Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    Bangladesh: ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে দিল্লি, ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। সম্প্রতি ব্যাঙ্ককে পাক-ঘনিষ্ঠতা সমেত ইউনূসদের দেশে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে ঢাকাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিল্লি। এই আবহে মোদি সরকার, সে দেশের ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধাকে বাতিল করেছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনূসদের বাংলাদেশ হল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকদের দেশ। এদের ব্যবসা হল ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে ঢাকা।

    পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে বাংলাদেশের ট্রাক (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ভারত সরকার ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায়, নেপাল, ভুটান এবং অন্যান্য দেশে দ্রুত যেভাবে পোশাক রফতানি করতে পারত বাংলাদেশ সেটা আর পারছে না তারা। এর ফলে পোশাক রফতানিকারকদের শিপমেন্ট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। যার ফলে খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের। সেই খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই আবহে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীর সংস্থাগুলির মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের প্রশাসন বাংলাদেশের ট্রান্স শিপমেন্ট (Garment Industry of Bangladesh) সুবিধা বাতিল করার পরেই পণ্যবাহী চারটি বাংলাদেশি ট্রাককে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের আটকে দেওয়া হয়। এই ট্রাকগুলিকে ভারতের মাটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, এই ট্রাকগুলি যশোরের বেনাপোল থেকে এসেছিল।

    ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিপুল ব্যবসা করেছে বাংলাদেশ

    ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তির মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে (Bangladesh) ট্রান্স শিপমেন্ট সুবিধা দেয়। এর ফলে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ভারতের কাছে তৃতীয় দেশ হিসেবেই এই সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই পনেরো মাসে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ব্যাপক ব্যবসা করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভারতীয় সড়ক পরিবহনকে ব্যবহার করে ৩৬টি দেশে পোশাক রফতানি করেছে। জানা যাচ্ছে, এইভাবে গত ১ বছরে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে ভারত।

  • Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    Nil Sasthi 2025: আজ, বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নীলষষ্ঠী, জানেন এই ব্রতর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী’! শুধু পুত্র নয়, পুত্র-কন্যা সবার জন্যই এই ব্রত রাখেন বাংলার মায়েরা। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রতি বছর পালিত হয় নীল ষষ্ঠী (Nil Sasthi 2025)। বাংলার ১২ মাসের ১৩ পার্বনের মধ্যে অন্যতম পার্বন হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত। এটি বাংলার একটি নিজস্ব লোকায়ত ধর্মীয় উত্‍সব। এই বছর আজ, রবিবার, ১৩ এপ্রিল পালিত হবে নীল ষষ্ঠী।

    কেন নাম নীল ষষ্ঠী

    নীল ষষ্ঠীর (Nil Sasthi 2025) পরের দিন চৈত্র সংক্রান্তি। তার পরের দিন বাংলা নববর্ষের শুরু। পুরাণ অনুসারে, নীল ষষ্ঠীর দিনেই মহাদেবের সঙ্গে নীল চণ্ডিকার বিয়ে হয়। নীলকণ্ঠ, মহাদেবের সঙ্গে এদিন নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিয়ের কারণেই এই দিনটি নীলষষ্ঠী নামে পরিচিত। আর এই ষষ্ঠীর পুজোকে নীল পুজো বলা হয়। গ্রামীন অঞ্চলে চৈত্র সংক্রান্তিতে চরক পুজো উপলক্ষে গাজনের মেলাও বসে।

    কীভাবে পালন করা হয় নীল ষষ্ঠী

    চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সারাদিন নির্জলা উপবাস রাখতে হয়। সন্ধেবেলা শিবলিঙ্গে জল ঢেলে মহাদেবের পুজোর প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভাঙা হয়। উপোস ভাঙার পরও এদিন ফল, সাবু ইত্যাদি ছাড়া ময়দার তৈরি খাবারই খেতে হয়। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন পঞ্জিকা অনুসারে ষষ্ঠী তিথি নয়। তা হলেও এদিন নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করা হয়। নীল ষষ্ঠীতে (Nil Sasthi Brata) ষষ্ঠী দেবীর সঙ্গেই সন্তানের মঙ্গল কামনা করে মহাদেবের আরাধনা করা হয়ে থাকে। শিবের মাথায় বেলপাতা, ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখতে হয়। অপরাজিতা বা আকন্দ ফুলের মালা পরিয়ে, সন্তানের নামে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করা হয়।

