Tag: bangla news

bangla news

  • Tawang: দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ফের খবরের শিরোনামে ভারতের তাওয়াং

    Tawang: দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ফের খবরের শিরোনামে ভারতের তাওয়াং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ৯০তম জন্মদিন পালন করলেন ১৪তম দালাই লামা (Dalai Lama)। একই সঙ্গে চলছে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রস্তুতিও। এহেন আবহে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এল ভারতের একটি হিমালয়ান মঠ তাওয়াংয়ের (Tawang) নাম। হয়তো এই মঠ থেকেই নির্বাচিত হবেন পঞ্চদশতম তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মগুরু। আর যদি তাই হয় তবে চিনের শতাব্দী প্রাচীন এই আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ভারত। নাম ছিল সানগ্যাং গিয়াস্তো।তখন তাওয়াং ছিল এক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নেটওয়ার্কের অংশ, যা হিমালয় অঞ্চলের বিভিন্ন মঠকে মধ্য তিব্বতের সঙ্গে যুক্ত করত। এই দূরবর্তী প্রান্ত থেকেই পরবর্তীতে এই শিশুকে ষষ্ঠ দলাই লামা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

    ব্যতিক্রমী দালাই লামা (Tawang)

    তবে লাসায় তাঁর সিংহাসনে আরোহণের পথটি ছিল অত্যন্ত ব্যতিক্রমী। পঞ্চম দালাই লামার মৃত্যুর খবর প্রায় পনেরো বছর গোপন রেখেছিলেন সে দেশের শাসক।  রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাতে এবং পোতালা প্রাসাদের কাজ সম্পন্ন করতেই মৃত্যুর খবর গোপন করা হয়েছিল। শেষমেশ যখন পুনর্জন্ম খোঁজার সময় এল, তখন তাঁরা এদিক ওদিক খুঁজে শেষমেশ তাওয়াংয়ে খুঁজে পান শিশুটিকে। ১৬৮৮ সালে তাঁকে মধ্য তিব্বতে নিয়ে আসা হয়। গোপনে দেওয়া হয় শিক্ষা। এবং প্রায় এক দশক পরে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসানো হয়। সেই থেকেই হিমালয়ের কোলের ছোট্ট জনপদ তাওয়াং আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক মানচিত্রে দখল করে নিয়েছে স্থায়ী আসন।

    আলোচনার কেন্দ্রে তাওয়াং

    আজ তিন শতকেরও বেশি সময় পরে ফের তাওয়াং আবারও দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে। গত জুলাই মাসে দালাই লামা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে এই প্রতিষ্ঠানটি চলতে থাকবে এবং তাঁর পুনর্জন্ম চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে তাঁর নিজের দফতর গাদেন ফোদ্রাং ট্রাস্টের হাতে থাকবে, যা শীর্ষস্থানীয় তিব্বতি বৌদ্ধ নেতাদের (Dalai Lama) সঙ্গে পরামর্শ করে পরিচালিত হবে (Tawang)। বছরের পর বছর ধরে দালাই লামা স্পষ্ট করে বলে আসছেন যে তাঁর পুনর্জন্ম, অর্থাৎ পঞ্চদশ দালাই লামা, চিনের শাসনের অধীনে জন্ম নেবেন না। ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত ‘ভয়েস ফর দ্য ভয়েসলেস’ শীর্ষক বইয়ে তিনি লেখেন, “নতুন দালাই লামা একটি স্বাধীন বিশ্বে জন্ম নেবেন।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাক্যটি খুব সচেতনভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে, এবং সাধারণভাবে এটি চিন ও চিনের অধীনে থাকা তিব্বতের পুনর্জন্মস্থল হিসেবে প্রত্যাখ্যান বলেই ধরা হয়েছে। আগে একাধিকবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, ভারত, যেখানে তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে নির্বাসনে রয়েছেন, সেটাই হতে পারে তাঁর পুনর্জন্মের সম্ভাব্য স্থান।

    উল্টো অবস্থান চিনের

    এর ঠিক উল্টো অবস্থান নিয়েছে বেজিং। চিনা কমিউনিষ্ট সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে দালাই লামার যে কোনও বৈধ উত্তরসূরি অবশ্যই চিন সীমান্তের ভেতর থেকে হতে হবে এবং কমিউনিস্ট পার্টির অনুমোদন প্রাপ্ত হতে হবে। এর অর্থ, পরবর্তী দালাই লামার ওপর নিয়ন্ত্রণ মানেই তিব্বতের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ, এবং এর মাধ্যমে বৃহত্তর তিব্বতি জনগণের ওপরও চিনের প্রভাব বিস্তার। দালাই লামা ও চিনের এই দোটানার কারণেই ফের ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তাওয়াং (Tawang)। পূর্ব হিমালয়ের উচ্চভূমিতে ভারত, ভুটান ও তিব্বতের সংযোগস্থলের কাছে রয়েছে তাওয়াং মনাস্ট্রি। এটি (Dalai Lama) স্রেফ একটি উপত্যকাই নয়, বরং সমগ্র তিব্বতীয় বৌদ্ধ জগতের ওপর এক বিশাল আধ্যাত্মিক ভৌগোলিক এলাকার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এটি আজ ভারতের বৃহত্তম মনাস্ট্রি এবং লাসার দ্রেপুং মনাস্ট্রির পর গেলুগ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র।

