Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Calcutta University: টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসেই হল পরীক্ষা, ‘স্বতন্ত্রতা’কে বাস্তব রূপ দিয়ে জিতলেন শান্তা দত্ত দে

    Calcutta University: টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসেই হল পরীক্ষা, ‘স্বতন্ত্রতা’কে বাস্তব রূপ দিয়ে জিতলেন শান্তা দত্ত দে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University)। এর কৃতিত্ব অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-এর। বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলার মেয়ো রোডে বড় সমাবেশ থাকলেও, ওই দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সব কলেজে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হল সেমেস্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ অগাস্ট যাতে কোনওভাবেই পরীক্ষা না হয়, তা আটকাতে কম চেষ্টা চালায়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। হুমকি, কুৎসা, এমনকি ব্যক্তি আক্রমণের পর্যায়েও পৌঁছেছিল পরিস্থিতি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-কে সরাসরি নিশানা করা হয়। তৃণমূলের রাজ্যস্তরের ছাত্রনেতারা তাঁকে ‘রাক্ষসী’ বলেও কটাক্ষ করেন।

    ৯৬ শতাংশ পড়ুয়া হাজির পরীক্ষা দিতে (Calcutta University)

    এছাড়া, রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও বারবার অনুরোধ আসে—২৮ অগাস্ট যেন কোনওভাবেই পরীক্ষা না নেওয়া হয়। কিন্তু সব চাপের মধ্যেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেট বৈঠকে তৃণমূল নেতা ও সিন্ডিকেট সদস্য ওম প্রকাশ মিশ্র তাঁর ওপরে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। শেষ চেষ্টা হিসেবে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ অধ্যক্ষদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সরাসরি দাবি জানানো হয়—যেকোনো মূল্যে এই পরীক্ষা স্থগিত করতে হবে এবং অন্য দিনে আয়োজন করতে হবে। তবে এসবকিছুর তোয়াক্কা না করে শান্তা দত্ত দে তাঁর অবস্থানে অনড় থাকেন। নির্ধারিত দিনেই, অর্থাৎ ২৮ আগস্ট, পরীক্ষা সম্পন্ন হয়—সফলভাবে এবং নির্বিঘ্নে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিনের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশ। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই পরীক্ষা হয়েছে ৷

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে?

    পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, “পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।” তাঁর মতে, এই পদক্ষেপের জন্য বাহবা পাওয়ার কিছু নেই, কারণ এটি কর্তব্য। তিনি বলেন, “স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার জন্য যেটা করা উচিত ছিল, সেটাই করেছি। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সিন্ডিকেট বৈঠকের সদস্যদের, কারণ জরুরি বৈঠকে সরকারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তকে তাঁরা সমর্থন করেছেন।” শুধু পরীক্ষা নেওয়াই নয়, ভালো উপস্থিতিও ছিল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জয়ন্ত সিনহা জানান, “প্রথম ধাপের পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৯৫ শতাংশ। প্রায় ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। দু’টি ধাপে মোট ৬৭টি কেন্দ্র এবং ১১টি আইন কলেজে পরীক্ষা হয়।” এই উপস্থিতির হার নিয়ে উপাচার্য বলছেন, “আমাদের যারা আটকে রেখেছিল, তারা জনা পঁচিশেক। আর পরীক্ষার্থী তো কত! সবাই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছিল।”

    মূলত অযথা ভয় তৈরি করা হয়েছিল (TMCP)

    উপাচার্য আরও বলেন, “রাস্তাঘাটে পরীক্ষার্থীরা কোনও সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরাও জানিয়েছেন, যতটা ভয় পেয়েছিলেন, বাস্তবে ততটা সমস্যা হয়নি। মূলত অযথা ভয় তৈরি করা হয়েছিল, যা একেবারেই ভিত্তিহীন।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার বিষয়ে নিজেদের নিয়ম না মেনে শুধু সরকারের নির্দেশ মেনে চলে, যা ঠিক নয়।”

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ প্রসঙ্গে কী বললেন উপাচার্য?

    তিনি আরও জানান, এই পরীক্ষার সময়কাল নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মধ্যেই এক শিক্ষাকর্তা তাঁকে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং দিন বদলের জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সেই অনুরোধও উপেক্ষা করেন শান্তা দত্ত। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সোজাসাপ্টা বলেন, “এটা তো অসাংবিধানিক। উনি কীভাবে এমন অনুরোধ করতে পারেন? না করলেই তো পারতেন! শান্তা দত্ত আরও বলেন, “আমি তো উপাচার্য হওয়ার আগে ডিন ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) পরিচালনার কাজও বহু দিন করেছি। তখন থেকেই লক্ষ্য করেছি, অটোনমি বা স্বতন্ত্রতা শুধু বইয়ের পাতাতেই লেখা রয়েছে। কিন্তু এই ১৬৮ বছর পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতাটাও কোনও একটা বইয়ের পাতায় থেকে যাবে, তা হতে পারে?”

    সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে কী বললেন?

    এদিন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে ‘জয় বাংলা’ লেখা পাঞ্জাবি পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া টি-শার্ট বিতরণ করতেও দেখা যায়। এই বিষয়ে উপাচার্য মন্তব্য করেন, “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত কাজ। সব কিছুতেই রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। তাঁর পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, অথচ তিনি জামা বিলি করছেন। এখানেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁর রাজনৈতিক নিরাপত্তা কতটা।”

    বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেয়নি ২৮ অগাস্ট, কী বললেন উপাচার্য?

    এদিকে, যেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শান্তা দত্ত দে। তাঁর প্রশ্ন, “যদি পরীক্ষার দিন বদলালে কিছু পরিবর্তন না হয়, তবে আগের দিনেই পরীক্ষা নেওয়াও তো সম্ভব। তা হলে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো না কেন? আসলে অনেকের মধ্যেই সরকারকে তুষ্ট করার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে।” অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত আরও বলেন, “ভিন্ন চিত্র তো থাকবেই। আমি যখন সিন্ডিকেট প্রধান ছিলাম, তখন দেখেছি—‘স্বতন্ত্র সত্তা’ এখন কেবল বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ। উপাচার্যরা বরাবরই সরকারকে খুশি করার চেষ্টা করেন। আর এখনো সেই চর্চা চলছে।”

  • Chapra Sasthi 2025: আজ চাপড়া ষষ্ঠী, ভাদ্র মাসের শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় এই উৎসব, কী এর মাহাত্ম্য?

    Chapra Sasthi 2025: আজ চাপড়া ষষ্ঠী, ভাদ্র মাসের শুক্ল ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় এই উৎসব, কী এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi 2025)। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লষষ্ঠীর তিথিতে পালিত হয় চাপড়া ষষ্ঠী। মূলত সন্তান-সন্ততির মঙ্গলকামনায় মায়েরা পালন করে থাকেন চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi)।

    বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নিয়ম

    বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নিয়ম মেনে পালিত হয় চাপড়া ষষ্ঠী। তবে, এই দিন সব মায়েরা মা ষষ্ঠীর পুজো করে সন্তানের মঙ্গল কামনা করে থাকেন। হিন্দু বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি মাসের শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে বিভিন্ন নামে পূজিত হন মা ষষ্ঠী। জ্যৈষ্ঠ মাসে অরণ্য ষষ্ঠী, শ্রাবণ মাসে লুন্ঠন ষষ্ঠী, ভাদ্র মাসে চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi 2025), আশ্বিন মাসে দুর্গা ষষ্ঠী বা বোধন ষষ্ঠী, অগ্রহায়ণ মাসে মূলা ষষ্ঠী, পৌষ মাসে পাটাই ষষ্ঠী, মাঘ মাসে শীতল ষষ্ঠী, চৈত্র মাসে অশোক ষষ্ঠী পালিত হয়।

    পুরাণে চাপড়া ষষ্ঠীর উল্লেখ

    স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, দেবী ষষ্ঠী হলেন কার্তিকের স্ত্রী। তিনি ব্রহ্মার মানস কন্যা, নাম দেবসেনা। ভাদ্র মাসে চাপড়াষষ্ঠী ও মন্থন ষষ্ঠী। একে অক্ষয় ষষ্ঠীও বলা হয়। মূলত মায়েরা এই লৌকিক উৎসবে যোগদান করেন। তাঁরা আঁচলে কলা বেঁধে ছেলেমেয়েকে কোলে নিয়ে চাপড়া ষষ্ঠীর ব্রতকথা (Chapra Sasthi Vrat) শোনেন। তারপর কাঁঠালী কলা, পিটুলী গোলা দিয়ে পুতুল বানিয়ে পুকুরে ভাসায় গ্রামের মায়েরা, সন্তানের কল্যাণে। অনেক জায়গায় কলা গাছের কান্ডের ত্বক আর নারকেলের পাতার খিল দিয়ে নৌকা তৈরি করা হয়। নৌকায় রাখা হয় পিটুলি দিয়ে তৈরি পুতুল, রিং এর মতো দেখতে পিটুলির চাপড়া, তাতে সিঁদুরের টিপ দেওয়া হয়। পুজোর শেষে নৌকা ভাসিয়ে দেন। এই দিন চালের কিছু খেতে নেই। তার বদলে লুচি, পরোটা খাওয়ার বিধান রয়েছে। আর মটর ডালের চাপড়া বানিয়ে তাওয়ায় সেঁকে মায়েদের খেতে হয়। তালের রস দিয়ে চাপড়া পিঠে বানিয়ে দেবীকে উৎসর্গ করেন। তারপর পুজো শেষে তা বাচ্চাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

