Tag: bangla news

bangla news

  • Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজেপি সরকার। এতদিন পুলিশ যেসব উর্দু ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করত, সেগুলির পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হবে হিন্দি শব্দ। সাধারণ মানুষ যাতে অনায়াসে শব্দের অর্থ বুঝতে পারেন, তাই এই পরিবর্তন।

    শব্দ বদল (Chhattisgarh)

    সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের নির্দেশে পুলিশের ডিজি (DGP) রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে পুলিশ সুপারদের বলা হয়েছে, অভিযোগ দায়ের বা অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা আরও সহজ-সরল এবং বোধগম্য করতে। এই চিঠির সঙ্গে ১০৯টি শব্দের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে, যেখানে পুরানো ও কঠিন শব্দগুলির বদলে প্রস্তাবিত হিন্দি বিকল্প শব্দ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘হলফনামা’র পরিবর্তে এবার থেকে লিখতে হবে ‘শপথপত্র’, ‘দফা’র বদলে ধারা। ‘ফরিয়াদি’র পরিবর্তে ‘অভিযোগকারী’ লিখতে হবে, আবার ‘চশ্মদীদ’ শব্দের বদলে লিখতে হবে ‘প্রত্যক্ষদর্শী’।

    কী বলছেন উপমুখ্যমন্ত্রী

    ছত্রিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “যখন কোনও সাধারণ মানুষ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে যান কিংবা অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য বা অন্য কোনও কাজে যান, তখন তিনি প্রায়ই এফআইআর বা পুলিশের অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। পুলিশের নথিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভাষার শব্দ আমজনতার কাছে অপরিচিত হওয়ায়, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য ঠিকঠাক বোঝাতে পারেন না এবং পুরো প্রক্রিয়াটাও ভালোভাবে বুঝতে পারেন না।” তিনি বলেন, “পুলিশের উদ্দেশ্য যদি সাধারণ মানুষের সাহায্য ও সুরক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ব্যবহৃত ভাষাও এমন হওয়া উচিত যাতে আমজনতা তা অনায়াসে বুঝতে পারেন এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে (Chhattisgarh)।”

    ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে এই পরিবর্তন সম্পর্কে সব অধস্তন কর্তাদের সচেতন করতে হবে এবং এও নিশ্চিত করতে হবে যে এই নির্দেশ যেন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা হয়ে না থাকে, বরং তার বাস্তব প্রয়োগ প্রতিটি পুলিশ চৌকি, থানা এবং রাজ্যের অফিসে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ছত্তিশগড় পুলিশ (DGP) এখন থেকে শুধুই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করবে (Chhattisgarh)।

  • WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৯৯৯! বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে জুটেছিল চোকার্স তকমা। সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই তা মুছল দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, জ্যাক কালিস, এবি ডিভিলিয়ার্সেরা যা পারেননি, তা করলেন টেম্বা বাভুমা, এডেন মার্করাম, কাগিসো রাবাডারা। ২৭ বছর পর আরও এক বার আইসিসি ট্রফি জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার সাড়ে তিন দশক পর টেস্ট ক্রিকেটের সিংহাসনে বসল তারা। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর কোনও আইসিসি ট্রফি ঘরে তুলল প্রোটিয়ারা।

    মার্করাম-বাভুমার লড়াকু ইনিংস

    এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য দেয়। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ২১২ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রান করে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৩৮ রানেই সব উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের লিড পেলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এখান থেকে ক্রিজ ধরে রাখেন এইডেন মার্করাম এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তৃতীয় উইকেটে দুজনের মধ্যে ১৪৭ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথ তৈরি করে দেয়। মার্করাম ১০১ বলে ১১টি চারের সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বাভুমা ৬৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। তারপর এই জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। লর্ডসে ইতিহাস গড়ে এই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারালো প্রোটিয়ারা। ব্যর্থ হল না বাভুমা এবং মার্করামের লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নজির গড়লেন টেম্বা বাভুমা। জয়ের নিরিখে অপরাজিত থেকে দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি। বাভুমার নেতৃত্বে ফাইনাল সহ ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ৯টি জয় ও ১টি ড্র করেছে প্রোটিয়ারা।

