Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • PM Modi: ১০ ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হল ফ্রিডমানের পডকাস্ট শো, সমাজমাধ্যমে পোস্ট মোদির

    PM Modi: ১০ ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হল ফ্রিডমানের পডকাস্ট শো, সমাজমাধ্যমে পোস্ট মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যান (Lex Fridman)। মার্কিন পডকাস্টারের নেওয়া এই সাক্ষাৎকার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। এবার এই পডকাস্টটি দশটি ভারতীয় ভাষাতে অনুবাদ করা হল। একথা সমাজমাধ্যমের পোস্টে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষজন এই পডকাস্টটি শুনতে উৎসাহিত হবেন।

    নিজের পোস্টে কী লিখলেন মোদি?

    এ নিয়ে নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘সম্প্রতি লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এই পডকাস্ট শো অনেকগুলি ভাষাতে উপলব্ধ হয়েছে। ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এই কথোপকথন আরও বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাবে।’’ নিজের এক্স মাধ্যমে ইউটিউবের একটি লিংকও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় দূরদর্শন বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতে ওই পডকাস্টটিকে অনুবাদ করেছে। জানা যাচ্ছে, অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে গুজরাটি, তেলেগু, পাঞ্জাবি, বাংলা, কন্নড়, মারাঠি, অসমীয়া, ওড়িয়া, তামিল এবং মালায়ালাম ভাষাতেও।

    পডকাস্ট ইউটিউবে আপলোড করা হয় ১৬ মার্চ

    প্রসঙ্গত, ওই পডকাস্টটি ইউটিউবে আপলোড করা হয় গত ১৬ মার্চ। এই পডকাস্ট শো-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) বিভিন্ন ইস্যুতে বলতে শোনা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে ক্রিকেট, ফুটবল থেকে আন্তর্জাতিক ইস্যু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে পাকিস্তান, নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ- সমস্ত কিছু নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।পডকাস্ট শো-এর শেষে ফ্রিডম্যান সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। নিজের পোস্টে ফ্রিডম্যান লেখেন, ‘‘আমার জীবনের অন্যত্র শক্তিশালী কথোপকথন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে।’’  এরপরেই ফ্রিডম্যানের পোস্টের প্রত্যুত্তর দেন মোদি। নিজের পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আমার কথোপকথন দুর্দান্ত ছিল। আমি আমর ছোটবেলার স্মৃতিচারণা থেকে হিমালয়ে আমার কাটানো দিনের কথা বলি সেখানে। এরপর জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দিনগুলি নিয়েও কথা হয়।’’

  • Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” শুক্রবার রাজ্যসভায় এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি পাঞ্জাবে উগ্রপন্থী অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা দেশে সন্ত্রাসবাদকে বিকশিত হতে দেবেন না।

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা চালিত সন্ত্রাসবাদকে দেশে বিকশিত হতে দেব না। এটি শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী জার্নাল সিং ভিন্দ্রাওয়ালের পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁরা এখন অসমের জেলে রয়েছেন।” প্রসঙ্গত, অমৃতপাল সিং ও তাঁর সহযোগীরা গত দু’বছর ধরে এনএসএ-র অধীনে অসমের ডিব্রুগড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। খাদুর সাহিব আসন থেকে জয়লাভও করেছিলেন।

    পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা

    এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোগার রোডে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন গারদে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে নিরাপদ।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন শাহ। তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ, বামপন্থী চরমপন্থা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। এগুলি চার দশকে ৯২ হাজার নাগরিকের জীবন কেড়ে নিয়েছে।” শাহ (Amit Shah) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের প্রয়োজন সাহস ও দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকা।” জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেন।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এক সময় ছিল যখন বোমা বিস্ফোরণ নিয়মিত ঘটনা ছিল। আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই, গত ১০ বছরে, এমন বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ হয়েছে। এখন কেউ আর বিস্ফোরণ ঘটানোর সাহস পায় না। নরেন্দ্র মোদীর অধীনে দেশ নিরাপদ। আমরা সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”  তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ এখন নিরাপদ। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধী দলগুলির চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনাদের (বিরোধী দল) এবং দেশকে নিরাপদ রাখব (Terrorism)।”

  • VHP: রানা সঙ্গ বিশ্বাসঘাতক! বিতর্কিত মন্তব্য সমাজবাদী পার্টির নেতার, ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি ভিএইচপি-র