    চাপড়া ষষ্ঠীর ব্রতকথা…

    কথিত আছে, কোনও এক দেশে এক বণিক বাস করত। তার তিন ছেলে তিন বউ ছিল। বণিক ও বণিকের বউ তার ছোট ছেলের সন্তানকে বেশি ভালোবাসতেন। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একসময় চাপড়া ষষ্ঠী (Chapra Sasthi 2025) করবে বলে বণিকের বউ একটি পুকুর কাটলে সেই পুকুরের কোন জল দেখা গেল না। তারা মনের দুঃখে মা ষষ্ঠীর কাছে প্রার্থনা করে ঘুমিয়ে যেতেই রাত্রে স্বপ্নাদেশ পান যে ছোট নাতিকে কেটে যদি তার রক্ত ওই পুকুরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তবে জল দেখা দেবে। অনেক কান্নাকাটি পর তারা মা ষষ্ঠীর আদেশ অনুযায়ী ছোট নাতির রক্ত সেই পুকুরে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ছোট বউ তার চাপড়া এবং পিটুলির পুতুল ভাসানোর সময় পুকুর থেকে পুনরায় তার ছেলেকে ফিরে পায় এবং এরপর থেকেই মা ষষ্ঠীর মাহাত্ম্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং এই ব্রত (Chapra Sasthi) শুরু হয়।

    ভাদ্র মাসজুড়ে পর পর উৎসব

    গোটা ভাদ্র মাস জুড়ে থাকে একাধিক উৎসব। ৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে ললিতা সপ্তমী। এই দিন থেকে শুরু হচ্ছে মহালক্ষ্মী ব্রত। রয়েছে, জ্যেষ্ঠ গৌরী আবাহনা। ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার পালিত হবে, রাধা অষ্টমী। পালিত হবে জ্যেষ্ঠ গৌরী পুজো। তেমনই ৫ সেপ্টেম্বর রবিবারে পালিত হবে জ্যোষ্ঠ গৌরী বিসর্জন। ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রয়েছে পার্শ্ব একাদশী। ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বামন জয়ন্তী, ভুবনেশ্বরী জয়ন্তী পালিত হবে। তেমনই সেদিন বৈষ্ণব পর্ব একাদশী ও কল্কি দ্বাদশী তিথি রয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার হল গণেশ চতুর্দশী। এদিন গণেশ পুজো সমাপ্ত ও বিসর্জন হবে।

  • Diet And Nutrition: পুষ্টির ঘাটতিতে দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা! বাড়ছে কোন কোন রোগের প্রকোপ?

    Diet And Nutrition: পুষ্টির ঘাটতিতে দেখা দিচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা! বাড়ছে কোন কোন রোগের প্রকোপ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাত্র তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে কেউ ভুগছেন হাঁটু ও কোমরের যন্ত্রণায়। আবার কেউ লাগাতার ক্লান্তিবোধ অনুভব করেন। অনেকেই সিঁড়িতে কয়েক ধাপ ওঠার পরেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। দৈনন্দিন জীবনে এমন নানান শারীরিক অসুবিধায় অনুভব করছেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ। তবে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যার নেপথ্যে সব সময় জটিল অসুখ থাকছে না। পুষ্টির অভাবেই অধিকাংশ সময়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা তৈরি করছে‌।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুষ্টির অভাব দেখা দিচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবারের অভাবেই পুষ্টির সমস্যা হয় না। বরং ভারতের মতো দেশে খাবার সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুষ্টির অভাব বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সতর্ক নন।‌ তার ফলেই তাঁদের শরীরে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খাবার খান। এর ফলে অন্ত্র এবং লিভারের উপরে এর গভীর প্রভাব পড়ে‌। আবার অধিকাংশ সময়েই তাঁদের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ অধিক থাকে। ব্যালেন্স ডায়েট খুব কম মেনে চলেন। আর এর জেরেই বিপদ বাড়ে। অনেকেই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে খিদে মেটাতে পিৎজা কিংবা বার্গারের মতো খাবার খাচ্ছেন। কেউ আবার প্যাকেটজাত খাবার চটজলদি বানিয়ে নিচ্ছেন। ফলে শরীরের সমস্ত চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। নিয়মিত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের পাশপাশি ভিটামিন, ফাইবার, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট না থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে না। শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে।

