Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    RSS: বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান, পাশ প্রস্তাব আরএসএসের, রাষ্ট্রসংঘেরও হস্তক্ষেপ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় পাশ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ওই প্রস্তাবে সাফ বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া আক্রমণগুলিকে রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’ আরএসএসের মতে, ‘‘অশান্ত বাংলাদেশে হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।’’ তাই এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলেও মনে করেছে আরএসএস। এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপেরও দাবিও জানিয়েছে আরএসএস।

    বাংলাদেশের হিংসা হিন্দু বিরোধী নয়, ভারত বিরোধীও বটে

    আরএসএস (RSS) নিজেদের প্রস্তাবে আরও জানিয়েছে, কেবল সরকারকে স্মারকলিপি দিলেই এক্ষেত্রে কাজ মিটবে না। সংঘ সর্বদা সমাজের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সমাজে যখনই কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন সমগ্র সমাজের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর সমাধান খুঁজে বের করা। সংঘের ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে যে ধরনের হিংসা চলছে তা কেবল হিন্দু-বিরোধী নয় বরং ভারত-বিরোধীও বটে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশে হিন্দু ও ভারতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’’

    হিন্দু মঠ-মন্দিরে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ (RSS)

    আরএসএসের (RSS) ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা বাংলাদেশে (Bangladesh) উগ্র ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই ধরনের হামলায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মঠ, মন্দির, দুর্গাপুজো প্যান্ডেল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর, হিন্দুদের সম্পত্তি লুটপাট, নারীদের অপহরণ, শ্লীলতাহানি এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার মতো অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি রাজনৈতিক হামলা বলে চালিয়ে দিলে হবে না। যদি এমনটা হয় সেক্ষেত্রে তা হামলার ধর্মীয় দিকটিকে অস্বীকার করা হয় ও সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।’’

    হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন বাংলাদেশে, বলছে পরিসংখ্যান

    সংঘের (RSS) ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতিদের উপর এমন নির্যাতন নতুন কিছু নয়।’’ এপ্রসঙ্গে সংঘের দাবি, ‘‘বাংলাদেশে ১৯৫১ সালে যেখানে ছিল ২২ শতাংশ হিন্দু, সেখানে আজ তা ৭.৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’’ সংঘের মতে, ‘‘এই ক্রমহ্রাসমান হিন্দু জনসংখ্যাই বলে দিচ্ছে, সনাতনীরা সেদেশে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছেন।’’

    সংঘের প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি

    সংঘের তরফ থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতি সংঘের হস্তক্ষেপও চাওয়া হয়েছে। আরএসএসের ওই প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ‘‘রাষ্ট্রসংঘ সমেত বিশ্বজুড়ে থাকা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির উচিত বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনাগুলিতে গুরুত্ব সহকারে দেখা।’’ এর পাশাপাশি, হিংসা বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত বলেও মনে করছে সংঘ। একই সঙ্গে আরএসএস বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও আহ্বান জানিয়েছে।

    আন্তর্জাতিক চক্র অস্থির করতে চাইছে ভারতকে

    সংঘের (RSS) প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘‘বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চক্র ভারতে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য চক্রান্ত করছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অবিশ্বাস ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। আরএসএস মনে করে, ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক বন্ধন রয়েছে প্রতিবেশী দেশের। এই কারণে যেকোনও অস্থিরতা সমগ্র অঞ্চলে উদ্বেগ তৈরি করছে।’’

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার

    আরএসএসের মতে, ‘‘বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ সাহসিকতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, সম্মিলিত এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে হিংসার প্রতিবাদ করছে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ঘটনা।’’ আরএসএসের প্রস্তাবে বাংলাদেশ ইস্যুতে মোদি সরকারের যে ভূমিকা, তার ভূয়সী প্রশংসাও করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত সরকার বাংলাদেশের হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বিষয়টি উত্থাপন করেছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা ভারত সরকারকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা, মর্যাদা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

  • Grok: মাস্কের এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’কে ভেবেচিন্তে প্রশ্ন করতে হবে! নয়তো পড়তে পারেন আইনি সমস্যায়

    Grok: মাস্কের এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’কে ভেবেচিন্তে প্রশ্ন করতে হবে! নয়তো পড়তে পারেন আইনি সমস্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইলন মাস্কের এআই চ্যাটবট গ্রোক (Grok)। এ নিয়ে ইলন মাস্ক (Elon Musk) আগেই ঘোষণা করেছেন যে তাঁর এই চ্যাটবট ওপেন আই-এর চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির সঙ্গে জোর টক্কর দেবে। বারবার গ্রোক খবরের শিরোনামে থেকেছে এর বিশ্লেষণ, যুক্তি ও বিতর্কের কারণেও। ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে হিন্দিতে গালি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে গ্রোক-এর বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু প্রতিবেদন অনুসারে খবর সামনে এসেছে যে, গ্রোককে বিতর্কিত বা উস্কানিমূলক প্রশ্ন যদি কোনও ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হতে পারে। ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে এক্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেও। প্রসঙ্গত, এক্স (পূর্বে ট্যুইটার)-এর মাধ্যমেই গ্রোক (Grok) উপস্থাপিত হয়। ভারত সরকারের কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের সংস্থার মামলা চলছে। ঠিক এই সময় এমন সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৭ মার্চ। ইতিমধ্যে এক্স মাধ্যমে তরফ থেকে বলা হয়েছে যে সরকার নাকি তাদের বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে।

    কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে মাস্কের সংস্থা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে ইলন মাস্কের সংস্থা ‘এক্স কর্প’। কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩) (বি) ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এই সংস্থা। তাদের দাবি, এই আইনের নাকি কোনও বৈধতাই নেই। এর ফলে এমন এক সেন্সরশিপ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে তাদের কন্টেন্ট ব্লক হচ্ছে (Grok)। এতে প্ল্যাটফর্মটির কার্যকারিতায় প্রভাব পড়ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছে, পদক্ষেপ করা হবে পদ্ধতি মেনেই। সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই সংক্রান্ত আইন মানতেই হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ৭৯(৩) (বি) ধারা অনুসারে যে কোনও পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের কোনও কনটেন্টকে ব্লক করে দিতে পারে সরকার। আর এতেই আপত্তি তুলছে ইলন মাস্কের এক্স। তারা এ নিয়ে দাবি তুলেছে, কোনও কনটেন্ট সরাতে গেলে তার কারণ জানাতে হবে এবং সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে একটি শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া সরকার কোনও কনটেন্ট সরিয়ে দিলে বা ব্লক করে দিলে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার আইনি অধিকারও থাকতে হবে বলে দাবি করা হয়েছে।

    একাধিক প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্র গ্রোককে (Grok) নিয়ে

    প্রসঙ্গত, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সম্প্রতি একাধিক প্রশ্ন তুলেছে এক্সের চ্যাটবট গ্রোককে নিয়ে। ওই চ্যাটবটটির ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। দাবি, অনেক সময়ই অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছে গ্রোক। কেন এআই চ্যাটবটটিকে এভাবে নির্মাণ করা হল তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নীতি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছে এক্স। যদিও সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে ইন্টারনেটে ‘আপত্তিকর’ কনটেন্ট সরানোর ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়াকে আইন মেনে চলার কথাই জানাচ্ছে। সূত্রের দাবি তেমনই। হিন্দিতে গালিগালাজের অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রের নজরে আসে ইলন মাস্কের সংস্থার তৈরি কৃত্রিম চ্যাটবটের কার্যকলাপ। সম্প্রতি এই ধরনের উস্কানিমূলক শব্দের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এক্স-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে খবর। কেন্দ্রের তরফ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উস্কানিমূলক হিন্দি শব্দ ব্যবহার করছে গ্রোক?

    চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনির মতো এআই মডেলের বিকল্প হিসেবে ২০২৩ সালে কৃত্রিম মেধা গ্রোক তৈরি করে মাস্কের সংস্থা। পরে গ্রোককে জুড়ে দেওয়া হয় এক্স-এর সঙ্গে। তবে অভিযোগ ওঠে, গ্রোক-এ কোনও কিছু নিয়ে খোঁজ চালানোর সময় অকথ্য এবং উস্কানিমূলক হিন্দি শব্দ ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে এই কৃত্রিম মেধা। এক্স-এর চ্যাটবট ব্যবহার করার সময় ‘গ্রোক’ গ্রাহকদের অশ্লীল এবং আপত্তিকর শব্দে গালাগালাজও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    সম্প্রতি ভাইরাল হয় একটি পোস্ট

    সম্প্রতি, এক জন এক্স ব্যবহারকারী এবং ‘গ্রোক’-এর কথোপকথনের পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই হইচই পড়ে যায়। ব্যবহারকারী কৃত্রিম মেধার কাছে একটি বিষয়ে জান চান। কিন্তু চ্যাটবট তাৎক্ষণিক ভাবে উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। এর পরেই ব্যবহারকারী কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। পাল্টা ‘গ্রোক’ও অশ্লীল ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানায়। তখনই হতবাক হয়ে যান ওই ব্যবহারকারী। এরপর এ রকম আরও কয়েকটি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র।

  • Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    Illegal Chinese Occupation: সীমান্তে কাউন্টি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা, চিনকে কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সীমান্ত অঞ্চলে দুটি নতুন কাউন্টি (এক অর্থে জেলা) প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছে চিন। এর একটা অংশ আবার ভারতের লাদাখে পড়েছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। শুক্রবার সংসদে সরকার জানিয়েছে, এই বিষয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে গুরুতর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে (Illegal Chinese Occupation)।

    কী বললেন কীর্তি বর্ধন (Illegal Chinese Occupation)

    লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর চিনের অবৈধ দখলদারি ভারত সরকার কখনওই মেনে নেয়নি। নতুন কাউন্টি তৈরি করা ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানকে প্রভাবিত করবে না। কারণ এই অঞ্চলের ওপর ভারতের সার্বভৌমত্ব রয়েছে। এটি চিনের অবৈধ ও জবরদস্তিমূলক দখলদারিকে বৈধতা দেবে না।’’ চিনের এই ঘোষণার জেরে চিন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এটি ইতিমধ্যেই একটি সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ স্পষ্ট করে দেয় যে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারতের অবস্থান অনড় এবং কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়।

    দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠা

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে চলা কূটনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার আর একটি অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিদেশমন্ত্রককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে তারা কি চিন কর্তৃক হোতান প্রিফেকচারে দুটি নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অবগত, যেখানে লাদাখের ভারতীয় অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কৌশলগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। চিনের শি জিনপিং সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত কোনও প্রতিক্রিয়া সহ এই কাউন্টিগুলি তৈরির বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিবাদ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল (Illegal Chinese Occupation)।

    বিদেশমন্ত্রকের উত্তর

    এসব প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই কাউন্টিগুলি নির্মাণের বিরুদ্ধে ভারতের দায়ের করা প্রতিবাদ এবং চিনা সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার বিশদ বিবরণও চাওয়া হয়েছিল। আকসাই চিন অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত কাজকর্মের মোকাবিলায় সরকার দীর্ঘমেয়াদি কোনও কৌশল প্রণয়ন করেছে কিনা, তাও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চিনের হোতান প্রিফেকচারে দুটি তথাকথিত নতুন কাউন্টি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে চিনা পক্ষের ঘোষণা সম্পর্কে ভারত সরকার অবগত। এই তথাকথিত কাউন্টিগুলির এক্তিয়ারের কিছু অংশ ভারতের লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। সরকার এও জানে যে চিন সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি যত্নশীল ও বিশেষ মনোযোগ দেয়, যাতে এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহজতর হয় এবং ভারতের কৌশলগত ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা যায়।”

    সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি

    জানা গিয়েছে, গত দশকে সীমান্ত পরিকাঠামোর জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) একাই আগের দশকের (India) তুলনায় তিন গুণ বেশি ব্যয় করেছে। মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত সড়ক সংস্থা একাই গত দশকের তুলনায় তিনগুণ বেশি খরচ করেছে। কীর্তি বর্ধন বলেন, সড়ক যোগাযোগের দৈর্ঘ, সেতু ও টানেলের সংখ্যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য উন্নত সরবরাহ দিতে সাহায্য করেছে।” তিনি বলেন, “সরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো উন্নতির দিকে নজর দিচ্ছে। এই অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও সহজ করা হচ্ছে। এর ফলে কৌশলগত ও সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনগুলিও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে (Illegal Chinese Occupation)।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    মন্ত্রী বলেন, “সরকার ভারতের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন সব উন্নয়নের ওপর ক্রমাগত নজর রাখছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে, সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এ বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে রাজি হয়েছে চিন। তবে তার পদ্ধতি এখনও স্থির করা হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল তীর্থযাত্রা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান। গত বছর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে যে গঠনমূলক বিনিময় হয়েছে, তারও উল্লেখ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আমেরিকা সফরে গিয়ে এক মার্কিন পডকাস্টারকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে (India)। তাঁর সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসে দিন কয়েক আগে। তার পরেই ফের প্রকাশ্যে এল চিনের ‘দখলদারি’র খবর (Illegal Chinese Occupation)।

  • Weather Update: কিং-বাদশার দ্বৈরথে বৃষ্টির চোখ রাঙানি! ইডেনে কী হবে আইপিএলের উদ্বোধন?

    Weather Update: কিং-বাদশার দ্বৈরথে বৃষ্টির চোখ রাঙানি! ইডেনে কী হবে আইপিএলের উদ্বোধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। শনিবার সন্ধেয় ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) আইপিএলের (IPL 2025) উদ্বোধনী ম্যাচ (KKR vs RCB Match)। এবছর আঠারোয় পা দিল আইপিএল। ফলে বলা যেতে পারে, ২০০৮ সালে  জন্ম নেওয়া এই মারকাটারি বিনোদন ক্রিকেট এতদিনে সাবালক হল। এ বারের আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ ঘিরে সকলের উন্মাদনা তুঙ্গে। মুখোমুখি কেকেআর ও আরসিবি (Weather Update)। অধিনায়ক না হলেও আরসিবি-র মধ্যমনি বিরাট কোহলি। কিং কোহলির ব্যাট দেখতে মুখিয়ে শহরের ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর কেকেআর মানে তো বরাবরই বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এদিকে শুক্রবার সন্ধে থেকেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া (Weather Update)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধে থেকে শুরু হওয়া বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে রবিবার পর্যন্ত।

    জেলায় জেলায় ঝড়-বৃষ্টি

    ঝড় বৃষ্টির দৌলতে কলকাতায় উধাও গরমের দাপট। উল্টে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমে গিয়েছে ৬ ডিগ্রি। যার জেরে ফিরেছে খানিকটা শীতের শিরশিরানি। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করবে, এবং পরবর্তী দুই-তিন দিনের মধ্যে ‘চার থেকে ছয় ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে যাবে’ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। শনিবার কলকাতা সহ দুই বঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হবে। ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতা বেশি থাকবে দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা— বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে। এই চার জেলায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে, সঙ্গে শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। এখানে ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ৫০ কিলোমিটার। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়, বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কলকাতায় বৃষ্টি