    নীল ষষ্ঠী ২০২৫ পুজোর সময়

    ১৩ এপ্রিল ২০২৫, বাংলা ক্যালেন্ডারে ৩০ চৈত্র ১৪৩১ রবিবার পালিত হবে নীল পুজো। প্রতিপদ পড়েছে রবিবার ভোর ৫টা ৫২ মিনিটে। পঞ্জিকা অনুসারে নীলকণ্ঠ শিবের পুজো করুন কাল সকাল ৯টা ৩২ মিনিটের মধ্যে। তবে দেবীর ষোড়শ যাত্রার মধ্যে অন্যতম হল নীলযাত্রা। দেবী নীলাবতীর পুজো করতে হবে সন্ধেবেলা। নীলের পুজোয় অবশ্যই পঞ্চামৃত নিবেদন করতে হবে। এই পঞ্চামৃত হল দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি। এর সঙ্গে একটু কালো তিল ও সিদ্ধি পাতা মিশিয়ে দিতে পারলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া গঙ্গাজল, আকন্দ ফুল, ধুতরো, নীল অপরাজিতা ও কাঁচা আম দিয়ে এ দিন মহাদেবের পুজো করুন।

  • ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    ISL 2024-25: যুবভারতী সবুজ-মেরুন! চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, ম্যাকলারেনের গোলে ইতিহাস মেরিনার্সদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়া মুকুট  মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giants)। লিগ-শিল্ডের পর আইএসএল কাপের (ISL 2024-25) রংও সবুজ-মেরুন। এই ম্য়াচে মেরিনার্স ব্রিগেডের হয়ে একটি করে গোল করলেন জেমি ম্য়াকলারেন এবং জেসন কামিন্স। ফাইনাল ম্য়াচে ২-১ গোলে জয়লাভ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। শনিবারের রাতে যুবভারতীতে উৎসবে মাতল মেরিনার্সরা।

    সমানে সমানে লড়াই

    আইএসএল কাপ ফাইনালে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giants) ও বেঙ্গালুরু এফসি। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে দ্বিমুকুট জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল মোলিনার দল। অন্যদিকে টক্কর দিতে প্রস্তুত সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। লিগ শিল্ড জয়ের পর আইএসএল কাপও যাতে সবুজ-মেরুন হয়, তার জন্য মাঠ ভরিয়েছিল মেরিনার্সরা। ৬০ হাজারের যুবভারতী ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এই হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষে উভয় দলই গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং উত্তেজনা মাঠের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মোহনবাগানের ঘরের মাঠে খেলা হলেও বেঙ্গালুরু এফসি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়িয়ে ম্যাচে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।

    সাফল্য মানেই মোহনবাগান

    সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে এদিন স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভক্তরা। এর আগে ২০২২-২৩ মরশুমের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। যেখানে পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচ জেতে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব (Mohun Bagan Super Giants)। ঘরে ওঠে ট্রফি। কিন্তু এবার লড়াইটা জমে উঠছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঘটেছিল সেই অঘটন। অ্যালবার্তো রডরিগসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। কিন্তু, পেনাল্টিতে কামিন্সের শট সমতা ফেরাল মোহনবাগান। ম্য়াচের ফলাফল ১-১। ম্যাচের ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন জেসন কামিন্স। বলটা লেফট বটম কর্নার দিয়ে বেঙ্গালুরুর জালে জড়িয়ে যায়। গুরপ্রীত শরীর ভাসিয়ে বলটা আটকানোর চেষ্টা করলেও, কামিন্সের শটে যে গতি ছিল, তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেননি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে পাঁচ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের মধ্যে বল বাড়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানার ভুল থেকে বল পান ম্যাকলারেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বেঙ্গালুরু। রেফারি বাঁশি দিতেই গোটা সল্টলেক স্টেডিয়ামের ৬০,০০০ দর্শক একসঙ্গে গর্জন করে ওঠে। তাঁরাই চ্যাম্পিয়ন।

  • BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হিংসাকে উৎসাহিত, সমর্থন এবং উসকানি দিচ্ছেন। বাংলায় টার্গেটেড হিন্দুবিরোধী হিংসাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরক্ষা দিচ্ছেন এবং তাকে উৎসাহিত করছেন।” ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ (Anti Waqf Act Protests) করতে গিয়ে যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যে, সে সম্পর্কে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী।