    পুষ্টির অভাবে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ পুষ্টির অভাব। বিশেষত মহিলারা তিরিশের পরেই হাড়ের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাঁটু কিংবা কোমরে যন্ত্রণা, দীর্ঘ সময় দাঁড়ানো কিংবা হাঁটাচলা করায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পুষ্টির অভাবেই এই সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শরীর পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাচ্ছে না। কারণ, দুধ, ডিম, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ লেবু, কিউইর মতো ফল অনেকেই নিয়মিত খান না। এর ফলে শরীরে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। তার থেকেই বাড়ে ভোগান্তি।

    ক্লান্তিবোধ অনেকের নিয়মিত কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেক সময় এই ক্লান্তিবোধের নেপথ্যে কাজ করে। প্রক্রিয়াজাত মুখরোচক মাছ-মাংসের পদ খেলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না। বরং নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তাতে আয়রনের চাহিদা মেটে। কিন্তু মাছ, মাংস, সোয়াবিনের মতো পদ হালকা মশলা, কম তেলে টাটকা রান্না করে খেলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটে। আয়রনের অভাব পূরণ হয়। আবার প্রোটিনের পাশপাশি নিয়মিত মোচা, ডুমুর, কাঁচকলার মতো সব্জি খাওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে‌। তাই এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে ক্লান্তি বোধ কমে।

    শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভিটামিনের অন্যতম মূল উৎস হল সব্জি! এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত শাক-সব্জি খায় না। আর এর ফলেই শ্বাসকষ্ট, চুল পড়া, দাঁতের সমস্যা এমনকি দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও দেখা যায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, টমেটো, লাউ, পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ কিংবা উচ্ছের‌ মতো‌ সব্জি নিয়মিত খেলে শরীরে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-র মতো একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো নানান খনিজের চাহিদা ও পূরণ হয়। এই উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। হৃদপিণ্ড থেকে কিডনি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সুস্থতার চাবিকাঠি। আবার মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে। সবমিলিয়ে নিয়মিত সবুজ সব্জি শরীর সুস্থ রাখতে পারে।

    তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে, পুষ্টি সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান খাবার থেকেই সহজে সংগ্রহ করা যায়। তাই প্রতিদিনের খাবার কতখানি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, সে সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকলে সুস্থ জীবন যাপন সহজ হয়ে যাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) শতবর্ষের পথচলা — এই শীর্ষক বক্তৃতা সিরিজে বৃহস্পতিবার সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ভারতে ভাষা সম্প্রীতির কথা বলেন। ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের বিভিন্ন ভাষার গুরুত্ব এবং তিনি জানান যে ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা। তাঁর নিজের ভাষায়, “ভারতের প্রত্যেক কথ্য ভাষাই হল এ দেশের জাতীয় ভাষা।”

    ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয়

    তিনি এদিন আরও বলেন যে ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয় এবং প্রত্যেকটা ভারতীয় ভাষার মধ্যেই প্রতিধ্বনিত হয় দেশপ্রেম, যখন একজন মানুষ অপরজনের সঙ্গে কথা বলেন। এদিনের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত আরও বলেন, ভাষার বিবিধতা এবং বৈচিত্র্যতাই এ দেশের বড় শক্তি। এদিন আরএসএস প্রধান যে কোনও দুটি ভারতীয় ভাষার (RSS) মধ্যে বিভেদ আনার প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হন এবং তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে নষ্ট করবে। ভাষাগত বিভেদ নিজেদের মধ্যে আনা উচিত নয়।

    কথোপথন ভারতীয় ভাষাতেই হওয়া উচিত (RSS)

    এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় ভাষাই হল জাতীয় ভাষা এবং আমরা যখন নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা বা কথোপকথন করব, তখন যেন অবশ্যই যে কোনও ভারতীয় ভাষাতে কথা বলি — কোনও বিদেশি ভাষায় নয়।’’ সব মিলিয়ে ডঃ মোহন ভাগবত এদিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য় রাখলেন। বিশেষত ভারতীয় ভাষা নিয়ে যখন দেশে বিতর্ক চলছে। আঞ্চলিক ভাষা এবং হিন্দি প্রসঙ্গে। মোহন ভাগবতের এই ভাষা-সম্পর্কিত মন্তব্য জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে জোরদার করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না

