Tag: Bengali news

Bengali news

  • Indonesian President: নয়াদিল্লির আপত্তিতে সাড়া, ভারত থেকে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    Indonesian President: নয়াদিল্লির আপত্তিতে সাড়া, ভারত থেকে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) তিনিই প্রধান অতিথি। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Indonesian President) প্রাবয়ো সুবিয়ান্টো ঠিক করেছিলেন ভারতের অনুষ্ঠান শেষে তিনি এখান থেকেই যাবেন পাকিস্তান সফরে। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে আপত্তির কথা জাকার্তাকে (ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী) জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। তার পরেই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ভারত সফরের সঙ্গে তিনি জুড়বেন না পাকিস্তান সফর।

    প্রধান অতিথি সুবিয়ান্টো (Indonesian President)

    ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য সুবিয়ান্টোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। তবে তাঁর সফর নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলি তাঁর সফরের খবর প্রচার করতে শুরু করে দেয়। খবরে প্রকাশ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারতের অনুষ্ঠান শেষে একই দিনে তিনদিনের সফরে ইসলামাবাদে যাবেন।

    ভারত-পাক এক বন্ধনীভুক্ত নয়

    ভারত ও পাকিস্তানকে যে এক বন্ধনীভুক্ত করা যায় না বিশ্বনেতাদের তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। তাঁরা বিদেশি নেতাদের পইপই করে অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন ভারত সফরের সঙ্গেই পাকিস্তান সফর সেরে না ফেলেন। ভারতের সাফ কথা, এতে তাদের দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত যে আলাদা অবস্থান চায়, তা ক্ষুণ্ণ হয়। এই কথাটাই জাকার্তাকেও বোঝানোর চেষ্টা করে নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, তার পরেই সে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ভারত সফরের সঙ্গে তিনি পাকিস্তান সফর করবেন না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Indonesian President) ভারত থেকে পাকিস্তানে যাবেন না। ২৬ জানুয়ারি রাতে তিনি ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন। তবে এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও হয়নি। সুবিয়ান্টোর সফরসূচি সম্পর্কে এখনও জাকার্তা কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি।

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    যেহেতু সুবিয়ান্টোর সফর সূচি নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি জাকার্তা, তাই এটা স্পষ্ট নয় যে তিনি ভারত থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে ফের উল্টো দিকে উড়ে এসে ইসালামাবাদে যাবেন কিনা। প্রসঙ্গত, সুবিয়ান্টোর পাকিস্তান সফরের প্রস্তাবটি গত মাসে একটি (Republic Day) বহুপাক্ষিক ইভেন্টের পার্শ্ববৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে সুবিয়ান্টোর (Indonesian President) বৈঠকের ফসল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Incident: স্যালাইনকাণ্ডে এবার মৃত্যু হল শিশুর, রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    Saline Incident: স্যালাইনকাণ্ডে এবার মৃত্যু হল শিশুর, রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইনকাণ্ডে অসুস্থ প্রসূতি রেখা সাই এখন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি আছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হল তাঁর শিশুসন্তানের। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি থাকা ওই শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Incident) মেদিনীপুর মেডিক্যালেই মৃত্যু হয়েছিল মামনি রুইদাস নামের এক প্রসূতির। অসুস্থ আরও তিন প্রসূতিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন? (Saline Incident)

    রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৮ জানুয়ারি জন্ম নেওয়ার পর থেকেই রেখার শিশুসন্তানকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। জন্মের পরে নিজেদের সন্তানের মুখও দেখতে পাননি বাবা সন্তোষ সাউ এবং মা রেখা। ঠাকুমা পুষ্পা সাউ জানান, তিনি একবার দেখেছিলেন শিশুটিকে। এখন সেই শিশুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত (Saline Incident) হবে বলে জানা গিয়েছে। তারপরে শিশুর দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি মা হয়েছিলেন রেখা সাউ, মামনি রুইদাস, মাম্পি, মিনারা ও নাসরিন। তারপরে তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, প্রসূতিদের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন এবং ‘অক্সিটোসিন’ নামে এক ধরনের ওষুধ দেওয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই আবহে মৃত্যু হয় মামনির। পরে মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    স্যালাইনকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Incident) রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    বৃহস্পতিবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। স্যালাইন-কাণ্ডে (Saline Incident) সোমবার জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। তার মধ্যে একটি জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। দ্বিতীয়টির জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এডুলজি সোমবার হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যের এক সংস্থার খারাপ মানের স্যালাইন ব্যবহার করে কর্নাটকে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তখন রাজ্যের ওই সংস্থাকে কালো তালিকায় পাঠিয়ে দেয় কর্নাটক সরকার। ওই সংস্থার থেকে বরাত নেওয়াও বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি এ রাজ্যেও খারাপ স্যালাইন ব্যবহারের পর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আর্জি জানান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 252: “কি আশ্চর্য, দর্শন করিতে করিতে একেবারে সমাধিস্থ, প্রস্তরমূর্তির ন্যায় নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান, নয়ন পলকশূন্য!”

