Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এনিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাও টানতে হবে।’’ সোমবারই তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে। এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। এসবই মিথ্যা বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা… এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে।’’

    আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল, সবাই দেখেছে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’

    এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।’’

  • Intelligence Bureau: বেতন ৮১ হাজার পর্যন্ত, কেন্দ্রের ৩৯৪ জুনিয়র আইবি অফিসার পদে আবেদন পর্ব শুরু

    Intelligence Bureau: বেতন ৮১ হাজার পর্যন্ত, কেন্দ্রের ৩৯৪ জুনিয়র আইবি অফিসার পদে আবেদন পর্ব শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)-তে জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার (গ্রেড-২/টেকনিক্যাল) পদের জন্য ৩৯৪টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (Junior Intelligence Posts) প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং তা চলবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত। এই পদের বেতনক্রম ২৫,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮১,১০০ টাকা পর্যন্ত (লেভেল ৪ অনুযায়ী)। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য ভাতার সুবিধাও প্রযোজ্য হবে (Intelligence Bureau)।

    সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য শূন্যপদ

    ঘোষিত শূন্যপদগুলির মধ্যে ১৫৭টি পদ সাধারণ (অসংরক্ষিত) শ্রেণির জন্য, ৩২টি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (EWS) জন্য, ১১৭টি ওবিসি, ৬০টি তফসিলি জাতি এবং ২৮টি তফসিলি উপজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত (Intelligence Bureau)।

    বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (Intelligence Bureau)

    আবেদন করতে হলে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। তপশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি, প্রাক্তন সৈনিকসহ অন্যান্য সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ৫ বছরের ছাড় মিলবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা

    শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের স্নাতক হতে হবে বিজ্ঞান বিভাগে, যেখানে বিষয় হিসেবে থাকতে হবে ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা অথবা অঙ্ক। এছাড়া কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি, যারা ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি কিংবা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী, তারাও এই পদে আবেদন করতে পারবেন।তবে যাঁরা বেঞ্চমার্ক ডিজঅ্যাবিলিটির আওতাভুক্ত, তাঁরা এই পদের জন্য যোগ্য নন (Intelligence Bureau) বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

    কীভাবে করবেন আবেদন

    আবেদন করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে (IB JIO Grade/ Tech 2025 Recruitment Link)। রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রার্থীর মোবাইলে একটি ওটিপি (OTP) পাঠানো হবে, সেটি যাচাই করলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ভবিষ্যতের জন্য আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি রেখে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    তিনটি ধাপে হবে পরীক্ষা

    নিয়োগ প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে—টিয়ার-১, টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩। প্রথম ধাপে থাকবে এমসিকিউ (MCQ) ভিত্তিক অনলাইন পরীক্ষা, যা ১০০ নম্বরের এবং ২ ঘণ্টার। এর ৭৫ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে, এবং বাকি ২৫ শতাংশ থাকবে সাধারণ মানসিক দক্ষতা (General Mental Ability) সম্পর্কিত। প্রথম ধাপে সফল প্রার্থীরা অংশ নেবেন ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল টেস্টে (টিয়ার-২)। শেষ ধাপে (টিয়ার-৩) হবে পার্সোনালিটি টেস্ট বা সাক্ষাৎকার।

  • Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুকে এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে নেপাল থেকে ইজরায়েলে গিয়েছিলেন নেপালের হিন্দু তরুণ শিক্ষার্থী বিপিন জোশী (Bipin Joshi)। তিনি গিয়েছিলেন ইজরায়েলে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির তালিম নিতে। গত অক্টোবরে হামাস (Hamas) জঙ্গিরা হামলা চালায় কিবুটজে। হামাসের গুলি বর্ষণের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন ১৭ জন নেপালি হিন্দু ছাত্র। তাঁদের মধ্যে ১০জনকেই সেখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাকিরা প্রাণভিক্ষে করেছিলেন। সেই দলে ছিলেন বিপিনও। জঙ্গিরা তাঁকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল তাদের ডেরার। নভেম্বরে প্রকাশিত এক ভয়ঙ্কর ভিডিওতে দেখা যায়, অপহরণকারীরা গাজার শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বিপিনকে। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই নেপালি এই হিন্দু পড়ুয়ার।

    অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত (Bipin Joshi)

    বিপিনের মতো হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তামাম বিশ্ব। হলুদ ফিতে পরে জানিয়েছে সমবেদনা। অথচ বিপিন হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত। যখন ইহুদি শিল্পীরা মহাদেশজুড়ে বন্দিদের জন্য ক্যাম্পেন চালাচ্ছেন, তখন ভারতের শিল্পী, চলচ্চিত্র তারকা এবং তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীরা। এখানেই উঠেছে মোক্ষম প্রশ্নটি। বিপিন যদি ভারত কিংবা নেপালের একজন মুসলিম যুবক হতেন, তবে কি একই রকম প্রতিক্রিয়া হত? জেএনইউ থেকে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত কি মোমবাতি মিছিল হত না? গলা ফাটাতেন না মানবাধিকার কর্মীরা? এখন তাঁরা কোথায় গেলেন? কিন্তু বিপিন হিন্দু হওয়ায় তাঁকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই তথাকথিত এলিট শ্রেণির।

    বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়

    নয়াদিল্লির প্যালেস্তাইন দূতাবাসের সামনে কোনও প্রতিবাদ নেই, নেই কোনও আন্তর্জাতিক ক্ষোভও (Bipin Joshi)। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলতেন, “যে কোনও জায়গার অবিচার মানেই সর্বত্র অবিচার।” তবে একজন হিন্দু যখন ইসলামি জেহাদি সন্ত্রাসের শিকার হয়, তখন কেন এই সত্য প্রযোজ্য হয় না? বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়, এটা আমাদের সকলের সামনে ধরা একটি আয়না (Hamas)। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সনাতন ধর্ম অসংখ্য আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, তবুও আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা শত্রুর তলোয়ার নয়, বরং হিন্দুর হিরন্ময় নীরবতা। তাই একজোট হতে হবে হিন্দুদের। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে আওয়াজ তুলতে হবে ‘বিপিন জোশীকে (Bipin Joshi) মুক্তি দাও’।

  • PMO: ট্রাম্পের শুল্কধাক্কার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক

    PMO: ট্রাম্পের শুল্কধাক্কার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trumps Tariffs) আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার জেরে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতীয় রফতানিকারীদের। ঘটনার মোকাবিলার ২৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার একটি জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি ডাকা হয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন ভারতীয় রফতানিকারীরা বুধবার থেকে কার্যকর হতে চলা ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এটি আগের ২৫ শতাংশ শুল্ককে দ্বিগুণ করে দিচ্ছে। প্রথমে এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ শতাংশ।

    শুল্কবৃদ্ধির ধাক্কা (PMO)

    ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই উল্লেখযোগ্য শুল্কবৃদ্ধির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যেসব ভারতীয় ব্যবসা করছেন, তাঁদের লাভের পরিমাণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক রফতানিকারী এবং রফতানি উন্নয়ন পরিষদগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বর্তমানে পঁচিশ বছরের শুল্ক কাঠামোর কারণে ইতিমধ্যেই যে ক্ষতি হয়েছে, তা মূল্যায়ন করতেই এই যোগাযোগ করা হচ্ছে। শিল্পপতিরা জানিয়েছেন, আগের ২৫ শতাংশ শুল্কও তাঁদের লাভের মার্জিনকে যথেষ্ট সংকুচিত করেছে এবং তার জেরে মার্কিন বাজারে তাঁদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আগের চেয়ে বেশ দুর্বল হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা সার্বিক অর্থনীতিজুড়ে স্বস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপ কৌশল খুঁজে দেখছেন। এখন তাঁরা মনোযোগ দিচ্ছেন খাতভিত্তিক সহায়তা ব্যবস্থার দিকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলিকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সাহায্য করতে পারে।

    জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প

    রফতানিকারীরা জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প (Emergency Credit Line Guarantee Scheme) চালুর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এটি জামানতবিহীন কার্যকরী মূলধন দেবে এবং সরকারের ঝুঁকি কভারেজের আওতায় আসবে। তবে নীতিনির্ধারকেরা খাতভিত্তিক কেন্দ্রীভূত হস্তক্ষেপের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। আধিকারিকদের ধারণা, এমন লক্ষ্যভিত্তিক পদ্ধতি বিস্তৃত কর্মসূচির তুলনায় বেশি কার্যকর ফল দিতে সক্ষম। জানা গিয়েছে, ইদানিং সরকারের মনোযোগ বিশেষভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং রফতানিমুখী উৎপাদন ইউনিটগুলি রক্ষার দিকে। এগুলিকে বহিরাগত অর্থনৈতিক বিঘ্নের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলি (Trumps Tariffs) বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে খাতভিত্তিক ঋণ সুবিধা, যা জামানত দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে, তা প্রকৃত অর্থে সাহায্য করতে পারবে (PMO)।

    সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রফতানিমুখী ইউনিট ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পগুলিকে রক্ষা করাই এখন সরকারের কৌশলের মূল লক্ষ্য। কারণ বহির্বিশ্বের ধাক্কায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রত হয় এই খাত। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার (Trumps Tariffs) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। কারণ টেক্সটাইল, চর্মজাত পণ্য সামগ্রী, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং কেমিক্যাল খাত – সব ক্ষেত্রেই বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে নয়া শুল্কের ধাক্কা (PMO)।

  • CISF: মধ্যপ্রদেশে চলছে বিশেষ প্রশিক্ষণ, সিআইএসএফ-এ গঠিত হল প্রথম মহিলা কমান্ডো ইউনিট

    CISF: মধ্যপ্রদেশে চলছে বিশেষ প্রশিক্ষণ, সিআইএসএফ-এ গঠিত হল প্রথম মহিলা কমান্ডো ইউনিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং জাতীয় নিরাপত্তায় তাদের ভূমিকা বাড়ানোর লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় লিঙ্গ-সমতা ও আধুনিকীকরণের দিকে বড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (CISF)। প্রথমবার সিআইএসএফ-এ গঠিত হয়েছে একটি অল-উইমেন কমান্ডো ইউনিট, যা ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সিআইএসএফ-এর এই নতুন ব্যাটালিয়ন মহিলাদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, যেখানে তারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবে।

    কঠোর প্রশিক্ষণ মহিলা ইউনিট-কে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) নির্দেশ অনুসারে, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে মহিলাদের অংশগ্রহণ ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ইউনিটের প্রথম ব্যাচে থাকা ৩০ জন মহিলা সদস্য বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের বারওয়াহতে রিক্রুট ট্রেনিং সেন্টারে (RTC) এক কঠোর কমান্ডো প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণ চলবে ২ মাস বা আট সপ্তাহ ধরে। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য, তাদেরকে সামনের সারির ঝুঁকিপূর্ণ নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করা। এই প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে কুইক রিঅ্যাকশন টিম-এর (QRT) দায়িত্ব, লাইভ-ফায়ার ড্রিল, সহনশীলতা বৃদ্ধির দৌড়, র‍্যাপেলিং, স্লিদারিং, জঙ্গলে জীবনধারণের কৌশল। এছাড়াও ৪৮ ঘণ্টার একটি বিশেষ মহড়ায় এই মহিলা সিআইএসএফ কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো হবে।

    মহিলা ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা

    সিআইএসএফ জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ১০০ জন মহিলা কমান্ডোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ২০২৬ সালে আরও ২,৪০০ জন মহিলা কর্মীকে নিয়োগ ও একই মাত্রার কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নারীদের ক্ষমতায়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগকে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সিআইএসএফ বর্তমানে দেশের বিমানবন্দর, পারমাণবিক স্থাপনা, মেট্রো রেল, ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত। এই অল-উইমেন কমান্ডো ইউনিট গঠনের মাধ্যমে সিআইএসএফ দেশে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

