Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Punjab Floods: পাঞ্জাবে বন্যা, ১২ হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিল আরএসএস

    Punjab Floods: পাঞ্জাবে বন্যা, ১২ হাজার পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS Swayamsevaks) পাঞ্জাবে (Punjab Floods) বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এবং বন্যাদুর্গতদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে। প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন স্বয়ংসেবকরা। আরএসএস-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ১,৭০০ স্বয়ংসেবক এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন এবং তাঁরা বন্যাদুর্গতদের নানাভাবে সহায়তা করছেন।

    পাঞ্জাবের প্রান্ত-সংঘচালক ইকবাল সিং কী বলছেন?

    পাঞ্জাবের প্রান্ত-সংঘচালক ইকবাল সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছি। আরএসএস-এর (RSS Swayamsevaks)স্বয়ংসেবকরা (Punjab Floods) উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন, পাশাপাশি ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন পাঞ্জাবের ৪১টি অঞ্চলে।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ

    জনগণের প্রয়োজন অনুসারে স্বয়ংসেবকরা নানান ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করছেন। শুধু শুকনো খাবার নয়, তারা রান্না করা খাবারও দুর্গতদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন, যাতে অসহায় মানুষজন তৎক্ষণাৎ খেতে পারেন। পাশাপাশি চাল, ডাল, আটা, লবণ, তেল, চিনি ইত্যাদি রেশন সামগ্রীর প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, যাতে কয়েকদিনের জন্য হলেও পরিবারগুলো স্বাভাবিকভাবে রান্না চালিয়ে যেতে পারে।এছাড়াও বিশুদ্ধ পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব এলাকায় পানীয় জলের বড় সংকট তৈরি হয়েছে, সেখানে বোতলজাত জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। স্বয়ংসেবকরা ত্রিপল বিতরণ করছেন, যাতে দুর্গত মানুষ অন্তত অস্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে পারেন। একইসঙ্গে বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে কম্বল, চাদর ও বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    চিকিৎসার দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে

    চিকিৎসার দিকটিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ, সর্দি-কাশি ও জ্বরের ওষুধ, স্যালাইন, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী দুর্গতদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। মশার উপদ্রব বাড়ায় মশার ধূপ, কয়েল ও স্প্রে পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শুধু মানুষ নয়, গবাদিপশুদের কথাও ভুলে যাননি স্বয়ংসেবকরা। যেসব পরিবার গরু-ছাগল বা অন্য প্রাণী নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন, তাদের জন্য বিশেষভাবে পশুখাদ্য, খড় ও খাদ্যেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে কৃষক পরিবারগুলোও কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

    মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন স্বয়ংসেবকরা

    জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন অঞ্চলের স্বয়ংসেবকরা মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছেন। ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবকরা ১২ হাজারেরও বেশি পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন। দুধ, চিনি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় (Punjab Floods) জিনিসপত্র গ্রামেগ্রামে পৌঁছে দিচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা। উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে কপূরথালা জেলা, যেখানে অসংখ্য স্বয়ংসেবক সেবামূলক কাজে নেমেছেন এবং বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রান্ত-সংঘচালক ইকবাল সিং জানিয়েছেন, স্বয়ংসেবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের পাশে দাঁড়ান। এই ত্রাণ ও সেবামূলক কাজে সেবা ভারতী, ভারত বিকাশ পরিষদ, বিদ্যাভারতী, কৃষক সংঘ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ প্রভৃতি সংগঠনও যুক্ত রয়েছে (Punjab Floods) ।

  • Lunar Eclipse 2025: আজ চন্দ্রগ্রহণ, পিতৃপক্ষের শুরু! জেনে নিন ভারতে কখন শুরু হবে সূতক, কী করবেন আর কী করবেন না?

    Lunar Eclipse 2025: আজ চন্দ্রগ্রহণ, পিতৃপক্ষের শুরু! জেনে নিন ভারতে কখন শুরু হবে সূতক, কী করবেন আর কী করবেন না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2025) হতে চলেছে রবিবার। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ হবে লাল। একে ব্লাড মুন বলা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, এই গ্রহণের সূতক কাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ক্যালেন্ডার এবং জ্যোতির্বিদ্যার গণনা অনুসারে, ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে। এই গ্রহণ শুরু হবে রাত ১০ টা ৫৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর ভোর ৩ টে ২৩ মিনিটে। সামগ্রিকভাবে, এই গ্রহণ প্রায় ৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট স্থায়ী হবে। ভারত ছাড়াও, বিশ্বের অনেক জায়গায় এই গ্রহণ দেখা যাবে। এই জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনাটি এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অঞ্চল, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে দেখা যাবে।

    সূতক কাল কখন শুরু হবে?

