নামমাত্র বেতন। পরে বালি ব্যবসায় নামেন। আর এরপরেই তাঁর ভাগ্য ঘুরে যায়। ধীরে ধীরে একাধিক বালি তোলার ঘাটের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেরিয়া ও জামবনি ব্লকের একাধিক বালিঘাটের সঙ্গে জড়িত। সেই সব এলাকাতেও তল্লাশি চলছে ইডি। ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ছয় জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, শুধু অবৈধভাবে বালির ব্যবসাই নয়, এই পাচার চক্রের বিপুল অর্থ ঘুরপথে বিভিন্ন বিমা সংস্থা ও ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণে আর্থিক লেনদেনের নথি, ব্যবসার হিসাবপত্র ও অন্যান্য সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কলকাতায় কোথায় কোথায় তল্লাশি

    এদিন তল্লাশি চলছে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার বেশ কয়েকটি ঠিকানাতেও। কলকাতায় বেহালার একটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে রিজেন্ট কলোনির একটি ঠিকানাতেও। তা ছাড়াও সল্টলেক, টালিগঞ্জের কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে অরুণ শ্রফ নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে জিডি মাইনিং নামক একটি কোম্পানিতে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। সংস্থার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি সংস্থার মালিকদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত ২২টি জায়গা যে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি তাতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে সবটাই এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Hockey Asia Cup: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন, চতুর্থবার হকিতে এশিয়াসেরা ভারত! শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Hockey Asia Cup: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন, চতুর্থবার হকিতে এশিয়াসেরা ভারত! শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ হকি (Hockey Asia Cup) জিতল ভারত। গত বারের বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়াকে ফাইনালে ৪-১ গোলে হারিয়ে একতরফা দাপট দেখাল ভারত। দলের ট্রফি জয়ে, জোড়া গোল করে ফাইনালের নায়ক দিলপ্রীত সিং। অপর দু’টি গোল করেন সুখজিৎ সিং এবং অমিত রোহিদাস। ঐতিহাসিক সাফল্যের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ গৌতম গম্ভীর, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা

    গোটা দেশের হৃদয় ভারতীয় হকি দল জিতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট (পূর্বে ট্যুইটার)-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, এশিয়া সেরা হয়ে দেশবসীর স্বপ্নপূরণ করেছে ভারতের ছেলেরা। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য দলকে অভিনন্দন। এই জয় দলের অটল প্রতিশ্রুতি, আবেগ এবং সমন্বয়ের প্রমাণ। শুধু খেলাই নয় অগণিত ভারতীয়দের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। এই বিজয় তাদের চেতনার প্রমাণ। হরমনপ্রীতদের আগামীর জন্য শুভ কামনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই নিয়ে চার বার এশিয়া কাপ জিতল ভারত। ২০০৩-এ প্রথম বার এশিয়া কাপ জিতেছিল পাকিস্তানকে ৪-২ হারিয়ে। ২০০৭-এ কোরিয়াকে ৭-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল। তৃতীয় বার ২০১৭-য় মালয়েশিয়াকে ২-১ হারিয়েছিল ভারত।

    বিশ্বকাপের টিকিট আদায়

    এই জয়ের ফলে পরের বছর হকি বিশ্বকাপের টিকিটও আদায় করে নিল ভারত। তারা বিশ্বের চতুর্থ দল যারা প্রতিটি হকি বিশ্বকাপে খেলেছে। বাকি তিনটি দল হল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং স্পেন। ভারত মাত্র এক বারই বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৭৫-এ পাকিস্তানকে ২-১ হারিয়েছিল। তার আগ ১৯৭৩-এ রানার্স এবং ১৯৭৫-এ তৃতীয় হয়েছিল তারা। শেষ বার ২০২৩-এ ভুবনেশ্বর ও রৌরকেলায় হয়েছিল হকি বিশ্বকাপ। ভারত নবম স্থানে শেষ করেছিল। বিহারের রাজগীরে ফাইনাল শুরুর আগেই ভারতের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়ে ছিল। গোটা স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ ভর্তি। সবসময় শোনা যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া’ ধ্বনি। সেটার ফায়দা তুলতে বেশিক্ষণ লাগল না ভারতের। ম্যাচ শুরুর ৩৪ সেকেন্ডের মধ্যে গোল পান সুখজিৎ সিং। আগের ম্যাচে চিনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত।

