Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Shubho Nabo Barsho: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Shubho Nabo Barsho: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাতে মেতেছে গোটা বাংলা। বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আজ হালখাতার জন্য লক্ষ্মী ও সিদ্ধিদাতা গণেশ পুজোও চলছে। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রভাত ফেরীর অনুষ্ঠান। এই আবহে বঙ্গবাসীকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘পয়লা বৈশাখের (Shubho Nabo Barsho) শুভেচ্ছা। আশা করি এ বছর আপনাদের সব আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। আমি সকলের সাফল্য, সুখ সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। শুভ নববর্ষ।’’

    পয়লা বৈশাখ কীভাবে পালিত হয়?

    এই দিনে বাঙালি সমাজের মানুষ সব কাজ থেকে অবসর নিয়ে নতুন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে। এর পাশাপাশি মন্দিরে অনেক সাজসজ্জার পাশাপাশি নিয়ম-কানুন মেনে পুজো করেন তারা। এই দিনে গরুর পুজো করারও বিধান আছে। গরুকে তিলক, ভোগ এবং পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিন ব্যবসার হিসাব দেখেন ব্যবসায়ীরা (Shubho Nabo Barsho)। বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হওয়া এই উৎসবে খড় পোড়ানোরও ঐতিহ্য দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। মনে করা হয়, খড় জ্বালিয়ে গত বছর যে কষ্ট পেয়েছিলেন তা থেকে মুক্তি মেলে।

    ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায় (Shubho Nabo Barsho)

    বাঙালিরা আজ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন। একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে। চলে নানা অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি এদিন ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায়। এই দিনে অনেক বাঙালি বাড়িতে পান্তা ভাত তৈরি করে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ এবং ভাজা ইলিশ মাছ সহযোগে খাওয়া-দাওয়া চলে। এছাড়াও এই দিনে অনেক ধরনের মিষ্টিও তৈরি করা হয়। বাংলা জুড়ে বর্ষবরণের (Shubho Nabo Barsho) উৎসব উপলক্ষ্যে দিকে দিকে সাজো সাজো রব। নতুন বছরে প্রিয়জন, গুরুজনদের নতুন বছরের প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারেও।

  • Bhangar: মুর্শিদাবাদের পরে ভাঙড়, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে চলল তাণ্ডব

    Bhangar: মুর্শিদাবাদের পরে ভাঙড়, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে চলল তাণ্ডব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পরে ভাঙড় (Bhangar)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলন হয়ে উঠল হিংসাত্মক। গতকাল সোমবার সকাল সকাল ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ছড়ায় অশান্তি। স্থানীয় সোনপুর এলাকায় গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের পাঁচটি বাইকে। একইসঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও (Waqf Violence) শুরু হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঘটনায় প্রায় ৮ থেকে ১০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।

    বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে

    মালদা মুর্শিদাবাদের পরে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয় ভাঙড়ে (Bhangar)। আইএসএফ-র উদ্যোগে রামলীলা ময়দান অভিযানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। মিনাখাঁ, বাসন্তী, ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে আইএসএফ নেতা-কর্মীরা কলকাতা যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। এমনই সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে। দুর্ভোগে পড়েন প্রচুর মানুষ। ভাঙড় থেকে কলকাতাগামী রাস্তা এরফলে বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কিত হয়ে ওঠেন বাস অন্যান্য গাড়িতে থাকা যাত্রীরা। অন্যদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার।

    সোনপুর বাজারে ছড়ায় ব্যাপক অশান্তি (Bhangar)

    সোনপুর বাজার পুরোপুরি অবরোধ করা হয়। হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করেন সেখানে। ফলে রাস্তাঘাট একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেই সময়ই তাঁদের রাস্তাঘাট সচল রাখার আবেদনও জানানো হয় পুলিশের তরফে। অভিযোগ ওঠে, এই সময়েই পুলিশের ওপর চড়াও হন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট বৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়ির কাচও ভাঙে। এর পর একটি পিক আপ ভ্যান রাস্তার উপর ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি পুলিশের বাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উল্টে দেওয়া হয় পুলিশের প্রিজন ভ্যানও (Bhangar)।

  • Harvard: ট্রাম্প সরকারের নির্দেশ অমান্য, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান বন্ধ করল মার্কিন প্রশাসন

