Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    CBSE: দশম ও দ্বাদশের জন্য নতুন সিলেবাস প্রকাশ করল সিবিএসই, জেনে নিন কী কী বদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিএসই (CBSE) সম্প্রতি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস প্রকাশ করল। এই সদ্য প্রকাশিত পাঠ্যক্রমে বিস্তারিতভাবে শিক্ষাবর্ষের সম্পূর্ণ কার্যক্রম (CBSE Syllabus) উল্লিখিত রয়েছে। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল বদল আনছে সিবিএসই। এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে এবং আরেকটি হবে এপ্রিলে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে।

    বিস্তারিত জানবেন কোথা থেকে

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির (৯, ১০, ১১ এবং ১২) পাঠ্যক্রম ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বোর্ডের একাডেমিক ওয়েবসাইট cbseacademic.nic.in থেকে সিবিএসই নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম দেখে নিতে পারেন। ২০২৬ সালের সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য কী কী জরুরি, কী কী বদল আসছে নিয়মে তা সবই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এখানে। ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (NCF) ২০২৩-এর সুপারিশ অনুসারে স্কুলগুলিকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার চাহিদা পূরণের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। এতে আরও বলা হয়েছে যে স্কুলগুলিকে শিক্ষাকে আরও আকর্ষক এবং অর্থবহ করার জন্য প্রোজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা, রিসার্চ-চালিত পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি-সক্ষম শিক্ষার উপর জোর দেওয়া উচিত।

    দশম শ্রেণির সিলেবাসে কী কী বদল

    গ্রেডিং সিস্টেম: ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে ৯ পয়েন্ট গ্রেডিং সিস্টেমের কথা। এর মাধ্যমে নম্বরকে সহজেই গ্রেডে রূপান্তর করা হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য বোর্ড পরীক্ষা হবে ৮০ নম্বরের, এর সঙ্গে বাধ্যতামূলক বিষয়ও রয়েছে। আর এর সঙ্গে ২০ নম্বর থাকবে শিক্ষার্থীদের আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের জন্য। এতে পাশ করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

    স্কিল-বেসড বিষয়: পড়ুয়ারা তিনটি স্কিল-বেসড বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারবেন– কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি অথবা হিন্দি যে কোনও একটি ভাষা বেছে নিতে হবে।

    কোর বিষয়: সিবিএসই জানিয়েছে, যদি কোনও ছাত্র-ছাত্রী একটি কোনও কোর বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, যেমন গণিত, বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান কিংবা ভাষার কোনও পেপারে, কিন্তু কোনও স্কিল বিষয়ে বা ঐচ্ছিক বিষয়ে পাশ করে থাকেন, তাহলে যে বিষয়ে ফেল করেছে পড়ুয়া তার বদলে রেজাল্ট গণনার সময় পাশ করা বিষয়গুলি বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

    দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস

    ২০২৬ সালে যারা দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দেবেন, তাদেরকেও ৯ পয়েন্টের গ্রেডিং সিস্টেমে মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া চারটি নতুন স্কিল ইলেক্টিভ বিষয় যুক্ত হয়েছে পাঠ্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েট, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড হার্ডওয়্যার, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি ট্রেনার, ডিজাইন থিঙ্কিং, ইনোভেশন। তবে ইনফরমেটিক্স প্র্যাক্টিসেস, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি এই তিনটি বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি বিষয় বেছে নেবেন শিক্ষার্থীরা। দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে ৭টি প্রধান শিখন ক্ষেত্র রয়েছে- ভাষা, কলাবিদ্যা, গণিত, বিজ্ঞান, স্কিল বিষয়, জেনারেল স্টাডিজ, স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা।

    নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবার থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমল বদল এনেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এবার থেকে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা (CBSE) দিতে পারবেন। যার মধ্যে একটি হবে ফেব্রুয়ারি মাসে আর অপরটি হবে এপ্রিলে। এই নিয়ম চালু হতে চলেছে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই। তবে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বছর একবার করেই আয়োজিত হবে। ২০২৬ সালে সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ থেকে। বোর্ড অনুমান করছে ২০২৬ সালে মোট ২০ লক্ষ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিতে চলেছে।

