Tag: Bengal news

Bengal news

  • Corruption: স্কুলেও একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ

    Corruption: স্কুলেও একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ, প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকে যেন কোনওভাবেই মুক্তি মিলছে না রাজ্যবাসীর। কখনও রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের কাঁচামাল সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা, কখনও ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, কখনওবা দুর্নীতি আবাস যোজনায়। তালিকা দিনকে দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এবার একগুচ্ছ দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। আরামবাগের কেশবপুর ইনস্টিটিউশনের ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    কী অভিযোগ তুলছেন অভিভাবকরা?

    অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সব কিছুই নিজের ইচ্ছামতো করছেন। মিড ডে মিলে গরমিল, স্কুলের ফলক তৈরিতে অর্থ তছরুপ সহ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ (Corruption) তোলেন অভিভাবকরা। এমনকি ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত পাখা না থাকা সত্ত্বেও গরমের মধ্যে দিনে তিনটি করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে কেন? সেই  প্রশ্ন তুলেও সোচ্চার হন অভিভাবকরা। স্কুলের পরিচালন কমিটি না থাকার কারণে প্রধান শিক্ষক ইচ্ছামতো কাজ করছেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ তুলে এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচি চলে। দাবি ওঠে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের। এক অভিভাবক বলেন, স্কুলে যে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে প্রশ্নেই উত্তর। পরীক্ষা ১১ টা থেকে আরম্ভ হওয়ার কথা। সেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেলা ১ টার পর। কোনও গার্ড নেই। গরমে ছেলেগুলো আধমরা হয়ে বাড়ি ফিরছে। পড়তে নয়, যেন কুস্তি লড়তে যাচ্ছে। যাদের কাছে আমরা ছেলেদের পাঠাচ্ছি, তাদের কোনও দায়িত্বই নেই। তাদের একটাই লক্ষ্য, মাস গেলে মাইনে বুঝে নেবো। 

    প্রধান শিক্ষক জবাবে কী জানালেন?

    যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজকুমার খামরুই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ক্লাসরুমে ফ্যান আছে বলেই তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার জন্যই এসব করা হচ্ছে। আইন মেনেই তিনি যা করার করছেন। দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Minor Schoolgirl Missing: কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো নাবালিকা দুই সহপাঠী, শোরগোল মালদায়

    Minor Schoolgirl Missing: কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালো নাবালিকা দুই সহপাঠী, শোরগোল মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বান্ধবী এমন ঘটনা ঘটালো যে, তাদের খুঁজে পেতে কালঘাম ছুটল পুলিশের। পরিবারে নাকি বাবা-মায়ের কড়া শাসন ও বকুনি। আর তা থেকে রেহাই পেতেই নাকি বাড়ি ছেড়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) দুই সহপাঠী। কিন্তু তারা যে একরকম নাকানি-চোবানি খাওয়াবে, তা কে জানতো। তাদের উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটল মালদার চাঁচল থানার পুলিশের। কার্যত পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলল দুই সহপাঠী। অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে নাগালে এল দুই বান্ধবী। এখন আদালতের নির্দেশে দুই সহপাঠীর স্থান হয়েছে মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে। 

    কীভাবে পালিয়ে গেল দুই কিশোরী?

    ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল (Minor Schoolgirl Missing) নাবালিকা দুই সহপাঠী। একই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত তারা। তাদের বাড়িও চাঁচলে। ৭ এপ্রিল পরিবারের উপর অভিমান করে এবং বাড়ি না ফেরার জেদ নিয়ে দুই বান্ধবী চাঁচলের একটি লজে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে। কিন্তু দুজনই নাবালিকা হওয়ায় লজ কর্তৃপক্ষ তাদের ঠাঁই দেয়নি। পরে তারা সামসি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে। 

    কীভাবে তারা এল পুলিশের নাগালে?