    Ramakrishna 252: “কি আশ্চর্য, দর্শন করিতে করিতে একেবারে সমাধিস্থ, প্রস্তরমূর্তির ন্যায় নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান, নয়ন পলকশূন্য!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২১শে জুলাই

    যদু মল্লিকের বাড়ি—সিংহবাহিনী সম্মুখে—‘সমাধিমন্দিরে’

    অধরের বাটিতে অধর ঠাকুরকে ফলমূল মিষ্টান্নাদি দিয়া সেবা করিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন, আজ যদু মল্লিকের বাড়ি যাইতে হইবে।

    ঠাকুর যদু মল্লিকের বাটী আসিয়াছেন। আজ আষাঢ় কৃষ্ণ প্রতিপদ, রাত্রি জ্যোৎস্নাময়ী। যে-ঘরে ৺সিংহবাহিনীর নিত্যসেবা হইতেছে ঠাকুর সেই ঘরে ভক্তসঙ্গে উপস্থিত হইলেন। মা সচন্দন পুষ্প ও পুষ্প-মালা দ্বারা অর্চিত হইয়া অপূর্ব শ্রী ধারণ করিয়াছেন। সম্মুখে পুরোহিত উপবিষ্ট। প্রতিমার সম্মুখে ঘরে আলো জ্বলিতেছে। সাঙ্গোপাঙ্গের মধ্যে একজনকে ঠাকুর টাকা দিয়া প্রণাম করিতে বলিলেন; কেননা ঠাকুরের কাছে আসিলে কিছু প্রণামী (Kathamrita) দিতে হয়।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সিংহবাহিনীর সম্মুখে হাতজোড় করিয়া দাঁড়াইয়া আছেন। পশ্চাতে ভক্তগণ হাতজোড় করিয়া দাঁড়াইয়া আছেন।

    ঠাকুর অনেকক্ষণ ধরিয়া দর্শন করিতেছেন।

    কি আশ্চর্য, দর্শন করিতে করিতে একেবারে সমাধিস্থ। প্রস্তরমূর্তির ন্যায় নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান। নয়ন পলকশূন্য!

    অনেকক্ষণ পরে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিলেন। সমাধি ভঙ্গ হইল। যেন নেশায় মাতোয়ারা হইয়া বলিতেছেন(Kathamrita), মা, আসি গো!

    কিন্তু চলিতে পারিতেছেন না—সেই একভাবে দাঁড়াইয়া আছেন।

    তখন রামলালকে (Ramakrishna) বলিতেছেন—“তুমি ওইটি গাও — তবে আমি ভাল হব।”

    রামলাল গাহিতেছেন, ভুবন ভুলাইলি মা হরমোহিনী।

    গান সমাপ্ত হইল।

    এইবার ঠাকুর বৈঠকখানার দিকে আসিতেছেন—ভক্তসঙ্গে। আসিবার সময় মাঝে একবার বলিতেছেন, মা, আমার হৃদয়ে থাক মা।

    শ্রীযুক্ত যদু মল্লিক স্বজনসঙ্গে বৈঠকখানায় বসিয়া। ঠাকুর ভাবেই আছেন, আসিয়া গাহিতেছেন:

    গো আনন্দময়ী হয়ে আমায় নিরানন্দ (Kathamrita) করো না।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hindenburg Research: সরোসের সঙ্গে যোগসাজস! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা, জন্ম একঝাঁক প্রশ্নের

    Hindenburg Research: সরোসের সঙ্গে যোগসাজস! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা, জন্ম একঝাঁক প্রশ্নের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) সংস্থা। ‘স্বল্পায়ু’ এই সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বড়সড় বিপদে পড়েছিল বিভিন্ন সংস্থা। বিপদে পড়েছিল ভারতের আদানি গোষ্ঠীও। শেয়ার বাজারে পতনের পাশাপাশি আইনি ঝামেলায়ও জড়িয়ে পড়ে গৌতম আদানির সংস্থা। পরবর্তীকালে সেবি প্রধান ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও বড় অভিযোগ এনেছিল এই সংস্থা। এহেন আলোড়ন ফেলা একটি সংস্থার ঝাঁপই (Shut Down) বন্ধ হতে চলেছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা ন্যাথান অ্যান্ডারসন জানান, এই সংস্থা তাঁর জীবনের একটি অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।  

