Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Indian Pressure: চাবাহার বন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল আমেরিকা, ভারতের চাপেই নতি স্বীকার!

    Indian Pressure: চাবাহার বন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল আমেরিকা, ভারতের চাপেই নতি স্বীকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের চাপের (Indian Pressure) কাছে নতি স্বীকার করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা! তুলে নিল ইরানের কৌশলগত চাবাহার (Chabahar) বন্দরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ পরিকল্পনার জন্য নয়াদিল্লির একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পুনরুদ্ধার হল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ ভারতের একটি বড় কূটনৈতিক জয়। কারণ এই বন্দরের নির্মাণ ও পরিচালনায় ইতিমধ্যেই মোটা অঙ্কের লগ্নি করে ফেলেছে ভারত। বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে রয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণেই।

    নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার (Indian Pressure)

    ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত চাবাহার একটি গভীর সমুদ্রবন্দর। এটি পাকিস্তানকে এড়িয়ে ভারতকে সরাসরি আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে। গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার জেরে ভারত সাময়িকভাবে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। ভারত সব সময়ই দাবি করে এসেছে যে, চাবাহার বন্দর আফগানিস্তানের জন্য একটি মানবিক ও অর্থনৈতিক জীবনরেখা। এটি খাদ্যশস্য, ওষুধ-সহ নানা জরুরি পণ্য পরিবহণে সাহায্য করে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং স্থলবেষ্টিত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, ভারতের লাগাতার কূটনৈতিক চাপের জেরে ওয়াশিংটন (আমেরিকার রাজধানী) এখন আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দিয়েছে। এর ফলে চাবাহার বন্দরে ফের জোর কদমে কাজকর্ম শুরু করবে ভারত।

    আঞ্চলিক কৌশলের কেন্দ্রে চাবাহার

    চাবাহার বন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে ভারতের আঞ্চলিক কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে (Indian Pressure)।  ২০১৮ সালে আমেরিকা প্রথমবারের মতো ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তখন ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জেরে চাবাহার বন্দরের ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হয়নি। এই ছাড়ের ফলে নয়াদিল্লি তেহরানের সঙ্গে তার যোগাযোগ বজায় রাখতে পারে, পারে এই এলাকায় সংযোগমূলক প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিতে যেতে (Chabahar)। ২০১৬ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তেহরান সফরের সময় ভারত–ইরান–আফগানিস্তান ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের পর চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারত আরও বেশি করে মনোযোগ দেয়। এই চুক্তির উদ্দেশ্যই ছিল চাবাহারের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক পরিবহণ করিডর তৈরি করা, যা আফগানিস্তান এবং তার বাইরের বাজারগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াবে। ২০১৮ সালে ভারত ‘ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেডে’র মাধ্যমে শাহিদ বেহেশতি টার্মিনালের কাজকর্মের দায়িত্ব নেয়। এর ফলে চাবাহারে ভারতের উপস্থিতি আরও মজবুত হয়। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে ভারত চাবাহার বন্দর সম্প্রসারণের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এই বিনিয়োগ আপাতত নিরাপদ (Chabahar)।

    বড় পরিকল্পনা ভারতের

    চাবাহার বন্দরের পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ নিয়ে বড় পরিকল্পনা করেছে ভারত। বর্তমানে এই বন্দরের পণ্য পরিচালন ক্ষমতা ১ লাখ টিইইউ (২০ ফুটের ইউনিট)। অর্থাৎ, ২০ ফুটের এক লক্ষ ইউনিট। একে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টিইইউতে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। ইরানের ভিতর দিয়ে চলা ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেললাইনও নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ফলে উন্নত হবে আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ (Indian Pressure)। প্রসঙ্গত, বন্দর ও রেল দুটি প্রকল্পই ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার কথা। এটি ভারতের আঞ্চলিক বাণিজ্যিক প্রভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

    চাবাহার বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব

    ভারতের কাছে চাবাহার বন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। ওমান উপসাগরের তীরে অবস্থিত এই বন্দর পাকিস্তানের চিন নিয়ন্ত্রিত গদর বন্দর থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে। চিন ও পাকিস্তান যেখানে চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের অধীনে গদরের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে, সেখানে ভারতের চাবাহার বন্দরের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ সেই আধিপত্যকে ভারসাম্যপূর্ণ করে বলেও দাবি কূটনীতিবিদদের একাংশের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জেরে এক সময় ভারতের আঞ্চলিক প্রভাব কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে আরব সাগরের বুকে স্থিতিশীল ও প্রভাবশালী একটি শক্তি হিসেবে আবারও প্রতিষ্ঠিত হল ভারত (Indian Pressure)।