    কেন এই পরিকল্পনা

    ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি (NEP) ২০২০-র সুপারিশ মেনে, বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর ফলে প্রথমবার পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে, দ্বিতীয়বার সেই বিষয়ে আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফের পরীক্ষায় বসা যাবে। প্রথম পরীক্ষার পরই হাতে মার্কশিট পাওয়া যাবে না। ডিজি লকার থেকে প্রাপ্ত নম্বর ব্যবহার করে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে চূড়ান্ত রেজাল্ট দ্বিতীয় পরীক্ষার পর প্রকাশিত হবে। যদি কোনও শিক্ষার্থী প্রথম পরীক্ষার পর রেজাল্ট দেখে সন্তুষ্ট থাকেন, তবে তার দ্বিতীয় পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, চাইলে দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য ‘অপ্ট-আউট’ করার সুযোগও থাকছে। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন,  শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে এখন পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

     

     

     

     

  • AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    AFSPA: মণিপুরে ফের বাড়ল আফস্পার মেয়াদ, কার্যকর ১ এপ্রিল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত মণিপুরে (Manipur) জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কিন্তু অশান্তি তাতেও থেমে নেই। এখনও পর্যন্ত ইম্ফল, চুরাচান্দপুর-সহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য জুড়ে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’বা আফস্পার (AFSPA) (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট) মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। রবিবার, ৩০ মার্চ এই ঘোষণা করে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অন্যদিকে, গত ১৬ মার্চ মণিপুরে নিঁখোজ হন ২০ বছর বয়সি যুবক লুওয়াংথেম মুকেশ। তাঁর সন্ধানে ইতিমধ্যে একটি উচ্চ-স্তরের অনুসন্ধান কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১৬ মার্চ ইম্ফল পশ্চিমের কেইশাম্পাত লেইমাজম লেইকাই থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ওই যুবকের সন্ধান দিলে ১০ লাখ টাকার পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে মণিপুর সরকার।

    ৫ জেলার ১৩ থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই আফস্পা

    গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাঁচটি জেলার ১৩টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যেই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে আফস্পার (AFSPA)। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় নতুন করেও ওই আইন বলবৎ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ শেষেও মণিপুরে ছ’মাসের জন্য বর্ধিত হয়েছিল আফস্পা-র মেয়াদ। সেসময় ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, জিরিবাম-সহ ১৯টি থানা এলাকা বাদ দিয়ে বাকি রাজ্যে এই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে এবার ১৩টি থানা বাদ দিয়ে গোটা রাজ্যে বলবৎ হল সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী ছ’মাসের জন্য সমগ্র মণিপুর রাজ্যকেই ‘অশান্ত অঞ্চল’ বলে অভিহিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কার্যকরী হচ্ছে ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে

    ১ এপ্রিল থেকে নতুন নির্দেশ কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকেই মণিপুরে ২৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই আবহেই এই রাজ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসন (AFSPA) জারি হয়। মণিপুরের দায়িত্ব এখন সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা।

  • PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    PM Modi: মোদি-ভাগবতের যুগলবন্দি, রাজনীতির বাইরেও এক অটুট বন্ধনের বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও আরএসএসের সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই অভিন্ন আদর্শ ও গভীর পারস্পরিক শ্রদ্ধার। আরএসএসের প্রবীণরা প্রায়ই বলেন, তাঁরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন। বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ ভাইদের মতোই তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন। রবিবার নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে (Mohan Bhagwat) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁদের যুগলবন্দি— স্মৃতি মন্দিরে পাশাপাশি হাঁটা, মঞ্চে হালকা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া এবং সহজ-সরল সৌহার্দপূর্ণ আচরণ—এই সম্পর্কের একটি বিরল প্রকাশ যা জনসমক্ষে দেখা যায় না।

    বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত (PM Modi)

    যাঁরা ভিজ্যুয়ালি দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁরা খুব কমই জানতেন যে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে দুজনের মধ্যে বন্ধন— বৃহত্তম হিন্দুত্ব শক্তির প্রধান ও দেশের সবচেয়ে প্রতিভাধর মুখ— রাজনীতি, নিয়মিত বিষয় এবং সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ২০০০ সালে ভাগবতকে আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মোদি। একজন পদস্থ আরএসএস কর্মী বলেন, “যদিও তাঁরা বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবুও তাঁরা সবসময় একটি বিশেষ বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।”

    কী বলছে আরএসএস?

