Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • China India Relation: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ ঠেকাতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন

    China India Relation: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ ঠেকাতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ প্রতিহত করতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন (China India Relation)। চিনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক (Trade War) আরোপ করেছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, “চিনের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং শক্তিশালী উৎপাদন ভিত্তি বাকি বিশ্বের জন্য ইতিবাচক পরিসর তৈরি করেছে।” তিনি বলেন, “চিন-ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার ওপর প্রতিষ্ঠিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের অপব্যবহারে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলি তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে একত্রিত হওয়া উচিত বিশ্বের দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের। বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। সব দেশের উচিত সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতার পথ অনুসরণ করা।”

    ইউ জিংয়ের বক্তব্য (China India Relation)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে এমন একটি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত চিনা অর্থনীতি। গোটা বিশ্বের ওপর আমাদের অর্থনীতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত আপগ্রেডেড শিল্প ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে চিনা উৎপাদন। গবেষণা, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের ওপর একটি শক্তিশালী ফোকাসের ওপর নির্মিত আমাদের অর্থনীতি। অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও বহুপাক্ষিকতার দৃঢ় সমর্থক চিন। এই বহুপাক্ষিকতাই বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য বাকি বিশ্বের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” মার্কিন শুল্ক আরোপের আগেই আমেরিকাকে তোপ দেগেছিল চিন। বলেছিল, “ভুলের ওপর ভুল করছে আমেরিকা। আরও একবার আমেরিকার ব্ল্যাকমেইল করার চরিত্রটি প্রকাশ্যে চলে এল।” বেজিং জানিয়ে দিয়েছিল, “আমেরিকা যদি এভাবেই চলার কথা ভাবে, তাহলে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।”

    শুল্ক যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, গত বুধবারও চিনের ওপর ৩৪ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চিন শুক্রবার একই হারে শুল্ক চাপিয়ে দেয় মার্কিন পাণ্যের ওপর। চিনের এই পদক্ষেপের পরেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, চিন যদি এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে তাহলে মঙ্গলবারের মধ্যে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে চিনা পণ্যের ওপর (China India Relation)। সেই মতো মঙ্গলবার বেজিংয়ের ওপর চাপানো হয় আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক। প্রথমে ২০ শতাংশ শুল্ক ছিল, পরে দুধাপে চাপানো হয় আরও ৩৪ ও ৫০ শতাংশ। সব মিলিয়ে চিনের ঘাড়ে (Trade War) মোট শুল্কের বোঝা চাপল ১০৪ শতাংশ।

    ভারতের অবস্থান

    চিনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও, ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন ২৬ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। এটি কার্যকর হয়েছে আজ, বুধবার থেকে। গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের এই পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর থেকে বাজার ধসের মুখে থাকায় এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেখানে এই প্রভাব কমানোর কৌশল নির্ধারণ করা হবে। চিন যখন আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটছে, তখন ভারত-সহ বেশিরভাগ দেশই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নিতে আগ্রহী। নয়াদিল্লির তরফে সক্রিয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। একের পর এক দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের আর্জি জানিয়েছে (China India Relation)।

    সতর্ক পদক্ষেপ

    ভারতের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হল, ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর, তামা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানিতে এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বারবার ভারতকে বাণিজ্য সম্পর্কের “বড় অপরাধী” বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় অর্ধেক জেনেরিক ওষুধই পাঠানো হয় ভারত থেকে। তবে অটো পার্টস, রত্ন ও গয়নার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, শুল্কের প্রভাব কমানোর জন্য প্রয়োজনে রফতানিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারত। জানা গিয়েছে, ভারত এই ইস্যুতে সতর্ক পদক্ষেপ করছে। ভারত আমেরিকার ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পথে হাঁটছে না। এর বদলে মোদি সরকার (Trade War) সক্রিয়ভাবে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছিল এই বছরের শুরুতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময়। মার্চ মাসে দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) শর্তাবলীতে রাজি হয়েছিল।

    উল্লেখ্য, এর আগেও ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লিকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতে, গত বছর রাশিয়ায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে হাতি ও ড্রাগনের উপমা ব্যবহার (Trade War) করেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে এক সঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে (China India Relation)।”

  • Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ভারতে আসতে চলেছে রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale M) কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় খবর।

    ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বুধবারই এই চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল কেনার সময় যেমন দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই এক্ষেত্রেও ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি, ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale M) ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে।

    নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন

    তবে, বায়ুসেনার সংস্করণের থেকে রাফালের নৌবাহিনীর সংস্করণ কিছুটা আলাদা হবে। মূলত, নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী, তাতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। রাফাল-এম (Rafale M) যুদ্ধবিমানের সামনের অংশটি আরও লম্বা, শক্তিশালী। এছাড়া, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী থেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ে সুবিধার্থে এই বিমানে একটি শক্তিশালী আন্ডারক্যারেজ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়। এছাড়া, ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীগুলিতে ব্যবহৃত শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) বা স্কি-জাম্প পদ্ধতির জন্য এই বিমানগুলিকে তেমনভাবেই মডিফাই করা হয়েছে।

    মিগ-২৯কে-এর জায়গা নেবে রাফাল-এম

    নৌসেনার এক কর্তা জানান, রাফাল-এম যুদ্ধবিমান বিশেষভাবে বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠা-নামার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং একবার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে, এই জেটগুলি ভারতীয় নৌবহরের পরিপূরক হবে। এই জেটগুলি বর্তমানে ব্যবহৃত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। ওই কর্তা জানান, একবার রাফাল-এম (Rafale M) জেটগুলি আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন হয়ে গেলে, ভারতের জলসীমায় নৌসেনার (Indian Navy) সক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

    চার বছর পর থেকে আসবে বিমানগুলি

    জানা গিয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন ফাইটার জেট কেনার পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তি স্বাক্ষরের চার বছর পর বিমান সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। অর্থাৎ, ২০২৯ সালের শেষ নাগাদ প্রথম ব্যাচ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকটি যুদ্ধবিমান (Rafale M) ২০৩১ সালের মধ্যে সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

  • Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবারই দেশে ফেরানো হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফর্মালিটি পূরণ করেছে ভারতের এক প্রতিনিধি দল। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতে আসার বিমানে চেপেছেন রানা। বুধবার গভীর রাত অথবা বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছবে বিমান।

    বিমানবন্দর, জেলে কড়া নিরাপত্তা

    মার্কিন আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী, দিল্লি ও মুম্বইয়ের জেলে গোপনে তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রাজপথেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতে আনার পর, রানাকে প্রথম কয়েক সপ্তাহ এনআইএ হেফাজতে রাখা হবে। সেখানে তাঁকে জেরা করা হবে। এই পুরো অভিযানটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, এনআইএ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি। শেষমেশ চলতি বছরের শুরুতে রানার প্রত্যর্পণে সায় দেয় আমেরিকার একটি আদালত। এর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৎপরতায় রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে!

    ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা (Tahawwur Rana)। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। ৬৪ বছরের রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। সে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, তাহাউর রানাকে হাই সিকিউরিটি কোনও জেলে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির তিহাড় এবং মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে তার প্রস্তুতি চলছে। দুই জেল কর্তৃপক্ষকেই অ্যালার্ট করা হয়েছে। এ দিকে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছে। ভারতে পা রাখার পরই মুম্বই হামলার এই মূলচক্রীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাবে এনআইএ।

  • Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনওরকম আপোষ নয়। মোদি সরকারের নীতি মেনেই চলছে দেশের আদালত। মঙ্গলবার দেশের দুই প্রান্তের দুই আদালতে সন্ত্রাসের শাস্তি ঘোষিত হল। হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) পাঁচ দোষীর ফাঁসির সাজা বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে ২০০৮ সালের ১৩ মে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৮০ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৭০ জন। সেই নাশকতা সংক্রান্ত একটি মামলায় মঙ্গলবার চার দোষীর আজীবন জেলের সাজা দিল জয়পুরের বিশেষ আদালত।

    হায়দরাবাদে জোড়া বিস্ফোরণ মামলা

    হায়দরাবাদে ২০১৩ সালের জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) দোষী পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। জোড়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন, আহত হয়েছিলেন ১৩১ জন। এই মামলায় এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) কোর্ট দোষীদের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত (Telangana High Court) সেই সাজা বহাল রাখল। এনআইএ-র তদন্তে জানা গিয়েছিল, দোষী পাঁচ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর সদস্য। ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে বাস স্ট্যান্ড এবং বিখ্যাত একটি খাবারের দোকানের কাছে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের কারণে অনেক মানুষ হতাহত হন। এই ঘটনায় একে একে গ্রেফতার করা হয় আইএম সদস্য মহম্মদ আহমেদ সিদিবাপা ওরফে ইয়াসিন ভাটকল, জিয়া-উর-রহমান ওরফে ওয়াকাস, আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি, তেহসিন আখতার এবং আইজাজ শেখকে।