    শনি ও রবিবার কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মাঝে মধ্যেই চলছে ধারাপাত। বেলা ১টা বেজে গেলেও বৃষ্টি কমেনি। ১৮ বছরের আইপিএলে কখনও প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়নি। শনিবার সেই আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়েছে দুই দলের অনুশীলনও। এই পরিস্থিতিতে সকল ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইছেন বরুণদেব যেন আজকের ম্যাচে নজর না দেন। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যা আশা জাগাচ্ছে সকলের মনে। ভরসা দিচ্ছে ইডেনের নিকাশি ব্যবস্থাও। পুরো মাঠ ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে ভারী বৃষ্টি হলেও তা থামার পর খুব বেশি সময় লাগবে না ম্যাচ শুরু করতে।

    বৃষ্টি হলে ম্যাচের ভবিষ্যত

    ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল আইপিএল। প্রথম বছর কেকেআর এবং আরসিবি-ই প্রথম ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু এ বারে ম্যাচ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা থেকে গিয়েছে। লিগের ম্যাচে কোনও রিজার্ভ দিনও থাকে না। ফলে বৃষ্টির জন্য সময় নষ্ট হলে প্রথমে চেষ্টা করা হবে ওভার কমিয়ে ম্যাচ করানোর। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা সন্ধ্যে ৭টা ৩০ থেকে। বৃষ্টির কারণে ওভার কমলেও কমপক্ষে ৫ ওভারের ম্যাচ করতেই হবে। নিয়ম অনুযায়ী, রাত ১২.০৬ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ করতেই হবে। যে কারণে ৫ ওভারের ম্যাচ করতে হলে সেটা শুরু করতে হবে রাত ১০.৫৬ মিনিটের মধ্যে। একান্তই যদি খেলা না হয় তা হলে দুই দল এক পয়েন্ট করে পাবে।

    উদ্বোধন ঘিরে চমক

    ক্রিকেট এবং বিনোদনের মেলবন্ধন ঘটায় আইপিএল (IPL 2025)। ক্রিকেটের নন্দনকাননে আজ উদ্বোধনী ম্যাচ সঞ্চালনা করার কথা শাহরুখ খানের। তাঁর অ্যাকশনের পাশাপাশি মঞ্চে পারফর্ম করবেন সুরের জাদু ঝরানো শ্রেয়া ঘোষাল। তরুণ প্রজন্মের হার্টথ্রব দিশা পাটানির নাচ মুগ্ধ করবে সকলকে। সঙ্গে থাকছেন করণ অউজলা। একটা জমকালো ওপেনিং সেরেমনির অপেক্ষায় লক্ষ লক্ষ ক্রিকেট প্রেমী। যারা ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের টিকিট পেয়েছেন, নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন।

    কী কী চমক

    শনিবার সন্ধ্যা ঠিক ৬.১১-তে মাঠে প্রবেশ করবেন শাহরুখ। তিনিই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। অনুষ্ঠানের শুরুতে ঠিক ২ মিনিট বক্তব্য রাখবেন তিনি।
    ৬.১৩-য় মঞ্চে উঠবেন শ্রেয়া ঘোষাল। যিনি বলিউড থেকে শুরু করে টলিউড -একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভক্তদের।
    ৬.১৩ থেকে ঠিক ১৬ মিনিট গান শোনাবেন শ্রেয়া। ১৬ মিনিটে মোটামুটিভাবে ৫-৬টি গান গাইবেন শ্রেয়া।
    ঠিক সাড়ে ছটায় মঞ্চে উঠবেন দিশা পাটানি। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাচের তালে মাঠ মাতাবেন।
    দিশার ৪ মিনিটের পারফরম্য়ান্সের পর মঞ্চে আসবেন গায়ক কর্ণ আউজলা। ৮ মিনিট গান গাইবেন। তাঁর শেষ গানের সময় ফের মঞ্চে উঠবেন দিশা।
    পৌনে সাতটা থেকে ৬.৫৩ পর্যন্ত ফের মঞ্চে শাহরুখ। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথোপকথন হবে কিং খানের। তারপর সমস্ত বোর্ড কর্তা ও সেলিব্রিটিদের মঞ্চে ডাকবেন শাহরুখ।
    তারপর উদ্বোধনী ম্যাচের দুই অধিনায়ক মাঠে প্রবেশ করবেন। সব অধিনায়কদের সঙ্গেই কথোপকথন হবে শাহরুখের।
    বিরাটকে ভীষণ পছন্দ করেন শাহরুখ। গত আইপিএলে ইডেনেই ঝুমে যো পাঠান গানের তালে নাচিয়েছিলেন কোহলিকে। বিরাট এখন আর আরসিবি-র অধিনায়ক নন। তবে শাহরুখ তাঁর সঙ্গেও মঞ্চ থেকে কথা বললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
    সব শেষে থাকবে আইপিএল ১৮ লেখা কেক কাটার পর্ব, বেলুন ওড়ানো ও ড্রোন শো। ট্রফি নিয়ে সকলের ফটোশ্যুট। আতশবাজি ফাটানো হবে। শুরু হয়ে যাবে আইপিএল।

  • RSS: মাতৃভাষা প্রধান, এ ছাড়া আরও কোন দুই ধরনের ভাষা শিখতে বলছে আরএসএস?