    Harvard: ট্রাম্প সরকারের নির্দেশ অমান্য, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান বন্ধ করল মার্কিন প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ‘ফ্রিজ’ করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার (Trump Govt)। সোমবার রাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফেডেরাল ফান্ডিং পাওয়ার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একাধিক শর্ত দিয়েছিল ট্রাম্পের প্রশাসন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিতে এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনার জন্যও বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই শর্ত মানতে রাজি নয় হাভার্ড। সোমবার নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে আমেরিকার অন্যতম অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরই তাদের অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।

    ২২০ কোটি ডলারের সহায়তা বন্ধ

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হার্ভার্ডকে ২২০ কোটি ডলারের সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ওই ২২০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয় (Harvard University) ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে ১০টি দাবির কথা জানিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। এই দাবির মধ্যে রয়েছে আমেরিকান মূল্যবোধ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ যে কোনও আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার গ্রহণযোগ্যতা সীমিত করা। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নেন্স, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ভর্তি নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দাবি জানানো হয়।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    পশ্চিম এশিয়ায় হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইহুদি-বিদ্বেষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ মার্কিন প্রশাসনের। একই সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরা সঠিক পদক্ষেপ করছেন না বলেও অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য কী কী করণীয়, সে বিষয়ে কিছু শর্তাবলিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। বলা হয়েছিল, সেগুলি না-মানলে ‘শাস্তিস্বরূপ’ বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা হবে। এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে (স্থানীয় সময় অনুসারে) প্রথম মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে আমেরিকার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।

    হাভার্ডের বিরোধিতা

    ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া শর্তাবলির কড়া ভাষায় বিরোধিতা করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Harvard University) প্রেসিডেন্ট অ্যালেন এম গার্বার। তাঁর বক্তব্য, ওই শর্তগুলি মানলে শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হবে। ওই শর্তগুলি সাংবিধানিক অধিকারের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন অ্যালেন। তিনি লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিজের স্বাধীনতাকে সঁপে দেবে না বা নিজের সাংবিধানিক অধিকারকেও ত্যাগ করবে না।” ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, হার্ভার্ড বা অন্য কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের দখলে নিতে পারবে না ফেডারেল সরকার । সেই অনুযায়ী, হার্ভার্ড নীতিগতভাবে সরকারের শর্তাবলীকে চুক্তি হিসেবে গ্রহণ করবে না।

    আমেরিকার শিক্ষা বিভাগের অভিযোগ

    ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ডকে সর্বশেষ যে শর্তাবলি পাঠিয়েছিল, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে তথ্যসংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শে বিশ্বাসীদের প্রভাব যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে কমে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ করতে বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেখানকার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে একটি উদ্বেগজনক অধিকারের মানসিকতাকে ডেকে আনা হয়েছে। তারা বলেছে, “হার্ভার্ডের বিবৃতি আমাদের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক আত্মঅহংকারপূর্ণ মনোভাবের পরিচয় দেয়—যেখানে মনে করা হয়, ফেডারেল অর্থায়ন মানে দায়িত্বহীন স্বাধীনতা। ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন, ইহুদি ছাত্রদের হয়রানি — এগুলো সহ্য করা হবে না।” গত বছর গাজার যুদ্ধের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। কিছু জায়গায় পুলিশ ও ইসরায়েল সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষও ঘটে। ট্রাম্পসহ অনেক রিপাবলিকান এই আন্দোলনকারীদের হামাসের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করেন। (হামাস হচ্ছে একটি মার্কিন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত গ্রুপ, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালায়।) মার্চে শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করে যে, ৬০টিরও বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইহুদি-বিরোধী হয়রানির অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ‘উগ্র ইহুদি বিদ্বেষ’

    গারবার বলেন, “আমরা নতুন তথ্য ও ভিন্ন মতামতের জন্য উন্মুক্ত, তবে এমন কোনো দাবিকে মেনে নেব না যা এই প্রশাসনের বা কোনো প্রশাসনের আইনগত ক্ষমতার বাইরে যায়। কোনো সরকার—যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন—বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিতে পারে না তারা কী পড়াবে, কাকে ভর্তি বা নিয়োগ দেবে, কিংবা কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে।” এরপরই শীর্ষ রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক, যিনি গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে কড়া প্রশ্ন তোলায় ট্রাম্পের প্রশংসা পান, হার্ভার্ডের অর্থায়ন পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষার নৈতিক ও একাডেমিক পচনের প্রতীক। হার্ভার্ডে ‘উগ্র ইহুদি বিদ্বেষ’ সহ্য করা হচ্ছে।” এই পরিস্থিতিতে হার্ভার্ডের অবস্থান ছিল একেবারেই ভিন্ন, যেখানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমঝোতার পথে হাঁটে। ট্রাম্প প্রশাসন নিউ ইয়র্কের বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির $৪০০ মিলিয়ন অনুদান কেটে দেয়, অভিযোগ তোলে যে তারা ইহুদি ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পরবর্তীতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা নীতি সংস্কার করে এবং ৩৬ জন নিরাপত্তা অফিসার নিয়োগ করে।

