Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই বিহারে ভোট (Bihar Election)। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষায় ধরা পড়ল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে, নেপাল, বাংলাদেশ, এমনকি মায়ানমারের বহু নাগরিক বর্তমানে বিহারে বসবাস করছেন এবং তাঁরা অবৈধভাবে নিজেদের নামে আধার কার্ড, স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র এবং রেশন কার্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরকারি আধিকারিকরা ব্লক ধরে ধরে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। এই সমীক্ষার মাধ্যমে বহু বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে এই অবৈধ ভোটারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত ও অভিযান চালানো হবে। যাচাই-বাছাই শেষে যাঁরা অবৈধ প্রমাণিত হবেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে

    বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের (Bihar Election) সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বহু বাংলাদেশি, নেপালি ও মায়ানমারের বাসিন্দা বেআইনিভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন।নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে এদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা।

    মোট ভোটার ৭ কোটি ৮০ লাখ (Bihar Election)

    ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ অভিযান, যা চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মোট ৭.৮ কোটি ভোটারের বৈধতা যাচাই করবে বলে জানানো হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য শুধুমাত্র আধার কার্ড বা রেশন কার্ড যথেষ্ট নয়। জন্ম সনদ বা সরকারি স্বীকৃত জন্ম-পরিচয়ের নথি দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর অর্থ, এবার আরও বেশি  কঠোর নির্বাচন কমিশন।

  • Sadanandan Master: আরএসএস করার অপরাধে দুই পা কেটে নেয় সিপিএম, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কেরলের সদানন্দন মাস্টার

    Sadanandan Master: আরএসএস করার অপরাধে দুই পা কেটে নেয় সিপিএম, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কেরলের সদানন্দন মাস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) রাষ্ট্রপতি মনোনীত চার সদস্যের নাম ঘোষণা করল রাইসিনা হিলস। রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চার জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন। যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরা হলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম, কেরলের সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ শ্রী সদানন্দন মাস্টার, প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং ইতিহাসবিদ মীনাক্ষী জৈন। জাতীয় রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এই চার জনের মনোনয়নের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তর ও ক্ষেত্রকে প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে কেরলের সদানন্দন মাস্টারের (Sadanandan Master) মনোনয়ন অনুপ্রেরণামূলক সিদ্ধান্ত। তাঁর জীবন আদর্শের জন্য সংঘর্ষ, সাহস ও দীর্ঘ সংকল্পে মোড়া।

    ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সদানন্দ মাস্টারের দুই পা কেটে নেয় সিপিএম

    ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সদানন্দন মাস্টারের (Sadanandan Master) বয়স তখন মাত্র ৩০ বছর। সেই সময়ে তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শ ত্যাগ করে যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। ঠিক এই কারণেই সিপিএমের সন্ত্রাসীরা তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। ভয়াবহ সেই হামলায় তাঁর দুটি পা কেটে ফেলা হয়। পরবর্তীকালে তিনি কৃত্রিম পায়ে হাঁটতে শেখেন। এই ঘটনার পর থেকে তিনি আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে। ২০১৬ সালে, সিপিএমের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই তিনি কেরালার কুথুপারাম্বা থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী হন। চরম রাজনৈতিক হিংসার পরিবেশে তিনি সমগ্র নির্বাচনী এলাকা জুড়ে প্রচার চালান। কেরলে কমিউনিস্টদের রাজনৈতিক সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। প্রায়ই আরএসএস-এর কার্যকর্তাদের উপর হামলা হয়, চলে হত্যা ও হিংসার রাজনীতি। এই হিংসার শিকার হওয়া আরএসএস সদস্যদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সদানন্দন মাস্টার (Sadanandan Master)। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন আজ একটি প্রেরণার প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন, রাজনৈতিক হিংসার মুখেও আদর্শে অবিচল থাকা যায়।

