Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অসমের শিলচরে সাংবাদিক (West Bengal) বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা। সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করেন মিঠুন।

    ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা? (Mithun Chakraborty)

    বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “খুবই দুঃখের ব্যাপার। এখনও বুঝতে পারছি না, কেন বাঙালি পরিবারগুলির ওপর অত্যাচার করা হল। ওয়াকফ বিলের সঙ্গে এদের কী লেনাদেনা?” মিঠুন বলেন, “তাঁরা (হামলার শিকার যাঁরা) এখন রাস্তায়। ত্রাণশিবিরে খিচুড়ি খাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখের। ওঁদের বাড়িঘর হয়তো ছোট কুঠি, কিন্তু সেটাই ওঁদের কাছে মহল। এখন সেখান থেকে তাঁরা ত্রাণশিবিরে গিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছেন। খুব খারাপ অবস্থা। এরকমটাই যদি চলতে থাকে, তাহলে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদন জানাব।” বিজেপির এই নেতা বলেন, “আর এটা যদি নাও হয়, তাহলে অন্তত নির্বাচনটা যেন সেনার নিরাপত্তায় হয়। তাহলে অন্তত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে। আমরা মারামারি চাই না। আমাদের ভোট করতেই দেওয়া হয়নি।”

    আপনার পুলিশ কী করছিল?

    মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, “আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিএসএফকে দোষ দিচ্ছেন। মেনে নিলাম যে বিএসএফ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপর যে জমিটা রয়েছে, সেখানে তো পুলিশ রয়েছে। তাহলে আপনার পুলিশ কী করছিল? পুলিশ তো দেখেছে, তাহলে তখন তারা কী করেছে?”

    তৃণমূলে যোগ দেওয়া যে ভুল হয়েছিল, এদিন তাও স্বীকার করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। বলেন, “ওটা আমার ভুল হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস অন্যরকম দল ছিল। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন। তিনি একজন ফাইটার ছিলেন। মানুষের ভালো করার ইচ্ছা ছিল তাঁর মধ্যে। গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা (West Bengal) ছিল। আর আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুই ক্ষমতালোভী। যে কোনওভাবে ক্ষমতা চাই তাঁর (Mithun Chakraborty)।”

  • Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রথম কোনও ভারতীয়, ইতিহাস গড়তে চলেছেন শুভাংশু

    Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রথম কোনও ভারতীয়, ইতিহাস গড়তে চলেছেন শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪০ বছরের অপেক্ষার অবসান। ভারত আবারও মহাকাশের অন্ধকার গভীরে সোনালী ইতিহাস লেখার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফের মহাকাশযাত্রা করতে চলেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায়, ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) আগামী মে মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হবেন। ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মার পর এবার এই তালিকায় নাম জুড়তে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর।

    দেশের সর্বকনিষ্ঠ নভোচর

    ৪০ বছরের শুভাংশুই দেশের মহাকাশ যাত্রার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ নভশ্চর, যিনি মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কেন্দ্রের তরফে মহাকাশ ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, আগামী মে মাসে স্পেস এক্সের মহাকাশযানে চড়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু পাড়ি দেবেন মহাশূন্যে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সহকর্মীরা। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘ভারত পরবর্তী মহাকাশ অভিযানের জন্য তৈরি। চার দশক পর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রাখতে চলেছেন। তাঁর যাত্রা দেশের মহাকাশ গবেষণায় নতুন অধ্যায় রচনা করবে।’

    কে এই শুভাংশু শুক্লা?

    ১৯৮৫ সালের ১০ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখনউতে জন্ম নেন শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। পড়াশোনা করেছেন পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (এনডিএ)। ২০০৬ সালের জুন মাসে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) ফাইটার উইংয়ে যোগদান করেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতিও পান। ২০০০ ঘণ্টারও বেশি বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শুক্লা নানা ধরনের বিমান উড়িয়েছেন। ২০১৯ সালে, ইসরো শুক্লাকে মহাকাশচারী প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করে। মস্কোর স্টার সিটিতে অবস্থিত ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তাঁকে ২০২৬ সালের জন্য পরিকল্পিত ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান কর্মসূচি, ইসরো’র গগনযান মিশনের জন্য প্রধান মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

    ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি

    সব ঠিক থাকলে মে মাসে আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেক স্পেস এক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে মহাকাশে পাড়ি দেবেন শুভাংশু-সহ ৪ জন। মহাকাশযানের পাইলট হিসেবে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তার প্রস্তুতি ভালোভাবেই সেরেছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, গগনযান প্রকল্পে অংশ নিতে গত ৮ মাস ধরে নাসা এবং বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। এর জন্য ভারতের খরচ হয়েছে ৬০ মিলিয়ন ডলার বা ৫১২ কোটি টাকার বেশি। অ্যাক্সিয়ম স্পেস ফোরের এই সফরে নেতৃত্ব দেবেন নাসার প্রাক্তন জনপ্রিয় মহিলা নভশ্চর পেগি হুইটসন। নাসা থেকে অবসরের পর তিনি এখন বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়মের হয়ে কাজ করেন। পেগি ছাড়া শুভাংশুর দুই সহযাত্রী পোল্যান্ডের স্লাউজস উজনানস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবোর কাপু। আইএসএস-এ যাওয়া চারজনের এই দলটি স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে বসবে। এটি স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই মিশনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়বে।

    ওয়াটার বেয়ার বা জল-ভালুকের কথা

    আগামী মিশনে মহাকাশ গবেষণাকেও অন্য আঙ্গিকে নিয়ে যেতে চলেছে ইসরো। জানা যাচ্ছে, অক্সিয়ম-৪ মিশনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে ওয়াটার বেয়ার। আণুবিক্ষণিক ওই চারপেয়ে জীব পৃথিবীর প্রায় সব স্থানেই রয়েছে। জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর যেকোনও আবহাওয়ার সঙ্গেই ওই ওয়াটার বেয়ার নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে তারা বংশবৃদ্ধিতেও সক্ষম। এবার ১৪ দিনের মিশনে তারা স্পেস স্টেশনে থাকবে। মহাকাশের বিরূপ আবহাওয়ায় তারা কীভাবে লড়াই করছে তা নিয়েই গবেষণা চালাবে ইসরো। ফলে ভবিষ্যতে মহাকাশের বিরূপ তাপমাত্রায় মহাকাশচারীরা কীভাবে বেশিদিন থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে নয়া তথ্য মিলবে।

    গগনযান মিশনের আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন

    শুক্রবার নয়াদিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যাবেন, সেটা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। মহাকাশযানে করে তিনি যে মহাশূন্যে পাড়ি দেবেন, তা বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার মতো বিষয়ের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে উঠবেন শুভাংশু। যা ভারতের গগনযান মিশনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

    একগুচ্ছ প্রকল্প ইসরোর

    গগনযান ছাড়াও শুক্রবার নয়াদিল্লির বৈঠকে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীদিনে ইসরোর বিভিন্ন মিশনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ইসরোর যে বড়-বড় মিশন আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল পিএসএলভি-সি৬১ মিশন। যে রকেটের পিঠে চাপিয়ে ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট পাঠানো হবে।ইসরোর চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, গগনযান মিশনের দিকে টেস্ট ভেহিকেল-ডি২ মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই মিশনের মাধ্যমে গগনযানের প্রস্তুতি ঝালাই করে নেওয়া হবে। ক্রু মডিউলকে কীভাবে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হবে, সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। আবার জুনে জিএসএলভি-এফ১৬ রকেটের পিঠে চাপিয়ে নিসার স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। জুলইয়ে আবার এলভিএম৩-এম৫ মিশন আছে।

  • Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: গলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৫ বছর পর ফের শুরু হচ্ছে কৈলাশ-মানস যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। গত পাঁচ বছর বন্ধ ছিল এই যাত্রা। এবার ফের চালু হতে চলেছে। শীঘ্রই জারি হবে নাম নথিভুক্তকরণের বিজ্ঞপ্তি (New Route)। এটি ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ইঙ্গিত। কোভিড-১৯ অতিমারি এবং দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ ছিল এই তীর্থ যাত্রা। এবারই ফের শুরু হচ্ছে যাত্রা। হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা। এই যাত্রাকে ঐতিহ্যগতভাবে আধ্যাত্মিক মুক্তি ও শুদ্ধির পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা হিমালয়ের দুর্বোধ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীকও।

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)

    ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ফলশ্রুতিতেই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকায় সহিংস সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক প্রবল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক ও ডেপসাংয়ের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জেরে যাত্রা ফের চালুর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে শীঘ্রই ফের যাত্রা শুরু সংক্রান্ত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে বলেন, “আমরা শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করব। যাত্রা অচিরেই শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে (New Route)।”

    নয়া পথের সন্ধান

    কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু করতে ভারত ও চিনের কর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর নয়া পথের সন্ধান মিলেছে। সূত্রের খবর, লিপুলেখ পাসের ঐতিহ্যবাহী পথের পাশাপাশি ডেমচোক দিয়েও যাত্রাপথ বিবেচনা করা হতে পারে। তবে এটি চূড়ান্ত হবে আরও কিছু সমীক্ষার পর। দুই দেশের মধ্যে চলা আলোচনার প্রেক্ষাপটে যাত্রার নিরাপত্তা ও সুগমতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Kailash Mansarovar Yatra)।যদিও নতুন রুটগুলির নির্দিষ্ট বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র পুণ্যার্থীদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে ২০২৫ সালে এই যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে আরও তথ্য শেয়ার করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

