Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    Javed Akhtar: বাম থেকে তৃণমূল, মৌলবাদের কাছে অসহায় দুই সরকারই! একটা তাড়ায় তসলিমাকে, অপরটা ঢুকতে দেয় না জাভেদকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ মমতা সরকারের। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে কি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষতা বলে কোনও জিনিস আছে? একসময় মৌলবাদীদের ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সামনে মাথা নত করত রাজ্যের তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বামফ্রন্টের সরকার—সে চিত্র আমরা দেখেছি। ২০০৭ সালে মৌলবাদীদের চাপের মুখে পড়ে কিভাবে তসলিমা নাসরিনকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হয়েছিল, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই বামেরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রোখার ডাক দিত, কিন্তু ২০০৭ সালে অসহায়ভাবে মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে সেই বামফ্রন্ট কার্যত তাড়িয়ে দেয় তসলিমা নাসরিনকে। সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলিকে। এতদিনে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। ১৮ বছর আগের সেই ঘটনা আরেকবার মনে করিয়ে দিচ্ছে—পশ্চিমবঙ্গে শাসনব্যবস্থায় বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূল এলেও মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নজরে পড়ছে না।

    মৌলবাদীদের হুমকি, বন্ধ জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান

    গত সোমবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল খ্যাতনামা কবি তথা গীতিকার জাভেদ আখতারের। কিন্তু তাঁকে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না—এই হুমকি দেয় কয়েকটি কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন। আর সেই মৌলবাদী সংগঠনগুলির চাপের কাছে মাথা নোয়াতে হয় রাজ্য সরকারকে, এবং শেষ পর্যন্ত সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয় (Javed Akhtar)।

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই বিষয়টি নিয়ে (Javed Akhtar) সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। কলকাতায় জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান বাতিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘এই রাজ্য সরকার কট্টরপন্থী। এরা সুরাবরর্দীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা বারবার প্রমাণিত, ভোটব্যাঙ্ক-ধর্মীয় পরিচিতি ইত্যাদি দেখে হয়। বাংলা, বাঙালি নিয়ে যা চলছে, বিধানসভাতেও যে প্রস্তাব আসবে, এটা কাদের জন্য? যারা আকাশকে আসমান বলে, মাকে আম্মা বলে, বাবাকে আব্বা বলে, জলকে পানি বলে। এই সরকার নামেই তৃণমূল কংগ্রেস, কার্যত মুসলিম লিগ-২।’’

    জাভেদের অনুষ্ঠানের আগে হুমকি দেয় মৌলবাদী সংগঠনগুলি

    জানা যাচ্ছে, জাভেদ আখতারকে (Javed Akhtar) আমন্ত্রণ জানানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানায়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ’। এ ছাড়াও ‘ওয়াহাবি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি মৌলবাদী সংগঠনও এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় শামিল ছিল। এদের সবার দাবি ছিল, জাভেদ আখতার নাকি ইসলাম-বিরোধী কথা বলেন, তাই তার মতো একজন ব্যক্তিকে বাংলার কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া উচিত নয়। এই বক্তব্যের সাথে তারা রীতিমতো ‘ফতোয়া’ জারি করে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি চাপে পড়ে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয়।

    তসলিমাকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনটা করার হুমকি

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদী সংগঠনগুলি এই অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারের যোগদান হলে ২০০৭ সালের তসলিমা নাসরিনকে তাড়ানোর সময় যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছিল, তেমনই পরিস্থিতির হুমকি দেয়। জানা যাচ্ছে, ‘উর্দু ইন হিন্দি সিনেমা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি। সেখানে হিন্দি সিনেমায় উর্দু ভাষার ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হতো। গান, কবিতা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মসূচিরও পরিকল্পনা ছিল। সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই খ্যাতনামা কবিকে। তবে এই অনুষ্ঠান রুখে দিল মৌলবাদীরা।

    তোষণের চূড়ান্ত পরিণতি হলেই কি এমনটা হয়? প্রশ্ন সুকান্তর

    এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন— “এই পরিণতি কি তখনই হয়, যখন তোষণের কোনও সীমা থাকে না? মৌলবাদীদের কথাই কি চূড়ান্ত হয়ে দাঁড়ায়? এ প্রশ্নের উত্তর একমাত্র একজনই দিতে পারেন—পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল মুশায়রা’ নামের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ উর্দু একাডেমি (Urdu Academy), যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সাহিত্যে একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ সম্মাননায় ভূষিত বিখ্যাত কবি জাভেদ আখতার। মৌলবাদীদের লাগাতার চাপে শেষ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়। এমনকি রাজ্য সরকারের উপর চরম চাপ তৈরি করা হয়েছিল, যেন জাভেদ আখতার বাংলায় ঢুকতেই না পারেন। এই ঘটনার আসল সত্য প্রকাশ্যে আনতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    Rudranil Ghosh: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, অনির্বাণকে তোপ রুদ্রনীলের, থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharjee) ও তাঁর গানের দল ‘হুলি গান ইজম’। গানটি ইতিমধ্যেই শ্রোতাদের মনে ছাপ ফেলেছে। তবে গানের মাধ্যমে তিন ঘোষকে বিঁধলেও, কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন সনাতন ধর্ম সম্পর্কে। তার পরেই অনির্বাণকে একহাত নিলেন বিজেপির তারকা-রাজনীতিক রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।

