Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন রুখতে বঙ্গবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। আজ, শুক্রবার বঙ্গে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্গাপুরে জোড়া সভা তাঁর। বাংলার উন্নতিতে, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের হাল ফেরাতে ৫৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাকৃতিক গ্যাস, রেল ও বিদ্যুৎ শিল্পে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে এই টাকা ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিনিয়োগের কথা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    মোদির আহ্বান

    বাংলার মাটিতে পা রাখার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দেগে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করলেন নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। শুক্রবার দুর্গাপুরে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাশের মঞ্চেই রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। সে-কথা জানিয়েই করেছেন পোস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বঙ্গের মানুষ অনেক আশা নিয়ে এবার বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। এই বলে মানুষকে তাঁর সভায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছতে তিনি উদগ্রীব । দুর্গাপুরে তিনি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল এবং সড়ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মোট ৫০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নতি চায় কেন্দ্র

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi In Bengal) সভার আগে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলে। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রমাণ করে দেয়, মোদি সরকার কখনও বিমাতৃসুলভ আচরণে বিশ্বাসী নয়। সমস্ত রাজ্যের উন্নয়ন করতে চায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, এই বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।

    কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার মোট পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। বৃহস্পতিবার রাতভর জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে। এখান থেকেই জনসভার পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই স্টেডিয়ামে দু’টি পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

    বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ: বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বাণিজ্যিক ও বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করবে ভারত পেট্রোলিয়াম সংস্থা। পাশাপাশি চালু করবে সিএনজি আউটলেট। ১৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে এই প্রকল্প।

    উর্জা গঙ্গা প্রকল্প: ‘প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অধীনে ১১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া ১৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলায় কয়েক লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। এ ছাড়া জগদীশপুর থেকে হলদিয়া ও বোকারো থেকে ধর্মা পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপ লাইন করা হবে।

    দূষণ নিয়ন্ত্রণ: পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাঁকুড়ার মেজিয়াতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এই তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফুয়েল গ্যাস ডেসুলফিউরাইজ়েশন পদ্ধতির সূচনা হবে। এর ফলে দূষণ কমবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৪৫৭ কোটি টাকা।

    রেল পরিষেবা উন্নত: রাজ্যে রেল পরিষেবা উন্নত করতে ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়া থাকে কোটশিলা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন করা হবে। কাজটি সম্পন্ন হলে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর ও জামুড়িয়ার তপসি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে দু’টি ওভারব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেতু ভারতম’ প্রকল্পের আওতায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওভারব্রিজ দু’টি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে এলাকাবাসীর।

    কখন কোথায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

  • Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    Shravan Maas: শুরু হল শ্রাবণ, শিবভক্তদের পবিত্র মাস, পুজো-উপবাসের জন্য পাবেন চারটি সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে শ্রাবণ মাসের (Shravan Maas) গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রাবণকে বলা হয় দেবাদিদেব শিবের (Lord Shiva) মাস। মহাদেব পুজিত হন এই মাসে। ভগবান শিবের উপাসনা করার শ্রেষ্ঠ সময় কাল-প্রদোষ বলে মনে করা হয়। পুণ্যার্থীরা শ্রাবণের প্রতি সোমবার, শিবের জন্যে ব্রত পালন করেন। সাধারণত মাসভর চলে নানা ধর্মীয় রীতি পালন। শ্রাবণ মাস শুরু হল আজ শুক্রবার ১৮ জুলাই থেকে।

    মোট চারটি সোমবার (Shravan Maas)

    চলতি বছরের শ্রাবণে শিবভক্তরা মোট চারটে সোমবার পাবেন।

    প্রথম সোমবারের উপবাস: ২১ জুলাই।

    দ্বিতীয় সোমবারের উপবাস: ২৮ জুলাই।

    তৃতীয় সোমবারের উপবাস: ৪ অগাস্ট।

    শেষ সোমবারের উপবাস: ১১ অগাস্ট।

    শিব মন্দির ছাড়াও, বাড়িতে বাড়িতেও (Shravan Maas) পুজো হয় মহাদেবের। ‘হর হর মহাদেব’ উচ্চারণ করে দেশের ভিন্ন প্রান্তে ভোলেবাবার মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের সমাগম হয়। শিবের পুজোয় গঙ্গাজল দিয়ে শিবকে অভিষেককে ‘রুদ্রাভিষেক’ বলে। একেই শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে জলাভিষেক করলে পুজোর সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।

    শ্রাবণ মাস শিবের অত্যন্ত প্রিয়

    মনে করা হয়, শ্রাবণ মাস (Shravan Maas) শিবের অত্যন্ত প্রিয় মাস। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করে ভক্তরা কোনও ত্রুটি রাখেন না। উপবাস করে শিবের মাথায় গঙ্গার জল বা দুধ ঢালেন শিবভক্তরা। বিশ্বাস করা হয়, এই মাসে ভক্তি মনে মহাদেবকে ডাকলে তিনি তুষ্ট হন ও মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, পবিত্র এই মাসে শিবের আরাধনায় সকল সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। শিবের কৃপা পেতে মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন এই নিয়ম মেনে শিব পুজো করতে হবে। তাতে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে, তেমনই সর্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে।