    জ্যোতিষশাস্ত্রে, গ্রহণের (Lunar Eclipse 2025) সঙ্গে সম্পর্কিত সূতক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূতক সময় চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘন্টা আগে শুরু হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, ৭ সেপ্টেম্বর সূতক সময় দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিট থেকে শুরু হবে। হিন্দু ধর্মে, গ্রহণকে একটি ‘অশুভ সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রহণের সময় সাধারণভাবে কোনও শুভ কাজ করা হয় না। এই সময়ে, ধর্মীয় কাজ, পুজো এবং শুভ কার্যকলাপ এড়িয়ে চলার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এইবার চন্দ্রগ্রহণ ভারতে সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, এর সূতক সময়ও ভারতে বৈধ হবে। এই কারণে, মন্দিরের দরজা নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিও সূতক সময় শেষ হওয়ার পরেই অনুষ্ঠিত হবে।

    পিতৃপক্ষে গ্রহণের গুরুত্ব

    সনাতন ধর্মে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে (Lunar Eclipse 2025) বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় ৷ পিতৃপক্ষের শুরুতেই ভারত থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের গুরুত্ব অনেক ৷ এই সময়ে পূর্বপুরুষদের নামে তর্পণ করা এবং দানধ্যান করা শুভ। এবছর পিতৃপক্ষ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু । চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেদিনই মহালয়া। দেবীদুর্গার আগমন বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই পিতৃপক্ষের অবসান ঘটবে। গ্রহণের সময় জপ, মন্ত্রোচ্চারণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে । শাস্ত্র মতে, এই সময়ে করা ধর্মীয় কাজ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ১০০ গুন বেশি ফলপ্রসূ হয়। গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও, গ্রহণের সময় শাকসবজি বা যে কোনও ধরনের জিনিসপত্র কাটা-কুটি এড়িয়ে চলায় ভালো। পণ্ডিতরা বিশ্বাস করেন গ্রহণের সময়টি মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্যও উপযুক্ত। যেহেতু এবারের এই চন্দ্রগ্রহণ পিতৃপক্ষের প্রথম দিনে পড়েছে, তাই পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পুজোর গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। এই দিনে পিতৃ তর্পণ, দান এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করতে পারেন।

  • Afghanistan Earthquake: ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে কাতরালেও, উদ্ধার করেনি কেউ, করুণ ছবি আফগান মহিলাদের

    Afghanistan Earthquake: ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে কাতরালেও, উদ্ধার করেনি কেউ, করুণ ছবি আফগান মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan Earthquake) লিঙ্গ বৈষম্যের বিষময় ফল প্রত্যক্ষ করল তামাম বিশ্ব। নারীদের স্পর্শ করা যাবে না (Taliban Gender Laws)। তালিবান সরকারের এই ফতোয়ার কারণে ভূমিকম্পের পরে দুর্বিষহ ছবি এল প্রকাশ্যে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়ে কাতরালেও, উদ্ধার করা হচ্ছে না কোনও মহিলাকে, উদ্ধার করা হচ্ছে কেবল পুরুষ ও শিশুদের। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্টে হতবাক গোটা দুনিয়া।

    ভূমিকম্পে ধ্বস্ত আফগানিস্তান (Afghanistan Earthquake)

    সম্প্রতি ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। মৃতের সংখ্যা তিন হাজার। ধ্বংসস্তূপের নীচেও চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। ধর্মীয় ফতোয়ার জেরে উদ্ধার করা যাচ্ছে না মহিলাদের। তালিবানি নিয়ম অনুযায়ী, একই পরিবারের সদস্য না হলে কোনও মহিলা এবং পুরুষের মধ্যে শারীরিক সংযোগ ঘটতে পারে না। তাঁরা একে অপরকে স্পর্শ করতেই পারেন না। নারী-পুরুষের শারীরিক সংস্পর্শ কেবলমাত্র স্বীকৃত পারিবারিক যোগের ক্ষেত্রেই। তালিবান সরকারের ফতোয়া, জরুরি পরিস্থিতিতেও এই নিয়মের ব্যতয় হবে না। তাই ভূমিকম্পে ধ্বস্ত আফগানিস্তানে চাইলেও, মহিলাদের উদ্ধার করতে পারছে না পুরুষদের নিয়ে গঠিত উদ্ধারকারী দল। কেবল পুরুষ ও শিশুদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। খিদে-তৃষ্ণা-যন্ত্রণায় ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে উদ্ধারের আশায় কাতরেই চলেছেন মহিলারা।

    উদ্ধারকারী দলের সদস্যের বক্তব্য

    উদ্ধারকারী দলের সদস্য তাহজিবুল্লা মুহাজেব সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “আমাদের মেডিক্যাল টিমের সব সদস্যই পুরুষ। সরকারি ফতোয়ার কারণে ভেঙে পড়া বাড়ির নীচে আটকে পড়া মহিলাদের টেনে বের করার সাহস পাননি তাঁরা। ফলে জখম মহিলা বা কিশোরীরা পাথরের নীচে আটকে ছিলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অন্য গ্রাম থেকে মেয়েরা কখন উদ্ধার করতে আসবেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের।” তিনি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছিল, মহিলারা যেন অদৃশ্য। পুরুষ ও শিশুদের চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কিন্তু মহিলারা জখম অবস্থায় পাশে বসেছিলেন, অপেক্ষা করছিলেন।”

    কুনার প্রদেশের (Afghanistan Earthquake) আন্দারলুকাক গ্রামের বাসিন্দা বছর উনিশের আয়েশা বলেন, “উদ্ধারকারী দলে কোনও মহিলা ছিলেন না। ওরা এল। আমাদের মধ্যে অনেকেই রক্তাক্ত, আহত। তা (Taliban Gender Laws) সত্ত্বেও কোনও মহিলাকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। আমাদের কী প্রয়োজন, তাও কেউ জিজ্ঞেস করেনি পর্যন্ত (Afghanistan Earthquake)।”

  • China: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! পাকিস্তানের বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াল চিন