    সনাতন ধর্মকে আক্রমণ (Rudranil Ghosh)

    তিন ‘ঘোষ’কে নিয়ে ছড়া কেটে বাজার মাত করেছে অনির্বাণের দল। এই তিন ঘোষ হলেন কুণাল ঘোষ, শতরূপ ঘোষ এবং দিলীপ ঘোষ। এঁদের বিঁধতে গিয়েই গায়করা টেনে এনেছেন সনাতন ধর্মকে। গাইছেন, “সনাতন এসে গেছে… আর সনাতনী?… সনাতন মানে আমি সনাতন ধর্মের কথা বলেছি… আসেনি তো এখনও? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে…সবাই এগিয়ে যায়…আমরা পিছিয়ে যাব।” ছড়া-গানটির এই অংশ শুনেই অনির্বাণকে তোপ দাগল বিজেপি।

    ক্ষমা চাওয়ার দাবি রুদ্রনীলের

    দলের তারকা-নেতা রুদ্রনীলের দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে অনির্বাণকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনির্বাণকে নিশানা করে তিনি লিখেছেন, “বন্ধুবর অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আপনার এই অসচেতন, জ্ঞানহীন বক্তব্যের। …ভাই অনির্বাণ, পৃথিবীর চূড়ান্ত মুর্খ ব্যক্তিও জানেন সনাতন ধর্ম পৃথিবীর আদিতম ধর্ম বা জীবনচর্চা। তারপর বাকি সব ধর্মের জন্ম। আর আপনি বললেন, সনাতন এসে গেছে? সনাতন ভারতে পৌঁছতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে! আপনি সজ্ঞানে বললেন এই কথা? অন্য কোনও ধর্ম সম্পর্কে এই ধরনের উক্তি করলে, তাঁরা এতক্ষণে আপনাকে কোন জায়গায় রাখতেন নিশ্চয়ই জানেন!” রুদ্রনীলের (Rudranil Ghosh) সাফ কথা, “ভাই অনির্বাণ (Anirban Bhattacharjee), যদি সত্যিই নিজের অজ্ঞানতা থেকে এই বক্তব্য রেখে থাকেন, তাহলে জানান। দেখবেন সনাতনীরা দল-মত-ঝান্ডা ভুলে আপনাকে ক্ষমা করবেন ও ভবিষ্যতে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার অনুরোধ করবেন। আর যদি সজ্ঞানে থেকে এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন, তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সনাতন ধর্ম আদি ও অনন্ত। আপনি আমি দুনিয়ায় থাকি বা না থাকি, সনাতন-সনাতনী ছিল, আছে এবং থাকবেও। ভালো থাকবেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।”

    অনির্বাণকে আক্রমণ রুদ্রনীলের

    অনির্বাণের সঙ্গে ছবিতে অভিনয়ও করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তবে এবার এই একটি শব্দ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। রুদ্রনীল লেখেন, “সবাই জানে, টলিউড মাফিয়ারা আপনার কাজ কেড়ে নিয়েছে, তাই গান গেয়ে আপনাকে পেটের ভাত জোগাড় করতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক!! কিন্তু যে হুলি গানরা আপনার পেটের ভাত কেড়ে নিল, তা নিয়ে বা আরজি কর ডাক্তার হত্যা নিয়ে বা শিক্ষক পেটানো-শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে আপনার মুখে কুলুপ! অথচ অকারণ ছোট করছেন নিজের ধর্মকে? সনাতন ও সনাতনীকে? কাকে খুশি করতে?”

    অনির্বাণকে বয়কটের ডাক

    ‘গোঁত্তা’ (Rudranil Ghosh) খেয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনির্বাণ। তবে তাঁকে বয়কটের ডাক উঠেছে নেটদুনিয়ায়। একজন লিখেছেন, “এদের শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন (Anirban Bhattacharjee)। অন্যান্য ধর্ম নিয়ে করুক, ওকে বুঝিয়ে দেবে ভালো করে, সনাতন ধর্ম নিয়ে এসব করা খুবই সহজ, বয়কট অনির্বাণ।” অন্য একজন আবার লিখেছেন, “শহিদ দিবসের মঞ্চে পিসির পাশে চেয়ার নেবার জন্য অনির্বাণ এইসব বলছে। ঠিক যেমনটা নচিকেতা করেছে।” আর একজন লিখেছেন, “বাঁমঘেঁষা আঁতেলদের এই একটা সমস্যা। নিজেদের চূড়ান্ত শিক্ষিত মনে করে। সমাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ভালোভাবে জানতে মার্কস পড়ার আগে বেদ-বেদান্ত, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত পড়ুন ভাই। টেক্সট পড়ে বুঝতে না পারলে, পণ্ডিতরা যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেগুলি পড়ুন।”

