Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    India Vs England: টেস্টে শুরু তরুণ প্রজন্মের দাপট! যশস্বী-গিলের যাদুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ সূচনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপটের সঙ্গেই টেস্টে নতুন যুগে পা রাখল ভারত। তরুণ দল, অকুতোভয়। ইংল্যান্ডের (India Vs England) মাটিতেই ইংরেজ বোলারদের শাসন করলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। প্রথমে যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। তার পর শুভমন গিল (Shubman Gill)। দুই তরুণ ক্রিকেটারের শতরানে লিডসে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে ভারত। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩৫৯/৩। ক্রিজে রয়েছেন শুভমন গিল (১২৭) এবং ঋষভ পন্থ (৬৫)। ইংল্যান্ডে কোনও টেস্টের প্রথম দিনে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রান। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো দুই কিংবদন্তি সদ্য টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তাঁদের পরবর্তী সময়ে প্রথম সিরিজ। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করলেন গিল-যশস্বীরা। বুঝিয়ে দিলেন ২২ গজে ভারতের পতাকা উড়ছে, উড়বে।

    ক্যাপ্টেন্স নক, গিল-যুগের শুরু!

    টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম দিনটা টস হেরে শুরু করলেও ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের শিখরে দেখাল শুভমনকে। ইংল্যান্ডের (India Vs England) বহুচর্চিত ‘বাজবল’ যেন গিলের ব্যাটেই জীবন্ত হয়ে উঠল। ধ্রুপদী ঘরানার ব্যাকরণ মেনেই স্টোকসদের উপর ছড়ি ঘোরালেন গিল। অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভরসা দিলেন ড্রেসিং-রুমকে। ১৪০ বলে দুর্দান্ত একটা ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমন শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। সার্বিক ভাবে ইংল্যান্ডে এর আগে তিনটে টেস্ট খেলেছিলেন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জাজমেন্ট দিতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন। প্রবল সমালোচনাও হয়েছিল। ক্যাপ্টেন হিসেবে পরীক্ষা। তেমনই ব্যাটিংয়ে কিং কোহলির জায়গায় নামা। সব মিলিয়ে পাহাড়প্রমাণ চাপ। সিরিজের শুরুতেই সেঞ্চুরিটা যেন সব চাপ দূরে সরিয়ে দিল। শুভমনের নেতৃত্ব ভারতীয় ক্রিকেটকে কোন পথে নিয়ে যাবে, সময় তার জবাব দেবে। তার আগে শুভমানের সাফল্য নিয়ে মজে রয়েছেন তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই শতরান

    অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্টেই (India Vs England) শতরান করা ২৩তম ক্রিকেটার হলেন তিনি। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি অভিষেকেই সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্গসরকার, বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তিদের। এ বার এই তালিকায় নাম লেখালেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। কে বলতে পারে, সচিন-কোহলি পরবর্তীতে ভারতীয় ক্রিকেটে গিল-যুগের শুরু! টেস্ট শুরুর আগে আগ্রহ ছিল, বিরাটের চার নম্বর পজিশনে কে ব্যাট করবেন? এমআরএফ-এর লোগো দেওয়া ব্যাটই দেখা গেল চার নম্বরে। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল নামলেন। ক্যাপ্টেন্সি অভিষেক, সেই এমআরএফ ব্যাট এবং চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, হেলমেট খুলে মাথানত করে গ্যালারিকে সম্মান জানানো। বারবার কোহলিকে মনে করিয়ে দিলেন গিল।

    যশস্বীর যাদু

    ইংল্যান্ডে টেস্টের (India Vs England) পয়লা দিনের সকাল মানেই ওপেনারের অগ্নিপরীক্ষা— প্রচলিত ধারণা এটাই। মজা করে বলা হয়, টিকে থাকতে হলে প্রথম দু’ঘণ্টায় সব শট ড্রেসিং-রুমে রেখে এসো। কিন্তু প্রথম ওভারেই ক্রিস ওকসকে চার মেরে শুরু করেছিলেন যশস্বী (Yashasvi Jaiswal)। বিলেতে এটাই ছিল যশস্বীর জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংস। দুরন্ত সেঞ্চুরিতে তিনি বড় ইনিংসের ভিত মজবুত করার পাশাপাশি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি, দুই কিংবদন্তির অবসরের আক্ষেপকেও টের পেতে দিলেন না। লিডস বরং সাক্ষী থাকল ২৩ বছর বয়সির তারুণ্যের দাপটের। আর সেটাও দু’হাতে টান নিয়ে, বারবার অস্বস্তিতে পড়ে। ১০১ রানের ইনিংসে কার্যত সিরিজের সুরটাই বেঁধে দিলেন বাঁহাতি ওপেনার।

