Tag: bangla news

bangla news

  • Team India: রোহিত যুগের অবসান! এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক শুভমন, ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ক্যাপ্টেন গিলের

    Team India: রোহিত যুগের অবসান! এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক শুভমন, ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট জয় ক্যাপ্টেন গিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিত যুগের অবসান। এক দিনের ক্রিকেটেও অধিনায়কত্ব হারালেন রোহিত শর্মা। দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানো রোহিত নেতৃত্ব হারালেও দলে থাকলেন। জায়গা হয়েছে বিরাট কোহলিরও। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর দু’জনকে নিয়েই প্রশ্ন ছিল। বলা হয়েছিল, এক দিনের দলেও সুযোগ পাবেন না। কিন্তু দু’জনকেই অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে রাখা হল। তবে দলে জায়গা হয়নি মহম্মদ শামির।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই পরিবর্তন

    ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই নেতৃত্বে বদল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে সময় রোহিত খেলার মতো পরিস্থিতিতে না থাকলে নতুন কাউকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে হবে। তাই আগে থেকেই শুভমনকে দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিলেন জাতীয় নির্বাচকেরা। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই রোহিত শর্মার পরিবর্তে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন পাঞ্জাবের এই ক্রিকেটার। টেস্ট দলের পরে এ বার একদিনের ক্রিকেটেও তাঁর উপরেই ভরসা রাখল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

    আড়াই দিনেই ম্যাচ শেষ

    শনিবার, দিনটা শুভই হল শুভমনের। ঘরের মাঠে শুভ-মহরৎ ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের। তাঁর টেস্ট ক্যাপ্টেন্সির শুরুটা হয়েছিল ইংল্যান্ডে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শেষ অবধি সিরিজ ড্র করেছিল শুভমনের ভারত। ঘরের মাঠে প্রথম বার টেস্টে টিমকে নেতৃত্ব দিলেন। জয় দিয়েই শুরুটা হল শুভমনের। নিজে ব্যাট হাতে অবদানও রাখলেন। তেমনই নজর কাড়লেন ক্যাপ্টেন্সিতে। আমেদাবাদে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল ভারত। সিরিজে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ১০ অক্টোবর। আমেদাবাদে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬২ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দিয়েছিল ভারত। মহম্মদ সিরাজ চার উইকেট নিয়েছিলেন। নতুন বলে তাঁর পারফরম্যান্স বেশি নজর কেড়েছিল। জসপ্রীত বুমরা তিন উইকেট নিয়েছিলেন। অন্য দিকে, স্পিনার কুলদীপ যাদব ২ উইকেট। ভারতের ব্যাটাররা বাকি কাজটা সেরে নেয়। যে কারণে মাত্র আড়াই দিনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সহজে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।

    অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের দল

    অজিভূমে ভারতের সফর শুরু হবে ১৯ অক্টোবর পারথ স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৩ অক্টোবর, অ্যাডিলেড ওভালে। ২৫ অক্টোবর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তৃতীয় ওয়ানডে। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে থাকা কোহলি এবং অধিনায়ক রোহিতকে দেখার জন্য এখন থেকেই উন্মাদনার পারদ চড়ছে। ওয়ানডে সিরিজের পর ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরার মানুকা ওভালে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের ম্যাচগুলি রয়েছে রয়েছে ৩১ অক্টোবর, ২ নভেম্বর, ৬ নভেম্বর, ৮ নভেম্বর।

    এক দিনের দল: শুভমন গিল (অধিনায়ক), শ্রেয়স আয়ার (সহ-অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), নীতীশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ সিরাজ, অর্শদীপ সিং, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, ধ্রুব জুরেল (উইকেটরক্ষক) এবং যশস্বী জয়সওয়াল।

    টি-টোয়েন্টি দল: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমন গিল (সহ-অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, নীতীশ কুমার রেড্ডি, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জীতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), বরুণ চক্রবর্তী, জসপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হর্ষিত রানা, রিঙ্কু সিং এবং ওয়াশিংটন সুন্দর।

  • West Bengal Assembly Election: পুজো শেষেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বিজেপি, শমীক-শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকে ভূপেন্দ্র-বিপ্লব