    থানায় গেলেন তরুণজ্যোতি

    এদিকে, বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ,  ‘হুলি গান ইজম’-এর সদস্যরা ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য সনাতন ধর্মকে অপমান করেছেন ও বিদ্বেষ প্রচার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সনাতন ধর্মের উপাসক হিসেবে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছি। ওই কথাগুলোর জন্য ধর্মীয় বিশ্বাসে ও সনাতনীদের আবেগে আঘাত লেগেছে।” এতে সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে বলেও অভিযোগ তাঁর। অভিযোগপত্রের সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপওটিও সেঁটে দিয়েছেন।

    এর আগে তরুণজ্যোতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্টে অনির্বাণের উদ্দেশে লিখেছিলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কথা বলছেন। এটা আপনার বাক-স্বাধীনতার মধ্যে ততক্ষণ পড়ে, যতক্ষণ না আপনি (Anirban Bhattacharjee) কাউকে আঘাত করছেন। কিন্তু গানের মধ্যে সনাতনী টানার মানে কী ছিল? এগুলি নিয়ে খিল্লি করার কারণ কী?” তাঁর প্রশ্ন, “সাহস হবে নাকি ইসলাম নিয়ে বলার? বললে স্লোগান হবে সর তন…। আর বললাম না (Rudranil Ghosh)!”

  • Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না।” ওয়াশিংটনকে ঠিক এই ভাষায়ই সতর্ক করে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। শুধু তাই নয়, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার (Trumps Tariff Pressure) মাধ্যমে ভারত ও চিনকে জোর করে চাপে ফেলার চেষ্টা  না করার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্টকে।

    বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা! (Putin)

    চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ও একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চাপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এশিয়ার দু’টি বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।” ভারত ও চিনকে অংশীদার আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ছিল এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা।” তিনি বলেন, “আপনারা ভারতের মতো দেশ পেয়েছেন যেখানে দেড় বিলিয়ন মানুষ, চিন, যাদের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে, তবে তাদেরও নিজেদের ঘরোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন রয়েছে। যখন কেউ আপনাকে বলে যে তারা আপনাকে শাস্তি দেবে, তখন ভাবতে হবে — এত বড় দেশের নেতৃত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?”

    কী বললেন পুতিন?

    পুতিন (Putin) বলেন, “ইতিহাস এই দুই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের ইতিহাসেও কঠিন সময় ছিল, যেমন ঔপনিবেশিক শাসন, দীর্ঘ সময় ধরে সার্বভৌমত্বের ওপর চাপ। যদি তাদের মধ্যে কেউ দুর্বলতা দেখায়, তবে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়গুলি তার আচরণকে প্রভাবিত করে।” এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওয়াশিংটনের কথাবার্তা এখনও পুরোনো মানসিকতার প্রতিধ্বনি। ঔপনিবেশিকতার যুগ এখন শেষ। তাদের বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে কথোপকথনে এই ধরনের শব্দ তারা ব্যবহার করতে পারে না।” তিনি বলেন, “অবশেষে সব কিছু মিটে যাবে। প্রতিটি বিষয় তার নিজের জায়গায় বসবে এবং আমরা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা দেখতে পাব (Trumps Tariff Pressure)।”

    প্রসঙ্গত, পুতিনের (Putin) এই মন্তব্য করেছেন এমন একটা সময়ে যখন ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মার্কিন জরিমানার মুখে পড়ছে। আর চিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

     

  • PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi on GST Reforms: “উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ, কৃষক-মধ্যবিত্তরা”, নতুন জিএসটি-র ঘোষণাকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মরসুমে বড় উপহার মোদি সরকারের। ১০০টিরও বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমেছে। বুধবার জিএসটি (GST) কাউন্সিলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বিরাট স্বস্তিতে দেশবাসী। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন কৃষক, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত, মহিলা এবং যুব সমাজ। তিনি (PM Modi on GST Reforms) এই সিদ্ধান্তকে ‘আগামী প্রজন্মের জিএসটি’ পরিবর্তন বলে উল্লেখ করেছেন। পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিল, জিএসটি কাউন্সিল তা অনুমোদন করেছে। বুধবার কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকের পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রির প্রথম দিন। আর সেই দিন থেকেই কার্যকর হচ্ছে জিএসটি-র নতুন স্ল্যাব।

    আগামী প্রজন্মের জিএসটি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

    কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। স্বাধীনতা দিবসেই লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছিলেন জিএসটিতে সংস্কারের কথা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিপাবলীতে এই জিএসটি সংস্কার সাধারণ মানুষের জন্য বড় উপহার হতে চলেছে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই ঘোষণা। তুলে দেওয়া হল জিএসটির দুটি স্ল্যাব। ২৮ শতাংশ ও ১২ শতাংশের জিএসটি তুলে নেওয়া হল। ৩ সেপ্টেম্বরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই ঘোষণা করেন। বুধবার একে ‘নেক্সট-জেনারেশন রিফর্ম’ (Next Gen GST) বলে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এক্স-এ পোস্টে লেখেন, “স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আমি বলেছিলাম যে আমাদের লক্ষ্য হল জিএসটিতে পরবর্তী প্রজন্ম পরিবর্তন আনা। কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিস্তীর্ণ জিএসটি হার বিভাজন ও প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রস্তাবনা এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।” তিনি আরও লেখেন, “জিএসটি কাউন্সিলের কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা সম্মিলিতভাবে এই প্রস্তাবনায় রাজি হয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষ, কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, মধ্যবিত্ত মানুষ, মহিলা ও যুব প্রজন্ম উপকৃত হবে। এই বিশাল পরিবর্তন নাগরিকদের জীবনযাত্রা উন্নত করবে এবং ব্যবসা করতে, বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের আরও সুবিধা করে দেবে।” নতুন জিএসটি-কে স্বাগত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ অন্যান্যরা।