    দাপট ভারতের

    লোকেশ রাহুলকেও দেখাচ্ছিল প্রত্যয়ী। দুই ওপেনার মিলে প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৯১। মনে হচ্ছিল লাঞ্চে বিনা উইকেটেই যেতে চলেছে ভারত। তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো ব্রাইডন কার্সের দেরিতে ভাঙা সুইংয়ে ব্যাট চালিয়ে ফিরলেন রাহুল। টেস্ট অভিষেক অবশ্য মধুর হল না সাই সুদর্শনের। চেতেশ্বর পূজারার হাতে থেকে টেস্ট ক্যাপ নেওয়া বাঁ-হাতি লেগসাইডে অনেক বাইরের বলে অহেতুক খোঁচা দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে হল লাঞ্চ। স্কোর তখন ৯১-২। লড়াইয়ে ফেরার পথ খুঁজে পাওয়া ইংল্যান্ড মুহূর্তে উজ্জীবিত। কিন্তু পরের দু’ঘণ্টায় যশস্বী-গিল পকেটে পুরে ফেললেন ম্যাচের রিমোট। শেষ লগ্নে ঋষভ পন্থ। আইপিএলে ব্যর্থ পন্থ বোঝালেন, লাল বলের ক্রিকেটে তিনি আলাদা জাতের ব্যাটার। স্টোকসকে এগিয়ে এসে মাথার উপর দিয়ে যে চারটা মারলেন তা দেখে তাজ্জব হয়ে গেল গোটা স্টেডিয়াম। পরিচিত কায়দায় স্টোকস চাইছিলেন পন্থকে স্লেজিং করতে। পাত্তাই দিলেন না ভারতের উইকেটকিপার। অর্ধশতরান করলেন। অতীতে কবে সিরিজের (Tendulkar Anderson Trophy) প্রথম দিনে ভারতের দুই ব্যাটার শতরান করেছেন তা জানতে গেলে মাথা চুলকোতে হবে। অবিশ্বাস্য ভাঙন না ধরলে প্রথম ইনিংসে ভারতের সাড়ে চারশো নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ভারতীয় বোলারদের আক্রমণাত্মক হওয়ার যথেষ্ট রসদ থাকবে।

  • RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    RSS: যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর শাখায় আবশ্যক করেন সংঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠা করেন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার। ভারতীয় যুবকদের সংগটিত করতে, তাঁদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের আদর্শের বীজ রোপণ করতে তিনি এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পাশাপাশি দেশের যুবকদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে তার সঙ্গেই যুক্ত করা হয় যোগাভ্যাসকে, যাতে যুবকদের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক উন্নতি হয়। তাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখাতে সূর্য নমস্কার, প্রণায়াম, ধ্যান এবং আরও বিভিন্ন যোগাসন করানো হতে থাকে তখন থেকেই।

    যোগাভ্যাসের কথা বলতেন আরএসএস-এর দ্বিতীয় সরসংঘচালক

    যোগাভ্যাসের (Yoga) মাধ্যমে স্বয়ংসেবকদের মধ্যে গড়ে উঠতে থাকে, আত্মনিয়ন্ত্রণ, সমাজসেবা, সম্প্রীতি এবং আধ্যাত্মিকতা প্রভৃতি গুণ। জানা যায়, ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার নিয়মিতভাবে যোগাভ্যাস করতেন এবং তিনি শাখা পদ্ধতিতেও (RSS) যোগাভ্যাসকে রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে গুরু গোলওয়ালকর, যিনি সংঘের দ্বিতীয় সরসংঘচালক, তিনিও যোগাভ্যাসকে আরএসএস-এর অংশ হিসেবেই রেখে দেন। গুরুজি গোলওয়ালকর বলতেন, যদি জনগণ যোগাসন করে, তাহলে তাদের স্বাস্থ্য যেমন রক্ষা হয়, সেরকমই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। জনস্বাস্থ্য এই যোগাভ্যাসের মাধ্যমে উন্নত হবে এবং তাদের রোগ নিরাময়ে ওষুধ কেনার খরচও কমবে। সমস্ত দিক থেকেই তারা লাভবান হবে।

    যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার, প্রস্তাব পাশ হয় আরএসএস-এর প্রতিনিধি সভায়

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) মনে করে যে, যোগ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির উন্নতির জন্য কোনও অভ্যাস বা অনুশীলন নয়, এটি হচ্ছে সামাজিক উন্নতির জন্যই প্রয়োজন। যোগের মাধ্যমে দেশ গঠিত হবে। দেখা যায়, আরএসএস-এর বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ বর্গে যোগাসন এবং ধ্যানকে বর্তমানে রাখা হয়। যোগ-এর মাধ্যমে স্বয়ংসেবকরা শৃঙ্খলা, উৎসাহ, শারীরিক সুস্থতা পান, যা তাঁদের সমাজের কাজ করতে আরও উৎসাহিত করে। বর্তমানে যোগাভ্যাস আবশ্যিক করা হয়েছে আরএসএস-এর যে কোনও প্রশিক্ষণ শিবিরে। যে কোনও শাখাতেও যোগাভ্যাস চলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুলে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরেছেন যোগ-এর গুরুত্ব (Yoga)। ২০১৫ সালে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে প্রস্তাব পাস করা হয় যে যোগ হল বিশ্বমঞ্চে ভারতের উপহার।

    ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের ৬৯তম সাধারণ সভায় ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা ছিল প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত, কারণ যোগাভ্যাস ভারত থেকে উদ্ভূত। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই প্রস্তাবটি রাখেন। নেপালসহ ১৭৫টি রাষ্ট্র এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয় ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর।

    সংস্কৃতিভেদে বিশ্বজুড়ে চলছে যোগ-এর অনুশীলন

    সারা বিশ্বজুড়ে অজস্র মানুষ বর্তমানে নানারকম সমস্যায় ভুগছেন, শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা। যোগ হল একমাত্র উপায় বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলির নিরাময় সম্ভব এবং তা প্রাকৃতিক উপায়ে সম্ভব। তাই বিশ্বব্যাপী এই যোগাভ্যাসের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। মানুষ যোগকে গ্রহণ করেছেন তাঁদের সুস্থ থাকার জন্য, মানসিক ও শারীরিক উন্নতির জন্য। যোগ তাই আজ নির্দিষ্ট কোনও গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই। পৃথিবীর যে কোনও সাধারণ মানুষ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা প্রত্যেকেই আজ যোগাভ্যাস করেন। এর মধ্যে আছেন বড় বড় শিল্পপতি থেকে কূটনীতিকরাও।

    যোগ শব্দের উৎপত্তি কীভাবে, ব্যাখ্যা করেছে আরএসএস

    ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে (RSS) যোগের উপর যে প্রস্তাবনা হয়, সেখানে স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ব্যাখ্যা করে যে যোগের মূলগত উৎস এসেছে ‘যুজ’ (Yug) থেকে, যার অর্থ সংযুক্তিকরণ। যোগাসন শুধুমাত্র একটি শারীরিক অনুশীলন নয়। মহর্ষি পতঞ্জলির মতে, এটি হল একটি পবিত্র জীবনযাপনের অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মাকে একত্রিত করে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে, যোগাভ্যাসের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে বলা হয়েছে—যোগব্যায়াম অশান্ত মনকে শান্ত করে। যোগ শব্দের অর্থ হলো মনের প্রশান্তি। এই ব্যাখ্যার ফলে এই দর্শনকে অনুসরণ করে নিজেদের জীবনে যোগাভ্যাসকে নিয়মিতভাবে অনুশীলন করে আজ ব্যক্তিজীবন সুন্দর ও শান্তিময় হয়ে উঠেছে।

    ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে আরএসএস

    আরএসএস বিভিন্ন সময়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ভারতীয় সাধু-সন্ত, যোগ গুরু এবং যোগ প্রশিক্ষকদের, যাঁরা বিশ্বমঞ্চে যোগাভ্যাসকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। একইসঙ্গে আরএসএস ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের, যাঁরা রাষ্ট্রসংঘসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে অবদান রেখেছেন। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন যোগকে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং গবেষণার কাজেও অন্তর্ভুক্ত করে, যাতে সমাজের প্রতিটি স্তরে যোগাভ্যাসের প্রসার ঘটানো যায়।

  • International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    International Yoga Day 2025: প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন মোদি, আজ সারা বিশ্বে পালিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২১ জুন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025)। এই বছর বিশ্ব তার ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করতে চলেছে। মানুষের মধ্যে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ২১ জুন সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। যোগ দিবসের দিনে বিভিন্ন স্থানে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয় যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই দিনে যোগব্যায়ামের অংশ হতে পারে।

    যোগ বা যোগাভ্যাস কী?

    আগে জেনে নেওয়া যাক যোগ বা যোগাভ্যাস কী? যোগ হল একই সঙ্গে শরীর, মন এবং আধ্যাত্মিকতার যোগ। প্রাচীন ভারতে জন্ম যোগার। সংস্কৃতে ‘যোগা’ (International Day of Yoga) শব্দের অর্থ যোগ করা, একীভূত করা। দেহের সঙ্গে চৈতন্যকে একীভূত করাই হল যোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৬৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগের উপকারিতা সম্পর্কে বলেছিলেন মোদি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “যোগ হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য ধারা। যোগ শরীর এবং মনের ঐক্য সাধন করে। চিন্তার সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলে কাজের। শরীর এবং মন ভাল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হল যোগ। এটা কেবল শরীর চর্চা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। যোগ একটা পথ, যে পথ নিজের সঙ্গে একাত্মবোধ গড়ে তোলে, ঐক্যবোধ গড়ে তোলে বিশ্ব এবং প্রকৃতির সঙ্গেও।”

    ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ও মোদির ভূমিকা

    তার পরেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘকে অনুরোধ করেন ২১ জুন দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ (International Yoga Day 2025) হিসেবে ঘোষণা করার। ২১ জুন দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জানান, এদিন উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন, রাত ছোট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুরোধে সাড়া দেয় রাষ্ট্রসংঘ। তার পরের বছর থেকে ২১ জুন দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে’ হিসেবে। নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে যে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভাল থাকে, তামাম বিশ্বকে সেই বার্তা দিতেই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় রাষ্ট্রসংঘ। যোগ দিবস পালন সংক্রান্ত খসড়ায় স্বাক্ষর করেন বিশ্বের ১৭৭টি দেশের প্রতিনিধিরা।

    নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি ‘হু’-র

    দেশে প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day 2025) পালনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রের আয়ূষ মন্ত্রক। সেবার অংশ নিয়েছিলেন ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিও। দিল্লির রাজপথের ওই অনুষ্ঠানে ৩৫ মিনিটে তাঁরা ২১টি আসন করেছিলেন। এটাই ছিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় যোগাভ্যাসের ক্লাস। নিয়মিত যোগাভ্যাসের গুরুত্ব (Yoga Benefits) স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। তারাও সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করেছে যোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে। কারণ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে দূরে রাখা যায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস মায় হার্টের রোগকেও।

    “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ”

    এই বছর প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ দিবসের (International Day of Yoga) থিম নির্ধারণ করেছেন— “এক পৃথিবীর জন্য যোগ, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ।” ঘটনাচক্রে সম্প্রতি মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাই এবার দুইয়ের সম্মিলিত প্রচারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। শহর থেকে গ্রাম, প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে আদিবাসী এলাকা, দেশের প্রতিটি কোণে যাতে যোগ দিবসের বার্তা পৌঁছে দিতে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। ছুটির দিনেও সরকারি কর্মচারীদের সিংহভাগকে কী করে যোগ অনুষ্ঠানে শামিল করানো যায়, তা নিয়ে আয়ূষ এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক যৌথভাবে ঘনঘন বৈঠকে বসছে। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে ৪০০ কর্মীকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, কীভাবে যোগ দিবসের ছবি, ভিডিও প্রচার করা যায়। আয়ূষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা, যুগ্মসচিব মোনালিসা দাস, তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সি সেন্থিল রাজন এব্যাপারে সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগী হয়েছেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষেরও বেশি স্থানে সাধারণ যোগ প্রোটোকল (CYP) অনুযায়ী একযোগে গণ যোগব্যায়ামের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে যোগ সঙ্গমে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭:৪৫ পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে আয়োজন করা জাতীয় অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন (International Yoga Day 2025)।

  • Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    Regular Yoga Practice: হার্ট অ্যাটাক থেকে ডিপ্রেশন, একাধিক রোগের ‘দাওয়াই’ লুকিয়ে যোগাভ্যাসে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স তিরিশ ছোঁয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মানসিক অবসাদের মতো নানান জটিল সমস্যা বাড়ছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষত এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেশি। ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’ শরীরের উপরে বাড়তি চাপ তৈরি করছে। মানসিক চাপ ও দেখা দিচ্ছে। তার উপরে অধিকাংশের অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের পথ রয়েছে যোগাভ্যাসে (Yoga)। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Yoga Day 2025) আগে চিকিৎসকদের একাধিক কর্মশালায় উঠে এল এমনিই সমাধান। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাধিক শারীরিক সমস্যা জীবন যাপন ধরণ সংক্রান্ত। তাই যোগাভ্যাস সেই সমস্যা মোকাবিলার সবচেয়ে সক্রিয় ‘দাওয়াই’ হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) একাধিক বিপদ রুখে দিতে পারে।

    কোন কোন বিপদ রুখতে কার্যকরী যোগাভ্যাস, দেখে নেওয়া যাক—

    স্থূলতা কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার জেরে এক দিকে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে, আরেকদিকে হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব, হাড়ের ক্ষয় রোগের মতো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্থুলতা যথেষ্ট বিপজ্জনক। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে যোগাভ্যাস। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করা সহজ হয়। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। তাই সহজেই স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

    হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শেষ দুই দশকে ভারতীয়দের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হার্ট অ্যাটাক। ভারতীয়দের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সি পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ভাবেই বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস এই ঝুঁকি কমাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। দেহের রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। বাড়তি চাপ তৈরি করে না। তাই হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ রুখতে যোগাভ্যাসে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কিডনির সুস্থ রাখতে ভরসা থাকুক যোগাভ্যাসে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রৌঢ় বয়সে কিডনির রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। কম বয়স থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে এই বিপদ কমানো যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরের সমস্ত পেশির কার্যকারিতা বজায় থাকে। এর প্রভাব কিডনিতেও পড়ে। কিডনির কার্যকারিতাও স্বাভাবিক রাখে।

    মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজরদারি জরুরি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য শরীরের মতোই মনের সুস্থ থাকাও জরুরি। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই বহু ছেলেমেয়ে মানসিক চাপ ও অবসাদের শিকার হচ্ছে। পরবর্তী জীবনে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। শারীরিক একাধিক সমস্যার কারণ মানসিক চাপ এবং অবসাদ। তাই এ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ ও স্বাভাবিক ভাবে হয়। এর ফলে মানসিক চাপ ও কমে। অবসাদের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

    উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাবে!