    China: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! পাকিস্তানের বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে (China) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। পড়শি দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরপরই ‘দুঃসংবাদ’ পেল পাকিস্তান। তারা জানল, পাকিস্তানের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দেশ। চিনের এই সিদ্ধান্তের জেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় ইসলামাবাদের।

    এমএল-১ প্রজেক্ট (China)

    প্রায় এক দশক ধরে টাকার অভাবে আটকে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি থেকে পেশোয়ার যাওয়ার রেল উন্নয়নের কাজ। নাম এমএল-১ প্রজেক্ট। বর্তমানে এই পথে একটি রেলরুট রয়েছে। তবে বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহের মতো কাজে তা ব্যবহারের অযোগ্য। তাই খাইবার পাখতুন প্রদেশ হয়ে যাওয়া ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথের উন্নয়নের জন্য চিনের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছিল শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে রেল নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে অর্থায়ন করার প্রকল্প এমএল-১ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে এসেছে চিন। বস্তুত, দুই বন্ধুর স্বপ্নের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপেক) প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কথা ছিল এই রেল নেটওয়ার্ক প্রকল্পটি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনাও হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    বিশ বাঁও জলে পাকিস্তান

    প্রত্যাশিতভাবেই চিন হাত তুলে নেওয়ায় আপাতত বিশ বাঁও জলে পাকিস্তানের এই প্রকল্পের কাজ। এমএল-১ প্রকল্প থেকে চিন সরে যাওয়ার পর এখন ওই প্রকল্পে টাকা ঢালার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামাবাদ। এমএল-১ প্রকল্পের করাচি-রোহরি রেল যোগাযোগ উন্নত করতে এডিবির কাছ থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান। এমএল-১ প্রকল্পে এডিবির হস্তক্ষেপ করার অর্থ পাকিস্তান প্রথমবারের জন্য একটি বহুপাক্ষিক ঋণদাতাকে এমন একটি প্রকল্পে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে, যা এক সময় চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মূল প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হত।

    পাকিস্তানের পরিকাঠামো পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা

    কিছু দিন আগেই চিনের হাইপ্রোফাইল সামরিক প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং আর্মি চিফ ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তাঁরা সাক্ষাৎ করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও। তাঁরাই এখন বুঝতে পেরেছেন, এমএল-১ রেলওয়ে প্রকল্পের ২ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের তহবিল দেবে না। জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকাঠামো পরিকল্পনার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ইসলামাবাদকে জরুরি ভিত্তিতে এডিবির কাছ থেকে অর্থ জোগাড়ে বাধ্য করছে, যাতে সিপেক করিডরের দ্বিতীয় পর্যায়টা অন্তত রক্ষা করা যায় (Pakistan)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে চিন। সেই প্রকল্পগুলির আর্থিক কার্যকারিতা নিয়ে বেজিংয়ের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান আর্থিক সংকট এবং ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের অনীহা দেখেও এমএল-১ প্রকল্পে এখন আর টাকা ঢালতে চাইছে না চিনা সরকার।

    অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা ভারতের

    প্রথম থেকেই এই অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা করেছে ভারত। কারণ সিপেকের একটা অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই অংশটি ভারতের বলেই দাবি করে আসছে নয়াদিল্লি। তাই চিনের এই প্রকল্প ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলেই মনে করে বিদেশমন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিপেক থেকে এখনও পুরোপুরি সরে দাঁড়ায়নি বেজিং। তবে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত বদলালেও বদলাতে পারে (Pakistan)। আপাতত এই প্রকল্পের অংশ এমএল-১ রেল উন্নয়ন প্রকল্পে যে তারা টাকা ঢালতে নারাজ সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছে চিন (China)। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দেশের বাইরে বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে চিন। কারণ কিছু ক্ষেত্রে চিন নিজেই মুখোমুখি হয়েছে অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার। পকেট বাঁচাতে তাই আপাতত প্রচণ্ড ঝুঁকির মুখে থাকা বিদেশি প্রকল্পগুলির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে চিন। শোনা যাচ্ছে, ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না, এমন দেশগুলিতে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি থেকেও সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিংয়ের সরকার। আর সে ক্ষেত্রে ভিখিরি পাকিস্তানকে যে সাহায্য না করার তালিকায় চিন প্রথমে রাখবে, তা বলাই বাহুল্য (China)।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সম্প্রতি চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মোদি-সহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সেখানে (Pakistan) খানিকটা উপেক্ষিতই হন পাক প্রধানমন্ত্রী। এহেন আবহে চিনের এমএল-১ প্রকল্প থেকে চিনের সরে আসার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে (China)।

  • Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    Operation Sindoor: ‘‘১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ থামেনি’’, অপারেশন সিঁদুরের অনেক না বলা কথা শোনালেন সেনাপ্রধান

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে শুরু হওয়া ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) কেবলমাত্র তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়নি, বরং এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনারা হয়ত ভাবছেন ১০ মে যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে; না, তা নয়। এটি আরও অনেক দিন ধরে চলেছে, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার সবকিছু বলা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, সীমান্তে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাস এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

    সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি

    শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে জেনারেল দ্বিবেদী জানান, সিঁদুর অভিযানের প্রভাব সীমান্তে কতটা পড়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, সীমান্তে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়াও চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির উপরে সিঁদুর অভিযানের প্রভাব কতটা পড়েছে, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যাবে না। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাস কি বন্ধ হয়েছে? আমি মনে করি না। কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখায় এখনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। আমরা সকলে জানি, কত জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, কত জন পালিয়ে গিয়েছে।’’

    অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, তার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সংঘাত শুরু হয়। অবশেষে ১০ মে পাকিস্তানের (Pakistan) অনুরোধেই দুই দেশের ডিজিএমও (DGMO) স্তরে বৈঠক হয়। তারপরই সংঘর্ষ বিরতি হয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) কী কী হয়েছিল, তা নিয়েই বই প্রকাশ করলেন সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সেখানেই তিনি জানালেন যে ১০ মে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত শেষ হয়নি। ‘অপারেশন সিঁদুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব ইন্ডিয়া’জ ডিপ স্ট্রাইক ইনসাইড পাকিস্তান’ শীর্ষক বইটি প্রকাশিত হয় শুক্রবার। এই বইটি লিখেছেন প্রাক্তন সেনা কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ধিলন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই অভিযান শুধুমাত্র ভারতীয় সেনার সামরিক অভিযানই ছিল না, একইসঙ্গে সেনার সাহসিকতা, পেশাদারিত্বকেও তুলে ধরেছিল। জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “এই দিকগুলি সাধারণত না শোনা, না বলা থেকে যায়, কারণ উর্দিধারীরা এই কথাগুলি বলতে পারেন না। নিয়ন্ত্রণ রেখায় এই ধরনের সংঘাতে আমরা অভ্যস্ত কিন্তু আমরা বুঝি না যে এর অনুভূতি, ক্ষতি, লাভ ও কী কী প্রতিবন্ধকতা থাকে। অপারেশন সিঁদুরেও না বলা কাহিনি ছিল।”

    বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়

    সিঁদুর অভিযানের সময় ভারতের বাহিনীগুলির মধ্যে সমন্বয়েরও প্রশংসা করেছেন দ্বিবেদী। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক বাহিনীর আধিকারিকেরা নিজেদের নির্দেশ নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে অবহিত ছিলেন। সেই মতো পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা। তিনি বায়ু, নৌ এবং স্থলসেনাকে এক কমান্ডারের অধীনে (থিয়েটারাইজেশন) নিয়ে আসার বিষয়েও সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, কাজ সম্পাদনের জন্য এক জন কমান্ডার থাকা প্রয়োজন। অভিযান চলাকালীন তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়কে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন এবং ভারতীয় সেনার সমন্বিত অগ্রযাত্রাকে “একটি ছন্দময় তরঙ্গের মতো” বলে আখ্যা দেন, যেখানে “প্রত্যেকে একে অপরের সঙ্গে সমন্বিত ছিল এবং নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন ছিল।” তিনি ব্যাখ্যা করেন যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে, যেখানে তিন বাহিনী ছাড়াও অসামরিক ও সাইবার সংস্থাগুলো যুক্ত থাকে, সেখানে একীভূত কমান্ড কাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “এত সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হলে থিয়েটারাইজেশনই সমাধান। ঐক্যবদ্ধ কমান্ড অপরিহার্য; কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য একজন মাত্র কমান্ডার থাকা প্রয়োজন।”

    জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত

    কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। ড্রোনের উপরে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন জেনারেল দ্বিবেদী। জেনারেল দ্বিবেদী সাম্প্রতিক জিএসটি সংস্কারকে সেনার আধুনিকীকরণে ত্বরান্বিত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানান। তিনি উল্লেখ করেন, ড্রোনে জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা “বৃহৎ পরিসরে ক্রয়” সম্ভব করবে। তিনি আরও বলেন, এই সংস্কার প্রতিরক্ষা করিডরগুলিকে শক্তিশালী করবে এবং ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির অংশগ্রহণ বাড়াবে। “আমাদের প্রতিরক্ষা করিডরগুলো বড় ধাক্কা পাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপগুলো, যাদের প্রায়ই সীমিত সম্পদ থাকে, তারা এই জিএসটি কাট থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।”

  • RSS: দেশের প্রতিটি রাজ্যেই প্রভাব বাড়ছে আরএসএস-এর, উল্লেখ সংঘের রিপোর্টে

    RSS: দেশের প্রতিটি রাজ্যেই প্রভাব বাড়ছে আরএসএস-এর, উল্লেখ সংঘের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক রাজস্থানের যোধপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকটি শুরু হয় গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে আগামী রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে সংঘের (RSS Work) ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত ৩২টি সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, সংস্কার ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় কৃষক সংঘ, বিদ্যাভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ এবং বিজেপি প্রবৃদ্ধি। এই আবহে সামনে এল সংঘের কাজের রিপোর্ট। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, সারাদেশে সংঘের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    স্বয়ংসেবকদের নানান উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছে

    ওই রিপোর্টে সারা দেশের সাংগঠনিক কার্যক্রম, সামাজিক কর্মসূচি, সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা, সংগঠনের বিস্তার এবং বর্তমান জাতীয় পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরেছে সংঘ (RSS)। প্রতিবেদনটি শুধু সংঘের বিস্তারই নয়, সমাজে সংঘের (RSS Work) গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রভাব বৃদ্ধিকেও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে।
    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজের বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সংঘের কার্যক্রমের প্রতি আস্থা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংঘের দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক ভাবনা এবং স্বয়ংসেবকদের (RSS) নানান উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক সমর্থন ও সহযোগিতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