    VHP: রানা সঙ্গ বিশ্বাসঘাতক! বিতর্কিত মন্তব্য সমাজবাদী পার্টির নেতার, ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেবারের রাজা রানা সঙ্গকে (Rana Sanga Remark) বিশ্বাসঘাতক বলে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামজি লাল সুমন। এই মন্তব্যে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই আবহে তীব্র প্রতিক্রিয়া সামনে এল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP)। সমাজবাদী পার্টির সাংসদের এমন মন্তব্যের কারণে কড়া নিন্দাও জানাল এই হিন্দু সংগঠন। রাজপুত যোদ্ধাকে এ ধরনের অপমানের ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এর পাশাপাশি এমন মন্তব্য করার কারণে সমাজবাদী পার্টির নেতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে তারা।

    সম্প্রতি সমাজবাদী পার্টির সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রামজি লাল সুমনকে মন্তব্য করতে শোনা যায় যে রানা সঙ্গ অথবা সংগ্রাম সিং ছিলেন একজন বিশ্বাসঘাতক। যিনি ইব্রাহিম লোদিকে পরাস্ত করতে বাবরকে ভারতে ডেকে এনেছিলেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রানা সঙ্গ (Rana Sanga Remark) অথবা সংগ্রাম সিংহ ছিলেন মেবারের রাজা। ১৫০৮ থেকে ১৫২৮ সাল পর্যন্ত তিনি মেবার শাসন করেছিলেন বলে জানা যায়। সমাজবাদী পার্টির সাংসদের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) জাতীয় মুখপাত্র অমিতোষ পারেক।

    কী বললেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) নেতা অমিতোষ

    নিজের বিবৃতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) নেতা বলেন, ‘‘যে ধরনের মন্তব্য রামজি লাল সুমন করেছেন, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মেবারের সংগ্রামী এবং বীরত্বের ইতিহাসের সঙ্গে এই মন্তব্য কখনও খাপ খায় না। রানা সঙ্গ অথবা সংগ্রাম সিংহ শুধুমাত্র মেবারের নয়, সমগ্র রাজস্থানের গর্ব। রানা সঙ্গ অথবা সংগ্রাম সিংহ ১০০টিরও বেশি যুদ্ধ জিতেছিলেন এবং তিনি ইব্রাহিম লোদীকে পরাস্ত করেছিলেন।’’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতার কথায়, ‘‘এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আসলে প্রমাণ করেছেন, তাঁর মানসিকতা ঠিক কী?’’ এর পাশাপাশি এই মন্তব্যের জন্য সমাজবাদী পার্টির ওই সাংসদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

  • RSS: স্বাধীনতা সংগ্রামী উল্লালের মহারানি আব্বাক্কাকে শ্রদ্ধা আরএসএসের সরকার্যবাহকের

    RSS: স্বাধীনতা সংগ্রামী উল্লালের মহারানি আব্বাক্কাকে শ্রদ্ধা আরএসএসের সরকার্যবাহকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহীয়সী নারী স্বাধীনতা সংগ্রামী উল্লালের মহারানি আব্বাক্কা ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক, অপরাজেয় কৌশলবিদ এবং অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ শাসক। তিনি দক্ষিণ কন্নড় জেলার (বর্তমানে উপকূলীয় কর্ণাটক) উল্লাল সামস্থান সফলভাবে শাসন করেছিলেন। বীর রানি আব্বাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) (RSS)।

    পর্তুগিজ হানাদারদের পরাজিত করেছিলেন রানি (RSS)

    শাসনকালে আব্বাক্কা পর্তুগিজ হানাদারদের একাধিকবার পরাজিত করেছিলেন। এই পর্তুগিজরা তখন বিশ্বের সবচেয়ে অপরাজেয় সামরিক শক্তিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হত। কূটনৈতিক দক্ষতা ও কৌশলগত মিত্রতার (উত্তর কেরলের সামুথিরি রাজার সঙ্গে) সাহায্যে তিনি রক্ষা করেছিলেন তাঁর রাজ্যের স্বাধীনতা।  , তাঁর কৌশল, বীরত্ব এবং নির্ভীক নেতৃত্ব তাঁকে ইতিহাসের পাতায় “অভয়রানি” বা নির্ভীক রানির সম্মান এনে দিয়েছিল।

