Tag: bangla news

bangla news

  • Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারদের পার্টি নয়, বিজেপি প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার দল। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে তৃণমূলের কটাক্ষকে এই ভাষাতেই জাবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। শনিবার সকালে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা বিজেপি কার্যালয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তারপরই সুকান্ত-শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে কড়া আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। 

    ওদের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি আসি

    এদিন তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এটা কোনও স্বৈরতন্ত্র নয়। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা বা যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না, বলে দাবি করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan Jyoti)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সামনে বাধ্য হয়ে আসতে হল আমাকে। দুদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কেন্দ্রীয় সরকার বৈমাত্রেয় সূলভ আচরণ করছে জানিয়ে দেখা করতে চান। শুধু ওদের সঙ্গে দেখা করতেই আমি দিল্লি এসেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিলেন ৫ জন প্রতিনিধি দেখা করবেন। তারপর আমার পিএসের কাছে বলেন ১০ জন দেখা করবেন। আমি বললাম আপত্তি নেই। তারপর বলেন, সমস্ত জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি বলি, সচিব সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার জন্য। তারপর সাড়ে ৭টায় বলেন সব সাংসদ দেখা করবেন। আমি সেটারও ব্যবস্থা করি। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেন, একা দেখা করবেন। আমি তারপর বলি কারও সঙ্গে একা দেখা করব না। ডেলিগেট টিমের সঙ্গে দেখা করব। তারপর ৮টায় বলা হয় সব সাংসদরা আসবেন। আমি বলি সেটাই করুন। কিন্তু ৮টা ২০তে আবার বলেন জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে আগে। আমি বলি, আগে আপনাদের ডেলিগেটের সঙ্গে দেখা করব। তারপর জনতার সঙ্গে দেখা করব। যেভাবে আমার নামে মিথ্যা বলেছেন, আমাকে ভিডিয়ো করতে হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি নাকি পিছনের গেট দিয়ে চলে গিয়েছি। আমি ৪ নম্বর গেট দিয়েই বরাবর যাতায়াত করি। আমার মনে হচ্ছে মিথ্যাটাই এই সরকারের বুনিয়াদ।” 