    এদিনের বক্তব্যে ডঃ মোহন ভাগবত বলেন, ১৯৪৮ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণ ‘জ্বলন্ত মশাল’ হাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কার্যালয় পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জরুরি অবস্থার পরে তিনিই সংঘের একটি শিবিরে উপস্থিত হয়ে বলেন, “পরিবর্তন একমাত্র সংঘের মাধ্যমেই আশা করা যায়।” মোহন ভাগবতের মতে, আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না — গোটা সমাজই আমাদের আপন। তিনি আরও বলেন, “অখণ্ড ভারতের ধারণা কখনও রাজনৈতিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক।” এদিনের বক্তৃতায় উঠে আসে জনবিন্যাস পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। ডঃ ভাগবত বলেন, “যখন জনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে, তখনই দেশভাগের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান ভিন্ন নয়, তারা এক। তাই তাদের মধ্যে আলাদা করে কোনও ‘ঐক্য’ গঠনের প্রয়োজনই নেই।” এদিনের বক্তব্যে মোহন ভাগবত আরও বলেন, ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমেই সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। প্রথমে সমাজকে বদলাতে হয়, তারপরই রাষ্ট্রের ব্যবস্থা বা কাঠামো পরিবর্তিত হয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কোনও হিংসাত্মক সংগঠন নয়। যদি সংঘ সত্যিই হিংসা ছড়াত, তাহলে দেশের ৭৫ হাজার স্থানে তার শাখা গড়ে উঠত না।

  • Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    Bihar Assembly Election: “চরম লজ্জাজনক!” বিহারে ভোটার অধিকার যাত্রায় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র একটি ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিহারে কংগ্রেসের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সময়েই দ্বারভাঙায় একটি সভা থেকে এই স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ

    দ্বারভাঙার সিমরি থানার অন্তর্গত বিথৌলির ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি সভায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এবং আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট প্রত্যাশী মহম্মদ নওশাদ-এর উদ্যোগে এই মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর মায়ের (হীরাবেন মোদী) নামে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিজেপি লেখে, “রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত যাত্রার মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির প্রয়াত মা সম্পর্কে চরম অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের রাজনীতিতে এরকম অধঃপতন আগে কখনও দেখা যায়নি। এই যাত্রা অপমান, ঘৃণা এবং অশ্লীলতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।”

    বিহারের মানুষ ক্ষমা করবে না

    ওই পোস্টেই রাহুল এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে আক্রমণ করে বলা হয়, ‘এটি এমন একটি ভুল যে রাহুল এবং তেজস্বী যদি হাজার বার কান ধরে ওঠবোস করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তবুও বিহারের মানুষ তাঁদের ক্ষমা করবে না।’যদিও এই ভাষায় আক্রমণকে ‘নিন্দনীয়’ বলেই জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেসের ওই মিটিংয়ের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিহারে ১৬ দিনের এক রাজনৈতিক অভিযান, যা ২০টি জেলায় ১,৩০০ কিমি পথ অতিক্রম করছে। এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ভোটার তালিকায় অনিয়ম ও “ভোট চুরি”-র বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। যাত্রাটি ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    Ajit Doval: কয়েকটা মাত্র চুল সংগ্রহ করেই পাকিস্তানের পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করেছিলেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ে ছেঁড়াফাটা একটা শাল। রাস্তার ধারে বসে রয়েছেন মলিন বেশের একটি মানুষ (Ajit Doval)। গায়ে মাথায় ধূসর ধুলোর আস্তরণ। এহেন ভিখিরিকে দেখে পাকিস্তানের কেউ একটা বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি (Pakistans Nuclear Plans)। এমন কত মানুষই তো রাস্তার ধারে বসে থাকে! সমাজের অবাঞ্ছিত এই সব মানুষের ভিড়েই সেদিন মিশে গিয়েছিলেন অজিত ডোভাল। বর্তমানে আশি ছুঁইছুঁই যে মানুষটি সামলাচ্ছেন মোদি সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব। আটের দশকে তিনিই উদ্দেশ্যহীনভাবে (?) ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের অলিতে-গলিতে।

    ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় (Ajit Doval)