    তাওয়াংয়ের প্রতিষ্ঠা

    তাওয়াং প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৮১ সালে মেরাগ লোদ্রে গ্যাতসো নামে এক সন্ন্যাসীর দ্বারা, যিনি পঞ্চম দালাই লামার ঘনিষ্ঠ শিষ্য ছিলেন। দালাই লামার নির্দেশেই এই মনাস্ট্রিটি নির্মিত হয়েছিল এবং এটি মূলত হিমালয়ের কিনারে অবস্থিত, সাংস্কৃতিকভাবে তিব্বতীয় কিন্তু ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী মন অঞ্চলে গেলুগ প্রভাব সুসংহত করার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল। এর ঠিক এক বছরের মধ্যেই ষষ্ঠ দালাই লামার আবির্ভাব তাওয়াংকে একটি সাধারণ ধর্মীয় কেন্দ্র থেকে গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে রূপান্তরিত করে। তাঁর স্বীকৃতি এবং পরবর্তী কালে সিংহাসনে অধিষ্ঠান তাওয়াংকে স্থায়ীভাবে তিব্বতীয় বৌদ্ধ ধর্মের পবিত্র ভৌগোলিক মানচিত্রে জায়গা করে দেয়। এটি শুধু গেলুগ শিক্ষার ও সাধনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রই নয়, বরং দালাই লামার পুনর্জন্মের বংশপরম্পরায় একটি আধ্যাত্মিকভাবে অনুমোদিত জন্মস্থান হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পায় (Tawang)।

    দালাই লামার আধ্যাত্মিক প্রভাবের প্রতীক

    শুরুর সময় থেকেই এই মনাস্ট্রিটি কেবল উপাসনা ও শিক্ষার কেন্দ্র ছিল না, বরং তিব্বতের বাইরেও দালাই লামার আধ্যাত্মিক প্রভাবের একটি প্রতীক ছিল এটি। পরবর্তী কয়েক দশকে তাওয়াং মনাস্ট্রি তখনকার “মন-ইউল” নামে পরিচিত অঞ্চলের ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। এই অঞ্চলটি বর্তমানে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং ভুটানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। মনাস্ট্রিটি কর আদায় করত, বিবাদ মেটাত এবং ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করত। এর প্রধানরা যাঁদের রিনপোচে বলা হত তাঁদের অত্যন্ত সম্মান করা হত এবং তাঁরা প্রায়ই লাসার বড় বড় মনাস্ট্রিগুলিতে শিক্ষাগ্রহণ করে ফিরে আসতেন তাওয়াংয়ে (Dalai Lama)। তাওয়াং এবং তিব্বতের প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন গ্যান্ডেন, সেরা এবং দ্রেপুংয়ের মধ্যে নিয়মিতভাবে তীর্থযাত্রী ও সন্ন্যাসীরা যাতায়াত করতেন। এর ফলে দূরবর্তী বিহারগুলিও মধ্য তিব্বতের শিক্ষামূলক ও আচারিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করত। ক্রমে তাওয়াং এমন একটি স্থান হয়ে ওঠে, যেখানে মোনপা পরিবারগুলির সন্ন্যাসীরা লাসায় না গিয়েও উচ্চতর ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করতে পারত।

    লাসা দখল করে পিএলএ

    এই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ১৯৫১ সালে, যখন ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করে। তবে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) লাসা দখল করার পর ও সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পরেও তাওয়াং মঠের দালাই লামার প্রতি আধ্যাত্মিক আনুগত্য বজায় রাখে। ১৯৫৯ সালে দালাই লামা যখন ভারতে পালিয়ে আসেন, তিনিও তাওয়াং পেরিয়ে আসেন। সেখানে সন্ন্যাসী ও গ্রামবাসীরা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। পরে তেজপুর হয়ে শেষ পর্যন্ত ধর্মশালায় পৌঁছন তিনি (Tawang)। বর্তমান রাজনীতিতে এই ঘটনার প্রতীকী গুরুত্বও কম নয়। আজ তাওয়াং চিন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতের বাইরে গেলুগ পরম্পরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে আছে। এটি সম্ভবত একমাত্র বড় মাপের মঠ যা এখনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তিব্বতের পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন

    এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি দালাই লামার উত্তরাধিকার নির্বাচনকে একটি বিরল রাজনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখছে। তার কারণ তিব্বতি বৌদ্ধধর্মকে স্থায়ী রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। গত কয়েক দশক ধরে বেজিং চিনের ভেতরে থাকা প্রধান তিব্বতি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাজনৈতিক তত্ত্বাবধানে আনতে সফল হয়েছে। কেবলমাত্র নির্বাসিত দালাই লামাই চিনা কর্তৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন (Dalai Lama)। তাঁর মৃত্যু চিনের জন্য সেই কর্তৃত্বকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করার জন্য একটি বিরল সুযোগ এনে দেবে। তাই চিন চাইছে, এমন একজন উত্তরাধিকারী তৈরি করতে যিনি চিনের ভেতরে জন্মাবেন, পার্টির তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠবেন এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করবেন (Tawang)।

  • Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    Tesla In India: ভারতে লঞ্চ হবে টেসলার প্রথম মডেল ওয়াই, দাম কত হতে পারে ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে আসছে টেসলা (Tesla In India)। কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যেতে পারে টিজার। এবার টেসলা নতুন মডেল ওয়াই এসইউভি নিয়ে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার উপস্থিতি শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতে বিক্রির জন্য প্রথম পণ্য হিসাবে আসবে ‘ওয়াই’ এসইউভি । আগামী মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই মুম্বইয়ে টেসলা এই মডেলের প্রথম স্টোর লঞ্চ করবে। সূত্রের মতে, অগাস্টের শেষ দিক থেকে গাড়ি ডেলিভারি শুরু হতে পারে। গ্রাহকরা আগামী সপ্তাহ থেকেই তাদের গাড়ি কনফিগার ও অর্ডার করতে পারবেন। গাড়ির দাম সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দিতে পারে কোম্পানি। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে আরও একটি শোরুম খুলবে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ।