    অর্থমন্ত্রী নির্মলার ঘোষণা

    বুধবার ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি ঘোষণা করেন, “আমরা স্ল্যাব কমিয়ে এনেছি। এখন থেকে দু’টি স্ল্যাব থাকবে এবং আমরা ক্ষতিপূরণ সেসের সমস্যাগুলিরও সমাধান করছি।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই সংস্কার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের উপর প্রতিটি করের কঠোর পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হার ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে। এই সংস্কারের ফলে কৃষক এবং কৃষিক্ষেত্র, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রও উপকৃত হবে। অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “যেসব পণ্যের উপর জিএসটি ৫% নামানো হয়েছে- চুলের তেল, টয়লেট সাবান, সাবানের বার, শ্যাম্পু, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সাইকেল, টেবিলওয়্যার, রান্নাঘরের জিনিসপত্র এবং অন্যান্য গৃহস্থালীর জিনিসপত্র।” তবে বিলাসবহুল কিছু পণ্যের জন্য থাকছে বিশেষ উচ্চ হার। যেমন দামি গাড়ি, তামাক ও সিগারেটের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। এই নতুন হার কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় প্রতিটি কর খতিয়ে দেখা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর কমানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক, শ্রমনির্ভর শিল্প ও স্বাস্থ্যখাত প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।

    স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার

    বর্তমানে চিকিৎসার খরচ যেভাবে বেড়েছে, তাতে বিমা না করিয়ে উপায় নেই। আর সেই বিমার সঙ্গে জিএসটি দিতে দিতে নাজেহাল হতে হত সাধারণ মানুষকে। অবশেষে স্বস্তি। জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় দিতে হবে না কোনও জিএসটি। বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুটি বিমার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। অর্থাৎ কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। এই পুরো বোঝাটাই এবার কমে যাবে। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। এছাড়া এবার থেকে লাইফ ইনসিওরেন্স বা জীবনবিমার মধ্যেই পড়বে ইউনিট লিংকড ইনসিওরেন্স ও এনডাওমেন্ট প্ল্যান। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিমা আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসছে।

    কোন কোন জিনিসের দাম কমল

    দুধ, ছানা, পনির, রুটি, পাউরুটির উপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি ছিল। তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    কনডেন্‌সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, চি়জ় এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে জিএসটি করা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। একই হার প্রযোজ্য বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম এবং অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে।

    পশুচর্বি, সসেজ়, সংরক্ষিত বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডল্‌স, স্প্যাগেটি এবং বিভিন্ন সব্জির দাম কমছে। জিএসটি এ সব ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামছে।

    জ্যাম, জেলি, মাশরুম, নারকেলের জল, ইস্ট, সরষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতলের উপর থেকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হল পাঁচ শতাংশ।

    মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্‌স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম, জিলেটিনের উপর থেকে জিএসটি কমানো হয়েছে। এত দিন ১৮ শতাংশ জিএসটি ছিল এই সমস্ত পণ্যে। কমে হয়েছে পাঁচ শতাংশ।

    যাবতীয় জীবনবীমা এবং স্বাস্থ্য বীমার উপর থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    দাম কমছে থার্মোমিটার, ক্লিনিক্যাল ডায়াপারের।

    বিড়ির দাম কমছে। বিড়ির পাতার উপর ১৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। বিড়ির উপর ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে হচ্ছে ১৮ শতাংশ।

    সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার উপর জিএসটি পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

    টিভি, এসি, ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসি-র নীচে বাইকের দাম কমছে। এখন থেকে এই পণ্যগুলিতে ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে।

    কোন কোন জিনিসে দাম বাড়ল

    বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিং কারের উপর ৪০ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে।

    পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বনযুক্ত পানীয়ের দাম বাড়ছে। ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি করা হচ্ছে ৪০ শতাংশ।

    সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের উপর ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে।

    কয়লার দাম বাড়ছে। পাঁচ থেকে ১৮ শতাংশ হচ্ছে কয়লার উপর জিএসটি।

  • New GST Regime: জিএসটি মুক্ত স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়াম, বিরাট স্বস্তি আমজনতার