  • Indias Energy Policy: “সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব যারা দেবে, তাদের থেকেই তেল কিনবে ভারত,” সাফ কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    Indias Energy Policy: “সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব যারা দেবে, তাদের থেকেই তেল কিনবে ভারত,” সাফ কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক (Indias Energy Policy) বাড়ানো সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। সাফ জানিয়ে দিলেন মস্কোয় নিযুক্ত নয়াদিল্লির রাষ্ট্রদূত (Indian Envoy)। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত থাকার জবাবে ভারতীয় আমদানির ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তকে লক্ষ্য করে এই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অযথার্থ।” তিনি শুল্ক বৃদ্ধিকে ন্যায্য বাণিজ্যের নীতি ক্ষুণ্ণকারী এক শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আর রাশিয়া-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা বৈশ্বিক তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করেছে।” প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন যখন ভারতের আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে মোট শুল্ক হার ৫০ শতাংশে নিয়ে যায়, তার কয়েক সপ্তাহ পরেই এল মস্কোয় নিযুক্ত নয়াদিল্লির রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য।

    ভারতের প্রতিনিধির সাফ কথা (Indias Energy Policy)

    ভারতের প্রতিনিধি সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের জ্বালানি নীতি মূলত তার জনগণের জন্য নির্ভরযোগ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে গঠিত, বাইরের কোনও রাজনৈতিক চাপে নয়। তিনি বলেন, “সরকার দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে থাকবে।” কুমার বলেন, “বাণিজ্য সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই হয়। তাই যদি বাণিজ্যিক লেনদেনের ভিত্তি ঠিক থাকে।  সবচেয়ে ভালো প্রস্তাব যারা দেবে, তাদের থেকেই তেল কিনবে ভারত। বর্তমান পরিস্থিতি এটিই।” ভারত বারবার (Indias Energy Policy) রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে চলেছে। নয়াদিল্লির যুক্তি, সাশ্রয়ী জ্বালানির প্রাপ্যতা তার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীর্ষকর্তারা আরও জানান, অন্যান্য দেশ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলিও এখনও কিছু মাত্রায় মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কুমার বলেন, “আমাদের বাণিজ্য বাজারের উপাদানের ওপর ভিত্তি করে এবং ১৪০ কোটি ভারতীয় মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মূল উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে করা হয়। অন্য দেশগুলিও, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে।”

    জয়শঙ্করের আগের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আগের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে। শনিবার জয়শঙ্কর ওয়াশিংটনের পদক্ষেপকে অন্যায্য ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি ভারতের কৃষক ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের স্বার্থে কখনও আপস করবে না।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে ভারত ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া থেকে (Indian Envoy) অপরিশোধিত তেল কেনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। কুমার বলেন, “ভারত ও রাশিয়া জাতীয় মুদ্রায় নিষ্পত্তির জন্য একটি স্থিতিশীল ব্যবস্থা চালু করেছে (Indias Energy Policy)।”

  • ED Raids: নজরে এসএসসির ‘মিডলম্যান’ সেই প্রসন্ন, ইডির হানা পুরুলিয়াতেও, ১০০ কোটির লেনদেনের অভিযোগ

    ED Raids: নজরে এসএসসির ‘মিডলম্যান’ সেই প্রসন্ন, ইডির হানা পুরুলিয়াতেও, ১০০ কোটির লেনদেনের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) শ্বশুরবাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। সোমবার সকালে পুরুলিয়ার নিমটাঁড় এলাকায় ইডির (ED Raids) একটি দল তল্লাশি অভিযান চালাতে যায়। অভিযোগ, কয়েক বছর আগে প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়ির তিন বোন একসঙ্গে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন সম্পর্কে প্রসন্নের শ্যালিকা হন। স্থানীয়দের মতে, ওই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই প্রসন্নের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে ইডি। প্রসন্ন রায় বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। একসময় রংমিস্ত্রি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তাঁর বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ দেখে রীতিমতো চমকে গেছেন তদন্তকারীরা।

    ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রি (ED Raids)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসন্ন রায়ের হাত ধরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে (ED Raids)। পুরুলিয়া শহরের নিমটাঁড় এলাকায় অবস্থিত প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) শ্বশুরবাড়িতে থাকেন তাঁর শ্যালক শুভম মঙ্গল। সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ সেখানে পৌঁছে যায় ইডির ছয় সদস্যের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সকাল থেকে সেখানেই টানা তল্লাশি চলে।

    শান্তিপ্রসাদ সিংহ ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ

    প্রসন্ন রায়ের নাম এসেছিল এসএসসি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার ঘনিষ্ঠ ‘মিডলম্যান’ হিসেবে। অভিযোগ, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই মামলায় সিবিআই তাঁকে প্রথম গ্রেফতার করে। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। তবে পরে ইডি আবার তাঁকে গ্রেফতার করে। ইডির দায়ের করা চার্জশিটে প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে (ED Raids)। জিজ্ঞাসাবাদে ইডিকে তিনি জানান, চাষাবাদের মাধ্যমে তিনি ২৬ কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন।

    ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর নামে একাধিক কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে। প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে, যেগুলিতে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ইডি প্রসন্ন রায়ের প্রায় ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে হোটেল, রিসর্ট এবং একাধিক সংস্থা। এই মামলার তদন্তে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে এ বার প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়িতেও অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

  • Jiban Krishna Saha: ফোন ফেলাই হল কাল! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    Jiban Krishna Saha: ফোন ফেলাই হল কাল! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতার করল ইডি। মুর্শিদাবাদের কান্দির আন্দিতে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সোমবারও ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি, আবার নিজের মোবাইল ফোন বাড়ির পিছন দিকের ঝোপে ফেলে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। কে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানেই চলবে জিজ্ঞাসাবাদ।

    মোট পাঁচ জায়গায় অভিযান ইডির

    সোমবার ভোরে মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। এসএসসি গ্রুপ সি এবং এসএসসি গ্রুপ ডি মামলাতে তল্লাশি অভিযানে নেমে জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়ি-সহ মোট পাঁচ জায়গায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়ি ছাড়াও ইডির দল যায় রঘুনাথগঞ্জে, তৃণমূল বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতে। এ ছাড়া আন্দি মহীষ গ্রামের এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ইডি গিয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। সেখানে ন’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও সোমবার সকাল থেকে তল্লাশি চলেছে। সম্পর্কে মায়া জীবনকৃষ্ণের পিসি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি ‘বিক্রি’র টাকা জীবনকৃষ্ণের অ্যাকাউন্টে এসেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আত্মীয়-বন্ধুদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, সেই প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের ফোনই কাল জীবনকৃষ্ণের

    দু’বছর আগে সিবিআই। এবার ইডি। ফের ফোনই কাল হল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) জীবনে। এদিন ইডি জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছতেই বাড়ির পিছনের দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন নিয়োগ মামলায় জড়িত তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু তখনই ছুটে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাকড়াও করে তাকে। এমনকি, অতীতের পাঠ ‘ভুলে’ এদিন নিজের দু’টি ফোনকে ফের পুকুরের দিকে ছুড়ে দেন। লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পুকুরের জলে পড়ার পরিবর্তে পাড়ে ঝোপে আটকে যায় ফোনগুলি। উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, এর পরেও দু’টি মোবাইলের পাসওয়ার্ড বলতে চাননি বিধায়ক। পরে লক খুলে সেই মোবাইল দু’টি থেকে একাধিক নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের গাড়িতে চাপায় ইডি। নবম-দশম, একাদশ দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধায়ককে গ্রেফতার করে ইডি।

  • Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথায় ফলে সোনার ফসল, সোনার কমল ফোটে রে—সেই আমাদের বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলা রে। না, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখায় কবিতার লাইনগুলো ইউনূস জমানার (Yunus Government) বাংলাদেশে আর কাটে না। গণতন্ত্র সেখানে মুখ লুকিয়েছে, বাক্‌স্বাধীনতা নিহত, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অবাধ অত্যাচার তো সেখানে চলছেই। অহরহ খবর আসে গণপিটুনিতে হিন্দু হত্যার কথা। নির্যাতনের ইস্যুতে হিন্দুরা সেখানে সরবও হয়েছেন।। প্রতিবাদও জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মেঘনা নদীতে ভেসে ওঠে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের (Bibhuranjan Sarkar) দেহ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সাংবাদিক। রাজনৈতিক দিকে বামপন্থায় বিশ্বাস রাখতেন বিভুরঞ্জন।

    ১৯৫৪ সালে জন্ম বিভুরঞ্জনের (Bibhuranjan Sarkar)

    ১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া বিভুরঞ্জন সরকার লেখাপড়া করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সেসময় তিনি ছিলেন বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক আজাদ, দৈনিক মাতৃভূমি, সাপ্তাহিক চলতিপত্রের সম্পাদক, সাপ্তাহিকএকতা এবং সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সাপ্তাহিক যায় যায় দিনে ‘তারেক ইব্রাহিম’ ছদ্মনামে লেখা তার রাজনৈতিক নিবন্ধ পাঠকপ্রিয় হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।” এই ঘটনার তদন্ত চলছে—কীভাবে বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু হল, তা খুঁজে দেখছে সে দেশের পুলিশ। কিন্তু বিভুরঞ্জনের মৃত্যু হতেই একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন, যা তিনি তুলেছিলেন তার শেষ লেখায়। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ আগস্ট।

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় সিপিবি নেতা মাজহারুল ইসলাম বাবলার ‘ইতিহাসের ঘটনাবহুল অগাস্ট’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যার দায়িত্বে ছিলেন বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar)। অভিযোগ উঠেছে, ওই নিবন্ধে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত থাকায় ক্ষুব্ধ হন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। অভিযোগ, শফিকুল আলম এরপর আজকের পত্রিকার সম্পাদককে সরাসরি ফোন করে পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল ও গোয়েন্দা সংস্থা লেলিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর হুমকি দেন। একইসঙ্গে তিনি আটজন সাংবাদিকের একটি তালিকা দিয়ে তাদের ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

    অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় বাংলাদেশ সরকার

    এই চাপের মুখেই পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় এবং অনলাইন সংস্করণ থেকে নিবন্ধটি সরিয়ে ফেলে। ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তাঁকে যেভাবে অপমান করে ছুটিতে পাঠানো হল এবং হুমকি দেওয়া হল, সেটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না।। হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar) তাঁর শেষ লেখায় লিখেছেন, গত বছরে সেদেশে সরকার পরিবর্তনের পরে অর্থাৎ ইউনূস জমানায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থা আরও কাহিল হয়েছে। বিভুরঞ্জন বাবুর অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন “মন খুলে সমালোচনা করুন”, কিন্তু তাঁর প্রেস বিভাগ তো মন খোলা নয়। মিডিয়াতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবসময় আতঙ্কে রয়েছেন—কখন কোন খবর লেখার জন্য ফোন এসে তুলে নিতে হবে লেখা বা খবর। শেষ লেখায় বিভুরঞ্জন বাবুর আরও অভিযোগ, সম্প্রতি আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগ—তাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে ইউনূস সরকারের তরফ থেকে। কারণ, সেখানে মাজহারুল ইসলাম বাবলা নামের এক জনৈক ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে দিল্লি পাঠিয়েছে। আর পুলিশের গুলিতে নয়, ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’-এর মাধ্যমে জঙ্গিরাও মানুষ হত্যা করেছে। ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ মানে হচ্ছে ‘সুনিপুন পূর্ব পরিকল্পনা’। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিভুরঞ্জন। তিনি বলছেন—এই লেখার মধ্যে অসত্য তথ্য কোথায়? শেখ হাসিনা তো গোপনে পালিয়ে যাননি। হাসিনার পুলিশ না হয় ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালিয়েছে, কিন্তু পুলিশকে হত্যা করল কে বা কারা? বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন, এইটুকু লেখার জন্য পত্রিকার বিরুদ্ধে তৎপরতা দেখা হয়েছে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন, যে শেষ লেখাটি তিনি লিখলেন, সেখানেও তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা অসুবিধা—অসুখ, তার ছেলের অসুখ, তার পরিবারের অভাব—এই সব যেমন থাকলো, তেমনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও তিনি তার ক্ষোভের কথা জানিয়ে গেলেন।