    দিন কয়েক রাস্তার ধারে ধূলিধূসরিত যে মানুষটি বসেছিলেন, তিনিই এবার ভিখিরির ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইসলামাবাদের রাস্তায় রাস্তায়। লোক দেখলেই চাইছেন ভিক্ষে। মাথা ভর্তি চুল-দাড়ি আর ছেঁড়া শালের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছেন যে মানুষটি, তাঁর বুদ্ধি ক্ষুরধার। ইসলামাবাদে তাঁর এই ছদ্মবেশ ধারণ করার আসল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের গোপন পারমাণবিক পরিকল্পনার পর্দা ফাঁস করা। পাকিস্তানের সব চেয়ে সুরক্ষিত পারমাণবিক পরিকল্পনার রহস্য উদ্ঘাটন করা। আর তা করতে হলে যেন-তেন প্রকারে ঢুকতে হবে পাকিস্তানের গবেষণা কেন্দ্রে কিংবা সংগ্রহ করতে হবে নমুনা। ১৯৭৪ সালে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পর নয়াদিল্লিকে টেক্কা দিতে কোমর (Ajit Doval) বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে ইসলামাবাদও। এ ব্যাপারে তাদের সাহায্য (Pakistans Nuclear Plans) করেছিল চিন। ভারতের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের এই গোপন প্রচেষ্টার একটি সুনির্দিষ্ট প্রমাণ। আর সেই গুরু দায়িত্ব পড়েছিল অজিত ডোভালের ঘাড়ে, যিনি তখন পরিচিত ছিলেন ‘সুপার কপ’ নামে।

    খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ

    ইসলামাবাদের কাহুটায় রয়েছে কুখ্যাত খান রিসার্চ ল্যাবরেটরি। এটি কোনও সাধারণ শহর নয়। বহুস্তরীয় নিরাপত্তার বলয় ভেদ করে ঢুকতে হত শহরে। কঠোর নিয়ম মেনে চলাফেরা করতেন বিজ্ঞানী, নিরাপত্তা কর্মী এবং সরকারি কর্তারা। শ্যেনদৃষ্টিতে তাঁদের চলাফেরার ওপর তাকিয়ে থাকতেন প্রহরীরা। মাস কয়েক ধরে ভিখিরির ছদ্মবেশে এখানকারই রাস্তায় ঘুরতে লাগলেন ডোভাল। পর্যবেক্ষণ করলেন এখানে আসা লোকজনকে, নিলেন নোটও। হাতড়ে বেড়ালেন ওই গবেষণা কেন্দ্রে ঢোকার রাস্তা। সেখান থেকে বেরনোর উপায়ই বা কি! এই গবেষণা কেন্দ্রে যাতায়াত করার প্রতিটি ব্যক্তির অঙ্গভঙ্গি, নড়াচড়া, কে, কোথায় যান, তাঁদের গতিবিধির ওপরও নজর রাখতে শুরু করলেন ডোভাল।

    তিনি লক্ষ্য করলেন, এই গবেষণা কেন্দ্রে আসা লোকজন স্থানীয় একটি (Ajit Doval) নির্দিষ্ট সেলুনেই যান চুল কাটতে। একদিন ওই সেলুনে গেলেন ডোভালও। সংগ্রহ করলেন মেঝেয় পড়ে থাকা বিজ্ঞানীদের কয়েকটা চুল। গোপনে পাঠিয়ে দিলেন ভারতে, বিশ্লেষণের জন্য। সেই চুল পরীক্ষা করে ভারতীয় গবেষকরা জানতে পারেন, চুলে রয়েছে ইউরেনিয়াম এবং তেজস্ক্রিয়তার চিহ্ন, পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে যার গুরুত্ব অপরিসীম (Pakistans Nuclear Plans)। টানা ছ’বছর ধরে ইসলামাবাদে কাটিয়ে এলেও, এই দুঁদে গোয়েন্দার টিকিটিও ছুঁতে পারেননি কোনও পাক কর্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর এই কাজের ফলে পাকিস্তানের পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছিল প্রায় ১৫ বছর (Ajit Doval)।

  • Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    Jaish Terrorists: নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকেছে পাকিস্তানের ৩ জইশ জঙ্গি, জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকে পড়েছে তিন জইশ জঙ্গি (Jaish Terrorists)। গোয়েন্দাদের তরফে বিহার পুলিশকে এ ব্যাপারে সতর্ক (High Alert) করা হয়েছে। তার পরেই রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বিহার পুলিশ। ভারতে ঢুকে পড়া তিন পাক জঙ্গিকেই শনাক্ত করা গিয়েছে। এরা হল রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা হাসনাইন আলি, উমরকোটের বাসিন্দা আদিল হুসেন এবং বহওয়ালপুরের মহম্মদ উসমান।

    জইশ-ই-মহম্মদের ৩ জঙ্গি (Jaish Terrorists) 

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গিরা অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছয়। সম্প্রতি তারা ঢোকে ভারতে। তিন জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযানও। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু দেখলেই যেন খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তান ও পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার পর থেকে আঁটসাঁট করা হয়েছে বিহারে ভারত-নেপাল সীমান্তের নিরাপত্তা।

    ভায়া নেপাল ভারতে ঢুকেছে পাক জঙ্গিরা!