    ন্যাথান অ্যান্ডারসনের নোট (Hindenburg Research)

    বুধবার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ব্যক্তিগত নোটে ন্যাথান অ্যান্ডারসন বলেন, “কাজের অত্যন্ত তীব্র এবং কখনও কখনও সর্বগ্রাসী প্রকৃতিই আমার এই সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ।” প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। অ্যান্ডারসন লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত তীব্র, এবং কখনও কখনও সর্বগ্রাসী ছিল। প্রায়ই ঘুমের মধ্যে আমি নতুন কোনও তদন্তের ধারা নিয়ে ভাবতে ভাবতে জেগে উঠি, অথবা কোনও সম্পাদনার বিষয়ে যা দিনে আমার অজান্তে আমাকে অস্থির করেছিল। অথবা সব কিছুর সাধারণ চাপের কারণে। আমরা ভীতিহীন নই—আমরা কেবল সত্যের প্রতি বিশ্বাস রাখি এবং আশা করি এটি আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “অদ্ভুত, হাস্যকর এবং উদ্ভট ঘটনাগুলোর দিনও ছিল।” হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার কারণ প্রসঙ্গে অ্যান্ডারসন বলেন, “এর পেছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ নেই— কোনও বিশেষ হুমকি, স্বাস্থ্য সমস্যা, বা বড় কোনও ব্যক্তিগত সমস্যাও নেই।”

    রাজনৈতিক চাপানউতোর

    আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির প্রধানের যোগসূত্রের উল্লেখ করে রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর যখন তুঙ্গে, তখন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গকে পাল্টা আক্রমণ করে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা। গত অগাস্টে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে, জনসমক্ষে প্রকাশিত তথ্যের কিছু মিথ্যা, ক্ষতিকর এবং বিদ্বেষমূলক অংশ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। হিন্ডেনবার্গকে আক্রমণ শানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আমেরিকার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে একাধিকবার ভারতে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।

    অভিযোগ ভিত্তিহীন!

    গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদানি গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছিল, সবিস্তার তদন্তের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল যে অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও মামলা খারিজ করে দেয় (Shut Down)। হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg Research) মার্কিন সংস্থা। সেই সময় তারা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিল, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির প্রধানের। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। যে বছর হিন্ডেনবার্গের জন্ম হয়, সেই বছরই সেবিতে যোগ দেন মাধবী। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে এও দাবি করা হয়, সেই সময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন তাঁর স্বামী। রিপোর্টটিকে চরিত্রহননের চেষ্টা বলে উড়িয়ে দেন বুচ দম্পতি। তবে তাতে বিতর্ক থামেনি। 

    ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা!

    আদানি ও সেবির বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছিল ইন্ডি-জোটের অংশীদাররা। তখনই, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে জর্জ সরোসের যোগ নিয়ে একটা ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই ইঙ্গিত জোরালো হয়ে ওঠে, যখন সরাসরি জর্জ সরোস দাবি করে বসেন যে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে জবাবদিহি করতে হবে। তখন থেকেই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের আসল উদ্দেশ্য সামনে আসতে থাকে। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, বিদেশ থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ‘অপচেষ্টা’ চলছে।

    অ্যান্ডারসন-পিস-সরোস যোগসাজস ফাঁস!

    এর মধ্যেই ফাঁস হয়ে যায় ন্যাথান অ্যান্ডারসনের সরাসরি যোগাযোগের বিষয়টি। কী ছিল সেই যোগসূত্র? হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে হাতিয়ার করে মার্কিন আদালতে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং সাতজন অন্যান্য এক্সিকিউটিভ আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ঘুষের অভিযোগ এনেছিলেন নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের মার্কিন অ্যাটর্নি ব্রিয়ন পিস। জানা যায়, এই ব্রিয়নের স্ত্রী যে সংস্থার অন্যতম শীর্ষ ডিরেক্টর, সেই (এনজিও) সংস্থাটির মালিক হলেন ব্রায়ান স্টিভেনসন, যিনি কিনা আবার সরোসের মালিকানধীন ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও বটে। ফলে, সরোসের সঙ্গে পিস দম্পতির যোগসাজস পরিষ্কার হয়ে যায়। কাকতালীয়ভাবে, এর পরেই ব্রিয়ন পিস তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। 