    সারাদিন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চাঁচল থানায় নিখোঁজের (Minor Schoolgirl Missing) অভিযোগ করেন। শুরু হয় তল্লাশি। সন্ধ্যায় পুলিশ নিখোঁজ দুই সহপাঠীর আত্মীয়কে নিয়ে সামসি স্টেশনেও খোঁজ নিতে যায়। কিশোরীরা আড়াল থেকে আত্মীয়কে দেখে অন্যত্র লুকিয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই দুই নাবালিকা স্থানীয় একটি রিসর্টে লুকিয়ে রাত কাটায়। পরের দিন সকালেও থাকে। ৮ এপ্রিল বিকেল নাগাদ আবার চাঁচলে আসে। চাঁচলের একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে আত্মগোপন করে। কিন্তু ওই দুই বান্ধবী স্কুল ও টিউশনিতে না গিয়ে ঘরবন্দি হয়ে থাকে দুদিন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির মালিকও তাদের তাড়িয়ে দেয় ১১ এপ্রিল। দিশেহারা হয়ে চাঁচল শহরের বুকে ঘোরাফেরা করে দুই বান্ধবী। অবশেষে গতকাল রাতে তারা পুলিশের নাগালে আসে। 

    কী জানালেন পুলিশ সুপার?

    মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, গতকাল ওই দুই নাবালিকাকে (Minor Schoolgirl Missing) উদ্ধার করে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে আজ দুই নাবালিকাকে পাঠানো হয় মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকা সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুঘাট ব্লকের বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াডাঙা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, হেলদোল নেই প্রশাসনের। সমস্যায় বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে।

    কীভাবে ভেঙে পড়েছিল ব্রিজ?

    ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি বহনকারী একটি লরি ওই পাকা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ব্রিজের উত্তর প্রান্তে রয়েছে বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দক্ষিণ দিকে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও ব্রিজটি বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ফলে ওই এলাকার দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা যাতায়াতে চরম সমস্যায় রয়েছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে বাঁশের মাচার উপর বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি ফেলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও পাকা ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, এটাই কি উন্নয়নের নমুনা!  

    কী বলছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ললিতার টিগ্গা বলেন, আমি ওই ব্রিজটির কথা শুনেছিলাম। তবে আজ সবটা ভালো করে জানলাম। দ্রুত ওই ব্রিজটির কাজ করা হবে। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং অতি দ্রুত যাতে ব্রিজটির মেরামতির কাজ শুরু হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

    ‘দ্বিচারিতা’, বলছে দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্ব

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপী সরকার বলেন, কাশিয়াডাঙা ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ওই গোটা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। আমার বিশ্বাস, সেই কারণেই শাসকদল ওই ব্রিজটি সারানোর বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। এখানে অন্য কোনও সম্প্রদায় থাকলে এই ঘটনা ঘটত না। এটা এই সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। মিডিয়াতেই তো দেখলাম আদিবাসী সেলের সভাপতি এসেছেন। উনাকে বলব, ওই ব্রিজটা একবার ঘুরে আসুন। আদিবাসীদের প্রতি তৃণমূল সরকার যে বঞ্চনা করে, কাশিয়াডাঙা ব্রিজ তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: দেউচা কয়লাখনির কাজ বন্ধের দাবিতে রাজভবন অভিযানে আদিবাসীরা

    Tribal Movement: দেউচা কয়লাখনির কাজ বন্ধের দাবিতে রাজভবন অভিযানে আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল, জমি, জঙ্গলের অধিকার ছাড়বো না। অবিলম্বে বীরভূমের দেউচা কয়লাখনির কাজ বন্ধ করতে হবে। মূলত এই দাবি নিয়েই রাজভবন অভিযান (Tribal Movement)। বুধবার রাতে বর্ধমান শহরে মিছিল করলেন আদিবাসী অধিকার মহাসভার সদস্যরা। রাজ্যপাল তাঁদের কথা না শুনলে রাষ্ট্রপতির কাছে, রাষ্ট্রপতি না শুনলে রাষ্ট্রসংঘের কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। বীরভূমের দেউচা, পাচামির মথুরাপারি গ্রাম থেকে কয়েকশো আদিবাসী পুরুষ, মহিলা মিছিলে সামিল হন। সঙ্গে তির, ধনুক, লাঠি, বল্লম, টাঙ্গি। পায়ে হেঁটে সিউড়ি হয়ে বোলপুর। সেখান থেকে বর্ধমান। বুধবার রাতে মিছিল করে কার্জন গেটের সামনে তাঁরা প্রতিবাদ সভা করেন। তাঁদের দাবি, যে জায়গায় তাঁরা কয়েকশো বছর ধরে বসবাস করছেন, যেখানে তাঁদের ধর্মগুরু রয়েছেন, যেখানে তাঁদের পিতৃপুরুষদের সমাধি রয়েছে, যেখানাকার জঙ্গলে তাঁরা ছাড়তে নারাজ। সেই কারণেই রাজভবন চলোর ডাক।

    কী বলছেন নেতৃত্ব?

