Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Shubhanshu Shukla: “আমি তোমাদের পথ দেখাব”, আইএসএস থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বার্তা শুভাংশুর

    Shubhanshu Shukla: “আমি তোমাদের পথ দেখাব”, আইএসএস থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বার্তা শুভাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মহাশূন্যের পরিবেশ ও জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ মিশনের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) গিয়েছেন শুভাংশু। সেখান থেকে মঙ্গলবার সরাসরি হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে ইসরোর উত্তর-পূর্ব মহাকাশ প্রয়োগ কেন্দ্র (NESAC)-এর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। শুক্লা বলেন, “আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরিবেশ অনন্য। এখানে মাইক্রোগ্রাভিটি ও অতিরিক্ত রেডিয়েশনের কারণে সবকিছুই আলাদা।”

    ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করলেন শুভাংশু

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ছাত্রদের মহাকাশচারী হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, “আমি নিশ্চিত, ভারতের বহু ছাত্র ভবিষ্যতে মহাকাশচারী হবে। হয়তো তোমাদের মধ্যে কেউ প্রথম ভারতীয় হয়ে চাঁদের মাটিতে পা রাখবে। আমি ফিরে এসে তোমাদের সবাইকে পথ দেখাব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সকল সম্ভাব্য সমস্যার জন্য প্রশিক্ষিত হই। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়। এখানে সূর্যালোকের ওপর আমাদের দৈনন্দিন কাজ নির্ভর করে না।” মহাশূন্য যাত্রার শুরুর কিছু অসুবিধার কথাও অকপটে জানান শুক্লা। তাঁর কথায়, “শুরুতে কিছুটা স্পেস সিকনেস হয়েছিল, তবে তার জন্য ওষুধ রয়েছে”। তিনি আরও জানান, “আইএসএস-এ অনেক রোবোটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহৃত হয়।”

    ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানোই লক্ষ্য

    এই আলাপচারিতার জন্য একটি বিশেষ টেলিব্রিজ স্থাপন করা হয়। এটি আয়োজন করে অ্যামেচার রেডিও অন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ARISS)। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত বিষয়ে আগ্রহ বাড়ানোই লক্ষ্য। এর আগে ৪ জুলাই, শুভাংশু শুক্লা বেঙ্গালুরুর ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে ছাত্রদের সঙ্গে এমনই একটি আলাপচারিতায় অংশ নেন। অনেক হ্যাম রেডিও উৎসাহী নির্ধারিত ফ্রিকোয়েন্সিতে যুক্ত হয়ে এই কথোপকথনে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, হ্যাম রেডিও বা অ্যামেচার রেডিও একটি অলাভজনক রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা, যা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরিচালনা করে থাকেন এবং এটি দুর্যোগকালীন সময়ে প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হলে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত।

    ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধানের সঙ্গেও ফোনে কথা বললেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। সেখান থেকে ইসরো চেয়ারম্যান ড. ভি নারায়ণনের সঙ্গেও কথা বললেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই টেলিফোনিক কথোপকথনের মূল বিষয় ছিল শুক্লার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর এবং মিশনের অধীনে বর্তমানে যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলি চলছে, তা নিয়ে আলোচনা। ইসরো চেয়ারম্যান এই সমস্ত পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ নিখুঁতভাবে নথিভুক্ত করার উপর জোর দেন। তিনি জানান, এই গবেষণাগুলির ফলাফল আগামী দিনে ভারতের মহাকাশ অভিযান, বিশেষ করে গগনযান কর্মসূচির অগ্রগতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই টেলিফোনিক কলে ছিলেন ইসরোর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাও। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর ড. উন্নিকৃষন নায়ার, লিকুইড প্রপালশন সিস্টেমস সেন্টারের ডিরেক্টর এম মোহন এবং ইসরো ইনশিয়াল সিস্টেমস ইউনিটের ডিরেক্টর পদ্মকুমার ই এস। তাঁরা শুভাংশুর সঙ্গে নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও মিশনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