     

     

     

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে শিবভক্তদের মারধর ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র শহর

    Siliguri: শিলিগুড়িতে শিবভক্তদের মারধর ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইন বিরোধী প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে তাণ্ডব বর্তমানে খবরের শিরোনামে। এই আবহে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়াল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চড়ক পুজো করার সময়ই শিব ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। বর্তমানে তাঁরা শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শিবভক্তদের একজনের নাম মানিক সরকার। মানিক সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা নদীর ধারে বসে যখন পুজো করছিলেন, তখনই মৌলবাদীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়।

    শিলিগুড়িতে চলে ইটবৃষ্টি, বেপরোয়া ভাঙচুর, লুঠপাট

    এরপর রবিবার এনিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। এতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। চলে ইটবৃষ্টি, বেপরোয়া ভাঙচুর, লুঠপাট। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই পুলিশকর্মীও। ঘটনার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়। আপাতত গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল বাহিনী। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাতে আর কোনও উত্তেজনা না ছড়ায়, সেই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। তবে এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

    উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কয়েকশো মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে (Siliguri)

    জানা যাচ্ছে, বিগত কয়েকদিনেই পৃথক পৃথক ঘটনায় দুই চড়ক পুণ্যার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কয়েকশো মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ব্যাপক হাতাহাতি, একে অপরের দিকে ছোড়া হতে থাকে ইট-পাথর। এর মাঝেই একাধিক দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চালানো হয় বেপরোয়া ভাঙচুর। বেশ কিছু জায়গায় লুঠপাটের অভিযোগও উঠেছে।

    থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি (BJP)

    এই আবহে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দোষীদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। গতকাল অর্থাৎ সোমবার দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিলিগুড়ি থানার সামনে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায় পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। এমনকী অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি বিধায়ক।

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ! বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবের আমেজ

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ! বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti) উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারইপুরের সদাব্রত ঘাটের কাছেই রয়েছে হনুমানজির এই মন্দির। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। টানা দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাকায় উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

    বিশেষ পুজো (Hanuman Jayanti)

    শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ পুজোর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই মন্দিরের হনুমানজি ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন। তাঁদের কাছে এই মন্দিরের বিগ্রহ অত্যন্ত জাগ্রত। তাই এদিন সকাল থেকেই মন্দিরে কার্যত ভক্তদের ঢল নেমেছিল (West Bengal)। মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ছোটদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় ছেলেমেয়েরা সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় (Hanuman Jayanti)।

    হনুমানজির মহা-অভিষেক

    হনুমান জয়ন্তীর ঠিক আগের দিন মন্দিরে হনুমানজির মহা-অভিষেক হয়। এদিন বিগ্রহকে ডাবের জল, ঘি, মধু ও অন্যান্য ফলের রস দিয়ে মহাস্নান করানো হয়। বিকেলে মন্দির চত্বরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের সাহায্য করা হয়। ভক্তিমূলক নানা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। ১২ এপ্রিল ছিল হনুমান জয়ন্তী। এদিন সকাল থেকে মন্দিরে হয়েছে বিশেষ পুজোপাঠ। হয়েছে নাম সংকীর্তনও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের সাধু- সন্ন্যাসীরা। সব মিলিয়ে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বারইপুরের পুরাতন বাজারের এই এলাকা রীতিমতো উৎসবের আকার নিয়েছিল (Hanuman Jayanti)।

    উদ্যোক্তারা জানান, হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁদের এই বিশেষ কার্যক্রমের পাশাপাশি বছরভর নানা সামাজিক কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা। বছরের বিভিন্ন সময় গরিব ও দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ান তাঁরা। শীতকালে দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিলি করা হয়। এবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এলাকার গরিব মানুষদের পাশে থাকতে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এলাকার বহু দুঃস্থ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মশারি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, অপার ভক্তি এবং অসীম শ্রদ্ধায় হনুমানজির কাছে যা চাওয়া যায়, দেবতা তা পূরণ করেন। সেই কারণেই এবারও ব্যাপক ভিড় হয়েছিল (West Bengal) অনুষ্ঠানের দিনগুলোয় (Hanuman Jayanti)।

  • Rongali Bihu: অসমে শুরু ঐতিহ্যবাহী রঙ্গোলি বিহুর, জানেন এই উৎসব সম্পর্কে?