    সংগঠনের এক নেতা বলেন, গ্রাম থেকে ১০ এপ্রিল, সোমবার আমরা এই পথযাত্রা শুরু করেছি। ১০ তারিখ আমরা সিউড়িতে ছিলাম। এরপর কিছুটা পায়ে হেঁটে, কিছুটা বাসে ১১ তারিখ আমরা আসি বোলপুরে। রাতে বোলপুরে থেকে ১১ তারিখ আমরা চলে আসি বর্ধমানে। ওই কয়লাখনি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বীরভূম জেলার জেলাশাসককে গত এক বছরে একাধিকবার ডেপুটেশন দিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের বক্তব্য, ওই জল-জমি-জঙ্গল আমরা ছাড়বো না। তাই অবিলম্বে কয়লাখনি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে। যেভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, তা বাতিল করতে হবে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে কোনও কাজ না হওয়াতেই আমরা রাজ্যপালের কাছে দরবার (Tribal Movement) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    প্রয়োজনে রাষ্ট্রসংঘে যাওয়ার হুঁশিয়ার 

    সংগঠনেরই আর এক সদস্য জানান, রাজ্য প্রশাসন এইভাবে আদিবাসীদের অধিকার হরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, জমি দিতে না চাইলে ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রশাসনের এই অত্যাচার মেনে নেব না। রাজ্যপাল যদি কিছু করতে না পারেন, আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। সেখানে কোনও কাজ না হলে আমরা রাষ্ট্রসংঘে যাব (Tribal Movement)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • District Weather Update: তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বালুরঘাটে

    District Weather Update: তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহজুড়ে চলা তীব্র দাবদাহে (District Weather Update) অতিষ্ঠ বালুরঘাটের জনজীবন। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা কমারও কোনও সম্ভাবনা নেই, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া অফিসের তরফে। তীব্র গরমের অসহনীয় কষ্ট এখন জেলার মানুষের নিত্যসঙ্গী। পঞ্জিকার হিসেবে চলছে চৈত্রের শেষ সপ্তাহ। এরপর বৈশাখ মাস অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকার ১৪৩০ বর্ষবরণ হবে আর কয়েকদিন পরে। অর্থাৎ গ্রীষ্মকে বিদায় জানাতে এখনও প্রায় ২ মাস বাকি।

    দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি

    গ্রীষ্মের গরম ঠিকই রয়েছে, কিন্তু বৈশাখের ঝড় বা বৃষ্টির দেখা নেই। দিনে মাথার উপর তপ্ত সূর্য আর রাতে ঘরের মধ্যে গরম বাতাসের ভ্যাপসা অনুভূতি। স্বস্তি নেই জেলার কোথাও। প্রত্যাশা শুধু একটু বৃষ্টির। গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় যেখানে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ২৮-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ রাত আর দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য মাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি।

    বিপর্যস্ত সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা 

    আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যবাসীকে এই পরিস্থিতি সহ্য করতে হতে পারে আরও কিছুদিন। বৃষ্টির দেখা মেলার সম্ভাবনাও কম। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত বছরে একই সময়ে গড় যে তাপমাত্রা ছিল, এ বছর তা গড়ে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি। এদিকে, শুধু রাজ্য নয়, সারা দেশে দাবদাহের (District Weather Update) চিত্র একইরকম। কাঠফাটা রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রা। দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির জন্য ভগবানকে কাতর ও করুণভাবে ডাকছেন অনেকে।

    ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে পশুপাখিদের প্রাণও 

    গত কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে (District Weather Update) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষের পাশাপাশি পশু পাখিদের প্রাণও হয়ে উঠেছে ওষ্ঠাগত। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট, মহকুমা গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, হিলি, হরিরামপুর, কুশমন্ডি ও বুনিয়াদপুরে প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরমে একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের কর্মজীবন। চলতি বছর জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় গরম জনিত নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের তরল খাবার এবং ঠান্ডা জায়গায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রখর রোদ ও তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন সকলেই।