    ঝাঁপ ফেলার সময়কাল

    উল্লেখ্য যে, নাথান অ্যান্ডারসনের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধ করার ঘোষণাটি এমন একটি সময়ে এল যখন দিন কয়েকের মধ্যে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই সংস্থা। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বন্ধের সময় জন্ম দিয়েছে বহু প্রশ্নের। এই সিদ্ধান্তটি এমন একটি সময়ে এল যখন হাউস জুডিশিয়ারি কমিটির সদস্য রিপ্রেজেন্টেটিভ ল্যান্স গুডেন ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ডকে চিঠি লিখে আদানি গ্রুপের তদন্ত সম্পর্কিত ন্যায়বিচার বিভাগের সমস্ত নথি ও রেকর্ড প্রকাশ করার দাবি জানান (Hindenburg Research)।

    কী বললেন গুডেন

    এর আগে রিপাবলিকান নেতা আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা বিতর্কিত অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ৭ জানুয়ারি গারল্যান্ডকে লেখা এক চিঠিতে ল্যান্স গুডেন বলেছিলেন, “অভিযোগে যেসব ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি সবই ভারতে ঘটেছে। এখানে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিক ও কর্তারা জড়িত, কোনও মার্কিন স্বার্থের ক্ষতি হয়নি (Shut Down)।” তিনি আরও বলেন, “যদি অভিযোগ প্রমাণিতও হয়, তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা চূড়ান্ত বিচারক হতে পারে না। কারণ এতে কোনও মার্কিন পক্ষের জড়িত থাকার প্রমাণ নেই (Hindenburg Research)।”

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    গুডেনের দাবি

    গুডেন অবশ্য দাবি করেন, “আদানি মামলার অভিযোগ, যদি প্রমাণিতও হয়, তবুও আমেরিকাকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত এবং যথোপযুক্ত বিচারক করে তোলে না। এই ‘ঘুষ’গুলো অভিযোগ অনুযায়ী ভারতের রাজ্য সরকারের কর্তাদের কাছে, ভারতে, একটি ভারতীয় কোম্পানির ভারতীয় কর্তারা দিয়েছেন, যেখানে কোনও মার্কিন পক্ষের সরাসরি জড়িত থাকার বা ক্ষতির প্রমাণ নেই। অন্যদিকে, স্মার্টম্যাটিক একটি আমেরিকান কোম্পানি, যা আমাদের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিল, তার কর্তারা অর্থপাচার এবং বিদেশি সরকারকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল ন্যায়বিচার বিভাগের অভিযোগ অনুযায়ী। তবে, আমার সহকর্মী এবং আমি বহুবার চেষ্টা করেও নির্বাচনের আগে এই বিষয়ে আপনার বিভাগ থেকে কোনও ব্রিফিং পাইনি।”

    রিপাবলিকান ওই নেতা বলেন, “যদি এই মামলাটির (Hindenburg Research) সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ থাকে, তবে বিচার বিভাগ কেন এখনও একজন আমেরিকানকেও অভিযুক্ত করেনি? এই চক্রান্তের যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে কি কোনও আমেরিকান জড়িত ছিল না? গৌতম আদানির বিরুদ্ধে কেন বিচার বিভাগ এই মামলা পরিচালনা করছে, যখন অভিযোগের ঘটনাটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত (Shut Down)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh Mela 2025: মহাকুম্ভ মেলায় ‘শাহী স্নান’-এর নাম বদলে কেন ‘অমৃত স্নান’ করা হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহাপুণ্যস্নানের আয়োজন করা হয়েছে প্রয়াগরাজের পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025)। এই মেলা এবার ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় স্নান করলে মহাপুণ্য এবং মোক্ষলাভ হয়। পুরাণে বর্ণিত হয়েছে যে, সমুদ্র মন্থনের ফলে যে অমৃত কুম্ভ উঠেছিল, সেই কুম্ভ থেকে অমৃতের ফোঁটা এই গঙ্গা, যমুনা ও (পৌরাণিক) সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে পড়েছিল। তাই ত্রিবেণীর গঙ্গায় স্নান করলে মানব জীবনের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। এবার এই স্নানকে ‘শাহী স্নান’ বলা হতো, এবার থেকে এই শাহী স্নানের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan)। আসুন যেনে নিই কেন এমন নামকরণ এবং সেই নামের যথার্থ তাৎপর্যই বা কী?