    Rongali Bihu: অসমে শুরু ঐতিহ্যবাহী রঙ্গোলি বিহুর, জানেন এই উৎসব সম্পর্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪ এপ্রিল। ফের একবার বিহু উৎসবে মেতেছেন অসমিয়ারা (Assam)। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমে বছরে একাধিকবার বিহু (Rongali Bihu) উৎসব পালিত হয়। প্রতিটি বিহুর আলাদা নাম, উদ্দেশ্যও পৃথক। ১৪ এপ্রিল যে বিহু শুরু হয় তার নাম রঙ্গোলি বিহু বা বোহাগ বিহু। বাঙালির নববর্ষ পালিত হয় ১৫ এপ্রিল। তার ঠিক একদিন আগেই সূচনা হয় রঙ্গোলি বিহু উৎসবের। এই উৎসবের মাধ্যমে কৃষকরা ভালো ফসল কামনা করেন। ভালো ফসলের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদও জানান। ঐতিহ্যগতভাবে এই সময় কৃষকরা তাঁদের নতুন ফসল অগ্নিদেবের উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। উল্লেখ্য যে, রঙ্গোলি বিহু কেবল একটি ঋতুগত উৎসব নয় – এটি অসমের কৃষিভিত্তিক ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিক রীতিনীতি এবং শিল্পসমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের প্রাণবন্ত একটি অভিব্যক্তি।

    বিহুর ব্যাপ্তি (Rongali Bihu)

    বর্তমানে বিহুর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। অসমের পাশাপাশি দিল্লি, গুরগাঁও, বেঙ্গালুরুর মতো দেশীয় শহরগুলো যেমন রয়েছে, তেমনি আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মতো বিদেশেও প্রবাসী অসমিয়ারা বিহু উপলক্ষে আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, বিহু নৃত্য পরিবেশন এবং ঐতিহ্যবাহী ভোজের। উৎসবের রঙে সেখানেও মাতোয়ারা হয়েছে অসমের সংস্কৃতি। রঙ্গোলি বিহু ১৪ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয় ২০ এপ্রিল। এই ক’দিন অসমবাসী নাচ-গান-খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত থাকে। সাতদিন ব্যাপী এই উৎসবে কেবল পরিবারের সদস্যরাই নন, গৃহপালিত পশুরও পুজো করা হয়।

    গরু বিহু

    রঙ্গোলি বিহু উৎসবের সূচনা হয় গরু বিহু দিয়ে। এপ্রিল মাসের বিহুর এটিই প্রথম দিন। এদিন গবাদি পশুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কারণ এই গরুই গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই গবাদি পশুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এই বিহুর প্রথম দিন। ডিব্রুগড়ের মতো জেলাগুলিত, নগাঁও, জোরহাট এবং লখিমপুরে কৃষকরা তাঁদের গরুকে স্নান করিয়ে প্রাচীন রীতিনীতি পালন করেন। এদিন কালো ছোলা বাটা এবং হলুদ মেশানো জলে স্নান করানো হয় গরুকে। ধুবড়ি থেকে সাদিয়া অসমজুড়ে, বিশেষ (Rongali Bihu) করে গ্রামীণ এলাকায়, গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী নদী এবং পুকুরগুলিতে। সেখানেই হাতে তৈরি ওষধি মিশ্রিত জলে পবিত্র স্নান করানো হয় গবাদি পশুগুলিকে। বছরভর (Assam) গরুরা যাতে সুস্থ থাকে, সেই কামনাও করা হয়।

