Tag: bangla khabar

bangla khabar

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজকর্ম শেষ করে রাতে হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর এই ইস্তফা বলে জানান তিনি। এবার তাঁর উত্তরসূরি বাছাইয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল কমিশন। রাজ্যসভার অন্য দু’জন সচিবকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    গত ২১ জুলাই ইস্তফা দেন ধনখড়। পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার কথা জানায়। তারপরই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় কমিশন। শুক্রবার, আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মতিতে ১ জন রিটার্নিং অফিসার ও ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব পিসি মোদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। পাশাপাশি, রাজ্যসভার যুগ্মসচিব গরিমা জৈন এবং রাজ্যসভা সচিবালয়ের অধিকর্তা বিজয় কুমারকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও, কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে৷ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের আশপাশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। ভারতের সংবিধানের ধারা ৬৬(১) অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। ভোট হয় একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটপদ্ধতিতে, অর্থাৎ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাংসদদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভোটদান।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন কারা?

    বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি আসন (পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট) শূন্য। রাজ্যসভায় ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৫টি শূন্য— এর মধ্যে ৪টি জম্মু-কাশ্মীর এবং ১টি পাঞ্জাবের। ফলে কার্যত ভোটদানে যোগ্য সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৮২। নির্বাচিত ও মনোনীত— উভয় কক্ষের সদস্যরাই ভোট দিতে পারেন। সংখ্যার নিরিখে জিততে প্রয়োজন কমপক্ষে ৩৯২টি ভোট।

    এনডিএ না ইন্ডি— কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?

    লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। রাজ্যসভায় এনডিএ-র সমর্থনে রয়েছেন ১২৯ জন সাংসদ। সব মিলিয়ে এনডিএ-র ঝুলিতে আছে ৪২২টি ভোট— যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের রয়েছে লোকসভায় ৯৯ এবং রাজ্যসভায় ২৭ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ ব্লকের সমর্থনে এই সংখ্যা ৩৫০-র বেশি হলেও, সম্প্রতি আম আদমি পার্টি সেই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। উপরন্তু, কয়েকজন সাংসদের দলত্যাগ বা অনুপস্থিতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। যদিও শেষ মুহূর্তে কে ভোট দেন, কে দেন না, বা কারা পক্ষ বদলান — তার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের ভোটদানের ক্ষেত্রে দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে, এনডিএ প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত।

  • Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    Online Arms Licences: ভূমিপুত্রদের নিরাপত্তার স্বার্থে অসমে অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেবে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অনলাইনে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (Online Arms Licences) প্রদান ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে অসম সরকার। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই চালু হতে চলেছে এই অনলাইন পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমে যারা নিজেদের সুরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র প্রয়োজন মনে করছেন, তারা আর জেলা শাসকের (ডিসি) দফতরে না গিয়েই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যে ভূমিপুত্ররা থাকেন, তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। অসমের যে সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকায় বা উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় রাজ্যের বাসিন্দারা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছেন, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন।

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    ডিব্রুগড়ের এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আগামী দিনে অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিস্ফোরক হতে চলেছে। সেই সময় স্থানীয় মানুষ কীভাবে বাঁচবেন বা নিজেদের রক্ষা করবেন? একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রই তখন তাদের রক্ষা করবে।” বিরোধী কংগ্রেসের (Online Arms Licences) সমালোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার বক্তব্য স্পষ্ট। ৪০,০০০ একরেরও বেশি জমি বাংলাদেশি মুসলিম দখলদারদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করার পর, অসমবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে শিখেছে। ভবিষ্যতেও এই সাহস ধরে রাখতে হবে। শুধু আন্দোলন করেই অধিকার আদায় হয় না, বাস্তববাদী হতে হবে। অসমবাসীকে বাঁচতে হলে বাস্তববাদী হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকার অসমবাসীর নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য একাধিক বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও পদক্ষেপ করবে। আমাদের সামনে কিছু লক্ষ্য রয়েছে এবং আমরা তা সংবিধানের সীমার মধ্যে থেকে দ্রুত বাস্তবায়ন করব।”

    কীভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে

    বর্তমানে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের (Online Arms Licences) আবেদন করা গেলেও, ‘সেবা সেতু’ পোর্টালে এই পরিষেবা যুক্ত হওয়ায় আবেদন আরও সহজ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আবেদন করার পর ডিসি যাচাই করবেন, আবেদনকারী লাইসেন্সের যোগ্য কি না, তারপরই লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এর আগে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ধুবড়ি, বরপেটা এবং হাইলাকান্দি জেলার মতো এলাকায়, যেখানে স্থানীয়রা সংখ্যালঘু, সেখানে তারা ভয় এবং হুমকির মধ্যে বাস করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর, বাংলাদেশি মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের হুমকি দেওয়ার একাধিক অভিযোগও উঠেছে। এমনকি এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আগামী ২০ বছরের মধ্যে অসমবাসীর জমি ও সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিচ্ছেন এক বাংলাদেশি।

  • EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    EC: রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের, কী বলল ইসি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর “আমরা তোমাদের জন্য আসছি” মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করল নির্বাচন কমিশন (EC)।  কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য (Rahul Gandhi) করেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন বলেছে, রাহুল গান্ধী একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলার পাশাপাশি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকিও দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাহুল বলেন, “গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকের একটি আসনে প্রতারণা হতে দিয়েছে কমিশন।”

    কী বলেছিলেন রাহুল (EC)

    কমিশনকে সতর্ক করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “তোমরা এটা করে পার পেয়ে যাবে না। কারণ আমরা তোমাদের জন্য আসছি।” রাহুলের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র প্রশ্ন তোলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন ও হুমকিমূলক অভিযোগ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে কেন তোলা হচ্ছে, তাও আবার এখন?” তিনি বলেন, “এই মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ ১৯৫১ সালের গণপরিষদ আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনি যদি নির্বাচনের ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে তাঁর উচিত ছিল নির্বাচনী আবেদন দায়ের করা অথবা যদি ইতিমধ্যেই দায়ের করে থাকেন, তবে হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা। অথচ তিনি এর বদলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন এবং একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দিয়েছেন।”

    ১০০ শতাংশ প্রমাণ

    রাহুল বলেন, “কংগ্রেসের কাছে কংক্রিট ১০০ শতাংশ প্রমাণ রয়েছে যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (EC) সময় দক্ষিণ ভারতের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছিল এবং তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাটিকে সতর্ক করে বলেন যে, তারা এভাবে পার পাবে না। কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছি।” নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র বলেন, “কর্নাটকের নির্বাচনী তালিকা নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি আপিলও কোনও জেলাশাসকের কাছে বা রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দায়ের করা হয়নি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের কাছে একটি বৈধ আইনি পথ।” তিনি জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ১০টি নির্বাচনী আবেদনপত্রের মধ্যে একটি আবেদনও পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থীদের পক্ষ থেকে করা হয়নি। অথচ (EC) জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিই ছিল কংগ্রেসের পক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সব চেয়ে বড় সুযোগ। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতো কাজ করছে না এবং তাদের দায়িত্ব পালন করছে না (Rahul Gandhi)।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন

    বিহারে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়া এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের মন্তব্য, “বছরের শেষ দিকে যে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হবে, তা বয়কট করার অপশন খোলা আছে”, সে প্রসঙ্গে রাহুল পার্লামেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, “কংগ্রেসের কাছে ১০০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে কর্নাটকের একটি আসনে নির্বাচন কমিশন জালিয়াতি করতে দিয়েছে।” রাহুল বলেন, “৯০ শতাংশ নয়, যখন আমরা এটি আপনাদের সামনে আনব তখন দেখবেন এটি ১০০ শতাংশ প্রমাণ।” লোকসভার বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “আমরা কেবলমাত্র একটি আসন দেখেছি এবং তাতেই এটা পেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আসন থেকে আসনে এই ধরনের নাটকই চলছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে একটা বার্তা দিতে চাই। সেটা হল আপনারা যদি ভাবেন যে আপনারা এভাবে পার পেয়ে যাবেন, যদি আপনার অফিসাররা এমনটা ভাবেন, তবে আপনারা ভুল ভাবছেন। আপনারা পার পাবেন না, কারণ আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি (EC)।”

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে হতে পারে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তার আগেই সে রাজ্যে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন। এ প্রসঙ্গে রাহুল নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এই বলে সতর্কও করে দিয়েছিলেন যে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনকে এটি থেকে পার পেতে দেবে না। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির দাবি, সংশোধনী প্রক্রিয়াটি নির্বাচনী কারচুপির একটি বৃহত্তর ধরণ।

    কমিশনের নয়া বিবৃতি জারি

    সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এসআইআর প্রক্রিয়ার পক্ষে একটি নতুন বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতেই ভোটার তালিকা সংশোধন অপরিহার্য।” কমিশনের প্রশ্ন, “এই ধরণের বিষয়ের ভয়ে এবং এই ধরণের লোকদের দ্বারা (Rahul Gandhi) প্রভাবিত হয়ে কি তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পরিত্যাগ করা উচিত?” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনের (EC) কি উচিত হবে সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রথমে বিহারে এবং পরে সারা দেশে মৃত ভোটার, স্থায়ীভাবে অভিবাসী ভোটার, দুটি জায়গায় নিবন্ধিত ভোটার, জাল ভোটার, এমনকি বিদেশি ভোটারদের নামে জালিয়াতি ভোটদানের পথ পরিষ্কার করা?” কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “এটি হল সুষ্ঠু নির্বাচন এবং একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের ভিত্তি।”

  • Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    সুশান্ত দাস

    ভারতীয় সেনায় অ্যাপাচে (Apache AH-64E) অন্তর্ভুক্তি হওয়ার দুদিন পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এক বিরাট খবর সামনে এল। জানা যাচ্ছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বা স্টেলথ ফাইটার (Stealth Fighters) জেট কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দিয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদি সরকার (Modi Sarkar)।

    অ্যামকা (AMCA) হাতে পেতে আরও ১০ বছর

    ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Fifth Generation Fighter Jets) ‘অ্যামকা’ তৈরির প্রকল্প বাস্তব রূপ পেতে ঢের দেরি। ডিআরডিও এই প্রকল্পের কাজ জোরদার চালালেও, এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম জোগাড় করা এবং তার পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরেই মাস প্রোডাকশন বা অধিক সংখ্যায় তৈরি করা হবে অ্যামকা। তার পর গিয়ে তা শেষমেশ বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসব হতে হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, বায়ুসেনায় অ্যামকা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত হতে আরও এক দশক!

    পাকিস্তানকে সাজাচ্ছে চিন!

    কিন্তু, ভারতের শত্রুরা তো বসে নেই। চিন তো প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে, অপারেশন সিঁদুরের ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাকে ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তানও। আর তাতে পাকিস্তানকে সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করছে সব ঋতুর বন্ধু চিন। এমনও শোনা গিয়েছে, বেজিং তার নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট ইসলামাবাদকে দিতে আগ্রহী। যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ভারতের কাছে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ভারত কখনই চাইবে না, তেমন দিন দেখতে। ভারতকেও অবিলম্বে এই অস্ত্র নিজের ঘরে তুলতে হবে। প্রশ্ন হল, এখন ভারত কী করবে?

    শূন্যস্থান পূরণের দাবি জোরালো…

    পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভারত আপৎকালীন ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক যুদ্ধবিমান কেনার ভাবনাচিন্তা করছে ভারত। যা খবর আসছে, বিদেশ থেকে ২ থেকে ৩ স্কোয়াড্রন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বায়ুসেনার অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে দুই থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন (৪০-৬০টি বিমান) কেনা হোক। বায়ুসেনা তাদের প্রস্তাব পেশ করে প্রতিরক্ষা সচিব আরকে সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে। সূত্রের খবর, বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

    কেন্দ্রকে অভিনব ফর্মুলা বায়ুসেনার

    ইতিমধ্যে এমআরএফএ (MRFA) প্রকল্পের আওতায় ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধববিমান কেনার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা। এক্ষেত্রে, ভারতের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের রাফাল যুদ্ধবিমানের এফ-৪ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনার এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮-২০টি বিমান থাকে। অর্থাৎ, ১১৪টি যুদ্ধবিমান হল আনুমানিক ৬টি স্কোয়াড্রনের সমান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়ুসনার তরফে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র ১১৪টা ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার জায়গায় সংখ্যাটিকে দুভাগে ভাঙতে। যেমন— ৬০টা ৪.৫ প্রজন্মের আর ৫৪টা পঞ্চম প্রজন্মের। বা উল্টোটা। অর্থাৎ, ৫৪টা যুদ্ধবিমান ৪.৫ প্রজন্মের আর ৬০টা পঞ্চম প্রজন্মের। এক কথায়, তিন স্কোয়াড্রন ৪.৫ প্রজন্মের আর বাকি তিনটে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব সেই ফর্মুলায় সম্মত হয়েছেন।

    ভারতকে প্রস্তাব দুই দেশের

    এবার প্রশ্ন, কার থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিতে পারবে ভারত? তবে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে স্টেলথ ফাইটার জেট রয়েছে বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে। অপারেশনাল পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জেট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের। এছাড়া, আমেরিকার এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ। চিন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে, রইল বাকি আমেরিকা ও রাশিয়া। এদের দুজনেই তাদের স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রস্তাব ভারতের সামনে রেখেছে। একদিকে আমেরিকা সামনে করছে তাদের এফ-৩৫এ (F-35A) যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রস্তাবে রয়েছে সু-৫৭ (Su-57)।

    কার স্টেলথ বিমান নেবে ভারত?