    ইসলামাবাদের উদ্বেগ

    এদিকে, সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বালুচিস্তানের পাশনি এলাকায় একটি নতুন বন্দর নির্মাণ করবেন বলে। চাবাহার থেকে এই এলাকার দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এই উদ্যোগ ভারতের পুনরুজ্জীবিত কৌশলগত সুবিধা নিয়ে ইসলামাবাদের উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এখনও পাকিস্তানের এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এ থেকে স্পষ্ট, ওয়াশিংটন ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত ভূমিকা সম্পর্কে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল (Chabahar)।

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত শুধু ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থকেই সুরক্ষিত করে না, বরং ভারত মহাসাগর ও মধ্য এশিয়ার যোগাযোগপথে আঞ্চলিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার এক নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে ভারতের অবস্থানকেও শক্তিশালী করে (Indian Pressure)।

  • Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহরে! শীত আসতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন

    Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শহরে! শীত আসতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। ঘূর্ণিঝড় মন্থা (Cyclone Mantha) শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, সংশ্লিষ্ট নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। অর্থাৎ ছত্তিশগড়ের দিকে এগিয়ে যাবে। আর তার জন্যই বৃষ্টি হবে বাংলায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। কমপক্ষে আগামী তিন দিন বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া জারি থাকবে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বহু জেলায়। কলকাতাতেও (Kolkata) জারি হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা।

    ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Office) জানিয়েছে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টি চলবে। বৃহস্পতিবারই জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। অর্থাৎ বলা যায়, পুজোর দিন কলকাতায় বৃষ্টি হতে পারে। মূলত কয়েকটি জেলায় তুমুল বৃষ্টি হবে। সেই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া,পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে কলকাতা ও শহরতলিগুলিতে। আর আগামিকাল অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর শুক্রবার বৃষ্টি হবে সব জেলাতেই। বইতে পারে দমকা ঝোড়ো বাতাস। ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতির দমকা হাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। একই রকমভাবে শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা বৃষ্টি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রঝড় ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে।

    উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই বৃষ্টি

    দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পার্বত্য জেলাগুলিতে অতি ভারী বর্ষণ, অন্যান্য জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবারও আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হবে বলে অনুমান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপকূলের কাছে সাগরে ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, তাই ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    কলকাতায় কবে শীত

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী কয়েক দিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে, বৃষ্টিও হতে পারে। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকবে। যদিও এই পারদ পতনকে শীতের আগমন বার্তা বলা যাবে না , এমনই অভিমত হাওয়া অফিসের। জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে গেলেও এখনও নভেম্বর মাস পড়েনি। শহরে শীত আসতে বেশ কিছুদিন দেরি। নিম্নচাপ কাটলেই পারদ ফের চড়বে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। ফলে এখনই রাজ্যে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। হালকা শীতের আমেজ রয়েছে ভোরের দিকে। জেলায় জেলায় শীত আসার ইঙ্গিত মিললেও শীত পড়তে পড়তে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

  • SIR in Bengal: এসআইআর নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন! বিএলও-দের সঙ্গে সরাসরি কথার সুযোগ, হেল্পলাইন নম্বর চালু কমিশনের

    SIR in Bengal: এসআইআর নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন! বিএলও-দের সঙ্গে সরাসরি কথার সুযোগ, হেল্পলাইন নম্বর চালু কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR in Bengal) নিয়ে মানুষের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নাগরিকরা ১৯৫০ (1950) এই ভোটার হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। এই নম্বরের সাহায্যে বিএলও- দের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। যাবতীয় প্রশ্ন করা যাবে তাঁদের। পাওয়া যাবে উত্তরও।

    নাগরিকদের সকল প্রশ্ন ও অভিযোগের দ্রুত সমাধান

    এসআইআর (SIR in Bengal) পর্ব মসৃণ ভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ‘ন্যাশনাল ভোটার হেল্পলাইন’ (এনভিএইচ) এবং দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলা পর্যায়ের হেল্পলাইন সক্রিয় করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য—নাগরিকদের সকল প্রশ্ন ও অভিযোগের দ্রুত সমাধান। কমিশন (Election Commission of India) সূত্রের খবর, ‘ন্যাশনাল কনট্যাক্ট সেন্টার’ (এনসিসি) হবে সমগ্র দেশের কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টোল-ফ্রি নম্বরে (১৮০০-১১-১৯৫০) নাগরিকেরা যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রশিক্ষিত কর্মীরা ভোটারদের ভোট সংক্রান্ত তথ্য ও সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রতিটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলার জন্য আলাদা করে স্টেট কনট্যাক্ট সেন্টার (এসসিসি) ও ডিস্ট্রিক্ট কনট্যাক্ট সেন্টার (ডিসিসি) তৈরি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক সরকারি দফতরের সময়সূচি মেনে সারা বছর এগুলো চালু থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভাষায় পরিষেবা দেবে। ছুটির দিন ছাড়া বাকি সব দিনেই সারা বছর অফিস আওয়ার্সে কাজ করবে এইসব কনট্যাক্ট সেন্টার।