    ভিড়ে ভিড়াক্কার বাজার

    রঙ্গোলি বিহু উপলক্ষে জমে উঠেছে অসমের বিভিন্ন বাজার। গুয়াহাটিতে বাজারে বিক্রি হচ্ছে দই, চিড়া (চ্যাপ্টা করে ভাজা) এর মতো উৎসবের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পিঠে, গুড় এবং আইকনিক গামছাও বিক্রি হচ্ছে দেদার। অসমে আতিথেয়তা ও পরিচয়ের প্রতীক এই হস্তনির্মিত গামছা। খানাপাড়ার স্থানীয় বিক্রেতা জ্যোতি কলিতা বলেন, “বিহু এমন একটি উৎসব যা মানুষকে একত্রিত করে। বাজার থেকে মণ্ডপ পর্যন্ত, সর্বত্র ভিড়ে ভিড়াক্কার। সবাই খুব খুশি।” এ বছর ১৪ এপ্রিল পালিত হচ্ছে রঙ্গোলি বিহু। এবার মেষ সংক্রান্তির সঙ্গে মিলে গিয়েছে। এই বিহু নতুন কৃষি চক্রের সূচনা করে। অসমিয়াদের বিশ্বাস, এই দিনে ভগবান বিষ্ণু একজন সাধারণ কৃষকের বেশে পৃথিবীতে এসে জমি ও মানুষের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।

    রঙ্গোলি বিহুর তিনটি পর্যায়

    রঙ্গোলি বিহু তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথমে হয় রঙ্গোলি বিহু। এতে ঘর সাজানো, কৃষি উপকরণ কেনা এবং চালের গুঁড়ো দিয়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আলপনা অঙ্কন করা হয়। প্রথম দিন পালিত হয় গরু বিহু। এদিন গবাদি পশুর পরিচর্যা ও শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে থাকে মানুহ বিহু। উৎসবের এই পর্যায়টি মানুষকে উৎসর্গীকৃত। পরিবারের সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ছোটরা বড়দের আশীর্বাদ নেন। ভালোমন্দ ভোজের আয়োজন করা হয় এই পর্বে। এই পর্বেই পালিত হয় হুসোরিএই সময় যুবকরা দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিহু গান গেয়ে (Rongali Bihu) বৃদ্ধদের কাছ থেকে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।

    বিহু কেবল একটি উৎসব নয়

    রঙ্গোলি বিহু কেবল একটি উৎসব নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। এটি এমন একটি আবেগময় সূত্র, যা প্রতিটি অসমিয়ার হৃদয়কে তাঁদের শিকড়ের সঙ্গে বেঁধে রাখে, তা সে ধেমাজির একটি দুর্গম গ্রামেই হোক (Assam) বা গুড়গাঁওয়ের একটি সুউচ্চ অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টেই হোক। মধুর বিহু গীত, তালবদ্ধ ঢোলের আওয়াজ এবং মর্যাদাপূর্ণ নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে অসমিয়ারা এই উৎসব পালন করেন। বস্তুত, উৎসবে দিনগুলি অসমিয়া লোককাহিনি, শিল্পকলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি জীবন্ত আর্কাইভে পরিণত হয় (Rongali Bihu)। অসম যখন হাসি, সঙ্গীত এবং পবিত্র ঐতিহ্য নিয়ে নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন রঙ্গোলি বিহুর চেতনা অবিরাম তার মানুষের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও সহনশীলতাকে ফের নিশ্চিত করে। সবুজ ধানের ক্ষেত থেকে শুরু করে বিদেশের ডিজিটাল মঞ্চ পর্যন্ত সর্বত্রই প্রতিধ্বনিত হয় “বিহু নাম”টি। যা আদতে একটি (Assam) একক বার্তা নিয়ে অনুরণিত হয়: জীবন, ভূমি এবং ঐতিহ্যের এক উৎসব (Rongali Bihu)।

  • Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরগতিতে সংঘটিত একটি গণহত্যার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে (Roundup Week)। হিন্দুবিদ্বেষী সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জমি দখল, উৎসব-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – হিন্দুরা তাঁদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এই সাতদিনে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের ওপর সংঘটিত অপরাধগুলির দিকে আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

    ভারত (Hindus Under Attack)

    উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বারগুম কাচারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত ক্লাব আয়োজিত বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমাগুলি। ‘প্রার্থনা সভা’ বা ‘স্বাস্থ্য উদ্ধার সভা’র অছিলায় স্থানীয় হিন্দুদের জবরদস্তিমূলক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক পাদ্রি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকান্ডা থানার বাহাতরাই অঞ্চলের ঘটনা। দাগী আসামি ওয়াজিদ শাহেনশা রামনবমী উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। গালিগালাজও করে। আহমেদাবাদের দানিলিমদার ঘটনা। পুনের কোঠরুডে একটি ইউনিসেক্স সেলুনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওয় সত্য সনাতন ধর্ম নামক সংগঠনের সদস্যদের জাভেদ ও আরমান নামে দুই মুসলমানকে এক হিন্দু মেয়েকে কালমা পড়তে বাধ্য করা হতে দেখা গিয়েছে।