    দোষীদের বিরুদ্ধে রয়েছে পোক্ত প্রমাণ

    ভাটকল আইএমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। ওয়াকাস পাকিস্তানের নাগরিক। ২০১৩ সালের অগাস্টে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে ধরা পড়ে ইয়াসিন এবং হাড্ডি। এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০১৪ সালের মার্চে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হয় ওয়াকাস এবং তেহসিন। তেহসিন বিহারের বাসিন্দা। তার পরে পুণের আইজাজও ধরা পড়ে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেই সময় পাঁচজনকেই এনআইএ আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল বিস্ফোরণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত রিয়াজ ভাটকল। তেলঙ্গানা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পোক্ত প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। দোষীরা যা করেছে তা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই এনআইএ আদালতের রায়েই বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়দানের আগে গোটা কোর্ট চত্বরদের ছিল কড়া নিরাপত্তা। হায়দরাবাদেও মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী। যদিও এখনও সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে পারবে ওই পাঁচ জন।

    জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ড

    অন্যদিকে, ২০০৮ সালের জয়পুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Jaipur blast) ৪ দোষীর আজীবন কারাবাসের সাজা শোনাল জয়পুরের বিশেষ আদালত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সরওয়ার আজমি, শাহবাজ হুসেন, সাইফুর রহমান এবং মহম্মদ সইফকে ‘ভারতীয় ন্যায়সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’র বিভিন্ন ধারা, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ডের ১৭ বছর পর চাঁদপোল বাজারে বোমা রাখা সংক্রান্ত ওই মামলায় চার অভিযুক্তেরই সাজা হল আদালতে। গত ৪ এপ্রিল বিচারক রমেশ যোশি চার অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০০৮ সালের এই বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৭১ জনের। জখম হন ১৮৫ জন। ১৭ বছর পর এই মামলার শুনানি চলছে।

    দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক

    ১৩ মে ২০০৮। রাজস্থানের জয়পুরে (Jaipur blast) সন্ধে ৭টা ২০ মিনিট থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। জয়পুরের ত্রিপোলিয়া বাজার, মানস চক, হনুমান মন্দির, চটি চৌপল জেহেরি বাজার-সহ আটটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা জয়পুরে। চাঁদপোল বাজারের কাছে একটি বোমা পাওয়া যায়। তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিস্ফোরণে বাইসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতেই বোমা রাখা ছিল। এদিকে এই গোটা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নেয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এটিএস-কে তদন্তভার দেওয়া হয়। তদন্ত থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে ১২ জন সন্ত্রাসবাদী বোমা নিয়ে বাসে করে দিল্লি থেকে জয়পুরে আসে। সেখানে ৯টি সাইকেল বোমা ফিট করা হয়। তারপর তা আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। এরপর শতাব্দী এক্সপ্রেসে করে সন্ত্রাসবাদীরা দিল্লি ফিরে আসে। তাদের পরিকল্পনা মতো ৮টি বোমা ফাটলেও নবম বোমাটি ফাটেনি। সেটিকেই উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছিল জয়পুর পুলিশের ‘বম্ব স্কোয়াড’।

  • Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সংসদে পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Act)। এর পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা পরিণত হয়ে গিয়েছে আইনে। এবার  ৮ এপ্রিল, থেকে দেশের সর্বত্র তা কার্যকার হল। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবার তা জানিয়ে দিল মোদি সরকার। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ -এর ধারা (১) এর উপধারা (২) এর ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এই আইনকে কার্যকর করল। ওয়াকফ আইন কার্যকর হওয়ার পরেই বিরোধীদের তোপ দাগেন মোদি। তাঁর মতে, আগের ওয়াকফ আইন সংবিধানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল। যা হতে দেওয়া যায় না। কারণ, দেশের সংবিধান সবার ওপরে।

    সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের (Waqf Amendment Act)

    লোকসভায় ও রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়ে যেতেই পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। দেশের শীর্ষ আদালতে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে ওয়াকফ আইনের বিষয়ে। এই আইন বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানির আবেদন করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারপক্ষের যুক্তি না শুনে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারবে না শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী রাজনীতিবিদরা ছাড়াও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সহ দশটিরও বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন সদস্য। এরপরেই বিলটি (Waqf Amendment Act) পাশ হয়ে যায়। এর আগে ৩ এপ্রিল লোকসভায় বিলটি পাশ হয়। ২৮৮ জন সদস্য এই বিলকে সমর্থন করেন। ২৩২ জন সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