    সমস্ত অনুরোধের নিষ্পত্তি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করতে হবে

    বিশেষ নিবিড় সমীক্ষাপর্ব (SIR in Bengal) সংক্রান্ত প্রতিটি অভিযোগ ও প্রশ্ন ‘ন্যাশনাল গ্রিভ্যান্স সার্ভিস পোর্টাল ২.০ (এমসিএসপি ২.০)-র মাধ্যমে ‘রেকর্ড ও ট্র্যাক’ (নথিভুক্ত ও চিহ্নিত) করা হবে। চালু হয়েছে ‘বুক আ-কল উইথ বিএলও’ সুবিধা— যার মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি তাঁদের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-র সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এটি ‘ইসিআইনেট’ প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। নাগরিকেরা ‘ইসিআইনেট অ্যাপ’ ব্যবহার করেও নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এবং সমস্ত অনুরোধের নিষ্পত্তি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিশ্চিত করতে সিইও, ডিইও এবং ইআরও-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পুরনো অভিযোগ জানানোর পদ্ধতিগুলো আগের মতোই চালু থাকবে বলে কমিশনের (Election Commission of India) তরফে জানানো হয়েছে। নাগরিকেরা ইমেলে অভিযোগ পাঠাতে পারবেন (complaints@eci.gov.in)।

    বিএলও-দের কড়া বার্তা কমিশনের

    আগামী ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) কাজে যোগ দেওয়ার সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে কাজে যোগ না-দিলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কমিশনের। সাসপেন্ড করার মতো পদক্ষেপ করা হবে বলেও তারা জানিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে কাজে যোগ না-দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, কয়েকটি জেলায় বিএলও-রা এসআইআর প্রক্রিয়ায় এখনও অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা নানা বাহানা দিচ্ছেন। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে বিএলও-দের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। সেইমতো মুর্শিদাবাদ-সহ কয়েকটি জেলায় বিএলও-দের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও এখনও পর্যন্ত বিএলও-দের নিয়ে মাথাব্যথা কমিশনের। রাজ্যের ৮০ হাজারের বেশি বুথে বিএলও নিয়োগ করা হলেও, কিছু জায়গায় পদ শূন্য রয়েছে। সেখানে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এসআইআর নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হতেই অনেকে আর কাজ করতে ইচ্ছুক নন। এর আগেও কাজ করতে না চাওয়ায় এক হাজারের বেশি বিএলও-কে শোকজ করেছিল কমিশন (Election Commission of India)। এখন নির্দেশে কাজ না হলে সরাসরি সাসপেন্ড করার দিকে যাচ্ছে কমিশন।

  • India Rebukes UN Report: রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার সংক্রান্ত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

    India Rebukes UN Report: রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার সংক্রান্ত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ করল ভারত (India Rebukes UN Report)। নয়াদিল্লির তরফে একে পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস এইচ অ্যান্ড্রুজের তৈরি ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পাহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack) ঘটেছিল, তা ভারতে থাকা মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

    রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে (India Rebukes UN Report)

    মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লোকসভার সদস্য দিলীপ সইকিয়া বলেন, “ওই রিপোর্টে যেসব অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, সেগুলির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।” তিনি বলেন, “রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে।” রাষ্ট্রসংঘকে তাঁর অনুরোধ, তারা যেন যাচাই করা হয়নি এমন তথ্য এবং সংবাদমাধ্যমর বিকৃত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছায়। সইকিয়া বলেন, “আমার দেশ বিশেষ প্রতিনিধির এমন পক্ষপাতদুষ্ট ও সংকীর্ণ বিশ্লেষণ প্রত্যাখ্যান করছে।” রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, পহেলগাঁও হামলার পর ভারতে থাকা মায়ানমারের শরণার্থীরা হয়রানি, আটক এবং দেশান্তর করার হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।

    তথ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন

    যদিও ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে মায়ানমারের নাগরিকদের কোনও যোগই ছিল না। এই ধরনের যে কোনও দাবি তথ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন (India Rebukes UN Report)। সইকিয়া বলেন, “রিপোর্টটি প্রমাণের ভিত্তিতে নয়, রাজনৈতিক পক্ষপাত দ্বারা পরিচালিত হয়েছে বলে মনে হয়। ভারত সব সময় বাস্তুচ্যুত সব মানুষের প্রতি মানবিক আচরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারতে বর্তমানে ২০ কোটিরও বেশি মুসলমান বসবাস করছেন। এটি বিশ্বের মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। তাঁরা অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছেন (Pahalgam Terror Attack)।”