    তাহলে ভারত কাদের দিকে ঝুঁকবে? মার্কিন এফ-৩৫ খাতায়-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, এটা কেনায় অনেক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, ভারত যা চাইবে, তা পাবে না (বলা ভালো দেওয়া হবে না)। যুদ্ধবিমানের নির্মাতা লকহিড-মার্টিন কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। নিজেদের ‘নয়নের মণি’ বিমানের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ— উভয়ের উপরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে পেন্টাগন। এমনকি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ভারতের হাতে ছাড়া হবে না। তার জন্য ভারতে একাধিক মার্কিন কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কঠোর এন্ড-ইউজার মনিটরিং ক্লজ চাপাতে পারে, যাতে ভারত সায় দেবে না। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইলে বিমানের কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে। উপরন্তু, এফ-৩৫ রাখা প্রায় সাদা হাতি পোষার সামিল। বিমানের দাম থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভার বিপুল। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে, যা ভারতের বাধা।

    রাশিয়া থেকে কেনা সহজ নয়…

    তাহলে কি ভারত পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সু-৫৭ যুদ্ধবিমানই কিনতে চলেছে? এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ, ভারতের কেনার বিষয়টি পুরোটাই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। আরও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি। তবে, রাশিয়া থেকে কেনাও এতটা সহজ হবে না। প্রধান কারণ হল আমেরিকার তীব্র আপত্তি। এমনিতেই রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা। সর্বোপরি, রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সমস্ত প্রযুক্তিই নয়, এই বিমানের সোর্স কোড-ও ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। এতেই তেলে-বেগুনে ট্রাম্প! রাশিয়ার স্টেলথ বিমান কেনা থেকে ভারতকে আটকাতে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। হুমকি দিচ্ছে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তাহলে, ভারতের ওপর ‘CAATSA’ আরোপ করা হবে। সহজ কথায়, ভারতকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

    সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না…

    তাহলে, ভারত কী করতে পারে? ইচ্ছে থাকলেও ভারত কি কিনতে পারবে না রুশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান? উপায় একটা আছে। তা হলে, সরাসরি না কিনে, ঘুরপথে যাওয়া। অন্তত তেমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কেমন সম্ভব হবে সেটা? কী সেই ঘুরপথ? ভারত যেটা করতে পারে, তা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রোগ্রামের অংশীদার হয়ে যাওয়া। যা ভারত একটা সময় পর্যন্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন সু-৫৭ দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। এখন রাশিয়া যদি জানায়, তারা আবার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে স্টেলথ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে ভারত অংশীদার হতে পারে। তাতে আমেরিকার বলার কোনও জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে, ভারতের কাছে সবকিছুই থাকবে। অংশীদার হিসেবে রুশ সু-৫৭ নিতে ভারতের অসুবিধে হবে না। অর্থাৎ, সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। অন্তত, তথ্যাভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছে। বাস্তবে কী হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Modi in Maldives: “ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কের শিকড় সমুদ্রের মতোই গভীর”, মুইজ্জুকে পাশে নিয়েই দাবি মোদির

    Modi in Maldives: “ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কের শিকড় সমুদ্রের মতোই গভীর”, মুইজ্জুকে পাশে নিয়েই দাবি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কের (Modi in Maldives) শিকড় ইতিহাসের চেয়েও পুরোনো এবং সমুদ্রের মতোই গভীর। মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে পাশে নিয়ে এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতকে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু (India-Maldives) বলে অ্যাখ্যা দিলেন মুইজ্জুও। এখানেই শেষ নয়, মলদ্বীপে বিপুল বিনিয়োগেরও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫৬৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪,৮৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।

    প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহায়তা

    শুক্রবার মলদ্বীপের (Modi in Maldives) মাটিতে পা রাখার পর মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত-মলদ্বীপের শিকড় আমাদের ইতিহাসের চেয়েও পুরনো। উভয় দেশ প্রতিবেশীর চেয়েও বেশি কিছু।” এরপরই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মলদ্বীপের অর্থনীতির উন্নতিতে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।” মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে ভারত সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন মোদি। এমনকী মলদ্বীপের সেনার সাহায্যে ৭২টি সামরিক যান দেওয়ার ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী কথায়, “প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার প্রমাণ। মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারত সর্বদা সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সমৃদ্ধিই আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য। আমরা মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সবরকম সহযোগিতা করে যাব। দুর্যোগ বা মহামারি—ভারত সবসময় প্রথম সাড়া প্রদানকারী হিসেবে মলদ্বীপের পাশে থেকেছে।”

    বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস

    মলদ্বীপে (Modi in Maldives) বিপুল বিনিয়োগেরও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫৬৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪,৮৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা। মলদ্বীপ সফরে প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক মহলের দাবি, মলদ্বীপে থাবা বসাতে থাকা চিনকে সরাতে ভারতের এই পদক্ষেপ। দীর্ঘ দিন ধরে ভারত ঘনিষ্ঠ ছিল মলদ্বীপ। তবে চিনের বিপুল ঋণের টোপ গিলে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় মুইজ্জু সরকার। দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হয়। এর পালটা মলদ্বীপ বয়কটে বিপাকে পড়ে সেখানকার অর্থনীতি। বিপদ বুঝে ভুল শুধরে ফের ভারতের কাছে আসেন মুইজ্জু। বন্ধুকে ক্ষমা করে তার পাশে দাঁড়ায় দিল্লি।

    বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী

    মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর “ইন্ডিয়া আউট” প্রচারের মাধ্যমে ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Modi in Maldives) কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছিল। তবে এবারে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনাকে “গঠনমূলক” উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু বলেন, “আমাদের সহযোগিতা নিরাপত্তা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ছড়িয়ে পড়েছে, যা আমাদের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।” মুইজ্জু ভারতকে মলদ্বীপের “সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী” বলে আখ্যা দেন। মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ৪,০৭৮ দিন ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রিত্ব পালন করায় অভিনন্দন জানান এবং বলেন, “এই অভাবনীয় মাইলফলক আপনার নিষ্ঠা ও জনগণের কল্যাণে অবিরাম কাজের প্রতিফলন।” ভারতের সহায়তায় মলদ্বীপে নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। ভারতের সাহায্যে তৈরি হওয়া মলদ্বীপের নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবনকে “বিশ্বাসের কংক্রিট ভবন” হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এটি ভারত-মলদ্বীপ (India-Maldives) মজবুত অংশীদারিত্বের প্রতীক।”

  • Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas 2025)। ১৯৯৯ সালের এই দিনে কার্গিল যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন বিজয়’ এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীকে হটিয়ে কার্গিল অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিল। প্রতি বছর এই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি আমাদের মনে করায়, ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ (1999 India Pakistan War) জয়। এবছর কার্গিল জয়ের ২৬তম বর্ষপূর্তি পালন করছে দেশ।

    ২৬ জুলাই দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সেই সমস্ত সাহসী সৈন্যদের প্রতি, যাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ ময়দানে নেমেছিলেন। এই দিনটির অন্যতম গুরুত্ব হল, কার্গিলে যে সমস্ত অঞ্চল পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল করেছিল, ভারতীয় সেনা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই স্থানগুলিকে দখলমুক্ত করে। ভারতীয় সেনার এমন দাপটে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা। কার্গিল বিজয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারতের বীর সেনার বলিদান স্মরণ করার দিন (India Salutes War Heroes)।

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ (1999 Kargil War)

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ, যখন পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা যৌথভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কার্গিলের বেশ কিছু অঞ্চলকে দখল করে। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে ভারতীয় সেনা শুরু করে ‘অপারেশন বিজয়’ (Operation Vijay)। এর মাধ্যমে কার্গিলকে পাকিস্তানি জঙ্গি ও সৈন্যদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে সেনা। ১৯৯৯ সালে ২৬ জুলাই সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সৈন্যকে পরাস্ত করে কার্গিলকে দখলমুক্ত করে ভারতীয় সেনা। চলতি বছরে কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে।

    লাহোর ঘোষণাপত্রে সই সত্ত্বেও শান্তি স্থায়ী হয়নি

    কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও, শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে শীতকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় অনুপ্রবেশ শুরু করে, কাশ্মীর এবং লাদাখের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ভূমিও দখল করে তারা। এরপর মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশের বিষয়টি চিহ্নিত করে, এরপরই শুরু হয় কার্গিলে ভারতীয় সেনার অভিযান। তীব্র যুদ্ধের সঙ্গে শুরু হয় ‘অপারেশন বিজয়’।

    অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও

    ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জম্মু এবং কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরে চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ চলতে থাকে কার্গিলে। পাকিস্তান প্রথমে দাবি করে, জঙ্গিরাই এ সব করছে। এখানে পাক সেনার কোনও ভূমিকা নেই। পরে যদিও পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ তাঁর আত্মজীবনী ‘ইন দ্য লাইফ অব ফায়ার’-এ স্বীকার করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও।

    আমেরিকার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান

    কার্গিলের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অবস্থা যখন একেবারে বেসামাল, তখন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সহযোগী ব্রুস রিডেল দাবি করেছিলেন, বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি আমেরিকা। আমেরিকার দাবি ছিল, ভারত থেকে পাকিস্তান সৈন্য প্রত্যাহার না করলে তারা কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না।

    ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন এই যুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, কার্গিল হল জম্মু-কাশ্মীরের একটি জেলা। এই জেলাকে নিয়ে তখনই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যখন পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা এখানে অনুপ্রবেশ করতে থাকে সীমান্ত পেরিয়ে। এই অঞ্চলের একাধিক স্থান তারা নিজেদের দখলে আনতে থাকে। এরপরে ‘অপারেশন বিজয়ে’র মাধ্যমে অসম্ভব সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ভারতীয় সেনা। দখলমুক্ত হয় কার্গিল। কার্গিল বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই সমস্ত ভারতীয় সেনাদের প্রতি যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছেন। জানা যায়, ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা মাতৃভূমির মাটি দখলমুক্ত করতে শহিদ হন এই যুদ্ধে। প্রতিবছরের ২৬ জুলাই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