    আরএসএসের আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, “তাঁদের প্রায়ই জনসমক্ষে এক সঙ্গে দেখা যায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাঁরা (PM Modi) কথাবার্তা বলেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী এবং বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ রাখেন। আমরা প্রায়ই তাঁদের জয়-বীরু বলে ডাকি, যদিও আমাদের কাঠামোয় আমাদের সর্বদা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হয়, এমনকি কথাবার্তাতেও। কিন্তু আমরা তাঁদের বন্ধুত্ব, তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং আশ্চর্যজনক সংগঠনিক কাজের সমীকরণের কথা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। গত তিন দশক ধরে, আমরা সেখানে কোনও ফাটল দেখিনি (Mohan Bhagwat)।” আরএসএস সূত্রে খবর, শনিবার মোদি-ভাগবতের এই মঞ্চ শেয়ার কোনও আকস্মিক সাক্ষাতের উদাহরণ নয় এটি ছিল একটি বন্ধনের পুনর্নিশ্চয়তা, যা দশকজুড়ে সাধারণ মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা এবং সেবার প্রতি সমর্পণের মধ্যে প্রোথিত। রবিবার নাগপুরে দেশ যখন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল, তখন এই বন্ধনটি ফের একবার প্রমাণিত হয়েছিল।

    আরএসএসের সদর দফতরে মোদি

    রবিবারই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে পা রাখেন। কেবল পা রাখাই নয়, এদিন মোদি ভাগবতের সঙ্গে, আরএসএসের ভরকেন্দ্র স্মৃতি মন্দির পরিদর্শনও করেন। স্মৃতি মন্দির— যেটি রেশিমবাগে হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির নামে বেশি পরিচিত— সংঘের কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ড. হেডগেওয়ার এবং এমএস গোলওয়ালকরের (যিনি সংঘের মধ্যে ‘গুরুজি’ নামে খ্যাত) উত্তরাধিকার ও স্মৃতি বহন করে চলেছে। এটি সর্বদাই সংঘের সব স্তরের স্বয়ংসেবকদের জন্য তাত্ত্বিক চিন্তা ও শ্রদ্ধা নিবেদনের কেন্দ্রস্থল। ভাগবতের সঙ্গে মোদির রেশিমবাগে উপস্থিতি ভারতের পুনরুত্থানের লক্ষ্যে আরএসএস ও সরকারের মধ্যে চিন্তার ধারাবাহিকতাকে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করেছে। এটি সমগ্র সংঘ পরিবার, যার মধ্যে বিজেপিও অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় (Mohan Bhagwat)।

    “হম স্বয়ংসেবক”

    এদিন, স্মৃতি মন্দির থেকে মোদি ও ভাগবত মাধব নেত্রালয়ে পৌঁছান। এটি একটি প্রতিষ্ঠান যা আরএসএসের সেবা ধর্মের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দশকের পর দশক ধরে দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে তাদের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন, সংগঠনের কাজ এবং আরএসএসের বৃহত্তর মিশনের প্রশংসাও করেন। সমাজে শারীরিক ও আদর্শগত দৃষ্টিভঙ্গি দুইই আনার কথাও বলেন তিনি। তাঁর বক্তৃতায়, মোদি একজন বহিরাগতের মতো নয়, বরং তাঁদেরই একজন হিসেবে কথা বলেন। তিনি বারবার “হম স্বয়ংসেবক” শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে তাঁর আরএসএসের ঐতিহ্যকে পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, এক সময় আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন প্রধানমন্ত্রী। এই আনুষ্ঠানিকতার বাইরে যা চোখে পড়ল তা হল অকৃত্রিম কিছু মুহূর্ত— মোদি ও ভাগবতের সাবলীল কথোপকথন (Mohan Bhagwat), তাঁদের হাসি-ঠাট্টা এবং প্রাঞ্জল আলাপচারিতা।

    সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা বন্ধন

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদি-ভাগবতের এসব (PM Modi) আচরণ লোক দেখানোর জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে সম্মিলিত সংগ্রাম ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বন্ধন, একটি সম্পর্কের প্রতিফলন। তাঁদের মধ্যে যে আন্তরিকতা বিভিন্ন টুকরো টুকরো দৃশ্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, তা প্রায় সমস্ত অভিযোগমূলক বিভেদের ধারণা বা কোনও বিবাদের জল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছে। আরএসএসের কর্তাদের একাংশের মতে, এদিনের এই অনুষ্ঠানটি একটি সুসময়ের সংযোগ, সযত্নে তৈরি একত্রীকরণের একটি মুহূর্ত। এটি আরএসএস ও সরকারের মধ্যে আদর্শিক সেতুকে আরও শক্তিশালী করেছে। নাগপুরে (PM Modi) এই অনুষ্ঠানের মূল বার্তা স্পষ্ট— একটি ঐক্যবদ্ধ সংঘ পরিবারের প্রতিচ্ছবি (Mohan Bhagwat)।

    এক দেশ, এক ভারত!

  • Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    Chhattisgarh: হয় অস্ত্র ছাড়ো নয় মরো! ছত্তিশগড়ে আত্মসমপর্ণ ৫০ মাওবাদীর, সিদ্ধান্তকে স্বাগত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ব্যাপক সাফল্যের পরেই রবিবার পঞ্চাশ জনেরও বেশি মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। সে রাজ্যের বিজাপুর জেলার পুলিশের কাছে এই আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা। এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মাওবাদী দমনে আমরা সফল হয়েই চলেছি। হয় তারা আত্মসমর্পণ করুক, নয়তো তাদের গ্রেফতার করা হবে অথবা খতম করা হবে।’’ এই আবহে তাদের (মাওবাদী) সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অমিত শাহ।

    এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত, সমাজমাধ্যমে পোস্ট অমিত শাহের

    এ নিয়েই সামনে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি সমাজ মাধ্যমের পোস্ট। যেখানে তিনি লিখছেন, ‘‘এটা খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে ৫০ জনেরও বেশি মাওবাদী (Chhattisgarh) আজকে আত্মসমর্পণ করেছে বিজাপুর জেলায়। তারা হিংসার পথকে ছেড়েছে। আমি এদের প্রত্যেককে স্বাগত জানাতে চাই। তারা হিংসার পথ এবং অস্ত্র- দুটোকেই ছেড়েছে।’’

    ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদী মুক্ত হবে দেশ

    তিনি এক্ষেত্রে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি খুবই পরিষ্কার। যে সমস্ত মাওবাদী (Chhattisgarh) উন্নয়নের পথকে বেছে নেবে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করবে, তাদেরকে নতুনভাবে সমাজের স্রোতে ফিরিয়ে আনা হবে।’’ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন তাদের উদ্দেশে, যারা এখনও পর্যন্ত অস্ত্র পরিত্যাগ করেনি। ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীকে দেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।

    কী বলছেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা?

    এ নিয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা জানিয়েছেন, সরকার সর্বদা বল প্রয়োগ করে মাওবাদী দমনে বিশ্বাস রাখছে না। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এই (সশস্ত্র) পথে আছে তারা সেই পথ ছেড়ে দিক। চলতি বছরে ১৩৩ জন মাওবাদীকে মূল স্রোতে ফেরানো গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ছত্তিশগড় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২৮০০ থেকে ২৯০০ মাওবাদী (Maoists) হয় আত্মসমর্পণ করেছে, নয় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা খতম করা হয়েছে।

  • Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    Odisha: ওড়িশায় লাইনচ্যুত বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, মৃত ১, উঠছে নাশকতার প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইনচ্যুত হল বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু থেকে অসমের কামাখ্যা যাচ্ছিল ট্রেনটি। রবিবার ওড়িশার (Odisha) কটক স্টেশন ছেড়ে কেন্দাপাড়ার কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর অনুযায়ী, কামাখ্যা এক্সপ্রেসের (Bangalore Kamakhya Superfast Express) ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এই ঘটনায় মৃত ১ জন ও আহত ৭ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় নাশকতার প্রশ্নও উঠছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কটকের দিঘি ক্যানেলের কাছে, মাঙ্গুলিতে আচমকাই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একেবারে আতঙ্কে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আসেন।

    বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল (Odisha)

    এই ঘটনায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। জানা গিয়েছে, প্রথম কয়েক ঘণ্টা কোনও উদ্ধারকারী ট্রেন এসে পৌঁছায়নি। রেললাইনের ধারেই অপেক্ষা করছিলেন ট্রেনের যাত্রীরা। প্রসঙ্গত, রেল দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ধৌলি এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম

    ওড়িশা টিভি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার মুহূর্তে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের গতি ছিল অত্যন্ত কম। লাইনে কোনও গোলমাল থাকায় প্রথমে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর সেই ধাক্কার অভিঘাতে পর পর আরও ১০টি বগি লাইন থেকে সরে যায়। তবে আরও বড় দুর্ঘটনা হতে পারত, যা এড়ানো গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছোনোর বিকল্প বন্দোবস্ত করা হবে।