    মহারানি আব্বাক্কা

    মহারানি আব্বাক্কা ছিলেন ধার্মিক। তিনি বহু শিব মন্দির এবং তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করে ভারতের সমন্বয়মূলক ঐতিহ্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। শাসন কালে রানি নিশ্চিত করেছিলেন যাতে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সমান সম্মান দেওয়া হয় এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হয়। এই সম্মান এবং ঐক্যের উত্তরাধিকার কর্নাটকে আজও প্রতিধ্বনিত হয়। রানির অমর কীর্তিগুলি যক্ষগান, লোকগীতি এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে আজও বেঁচে রয়েছে।

    তাঁর অদম্য সাহস, জাতি ও ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা এবং কার্যকর শাসনের স্বীকৃতি স্বরূপ, ভারত সরকার ২০০৩ সালে তাঁর স্মরণে তাঁর নামে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। এভাবে তাঁর বীরত্বের গল্প জাতির মনে গেঁথে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। ২০০৯ সালে রানি আব্বাক্কার নামে একটি পেট্রোল ভেসেলের নামকরণ করা হয়। এটি তাঁর নৌ কমান্ডের উত্তরাধিকারের একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে কাজ করে (RSS)।

    আরএসএসের (RSS) তরফে জারি করা বিবৃতিতে সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসেবল বলেন, “মহারানি আব্বাক্কার জীবন সমগ্র জাতির জন্য একটি গভীর অনুপ্রেরণা স্বরূপ। তাঁর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আরএসএস এই অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানায়। তাঁর গৌরবময় জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে চলমান জাতি-গঠনের মিশনে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার জন্য সমগ্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানায়।”

  • Kannada Devotees Stilt Walk: উগাদি উৎসব উপলক্ষে কৃচ্ছ সাধন ভক্তদের, রণ পায়ে চলেছেন দেব দর্শনে

    Kannada Devotees Stilt Walk: উগাদি উৎসব উপলক্ষে কৃচ্ছ সাধন ভক্তদের, রণ পায়ে চলেছেন দেব দর্শনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগিয়ে আসছে উগাদি উৎসব। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশৈলম মন্দিরে দেবদর্শন করতে এবং দেবতা মল্লান্নার কাছে প্রার্থনা করতে রণ পায়ে (Kannada Devotees Stilt Walk) হাঁটছেন কন্নড় ভক্তদের একাংশ। কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা শ্রী ভ্রমরাম্বা মল্লিকার্জুন স্বামী মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য শত শত কিলোমিটার হেঁটে যান।

    দেবদর্শনে ভক্তের সারি (Kannada Devotees Stilt Walk)

    মল্লান্না দেবতার মন্দিরের দিকে চলে যাওয়া রাস্তাগুলির বিভিন্ন জায়গায় শ্রীশৈলম মন্দিরের দিকে যাওয়া এমন ভক্তদের সারি দেখা যাচ্ছে। এই ভক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে কুর্নুল শহর এবং এর আশপাশে এলাকায় স্টিল্টে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে ভগবান শিবের নাম জপ করছেন। ভক্তদের একাংশকে শ্রীলিঙ্গম পাহাড়ের দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে পালকিতে করে শিবলিঙ্গ বহন করতেও দেখা গিয়েছে।

    উগাদি উৎসব

    উগাদি উৎসব (Kannada Devotees Stilt Walk) ইউগাদি নামেও পরিচিত। এটি একটি প্রাণবন্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু উৎসব যা প্রধানত অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা এবং কর্ণাটকে উদযাপিত হয়। চান্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন বছরের সূচনা হিসাবে চৈত্র মাসের প্রথম দিনে এই উৎসবটি পালিত হয়, যা বসন্তের আগমন এবং নতুন বছরের শুরুকে নির্দেশ করে। চলতি বছর এই উৎসব হবে ৩০ মার্চ। এই দিনে এই অঞ্চলগুলির লোকজন ঐতিহ্যপূর্ণ, সুস্বাদু খাবার রান্নাবান্না করেন। মন্দির দর্শন এবং পঞ্চাঙ্গ শ্রবণ এই দিনের মূল অনুষ্ঠান। উগাদি পাচাদি হল রান্নার হাইলাইট। এটি একটি অনন্য খাবার যা জীবনের ছটি স্বাদ—মিষ্টি, টক, নোনতা, তিক্ত, মশলাদার এবং কষা—জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা গ্রহণের প্রতীক। এর পাশাপাশি, পুলিহোরা, বোব্বাটলু, পায়সম এবং বড়ার মতো অন্যান্য উৎসবের খাবারও প্রস্তুত করা হয়। উৎসব উপলক্ষে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