    বিপাকে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ 

    তীব্র দাবদাহে (District Weather Update) বিপাকে পড়েছে জেলার পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষ। জরুরি কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই। অনেকেই রাস্তার পাশের শরবত ও আখের রস নামিদামি কোম্পানির ঠান্ডা পানীয় অথবা বরফ খেয়ে মেটাচ্ছেন তৃষ্ণা। তবে আপাতত জেলার সকলেই এই গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো যে অপেক্ষা করছেন, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Royal Bengal Tiger: রয়্যাল বেঙ্গলের জন্য রাজকীয় খাবার, বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হচ্ছে ১৫০ টি চিতল হরিণ

    Royal Bengal Tiger: রয়্যাল বেঙ্গলের জন্য রাজকীয় খাবার, বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হচ্ছে ১৫০ টি চিতল হরিণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেকের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার পারমাদন বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য থেকে আলিপুরদুয়ারের বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হবে ১৫০ টি হরিণ। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বনকে বাঘেদের (Royal Bengal Tiger) খাবারের জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বক্সা সংলগ্ন অসমের রাইমোনা জাতীয় উদ্যানের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মাঝেমধ্যেই বক্সার জঙ্গলে আসছে। অসমের বাঘ পাকাপাকিভাবেই যাতে বক্সায় থেকে যায়, তার জন্য খাবারের পর্যাপ্ত জোগান দরকার। আর তা বাড়াতেই বাঘেদের প্রিয় খাবার হরিণ বক্সার জঙ্গলে এনে ছাড়া হচ্ছে। তবে এটাই প্রথম নয়, কিছুদিন আগেই বীরভূম থেকে প্রায় ২০০ টি হরিণ এনে বক্সার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল।

    কেন বক্সার জঙ্গলে বাঘ থাকছে না ?

    বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন বছরে বক্সার জঙ্গলে বাইরে থেকে এনে প্রায় ৭০০ টি হরিণ ছাড়া হয়েছে। প্রায় ৭৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বক্সার জঙ্গল। কয়েক দশক আগেও বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের (Royal Bengal Tiger) দেখা যেত। পরবর্তীকালে খাবারে টান পড়ায় ও নানা কারণে বক্সার জঙ্গলের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার অসমের রাইমোনার জঙ্গলে চলে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন।

    ট্রাপ ক্যামেরায় কী ধরা পড়েছিল ? 

    গত কয়েক বছর ধরে বাঘেদের উপস্থিতি দেখা না গেলেও ট্রাপ ক্যামেরায় ২০২১ সালে বাঘের (Royal Bengal Tiger) একটি ছবি ধরা পড়েছে। বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ওই ছবিটি রাইমোনা জাতীয় উদ্যান থেকে আসা একটি পরিযায়ী বাঘের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাইমোনা জাতীয় উদ্যানের পরিবেশের সঙ্গে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের প্রাকৃতিক পরিবেশের অনেকটাই মিল রয়েছে। তাই আগামী দিনে বক্সায় রয়্যাল অতিথিদের পাকাপাকিভাবে থাকার ব্যবস্থা করতে তাদের পছন্দের খাবার চিতল হরিণ এনে জঙ্গলে ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality:  উন্নয়নের নমুনা ! বালুরঘাটে স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ তৃণমূল বোর্ড

    Municipality: উন্নয়নের নমুনা ! বালুরঘাটে স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ তৃণমূল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নতুন বোর্ডের এক বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবু এখনও শহরের মানুষ পায়নি স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা। এমনটাই দাবি বালুরঘাট পুরসভার (Municipality) বাসিন্দাদের। গাড়ি, বাইক ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই হচ্ছে বিপত্তি। রাস্তার ধারেই বাইক, গাড়ি রেখে বাজার করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। ফলে যানজটও বাড়ছে। আবার রাস্তার ধারে বাইক, গাড়ি রাখার ফলে পুলিশ জরিমানা করছে। এতে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘের মতো অবস্থা সেখানকার বাসিন্দাদের। পুরসভার তরফ থেকে শহরের দু জায়গায় পার্কিং তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও অবধি তা গড়ে ওঠেনি। 

    শহরের বাসিন্দারা কী বলেছেন পার্কিংয়ের এই দুর্দশা নিয়ে ?
     
    এই শহরেরই (Municipality) এক বাসিন্দা সুবীর কুন্ডু জানান, বাজার এলাকাগুলিতে সাধারণত প্রচণ্ড ভিড় হয়। তাই যারা বাইক এবং গাড়ি নিয়ে আসে, পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য যেখানে সেখানে তাদের গাড়ি রেখে যেতে হয়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সকলকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার পুলিশের জরিমানা তো আছেই। সেখান থেকেও বাঁচার উপায় নেই ।

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য এ ব্যাপারে কী জানিয়েছেন ?