    কী বললেন রেল আধিকারিক

    পূর্ব উপকূলীয় রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অশোক মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রবিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কামাখ্যা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। আমরা সেই খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আর একটি ট্রেন পাঠানো হয়েছে। রেল আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরাও পৌঁছেছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’অশোক আরও বলেন, ‘‘কী কারণে দুর্ঘটনা, এত দ্রুত তা বলা মুশকিল। এখন আমাদের অগ্রাধিকার দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

  • PM Modi: ‘‘আরএসএস ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ’’, নাগপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আরএসএস ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ’’, নাগপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগপুরে সংঘের সদর কার্যালয়ে গিয়ে আরএসএস-কে ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথমবার নাগপুরে আরএসএস (RSS) সদর দফতরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঘটনাচক্রে এদিনই চৈত্র নবরাত্রির সূচনা হল। প্রধানমন্ত্রী মোদির আগে ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়িও নাগপুরে আরএসএসের সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালে শেষবার নাগপুরের আরএসএস-এর সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন মোদি। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ৷

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট

    সংঘ পরিবারের একশো বছরের যাত্রা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘দাসত্বের শেষ দশকে ডাক্তারসাহেব ও গুরুজির মতো মহান ব্যক্তিরা আরএসএসকে নতুন শক্তি দিয়েছিলেন। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাষ্ট্রীয় চেতনার সংরক্ষণ ও প্রসারের জন্য একশো বছর আগে যে ভাবনার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা এখন বিশ্বের সামনে বটবৃক্ষের রূপ পেয়েছে। সিদ্ধান্ত ও আদর্শ এই বটবৃক্ষকে শ্রেষ্ঠত্বে উন্নীত করেছে। লক্ষ-কোটি স্বয়ংসেবক বটবৃক্ষের শাখা-প্রশাখা। এটা সাধারণ কোনও বটবৃক্ষ নয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট। এই মহীরুহ ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় চেতনাকে অবিরত শক্তিশালী করে চলেছে।’’

    গত একশো বছরে আরএসএসের সংগঠন ও সমর্পণের তপস্যার ফল দেশ আজ পেয়েছে

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, ‘‘গত একশো বছরে আরএসএসের সংগঠন ও সমর্পণের তপস্যার ফল দেশ আজ পেয়েছে। তাই দেশ ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ১৯২৫-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সময়কালে দেশ সঙ্কটে ছিল। সেই সময় দেশে স্বাধীনতা জন্য সংগ্রাম চলছিল। একশো বছর পরে আরএসএস একটা নতুন মাইলফলকে পা রাখতে চলেছে। ২০২৫ থেকে ২০৪৭ সাল-এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে অনেক বড় বড় লক্ষ্য রয়েছে। আগামী এক হাজার বছরের শক্তিশালী ও উন্নত ভারতের ভিত্তি প্রস্তর আমাদেরই স্থাপন করতে হবে। দেশে সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি চলছে। এদিকে আরএসএস (RSS) একশো বছর পূর্ণ করছে।’’

  • Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    Chaitra Navratri 2025: স্বয়ং ব্রহ্মা তৈরি করেছিলেন পুষ্করের এই নবদুর্গা মন্দির, নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, রবিবার। শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র নবরাত্রি (Chaitra Navratri 2025)। এদিন থেকেই লাখ লাখ ভক্ত জড়ো হতে শুরু করেছেন আজমেঢ়ের প্রাচীন নবদুর্গা মন্দিরে (Nav Durga Temple)। প্রতিবারের মতো এবারও মধ্যপ্রদেশের এই মন্দিরে উড়ছে ১০৮ ফুট উঁচু একটি পতাকা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়ই। ত্রিমূর্তির প্রধান দেবতা সৃষ্টিকর্তা ভগবান ব্রহ্মা পুষ্করের নাগ পাহাড়ের প্রান্তে নবদুর্গাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যাতে নবদুর্গা মা সৃষ্টি যজ্ঞে বাধা সৃষ্টিকারী নেতিবাচক শক্তিগুলিকে ধ্বংস করতে পারেন।

    মন্দিরের বিশেষত্ব (Nav Durga Temple)