    বিজেপির তোপ (BJP)

    তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ভূমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকে তোষণের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছেন। পাশের রাজ্য অসমে সব শান্তিপূর্ণ, দেশের অন্যান্য অংশে শান্তি থাকলেও, বাংলায় কেন হিংসা হচ্ছে? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে সমর্থন করছেন।” বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এক দিকে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসন লাঠি ও বেতন ব্যবহার করে। অন্যদিকে, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় যখন সুনির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করে উগ্রপন্থী জনতা হামলা চালায়, তখন পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে। যখন তাদের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তখন পুলিশ চুপচাপ বসে থাকে (Anti Waqf Act Protests)।” তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে চাই, বাংলার হিন্দুদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা কি আপনার দায়িত্ব নয়? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, এবং এজন্য সরাসরি দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের (BJP) ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সেই মামলার শুনানি হল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গত (BJP) কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। এই হিংসায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি সূত্রের খবর (Anti Waqf Act Protests)।

  • Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    Rafale-M: ভারতীয় বায়ুসেনার রাফালের থেকে কতটা আলাদা হতে চলেছে নৌ-সংস্করণ রাফাল-এম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M) কেনার বিষয় চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। বুধবারই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। যা জানা গিয়েছে, এই বিমান কিনতে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল (G2G Deal) হবে। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হবে। চুক্তির মূল্য আনুমানিক ৬৩ হাজার কোটি টাকা। যার দৌলতে, ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale-M) ফাইটার জেট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে। এর পাশাপাশি, যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ, অস্ত্র, সিমুলেটর, পাইলট প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকবে চুক্তির আওতায়।

    বেশি খরচে কম সংখ্যক বিমান

    এর আগে, ২০১৬ সালে একইভাবে ফ্রান্সের থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল এফ-৩ যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। সেবারও দুই দেশের মধ্যে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় রফা হয়েছিল। ফলে, একটা প্রশ্ন আসতে পারে, ৩৬টি বিমান কিনতে যা অর্থ ব্যয় হয়েছিল, সেই তুলনায় একই সংস্থা থেকে কম সংখ্যক একই প্রজাতির বিমান কিনতে বেশি খরচ কেন? প্রশ্নটা বৈধ। তবে, উত্তরটা লুকিয়ে রয়েছে বিমানেই। বায়ুসেনার ব্যবহৃত রাফালের (Rafale-M) সংস্করণ এবং বিশেষভাবে নৌবাহিনীর জন্য তৈরি রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের মধ্যে অনেক মিল আছে বটে, তবে ফারাকটাও বিস্তর। বায়ুসেনার মডেলের তুলনায় এই সংস্করণে একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটি বিমানবাহী রণতরী থেকে অপারেট করতে পারে। কীরকম? তা একটু খোলসা করে বলা যাক (Rafale vs Rafale-M)।

    রাফাল বনাম রাফাল-এম: তুল্যমূল্য বিচার (Rafale vs Rafale-M)

    বায়ুসেনায় ব্যবহৃত রাফালের তুলনায় তার নৌ-সংস্করণ (Rafale-M) বেশি ভারী। এর প্রধান কারণ, রাফাল-এম জেটের সামনের ছুঁচলো দিক (বিমানের নাক) অধিক লম্বা ও রিইনফোর্সড করা। লক্ষ্য, মাঝ-সমুদ্রে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বিমান ও পাইলটকে অধিক সুরক্ষা প্রদান করা। একইসঙ্গে, এই বিমানে একটি শক্তিশালী ‘আন্ডারক্যারেজ’ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়।

    সাধারণ রাফাল যুদ্ধবিমান টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট রানওয়ে পায়। একটা রানওয়ে সাধারণত দেড় থেকে ২ কিমি লম্বা হয়। ফলে, আকাশে ওড়ার প্রয়োজনীয় শক্তি রানওয়ে থেকে পেয়ে যায় রাফাল। সেই জায়গায়, রাফাল-এম (Rafale-M) জেটকে উড়তে হবে ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীর ডেক থেকে। আইএনএস বিক্রমাদিত্য বা আইএনএস বিক্রান্ত-এর ডেকে দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬০ মিটার। যা রানওয়ের তুলনায় অনেকটাই ছোট।