    শ্রাবণ মাসে শিব পুজোর পদ্ধতি-

    শ্রাবণ মাসে বিশেষ নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা করুন। প্রতিদিন, বিশেষ করে সোমবারে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্বচ্ছ পোশাক পরে নিন। বাড়ির মন্দিরে প্রদীপ জ্বালান। শিবের আরতি করুন এবং ভোগ নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক জিনিস ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়। ডান হাতে জল নিয়ে শ্রাবণ মাসের সোমবারের ব্রতর সংকল্প করুন। এর পর সমস্ত দেবতাদের ওপর গঙ্গাজল অর্পণ করুন। ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করে শিব শঙ্করের অভিষেক করুন।

    শ্রাবণের সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত

    ভোলানাথকে সাদা ফুল, সাদা চন্দন, ভাঙ, ধুতুরা, গরুর দুধ, পঞ্চামৃত, সুপুরি, বিল্ব পত্র (বেলপাতা) ও জল অর্পণ করুন। পুজো সামগ্রী অর্পণ করার সময় ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করতে ভুলবেন না। শ্রাবণ সোমবারের পুজোয় সোমবার ব্রতকথা অবশ্যই পাঠ করা উচিত। শেষে আরতি করতে ভুলবেন না। প্রসাদ হিসেবে শিবকে ঘি ও চিনির ভোগ অর্পণ করুন। তার পর সেই প্রসাদ বিতরণ করুন ও নিজেও তা গ্রহণ করুন।

    যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন

    শাস্ত্র মতে, বিল্বের মূলে স্বয়ং শিব বসবাস করে। এই নিয়ম মেনে পুজো করতে সকল জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে। শ্রাবণ মাসে এই নিয়ম মেনে পুজো করুন। সকল দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সারা বছরই অনেকে শিব পুজো করে থাকেন। সোমবার করে দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষ পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে, যে কোনও সোমবার পুজো করলে মহাদেব তুষ্ট হন।

    কী কী নিবেদন করলে মিলবে সুফল?

    বিশেষভাবে শিবলিঙ্গে রৌপ্য বা পিতলের পদ্ম দিয়ে দুধ নিবেদন করা উচিত। এ ছাড়া জল, বিল্ব পাতা , আকন্দ ফুল, ধুতুরা যা শিবের প্রিয় ফুল, চন্দন, মধু, ছাই নিবেদন করুন (Shravan Maas)। এছাড়া শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন— চিনি, জাফরান, গব্য ঘি।

  • WBSSC Recruitment: এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ, ৩৫ হাজার পদে এখনও পর্যন্ত আবেদন পার সাড়ে পাঁচ লাখ

    WBSSC Recruitment: এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ, ৩৫ হাজার পদে এখনও পর্যন্ত আবেদন পার সাড়ে পাঁচ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ৩৫৭২৬টি সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছেন সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী (WBSSC Recruitment)। এই তথ্য জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া চালু করেছে এসএসসি। মূল সময়সীমা ১৪ জুলাই থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ২১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। তিন দিনের মধ্যে সংখ্যা আরও ১ লক্ষ বেড়ে গিয়েছে (WBSSC Recruitment Drive)।

    ৯ জুলাই হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে মমতা সরকারকে

    এসএসসির কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আবেদনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করে রাজ্য সরকারকে এবং সাফ জানিয়ে দেয় যে চিহ্নিত অযোগ্যদের কোনওভাবেই নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। এই বাতিলের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে (WBSSC Recruitment) সম্পূর্ণভাবে বাতিল বলে ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত (WBSSC Recruitment Drive)।

    কী বলছেন চাকরি হারা শিক্ষিকা?

    নতুন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার্থী (WBSSC Recruitment) নিবেদিতা গিন, যাঁর চাকরি গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি আবেদন করেছি, কিন্তু ফলাফল কী হবে তা আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। শেষবার যখন আমি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। যেহেতু আবার আদালত আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে, তাই আমি আবেদন করেছি।”

    অযোগ্যদের জন্য বারবার সওয়াল মমতা সরকারের

    প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে আদালতের নির্দেশ অনুসারে এসএসসি নবম-দশম শ্রেণির জন্য ২৩,৩১২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১২,৫১৪টি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এরপরই অযোগ্যদের (WBSSC Recruitment Drive) পক্ষে বারবার সওয়াল করতে দেখা যায় মমতা সরকারকে (WBSSC Recruitment)। এখানে প্রশ্ন উঠতে থাকে—কেন চিহ্নিত অযোগ্যদের বারবার ঢাল বানাতে চাইছে সরকার? শেষমেষ, হাইকোর্টের নির্দেশে চিহ্নিত অযোগ্যদের আবেদন বাতিল করা হয়।

  • Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    Assam Eviction Drive: অসমে অবৈধ বাংলাদেশিদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ, অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে সওয়াল রাহুল গান্ধীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ জুলাই অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে এক অভিযান চালায় অসম সরকার। বুধবারের এই অভিযানের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও মল্লিকার্জুন খাড়গে (Assam Eviction Drive)। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানোর এমন অভিযানের বিরোধিতা কেন করছেন কংগ্রেস নেতারা?

    অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়

    প্রসঙ্গত, অসম সরকারের এই অভিযান চালানো হয় গোয়ালপাড়ার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায়। ওই বনাঞ্চলে দীর্ঘদিন (Assam Eviction Drive) ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। অভিযান চলাকালীন ব্যাপক অশান্তি ও সংঘর্ষ বাধে। সরকারি আধিকারিকদের উপর অনুপ্রবেশকারীরা পাথর ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্রও ছিল (Assam Eviction Drive)।

    দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা

    পুলিশ প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় (Assam Eviction Drive)। পরে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়, একজন গুরুতর জখম হন এবং কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক আহত হন। উল্লেখযোগ্য, ১৩ জুলাই থেকেই এই বনাঞ্চল দখলমুক্ত করার অভিযান চালাচ্ছে অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার। ১৪৪ একরের ওই বনভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিল অনুপ্রবেশকারীরা। বুধবারের ঘটনায় বহু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলারা হাতে বাঁশ ও লাঠি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের তাড়া করছে ও পাথর ছুঁড়ছে।

    ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ? এমন প্রশ্ন উঠছে

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “হঠাৎই অতর্কিতে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। চারদিক থেকে পাথর ছুঁড়তে থাকে। আমাদের গুলি চালাতে হয়েছে আত্মরক্ষার (Assam Eviction Drive) জন্য, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।” এখন প্রশ্ন উঠছে, অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্বারা সংঘটিত এই সহিংসতার পরেও কংগ্রেস কেন তাঁদের পক্ষ নিচ্ছে? এটি কি ‘তোষণের রাজনীতি’র অংশ?

  • Chhangur Baba Conversion Racket: ধর্মান্তরণে অভিযুক্ত ছাঙ্গুর বাবার ডেরায় ইডি, বিদেশি ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    Chhangur Baba Conversion Racket: ধর্মান্তরণে অভিযুক্ত ছাঙ্গুর বাবার ডেরায় ইডি, বিদেশি ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনিভাবে ধর্মান্তকরণে অভিযুক্ত জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবার একাধিক সম্পত্তিতে বড়সড় অভিযান চালাল ইডি। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশে সাতটি দল বলরামপুর জেলার উত্তরোলা এবং মুম্বইয়ের দুটি স্থানে অভিযান চালিয়েছিল। দলগুলি ছাঙ্গুর বাবার অধীনে কাজ করা বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর আগে গত ৫ জুলাই এটিএস ছাঙ্গুর বাবা এবং তার সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় জানা যায়, এক বছরে ১০০ কোটি টাকার লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত এই ছাঙ্গুর বাবা। তিন দিন পর দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ইডি।

    আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তরণ

    ইডি সূত্রে খবর, বলরামপুর পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপাশি এটিএসের কাছ থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহের পর এদিন অভিযান চালানো হয়। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মোট ১৪টি স্থানে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে ইডি। বলরামপুর জেলার অন্তত ১২টি স্পর্শকাতর এলাকায় অভিযান চালানো হয়, যেখানে চঙ্গুর বাবা বহুদিন ধরেই ধর্মীয় চিকিৎসা, অর্থনৈতিক সহায়তা ও মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গরিব ও অনগ্রসর মানুষদের ধর্মান্তরিত করে চলেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর নামে থাকা আশ্রমগুলি আদতে একটি বড় মাপের হাওলা ও মানসিক চাপে ধর্মান্তরণ করার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

    ২ কোটি টাকার হাওলা লেনদেন

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ কোটি টাকার একটি সন্দেহজনক লেনদেন নজরে এসেছে। এটি ছাঙ্গুর বাবার ঘনিষ্ঠ নাভীন রোহরা ওরফে জামালউদ্দিনের অ্যাকাউন্ট থেকে মুম্বইয়ের শেহজাদ শেখের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। এই টাকা আসলে সম্পত্তি কেনার উদ্দেশ্যে পাঠানো হলেও পরে তা একাধিক অ্যাকাউন্ট ঘুরিয়ে মূল উৎস গোপন করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ইডির মতে, এই লেনদেন একটি বৃহৎ হাওলা নেটওয়ার্কের আংশিক দৃষ্টান্ত মাত্র। বলরামপুরের উত্রৌলা, মধুপুর ও রেহরামাফি গ্রামে চালানো অভিযানে ইডি বিপুল পরিমাণে নগদ অর্থ, বিদেশি রেমিট্যান্সের রেকর্ড, এবং সম্পত্তির নথিপত্র উদ্ধার করেছে। ডিজিটাল ফরেনসিক টিম এনক্রিপ্টেড বার্তা ও আর্থিক তথ্য খতিয়ে দেখছে।

    বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন

    ইডির হাতে এসেছে ছাঙ্গুর বাবার কমপক্ষে পাঁচটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। অ্যাকাউন্টগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজা, দুবাই সহ নানা জায়গায় অবস্থিত। যে ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলি হল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক (শারজা ও দুবাই), এইচডিএফসি (UAE), এমিরেটস এনবিডি ব্যাঙ্ক, ফেডারেল ব্যাঙ্ক (ভসট্রো অ্যাকাউন্ট)। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রবাহিত টাকার উৎস ও ব্যবহার এখন তদন্তাধীন। ধারণা করা হচ্ছে, এই অর্থ বিদেশি দাতব্য সংস্থার নামে এলেও, মূলত ভারতীয় মাটিতে ধর্মান্তরণ, সম্পত্তি কেনা ও এনজিওর আড়ালে অস্থিরতা ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।