    West Bengal Assembly Election: পুজো শেষেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বিজেপি, শমীক-শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকে ভূপেন্দ্র-বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর উৎসবের আমেজ কাটতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে গেল বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) পরিকল্পনা। বিজয়া দশমীর পরদিন থেকেই আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিজেপি। শুক্রবার কলকাতায় পা রেখেই একের পর এক বৈঠক করেছেন বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব ও সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বিপ্লবকুমার দেব। জানা গিয়েছে, রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের বুথ ভিত্তিক হিসেব নিকেশ নিয়েছেন তাঁরা।

    বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত

    রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) আর মাস সাতেক বাকি। বঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে ভূপেন্দ্র ও বিপ্লবের নাম ঘোষণা হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। নাম ঘোষণার পর গতকাল প্রথম বঙ্গে এসেছেন বিজেপির এই দুই নেতা। দফায় দফায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তাঁরা। সল্টলেকের অফিসেও বৈঠক করেন তাঁরা। সেই বৈঠকে শমীক, বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, সতীশ ধন্দরা। পরে বৈঠকে যোগ দেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরাও।

    বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত

    দলীয় সূত্রের খবর, ভূপেন্দ্র ও বিপ্লব প্রথম সফরেই বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। কোন এলাকায় বিজেপির ভিত্তি কতটা দৃঢ়, কোথায় আরও জোরদার করা যায়, গত নির্বাচনে কোন এলাকায় ফল খারাপ হয়েছিল, সব মিলিয়ে ভোটের অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিশেষ করে, হারের জায়গাগুলোতে অল্প চেষ্টাতেই ঘুঁটি ঘোরানো সম্ভব কি না, সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক রদবদল বা দায়দায়িত্ব বণ্টনে নির্বাচনী লাভ-ক্ষতির হিসেব নিকেশের উপরও জোর দেওয়া হয়। রাজ্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেই পরিকল্পনা কতটা করা যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বিজেপিতে (BJP in Bengal) দায়দায়িত্ব পাওয়া আর না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ-রাগ-অভিমান তৈরি হয়। এহেন আবহে কমিটি গঠনের প্রভাব নির্বাচনে কতটা পড়বে, তা বিচার বিবেচনা করা হয়েছে। যেহেতু এই রাজ্যের বিজেপির সাংগঠনিক অবিভাবক হিসেবে বনশল রয়েছেন, তাই তাঁর সঙ্গে ২ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আলাদা করে বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের দাবি। উত্তরবঙ্গের একাধিক বিধায়ককে ফোন করে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন বিপ্লব দেব। বিভিন্ন অংশের গ্রাউন্ড রিপোর্ট, দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকা, শাসক দলের উপস্থিতি কতটা, প্রশাসনের কী ভূমিকা, এমন নানা বিষয়ে রির্পোট পাঠানোর জন্য ওই বিধায়কদের বলেছেন তিনি।

  • UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সম্ভবত ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান (Afghanistan) সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পর এই প্রথম হতে চলেছে নয়াদিল্লি ও কাবুলের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের ও মন্ত্রিস্তরের কূটনৈতিক সফর। আফগান বিদেশমন্ত্রীর এই সফরকে ভারত –আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বড় ধরনের পুনর্গঠন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো ফের উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি দ্রুত অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC) আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে নয়াদিল্লি সফরের ছাড়পত্র দিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপনারা সবাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কমিটির দেওয়া সেই ছাড়পত্র দেখেছেন, যা আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর ৯ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফরের অনুমতি দিয়েছে।”

    আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব (UNSC)

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড় এবং তালিবান নেতাদের সফরে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা, এই ঘটনাগুলি দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য। বাণিজ্য, যোগাযোগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে আফগানিস্তান ভারতের কৌশলগত স্বার্থে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির মধ্যে যে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল, আপনারা সেটা জানেন।” এছাড়াও, আফগান পক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের যৌথ সচিব পর্যায়েও আলোচনা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি (Afghanistan) ভূমিকম্পের সময় আমরা কুনার প্রদেশে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পেরেছিলাম। পরবর্তীকালে চাবাহার হয়ে আরও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয় (UNSC)।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে বিদেশমন্ত্রী বিক্রম মিস্রি এবং অন্য শীর্ষ কর্তারা আফগানিস্তানের তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে আসছেন। তাঁরা দুবাইয়ের মতো নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠক করেছেন। তবে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের এই প্রথম ভারত সফর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নির্দেশ করছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (UNSC)।