    উগাদি উৎসব পালন করার (Kannada Devotees Stilt Walk) আগে পুণ্যার্থীরা কৃচ্ছসাধন করেন। এঁদের অনেকেই মাইলের পর মাইল হেঁটে গিয়ে দর্শন করেন শ্রীশৈলম মন্দির। এই মন্দিরে রয়েছেন ভগবান শিব। আরও কিছু দেবদেবীও রয়েছেন। মূলত ভগবান শিবকে দর্শন করতেই নানা কসরত করেন ভক্তরা। দেবদর্শন শেষে বাড়ি ফিরে পালন করেন উগাদি পাচাডি (Kannada Devotees Stilt Walk)।

  • Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত স্থগিত হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফর। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষেই রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলায় (BJP) আসছেন না। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকার কারণেই তাঁর বঙ্গ সফর স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে, পরবর্তী তারিখের ব্যাপারেও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

    ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)

    উল্লেখ্য চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাতে রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। এর ঠিক পরের দিন ৩০ মার্চ রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। তবে বিজেপির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাস নাগাদ অমিত শাহের নতুন সফর সূচি জানানো হতে পারে।

    ৩০ মার্চ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল

    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছিল, আগামী ৩০ মার্চ সারাদিন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই সময় কথা হবে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে তা পিছিয়ে গেল। বিজেপির সূত্রে শোনা যাচ্ছে, মার্চের বদলে আগামী এপ্রিল – অর্থাৎ – পরের মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন অমিত শাহ। কিন্তু এখনও সেই শাহী সফরের দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি। এনিয়ে তবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    নয়া সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন শাহ?

    দলীয় সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, নয়া রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর ছাব্বিশের বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি কেবলমাত্র যেকোনও একটি পদেই থাকতে পারবেন। বর্তমান বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রে মোদি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদেও তাঁর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

  • Justice Varma: সম্পূর্ণ হাস্যকর! তিনি বা পরিবারের কেউ টাকা রাখেননি, জানালেন জাস্টিস বর্মা

    Justice Varma: সম্পূর্ণ হাস্যকর! তিনি বা পরিবারের কেউ টাকা রাখেননি, জানালেন জাস্টিস বর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Varma) বাড়ি থেকে সম্প্রতি উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি, ভিডিও সহ মামলার পুরো অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। হোলির রাতে বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে আগুন নেভানোর অভিযানের ছবি ও ভিডিও রয়েছে ওই ২৫ পাতার রিপোর্টেই। তবে এমন অভিযোগ উঠতে যশবন্ত বর্মা এই গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিচারপতি জাস্টিস বর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য কখনও বাড়ির স্টোর রুমে কোনও নগদ টাকা রাখেননি। অর্থাৎ যে বিপুল নগদ উদ্ধার হয়েছে, তা তাঁদের নয় বলেই জানিয়েছে জাস্টিস বর্মা।

    কী বলছেন জাস্টিস বর্মা (Justice Varma)?

    এই বিষয়ে জাস্টিস বর্মা (Justice Varma) বলেন, ‘‘এই নগদ টাকা আমাদের কাছে রাখা ছিল বা তা আমাদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, এমন ধারণা সম্পূর্ণ হাস্যকর। স্টাফ কোয়ার্টারের কাছাকাছি আউটহাউস এমন ঘরে নগদ জমিয়ে রাখা হবে, এটা অনুমান করা অবিশ্বাস্য। সেখানে সহজেই যে কেউ যাওয়া আসা করতে পারে। এই ঘরটি আমাদের থাকার জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি বাউন্ডারি প্রাচীরের মাধ্যমে আমাদের থাকার জায়গার থেকে সেই আউটহাউসটি আলাদা করা আছে। আমি শুধু চাই মিডিয়া আমাকে অভিযুক্ত না করুক এবং মানহানি করার আগে তদন্ত করুক।’’ তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর বাসভবনের কোনও সদস্যকে দেখানো হয়নি যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বরং তাঁকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিচারপতির বর্মা।

    তদন্ত রিপোর্ট জমা করেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায়

    এই ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্টের (HC Judge) প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় জাস্টিস বর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্টে তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেছি এবং বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Varma) জবাবও শুনেছি। এর থেকে আমি বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। পুলিশ কমিশনার তাঁর ১৬.৩.২০২৫ তারিখের রিপোর্টে বলেছেন যে বিচারপতি বর্মার বাসভবনে নিযুক্ত প্রহরী নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, ১৫.৩.২০২৫ সকালে যে ঘরে আগুন লেগেছিল সেখান থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং অন্যান্য আংশিক পোড়া জিনিস সরানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তদন্তে দেখা গিয়েছে, বাংলোর বাসিন্দা, গৃহকর্মী, মালি ও সিপিডব্লিউডি কর্মী ছাড়া অন্য কেউ ওই কক্ষে প্রবেশ করেননি। আমি মনে করি, পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া দরকার।’’