    ভুয়ো আশ্রমের আড়ালে ধর্মান্তরণ চক্র

    তদন্তকারীদের মতে, ছাঙ্গুর বাবা শুধুমাত্র একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু নন, বরং একটি সুপরিকল্পিত ধর্মান্তরণ চক্রের মাথা। যে চক্রের মূল লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্যে প্রভাব ফেলা। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁর চক্র বিস্তৃত, বিদেশি অর্থায়নের মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ এলাকায় ধর্মান্তরণ, সম্পত্তি কেনা এবং প্রভাব বিস্তারে লিপ্ত ছিলেন। ছাঙ্গুর বাবার সংশ্লিষ্ট একাধিক এনজিও এবং আশ্রম ইতিমধ্যেই তদন্তের আওতায় এসেছে, যেগুলি এফসিআরএ (FCRA) এবং পিএমএলএ (PMLA) আইন অনুযায়ী বিদেশি অনুদানের অপব্যবহারের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। সূত্র বলছে, এই সংগঠনগুলির একটি বড় অংশ শিক্ষা ও সমাজসেবার নামে বিদেশি অর্থ এনে ধর্মীয় রূপান্তরণে ব্যবহার করেছে।

    কীভাবে কোটিপতি ছাঙ্গুর বাবা

    উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তরণ চক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে জালালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর বাবা। বলরামপুর জেলার বাসিন্দা ছাঙ্গুর বাবা এক সময়ে সাইকেলে করে আংটি এবং তাবিজ বিক্রি করত। বর্তমানে তার ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০৬ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই লখনউয়ে এক হোটেল থেকে ছাঙ্গুর বাবা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নীতু ওরফে নাসরিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই জালালউদ্দিনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। মূলত পশ্চিম এশিয়া থেকে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকত বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড (এটিএস) তদন্ত করে দেখছে যে, ছাঙ্গুর বাবার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র আছে কিনা। ইউপি স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও এই মামলার তদন্ত করছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলরামপুরের স্থানীয় পুলিশ।

    আয়-ব্যয়ের হিসেবে বহু গরমিল

    এছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও ছাঙ্গুর বাবার আয়-ব্যয়ের হিসেব বের করার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ধর্মান্তরণের জন্য দরিদ্র, অসহায় শ্রমিক, দুর্বল শ্রেণির এবং বিধবা মহিলাদের প্রলোভন, আর্থিক সাহায্য, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করা হত। অনেক সময় ভয় দেখিয়ে ও ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হত। এই আবহে কে কে ছাঙ্গুর বাবাকে টাকা পাঠিয়েছিল, কত টাকা পাঠিয়েছিল এবং কী কারণে পাঠিয়েছিল, সমস্ত দিক তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। চলছে তার ঘনিষ্ঠদের খুঁজে বের করার কাজ। তদন্ত জোরালো হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের একাধিক শহরে এই চক্রের অস্তিত্ব রয়েছে, বলে অনুমান। এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় সাম্যতায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।

  • Akash Prime Air Defence System: চিনের কাছে লাদাখে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় সফল পরীক্ষা, এবার পাকিস্তানের হামলা রুখবে আকাশ প্রাইম

    Akash Prime Air Defence System: চিনের কাছে লাদাখে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় সফল পরীক্ষা, এবার পাকিস্তানের হামলা রুখবে আকাশ প্রাইম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সময়ে জাত চিনিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রাশিয়া থেকে আনা এস ৪০০ ও দেশে তৈরি আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম জুটি একেবারে আটকে দেয় পাকিস্তানের ড্রোন-মিসাইলকে। এরই মধ্যে বুধবার এয়ার ডিফেন্স টেকনোলজিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। দেশি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের আরও শক্তিশালী সংস্করণ আনল ডিআরডিও। লাদাখে সফল পরীক্ষা হল ‘আকাশ প্রাইম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের’ (Akash Prime Air Defence System)। লাদাখের অতি উচ্চ পার্বত্য এলাকায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযু্ক্তিতে তৈরি আকাশ প্রাইম ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ হলো।

    প্রতিকূল পরিবেশে সফল পরীক্ষা

    হাই-অল্টিটিউডে ভারতের প্রকৌশল কী ভাবে কাজ করবে সেটা দেখার জন্যই বুধবার ট্রায়াল দেয় ভারতীয় সেনা। ১৫০০০ ফুট উচ্চতায় আর্মি এয়ার ডিফেন্স এবং ডিআরডিও-র সিনিয়র অফিসারদের উপস্থিতিতে এর সফল পরীক্ষা হয়েছে। ডিআরডিও কর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুতবেগে ওড়া লক্ষ্যবস্তুতে ২ বার নিখুঁত আঘাত করেছে এই নয়া যন্ত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো উন্নত করার লক্ষ্যে একটি বড় অগ্রগতি। পরীক্ষার সময় আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দুটি উচ্চ-গতির এয়ার টার্গেটে সরাসরি হিট করে, যা এই সিস্টেমের ব্যতিক্রমী ও নির্ভুল পারদর্শিতা দর্শায়। এই পরীক্ষা একটি বিরল পরিবেশে উচ্চ ভূখণ্ডে করা হয়। যেখানে বেসিক অপারেশনও চ্যালেঞ্জিং হতে পারত। এই পরীক্ষার সাফল্য প্রমাণ করেছে অত্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির মধ্যেও এই সিস্টেম কাজ করতে পারবে।