    New GST Regime: জিএসটি মুক্ত স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়াম, বিরাট স্বস্তি আমজনতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিএসটি কাউন্সিলের (New GST Regime) প্রথম দিনের বৈঠকেই মিলল সুখবর। দু’দিনের এই বৈঠক শুরু হয়েছে বুধবার। জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। উপস্থিত ছিলেন দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (Insurance Premiums)। এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়ামের ওপর আর আরোপ করা হবে না জিএসটি। এদিন এই ঘোষণাটি করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী স্বয়ং। ২০২৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নবরাত্রি উৎসবের প্রথম দিন থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে এই নয়া নিয়ম।

    সরকারি বিজ্ঞপ্তি (New GST Regime)

    সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “সমস্ত ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিমা এবং তার পুনঃবিমা এবং সমস্ত ব্যক্তিগত জীবনবিমা এবং তার পুনঃবিমাকে জিএসটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” বর্তমানে স্বাস্থ্য ও টার্ম ইন্স্যুরেন্স পণ্যে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি আরোপ করা হয়। অর্থাৎ, কাউকে যদি ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাহলে তার সঙ্গে আরও ১৮০০ টাকা দিতে হয় শুধু জিএসটি হিসেবে অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রিমিয়াম পড়ে ১১,৮০০ টাকা। জিএসটি অব্যাহতির ফলে এখন স্বাস্থ্য ও টার্ম ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম আরও সস্তা হবে বলেই আশা। অর্থাৎ ১০,০০০ টাকা প্রিমিয়াম হলে ১০,০০০ টাকাই দিতে হবে। প্রশ্ন হল, বিমাকারীর প্রিমিয়াম কতটা কমবে? এইচএসবিসি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ক্যাপিটাল মার্কেটস (ইন্ডিয়া)-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরোপুরি জিএসটি মুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। তবে বিমা সংস্থাগুলির খরচের অনুপাতও এই হ্রাসের পরিমাণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    বিমা কোম্পানির বক্তব্য

    স্কোয়ার ইন্স্যুরেন্সের সিইও আকাশ পারওয়াল বলেন, “স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার ওপর থেকে জিএসটি তুলে দিলে সরাসরি প্রিমিয়ামের খরচ কমবে। ফলে বিমা পণ্যগুলো আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হবে। বর্তমানে ১৮ শতাংশ জিএসটি থাকায় একটি ২৫,০০০ টাকার স্বাস্থ্যবিমা পলিসির খরচ প্রায় ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়, যা মধ্যবিত্ত পরিবার ও তরুণ ক্রেতাদের বিমা করা থেকে নিরুৎসাহিত করে। এই কর তুলে দেওয়ায় গ্রাহক উৎসাহিত হবেন এবং এতে দেশে বিমা কভারেজ বৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ অনায়াস হবে।” তবে এইচএসবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি এই ছাড় দেওয়া হয় তবে সরকার বছরে প্রিমিয়ামের জিএসটি থেকে ১.২ থেকে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে পারে। যদিও প্রিমিয়াম কমলে চাহিদা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। তবুও বিমা কোম্পানিগুলির ধারণা, খুচরো স্বাস্থ্যখাতে যৌথ অনুপাতের ওপর ৩ থেকে ৬ শতাংশ প্রভাব পড়তে পারে। এর প্রধান কারণ হল নবায়নের পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ধীরে চলবে, যা সম্পূর্ণ হতে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে (New GST Regime)।

    সহমত পোষণ

    গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স অন হেল্থ অ্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সদস্যরা এ ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছিলেন যে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার ওপর জিএসটির বোঝা কমানো প্রয়োজন। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সব ব্যক্তিগত জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা পলিসিকে জিএসটির (Insurance Premiums) আওতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে। তবে কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মত হল, এই ছাড় দেওয়ার উদ্দেশ্য তখনই পূর্ণ হবে, যখন বিমা সংস্থাগুলি সরাসরি উপভোক্তাদের ওপর বোঝা কমাবে। এখন বিমা সংস্থাগুলি যদি প্রিমিয়াম না কমায়, তাহলে সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না (New GST Regime)।

    জিএসটি প্রত্যাহার এসবেও

    এদিকে, স্বাস্থ্যবিমার পাশাপাশি দাম কমছে মেডিক্যাল সরঞ্জামেও। সস্তা হচ্ছে থার্মোমিটার, অক্সিজেন, ডায়গানাস্টিক কিট, রিএজেন্ট, গ্লুকোমিটার, টেস্ট স্ট্রিপ। ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধের জিএসটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনটি ওষুধ যাদের জিএসটি ছিল ৫ শতাংশ, তাও শূন্য করে দেওয়া হয়েছে। এতদিন এসব ক্ষেত্রে জিএসটি নেওয়া হত ১২ শতাংশ হারে। এবার তা কমে হচ্ছে পাঁচ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এবার থেকে দেশে দু’টি হারে কার্যকর হবে জিএসটি – ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্ল্যাব ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায় (Insurance Premiums)।

     ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদি

    দেশব্যাপী যে জিএসটির বোঝা কমতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লা থেকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই। তিনি জানিয়েছিলেন, নয়া প্রজন্মের জন্য জিএসটি সংস্কার করা হবে। এর ফলে কমবে করের বোঝা, জিনিসপত্রের দাম। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে ওই দিন প্রধানমন্ত্রী দিপাবলীতে ডাবল উপহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেন, “দেওয়ালিতে বড় উপহার পাবেন। কর ব্যবস্থাকে সরল করা হয়েছে, জিএসটি আনা হয়েছে। আট বছর বাদে আবার রিভিউ করা হচ্ছে (Insurance Premiums)।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর বলা পথেই হাঁটল জিএসটি কাউন্সিল (New GST Regime)।

  • GST Council: জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বড় অনুমোদন, লাভবান হবেন কারা?