    গত বছর সারাদেশে ১,১৪৪টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে, ৩১,৬২৬ জন স্বয়ংসেবক অংশ নিয়েছেন

    আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে অনুকূল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে কার্যক্রম সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিশ্রম চালানো প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে কর্মপদ্ধতিতে দৃঢ়তা, কার্যক্রমের গুণগত মান উন্নয়ন এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছানো আবশ্যক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
    সাংগঠনিক দিক থেকে দেখা যায়, গত বছর সারাদেশে ১,১৪৪টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ৩১,৬২৬ জন স্বয়ংসেবক অংশ নিয়েছেন।

    পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় ১০০ নয়া শাখা চালু হয়েছে

    রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কাজও। নদিয়ায় এক বছরে ১০০টি নতুন শাখা চালু হয়েছে, এর সঙ্গে রয়েছে ৫০টি মিলন এবং ৫০টি মণ্ডলী। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, উত্তর অসমে জেলা ভিত্তিক শীতকালীন শিবিরে ৭,৬৮৫ স্বয়ংসেবক অংশ নিয়েছেন, দক্ষিণ অসমে অংশগ্রহণ করেছেন ৩,৮৭৯ স্বয়ংসেবক। ছত্তিশগড় প্রদেশে ‘পূর্ণ বিভাগ’ লক্ষ্য পূরণ করে ১৫৪ মণ্ডল ও ৩২টি বস্তিতে নতুন শাখা চালু হয়েছে।

    বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির কথাও উল্লেখ

    সামাজিক কর্মসূচিতেও সংঘের (RSS) অবদান বিরাট বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গো-সেবা উদ্যোগের আওতায় ৬৪৭টি গো-কথা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১,৭৬,১৮৯ জন অংশগ্রহণ করেছেন। ৭৭টি গো-সেবা সঙ্গমে অংশগ্রহণ করেছেন ১,৫৬,৯৯০ জন। গো-বিজ্ঞান পরীক্ষায় ৮,৬২৬ কেন্দ্রে ৬,৮২,৪৩৯ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছেন। দীপাবলিতে গোবরের প্রদীপ ব্যবহার করে ১১,২৮,৩৪৩টি পরিবারের কাছে ২৩,৭০,৩২৩টি প্রদীপ বিতরণ করা হয়েছে। গোপাষ্টমীতে ২৪,১২৭টি অনুষ্ঠান হয়েছে, যার মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন ৭,২২,১৫৬ জন।

    পরিবেশ রক্ষায় সংঘের ভূমিকার কথা উল্লেখ

    পরিবেশ রক্ষায় সংঘের প্রচেষ্ট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। NSPC ২০২৪ প্রতিযোগিতায় ৭,০৯,১৭৩ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ১০৭টি অন্যান্য দেশের পড়ুয়ারাও রয়েছেন। ‘এক থালা–এক থলে অভিযান’-এ ১৪,১৭,০৬৪ প্লেট এবং ১৩,৪৬,১২৮ থলে বিতরণ করা হয়েছে, যার ফলে প্লাস্টিক ব্যবহারে ৮০–৮৫% হ্রাস এসেছে এবং প্রতিদিন আনুমানিক ৩.৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

    গ্রামীণ উন্নয়নে এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় সংঘের কাজ এগিয়েছে

    গ্রামীণ উন্নয়ন ও সামাজিক সম্প্রীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলে নারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। কর্ণাটক দক্ষিণ প্রান্তে প্রায় ১,০০০ গ্রামে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, ৭৭৩ গ্রামে গ্রাম সঙ্গমে ১১,০০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুরে শিশু সংস্কার কেন্দ্র চালু হয়েছে, যা ১৮টি গ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং অল্পবয়সে বিয়ে রোধে ভূমিকা রাখছে। অন্ধ্রপ্রদেশের অনাকাপল্লিতে গ্রামবাসীরা যৌথভাবে অর্থ সংগ্রহ করে সর্বজনীন শ্মশানঘাট নির্মাণ করেছেন। মধ্য ভারতের চম্বল অঞ্চলে ৬৮৩ গ্রামে ‘এক মন্দির–এক শ্মশান’ নীতি বাস্তবায়িত হয়েছে। কাশীতে প্রথমবার জাতিভেদ না মেনে সমবেত ভোজের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৪০০ পরিবার।

    সাংস্কৃতিক কাজ ও জাতীয়স্তরের নানা কর্মসূচিতেও সংঘ সফল

    সাংস্কৃতিক কাজ ও জাতীয়স্তরের নানা কর্মসূচিতেও সংঘ সফল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের বিজয়া দশমী উৎসবে নাগপুরে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান ড. কে. রাধাকৃষ্ণন। গোপাষ্টমী ও গো-নবরাত্রি উপলক্ষে সারা দেশে হাজার হাজার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মহারাজা সোহেলদেব, সন্ত শিরোমণি রবিদাস, গীতা জয়ন্তী প্রভৃতি উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন প্রান্তে মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে শতবর্ষ উদযাপনের কর্মসূচিগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়। প্রতিটি মণ্ডল ও বস্তিতে শাখা বিস্তার, পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠন, সামাজিক সম্প্রীতি জোরদার, যুবক ও নারীদের সংগঠনে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া, এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা হবে। রিপোর্টে সংঘের মূল বার্তা তুলে ধরা হয়েছে এই শ্লোকের মাধ্যমে, “সমাজই আমাদের আরাধ্য, সেবাই আমাদের পুজো। ভরত মাতার বৈভব বৃদ্ধির সেবা-সংকল্পই আমাদের সাধনা।”