    মোদির বিবৃতি

    এই আবহে সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি। ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act) নিয়ে মোদি বলেন, ‘‘তোষণের ওই বীজ রোপণ হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে। ভারতের সঙ্গে যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছিল তাদের কাউকে বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতার লোভে দেশের বিভাজন হয়। এতে কংগ্রেস ও কট্টর মুসলিমদের লাভ হয়। কিন্তু গরিব, পিছিয়ে থাকা পসমন্দা মুসলিম সমাজের কী লাভ হয়? তাঁরা অশিক্ষা ও আয় না থাকার চক্রে আটকে পড়েন। আর মহিলারা শাহ বানোর মতো অবিচারের শিকার হন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যে সংবিধান ন্যায়ের কথা বলে তার থেকেও শক্তিশালী ছিল ওই আইন। ওই আইন এনে কট্টরপন্থী মুসলিম ও ভূমি মাফিয়াদের হাত শক্ত করা হয়। তাঁদের জমি হরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে আইন ন্যায়ের জন্য ছিল তা ভয়ের কারণে পরিণত হয়।’’

  • Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দিরে উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। তারপর থেকে অনেক জল গড়িয়েছে সরযূ নদী বেয়ে। এক বছর পরে উদযাপিত হয়েছে রামলালার অভিষেকের প্রথম বর্ষপূর্তি। সদ্য উদযাপিত হয়েছে রামনবমীও। এবার আগামী মাসেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ভগবান রামকে অযোধ্যার রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এর পাশাপাশি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলায় রাম দরবার বা রাজ দরবারের উদ্বোধন হবে। অর্থাৎ আগামী মাসেই রামের রাজত্ব অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে একথা বলাই যায়।

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবের মতো অতটা জমকালো হবে না অনুষ্ঠান

    তবে এই অনুষ্ঠান রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মতো অতটা জাঁকজমকপূর্ণ বা জমকালো হবে না বলেই জানিয়েছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট নিজেদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি যে ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। এই অনুষ্ঠান অতটাও জমকালো হবে না। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আট হাজার লোকের উপস্থিতি ছিল। তবে রাম দরবার প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ছোটখাটোভাবে সুন্দর করে করা হবে বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনাও তুঙ্গে।

    রাম দরবার (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমেই কাজ সম্পূর্ণ হবে রাম মন্দিরের

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে ২০২৫ পর্যন্ত সময় লাগবে। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে দিয়েই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় রাম মন্দিরের। এরপরে ২০২৪ সালেই উদ্বোধন করা হয় রাম মন্দির (Ayodhya)। রাম মন্দিরের বর্তমানে নির্মাণ কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। নৃপেন্দ্র মিশ্র একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন সচিবও ছিলেন।

    কী বলছেন নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র

    নৃপেন্দ্র মিশ্র সম্প্রতি জানিয়েছেন, মন্দির কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এই মাসের (এপ্রিল) শেষের দিকে সম্পূর্ণ হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে যে প্রাচীরের অবশিষ্ট কাজ রয়েছে সেগুলি ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এ নিয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মন্দিরে (Ram Mandir) এখনও কুড়ি হাজার ঘনফুট পাথর স্থাপন করা হয়নি। মন্দিরে নির্মাণ কাজ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে এবং ভিতরের সমস্ত মূর্তি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে স্থাপন করা হবে।’’ এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রামলালার মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন কর্নাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। ৫১ ইঞ্চি লম্বা মূর্তি স্থাপিত রয়েছে গর্ভগৃহে। অন্যদিক, রাম দরবারে ব্যবহৃত পাথরের খোদাইয়ের কাজ করছেন জয়পুরের ২০ জন দক্ষ শিল্পী।

    গড়া হয়েছে সন্ত তুলসী দাসের বিরাট মূর্তি

    একইসঙ্গে, রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে রামচরিত মানসের রচনাকার সন্ত তুলসী দাসের একটি বিশাল মূর্তিও প্রাজ্ঞণে স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম মন্দিরের কুড়ি একর জমিকেই ব্যাপকভাবে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রাম মন্দির তৈরি হয়েছে নাগরীতে রীতিতে। প্রসঙ্গত, প্রাণ প্রতিষ্ঠা যখন সম্পন্ন হয় তখন শুধুমাত্র গর্ভগৃহ এবং প্রথম তলাটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।

    গড়ে তোলা হয়েছে রামকথা জাদুঘর

    অযোধ্যায় রামের মূল মন্দির থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রামকথা জাদুকর। এখানেই ভগবান রাম যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছেন। রামায়ণের বিভিন্ন ঘটনাবলীও এখানে লিপিবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি রাম মন্দির আন্দোলনের ২০০ বছরের ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে এই জাদুঘরে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে যে সমস্ত জিনিসগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও এখানে সংরক্ষিত করা হয়েছে রামভক্তদের জন্য।

  • Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    Nabanna Abhijan: চিঁড়ে ভিজল না মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজ হল না! তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আর ভিজল না চিঁড়ে। তাই এবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। ২১ এপ্রিল হবে অভিযান (Suvendu Ahdikari)। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ও। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল এই সংগঠন। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযানে তারা পাশে চেয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারিকেও। এই অভিযানে যোগ দিচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। এই মঞ্চ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ডিএর দাবিতে।

    শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Nabanna Abhijan)

    জানা গিয়েছে, সোমবার বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিহারাদের একাংশ। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁদের এই নবান্ন অভিযানে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যদিও চাকরিহারাদের তরফে এখনও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ না হলে লাখো মানুষ পতাকা ছাড়াই নবান্নের দিকে পা বাড়াবে।” নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের ১২টি সংগঠন। সংগঠনগুলির একাংশের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারারাও নবান্ন অভিযানে তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজও (Nabanna Abhijan)।

    ‘আমরা চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব’

    পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের সদস্য সায়ন লাহিড়ি বলেন, “ভারতে গুরুশিষ্য পরম্পরা অতি প্রাচীন। আমরা হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াব। এটা আমাদের কর্মসূচি নয়। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্র সমাজকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।” আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে গত অগাস্টে নবান্ন অভিযান করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল অভিযানকারীদের। গ্রেফতার করা হয়েছিল ছাত্র সমাজের সদস্য সায়নকে। পরে হাইকোর্ট জামিন দেয় সায়নকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানেও রায় হয় জামিনের পক্ষেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ (Suvendu Ahdikari) তুলে পরের দিন বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি (Nabanna Abhijan)।

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত মাসুদ আজহারের আত্মীয় জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের ডেরা যে পাকিস্তান ফের, তা প্রমাণিত হল। পাকিস্তানের (Pakistan) পেশোয়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, জঙ্গি নেতা কারী ইজাজ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পেশোয়ারের পিস্তাখারা এলাকার কারী ইজাজ আবিদ (Qari Ejaz Abid) নামের ওই জঙ্গিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন ইজাজ।

    কী করতেন ইজাজ

    কারী ইজাজ আবিদ ছিলেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নামের এক কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ইজাজ দীর্ঘদিন ধরেই জৈশ-ই-মহম্মদের হয়ে তরুণদের জঙ্গী শিবিরে কৌশল খাটিয়ে যুক্ত করতেন। তার সঙ্গে ছিল মাওলানা মাসুদ আজহারের এক গভীর সম্পর্ক। তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। এমনকি বহুবার একই মঞ্চে বক্তৃতাও দিয়েছেন এবং একই দার্শনিক মতবাদ দেওবন্দী চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত। আসলে মাসুদ আজহারের কৌশল হল সরাসরি নয়, বরং অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের মাধ্যমে তরুণদের জঙ্গি দলে যোগদান করানো। আর কারী ইজাজ আবিদ সেই পদ্ধতির এক প্রধান কারিগর ছিলেন। জানা যাচ্ছে, প্রথমে তিনি তরুণদের নিজস্ব ধর্মীয় জমায়েতে ডাকতেন। তারপর ধাপে ধাপে তাদের মগজ ধোলাই করে উগ্রপন্থায় নিয়ে যাওয়া হত। আর এরপর তাদের পাঠানো হত জৈশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তাদের হাতে তুলে দেওয়া হত। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের জঙ্গি-শিবিরে যোগ দেওয়ানো হত।

    কেন হত্যা করা হল ইজাজকে

    পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পিস্তাখারা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মসজিদ থেকে বেরোনোর সময় ইজাজ আবিদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। আর ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। তার সঙ্গে থাকা কারী শাহিদ গুলিবদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলেই খবর। যদিও এই হামলাকারীদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে সূত্র বলছে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্রমাগত লড়াই লেগেই রয়েছে। আর এও হতে পারে যে, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী কারী ইজাজ আবিদকে সরিয়ে দিতে এই হামলার পথে হেঁটেছে। আবার এমনটাও হতে পারে যে, জৈশ-ই-মহম্মদের অন্দরমহলের থেকেই এই হামলা ঘটানো ঘটেছে। তবে ভারতের বহু নিরীহ মানুষের রক্তে হাত রাঙানো এই দুষ্কৃতিকর এহেন অবস্থা স্বস্তির খবর বলেই মনে করছে অনেকে।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

LinkedIn
Share