  • Shaheed Diwas 2025: আজ শহিদ দিবস, এদিনই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তিন দেশপ্রেমিককে

    Shaheed Diwas 2025: আজ শহিদ দিবস, এদিনই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তিন দেশপ্রেমিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ মার্চ। প্রতি বছর দিনটি পালিত হয় শহিদ দিবস (Shaheed Diwas 2025) হিসেবে। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দান করেছিলেন, দেশবাসী এই দিনে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এই দিনে ব্রিটিশ সরকার আমাদের জাতির তিন বীর – ভগৎ সিং, শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপারকে ফাঁসিতে লটকে দিয়েছিল (Bhagat Singh)।

    শহিদ দিবস (Bhagat Singh)

    ভারতে অবশ্য শহিদ দিবস বিভিন্ন তারিখে পালিত হয়। ৩০শে জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে শহিদ দিবস পালিত হয়। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি সন্ধ্যার প্রার্থনার সময় বিড়লা হাউসে নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত হন তিনি। মহাত্মার স্মরণে দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

    যাইহোক, ভগত সিং, তাঁর সহযোগী শিবরাম রাজগুরু এবং সুখদেব থাপারের সঙ্গে তাঁদের সাহসী অভিযানের জন্য দেশের যুব সমাজের কাছে একটি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন। ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল, ভগত সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির কেন্দ্রীয় অ্যাসেম্বলি হলে বোমা নিক্ষেপ করেন। “ইনকিলাব জিন্দাবাদ!” ধ্বনি দেন। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ভগত সিং ও তাঁর বিপ্লবী সহযোগী রাজগুরু ও সুখদেবকে ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

    ভগৎ সিং

    ভগৎ সিংয়ের জন্ম ১৯০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, ফয়সলাবাদ জেলার বঙ্গা গ্রামে, শিখ পরিবারে। এলাকাটি (Shaheed Diwas 2025) বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত। শৈশব থেকেই ভগৎ সিং তাঁর পরিবারের দেশপ্রেমের চেতনায় প্রাণিত হয়েছিলেন। তাঁর জন্মের সময়, তাঁর বাবা কিষান সিং কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারণ তিনি ক্যানাল কলোনাইজেশন বিল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কর্তার সিং সরাভার ফাঁসি তরুণ ভগৎ সিংয়ের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এর পরেই তিনি দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন।

    গ্রামের স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করার পর, ভগৎ সিং লাহোরের দয়ানন্দ অ্যাংলো-বেদিক স্কুলে ভর্তি হন। মহাত্মা গান্ধী ও অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতাদের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বয়কটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, তিনি তাঁর স্কুল ছেড়ে লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে ভর্তি হন। বাড়িতে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করতে ভগৎ সিং (Bhagat Singh) বাড়ি ছেড়ে কানপুরে চলে যান। চাকরি নেন প্রতাপ প্রেসে। কয়েক মাস পরে তিনি ফেরেন লাহোরের বাড়িতে। ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে নওজওয়ান ভারত সভা গঠিত হয়। ভগৎ সিং ছিলেন এর প্রধান সংগঠকদের একজন। তিনি হন এর সচিব। ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর, পুলিশ তাঁর দেহ গোপনে হুসাইনিওয়ালায় দাহ করে এবং দেহাবশেষ ফেলে দেয় শতদ্রু নদীতে।

    ১৯৫০ সালে, ভগৎ সিং ও তাঁর সহযোগীদের দাহ করা জমি পাকিস্তানের কাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ধ্বংস হওয়া পুরানো স্মৃতিসৌধটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। ভগৎ সিংকে শাহিদ-ই-আজম, অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ শহিদ হিসেবে স্মরণ করা (Shaheed Diwas 2025) হয়।

    রাজগুরু

    ১৯০৮ সালের ২৪ আগস্ট মহারাষ্ট্রের খেদেতে এক মরাঠি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজগুরু। মাত্র ছবছর বয়সেই বাবাকে হারান তিনি। পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর দাদা দিঙ্করের ওপর। অল্প বয়সেই তিনি সেবা দলে যোগ দেন। তিনি ঘাটপ্রভায় ডক্টর এনএস হার্ডিকার পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন।