  • Diwali in India: চিনা জিনিসে না! “আপনার দীপাবলি, ভারতীয় দীপাবলি”, দেশীয় পণ্যের রেকর্ড বিক্রির আশা

    Diwali in India: চিনা জিনিসে না! “আপনার দীপাবলি, ভারতীয় দীপাবলি”, দেশীয় পণ্যের রেকর্ড বিক্রির আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে চলছে উৎসবের মরসুম। নবরাত্রি, দশেরা, দুর্গাপুজোর পর এবার কালীপুজো, দিওয়ালির (Diwali in India) পালা। এই সময় দেশ জুড়ে কেনাকাটা বাড়ে। একে অপরকে উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে ঘর সজানোর পালা। আলোয় আলোয় সেজে ওঠে শহর থেকে গ্রাম, অলি-গলি থেকে রাজপথ। এই বছর দীপাবলির উৎসবে ভারতের বাজারে দেশীয় পণ্যের জয়যাত্রা চোখে পড়ার মতো। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর সাধারণ সম্পাদক তথা চাঁদনি চক-এর সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, এবারের দীপাবলিতে ভারতে তৈরি জিনিসের (Vocal for Local) বিক্রি ৪.৭৫ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে — যা হবে এক নতুন মাইলস্টোন।

    ভোকাল ফর লোকাল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি বলেছেন, ‘বর্তমানে আমাদের (ভারতে) দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিদেশি পণ্য জুড়ে গিয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হবে। আমাদের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য কিনতে হবে। প্রতিটি বাড়িকে স্বদেশি পণ্যের প্রতীক বানাতে হবে, প্রতিটি দোকানকে স্বদেশি পণ্যে সাজাতে হবে।’ ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে ভারত জুড়ে চালু হয়েছে পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) নতুন কাঠামো। এরপরই গর্বের সঙ্গে স্বদেশি পণ্য (Vocal for Local) কেনাবেচা করার আহ্বান জানান মোদি। প্রতিটি রাজ্যে স্বদেশি পণ্যের উৎপাদনের গতি আরও বৃদ্ধি করার জন্যও রাজ্য সরকারগুলোকে পরামর্শ দেন তিনি। বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ তৈরি করারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে এগোলে, তবেই আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ আহ্বান এবং সাম্প্রতিক জিএসটি হ্রাসের ফলেই দীপাবলিতে ভারতে তৈরি জিনিস বিক্রি বাড়বে বলে জানান প্রবীণ খান্ডেলওয়াল। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানই দেশীয় পণ্য বিক্রির মূল চালিকা শক্তি, বলে জানান খান্ডেলওয়াল। তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা ও উৎসাহ এতটাই বেড়েছে যে, চিনা পণ্যের চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে।

    গত চার বছরের বিক্রির ধারাবাহিক বৃদ্ধি

    ২০২১: ১.২৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২২: ২.৫০ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৩: ৩.৭৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৪ : ৪.২৫ লাখ কোটি টাকা

    ২০২৫: ৪.৭৫ লাখ কোটি টাকা (লক্ষ্যমাত্রা)

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যের চাহিদা

    প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানান, দিল্লিতেই রেকর্ড পণ্য বিক্রির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দীপাবলী উপলক্ষে রাজধানীতে ৭৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি পণ্য বিক্রি হতে পারে বলে আশা। বাজারে দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই বছর বিক্রি বাড়ার পিছনে দুটি বড় কারণ হল মোদিজির স্বদেশি আহ্বান এবং জিএসটি হ্রাস। এই জিএসটি হ্রাস যেন উৎসবের উপহার হয়ে এসেছে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ের জন্য।” এই সম্মেলন স্থলেই একটি ক্ষুদ্র প্রদর্শনীতে ৩০টি স্টলে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য প্রদর্শিত হয়। যার গুণগত মান ছিল খুবই ভাল। এই সব পণ্যের মূল্যও ছিল সাধ্যের মধ্যে।