    RSS: মাতৃভাষা প্রধান, এ ছাড়া আরও কোন দুই ধরনের ভাষা শিখতে বলছে আরএসএস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে চলছে আরএসএসের (RSS) তিন দিনের প্রতিনিধি সভা। গতকালই এর উদ্বোধন হয়। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা বা এবিপিএস-এর প্রথম দিনে (Akhil Bhartiya Pratinidhi Sabha) সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন আরএসএসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুন্দ সিআর। তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তিনভাষা নীতির প্রণয়ন করেনি। তবে সংঘ সর্বদা মাতৃভাষা এবং মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে একটি বহুভাষিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে।’’

    শিশুর শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হল মাতৃভাষা (RSS)

    আরএসএসের মতে, প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে স্বাভাবিকভাবেই তিনটি মূল ভাষার প্রয়োজন হয়। এনিয়ে মুকুন্দ সিআর বলেন, ‘‘শিশুর শিক্ষার জন্য মাতৃভাষা খুব প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে, মাতৃভাষাই প্রধান ভাষা হওয়া উচিত। এটিই শিশুর বাড়ির ভাষা। মাতৃভাষার মাধ্যমেই শিশুর চিন্তাভাবনা, মূল্যবোধ এবং ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। মাতৃভাষার মাধ্যমে চরিত্র এবং বোধগম্যতা তৈরি হয়।’’

    স্থানীয় ভাষা শেখার গুরুত্ব

    একইসঙ্গে মুকুন্দ সিআর আঞ্চলিক বা স্থানীয় ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও কথা বলেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় অঞ্চলভিত্তিক ভাষা শেখাও প্রয়োজন (RSS)। এটি যে কোনও ব্যক্তিকে তাঁর চারপাশের সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি জনজীবনে সম্পূর্ণরূপে অংশগ্রহণ করতে পারে।’’

    শিখতে হবে কেরিয়ারের ভাষা (RSS)

    এর পাশাপাশি মুকুন্দ সিআর আরও একপ্রকার ভাষা শেখার কথা বলেন। তা হল, ‘কেরিয়ার ভাষা’। তিনি বলেন, ‘‘কেরিয়ার ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একজন শিশুর ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে ইংরেজিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। পেশাদার হওয়ার ক্ষেত্রে। যে কোনও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়তা বাড়াতে এবং আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতার জন্য অপরিহার্য হল কেরিয়ার ভাষা।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সংঘের দৃষ্টিভঙ্গি এখানেই থেমে থাকে না। এই তিনটির বাইরেও ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্যকে আরএসএস সম্মান করে বলে জানিয়েছেন সিআর মুকুন্দ। তাঁর ব্যাখ্যা, মাতৃভাষায় লালন-পালন করতে হবে চিন্তাভাবনা। আঞ্চলিক ভাষায় সম্প্রদায়গুলিকে সংযুক্ত করতে হবে এবং কেরিয়ারের ভাষা বিশ্বব্যাপী দরজা খুলে দেবে।

  • Nagpur Violence: নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশ যোগ! পদ্মাপাড় থেকেই উস্কানি, জানাল সাইবার সেল

    Nagpur Violence: নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশ যোগ! পদ্মাপাড় থেকেই উস্কানি, জানাল সাইবার সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের সমাধি হঠানোকে কেন্দ্র করে হিংসা! ভাঙচুর, পাথর ছোড়া থেকে আগুন লাগানো। উত্তাল নাগপুর (Nagpur Violence)। ঘটনার তদন্তে নেমে নাগপুর পুলিশের সাইবার সেল জানতে পেরেছে, একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছিল হিংসা। বাংলাদেশের (Bangladesh Connection in Nagpur) একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পদ্মাপাড় থেকেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছেন চক্রান্তকারীরা, দাবি সাইবার সেলের।

    নাগপুর হিংসায় বাংলাদেশি পোস্ট

    সম্প্রতি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল নাগপুরে (Nagpur Violence)। তবে সেই হিংসাই একেবারে অন্যদিকে মোড় নেয় যখন স্থানীয় পুলিশ বুঝতে পারে যে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কিছু লিঙ্ক ঘুরছে যেটা আসল উৎপত্তিস্থল হল বাংলাদেশ। নাগপুর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট একটা ফেসবুক পোস্টকে চিহ্নিত করে। সেটা আসলে এক বাংলাদেশি পোস্ট করেছিল। যার জেরে শহরে আবার অস্থিরতা তৈরি হয়। সাইবার সেল সূত্রে খবর, সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের এক ব্যক্তির। সেই পোস্টের মাধ্য়মে হিংসা যাতে ছড়িয়ে পড়ে তার উস্কানি দেওয়া ছিল। নাগপুর হিংসাকে ছোট ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ওই অ্যাকাউন্টের আর একটি পোস্টে। ভবিষ্যতে আরও বড় হিংসার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