    মানবতার বিরুদ্ধে সিপিএম

    ২০১৬ সালে যে এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, সেই এলাকায় একাধিক গ্রাম ‘কমিউনিস্ট পার্টি ভিলেজ’ নামে পরিচিত ছিল। অর্থাৎ, সিপিএমের গ্রাম। কান্নুর জেলায় এমন প্রায় চল্লিশটি গ্রাম পাওয়া যায়, যেখানে সিপিএম বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলকে কার্যত ঠাঁই দেয়নি। এসব গ্রামের মধ্যে কয়েকটির নাম—চকলি, পরাদ ইত্যাদি। এই এলাকাগুলিতে গেলে চোখে পড়ে বড় বড় সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা থাকে, “Welcome to Communist Party Village”।

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিরোধী দলকে টিকতে না দেওয়া এবং এমন সাইনবোর্ড টাঙানোই আসল ফ্যাসিবাদের পরিচয়। শুধু তাই নয়, এই গ্রামগুলিতে কোনও বিরোধী দলের পোস্টারও লাগানোর অনুমতি নেই। সিপিএমের এই ধরনের কার্যকলাপ মানবাধিকার এবং ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। এই রকম এক এলাকাতেই ২০১৬ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন সদানন্দন মাস্টার।

  • Shivaji Maharaj: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গ

    Shivaji Maharaj: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের (Shivaji Maharaj) বারোটি দুর্গ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। তিনি ইউনেস্কোর এই সিদ্ধান্তকে রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    দুর্গগুলির নাম কী কী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৭তম বৈঠক। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় যে দুর্গগুলো স্থান পেয়েছে, সেগুলি হল— মহারাষ্ট্রের সালহের, শিবনেরি, লোহগড়, খান্দেরি, রায়গড়, রাজগড়, প্রতাপগড়, সুবর্ণ দুর্গ, পানহালা, বিজয়দুর্গ, সিন্ধুদুর্গ
    এবং তামিলনাড়ুর জিঞ্জি দুর্গ (Shivaji Maharaj)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    এই উপলক্ষে নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ লেখেন: “মহারাষ্ট্রের সকল নাগরিক এবং ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ভক্তদের আন্তরিক অভিনন্দন। মহারাষ্ট্র সরকার আমাদের প্রিয় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজকে (Shivaji Maharaj) প্রণাম জানাচ্ছে।” তিনি আরও লেখেন, “শিবাজী মহারাজ স্বরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য এই দুর্গগুলি নির্মাণ (UNESCO World Heritage List) করেছিলেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথমত, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। তিনি আমাদের যে সমর্থন দিয়েছেন তা অত্যন্ত মূল্যবান। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক এই বিষয়ে প্রচুর সাহায্য করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত দাদা পাওয়ারও আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রী অসীস সেলার ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতও করেছেন।”

    উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের বিবৃতি

    এ বিষয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, “এই দুর্গগুলি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ (Shivaji Maharaj) এবং মারাঠা যোদ্ধাদের বীরত্ব ও ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে। এখন এই দুর্গগুলির ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার সারা বিশ্বে পরিচিত হলো এবং সম্মান লাভ করলো।” তিনি এই বিষয়ে সক্রিয় সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীকে ধন্যবাদ জানান এবং মহারাষ্ট্রের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

  • PF Rules: বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলার নিয়মে বড় পরিবর্তন!

    PF Rules: বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলার নিয়মে বড় পরিবর্তন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেতনভোগী কর্মচারী, বিশেষ করে যারা প্রথমবারের মতো নিজের বাড়ি তৈরি করতে চান বা একটি স্বপ্নের বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এসেছে এক গুরুত্বপূর্ণ ও স্বস্তিদায়ক ঘোষণা (PF Rules)। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF) থেকে টাকা তোলার নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন করা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে আরও সহজ করে তুলবে।

