Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Ayodhya: মিলবে রামায়ণ যুগের অনুভূতি, ‘পঞ্চবটি’ বন তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায়, থাকছে ৮৮টি ঔষধি গাছ

    Ayodhya: মিলবে রামায়ণ যুগের অনুভূতি, ‘পঞ্চবটি’ বন তৈরি হচ্ছে অযোধ্যায়, থাকছে ৮৮টি ঔষধি গাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হচ্ছে কুড়ি একরের পঞ্চবটি বন, রামায়ণের আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতির সম্পূর্ণ প্রতিফলন দেখা যাবে এই পঞ্চবটিতে (Panchavati)। এই উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে লক্ষ্য হলো রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যায়ন এবং সেখানে এক শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি, যেখানে ভক্তরা বসে জপ, ধ্যান, প্রাণায়াম—সবকিছুই করতে পারবেন, ঠিক যেমনটা রামায়ণে পঞ্চবটি বনে দেখা যেত (Ayodhya)।

    পঞ্চবটি বনের প্রতিটি স্তরেই দেখা যাবে রামায়ণের প্রতিফলন

    এই পঞ্চবটি বনের প্রতিটি স্তরতেই দেখা যাবে রামায়ণের প্রতিফলন। মনে হবে, ঠিক যেন রামচন্দ্রের যুগেই ফিরে এসেছেন ভক্তরা। কোন কোন গাছ দিয়ে সাজানো থাকবে এই রামচন্দ্রের পঞ্চবটি বন (Ayodhya)? রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, পিপল গাছ, বটগাছ, আমগাছ, সমী গাছ, সীতা অশোক, কদম্ব, পলাশ, পারিজাত, চম্পা ইত্যাদি গাছ দিয়ে সাজানো থাকবে পঞ্চবটি বন। এখানে থাকবে ৮৮টি ঔষধি গাছও। যা  প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রগুলিতে উল্লেখ রয়েছে।

    সীতা অশোক গাছ আনা হচ্ছে শ্রীলঙ্কা থেকে

    এই গাছগুলোর হিন্দু ধর্মে শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক তাৎপর্যই নেই, এগুলির পরিবেশগত এবং ঔষধি মূল্যও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সীতা অশোক গাছ, যা পবিত্র মনে করা হয় এবং যার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় রামায়ণের যুগ থেকেই। সীতা অশোক গাছ আমদানি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কা থেকে, অন্যান্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকেও (Ayodhya) অনেক গাছ আনানো হয়েছে। তাই রাম জন্মভূমি প্রাঙ্গণে এবার জীববৈচিত্র্য দেখা যাবে পঞ্চবটি বনকে কেন্দ্র করে।

    পঞ্চবটি বনে থাকছে কুণ্ড

    পঞ্চবটি বনকে (Panchavati) সাজানো হচ্ছে প্রাচীন ভারতের ধর্মশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে—এমন গাছ দিয়ে। গাছ এবং সবুজ ছাড়াও, পঞ্চবটি বনে আধ্যাত্মিক ধ্যান, জপ ইত্যাদি করার জন্য অনেকগুলি ‘কুণ্ড’ তৈরি করা হচ্ছে। ‘কুণ্ড’ মানে হচ্ছে পবিত্র পুকুর—এর চারপাশটা সাজানো হচ্ছে ফুলের বাগান দিয়ে। এর পাশাপাশি একটি বনবাসী আশ্রমও সেখানে থাকবে, সেখানেই দেখানো হবে জীবনের চারটি ভাগ (Ayodhya)।

    মাইলফলক হিসেবেই দেখছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এই পঞ্চবটি বনকে একটি মাইলফলক হিসেবেই দেখছে, যা অযোধ্যার সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত করবে। এই পঞ্চবটি বনের মাধ্যমেই ভক্তরা অনুভব করতে পারবেন রামায়ণের যুগের অরণ্য জীবনকে—এমনটাওই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। একবার সম্পূর্ণ হলে, প্রকৃতির সাথে সনাতন ধর্মের যে ঐক্য ও সম্প্রীতি, তাও দেখা যাবে (Ayodhya)।

  • Ex President Nasheed: মোদির মলদ্বীপ সফরের আগে চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে ব্যাপক প্রশস্তি ভারতের

    Ex President Nasheed: মোদির মলদ্বীপ সফরের আগে চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে ব্যাপক প্রশস্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ’২৫-’২৬ জুলাই তিনি থাকবেন চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে। ২৬ তারিখ সে দেশের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরেই গলবে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বরফ (Ex President Nasheed)।

    মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ (Ex President Nasheed)

    ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরের আগেই নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মলদ্বীপের রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ। প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফর প্রসঙ্গে কথা বলতে (Maldives) গিয়ে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ বলেন, “ভারতের সময়মতো সাহায্য মলদ্বীপকে ঋণখেলাপি হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে। যদি ভারত না থাকত, তবে আমরা ঋণখেলাপি হয়ে যেতাম।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মলদ্বীপে ভারতের সাহায্য ও অংশীদারিত্ব অত্যন্ত মূল্যবান। আমাদের কঠিন সময়ে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপ এবং বড় অঙ্কের দেনা শোধের দায়বদ্ধতার মুখে, ভারতের সময়োপযোগী সাহায্য আমাদের ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করেছে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও সাহায্য করেছে।” নাশিদ বলেন, “অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শুধুই আর্থিক সাহায্য নয়, বরং এটি বিশ্বাস ও আঞ্চলিক সংহতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।” তিনি বলেন, “এই ধরণের অংশীদারিত্ব প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তোলে।”

    ‘ভারত-প্রথম’ বিদেশনীতি

    মলদ্বীপের বিদেশনীতি প্রসঙ্গে নাশিদ বলেন, “দেশটি (মলদ্বীপ) সব সময় ভারতের দিকে ঝুঁকে থেকেছে। যদিও নির্বাচনী চক্করে পড়ে কখনও কখনও ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মধ্যে দোলাচলে থেকেছে।” তিনি বলেন, “মলদ্বীপ সব সময় একটি ‘ভারত-প্রথম’ বিদেশনীতি বজায় রেখেছে। তবে অতীতে নির্বাচনের সময় এটি কখনও চিনপন্থী, আবার কখনও ভারতপন্থী অবস্থানে চলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে মলদ্বীপে গণতন্ত্রের বিকাশ একটি আরও স্থিতিশীল এবং ধারাবাহিক বিদেশনীতি অনুসরণ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আজ আগের চেয়ে ভিন্নভাবে মলদ্বীপের রাজনৈতিক পরিসরে একটি সুদৃঢ় ‘ভারত-প্রথম’ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

    ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ

    নাশিদ বলেন, “মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলির ওপর অবস্থিত। এটি উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ১,০০০ কিলোমিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর ভারতের মালদ্বীপের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বকে ফের তুলে ধরবে। আমরা এই সম্পর্ককে স্বাগত জানাই। কারণ এটি আমাদের জাতীয় স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং যৌথ সমৃদ্ধির নতুন পথ উন্মুক্ত করে।” দ্বীপরাষ্ট্রের এই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি (Ex President Nasheed) বলেন, “ভারত মহাসাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে দৃঢ় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশীদারিত্ব কেবল কাঙ্ক্ষিত নয়, এটি অপরিহার্যও বটে।” তিনি (Maldives) বলেন, “উভয় দেশেরই সমুদ্রপথ রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা উন্নত করা এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।”

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে নাশিদ বলেন, “ভারতের উত্থান বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, বরং এটি সমন্বিত উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করেই গঠিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারত দ্রুত বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হচ্ছে, যার জিডিপি এখন ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমরা অনেক আগেই বুঝেছি, ভারতের সমৃদ্ধি তার প্রতিবেশীদের ক্ষতির বিনিময়ে আসেনি। ভারতীয় সমাজের স্বভাব নয় একা বড় হওয়া। তারা এক সঙ্গে এগিয়ে যেতে চায়। আমরা তা বুঝি।”

    ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি

    নাশিদ (Ex President Nasheed) বলেন, “ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি মলদ্বীপকে ভারতের গতিশীল অর্থনৈতিক গতিপথের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দিয়েছে। এই আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব ফলও আছে। মলদ্বীপের উচ্চমানের রিসোর্টগুলিতে ভারত থেকে আগত পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এটি খুব দ্রুত বেড়েছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং উন্নয়নের প্রতি আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।” দুই দেশের বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিরবিচ্ছিন্ন বাণিজ্য সর্বদা পারস্পরিক উপকার করে। ভারতের বাজারে মলদ্বীপীয় মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যা শুধু আমাদের রফতানির মানকেই নয়, বরং আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতাকেও প্রতিফলিত করে।”