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, বাক্‌স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, সেখানে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রশ্ন করা যায় না। যদি কেউ প্রশ্ন তোলে, তাহলে হুমকি আসে মৌলবাদী প্রশাসনের তরফে। এই সবকিছু মিলিয়েই বিভুরঞ্জন সরকার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন? এর দায় কি ইউনূস সরকার এড়িয়ে যেতে পারে? ইউনূস সরকারের চাপে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাঁর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করেছেন বলে অভিযোগ ছিল বিভুরঞ্জন বাবুর। শুধু তাই নয়, বিভুরঞ্জন তাঁর লেখায় বলেছেন যে, ইউনূস সরকারের কোপে পড়েছে তাঁর ছেলে ও মেয়েও। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ে জীবনে কখনও কোনো পরীক্ষায় ফেল করেননি। বিভুরঞ্জন (Bibhuranjan Sarkar) বাবুর মেয়ে একজন ডাক্তার। কিন্তু গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে এমডি করার সময়, সরকার পরিবর্তনের পর বিভাগের প্রধানের কোপে পড়েন তিনি। ফলে থিসিস পরীক্ষায় তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিভুরঞ্জন বাবু তাঁর শেষ চিঠি ও শেষ প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লেখেন, “আমার মেয়ে তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না, তাহলে তাকে কেন ফেল করানো হলো? তিনি আরও আশঙ্কা করেছেন, তাঁর মেয়েকে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোস্টিং-ও দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, বিভুরঞ্জন বাবুর ছেলে বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। দেশে অনেক চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন বাবু। বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন—“এর কারণ কি শুধু এই যে, সে আমার ছেলে?” অর্থাৎ, পরিষ্কার বোঝা যায়, কীভাবে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে দিনের পর দিন ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা হয়েছে। বিভুরঞ্জন কীভাবের মারা গেলেন তা সময়ই বলবে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু প্রাতিষ্ঠানিক খুন। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা অবরুদ্ধ, এই দাবি বিভুরঞ্জনবাবু বারবার করেছেন তাঁর শেষ লেখায়। আর একজন বামপন্থী সাংবাদিকের এই পরিণতি দেখেও কি ঢাকায় ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন?

  • Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    Amit Shah: ‘জেলে বসে সরকার চালাতে চায় বিরোধীরা’, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে জোরালো সওয়াল শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা চান জেল থেকে সরকার চালানোর বিকল্প ব্যবস্থা। কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রী জেলে বসে সরকার চালালে তা গণতন্ত্রের গরিমাকে আহত করে। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইস্তফার পর থেকে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না দাবি করে বিরোধীরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানালেন, ‘অযথা লেবু কচলানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’

    জেল থেকে সরকার চলুক

    ৩০ দিন জেলে থাকলেই ৩১ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য মন্ত্রীকে পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া বিল নিয়ে উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের আবহে বিল নিয়ে অনড় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, “আসলে আজও এরা চেষ্টা করছেন, কখনও জেলে গেলেও জেলে বসেই সহজে সরকার চালিয়ে নেবেন। জেলকেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বা প্রধানমন্ত্রীর দফতর বানিয়ে নেবেন। তারপর জেল থেকে ডিজিপি, মুখ্যসচিব, ক্যাবিনেট সচিব বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেবেন।” শাহের (Amit Shah) কথায়, “যদি জামিন পেয়ে যান তিনি শপথ নিয়ে পুনরায় পদ সামলাতেই পারেন। কিন্তু জেল থেকে সরকার চালানো কি উচিত?”

