Tag: bangla news

bangla news

  • Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি খোয়ালেন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এঁদের। এঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এঁরা অপ্রশিক্ষিতও। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়, এঁরা আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসেবে। রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। তিনি জানান, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে এত বিপুল পরিমাণ চাকরি আগে বাতিল হয়নি।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা বিজেপি নেতার…

    টেটের মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে ন’ বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তবে তিনি বলেছিলেন, “এই প্যানেলের ৪২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। তবে সবাই যে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা নয়। কেউ কেউ পরীক্ষা দিয়ে মেধার ভিত্তিতেও চাকরি পেয়েছেন।” তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করা হোক। তার পরেই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।”

    ওই বছর চাকরি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থী। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে যে নম্বর বিভাজন সহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করে দেবেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    এদিন যাঁরা চাকরি খোয়ালেন তাঁরা ছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ জনের মধ্যেই। এঁরা যে সময় টেট দিয়েছিলেন, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। পরে তাঁকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছিল, ওএমআর শিট জালিয়াতিতে আসল মাস্টারমাইন্ড মানিকই। দেখা গেল, তাঁর সময়ে হওয়া টেটের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই চাকরি গেল ৩৬ হাজার জনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • EVM: কর্নাটকের ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে আফ্রিকায়! দাবি কংগ্রেসের, প্রমাণ চাইল নির্বাচন কমিশন

    EVM: কর্নাটকের ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে আফ্রিকায়! দাবি কংগ্রেসের, প্রমাণ চাইল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসমর্থন হারিয়ে ইভিএমকে (EVM) দুষছে কংগ্রেস (Congress)! ১০ মে হয়েছে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন। কংগ্রেসের দাবি, ওই নির্বাচনে যেসব ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলি আগে ব্যবহার করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। কংগ্রেসের দাবি প্রত্যাখান করেছে নির্বাচন কমিশন। এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার উৎস প্রকাশ্যে আনতে কংগ্রেসকে বলেছে নির্বাচন কমিশন।  

    ইভিএম (EVM) নিয়ে কংগ্রেসকে জবাব কমিশনের…

    ৮ মে নির্বাচন কমিশনকে লেখা একটি চিঠিতে কংগ্রেস উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহার হওয়া ইভিএম নিয়ে। পুনর্বিবেচনার এবং পুনরায় যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না গিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবহৃত ইভিএমগুলি কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ফের ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য চেয়েছিল। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় ইভিএম পাঠানো হয়নি। সেই দেশ যে এই মেশিনগুলি ব্যবহারও করে না সে কথাও জানানো হয়েছে কংগ্রেসকে।

    কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে পাঠানো চিঠিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে যে তারা কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের নির্মিত নতুন ইভিএম (EVM) ব্যবহার করেছে। নির্বাচন কমিশন এও বলেছে, কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ইভিএম মুভমেন্টের পর্যায়ে এবং কর্নাটক নির্বাচনের আগে ইভিএম কমিশনিংয়ে অংশ নিয়েছিল। কমিশন কংগ্রেসকে এও নিশ্চিত করতে বলেছে যে গুজব ছড়ানোর গুরুতর সম্ভাবনা সহ এই ধরনের মিথ্যা তথ্যের উৎসগুলি জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত।

    আরও পড়ুুন: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ইভিএমের প্রোটোকল অনুযায়ী সমস্ত জাতীয় এবং রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলিকে জানানো হয় ইভিএম কোথা থেকে এসেছে, সে খবর। পুরো প্রক্রিয়াটা ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হয়। ইভিএম সম্পৃক্ত সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকানীন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। প্রসঙ্গত, বুধবার নির্বাচন হয় কর্নাটক বিধানসভার ২২৪টি আসনে। ভোট হয়েছে এক দফায়। ফল প্রকাশ ১৩ মে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছিলেন আসানসোল-বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক হিংসার জেরে আক্রান্ত হন তিনি। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাঁর ঘরে ঢুকে ভাঙচুর (Post poll violence) করে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে দুমাস বাইরে ছিলেন বাপি প্রধান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরক্ষা পাননি। তাই পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এখনও তৃণমূল সমর্থকরা বাপির গতিবিধি নজরে রেখে চলেছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলেই বাড়িতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

    ফলাফলের পর কী ঘটেছিল?