    পৃথিবীতে সূর্যোদয় কেমন দেখায়

    মহাকাশ থেকে ভারতে তাঁর মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছিলেন শুভাংশু। মহাকাশের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সূর্যোদয় কেমন দেখায়, তা মা-কে ভিডিয়ো কল করে দেখান শুভাংশু। গত ২৬ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের দিকে রওনা দিয়েছিলেন শুভাংশু ও তিন মহাকাশচারী। ১৪ দিনের মিশনে তাঁদের হাতে অনেক কাজ। ফসল উৎপাদন থেকে গবেষণা, বিভিন্ন কাজেই বিগত ৯ দিন ধরে ব্যস্ত তারা। যদি তাদের এই গবেষণা সফল হয়, তবে মহাকাশ অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় দিক খুলে যেতে পারে। এর আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন শুভাংশু। তখন তিনি জানিয়েছিলেন মহাকাশে এসে তাঁর প্রথম অনুভূতিই হয়েছিল যে মহাকাশ থেকে কোনও দেশের সীমান্ত দেখা যায় না। পৃথিবী এক। মহাকাশ থেকে ভারত মানচিত্রের থেকেও বেশি বড় দেখায়।

    কেমন দেখায় পৃথিবী

    অন্ধকারের মাঝে ঘন নীল রঙের একটি গোলক। উপরে ভাসছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জানলা থেকে এমনই দৃশ্যের ছবিও পাঠিয়েছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। এটাই নাকি পৃথিবী! সে ছবিতে অবশ্য দেশবিদেশের সীমারেখা, স্থল, সমুদ্র— কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। মহাকাশ থেকে নাকি এমনই দেখতে লাগে পৃথিবীকে। নাসার অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনিই ভারতের প্রথম নভশ্চর, যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ পা রেখেছেন। শুভাংশু ভারতের ভবিষ্যতের ‘গগনযাত্রী’ও।

  • Karnataka: এ গ্রামে মহরম পালন করেন হিন্দুরা, অন্যত্র গণেশ মূর্তি ভেঙে কাঠগড়ায় সৈয়দ

    Karnataka: এ গ্রামে মহরম পালন করেন হিন্দুরা, অন্যত্র গণেশ মূর্তি ভেঙে কাঠগড়ায় সৈয়দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে একঘরও মুসলমান নেই। তবে মহরম উৎসব আছে। এবং সেই উৎসব পালন করেন হিন্দুরাই। আজব মনে হলেও, ফি বছর মহরমের শোভাযাত্রা বের হয় কর্নাটকের (Karnataka) ইয়াদগির জেলার তালাওয়ারগেরে গ্রামে। হিন্দু গ্রামের এই মহরম পালনের ঘটনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক (Ganesha Idol) অনন্য নজির। মহরমের এই উৎসব চলে ছ’দিন ধরে। শোভাযাত্রায় অংশ নেন শত শত হিন্দু। শোভাযাত্রায় হয় ভক্তিমূলক গান। হাসান, হুসেন এবং এক মৌলালির প্রতিকৃতি কাঁধে বহন করেন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা।

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির (Karnataka)

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়তে যখন সেই ১৯২৫ সাল থেকে মহরম পালন করছেন হিন্দুরা, সেই সময় শিবামগ্গা গ্রামে ভগবান গণেশের মূর্তি ভাঙচুর করল এক মুসলমান। জানা গিয়েছে, ১৯২৫ সালে যখন একজন সুফি সন্তের দর্শনের মাধ্যমে প্লেগ ও খরার হাত থেকে রক্ষা পান গ্রামবাসীরা, তার পর থেকে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে প্রতি বছর মহরম পালন করেন গ্রামবাসীরা। ওই সুফি সন্তকে শ্রদ্ধা জানাতে আশুরখানা রং-ও করেন তাঁরা (Karnataka)। বিলানো হয় মিষ্টি। এদিন বহু মানুষ এখানে আসেন ওই সুফি সন্তের আশীর্বাদ নিতে।