    ছোট ডেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিং

    এছাড়া, ভারতীয় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারগুলির ডেকের চরিত্র ভিন্ন। মার্কিন বিমানবাহী রণতরীগুলিতে রয়েছে ক্যাটাপুল্ট অ্যাসিস্টেড টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (ক্যাটোবার) সিস্টেম। এখানে ডেকের ঠিক নীচে একটি স্প্রিং-কয়েল থাকে। সেই স্প্রিংকে বিমানের সামনের চাকার সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্প্রিং ছেড়ে দিলে, তা উচ্চগতিতে রিকয়েল করতে করতে বিমানকে টেনে নিয়ে গিয়ে ডেক থেকে উড়িয়ে দেয়। ফলে, বিমান যত ভারীই হোক, তাতে সমস্যা হয় না। সেখানে, ভারতের ক্যারিয়ারগুলি শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) পদ্ধতি ব্যবহার করে। এখানে বিমানের টেক-অফ (ওড়ার) করার জন্য এক প্রান্তে স্কি-জাম্প রয়েছে। অর্থাৎ, ওপরের দিকে বাঁকানো। ফলে, বিমানকে নিজের শক্তিতে উড়তে হয়।

    রাফাল-এম (Rafale-M) একে বেশি ভারী। তার ওপর টেক-অফের জায়গা কম এবং ক্যাটবার বা আরও আধুনিক ইমালস (ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সিস্টেম) নেই ভারতীয় রণতরীতে। ফলত, এই সমস্যার মোকাবিলা করতে রাফাল-এম জেটে বসানো হয়েছে অনেকটাই শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের থ্রাস্ট ভারী রাফাল-এম জেটকে অস্ত্র নিয়ে ছোট দৈর্ঘ্যের ডেক থেকেও উড়তে সাহায্য করে।

    এছাড়া, রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে রয়েছে একাধিক পরিবর্তন। এতে যোগ করা হয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতি, যা একে বায়ুসেনার ভার্সান থেকে পৃথক করেছে।

    রাফাল-এম জেটের অনন্য বৈশিষ্ট্য

    ● এতে থাকছে অ্যারেস্টার হুক। জাহাজের ডেকে অবতরণ করার জন্য। এই হুকের সাহায্যেই বিমানগুলি রণতরীর ছোট্ট ডেকে গতিতে অবতরণের পরও থেমে যেতে পারে। এছাড়া রয়েছে ক্যারিয়ার-নির্ভর মাইক্রোওয়েভ ল্যান্ডিং সিস্টেম।

    ● জায়গা বাঁচাতে এই বিমানের সঙ্গেই থাকে একটি ছোট ভাঁজযোগ্য সিঁড়ি। যার মাধ্যমে পাইলট বিমানে চড়তে বা বেরোতে পারেন।

    ● জায়গা বাঁচাতে রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানের ডানাগুলি ভাঁজ করা যায়, যা বায়ুসেনার ভেরিয়েন্টে সম্ভব নয়।

    ● ডানার একেবারে শেষ প্রান্তে রয়েছে বিশেষ ‘টেলেমির সিস্টেম’, যা বাহ্যিক সরঞ্জামের সঙ্গে বিমানের ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমের সুসংহত যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

    ● এছাড়া, এই রাফালের নৌ-ভার্সানে রয়েছে ‘থালেস আরবিই২-এম’ রেডার সিস্টেম। এটি যে কোনও সমুদ্র-অভিযানের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

    ● রাফাল-এম (Rafale-M) বিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘থালেস স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুইট’, যা নৌসেনার অভিযানে ভীষণই প্রয়োজনীয়।

    ● এখানেই শেষ নয়। রাফালের বায়ুসেনার ভার্সানের তুলনায় রাফাল-মেরিন (Rafale vs Rafale-M) সংস্করণ বিমানটি আরও বেশি ধরনের অস্ত্রবহনে সক্ষম। যার মধ্যে অন্যতম হল জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া থাকে আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রও।

  • Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা আন্দোলন নয়, হিংসাত্মক দাঙ্গা”, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Incidents) ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। সেখানেই মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “এটা আন্দোলন নয়। এটা হিংসাত্মক দাঙ্গা।” তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের যেখানে তাণ্ডব চলছে, সেখানে ঠিক থানার উল্টোদিকের একটি বড় হলে অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ও বারুদ মজুত রেখেছে তাণ্ডবকারীরা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে সনাতনীদের দমিয়ে রাখতে পারবেন না। একটা সময় সনাতনীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।” এদিন সুকান্ত মজুমদার কয়েকটি বাস এবং মোটরবাইকে গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেন। শ্রী শ্রী গোদাবাড়িশ্বরী শিব-কালী হনুমান মন্দিরে হাজির ছিলেন কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি চণ্ডীচরণ রায়, যুব নেতা জয় সাহা প্রমুখ।