    ভারতীয়দের প্রশংসা

    মোদির মলদ্বীপ (Maldives) সফরের আগেই ভারতীয়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মলদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদও। তিনি বলেন, “ভারত সব সময় আমাদের পাশে থেকেছে। শুধু একটা ফোন করলেই হল। ভারত সাড়া (Ex President Nasheed) দেবেই।” তিনি বলেন, “ভারতীয়রা উদার মনের মানুষ। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

  • PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার তাঁর সফর শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা (India UK Trade Deal)। তাঁর এই সফরের একটি বড় ফল হতে পারে ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর।

    কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন গতি দেওয়া। স্টার্মার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চেকার্স-এ। এটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারিভাবে নির্ধারিত গ্রামীণ বাসভবন। এর অবস্থান লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে ৫০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে সম্ভবত বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

    এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে কার লাভ, ক্ষতিই বা কার

    গত মে মাসে ভারত ও ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করে। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারতীয় রফতানির ৯৯ শতাংশই শুল্কমুক্ত হবে। স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলির জন্য হুইস্কি, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্য ভারতে রফতানি করাও আরও সহজ হবে। ফলে উপকৃত হবে দুই দেশই। এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণও। প্রসঙ্গত, এফটিএ নিয়ে গত তিন বছর ধরে আলোচনা চলছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে। শেষমেশ (PM Modi) চূড়ান্ত হয় চুক্তিটি। সেই চুক্তিটিতেই এবার শিলমোহর পড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্রিটেন সফরে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ শতাংশ বাণিজ্য মূল্যের আওতায় পড়া প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়া হবে (India UK Trade Deal)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক-সহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।” প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ সালে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডী। ব্রিটেন ভারতে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, যার মোট লগ্নির পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত

    এদিকে, ব্রিটেনে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রিটেনে প্রায় ১,০০০ ভারতীয় কোম্পানি ১ লাখের কাছাকাছি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে (PM Modi)। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভারতের উন্নয়নের প্রতি তাঁদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাকে অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী বলেও বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ব্রিটেনের ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। ভারতের অগ্রগতির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় (India UK Trade Deal)।”

    চার দিনে দুই দেশ সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ২১ জুলাই থেকে। এই সময় চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে তিনি দু’দিন থাকবেন ব্রিটেনে, আর বাকি দু’দিন থাকবেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি গিয়েছেন রাজার দেশে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। লন্ডন সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। সেখানেও তিনি যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে। ২৬ জুলাই মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে, বিশেষ করে মুইজ্জুর জমানায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এদিন (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারতীয় (India UK Trade Deal) সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বৈঠক চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধে সাড়ে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। রাত্রি ৯টায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে (PM Modi)।

  • WhatsApp: ব্যস্ততায় চ্যাটের অনেক মেসেজ পড়া হয়নি? চিন্তা নেই, হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ‘কুইক রিক্যাপ’

    WhatsApp: ব্যস্ততায় চ্যাটের অনেক মেসেজ পড়া হয়নি? চিন্তা নেই, হোয়াটসঅ্যাপ আনছে ‘কুইক রিক্যাপ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) তার ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে আসছে একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং সময়-সাশ্রয়ী ফিচার, যার নাম কুইক রিক্যাপ (Quick Recap)। এই ফিচারের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা একাধিক চ্যাট থেকে না-পড়া মেসেজগুলির সংক্ষিপ্তসার দেখে নিতে পারবেন সহজেই।

    সর্বাধিক ৫টি চ্যাটের অপঠিত মেসেজের সংক্ষিপ্তসার দেখা যাবে

    ইতিমধ্যেই Android বিটা সংস্করণ ২.২৫.১৯.১৪-তে চালু হয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ফিচার (WhatsApp), যেখানে না-পড়া মেসেজগুলোর সারাংশ দেখা যাচ্ছিল। এবার এই ফিচারে যুক্ত হচ্ছে আরও অত্যাধুনিক সুবিধা, না-পড়া মেসেজগুলির সংক্ষিপ্তসার একসঙ্গে দেখা যাবে। এই ফিচারটির মাধ্যমে যদি ব্যবহারকারীদের ফোন বন্ধ থাকে বা ইন্টারনেটেও কোনও সমস্যা থাকে, তবুও জমে থাকা মেসেজগুলি দ্রুত পড়ে ফেলা সম্ভব হবে। এই ফিচারের মাধ্যমে একসঙ্গে সর্বাধিক ৫টি চ্যাট নির্বাচন করে সেখানকার না-পড়া মেসেজগুলির সারসংক্ষেপ দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