    দাপটে জয় ভারতের

    শুরুতেই গোল পেয়ে ভারতের আক্রমণের ঝাঁজ অনেকটাই বেড়ে যায়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে একটি লম্বা বল রিসিভ করে দিলপ্রীতের দিকে বাড়িয়েছিলেন সঞ্জয়। বিপক্ষের ডিফেন্ডারেরা ঘিরে থাকলেও ফাঁক খুঁজে গোল করে ভারতের ব্যবধান বাড়ান দিলপ্রীত। তৃতীয় গোল পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং বৃত্তের মধ্যে থাকা রাজিন্দরকে পাস দিয়েছিলেন। তার থেকে পাস পেয়ে দিলপ্রীত গোল করেন। চতুর্থ কোয়ার্টারেও ভারতের আক্রমণ বজায় থাকে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে চতুর্থ গোল করে তারা। এই গোলে স্পষ্ট বোঝা যায় তাদের বুদ্ধিমত্তার ছাপ। পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল ভারত। শট মারার জন্য তৈরি ছিলেন হরমনপ্রীত, যিনি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করার জন্য সিদ্ধহস্ত। তবে বল যায় পাশের ‘ব্যাটারি’তে থাকা অমিত রোহিদাসের কাছে। কোরিয়ানরা হরমনপ্রীতের দিকে দৌড়নোর পর বুঝতে পারেন বল অমিতের কাছে গিয়েছে। কিছু বোঝার আগেই অমিতের শট কোরিয়ার গোলে ঢুকে যায়। পরের মিনিটে একটি গোল শোধ করে কোরিয়া। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন সন দাইন। এর পর আরও একটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। পাশাপাশি ভারতের রক্ষণ এতটাই মজবুত ছিল যে তা ভেঙে ফিল্ড গোলও করতে পারেনি। গ্রুপ থেকে ফাইনাল, গোটা টুর্নামেন্টে একটা ম্যাচও হারেননি হরমনপ্রীত সিংরা। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত ভারত। গ্রুপ পর্বে চিন, জাপান, কাজাখস্তানকে হারান হরমনপ্রীতরা। সুপার ফোরে এই দক্ষিণ কোরিয়ার কাছেই ২-২ গোলে আটকে গিয়েছিল। এদিন অবশ্য দাপটের সঙ্গেই এশিয়া কাপ জিতে নিল ভারত। একই সঙ্গে পকেটে পুরল বিশ্বকাপের টিকিট।

  • Akhil Bharatiya Samanvay Baithak: দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরে জোর, অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা

    Akhil Bharatiya Samanvay Baithak: দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরে জোর, অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (Rashtriya Swayamsevak Sangh)-এর অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকেও (Akhil Bharatiya Samanvay Baithak) উঠল পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রেবেশের কথা। রবিবার সমন্বয় বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মলনে সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রধান সুনীল আম্বেকর জানান পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ও নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় আরএসএস-এর সভায়। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হিংসা হ্রাস ও উন্নয়নের ধারাকে ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মণিপুরে সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনাগুলিতে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষা, সমাজ ও জাতীয় জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় এই সভায়।

    দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা

    শুক্রবার রাজস্থানের যোধপুরে আরএসএস-এর তিন দিনের সমন্বয় বৈঠক শুরু হয়, চলে রবিবার পর্যন্ত। এখানে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়৷ দেশজুড়ে সঙ্ঘ পরিবারের যে ৩২টি শাখা রয়েছে, সেখানকার শীর্ষ পদাধিকারীরাও এই বৈঠকে এসেছিলেন। বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত৷ বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা–সহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রথম সারির বিজেপি নেতারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনেই মোদি সরকারের কার্যকাল এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে জনজাতি অঞ্চল উন্নয়নের বিষয়ও উঠে আসে আরএসএসের সভায়।