    নতুন সংশোধনী: ৬৮-বি.ডি. ধারা (68BD) পুনর্গঠন

    এই পরিবর্তনটি করা হয়েছে ১৯৫২ সালের Employees’ Provident Fund (EPF) স্কিমের অধীনে বিদ্যমান ৬৮-বি.ডি. অনুচ্ছেদে। সংশোধিত এই ধারা অনুযায়ী, এখন থেকে EPF-এর সদস্যরা তাঁদের জমাকৃত পিএফ টাকার ৯০% পর্যন্ত তুলে নিতে পারবেন গৃহনির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার উদ্দেশ্যে।
    সময়সীমা কমিয়ে আরও সহজ শর্ত। আগে এই সুবিধা শুধুমাত্র তখনই পাওয়া যেত, যখন প্রভিডেন্ট ফান্ডে সদস্যপদ অন্তত পাঁচ বছর পূর্ণ হত। অর্থাৎ একজন কর্মচারীকে অন্তত পাঁচ বছর পর্যন্ত নিয়মিত PF জমা করতে হত, তারপরই তিনি বাড়ি নির্মাণ বা কেনার জন্য PF থেকে টাকা তুলতে পারতেন।
    কিন্তু নতুন নিয়মে এই শর্ত শিথিল করে (PF Rules Changed) এখন এই সময়সীমা কমিয়ে মাত্র তিন বছর করা হয়েছে। অর্থাৎ, EPF সদস্য মাত্র ৩ বছর ফান্ডে টাকা জমা করলেই, তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ব্যবহার করে নিজস্ব বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করতে পারবেন।

    আগে কী ছিল নিয়ম (PF Rules)?

    পূর্ববর্তী নিয়ম অনুযায়ী, প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা (PF Rules) তোলার সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সমপরিমাণ বেসিক বেতন ও ডিএ। শুধুমাত্র তখনই টাকা তোলা যেত যখন সদস্যপদ কমপক্ষে পাঁচ বছর ছিল।

    নতুন নিয়মে কী সুবিধা মিলবে?

    শুধুমাত্র তিন বছরের (PF Rules) সদস্যপদেই এই সুযোগ পাওয়া যাবে।

    প্রায় ৯০% পর্যন্ত PF ফান্ড থেকে টাকা তোলা যাবে।

    বাড়ি তৈরি, ফ্ল্যাট কেনা বা জমি কেনার জন্য অর্থ ব্যবহার করা যাবে।

    এতে কর্মচারীদের আর্থিক চাপ কমবে এবং স্বপ্নের বাড়ি তৈরির পথে এক বড় সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।

  • Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    Jammu and Kashmir: ১৩ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ বলে কেন প্রচার করে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ বিলুপ্তির পরে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনৈতিক শক্তিগুলি আবার বলতে শুরু করে যে ৩৭০ ধারা পুনরায় চালু করতে হবে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা দাবি তোলে যে ১৩ জুলাইকে জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তারা এই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করতে চায়, কারণ ১৯৩১ সালের ১৩ জুলাই (Black Day July 13) শ্রীনগরে কিছু মানুষ নিহত হয়েছিল।তাদের মতে, ওইদিন ২২ জন সাধারণ কাশ্মীরিকে গুলি করে হত্যা করেছিল ডোগরা জওয়ানরা। প্রসঙ্গত, নিহত ২২ জনই ছিল মুসলমান এবং ডোগরা জওয়ানরা ছিলেন হিন্দু। তারা সবাই একত্রিত হয়েছিল আব্দুল কাদেরের জন্য। এই আব্দুল কাদের ছিলেন একজন মৌলবাদী, যিনি সবসময় ডোগরা হিন্দু শাসকদের বিরুদ্ধে সাধারণ কাশ্মীরি মুসলমানদের উসকানি দিতেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য ছিলেন মহারাজা হরি সিংকে ক্ষমতা থেকে সরানো।

    হিন্দু শাসকের বিরুদ্ধে ছিলেন আব্দুল কাদের (Jammu and Kashmir)

    এক বক্তৃতায় আব্দুল কাদের বলেছিলেন, “ডোগরা শাসকদের হত্যা করো এবং তাদের জ্বালিয়ে ফেলো।” তিনি আরও বলতেন, “এটা তখনই সম্ভব হবে, যখন প্রত্যেক কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) মুসলমান মহারাজার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে।” এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য মহারাজা হরি সিং তাকে গ্রেফতার করেন এবং তাঁর বিচার চলতে থাকে। ১৩ জুলাই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় (Black Day July 13)।

    আব্দুল কাদের ছিলেন বিদেশী

    এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আব্দুল কাদের ছিলেন একজন বিদেশি—একজন আফগান, এবং তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের হয়ে কাজ করতেন। কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) নেতাদের কাছে তিনি কখনও নিজের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেননি। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে ২২ জন নিহত হয়। হরি সিংয়ের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ এবং নিহত ২২ জনের ঘটনাকেই এখন ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা চলছে।