    আক্রান্তরা জানিয়েছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর ২ রা মে থেকে এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ শুরু করে। ফল প্রকাশের আগের দিন থেকেই শাসকদলের দৌরাত্ম্যের কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয় পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি পরিবার। স্থানীয় কৃষ্ণ সাউ, মনোজ ধীবর, বাপি প্রধান, প্রকাশ গড়াইয়ের পরিবারের প্রায় চল্লিশজন নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র পালিয়েছিলেন। এছাড়াও সুজয় গড়াই, চিত্তরঞ্জনের ডিপি সং, পাপ্পু বাল্মীকি, এল ফ্রেড রজক, পরেশ ধীবরের বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা করে। প্রায় দু-মাস ধরে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের আতঙ্কে (Post Poll Violence) বাড়ির বাইরে গিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।

    অত্যাচারের চেহারা

    বাপি প্রধান বলেন, দুষ্কৃতীরা প্রথমে বাড়ির লোহার গেট ভেঙে ঢুকে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তারপর বাড়ির আসবাবপত্র, ফসল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছু লুটপাট করে পালিয়ে যায়। কৃষ্ণ সাউ নামে এক ব্যক্তির গাড়ির চাকাগুলি সেই সময় খুলে নিয়ে চলে যায়। তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে থাকা প্রকাশ গড়াইয়ের মাকে প্রচণ্ড মারধর করে। দুষ্কৃতীরা বাপিকে বলে, একাই এসেছি তোকে মারার জন্য! তোর মাকে সরতে বল। ফেসবুকে শাসকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা বলায় মায়ের সামনেই মা-ছেলেকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল বলে জানা যায়। এই চল্লিশজন ঘরছাড়াদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু শিশু, বৃদ্ধ নারী, যারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার (Post Poll Violence) হন। অনেকে বলেছেন, নিরুপায় হয়ে বর্ডার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে গিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসন সাধারণ মানুষকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ছিল।

    অভিযুক্ত কারা?

    আক্রান্তদের অভিযোগ, এই হামলা, মারধরে প্রত্যক্ষ মদত দেয় শাসকদলের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতী রাজেশ মৃধা, অজিত বাউরি, পুনস খান। এছাড়াও বাড়িঘরে লুটপাটের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মহঃ আলম, তাঁর ভাই হাসিম আনসারি। বাড়ি ফিরলেই মারধর করবে বলে বিশেষ হুমকি (Post poll violence) দেয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। তাই সকলে রাজনৈতিক হিংসার কারণে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন সেই সময়।

    বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা

    পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে পরবর্তী সময় প্রতিকার চেয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য হাইকোর্টে বিশেষ আবেদন করতে হয়েছিল আক্রান্তদের। ডিভিশন বেঞ্চের আদেশে প্রশাসন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজের বাড়িতে ফেরাতে বাধ্য হয়েছিল। বেশ কিছুদিন এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছিল নিরাপত্তার কথা ভেবে। আসানসোল জেলার বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, পুলিশ পিকেটিং থাকা সত্ত্বেও বাপি প্রধানের বাড়িতে শাসকদল আক্রমণ (Post Poll Violence) করছিল। তিনি আরও বলেন, ভোটের পরে পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল, সে কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দুবছর কেটে গেলেও ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার অত্যাচার থামেনি বলে এলাকার মানুষ মন্তব্য করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ইসরোতে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী!

    ISRO: ইসরোতে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোতে (ISRO) মহাকাশযান নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের নবম শ্রেণির ছাত্রী উপাসনা মণ্ডল। ইসরোর সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই সুযোগ পেয়েছে উপাসনা। তাই ইসরো থেকে ১৪ দিনের জন্য একটি ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে ডাক পেয়েছে সে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে ১৪ দিন ধরে পঠনপাঠন ও নানা গবেষণামূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে। আগামীতে মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে পাঁচজন পড়ুয়া ইসরো থেকে ডাক পেয়েছে। তার মধ্যে পতিরামের উপাসনা রয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া শিক্ষা মহলে।