    টেসলার মডেলে নতুন আপডেট

    টেসলার (Tesla In India) নতুন মডেল ওয়াই একটি বড় আপডেট নিয়ে ভারতে আসতে পারে। একটি নতুন চেহারা আরও ভালো সাসপেনশন ও নতুন ইন্টেরিয়র থাকবে এই গাড়িতে। ভারতে নতুন মডেল ওয়াইয়ের রেঞ্জ ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি হতে পারে। নতুন গাড়িটির সামনের অংশ আলাদা ও অভ্যন্তরীণ অংশে একটি বড় টাচস্ক্রিন ও পিছনের যাত্রীদের জন্য আলাদা স্ক্রিন রয়েছে। এই গাড়ি খুব দ্রুত গতির হবে। ০-১০০ কিমি গতি তুলতে ৫.৯ সেকেন্ড সময় নেবে এই গাড়ি। অন্যদিকে অল হুইল ড্রাইভ (AWD) ৪.৩ সেকেন্ড ১০০ কিমি পর্যন্ত গতি তোলার একটি সুপারকার হবে।

    ভারতে কী তৈরি হবে এই গাড়ি

    আপাতত এই গাড়িগুলি ভারতে আমদানি করা হবে। ভারতে স্থানীয়ভাবে এই গাড়িগুলি (Tesla In India) সেম্বলির কোনও পরিকল্পনা নেই। ভারতে আমদানি করার সময় মডেল ওয়াই-এর দাম প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হতে পারে। অন্যদিকে মডেল ৩ কিছুটা সস্তা হতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। মডেল ওয়াই আপাতত ফ্ল্যাগশিপ পণ্য হবে কারণ আরও বড় গাড়ি এস সম্ভবত এখানে আসবে না এবং সাইবারট্রাকও আনুষ্ঠানিকভাবে এখানে আসবে না। প্রথম দফায় চিনের টেসলা কারখানা থেকে আসা পাঁচটি মডেল ওয়াই রিয়ার-হুইল ড্রাইভ এসইউভি ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছে।

  • North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় উত্তর কোরিয়া (North Korea), এদেশের শাসকের নাম কিম জং উন। তাঁর নামের সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত। আধুনিক পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম কঠোর শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান উত্তর কোরিয়ায়। করোনা মহামারির সময় থেকে সে দেশে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি উঠে যায়, পরে ফের একবার তা চালু হয়েছে।

    কঠোর নির্দেশ ছিল পর্যটকদের ওপর

    উত্তর কোরিয়া সফরকারী একটি পর্যটক দলের অংশ ছিলেন ভুবানী ধরন (Bhubani Dharan)। জানা গেছে, ওই দলে মোট ২২ জন সদস্য ছিলেন এবং তাঁরা চলতি বছরের মার্চ মাসে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। ৩ মার্চ সেখানে তাঁরা যান, ৬ মার্চ সে দেশ থেকে ফেরত আসেন। তাঁদের দলটি ফিরে আসার পরে আবার একবার কিম জং উনের দেশে পর্যটনের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

    উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে প্রবেশের সময়ই পর্যটকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেমন:

    সর্বদা কিম জং উন-এর নাম সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে।

    তাঁকে সম্বোধন করার সময় ‘ক্যাপ্টেন’ বা ‘মার্শাল’ উপাধি যোগ করতে হবে।

    সরকারের পক্ষ থেকে দুইজন গাইড বরাদ্দ করা হয়, যারা সব সময় পর্যটকদের সঙ্গে থাকেন এবং নির্দেশনা দেন।

    একা কোথাও যাওয়া যাবে না।

    কোনও কুৎসিত বা অস্বস্তিকর জিনিসের ছবি তোলা যাবে না।

    সেনা সদস্য বা কঠোর পরিশ্রমরত কোনো ব্যক্তির ছবি তোলা যাবে না।

    ‘উত্তর কোরিয়া’ শব্দ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। পরিবর্তে উচ্চারণ করতে হবে ‘DPRK’ — অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া।

    কী জানালেন ভুবানী ধরণ?

    নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভারতীয় পর্যটক (North Korea) ভুবানী ধরন জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ায় চারদিন ও তিন রাত কাটিয়েছেন। এই সময়ে তাঁর মনে কাজ করছিল কৌতূহল, উত্তেজনা এবং একধরনের নার্ভাসনেস। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া পৌঁছানো তাঁদের পক্ষে সহজ ছিল না। তাঁদের গন্তব্য যে শহরে ছিল, সেই রাচন (Rason)-এ কোনও বিমানবন্দর নেই। ফলে তাঁদের প্রথমে পৌঁছাতে হয় চিনের ইয়ানজি শহরে। সেখানে নিরাপত্তা পরীক্ষার পরে তারা উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত পার হওয়ার জন্য একটি বাসে ওঠেন। উত্তর কোরিয়া সীমান্ত পার হওয়ার মুহূর্তে পর্যটকদের উপর শুরু হয় কড়া নজরদারি। তাঁদের সঙ্গে ছিল সরকারের মনোনীত দুই গাইড, যাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাঁদের জিনিসপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের তালিকা পর্যটকদের নিজেই তৈরি করতে বলা হয়।