    বজায় থাকবে গোপনীয়তা (WhatsApp)

    না-পড়া বা অপঠিত মেসেজের এই সারসংক্ষেপ তৈরি হবে Private Processing-এর মাধ্যমে। অর্থাৎ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নিজেও ব্যবহারকারীর বার্তা কোনওভাবেই পড়তে পারবে না। এর ফলে প্রাইভেসি বজায় থাকবে—ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া কারোর পক্ষেই বার্তার কোনও রকম তথ্য দেখা সম্ভব নয়।

    আপনা আপনি চালু হবে না এই ফিচার

    তবে এই ফিচারটি আপনা-আপনি চালু হবে না। ব্যবহারকারীরা চাইলে সেটিংসে গিয়ে এটি চালু করতে পারবেন। হোয়াটসঅ্যাপ-এর (WhatsApp) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং শুধুমাত্র বেটা ব্যবহারকারীরাই এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। সফলভাবে পরীক্ষামূলক পর্যায় শেষ হলে সকলের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপ-এর এই নতুন ফিচার (Quick Recap) ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত সুফল নিয়ে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, অনেকেই আছেন যাঁরা দিনভর ব্যস্ত থাকেন—তাদের জন্য এক ঝটকায় সমস্ত চ্যাটের সারসংক্ষেপ দেখে নেওয়া সম্ভব হবে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মূল বিষয়গুলো বুঝে নেওয়া যাবে। প্রযুক্তি প্রয়োগ করে একটি উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে চলেছে মার্ক জুকারবার্গ-এর হোয়াটসঅ্যাপ।

  • Nitish Kumar: বিধানসভায় নীতীশ-তেজস্বী তুমুল তর্কযুদ্ধ, কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?

    Nitish Kumar: বিধানসভায় নীতীশ-তেজস্বী তুমুল তর্কযুদ্ধ, কী বললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার (Bihar) বিধানসভার বাদল অধিবেশনে তুমুল হট্টগোল। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা তথা লালু প্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব। এদিন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সংশোধন অভিযান নিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তেজস্বী। সেই সময় তাঁকে বাধা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই শুরু হয়ে যায় নীতীশ-তেজস্বী তর্কযুদ্ধ।

    আপনি কী বলছেন (Nitish Kumar)

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি কী বলছেন, কেনই বা এসব বলছেন? যখন আপনি ছোট ছিলেন, তখন আপনার বাবা সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আপনার মা-ও সাত বছর মন্ত্রী ছিলেন। তখন কী অবস্থা ছিল? আমি আপনার সঙ্গেও কিছুদিন ছিলাম। কিন্তু আপনি সঠিক কাজ করেননি। তাই আমি আপনার সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছি। আমরা (জেডিইউ এবং বিজেপি) শুরু থেকেই একসঙ্গে ছিলাম এবং এভাবেই থাকব।” তিনি (Nitish Kumar) বলেন, “নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাই প্রচারে কেউ যা খুশি, তা-ই বলতেই পারেন।”

    নীতীশ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি

    এর পরেই নীতীশ তাঁর সরকার নারী এবং সংখ্যালঘুদের জন্য যেসব কাজ করেছে, তার ফিরিস্তি দেন। মহিলাদের উন্নয়নে বিরোধীরা কোনও কাজই করেনি বলেও এদিন তোপ দাগেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বিহারের উন্নয়নের জন্য রাজ্যকে এখনও সাহায্য করছে। আপনি মহিলাদের জন্য কী করেছেন? মুসলমানদের জন্য কী করেছেন? আমরা সব সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেছি। আপনি জানেন তো?  আপনি তখন শিশু ছিলেন। পাটনায় কি কেউ অন্ধকার নামার পর বাইরে বের হতে পারতেন (Bihar)?”