    GST Council: জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বড় অনুমোদন, লাভবান হবেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পণ্য ও পরিষেবা কর কাউন্সিল (GST Council) ব্যবসায়ীদের ওপর কমপ্লিয়েন্স সংক্রান্ত চাপ কমাতে কিছু ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে। এই অনুমোদিত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প (MSME) ও স্টার্ট-আপগুলির জন্য রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ৩০ দিন থেকে কমিয়ে মাত্র তিন দিনে আনা হয়েছে। রফতানিকারীদের (Businesses Sources) জন্য স্বয়ংক্রিয় জিএসটি রিফান্ড ব্যবস্থার প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে।

    সরকারের পরিকল্পনা (GST Council)

    বুধবার সকালে শুরু হয়েছে কাউন্সিলের দুদিনের বৈঠক। বৈঠকের অ্যাজেন্ডায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হল জিএসটি কর স্ল্যাবের যুক্তিসঙ্গত করা। কাউন্সিল বর্তমানে যে করের স্তরগুলি রয়েছে, তাকে অর্ধেকে নামানোর সুপারিশগুলি খতিয়ে দেখছে। বর্তমানে চারটি স্ল্যাব রয়েছে — ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। সরকারের পরিকল্পনা হল ২৮ শতাংশ স্ল্যাবের মধ্যে থাকা প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যকে ১৮ শতাংশ স্ল্যাবে নামিয়ে আনা এবং ১২ শতাংশ স্ল্যাবের একটি বড় অংশকে ৫ শতাংশ স্তরে নিয়ে আসা। এর ফলে ডোমেস্টিক কনজাম্পশান বাড়বে এবং প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সামগ্রিকভাবে আটটি খাত বস্ত্রশিল্প, সার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, হস্তশিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য ও বিমা সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে হার পুনর্গঠনের ফলে। কিছু পণ্য বা পরিষেবা, যেমন, জীবন ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম, যেগুলির ওপর বর্তমানে ১৮ শতাংশ কর বসে, সেগুলিকে জিএসটি কাঠামো থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে।

    ‘পাপ সামগ্রী’ শ্রেণিতে যুক্ত হবে স্বাস্থ্য সেস

    তবে কিছু বিলাসবহুল সামগ্রী, যেমন তামাক, উচ্চমূল্যের গাড়ি এবং মদ আগের মতোই ‘পাপ সামগ্রী’ শ্রেণিতে পড়বে এবং এবার এর সঙ্গে যুক্ত হবে স্বাস্থ্য সেস (Health Cess) বা সবুজ শক্তি সেস (GST Council)। প্রসঙ্গত, এই হার যুক্তিসঙ্গত করার প্রস্তাবগুলির ভিত্তি হল গত আট বছরে চারটি করস্ল্যাব থেকে সংগৃহীত রাজস্বের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্য। সরকার মনে করছে, এর ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি উপকৃত হবে। কারণ তাদের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী (যদিও কোন কোন পণ্য এর আওতায় পড়বে, তা এখনও পরিষ্কার নয়) এবং আকাঙ্ক্ষিত পণ্যগুলি সস্তা হবে (Businesses Sources)।

    কর ছাড় নির্মাতাদের দাম কমাতে উৎসাহিত করবে। যদিও উৎপাদকরা সচরাচর পুরো হারে দাম কমায় না, তাই কর হ্রাসের হার ও দামের হ্রাস এক হবে না, তবুও এতে উৎপাদন বাড়বে বলেই আশা (GST Council)।

  • Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে কুকথা বলা হয়েছিল কংগ্রেস-আরজেডির মঞ্চ থেকে। তার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এটা গোটা দেশের মা-বোন এবং কন্যাদের অপমান।” দেশের মহিলাদের অপমান করায় বিহার বনধের (Bihar Bandh) ডাক দিল এনডিএ। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর মাকে কটু কথা (Bihar Bandh)

    প্রধানমন্ত্রী যখন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর মায়ের উদ্দেশে কটু কথা বলা হয়। চিন থেকে ফিরেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, কেন তাঁর মাকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং হাত শিবিরের লেজুড় আরজেডি নেতা? বিষয়টিকে দেশজুড়ে মহিলাদের প্রতি অপমান হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তাঁর মৃত মায়ের উদ্দেশে এভাবে অপমানসূচক মন্তব্য অকল্পনীয়।”