    কোথায় কোথায় পরিদর্শন

    ভুবানী ধরন আরও জানান, উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) পৌঁছানোর পর তাঁরা প্রথমে কোনও হোটেলে নয়, বরং একটি মিনারেল ওয়াটার কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের দেখানো হয় কীভাবে পানীয় জল তৈরি হয়। তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটি সাজানো মনে হয়েছে, কারণ সেখানে মাত্র দু’জন কর্মী ছিলেন, এবং কেউই তেমনভাবে কাজ করছিলেন না। চারদিনের অবস্থানকালে তাঁদের দলটি বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে, যার মধ্যে ছিল একটি জাদুঘর, হরিণ পার্ক, একাধিক স্কুল, কয়েকটি কারখানা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,একটি আদালত কক্ষ। এই সফরে প্রথমবারের মতো ভুবানী ধরন সরাসরি উত্তর কোরিয়ার কোনও নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন, যখন তিনি একটি স্কুলে যান। সেই স্কুলের এক শিশু তাঁকে বলে, “আমি তোমার মতোই ভ্রমণ করতে চাই।”

    কোনও নাগরিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি

    ভুবানী ধরন আরও জানিয়েছেন যে উত্তর কোরিয়ায় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা পরিবারগুলিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাসতে এবং ছবি তুলতে দেখা গেছে, কিন্তু কেউই পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলতেন না। রাতে শহরের পরিবেশ ছিল ভয়ানক রকমের নিরব। তিনি যে শহরে ছিলেন, সেখানে তাঁর হোটেল কক্ষে একটি ছোট জানালা ছিল, যার মাধ্যমে তিনি কেবল বাইরের একটি নির্দিষ্ট অংশ দেখতে পেতেন। তিনি লক্ষ্য করেন, রাতে শহরের রাস্তায় কেউ থাকত না, যেন পুরো শহর নিস্তব্ধ হয়ে যেত। তবে ভোর পাঁচটা বাজতেই মানুষজন আবার কাজে নেমে পড়ত।

    ভারত সম্পর্কে কী জানেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নাগরিকরা

    ভারতের সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে চাইলে উত্তর কোরিয়ার স্থানীয়রা শুধু একটি শব্দ বলতেন — “বাহুবলী”। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, উত্তর কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক সিনেমা, বিশেষত ভারতীয় সিনেমাও কোনও না কোনওভাবে পৌঁছে যাচ্ছে। ভুবানী ধরন জানিয়েছেন, তাঁর পুরো ভ্রমণের খরচ হয়েছে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার একাধিক স্কুলে তিনি এমন ছবি দেখতে পেয়েছেন, যেখানে আমেরিকার সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা হচ্ছে — যা তাদের সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের আদর্শ অনুযায়ী শিক্ষাদানের অংশ।

    পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই

    উত্তর কোরিয়ায় পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই। সেখানে মোবাইল সিগন্যাল নেই, নেই ইন্টারনেট, এমনকি সাধারণ যোগাযোগ মাধ্যমও অপ্রাপ্য। তবে তিনি বলেন, যখন তাঁদের দলটি উত্তর কোরিয়া, চীন এবং রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পরিভ্রমণ করছিল, তখন মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য মোবাইল সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময়ই তাঁর মোবাইলে একটি সতর্কবার্তা আসে। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আবার পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতি দেখে ভুবানী ধরন কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েন। তবে সঙ্গে থাকা গাইডরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, “আপনারাই হচ্ছেন সেই শেষ দল, যারা উত্তর কোরিয়া সফরের সুযোগ পেলেন।”

  • India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    India China Relation: প্রথমবার চিন সফরে জয়শঙ্কর! এসসিও সামিটের পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক দুই বিদেশমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার চিন (India China Relation) সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) তখন একটি দেশ সেখানে সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি উল্লেখ করতে অস্বীকার করে। সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ ছাড়া ভারতের কাছে এই ঘোষণাপত্রটির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।” উল্লেখ্য, এসসিও সর্বসম্মতিতে কাজ করে। কোনও বিষয় নিয়ে যদি একটি দেশেরও আপত্তি থাকে, তাহলে কিছুই এগোয় না।

    ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    সূত্রের খবর, এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় বিরল খনিজ উপাদান সরবরাহ, দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে। ভারত সব সময় প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তাই বেজিংয়ের প্রস্তাব মেনে বৈঠকে সম্মতি দেয় দিল্লি। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও সরকারিভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

    সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে সফর

    চলতি বছর সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতীয় (India China Relation) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিক সফরের অংশ হিসেবে জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত মাসেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কুউইংদাওয়ে অনুষ্ঠিত এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে চিন সফর করেন। এসব সফরকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য চীন সফরের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। চিনের রাষ্ট্রদূত এপ্রিল মাসে এক বার্তায় জানিয়েছিলেন, মোদিকে “উষ্ণ আমন্ত্রণ” জানানো হয়েছে, যদিও দিল্লি এখনো তা নিশ্চিত করেনি। সূত্রের খবর, এ মাসেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফরে আসবেন। তীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে তাঁর আলোচনারও কথা রয়েছে।

    জয়শঙ্করের সফরের গুরুত্ব

    ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় এবং বহু চিনা (India China Relation) সেনা নিহত হন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান স্থানান্তরের ঘটনাও ঘটে। তবে গত অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে সম্মত হন দুই নেতা। এরপর থেকে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও ওয়াং ই দুইবার বিদেশে – প্রথমে নভেম্বর মাসে রিও ডি জেনেইরোতে জি২০ সম্মেলনে এবং ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনে অংশ নেন। তবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চললেও উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। ভারত চিনের উপর ভিসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। অন্যদিকে চিন ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতকে প্রভাবিত করে এমন খনিজ রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। জুলাইয়ের শুরুতে মোদির পক্ষ থেকে দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে চিন কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই আবহে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।