    ভোটার তালিকা সংশোধনের যে কাজ বিহারে চলছে, তা নিয়েই শাসক জোট এবং বিরোধী দলের মধ্যে বিতণ্ডা হয় এদিন। তার পরেই স্পিকার নন্দ কিশোর যাদব দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশন দাবি করেছিল যে, তারা জানতে পেরেছে ভোটার লিস্টে নাম থাকা ভোটারদের মধ্যে ১৮ লাখ মারা গিয়েছেন, ২৬ লাখ ভোটার অন্য কোনও নির্বাচনী এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছেন। প্রায় ৭ লাখ ভোটারের নাম রয়েছে (Bihar) পৃথক পৃথক জায়গার ভোটার তালিকায় (Nitish Kumar)।

  • Al Qaeda: গুজরাটে গ্রেফতার আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চার জঙ্গি

    Al Qaeda: গুজরাটে গ্রেফতার আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চার জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে গ্রেফতার চার জঙ্গি। জানা গিয়েছে, এই চারজনই আল কায়েদার (Al Qaeda) সঙ্গে যুক্ত। জাল টাকা চালানোর কারবারের সঙ্গেও এরা জড়িত। বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার মতাদর্শ ছড়ানোর কাজে লিপ্ত ছিল এই চারজন। গুজরাট (Gujarat) অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) তাদের গ্রেফতার করে। এটিএস জানিয়েছে, তিনজনকে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হলেও, একজনকে ধরা হয়েছে অন্য রাজ্য থেকে।

    গুজরাটে ধৃত ৪ জঙ্গি (Al Qaeda)

    ধৃতেরা হল মহম্মদ ফায়েক, মহম্মদ ফারদিন, সেফুল্লাহ কুরেশি এবং জিশান আলি। সূত্রের খবর, ধৃতেরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সন্দেহজনক কিছু অ্যাপের মাধ্যমে আল কায়েদার মতাদর্শ প্রচার করছিল। তারা ব্যবহার করত ‘অটো-ডিলিট’ অ্যাপ। তাই তারা যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত কিংবা যেসব বিষয়ে কথাবার্তা বলাবলি করত, তার কোনও প্রমাণ থাকত না। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতে আল কায়েদার জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। গুজরাট এটিএসের কর্তারা জানিয়েছেন, এই চার অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত। তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এই চারজনের কথাবার্তায় রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাওয়ার পরই তারা নজরে পড়ে এটিএসের। গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, তারা এখন অভিযুক্তদের চ্যাট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে।

    গ্রেফতার হয়েছিল ৩ বাঙালিও

    প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে (Al Qaeda) এই গুজরাটেই আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাংলার তিন যুবককে। রাজকোটের সোনিবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা গ্রেফতার করেছিল তাদের। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই তিনজনও ইসলামপন্থী। এদের মধ্যে আবদুল শুকার আলি শেখ এবং সইফ নওয়াজ বর্ধমানের বাসিন্দা। আর আমন মালিকের বাড়ির হুগলির তারকেশ্বরে। সূত্রের খবর, বাংলার ওই তিন যুবক আট মাস ধরে রাজকোটের সোনি বাজারে থাকত। স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করত তারা।

    ২০২১ সালে মধ্যপ্রদেশে ধরা পড়ে আল কায়েদার জঙ্গি মডিউল। বাংলার ওই তিনজন সেই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছিল গুজরাট পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার (Gujarat) করা হয় আবু তালহা নামের এক হ্যান্ডলারকে। তাকে জেরা করেই বাংলার ওই তিনজনের হদিশ পায় গুজরাট পুলিশ (Al Qaeda)।

  • Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির কালো মেঘ ঘনাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আকাশে। এবার শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahufuj Alam) ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র বিক্ষোভকারীরা। এদিন তাঁরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন শিক্ষা দফতরে। তার পরেই দাবি করা হয় ওই দু’জনের পদত্যাগ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্রী এই মাহফুজই। তারই ‘পুরস্কার’ স্বরূপ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের জমানায় তাঁকেই বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের পদত্যাগ দাবি (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, এদিন ছাত্ররা সচিবালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন। তাঁরা মাহফুজ ও জোবায়েরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ভাঙচুর করা হয় সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব পদত্যাগ না করলে তাঁরা আরও তীব্র আন্দোলনে নামবেন। সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের শিক্ষা দফতর। এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। এর জেরেই শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন। সূত্রের খবর, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Crisis) দাবি মেনে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে। ফেসবুকে করা এক পোস্টে মাহফুজ লেখেন, “শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।” তবে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেননি।

    আগেও উঠেছে এই দাবি

    এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মাহফুজের পদত্যাগের দাবি উঠেছে বাংলাদেশে। ২০২৫ সালের মে মাসে ইসলামি আলেম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যঙ্গ করার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদ মাহফুজের পদত্যাগ দাবি করে। একই দাবি করে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি-ও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ছাত্র বিক্ষোভের পর পূর্ণ হল মাহফুজের জীবনের একটি বৃত্ত। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশের রাশ যায় ইউনূসের হাতে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রধান পরিকল্পনাকারী বলে ঘোষণা করেন।

    হাসিনাকে সরানোর মাথা মাহফুজই!