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব (Sukanta Majumdar)

    ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধীরা জলঙ্গিতে বিডিও অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত এই নিয়ে লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তথাকথিত ‘শান্তির দূত’রা – তোষণের পতাকাতলে লালিত সংখ্যালঘুরা চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে তাদের রোষে পুলিশ বাধ্য হয়েছিল পিছু হটতে। যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে এবং মুহূর্তের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ বিডিও অফিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই বিডিও অফিসাররা, যাঁরা একসময় নির্বাচনের সময় এবং পরে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন, তাঁরা এখন হতবাক – আইনশৃঙ্খলা ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। এই আধিকারিকরা যে রাজ্যের সেবা করেন, সেই রাজ্যই তাঁদের নিরাপত্তা বা মর্যাদা দেয় না (Sukanta Majumdar)।”

    কী লিখলেন সুকান্ত?

    সুকান্ত আরও লেখেন, “এটা কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয় – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির বেদিতে যখন শাসনব্যবস্থাকে বলি দেওয়া হয়, তখন এটাই ঘটে। অফিসগুলি অনিরাপদ। সরকারি আধিকারিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবুও শাসকগোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিশৃঙ্খলাকে আড়াল করছে। বাংলার রক্ত ​​ঝরছে। আর যারা একসময় এটা সম্ভব করেছিল, এই পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করেছিল, তারাই এখন সেই নৈরাজ্যের শিকার। এটি নির্লজ্জ তুষ্টিকরণের মূল্য। এটাই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজনীতির ব্র্যান্ডের উত্তরাধিকার।”

    প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়ল পুলিশ!

    প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে ফের একবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Incidents) বিস্তীর্ণ এলাকা। এর আগে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল জঙ্গিপুরে। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল সামশেরগঞ্জও। প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন একাধিক পুলিশ কর্মী (Sukanta Majumdar)।

    সড়ক অবরোধ  

    শুক্রবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় টহল দিচ্ছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরে উত্তেজনা ছড়ানোর পর থেকেই সতর্ক ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। নয়া আইন অনুসারে, এলাকায় জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। যদিও শুক্রবার দুপুরে সামশেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড় থেকে সুতির সাজুর মোড় পর্যন্ত অংশে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এই সময় ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

    ইটের ঘায়ে জখম পুলিশ কর্তা

    বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ একাধিক পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাটাতে হয় কাঁদানে (Murshidabad Incidents) গ্যাসের সেল। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। প্রাণ বাঁচাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। ততক্ষণে বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আকার নিয়ে নিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের রোষের আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাস। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শেষমেশ নামানো হয় বিএসএফকে (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আন্দোলনের নামে গুন্ডারা মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই কাজ করছে। এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও, তিনি। আর পুলিশ (Murshidabad Incidents) দর্শকের মতো আচরণ করছে।”

  • Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    Bangladesh Crisis: মৌলবাদীদের প্রবল চাপ, নাম বদলাল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঢাকার ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের এক প্রথা। প্রথার নাম ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ (Mongol Shobhayatra)। ইউনূস জমানায় মৌলবাদীদের হুমকির জেরে বদলে গেল নববর্ষের অনুষ্ঠানের সেই শোভাযাত্রার নাম (Bangladesh Crisis)। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র বদলে নয়া নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তরফে এই নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষদের ডিন মহম্মদ আজহারুল ইসলাম শেখের দাবি, শুরুতে বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রা আরও বড় আকারে হবে। তিনি জানান, ‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’-এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ২৮টি জনগোষ্ঠী অংশ নেবে।

    ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে স্বীকৃতি ইউনেস্কোর (Bangladesh Crisis)

    ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এদিন লাখ লাখ বাঙালি অংশ নেন শোভাযাত্রায়। পেঁচা-সহ অশুভ নাশকারী বিভিন্ন প্রতীক দেখা যায় সেই শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রা শুরুর বেশ কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে শুরু হয় স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন। তখন এই অনুষ্ঠানের নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ফি বার রমনার ছায়ানট থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শাহবাগ থেকে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

    ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের বক্তব্য

    এবার বাংলাদেশের মৌলবাদীরা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে তাদের কোনও আপত্তি না থাকলেও, ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকবে না। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম মুখ আমির মুফতি সৈয়দ মহম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, “কোনও শোভাযাত্রা করলে দেশবাসীর মঙ্গল হবে, এই বিশ্বাস বা ধারণা ইসলামের দিক থেকে গুনাহ্ (পাপ)। মূর্তি-সহ ইসলাম অসমর্থিত সবকিছু বাদ দিতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রাণহীন উৎসবের প্রস্তুতি

    ডিন সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রার কথা বললেও, বাস্তব বলছে অন্য কথা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এবার পয়লা বৈশাখের আগে আগে চারুকলার (Mongol Shobhayatra) শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়া ও শিল্পীদের সেই চেনা ব্যস্ততা নেই। অন্যান্যবার মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত বর্ষবরণ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ। এবার তা হয়নি। হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীকে নিয়েই চলছে কাজ (Bangladesh Crisis)। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ কার্যত নেই। এরকম প্রাণহীন চারুকলা অনুষদ আগে দেখা যায়নি। মঙ্গল শোভাযাত্রা আদতে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সর্বজনীনতার নামে সেটা সকলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    সাজছে বাংলাদেশ

    আয়োজকরা জানান, শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গত বছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হবে। এবার শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্বৈরাচারের দৈত্যাকৃতি প্রতিকৃতি, ১৬ ফুট উচ্চতার ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঘ এবং শান্তির দূত পায়রাও। থাকছে হাতি, বাঘ, পেঁচা-সহ অন্যান্য পশুপাখির মুখোশও। চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন চলছে সেসব মুখোশ ও প্রতিকৃতি তৈরির কাজ। এ ছাড়া চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল-লতাপাতা আর পাখি দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেওয়াল (Bangladesh Crisis)।

    কী বলছে ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতি

    ইউনূস প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখ ঋতু সম্পর্কিত একটি বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিয়ে-শাদি সহ অনেক কিছুই ঋতুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সেজন্য বাদশা আকবর ইসলামি বর্ষপঞ্জীকে ভিত্তি করে সৌরবর্ষ গণনার জন্য বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এই সন প্রবর্তনের সঙ্গে মুসলামনদের ইতিহাস ঐতিহ্য জড়িত। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান হওয়ার কারণে তাদের আচার প্রথা সংস্কৃতিতে ইসলাম-বিরোধী কোনও (Mongol Shobhayatra) কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। সেজন্য বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কোনও আয়োজনে ইসলাম অসমর্থিত কিছু থাকা যাবে না।

    বাংলাদেশে নববর্ষের এই আয়োজন বরাবরই বর্ণিল। দলে দলে মানুষ বের হন রাস্তায়। আনন্দে-উচ্ছ্বাসে, রূপে-রংয়ে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছরকে। হাসিনা-উত্তর জমানায় তৈরি হয়েছে নয়া বাংলাদেশে। বদলে যাওয়া সেই বাংলাদেশের শোভাযাত্রায় কার্যত ফতোয়া জারি করল ‘ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’ (Bangladesh Crisis)।

  • India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    India Bangladesh Relation: সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পোশাক পাঠানোর চাপ! তুলোর জন্য ভারতের ওপরই নির্ভর বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারত (India Bangladesh Relation) বিরোধিতা ক্রমেই বাড়ছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও ভারত-বৈরিতা নিত্যদিনের ঘটনা। তবে দুই দেশের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে পণ্য আমদানিতে ভারতের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা আরও বেড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ১৭.২৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় তুলো। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্যশস্য। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের সময়সীমা (লিড টাইম) দ্রুত কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন আমদানির জন্য ভারতের ওপর ক্রমেই বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

    প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা

    আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের অর্ডার সম্পাদনের সময়সীমা সারা পৃথিবীতে ৯০ দিন থেকে নেমে এসেছে মাত্র ৪৫ দিনে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রফতানিকারক ও উৎপাদকরা দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য উৎস খুঁজতে গিয়ে ভারতের দিকেই ঝুঁকছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় কারণ হলো সময়। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলো ও অন্যান্য কাঁচামাল আনতে যেখানে ৪৫ দিনের বেশি সময় লাগে, সেখানে ভারত থেকে এসব কাঁচামাল পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ২-৩ দিন। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি করা হয় তৈরি পোশাক। এটাই ঢাকার আয়ের মূল ভিত্তি। তাই কম সময়ে ভারত থেকে তুলো নিয়ে গিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