  • Tribal Students: জনজাতি পড়ুয়াদের জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কেরিয়ার তৈরিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

    Tribal Students: জনজাতি পড়ুয়াদের জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কেরিয়ার তৈরিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের (Tribal Students) জন্য বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক অধীনস্থ সংস্থা ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (NESTS), টাটা মোটরস লিমিটেড এবং ইউনিসেফ-এর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, দেশের একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুলে পাঠরত প্রায় ১,৩৮,০০০ জন আদিবাসী ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা, পেশাগত দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাওয়ার সুযোগ পাবে।

    কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং দেওয়া হবে (Tribal Students)

    ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস একটি স্বশাসিত সংস্থা, যা আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংস্থার আওতায় পরিচালিত হয় একলব্য মডেল রেসিডেনশিয়াল স্কুলসমূহ। জানা গেছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জন্য NEET এবং JEE-এর মতো সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং দেওয়া হবে (Tribal Students)।

    চুক্তিটি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়েছে (Tribal Students)

    এই চুক্তিটি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং এটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে। এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা—ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (NESTS), টাটা মোটরস লিমিটেড, এবং এক্স-নবোদয়ান ফাউন্ডেশন একত্রে অংশগ্রহণ করেছে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল, আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য টেকসই ও পেশাগত উন্নয়নের পথ তৈরি করা।

    এই প্রকল্পের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হবেন

    এই চুক্তির মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি, যেমন মেডিক্যাল (NEET), ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE) ও অন্যান্য পেশাদার কোর্সে ভর্তির জন্য নিখরচায় কোচিং-এর সুযোগও প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের কর্মজীবনে প্রবেশের আগে প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাগত সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস এবং আগামীর জন্য প্রস্তুতির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে থাকা এই সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা (Tribal Students) এর মাধ্যমে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। এই প্রকল্পের ফলে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এমন অনেক পড়ুয়া উপকৃত হবেন, যাঁরা ভৌগোলিক বা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে উন্নত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। এই চুক্তি শুধু একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয় বরং একটি বৃহৎ সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা, যা ভবিষ্যতে আদিবাসী সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের চিন্তাপল্লি এবং মহারাষ্ট্রের চানকপুরে দুটি কোচিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও এই কোচিং অনলাইনের মাধ্যমেও প্রদান করা হবে, যাতে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরাও এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে (Industry)।

  • China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের ইনার মঙ্গোলিয়ার বায়ান ওবো শহরের প্রান্তে দাঁড়ালে চোখে পড়ে ধূসর রঙের এক বিস্তৃত, ক্ষতবিক্ষত ভূমি । এক সময়ের সবুজ তৃণভূমিকে আধুনিক প্রযুক্তির এক অপরিহার্য খনিজের (China Rare Earth Metal) খোঁজে বছরের পর বছর ধরে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছে। এই ছোট্ট শহরের নাম হয়তো অনেকেই শোনেননি, কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনের চালিকা শক্তি এই জায়গা থেকেই আসে। বায়ান ওবো হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেক বিরল মাটি বা ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের উৎস। এই খনিজগুলো স্মার্টফোন, ব্লুটুথ স্পিকার, টিভি স্ক্রিন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই খনিজগুলো ছাড়া চলে না আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র।

    চিনের বড় হাতিয়ার

    বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে চিন বিরল মাটি খনন ও পরিশোধনে অনেক এগিয়ে। এর ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে বেজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিতে চিনের প্রধান শক্তিই হচ্ছে এই বিপুল খনিজ ভাণ্ডার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে দর কষাকষিতে এই ‘বিরল খনিজ’ চিনের বড় হাতিয়ার। বায়ান ওবো ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জীবন কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। বায়ান ওবো ও চিনের জিয়াংসি প্রদেশের গানঝৌ শহরে কেন্দ্রীভূত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিরল খনিজ আহরণ ও পরিশোধন শিল্প (China Rare Earth Metal)। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বিরল খনিজ এখান থেকেই তোলা হয়। তবে এই আধিপত্যের পেছনে রয়েছে ভয়াবহ পরিবেশগত মূল্য।

    মূল্য চোকাচ্ছে পরিবেশ

    বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চিনের দুটি প্রধান রেয়ার আর্থ খনন কেন্দ্র—উত্তরের বায়ান ওবো এবং দক্ষিণের জিয়াংসির গানঝৌতে দেখা মিলেছে বিষাক্ত বর্জ্যে ভরা কৃত্রিম হ্রদের। দূষিত জল ও মাটির কথা শোনা গিয়েছে ওই অঞ্চলের মানুষের মুখে। কিছু এলাকায় ক্যানসার ও জন্মগত ত্রুটির ঘটনাও দেখা গিয়েছে, যা এই খনন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। চিনের কমিউনিস্ট সরকার এই খবর সামনে আসতে দেয় না। এই খবর বিশ্বের সামনে আনতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। খনির মালিক আটকে রাখেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের, সঙ্গে চলে পুলিশের জেরা। সব ভিডিও ডিলিট করার পরেই মুক্তি মেলে সাংবাদিকদের। তারপরই আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তাই খনির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