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, “তৃণমূল এতদিন মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেনি। এক বছর তারা কী কাজ করল, কে জানে? জায়গা থাকলেও পুরসভা পার্কিং জোন তৈরি করতে পারছে না।” গত বছরের ২৩ শে মার্চ পুরসভায় (Municipality) যখন নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসে, তখনই সিদ্ধান্ত হয় যে পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এই প্রতিশ্রুতি পূরণের অপেক্ষাতেই মানুষ এতদিন বসে ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।

    কী বলছেন পুরসভার চেয়ারম্যান ?

    পুরসভার (Municipality) চেয়ারম্যান অশোক মিত্রকে এ ব্যাপারে জানানো হলে তিনি বলেন, “শহরে দুটি জায়গায় স্থায়ীভাবে পার্কিং জোন তৈরি করা শুরু হয়েছে। একটি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে এবং আরেকটি আন্দোলন সেতুর কাছে। দ্রুত ওই কাজ শেষ করা হবে। কাজ হয়ে গেলে শহরের যানজট ও পার্কিংয়ের সমস্যা মিটে যাবে।” বালুরঘাট ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে পার্কিং গড়ে তোলা নিয়ে কথা হলে সেখানে জমিজটের সমস্যায় পড়ে পুরসভা। এখানে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিবর্ত পার্কিং জোনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে আন্দোলন সেতুর কাছে কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে পার্কিং জোন তৈরি করা হবে। আপাতত এমনটাই জানিয়েছে পুরসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gang Rape: বাংলায় ফের নৃশংস ঘটনা! ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে

    Gang Rape: বাংলায় ফের নৃশংস ঘটনা! ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে গণধর্ষণ একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ফের নৃশংস ঘটনা। হাট থেকে ফেরার পথে আমবাগানে গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার হল এক নাবালিকা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পোলবা থানা এলাকায়। নিগৃহীতা একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তাকে ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে রাস্তা থেকে তুলে আমবাগানে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। তারা তার ওপর শারীরিক অত্যাচার চালায় রাতভর। জ্ঞান ফিরলে তাদের অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে নিজের সাইকেলে চেপে সে বাড়ি ফিরে আসে। 

    অভিভাবকরা কী বলছেন ?

    ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউশন পড়ার জন্য মেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু রাত অবধি বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক টিউটরের কাছে খোঁজ নেন। কিন্তু টিউটর তাঁদের জানান, এদিন বিশেষ কারণবশত তিনি পড়াতে পারবেন না, সেটা আগেই ছাত্রছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ করে জানানো হয়েছিল। তাই এদিন তাঁর এখানে কেউই আসেনি। এরপর ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন স্থানীয় পোলবা থানায় গভীর রাতে এসে অভিযোগ করেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল ?

    চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে এদিন ভোরে। ভোর ৫ টার সময় ওই নাবালিকা অবিন্যস্ত অবস্থায় নিজের সাইকেল নিয়েই বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ির লোকের কাছে পুরো ঘটনাটি জানায় সে। তার কথায়, সে পড়তে না গিয়ে কয়েকজন বন্ধুর সাথে হাটে গিয়েছিল। সেখান থেকে সে বন্ধুদের বাড়িতে ছেড়ে সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় বিজন নামে স্থানীয় পরিচিত এক যুবক তার কাছে এসে জানায়, তাকে তার ভালো লাগে এবং আজকেই সে তাকে বিয়ে করবে। ঘৃণাভরে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতেই তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ স্কুটি নিয়ে হাজির হয় এবং তাকে পিছমোড়া করে ধরে কেউ নাকে স্প্রে ছিটিয়ে দেয়। এরপর তার চেতনা ফেরে মাঝরাতে। সারা শরীরে তখন অসহ্য ব্যথা। নিম্নাঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বুঝতে পারে, তার অগোচরে তার সঙ্গে সাংঘাতিক কিছু ঘটে গেছে। তার সর্বনাশ (Gang Rape) ঘটিয়ে দিয়েছে ওই বদমাশরা। তখনও বিজন তাকে হাত ধরে প্রেম নিবেদন করছে। এরমধ্যেই বিজন একটু এদিক ওদিক হতেই ওই নাবালিকা তার সাইকেলটি দেখতে পায়। এরপর ওই সাইকেল নিয়েই ভোরে নিজের বাড়ি ফেরে কোনওরকমে। 

    পুলিশ কী ব্যবস্থা নিল ?