    কোথায় কাজ করবে আকাশ প্রাইম

    ভারতীয় সেনার তৃতীয় ও চতুর্থ আকাশ রেজিমেন্টে ঢোকানো হবে আকাশ প্রাইম। যা দেশের সামগ্রিক বিমান প্রতিরক্ষা ঢালকে উন্নত করবে। এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অপারেশন সিঁদুরের সময়ে পাকিস্তানের জেট থেকে মিসাইল কিংবা তুরস্কের দেওয়া আধুনিক ড্রোন- সবই অকেজো করেছে। ফলে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। এই আবহে ভারতের নিরাপত্তা আরও সুসংহত করতে দেশীয় প্রযুক্তির উপরেও জোর দিচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আকাশ প্রাইম মিসাইলটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক ‘রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি সিকার’। এই যন্ত্রের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে সহজেই খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। এটি অতিউচ্চতায় কম তামপাত্রায় কাজ করতে সক্ষম। পরীক্ষার সময় রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম ও টেলিমেট্রি স্টেশন-সহ পরীক্ষার জায়গায় রেঞ্জ স্টেশগুলি ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ ও ফ্লাইটের ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

    কেন এই পরীক্ষাটি গুরুত্বপূর্ণ

    লাদাখের মতো উঁচু এবং কঠিন অঞ্চলে ১৫,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় পরীক্ষা করা সহজ নয়। পাতলা বাতাস এবং ঠান্ডা আবহাওয়াতেও মিসাইলটির নির্ভুল আঘাত ভারতের প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রমাণ। এই সিস্টেমটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি, যা আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে। এই সিস্টেম শত্রুর দ্রুতগতির বিমান এবং ড্রোনকে বাধা দিতে সক্ষম, যা সীমান্তের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। এই পরীক্ষার পর আকাশ প্রাইম শীঘ্রই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই সিস্টেমটি কেবল সীমান্তে নয়, দেশের অভ্যন্তরে সংবেদনশীল স্থানগুলির সুরক্ষার জন্যও ব্যবহার করা হবে। প্রতিরক্ষা কর্তারা বলছেন যে এই সিস্টেমটি ভারতের এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে, বিশেষ করে চিন এবং পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে।

    দেশে তৈরি অস্ত্রের উপর জোর

    ভারত ইউএভি এবং সি-ইউএএস ডোমেন সম্পর্কিত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতা বাড়াচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির জন্য আমদানি নির্ভরতা কমাতে, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ইউএভি (UAV) এবং সি-ইউএএস (C-UAS) ডোমেনে বর্তমানে আমদানি করা গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির স্বদেশীকরণের জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। প্রদর্শনীটি নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। হেডকোয়ার্টার্স ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (HQ IDS) এবং সেন্টার ফর জয়েন্ট ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (CENJOWS) এর সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেলস (UAVs) এবং কাউন্টার-আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেমস (C-UAS) -এ ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির জন্য বিদেশি অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স (OEMs) -এর উপর ভারতের নির্ভরতা কমানো।

  • Baloch Rebels: পাকিস্তানে ফের সেনার বাসে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ, দায় স্বীকার করেনি বালুচ স্বাধীনতাকামীরা

    Baloch Rebels: পাকিস্তানে ফের সেনার বাসে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ, দায় স্বীকার করেনি বালুচ স্বাধীনতাকামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগেই পরিচয়পত্র দেখে বাস থেকে নামিয়ে ৯ জন পাকিস্তানিকে গুলি করে হত্যা করেছিল বালুচ স্বাধীনতাকামীরা (Baloch Rebels)। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছিল ঝোব জেলার সুর-ডাকাই এলাকায় জাতীয় সড়কে। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের খবরের শিরোনামে বালুচিস্তান। ১৬ জুলাই রাতের দিকে কালাত জেলার নেমারঘ এলাকায় একটি বাসে হামলা চালায় স্বাধীনতাকামীরা।

    দু’দিক থেকেই বাসে গুলি (Baloch Rebels)

    বাসটিতে ছিলেন পাক সেনারা। বাসটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুয়েটা-করাচি আরসিডি জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই রাস্তার দু’দিক থেকেই বাসটিতে গুলি চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পাক সেনা নিহত হন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও অনেকেই। কড়া নিরাপত্তায় নিহত পাক সেনাদের দেহ এবং জখমদের কালাত সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। তাই ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, জখমই বা হয়েছেন কতজন, তা জানা যায়নি (Pakistani Soldiers Killed)।

    বাসে ছিলেন সেনাকর্মীরাও

    পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাটিকে সাধারণ একটি বেসরকারি বাসে হামলা হিসেবে উল্লেখ করলেও, ইধি ফাউন্ডেশনের উদ্ধারকারী দল ও সূত্রের খবর, বাসটিতে সেনাকর্মীদের পাশাপাশি ছিলেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি, তবে জুলাই মাসের শুরু থেকে কালাত ও আশপাশের এলাকায় সামরিক বাহিনীর ওপর একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালানোর কারণে বালুচ স্বাধীনতাকামীদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের আধিকারিকদের একাংশের মতে, এই হামলার পদ্ধতি পূর্ব পরিকল্পিত। রাস্তার দু’দিক থেকে চালানো আক্রমণ যা একটি কৌশলগত জাতীয় সড়কের ওপর হয়েছে (Baloch Rebels), তা থেকে স্পষ্ট এটি একটি সামরিক পরিবহণ টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের মতে, এটি বালুচ লিবারেশন আর্মির অপারেশনের বৈশিষ্ট্য।