    ইউপিএ জমানার তুলনায় বেশি বরাদ্দ

    তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে জমিদারদের পার্টি বলা হচ্ছে। আমাদের দল জমিদারদের দল নয়, প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার পার্টি হল বিজেপি। আমাদের সরকার গরিব মানুষকে সব দিয়েছে। আর আমাকে বলছে, আমি মিথ্যেবাদী? মহুয়া মৈত্র, যে দলে তুমি আছো মিথ্যার ভিত্তিভূমি থেকে তার উৎপত্তি’। শনিবার কলকাতায় এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। দাবি করেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে মোদি সরকার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাধ্বী জানান, “২০১৪-র পর ৪৫ লক্ষ বাড়ি আমরা দিয়েছি আবাস যোজনায়। ইন্দিরা আবাস যোজনায় অ্যাপ্রুভ হওয়া ১০ লক্ষের বেশি ঘর আমরা তৈরি করেছি। কোভিডের পর থেকে এই রাজ্যের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিয়ে আসা হচ্ছে। ৩৯,৭১০০টন চাল দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী (Sadhvi Niranjan Jyoti)  জানান, “আমি আজ কলকাতায় এসেছি। ওরা যেখানে বলবে সেখানে কথা বলতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু ওদের কথা বলার কেউ নেই। আসলে মুখুমুখি বসলে চুরি ধরা পড়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “মনরেগায় ঘোটালা হয়েছে। মনরেগার টাকা আটকালে তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আটকানো হত। ৫৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর সময়। আর মোদী সরকার ১১০০০ কোটি দিয়েছে গত ৯ বছরে। মহিলাদের মাত্র ৬০০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর আমলে। আর মোদী সরকারের সময়, ৭৪০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১১ লক্ষ  বাংলার মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করছেন মোদী সরকারের সময়। এই সব কারণেই ওরা আলোচনা করার বদলে পালিয়ে যান। কারণ দুর্নীতি ছাড়া কথা বলার আর কোনও বিষয় ছিল না। আমি আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম। আজও এসেছি। আমি ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সচিবকে নিয়ে আসুন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না। কথা দিচ্ছি। কিন্তু ভুয়ো জব কার্ড যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তো বের করতেই হবে।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও দিল্লি গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ, আবার কখনও রাজভবনের সামনে ধর্না প্রদর্শন। কার্যত নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচতেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছেন, নন্দীগ্রামে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘পুলিশি মদতে মঞ্চস্থ ধর্না জনস্বার্থে না পরিবারের স্বার্থে? এই প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডার তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কার্যত খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর স্ত্রী এবং বাবা-মাকেও তলব করার প্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডারের চারটি তারিখ ৬ অক্টোবর, ৭ অক্টোবর, ৯ অক্টোবর এবং ১১ অক্টোবর এই চারদিন ‘মা’ ‘বাবা’ ‘কয়লা’ ও ‘নারোলা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি চলো কর্মসূচি কিম্বা রাজভবনের সামনে অভিষেকের নেতৃত্বে ধর্না— এসবই শাসক দলের অবস্থানকে দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই বলেও আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেছে তৃণমূল। অভিষেকের নাম না করে তাঁকে ‘জমিদার’ বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। শাসক দল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও উপেক্ষা করছে মত শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, একের পর এক ইডির জেরার মুখে অভিষেক ও তার পরিবার। শুভেন্দুর বক্তব্য অভিষেক নিজেকে বাঁচাতে বাবা মা-সহ পরিবারকে চোর সাজাচ্ছে। কার্যত দিল্লি থেকে রাজভবন, বিগত কয়েকদিনে যে যে কর্মসূচি গুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন শুভেন্দুর চোখে অভিষেকের নেওয়া সেই সমস্ত পদক্ষেপগুলো কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। তিনি নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচাতেই এই ধরনের একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন। এগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Row: দিল্লি থেকে বেশিরভাগ কূটনীতিককে সরাচ্ছে কানাডা! পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে

    India-Canada Row: দিল্লি থেকে বেশিরভাগ কূটনীতিককে সরাচ্ছে কানাডা! পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের কথা মানতে চলেছে কানাডা (India-Canada Row)। ‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার জন্য দেশে থাকা কানাডার কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জাস্টিন ট্রুডো সরকারকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেই মতোই কানাডা সরকার ভারত থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে কুয়ালালামপুর এবং সিঙ্গাপুরে পাঠাচ্ছে। ধাপে ধাপে তাঁদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। 

    ভারতের নির্দেশ মানল কানাডা

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার কানাডার (India-Canada Row) ৪১ জন কূটনৈতিককে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। ভারতে এই মুহূর্তে ৬২ জন কানাডার কূটনীতিবিদ ছিল কানাডায় বর্তমানে ২০ জন ভারতীয় কূটনীতিক রয়েছেন। তাই ‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার জন্য কানাডার সেই সংখ্যক কূটনীতিকদেরই ভারতে থাকার বিষয়ে ট্রুডো সরকারের সঙ্গে কথা বলেছিল দিল্লি। ভারত জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভারত থেকে অতিরিক্ত কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে হবে কানাডাকে। সেই মতোই নাকি ভারতে থাকা বেশিরভাগ কূটনীতিকদের সরিয়ে নিল কানাডা। 

    আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রীর! এশিয়ান গেমসে শত পদক, ভারতের খেলাধুলোয় ইতিহাস