    দশমীর দিন শতবর্ষে পা আরএসএস-এর

    এই বছর দশমীর দিন শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস৷ কী কী ভাবে তা দেশজুড়ে পালন করা হবে, তার রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয় এই বৈঠকে। দশমীর সকালে নাগপুরে সংঘের সদর দফতরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের৷ শতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হবে। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের সংগঠন আরও মজবুত করার লক্ষ্যে অল আউট ঝাঁপানোর সিদ্ধান্ত নিল আরএসএস৷ রাজস্থানের যোধপুরে চলতে থাকা আরএসএস-র সমন্বয় বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংঘ পরিবার সূত্রে খবর৷ রাজ্যে আরএসএস-এর সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে৷ দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে আরও দক্ষ ও মজবুত সংগঠন প্রয়োজন বলেই মনে করছে সংঘ। পাশাপাশি রাজ্যের যে সব জেলায় সংঘের শাখা সব থেকে কম আছে, সেখানে অবিলম্বে শাখার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরএসএস৷

    বাংলায় আরএসএস-এর প্রচার

    গত ১০০ বছরে বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে সঙ্ঘ পরিবার কী ভাবে দেশ গড়ার কাজ করে গিয়েছে লাগাতার, তার বিবরণ তুলে ধরে সারা দেশে চালানো হবে বিশেষ প্রচার৷ দিল্লিতে দিন কয়েক আগেই সঙ্ঘের তরফে আয়োজিত ব্যাখ্যানমালার মাধ্যমে আরএসএস-র মত ও পথ তুলে ধরেছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত৷ আগামী দিনে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘের মতাদর্শ তুলে ধরার লক্ষ্যে নির্ধারিত প্রচারাভিযানে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গ৷ সূত্রের দাবি, সরসংঘচালক ভাগবত নিজেই পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে সংঘের মতাদর্শ নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন৷ তার আগে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামবেন আরএসএস-এর প্রচারকরা৷ সূত্রের দাবি, মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের শুরুতেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হবে প্রচারাভিযান৷ এর সঙ্গেই চালানো হবে নাগরিক সম্মেলন এবং গৃহ সম্পর্ক অভিযান৷ এই দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংঘ পরিবারের মতাদর্শ তুলে ধরবেন আরএসএস প্রচারকরা৷ প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারিতে উত্তর এবং দক্ষিণ— দুই বঙ্গে আলাদা ভাবে আয়োজিত হবে হিন্দু সম্মেলন, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন সংঘের সর্বভারতীয় পদাধিকারীরা৷

    শিক্ষাক্ষেত্রকে গুরুত্ব

    ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিন দিনের এই বৈঠকে বিশেষভাবে শিক্ষাক্ষেত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসংঘ, বিদ্যা ভারতী, শিক্ষা সংস্কৃতি উন্নয়ন ন্যাস, ভারতীয় শিক্ষা মণ্ডল ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদসহ একাধিক সংগঠন জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। সুনীল আম্বেকর জানান, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত মাতৃভাষায় শিক্ষাদানে উৎসাহিত করতে ভারতীয় ভাষাগুলোর প্রসারে ইতিবাচক প্রচেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তক পুনর্লিখন ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভারতীয় জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার ভারতীয়করণের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চলছে। ইংরেজির বিরোধিতা নয়, তবে ভারতীয় ভাষাগুলিকে শিক্ষা ও প্রশাসনে সম্মানজনক স্থান দিতে চায় আরএসএস। প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত, এবং সমস্ত ভারতীয় ভাষার প্রতি সমান সম্মান থাকা উচিত, বলে মনে কর সংঘ।

    দেশের সামাজিক পরিস্থিতি

    সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। পাঞ্জাবে যুবসমাজের মধ্যে মাদকাসক্তি ও ধর্মান্তর প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেবা ভারতী ও বিদ্যার্থী পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত সচেতনতা ও পুনর্বাসন অভিযান সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়। নারীদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুনীল আম্বেকর বলেন, ক্রীড়া ভারতী নারী খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগবিদ্যা ও অধ্যয়নের প্রসার ঘটাচ্ছে। তিনি জানান, অপারেশন সিন্দুর কর্মসূচির অধীনে ৮৮৭টি নারী-কেন্দ্রিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা সংঘের কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। ধর্মান্তর, অনুপ্রবেশ ও কাশী-মথুরা ইস্যুতেও আলোচনা হয়। জানানো হয়, এ বিষয়গুলির সমাধান সংঘাত বা আন্দোলনের মাধ্যমে নয়, বরং আইনি প্রক্রিয়া ও পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে খোঁজা হবে। উপজাতি অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। বলা হয়, নকশাল ও মাওবাদী হিংসা অনেকটাই কমেছে, কিন্তু সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা এখনো চলমান। বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের হোস্টেল নির্মাণ ও উপজাতি অধিকার নিয়ে কাজ প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়। ভারতীয় সংস্কৃতি ও জাতীয় ভাবনাকে উপজাতি সমাজে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়। সংঘের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ, পারিবারিক সচেতনতা, ও নাগরিক কর্তব্য নিয়ে বিশেষ কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