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    ওয়াকফ আইন ২০২৫ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইসলামিস্টদের দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদার নিমতিতা স্টেশন ছিল এই অশান্তির ভরকেন্দ্র। এখানে ইসলামিস্টরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে রেল ট্র্যাক দখল করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দয়ে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের উননাওয়ে ওয়াকফ বিল নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক ক্যাব ড্রাইভার ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে আক্রমণ করে। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের নাম সূর্য প্রতাপ সিং। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক মেহরাজ মালিকের হিন্দুদের লক্ষ্য করে আপত্তিজনক মন্তব্য করার পর হাতাহাতি হয়। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলায় ইসলামিস্টরা একটি শ্মশানের জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযোগ, শ্মশানে প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে যাওয়া হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ইসলামিস্টরা (Hindus Under Attack)।

    নাবালিকাকে ধর্ষণ

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্তাজ হোসেন নামে এক যুবক হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতার নিউ টাউন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাণসীতে এক ছাত্রীকে টানা ছ’দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ইসলামিস্ট। বিহারের সারণের রেওয়েলগঞ্জ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ গির্জা ভেঙে ফেলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খ্রিস্টান মিশনারিরা লোভ দেখিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিল (Roundup Week)।

    ইউটিউবারকে হুমকি

    হিমাচলের উনা জেলার ইউটিউবার রোহিত কাটওয়ালকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আজমগড়ের আহিরৌলা থানা এলাকার আরুশা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে বড় ধরনের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের পর্দা ফাঁস করেছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুসলিম জনতা রাস্তায় নমাজ আদায় করে। তারা ‘মসজিদ কেড়ে নেওয়া হবে’ এই স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে। জাফরাবাদ এলাকায় দুজন হিন্দু নিহত হন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুসলিম জনতা সামশেরগঞ্জেই এক হিন্দু দম্পতির দোকানে হামলা চালায় (Hindus Under Attack)।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল সিন্ধ প্রদেশেই প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই ধরনের যৌন দাসত্বের শিকার হয়। হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত হামলাও হয়। সিন্ধের উমরকোট জেলার ২০ বছরের যুবক সুরজ কুমার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎই মুহাম্মদ আলি নামে একজন নতুন ইসলামিক পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হন। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ থাকাকালে গুলজার খলিলে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন (Roundup Week)।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন হামলা হয়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির অপবিত্রকরণ, জমি দখল, মিথ্যা মামলার পর জনতার দ্বারা হামলা, ধর্ষণ, জবরদস্তি ধর্মান্তরকরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। টাঙ্গাইল জেলায় উন্মত্ত মুসলিম জনতা জনৈক অখিল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁকে পিটিয়ে (Hindus Under Attack) হত্যা করার চেষ্টা করে।

    কানাডা

    কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় নাগরিক ধর্মেশ কাথিরিয়াকে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ। আক্রমণকারী ধর্মেশের স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী গিলস মার্টেল আগে ধর্মেশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে (Roundup Week) জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন (Hindus Under Attack)।

  • Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    Jyotirmay Singh Mahato: মুর্শিদাবাদে আফস্পা জারির দাবি পুরুলিয়ার সাংসদের, শাহকে চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মুর্শিদাবাদে আফস্পা (আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) জারির দাবি তুললেন পুরুলিয়ার সাংসদ বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jyotirmay Singh Mahato)। পশ্চিমবঙ্গে সীমনাবর্তী এই এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন জারি করা হোক বলে দাবি জানান তিনি। এই এলাকাগুলিকে উপদ্রুত ঘোষণা করে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকায় আফস্পা জারির আর্জি জানিয়ে জ্যোতির্ময় চিঠি দিলেন (Anti Waqf Protests) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

    প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Jyotirmay Singh Mahato)

    সংসদে পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এই আইনেরই প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে মুর্শিদাবাদ। বাড়িঘরদোরে আগুন লাগানোর পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নতুন করে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও খবর। এর আগে উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের হিংসা কবলিত এলাকায় নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেও এল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর। এহেন আবহে আফস্পা জারির দাবি তুললেন জ্যোতির্ময়।