    বহু পোস্টের আইপি অ্যাড্রেস বাংলাদেশের

    নাগপুর (Nagpur Violence) পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ৯৭টি আপত্তিকর এবং ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা হয়েছিল এমন কম্পিউটার থেকে, যেগুলির আইপি অ্যাড্রেস ছিল বাংলাদেশের (Bangladesh Connection in Nagpur)। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নাগপুর পুলিশ চারটি এফআইআর দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দাঙ্গাকারীদের অনেকেই আত্মগোপন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হিংসা এবং গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত প্রায় ২০০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, আরও এক হাজার জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ ১৮টি দল গঠন করেছে। এই দলগুলি তদন্তের বিভিন্ন দিকে নিযুক্ত। প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে ১৭ মার্চ নাগপুরের মহাল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। সেখানে একটি ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করা হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। সেই গুজবকে কেন্দ্র করে নাগপুরের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

  • Underwater Train: সমুদ্রের তলা দিয়ে রেলপথে জুড়বে দুবাই-মুম্বই! কোন পর্যায়ে রয়েছে প্রকল্প?

    Underwater Train: সমুদ্রের তলা দিয়ে রেলপথে জুড়বে দুবাই-মুম্বই! কোন পর্যায়ে রয়েছে প্রকল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্রের তলায় রেলপথে (Underwater Train) দুবাইয়ের সঙ্গে জুড়বে মুম্বই। দুই শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে সমুদ্রগর্ভের রেলপথে। প্রসঙ্গত, দুবাই-মুম্বই ট্রেন প্রকল্পটি ২০১৮ সালে প্রথম সামনে আসে। জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী দুবাই শহরকে ভারতের মুম্বই (Mumbai) শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য জলের তলার এই ট্রেন প্রকল্পের (Underwater Train) উপর কাজ করছে। এটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি বড় প্রকল্প হতে চলেছে। এই ২,০০০ কিমির রেলপথ দুবাইকে মুম্বইয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে। জানানো হয়েছে, এই রেলপথ শুধুমাত্র মানুষ পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হবে না, একই সঙ্গে পণ্য, জল এবং তেল পরিবহণ করতেও ব্যবহার করা হবে।

    কী বলছেন দুবাইয়ের আধিকারিক?

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জনপ্রিয় সংবাদ পত্রিকা খালিজ টাইমসের মতে, সেদেশের ন্যাশনাল অ্যাডভাইসার ব্যুরো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান পরামর্শদাতা আবদুল্লাহ আলশেহি এই প্রকল্পের ব্লু-প্রিন্ট সামনে এনেছেন। এদেশের সংবাদমাধ্যম নবভারত টাইমস আবদুল্লাহ আলশেহির বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আলশেহির মতে, ‘‘এটি একটি ধারণা (দুবাই-মুম্বাই সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ট্রেন পথ)। আমরা ভারতের মুম্বই শহরকে দুবাই পর্যন্ত যুক্ত করাব। সমুদ্রের নীচে (Underwater Train) অতি-উচ্চ গতির রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সংযুক্ত করতে চাই দুই শহরকে। এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকেও বাড়িয়ে তুলবে। এরমাধ্যমে ভারতে তেল রফতানি করা হবে। একইসঙ্গে নর্মদা থেকে অতিরিক্ত জল আমদানি করা হবে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই পরিকল্পনাটি অনেক দিক থেকে বিবেচনা করতে হবে আমাদের। আমরা প্রকল্পটির জন্য সম্ভাব্য সমীক্ষাও চালাব। যদি এমন ধারণা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়, তাহলে এই রেল নেটওয়ার্ক প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।’’

    মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেসময় ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানি প্রভৃতি দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর (IMEEC)-এর বিষয়ে আলোচনা করে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে দুবাই-মুম্বই রেলপথ। সম্প্রতি আবুধাবিতে ভারতীয় দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

  • Sunita Willams: মহাকাশে ৯ মাস সঙ্গী ছিল গণেশ মূর্তি, গীতা থেকেই প্রেরণা পেয়েছিলেন সুনীতা

    Sunita Willams: মহাকাশে ৯ মাস সঙ্গী ছিল গণেশ মূর্তি, গীতা থেকেই প্রেরণা পেয়েছিলেন সুনীতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আট দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘ ৯ মাস ইন্ট্যারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে কাটান সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Willams)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতাকে মহাশূন্যে প্রেরণা দিয়েছিল ভগবদ্গীতা (Bhagvad Gita)। পৃথিবীর বাইরে এই দীর্ঘ সময় নিজের শিকড় ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে ধরে রেখেছিলেন সুনীতা। নিজের সঙ্গে একটি গণেশ মূর্তি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সুনীতা জানান, ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় প্রতীক তাঁকে মানসিক শান্তি দেয় এবং নিজের লক্ষ্যের প্রতি আরও মনোনিবেশ করার শক্তি জোগায়।