    পুলিশ ওই ঘটনায় (Gang Rape) মূল অভিযুক্ত সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে কেস হয়েছে। পাশাপাশি ওই নাবালিকার মেডিক্যাল চেক-আপ করতে পাঠানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    Recruitment Scam: চাকরির নামে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এবার গ্রেফতার কাঁথির এক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারির  (Recruitment Scam) জট যেরকম জটিল হয়ে উঠছে, তার যেন খেই পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে পুলিশ এবার গ্রেফতার করল কাঁথির এক শিক্ষককে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে কাঁথি শহরে অবস্থিত তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান।

    জড়াচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা

    এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। তিনি যতই তৃণমূল করার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন, চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Startup Business:  রিকশ চালক ও সবজি বিক্রেতা থেকে কোটিপতি!

    Startup Business: রিকশ চালক ও সবজি বিক্রেতা থেকে কোটিপতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নাম দিলখুশ। তাঁর উত্থানের চমকপ্রদ কাহিনীও যেন সত্যিই দিল খুশ করার মতোই। বিহারের সাহারসা জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা এই যুবক এক সময় রিকশ চালাতেন, পথে পথে সবজি বিক্রি করতেন। চাকরির চেষ্টা করেননি যে, তা নয়। কিন্তু পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে। তাই চরম বিতৃষ্ণা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, নিজে কিছু একটা করবেন। ব্যস, শুরু হয়ে গেল আত্মনির্ভরতার (Startup Business) পথ চলা। 

    রিকশচালক কোটিপতি হলেন কীভাবে ?

    দিলখুশ খুলে ফেললেন একটি স্টার্ট-আপ কোম্পানি (Startup Business)। ওলা/উবের যেভাবে ব্যবসা করে, কতকটা সেরকমই, কিন্তু একেবারে এক নয়। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ কাজে-কর্মে বাইরে যেতে চাইলে গাড়ি পান না। দিলখুশ এটাকেই হাতিয়ার করলেন। শুরুটা করলেন একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি দিয়ে। পরে চালু করে দিলেন একটি ডেটানির্ভর কোম্পানি, যা গাড়ির মালিকের সঙ্গে যিনি গাড়ি চাইছেন, তাঁকে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে যেতে চাইলে এটি খুবই কার্যকর হয়ে উঠল। ব্যবসাও ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। দিলখুশ এবার প্রযুক্তিগত কাজে উন্নয়নের জন্য তাঁর কোম্পানিতে নিতে শুরু করলেন আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং ম্যানেজমেন্ট গ্র্যাজুয়েটদের। মাত্র ছয়-সাত মাসের মধ্যে কোম্পানির টার্নওভার দাঁড়ালো ৪ কোটি টাকা। এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন পাটনা থেকে প্রতিটি গ্রামে যোগাযোগের মাধ্যম তিনি গড়ে তুলেছেন। এরপর তার লক্ষ্য হল পাটনার বাইরে শহর থেকে অন্য শহরে যোগাযোগ গড়ে তোলা। এরওপরে তিনি পা রাখতে চান বিহারের বাইরে।

    জীবনে ধাক্কা কম খেতে হয়নি, শুনুন সেই কাহিনী

    দিলখুশের কথায়, তিনি দিল্লির রাস্তায় রিকশ চালাতেন, সবজি বেচতেন পাটনার ফুটপাতে। কিন্তু এইভাবে জীবনকে টেনে নিয়ে যেতে কারই বা ভালো লাগে। তাই শুরু করলেন চাকরির চেষ্টা। গার্ডের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেলেন। ১২ ক্লাস পাশ, একই সঙ্গে চেহারায় নেই কোনও চাকচিক্য। তাই চাকরিটা হল না। তাকে আইফোন দেখিয়ে বলা হয়েছিল, এর লোগোটা কী বলতে। কিন্তু তিনি তো আইফোন চোখেই দেখেননি। তাই তাঁকে ব্যর্থ মনোরথ হয়েই ফিরে আসতে হয়েছিল। বাবা ছিলেন বাসের চালক। তার কাছ থেকে তাই গাড়ি চালানোটা শিখতে সমস্যা হয়নি। আর তার জেরেই সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি দিয়ে শুরু হল তাঁর জীবনের জয়যাত্রা (Startup Business)। 

    এ যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share