    জ্যোতির্ময়ের দাবি

    তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাকে নেহাত অরাজকতা বললে কম বলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুষ্টিকরণের রাজনীতি এবং প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তাই এজন্য দায়ী।” জ্যোতির্ময়ের অভিযোগ, ‘সংশোধিত ওয়াকফ আইন পাশ হওয়ার পর যেভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে আইনশৃঙ্খলার প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে সবার সামনে। হিন্দুদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র ভিড়, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, এমনকি পুলিশবাহিনীও। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। এতে প্রশাসনিক ব্যর্থতা স্পষ্ট।’

    কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল

    চিঠিতে পুরুলিয়ার সাংসদ লিখেছেন, “ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে, আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের যেভাবে ভীতিপ্রদর্শন করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের এক ঘরে করা হচ্ছে, যেভাবে তাঁদের ওপর হিংসা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার সঙ্গে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রস্থানের মিল পাওয়া যাচ্ছে। এখনই পদক্ষেপ না করলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে, তবে এবার আর উপত্যকায় নয়, বাংলায়।” প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের আফস্পা আইন আগেই (Jyotirmay Singh Mahato) কার্যকর করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও মণিপুরের মতো কয়েকটি রাজ্যে। এই আইনের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা পায় সেনা। কোনওরকম ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করতে পারে, বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারে, বলপ্রয়োগও করতে পারে।

    জ্যোতির্ময়ের বক্তব্য

    জ্যোতির্ময় আরও লিখেছেন (Anti Waqf Protests), “দীর্ঘদিন ধরে বাংলার হিন্দুরা নিঃশব্দে অত্যাচার সহ্য করে আসছেন। কাশ্মীরের মতো বাংলায় পরিস্থিতি হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” চিঠিতে মুর্শিদাবাদের অশান্তির বিক্ষিপ্ত কতগুলি ঘটনাও তুলে ধরেন সাংসদ। তাঁর মতে, এর ফলে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে আইনশৃঙ্খলা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হবে। ভবিষ্যতে ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলিকে টার্গেট করার আগে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এবং হিন্দুরা যে একা নেই, সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে (Jyotirmay Singh Mahato)।

    সাংসদের দাবি

    পুরুলিয়ার এই সাংসদের দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভে মুর্শিদাবাদ জেলায় হিন্দুদের প্রায় ৮৬টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঝাউবোনা গ্রামে পানের বরজে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলি হিন্দুদের টার্গেট করে ‘ইকনমিক স্যাবোটেজ’ বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ। জ্যোতির্ময়ের আরও অভিযোগ, মালদা, নদিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও একই রকম অস্থিরতা (Jyotirmay Singh Mahato) দেখা দিয়েছে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত বারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিন্দু জনগোষ্ঠীকে দুর্বল ও কণ্ঠহীন করে তুলেছে (Anti Waqf Protests)।

    শাহকে চিঠি জগন্নাথ সরকারেরও 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন এই সাংসদ। জেলায় শান্তি ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করার (Jyotirmay Singh Mahato) আর্জিও জানিয়েছেন রানাঘাটের বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ধর্মীয়ভাবে পরিচালিত ধর্মান্ধদের ভয়ে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে ৪০০ জনেরও বেশি হিন্দু নদী পার হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল এবং মালদার বৈষ্ণবনগরের দেওনাপুর-সোভাপুর জিপির পার লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।” তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি উগ্রপন্থীদের উৎসাহিত করেছে। হিন্দুদের শিকার করা হচ্ছে, আমাদের লোকেরা তাঁদের নিজের দেশে তাঁদের জীবনের জন্য দৌড়চ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলার এই (Anti Waqf Protests) ভাঙনকে অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধিক (Jyotirmay Singh Mahato)!”

  • Human Milk Bank: অন্ধ্রপ্রদেশে নবজাতকদের জন্য আশীর্বাদ হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক, জানেন এর গুরুত্ব?