    ভারতের দীর্ঘদিনের নীতির উল্লেখ করে সইকিয়া বলেন, “মায়ানমারে স্থায়ী শান্তি ফিরতে পারে কেবলমাত্র রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।” তিনি জানান, ভারত মায়ানমার-নেতৃত্বাধীন ও মায়ানমার-নিয়ন্ত্রিত শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে যাচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য আসিয়ান (ASEAN) ও রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে (India Rebukes UN Report)।

  • PM Modi: “ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের মাইলফলক বছর ২০২৫”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের মাইলফলক বছর ২০২৫”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৫ সাল ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক বছর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।” বুধবার মুম্বইয়ে গ্লোবাল মেরিটাইম লিডার্স কনক্লেভে ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫’-এর (India Maritime Week 2025) তৃতীয় দিন ছিল বুধবার। এদিন ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, নৌবাহিনীর ক্যাডেট এবং শিল্পক্ষেত্রের শীর্ষ ব্যক্তিরাও। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে ভারতের সামুদ্রিক যাত্রার এক গৌরবময় মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সামুদ্রিক শিল্পে ভারত যে ব্যাপক উন্নতি করেছে, এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশীয় সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ভারতের প্রধান বন্দরগুলি আমাদের ইতিহাসে সর্বাধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করেছে। শুধু তাই নয়, কাণ্ডলা বন্দরই দেশের প্রথম বন্দর যেখানে মেগাওয়াট-স্কেলের দেশীয় সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই অনুষ্ঠানটি ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল। আজ এটি একটি সত্যিকারের বৈশ্বিক সম্মেলনে পরিণত হয়েছে।”  তিনি বলেন, “৮৫টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণ ভারতের ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক শক্তি সম্পর্কে বিশ্বের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী নৌপরিবহণ খাতে একাধিক বৃহৎ প্রকল্পের উদ্বোধন এবং কোটি কোটি টাকার সমমূল্যের মউ স্বাক্ষর করার কথাও ঘোষণা করেন। উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি ভারতের সামুদ্রিক সক্ষমতার প্রতি বিশ্বের আস্থার প্রতিফলন।”

     কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সম্পর্কের প্রসঙ্গও টানেন (PM Modi)। এখানে ভারত মুম্বই কন্টেইনার টার্মিনালের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সম্প্রসারণের ফলে বন্দরের পণ্য পরিচালনার ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে, যা একে ভারতের সবচেয়ে বড় কন্টেইনার বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে (India Maritime Week 2025)।” তিনি জানান, এই সাফল্য এসেছে ভারতের বন্দর পরিকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (FDI) মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পে অংশীদারিত্বের জন্য সিঙ্গাপুরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান, পুরানো, ঔপনিবেশিক যুগের জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত আইনগুলি পরিবর্তন করে আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, “এই নতুন আইনগুলি রাজ্য সামুদ্রিক বোর্ডগুলিকে ক্ষমতা দিয়েছে, অগ্রাধিকার দিচ্ছে নিরাপত্তা ও মজবুত উন্নয়নকে, উৎসাহিত করছে বন্দর ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়কে।”

    মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে সামুদ্রিক শিল্পে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগের কথাও। তিনি জানান, প্রায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২.২ লাখ কোটি টাকা) মূল্যের নয়া বিনিয়োগ হতে চলেছে। এটি ভারতের সামুদ্রিক সক্ষমতায় এক বিশাল উত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শুরু করেন এই বলে যে, তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত ভিঝিঞ্জাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর, যা ভারতের প্রথম গভীর সমুদ্র ট্রানশিপমেন্ট হাব, এ বছর সম্পূর্ণরূপে কাজ শুরু করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটেইনার জাহাজ এমএসসি-ইরিনা সেখানে নোঙরও করেছে।