    যাত্রা বন্ধ ছিল পাঁচ বছর

    সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। লক্ষাধিক ভক্তের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থযাত্রাগুলির মধ্যে একটি এই কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা। তবে, কোভিড-১৯ অতিমারি ও পরবর্তী কালে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনার কারণে এই যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। উভয় দেশই এই উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে যাত্রা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত ও চিন দুই দেশের সম্পর্কের এই অগ্রগতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীর সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে উভয় দেশের শীর্ষ কর্তারা বেইজিংয়ে বৈঠক করে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন, যার মধ্যে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল (New Route)।

    গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাত

    প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি গত বছর নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনিরোতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ও কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই যাত্রার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই তীর্থযাত্রা ফের শুরু করতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনা আরও শক্তিশালী হয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত বিস্তারিত আলোচনা করেন। জানুয়ারি ২০২৫-এর আলোচনায় যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এই পবিত্র যাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী ভক্তদের জন্য একটি ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে (Kailash Mansarovar Yatra)।

    কোন পথে যাত্রা

    এর আগে মূলত সিকিমের নাথু লা এবং উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করতেন ভারতীয়রা। তারপর কড়া নিরাপত্তার বলয়ে তাঁদের কৈলাস-মানস পর্যন্ত নিয়ে যেত চিন প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের পথে এই যাত্রার তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে যেতে হয় পিথোরাগড় থেকে তাওয়াঘাট। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রা শুরু হয় তাওয়াঘাট থেকে। পৌঁছতে হয় ঘটিয়াবগড় (New Route)। এই ঘটিয়াবগড় থেকে চিন সীমান্ত লাগোয়া লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই রাস্তাটা গাড়িতেই পৌঁছে যাওয়া যায় (Kailash Mansarovar Yatra)।

  • PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: আমন্ত্রণ স্বয়ং যুবরাজের,  ফের একবার সৌদি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সৌদি আরবে (Saudi Arabia) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সৌদির প্রধানমন্ত্রী তথা সে দেশের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সলমনের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে সেখানে যাচ্ছেন তিনি। গত ১০ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার সৌদিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে মোদি প্রথম গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। তারপর গিয়েছিলেন উনিশে। ফের যাচ্ছেন এবার। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন সৌদির যুবরাজ। ওই সময়ই ভারত ও সৌদি আরবের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকের প্রায় দেড় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌদিযাত্রা এই সফরের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    হজযাত্রা সংক্রান্ত জটিলতা কেটেছে (PM Modi)

    দিন কয়েক আগেই মক্কায় ভারতীয়দের হজযাত্রা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা কেটেছে। হজযাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সৌদি প্রশাসন। যদিও গত সপ্তাহেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আরও ১০ হাজার ভারতীয় হজযাত্রায় যেতে পারবেন। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কথা বলেছে। এর পরেই হজ পোর্টাল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। এই আবহেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়ে দিল সৌদির যুবরাজের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল সৌদি সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জেড্ডা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন ক্রাউন প্রিন্স স্বয়ং। এই সফরে মোদি ও সালমান যৌথভাবে দ্বিতীয় কৌশলগত অংশীদারিত্ব পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, সৌদি আরব ভারতের এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। প্রসঙ্গত, ভারত ও সৌদির মধ্যে রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মোদি ও সালমানের ব্যক্তিগত সম্পর্কও এই বন্ধনকে আরও গভীর করেছে (PM Modi)।

    ভারতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মুকুন্দ নারাভানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন। সেবার দ্বিপাক্ষিক নৌ-মহড়া আল মোহেদ আল হিন্দি অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি নৌবাহিনীর প্রধান ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার ভারতে আসেন। গত বছর প্রথমবার ভারত-সৌদি যৌথ (Saudi Arabia) স্থলবাহিনীর মহড়া এক্স-সাদা তানসিক-১ অনুষ্ঠিত হয় রাজস্থানে (PM Modi)।

  • Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    Murshidabad Unrest: ‘‘হিন্দু হওয়াটা কী অপরাধ? আমাদের বাঁচান’’, রাজ্যপালের পা ধরে প্রশ্ন জাফরাবাদের মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু হওয়াটাই কী অপরাধ? অশান্ত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Unrest) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে প্রশ্ন করলেন অসহায় মহিলারা। এদিন জাফরাবাদে নিহত বৃদ্ধ এবং তাঁর ছেলের বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল। বাড়়িতে রাজ্যপাল আসতেই তাঁর পা ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জাফরাবাদের সেই নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী। কাঁদতে কাঁদতে তিনি রাজ্যপালকে বললেন, ‘‘আমার সব হারিয়েছে। আমরা ঘুমোতে পারছি না। আপনি দয়া করে কিছু করুন।’’ সব শুনে রাজ্যপাল বোসও সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। নিহতের পরিবারকে দিয়ে এলেন ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম)-এর নম্বরও।

    শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা রাজ্যপালের

    এদিন জাফরাবাদে হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ স্বজনহারাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দেন বোস। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে। ফোন নম্বর দেওয়া রইল। প্রয়োজনে আপনারা সরাসরি ফোন করবেন।’’ নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী রাজ্যপালকে জানান, তাঁরা খুবই আতঙ্কে রয়েছেন। অশান্তির সময় তাঁদের বাড়িতে লুটপাট চলেছে। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প বসানো হোক। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সকলের অভিযোগ শোনার পর তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা যাতে সরাসরি ফোন করতে পারেন, সেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠাই প্রধান লক্ষ্য। রাজ্য সরকারকে বলব, উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন।’’ নিহতের বাড়িতে রাজ্যপাল যাওয়ার আগে সেখানে গিয়েছিলেন মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    জাফরাবাদের নিহত বৃদ্ধের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যেরাও। সব শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। ধুলিয়ানের বেতবোনাতেও গিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে তাঁদের পা ধরে কান্না ভেঙে পড়েছিলেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশ। স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের আর্জি জানান তাঁরা। পরে কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘‘দেশবাসী ও কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের পাশে আছে। বিএসএফ আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে।’’ রাজ্যপাল ধুলিয়ানেও গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের একাংশ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ রাজ্যপালকে তাঁদের কাছে আসতে দেননি। যার ফলে নিজেদের অভিযোগের কথা রাজ্যপালকে জানাতে পারেননি তাঁরা। শুক্রবারের পর শনিবারও ওয়াকফ আইন নিয়ে ঘটা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। তাঁকে সামনে পেয়েই স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) হিংসায় আক্রান্তরা।

  • Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    Waqf Amendment Act 2025: সংশোধিত ওয়াকফ আইন লাগু হলে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানা বদল হতে পারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর (Waqf Amendment Act 2025) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২৫৬টি ঐতিহাসিক কাঠামোর মালিকানায় বদল ঘটতে পারে। এই সম্পত্তিগুলির অনেকগুলিই ইতিমধ্যেই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআইয়ের) (ASI) সুরক্ষায় রয়েছে। শীঘ্রই এগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এএসআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। আর যদি তা হয়, তাহলে বাতিল হয়ে যাবে ওয়াকফ বোর্ডগুলির দীর্ঘদিনের অবৈধ দাবি।

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে (Waqf Amendment Act 2025)

    মূল বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে “ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়াকফ” বিভাগে অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তিগুলি, যেগুলি ঐতিহাসিকভাবে ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হলেও ওয়াকফ সম্পত্তির প্রমাণপত্র নেই। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে ছ’মাসের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালে বৈধ মালিকানার নথি আপলোড করতে হবে। সর্বোচ্চ আরও ছ’মাসের সময় বাড়তি দেওয়া হতে পারে। নির্দেশিকা মেনে না চললে আপনাআপনিভাবেই দাবি বাতিল হয়ে যাবে এবং ঐতিহ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে তালিকাভুক্ত স্মৃতিসৌধগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এএসআইয়ের হাতে ফিরে যাবে। বিতর্কিত কাঠামোগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির পুরানো কেল্লা, অগ্রসেন কি বাওলি, হুমায়ূনের সমাধি এবং মোতি মসজিদ, রাজস্থানের আমের জামা মসজিদ, মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গজেবের সমাধি, এবং প্রতাপগড় দুর্গও।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    দিল্লির অগ্রসেন কি বাওলি এএসআইয়ের তালিকাভুক্ত একটি সুরক্ষিত স্থান। এর পশ্চিম পাশে একটি ছোট মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদকে ভিত্তি করে ওয়াকফ বোর্ড সুরক্ষিত স্থানেরও মালিকানার দাবি করেছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। কোর্ট আইনটি স্থগিত না করলেও কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের পরামর্শ দিয়েছে (Waqf Amendment Act 2025)। ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) মন্তব্য করেছেন যে, আরও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশোধিত আইনের অধীনে নতুন কোনও নিয়োগ করা যাবে না। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে যে বিদ্যমান ওয়াকফ রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না এবং একতরফা পদক্ষেপ রোধ করতে বর্তমান অবস্থা বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে। আদালত আরও অনুরোধ করেছে যে আবেদনকারীরা যেন শুনানিকে সহজলভ্য করতে তাদের যুক্তির পরিধি পাঁচটি মূল ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ রাখে।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বোর্ড এবং এএসআইয়ের মধ্যের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তাজমহলের মতো স্মারকগুলিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করার প্রচেষ্টা নথিভিত্তিক প্রমাণের অভাবে ব্যর্থ হয়েছে (ASI)। ২০০৫ সালে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড তাজমহলকে ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করেছিল। ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই দাবি খারিজ করে দেয়। প্রশ্ন তোলে, এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও আইনি বৈধতা নিয়েও (Waqf Amendment Act 2025)।

  • UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    UN Security Council: ভেটো ক্ষমতা সহ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে, চাইছে কুয়েত-ফ্রান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) ‘বিশ্ব মঞ্চে প্রধান খেলোয়াড়’ বলে অভিহিত করলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আন্তঃসরকার আলোচনার (আইজিএন) সহ-সভাপতি তারেক আলবানাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের প্রতি সমর্থনও করেছেন তিনি। কাউন্সিলের সম্প্রসারণ হলে ভারতও একটি প্রতিযোগী হবে বলেও জানান তিনি।

    ভারতের পক্ষে সওয়াল কুয়েতের (UN Security Council)

    আলবানাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার নিশ্চিত করতে কী কী প্রয়োজন? তখনই তিনি বলেন, “গত বছর আমি আনন্দিত ছিলাম, কারণ আমি আমার বিশিষ্ট সহ-সভাপতি অ্যাক্সেল মার্চিকের সঙ্গে ভারত সফর করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছি। এই সংস্কার করা পরিষদের লক্ষ্য অবশ্যই প্রতিনিধিত্বমূলক হতে হবে এবং স্পষ্টতই, ভারত আজ বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রধান খেলোয়াড়। কিন্তু এটি ১৯৩টি দেশের সদস্য, তাই না?” তিনি বলেন, “তাই নিশ্চিতভাবেই যদি কাউন্সিলের সম্প্রসারণ ২১ থেকে ২৭ সদস্যের মধ্যে যে কোনও স্থানে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই ভারত এতে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী হবে এবং বৃহত্তর সদস্যপদ সিদ্ধান্তের অধীন হবে।”

    ভারতকে সমর্থন ফ্রান্সেরও

    কুয়েতের পাশাপাশি ভারতকে সমর্থন করেছে ফ্রান্সও। গত ১ এপ্রিল ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস বলেছিল, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতকে স্থায়ী আসন দেওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে (UN Security Council)। এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাসের তরফে একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, ফ্রান্সের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্বের অধীনে এটি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবিক প্রভাবের ক্ষেত্রগুলিতে আলোচনা পরিচালনা করবে। দূতাবাসের তরফে এও বলা হয়েছে, ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা আবারও বলবে, যা ভারতকে স্থায়ী আসন দেবে। এক্সের ওপর একটি পোস্টে ভারতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, “আজ ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাসিক সভাপতিত্ব গ্রহণ করছে। এটি মানবিক প্রভাবের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পরিচালনা করবে। আজকে বিশ্বকে প্রতিফলিত করার জন্য ফ্রান্স রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করে যাতে ভারতকে ভেটো ক্ষমতা সহ স্থায়ী আসন দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের সংখ্যা ৫। এই দেশগুলি হল আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং রাশিয়া। চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে বারবার (India) আটকে যাচ্ছে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হওয়া (UN Security Council)।

  • JEE Result: প্রকাশিত সর্বভারতীয় জেইই (মেনস) রেজাল্ট, ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়ে দেশের সেরা ২৪-এ বাংলার দুই

    JEE Result: প্রকাশিত সর্বভারতীয় জেইই (মেনস) রেজাল্ট, ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়ে দেশের সেরা ২৪-এ বাংলার দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষায় বাজিমাত বাংলার। জেইই মেইন পরীক্ষায় যে ২৪ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত ‘স্কোর’ ১০০-তে ঠেকেছে, তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দু’জন পড়ুয়া রয়েছেন। ওই ২৪ জনের মধ্যে আলাদাভাবে আপাতত কোনও র‍্যাঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি। অ্যাপ্লিকেশন নম্বরের ভিত্তিতে পরপর ওই ২৪ জন প্রার্থীর নাম দেওয়া হয়েছে। সর্বভারতীয় জয়েন্টের (JEE Result) আয়োজক ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অর্চিষ্মান নন্দী এবং দেবদত্তা মাঝির প্রাপ্ত পার্সেন্টাইল হল ১০০।