    উদার প্রকৃতির রাজা ছিলেন হরি সিং

    এইভাবে আব্দুল কাদেরকে প্রচারের আলোয় আনা হচ্ছে, যদিও তিনি ছিলেন একজন বিদেশি, দেশদ্রোহী এবং ষড়যন্ত্রকারী। কিন্তু তাঁকে বীরের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা আজও কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে। এটি একটি ইসলামী অ্যাজেন্ডা, যেখানে বলা হচ্ছে তিনি নাকি হিন্দু শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তব হল, মহারাজা হরি সিং ছিলেন একজন উদার প্রকৃতির শাসক। তিনি জাতিভেদে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সমস্ত মন্দিরে দলিতদের প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জম্মুর রঘুনাথ মন্দির, যা তাঁর পরিবারের বহু আগের নির্মিত মন্দির।

  • Suvendu Adhikari: খেজুরিতে জোড়া মৃত্যু, খুনের অভিযোগ শুভেন্দুর, সোমবার বনধের ডাক

    Suvendu Adhikari: খেজুরিতে জোড়া মৃত্যু, খুনের অভিযোগ শুভেন্দুর, সোমবার বনধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ভাঙনমারি গ্রামে দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদের পরিবার দাবি করছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুন। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও স্পষ্ট বিবৃতি দেয়নি। মৃতদের মধ্যে একজন হলেন সুজিত দাস, অপরজন সুধীর পাইক। সুজিতের বাবা শশাঙ্ক শেখর দাস অভিযোগ করেছেন, “এটা বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নয়। আমার ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে (Khejuri)। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।” একই অভিযোগ তুলেছেন সুধীর পাইকের পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করছে।

    সুসংগঠিত খুন দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহরম উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ভাঙনমারিতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। শনিবার সকালে সেই অনুষ্ঠানস্থলের কাছেই সুজিত ও সুধীরের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পরিবারের দাবি। ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, পরে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত খুন। এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি, “ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারি হাসপাতালে হলেও কোনও আপত্তি নেই, তবে সেখানে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও ময়নাতদন্তের সময় থাকতে দিতে হবে।”

    অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয় দাবি বিজেপির

    এছাড়াও তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “হিন্দু হওয়ার কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের হত্যা করেছে। কাউকে ছাড়া হবে না।” শুভেন্দু ঘোষনা করেছেন, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত খেজুরিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া সোমবার হিন্দু সংগঠনগুলির ডাকে খেজুরিতে বন্‌ধ পালিত হবে। খেজুরির জনকা থেকে বিদ্যাপীঠ মোড় পর্যন্ত মিছিলে তিনি নিজেই নেতৃত্ব দেবেন। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সুজিত ও সুধীর ওই রাতে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খেজুরি জুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

  • Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে আসছে টেসলা (Tesla In India)। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যেতে পারে টিজার। এবার টেসলা নতুন মডেল ওয়াই এসইউভি নিয়ে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার উপস্থিতি শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতে বিক্রির জন্য প্রথম পণ্য হিসাবে আসবে ‘ওয়াই’ এসইউভি । আগামী মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই মুম্বইয়ে টেসলা এই মডেলের প্রথম স্টোর লঞ্চ করবে। সূত্রের মতে, অগাস্টের শেষ দিক থেকে গাড়ি ডেলিভারি শুরু হতে পারে। গ্রাহকরা আগামী সপ্তাহ থেকেই তাদের গাড়ি কনফিগার ও অর্ডার করতে পারবেন। গাড়ির দাম সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দিতে পারে কোম্পানি। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে আরও একটি শোরুম খুলবে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ।