     

     

     

     

     

  • India US Relation: ভারতের জিডিপি ৭.৮% হারে বাড়ছে আর আমেরিকার ৩.৩%! ‘মৃত’ অর্থনীতি বলে বেকায়দায় ট্রাম্প

    India US Relation: ভারতের জিডিপি ৭.৮% হারে বাড়ছে আর আমেরিকার ৩.৩%! ‘মৃত’ অর্থনীতি বলে বেকায়দায় ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক অভিনব বিদ্রূপের চিত্র ফুটে উঠেছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির মঞ্চে। যেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation) ভারতের অর্থনীতিকে “মৃত” বলে অভিহিত করেছিলেন, সেখানেই সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ভারত ৭.৮% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এর বিপরীতে, ট্রাম্পের প্রশংসায় ভরপুর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একই সময়ে মাত্র ৩.৩% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের অর্থনৈতিক (Indian Economy) এই সাফল্য মূলত ভর করেছে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা, পরিষেবা খাতের দৃঢ়তা এবং উৎপাদন খাতের পুনরুজ্জীবনের উপর। নতুন প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ফল দেখিয়েছে ভারতের অর্থনীতি।

    বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আইএমএফ ইতিমধ্যেই আগামী কয়েক বছরে ভারতের প্রবৃদ্ধিকে ৬.৩% থেকে ৬.৪% হারে থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে। এর ফলে স্পষ্ট হয়ে উঠছে কেন ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যেখানে ক্রমশ শ্লথ হয়ে আসছে, সেখানে ভারত নিজের গতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত কঠোর শুল্কের মধ্যেও। ট্রাম্পের “মৃত অর্থনীতি” মন্তব্যে শুধু ভারতেই নয়, অস্ট্রেলিয়াসহ বহু দেশের মধ্যেই প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অস্ট্রেলিয়া ভারতকে “অসাধারণ সম্ভাবনার দেশ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের অর্থনীতি কোনওভাবেই ধ্বংসের মুখে নয় – বরং ২০৩৮ সালের মধ্যে ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুযায়ী (PPP) দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে, যেখানে জিডিপি হবে প্রায় ৩৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    মোদি সরকারের কৌশলী নীতি

    ভারতে জিডিপি-র (Indian Economy) প্রবৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে স্বস্তি দিয়েছে। সরকারের পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগ, উৎপাদন-ভিত্তিক ব্যবস্থা ও আত্মনির্ভর ভারত তৈরির স্বপ্ন সফল হচ্ছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) অবশ্য মার্কিন সুরক্ষা নীতিকে ঝুঁকি হিসেবে দেখলেও, বলেছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা যথেষ্ট শক্তিশালী, যা বাইরের চাপ সামাল দিতে সক্ষম। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় অর্থনীতিই আজ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। গত ২৭ অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ করে শুল্ক নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি। পূর্ব ইউরোপের ওই সংঘাত শুরু হওয়া ইস্তক মস্কোর থেকে সস্তা দরে অপরিশোধিত খনিজ তেল আমদানি করে চলেছে নয়াদিল্লি। ট্রাম্প মনে করেন, এতে সংঘর্ষ চালিয়ে যাওয়ার মতো অর্থ পেয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন। আর তাই রাশিয়াকে ‘ভাতে মারতে’ ভারতের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কনীতির কড়া সমালোচনা করে ভারত জানিয়েছে, কোনওভাবেই মাথা নোয়াবে না দিল্লি। দেশের মানুষের স্বার্থে যা করা উচিত তাই করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত

    ট্রাম্পের এ-হেন শুল্কনীতির অবশ্য আমেরিকার ভিতরেই শুরু হয়ে গিয়েছে কড়া সমালোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক এডোয়ার্ড প্রাইস বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রেসিডেন্ট অর্থনীতির কিছুই বোঝেন না। ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের নামে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক পদক্ষেপ করছেন তিনি। অবিলম্বে নয়াদিল্লির পণ্যে ৫০ শতাংশ কর প্রত্যাহার করুক হোয়াইট হাউস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ২১ শতকের পৃথিবী কৌশলগত অংশীদারদের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেখানে ভারতের মতো বন্ধুকে হারানো চরম মূর্খামি।’’

    ট্রাম্পের বোকামি

    গত ৩০ জুলাই নিজের সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে নয়াদিল্লি ও মস্কোকে নিশানা করে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। ওরা ‘মৃত অর্থনীতি’কে একসঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। আমি সব কিছুর জন্য চিন্তা করি। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ, নয়াদিল্লির শুল্ক অনেক বেশি। একে বিশ্বের সর্বোচ্চ বলা যেতে পারে। রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে প্রায় কোনও ব্যবসা নেই বললেই চলে।’’ তাঁর এই পোস্টের পরেই শুরু হয় হইচই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অগাস্টের একেবারে শেষে চলতি আর্থিক বছরের (২০২৫-’২৬) এপ্রিল থেকে জুনে জিডিপির হার প্রকাশ করে কেন্দ্র। মোদি সরকারের দেওয়া সেই তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে ৭.৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে সূচক। পরে ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।’’ বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নয়াদিল্লির নাম। সমীক্ষক সংস্থা ‘ইওয়াই ইকোনমিক ওয়াচ’ আবার তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ১৩ বছরের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (Indian Economy) দেশ হয়ে উঠবে ভারত। পাশাপাশি, তালিকায় এক নম্বর স্থানে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (India US Relation) গদি টলমল হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। সেখানে চিনের উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন তাঁরা।

     

     

     

     

  • Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কর্মীদের মাইনে বাড়ছে তিনগুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) মন্দির ট্রাস্ট নয়া নিয়মাবলীতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এর ফলে ট্রাস্টের কর্মচারীরা রাজ্য সরকারের কর্মচারীর মর্যাদা পাবেন। এই মর্যাদা পরিবর্তনের সঙ্গে মন্দিরের কর্মচারী ও পুরোহিতদের বেতনও তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট কাউন্সিলের ১০৮তম সভায়।

    কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত (Kashi Vishwanath)

    ডিভিশনাল কমিশনার এস রাজালিংহামের সভাপতিত্বে কমিশনার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় প্রায় ২৪টি প্রস্তাব-সহ কর্মচারী সেবা ম্যানুয়াল অনুমোদিত হয়। ডিভিশনাল কমিশনার জানান, এর আগে পুরোহিতদের দেওয়া হত ৩০ হাজার টাকা করে। এখন তাঁদের বেতন হবে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। ট্রাস্টের মতে, ম্যানুয়াল বাস্তবায়নের পর বেতনের পাশাপাশি ভাতা, পদোন্নতি, ছুটি ও অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, পুরোহিত, কর্মচারী ও সেবাদার নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত ম্যানুয়ালে চারটি ক্যাটাগরি নির্ধারিত হয়েছে। রাজ্য কর্মচারীদের মতোই পুরোহিতদের গ্রেড এবং ম্যাট্রিক্সও দেওয়া হবে।

    সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে

    গত অর্থবর্ষের বাজেট শ্রী কাশী বিশ্বনাথ বিশেষ ক্ষেত্র উন্নয়ন পরিষদ ও এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়। পরিষদের অধীনে নিযুক্ত বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীর সাম্মানিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে বলে তাতে বলা হয়। পূর্ণকালীন কর্মচারীদের ডিএ গত বছরের মতো বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বনাথ ধামে অত্যাধুনিক ডিজিটাল মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হবে (Kashi Vishwanath)। ব্যবসায়িক কার্যকলাপ আরও দ্রুত করার জন্য এম্পোরিয়াম-সহ অন্যান্য সম্পত্তি পরিচালনার জন্য নয়া ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হবে। আয় বৃদ্ধির নতুন বিকল্প নিয়ে পরামর্শ দিতে পরিষদ একটি নতুন পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করবে।