    বিহারের দিকে ভারতের সঙ্গে নেপাল সীমান্তের প্রায় ৭২৯ কিলোমিটার উন্মুক্ত। তাই এই জায়গাগুলিই অনুপ্রবেশের হটস্পট হয়ে উঠেছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, সহজেই সীমান্ত পারাপার হয় এই অঞ্চল দিয়ে। গোয়েন্দাদের অনুমান, সীমান্তবর্তী জেলাগুলির কোনও একটি হয়েই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করেছে বিহারে। চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, তার আগে বিহারে একটি বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। এই তিন জঙ্গিকেই গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ। চলছে জেরাও। যদিও সরকারিভাবে এখনও জানানো হয়নি তিন জঙ্গির গ্রেফতারির খবর। এই জঙ্গিদের (Jaish Terrorists) জেরা করে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, তাদের সঙ্গে আর কোনও জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছে কিনা। নাশকতার ছকের এই জাল কতদূর বিস্তৃত, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, মাত্র তিন মাস আগেই ২০ দিনের মধ্যে বিহারে ঢুকেছিল ১৮ জন সন্দেহভাজন। তাদের (High Alert) মধ্যে একজনকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ (Jaish Terrorists)।

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি, চলছে তল্লাশি-অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার চেষ্টাকে সফল ভাবে রুখে দিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার ভোরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বান্দিপোরার গুরেজ সেক্টরে নওশেরা নার এলাকায় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয় দুই জঙ্গিকে। জানা যাচ্ছে, এখনও (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে, কারণ সন্দেহ করা হচ্ছে, আরও কেউ সেখানে লুকিয়ে থাকতে পারে।

    ভারতীয় সেনার বিবৃতি (Jammu and Kashmir)

    সেনাবাহিনীর (Indian Army) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোররাতে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল একদল জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরই সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের যৌথ বাহিনী এলাকায় অভিযান চালায়। এই অভিযানকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নওশেরা নার ৪’। গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয় এবং বাকিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সেনার বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পর্কে পুলিশের দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুরেজ় সেক্টরে একটি যৌথ অভিযান শুরু করেছিল ভারতীয় সেনা ও পুলিশের একটি দল। সে সময় দুই সন্দেহভাজনকে লক্ষ্য করে সেনা গুলি চালালে তারাও পাল্টা গুলি ছুড়তে শুরু করে। সংঘর্ষে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে।’’

    উপত্যকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে

    সম্প্রতি পহেলগাঁও কাণ্ড ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় (Indian Army) ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দেখা হচ্ছে, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী লুকিয়ে রয়েছে কি না। গত মাসেই শ্রীনগরে (Jammu and Kashmir) ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। জঙ্গিদের কাছে থাকা টি৮২ আল্ট্রাসেট কমিউনিকেশন ডিভাইস চালু করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি মুসা। সেই ডিভাইসের মাধ্যমে জঙ্গিদের লোকেশন জেনে নিয়েই অপারেশন চালায় ভারতীয় সেনা। লোকসভায় এই বিষয়ে বিবৃতিও দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনও দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলে ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে (SSC)।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অযোগ্যদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার জেরেই এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত। এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “যদি অভিযোগকারীর আইনজীবী প্রমাণ করতে পারেন যে আবারও অযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাহলে আপনাদের কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।”

    প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল (Supreme Court)

    এর পরেই তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে অযোগ্য (এঁরাই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।) প্রার্থীদের তালিকা রয়েছে। আপনারা যদি ওই প্রার্থীদের ছাড় দেন, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য কেন হাইকোর্টে গিয়েছে এসএসসি? যদি না কিছু মন্ত্রী চান যে ওই প্রার্থীরা থাকুন, তাহলে কোনও যুক্তিই এর জন্য যথেষ্ট নয়।” শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল, কারণ কিছু মন্ত্রী চেয়েছিলেন তাঁদের প্রার্থীরা থাকুক। ত্রুটিপূর্ণ বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড, এসএসসি এবং রাজ্য সরকার দায়ী।” বিচারপতি বলেন, “আপনাদের জন্যই যোগ্যরা চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। আপনারাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন, আর আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, এটা কি ঠিক?” বিচারপতি বলেন, “এসএসসির কাজের ওপর কড়া নজর রাখছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নিয়ে কারচুপি করা হলেই হস্তক্ষেপ করবে সুপ্রিম কোর্ট।”