    ভারতে কানাডার সেনেটের স্পিকার

    প্রসঙ্গত, ভারত এবং কানাডার (India-Canada Row) সম্পর্ক বর্তমানে একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দুই দেশের কূটনৈতিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধাক্কা খেয়েছে। সদ্য ভারতে হওয়া জি ২০ সম্মেলনে এসেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দেশে ফিরে তিনি বলেন, কানাডায় হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে ভারতীয় এজেন্টরা। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রক সঙ্গে সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে দেয়। এই আবহে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিক করার জন্য দু’তরফেরই কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত। আগামী ১২ তারিখ (চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত) নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলছে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির স্পিকারদের সম্মেলন। সেখানে আসছেন কানাডার সেনেটের স্পিকার রেমন্ড গ্যাগনে। এ ব্যাপারে পাকা কথা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সূত্রের দাবি, ওই সম্মেলনে আসার কথা ছিল কানাডার সংসদীয় নিম্ন কক্ষের (হাউস অব কমন্স) নব মনোনীত অধ্যক্ষ গ্রেগ ফার্গুস-এর। কিন্তু কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ, লিবারাল পার্টির সাংসদ গ্রেগ ফার্গুস নিজেও কানাডার শিখ সম্প্র‍দায়, বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ বলে পরিচিত। তাই বিতর্ক এড়াতে তাঁর জায়গায় রেমন্ড গ্যাগনেকেই দিল্লি পাঠাতে মনস্থ করেছেন ট্রুডো। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রীর! এশিয়ান গেমসে শত পদক, ভারতের খেলাধুলোয় ইতিহাস 

    Asian Games 2023: স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রীর! এশিয়ান গেমসে শত পদক, ভারতের খেলাধুলোয় ইতিহাস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রীড়াজগতে স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) স্লোগান ছিল ‘ইস্ বার ১০০ পার’। সত্যিই চলতি এশিয়ান গেমসে ১০০ পদক পেরিয়ে গেল ভারত। এটি সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে কোনও দিন ১০০ পদক ছোঁয়া তো দূর, তার ধারেকাছেও যেতে পারেননি অ্যাথলিটেরা। সোনা পাওয়ার ব্যাপারেও এ বার রেকর্ড হয়েছে। মোদি-জমানার আগে ক্রীড়াজগতে এই উন্নতির কথা ভাবতেও পারেনি দেশবাসী। ভারতকে খেলাধুলোর দেশ প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বে দাপট দেখানোর আগে এশিয়া সেরা হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই চলছে ভারত। এশিয়ায় ভারত যে কারও থেকে কম যায় না, সেটা বোঝানোর জন্যে এশিয়াডের থেকে ভাল মঞ্চ আর হয় না। তাই প্রচারের শুরুটা হয়েছিল এশিয়ান গেমস থেকেই। সেখানেই অভূতপূর্ব সাফল্য মিলল। 

    কবাড্ডিতে সোনা

    কবাড্ডিতে সোনা জিতে ভারতকে শততম পদক এনে দিলেন ভারতীয় মহিলা দল। চিন তাইপেকে ফাইনাল ম্যাচে ২৬-২৪ স্কোরলাইনে হারাল ভারতীয় মহিলা কবাড্ডি দল (Indian Women’s Kabaddi Team)। ভারতের শততম পদক জয়ের পরই প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সব খেলোয়াড়দের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাঁদের পরিশ্রমই ভারতকে এই ঐতিহাসিক মাইল ফলকে পৌঁছতে সাহায্য করেছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০ অক্টোবর ওই বিজয়ী অ্যাথলিটদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

    তীরন্দাজিতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত

    এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023)  শেষ দিনটা দুরন্ত শুরু করেছিল ভারত মহিলাদের তিরন্দাজির কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জিতলেন জ্যোতি সুরেখা ভেন্নাম। ফাইনালে কোরিয়ার প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সোনা জেতেন জ্যোতি। ম্যাচের ফলাফল জ্যোতি ১৪৯, এবং চিয়েউন ১৪৫। তিরন্দাজির একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন অদিতি স্বামী। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ফের একবার তিরন্দাজিতে আরেকটি সোনা এল ঘরে। কমপাউন্ড তিরন্দাজিতে পুরুষদের সিঙ্গেলসে সোনা জিতলেন ওজাস দেওতালে (Ojas Deotale)। স্বদেশীয় অভিষেক ভার্মাকেই (Abhishek Verma) ১৪৯-১৪৭ স্কোরলাইনে হারালেন তিনি। ফলে সোনার পাশাপাশি রুপোও এল ভারতের ঘরে।


    আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পিটি ঊষা সম্প্রতি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই ভারত আগামী দিনে খেলাধুলোয় অন্যতম শক্তি হয়ে উঠবে। তার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ক্রীড়াবিদদের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিদেশি কোচেদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। তিন-চার বছর আগে এটা শুরু হয়েছে। এখন একটা জায়গায় চলে এসেছে তারা। তার ফলাফলও দেখতে পাচ্ছি আমরা।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের (Kamduni Gang Rape) মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কামদুনিকাণ্ডে হাইকোর্টের রায় ‘সামগ্রিকভাবে প্রত্যাশিত নয়’, বলে জানালেন শুভেন্দু। নির্যাতিতার পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করলেন তিনি।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক হিসাবে এই রায়কে স্বাগত জানানোর কোনও প্রশ্ন নেই। এই রায় অপ্রত্যাশিত। আমি কামদুনির (Kamduni Gang Rape) বোনেদের বলব, রায়ের কপি তুলে তাদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে তাঁরা যদি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনি বা আর্থিক সাহায্য যদি চান, আমি সম্পূর্ণ তৈরি। অনেক প্রবীণ আইনজীবীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, অনুরোধ করলে তাঁরাও বিনা পারিশ্রমিকে এই মামলা লড়তে পারেন।’’ রাজ্য সরকারের কাছে বিরোধী দলনেতার অনুরোধ,  ‘‘অবিলম্বে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক। কারণ খালাস পেয়ে যাওয়ার পরে এই অপরাধীরা, বোনদের পরিবারের সার্বিক ক্ষতি করবে না, এই গ্য়ারান্টি কেউ দিতে পারে না। তাদের আচরণ কোনও সভ্য, সুস্থ মানুষের মতো নয়।’’

    আরও পড়ুন: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    সুকান্তর দাবি

    প্রসঙ্গত, কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Gang Rape) ‘লঘু দণ্ড’ দিয়েছে আদালত, বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের। নিম্ন আদালতে দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছিল, তাকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি দু’জনকে। এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা পুলিশের কাজ। তা ঠিকমতো হয়নি। মহিলা মোর্চার তরফে আন্দোলনে নামার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনার কথাও শোনান সুকান্ত।

    রায় নিয়ে বিরোধীদের মত 

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই অনেকে চেয়েছিলেন। ফলে এই রায়ে সকলে খুশি হবেন না। শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আদালতের রায় যেহেতু, এ নিয়ে কিছু না বলে শুধু বলতে চাই বিচার প্রক্রিয়া বিশেষ করে পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও সক্রিয়তার অভাব রয়ে গিয়েছিল কি? যার কারণে আজকে এই ধরনের নৃশংস অপরাধ সংগঠিত করার পরও কেউ কেউ খালাস হচ্ছে? এটা মানুষের মনে নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন তুলবে।”

    আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কথায়, “পুলিশের এক প্রকার নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এই রায়টা হল। তৃণমূল যে অভিযুক্তদের পক্ষে মিছিল করেছে, পুলিশের কি আর সাহস হবে তাদের বিরুদ্ধেই ঠিকমতো চার্জশিট গঠন করার, প্রমাণ ঠিকমতো দাখিল করার। পুলিশের ভিতরে ঢুকলে অনেক কিছুই বোঝা যায়। আমি তো ৪২ দিন জেলে ছিলাম। লকআপে থেকে অনেক জ্ঞানই অর্জন করেছি। পুলিশ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে।”

    বিস্ফোরক মৌসুমি-টুম্পা

    টুম্পা কয়াল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৪ জন আইনজীবী আমাদের মামলা থেকে সরে গিয়েছেন। তখনই আমরা আন্দাজ করেছিলাম এমন কিছু হবে। সরকার আমাদের কথা দিয়েছিল যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। একদিকে সরকার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। কারণ সরকারি আইনজীবী একের পর এক টাকা নিয়ে তাঁরা বিক্রি হয়ে গিয়েছেন।’