    প্রসঙ্গত, শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ১৯৮৩ সালে রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। তখন থেকে পরিষেবা ম্যানুয়াল প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বহুবার চেষ্টা করা হলেও, কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০১ এর অধীনে ১৩ই অক্টোবর ১৯৮৩ সালে কার্যকর হয় (Kashi Vishwanath)।

  • UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪-’২৫ প্রতিবেদন (UDISE Report) প্রকাশ করেছে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক (Dropouts) উন্নতির দিকটি। জানা গিয়েছে, ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস চালু হয়েছে ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষে। তার পর এই প্রথম দেশে শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক কোটির গণ্ডি। এটি ২০২২-’২৩ সালের তুলনায় ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

    শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার (UDISE Report)

    শিক্ষকের এই বৃদ্ধির জেরে উন্নত হয়েছে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার। ২০২৪–’২৫ সালের হিসেবে প্রাথমিক স্তরে প্রতি শিক্ষক ১০ জন শিক্ষার্থী, প্রিপারেটরি স্তরে ১৩ জন, মিডিল লেভেলে ১৭ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০-এর সুপারিশ করা সর্বোচ্চ ৩০ শিক্ষার্থী প্রতি শিক্ষক সীমার অনেক নীচে। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত হওয়ায় এবং ছাত্র অনুপাতে শিক্ষকের হার বেড়ে যাওয়ায় ২০২২–’২৩ সালের তুলনায় ড্রপআউটের হারও কমেছে। প্রিপারেটরি স্তরে ড্রপআউটের হার ২০২২–’২৩ সালের ৩.৭ শতাংশ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মধ্য স্তরে এই হার ৫.২ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে আর মাধ্যমিক স্তরে ১০.৯ শতাংশ থেকে ৮.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ধরে রাখার হার বেড়েছে।

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও (GER) বা মোট ভর্তি অনুপাতও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪–’২৫ সালে মধ্য স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯০.৩ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও পৌঁছেছে ৬৮.৫ শতাংশে, যা শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের উন্নতির দিক নির্দেশ করে। এছাড়া প্রাথমিক থেকে প্রিপারেটরি, প্রিপারেটরি থেকে মধ্য এবং মধ্য থেকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির শক্তিশালী ধারা নির্দেশ করে (Dropouts)। রিপোর্টে এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয় এবং ছাত্র শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০২২–’২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭১ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ০৪ হাজার ১২৫-এ। পড়ুয়া শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৯৩-এ (UDISE Report)।

    ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে

    পরিকাঠামোগত উন্নতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে। বিদ্যালয়ের ৬৪.৭ শতাংশে কম্পিউটার এবং ৬৩.৫ শতাংশে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছেছে ৯৩.৬ শতাংশে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রাপ্যতা বেড়ে হয়েছে ৯৯.৩ শতাংশ, এবং হাত ধোয়ার সুবিধা ৯৫.৯ শতাংশে। র‌্যাম্প ও হাতল-সহ সহজ প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যালয়ের ৫৪.৯ শতাংশে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা উন্নতির দিকেও অগ্রগতি হয়েছে। নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.২ শতাংশে, আর মেয়েদের ভর্তি সামান্য বেড়ে ২০২৪–’২৫ সালে হয়েছে ৪৮.৩ শতাংশে। ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪–’২৫ রিপোর্ট ভারতে বিদ্যালয় শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, মান ও অন্তর্ভুক্তির উন্নতিকেও তুলে ধরেছে, যা সম্ভব হয়েছে লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগ এবং পরিকাঠামো ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস প্রতিটি অনবোর্ডেড স্কুলকে একটি অনন্য ১১-সংখ্যার ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড এবং লগইন শংসাপত্র প্রদান করা হয় যাতে রিয়েল-টাইমে ডেটা এন্ট্রি এবং এর পরিবর্তন সম্পন্ন করা যায় (Dropouts)। স্কুল ব্যবহারকারী ডিরেক্টরি মডিউল স্কুলগুলিকে অনবোর্ডিং এবং ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসে ডেটা জমা দিতে পারে এমন মনোনীত ব্যবহারকারীদের পরিচালনা করে। এই মডিউলটি ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসের (UDISE Report) ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করে। স্কুল প্রোফাইল, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের তথ্য তিনটি স্বতন্ত্র কিন্তু সমন্বিত মডিউলে রিপোর্ট করা হয়েছে।