    রাহুল-তেজস্বীকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুল এবং তেজস্বীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী (Bihar Bandh) বলেন, “একজন দরিদ্র মায়ের সংগ্রাম, তাঁর ছেলের কষ্ট – রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ রাজকুমাররা বুঝতে পারেন না। এই নামদার লোকেরা মুখে রূপার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশ ও বিহারের ক্ষমতা তাঁদের কাছে পরিবারের উত্তরাধিকারের মতো মনে হয়।” তিনি বলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিহার সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিহারের সব মহিলা আরজেডিকে সরিয়ে বারবার পরাজিত করার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আরজেডি হোক বা কংগ্রেস আজ এই (PM Modi) লোকেরা মহিলাদের ওপর সব চেয়ে বেশি বিরক্ত। এই লোকেরা আপনাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, তারা সুযোগ খুঁজছে যাতে তারা আপনাদের শাস্তি দিতে পারে (Bihar Bandh)।”

  • SIR in Bengal: রাজ্যে পুজোর আগে হচ্ছে না এসআইআর, কবে থেকে শুরু ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন?

    SIR in Bengal: রাজ্যে পুজোর আগে হচ্ছে না এসআইআর, কবে থেকে শুরু ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যে হচ্ছে না এসআইআর (SIR in Bengal)। ভাইফোঁটার পর পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে এসআইআর, এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলায় কবে থেকে এসআইআর শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি এসআইআরের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এসআইআর করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এখনও তারিখ ঘোষণা না করলেও এসআইআর করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।

    কেন পুজোর পরে এসআইআর

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য ন্যূনতম দশ দিন সময় লাগে। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই একপ্রকার ছুটি পড়ে যাচ্ছে পুজোর জন্য, ফলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কোনভাবেই এসআইআর করা সম্ভব নয়। রাজ্যে যেভাবে প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়ে রয়েছে তাতে বেশ কিছু জায়গার কাজ এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ করে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরও তাই পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। অতএব ভাই ফোঁটার পর নির্বাচন কমিশন এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে বলে খবর।

    চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু

    নির্বাচন কমিশনের অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী নভেম্বর মাসে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন। বিহারের এসআইআর (SIR in Bengal) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখনও শুনানি চলছে। তাই এই দুইয়ের মাঝে কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গে পূজোর আগে এসআইআর কে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তবে, প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে রাজ্যের ১০০০ বিএলওকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে ওই তালিকা নিজেরন নাম দেখে নিতে পারবেন ভোটাররা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা এসআইআর করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

  • Bihar: বিহারে এসআইআর শেষ হলেই নয়া ভোটার কার্ড ভোটারদের, কী কী বদল?

    Bihar: বিহারে এসআইআর শেষ হলেই নয়া ভোটার কার্ড ভোটারদের, কী কী বদল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) এসআইআরের (sir) আবহেই এবার নয়া ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের। এসআইআর শেষ হলেই নয়া ভোটার কার্ড (Voter Id Cards) আনতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রযুক্তিনির্ভর এই ভোটার কার্ডে থাকছে নানারকম ডিজিটাল সুবিধা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর শেষ হলেই বিহারের প্রত্যেক ভোটারের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই নয়া ভোটার কার্ড। নির্বাচন নিয়ে গুচ্ছের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের দাবি, প্রযুক্তির প্রয়োগে নয়া ভোটার তালিকা হবে আরও বেশি সুরক্ষিত।

    বিহারে ভোটার চিহ্নিত করতে নয়া প্রযুক্তি (Bihar)

    চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই এবার বিহারে ভোটার চিহ্নিত করতে নয়া প্রযুক্তি আনছে নির্বাচন কমিশন। ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের ভোটাররা হাতে পাবেন নয়া প্রযুক্তির ভোটার আইডি কার্ড। নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “এসআইআর চলাকালীন বিহারের বাসিন্দাদের তাঁদের লেটেস্ট ছবি চাওয়া হয়েছিল। সেই ছবিই ব্যবহার করা হবে নয়া ভোটার কার্ডে।” তবে এই নয়া আইডি কার্ড কেবল বিহারেই চালু হবে, নাকি গোটা দেশেই, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফে। প্রসঙ্গত, পয়লা অগাস্ট প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে বিহারে ভোটার রয়েছেন ৭.২৪ কোটি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে ফাইনাল লিস্ট।

    এপিকের আপডেটেড সংস্করণ

    জানা গিয়েছে (Bihar), নয়া ভোটার কার্ড হল পুরানো এপিকের আপডেটেড সংস্করণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটাররা যাঁরা এসআইআর প্রক্রিয়ায় তাঁদের ছবি আপডেট করেছেন, নয়া কার্ডে তাদের সেই ছবিই দেখা যাবে। কার্ডে থাকছে কিউআর কোড। তাই জালিয়াতি বা নকল কার্ড তৈরি করা কার্যত অসম্ভব। কমিশন সূত্রে খবর, কার্ড (Voter Id Cards) মিলবে দু’রকমের – একটি ফিজিক্যাল ও অন্যটি ডিজিটাল। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্রযুক্তির এই প্রয়োগে বিহারের ভোটার তালিকা আরও সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ হবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হবে আরও আধুনিক। উল্লেখ্য (Bihar), আগামী ২২ নভেম্বর শেষ হচ্ছে বিহারের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ। আইন অনুযায়ী, তার আগেই গঠন করতে হবে নয়া বিধানসভা। কমিশন সূত্রের খবর, অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যেই হতে পারে বিধানসভা নির্বাচন।