    বহু অপেক্ষার ফল

    দ্বিতীয় ইনিংসে কামিন্স, স্টার্ক, হেজলউডদের তেমন সুযোগ দিলেন না বাভুমা ও মার্করাম। উল্টে যত সময় গড়াল তত কাঁধ ঝুঁলে গেল কামিন্সদের। নইলে কেন এত রক্ষণাত্মক হয়ে পড়লেন অসি অধিনায়ক। যেখানে উইকেট তোলা ছাড়া গতি নেই সেখানে বাউন্ডারিতে ফিল্ডার রাখলেন। বোঝা গেল, দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথে বিলম্ব করা ছাড়া আর কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। হার মেনে নিয়েই বোধহয় চতুর্থ দিন খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের শরীরী ভাষা সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল। তাই কামিন্স, স্টার্কেরা একক দক্ষতায় উইকেট তুললেও তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আটকাতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স, মুখে তৃপ্তির হাসি প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেমি স্মিথের। বোঝা যাচ্ছিল এই জয় যে তাদের কাছে বহু অপেক্ষার ফল। অধরা মাধুরী স্পর্শ করার আনন্দ।

  • Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    Indian Railways: পরমাণু বিদ্যুতে গড়াবে ট্রেনের চাকা! রুশ সংস্থা তৈরি করবে পরমাণু চুল্লি, বড় উদ্যোগ রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অদূর ভবিষ্যতে পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে রেল!  রেল মন্ত্রকের (Indian Railways) অধীনস্থ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), বিশেষ কয়েকটি রেল প্রকল্পে এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। এই উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছে আরভিএনএল। জানা যাচ্ছে, রেল প্রকল্পের জন্য রুশ পারমাণবিক শক্তি (Nuclear Reactor) সংস্থা ‘রসাটোম’-এর সঙ্গে কথাবার্তা চলছে ভারতীয় রেলের। এই রেল প্রকল্পগুলিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রসাটোম সংস্থা ছোট পরমাণু চুল্লি বা স্মল মডিউলার রিঅ্যাকটর (SMR) নির্মাণ করবে। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রকল্পের জন্য এই রিঅ্যাক্টর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন?

    কিন্তু এই ধরনের এসএমআর (স্মল মডিউলার রিঅ্যাক্টর) নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কেন? আসলে এসএমআর হল একটি উন্নত প্রযুক্তির পরমাণু চুল্লি, যা প্রতিটি ইউনিটে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। এর অন্যতম বড় সুবিধা হল, এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম জায়গার প্রয়োজন হয় এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি অনেক উন্নত। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে রেলের মতো বৃহৎ পরিবহণ ব্যবস্থাকে কার্বনমুক্ত করার পথে বড় পদক্ষেপ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে সম্পূর্ণভাবে কার্বন-মুক্ত করার লক্ষ্যে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে এসএমআর-এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে (Indian Railways)।

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের কর্মকর্তা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বড় বা মেগা প্রকল্পগুলিতে জ্বালানির যে বিপুল চাহিদা থাকে, তা পূরণ করতে স্বল্প জায়গার মধ্যে এসএমআর গড়ে তোলা হয়। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের (Indian Railways) মূল লক্ষ্য হল, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে পরমাণু শক্তির মতো বিকল্প শক্তির উৎসকে কাজে লাগানো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই এসএমআর-এর মতো প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা ঘোষণা করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পারমাণবিক শক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও ব্যবহার বাড়ানো।

    লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) কার্বনমুক্ত করা

    রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রসাটোমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে (Nuclear Reactor) পরমাণু শক্তির ব্যবহারের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলকে কার্বনমুক্ত করা যায়। এসএমআর একটি অত্যাধুনিক পরমাণু রিঅ্যাকটর, যা প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং এটি স্থাপন করতে তুলনামূলকভাবে কম জায়গার প্রয়োজন হয় বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।

    পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে

    যদিও পুরো পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ান দূতাবাসের শীর্ষ আধিকারিকরাও ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি, এই চারটি প্রকল্পের জন্য নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। রসাটোম সংস্থা মোট ৮টি রিঅ্যাকটর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।

    রেল বিকাশ নিগমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার সংস্থা ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে, যা রেলওয়ে ট্রাকশনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তিনি আরও বলেন, “যদি সবকিছু পরিকল্পনামতো এগোয়, তাহলে ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ, ভানুপালি-বিলাসপুর, যবতমাল-নানদেদ এবং ইন্দোর-বুধনি রেললাইনের জন্য এই প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হবে।” তিনি এও জানান, ট্রেন পরিচালনার জন্য বহু সাবস্টেশন নির্মাণ করতে হবে এবং সেইসঙ্গে ট্রান্সমিশন লাইন বসানোর প্রয়োজন হবে। প্রতিটি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য খরচ হবে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

    মোদি সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন

    প্রসঙ্গত, এই চারটি প্রকল্পকে নতুন রেললাইন সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর রেল প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন। উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘পারমাণবিক শক্তি মিশন’-এর কথা বলা হয়। এই মিশনের আওতায় ছোট মডিউলার রিঅ্যাক্টর (SMR) এবং গবেষণা ও উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই মিশনের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে ৫টি এসএমআর নির্মাণ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণ হলে ভারত পারমাণবিক শক্তি মিশনে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Army Day Parade: মিথ্যে খবরের ভিত্তিতে মোদিকে আক্রমণ কংগ্রেসের, মুখে ঝামা ঘষে দিল হোয়াইট হাউস

    Army Day Parade: মিথ্যে খবরের ভিত্তিতে মোদিকে আক্রমণ কংগ্রেসের, মুখে ঝামা ঘষে দিল হোয়াইট হাউস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিশানা করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মোদি সরকারের সমালোচনা (Army Day Parade) করেন। ভারতের বৈশ্বিক মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কংগ্রেসের পোস্ট (Army Day Parade)

    পোস্টে জয়রাম রমেশ লেখেন, “মোদি সরকার বলছে যে অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মার্কিন সেনাবাহিনী দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা নিঃসন্দেহে এক গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। ট্রাম্প প্রশাসন বারবার এমন বার্তা দিচ্ছে যা শুধুমাত্র এই অর্থেই বোঝা যায় যে, আমেরিকা ভারত ও পাকিস্তানকে সমানভাবে দেখছে। প্রধানমন্ত্রী সদ্য এমন একটি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়েছেন যারা সারা বিশ্বে আমেরিকা-সহ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। সেই মুহূর্তেই ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এমন সংবাদ আসছে, যা ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও অস্বস্তিকর করে তুলছে।” কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত নিজের একগুঁয়েমি এবং মর্যাদার ভাবনা সরিয়ে রেখে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ও সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা, যাতে দেশ তার সম্মিলিত ইচ্ছা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে এবং দেশের সামনে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করা যায়। দশকব্যাপী কূটনৈতিক অগ্রগতি যেন সহজে নষ্ট না হয় (Army Day Parade)।”

    মিথ্যে খবর!

    যদিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে — এই খবরটি সর্বৈব মিথ্যে। কারণ হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনও বিদেশি সেনা কর্তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। হোয়াইট হাউসের এক কর্তা বলেন, “এটি মিথ্যে। কোনও বিদেশি সামরিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও, রমেশ এই খবরের সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করেননি, যার ভিত্তিতে তিনি ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে খাটো করছিলেন। অবশ্য এই প্রথম (PM Modi) নয় যে, কংগ্রেসের কোনও নেতাকে মিথ্যে প্রচার করতে দেখা গেল। অতীতেও একাধিকবার কংগ্রেস নেতারা এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন (Army Day Parade)।

  • NIA: অসম বিস্ফোরণকাণ্ডে পরেশ বড়ুয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল এনআইএ-র

    NIA: অসম বিস্ফোরণকাণ্ডে পরেশ বড়ুয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে গত বছর একাধিক আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন আলফা (আই) প্রধান পরেশ বড়ুয়াসহ (Paresh Baruah) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে শুক্রবার চার্জশিট দায়ের করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। শনিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে এনআইএ (NIA)। অনেক নামে পরিচিত পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম-ইন্ডিপেন্ডেন্ট (আলফা-আই) এর চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার-ইন-চিফ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কোন কোন ধারায় অভিযুক্ত পরেশ

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Baruah) সঙ্গে অভিজিৎ গগৈ এবং জাহ্নু বড়ুয়াকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসাম জুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ব্যাহত করার জন্য গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এর সাথে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে এনআইএ অভিযোগপত্রে জানিয়েছে।

    কোন কোন ধারায় অভিযুক্ত পরেশ

    গত বছর স্বাধীনতা দিবসের এই ঘটনার পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্তের দায়িত্ব নেয় এনআইএ (NIA)। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, মৃত্যু বা আহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি করা এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডিগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি গুয়াহাটি আদালতে হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আটের দশকের গোড়া থেকেই সার্বভৌম অসমের দাবিতে উত্তপ্ত হয়েছিল ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্য। পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Baruah) নেতৃত্বে আগুন জ্বলেছিল অসমে। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০-এ আলফাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও হামলা চালিয়ে গিয়েছে বিচ্ছিন্নবাদীরা। বছর চারেক আগে শোনা যায়, পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা জঙ্গিরা চিনের ইউনান প্রদেশে ঘাঁটি গেড়েছে। সেখান থেকেই ভারতে নাশকতার চক্রান্ত চলছে।

  • Manipur: মণিপুরে রিবাট সাফল্য যৌথবাহিনীর, অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র

    Manipur: মণিপুরে রিবাট সাফল্য যৌথবাহিনীর, অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার (Arms Recovery)। ইম্ফল উপত্যকার পাঁচটি জেলা থেকে ওই অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার হয়েছে। শুক্র ও শনিবারের মধ্যবর্তী রাতে এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয় মণিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর তরফে। তার পরেই মেলে অস্ত্রভান্ডারের হদিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এদিন যে জেলাগুলিতে হামলা চালানো হয়, সেগুলি হল – ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, বিষ্ণুপুর, কাকচিং ও থৌবল।

    আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার (Manipur) 

    অভিযানে বাহিনী সব মিলিয়ে মোট ৩২৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫১টি সেল্ফ-লোডিং রাইফেল, ৬৫টি ইনসাস রাইফেল, ৭৩টি অন্যান্য অজানা রাইফেল, ৬টি একে সিরিজ রাইফেল, ১২টি লাইট মেশিন গান, ৫টি কারবাইন, ২টি এমপি৫ গান, ২টি আমোঘ রাইফেল, ১টি মর্টার, ৬টি পিস্তল, ১টি এআর-১৫ রাইফেল এবং ২টি ফ্লেয়ার গান। বাহিনী যেসব গুলি বাজেয়াপ্ত করে সেগুলির মধ্যে ছিল ৫৯১টি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, ৩ হাজার ৫৩৪টি এসএলআর গুলি, ২ হাজার ১৮৬টি ইনসাস গুলি, ২ হাজার ২৫২টি .৩০৩ রাইফেলের গুলি, ২৩৪টি একে রাউন্ড, ৪০৭টি আমোঘ রাউন্ড, ২০টি ৯মিমি পিস্তলের গুলি, ১০টি গ্রেনেড, ৩টি ল্যাথোড এবং ৭টি ডিটোনেটর।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    প্রশাসনের কর্তারা এই অভিযানকে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সংঘাতপ্রবণ রাজ্যে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে চেষ্টা চলছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক আখ্যা দিয়েছেন। প্রবীণ আধিকারিকরা বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখে চলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, ফের এই ধরনের অভিযান চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Manipur) তাঁরা। পুলিশ মণিপুরে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে। এই প্রচেষ্টায় তারা জনগণের সাহায্য চেয়েছে। জনগণের কাছে বেআইনি অস্ত্র সংক্রান্ত যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা তথ্য স্থানীয় থানায় অথবা সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে গত দু’বছর ধরে অশান্ত উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। এই (Arms Recovery) অস্থিরততার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চিনপন্থী একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী। নিষিদ্ধ সেই সব গোষ্ঠীর জঙ্গিদের ধরতে সম্প্রতি সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পুলিশ ও সেনা (Manipur)।

  • Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে যুক্ত হল আরেকটি পালক। উচ্চ পার্বত্য এলাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল ভারত। এআই চালিত এই লাইট মেশিন গান (LMG) সিস্টেম, শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে (Indian Army) চলে আসবে বলে খবর। আগামীতে সেনার আঙিনায় নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে এআই চালিত এই মেশিনগান, অভিমত সমর বিশেষজ্ঞদের।

    এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা

    সূত্রের খবর, এই নতুন এআই সিস্টেম কেবল সেনাবাহিনীর (Indian Army) শক্তি বৃদ্ধি করবে না, বরং সীমান্তে মোতায়েন সৈন্যদের জীবনের নিরাপত্তাও দেবে। তাঁদের কাজকে আরও সুগম করে দেবে। বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে দেশীয়ভাবে তৈরি এই এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়ে গেল ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায়, ভারতের দুর্গম সীমান্ত অঞ্চলে। এই আধুনিক প্ল্যাটফর্ম (AiD-AWSSA|LW) হালকা এবং ছোট অস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লাইট মেশিনগান সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ, স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশে স্থিতিশীল কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। আধুনিক এই অস্ত্রটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের আওতায় তৈরি হয়েছে।

    প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

    থার্মাল ও অপটিক্যাল সেন্সর ফিউশন—নির্ভুল লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক

    ব্যালিস্টিক কম্পেনসেশন—বাতাস, দূরত্ব এবং তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়

    এনক্রিপটেড রিমোট কমান্ড ফিচার—নিরাপদ দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা

    বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অস্ত্রের (AI-Enabled Light Machine Guns) মূল প্রযুক্তি একটি উন্নত মাল্টি-সেন্সর এআই মডিউল যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রু-বন্ধু শনাক্ত করতে পারে। উপযুক্ত সময়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম এই অস্ত্র। এটি ঘাঁটি প্রতিরক্ষা, কনভয় সুরক্ষা এবং সীমান্ত নজরদারির মত ক্ষেত্রে মোতায়েন করা যাবে। যেখানে জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রতিনিয়ত শত্রুপক্ষের হামলার ভয় থাকে সেখানে এই অস্ত্র উপযোগী। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই এআই মডিউলটি প্ল্যাটফর্ম-অ্যাগনস্টিক, অর্থাৎ বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গেই একত্রিত করা যায়—যেমন হালকা মেশিন গান, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, রিমোট ওয়েপন স্টেশন প্রভৃতি।

  • Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাতে চলেছে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ (Boundary Catch Rule) ধরার নিয়ম। এখন বাউন্ডারি লাইনের কাছে যে ভাবে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়ে ক্রিকেটারেরা ছয় বাঁচান বা ক্যাচ ধরেন, আগামী দিনে তা আর করা যাবে না। এবার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে ফিল্ডারদের। ক্যাচ ধরার নিয়মে পরিবর্তন করতে চলেছে আইসিসি এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (MCC)। আগামী মাস থেকেই বাউন্ডারি লাইনের ধারে চোখ ধাঁধানো ‘বানি হপ’ ক্যাচ ধরার নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

    ‘বানি-হপ’ ক্যাচ কী?