    দেশভক্তি, সততা এবং উজ্জ্বল চরিত্রের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএস-এর মতো শক্তি, সমাজকে জাগ্রত ও সুসংগঠিত করার মহৎ কাজের জন্য নিয়োজিত। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সমাজের বাকি অংশকেও জাগ্রত করার কাজ এবং সঠিক দিকনির্দেশ আরএসএসকেই করতে হবে। সমাজের বৃহত্তর অংশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে, তাঁদেরকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে যুক্ত করা জরুরি বলে মনে করে আরএসএস। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, আমাদের উচিত সংগঠনকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা, যাতে এটি সমাজে অর্থবহ এবং দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য সদিচ্ছা সম্পন্ন মানুষদের অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাঁদেরকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। দেশভক্তি, সততা এবং উজ্জ্বল চরিত্রের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। এইভাবে আমরা একটি ঐক্য়বদ্ধ ও শক্তিশালী সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারব।

  • Nirmala Sitharaman: “অর্থনীতিতে আবার প্রাণ ফিরে আসবে’’, ভবিষ্যতে হতে পারে জিএসটি ৩.০, ইঙ্গিত সীতারামনের

    Nirmala Sitharaman: “অর্থনীতিতে আবার প্রাণ ফিরে আসবে’’, ভবিষ্যতে হতে পারে জিএসটি ৩.০, ইঙ্গিত সীতারামনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা এক সময় জিএসটিকে গব্বর সিং ট্যাক্স বলেছিলেন, তাঁরাই আজ আবার সংস্কারের কৃতিত্ব দাবি করছেন।” কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের নিশানা করে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, “জিএসটির (GST) প্রথম পর্যায় ছিল ঐক্যের জন্য, দ্বিতীয় পর্যায় সরলতার জন্য।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, এখন তিনি মূলত সবার কাছে সহজে বোধগম্য করার দিকেই নজর দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারকে নিয়ে নানা সময় বিজেপিকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই কর ব্যবস্থায় তাদের দলের কৃতিত্ব রয়েছে।

    সীতারামনের সাফ কথা (Nirmala Sitharaman)

    শুক্রবার সীতারামন বলেন, “আমার কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জিএসটিকে সহজ করা। সেই সহজতার প্রভাব প্রত্যেক ভোক্তাই অনুভব করবেন। আমি সেই দিকেই কাজ করছি।” রাহুল গান্ধীর দলকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস এতদিন ক্ষমতায় থেকেও কেন এই সংস্কার কার্যকর করতে পারেনি? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ভারতে আয়করের হার ছিল বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চগুলির মধ্যে একটি।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, বর্তমান সরকারের কাছে এই সংস্কার একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা দেশব্যাপী একক কর ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজস্ব প্রক্রিয়াকে অনায়াস করেছে।

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ইঙ্গিত, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই জিএসটির তৃতীয় পর্যায়ের কাঠামো নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। তবে কেমন হতে পারে সেই তৃতীয় ধাপ, সে বিষয়ে এখনই কিছু খোলসা করেননি নির্মলা। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ী ও সংস্থাগুলিকে অবশ্যই কর হ্রাসের সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বরের পর আমাদের বড় নজরদারির কাজ শুরু হবে। কম করের সুবিধা যেন সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছয়। সরকারি সংস্থাগুলির ওপরও কড়া নজর রাখা হবে।”

    জিএসটি ৩.০-র ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নির্মলা (Nirmala Sitharaman) বলেন, “তৃতীয় পর্যায় হবে সরলীকরণকে ধরে রাখা এবং আরও কার্যকর করে তোলা। জিএসটি ১.০-র উদ্দেশ্য ছিল ঐক্যমত হওয়া, জিএসটি ২.০ তে সহজ করা হল, আর জিএসটি ৩-র মূল লক্ষ্য হবে স্থিতিশীলতা, ন্যায়সঙ্গত কর হার এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ব্যবস্থা।” তিনি বলেন, “অর্থনীতিতে আবার প্রাণ ফিরে (GST) আসবে। এই সংস্কারের উদ্দেশ্যই হল অর্থনীতিকে রক্ষা ও চাঙা রাখা (Nirmala Sitharaman)।”

  • PM Modi: রাষ্ট্রসংঘের সভায় যোগ দিতে আমেরিকা যাবেন না মোদি! সুকৌশলে কি বার্তা ট্রাম্পকে?