    ভারত নির্ভরতা বাংলাদেশের

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে ২.০৯ শতাংশ। যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ২.০৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম দশ মাসে দেশটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি করা পণ্যের অর্থমূল্য ছিল ৯৩৯ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জানুয়ারি সময়ে আমদানি হয়েছে ৮৮০ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের পণ্য। শুধু গত জানুয়ারিতেই ভারত থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করেছে ১০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। আর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছিল ৯১ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের।

    কেন বাড়ছে ভারত-নির্ভরতা

    তুলো আমদানিই এই বাণিজ্যের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের তুলো আমদানি করে, যার অর্ধেকের বেশি আসে ভারত থেকে। ২০২৩ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বাংলাদেশ তুলো আমদানি করেছিল ১.৯২ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার। তুলোর পাশাপাশি, সুতো, কাপড়, টেক্সটাইল কেমিক্যালস এবং হ্যান্ডলুম পণ্যও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক ও শ্রম অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের অনেক কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। এতে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য আমদানি উৎসের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর উন্নতির ফলে এখন ২৪টি স্থলবন্দর এবং তিনটি রেলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন হচ্ছে।এছাড়া, ডলার সংকটের কারণে দূরবর্তী দেশের সঙ্গে লেটার অব ক্রেডিট (LC) খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় ব্যবসার সঙ্গে নিকটতা, তুলনামূলক সহজ আর্থিক ব্যবস্থা এবং ভাষা ও বাণিজ্য সংস্কৃতির পরিচিতিও বাণিজ্যে সুবিধা দিচ্ছে।

  • Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    Mumbai Attacks: ‘‘নিহত লস্কর জঙ্গিদের বীরত্বের পুরস্কার দিক পাকিস্তান’’, মুম্বই হামলার পর হেডলিকে বলেছিলেন তাহাউর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার এই জঙ্গিদের বীরত্বের জন্য পুরস্কার দিক পাকিস্তান।” মুম্বই হামলায় (Mumbai Attacks) জঙ্গিদের মৃত্যুর পর বন্ধু ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে বলেছিলেন মুম্বই হামলার চক্রী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নথিতে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার সংক্রান্ত দফতর। রানা ও তাঁর সহ-ষড়যন্ত্রী ডেভিড হেডলির মধ্যে যে কথোপকথন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার সময় যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছিলেন, রানা লস্কর ই-তৈবার সেই জঙ্গিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওই জঙ্গিদের পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার নিশান–ই-হায়দার দেওয়া উচিত। যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিহত হলে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিশান-এ-হায়দর পুরস্কার দেয়। আমেরিকার দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পুরস্কার মৃত ৯ জঙ্গিকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন রানা।

    নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর উল্লাস প্রকাশ! (Mumbai Attacks)

    উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জন জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন কেবল আজমল কাসভ। পরে ২০১২ সালে তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় তার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় ১০ জন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের হামলার পর রানা হেডলিকে বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয়দের এটা পাওনা ছিল।’’ ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পর তিনি উল্লাসও প্রকাশ করেছিলেন বলেও জানিয়েছে মার্কিন বিচারবিভাগ।

    এনআইএ হেফাজতে তাহাউর

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের ওই হামলায় বিভিন্ন দেশের মোট ১৬৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল (Mumbai Attacks)। পাক বংশোদ্ভূত রানা বর্তমানে কানাডার নাগরিক। বছর চৌষট্টির রানা ১৯৯০ সালে পাকাপাকিভাবে কানাডায় চলে যান। পরে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার(এনআইএ) হেফাজতে। তার আগে রানা বন্দি ছিলেন আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের জেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁকে ভারতে ফেরানোর পরে এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে (Tahawwur Rana)। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।