    কীভাবে পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস

    কার্গিল বিজয় দিবসে সারাদেশে যুদ্ধের যে স্মৃতিসৌধগুলি রয়েছে সেখানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় দ্রাসে, এই স্থানটি কার্গিলে অবস্থিত। সেখানে উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা ও নেতা-মন্ত্রীরা শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। কার্গিল বিজয় দিবসের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় দেশ জুড়ে। দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যের মাধ্যমে ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বগাথাকে স্মরণ করা হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করানো হয় দেশের যুবসমাজকে। দেশের স্কুল-কলেজ তথা বিভিন্ন এনজিও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনে।

  • Chhattisgarh: মাথার মোট দাম প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা! পাঁচ জেলায় আত্মসমর্পণ ৬৬ মাওবাদীর

    Chhattisgarh: মাথার মোট দাম প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা! পাঁচ জেলায় আত্মসমর্পণ ৬৬ মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের বড়সড় সাফল্য মিলল। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh)বস্তার ডিভিশনে আবার সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করল ৬৬ জন মাওবাদী জঙ্গি। ছত্তিশগড়-সহ বিভিন্ন রাজ্যে লাগাতার চলতে থাকা অভিযানের মাঝে ফের মাওবাদীদের আত্মসমর্পণকে পুলিশ এবং নিরাপত্তরক্ষীদের বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

    মূল স্রোতে ফেরার লক্ষ্যে 

    পুলিশ জানিয়েছে আত্মসমর্পণকারী ৬৬ জন মাওবাদীর মধ্যে ৪৯ জনের মাথার উপর মোট দাম ছিল ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র আত্মসমর্পণকারী ৬৬ জন নেতা-কর্মীর মধ্যে ২৭ জন মহিলা। বিজাপুরে ২৫ জন, দন্তেওয়াড়ায় ১৫ জন, কাঁকেরে ১৩ জন, নারায়ণপুরে আট জন এবং সুকমায় পাঁচ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটিবিপির উদ্যোগে আত্মসমর্পণ হয়েছে বলে জানান বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্রকুমার যাদব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মূল করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পালন করতে ছত্তিশগড় বদ্ধপরিকর। মাওবাদী নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তিশগড় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। তার আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি।

    সক্রিয় সরকার

    প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের অস্ত্র ত্যাগ করাতে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’-এ বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ছত্তিশগড় সরকার। যেখানে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হয়। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হয় নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

     

     

     

     

  • Central Government on Soft Porn: ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ দেখানোর অভিযোগ! সরকারের নিশানায় উল্লু-সহ একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম

    Central Government on Soft Porn: ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ দেখানোর অভিযোগ! সরকারের নিশানায় উল্লু-সহ একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সুস্থ-সাংস্কৃতিক পরিবেশ রাখতে সক্রিয় মোদি সরকার। ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ (Central Government on Soft Porn) দেখানোর অভিযোগে এবার নড়চড়ে বসল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক উল্লু, এএলটিটি, ডেসিফ্লিক্স, বিগ শটস সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল। এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে ব্যান করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নামের তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে মন্ত্রক থেকে।

    কোন কোন অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ

    সূত্রের খবর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আপত্তিকর বিজ্ঞাপনের ২৫টি লিঙ্ক শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে পর্নোগ্রাফিক বিষয়বস্তু রয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মতে, অশ্লীল বিষয়বস্তু এবং আপত্তিকর বিজ্ঞাপন দেখানো অ্যাপগুলি চিহ্নিত করে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, এই বিষয়ে সব ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকায় উঠে এসেছে ‘অল্ট’, ‘উল্লু’, ‘বিগ শটস অ্যাপ’, ‘দেশি ফ্লিক্স’, ‘বুমেক্স’, ‘নবরস লাইট’, ‘গুলাব’-সহ আরও কিছু অ্যাপ এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নাম। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অভিযোগ, ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন (বিশেষ করে ধারা ৬৭ এবং ৬৭এ), ২০২৩-এর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ২৯৪ এবং ১৯৮৬ সালের অশ্লীল ভাবে নারী শরীর প্রদর্শন (নিষেধ) আইন, ধারা ৪-এর নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলি।

    কেন নিষিদ্ধ করল সরকার

    এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর বারবার প্ল্যাটফর্মগুলির দায়িত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর দাবি, সৃজনশীল অভিব্যক্তির আড়ালে অশ্লীলতা এবং নিজেদের দায়িত্বের অপব্যবহার করে কিছু প্রচার না করাই উচিত। ২০২৪ সালের ১২ মার্চ অশ্লীল কন্টেন্ট দেখানোয় ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর।’ প্রসঙ্গত, আইটি আইনের ধারা ৬৭ এবং ৬৭এ অনুযায়ী বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কোনও ভাবে অশ্লীল বা যৌন উত্তেজক কোনও কিছু দেখানো যায় না। একই ভাবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ২৯৪ অনুযায়ী গানের দৃশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও নিষিদ্ধ। আবার ১৯৮৬ সালের আইন অনুযায়ী, কোনও মাধ্যমেই নারীকে অশ্লীল ভাবে উপস্থাপন করা যায় না। দফতরের দেওয়া তালিকায় উল্লিখিত ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলো এই সব ক’টি আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মন্ত্রকের দাবি।

  • Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফর সেরে মলদ্বীপে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Maldives)। শুক্রবার সকালে ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মহম্মদ মুইজ্জু। মোদিকে ২১টি তোপধ্বনি দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। এই বছর দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মোদির আগমন বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মলদ্বীপ সফর। শুধুমাত্র মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কারণেই নয়, বরং মোদির এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনীতির সম্পর্কে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের চিহ্ন।

    প্রোটোকল ভেঙে মোদিক স্বাগত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার মলদ্বীপের মালেতে পৌঁছেছেন। সেখানে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। প্রোটোকল ভেঙে এদিন মোদিকে বিমানবন্দরেই আলিঙ্গন করেন মুইজ্জু। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মোদি যান রিপাবলিক স্কোয়ারে, যেখানে তাঁকে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক স্বাগত-সম্মান । এই আয়োজন ভারতের প্রতি মলদ্বীপের বিশেষ মর্যাদার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা স্বভাবতই চিনের মাথাব্যাথার কারণ।

    গেস্ট অফ অনার মোদি

    আগামিকাল, ২৬ জুলাই, মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসে, প্রধানমন্ত্রী মোদি হবেন ‘গেস্ট অফ অনার’। নতুন রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর আমলে এই প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে এমন সম্মান জানানো হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে ভারতের প্রতি মলদ্বীপের কূটনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরছে। ভারতের “প্রতিবেশী প্রথম” নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ মলদ্বীপ। এছাড়াও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের বড় পরিকল্পনা “মহাসাগর” (MAHASAGAR – Mutual and Holistic Advancement for Security and Growth Across Regions) নীতির একটি প্রধান স্তম্ভ মলদ্বীপ। এ অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই ভারত কাজ করে চলেছে।

    ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    মলদ্বীপে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে গদিতে বসেছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। এরপর থেকেই একের পর এক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল মালে। আদতে ভারত বিরোধিতার রাজনীতিতেই গদিতে বসেছিলেন মুইজ্জু। তবে প্রয়োজনের সময় সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছিল মলদ্বীপকে। আর দ্বীপরাষ্ট্রের চরম সংকটের সময়ে ফের একবার স্বস্তি দেয় সেই ভারতই। আর তাই মুইজ্জুও নিজের অবস্থান বদল করছেন ভারত নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এক সময় ভারতকে হেয় করা মুইজ্জু ভুল বুঝতে পেরেছেন। দেশের অর্থনৈতিক শিরদাঁড়া ভগ্নপ্রায় হওয়ায় ভারতের কাছে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের দেওয়া অর্থসাহায্য পেয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ঋণখেলাপি হওয়া এড়াতে সক্ষম হন মুইজ্জু। মলদ্বীপকে সে সময় ৭৫.৭ কোটি ডলারের সহায়তা প্রদান করেছিল ভারত। উত্তর মলদ্বীপে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দক্ষিণ মলদ্বীপে একটি সেতু ও সড়ক প্রকল্প, রাজধানী মালেতে একটি বৃহৎ আবাসন উন্নয়ন প্রকল্প এবং মালেকে তার পশ্চিম শহরতলির দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নতুন সেতু নির্মাণেও সাহায্য করে ভারত।

    মূল বৈঠক ও নতুন চুক্তি

    এই সফরে মোদি ও রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হবে। ইতোমধ্যেই দুই দেশ একটি ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব’-এর চুক্তি করেছে, যা এবার বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছবে। এদিন বিকেলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলগুলির মধ্যে আলোচনা হয় এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি (MoU) সই হয়। চুক্তিগুলি বাণিজ্য, পরিকাঠামো, পর্যটন, শিক্ষা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। মোদি ভার্চুয়ালি মলদ্বীপে ভারতের সহায়তায় নির্মিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন মোদি।

    মোদি-মুইজ্জু সম্পর্কের উষ্ণতা

    এদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্মানে একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। এতে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ভারত ও মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে এই নৈশ ভোজ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঙ্গিত বহন করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি নিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ভারত এবং মলদ্বীপের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল, তা পুরনো অবস্থায় ফেরানোর কাজ শুরু হল মোদির সফরের পর।