    Human Milk Bank: অন্ধ্রপ্রদেশে নবজাতকদের জন্য আশীর্বাদ হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক, জানেন এর গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) তিরুপতির সরকারি মাতৃসদনে এক বছর আগে স্থাপিত রোটারি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক (Human Milk Bank) এখন অসংখ্য দুর্বল ও অপরিণত নবজাতকের জীবনরক্ষাকারী আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। শুধু নবজাতকদেরই নয়, এই দুধ দানের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন দুগ্ধ দানকারী মায়েরাও। সরকারি মাতৃসদনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. জি. পার্থ সারথি বলেন, “আমরা অতিরিক্ত মাতৃদুগ্ধ থাকা মায়েদের এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ দিই। আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রসূতি মায়েদের দুধ দানে আগ্রহী করে তুলছেন।”

    সঠিক পদ্ধতি দুধের ব্যবহার

    এই ব্যাংক থেকে দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত করে নবজাতকদের খাওয়ানো হয়, বিশেষত তাদের যাদের মা কোনও কারণে দুধ পান করাতে অক্ষম। পার্থ সারথি জানান, “দানকৃত দুধকে সুরক্ষিত ও ভালো রাখা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভাব্য দানকারীদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিভিন্ন স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন (HBsAg) ও হেপাটাইটিস সি (HCV)। এই পরীক্ষাগুলো সাধারণত মায়েরা সন্তান জন্মদানের সময় হাসপাতালে ভর্তি হলে করা হয়।” অন্ধ্রপ্রদেশে মাতৃদুগ্ধ দানের এই উদ্যোগটি একটি জনস্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ। এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।

    এই মিল্ক ব্যাঙ্কের গুরুত্ব

    এই মহতী উদ্যোগ কেবল অসহায় শিশুদের জীবনরক্ষা করছে না, পাশাপাশি মা’দের মধ্যেও মাতৃত্বের এক নতুন অনুভব তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত দুধ দান করলে মা’দের শরীরেও কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক মা দুধ দানের মাধ্যমে মানসিক আনন্দ ও পরিতৃপ্তি লাভ করেন, কারণ তাঁরা জানেন, তাঁদের দান করা দুধ অন্য কোনো নবজাতকের জীবন বাঁচাতে পারে। স্তন্যদানকারী মায়েদের মাতৃদুগ্ধ শিশুদের জন্য একটি প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিকর খাদ্য। এই দুধের মাধ্যমে শিশুরা প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি এবং ভিটামিন পায়, যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • Top 10 Busiest Airports: ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস

    Top 10 Busiest Airports: ২০২৪ সালে বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দরের (Top 10 Busiest Airports) তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস পত্রিকা। প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অন্যদিকে প্রথম দশে ভারতের একমাত্র বিমান বন্দর হিসেবে স্থান পেয়েছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এবার আমরা দেখে নেব ফোর্বসের সেই তালিকা (Airports)। ২০২৪ সালে প্রথম দশে থাকা এই বিমান বন্দরগুলি দিয়ে কত মানুষ যাতায়াত করেছেন।

    বিশ্বের ১০ ব্যস্ততম বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports)

    ১. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ১০৮০,০৬৭,৭৬৬ জন।

    ২. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সংযুক্ত আরব আমিরশাহি), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৯২,৩০০,০০০ জন।

    ৩. ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৭,৮১৭,৮৬৪ জন।

    ৪. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর (জাপান), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৫,০০০,০০০ জন।

    ৫. হিথ্রো বিমানবন্দর (ব্রিটেন), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮৩,৮৬০,০০০জন।

    ৬. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮২,৩৫৮,৭৪৪ জন।

    ৭. ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৮০,০০০,০০০ জন।

    ৮. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর (তুর্কি), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৯,৯৮৮,২৭২ জন।

    ৯. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ভারত), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৭,৮২০,৮৩৪ জন।

    ১০, সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চিন), ২০২৪ সালে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৭৬,৭৮৭,০৩৯ জন।

    প্রথম দশে থাকা কোন বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports) কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল

    ১. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২৬

    অবস্থান: জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ২. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬০

    অবস্থান: দুবাই

    ৩. ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩

    অবস্থান: ডালাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৪. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর (Top 10 Busiest Airports)

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫ অগাস্ট, ১৯৩১

    অবস্থান: হানেদাকুকো, ওটা সিটি, টোকিও, জাপান

    ৫. হিথ্রো বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৫ মার্চ, ১৯৪৬

    অবস্থান: হাউন্সলো, যুক্তরাজ্য

    ৬. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫

    অবস্থান: ডেনভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৭. ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারী ১৯৪৪

    অবস্থান: ও’হেয়ার, শিকাগো, ইলিনয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    ৮. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

    স্থান: তাইকাদিন, তুর্কি

    ৯. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে

    অবস্থান: নয়া দিল্লি, ভারত

    ১০. সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    প্রতিষ্ঠিত হয় ১ অক্টোবর, ১৯৯৯

    অবস্থান: সাংহাই, চিন

LinkedIn
Share