    চিৎকার করে মৌসুমী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি শুনতে পাচ্ছেন, আপনিই কামদুনি গিয়ে বলেছিলেন, ১৫ দিনে চার্জশিট আর ৩০ দিনে সাজা ঘোষণা, সরকারি উকিল এই মামলা লড়বে! রেপ কেসকে আপনি দরদাম করেছিলেন! কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপনার সেই রেটের দামের মূল্য আজকে দিতে হল! সরকারি উকিল, পুলিশ প্রশাসন সব টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে। বিচার দিতে পারলেন না আপনি!”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nobel Prize 2023: ইরানি মেয়েদের স্বাধীনতার দাবিতে লড়তে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত নার্গিস, ‘শান্তি’র প্রলেপ নোবেল পুরস্কারে  

    Nobel Prize 2023: ইরানি মেয়েদের স্বাধীনতার দাবিতে লড়তে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত নার্গিস, ‘শান্তি’র প্রলেপ নোবেল পুরস্কারে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্যক্তিগত বহু ক্ষতি স্বীকার করে নার্গিস তাঁর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।” নোবেল (Nobel Prize 2023) কমিটির তরফে এই কথাগুলি যাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনিই এবার পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। শুক্রবার যখন তাঁর নাম ঘোষণা করা হল, তখনও তিনি বন্দি রয়েছেন ইরানের গারদে। এই মহীয়সী নারীর পুরো নাম নার্গিস মোহম্মাদিই।

    নার্গিস মোহম্মাদিই

    ১৯৭২ উত্তর-পশ্চিম ইরানের জানজানে জন্ম নার্গিসের। ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর পড়েন ইঞ্জিনিয়ারিং। যোগ দিয়েছিলেন চাকরিতে। পরে চলে আসেন সাংবাদিকতায়। হয়ে যান সেন্টার ফর ইউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারের সদস্য। এই সময় তিনি ইরানের মহিলাদের পড়াশোনা, পোশাক মায় সার্বিক স্বাধীনতার প্রশ্নে সোচ্চার হন। ইরানের পর্দানসীন সমাজ তাঁর এই ‘বিপ্লব’ ভাল চোখে দেখেনি। যার পরিণতিতে আজও ভোগ করতে হচ্ছে নিদারুণ অত্যাচার।

    ইরান সরকারের অত্যাচার 

    ইরানি মহিলাদের সার্বিক স্বাধীনতার দাবিতে সরব হওয়ায় নার্গিসকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে ইরান সরকার (Nobel Prize 2023)। এর মধ্যে পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। জীবনের মূল্যবান ৩১টা বছর কেটেছে কারান্তরালে। এখনও মেলেনি কাঙ্খিত মুক্তি। ১৫৪ বার চাবুক মারা হয়েছে তাঁকে। তা সত্ত্বেও ইরানি-নারী মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন নার্গিস, সেখান থেকে এক চুলও সরে আসেননি। যার জেরে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হল তাঁকে। এদিন নোবেল কমিটির তরফে নার্গিসের নাম ঘোষণা করে বলা হয়, “ব্যক্তিগত বহু ক্ষতি স্বীকার করে নার্গিস তাঁর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। নারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের পক্ষে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।”

    নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবরে নার্গিসের কী প্রতিক্রিয়া জেলবন্দি থাকায় তা জানা যায়নি। তবে তাঁর ভাই হামিদ্রেজা মোহাম্মদি বলেন, “আমার মনে হয়, এর ফলে ইরানের অবস্থা কিছুটা হলেও, ভাল হবে। ওখানকার অবস্থা ভয়ঙ্কর। যাঁরা প্রতিবাদী, আন্দোলনকারী, তাঁরা খুনও হয়ে যেতে পারেন ওখানে। নার্গিসের এই খবরে (Nobel Prize 2023) আমি খুশি।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি।” যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের বেআইনি নিয়োগ মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতির পর ফের শুনানি হয় শুক্রবারে। তখনই সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অপসারণের নির্দেশ বিচারপতির

    ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় বৃহস্পতিবার ওই ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে পুনর্বহাল করা হবে।

    গুরুতর অভিযোগ শিক্ষা দফতরেরও

    সুনন্দা ও অচিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও। একুশ, বাইশ এবং তেইশ সালে তাঁদের বেতন বন্ধ ও বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলেজের গভর্নিং বডিকে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা দফতর। গভর্নিং বডি সেই সুপারিশ কার্যকর করেনি। আদালত (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের দাবি, গভর্নিং বডির সভাপতির উদ্দেশে সুপারিশপত্র পাঠানো হলেও, তা পৌঁছত সচিবের হাতে। সুনন্দা ছিলেন গভর্নিং বডির বর্তমান সচিব।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এদিনের শুনানিতে অচিনার অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলেজে শিক্ষকতার জন্য ইউজিসির নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁর নেই। তাই তাঁর অপসারণের নির্দেশ বহাল থাকবে। রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ তো তিনজনে (মানিক ভট্টাচার্য, সুনন্দা এবং অচিনা) মিলে যা খুশি করেছেন। অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছেন আর কুড়োচ্ছে কে? রানি। তিনজন কলেজ চালাতেন। তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ওই অধ্যক্ষ কীভাবে বেতন পেতেন, তা জানতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।  এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশাল অফিসার অর্ক কুমার নাগ বৃহস্পতিবার রাতে এসে পুলিশ নিয়ে কোর্ট অর্ডারে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দিয়ে চলে যান। তাঁর রুমের দরজায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) অর্ডারের কপি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ল কলেজের সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। যান শাসনের কাজে লাগানো হয় এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের। ইদানিং লাগানো হচ্ছে হাসপাতালের প্রহরায়ও। এহেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেল রোগীর রক্তচাপ মাপতে! এ ছবি কোনও বেসরকারি হাসপাতালের নয়, সরকারি এক হাসপাতালের।

    ‘এগিয়ে বাংলার নিদর্শন’!

    এক্স হ্যান্ডেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী পরিষেবার এই ভিডিও পোস্ট করে এমনই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “তৃণমূলের এগিয়ে বাংলার বিস্ময়কর নিদর্শন। এই ছবিই বলে দিচ্ছে কেমন বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় তৃণমূল সরকার।” ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

    ‘রাজ্যবাসীর জীবন নিয়ে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী’

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। সেই কারণে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে রক্তচাপ মাপানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষদের জীবন নিয়ে খেলছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেও গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। এভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে (Sukanta Majumdar)।

    হাসপাতালের সিএমওএইচ বলেন, “হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে অনেক ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সাহায্য করতে প্রেসার মাপার যন্ত্র এগিয়ে দিয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা।”

    আরও পড়ুুন: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    কুশমণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত দাস বলেন, “অতি উৎসাহবশত ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এ কাজ করেছে। কাজটি মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা তাদের কাজও নয়।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহায্য করেছেন। তাঁরা চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসকের কাজে শুধু সাহায্য করেছেন। এই ঘটনা (Sukanta Majumdar) মানবিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর নমিনি! রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর নমিনি! রাজ্যের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের প্রস্তাব নাকচ করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আবেদন করেন, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তৈরি সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একজন নমিনি থাকুক। উচ্চ শিক্ষা কমিটির তরফে একজন নমিনি রাখার কথা বলা হয়। সেই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলে দেয়, “আমরা কোনও ইলেকশন কমিটি গঠন করছি না, সার্চ কমিটি গঠন করছি।”