    অনেক সময়েই দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে লাফিয়ে বলটিকে মাঠের ভিতরে এনে ক্যাচ ধরেন ফিল্ডাররা। এই ধরনের ক্যাচকে বলা হয় ‘বানি-হপ’ ক্যাচ। এই ক্যাচের নিয়মেই পরিবর্তন আনতে চলেছে এমসিসি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের জর্ডান সিল্কের ক্যাচ ধরা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে প্রথম বার লাফিয়ে ভাল ভাবে বল ধরতে পারেননি ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বল ধরে মাঠের ভিতরে পাঠান তিনি। তার পর ভিতরে ঢুকে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন। সেই বিতর্কের পর নিয়ম পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়।

    নতুন নিয়ম

    নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে একাধিক বার স্পর্শ করা যাবে না বল। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে শূন্যে (লাফিয়ে) থাকলে এক বার বল ছুঁতে পারবেন। তার পর ক্যাচ ধরতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতর ঢুকে। অনেক সময় চার বা ছয় বাঁচানোর জন্য ফিল্ডারেরা লাফিয়ে বল মাঠের মধ্যে (বাউন্ডারি লাইনের ভিতর) পাঠিয়ে দেন। নতুন নিয়মে বল ‘ডেড’ না হওয়া পর্যন্ত ফিল্ডারকে থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গেলে, চার বা ছয় দেওয়া হবে। পরিবর্তন আনা হচ্ছে রিলে নিয়মেও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দু’জন ফিল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাচ ধরা হয়, যা পরিচিত রিলে ক্যাচ নামে। অনেক সময়েই একজন ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে বলটি ঠেলে দেন ভিতর। অন্য একজন সেই ক্যাচ ধরেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দু’জনকেই থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের মধ্যে। তা না হলে, বাউন্ডারি বা ছক্কা হিসেবে গণ্য করা হবে।

    কবে থেকে চালু নয়া নিয়ম

    আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জুন মাসের শেষ দিকে নতুন নিয়ম চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে যুক্ত হবে নতুন নিয়ম। আগামী জুলাই থেকেই কার্যকর হবে নতুন নিয়ম। আগামী বছরের অক্টোবরে এমসিসির ক্রিকেট ম্যানুয়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হবে নিয়মটি।

  • Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    Bangladesh: কবিগুরুর পৈতৃক বাড়িতে হামলা! কড়া প্রতিক্রিয়া দিল্লির, চাপে পড়ে তদন্ত শুরু বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এপার বাংলাতেও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবারই এই ইস্যুতে রাস্তায় নামে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে (MEA) বলেন, ২০২৫ সালের ৮ জুন একদল দুষ্কৃতী গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বাংলাদেশে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত ভবনে এই হামলা আসলে চরমপন্থীদের দ্বারা সহনশীলতার প্রতীকগুলিকে মুছে ফেলার আরও একটি উদাহরণ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকার যেন এই হামলার সঙ্গে জড়িত দোষীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এমন কঠোর পদক্ষেপ করে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে। এখানেই অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। বর্তমানে এই বাড়ি জাদুঘর হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। গত রবিবার সেখানে মোটরসাইকেলের পার্কিং ফি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ ও কিছু দর্শনার্থীর মধ্যে বচসা বাধে। পরে সেখান থেকেই মারপিট হয়। এরপর মঙ্গলবার স্থানীয় একদল লোক জড়ো হয় কবিগুরুর ওই বাড়ির সামনে। যারা সংখ্যায় ছিল ৫০-৬০ জন। এরপরেই বিক্ষোভের নামে জাদুঘরে হামলা চালানো হয়। জানালা-দরজা এবং আসবাবপত্রে ভাঙচুর করা হয় (MEA)।