    PM Modi: রাষ্ট্রসংঘের সভায় যোগ দিতে আমেরিকা যাবেন না মোদি! সুকৌশলে কি বার্তা ট্রাম্পকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুচিন্তিত পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে (UNGA Session) যোগ দেবেন না প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরিবর্তে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভাষণ দেবেন। এর আগে ঠিক ছিল, ২৬ সেপ্টেম্বর মোদি ভাষণ দেবেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবর্তে বিদেশমন্ত্রী ভাষণ দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর। মার্কিন শুল্ক নিয়ে দ্বন্দ্বের মাঝে সুপরিকল্পিত ভাবে আমেরিকা সফর এড়িয়ে গেলন প্রধানমন্ত্রী মোদি এমনই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

    কেন গেলেন না মোদি

    প্রথমত, এই সময় মার্কিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরর সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে বেরিয়ে এলে, তা সরাসরি বিরোধ বা সংঘাতের সামিল হত। যা ভারত এখনও পর্যন্ত এড়িয়ে গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা কোনও মন্তব্যের প্রকাশ্যে প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটেনি ভারত। পাল্টা শুল্ক চাপায়নি। শুধু চুপ করে বসে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে দিল্লি। ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হলে করমর্দন করতে হত, সৌজন্যতা বজায়ের জন্য সেই কাজ করলে জনমানসে ভুল বার্তা যেত। বিশেষ করে, ট্রাম্প যখন ‘‘চিন রাশিয়ার কাছে ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি’’ বলে দাবি করে বসেছেন। দ্বিতীয়ত, হতেই পারে, মোদি আমেরিকা যাচ্ছেন শুনে ট্রাম্প আগবাড়িয়ে আচমকা ঘোষণা করে বসলেন। বলে দিতেই পারেন যে, মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁরা দেখা করতে চলেছেন। মোদি রাজি হয়েছেন এরকম নানা কথা। এমনকি বৈঠকের দিনক্ষণ জায়গাও প্রকাশ করে ফেলতে পারতেন। কারণ অতীতে এমন অনেক কিছুই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার কথা বারবার দাবি করেছেন ট্রাম্প, যা আদতে মিথ্যে বলে দাবি করেছে ভারত।

    শেষ কবে রাষ্ট্রসংঘে মোদি

    জুলাই মাসে প্রকাশিত তালিকায় জানা গিয়েছিল চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশের প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলা রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কিন্তু এবার জানা গেল, মোদির পরিবর্ত হিসেবে জয়শঙ্করের কথা। প্রসঙ্গত, এবারের অধিবেশনে প্রথম বক্তব্য রাখার কথা ব্রাজিলের। এরপরই আমেরিকার প্রতিনিধি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাষণ দেবেন। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর এটাই রাষ্ট্রসংঘে তাঁর অধিবেশন। নিউ ইয়র্কে হতে চলা ওই অধিবেশনে ট্রাম্প কী বলবেন, সেদিকে কড়া নজর থাকবে নয়াদিল্লির। তথ্য বলছে, শেষবার ২০২১ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় গিয়েছিলেন মোদি। গত বছর রাষ্ট্রসংঘের হেডকোয়ার্টারেও তিনি যান। তবে সভায় যোগ দেননি। তারপর ২০২২ সাল থেকেই রাষ্ট্রসংঘের ডিবেটে ভারতের হয়ে ময়দানে নেমেছেন এস জয়শংকর। শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার উচ্চ পর্যায়ের ডিবেটে স্পিকারদের নাম প্রকাশ্যে আসে। সেখানে লেখা রয়েছে ভারতের তরফে এক ‘মন্ত্রী’ সেখানে যো দেবেন। জানা যাচ্ছে, ২৭ সেপ্টেম্বর, যেদিন দেশে দুর্গাপুজোর পঞ্চমী পালিত হবে, সেদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।

    এক ঢিলে দুই পাখি

    শুল্কযুদ্ধের আবহে ট্রাম্পের নানা বক্তব্যে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের বিবিধ টানাপোড়েন সামনে এসেছে। সম্প্রতি এসসিও বৈঠকে মোদিকে পুতিন ও জিনপিংয়ের পাশে দেখে ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে রাশিয়া ও ভারতকে অন্ধকার চিনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এই পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নেই এখনও পর্যন্ত।’ এর আগে প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন বলেছেন, ট্রাম্প ও মোদির সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার ফের ট্রাম্পকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। পরে ট্রাম্প ব্যাখ্যা করে বলেছেন, তাঁর এই ধরনের মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর হতাশা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন মুলুকে পা রাখলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। মার্কিন কূটনীতির কারবারিরা মোদি-ট্রাম্পকে পাশাপাশি বসিয়ে আলোচনার চেষ্টা করবেন। তখন প্রধানমন্ত্রী মোদির সামনে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মোদি সুকৌশলে সেই রাস্তাই বন্ধ করে দিলেন। একই সঙ্গে এক ঢিলে দুই পাখি মারল দিল্লি। এক, ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো গেল। দুই, ট্রাম্পকে ঘুরিয়ে বার্তা দেওয়া হল যে, ভারত মাথা নত করবে না।

  • PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের এই চড়া শুল্কনীতির জেরে এক অক্ষে চলে আসে ভারত-রাশিয়া ও চিন। এতেই প্রমাদ গোনে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই তিনি বলেন, “আমি সব সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু। নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষই থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি ট্রাম্পের অনুভূতিকে অনুভব করেন।

    মোদির ট্যুইট বার্তা (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন ট্রাম্প বলেন, তিনি সর্বদা মোদির বন্ধু থাকবেন। অথচ এর ঠিক একদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আমেরিকা ভারতকে সব চেয়ে গভীর, অন্ধকার চিনের হাতে হারিয়ে ফেলেছে।’ প্রত্যুত্তরে ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নের গভীর প্রশংসা করি এবং সম্পূর্ণভাবে অনুভব করি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎমুখী সামগ্রিক ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।” তবে প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন যে তিনি ট্রাম্পের অনুভূতির “প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন”, তখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে তার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করতে এড়িয়ে গিয়েছেন। যার অর্থ হল, এই সম্পর্কের উত্তাপ শিথিল করতে হলে পেছনের দিকে কিছু কাজ করতে হবে।