    জাতীয় সড়ক অবরোধ ঘিরে তুলকালাম

    গত ১১ জুলাই বালুচ স্বাধীনতাকামীরা আরসিডি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন চার ঘণ্টা ধরে। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। অবরোধ তুলতে গেলে পাকিস্তান সেনার সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের গুলির লড়াই হয়। সেদিনও নিহত হন দুই পাক সেনা। এর পরে পরেই কালাত ও খারানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে স্নাইপার হামলা, বোমা বিস্ফোরণ এবং অতর্কিত হামলাও রয়েছে। এই সব অভিযানে কমপক্ষে ১১ জন পাক সেনা নিহত হন। জখমও হন ১২-১৩জন পাক সেনা (Pakistani Soldiers Killed)।

    মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ 

    কালাত সিভিল হাসপাতালে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সন্দেহ আরও গাঢ় হয়েছে। কারণ নিহত এবং আহতদের এই হাসপাতেলেই নিয়ে আসা হয়েছিল। গণমাধ্যমের কর্মীদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে মোবাইলের নেটওয়ার্কও মাঝে মাঝেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এটি পাক প্রশাসনের একটি কৌশল, যা বড় ধরনের বিদ্রোহী দমন অভিযানের সময় প্রায়ই ব্যবহার করা হয় (Baloch Rebels)।

    কী বলছে সরকার

    পাক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাসটির তিনজন যাত্রী নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন। তবে তিনি নিশ্চিত করেননি, নিহতদের মধ্যে কোনও সেনা সদস্য ছিলেন কি না। যদিও উদ্ধারকারী কর্মীদের তরফে পরস্পরবিরোধী তথ্যগুলি থেকে জানা গিয়েছে (Pakistani Soldiers Killed), সরকারি বিবৃতিতে মৃতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যাটা হতে পারে তার অনেক বেশি।

    গেরিলা যুদ্ধ কৌশল

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের হামলাটি বালুচ স্বাধীনতাকামীদের, বিশেষ করে বালুচ লিবারেশন আর্মির পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে যৌথ গেরিলা যুদ্ধ কৌশলের এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছনোর ইঙ্গিত দেয়। গত দু’সপ্তাহের মধ্যে বালুচ স্বাধীনতাকামীরা যেসব হামলা চালিয়েছে, সেগুলি হল – ৫ জুলাই শেখারিতে একটি সেনা চৌকিতে ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ৫জন সেনাকে হত্যা এবং আরও ৫জনকে জখম করা। ১২ জুলাই বেনচায় একটি সেনা কনভয়ের ওপর পূ্র্ব পরিকল্পিত ঘেরাও এবং হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ৩জন সেনাকে (Baloch Rebels)। ১৩ জুলাই খারানে ডিআইজি অফিস লক্ষ্য করে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। স্নাইপার হামলা এবং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সংশ্লিষ্ট লজিস্টিক অপারেশনে ব্যাঘাতও ঘটানো হয় বিভিন্ন জেলায়। বালুচ লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র আজাদ বালুচ এক বিবৃতিতে জানান, “এই সব কর্মসূচি হচ্ছে অধিকারের দখল ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ। যতক্ষণ (Pakistani Soldiers Killed) না স্বাধীন ও মুক্ত বালুচিস্তান প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে (Baloch Rebels)।”

  • Rameshbabu Praggnanandhaa: গুকেশের পরে এবার প্রজ্ঞানন্দ, ৩৯ চালেই চেকমেট! লাস ভেগাসে ফ্রি-স্টাইলে হার কার্লসেনের

    Rameshbabu Praggnanandhaa: গুকেশের পরে এবার প্রজ্ঞানন্দ, ৩৯ চালেই চেকমেট! লাস ভেগাসে ফ্রি-স্টাইলে হার কার্লসেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় তরুণ দাবাড়ুদের বিরুদ্ধে কার্লসেনের খারাপ ফর্ম যেন কাটছে না কিছুতেই। নরওয়ে ওপেনে দোম্মারাজু গুকেশের (D. Gukesh) পর এবার ভারতের ১৯ বছর বয়সি গ্র্যান্ডমাস্টার রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দের কাছে লজ্জার হার কার্লসেনের (Magnus Carlsen)। লাস ভেগাসে আয়োজিত ফ্রিস্টাইল চেস গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টের ম্যাচে মাত্র ৩৯ চালেই কার্লসেনকে হারিয়ে দিলেন প্রজ্ঞানন্দ। এই হারের ফলে কার্লসেন ছিটকে গেলেন খেতাবি দৌড় থেকে। তাও এমন টুর্নামেন্ট, যার সহ-প্রবর্তক কার্লসেন নিজে। র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দাবাড়ুকে তাঁর নিজের ডেরায় হারিয়ে প্রজ্ঞানন্দ জানালেন, ফ্রিস্টাইল তিনি বেশ উপভোগ করেন… ক্লাসিক্যালের চেয়েও বেশি!

    ফ্রিস্টাইল উপভোগ করছেন

    টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ ও কার্লসেন। সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। শুরু থেকেই ম্যাচে দাপট দেখান তিনি। তাঁর দেওয়া চালগুলির মধ্যে ৯৩.৯ শতাংশই ছিল সঠিক। অন্য দিকে ৮৪.৯ শতাংশ চাল ঠিক দেন কার্লসেন, যা তাঁর কাছে অনেকটাই কম। ম্যাচে প্রজ্ঞানন্দকে কখনওই চাপে ফেলতে পারেননি কার্লসেন। খুব সহজে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কার্লসেনকে হারিয়ে দেন ভারতের ১৯ বছর বয়সি এই দাবাড়ু। ম্যাচ শেষে প্রজ্ঞানন্দ বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্লাসিকালের চেয়ে ফ্রিস্টাইল খেলতে বেশি ভাল লাগছে। এখানে অনেক নতুন ভাবনার সুযোগ থাকে। বোর্ডে আরও বেশি ইম্প্রোভাইজ করতে হয়!’