    স্কুল প্রোফাইল এবং সুযোগ-সুবিধা, এই মডিউলে স্কুলগুলিতে উপলব্ধ পরিকাঠামোগত বিবরণ এবং পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী মডিউল প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাধারণ এবং অ্যাকাডেমিক প্রোফাইল, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ-সহ এই মডিউলে স্থায়ী শিক্ষা নম্বর (Dropouts) ব্যবহার করে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। শিক্ষকের প্রোফাইল, এই মডিউলে সকল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সাধারণ, অ্যাকাডেমিক এবং নিয়োগের বিবরণ পৃথকভাবে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় (UDISE Report)।

  • Old Age Ailments: ডায়াবেটিস থেকে ব্রেন ফগ, বার্ধক্যের একাধিক রোগকে কাবু করবে নারকেল!

    Old Age Ailments: ডায়াবেটিস থেকে ব্রেন ফগ, বার্ধক্যের একাধিক রোগকে কাবু করবে নারকেল!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে মহারাষ্ট্র, কিংবা, কেরল থেকে উত্তরপ্রদেশ, ভারতের সর্বত্র নারকেল খুব সহজলভ্য একটি ফল। বাড়ির একটুকরো উঠোনেও নারকেল গাছ নিজের জায়গা সহজেই করে নেয়। একঘেয়ে তরকারির স্বাদ বাড়াতে কিংবা উৎসবের মিষ্টির তৈরির উপাদান হিসাবে নারকেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও একাধিক শুভ কাজে নারকেল ব্যবহারের রীতি রয়েছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদের নিরিখেই নয়। স্বাস্থ্যের জন্যও নারকেল খুবই উপকারি! নিয়মিত নারকেল খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। নারকেলের পুষ্টিগুণ প্রচুর।

    কোন রোগ মোকাবিলায় নারকেল বিশেষ সাহায্য করে?

    ব্রেন ফগ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে!

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠে যাওয়ার আগেই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। প্রৌঢ় বয়সে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে উঠছে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা। পাশাপাশি হঠাৎ করেই সাধারণ বিভিন্ন বিষয়, নাম, ঠিকানা ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা ও দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের ভিতরে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ব্রেন ফগ। এর জেরেই এই ধরনের ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত নারকেল খেলে ব্রেন ফগের ঝুঁকি কমবে‌। কারণ, নারকেলে আছে ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক খনিজ পদার্থ। এই খনিজগুলো মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এর ফলে মস্তিষ্কের স্নায়ু সক্রিয় থাকে। ব্রেন ফগের ঝুঁকি কমে।

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে!

    ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বয়সের সীমারেখা আর থাকছে না। ভারতে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নারকেল বিশেষ উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে এই ফল বিশেষ সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তেরা নারকেল খেলে বিশেষ উপকার পাবেন বলেই মত পুষ্টিবিদদের একাংশের।

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    যে কোনও জীবাণু সংক্রমণ রুখতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নারকেল নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ ভোগান্তি এড়াতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন নারকেল খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাই নারকেল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যে কোনও ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস ঘটিত অসুখ কাবু করা সহজ‌ হয়।

    ফাইবার হজমে সাহায্য করে!

    নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নারকেল খেলে হজম সহজে হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কম হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়!

    ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। বছরের বেশিরভাগ সময় গরমের নাজেহাল হতে হয়। অতিরিক্ত ঘামের জেরে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। তার ফলে নানান শারীরিক ঝুঁকিও তৈরি হয়। নারকেল কিংবা ডাবের জল এই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত নারকেল কিংবা ডাবের জল খেলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হবে। আবার ডাব কিংবা নারকেলের জলে থাকে একাধিক উপকারি খনিজ‌ পদার্থ। এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারি। দূর্বলতা কমাতেও এগুলো বিশেষ সাহায্য করে।