    গণেশের মূর্তি ড্রেনে

    ইয়াদগিরে হিন্দুরা যখন মুসলমানদের উৎসব পালন করছেন ঘটা করে, তখন শিবামগ্গার আকাশে ঘনাচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার মেঘ। রাখিগুড্ডার বাঙ্গারাপ্পা লে আউটে দেখা গিয়েছে ৩ জুলাই সৈয়দ নামে এক ব্যক্তি গণেশের মূর্তি পা দিয়ে মাড়িয়ে দেন। তিনি নাগারার একটি মূর্তি ড্রেনে ছুঁড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মূর্তি দুটি একটি পার্কে বসিয়েছিলেন।

    সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মূর্তিগুলির অবমাননা করেছে বলে কবুল করেছে। সে বলেছে, “আমাদের বাড়ির বাইরে মন্দির থাকবে কেন?” পরে সে নাকি ক্ষমাও চেয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশ সৈয়দ ও তার সঙ্গী রেহমতুল্লাহকে আটক করেছে। স্থানীয় বিধায়ক এসএন চন্নবাসাপ্পা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা ঘটনাস্থল (Ganesha Idol) পরিদর্শন করেন এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি জানান। পুলিশ (Karnataka) জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

  • Celebi Ban: সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল দিল্লি হাইকোর্টে

    Celebi Ban: সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:তুর্কি বিমান পরিষেবা সংস্থা সেলেবির (Celebi Ban) সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার আদালত তুর্কি বিমান পরিষেবা সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সুরক্ষা ছাড় বাতিল করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। এদিন বিচারপতি (Delhi High Court) শচীন দত্ত তাঁর নির্দেশে বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। তাই সেলেবি কর্তৃক দায়ের করা আবেদনগুলি খারিজ করে দেওয়া হল।” তিনি বলেন, “গুপ্তচরবৃত্তি বা লজিস্টিক ক্ষমতার দ্বৈত ব্যবহারের সম্ভাবনা নির্মূল করা প্রয়োজন। কারণ বহিরাগত সংঘাতের সময় এই ধরনের সংযোগ দেশের নিরাপত্তাকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে।”

    আদালতের পর্যবেক্ষণ (Celebi Ban)

    পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবার মাধ্যমে এয়ারসাইড অপারেশন, বিমানের অভ্যন্তর, কার্গো, যাত্রী তথ্য ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা জোনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়। এই ধরনের অবাধ প্রবেশাধিকার নিরাপত্তা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে, বিশেষ করে যখন পরিষেবা সংস্থার বিদেশি সংযোগ থাকে। সেলেবি তাদের আবেদনে বলে, কোনও পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং সরকার কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি। তারা আরও দাবি করে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৩,৭৯১ জনের চাকরির ওপর প্রভাব পড়বে। তাদের বক্তব্য ছিল, “কোনও সত্তা কীভাবে একটি হুমকি — তা ব্যাখ্যা না করে শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত কথার ফুলঝুরি আইনের দৃষ্টিতে ধোপে টেকে না।”

    কেন্দ্রের বক্তব্য

    সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কারণ প্রকাশ করলে সেই সিদ্ধান্তের (Celebi Ban) মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হত। তিনি বলেন, নভেম্বর ২০২২-এ যখন সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র রিনিউ করা হয়েছিল, তখন সংস্থা মেনে নিয়েছিল যে, কোনও কারণ না জানিয়েও সেই ছাড় বাতিল করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ১৫ মে ভারতের বিমান চলাচল নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সেলেবির নিরাপত্তা অনুমোদন বাতিল করে। এই সিদ্ধান্তটি (Delhi High Court) এমন একটা সময়ে এল, যখন তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করে এবং ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ বিমান হামলার নিন্দা করে (Celebi Ban)।

  • Manipur Crisis: “মণিপুরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা,” দাবি আরএসএসের

    Manipur Crisis: “মণিপুরে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা,” দাবি আরএসএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরে (Manipur Crisis) আলোচনার মাধ্যমে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্বয়ংসেবকরা।” অন্তত এমনই দাবি করল আরএসএস (RSS)। সংঘের দাবি, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত হিংসায় জর্জরিত রাজ্যে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। আরএসএসের জাতীয় প্রচার ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী ‘প্রান্ত প্রচারক’ সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা মনিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং রাজ্যে ঘটতে থাকা ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    সংঘের দাবি (Manipur Crisis)

    তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এই সভায় অংশ নিতে এসেছিলেন। তাঁরা এটাও জানিয়েছেন যে কীভাবে স্বয়ংসেবকরা দ্রুত ওই অঞ্চলে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “এই উদ্দেশ্যে  আরএসএস স্বয়ংসেবকরা মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন, যাতে তাঁদের মধ্যে একটি সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশ গড়ে ওঠে। তাঁরা এজন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।” আম্বেকর বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার মণিপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক ইতিবাচক দিক সামনে এসেছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে তাদের মাধ্যমে কিছু ইতিবাচক খবর পাওয়া গিয়েছে।”

    বিরোধীদের সমালোচনার জবাব

    বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে আম্বেকর বলেন, “যখন কোথাও পরিস্থিতির অবনতি ঘটে, তখন তা একদিনেই ঠিক হয়ে যায় না (Manipur Crisis)। তবে অবশ্যই আগের বছরের তুলনায় যদি দেখা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও শান্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে।” তিনি বলেন, “শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে যে আলোচনা চলছে, তা অগ্রসর হবে।” পরে অন্য একটি বিবৃতিতে আম্বেকর বলেন, “আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা মণিপুরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মেইতেই এবং কুকি উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছেন। এই কারণেই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি-জো গোষ্ঠীর (RSS) মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষে ২৬০জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ (Manipur Crisis)।

  • Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি। একনাগাড়ে বর্ষার (Monsooon Season) জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। বৃষ্টির ভিজে আবহাওয়ায় বাড়ছে নানান রোগের দাপট। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে শিশুদের মধ্যে নানান রোগের দাপট (Water Borne Diseases) বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। জোর দিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়ানোর ওপর। না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

    বর্ষার জেরে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    নিউমোনিয়া বিপদ বাড়াচ্ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের অনেকেই দ্রুত ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখের কবলে পড়ে‌। যার ফলে ফুসফুসের উপরে বাড়তি প্রভাব পড়ে‌। ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাধা পায়। তার জেরেই ফুসফুসে জল জমার মতো বিপদ তৈরি হতে পারে। তার ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও (Water Borne Diseases) বাড়ে। শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। বর্ষায় শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকেও বড় বিপদ হতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই বারবার সর্দি-কাশি হলে এই আবহাওয়ায় একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। বাড়তি সতর্কতা বড় বিপদের ঝুঁকি কমাতে পারে।

    ডায়ারিয়া নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি!

    একটানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। পানীয় জলের সরবরাহের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কতখানি মানা হচ্ছে, সে নিয়ে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়াগায় পেটের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের পেটের অসুখে ভোগান্তি বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়ারিয়ার আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। তাই এই আবহাওয়ায় পেটের অসুখ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, ডায়ারিয়া প্রাণঘাতী হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই সময়ে টাইফয়েডের ঝুঁকিও বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় শিশুরা টাইফয়েডে আক্রান্ত হচ্ছে। জল থেকেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

    জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা!

    বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ছে। তাই জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ঝুঁকি বেশি। কারণ, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) তুলনামূলক কম থাকে। তাই যেকোনও জীবাণু সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই বর্ষায় শিশুদের লিভারের নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শিশুকে সুস্থ রাখতে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান সাহায্য করবে। সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়তি বিপদের ঝুঁকি কমাবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তির (Immunity Power) দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকলে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট সহজে এড়ানো যাবে। এর ফলে একাধিক অসুখের ঝুঁকি কমবে। সর্দি-কাশি জাতীয় অসুখের দাপট কমলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট কমানো সহজ হবে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, এই সময়ে শিশুকে নিয়মিত এক ধরনের লেবু জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি। কারণ এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকে। ফলে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে‌‌। সকালে তুলসী পাতা ভেজানো জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমে‌।