    গীতার বার্তা ও আধ্যাত্মিক শক্তির আশ্রয়

    প্রথম মহাকাশ অভিযানে (২০০৬ সালে) সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Willams) ভগবদ্গীতার (Bhagvad Gita) একটি কপি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গীতার কর্মযোগের বার্তা জীবনের প্রতিটি সংগ্রামে জয়ী হতে সাহায্য করে। মহাশূন্যের নিঃসঙ্গতা ও চাপের পরিস্থিতিতেও গীতার শিক্ষা তাঁকে মানসিকভাবে শক্তিশালী রেখেছে। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বার মহাকাশ ভ্রমণের সময় তিনি শিবের একটি ছবি এবং ওঁ প্রতীক সঙ্গে রেখেছিলেন। মহাশূন্যে এই আধ্যাত্মিক শক্তির সংস্পর্শে থাকায় তিনি আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধরে রাখতে পেরেছিলেন।

    গণেশের প্রতি বিশ্বাস

    ২০২৪ সালের অভিযানে যাওয়ার সময়ও সুনীতা গণেশের একটি মূর্তি তাঁর সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গণেশের আশীর্বাদ তাঁকে সমস্ত বাধা থেকে রক্ষা করে। মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকলেও গণেশের প্রতি তাঁর বিশ্বাস অটুট ছিল। তিনি মনে করেন, গণেশ তাঁর জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক এবং সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের শক্তি।

    দোল মাতার আশীর্বাদ

    সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Willams) পৈতৃক গ্রাম ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরের কাছে ঝুলসান। এখানে অবস্থিত কুলদেবী দোল মাতার মন্দিরের প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস। প্রথম অভিযানের আগে তিনি এই মন্দির থেকে প্রসাদ হিসেবে একটি চুনারি নিয়ে গিয়েছিলেন। মহাকাশযাত্রায় যাওয়ার আগে তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য গ্রামে দোল মাতার মন্দিরে টানা ৯ মাস ধরে বিশেষ প্রার্থনা চলেছে। মন্দিরে অখণ্ড জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করা হয়েছিল এবং তাঁর নিরাপত্তার জন্য ধারাবাহিক প্রার্থনা করা হয়েছিল।

    মহাকাশে ভরসা আধ্যাত্মিকতা 

    সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Willams) শুধু একজন বিজ্ঞানী বা মহাকাশচারী নন, বরং তিনি আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী এক সাহসী নারী। মহাকাশের নিঃসঙ্গতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি আধ্যাত্মিক বিশ্বাসকে শক্তির উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সুনীতার কথায়, এই ধর্মীয় উপকরণ তাঁকে মহাকাশের নির্জন পরিবেশে মনের জোর ধরে রাখতে সাহায্য করে।

  • Char Dham Yatra: চারধাম যাত্রার রেজিস্ট্রেশন শুরু ৩০ এপ্রিল থেকে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন?

    Char Dham Yatra: চারধাম যাত্রার রেজিস্ট্রেশন শুরু ৩০ এপ্রিল থেকে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হতে চলেছে ২০২৫ সালের চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra)। জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এই যাত্রার রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। ওইদিন থেকে চালু করা হবে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীর পোর্টাল। এরপরে ২ মে চালু করা হবে কেদারনাথের পোর্টাল। বদ্রীনাথের পোর্টাল চালু করা হবে ৪ মে। অন্যদিকে হেমকুন্ড সাহিবের পোর্টাল ভক্তদের জন্য খোলা হবে ২৫ মে থেকে। হাজার হাজার ভক্ত তাঁদের আধ্যাত্মিক যাত্রার জন্য পাড়ি দেন চারধামে। জানা গিয়েছে, এই যাত্রার জন্য উত্তরাখণ্ড সরকার ইতিমধ্যে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনকে বাধ্যতামূলক করেছে। নাম নথিভুক্ত করার সময় আধার নম্বর উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।

    চারধামের পরিচয় (Char Dham Yatra)

    registrationandtouristcare.uk.gov.in-এই ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। প্রসঙ্গত, চারধাম যাত্রা হল ভারতবর্ষের অন্যতম পবিত্র যাত্রা। মনে করা হয় চারধাম যাত্রায় মোক্ষ প্রাপ্তি হয়। প্রতিবছরই হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হন এই যাত্রায়।

    যমুনোত্রী: যমুনোত্রী হল মা যমুনার সঙ্গে সম্পর্কিত ও যমুনা নদীর উৎস স্থল।

    গঙ্গোত্রী: গঙ্গোত্রী হল মা গঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত। গঙ্গার উৎস স্থল।

    কেদারনাথ: কেদারনাথ হল দেশের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম। ভগবান শিবের তীর্থস্থান।

    বদ্রীনাথ: যাত্রার শেষ ধাপ যে মন্দিরটি, তা ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছে। নাম বদ্রীনারায়ণ।

    সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) বিশ্বাস অনুসারে, চারধাম যাত্রায় (Char Dham Yatra) ভক্তের পাপ মুক্তি হয় এবং তিনি আধ্যাত্মিকতার পথে উন্নতি লাভ করে। মোক্ষ প্রাপ্তি করেন এবং জন্ম মৃত্যু বন্ধন থেকে মুক্ত হন।

    কীভাবে করবেন রেজিস্ট্রেশন? সঙ্গে কী কী রাখবেন?

    চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) সম্পর্কে বিভিন্ন আপডেট পেতে রাখতে হবে একটি ফোন। সিনিয়র সিটিজেনদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে যাত্রার আগে। যাঁরা হেলিকপ্টার করে যেতে চাইবেন তাঁদেরকে আগে থেকেই সেই টিকিট বুক করাতে হবে heliyatra.irctc.co.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে। সঙ্গে রাখতে হবে গরম জামা কাপড়, রেনকোট, ট্রেকিং জুতো ও ওষুধপত্র। ইতিমধ্যে এই যাত্রা সংক্রান্ত টোল ফ্রি নাম্বার প্রকাশ করা হয়েছে। যেটি হল ০১৩৫১৩৬৪।

  • Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএস-এর (RSS) সভার শুরুতেই চমক। মনমোহন সিং, জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। তা-ও আবার সাধারণ কোনও সভায় নয়, অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha)। বেঙ্গালুরুর সেই অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও (Mohan Bhagwat) ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, তবলা বাদক জাকির হুসেন, চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, বিবেক দেবরায়, প্রাক্তন মন্ত্রী দেবেন্দ্র প্রধান এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ প্রমুখ ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন। আর সেই কারণেই তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। আরএসসকে চরম হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্ট করে কংগ্রেস, তৃণমূলের মত বিরোধী দলগুলি। অথচ কংগ্রেসের নেতা মনমোহন সিং এবং ভারতের গর্ব মুসলমান পরিবারের সন্তান জাকির হোসেনকে শ্রদ্ধা জানানোয় আরএসএস (RSS) কী ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন হওয়ার দিকে পা এগিয়ে দিচ্ছে, সেই প্রশ্ন আজ সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে।

    ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উদ্বোধন

    এদিন আরএসএস সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) ২০২৫ এর উদ্বোধন করলেন। তিন-দিন ব্যাপী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক শুরু হওয়ার প্রাক্কালে, শুক্রবার সকালে ভারত মাতার ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ও সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে। এরপর বৈঠকের শুভারম্ভ হয়। এই বছরের অক্টোবর মাসে আরএসএস ১০০ বছর (RSS 100 Years) পূর্ণ করবে। তাই আরএসএস-এর শতবর্ষ সম্পর্কিত সমস্ত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে।

    সংঘের গত বছরের (২০২৪-২৫) বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বৈঠকে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, আরএসএস সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘ এবং বিবিধ ক্ষেত্রের মোট ১,৪৮২ জন প্রতিনিধি এই সভায় অংশগ্রহণ করছেন এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সম্পাদিত কাজের প্রতিবেদন তাঁরা উপস্থাপন করবেন। এতে উদ্যোগের বিবরণ, বিশেষ কর্মসূচি এবং গৃহীত কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন

    প্রসঙ্গত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ক্রমাগত হামলা, নিপীড়ন এবং খুন-ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন আরএসএস। এবার সংঘের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সভা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। প্রসঙ্গত এবছর অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার ৩ দিনের বৈঠক বসছে বেঙ্গালুরুতে। আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর সাংবাদিকদের জানান আসন্ন বৈঠকে দুটি প্রস্তাবের উপর আলোচনার পর মতামত নেওয়া হবে। প্রথম প্রস্তাবে থাকছে বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা, নির্যাতন নিয়ে বিশদে আলোচনা। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে থাকছে আরআসএস-এর শতবর্ষ পালন কী করে হবে তা নিয়ে আলোচনা।

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে বিধানসভা ভোট। তার আগে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই দুই রাজ্যে সংগঠন জোরদার করতে পাখির চোখ করেছে আরএসএস। অতীতে বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে একাধিকবার দরবার করেছে আরএসএস। এবার পদ্মা পারে হিন্দু নিপীড়ন প্রশ্নে পথে নামতে চলেছে তারা।

    আরএসএস-এর (RSS) মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর জানিয়েছেন, “বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, হামলা, হুমকি, নিপীড়ন বন্ধ করতে আমাদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিশদে আলোচনার পর প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কোর কমিটির কাছে তা পেশ করা হবে।” প্রেস ব্রিফিংয়ে আরএসএসের সহ-সরকার্যবাহ সিআর মুকুন্দ জানিয়েছেন, এই বৈঠকে কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তপ্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে৷ সেই সঙ্গে এই সব জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, এবিপিএস-এর বৈঠকে (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha) আরএসএসের ৩২টি সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকছেন, যাদের মধ্যে দেশের নানা স্থানে কার্যরত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

LinkedIn
Share