    খুশির হাওয়া উপাসনার পরিবারে

    উপাসনার বাবার নাম ননীগোপাল মণ্ডল। বাড়ি পতিরাম থানার বাহিচা এলাকায়। তিনি বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। গত মার্চ মাসে অনলাইনে ইসরোর ‘যুবিকা’ (YUVIKA) নামক একটি পরীক্ষায় বসে উপাসনা। সম্প্রতি এই পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। তারপরই ইসরো থেকে উপাসনাকে ডেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার উদ্দেশে রওনা হয় উপাসনা ও তার বাবা। আগামীতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে চায় বলে উপাসনা জানিয়েছে। এবিষয়ে উপাসনা বলে, ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ ও মহাকাশযান নিয়ে আমার মনে আগ্রহ ছিল। তাই বাবার পরামর্শে ইসরোর (ISRO) এই পরীক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু ওই পরীক্ষায় সফল হয়ে ইসরো থেকে ডাক পাব, তা ভাবিনি। আমি আগামীতে মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়াশোনা করতে চাই। উপাসনার বাবা ননীগোপাল মণ্ডল বলেন, সর্বভারতীয়স্তরে ইসরোর তরফে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় র‍্যাঙ্কের মাধ্যমে আমাদের রাজ্যের পাঁচজন ইসরো থেকে ডাক পেয়েছে। সেখানে গবেষণা ও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৪ দিনের ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমার মেয়ে সুযোগ পেয়েছে। আগামীতে চাইলে মহাকাশ গবেষনামূলক পড়াশোনারও সুযোগ থাকবে। মেয়ের এই সাফল্যে আমাদের পরিবার গর্বিত। উপাসনার মা মুনমুন সরকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার মেয়ের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি কবিতা, নাচ ও ছবি আঁকা সহ নানা বিষয়ে ও পারদর্শী। এই পরীক্ষার জন্য সে কঠিন পরিশ্রম করেছিল। তাই এই সুযোগ পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে।

    গর্বিত তার স্কুলও

    অন্যদিকে, উপাসনার স্কুল তথা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দিপা সরকার বলেন, প্রথম থেকেই উপাসনা ক্লাসের প্রথম দিকেই রোল থাকে। শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের। আমাদের মতো একটা গ্রামের স্কুল থেকে উপাসনার এই সাফল্যে (ISRO) আমরা সকলেই গর্বিত।

    সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ মে থেকে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারে ওই বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হবে। কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ হয়, কীভাবে মহাকাশযান তৈরি করা হয়, কীভাবে মহাকাশ গবেষণা চলে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ চলবে। এছাড়াও সমস্ত পড়ুয়াদের ইয়ং সায়েন্টিস্ট হিসাবে নানা গবেষণামূলক পাঠ দেওয়া হবে৷ মহাকাশ গবেষণার কোন কোন দিক রয়েছে, তা জানানো হবে। এমনকী পরবর্তীতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়েও পড়াশোনার সুযোগ থাকবে৷ এতদিন থাকা, খাওয়া, যাতায়াত সহ সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো। জানা গিয়েছে, ইসরোর (ISRO) ‘যুবিকা’ পরীক্ষায় মার্কসের ভিত্তিতে গোটা দেশের মধ্যে মোট ৩৫০ জনকে ডাকা হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচজন রয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    PM Modi: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছরের মেয়াদে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে যাচ্ছেন আমেরিকা (America)। ২২ জুন তিনি আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউএসএর হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারআইন জিনপিয়েরে জানান, রাষ্ট্রপতি ভবনের এবং আমেরিকান ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন রাষ্ট্রীয় যাত্রায় যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। ২২ জুন একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সফরের বিশেষত্ব…

    স্টেট ভিজিটের বিশেষত্ব হল, যে ব্যক্তিকে কোনও রাষ্ট্র আমন্ত্রণ জানায়, তাঁর সম্মানে নৈশভোজ দেওয়া হয়। তাঁর সফরের পুরো খরচটাই বহন করে হোস্ট বা আমন্ত্রণকারী দেশ। জানানো হয় বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মানও। অতিথির সম্মানে ২১টি তোপধ্বনি দেওয়ার রেওয়াজও রয়েছে। আমন্ত্রণকারী এবং আমন্ত্রিত দেশের সম্মানে বাজানো হয় দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত। উপহার আদানপ্রাদান করেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একাধিকবার আমেরিকা গিয়েছেন মোদি। এবারই প্রথম তিনি যাচ্ছেন স্টেট ভিজিটে। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য দুই দেশই দায়বদ্ধ। তাছাড়াও প্রতিরক্ষা, পরিবেশ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কৌশলগত বোঝাপড়া রয়েছে দুই দেশের।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মোদির (PM Modi) আমেরিকা সফর এই বিষয়গুলিকে আরও জোরদার করবে বলে দাবি বাইডেন প্রশাসনের। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে তুলে ধরবে এই সফর। প্রযুক্তি, বাণিজ্য, শিল্প সহ একাধিক ক্ষেত্রে, যেখানে দুই দেশেরই পারস্পরিক আগ্রহ রয়েছে, তা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রনেতারা।

    আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিংহ সান্ধু বলেন, বাইডেনের আমন্ত্রণে মোদির (PM Modi) এই আমেরিকা সফর ঐতিহাসিক। প্রধানমন্ত্রী এবং বাইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবেন। এই সফর দুই দেশের প্রধানের কাছেই একটা সুবর্ণ সুযোগ।কূটনীতিকদের মতে, স্বাধীন ও মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নীতি সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে। কারণ দুই দেশের তরফেই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের বিরোধিতা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোলার তাণ্ডবে নাজেহাল দুর্গাপুর (Durgapur) সেন মার্কেটের ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার তার গুঁতানিতে একজন জখম হয়। অভিযোগ, ভোলার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রায় ৩০ জন ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোলা নিজের দাপটে প্রতিদিন সবজি খেয়ে নিচ্ছে। ক্রেতারা ভোলার গুঁতানির আতঙ্কে বাজারে আসছেন না। ফলে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেন মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শিপুল সাহা জানান, বন দফতর এবং পুলিস-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

    দিনকে দিন বেড়েই চলেছে দাপট

    ব্যবসায়ীদের (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাজার এলাকায় ৬-৭ টি ষাঁড় ও গরু রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিটি গরু প্রায়ই ব্যাবসায়ীদের সবজি খেয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ভোলার দাদাগিরি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। ভোলা প্রায় প্রতিদিন কাউকে না কাউকে গুঁতিয়ে জখম করে চলেছে। প্রায় ৭ মাস আগে ব্যবসায়ী সজল সেনকে ব্যাপকভাবে জখম করে ভোলা। তিনি চেন্নাইয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সাময়িক সুস্থ হয়েছেন। ভোলার তাণ্ডবে বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের আতঙ্ক দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভোলা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাজার থেকে অন্যত্র নিয়ে যাক প্রশাসন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    বাজারের (Durgapur) সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভোলার গুঁতোয় জখম হয়েছে। সজল সেন বলে একজনের শরীরে পিছন দিকে শিং ঢুকিয়ে দিয়েছিল ভোলা। আমাদের সবজি খেয়ে যেমন ক্ষতি করছে, আবার ক্রেতারা ভোলার ভয়ে বাজারমুখো হতে চাইছেন না। ব্যবসার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

    কী বললেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক?

    প্রাক্তন কাউন্সিলার (Durgapur) শিপুল সাহা বলেন, এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, জানি না। বন দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। পুলিশেও জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি। আবার নতুন করে জানানো হবে। সেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক সাগর সাহা বলেন, এদিন সকালে ভোলার গুঁতোয় ফের রাজেন্দ্র রাম বলে একজন  জখম হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কোনও ব্যবস্থা যদি নেওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে বৃহস্পতিবার শনাক্ত করলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া। তমলুক আদালতে গত ৮ই মে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়। সেইমতো এদিন তমলুক সংশোধনাগারে এসে এই তিনজনকে শনাক্ত করলেন বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৭

    বিজেপি কর্মী (BJP) খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আছে পুলিশি হেফাজতে। বাকি তমলুক উপ সংশোধনাগরে থাকা এই তিনজনকে এদিন শনাক্ত করলেন তিনি। এরা হল শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল, মধুসূদন সাউ। তিনজনই তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই তিনজনকে গত ৭ তারিখে গ্রেফতার করে ৮ তারিখ তমলুক আদালতে তোলা হয়।

    কীভাবে হয়েছিল এই খুন?