    স্থানীয়দের বিশ্বাস, নবদুর্গা মা পুষ্করকে রক্ষা করেন। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, ভক্তরা এখানে এক সঙ্গে দেবীর নটি রূপের দর্শন লাভ করতে পারেন। এটি দেবী দুর্গার এমন একটি মন্দির, যেখানে দেবীর নটি রূপের মূ্র্তিই তৈরি মাটি দিয়ে। ভক্তদের কাছে নবদুর্গা মা নৌসর মাতা নামেও পরিচিত। বছরভর ভক্ত সমাগম হলেও, বছরে দুটি নবরাত্রিতে ব্যাপক ভিড় হয়। গোটা দেশে চৈত্র নবরাত্রি উপলক্ষে নবদুর্গার পুজো হয়। আজমেঢ়ের এই মন্দিরেও ঘটা করে পুজো হবে দেবী দুর্গার নটি রূপের। পদ্ম পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে পুষ্করের নাগ পাহাড়ের চূড়োয় অবস্থিত নবদুর্গা মায়ের এই মন্দিরের।

    মন্দির তৈরি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা

    শোনা যায়, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির সময় জগৎপিতা ব্রহ্মা পুষ্করে যজ্ঞ করেছিলেন (Chaitra Navratri 2025)। যজ্ঞ পণ্ড করতে উপদ্রব শুরু করেছিল নেতিবাচক বিভিন্ন শক্তি। তখন ব্রহ্মা আদি শক্তির আরাধনা করে অপশক্তির হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করতে অনুরোধ করেন (Nav Durga Temple)। তখনই দেবী পুষ্করে নটি রূপে আবির্ভূত হন। সৃষ্টি যজ্ঞ শেষে স্বয়ং ব্রহ্মা এখানে নবদুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। নৌসর মাতা মন্দিরের পীঠাধীশ্বর রামকৃষ্ণ দেব বলেন, “মায়ের এই মন্দির ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগে থেকেই বিদ্যমান। মায়ের এমন রূপ পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না।” তিনি বলেন, “এখানে একই দেহে দেবীর নটি ভিন্ন মুখমণ্ডল রয়েছে। নৌসর মায়ের এই অতি প্রাচীন মন্দির ভক্তদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

    কী বলছেন পীঠাধীশ্বর

    রামকৃষ্ণ বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গেলেও, দেবী মূর্তির উজ্জ্বলতা এখনও অক্ষত রয়েছে। এটি একটি রহস্য। দ্বাপর যুগে, বনবাসের সময় পাণ্ডবরা পুষ্করের নাগ পাহাড়ে দীর্ঘকাল বসবাস করেছিলেন। পাণ্ডবরা এখানে শিব ও শক্তির পূজা করতেন। বনবাসের সময় পাণ্ডবরা এই মন্দিরে নবদুর্গার (Nav Durga Temple) পুজো করেছিলেন। এই মন্দিরের নবদুর্গার ভক্ত ছিলেন চৌহান রাজবংশের রাজারা। শোনা যায়, মহম্মদ ঘোরিকে যুদ্ধে পরাজিত করার আগে পৃথ্বীরাজ চৌহানও পুজো করেছিলেন এই নবদুর্গার। পীঠাধীশ্বর (Chaitra Navratri 2025) বলেন, “আওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী নবদুর্গা মায়ের মন্দিরের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। তারা মন্দিরের একটি অংশের চারটি দেওয়াল ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু তারাও মন্দিরে থাকা মায়ের মূর্তির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। মারাঠারা আজমেঢ়ের দখল নিলে নবদুর্গা মন্দিরের সংস্কার সাধন করেছিলেন।” তিনি জানান, পরে মন্দির সংস্কার করেন পীঠাধীশ্বর সন্ত বুধকরণ মহারাজ। সেও প্রায় ১৩২ বছর আগে।

    দেবীর ন’টি রূপ

    প্রসঙ্গত, বছরে চারবার নবরাত্রি উৎসব আসে। এর মধ্যে দুটি গুপ্ত। প্রকট বাকি দুটি – একটি চৈত্র নবরাত্রি, অন্যটি আশ্বিন নবরাত্রি। এই দুই নবরাত্রিতেই আরাধনা করা হয় দেবী দুর্গার। ন’টি দিনে দেবীর নয় রূপের পুজো করা হয়। দেবীর এই ন’টি রূপ হল শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী। আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুক্লা নবমী পর্যন্ত ন’দিন ধরে পালন করা হয় নবরাত্রি ব্রত (Chaitra Navratri 2025)। এই ন’দিনে দেবীর দুর্গার ন’টি রূপের আরাধনা করা হয়। চৈত্রের শুক্লা প্রতিপদ থেকে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি ব্রত।