    তবে নারকেলের একাধিক গুণ থাকলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেল অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে দেহের ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নারকেলে থাকে ফ্যাট। তাই অতিরিক্ত নারকেল নিয়মিত খেলে স্থুলতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার হৃদরোগের ঝুঁকিও তৈরি করে। তাই পরিমিত পরিমাণে নারকেল খেলে শরীরে উপকার হয়। বাড়তি সমস্যা তৈরি হয় না। বরং একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    Census 2027: মোদি সরকারের অভিনব আদমশুমারি! জিও-ট্যাগিংয়ের আওতায় আসবে দেশের সব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আদমশুমারি, আর এই আদমশুমারি (Census 2027) ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে বড় তথ্য সংগ্রহ প্রকল্প হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই আদমশুমারিতে শুধুমাত্র দেশের বিপুল জনসংখ্যার গণনা করা হবে, এমনটাই নয়—এই জনগণনার সময়ে প্রত্যেকটি বাড়ি এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জিও-ট্র্যাগিং (Geo Tag) করারও পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    এতদিন ব্যবহার হত হাতে আঁকা মানচিত্র

    এই অভিনব উদ্যোগটিকে (Census 2027) ঐতিহাসিক মাইলফলকও বলা যায়। কারণ, এর মাধ্যমে সঠিক ও স্বচ্ছ তথ্য উঠে আসবে। এর আগে সাধারণভাবে হাতে আঁকা মানচিত্রের উপর নির্ভর করতে হত, এবং এগুলো ভুল ও অসঙ্গতিপূর্ণ হত। কিন্তু এবার জিও-ট্র্যাগিংয়ের ফলে সে সমস্যা আর থাকবে না। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে যখন আদমশুমারি হতো, তখন কর্মীরা গ্রাম ও শহরগুলিতে ঘুরে হাতে আঁকা মানচিত্র ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে বর্তমান আমলে, যখন দ্রুত নগরায়ন ঘটছে, সেখানে উন্নয়নের গতি দেখে এই সমস্ত হাতে আঁকা মানচিত্র একেবারেই কার্যকর ছিল না।

    নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে

    ২০২৭ সালের মধ্যে এই পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল লেআউট ম্যাপিং চালু হবে এবং জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্ভুলভাবে অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ধারণ করে ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করা হবে। এ নিয়ে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে (Census 2027) পূর্বের ভুল আর হবে না এবং গ্রাম ও শহরের প্রতিটি আবাসনের স্বচ্ছ রেকর্ড রাখা যাবে। এক্ষেত্রে বাড়িগুলিকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হবে—যেমন, যেখানে মানুষ বসবাস করেন সেগুলি আবাসিক, যেখানে কেউ থাকেন না সেগুলি অনাবাসিক, আংশিকভাবে বসবাসযোগ্য বাড়ি এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ও সরকারি ভবন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল

    ২০১১ সালের আদমশুমারির সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি পরিবার মানে একসঙ্গে থাকা এবং একই রান্নাঘর ব্যবহার করা কয়েকজন মানুষকে বোঝানো হয়। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে মোট ৩৩.০৮ কোটি বাড়ি ছিল। এর মধ্যে ৩০.৬১ কোটি ছিল বসবাসযোগ্য এবং বাকি ২.৪৬ কোটি বাড়ি ছিল খালি। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রামীণ ভারতে বাড়ির সংখ্যা ছিল ২২.০৭ কোটি এবং শহরাঞ্চলে ছিল ১১.০১ কোটি। কিন্তু বিগত দশকে দ্রুত বেড়েছে নগরায়ন। ফলে ২০২৭ সালের আদমশুমারিতে শহরাঞ্চলে বাড়ির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে, যাতে শহর পরিকল্পনা, পরিকাঠামো এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সঠিকভাবে নেওয়া যায়।

    দুটি ধাপে হবে আদমশুমারি

    জানা যাচ্ছে, ২০২৭ সালের আদমশুমারি সম্পন্ন হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপ শুরু হবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। এই পর্যায়ে হাউস লিস্টিং অপারেশন (Geo Tag) চলবে। এই ধাপে যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন, তাঁরা বিভিন্ন আবাসন, আবাসনের মালিকানা ও জিও-ট্যাগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। দ্বিতীয় ধাপে হবে আসল জনগণনা, যেটি ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশের বেশিরভাগ অংশে অনুষ্ঠিত হবে।

LinkedIn
Share