    চিনের জন্য অস্বস্তি

    রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মুইজ্জু চিনের সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেন। ‘নন-লেথাল’ অস্ত্র সরবরাহ চুক্তি, চীনে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর, এবং মলদ্বীপ সেনাদের চিনা প্রশিক্ষণ সবই ভারতের জন্য চিন্তার কারণ ছিল। তবে মোদির এই সফর ফের ভারতকে মলদ্বীপের দিকে ফিরিয়ে আনছে। মুইজ্জুর এই ভারত প্রীতি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে চিনের জন্য। ভারত মহাসাগরে তার ভূ-কৌশলগত অবস্থানের জেরে ও এই অঞ্চলে ভারতের উপরে চাপ বজায় রাখতে মলদ্বীপকে কোনও দিনই হাতছাড়া করতে চাইবে না বেজিং। অন্য দিকে, ভারত মহাসাগরে চিনা আধিপত্য একেবারেই চায় না ভারত। তাই মলদ্বীপকে হাতে রাখতে চায় নয়াদিল্লিও।

  • India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Free Trade) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী—নরেন্দ্র মোদি এবং কেয়ার স্টারমার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। এই আবহে, চুক্তির উপকারিতা এবং এতে রাজ্যওয়ারি কী কী লাভ হতে চলেছে, তা আগেভাগেই তুলে ধরেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)?

    নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) মাধ্যমে এবার থেকে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটেনে যেন লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রস্তুত। ভারতীয় সামগ্রী আরও সহজে ও শুল্কছাড় সুবিধা পেয়ে ব্রিটেনে রপ্তানি করা যাবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় পণ্য বিশ্ববাজারে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে, বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

    কোন রাজ্য থেকে কী কী পণ্য এবার সহজেই ব্রিটেনে রফতনি করা যাবে

    জম্মু-কাশ্মীর: পশমিনা, তশর সিল্ক, বাসমতী চাল, কাঠের তৈরি কাশ্মীরি ক্রিকেট ব্যাট

    পাঞ্জাব ও দিল্লি: জলন্ধরের স্পোর্টস সামগ্রী, বাসমতী চাল

    উত্তরপ্রদেশ: আগ্রা ও কানপুর থেকে চামড়ার পণ্য, মিরাট থেকে খেলাধুলার সামগ্রী, খুরজা থেকে মাটির জিনিসপত্র

    গুজরাট: বন্ধনী কাপড়, মরবি সিরামিক্স, হীরা

    মহারাষ্ট্র: কোলাপুরের চামড়ার জুতো, আইটি পরিষেবা সংক্রান্ত সামগ্রী

    তামিলনাড়ু: কাঞ্চিপুরম শাড়ি, হলুদ (টারমেরিক), থাঞ্জাভুরের পুতুল, ভেলোরের চামড়ার পণ্য

    পশ্চিমবঙ্গ: দার্জিলিং চা, বালুচরী শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চামড়ার জিনিস, নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল

    অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা: কফি, হলুদ, ডিজিটাল সার্ভিস সংক্রান্ত পণ্য

    কেরল ও ত্রিপুরা: রাবারজাত পণ্য, হলুদ

    বিহার: ভাগলপুর সিল্ক, গ্লাস ক্লিপস, মাখানা

    রাজস্থান: জয়পুরের গয়না ও অলঙ্কার

    হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড: স্থানীয় হস্তশিল্প, খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী

    প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৈরি জিনিসও পাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) ফলে ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি থেকে পণ্য অত্যন্ত সহজে ও কম খরচে ব্রিটেনে রফতানি করা যাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরকেন্দ্রিক উৎপাদন, সব কিছু পণ্যের জন্য এবার খুলে গেল আন্তর্জাতিক বাজারের দরজা।
    উদাহরণস্বরূপ, বিহারের হাতে তৈরি মাখানা, ভাগলপুর সিল্ক এবং কাঁচের গয়না, যেগুলি এতদিন স্থানীয় বা সীমিত পরিসরে বিক্রি হত, এবার সেগুলিও শুল্কছাড় সুবিধায় ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।

    এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। কারণ, চুক্তির আওতায় প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক (tariff) কমানো হয়েছে অথবা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, ভারত থেকে যেসব পণ্য ব্রিটেনে রফতানি হবে, সেগুলির দাম কমে যাবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে।

    এই চুক্তি ঐতিহাসিক মাইলফলক (India UK Free Trade)

    এছাড়াও এই চুক্তির একটি বড় দিক হল, ভারতীয় পেশাদারদের (professional workers) জন্য ব্রিটেনের শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অন্যান্য দক্ষ পেশাদারদের জন্য ব্রিটেনে কাজের ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হবে। এই চুক্তিকে তাই দুই দেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

    ২০২৩ জি-২০ সম্মেলনে এনিয়ে আলোচনা হয়

     ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় (India UK Free Trade) এবং তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিও ঘটে। তবে এর মাঝেই ব্রিটেনে পালাবদল ঘটে, ক্ষমতায় আসে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করা, বিশেষ করে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করাই হয়ে ওঠে অগ্রাধিকার। শুধু তাই নয়, স্টারমার শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা-সহ একাধিক খাতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন। অবশেষে, স্টারমারের সরকারের সময়েই বহু প্রতীক্ষিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

LinkedIn
Share