    কোন দিনে কী রূপে পুজো পান দেবী

    প্রতিপদে দেবী দুর্গা রূপ নেন হিমালয়ের কন্য শৈলপুত্রীর। দ্বিতীয়ায় সেই একই শক্তি ধারণ করেন ব্রহ্মচারিণীর রূপ। তৃতীয়ায় তিনি চন্দ্রঘণ্টার রূপ ধারণ করেন। দেবীর এই রূপ সাহস ও সৌন্দর্যের প্রতীক। চতুর্থীতে দেবী রূপ নেন কুষ্মাণ্ডার। পুরাণ অনুযায়ী, এই রূপেই দেবী সৃষ্টি করেন বিশ্ব চরাচর। পঞ্চমীতে দেবী পুজিত হন স্কন্দমাতা রূপে। ষড়ানন কার্তিকের জননী হিসেবে পুজিতা হন তিনি। কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তাই দেবী স্কন্দমাতা (Nav Durga Temple)। ষষ্ঠীতে দেবী পুজিত হন কাত্যায়নী রূপে। এই রূপে রয়েছে দেবীর চার হাত ও ত্রিনয়ন। এখানে দেবীর বাহন সিংহ। সপ্তম দিনে দেবী পুজিত হন কালরাত্রি রূপে। এদিন তিনি ভক্তদের সাহস ও উৎসাহ দান করেন। অষ্টমীতে দেবী হন মহাগৌরী। আর নবমীতে তিনিই হন সিদ্ধিদাত্রী। দেবীর এই রূপে অষ্টসিদ্ধি ঘিরে রাখেন তাঁকে (Chaitra Navratri 2025)।

    প্রসঙ্গত, চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমীতে পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার। আর এই নবরাত্রির নবমী তিথি পরিচিত রামনবমী হিসেবে (Nav Durga Temple)।

  • US F1 Visa: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশো এফ-১ ভিসা বাতিল, উদ্বেগে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    US F1 Visa: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশো এফ-১ ভিসা বাতিল, উদ্বেগে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকশো আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার ভিসা বাতিল করার নোটিশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মার্তিন যুক্তরাষ্ট্রে। জানা গিয়েছে, কয়েকসো ছাত্র-ছাত্রীর এফ-১ ভিসা (US F1 visa) বাতিল হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর ফলে সে দেশে পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। যার মধ্যে অনেক ভারতীয় পড়ুয়াও রয়েছে। প্রসঙ্গত এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসা বাতিলের কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত পড়ুয়া সমাজ মাধ্যমে দেশবিরোধী পোস্টে লাইক করেছেন, কমেন্ট করেছেন অথবা শেয়ার করেছেন, তাঁদেরকেই এই পর্যায়ে ফেলা হয়েছে।

    মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (US F1 visa)

    এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এর পরে আন্তর্জাতিক পড়ুয়ারা কীভাবে নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাবেন? এই আবহে তাঁরা(পড়ুয়ারা) নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে নিউইয়র্কে ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে দারস্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে যে সমস্ত পড়ুয়াদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেক ভারতীয়রা (US F1 visa) রয়েছেন। সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকরা এই বিষয়টি দেখভাল করছেন।

    ১১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয়

    ওপেন ডোর্স নামের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখ ৩১ হাজার ভারতীয়। এবার আমরা জেনে নেব এফ-১ ভিসা কী? এটি এক ধরনের ভিসা যা আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের যে কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসের (F1 Visa) জন্য দেওয়া হয়। সাধারণভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, সেমিনার বা অনুমোদিত ভাষা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম- এই জায়গাগুলোতে দেওয়া হয় এই ভিসা। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজেদের (US F1 visa) যোগ্যতা মান পূরণ করতে হয়। ইংরেজি বিষয়ে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দেখাতে হয়। এই আবহে এফ-১ ভিসা বাতিলের নোটিশ আসায় বেশ উদ্বেগে পড়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা।

  • Ujjains Clock Tree: ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! এই বিশ্বাসে উজ্জয়িনীতে গাছে বাঁধা হয় ঘড়ি

    Ujjains Clock Tree: ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! এই বিশ্বাসে উজ্জয়িনীতে গাছে বাঁধা হয় ঘড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জয়িনীর ঘড়ির গাছ (Ujjains Clock Tree) এক অন্যতম বিস্ময়। এখানেই দলে দলে ভক্তরা ছুটে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী (Ujjain) শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে এই জায়গাটি। এখানকার গাছ ঘড়ি ওয়ালে বাবা বা ঘড়ির গাছ নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা তাঁদের মনস্কামনা নিয়ে আসেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই গাছ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই গাছে ঘড়ি বাঁধলে তাঁদের সময় ভালো যাবে এবং ভাগ্যেরও পরিবর্তন হবে। জানা যাচ্ছে, ঘড়ি ওয়ালে গাছে বর্তমানে এক লাখেরও বেশি ঘড়ি ঝোলানো হয়।

    কী বলছেন স্থানীয় বালু সিং?