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই প্রথম থেকেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত যোগাভ্যাস এই কাজে সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার ঝুঁকিও কমে।

    কেন যোগাভ্যাস সুস্থ থাকার চাবিকাঠি?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে শারীরিক কসরতের সুযোগ কমছে। অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় চেয়ারে বসে থাকেন। কিংবা এমন কোনও কাজ করেন, যেখানে ছোটাছুটির বিশেষ সুযোগ থাকে না। অনেক সময়েই নানান কারণে ঘুমের সময় কমে। এগুলো শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যোগাভ্যাস শরীরের সমস্ত পেশি এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত যোগাভ্যাস (Regular Yoga Practice) করলে রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয়। পেশি, স্নায়ু সক্রিয় থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ে। ফলে, রোগ মোকাবিলা সহজ। পাশপাশি যোগাভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে মানসিক অস্থিরতা কমে। ফলে নানান মানসিক জটিলতা কমার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই আধুনিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলায় যোগাভ্যাসেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে দুই দেশেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইরান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইরান ও ভারত সরকার। ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে এক হাজার ভারতীয় নাগরিককে (Indian Students) ইরান থেকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।

    মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে

    জানা যাচ্ছে, ইরানের (Iran) আকাশসীমা এখনও সীমিতভাবে বন্ধ থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে ইরানের মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে উড়িয়ে আনার জন্য। এই বিশেষ ফ্লাইটগুলোর প্রথমটি আজ রাতেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। ইরানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এই ফ্লাইটগুলো কেবলমাত্র ভারতীয়দের জন্য নির্ধারিত এবং যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

    আগেই দেশে ফিরেছেন ১১০ জন পড়ুয়া (Iran)

    এর আগে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্করভাবে উত্তপ্ত উত্তর ইরান থেকে ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে (Indian Students) সফলভাবে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে সে সময় ইরানের কোনও বিমানবন্দর ব্যবহার না করে তাদের প্রথমে আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর সেখান থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। উভয় দেশের ভারতীয় দূতাবাস এই অভিযানে সমন্বয় রাখে নিজেদের মধ্যে। এবার ইরানের অভ্যন্তর থেকেই সরাসরি বিশেষ বিমানে করে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, যা একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

    ইজরায়েল থেকেও শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান

    শুধু ইরান (Iran) নয়, ইজরায়েলেও চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে থাকা ভারতীয়দেরও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। তেল আভিভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কাছাকাছি সীমান্ত অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনছে বলে খবর।

  • India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টে কালো ‘আর্মব্যান্ড’, আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা

    India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টে কালো ‘আর্মব্যান্ড’, আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেডিংলেতে কালো ‘আর্মব্যান্ড’ পরে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামলেন ভারত এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা। ‘আর্মব্যান্ড’ পরেছেন আম্পায়ারেরাও। গত ১২ জুন আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কালো আর্মব্যান্ড পরেছেন সকলে। এ ছাড়া খেলা শুরুর আগে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    ম্যাচ শুরুর আগে শ্রদ্ধা

    গত ১২ জুন আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ‘এআই১৭১’। কিন্তু রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ২৭৪। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১৬৯ জন। এ ছাড়া ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন খেলা শুরু হয়। উল্লেখ্য, টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের তৃতীয় দিনও অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা একই কারণে কালো বাহুবন্ধনী পরে খেলতে নেমেছিলেন। প্রথম টেস্টে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে থাকে। রোদ-বৃষ্টির খেলা চলে সেখানে। তাই মাঝে মাঝেই খেলায় বিঘ্ন ঘটে। তবে প্রথমদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। কিন্তু গোটা দিনই আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। তবে দ্বিতীয়দিন থেকে পঞ্চমদিন বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকবে বলে পূর্বাভাস। ‘ওভারকাস্ট কন্ডিশনে’র সুবিধা পেতে পারেন পেসাররা।