    নজির গড়লেন প্রজ্ঞানন্দ

    এই জয়ের ফলে সব ফর্ম্যাটেই বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ুর বিরুদ্ধে জয়ের নজির গড়লেন প্রজ্ঞানন্দ। এর আগে ক্লাসিক্যাল, র‍্যাপিড, ও ব্লিৎজ ফর্ম্যাটে কার্লসেনকে হারিয়েছিলেন তিনি। কার্লসেনকে হারিয়ে গ্রুপ হোয়াইটের শীর্ষে পৌঁছলেন প্রজ্ঞানন্দ। ৪.৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্বের গন্ডি পেরিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ স্তরে কোয়ালিফাই করলেন তিনি। চেস৯৬০ বা ফ্রিস্টাইল দাবার এই টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ— প্রতি ম্যাচেই ঘুঁটির প্রারম্ভিক অবস্থান বদলে যায়। অর্থাৎ, অভ্যস্ত ওপেনিং মুখস্থ করে নয়, তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ ও গভীর কৌশলের উপর নির্ভর করেই চাল দেওয়া জরুরি। যেখানে কার্লসেনকে দাঁড়াতে দেননি প্রজ্ঞানন্দ।

  • Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের মাটিতে সমবেত কণ্ঠে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করে ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলেছিলেন মেহেন্দুপুর বালাজির মহন্ত নরেশপুরী মহারাজ। সেটা বছরদুয়েক আগের কথা। তবে সেটা ছিল ফ্রান্স। পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (UK Parliament) ‘ভারত গৌরব’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরেশপুরী মহারাজ। সেখানেও তিনি গেয়েছিলেন হনুমান চালিশা। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন অনেকেই।

    ব্রিটেনের পার্লামেন্টে গীত হল হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    এবার আরও একবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টেই সমবেত কণ্ঠে গীত হল হনুমান চালিশা। এবার অবশ্য পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। ইউরোপীয় দেশ সফরের সময় পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে পাঠ করা হল ভগবান হনুমানের স্তবগাথা। বাগেশ্বর ধামের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ‘বাগেশ্বর ধামবাবা নামে পরিচিত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর উপস্থিতিতে ভক্তি সহকারে শ্লোক পাঠ করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু লোক, সাংসদ এবং পার্লামেন্ট আধিকারিকদের।’ ভিডিওটি শেয়ার করার সময় বাগেশ্বর ধামের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, ‘লন্ডনের পার্লামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধেয় সরকারের পক্ষ থেকে শ্রী হনুমান চালিশা পাঠ…পার্লামেন্টে উপস্থিত সকল অতিথি ভক্তি সহকারে পাঠ করেছেন…”

    পাক হাইকমিশনের বাইরেও পাঠ হনুমান চালিশা

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস (Hanuman Chalisa) করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসী ভারতীয়রা পাক হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে সমবেত কণ্ঠে পাঠ করেছিলেন হনুমান চালিশা। এবার ব্রিটিশ সাংসদদের হনুমান চালিশা পাঠ করিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ। তবে তাঁর পোশাক এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ও খবর হয়েছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুরের এই তরুণ ঋষি স্টাইলিশ স্নানগ্লাস ও দামি জ্যাকেট পরা বিমানে চড়ে এমনকি ক্রুজ উপভোগ করার ছবি প্রকাশের পর অনলাইনে ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বাগেশ্বর ধাম সরকার নামেও পরিচিত (UK Parliament)। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ গর্গ। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান তিনি (Hanuman Chalisa)।

  • Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    Mughal Brutality: ‘বাবর নির্দয়, আকবর নিষ্ঠুর’, এনসিইআরটির বইয়ে নয়া মূল্যায়ন মুঘল যুগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর ছিলেন এমন এক শাসক যিনি বহু জনপদের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা (Mughal Brutality) করেছিলেন। আর আকবরের শাসনকে নিষ্ঠুরতা ও সহিষ্ণুতার মিশ্রণ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আওরঙ্গজেব সম্পর্কে (NCERT) লেখা হয়েছে, তিনি বহু মন্দির ও গুরুদ্বার ধ্বংস করেছিলেন। জাতীয় শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ সম্প্রতি অষ্টম শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান বইয়ে এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যকে। ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এই পাঠ্যবইটি ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হয়েছে। এখানেই মুঘল শাসকদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। এই বইটিতে ভারতের মধ্যযুগীয় অতীতকে আরও স্তরবিন্যাসযুক্ত ও অকপটভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” (Mughal Brutality)

    দিল্লি সুলতানাত, মুঘল সাম্রাজ্য ও ঔপনিবেশিক পর্বগুলির পাঠ সপ্তম শ্রেণি থেকে সরিয়ে অষ্টম শ্রেণিতে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা এনসিইআরটির নতুন থিমভিত্তিক ও কালানুক্রমিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। “ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের পুনর্গঠন” শিরোনামে একটি অধ্যায়ে ১৩শ থেকে ১৭শ শতাব্দীর মধ্যে ভারতের বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দিল্লি সুলতানাতের উত্থান ও পতন, বিজয়নগর সাম্রাজ্য, মুঘল রাজবংশ এবং শিখ প্রতিরোধের কথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই নয়া পাঠ্যবইয়ের বিশেষত্ব শুধু বিষয়বস্তুতেই সীমাবদ্ধ নয়, বিশেষত্ব তার ভাষায়ও। এটি শিক্ষার্থীদের বর্তমান দিনের দোষ চাপানো থেকে বিরত থেকে অতীতকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করতে উৎসাহিত করে।