    ‘ভারতীয় পণ্য – আমাদের গর্ব’ অভিযান

    প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘ভারত যখন উন্নয়নের শিখরে ছিল, তখন দেশের অর্থব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল ক্ষুদ্র-মাঝারি-কুটির শিল্প। ভারতে তৈরি পণ্যের মান অত্যন্ত ভালো হতো। সেই গৌরবময় অধ্যায়কে পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশীয় পণ্যের মান এমন হবে, যা গোটা বিশ্বে ভারতের গৌরব বৃদ্ধি করবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশবাসীকে এগোতে হবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন যেমন স্বদেশি মন্ত্রে শক্তি পেয়েছে, তেমনই দেশের উন্নতিতেও স্বদেশি মন্ত্রই শক্তি জোগাবে।’ জাতির উদ্দেশে মোদি জানিয়েছিলেন, দেশকে আত্মনির্ভর করার জন্যই জিএসটি হ্রাস করা হয়েছে। এর ফলে দেশবাসীর সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক পণ্য সস্তা হয়ে যাবে। দেশবাসী নিজেদের পছন্দমতো জিনিস সহজেই কিনতে পারবেন। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর তরফে সম্প্রতি সারা দেশে একটা প্রচার অভিযান শুরু করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারতীয় সামগ্রী – আমাদের স্বাভিমান’। এর অংশ হিসেবে এই দীপাবলিকে উদযাপন করা হবে ‘আপনার দীপাবলি – ভারতীয় দীপাবলি’ হিসেবে।

    চিনা পণ্যের চাহিদায় ধস

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর থেকেই ভারতীয় বাজারে চিনা পণ্যের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। আমদানিকারকরা আর চিন থেকে দীপাবলি সংক্রান্ত পণ্য খুব বেশি আনে না। দেশ তৈরি নানান আলোক বাতি দিয়েই সেজে ওঠে বাড়ি-ঘর, পথ-ঘাট। বাজারে চিনা সামগ্রীর অনুপস্থিতি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র বাণিজ্যিক নয়, এটি ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাস ও দেশীয় অর্থনীতির প্রতি আস্থার প্রতিফলন, বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। এবারের দীপাবলি (Diwali in India) শুধু আলোর উৎসব নয়, দেশীয় শিল্প ও আত্মনির্ভর ভারতের এক নতুন সূচনা, বলে মনে করা হচ্ছে।

  • MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ চলছে, তা পাকিস্তানের (Pakistan) দমন-পীড়ন নীতিরই পরিণতি। দাবি ভারতের (MEA On POJK Protests)। ওই অঞ্চলে পাকিস্তানের কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনাও করেছে নয়াদিল্লি। পাক সরকারের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির আহ্বানও জানিয়েছে ভারত সরকার।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (MEA On POJK Protests)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভের খবর পেয়েছি, যেখানে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির স্বাভাবিক পরিণতি।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের দমনমূলক নীতি এবং এই অঞ্চলগুলির সম্পদের সুসংগঠিত লুটপাটের ফলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এগুলি এখনও তারা জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তানকে তার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক সংকট, মৌলিক পরিষেবার অভাব এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে কঠোর (Pakistan) পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ফলেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফে পাক সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে (MEA On POJK Protests)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরসহ গোটা জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্‌ফরাবাদে হিংসাত্মক বিক্ষোভের কয়েক দিনের ঘটনায় নিহতদের শেষযাত্রায় শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজা ও সমাধির শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জড়ো হয়েছেন।

    অব্যাহত বিক্ষোভ

    শুক্রবার পঞ্চম দিনেও অব্যাহত ছিল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিক্ষোভ। এলাকায় এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে যখন পাক বাহিনীর গুলিতে তিন তরুণ নিহত হন। মুজাফ্‌ফরাবাদে তাঁদের শেষযাত্রায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ জনরোষে আরও ইন্ধন জোগায়। জম্মু-কাশ্মীর যৌথ আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ একটি ৩৮ দফা দাবিসনদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে (Pakistan)। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার, ভর্তুকিযুক্ত গমের আটা সরবরাহ, বিদ্যুতের শুল্ক হ্রাস, বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা বাতিলের দাবিও (MEA On POJK Protests)।

    পিটিআই পার্টির নেত্রীর দাবি

    এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মুজাফফরাবাদ। সেই আন্দোলন ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানপাট, বাজার ও পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেত্রী সৈয়দা জাহরা শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে বলেন, “কাশ্মীরের সুনামি আজ মুজাফফরাবাদকে আঘাত করবে।” তিনি একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেন। তাতে বলা হয়েছিল যে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের ওপর চালানো ব্যাপক হিংসার একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবুও জনগণ পিছিয়ে যায়নি। আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুক্রবারের নামাজের পর জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ওই ভিডিও ক্লিপে এও উল্লেখ করা হয়েছে, পাক সরকারের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি ঘৃণা ক্রমেই বাড়ছে (MEA On POJK Protests)।

    উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    হিংসায় লাগাম টানতে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একটি অসামরিক জোটের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। গুরুতর জখম হন বহু মানুষ। এর পর বৃহস্পতিবার ফের এই আলোচনা শুরু হয় বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pakistan)। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আট সদস্যের একটি কমিটি পাঠিয়েছেন। কমিটিতে রয়েছেন ফেডারেল মন্ত্রীরা আহসান ইকবাল, আমির মুকাম, সর্দার মুহাম্মদ ইউসূফ, রানা সানাউল্লাহ এবং তারিক ফজল চৌধুরি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং প্রাক্তন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সর্দার মাসুদ খান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হকও (MEA On POJK Protests)।

    অন্যদিকে, শোকসভায় সমবেত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেকেজেএএসি-এর নেতা মির আন্দোলনের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, প্রধান দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আলোচনায় বসার আগে ধিরকোট-সহ অন্যান্য এলাকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যায় দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে (MEA On POJK Protests)।”

  • Cough Syrup for Children: শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা, দেশজুড়ে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    Cough Syrup for Children: শিশুদের কাশির সিরাপ দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা, দেশজুড়ে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশির ওষুধ (Cough Syrup for Children) খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের ১২ জন শিশুর। তারপরই শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ২ বছরের কম বয়সি শিশুদের কাফ সিরাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় যে কাশির ওষুধ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তার নমুনা পরীক্ষা করে কেন্দ্র জানিয়েছে, এতে কোনও বিষাক্ত পদার্থ নেই।

    তদন্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

    রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে (Children Death in MP) কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর (Cough Syrup for Children) ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। অভিযোগ, কাশির ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খাওয়ার ফলেই ওই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই কাশির ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওই সিরাপের মধ্যে শিশুদের জন্য ‘বিষাক্ত’, এমন কোনও পদার্থ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে তারা। শুক্রবার জানানো হয়, শিশুমৃত্যুর জন্য যে কাশির সিরাপকে দায়ী করা হচ্ছে, তার নমুনায় কোনও বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে কাফ সিরাপের যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাতে ডাইথাইলিন গ্লাইকল বা ইথালিন গ্লাইকলের কোনও উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, যা থেকে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। যে সব জায়গায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকেই এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    কিছু কাশির সিরাপ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা

    এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে শিশুদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে। শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় নয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিডনি বিকল হয়ে। আরও পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে নাগপুরে। জানা যাচ্ছে, ওই শিশুদের মৃত্যুর আগে বমি, দুর্বলতা, অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। কোনও কোনও শিশু অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দিষ্ট কিছু কাশির সিরাপ (Cough Syrup for Children) বিতরণের উপরেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।

  • India Pakistan Clash: ‘এবার মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলব’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের

    India Pakistan Clash: ‘এবার মানচিত্র থেকেই মুছে ফেলব’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ না করলে পাকিস্তানকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানালেন, অপারেশন সিঁদুরে শেষপর্যন্ত নয়াদিল্লি অব্যাহতি দিলেও পরবর্তী সময়ে আর তেমন কিছু হবে না। আর সংযম দেখাবে না ভারত। সবকিছুরই শেষ থাকে, ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে চলেছে ভারত, তাই আর নয়। ভারতীয় সেনাকে তৈরি থাকার বার্তাও দিয়েছেন সেনাপ্রধান। অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান। সীমান্তে এখনও সমানতালে চলছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর দাবি, অপারেশন সিঁদুর ১০ মে শেষ হয়নি। ১০ মে-র পরও সবার অলক্ষে লড়াই চলছে।