    ইউনূসকে বলতে (Bangladesh Crisis) শোনা গিয়েছে, “সে (মাহফুজ আলম) বারবার অস্বীকার করে যে আমি না, আরও অনেকেই আছে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটার পেছনে সে-ই মাথা। এই অসাধারণভাবে সুচিন্তিত ও সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত কাজের মূল পরিকল্পনাকারী।” তিনি (Mahufuj Alam) এও বলেছিলেন, “এটি হঠাৎ করে হয়নি। বরং একটি একটি খুবই সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পিত। আপনি বুঝতেই পারবেন না কে নেতা…তাই কাউকে ধরে বলাও যাবে না যে সব শেষ।” ঘটনাচক্রে, একদিন এই মাহফুজই হাসিনার পতনের মূল কান্ডারি ছিলেন, সে-ই তিনিই এখন নিজেই ছাত্রদের পদত্যাগের দাবির মুখোমুখি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদিও আপাতত সচিবকে বলির পাঁঠা করে বিপদ এড়াতে পেরেছেন মাহফুজ, তবে শেষ পর্যন্ত হয়তো তাঁকে নতি স্বীকার করতেই হবে সেই ছাত্র আন্দোলনকারীদের দাবির কাছে (Bangladesh Crisis)।

    প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

    গত বছরের ১০ নভেম্বর মাহফুজ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তবে প্রথমে তিনি কোনও মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ২০ দিনের মাথায় ২৮ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। মাহফুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের স্নাতক। গত জুলাই-অগাস্ট মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনিই। পরে তাঁকে বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের ভারত-বিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ম্যাপ পোস্ট করেছিলেন এই মাহফুজ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একাংশ, অসম এবং ত্রিপুরাকে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় নয়াদিল্লি। তার পরেই রাতারাতি পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছিলেন মাহফুজই। এই মাহফুজই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র, নাগরিক (Mahufuj Alam) ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বৈষম্যবিরোধীদের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়কও ছিলেন তিনি। একাধিকবার ভারত বিদ্বেষী নানা কথাও বলতে শোনা গিয়েছে মাহফুজকে (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহারির সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগও রয়েছে মাহফুজের বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলেই (Mahufuj Alam)।

  • Supreme Court: ৪৯৮(এ) মামলায় প্রথম দু’মাস করা যাবে না গ্রেফতার, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ৪৯৮(এ) মামলায় প্রথম দু’মাস করা যাবে না গ্রেফতার, এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্হস্থ্য হিংসা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশিকা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে গার্হস্থ্য হিংসার অন্তর্গত ৪৯৮(এ) ধারায় অভিযোগ দায়েরের পর দুই মাস পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে এবং সমস্ত বিভাগকে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রসঙ্গত, এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০২২ সালের রায়ে তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮(এ) ধারার অপব্যবহারের বিষয়ে, অপব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা রোধ করার জন্য এই নির্দেশিকা জারি করে।

    “কুলিং অফ পিরিয়ড”-এর সময় করা যাবে না গ্রেফতারি

    আইপিসি’র ৪৯৮(এ) ধারা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তখন মনে করেছিল যে স্বামী এবং তার পুরো পরিবারকে মিথ্যা ভাবে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ধারার অপব্যবহারের মাধ্যমে। সেই সময় এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে নির্দেশ দেয়, সেখানে তারা জানায় যে এফআইআর বা অভিযোগ দায়েরের পর দুই মাসের “কুলিং অফ পিরিয়ড”-এর সময় কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি বা পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এই সময়ের মধ্যে বিষয়টি প্রতিটি জেলার পরিবার কল্যাণ কমিটির কাছে পাঠানো হবে।