    পেটের অসুখ মোকাবিলা করতে ডায়ারিয়া, জন্ডিসের মতো জটিল রোগের বিপদ কমাতে জলের উপরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশু পরিশ্রুত জল খাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই আবহাওয়ায় জলঘটিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ে। তাই পরিশ্রুত জল খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় বাইরের সরবৎ বা খোলা জায়গায় থাকা কাটা ফল একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত ঘরের তৈরি হালকা সহজ পাচ্য খাবার খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়বে। রোগের প্রকোপ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চদেশীয় সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। ঘানা, ত্রিনিদাদ-টোবাগো, আর্জেন্টিনা ঘুরে পৌছে গিয়েছেন ব্রাজিলে। যোগ দিয়েছেন ব্রিকস সম্মেলনে। দেখা হল। কথা হল। ব্রিকস বৈঠকে একসঙ্গে কথাবার্তা বললেন রাষ্ট্রনেতারা। কখনও বা নরেন্দ্র মোদি আলাদা ভাবে মুখোমুখি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। গুরুগম্ভীর কথাবার্তা যেমন ছিল, তেমনই ছিল সৌজন্যের প্রীতি বিনিময়, কিছু ব্যক্তিগত আদানপ্রদানও। প্রীতির সঙ্গে উপহারও ছিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে যাননি মোদি। ভারতীয় রীতি মেনে বিভিন্ন দেশের নেতার হাতে তুলে দিয়েছেন বিশেষ উপহার। প্রতিটি উপহারই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক তুলে ধরেছে বিশ্বের দরবারে।

    ত্রিনিদাদা ও টোবাগোয় মোদির উপহার

    নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিনিদাদা ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসরকে মোট দু’টি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। প্রথমটি হল অযোধ্যার সরযূ নদীর জল। এই নদীর উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সেই পবিত্র নদীর জল একটি কলসি ভরে তা ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন মোদি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ত্রিনিদাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে বিহার-যোগ। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর পরিবার একেবারে বিহারের বক্সার এলাকার মানুষ ছিলেন। এক কথায় ‘ভারত কি বেটি’ তিনি। কলস হিন্দু ধর্মে পবিত্রতা, কল্যাণ এবং আধ্যাত্মিক অনুগ্রহের প্রতীক। এই কলসি ছাড়াও শুদ্ধতা, ধর্ম, ও সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর হাতে রামমন্দিরের একটি ছোট প্রতিরূপও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    আর্জেনটিনায় মোদির উপহার

    এই ত্রিনিদাদ সফর সেরে, মোদি যান মারাদোনার দেশ আর্জেন্টিনা। সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi in Foreign Tour)। বৈঠক শেষে সৌজন্য ও বন্ধুত্বের খাতিরে তাঁকে একটি উপহার দেন মোদি। আর্জেটিনার প্রেসিডেন্টকে রাজস্থানে তৈরি হওয়া সিংহের মূর্তি দিয়েছেন তিনি। একখণ্ড ফুকসাইট পাথরের উপর হাতে খোদাই করা রুপোর সিংহ, সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক। মোদির উপহারের তালিকা থেকে বাদ পড়েন না উপ-রাষ্ট্রপতিও। আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়াররুয়েলকে এক টুকরো বিহারের ছোঁয়া দিয়ে আসেন তিনি। তাঁর হাতে তুলে দেন মধুবনী শিল্প দ্বারা তৈরি সূর্যের ছবি। সূর্যকে জীবনের শক্তি ও ইতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এটি ঘিরে থাকা ফুলেল মোটিফ মিথিলার মধুবনী শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।