    ভারত কনটেইনার শিপিং লাইন

    তিনি জানান, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ২০৪৭ সালের মধ্যে তাদের বহরে ২১৬টি জাহাজ যুক্ত করবে। এর মধ্যে থাকবে বাল্ক ক্যারিয়ার, ট্যাঙ্কার এবং অফশোর ভেসেলসও। প্রধানমন্ত্রী এদিন উদ্বোধন করেন ভারতের নিজস্ব ভারত কন্টেইনার শিপিং লাইন, যার বহরে থাকবে ৫১টি কন্টেইনার জাহাজ। এই খাতে বিনিয়োগ করা হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তেল ও গ্যাস খাতের সরকারি সংস্থাগুলি ৪৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ৫৯টি নতুন জাহাজ কেনার অর্ডারও দিয়েছে। একটি নতুন গ্রিন টাগ প্রোগ্রামও চালু করা হয়েছে (India Maritime Week 2025)। এই প্রোগ্রামে ১২ হাজার কোটি টাকায় ১০০টি পরিবেশবান্ধব টাগবোট কেনা হবে। ভারতের বন্দরগুলি আরও মজবুত করতেই এই ব্যবস্থা। ড্রেজিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকায় ১১টি ড্রেজারও কিনবে (PM Modi)।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ বিষয়ক মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বলেন, “এই সম্মেলন হল দৃষ্টি, শিক্ষা, নীতি ও উদ্ভাবনের এক মিলনক্ষেত্র।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসও ভাষণ দেন এদিন। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক এখন এমন এক মঞ্চে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের নবীন উদ্ভাবনগুলি ভারতের বন্দর ও জলপথের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ (India Maritime Week 2025) জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারতের সামুদ্রিক ক্ষেত্রকে নতুনভাবে কল্পনা করে তিনি এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা করেছেন (PM Modi)।”

  • Sheikh Hasina: “ভারতে ভালোই আছি, তবে নিজের দেশে কে না ফিরতে চায়?” নয়াদিল্লি থেকে জানালেন শেখ হাসিনা

    Sheikh Hasina: “ভারতে ভালোই আছি, তবে নিজের দেশে কে না ফিরতে চায়?” নয়াদিল্লি থেকে জানালেন শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর কেটে গেলেও, আর দেশে ফেরেননি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সত্যিই কি আর কখনও বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না শেখ হাসিনা? গত বছর বাংলাদেশ সরকারের পতন ও নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ভারতে রয়েছেন শেখ হাসিনা। আড়ালেই থাকেন তিনি। কখনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এবার তিনি নিজেই জানালেন যে গত বছর থেকে দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। আপাতত ভারতেই থাকবেন তিনি। দিল্লিতে তিনি ভালোই আছেন। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকার জানালেন হাসিনা। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে। সেই নির্বাচনে যদি আওয়ামি লিগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া না হয় তাহলে ভোট বয়কট করবেন তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা। হুঁশিয়ারিও দিলেন মুজিব-কন্যা।

    কেন নিষিদ্ধ আওয়ামি লিগ, প্রশ্ন হাসিনার

    রয়টার্স, এএফপি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুজিব কন্যা জানিয়েছেন, দিল্লিতে তিনি স্বাধীনভাবে থাকলেও, অবশ্যই নিজের দেশে ফিরে যেতে চান। তবে তাঁর দল, আওয়ামি লিগ (Awami League)-কে বাদ দিয়ে যদি কোনও নির্বাচন হয় এবং সরকার গঠিত হয়, সেই সরকারের অধীনে তিনি কখনওই বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না। ক্রমাগত চাপের মুখে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তবে বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে গত মে মাসেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগকে। এই নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে মুজিব কন্যা বলেন যে, আওয়ামি লিগের লক্ষ লক্ষ সমর্থকরা আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করবে। তিনি বলেন, “আওয়ামি লিগের উপরে নিষেধাজ্ঞা শুধু অনৈতিক নয়, বরং এটি আত্ম-পরাজয়ও।”

    আওয়ামি লিগকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমর্থন করে

    ১৫ বছর সরকার চালানো শেখ হাসিনা বলেন, “আগামী সরকারের নির্বাচনী বৈধতা থাকতে হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামি লিগকে সমর্থন করে, তাই তারা ভোট দেবেন না। রাজনৈতিক সিস্টেম চালানোর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাদ দিতে পারেন না। আওয়ামি লিগকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া মানে লক্ষ লক্ষ মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা। এভাবে অবাধ ও স্বচ্ছ ভোট হবে না। যে সরকার হবে তাও গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। আওয়ামি লিগ যদি ভোটে দাঁড়াতে না পারে তাহলে সমর্থকদের কাছে আবেদন করব, তাঁরা যেন অন্য কোনও দলকে সমর্থন না করেন। আমরা এখনও আশা রাখছি যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং আমাদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এখনও আশা রাখেন যে বাংলাদেশের ভবিষ্যতে আওয়ামি লিগ ভূমিকা রাখবে, তা সে শাসক হিসেবে হোক বা বিরোধী।