    ইতিবাচক বাক্য বিনিময়

    দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক (PM Modi) এই বাক্য বিনিময় এই ধারণাকে জোরালো করে যে, ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকদের ভারতবিরোধী উত্তেজক মন্তব্যের ঝড় সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করার দরজা এখনও খোলা রয়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা একাধিকবার ভারত বিরোধী মন্তব্য (Donald Trump) করলেও, ভারত সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি, করেনি কোনও পদক্ষেপও। ট্রাম্পের সমালোচনাও করেনি। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত আমেরিকার জন্য খোলার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় আটকে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্পর্কের শীতলতা। শুক্রবারও ট্রাম্প ভারতকে নিশানা করে জানান, যখন তিনি চিনে অনুষ্ঠিত এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিয়ানজিনে হাসিমুখে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ছবি প্রদর্শন করার পর আরও বিব্রত বোধ করেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    এর পরেই মোদি, পুতিন ও শি জিনপিংকে এক (PM Modi) সঙ্গে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি সবচেয়ে গাঢ়, অন্ধকার চিনের কাছে। তারা যেন এক সঙ্গে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ কাটায়!’ এরই কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি জানান, সম্পর্কটি এখনও ‘বিশেষ’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী বন্ধন বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি সর্বদা (প্রধানমন্ত্রী) মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সর্বদা বন্ধু থাকব। তবে আমি ঠিক এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা পছন্দ করি না। কিন্তু ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের মতবিরোধ হয় (PM Modi)।”

    ট্রাম্পের ভোল বদল

    সম্প্রতি ট্রাম্প ও তাঁর সহকারীরা ভারতের ব্যাপারে আরও সংযত ভাষা ব্যবহার করেছেন। অথচ গোটা সপ্তাহটা ধরে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতকে “ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট”ও বলা হয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষকে বলা হয়েছিল “মোদি যুদ্ধ”। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও তিনি এই সম্পর্ককে “একতরফা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য অসমতার কারণে। আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও (Donald Trump) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের শক্তি এবং স্থায়ীত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় দিনের শেষে, দু’টি মহান দেশ এটি সমাধান করবে (PM Modi)।”

  • Ashoka Emblem: শ্রীনগরে দরগার ফলকে স্থাপিত ‘অশোক স্তম্ভ’ ভেঙে দিল মৌলবাদীরা, ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলল বিজেপি

    Ashoka Emblem: শ্রীনগরে দরগার ফলকে স্থাপিত ‘অশোক স্তম্ভ’ ভেঙে দিল মৌলবাদীরা, ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগরের হযরত বাল দরগায় সম্প্রতি একটি ফলক (স্মারক পাথর) স্থাপন করা হয়, যেখানে ভারতের জাতীয় প্রতীক ‘অশোক স্তম্ভ’ (অশোক চিহ্ন) ছিল (Ashoka Emblem)। শুক্রবার ওই ফলকটিতে একদল মৌলবাদী হামলা চালায় এবং তা ভেঙে ফেলে। তাদের দাবি, এই জাতীয় প্রতীকের ইসলামের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই এবং জাতীয় প্রতীকের ব্যবহার করে ইসলামের ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শ্রীনগরে।

    ঘটনাকে সমর্থন করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তানভীর সাদিক

    ন্যাশনাল কনফারেন্সের (Srinagar) নেতা তানভীর সাদিক সংবাদমাধ্যমে জানান, ইসলামে মূর্তি পুজো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং ওই ফলকে ব্যবহৃত প্রতীক ইসলামের বিশ্বাসের পরিপন্থী (Ashoka Emblem)। নিজের সমাজ মাধ্যমে তানভীর আরও লেখেন, “ইসলামের পবিত্র স্থানগুলিতে শুধু ‘তাওহীদের পবিত্রতা’ প্রতিফলিত হওয়া উচিত, অন্য কিছু নয়।”  অনেকেই বলছেন, বোঝাই যাচ্ছে, নিজের হাতে তানভীর  ওই জাতীয় প্রতীক না ভাঙলেও, তাঁর ভয়ঙ্কর উস্কানি ছিল। এই জাতীয় প্রতীক ভাঙার ঘটনায় তিনি নিন্দা তো জানাননি, উল্টে যারা ভেঙেছে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে নিজের বাড়িতে ডেকে জঙ্গিদের খাওয়ানোর।

    বাড়িতে ডেকে জঙ্গিদের খাওয়ায় তানভীর সাদিক, অভিযোগ ডঃ আন্ধ্রাবির

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন ডঃ দরখশান আন্ধ্রাবি। তিনি এটিকে একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে।যদিও তিনি সরাসরি নাম করেননি, তবে তানভীর সাদিকের ভূমিকা প্রসঙ্গে ডঃ আন্ধ্রাবি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, তানভীর সাদিকই দরগায় অশোক স্তম্ভ (Ashoka Emblem) বসানোর বিরোধিতা করেছিলেন, এবং তিনিই এই হামলার মদতদাতা। তিনি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, “ওই বিধায়ক (তানভীর) নিজের বাড়িতে জঙ্গিদের খাওয়ান, আর জম্মু-কাশ্মীরের শাসক দলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে (Srinagar)।”

LinkedIn
Share