    মাধ্যমিকের পর জয়েন্টে সেরা দেবদত্তা

    ২০২৩-এর মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল দেবদত্তা মাঝি। এবার সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষায় (JEE Result) বাজিমাত করল পূর্ব বর্ধমানের মেয়ে। দুর্গাদাসী চৌধুরী গার্লস হাই স্কুলের পড়ুয়া দেবদত্তা। মাধ্যমিকে ৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় তিনি পেয়েছিলেন ৬৯৭ নম্বর। যা শতাংশের নিরিখে ৯৯.৫৭। দেবদত্তার মা তাঁর স্কুলেরই শিক্ষিকা, বাবা আসানসোলের একটি কলেজের অধ্যাপক। বাড়িতে সব সময়েই পড়াশোনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি। দেবদত্তা বলেন, ‘‘আমি সারা বছর উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে অতখানি প্রস্তুতি নিইনি। বেশির ভাগ সময়টাই জয়েন্টের পরীক্ষার জন্যই তৈরি করেছি নিজেকে।’’

    দুর্ঘটনাও আটকাতে পারেনি অর্চিষ্মানকে

    দেবদত্তার সঙ্গেই রাজ্যে যুগ্ম ভাবে (WB Toppers in JEE 2025) প্রথম হয়েছে অর্চিষ্মান নন্দী। অথচ তার এই পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রায় নষ্ট হয়ে যেতে বসেছিল আচমকা দুর্ঘটনার কারণে। সর্বভারতীয় স্তরে ২৪ জন এনটিএ স্কোর ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছে, যাঁদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে অর্চিষ্মান। খড়্গপুরের চাঙ্গুয়াল গ্রামে অর্চিষ্মানের বাড়িতে এখন আনন্দের আবহ। অর্চিষ্মানের বাবা মিঠুন নন্দী জানিয়েছেন, ২৯ জানুয়ারি প্রথম সেশনের পরীক্ষার তিন দিন আগেই দুর্ঘটনা ঘটে ছেলের। সপরিবারে কলকাতা যাওয়ার পথে উলুবেড়িয়া চেক পয়েন্টের কাছে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের গাড়ি। পেছন থেকে ডাম্পার এসে ধাক্কা মারলে গুরুতর আহত হয় পিছনের সিটে থাকা অর্চিষ্মান। সেই আতঙ্ক কাটিয়ে চিকিৎসা করিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য তাঁরা উৎসাহ এবং সাহস যোগাতে থাকেন ছেলেকে। পেরেন্টাল কাউন্সেলিং-ও করান তাঁরা। একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মী হিসাবে বর্তমানে ভুবনেশ্বরে কর্মরত মিঠুন। তিনি বলেন, “এত বড় দুর্ঘটনার পরও জেইই মেনসের প্রথম সেশনে ৯৯.৯৮৭৫৭ পার্সেন্টাইল স্কোর করেছিল অর্চিষ্মান। দ্বিতীয় সেশনের ফলাফলে রাজ্যের সেরা দু’জন কৃতী হিসাবে আমার ছেলে জায়গা করে নিয়েছে, এটাই আমার কাছে গর্বের।” অর্চিষ্মানের মা অনিন্দিতা নন্দী বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের কর্মী। তিনি ছেলের এই সাফল্য উচ্ছ্বসিত। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা বাংলা মাধ্যমে হলেও পরবর্তীতে সিআইএসসিই এবং সিবিএসই বোর্ডের অধীনে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন অর্চিষ্মান। একাধিক বার স্কুল এবং পড়াশোনার মাধ্যম বদলে গেলেও মেধার জোরে ছেলে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছে।

    সকালেই ফল ঘোষণা

    জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (JEE)-এর ফলাফল প্রকাশ করল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। শনিবার সকালে অফিশিয়াল পোর্টাল jeemain.nta.nic.in-এ সেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থী ফুল মার্কস অর্থাৎ ১০০ তে ১০০ পেয়েছেন। শীর্ষে থাকা ২৪ জন হল মহম্মদ আনাস, আয়ুষ সিংহল, অর্চিষ্মান নন্দী, দেবদত্তা মাজি, আয়ুষ রবি চৌধুরী, লক্ষ্য শর্মা, কুশাগ্র গুপ্ত, হর্ষ এ গুপ্তা, আদিত প্রকাশ ভাগাড়ে, দক্ষ, হর্ষ ঝা, রাজিত গুপ্তা, শ্রেয়স লোহিয়া, সাকশম জিন্দাল, সৌরভ, ভাংগালা অজয় রেড্ডি, সানিধ্য সরফ, বিষাদ জৈন, অর্ণব সিং, শিবেন বিকাশ তোষনিওয়াল, কুশাগ্র বাইনাঘা, সাই মানোগনা গুথিকোন্ডা, ওম প্রকাশ বাহেরা ও বানীব্রত মাজি।