    অন্তর্ভুক্ত প্রধানমন্ত্রীর পদও

    অমিত শাহ জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে চেয়েছিলেন এই বিলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকেও অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি স্মরণ করালেন, ইন্দিরা গান্ধী ৩৯তম সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের পদকে বিচারিক পর্যালোচনার বাইরে রেখেছিলেন। কিন্তু মোদি সরকার তার উল্টো পথে হেঁটেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল (130th Constitutional Amendment Bill) দেশের গণতন্ত্রের গরিমা রক্ষার জন্য আবশ্যিক।

    জগদীপ ধনখড় প্রসঙ্গ

    হঠাৎ সকলকে অবাক করে গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সেই নিয়ে তুমুল চর্চা, বিতর্কও হয়। কেন্দ্রের সঙ্গে ধনখড়ের বিবাদের জল্পনাও উঠে আসে। সরকারের তরফে সে সময়ে কোনও বিবৃতি মেলেনি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন। বললেন, “এই বিষয়টি দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।” সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জগদীপ ধনখড়ের কাজের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ধনখড়জি যখন সাংবিধানিক পদে ছিলেন, তাঁর সময়কালে তিনি সংবিধান অনুযায়ী ভালো কাজ করেছেন। ধনখড় সাহেবের ইস্তফাপত্রে স্পষ্ট যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও সরকারের বাকি সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই বিষয়টি আর দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়।”

    রাহুলের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন শাহের

    সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী (130th Constitutional Amendment Bill) ও তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাতেই শাহের নিশানায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ২০১৩ সালে মনমোহন সিংয়ের আমলের ঘটনা প্রসঙ্গে শাহ বলেন,“লালুপ্রসাদ যাদবকে বাঁচাতে মনমোহন সিং সরকারের আনা অধ্যাদেশ কেন রাহুল গান্ধী ছিঁড়ে ফেলেছিলেন? সেই দিন যদি তাঁর নীতিবোধ থেকে তিনি তা করে থাকেন, তাহলে এখন কী হলো? পরপর তিনটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কি আপনার নীতিবোধ বদলেছে? নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধের কোনও সম্পর্ক নেই, বরং নৈতিক মূল্যবোধ চাঁদ-সূর্যের মতো দৃঢ় হওয়া উচিত।’এখানেই শেষ নয়, সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে শাহ বলেন, ‘নিজের দলের সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদ করেছিলেন যে রাহুল, তিনি এখন বিহার নির্বাচনে জেতার জন্য দোষী লালুপ্রসাদকে জড়িয়ে ধরছেন। তা হলে সেই দিন প্রতিবাদ করেছিলেন কেন। মনমোহন সিং (Manmohan Singh) ইতিহাসের কাছে দোষী হয়ে গেলেন চিরজীবনের মতো।”

    জনগনকে জবাব দিতে হবে

    বিরোধীরা সংসদে বিল পেশ হতে না দেওয়ার চেষ্টা করছে, এ প্রসঙ্গে শাহ (Amit Shah) বললেন,“সংসদ কি শুধু শোরগোল করার জায়গা, না কি বিতর্কের জন্য? আমরাও অতীতে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু কোনও বিলকেই উপস্থাপন করতে না দেওয়া আসলে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। এর জবাব বিরোধীদের জনগণকে দিতেই হবে।” বিরোধীরা যখন ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলকে (130th Constitutional Amendment Bill) ‘কালা আইন’ বলছে, তখন শাহ জবাব দিলেন, “দেশ কোনও একজন মানুষ ছাড়া চলবে না, এই ধারণা আমরা একেবারেই মানি না। একজন সরে গেলে দলের অন্য সদস্য সরকার চালাবেন। আর যখন জামিন পাবেন, তখন ফের পদে ফিরতে পারবেন। তাতে আপত্তি কোথায়?” এই বিল সংসদে পাশ হবে এবং কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরেরও অনেকে নৈতিকতার দোহাই দিয়ে বিলকে সমর্থন করবেন বলে আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

LinkedIn
Share