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চরমে ওঠে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। তিনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের স্বার্থে কাজ করছেন, বলে দাবি করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর উদ্দেশ্যকে লঘু না করে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ‘‘রাজ্যপালের সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা মাথায় রাখুন। মহামান্য রাজ্যপাল-আচার্যকে অনুরোধ তিনি সময় বের করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক কাপ কফি নিয়ে আলোচনা করুন। ঐক্যমতের ভিত্তিতে উপাচার্য নিয়োগ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন।’’ তবে, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আর কোনও নিয়োগ করতে পারবেন না রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    গত ২১ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টই সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্য, রাজ্যপাল, ইউজিসি- তিন পক্ষকেই কমিটির জন্য প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের শুনানিতে রাজ্যপালের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ভি কে তিওয়ারির নাম অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আপত্তি জানান রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। ভি কে তিওয়ারি সম্পর্কে হাইকোর্টের কী অবস্থান, তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে আবেদন করেন সিংভি। পাল্টা রাজ্যপালের আইনজীবীর তরফে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্পর্কে পাল্টা আপত্তি করা হয়। অভিযোগ, এই মামলায় ইন্টারভেনর হিসেবে আছেন তিনি। দু’পক্ষকেই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী নাম দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আবার আইনজীবীদের তরফেও প্রস্তাব আসে, কোর্টের তরফে একজন নমিনি থাকা উচিত, যিনি সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন। সেই প্রস্তাব অবশ্য খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি। ৩১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kamduni Gangrape Case: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    Kamduni Gangrape Case: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করল কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সইফুল আলি ও আনসার আলির। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। নিম্ন আদালতে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম ও ভোলানাথ নস্করকে। ১০ বছর জেল খাটায় এরা খালাস পেয়েছে হাইকোর্ট থেকে।

    কামদুনিকাণ্ড

    ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ থেকে ফেরার পথে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক ছাত্রীকে। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। নিম্ন আদালতের বিচারক রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, এমন নৃশংস অপরাধ বন্ধ করতে সমাজকে কড়া বার্তা দেওয়া প্রয়োজন, যাতে এই ধরনের অপরাধকে আড়াল করা না হয়। তিনি বলেছিলেন, “এমন অপরাধের প্রবণতা অঙ্কুরেই বিনাশ করা প্রয়োজন। তা না হলে এই অপরাধ সমাজে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে।” নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় অভিযুক্তদের পরিবার।

    কী বললেন নির্যাতিতার ভাই?

    হাইকোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবকেই দুষছেন ধর্ষিতার ভাই। তিনি বলেন, “আমরা বিচার পেলাম না। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও গাফিলতিতে এই রায় হল। রাজ্য সরকারের ১৪ জন আইনজীবী এই মামলা লড়তে অস্বীকার করেছেন। যার ফলে আজ ধর্ষকদের সাজা মকুব হল। একজন বেকসুর খালাস পেল। এরা এলাকায় গিয়ে আবার তাণ্ডব করবে। আমরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।” 

    কী বললেন মৌসুমি-টুম্পা? 

    কামদুনিকাণ্ডের পর এই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মৌসুমি কয়াল ও টুম্পা কয়াল। এদিন দোষী সাব্যস্তদের সাজা কমিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ কামদুনি। রায় শোনার পর বিচারপতিদের এজলাসে যাওয়ার পথে রাস্তায়ই বসে পড়ে কাঁদতে থাকেন তাঁরা। অজ্ঞান হয়ে যান মৌসুমি। কিছুক্ষণ পরে ফেরে চেতনা। তাঁদের সঙ্গে এদিন রাস্তায় বসে পড়েন কামদুনির ধর্ষিতার পরিবার-পরিজনেরা। পরে পুলিশ এসে সেখান থেকে তুলে দেয় তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মৌসুমি বলেন, “আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাব। নির্ভয়াকাণ্ডের আইনজীবীর সাহায্য নেব। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে দরবার করব। কিন্তু দোষীদের সাজা আদায় না হওয়া পর্যন্ত থামব না।” রায় (Calcutta High Court) শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন টুম্পাও। তিনি বলেন, “আজ প্রমাণ হল আমাদের রাজ্যে কোনও বিচার নেই। একের পর এক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। মেয়েদের নিরাপত্তা নেই।” কাঁদতে কাঁদতে তাঁর প্রশ্ন, “দোষীদের কেন ছেড়ে দেওয়া হল?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share