    প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ মহিলা আইপিএস-কে

    সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একজন আইপিএস অফিসারকে, তাঁর প্রাক্তন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একটি বৈবাহিক মামলায় স্বামী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণার অভিযোগ তোলেন ওই আইপিএস অফিসার। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তার রায়ে উল্লেখ করেছে যে স্ত্রীর দায়ের করা ফৌজদারি মামলার কারণে তাঁর স্বামী ১০৯ দিন এবং তার শ্বশুর ১০৩ দিন জেলে কাটিয়েছেন। আদালত বলেছে, যে কষ্ট তাঁদেরকে সহ্য করতে হয়েছে, তা অপূরণীয় এবং এই জন্য অফিসারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলেছে, ওই মহিলা তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন এবং একটি ইংরেজি ও হিন্দি সংবাদপত্রে ওই ক্ষমা চাওয়ার ভাষা প্রকাশ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, এই আদেশটি তিন দিনের মধ্যেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ ও শেয়ার করতে হবে ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘বিশ্বের যে কোনও সংকট মেটাতে পারে ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধ’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘বিশ্বের যে কোনও সংকট মেটাতে পারে ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধ’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধই পারে বিশ্বের সংকটগুলির মোকাবিলা করতে।’’ এমনটাই মত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সর সংঘচালক মোহন ভাগবতের। মঙ্গলবার আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘সারা বিশ্বে যে সংকটের পর্বত দেখা দিয়েছে— তা সে বৈষম্য হোক, পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা কিংবা জাতিগত সংঘর্ষ—এই সমস্ত কিছুই সমাধান সম্ভব একমাত্র ভারতীয় মূল্যবোধের দ্বারা।’’ এটাই একমাত্র পবিত্রতম বিকল্প বলে উল্লেখ করেন মোহন ভাগবত

    আধুনিক ইতিহাস তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমী ন্যারেটিভকে মেনে

    প্রসঙ্গত, মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) উপস্থিত ছিলেন একটি অনুষ্ঠানে যার নাম ছিল ‘দশম অনুব্রত ন্যাস নিধি’। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল যৌথভাবে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি এবং অখিল ভারতীয় অনুব্রত মঞ্চ। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘আধুনিক ইতিহাস যা সম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমী ন্যারেটিভকে মেনে এবং সেভাবেই গঠন করা হয়েছে—সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে ভারতের অবদানকে। আজকে বিশ্বজুড়ে যে বইগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেখানে চিন এবং জাপানের সভ্যতা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই ঠাঁই পেয়েছে, কিন্তু সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে ভারতকে।’’

    বিশ্বমঞ্চে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে

    বিশ্বের প্রসঙ্গের পাশাপাশি, মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) নিজের বক্তব্যে টেনে আনেন ভারতের প্রসঙ্গ। তিনি জানান, বিশ্বমঞ্চে ভারতকে তো বাদ দেওয়া হয়েছে, আবার ভারতের অভ্যন্তরেও শিশুরা যখন ইতিহাস পড়ছে, তখন তাদের দেখানো হয়েছে যে ভারত মানে শুধুমাত্র মুঘল যুগ। বর্তমানে, মোদি সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল বদল এনেছে এবং সেখানে ভারতীয় রাজাদের অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের ইতিহাসও পড়ানো হচ্ছে। ‘কাটছাঁট’ করা হয়েছে মুঘল যুগকে, কিছু ক্ষেত্রে তা বাদও দেওয়া হয়েছে। মোহন ভাগবতের বক্তব্যে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসাও দেখা গিয়েছে। বর্তমানে দেশের সংস্কৃতিকে পুনরুত্থিত করার যে প্রয়াস শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার, তাকে তিনি স্বাগত জানান।

    বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মেটাতে পারেনি বিশ্বের সমস্যা

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সারা বিশ্বজুড়ে দেখা গেলেও, মানব সভ্যতার যে মূল সমস্যা—তাকে চিহ্নিত করে তা দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে এই অগ্রগতি। তিনি বলেন, “বিজ্ঞান আজ বিস্তৃত হয়েছে, মানবীয় জ্ঞান থেকে ক্রোমোজোম এবং জিন—সমস্ত কিছু তারা স্পর্শ করেছে, চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ, সব জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, গরিব ও ধনীর মধ্যে এক বিশাল ফারাক তৈরি হয়েছে এবং তা ক্রমাগত চওড়া হচ্ছে। যাঁরা বিত্তশালী, তাঁরা আজ সৎভাবে স্বীকার করছেন যে তাঁরা ভিতরে অসুখী।’’ অর্থাৎ মোহন ভাগবতের বক্তব্য অনুযায়ী প্রযুক্তি বা বিজ্ঞান সমাধান দিতে পারেনি এই অসুখের।