    দূষণের চিত্র

    বায়ান ওবোতে চলছে নিয়মিত খনন, যেখানে খোঁজা হচ্ছে নিওডিমিয়াম ও ডিসপ্রোসিয়াম নামের বিরল খনিজ (China Rare Earth Metal)। এই ধাতুগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক গাড়ি, কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ থেকে শুরু করে এমআরই মেশিন পর্যন্ত বহু প্রযুক্তিপণ্যে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এসব আহরণের প্রক্রিয়ায় উন্মুক্তভাবে তোলা হয় টন টন মাটি, যা ছড়ায় ক্ষতিকর ধুলো ও রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান। প্রতি এক টন বিরল খনিজ উত্তোলনে তৈরি হয় প্রায় ২ হাজার টন বিষাক্ত বর্জ্য। খনিজের খোঁজে জমির ওপরিভাগ একের পর এক স্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এতে উঠে আসে ভারী ধাতু ও তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা।

    স্যাটেলাইট চিত্র ভয়ঙ্কর

    স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায় গত কয়েক দশকে বায়ান ওবো খনির (China Rare Earth Metal) ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বনাঞ্চল ধ্বংস করে, নদী-লেকে বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে বহরে বাড়ছে খনি অঞ্চল। গানঝৌতে দৃশ্যপট আরও ভয়াবহ—খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় উন্মুক্ত বিষাক্ত “লিচিং পুকুর” রয়েছে। এখানে মাটি থেকে খনিজ আলাদা করতে অ্যামোনিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে স্থানীয় নদী ও কৃষিজমিতে দূষণের প্রমাণ মিলেছে। ২০১২ সালে সরকার হস্তক্ষেপ করে খনি লাইসেন্স কমিয়ে দিলেও ততদিনে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায় এই অঞ্চলের।

    গ্রামবাসীদের দুর্দশা

    স্থানীয় কৃষক হুয়াং জিয়াওচং অভিযোগ করেছেন, তার জমির চারপাশে চারটি খনি রয়েছে। যেখানে ভূমিধস অপ্রতিরোধ্য। তাঁর কথায়, “এই সমস্যা আমার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। এটা সরকারিভাবে সমাধান করতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষ, দুর্বল। আমাদের কিছু করার নেই।” বায়ান ওবো ও গানঝৌর স্থানীয়রা এখনও ‘আগে উন্নয়ন, পরে পরিষ্কার’ নীতির শিকার বলে মনে করেন অধ্যাপক জুলি ক্লিংগার। তাঁর রেয়ার আর্থ ফ্রন্টিয়ার (Rare Earth Frontiers) বইয়ে এ বিষয়ে বিশদে লিখেছেন তিনি। জুলি বলেন, যদিও এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে, কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। বিশেষ করে বাওতোউ শহরের দক্ষিণে উইকুয়াং বাঁধের পাশের গ্রামগুলোতে ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত বাস করা মানুষদের হাড় ও গাঁটে বিকৃতি, ফ্লোরাইড বিষক্রিয়া এবং আর্সেনিক বিষাক্ততার প্রমাণ মিলেছে।

    ভবিষ্যতের হুমকি

    বায়ান ওবো খনির দক্ষিণে বাওটো শহরে অবস্থিত ওয়েইকুয়াং বাঁধ ঘিরে সবচেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামের মানুষদের হাড়ের বিকৃতি, অতিরিক্ত ফ্লোরাইড ও আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার পরে সেখানকার মানুষদের সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ বিষাক্ত বর্জ্যভরা পুকুর আজও রয়ে গেছে। যার বিষাক্ত জল যেকোনও সময় মিশে যেতে পারে চিনের অন্যতম প্রধান জলের উৎস হোয়াংহো নদীতে। বিশ্বজুড়ে স্মার্ট ডিভাইস, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল ও উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। চিন (China Rare Earth Metal) এখন বিদেশেও খনন সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন—সঠিক ব্যবস্থা না থাকলে যেখানেই খনন হোক না কেন, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বেই।

    কিন্তু তা নিয়ে কী একটুও ভাবছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার?

  • Ramakrishna 407: শ্রী রামকৃষ্ণের, বলরামের গৃহে আগমন এবং ভক্তদের সঙ্গে কথোপকথন

    Ramakrishna 407: শ্রী রামকৃষ্ণের, বলরামের গৃহে আগমন এবং ভক্তদের সঙ্গে কথোপকথন

    শ্রীরামকৃষ্ণ- এখানে থাকবেন।

    পরিবার- এসে কিছুদিন থাকব—নহবতে মা আছেন, তাঁর কাছেই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ তখন বলছেন—
    “তুমি যে বল, মরবার কথা—তাই ভয় হয়।”
    আবার পাশে গঙ্গা

    বসু, বলরাম মন্দিরে, গিরিশ মন্দিরে ও দেবেন্দ্র ভবনে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ।

    ১৮৮৫ সালের ১১ই মার্চ

    শ্রীরামকৃষ্ণের বলরামের গৃহে আগমন এবং তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্র, গিরিশ, বলরাম, চুনিলাল, লাটু, মাস্টার, নারায়ণ প্রভৃতি ভক্তদের কথোপকথন ও আনন্দময় সময়।

    তিথি: ফাল্গুন কৃষ্ণ দশমী, নক্ষত্র: পূর্বাষাঢ়া,
    তারিখ: ২৯শে ফাল্গুন, বুধবার, ইংরেজি ১১ই মার্চ, ১৮৮৫।

    আজ আনুমানিক বেলা দশটার সময় শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর হতে বলরাম বসুর গৃহে (বলরাম মন্দিরে) আগমন করেন।
    সেখানে শ্রী শ্রী জগন্নাথের প্রসাদ গ্রহণ করেন।
    সঙ্গে ছিলেন লাটু প্রভৃতি ভক্ত।