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

    এর আগের শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল। এখন দাগিরাও আবেদন করছেন, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।” এর পরেই এসএসসিকে (SSC) সতর্ক করে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন (Supreme Court)। প্রশ্ন তোলা হয়, “কেন এখনও অযোগ্যদের নাম প্রকাশ করেনি এসএসসি? কেন অযোগ্যদের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন? এর পরেই সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে অযোগ্যদের তালিকা। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এসএসসির তরফে আইনজীবী তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যেই যাতে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সে ব্যাপারে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময় সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ ওরা জানে, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তাঁদের (SSC) নাম প্রকাশ্যে এলে ঘোর বিপদ। তাই কোনও কাজই ওরা সততার সঙ্গে করবে না (Supreme Court)।”

  • New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, শপিং মল বা নামী বিপণি মৌখিকভাবে ক্রেতাদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর চাইতে পারবে না (New Data Law)। কেন্দ্রীয় সরকার এমনই এক নতুন আইনের পথে হাঁটছে, যার লক্ষ্য ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কেন্দ্রের মতে, মুখে মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে সেই তথ্য গোপন থাকে না এবং তা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে। আবার কেন্দ্রের তরফ সাফ জানানো হয়েছে, মোবাইল নম্বর না দিলেও পণ্য পরিষেবা দিতে হবে বিক্রেতাকে।

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট (New Data Law)

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু হলে, জনসমক্ষে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া বেআইনি বলে গণ্য হবে। ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আইনের খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র। অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ( Digital Personal Data Protection Act), প্রস্তাবিত বিধিতে কোনও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে প্রায় সব বড় দোকান, ওষুধের শোরুম বা শপিং মলে রশিদ দেওয়ার নাম করে বা ‘লয়্যালটি পয়েন্ট’ দেওয়ার অজুহাতে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি হয় মুখে জিজ্ঞাসা করে, যেখানে আশপাশের লোকজনও শুনে ফেলেন নম্বরটি। এতে ব্যক্তিগত তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ পায়, যা নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি বলে মনে করছে সরকার।

    বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের তথ্য রেকর্ড করে রাখে (New Data Law)

    নতুন আইন বলছে, আর মুখে মোবাইল নম্বর চেয়ে নেওয়া যাবে না। বিকল্প কোনও পদ্ধতি অনুসরণ করতেই হবে। বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের ( Digital Personal Data Protection Act) তথ্য রেকর্ড করে রাখে। লয়্যালটি পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট বা অফারের সুবিধা দিতে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তাদের প্রচলিত ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। ডিজিটাল ও সাইবার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা এক আইন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ছোট কিছু বদলের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেমন, মুখে না বলে ক্রেতা (New Data Law) যেন কিপ্যাড বা স্ক্রিনে নিজে নম্বর টাইপ করেন। এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গোপনীয়তা বজায় রাখা যাবে। ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, নতুন আইনের অধীনে, কোনও তথ্য কেন নেওয়া হচ্ছে, কতদিন রাখা হবে এবং কবে মুছে ফেলা হবে — এসব বিষয়ে ক্রেতাকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে। শুধু তথ্য চাওয়ার মাধ্যমে সম্মতি ধরে নেওয়া যাবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলাদা করে সম্মতি নিতে হবে।

    ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো যেতে পারে

    আইন অনুযায়ী, কোনও ক্রেতা যদি মোবাইল নম্বর না-ও দেন, তবু তাঁকে পরিষেবা দিতে হবে। তবে, মোবাইল রিচার্জ বা অনুরূপ যেসব পরিষেবায় মোবাইল নম্বর আবশ্যক, সেখানে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, শুধু মোবাইল নম্বর নয় — বিপণিগুলিকে বিকল্প চিন্তা করতেও হতে পারে। যেমন, ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো, অথবা কাগজে ছাপা রশিদ দেওয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন, ব্যবসাতে বাধা দেওয়ার জন্য নয় বরং, ক্রেতার দেওয়া তথ্য যেন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই ব্যবহার হয় এবং সময়মতো তা মুছে ফেলা হয় — সেটাই মূল লক্ষ্য।

    ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর তা আইনে পরিণত হয়। তবে প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও আইনটি এখনও কার্যকর হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেন্দ্র খসড়া বিধি প্রকাশ করে এবং এখন জানানো হয়েছে, এতে কোনও বদল আনার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এবার থেকে আর ক্রেতাকে মুখে বলে ফোন নং দিতে হবে না।

LinkedIn
Share