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ বারবার উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ। এখানকার প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি এবং আরও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য (TMC)। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর দায়ের করেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ শামসুল ইসলামকে। প্রায় দুমাস জেলে থাকার পর ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু ফেরার পর থেকেই পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন প্রধান, অভিযোগ এমনই। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে নন্দীগ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য?

    আব্বাস বেগ বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি এবং অন্য দুই পঞ্চায়েত সদস্য মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম শামসুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করার পর দুমাসের জেল হয় শামসুল ইসলামের। জেল খেটে বাড়ি ফেরার পরই আমাকে ঘরছাড়া করা হয়। আমি শেখ সুফিয়ান সাহেবের অনুগামী। আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর ফের আমাকে ঘরছাড়া হতে হয়। নানা জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। কয়েকদিন আগে দাদা মারা যাওয়ার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম। কিন্তু গত ৭ তারিখ শামসুল ইসলাম (TMC) আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, তোকে কেস তুলে নিতে হবে। না হলে মার্ডার করে দেব। তার অডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। আমি এ নিয়ে এফআইআর করি। তারপরই বাড়ি ঘিরে ধরে চলে হুমকি। আমি ধামসাবাদে এক আত্মীয়ের-বাড়িতে ছিলাম। সেখানেও আমাকে তাড়া করা হয়। ফলে এই মুহূর্তে আমি নন্দীগ্রামছাড়া। যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সেখ শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। এলাকার বহু মানুষের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নিজেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

    নবজোয়ারের আগে গৃহযুদ্ধ!

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের গ্রাম প্রধানের ফোনে কথাবার্তার অডিও রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চায়েত ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রার আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে শাসকদলের ভয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরই ঘরছাড়ার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সেই মামলা দুটি গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এর একটি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সংক্রান্ত। বিচারপতি সিনহা অভিষেককে মামলায় যুক্ত হতে বলেছিলেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার মামলাটিতে যুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তি। সেই সঙ্গে মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন অভিষেক।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)…

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে কুন্তল অভিযোগ করেন, ইডি এবং সিবিআই তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেন হেস্টিংস থানায়ও। সেই চিঠির বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি বা সিবিআই প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি ও অভিষেকের বক্তব্যের মধ্যে মিল রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা হয়েছিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। মামলা চলে যায় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের অসুবিধা কোথায়? অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এই মামলায় কীভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়।

    আরও পড়ুুন: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তাও জানা নেই। সেই বক্তব্য শুনেই বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এদিন বিচারপতি সিনহার কথা মতো মামলায় যুক্ত হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পরে আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। শুক্রবার হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশনের সামনে অটোচালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অটো চালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। একজন এএসআই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাঁর ওপরও অটো চালকরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অটো চালকদের হামলার জেরে একজন এএসআই, চারজন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। জখম সিভিকদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। হামলা চালানোর অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটে?

    এমনিতেই ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ২৪ নম্বর রেল গেট থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত অটো, টোটো সোজা না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করেই অটো, টোটো চলাচল করে। এনিয়ে এক অটো চালকের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বচসা হয়। এমনিতেই রাস্তার ওপর অটো দাঁড় করে অটো চালকরা যাত্রী তোলেন। যাত্রী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানের সামনেই অটো দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে সিভিকরা বলতে গেলেই অটো চালকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অটো চালকরা দল বেঁধে এসে সিভিকদের বেধড়ক পেটায়। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী বললেন অটো চালক?

    এক অটো চালক বলেন, শ্যামনগরে (Shyamnagar) রাস্তায় অটো চলাচল করা নিয়ে সিভিকের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার এসে এক অটো চালকের নাক ফাটিয়ে দেয়। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ইট নিয়ে আসে। সেই ইট কেড়ে নেওয়া হয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে দুপক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছে। আর আমাদের সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত এএসআই?

    আক্রান্ত এএসআই বলেন, আমি শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ডিউটি করছিলাম। গণ্ডগোল শুনে ছুটে আসি। এসে দেখি, অটো চালকরা সিভিকদের মারধরক করছে। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। আমি ছাড়াতে গেলে আমার ওপর ওরা চড়াও হয়। আমাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ওরা ফেলে দেয়। বুকে আর কোমড়ে চোট লেগেছে। মোবাইল ভেঙে গিয়েছে। অটো চালকরা আমাদের উপর দাদাগিরি করছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share