    ধন্য বলরাম! তোমারই আলোয় আজ ঠাকুরের প্রধান কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
    কত নতুন নতুন ভক্তকে আকর্ষণ করে প্রেমের বন্ধনে বেঁধে ফেললেন!
    ভক্তদের সঙ্গে ছিলেন, গান গাইলেন—যেন শ্রীগৌরাঙ্গ শ্রীবাস মন্দিরে প্রেমের হাট বসিয়েছেন।

    দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে বসে কাঁদতেন ঠাকুর।
    কোনও অন্তরঙ্গ ভক্তকে দেখবেন বলে ব্যাকুল হতেন।
    রাত্রে ঘুম হত না।
    মাকে বলতেন—
    “মা, ওর বড় ভক্তি। ওকে টেনে নাও মা।
    একবার এখানে এনে দাও।
    সে যদি নিজে না আসতে পারে, তবে মা, আমায় সেখানে নিয়ে চলো।
    আমি গিয়ে দেখে আসি।”

    এই কারণেই বলরামের বাড়িতে ছুটে ছুটে আসতেন।
    লোককে বলতেন—
    “বলরামের এখানে জগন্নাথের সেবা হয়। খুব শুদ্ধ।
    যখন আসেন, অমনি বলরামকে পাঠান—
    ‘নরেন্দ্রকে, ভবনাথকে, রাখালকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসো।
    এদের খাওয়ালে নারায়ণকে খাওয়ানো হয়।
    এরা সাধারণ কেউ নয়—এরা ঈশ্বরস্বরূপ।
    তাদের খাওয়ালে তোমার বড় উপকার হবে।”

  • Daily Horoscope 12 July 2025: সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 12 July 2025: সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কোনও সমস্যায় থাকলে ভাইদের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করতে পারবেন।

    ৩) ব্যক্তিগত বিষয়ে সংবেদনশীলতা বজায় রাখুন, তা না-হলে সমস্যা উৎপন্ন হবে।

    বৃষ

    ১) নতুন কাজ শুরুর সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) আর্থিক বিষয়ে সহজ ভাবে অগ্রসর হন।

    ৩) ব্যাঙ্ক, ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে তা আজ সহজেই পেয়ে যাবেন।

    মিথুন

    ১)  দামী বস্তুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন।

    ২) নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনা করবেন, যা আপনার কাজকে প্রভাবিত করবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা ভালো মুনাফা অর্জন করায় আনন্দিত থাকবেন।

    কর্কট

    ১) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন করবেন না, তা না-হলে তাঁরা বড়সড় লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াবেন।

    ২) বাজেট তৈরি করে ব্যয় করুন।

    ৩) নিজের কাজের চেয়ে অন্যের কাজে বেশি মনোনিবেশ করবেন, যার ফলে আপনার সমস্যা হতে পারে।

    সিংহ

    ১) ব্যস্ত জীবন কাটান যাঁরা, তাঁরা সঙ্গীর কথা বোঝার চেষ্টা করুন, তা না-হলে বিবাদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ২) ব্যবসায়ীদের জন্য দিন ভালো।

    ৩) সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান করতে হবে।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে আপনাদের চেষ্টা সফল হবে।

    ২) সমস্যা থাকলে তা আজ দূর হবে।

    ৩) সামাজিক ক্ষেত্রে কাজ করেন যাঁরা, তাঁরা আজ নতুন কোনও কাজ করার সুযোগ পাবেন।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় বড় মুনাফা অর্জনের লোভে ছোটখাট লাভ হাতছাড়া করবেন না।

    ২) সন্তানের নতুন চাকরি পাওয়ায় এবার কেরিয়ার সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে।

    ৩) বন্ধু আপনার সাহায্য প্রার্থনা করতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) পরিবারের সদস্যদের জন্য সময় বের করতে হবে।

    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করায় একাধিক সমস্যার সমাধান হবে।

    ৩) আইনি কাজে নিয়ম-নীতি মেনে চলুন, তা না-হলে ভুল হতে পারে।

    ধনু

    ১) দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়ায় আনন্দিত হবেন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে স্মরণীয় মুহূর্ত কাটাবেন।

    ৩) যে কোনও কাজে ধৈর্য ধরুন ও সাহসী থাকুন।

    মকর

    ১) স্বাস্থ্য-সমস্যা উপেক্ষা করবেন না, তা না-হলে বড়সড় রোগ দেখা দিতে পারে।

    ২) ব্যবসায়িক বিষয়ে ভালো ফলাফল পাবেন।

    ৩) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকলে তা শোধ করতে সফল হবেন।

    কুম্ভ

    ১) পড়াশোনায় রুচি বাড়বে।

    ২) কাজের সন্ধানে থাকলে সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) আত্মীয়ের স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    মীন

    ১) ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরে আপনাকে চিন্তিত করে থাকলে তা আজ পুনরায় শুরু করতে পারেন।

    ২) কোনও কাজের জন্য জেদ করবেন না।

    ৩) বিলাসিতার বস্তু কেনাকাটায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Bhangar News: ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা

    Bhangar News: ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানায় ভালো নেই সংখ্যালঘুরা। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য় সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমান। এ যেন ফের দেখা গেল ভাঙড়ে (Bhangar News)। খুন হল তৃণমূলের মুসলিম নেতা, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাও মুসলিম সম্প্রদায়ের। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি। ঘটনাটি ঘটে ভাঙড় থানার অন্তর্গত চালতাবেড়িয়া এলাকায়। অভিযোগ, বাড়ির অদূরে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় এবং পরে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খাঁ-কে।
    এই ঘটনায় তৃণমূলের (Trinamool Leader) পক্ষ থেকে আইএসএফ-কে দায়ী করা হয়েছে।