    কে না নিজের বাড়ি ফিরতে ভালোবাসে

    দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন যে গত বছরের ৫ অগাস্ট দেশে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ায় তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “থেকে গেলে আমার জীবন যেমন ঝুঁকিতে পড়ত, আশপাশের মানুষদের জীবনও তেমনি বিপদে পড়ত।” হাসিনা সাফ জানান, “কে না নিজের বাড়ি ফিরতে ভালোবাসে। আমিও যেতে চাই। কিন্তু যতক্ষণ না সেখানে সরকার গঠিত হয়, সংবিধান ও আইনের শাসনের কার্যকর হয়, ততক্ষণ যাব না।” ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তার আগে বাংলাদেশে আন্দোলনে অনেক মানুষ মারা যান। সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। তবে সেজন্য ক্ষমা চাইতে নারাজ মুজিবর কন্যা। তিনি এও জানান, দিল্লিতে ভালো থাকলেও তিনি সতর্ক। কারণ, তাঁর পরিবারের উপর আক্রমণের ইতিহাস আছে।

    জমি ছাড়তে নারাজ আওয়ামি লিগ

    বাংলাদেশে ১২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি ভোটার রয়েছে। আওয়ামি লিগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে হাওয়া গরম বাংলাদেশে। হাসিনা সরকার পতনের পর সেখানে আপাতত অন্তর্বর্তী সরকার, যার শীর্ষে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষমতায় আসার পরই সুযোগ বুঝে একদা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগের সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ফলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল লড়তে পারবে না। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান সহজে ছাড়তে নারাজ আওয়ামি লিগ। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বাংলাদেশ জুড়ে বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন কর্মসূচি করছে আওয়ামি লিগ।

    নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি হাসিনা

    গত বছর বাংলাদেশে ‘জুলাই আন্দোলন’-এর সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হন হাসিনা। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের গুম করা এবং অত্যাচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় আগামী ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সংক্রান্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে হাসিনা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এই সব মামলা চালানো হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আদালতে তিনি নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি বলেও জানিয়েছেন হাসিনা।

    ভারতে ভালোই আছেন হাসিনা

    জনবিক্ষোভের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনাঘাঁটিতে চলে আসেন হাসিনা। আপাতত ভারতেই সাময়িক আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারতে ভালোই আছেন তিনি। নিজের মতো করে রয়েছেন। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে অনুরোধ (নোট ভারবাল) পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের তরফে ওই কূটনৈতিক অনুরোধের প্রাপ্তিস্বীকার করা হলেও এখনও পর্যন্ত পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি।

  • Baba Kartik Oraon: দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের জন্মশতবার্ষিকী

    Baba Kartik Oraon: দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের জন্মশতবার্ষিকী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ অক্টোবর দেশজুড়ে পালিত হল বাবা কার্তিক ওরাঁওয়ের (Baba Kartik Oraon) জন্মশতবার্ষিকী। মহান, অথচ বিস্মৃত-প্রায় এই নেতাকে স্মরণ করল দেশ। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সমাজ থেকে উঠে আসা এই মানুষটি সংসদে হয়ে উঠেছিলেন ভারতের বনবাসী (Vanvasi) সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর। কার্তিক ওরাঁও শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রনায়ক এবং জাতীয়তাবাদী চিন্তক। তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আদিবাসী সমাজের উন্নয়নের জন্য। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতার পক্ষে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি।

    ধর্মনিষ্ঠ নেতা (Baba Kartik Oraon)

    জাতীয় কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা ছিলেন ধর্মনিষ্ঠ। জাতীয় আদর্শের প্রতি তাঁর দৃঢ় মানসিকতার কারণে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নানা সময় মতবিরোধ হয়েছে তাঁর। কার্তিকের উত্তরাধিকার কেবল মধ্য ভারতের আদিবাসী উন্নয়নের কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি ধর্মান্তরণ আন্দোলনেরও বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর মতে, ধর্মান্তরণ আন্দোলন ভারতের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বন্ধনকে বিপন্ন করেছিল।কার্তিকের অন্যতম সাহসী পদক্ষেপগুলির একটি ছিল ১৯৬৭ সালে, যখন তিনি সংসদে একটি ব্যক্তিগত সদস্য বিল উত্থাপন করেন। বিলটির নাম “তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি (অর্ডার) সংশোধন বিল, ১৯৬৭ (Baba Kartik Oraon)।”

    তফসিলি জাতি ও তফসিলি জনজাতি (অর্ডার) সংশোধন বিল, ১৯৬৭

    এই বিলটি সংবেদনশীল হলেও, জরুরি সমস্যার সমাধান চেয়েছিল। প্রস্তাবিত সংশোধনের মূল কথা ছিল সহজ, যদিও তার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। বিলটির নির্যাস হল, যাঁরা তাঁদের প্রথাগত আদিবাসী ধর্ম ছেড়ে খ্রিস্টান কিংবা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তাঁরা আর তফসিলি জনজাতির জন্য নির্ধারিত সরকারি সুবিধা পাওয়ার অধিকারী নন। তাঁর মতে, ইতিবাচক পদক্ষেপের লক্ষ্যই ছিল হিন্দু সমাজের অন্তর্গত সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীগুলিকে উন্নীত করা, ধর্মীয় সমতার ছদ্মবেশে নতুন ধরনের শোষণকে উৎসাহিত করা নয়।