    ভোট কেন্দ্রে ভিড় কমাতে চিন্তাভাবনা

    এদিকে, ভোট কেন্দ্রে ভিড় কমাতে চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। ভোটের দিনে বুথে বুথে ভিড় কমাতে বাড়ানো হবে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা। আগে প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বাধিক দেড় হাজার ভোটার থাকত। সেই সংখ্যাটা কমিয়ে এবার আনা হচ্ছে ১ হাজার ২০০ জনে। এই পরিবর্তনের ফলে বিহারে মোট বুথের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজারে। আগে ছিল ৭৭ হাজার। ছাব্বিশের মার্চ-এপ্রিলে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গে। সেই সময়ও বুথের সংখ্যা বাড়ানোর (Voter Id Cards) সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এতে ভোটারদেরও অনেক বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না (Bihar)।

  • K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    K Kavitha: সাসপেন্ড হয়েই পদত্যাগ! কবিতা-কাণ্ডে বেআইনি সম্পদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, দাবি তেলঙ্গানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মেয়ে কে কবিতাকে (K Kavitha) সাসপেন্ড করেছেন বিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। মঙ্গলবার ভারত রাষ্ট্র সমিতির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়, “দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এমএলসি কবিতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেসিআর। এই মুহূর্ত থেকে এই সাসপেনশন কার্যকর হবে।” এরপরই বুধবার, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের এমএলসি পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন কে কবিতা। একইসঙ্গে তাঁর খুড়তুতো ভাই এবং প্রাক্তন মন্ত্রী টি হরিশ রাও এবং প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জে সন্তোষ কুমারের সমালোচনা করেছেন কবিতা।

    বিআরএস-এ অন্তর্দ্বন্দ্ব

    কবিতা (K Kavitha) বুধবার হায়দ্রাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা করেন এবং দলের ভিতরে তাঁর বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের জন্য হরিশ রাও এবং সন্তোষ কুমারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আমি এমএলসি পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমি আমার পদত্যাগপত্র বিধানসভার স্পিকার এবং কেসিআর-এর কাছে পাঠাচ্ছি।” কবিতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর ভাই এবং বিআরএস-এর কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাও (কেটিআর) তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের সময় তাঁকে সমর্থন করেননি। তিনি বলেন, “যখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিল, তখন আমার ভাই রামা রাও আমাকে সমর্থন করেননি। আমার সাসপেনশন দলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।” তিনি তাঁর বাবা কেসিআর-কে তাঁর চারপাশে ঘটে চলা ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “হরিশ রাও এবং সন্তোষ আমাদের পরিবারের কল্যাণকামী নন।”

    বিজেপি’র দাবিই সত্য!

    তেলঙ্গানা বিজেপি সভাপতি এন রামচন্দ্র রাও মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন, বিআরএস (BRS) এমএলসি কে কবিতার সাম্প্রতিক মন্তব্য তাঁর নিজের দলের বিরুদ্ধেই ছিল এবং তা স্পষ্টভাবে কেসিআর (KCR) পরিবারে কেলেশ্বরম প্রকল্পের “অবৈধ সম্পদের ভাগবাটোয়ারা” নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করে। রাও আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সিবিআই তদন্তে বিলম্ব করে বিআরএসকে রক্ষা করছে। প্রায় ২০ মাস ধরে তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর না করে তারা প্রমাণ লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে।

    তিনটি ভাগে বিভক্ত বিআরএস

    রামচন্দ্র রাও বলেন, “বিজেপি প্রথম থেকেই কেলেশ্বরম দুর্নীতির তদন্ত দাবি করে এসেছে। কে কবিতার (K Kavitha) এই বিস্ফোরক মন্তব্যে বোঝাই যাচ্ছে, পরিবারেরই কেউ দুর্নীতিতে জড়িত। এটি আমাদের অভিযোগেরই প্রমাণ।” তিনি আরও বলেন, কবিতার বহিষ্কার বিআরএস-এর অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাতে বিজেপির কিছু বলার নেই। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা এ রেভন্ত রেড্ডিকে নিশানা করে রাও বলেন, “বিরোধীদলে থাকাকালীন রেভন্ত কেলেশ্বরম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। কিন্তু এখন ক্ষমতায় এসে গত ২০ মাসে একটিও পদক্ষেপ করেননি। কেলেশ্বরম প্রকল্পের জলের স্রোতের সঙ্গেই প্রমাণও বোধহয় ধুয়ে গিয়েছে।” বিজেপি সাংসদ লক্ষ্মণ বিআরএস-এর তুলনা করেছেন ধসে পড়া কেলেশ্বরম প্রকল্পের স্তম্ভের সঙ্গে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “যেমন কেলেশ্বরম প্রকল্প ভেঙে পড়েছে, তেমনি বিআরএস দলও এখন তিনটি ভাগে ভেঙে গিয়েছে।”

LinkedIn
Share