    চাপে পড়ে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি ইউনূস সরকারের

    অবশেষে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে ইউনূস সরকার। এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভাষা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গণ্য করে। দেশের মানুষ তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা জানায়। রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘটে যাওয়া এই অনভিপ্রেত ঘটনার পরই প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করেছে।”

    তিন সদস্যের কমিটি গড়েছে বাংলাদেশ সরকার

    প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে এবং এই কাজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই পৈতৃক বাড়ি, যা বর্তমানে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরেই এই তিন সদস্যের কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।

    কী বলছেন কছারি বাড়ির কর্মী হাবিবুর রহমান?

    অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ির দেখভাল করেন যিনি, সেই হাবিবুর রহমান এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনার পরে কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ভারত সরকারের প্রবল চাপ এবং আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েই ইউনূস সরকার এমন পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে।

    তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ধামি

    অন্যদিকে, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই যে এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, এমনটা নয়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাসস্থানের উপর এই হামলাকে তিনি মর্মান্তিক এবং অনভিপ্রেত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে, এই ঘটনায় ইউনূস সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতেই সংঘটিত হয়েছে। ভাঙচুরের থেকেও বড় কিছু হয়েছে এই ঘটনা, এমনই মত প্রকাশ করছেন তিনি এবং এই ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত, তাও তিনি জানিয়েছেন নিজের বিবৃতিতে। ভারতের সভ্যতা, চেতনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর এই আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

    ১৮৪০ সালে এই বাড়ি কিনেছিলেন কবিগুরুর পিতামহ

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা কিনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। সেটি ছিল ১৮৪০ সাল—অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের আগেই কেনা হয়েছিল ওই বাড়ি। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই ওই স্থানে যেতেন। এ বাড়ি নিয়ে তিনি একদা তাঁর নিজের ভাগ্নি ইন্দিরা দেবীকে একখানি চিঠি লেখেন। সেখানে কবিগুরু লিখেছিলেন, “আমি অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এখানে বসে লিখতে অনেক বেশি প্রেরণা পাই।”

    ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত ওই বাড়িটি

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই কাছারি বাড়ি, যা বর্তমানে রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর নামে পরিচিত, তা ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। এখানেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত পাণ্ডুলিপি, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সমেত আরও অন্যান্য অনেক কিছু। বর্তমানে এটি একটি সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আর এই উনিশ শতকের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রের ওপরেই ইউনূস জমানার বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীরা হামলা চালাল।

  • PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে এবার আয়োজন করা হয়েছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের (G7 Summit)। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ পেয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। কানাডা যাওয়া-আসার পথে আরও দুই দেশে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এই দেশগুলি হল সাইপ্রাস এবং ক্রোয়েশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তারপর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। খালিস্তানপন্থী ইস্যুতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। তারপর এই প্রথম কানাডায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬-১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস সফর করবেন। এখানেই হবে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন। এতেই যোগ দেবেন তিনি। এই সম্মলেন তিনি বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন।

    বিদেশ সফর শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এবারের বিদেশ সফর শুরু হবে ১৫ জুন, রবিবার। ১৫-১৬ জুন তিনি সফর করবেন সাইপ্রাস। ১৬-১৭ জুন তিনি যোগ দেবেন কানাডায় জি৭ সম্মেলনে। ১৮ জুন আনুষ্ঠানিক সফর করবেন ক্রোয়েশিয়া। তারপরেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও কানাডাকে উদ্দীপ্ত গণতন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নয়াদিল্লির বিশ্বাস, জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পার্শ্ববৈঠক মত বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথ অনুসন্ধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দেবে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    শনিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “গত সপ্তাহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছিলেন। সেই আলাপচারিতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রীকে জি৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান (G7 Summit)। আপনারা জানেন, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়েছে (PM Modi)।”

LinkedIn
Share