    বিলটি সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। দু’বছর নিবিড় আলোচনা ও পর্যালোচনার পর ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসে কমিটি (Vanvasi) তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে কার্তিকের অবস্থানকেই সমর্থন করা হয়। কার্তিক বিশ্বাস করতেন, আদিবাসী ধর্ম ও হিন্দু ধর্ম একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেই কার্তিককেই এদিন স্মরণ করল গোটা দেশ (Baba Kartik Oraon)।

  • Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি টেকাতে তৃণমূলের হাতিয়ার সেই এনআরসি জুজু! পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পানিহাটির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল।

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ খুলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তিনি তখন ভোট দিয়েছেন। ফলে এসআইআর হলে তো তাঁর চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া, যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তারা তৃণমূল করে। মৃতের আত্মীয় বলতেও তেমন কেউ নেই। দেখা উচিত, সুইসাইড নোট কে লিখেছেন।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা বলেছিলেন এসআইআর হতে দেব না, ঘেরাও করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল, এসআইআর হচ্ছে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মমতা কালীঘাটে বাটি নিয়ে বসবেন, ভাইপো যাবেন জেলে।”

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে নথি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ফলতার ১৭৬ নম্বর পার্টে চাঁদপালা সন্তোষপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ক্ষেত্রে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার ফলতা ব্লকের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” তাঁকে বিএলওর পদ থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিএলওদের বিহারের কথা মনে করাব। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় ৫২ জন এখনও জেলে রয়েছেন। ভাবতে পারেন ওখানে নীতীশ কুমারের পুলিশ বলে জেলে, এখানে কিছু হবে না। কিন্তু আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা সবরকম বন্দোবস্ত করব। তাই বিজেপি কিংবা অন্য কোনও (SIR) পার্টির কথা না শুনে সঠিকভাবে কাজ করুন, কেবল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে (Suvendu Adhikari)।”

  • India vs Australia: ভারতের ছন্দে বাধ সাধল বৃষ্টি, ক্যানবেরায় পরিত্যক্ত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

    India vs Australia: ভারতের ছন্দে বাধ সাধল বৃষ্টি, ক্যানবেরায় পরিত্যক্ত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টিই শেষ হাসি হাসল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ ওভার খেলার পর আর খেলা শুরুই করা গেল না। ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব ও শুভমন গিল। দুজনেই মারমুখি মেজাজে খেলছিলেন। প্রথম ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৮২ রান তুলে নেয় ভারত। এদিন ক্যানবেরায় ফের টস হারেন সূর্য। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের খেলার পাঁচ ওভার পরেই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি থামলে ফের খেলা শুরু হলেও আবার ঝেঁপে বৃষ্টি। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ রেফারি। ৯.৪ ওভারে ভারতের রান তখন৯৭। ভালো ছন্দে ব্যাট করছিলেন সূর্যকুমার যাদব ও শুভমন গিল। কিন্তু বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াল।

    ওয়ান-ডে এর বদলা টি-টোয়েন্টি!

    অস্ট্রেলিয়ার কাছে এক দিনের সিরিজ হারতে হয়েছে শুভমন গিলদের। সূর্যকুমার যাদবেরা কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না। এশিয়া কাপজয়ী দলকেই মূলত পাঠানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফরে। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবে দেখছে ভারতীয় শিবির। এই সিরিজ থেকেই বিশ্ব খেতাব ধরে রাখার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দেবেন কোচ গৌতম গম্ভীর। অন্যদিকে, জসপ্রীত বুমরাহের প্রত্যাবর্তনে টিম ইন্ডিয়ার বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী হয়েছে। ইতিপূর্বে, ওয়ানডে সিরিজে টিম ইন্ডিয়া ১-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল। এই বদলা তারা টি-২০ সিরিজে নিতে চাইবে। তবে ক্যাঙারুদের দেশে এই টি-২০ সিরিজ জয় টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে অতটাও সহজ হবে না। তারই মধ্যে বাধা বৃষ্টি।