    মুম্বই হামলার পরিকল্পনা

    রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এনআইএর সদর দফতরে ইতিমধ্যেই বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, ১২ জন আধিকারিক মুম্বই হামলার এই চক্রীকে জেরা করবেন। লস্কর জঙ্গিদের হামলার আগে আলাদা আলাদা সময়ে মুম্বইয়ে রেকি করে গিয়েছিলেন ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানা। কানাডায় বাস করলেও, পাক সেনা ও আইএসআইয়ের সঙ্গে তাহাউর রানার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হেডলিকে তিনি ভুয়ো ভিসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। মুম্বই হামলার পরেও তাহাউরের বড় পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, মুম্বইয়ে তাঁর ইমিগ্রেশন ব্যবসার শাখা খোলা। হেডলিকে সেই অফিসের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগও করতে চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার দুবছর আগে শিকাগোয় একাধিকবার ডেভিড হেডলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাহাউর। সেই সময়ই মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

    হেডলি এখনও আমেরিকায়

    জানা গিয়েছে, তাহাউর রানা ও ডেভিড হেডলি ছোটবেলার বন্ধু। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর রানাকে শেষ পর্যন্ত ভারত হাতে পেলেও, হেডলি এখনও আমেরিকায়ই রয়েছে। এই হেডলিই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী ও সরাসরি ভারতে এসে কমপক্ষে আটবার দফায় দফায় রেকি করে গিয়েছে (Tahawwur Rana)। কিন্তু রানাকে প্রত্যর্পণ করলেও, নানা অজুহাতে হেডলিকে এখনও ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করেনি আমেরিকা। মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে সেখানকার গারদে পুরে রাখা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, হেডলিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না। হেডলির আসল নাম দাউদ গিলানি। ভারত তাকে এই মামলায় নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার বারংবার দাবি জানালেও, আমেরিকা (Mumbai Attacks) প্রতিবারই ভারতের সেই অনুরোধে কান দেয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই। তাঁর মতে, জঙ্গি হেডলি ডাবল এজেন্টের কাজ করতেন। তিনি একই সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করতেন।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে মুম্বই হামলার ভূমিকা ও পৃথক ষড়যন্ত্রের জন্য বর্তমানে আমেরিকায় ৩৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন হেডলি। তাঁর সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার মধ্যে যে সরাসরি যোগাযোগ (Tahawwur Rana) ছিল, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে (Mumbai Attacks)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    ব্যর্থ মমতার সরকার, আক্রান্ত পুলিশও

    সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের পর থেকেই রাজ্যে বেশিরভাগ জায়গায় জঙ্গিপুর কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, আমতলা সব জায়গায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। পুলিশও আক্রান্ত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা।’’ শুভেন্দুর দাবি, বেছে বেছে হিন্দুদের ওপরই আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহতও হয়েছে।

    বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব

    গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। তার জেরে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন রেল স্টেশনে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জে পরপর বোমার শব্দ শোনা যায় শুক্রবার বিকেলে। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোর সহ দুজন। এদিকে, আমতলায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে।

    পরিস্থিতি বাংলাদেশের থেকেও খারাপ 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের (Mamata Govt)। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধূলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধূলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।’’

    ভোগান্তির শিকার অসংখ্য রেলযাত্রী

    স্থানীয় সূত্রের খবর, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে মিছিল করছিল একটি গোষ্ঠী। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের কর্মীরাও। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকা পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মডেল, যিনি ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন, তাঁর এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত।’’ হুগলির চাঁপদানীতেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার জেরে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নিমতিতা স্টেশনে আপ ও ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ে। আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিবাবাদের ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রেলের রিলে রুমে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি। ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেল জানিয়েছে, দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দু’টি ট্রেনকে গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন চালাতে হয়েছে ঘুরপথে।

    একজোট হন, প্রতিরোধ গড়ুন

    প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিন। মোথাবাড়িতে ৮৬ জন নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে সামসেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে যা করেছেন বর্বরোচিত। রাজীব কুমারের তৈরি ফর্মুলা আছে। প্রথমে যা হওয়ার হয়ে যাবে। তার পর ফোন – ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। জেলাশাসকের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া বন্ধ হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Govt) শাসনে বারবার নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু ধ্বজকে। যা রাজনৈতিক পতাকা নয়। হিন্দু মন্দিরকেও নিশানা করা হচ্ছে। আমি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করছি। সম্ভব হলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আর নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুরা একজোট হয়ে নিরাপদে থাকুন। ভাঙচুর যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করব।’’

LinkedIn
Share