    অভিষেকে শূন্য, ইতিহাসের পাতায় সুদর্শন

    অভিষেক টেস্ট ভুলে যেতে চাইবেন সাই সুদর্শন। প্রথম ম্যাচেই শূন্য রানে ফিরলেন। মাত্র ৪ বল উইকেটে টেকেন। বেন স্টোকসের লেগ সাইডের বলে খোঁচা মেরে আউট হলেন বাঁ হাতি তরুণ ক্রিকেটার। যা মেনে নেওয়া যায় না। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাঁকে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল। কিন্তু প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়ার রান ৯২। শেষ দশ মিনিট বাদ দিলে বাকি সময়টা ছিল ভারতের। এদিন দারুণভাবে নতুন বল সামলান যশস্বী জয়সওয়াল এবং কেএল রাহুল। খুব বেশি সুযোগ দেয়নি তাঁরা। প্রথম উইকেটে ৯১ রান যোগ করে ওপেনিং জুটি। রাহুলকে শুরুতে নামানো সঠিক সিদ্ধান্ত। ঠাণ্ডা মাথায় ইংল্যান্ডের বোলারদের সামলান। ভারতের ব্যাটিংয়ের ভীত শক্ত করেন। যেভাবে খেলছিলেন অর্ধশতরান নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ৭৮ বলে ৪২ রান করে আউট হন। ইনিংসে রয়েছে ৮টি চার। কার্সের বলে খোঁচা মেরে প্রথম স্লিপে রুটের হাতে ধরা পড়েন। ৪২ রানে অপরাজিত যশস্বী। লিডসে ভারতের ৩১৭ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পেলেন পেলেন সাই সুদর্শন। সাই সুদর্শনের টেস্ট অভিষেকের মধ্য দিয়ে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি স্মরণীয় অধ্যায়। ব্যাটিং করতে নামার আগেই ইতিহাসের পাতাতেও নাম তুলে ফেললেন সাই সুদর্শন। ঐতিহাসিক দিনে টেস্ট অভিষেক হল তাঁর। ১৯৯৬ সালে ২০ জুন লর্ডসে অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। ২০১১ সালে ঠিক একই দিনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলির। এবার সেই ২০ জুন টেস্ট ক্যাপ মাথায় তুললেন সাই সুদর্শন।

  • Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম মালিকাধীন দোকানগুলি থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করছে বলে অভিযোগ (Digha Jagannath Temple)। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকা, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মমতা সরকার রেশন ডিলারদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ১ নম্বর ব্লকের একটি লিস্ট সামনে এসেছে, যেখানে চারটি দোকানদারকে গজা এবং প্যারা তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভগবান জগন্নাথের চিরাচরিত প্রসাদ হল এই গজা এবং প্যারা। এই চারটি দোকানের মধ্যে তিনজনের মালিক মুসলমান। এভাবেই মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে অনেক মহল। অনেকেই সমালোচনার সুরে বলছেন—সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ধরা পড়ছে সংখ্যালঘু তোষণ এবং সরকার এই সংখ্যালঘু তোষণটাও করছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে।

    কী বললেন অমিত মালব্য (Digha Jagannath Temple)?

    ভারতীয় জনতা পার্টির আইটিসেলের প্রধান অমিত মালব্য এ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে। সেখানে অমিত মালব্য লিখছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত দিয়ে মিষ্টির দোকান এবং রেশন ডিলারদেরকে গজা ও প্যারা প্রসাদ আকারে প্রস্তুত করে বিতরণ করতে বলছেন যাদের বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এভাবেই তোষণের রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন বলে অভিযোগ আনেন অমিত মালব্য। তিনি পুরীর জগন্নাথ ধামের সঙ্গে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের তুলনাও টানেন। বিজেপি নেতা বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ, যা একটি পুরনো প্রথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই প্রথা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে হিন্দু প্রথা মানা হচ্ছে না, হিন্দু রীতি মানা হচ্ছে না (Digha Jagannath Temple)। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের শুধুমাত্র ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে পর্দার আড়ালে রাখা হচ্ছে।

    কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণ। বিরোধী দলনেতা বলেন, প্রথমত বেআইনিভাবে ওবিসি তালিকা তৈরি করে মুসলিম ভোট নিজের দিকে আনতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দেখা যাচ্ছে, হিন্দুদের পবিত্র রীতিতে আঘাত হানছেন তিনি। এটা কোনও বৈচিত্র্য নয় এটা হচ্ছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে স্থানীয় হিন্দু দোকানদার আছেন যাঁরা চিরাচরিতভাবে মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করেন, তাঁদের বাদ দিয়ে মুসলিমদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিজের ইমেজ তৈরির চেষ্টা করছেন মমতা। এটা হচ্ছে তোষণের দ্বিতীয় পর্যায়, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন হিন্দু রীতিকে (Digha Jagannath Temple) ভেঙেছেন তিনি শুধুমাত্র ভোটের জন্য।

    প্রসাদ তৈরি হয় শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাধ্যমে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে মুর্শিদাবাদ থেকে দীঘা পর্যন্ত হিন্দু ধর্মের নেতারা এবং ভক্তরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীঘার এক স্থানীয় পণ্ডিত বলেন, এটা শুধুমাত্র খাদ্যের বিষয় নয়। নৈবেদ্য, যা ভগবানের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়, তা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে তৈরি করা হয়। যাঁরা এটি তৈরি করেন ভক্তির সঙ্গে করেন। প্রসাদ একটি আধ্যাত্মিক বিষয়। কিন্তু যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁরা যদি পবিত্র রীতিতে বিশ্বাস না রাখেন, তাহলে সেই প্রসাদের পবিত্রতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে (Digha Jagannath Temple)।

    কী বলছেন ভক্তরা (Digha Jagannath Temple)