    জঙ্গিদের মদত নয়

    শুক্রবার রাজস্থানের অনুপগড়ে সেনার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আর্মি চিফ। সেখানেই ফের ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময়ে আমরা সংযম দেখিয়েছিলাম। কিন্তু এ বার আর দেখাব না। কোনও রেয়াত করা হবে না।’ এর পরেই হুঁশিয়ারির সুরে আর্মি চিফ বলেন, ‘পাকিস্তান যদি ভূগোলে নিজেদের জায়গা ধরে থাকতে চায়, তাহলে জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করতেই হবে।’ স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলেন, ‘জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করুন। নাহলে মানচিত্রে আপনাদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।’ রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে ভারতের সেনাপ্রধান জানান, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে।

    সেনাকে প্রস্তুত থাকার বার্তা

    সেনাকে প্রস্তুত থাকার বার্তাও দেন সেনাপ্রধান। জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, ‘ভারত এবার সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ঈশ্বর চাইলে আপনারা শীঘ্রই সুযোগ পাবেন। শুভকামনা রইল।’ গুজরাটের ভুজে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে দশেরা পালনের সময়ে পাকিস্তানকে একই ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি বলেছিলেন, ‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, যা ইতিহাস এবং ভূগোল উভয়ই বদলে দিতে পারে।’ তার পরেই আর্মি চিফের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি সার ক্রিক অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজনাথ বলেন, ‘পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচি যাওয়ার একটি পথ এই খালের (স্যর ক্রিক) মধ্য দিয়ে গিয়েছে।’

    ‘অপারেশন সিঁদুর ২’-এর অপেক্ষা

    অন্য দিকে, ৯৩ তম এয়ার ফোর্স ডে সেলিব্রেশনে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের ১০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের প্রসঙ্গ টানেন বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। তিনি জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতীয় সেনার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অভিযান। সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের ৩০০ কিমি অভ্যন্তরে ঢুকে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তিনি বলেন, ‘পহেলগাঁওকাণ্ডে পাকিস্তানকে দাম দিতে হয়েছে। ইতিহাসে অপারেশন সিঁদুরকে মনে রাখা হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখেই ৩-৪ দিনে যুদ্ধ শেষ হয়েছে।’ এয়ার চিফ মার্শালের দাবি, ‘পাকিস্তানের ৪-৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। সমসংখ্যক জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়েছে। একটি সি-১৩০ বিমান ও মিসাইল সিস্টেমও ধ্বংস হয়েছে।’ সেনাপ্রধান, বায়ুসেনা প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সবার গলাতেই এক সুর। তাহলে কি এবার ‘অপারেশন সিঁদুর ২’!

    ঘরে-বাইরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

    এদিকে, সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব পাক সরকারের। ঘরের মধ্যেই লাগাতার আন্দোলনে নাস্তানাবুদ পাক প্রধানমন্ত্রী। অশান্তির জন্য বহিরাগত শক্তিকে দায়ী করেছে পাক প্রশাসন। সূত্রের খবর, উত্তপ্ত অঞ্চলে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিধি দলকে মুজফফরাবাদে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে ভারতীয় সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানকে আরও বিপাকে ফেলেছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কথাই স্মরণ করালেন সেনাপ্রধান!

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায় ২৬ জনের। সেই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগসাজশের প্রমাণ মেলে। ৭ মে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। পাকিস্তানে ন’টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে প্রায় ১০০ জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তান ভারতে হামলার চেষ্টা চালালে তা ব্যর্থ করে এ দেশের সেনাবাহিনী। ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত এবং পাকিস্তান। তার কয়েক দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদিও জানিয়েছিলেন যে, সিঁদুর অভিযান শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে প্ররোচনা দিলে আরও কড়া জবাব দেবে ভারত। এ বার কি সে কথাই আরও এক বার মনে করিয়ে দিলেন ভারতের স্থলসেনাপ্রধান?

  • RSS at 100: ‘‘বিশ্বে সংঘের মতো আরও সংগঠন প্রয়োজন’’, আরএসএস-এর শতবর্ষে অভিনন্দন দানিশ কানেরিয়ার

    RSS at 100: ‘‘বিশ্বে সংঘের মতো আরও সংগঠন প্রয়োজন’’, আরএসএস-এর শতবর্ষে অভিনন্দন দানিশ কানেরিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) শতবর্ষ উদযাপনে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। বিশ্বে আরএসএসের মতো আরও সামাজিক সংগঠন থাকা প্রয়োজন। এই পাক ক্রিকেটারের সাফ কথা, হিন্দু হওয়ার জন্য পাকিস্তানে তাঁকে নানা রকম ভাবে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। গত ২ অক্টোবর বিজয় দশমীর দিন শতবর্ষে পদার্পণ করেছে আরএসএস। ১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনেই ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার সংঘকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    ‘‘সংগঠনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা’’ (RSS at 100)

    পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ (Danish Kaneria) বলেন, “নিজেদের পক্ষে কোনও রকম কৃতিত্ব বা স্বীকৃতি না চেয়ে আরএসএস সমাজে সেবামূলক কাজ করে যায়। এই ধরনের সংগঠন সমাজে আরও প্রয়োজন। আমি বিশ্বজুড়ে আরএসএস-এর কাজ দেখেছি। যে কোনও দুর্যোগের কাজে তারা কাজ করে, সমাজ সেবায় তারা সব সময় নিবেদিতপ্রাণ। দুর্গতদের ত্রাণ, অসহায় ও পিছিয়ে থাকাদের মধ্যে ক্ষমতায়ন করা এবং তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করা এই সংগঠনের প্রধান কাজ। জাতি, বর্ণ, ধর্মের সীমায় আবদ্ধ নয় কেবলমাত্র মানব সেবায় স্বয়ং সেবকরা কাজ করে চলেন। এই সংগঠনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।”

    ‘‘পাকিস্তান একটি সন্ত্রাস উৎপাদনকারী দেশ’’

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের এই স্পিনার বারবার বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের কথা বলে সরব হয়েছিলেন। পাকিস্তানে কীভাবে ধর্মীয় বৈষম্যের স্বীকার হন হিন্দুরা, সেই কথাই বলেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর জীবনের কেরিয়ারকে শেষ করে দিয়েছে এই ইসলামপ্রধান রাষ্ট্র। অগত্যা দেশ ত্যাগ করে এখন আমেরিকায় বসবাস করছেন দানিশ। তিনি (Danish Kaneria) বলেছিলেন, “বর্তমানে পাকিস্তান একটি সন্ত্রাস উৎপাদনকারী দেশ। পহেলগাঁওতে হামলার পর পাকিস্তানের উপর প্রত্যঘাতে অভিনন্দন মোদিকে। জঙ্গি হামলায় যদি পাকিস্তানের হাত না থাকে তাহলে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কেন নিন্দা জানাননি? আপনি সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। আপনার লজ্জা থাকা উচিত।” পাকিস্তানে হিন্দুদের কীভাবে জোর করে ধর্মান্তর করা হয় তা নিয়েও তোপ দেগেছিলেন দানিশ। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ ছিল শহিদ আফ্রিদি নানা ভাবে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দিতেন। হিন্দুদেবদেবীদের গালাগালি এবং অবমাননাকর যুক্ত মন্তব্যও করেছিলেন মুসলিম ক্রিকেটাররা।

  • UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে ইউপিআই (UPI) লেনদেন বিনামূল্যই থাকবে। লেনদেনে লাগবে না কোনও রকম অতিরিক্ত চার্জ। এমনটাই সুনিশ্চিত করে জানালেন ভারতীয় রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। নতুন চার্জের একটা ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়তেই একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টে মডেলের স্থায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো গুজব রটে গিয়েছিল, তাই এবার গভর্নরের সিদ্ধান্তে কাটলো ধোঁয়াশা।

    ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ে প্ল্যাটফর্ম (UPI)

    গত বুধবার আরবিআই-এর (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে ভারতের ডিজিটেল পেমেন্ট ইন্টারফেস লেনদেন (UPI) ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যে থাকবে। কোনও রকম চার্জ স্বরূপ টাকা দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উভয়েই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সারা ভারত জুড়ে ডিজিটাল লেনদেনকে আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য করতে ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রাখা হবে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা

    তবে ভারতের ইউপিআই (UPI) লেনদেন এখন বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বিল পরিশোধ, কেনাকাটায় এখন একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হল এই ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা। তবে ইউপিআই পরিষেবায় একটা বিশেষ খরচ আছে। এখন গ্রাহকদের দিতে না হলেও আগামীদিনে এইম খরচ তো বহন করতেই হবে। তবে গ্রাহক নিজে বহন করবেন নাকি সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে তাও একবার ভালো করে ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভাবে কোনও কিছু কার্যকর হচ্ছে না।

    পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেণ্ট সিস্টেমস অ্যাক্ট অবশ্য নিজের আইনের বলে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে গ্রহক ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী যেই হন না কেন অতরিক্ত কর চাপানোর অনুমতি দেয় না। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং গ্রামীণ গ্রহকদের বেশি বেশি পরিমাণে ডিজিটাল পরিষেবায় যাতে অংশগ্রহণ বাড়ে সেই দিকেই ইঙ্গিত দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার।

  • Ramakrishna 478: “মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের, পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়”

    Ramakrishna 478: “মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের, পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের মহাভাব—ব্রাহ্মণীর সেবা

    “কামিনী-কাঞ্চনই সংসার—ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়।”

    গিরিশ—কামিনী-কাঞ্চন ছাড়ে কই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা কর, বিবেকের জন্য প্রার্থনা কর। ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য—এরই নাম বিবেক! জল-ছাঁকা দিয়ে জল ছেঁকে নিতে হয়। ময়লাটা একদিকে পড়ে-ভাল জল একদিকে পড়ে, বিবেকরূপ জল-ছাঁকা আরোপ করো। তোমরা তাঁকে জেনে সংসার করো। এরই নাম বিদ্যার সংসার।

    “দেখ না, মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের। পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়। যখনই দেখি স্ত্রী-পুরুষ একসঙ্গে বসে আছে, তখন বলি (Kathamrita), আহা! এরা গেছে। (মাস্টারের দিকে তাকাইয়া)—হারু এমন সুন্দর ছেলে, তাকে পেতনীতে পেয়েছে! — ‘ওরে হারু কোথা গেল’, ‘ওরে হারু কোথা গেল’। সব্বাই গিয়ে দেখে হারু বটতলায় চুপ করে বসে আছে। সে রূপ নাই, সে তেজ নাই, সে আনন্দ নাই! বটগাছের পেতনীতে হারুকে পেয়েছে।

    “স্ত্রী যদি বলে ‘যাও তো একবার’—অমনি উঠে দাঁড়ায়, ‘বসো তো’—আমনি বসে পড়ে।

    “একজন উমেদার বড়বাবুর কাছে আনাগোনা করে হায়রান হয়েছে। কর্ম আর হয় না। আফিসের বড়বাবু। তিনি বলেন, এখন খালি নাই, মাঝে মাঝে এসে দেখা করো। এইরূপে কতকাল কেটে গেল-উমেদার হতাশ হয়ে গেল। সে একজন বন্ধুর কাছে দুঃখ করছে। বন্ধু বললে তোর যেমন বুদ্ধি।—ওটার কাছে আনাগোনা করে পায়ের বাঁধন ছেঁড়া কেন? তুই গোলাপকে ধর, কালই তোর কর্ম হবে। উমেদার বললে, বটে!—আমি এক্ষণি চললুম। গোলাপ বড়বাবুর রাঁড়। উমেদার দেখা করে বললে, মা, তুমি এটি না করলে হবে না—আমি মহাবিপদে পড়েছি। ব্রাহ্মণের ছেলে (Kathamrita) আর কোথায় যাই! মা, অনেকদিন কাজকর্ম নাই, ছেলেপুলে না খেতে পেয়ে মারা যায়। তুমি একটি কথা বলে দিলেই আমার একটি কাজ হয়। গোলাপ ব্রাহ্মণের ছেলেকে বললে, বাছা, কাকে বললে হয়? আর ভাবতে লাগল, আহা, ব্রাহ্মণের ছেলে বড় কষ্ট পাচ্ছে! উমেদার বললে, বড়বাবুকে একটি কথা বললে আমার নিশ্চয় একটা কর্ম হয়। গোলাপ বললে, আমি আজই বড়বাবুকে বলে ঠিক করে রাখব। তার পরদিন সকালে উমেদারের কাছে একটি লোক গিয়ে উপস্থিত; সে বললে, তুমি আজ থেকেই বড়বাবুর আফিসে বেরুবে। বড়বাবু সাহেবকে বললে, ‘এ ব্যক্তি বড় উপযুক্ত লোক। একে নিযুক্ত করা হয়েছে, এর দ্বারা আফিসের বিশেষ উপকার হবে।’

    “এই কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে সকলে ভুলে আছে। আমার কিন্তু ও-সব ভাল লাগে না—মাইরি বলছি, ঈশ্বর (Ramakrishna) বই আর কিছুই জানি না।”

LinkedIn
Share