    উজ্জয়িনীর ওই ঘড়ির গাছের (Ujjains Clock Tree) রক্ষণাবেক্ষণ করেন বালু সিং। তিনি স্থানীয় অঞ্জনা মন্দিরেরও দায়িত্বে রয়েছেন। বালু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণরূপে ভক্তদের একটি বিশ্বাস। মানুষ এখানে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়। গাছের সঙ্গে একটি হাতঘড়ি কিংবা দেওয়াল ঘড়ি বেঁধে দেন। এই বিশ্বাস নিয়েই তাঁরা ঘড়ি বাঁধেন এবং গাছ দর্শন করেন যে তাঁদের সময় পরিবর্তন হবে। আবার অনেকে ইচ্ছা পূরণ হওয়ার পরেও ঘড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে যান গাছে।’’

    মানুষের মনের ইচ্ছা সর্বদাই প্রতিধ্বনিত হয় ঘড়ির শব্দে

    উজ্জ্বয়িনীর ঘড়ি (Ujjains Clock Tree) গাছ হল এমন একটি গাছ যেখানে মানুষের মনের ইচ্ছা সর্বদাই প্রতিধ্বনিত হয় ঘড়ির শব্দে। যেখানে ভক্তি মিশেছে ঘড়ি বাঁধার বিশ্বাসে। গাছের নীচে অথবা তার কাছাকাছি যে কোনও জায়গাতেই যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে কানে শুধু ভেসে আসবে একটাই আওয়াজ। তা হল ঘড়ির টিক টিক শব্দ। এই জায়গাটি আপনাকে আরও একবার বুঝতে সাহায্য করবে যে সময় কারও জন্য সত্যিই অপেক্ষা করে না। গত কয়েক বছর ধরেই এখানে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দর্শনার্থীদের জন্য আশপাশে একটি বড় বাজারও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে এখানে সে অর্থে কোনও পুরোহিত বা পুজোর রীতিনীতি নেই। ঘড়ি (Ujjains Clock Tree) ছাড়াও অনেক ভক্ত আসেন এখানে। তাঁরা ঘড়ি গাছে নারকেল, ধুপকাঠি ইত্যাদি উৎসর্গ করেন। মানুষদের আস্থা-বিশ্বাস এবং ভক্তির জেরে জায়গাটি পরিণত হয়েছে তীর্থক্ষেত্রে।

  • Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    Amit Shah: হয়েছে রাম মন্দির, বাতিল ৩৭০ ধারা, এই আবহে ইউসিসি নিয়ে বড় ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির হয়েছে। বাতিল ৩৭০ ধারা। বাকি আছে ইউসিসি হতে। আমরা তাও করব। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu And Kashmir) খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মর্যাদা খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীরে। কিন্তু সেটা কবে হবে? তা এইভাবে প্রকাশ্য মঞ্চে বসে বলা সম্ভব নয়।

    ইউসিসি নিয়ে কী বললেন শাহ (Amit Shah)?

    এদিন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়েও ফের একবার বলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘এটা আসবেই। এটা ছিল সংবিধান সভার সিদ্ধান্ত (ইউসিসি চালু করার)। কংগ্রেস হয়তো ভুলে গেছে কিন্তু আমরা তা ভুলে যাইনি। আমরা বলেছিলাম আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করব। আমরা তা করেছি। আমরা বলেছিলাম আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করব। আমরা তাও করেছি। এখন ইউসিসি হতে বাকি। আমরা তাও করব।’’ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার দিল্লির বাসভবনে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগে শাহ বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, গত বছরই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সে প্রসঙ্গও এদিন সাংবাদিকদের সামনে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ছিল প্রথমবারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে ভোট, ৪০ বছরে যেখানে কোনও জায়গাতে ফের ভোট নিতে হয়নি। কখনও কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়নি। একটা গুলিও চলেনি। তারপরেও ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে। এটা একটা বড় পরিবর্তন এসেছে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

LinkedIn
Share