    কোন কোন দিনে অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025)

    সাধারণত প্রতিবছর প্রয়াগরাজ, নাসিক, হরিদ্বার এবং উজ্জ্বয়িনীতে এই কুম্ভমেলা হয়ে থাকে। তবে মেলার বিশেষ বিশেষ যোগ বসে ৪ বছর, ৬ বছর, ১২ বছর এবং ১৪৪ বছর অন্তরে। একেই কুম্ভ, অর্ধকুম্ভ, পূর্ণকুম্ভ এবং মহাকুম্ভ (Mahakumbh Mela 2025) নামে পরিচিত। এইবার গঙ্গার ত্রিবেণী সঙ্গমে পূর্ণমহাকুম্ভের আয়োজন হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রের গণনা পদ্ধতিতে সন্তসমাজ এবং আখাড়া পরিষদ মিলে দিনক্ষণ ঠিক করে থাকেন। এই বছর পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা এবং শেষ হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রিতে। প্রথম অমৃত স্নান পৌষ পূর্ণিমা ১৩ জানুয়ারি, দ্বিতীয় অমৃত স্নান (Amrit Snan) মকর সংক্রান্তি ১৪ জানুয়ারি, তৃতীয় অমৃত স্নান মৌনী অমাবস্যায় ২৯ জানুয়ারি, চতুর্থ অমৃত স্নান বসন্তপঞ্চমী ২ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম অমৃত স্নান মাঘী পূর্ণিমা ১২ জানুয়ারি এবং ষষ্ঠ অমৃত স্নান মহাশিবরাত্রি ২৬ ফেব্রুয়ারি। অমৃতস্নান বিশেষ তিথিতেই সম্পন্ন হয়। এই সময়ে সূর্য ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে যাত্রা করবে। জানা গিয়েছে, প্রায়গরাজের মেলায় প্রথম তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভক্ত পুণ্যস্নান করেছেন।

    শাহী স্নান কেন অমৃত স্নান?

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় পরম্পরা এবং প্রাচীন পৌরাণিককাল থেকে মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025) পুণ্যস্নান হয়ে আসছে। তাই এই ইতিহাসবোধ এবং সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে উত্তরপ্রদেশ সরকার ‘শাহী স্নান’-কে ‘অমৃত স্নান’ (Amrit Snan) বলে নতুন নামাঙ্কিত করেছে। এই ভাবনার পিছনে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য এই ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের শুদ্ধতা এবং পবিত্রতাকে পুনরায় উজ্জীবিত করার ভাবনাকে প্রস্ফুটিত করা হয়েছে। মেলার স্নান যেহেতু পাপ থেকে পুণ্যের পথে যাত্রা, তাই মেলার গৌরবকে আরও সমৃদ্ধ করতে ‘অমৃত’ নামকরণ করা হয়েছে। এই অমৃত স্নানেই রয়েছে মহামোক্ষ বা পরিত্রাণ তথা মুক্তি।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে দুই উপগ্রহকে জুড়ল ভারত, ইসরোকে অভিনন্দন মোদির

    শাহী শব্দ মুঘল মুসলিম সংস্কৃতি বাহক

    মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) ‘শাহী স্নান’ শব্দের অর্থ হল রাজকীয় স্নান। এই শব্দের ব্যবহার উনিশ শতকের গোড়ায় প্রথম ব্যবহার হয়েছিল। বিশেষ করে পেশোয়ার সাম্রাজ্যের সময় আরবি বা উর্দু শব্দকে বেশি করে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের গবেষক ও পণ্ডিতরা মনে করেন এই শব্দের মধ্যে মুঘল ও মুসলমানদের একটা প্রভাব আছে। শব্দে ভারতীয় সংস্কৃতিকে বহন করে না। ‘শাহী’ উর্দু শব্দ যার অর্থ ‘রাজকীয়’ বা ‘মহিমাময়’। এতদিন মেলায় স্নানের গুরুত্বকে বোঝাতে ব্যবহার হতো এই শব্দ। এবার এই নামকে পরিবর্তন করে ‘অমৃত’ করা হয়েছে। ‘অমৃত’  (Amrit Snan) মানেই যা মৃত নয়, অজয়, অমর, মহামোক্ষ। ‘অমৃত’ শব্দের মধ্যে আধ্যাত্মিক, ঐশ্বরিক এবং মহাজাগতিক ব্যাপ্তচরাচর ঐতিহ্য গত জ্ঞানপরম্পরার ভাবনা রয়েছে।

    সন্ত সমাজের মত

    জুনা আখড়ার পীঠধীশ্বর আচার্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরি মহারাজ, অমৃতস্নানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে প্রবেশ করলে অমৃতস্নান ঘটে এবং সূর্য ও চাঁদ মকর রাশিতে প্রবেশ করে। এই বিরল মহাজাগতিক গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানে ‘অমৃত যোগ’ নামে পরিচিত। প্রতি ১২ বছরে একবার এমন মাহেন্দ্রক্ষণ ঘটে। তাই অমৃত স্নান (Mahakumbh Mela 2025) গুরুত্বপূর্ণ।”