    রাজগুরু হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। তিনি ভগৎ সিং ও সুখদেব থাপারের সহকর্মী হয়ে ওঠেন। এক ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারকে হত্যা করেন তিনি। তাঁর সম্মানে তাঁর জন্মস্থান খেদের নাম পরিবর্তন করে রাজগুরুনগর রাখা হয়। রাজগুরুনগর মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার খেদ তহসিলের একটি জনগণনা নগর (Shaheed Diwas 2025)।

    সুখদেব

    ১৯০৭ সালের ১৫ মে লুধিয়ানার নৌঘরায় জন্মগ্রহণ করেন সুখদেব। তাঁর শৈশব ছিল চ্যালেঞ্জিং। অল্প বয়সে বাবা রাম লাল থাপরকে হারানোর পর, সুখদেবকে তাঁর মা এবং কাকা লালন-পালন করেন। সুখদেব ছিলেন হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তিনি পাঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশে বিপ্লবী কোষ গঠন করেন। সুখদেব লাহোরের ন্যাশনাল কলেজে যুবকদের শিক্ষা দিতেন (Bhagat Singh) এবং তাঁদের ভারতের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে অনুপ্রাণিত করতেন।

    ১৯২৬ সালে সুখদেব অন্যান্য বিখ্যাত বিপ্লবীদের সঙ্গে লাহোরে ‘নওজওয়ান ভারত সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবকদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করতে এবং সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় এই সভার। সুখদেব বেশ কয়েকটি বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পুরোভাগে ছিলেন। ১৯২৯ সালের জেল হাঙ্গার স্ট্রাইক ছিল জেলখানায় বন্দিদের প্রতি অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ (Bhagat Singh)। সুখদেব মাত্র ২৪ বছর বয়সে শহিদ হন। আত্মত্যাগ, বীরত্ব এবং সাহসের জন্য সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি (Shaheed Diwas 2025)।

  • BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-চাকরি দশা। অথচ দুয়ারে ভোট (২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন)। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অতএব, ব্যবস্থা করতে হবে কর্মসংস্থানের (Protests)। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবং যাবতীয় ‘শ্রী’-র টোপ দিয়ে ভোট কুড়োনো নাও যেতে পারে (BJP)। তাই মহিলাদের ক্ষমতায়নের নামে মদের দোকানে চাকরির ব্যবস্থা করতে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার! তার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে বউবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স (BJP)

    রাজ্যজুড়ে ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স। তার জেরে অলিগলিতে খুলেছে ‘অফ শপ’ এবং ‘অন শপ’। এই সব শপে এতদিন কাজ করতেন পুরুষরা। এবার থেকে কাজ করতে পারবেন মহিলারাও। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে নয়া সংশোধনী নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৫ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান হল, এবার থেকে ‘অন শপ’ (চলতি কথায় বার)-এ কাজ করতে পারবেন মহিলারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন কলকাতায় মিছিল করে পদ্ম শিবির। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়ন করতে হলে তাঁদের মদের দোকানে কাজ করতে বলা কি ক্ষমতায়ন? মহিলারা মদ পরিবেশন করে ক্ষমতাবান হবেন? আমরা এই ধরনের ক্ষমতায়ন চাই না।”

    মর্যাদা হানির চেষ্টা করছে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া বেঙ্গল ফাইন্যান্স বিল ২০২৫-এ এই সংশোধনী পাশ হয়। আগে ‘অন শপ’ লেখা মদের দোকানে কাজ করতে পারতেন না মহিলারা। সেখানে মহিলাদের কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে দিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নামক ঢাল দিয়ে আদতে তাঁদের মর্যাদা হানি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রসঙ্গত, দোলের দিন (BJP) গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শুক্রবার তমলুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। কর্মসূচি শেষে পদ্ম-নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, “বাংলার সনাতনী সমাজ মুক্তি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হলে। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬ (পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা আসন), রাজ্যে হবে অন্তত ১৮০ এবং মমতাকে প্রাক্তন করব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে যে বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, তা আঁচ করতে পারছেন শাসক দলের ভোট ম্যানেজাররাও। তাঁদের ‘পরামর্শে’ই এবার মহিলাদের দলে টানার চেষ্টা করছে (Protests) তৃণমূল। সেই কারণেই মহিলাদের বারে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের (BJP)।