    অধ্যায়টির ভূমিকায়

    অধ্যায়টির ভূমিকায় কাঠামোটি স্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। সেখানে বলা (Mughal Brutality) হয়েছে, “ইতিহাস অনেক সময় যুদ্ধ ও ধ্বংসের দ্বারা প্রভাবিত মনে হতে পারে, কিন্তু তাই বলে কি আমরা সেগুলি উপেক্ষা করব? এর চেয়ে ভালো পথ হল এই ঘটনাগুলির মুখোমুখি হওয়া ও সেগুলি বিশ্লেষণ করা, যাতে আমরা বুঝতে পারি কী শক্তি এসব ঘটনার পেছনে কাজ করেছে এবং আদর্শভাবে, কীভাবে ভবিষ্যতে এগুলি আবার ঘটতে না দেওয়া যায়। বর্তমান প্রজন্মকে দায়ী না করেই এই অন্ধকার অধ্যায়গুলিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।”

    বাবরের মূল্যায়ন

    অধ্যায়টি শুরু হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরকে (Mughal Brutality) দিয়ে, যিনি মধ্য এশিয়া থেকে এসে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনেন। পাঠ্যপুস্তকে তাঁর প্রধান বিজয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে ১৫২৬ সালের প্রথম পানিপথের যুদ্ধ এবং তাঁর আধুনিক যুদ্ধকৌশল যেমন ফিল্ড আর্টিলারির ব্যবহার। যদিও পাঠ্যপুস্তকে বাবরের কৌশলী মেধা ও ‘বাবরনামা’তে তাঁর পর্যবেক্ষণ স্বীকৃত হয়েছে, তবু এটাও বলা হয়েছে যে তিনি কিছু মন্দির ধ্বংস করেন এবং তাঁর কিছু অভিযানের পেছনে ধর্মীয় প্রেরণা ছিল। এই বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হল ছাত্রছাত্রীরা যাতে বিজয় ও এর সাংস্কৃতিক প্রভাব (NCERT) সম্পর্কে সহজ ও একমুখী মত গঠনের বদলে বাস্তব সত্য উপলব্ধি করতে পারে।

    আতশ কাচের নীচে আকবরও

    প্রধান যে ব্যক্তিত্বগুলির নতুন করে মূল্যায়ন (Mughal Brutality) করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সম্রাট আকবর। পাঠ্যবইটি তাঁর সামরিক জয় ও ধর্মীয় সহনশীলতার প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাঁর শাসনকালকে বর্ণনা করেছে “নির্মমতা ও সহনশীলতার এক মিশ্রণ, যা আকাঙ্ক্ষা ও কৌশল দ্বারা গঠিত।” উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ১৫৬৮ সালে চিতোরগড় অবরোধ, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হন। নারী ও শিশুদের দাসে পরিণত করা হয়। আকবরের নিজের পাঠানো বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে, বইটি ধর্মীয় জয়যাত্রার পেছনে তাঁর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছে। একইসঙ্গে বইটি তুলে ধরেছে কীভাবে আকবর অ-মুসলিমদের ওপর ধার্য জিজিয়া কর তুলে দেন, রাজপুত নেতাদের দরবারে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং সুলহ-ই-কুল বা “সকলের সঙ্গে শান্তি” নীতির প্রচার করেন। ফতেপুর সিক্রিতে তাঁর অনুবাদ প্রকল্প, যেখানে মহাভারত ও রামায়ণের মতো হিন্দু মহাকাব্যগুলি ফার্সিতে অনুবাদ করা হয়, তা এক বৃহত্তর সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আকবরের জীবনীকার আবুল ফজলের একটি উদ্ধৃতিতে আকবরের ব্যক্তিগত পরিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে।

    আকবরের ‘কবুলনামা’

    বলা হয়েছে, “আগে আমি মানুষকে আমার ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে জোর করতাম। জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে আমি লজ্জায় অভিভূত হই। নিজে মুসলমান না হয়েও অন্যকে মুসলমান বানাতে চাওয়া ঠিক ছিল না (NCERT)।” আওরঙ্গজেবকে এমন এক শাসক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার আঞ্চলিক সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় রক্ষণশীলতাও বৃদ্ধি পায়। পাঠ্যবইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি জিযিয়া কর পুনর্বহাল করেন, রাজদরবারে সঙ্গীত ও নৃত্য নিষিদ্ধ করেন, এবং হিন্দুদের ওপর তীর্থযাত্রা কর চাপিয়ে দেন। বারাণসী ও মথুরার মতো শহরে মন্দির ধ্বংস এবং শিখ, সুফি, জৈন ও পার্শিদের ওপর নির্যাতনের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শেখে কীভাবে আওরঙ্গজেব দারা শিকোকে পরাজিত করেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা করেন, এবং নিজের বাবা শাহজাহানকে বন্দি করেন। এই শাহজাহানই  তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন (Mughal Brutality)।

LinkedIn
Share