    আবার অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের (এবিএপি) সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী বলেছেন “কুম্ভ মেলার সঙ্গে যুক্ত ‘শাহী স্নান’ এবং ‘পেশওয়াই’-এর মতো সাধারণ শব্দগুলি এখন ‘অমৃত স্নান’ এবং ‘ছাবনি প্রবেশ-এ পরিবর্তন করা হয়েছে।’’ হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত পুরী বলেন, “আমাদের ঈশ্বর এবং সংস্কৃতি সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যুক্ত নামগুলিকে (Amrit Snan) বেশি করে ব্যবহার করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডাকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে হস্তক্ষেপ দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাড্ডাকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুরে স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Controversy) তোলপাড় গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই আবহের মধ্যে এবার স্যালাইনকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ (BJP MP) জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Saline Controversy)

    মূলত, সন্তান প্রসবের পরই, মৃত্যুর কোলে (Saline Controversy) ঢলে পড়েছেন এক প্রসূতি। তিনজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে। তার মধ্যে দু’জন ভেন্টিলেশনে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারের ফলেই এই পরিণতি বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে আবার রোগীর পরিবারের থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এতগুলো মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল কারা? কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী? এই প্রশ্ন যখন উঠছে, গাফিলতির কথা মেনে নিয়েছেন মুখ্যসচিবও। তাঁর মুখে শোনা গেছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ। বুধবার মুখ্যসচিব বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, গুরুতর গাফিলতি রয়েছে ইউনিটের, যাঁরা তখন ডিউটিতে ছিলেন। তা সত্ত্বেও, আমরা আরও বিশদ তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে যেটা হয়, সবসময় একজন সিনিয়র ডাক্তারের উপস্থিতিতেই এটা করা হয়। কিন্তু, ওখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ট্রেনি চিকিৎসক, ওরাই এটা সামলেছেন। সেজন্য আমরা মনে করি, এটা গাইডলাইন অনুযায়ী হয়নি।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    চিঠিতে কী দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে (Saline Controversy) চিঠি দিয়ে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত জানিয়েছেন, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে বেহাল বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গাফিলতির ছবি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তদন্ত কমিটি গঠন ও স্যালাইনের স্টক সরানোর ছাড়া রাজ্য কোনও উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি। সরকারি হাসপাতালের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। প্রকৃত তদন্ত না করে আরজি করকাণ্ডে আন্দোলনে সামিল হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের দায়ী করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই সব জুনিয়র ডাক্তাররা। জাল ওষুধ চক্রের হাব হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। বেআইনি ওষুধ চক্রের রমরমা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।”

    সরব শুভেন্দুও

    বুধবার শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘‘মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মনে হচ্ছে, আপনি এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম চাইছেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Saline Controversy) ঘটনার পুরো দায় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিষয়ক বিভাগের দিকে ঠেলে দিতে। আপনাদের পরিকল্পনা হল, জুনিয়র এবং ট্রেনি চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তোলা। সাংবাদিক বৈঠকে ‘গাফিলতি’ শব্দটা একাধিকবার বলা, তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নান করবেন ১০ কোটি পুণ্যার্থী, প্রস্তুতি সারার নির্দেশ যোগীর

    Mahakumbh Mela 2025: মৌনী অমাবস্যায় অমৃত স্নান করবেন ১০ কোটি পুণ্যার্থী, প্রস্তুতি সারার নির্দেশ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh Mela 2025) মৌনী অমাব্যসায় ১০ কোটি ভক্তদের মহাপুণ্যস্নানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি সারতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মেলার আনুষ্ঠানিক স্নান শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা থেকে। তাই চলমান উৎসবকে পর্যালোচনা করে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী পুণ্যস্নানের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। আগামী ২৯ জানুয়ারি হল এই মৌনী অমাবস্যার (Mouni Amavasya) স্নান। প্রস্তুতি এখন থেকেই চরমে।

    এই স্নানে সকল পাপ মুক্ত হয়ে যায় (Mahakumbh Mela 2025)

    বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী গত তিন দিনের মহাকুম্ভ মেলার (Mahakumbh Mela 2025) বিশেষ পর্যালোচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন অমৃত স্নান করতে আনুমানিক ৮ থেকে ১০ কোটি ভক্তের সমাগম হবে। এই মৌনী অমাবস্যায় স্নান করলে ভক্তের সকল মনোবাসনা পূর্ণ হয় এবং এই স্নানের ফলে অমৃতলোকে যাত্রার পথ সুগম হয় বলে মনে করা হয়। এই তিথিতে গোটা ৪৬ দিনের মহাকুম্ভ মেলায় সব থেকে বেশি পুণ্যার্থীদের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এত বিরাট ভিড় এবং স্নানযাত্রাকে সুরক্ষিত করতে প্রশাসন আপদকালীন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। এই মৌনী অমাবস্যার স্নান একটি পুণ্যস্নান। এদিন নাগা সাধুরা একটি শোভাযাত্রার মাধ্যমে স্নান করে থাকেন। এই স্নানে সকল পাপ মুক্ত হয়ে যায়।

    ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত এবং জল সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৌনী অমাবস্যার (Mouni Amavasya) স্নানকে আরও সংহত, সুশৃঙ্খল, সুগম এবং সহজ করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর জন্য পরিষেবা এবং ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে সবরকম সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, মেলা প্রাঙ্গণে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং জল সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়। নদীর ঘাটগুলিতে যেন সবরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। ব্যারিকেডিংগুলিকে যেন নিশ্চিত করা হয়। একই ভাবে রাজ্যের ৭৫ জেলা থেকে মেলার জন্য সরাসরি বাস পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা যেন আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে সচল রাখা হয়, এই কথাও জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আবার ভাবে মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) অন্তঃসত্ত্বা, বৃদ্ধ এবং দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের দ্রুত পরিষেবা দিতে পর্যাপ্ত যানবাহন চালানোর কথাও বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kumbh Mela: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    Kumbh Mela: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপল-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জোবসের (Steve Jobs) হাতে লেখা একটি চিঠি বিক্রি হল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪.৩২ কোটি টাকায়। চিঠিটি লেখা হয়েছিল ১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। ১৯তম জন্মদিনে তিনি চিঠিটি লিখেছিলেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু টিম ব্রাউনকে। চিঠিটিতে তিনি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা এবং কুম্ভ মেলায় (Kumbh Mela) যোগ দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন।

    জোবসের চিঠি (Kumbh Mela)

    জোবস (Steve Jobs) লিখেছিলেন, ‘‘আমি কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে যেতে চাই, যা এপ্রিল মাসে শুরু হবে। আমি মার্চ মাসে কোনও এক সময়ে রওনা দেব, তবে এখনও নিশ্চিত নই।’’ তিনি উত্তরাখণ্ডে নিম করোলি বাবার সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন। সেই টানে তিনি নৈনিতালে পৌঁছেওছিলেন। পরে জানতে পারেন তার আগের বছরই প্রয়াত হয়েছেন নিম করোলি বাবা। সেবার সাত মাস ধরে ভারতে ছিলেন জোবস। এই পর্বে তিনি আত্তীকরণ করেছিলেন ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতিকে। নেড়া মাথা, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারও তাঁকে দেখে চিনতে পারেননি। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর অকালে প্রয়াত হন জোবস (Steve Jobs)। তাঁর চিঠিটি নিলাম হল বুধবার।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    কুম্ভ মেলা দর্শনে জোবসের স্ত্রী

    অকালে প্রয়াত হওয়ায় কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়া হয়নি জোবসের (Steve Jobs)। এ বছর কুম্ভ মেলা দর্শনে এসেছেন তাঁর স্ত্রী লরেন পাওয়েল জোবস। লরেনের গুরু স্বামী কৈলাসানন্দ গিরি। লরেনের নতুন (Kumbh Mela) নাম দিয়েছেন ‘কমলা’। ৪০ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তিনি। ধ্যান, ক্রিয়া যোগ ও প্রণায়াম-সহ আধ্যাত্মিক অনুশীলনে অংশগ্রহণও করছেন। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণ কুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। ১৪৪ বছর পরে এবার এসেছে সেই মহাকুম্ভ যোগ (Kumbh Mela)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাদ পড়ছে ধর্মনিরপেক্ষতা! সংবিধান সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ

    Bangladesh: বাদ পড়ছে ধর্মনিরপেক্ষতা! সংবিধান সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের মূল নীতি থেকে কি বাদ দেওয়া হবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে? সে দেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ঘিরে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। বুধবারই প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে সুপারিশ-সহ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

    সংবিধান থেকে কী কী বাদ দেওয়ার সুপারিশ? (Bangladesh)

    এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানে যে চারটি মূল নীতি রয়েছে, তা গৃহীত হয়েছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিত হওয়ার সময়। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের আকাঙক্ষা প্রতিফলন হিসেবে পাঁচ মূল নীতির প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূল নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, জাতীয়বাদ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সংবিধানের ৮, ৯, ১০ এবং ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা-সহ তিনটি মূল নীতি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

    বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য চারটি মূল নীতির উল্লেখ রয়েছে- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। হাসিনার সরকারের পতনের পর সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, চার মূল নীতির মধ্যে কেবল গণতন্ত্রকে রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন। তার সঙ্গে আরও চারটি নতুন মূল নীতির সুপারিশ করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত পাঁচটি মূল নীতির মধ্যে রয়েছে- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    বাংলাদেশের নতুন নাম কী হতে পারে?

    বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) সাংবিধানিক নাম হল ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। তবে সেই নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করা হল এবার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন সাংবিধানিক নাম হোক- ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’। উল্লেখ্য, বুধবারই অধ্যাপক আলি রিয়াজের নেতৃত্বধীন সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে। এই খসড়া তৈরি করতে নাকি গত তিন মাস ধরে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করেছে কমিশন। সুপারিশ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সংবিধানের ইংরেজি সংস্করণে ‘রিপাবলিক’ ও ‘পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ’ শব্দগুলি থাকতে পারে। এদিকে এতদিন বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে নাগরিকরা ‘বাঙালি’ হিসেবে পরিচিত হতেন। তবে তা বদলে বাংলাদেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক ভাবে ‘বাংলাদেশি’ পরিচিতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।

    ভারতের মতো দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ!

    অপরদিকে ভারত, আমেরিকার মতো বাংলাদেশ (Bangladesh) সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষকে জাতীয় সংসদ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বলা হবে। উচ্চকক্ষকে সেনেট বলে ডাকা হবে। সংসদের মেয়াদ ৪ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও ব্যক্তি দু’বারের বেশি থাকতে পারবেন না বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে সুপারিশ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সেই নেতা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না।

    নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বয়স ২১ বছর করার সুপারিশ!

    সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। এদিকে বাংলাদেশি (Bangladesh) নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে কোনও আসনে যদি মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তাহলে সেই আসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে।

    গণভোটের সুপারিশ

    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলি রিয়াজ জানিয়েছেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁরা গণভোটের সুপারিশ করেছেন। জানা গিয়েছে, এই সুপারিশগুলির প্রেক্ষিতে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, এই সুপারিশগুলি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার মাধ্যমে যে সংস্কারগুলির বিষয়ে ঐক্যমত হবে, সেই সংস্কারগুলি বাস্তবায়নের কথা বিবেচনা করা হবে। এ দিন সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া আরও তিনটি সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইউনূসকে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মাসে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pannun Murder Plot Charge: পান্নুন মামলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ কমিটির

    Pannun Murder Plot Charge: পান্নুন মামলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার মামলায় (Pannun Murder Plot Charge) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করল ভারত সরকার কর্তৃক গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি (Panel)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসন্ধান করে এই সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠী, সন্ত্রাসী সংগঠন, মাদক পাচারকারী প্রভৃতি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার পর ওই কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিই করল সুপারিশ।

    কী বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? (Pannun Murder Plot Charge)

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব তথ্য সরবরাহ করেছে, তার প্রকৃতি কিংবা বিবরণ প্রকাশ করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে বিবৃতিতে যে সময়ের উল্লেখ করা হয়েছে, তা থেকে অনুমান, আমেরিকার মাটিতে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানায় যে তারা পন্নুনকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্রের হদিশ পেয়েছে। আমেরিকার অভিযোগ, ওই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছিল ভারত সরকারের কর্মচারীদের দ্বারা।

    আমেরিকার অভিযোগ

    পরবর্তী কালে প্রকাশিত তথ্যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিই পন্নুনকে হত্যা করার জন্য একজন কন্ট্রাক্ট কিলার ভাড়া করার চেষ্টা করেছিলেন। বাইডেন প্রশাসনের অভিযোগের জবাবে ভারত সরকার জানিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তোলা অভিযোগের তদন্ত করতে তারা (Pannun Murder Plot Charge) একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি তদন্ত পরিচালনা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সূত্রগুলোও অনুসরণ করা হয়েছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে এবং উভয় পক্ষ পরস্পরের দেশে সফর করেছে। কমিটি বিভিন্ন সংস্থার বেশ কিছু কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রও পরীক্ষা করেছে (Panel)। বিষয়টির ওপর ‘দ্রুত’ আইনি পদক্ষেপের সুপারিশ করে, কমিটি জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় কার্যকরী উন্নতি আনা প্রয়োজন (Pannun Murder Plot Charge)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share