    সাম্যবাদ ও পুঁজিবাদ নিয়ে কী বললেন তিনি

    তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশ্বের সমস্ত সভ্যতাই পরখ করেছে রাজতন্ত্র, অঞ্চলভেদে আলাদা আলাদা সরকার, পুঁজিবাদ (ক্যাপিটালিজম), সাম্যবাদ (কমিউনিজম)।’’ এরপর তিনি বলেন, “এই সমস্ত মতাদর্শ উঠে এসেছে একটি অসম্পূর্ণ দর্শন থেকে এবং তারা গোটা বিশ্বকে একপাক্ষিক চোখে দেখেছে। কিন্তু এদের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয় ভারতীয় সভ্যতার, তাহলে দেখা যাবে—এখানে সম্প্রীতি আছে, আত্মনির্ভরতা আছে।”

    সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণে কাজ করে ভারতীয় মূল্যবোধ

    মোহন ভাগবত বলেন, “ভারতের ঐতিহ্য হল সকলকে এই শিক্ষা দেওয়া যে আমরা যা করব, সেটা যেন সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণে লাগে।” তিনি আরও বলেন, “ধর্ম ছাড়া ধন-সম্পদ এবং কোনও কিছু পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা, শেষ পর্যন্ত অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।” তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘আদিবাসী সম্প্রদায়—যাঁরা ভারতবর্ষে প্রাচীনকাল থেকে বসবাস করছেন—তাঁরা প্রকৃতির মধ্যেই বেঁচে থাকেন এবং আধুনিক প্রবণতা ও সভ্যতাকে সমালোচনা করেন।’’ তাঁর মতে, “আজ আমরা অনেক কিছুই করি সংবাদমাধ্যম বা ইন্টারনেটে যা পাই সেই অনুসারে। আমরা আমাদের চিন্তাভাবনার উপরে অন্যের প্রভাব তৈরি করেছি।” তিনি বলেন, “পরিবর্তন আনতে হবে ব্যক্তির মধ্যে, পরিবারের মধ্যে।”

    আগে জাগতে হবে ভারতকে

    মোহন ভাগবত বলেন, “ভারত কখনও এটা মনে করে না যে ভারতীয় মডেলকে তারা অন্য সভ্যতার উপর চাপিয়ে দেবে। বরং আমরা আমাদের নিজস্ব মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত এবং প্রভাবিত—সেই পথে থেকেই আমরা বিশ্বের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।” তিনি বলেন, “ছোট কিন্তু সচেতন পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা সমাজকে বদলাতে চাই, বদলাতে চাই বিশ্বসভ্যতাকেও। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান বিশ্বের যে কোনও সমস্যা—সম্পদ নিয়ে সংঘর্ষ হোক বা সংস্কৃতি নিয়ে সংঘাত—তার সমাধান রয়েছে ভারতীয় সভ্যতার মূল্যবোধে।’’ তাঁর নিজের ভাষায়, “প্রথমে ভারতকে জাগতে হবে। সেটা সম্ভব হলেই, বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।”

  • Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে নিম্নচাপ! বুধবার রাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, কেমন থাকবে উত্তর?

    Weather Update: ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে নিম্নচাপ! বুধবার রাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, কেমন থাকবে উত্তর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে, একইসঙ্গে তৈরি হচ্ছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চলও। এই দুইয়ের মিলিত প্রভাবে বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে দুর্যোগের প্রকোপ আরও বাড়বে (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, চিন ও ভিয়েতনামে ঘূর্ণিঝড় ‘উইফা’ আছড়ে পড়েছে। তার প্রভাবেই উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (South Bengal)।

    বুধবার রাতেই ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update)

    জানা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের উপরে তিনটি পৃথক ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। একই সময়ে, রাজ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে স্থলভাগে, যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) কয়েক দিন ধরে ঝড়বৃষ্টি চলবে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার দিনের বেলায় কিছুটা অস্বস্তিকর গরম থাকতে পারে, তবে রাতের দিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আবহে বুধবার দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    দুর্যোগ বাড়বে বৃহস্পতিবার থেকে

    দুর্যোগ আরও বাড়বে বৃহস্পতিবার থেকে (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। বাকি জেলাগুলির জন্য রয়েছে হলুদ সতর্কতা। শুক্রবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গে আপাতত বড় ধরনের দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই

    বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে (Weather Update)। শনিবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবি ও সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    সমুদ্র থাকবে উত্তাল (Weather Update)

    নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েক দিন সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাই বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

LinkedIn
Share