    ঘানায় মোদির উপহার

    পঞ্চ দেশীয় সফরে সবার প্রথম ঘানায় গিয়েছিলেন মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। সেখানে ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামার জন্য কর্নাটকে তৈরি বিদরি শিল্পের একটি ফুলদানি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দস্তা-তামা দিয়ে এই ফুলদানিগুলি তৈরি হয় কর্নাটকের প্রান্তিক এলাকায়। যার মূল উপাদান বিদরি শিল্প। ভারতের এক টুকরো শিল্পের অংশকেই আপাতত ঘানার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা ঘটান তিনি। শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়। তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি রুপোর কাজ করা হাতব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন মোদি। যা ওড়িশার কটকের তারাকাশি হস্তশিল্পের প্রতীক। গত ৫০০ বছর ধরে রুপো দিয়ে নানা রকম সামগ্রী তৈরি হয় কটকের একটি গ্রামে। মোদির দেওয়া উপহারে রয়ে গেল সেই চিহ্নটাও। এছাড়াও, ঘানার উপরাষ্ট্রপতির জন্য কাশ্মীর থেকে বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি বিখ্যাত পাশমিনা শাল দক্ষিণ আফ্রিকার ওই দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে উপহার হিসাবে দিয়ে এসেছেন মোদি। ঘানার সংসদের অধ্যক্ষকে বাংলায় তৈরি হওয়া শ্বেতপাথরের হাতি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-লুলা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) সোমবার রাতে রিও ডি জেনেইরোতে ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর ব্রাসিলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ১৯৬৮ সালের পর এটি প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসিলিয়া সফর। এই রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন, যেখানে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ, প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার মতো পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে ভারত-ব্রাজিল কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসারের উপর জোর দেওয়া হবে। ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০০৬ সাল থেকে ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে, এবং এই সফর এই সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। মোদির ব্রাজিল সফর ভারতের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, এবং এই সফরে নতুন বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর শেষে মোদি ৯ জুলাই নামিবিয়া যাবেন।

  • India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    India: ১৮তম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে জোরালো সওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশতম ব্রিকস সম্মেলন হবে ভারতে (India)। ব্রাজিলে সপ্তদশতম ব্রিকস সম্মেলনেই (BRICS Summit) এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। রিও ডি জেনেইরোয় রবিবার ব্রিকস সম্মেলনের শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই খবর জানানো হয়েছে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মজবুত শাসনের জন্য গ্লোবাল সাউথ সহযোগিতা জোরদার করা শীর্ষক এই বিবৃততে ২০২৮ সালে ৩৩তম রাষ্ট্রসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন আয়োজনের জন্য ভারতের আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্রিকস নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে ফের সওয়াল করেন। যৌথবিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের বেইজিং এবং ২০২৩ সালের জোহানেসবার্গ-২ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র স্মরণ করে চিন ও রাশিয়া, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে, রাষ্ট্রসংঘ-সহ নিরাপত্তা পরিষদে বৃহত্তর ভূমিকা রাখার জন্য ব্রাজিল ও ভারতের আকাঙ্ক্ষার প্রতি তাঁদের সমর্থন জোরালো করেছে।”

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি (India)

    ভারতের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বকেও জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ব্রিকস স্টার্টআপ ফোরামের সূচনা এবং একটি ব্রিকস স্টার্টআপ নলেজ হাব প্রতিষ্ঠার প্রশংসা করেন। এই উদ্যোগগুলির লক্ষ্য হল সদস্য দেশগুলির মধ্যে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা আরও গভীর করা (India)। বিবৃতিতে ডিজিটাল রূপান্তর বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি অধিবেশনের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাইড ইভেন্ট হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। শুধু তাই নয় ব্রিকসজুড়ে এই ধরনের উদ্যোগ আরও উৎসাহিত করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    পরিবেশ, সিওপি ৩০ ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ে এক অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারতের ব্রিকস সভাপতিত্বে আমরা ব্রিকসকে একটি নতুন রূপ দিতে কাজ করব।” তিনি বলেন, “ব্রিকসের অর্থ হবে বিল্ডিং রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড ইননোভেশন ফর কো-অপারেশন অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি। যেমন করে আমরা জি২০-এর সভাপতিত্বের সময় গ্লোবাল সাউথের বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম, তেমনি ব্রিকসের সভাপতিত্বেও আমরা এই ফোরামকে এগিয়ে নিয়ে যাব।” পরিবেশ (BRICS Summit) সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্রিকস ভারত সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে, বিশেষ করে বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাটস অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্রিকস নেতারা বাঘ-সহ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন (India)।

  • Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাতের বৃষ্টিতেই (Weather Update) জলমগ্ন কলকাতা। বিপর্যস্ত শহরের স্বাভাবিক জীবন। উত্তর-থেকে দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার গোড়ালি পর্যন্ত জল। ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কাঁকুড়গাছি, পাতিপুকুর এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও জল জমেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে।

    জলমগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাফলে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজারের একাংশ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেছে। এই সব এলাকা থেকে জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে যেহেতু অনেক ক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল নামতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন গলিপথগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, মাত্র এক রাতের বৃষ্টিতেই এত জল জমা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরবাসীর মনে। মঙ্গলবারও সারাদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে জল জমার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত

    রাজ্যে এই মুহূর্তে বর্ষার (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাবাতাস অত্যন্ত সক্রিয়। সেই সঙ্গে গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং দু’টি অক্ষরেখা। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতাতে সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। এর ফলে শিয়ালদহ মেইন শাখাতেও কিছু জায়গায় লাইনে জল জমতে শুরু করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে চলাচল করছে বলে খবর। ফলে সকালের বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তাতেও জল জমে থাকার কারণে গাড়ি ধীরে চলাচল করছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথও জল জমে গিয়েছে। ফলে পথচারীদেরও রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

    কতদিন পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি

    দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে উত্তরবঙ্গে। একই অবস্থা বজায় থাকবে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিকিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। কলকাতায় আজ মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শনিবার থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

     

  • Earths Rotation Speed: আগের চেয়ে ঢের বেশি দ্রুত গতিতে ঘুরছে পৃথিবী! কেন এই পরিবর্তন?

    Earths Rotation Speed: আগের চেয়ে ঢের বেশি দ্রুত গতিতে ঘুরছে পৃথিবী! কেন এই পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের চেয়ে ঢের বেশি দ্রুত গতিতে ঘুরছে পৃথিবী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদিও এই গতি (Earths Rotation Speed) বৃদ্ধির পরিবর্তন দৈনন্দিন জীবনে বোঝা যায় না, তবে এটি প্রতিদিনের দৈর্ঘ্য মিলিসেকেন্ডের ভগ্নাংশে ছোট করে দিচ্ছে। তাই বিশ্বের টাইমকিপাররা এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৯ সালের মধ্যে কো-অর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম থেকে এক সেকেন্ড বিয়োগ করা হতে পারে (Days Getting Shorter)।

    পারমাণবিক ঘড়ি (Earths Rotation Speed)

    ছয়ের দশকে পারমাণবিক ঘড়ির মাধ্যমে সময় গণনা শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার, পৃথিবীকে সময় যোগ না করে বিয়োগ করতে হতে পারে। এটি সময় গণনায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এখানে মানুষ তার ঘড়িকে পৃথিবীর প্রকৃতিক ছন্দের সঙ্গে মানানসই করতে গিয়ে এক ব্যতিক্রমী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে, যা দেখায় পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গতিশীলতার কাছে মানুষের সবচেয়ে নিখুঁত প্রযুক্তিও কতটা অরক্ষিত।

    পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি বাড়ছে

    পৃথিবীতে একটি দিন সাধারণভাবে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টার হয়ে থাকে। তবে এটি কখনওই একটি নির্দিষ্ট ধ্রুবক ছিল না। পৃথিবীর ঘূর্ণন বিভিন্ন ভূ-ভৌগোলিক, জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রভাবের কারণে বদলায়। তবে ২০২০ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করছেন যে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ফলে দিনের দৈর্ঘ্য মিলিসেকেন্ডের ভগ্নাংশে কমে যাচ্ছে। এটা মানুষ টের পায় না, কিন্তু পারমাণবিক সময় পরিমাপে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ (Earths Rotation Speed)।

    ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস জানিয়েছে, এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত রয়েছে এবং এ বছর ৯, ১২ এবং ২২ জুলাই এবং ৫ অগাস্টে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি রেকর্ড ভাঙতে পারে। ৫ আগস্ট পৃথিবী তার স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ১.৫১ মিলিসেকেন্ড দ্রুত এক পূর্ণ (Days Getting Shorter) আবর্তন সম্পন্ন করতে পারে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই প্রবণতা বজায় থাকে, তবে ২০২৯ সালেই ইতিহাসে প্রথমবার এক সেকেন্ড সময় বিয়োগ করতে হতে পারে, যাতে পারমাণবিক সময় পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান দ্রুত ঘূর্ণনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারে (Earths Rotation Speed)।

  • RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    RSS: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ, সিদ্ধান্ত প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম শতবর্ষে দেশের প্রত্যেক গ্রাম ও ঘরে পৌঁছবে সংঘ। দেশজুড়ে ৫৮ হাজার ৯৬৪ মণ্ডল এবং ৪৪ হাজার ৫৫ বস্তিতে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্মেলন। তিনদিন ব্যাপী আরএসএসের (RSS) প্রান্ত প্রচারকের বৈঠকে (Prant Pracharak Meeting) এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৪-৬ জুলাই দিল্লির ঝান্ডেওয়ালানে কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বৈঠক শেষে অখিল ভারতীয় প্রচারক প্রধান সুনীল আম্বেকর এই তথ্য জানান। তিনি জানান, বৈঠকে সংঘের শতবর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শতবর্ষে গ্রামীণ অঞ্চলে মণ্ডল স্তরে এবং শহরাঞ্চলে বস্তি স্তরে হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে দেশে ৫৮ হাজার ৯৬৪টি মণ্ডল ও ৪৪ হাজার ৫৫টি বস্তি রয়েছে। এই সম্মেলনগুলিতে সামাজিক উৎসব, সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতি এবং ‘পঞ্চ পরিবর্তনে’র ওপর আলোচনা হবে।

    ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ (RSS)

    সামাজিক সম্প্রীতি প্রচারের লক্ষ্যে ১১ হাজার ৩৬০টি ব্লক/নগরে ‘সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক’ও হবে। সংঘের কাঠামো অনুযায়ী দেশে মোট ৯২৪টি জেলা রয়েছে। এসব জেলায় ‘প্রমুখ নাগরিক সেমিনার’ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে “ভারতের ভাবনা”, “ভারতের গৌরব”, “ভারতের স্বা” ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সুনীল জানান, গৃহ সংস্পর্শ কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। প্রতিটি গ্রাম ও প্রতিটি বস্তিতে সর্বাধিক ঘরে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। শতবর্ষ পালনের মূল লক্ষ্য হল, পেশা, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সর্বসমেত যোগাযোগ ও সম্পূর্ণ সামাজিক সংহতি অর্জন করা।

    শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমীতে

    সংঘের শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে বিজয়া দশমী থেকে। এদিন সকল স্বয়ংসেবক বিজয়া দশমী উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, “দেশ (RSS) অর্থনৈতিকভাবে সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রসর হচ্ছে, বিশেষত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এবং জীবনের নানা দিক থেকে অগ্রগতির জন্য একসমষ্টিগত (Prant Pracharak Meeting) প্রচেষ্টা চলছে। এই অগ্রগতি সরকারিভাবেই নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও ঘটছে। তবে দেশ যতই এগিয়ে যাক, শুধুমাত্র অর্থনীতি বা প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসর হওয়াই যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি আমাদের সমাজ ও জাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিকেও বজায় রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ।”

    সুনীল জানান, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে মোট ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ৮ হাজার ৮১২টি জায়গার কার্যকর্তারা সংঘ শিক্ষা বর্গে অংশগ্রহণ করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে (Prant Pracharak Meeting) সুনীল বলেন, “লোভ, জোরজবরদস্তি, কারও অসুবিধার সুযোগ নেওয়া বা চক্রান্তের মাধ্যমে ধর্মান্তরণ সম্পূর্ণরূপে ভুল।” তিনি জানান, ভারতের সমস্ত ভাষাই জাতীয় ভাষা। সংঘের বিশ্বাস প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় হওয়া উচিত (RSS)।

LinkedIn
Share