  • Economic Corridors: দুটি অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্বে বাড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ

    Economic Corridors: দুটি অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শেষ হলে উত্তর-পূর্বে বাড়বে বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। তাই ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে আন্তঃসীমান্ত করিডর বাস্তবায়নের কাজ। এজন্য প্রয়োজন শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, রেগুলেটরি অনুমোদন এবং লজিস্টিক সমন্বয় (Economic Corridors)। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অশান্ত বাংলাদেশের পক্ষে যা করা এই মুহূর্তে একপ্রকার অসম্ভব। তাই কঠিন হয়ে উঠছে (Northeast India) আন্তঃসীমান্ত করিডর বাস্তবায়নের কাজ।

    ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা (Economic Corridors)

    ভারতের স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার কারণে পরিকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডর, যা “চিকেনস নেক” নামে পরিচিত, এই সংকীর্ণ ভূখণ্ডটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করার প্রধান পথ। এর ফলে এই অঞ্চলে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। অঞ্চলটি নানা দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিবহুল এবং সংবেদনশীল। তবে, নয়া দুটি প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডর— হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক করিডর ও ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর (B3) করিডর— এই অঞ্চলের সংযোগ, বাণিজ্য ও নিরাপত্তায় বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এই দুটি করিডরের কাজ বাস্তবায়িত হলে উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে যাতায়াতের সময়, কমবে খরচ, বাড়বে অর্থনতৈক সুযোগ। আরও একটা লাভ হবে। সেটি হল ঐতিহ্যবাহী শিলিগুড়ি রুটের চাপ কমা।

    হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ করিডর

    হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ করিডর একটি উচ্চকাঙ্খী প্রকল্প। এর মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের মাধ্যমে মেঘালয় এবং বৃহত্তর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সড়ক ও রেল সংযোগকে আরও শক্তিশালী করা। পশ্চিমবঙ্গের হিলি এবং মেঘালয়ের গারো পাহাড় অঞ্চলের মহেন্দ্রগঞ্জ—উভয়ই বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে, যা এই করিডরকে একটি কৌশলগত (Economic Corridors) আন্তঃসীমান্ত রুটে পরিণত করেছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন, “এই ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর ভ্রমণের সময় এবং খরচ ২৫-৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।” বর্তমানে, কলকাতা থেকে মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অসমের বরাক ভ্যালিতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহার করতে হয় চিকেনস নেক। এই রুটে যাতায়াত সময় এবং খরচ সাপেক্ষ। এই করিডর চালু হলে ভ্রমণের দূরত্ব একধাক্কায় কমে যাবে ৬০০-৭০০ কিলোমিটার। এতে লাভবান হবেন ব্যবসায়ী এবং ভোক্তা উভয়েই। কারণ পরিবহণ খরচ কমলে প্রত্যাশিতভাবেই কমে যাবে পণ্যের দরও (Northeast India)।

    এনএইচআইডিসিএল

    ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ইতিমধ্যেই সড়ক সংযোগ বিশ্লেষণের কাজ শেষ করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্যও শেয়ার করেছে। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, করিডরের পরিকল্পনা এখনও বাতিল হয়নি। এছাড়াও, ভারতীয় রেলওয়ে হিলি থেকে মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত বাংলাদেশের ঘোড়াঘাট, পলাশবাড়ি এবং গাইবান্ধার মধ্যে দিয়ে একটি আন্তঃসীমান্ত রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ফাইনাল লোকেশন সার্ভে অনুমোদন করেছে। যদিও এর বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে, তবুও এই পদক্ষেপ করিডর সম্ভাবনা বাস্তবায়নের দিকে ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত (Economic Corridors) দেয়।

    ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক

    তবে, এই দুই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্ভর করবে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের আগে, এই করিডর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ার পর এই দুই করিডর রূপায়ণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতকে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। জানা গিয়েছে, এই করিডর একটি প্রধান অর্থনৈতিক ধমনী হিসেবে কাজ করবে, যা মেঘালয়, বরাক ভ্যালি, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের ব্যবসায়ীদের পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে আরও দক্ষ বাণিজ্যে সক্ষম করবে। পণ্য দ্রুত চলাচলের মাধ্যমে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। সুযোগ বাড়বে নয়া কর্মসংস্থানের (Northeast India)।

    ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর

    দ্বিতীয় প্রস্তাবিত করিডর হল—ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর—এটি একটি কৌশলগত উদ্যোগ যা অসম ও মেঘালয়ের মাধ্যমে ভুটানকে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে। এই করিডরের উদ্দেশ্য হল বাণিজ্য ও পরিবহণকে আরও অনায়াস করা এবং ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। বড়োল্যান্ড, অসমের জোগিঘোপা এবং মেঘালয়ের ফুলবাড়ি এই বি-থ্রি করিডরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে কাজ করবে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত ফুলবাড়ির অবস্থান এই করিডরের সম্ভাবনাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। কারণ এটি জলপথে পণ্য পরিবহণের সুযোগ দেয়। এর ফলে সড়ক, রেল ও জলপথের সমন্বয়ে পরিবহণ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

    বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার

    ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা এই করিডরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ভুটান আমদানি ও রফতানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। উন্নত পরিকাঠামো এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক বিনিময়কে আরও বৃদ্ধি করবে। উন্নত সংযোগ ভুটানের জলবিদ্যুৎ, কৃষিপণ্য ও হস্তশিল্পের মতো রফতানিগুলিকে উপকৃত করবে। এর পাশাপাশি ভারতকে ভুটানের বাজারে আরও ভালো প্রবেশাধিকার দেবে (Economic Corridors)। এছাড়াও, ঐতিহাসিকভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রভাবিত বড়োল্যান্ড, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্য নেটওয়ার্কে (Northeast India) একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে। এই করিডর পরিকাঠামো, লজিস্টিক এবং শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে, যা চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে।

    বাংলাদেশের বন্দরগুলিতে ভারতের প্রবেশাধিকার

    এই করিডর বাংলাদেশের বন্দরগুলিতে ভারতের প্রবেশাধিকারের সম্পূরক হিসেবেও কাজ করবে। দু’বছর আগে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে। এই চুক্তির ফলে কলকাতা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি, বিশেষ করে ত্রিপুরার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিমি কমিয়েছে। বি-থ্রি করিডরের মাধ্যমে, ভারত বাংলাদেশের জলপথগুলিকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারবে, যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যকে আরও মসৃণ ও সাশ্রয়ী করে তুলবে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, হিলি-মহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃজাতীয় অর্থনৈতিক করিডর এবং ভুটান-বড়োল্যান্ড-বঙ্গোপসাগর করিডর ভারতের পূর্বাঞ্চলের জন্য, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে। বর্তমানে, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে ৯৫ শতাংশ রফতানি শিলিগুড়ি করিডরের মাধ্যমে সড়কপথে পরিবহণ করা হয়। বাকি ৫ শতাংশ নির্ভর করে রেলের ওপর (Economic Corridors)। এই সংকীর্ণ করিডরের ওপর অত্যধিক নির্ভরতা লজিস্টিক বাধা তৈরি করে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে। প্রস্তাবিত করিডরগুলি বিকল্প বাণিজ্য ও পরিবহণ (Northeast India) রুট দেওয়ার মাধ্যমে চিকেনস নেকের বোঝা কমাতে সাহায্য করবে।

    সীমান্ত শেয়ার

    প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি চিন, মায়ানমার, ভুটান ও বাংলাদেশ সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে। দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব, বিশেষ করে তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র মাধ্যমে, ভারতের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। প্রস্তাবিত করিডরের মূল অংশীদার বাংলাদেশ এবং ভুটান, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে চিনা বিনিয়োগ ক্রমবর্ধমানভাবে প্রত্যক্ষ করেছে। উন্নত যোগাযোগ এবং পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে এই দেশগুলির সঙ্গে ভারতের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা বেজিংয়ের উপস্থিতির ভারসাম্য বজায় রাখবে এবং এই অঞ্চলে নয়াদিল্লির নেতৃত্ব পুনর্নিশ্চিত করবে।

    কৌশলগত দুর্বলতা হ্রাস

    এই প্রকল্পগুলি কৌশলগত দুর্বলতা হ্রাস করার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে। শিলিগুড়ি করিডরে কোনও বিঘ্ন ঘটলে—প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, অথবা নিরাপত্তা হুমকির কারণে—এই নতুন করিডরগুলি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জন্য নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। সর্বোপরি, এই করিডরগুলির দ্বারা প্রদত্ত বর্ধিত অ্যাক্সেসযোগ্যতা অনিশ্চিত আশপাশের এলাকায় কোনও নিরাপত্তা হুমকির (Northeast India) ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দ্রুত একত্রিত করার অনুমতিও দেবে (Economic Corridors)।

LinkedIn
Share