    টেসলার মডেলে নতুন আপডেট

    টেসলার (Tesla In India) নতুন মডেল ওয়াই একটি বড় আপডেট নিয়ে ভারতে আসতে পারে। একটি নতুন চেহারা আরও ভালো সাসপেনশন ও নতুন ইন্টেরিয়র থাকবে এই গাড়িতে। ভারতে নতুন মডেল ওয়াইয়ের রেঞ্জ ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি হতে পারে। নতুন গাড়িটির সামনের অংশ আলাদা ও অভ্যন্তরীণ অংশে একটি বড় টাচস্ক্রিন ও পিছনের যাত্রীদের জন্য আলাদা স্ক্রিন রয়েছে। এই গাড়ি খুব দ্রুত গতির হবে। ০-১০০ কিমি গতি তুলতে ৫.৯ সেকেন্ড সময় নেবে এই গাড়ি। অন্যদিকে অল হুইল ড্রাইভ (AWD) ৪.৩ সেকেন্ড ১০০ কিমি পর্যন্ত গতি তোলার একটি সুপারকার হবে।

    ভারতে কী তৈরি হবে এই গাড়ি

    আপাতত এই গাড়িগুলি ভারতে আমদানি করা হবে। ভারতে স্থানীয়ভাবে এই গাড়িগুলি (Tesla In India) সেম্বলির কোনও পরিকল্পনা নেই। ভারতে আমদানি করার সময় মডেল ওয়াই-এর দাম প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হতে পারে। অন্যদিকে মডেল ৩ কিছুটা সস্তা হতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। মডেল ওয়াই আপাতত ফ্ল্যাগশিপ পণ্য হবে কারণ আরও বড় গাড়ি এস সম্ভবত এখানে আসবে না এবং সাইবারট্রাকও আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে আসবে না। প্রথম দফায় চিনের টেসলা কারখানা থেকে আসা পাঁচটি মডেল ওয়াই রিয়ার-হুইল ড্রাইভ এসইউভি ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছে।

  • North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় উত্তর কোরিয়া (North Korea), এদেশের শাসকের নাম কিম জং উন। তাঁর নামের সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত। আধুনিক পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম কঠোর শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান উত্তর কোরিয়ায়। করোনা মহামারির সময় থেকে সে দেশে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি উঠে যায়, পরে ফের একবার তা চালু হয়েছে।

    কঠোর নির্দেশ ছিল পর্যটকদের ওপর

    উত্তর কোরিয়া সফরকারী একটি পর্যটক দলের অংশ ছিলেন ভুবানী ধরন (Bhubani Dharan)। জানা গেছে, ওই দলে মোট ২২ জন সদস্য ছিলেন এবং তাঁরা চলতি বছরের মার্চ মাসে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। ৩ মার্চ সেখানে তাঁরা যান, ৬ মার্চ সে দেশ থেকে ফেরত আসেন। তাঁদের দলটি ফিরে আসার পরে আবার একবার কিম জং উনের দেশে পর্যটনের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

    উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে প্রবেশের সময়ই পর্যটকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেমন:

    সর্বদা কিম জং উন-এর নাম সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে।

    তাঁকে সম্বোধন করার সময় ‘ক্যাপ্টেন’ বা ‘মার্শাল’ উপাধি যোগ করতে হবে।

    সরকারের পক্ষ থেকে দুইজন গাইড বরাদ্দ করা হয়, যারা সব সময় পর্যটকদের সঙ্গে থাকেন এবং নির্দেশনা দেন।

    একা কোথাও যাওয়া যাবে না।

    কোনও কুৎসিত বা অস্বস্তিকর জিনিসের ছবি তোলা যাবে না।

    সেনা সদস্য বা কঠোর পরিশ্রমরত কোনো ব্যক্তির ছবি তোলা যাবে না।

    ‘উত্তর কোরিয়া’ শব্দ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। পরিবর্তে উচ্চারণ করতে হবে ‘DPRK’ — অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া।

    কী জানালেন ভুবানী ধরণ?

    নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভারতীয় পর্যটক (North Korea) ভুবানী ধরন জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ায় চারদিন ও তিন রাত কাটিয়েছেন। এই সময়ে তাঁর মনে কাজ করছিল কৌতূহল, উত্তেজনা এবং একধরনের নার্ভাসনেস। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া পৌঁছানো তাঁদের পক্ষে সহজ ছিল না। তাঁদের গন্তব্য যে শহরে ছিল, সেই রাচন (Rason)-এ কোনও বিমানবন্দর নেই। ফলে তাঁদের প্রথমে পৌঁছাতে হয় চিনের ইয়ানজি শহরে। সেখানে নিরাপত্তা পরীক্ষার পরে তারা উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত পার হওয়ার জন্য একটি বাসে ওঠেন। উত্তর কোরিয়া সীমান্ত পার হওয়ার মুহূর্তে পর্যটকদের উপর শুরু হয় কড়া নজরদারি। তাঁদের সঙ্গে ছিল সরকারের মনোনীত দুই গাইড, যাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাঁদের জিনিসপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের তালিকা পর্যটকদের নিজেই তৈরি করতে বলা হয়।