    কীভাবে দেখবেন ফলাফল

    jeemain.nta.nic.in ওয়েবসাইটে লগ ইন করুন।
    JEE Main 2025 paper 2 লিঙ্ক ক্লিক করতে হবে।
    দিতে হবে অ্যাপ্লিকেশন নম্বর ও জন্মতারিখ।
    স্ক্রিনে দেখা যাবে স্কোরকার্ড।
    সেই স্কোরকার্ড ডাউনলোড করে রেখে দিতে পারবেন।

    পশ্চিমবঙ্গের আশপাশের রাজ্যের টপাররা

    রাজ্যভিত্তিক টপারের নিরিখে অসম থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন প্রাঞ্জলকুমার সিং। তাঁর পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯৮৩৭৯৫২। ঝাড়খণ্ড থেকে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন আরিয়ান মিশ্র। তাঁর পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯৯৯০৯৬৮। ত্রিপুরা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন অর্ঘ্যদীপ দেব। তাঁর পার্সেন্টাইল হল ৯৯.৯৮০৭৫৭৮।

    রাজস্থানের আধিপত্য

    রাজস্থান এবারও তার শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এবং সর্বোচ্চ ৭ জন টপার দিয়েছে। তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩ জন করে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়াদের মধ্যে দিল্লি, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের দুইজন করে এবং কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের একজন করে ছাত্র রয়েছেন। এই বছরের জেইই অ্যাডভান্সডের (JEE Result) প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়াদের জন্য কাটঅফও প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণ বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য কাটঅফ ৯৩.১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইডব্লুএস-এর জন্য কাটঅফ ৮০.৩৮, ওবিসি-র জন্য ৭৯.৪৩, এসসি-র জন্য ৬১.১৫ এবং এসটি-র জন্য ৪৭.৯০ শতাংশ রাখা হয়েছে।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুন, মুখে কুলুপ ইউনূসের, তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Hindu Leader Killed)! ইসলামি মৌলবাদীদের অত্যাচার ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসা নিয়ে ভারতকে ‘জ্ঞান’ও দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব। সঙ্গে সঙ্গেই ভারত তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে যে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নন, তা ফের প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বিশিষ্ট নেতাকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা।

    অপহরণ করে খুন (Bangladesh Crisis)

    মৃতের নাম ভবেশচন্দ্র রায়। বছর আঠান্নর ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পুলিশ ও মৃতের পরিবারকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, ১৭ এপ্রিল বিকেলে ভবেশকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্ত্রী সান্ত্বনা জানান, ১৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি ফোন আসে। দুষ্কৃতীরা নিশ্চিত হয় তিনি বাড়িতে আছেন কিনা। ফোন আসার আধঘণ্টা পরে দুটি বাইকে করে চারজন লোক এসে ভবেশকে তাঁর বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ভবেশকে নিয়ে যাওয়া হয় নরবাড়ি গ্রামে। সেখানে উন্মত্ত মৌলবাদী জনতা তাঁকে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভ্যানে করে নিয়ে এসে বাড়ির উঠোনে ফেলে যায়। পরিবারের লোকজন ভবেশকে নিয়ে যান দিনাজপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

    হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা

    ভবেশ বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পুজো উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতাও। বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবদুস সবুর সংবাদ (Hindu Leader Killed) মাধ্যমে বলেন, “শীঘ্রই এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।” ওই থানারই এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের শনাক্ত করা ও গ্রেফতার করার প্রস্তুতি চলছে।

    চরমে হিন্দু নির্যাতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট পতন ঘটে আওয়ামি লিগের সরকারের। প্রবল আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পর থেকেই ভারতের পড়শি এই দেশটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরমে ওঠে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় মন্দির, বিগ্রহ। লুট করা হয় হিন্দুদের দোকানদানি (Bangladesh Crisis), নৃশংসভাবে করা হয় খুন। গত মাসেই ঢাকার একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশজুড়ে হিন্দুদের বাড়ি, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৬টি বাড়িতে।

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Hindu Leader Killed)। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৭২টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে (Bangladesh Crisis)। হিন্দু নেতাকে অপহরণ ও হত্যার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি নমুনা অনুসরণ করে। এই ধরনের আগের ঘটনাগুলির অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি এবং আবারও সেদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা যেন অজুহাত না দেখিয়ে বা ভেদাভেদ না করে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে।’’

    মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব   

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কার্যত তাণ্ডব চালায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। অন্তত এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাণ্ডবের জেরে মৃত্যু হয় তিনজনের। জখম হন শতাধিক মানুষ। রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে হিন্দুরা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন পড়শি জেলা মালদায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার যে কোনও প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মুসলমানদের ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যে ঘটনার জেরে প্রাণহানি ও সম্পত্তিহানি হচ্ছে। আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি (Bangladesh Crisis)।”

    বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব ভারতের

    ভারত ইতিমধ্যেই শফিকুলের এহেন বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্যকে (Hindu Leader Killed) প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে মুখের মতো জবাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতা সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন ও ভুল প্রচেষ্টা। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীরা বাংলাদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের (Hindu Leader Killed) পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া (Bangladesh Crisis)। ভারতের আশঙ্কা যে ঠিক, তার প্রমাণ মিলল একদিন পরই। ওপার বাংলা থেকে এল হিন্দু-নিধনের খবর।

  • Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    Murshidabad Violence: ‘‘এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না’’, মুর্শিদাবাদ হিংসায় আক্রান্তদের কথা শুনে বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় (Murshidabad Violence) সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানের মতো এলাকায়। দক্ষিণ মালদা লোকসভার অন্তর্গত এবং মুর্শিদাবাদ জেলার ওই এলাকাগুলির পরিস্থিতি বুঝতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা জানতে একই দিনে সেখানে হাজির হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার, ওই দিনে মালদায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সমাজের একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় এখানে আক্রান্ত হয়েছে। এক দল মারবে, আর এক দল আক্রান্ত হবে, এটা কখনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না।’’

    এর মধ্যে বাঁচা যায় না

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Violence) অশান্তিতে ঘরছাড়াদের একাংশকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যেরা। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। শামসেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার অনুরোধ করেন। সুকান্তের দাবি, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই রাজ্যপাল মালদা-মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যপাল বোসকে সামনে পেয়েই নিজেদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা শোনান ধুলিয়ানের মহিলারা। রাজ্যপালের দাবি, মহিলারা তাঁকে জানান যে, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁদের লাঞ্ছিত ও নির্যাতনও করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্যাম্পে বসবাসকারী পরিবারগুলোর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি তাঁদের সমস্যার কথা বিস্তারিতভাবে শুনেছি এবং তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি। মহিলারা জানান যে দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে, মারধরও করে। তাঁরা কী চায়, সেই বিষয়ে আমাকে বলেছেন। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে। এখানে যে অশান্তি হয়েছে, তা কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি এখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি, এখানে ভয়ের পরিস্থিতি রয়েছে। এই ভয়ের মধ্যে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না।’’

    ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে

    মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করে জাতীয় মহিলা কমিশন। এদিন কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর সার্কিট হাউসে আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে আসেন মালদার বৈষ্ণবনগরে। সেখানে একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনবিজয়া রাহাতকর বলেন, “তাঁদের সঙ্গে কী হয়েছে, সেসব মহিলারা জানিয়েছেন। মহিলারা যা বললেন, তা কল্পনার বাইরে। যৌন নিপীড়নও হয়েছে। আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কথা বলতে হবে। মহিলাদের সঙ্গে কীভাবে এসব হতে পারে।” জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “মহিলারা বলছেন, আমরা শুধু সেন্ট্রাল ফোর্স চাই। আমরা সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। মেয়েদের বলেছে, এই বাড়িতে থাকলে ধর্ষণ হয়ে যাবি। চলে যা। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা যা যা করার করব।” অন্যদিকে, আক্রান্ত মহিলারা জানান, তাঁদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেসব জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যদের। আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ

    ওয়াকফ ইস্যুতে অশান্তি (Waqf Bill Protest) শুরু হওয়ার পর মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা থেকে প্রচুর মানুষ মালদায় চলে এসেছেন। প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের কেউ কেউ খোলা মাঠে থাকতে শুরু করেছিলেন। পরে ঘরছাড়াদের জন্য আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) প্রতিনিধিরা এসে সেই আশ্রয়স্থলেই যান ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা, শোনেন অভাব-অভিযোগ। ওয়াকফের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। সেই ভয়ে অনেকেই ঘর থেকে পালিয়ে যান এবং আশ্রয় নেন পাশের জেলা মালদায়। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বস্তুত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে শুরু হওয়া গোলমালের জেরে গত শুক্রবার বিকেল থেকে নৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে ধুলিয়ানের বেতবোনা, বাজারপাড়া ও হাতিচিত্রা এলাকার কমপক্ষে ৪০০ জন আশ্রয় নেন পারলালপুর হাই স্কুলে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিএসএফ।

LinkedIn
Share