    শওকত ঘনিষ্ঠ নেতা (Bhangar News)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়গঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় রেজ্জাক খাঁ-কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়।গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
    পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই তদন্তে নেমেছে (Bhangar News)। রেজ্জাক খাঁ ছিলেন তৃণমূলের সক্রিয় নেতা এবং ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
    ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামেন।

    কী বলছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার

    এদিকে, লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এই খুনের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের আগে রেজ্জাক খাঁ-কে ফোন করে বাইরে ডেকে আনা হয়েছিল।এরপর ওয়ান শটারের মতো আগ্নেয়াস্ত্র থেকে অন্তত চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়।পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ (Bhangar News)। রেজ্জাক খাঁ-র মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইক উদ্ধার হয়েছে।
    তদন্তে আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে।এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত বাইকের নম্বর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    শওকত মোল্লা কী বলছেন?

    এই ঘটনায় সরাসরি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নাম নেন শওকত মোল্লা।তিনি বলেন, “নওশাদের মদতেই রেজ্জাক খাঁ-কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।দু’টি মিটিং সেরে ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে ও পরে কুপিয়ে মারা হয়।ভাঙড়ে আইএসএফের প্রভাব কমে যাওয়াতেই এ ধরনের সন্ত্রাস চালাচ্ছে তারা।সমাজবিরোধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    নওশাদের বক্তব্য

    অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোনও কর্মী বা সমর্থক জড়িত নয়।এটি তৃণমূলের অন্দরমহলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দিক।”ভাঙড়ের ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলল মমতা জমানার ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।

  • Bangladesh: মৌলবাদী ইউনূসের বাংলাদেশে অব্যাহত বুদ্ধিজীবী নির্যাতন, গ্রেফতার অর্থনীতিবিদ

    Bangladesh: মৌলবাদী ইউনূসের বাংলাদেশে অব্যাহত বুদ্ধিজীবী নির্যাতন, গ্রেফতার অর্থনীতিবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার ১০ই জুলাই, রাতে ঢাকার ধানমন্ডির নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বরকতকে (Abul Barkat)। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ নাসিরুল ইসলাম।

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনূস সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা দায়ের করেছিল আবুল বরকতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ — তিনি জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সময় (২০০৯-২০১৪) ২৯৭.৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের সাথে যুক্ত ছিলেন।

    অভিযোগে বলা হয়, বরকত এবং তৎকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যাংকের গভর্নর মিলে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে AnonTex গ্রুপের ২২টি কোম্পানিকে অবৈধভাবে ঋণ অনুমোদন করেন। অদৃশ্য কারখানা ও ভবনের নামে ঋণ প্রদান, ভূয়া দলিল তৈরি ও অস্বাভাবিক দামে জমি কিনে ব্যাংকের অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    ড. আবুল বরকত বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। তিনি জাপান সরকারের “অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং ২০২১ সাল থেকে TIGER (Transformation, Integration and Globalization Economic Research)-এর বৈজ্ঞানিক গবেষণা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

    “বাংলাদেশে ৩০ বছরের মধ্যে হিন্দু থাকবে না” — আবুল বরকতের সতর্কবার্তা (Abul Barkat)

    ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাগ্রন্থ “Political Economy of Reforming Agriculture-Land-Water Bodies in Bangladesh”-এ ড. বারকত আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যে হারে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দেশত্যাগ করছে, সেই ধারা বজায় থাকলে ২০৪৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু থাকবে না।

    ঢাকা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন:
    “গত ৪৯ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন — অর্থাৎ বছরে প্রায় ২,৩০,৬১২ জন। ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১.১৩ কোটি হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের কারণে।”

    তিনি জানান, বাংলাদেশে সেনাশাসনের সময় এই নিপীড়ন ছিল সর্বোচ্চ স্তরে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার আগে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ এবং স্বাধীনতার পরে ‘ভেস্টেড প্রপার্টি আইন’-এর মাধ্যমে সরকারের হাতে ৬০% হিন্দুদের জমি চলে যায়।

    তাঁর বইটি তিনি উৎসর্গ করেন তাঁর শৈশবের বন্ধুদের, যারা ‘বুনো’ উপজাতির সদস্য ছিলেন — এবং বর্তমানে যাদের আর কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ইউনূসের ইসলামপন্থী তোষণ নীতি (Yunus)

    মোহাম্মদ ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ইসলামপন্থার উত্থান নজিরবিহীনভাবে বেড়ে যায়। তিনি প্রথমেই উগ্র ইসলামি সংগঠন জামায়াতে ইসলামী-র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।

    এরপর ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানিকে মুক্তি দেন। এই একই সময়ে হিন্দুদের উপর ধারাবাহিক হামলাগুলোকে ছোট করে দেখাতে শুরু করেন ইউনূস। কখনও তিনি এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আবার কখনও বলেছেন, “এগুলোর মাত্রা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে”।

    এই সময়কার শিক্ষাব্যবস্থায়ও ইতিহাস বিকৃতি ঘটে। নতুন পাঠ্যবইয়ে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা নাকি করেছিলেন জিয়াউর রহমান — যিনি ইসলামপন্থীদের কাছে প্রিয় মুখ।

    এছাড়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় Hizb ut-Tahrir নামক এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ আজাজকে।

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কূটনীতিকের ক্ষোভ (Yunus Government)

    পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ প্রকাশ্যে ফেসবুকে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

LinkedIn
Share