    এই অঞ্চলের ভক্তরা মনে করছেন এইভাবেই পবিত্র ধর্মীয় রীতিনীতি এবং ধর্ম পালনকে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার রানি নগরের একজন স্থানীয় বাসিন্দা এই ঘটনায় অবাক হয়ে বলেন, যেখানে একটি মন্দির তৈরি হচ্ছে বৈষ্ণব প্রথা মেনে, সেখানকার প্রসাদ কিভাবে এভাবে তৈরি হতে পারে?
    আরেকজন বলেন, হিন্দুরা কি কোনও মসজিদের রীতিনীতি ঠিক করে? তাহলে কেন হিন্দুদের প্রসাদে সরকার হস্তক্ষেপ করছে এবং তার বাণিজ্যিকীকরণ করছে এভাবে? বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে। গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়েছে— দুর্গা মূর্তি বিসর্জন বাধা পায় পশ্চিমবঙ্গে, রামনবমী শোভাযাত্রায় হামলা চালানো হয় অথচ ইফতার করা হয় সরকারি সহযোগিতায়, মাদ্রাসাগুলিকে ফান্ডিং করা হয়।

    গত এপ্রিলেই উদ্বোধন করেন মমতা

    জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০টি এমন ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে হিন্দু ধর্মের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি, রুট বদল করা হয়েছে, অথবা তা করতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায়। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি, বরং তারা রাজ্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই সময় জগন্নাথ মন্দিরকে (Jagannath Temple) একটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই কেন্দ্রকেই ঘিরে দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘুতোষণের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

  • Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    Mega Data Breach: বিশ্বের ইতিহাসে বড় তথ্য চুরির ঘটনা! সাইবার জগতে ফাঁস ১৬০০ কোটি লগ-ইন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে সাইবার জগতে তীব্র চাঞ্চল্য। সামনে এল ইতিহাসের বড় তথ্য চুরির ঘটনা (Mega Data Breach)। সাইবার বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, ১৬ বিলিয়ন (১৬০০ কোটি) লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে। ফাঁস হওয়া এই বিপুল পরিমাণ তথ্যের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি সংস্থা গুলোর অ্যাক্সেস ক্রেডেনশিয়াল, যার প্রভাব পড়তে পারে কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ওপর।

    কী বলছে ফোর্বস পত্রিকা (Mega Data Breach)

    ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই তথ্যে অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, গিটহাব, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবার লগইন ও পাসওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গবেষকরা সতর্ক করছেন, এই ঘটনার ফলে সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবায় অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়ে যেতে পারে।

    ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডসহ অরক্ষিত ডেটাবেস (Mega Data Breach)

    একটি অসুরক্ষিত ওয়েব সার্ভারে পাওয়া গিয়েছে ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ডের এক রহস্যময় ডেটাবেস। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গবেষকরা এখনও পর্যন্ত ৩০টি পৃথক ডেটাসেট চিহ্নিত করতে পেরেছেন, যেগুলোর প্রতিটিতে ৩.৫ বিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড রয়েছে। এসব ডেটায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সামাজিক মাধ্যম, ভিপিএন, কর্পোরেট ও ডেভেলপার প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেস তথ্য।

    শুধু তথ্য ফাঁস নয়, সাইবার অপরাধের ব্লুপ্রিন্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল একটি ‘ডেটা ব্রিচ’ (Mega Data Breach) নয় বরং একটি ব্যাপক এক্সপ্লয়টেশনের নীল নকশা। পূর্ববর্তী ফাঁস হওয়া তথ্য নয়, বরং এটি একেবারে নতুন ও ব্যবহারযোগ্য তথ্য। যা ইতিমধ্যেই সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই তথ্য ব্যবহার করে চালানো হতে পারে অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক এবং ব্যবসায়িক ইমেল কম্প্রোমাইজ। এই প্রসঙ্গে কিপার সিকিউরিটির সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড্যারেন গুসিওন জানিয়েছেন, এই ডেটা বহু অনলাইন পরিষেবার মূল অ্যাক্সেস তথ্য ধারণ করে, যার ফলে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব অনস্বীকার্য।

    পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে বলছে গুগল (Google)

    গুগল (Google) এই ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনার কারণেই ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের মত পুরনো সাইন-ইন পদ্ধতি থেকে সরে আসতে বলছে। এর পরিবর্তে জিমেইল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা আপগ্রেড করার পরামর্শ দিচ্ছে গুগল। ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের ওপর আরও ভালো নিয়ন্ত্রণের জন্য গুগল তাদের অ্যাকাউন্টগুলিকে পাসকি এবং সোশ্যাল সাইন-ইনে আপগ্রেড করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে। গুগলের (Google) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত যা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত করে এবং জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষা করে।

  • Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি অভিবাসীদের হাতে ট্রোলড হন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Trump Munir Meet)। জনসমক্ষে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে এতকিছুর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক গোপন বৈঠক হয়। এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ হওয়ার পিছনে একাধিক কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

    পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র

    প্রথমত, ধারণা করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের (Trump Munir Meet) কয়েকটি অঞ্চলে — বিশেষ করে নূর খান ও কিরানা হিলস এলাকায় — আমেরিকার গোপন পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ভারতের বিমান হামলার পর ওই অঞ্চলগুলিতে মার্কিন উপস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টভাবে বেড়ে যায় বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও, যেখানে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন, নুর খান এয়ারবেস এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। তাদের কোনও কিছু করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেসে আমেরিকার কার্গো আসা-যাওয়া করত। ওই কার্গোর ভিতরে কী থাকে, সেই সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাও জানে না। একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা। অর্থাৎ এখন পাকিস্তানের এয়ারবেসের ভিতরে কী হচ্ছে, তা পাকিস্তান নিজেই জানতে পারছে না। আমেরিকা এই এয়ারবেসের কার্যত দখল নিয়ে নিয়েছে। তাই পাকিস্তানকে ভেঙে পড়তে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিরাপদ নয়। প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক দীপক ভোরার মতে, আসলে পাকিস্তানের নিজের বলে কিছুই নেই পুরোটাই অন্যের থেকে নেওয়া।

    ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসা

    দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প (Trump Munir Meet) পরিবারের পাকিস্তানে বড়সড় ক্রিপ্টো ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলে গুঞ্জন। পাকিস্তানের মুদ্রার প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাওয়ায় অনেকেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছেন। এই নতুন বাজারে প্রবেশের একটি সুবর্ণ সুযোগ দেখছে ট্রাম্প পরিবার। পাকিস্তানে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রবেশ করছে ট্রাম্প পরিবার-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’ (ডব্লিউএলএফ)। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ডিফাই ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানির ৬০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই পুত্র এরিক ট্রাম্প ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের হাতে। ডব্লিউএলএফ-এর সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন জ্যাকারি উইটকফ, যিনি ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার স্টিভ উইটকফের পুত্র। কোম্পানিটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি, স্টেবলকয়েন এবং ডিফাই খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    ২০২৫ সালের ২৬ এপ্রিল, ইসলামাবাদে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের উদ্যোগে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ (প্রস্তাবপত্র) সই করে ডব্লিউএলএফ। এই কাউন্সিলটি গঠিত হয় মাত্র এক মাস আগে, যার নেতৃত্বে আছেন বিলাল বিন সাকিব – পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্পদ টোকেনাইজেশন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্সের জন্য স্টেবলকয়েন চালু এবং ডিফাই পাইলট প্রকল্পের জন্য নিয়ন্ত্রক স্যান্ডবক্স তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব রক্ষা করা আমেরিকার নিজেদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহ

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও ট্রাম্প (Trump Munir Meet) কাছে টানছেন মুনিরকে। আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিলে হয়তো ইরানের পাশের দেশ পাকিস্তানে ফের ঘাঁটি গাড়তে চাইবে তারা। সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে বাধ্য করছে আমেরিকা। ইসলামিক বিশ্বের যে কথা এতদিন ইসলামাবাদ বলে এসেছে। তা-ও আসলে ভাঁওতা। ইসলামিক বিশ্বে সংঘাত একটি জটিল সমস্যা। তা সে শিয়া-সুন্নি বিভেদই হোক বা বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্খা। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলেও কিছু নেই — আছে কেবলমাত্র স্থায়ী স্বার্থ। ভূরাজনীতির জগৎ আবেগের উপর নির্ভর করে না, বরং জনগণের চাহিদার উপর নির্ভর করে। একটি দেশের জন্য যা কিছু ভালো তা তার স্থায়ী স্বার্থ এবং যে দেশ এটি অর্জনে তাকে সহায়তা করে সেই দেশ তার বন্ধু। এই নীতিকেই সামনে রেখে ভারতও তার বিদেশনীতি পরিচালনা করছে, যেখানে দেশের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হচ্ছে।

  • Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসেই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার (SSC) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা সরকার। শুক্রবার এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় সামনে এল। বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিনই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা আদালত যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। উচ্চ আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে এ বিষয়ে। রাজ্যের হলফনামা জমা দেওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দেবেন মামলাকারীরা।

    গ্রুপ সি কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকার ভাতার ঘোষণা

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই ২৬ হাজার জনের মধ্যেই রয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। গত মাসেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মমতা সরকার। তবে শুক্রবার তাতে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আগের শুনানিতেই এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    প্রসঙ্গত, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় (Calcutta High Court)। যারা মামলা করেন, তারা হাইকোর্টে জানান যে, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে। প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভাতার টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার করা হল কেন? কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্ক নির্ধারণ করা হল? বিচারপতি অমৃতা সিনহা আরও প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা এই টাকা পাবেন তাঁদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? তিনি বলেছিলেন, তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন আর টাকা পাবেন? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন? প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মামলার শুনানি শেষ হয়, কিন্তু সেদিন রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই শুক্রবার তিনি রায় ঘোষণা করলেন এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন।

LinkedIn
Share