    কোথায় কোথায় পরিদর্শন

    ভুবানী ধরন আরও জানান, উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) পৌঁছানোর পর তাঁরা প্রথমে কোনও হোটেলে নয়, বরং একটি মিনারেল ওয়াটার কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের দেখানো হয় কীভাবে পানীয় জল তৈরি হয়। তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটি সাজানো মনে হয়েছে, কারণ সেখানে মাত্র দু’জন কর্মী ছিলেন, এবং কেউই তেমনভাবে কাজ করছিলেন না। চারদিনের অবস্থানকালে তাঁদের দলটি বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে, যার মধ্যে ছিল একটি জাদুঘর, হরিণ পার্ক, একাধিক স্কুল, কয়েকটি কারখানা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,একটি আদালত কক্ষ। এই সফরে প্রথমবারের মতো ভুবানী ধরন সরাসরি উত্তর কোরিয়ার কোনও নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন, যখন তিনি একটি স্কুলে যান। সেই স্কুলের এক শিশু তাঁকে বলে, “আমি তোমার মতোই ভ্রমণ করতে চাই।”

    কোনও নাগরিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি

    ভুবানী ধরন আরও জানিয়েছেন যে উত্তর কোরিয়ায় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা পরিবারগুলিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাসতে এবং ছবি তুলতে দেখা গেছে, কিন্তু কেউই পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলতেন না। রাতে শহরের পরিবেশ ছিল ভয়ানক রকমের নিরব। তিনি যে শহরে ছিলেন, সেখানে তাঁর হোটেল কক্ষে একটি ছোট জানালা ছিল, যার মাধ্যমে তিনি কেবল বাইরের একটি নির্দিষ্ট অংশ দেখতে পেতেন। তিনি লক্ষ্য করেন, রাতে শহরের রাস্তায় কেউ থাকত না, যেন পুরো শহর নিস্তব্ধ হয়ে যেত। তবে ভোর পাঁচটা বাজতেই মানুষজন আবার কাজে নেমে পড়ত।

    ভারত সম্পর্কে কী জানেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নাগরিকরা

    ভারতের সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে চাইলে উত্তর কোরিয়ার স্থানীয়রা শুধু একটি শব্দ বলতেন — “বাহুবলী”। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, উত্তর কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক সিনেমা, বিশেষত ভারতীয় সিনেমাও কোনও না কোনওভাবে পৌঁছে যাচ্ছে। ভুবানী ধরন জানিয়েছেন, তাঁর পুরো ভ্রমণের খরচ হয়েছে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার একাধিক স্কুলে তিনি এমন ছবি দেখতে পেয়েছেন, যেখানে আমেরিকার সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা হচ্ছে — যা তাদের সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের আদর্শ অনুযায়ী শিক্ষাদানের অংশ।

    পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই

    উত্তর কোরিয়ায় পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই। সেখানে মোবাইল সিগন্যাল নেই, নেই ইন্টারনেট, এমনকি সাধারণ যোগাযোগ মাধ্যমও অপ্রাপ্য। তবে তিনি বলেন, যখন তাঁদের দলটি উত্তর কোরিয়া, চীন এবং রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পরিভ্রমণ করছিল, তখন মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য মোবাইল সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময়ই তাঁর মোবাইলে একটি সতর্কবার্তা আসে। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আবার পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতি দেখে ভুবানী ধরন কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েন। তবে সঙ্গে থাকা গাইডরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, “আপনারাই হচ্ছেন সেই শেষ দল, যারা উত্তর কোরিয়া সফরের সুযোগ পেলেন।”