    সুস্থ হচ্ছেন শ্রেয়স

    প্লীহার ক্ষত সারিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন শ্রেয়স আয়ার। তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে। চিকিৎসকেরা যেমন ভেবেছিলেন তার থেকেও আগে সুস্থ হয়ে উঠছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। দাদার পাশে থাকতে সিডনি উড়ে যাচ্ছেন বোন শ্রেষ্ঠা। ভারতীয় বোর্ডই যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবারই তিনি সিডনির উদ্দেশে রওনা দেবেন। শ্রেয়স যত দিন না দেশে ফিরছেন তত দিন তিনি সঙ্গে থাকবেন। এ দিকে, শ্রেয়সের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ছটপুজোয় প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের মা-কে। সিডনির হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছে শ্রেয়সের। দু’দিন আগেই তাঁকে আইসিইউ থেকে বার করা হয়েছে। এখন সাধারণ বেডে রয়েছেন। সেখানেই কর্তব্যরত নার্সদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা, মজা করছেন বলে জানা গিয়েছে। বোঝা গিয়েছে, তিনি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।

  • Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) দ্বারস্থ হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sk Hasina)। আন্তর্জাতিক এই বিচারালয় রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এখানকার প্রসিকিউটরের কাছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি-র মাধ্যমে হাসিনা আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি কমিউনিকেশন দায়ের করেছেন। এই ধারাটি আইসিসিকে যে কোনও গুরুতর অভিযোগের তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেয়।

    হাসিনার অনুরোধ (Sk Hasina)

    কমিউনিকেশনে তিনি অনুরোধ করেছেন, আওয়ামি লিগ দলের নেতা-কর্মী, আগের মন্ত্রিসভা ও সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রতিশোধমূলক বিভিন্ন হিংসার তদন্ত শুরু করুন আইসিসির প্রসিকিউটর। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশে বিক্ষোভের পর অন্তর্বর্তী সরকার যেসব অপরাধ করেছে, যার ফলে ২০২৪ সালের অগাস্টে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেগুলি আদালতের (আন্তর্জাতিক) এক্তিয়ারের মধ্যে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম স্ট্যাটিউট অনুমোদন করে বাংলাদেশ। ওই বছরেরই ১ জুন থেকে বাংলাদেশে কার্যকরও হয় এটি। হাসিনার যুক্তি হল, এই অনুমোদনের ভিত্তিতেই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়েরের আইনি অধিকার রাখেন।

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের মামলা

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, অভিযোগে উত্থাপিত ঘটনাগুলির মধ্যে হত্যাকাণ্ড, বেআইনি আটক এবং নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে যেসব দাবি উঠেছে, সেগুলির যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসির প্রসিকিউটরের তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতগুলিতে এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে (Sk Hasina)। উল্লেখ্য, স্টিভেন পাওলস কেসি অতীতে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত বহু ব্যক্তির পক্ষেও আইনি লড়াই লড়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত (ICC)।

    কমিউনিকেশনে হাসিনার দাবি

    কমিউনিকেশনটিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে আওয়ামি লিগের প্রায় ৪০০ নেতা ও কর্মীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেককে হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে পিটিয়ে। এই কমিউনিকেশনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং ভিডিও প্রমাণ, যেগুলিতে এসব হত্যার ভয়াবহ দৃশ্য এবং বিশদ বিবরণের উল্লেখ রয়েছে। কমিউনিকেশনে এও বলা হয়েছে, আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে স্রেফ অনুমান করে বহু ব্যক্তিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মায় অভিনেতা ও গায়কদের মতো ব্যক্তিত্ব, যাঁদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক খুবই ক্ষীণ, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অপারেশন ডেভিলস হান্ট

    কমিউনিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন ব্যক্তি জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন। যাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরেই নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট (Sk Hasina)। আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (যা আদতে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার) ডেভিলস হান্ট (Devils Hunt) নামে একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের ঘোষিত উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামি ফ্যাসিবাদ দমন করা। এই অভিযানটি পরিচালিত হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে (ICC)। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অভিযানে ১২ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১৮ হাজার জনকে। কমিউনিকেশনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার একটি দায়মুক্তি আদেশ (immunity order) জারি করে, যার মাধ্যমে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের ওপর নির্যাতন চালানো যায় এবং অপরাধীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয় (Sk Hasina)।

    ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায়

    যেহেতু বাংলাদেশের আদালতে ন্যায়বিচারের কোনও সম্ভাবনা বা তদন্তের আশাই নেই, তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করাই ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিউনিকেশনে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের তরফে এমন একটা সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হল, যখন হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঝুলে রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে আন্দোলন দমনের নামে ১৪০০ জনকে (ICC) হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়া-সহ মোট পাঁচটি অভিযোগে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে ওই ট্রাইব্যুনালে (Sk Hasina)।

LinkedIn
Share