  • India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার চিন (India China Relation) সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) তখন একটি দেশ সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উল্লেখ করতে অস্বীকার করে। সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ ছাড়া ভারতের কাছে এই ঘোষণাপত্রটির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।” উল্লেখ্য, এসসিও সর্বসম্মতিতে কাজ করে। কোনও বিষয় নিয়ে যদি একটি দেশেরও আপত্তি থাকে, তাহলে কিছুই এগোয় না।

    ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    সূত্রের খবর, এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় বিরল খনিজ উপাদান সরবরাহ, দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে। ভারত সব সময় প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তাই বেজিংয়ের প্রস্তাব মেনে বৈঠকে সম্মতি দেয় দিল্লি। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

    সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে সফর

    চলতি বছর সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতীয় (India China Relation) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিক সফরের অংশ হিসেবে জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত মাসেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কুউইংদাওয়ে অনুষ্ঠিত এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে চিন সফর করেন। এসব সফরকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য চীন সফরের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। চিনের রাষ্ট্রদূত এপ্রিল মাসে এক বার্তায় জানিয়েছিলেন, মোদিকে “উষ্ণ আমন্ত্রণ” জানানো হয়েছে, যদিও দিল্লি এখনো তা নিশ্চিত করেনি। সূত্রের খবর, এ মাসেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফরে আসবেন। তীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে তাঁর আলোচনারও কথা রয়েছে।

    জয়শঙ্করের সফরের গুরুত্ব

    ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় এবং বহু চিনা (India China Relation) সেনা নিহত হন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান স্থানান্তরের ঘটনাও ঘটে। তবে গত অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে সম্মত হন দুই নেতা। এরপর থেকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং ই দুইবার বিদেশে – প্রথমে নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনেইরোতে জি২০ সম্মেলনে এবং ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনে অংশ নেন। তবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চললেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। ভারত চিনের উপর ভিসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। অন্যদিকে চিন ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতকে প্রভাবিত করে এমন খনিজ রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। জুলাইয়ের শুরুতে মোদির পক্ষ থেকে দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে চিন কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই আবহে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

  • Tribal Students: জনজাতি পড়ুয়াদের জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কেরিয়ার তৈরিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

    Tribal Students: জনজাতি পড়ুয়াদের জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কেরিয়ার তৈরিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের (Tribal Students) জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক অধীনস্থ সংস্থা ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (NESTS), টাটা মোটরস লিমিটেড এবং ইউনিসেফ-এর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশের একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুলে পাঠরত প্রায় ১,৩৮,০০০ জন আদিবাসী ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা, পেশাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাওয়ার সুযোগ পাবে।

    কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং দেওয়া হবে (Tribal Students)

    ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস একটি স্বশাসিত সংস্থা, যা আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংস্থার আওতায় পরিচালিত হয় একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুলসমূহ। জানা গেছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জন্য NEET এবং JEE-এর মতো সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং দেওয়া হবে (Tribal Students)।

    চুক্তিটি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়েছে (Tribal Students)

    এই চুক্তিটি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং এটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা—ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (NESTS), টাটা মোটরস লিমিটেড, এবং এক্স-নবোদয়ান ফাউন্ডেশন একত্রে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল, আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য টেকসই ও পেশাগত উন্নয়নের পথ তৈরি করা।

    এই প্রকল্পের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হবেন

    এই চুক্তির মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি, যেমন মেডিক্যাল (NEET), ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE) ও অন্যান্য পেশাদার কোর্সে ভর্তির জন্য নিখরচায় কোচিং-এর সুযোগও প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের কর্মজীবনে প্রবেশের আগে প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাগত সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস এবং আগামীর জন্য প্রস্তুতির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে থাকা এই সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা (Tribal Students) এর মাধ্যমে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। এই প্রকল্পের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এমন অনেক পড়ুয়া উপকৃত হবেন, যাঁরা ভৌগোলিক বা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে উন্নত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। এই চুক্তি শুধু একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয় বরং একটি বৃহৎ সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা, যা ভবিষ্যতে আদিবাসী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের চিন্তাপল্লি এবং মহারাষ্ট্রের চানকপুরে দুটি কোচিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও এই কোচিং অনলাইনের মাধ্যমেও প্রদান করা হবে, যাতে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরাও এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে (Industry)।

LinkedIn
Share