Tag: Bengali news

Bengali news

  • Maha Kumbh Mela 2025: কুম্ভ মেলার সাত-সতেরো, জানেন আখড়া কী, অমৃত স্নানই বা কী?

    Maha Kumbh Mela 2025: কুম্ভ মেলার সাত-সতেরো, জানেন আখড়া কী, অমৃত স্নানই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল সংক্রান্তির দিন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অমৃত স্নান (Amrit Snan) সারলেন কয়েক কোটি পুণ্যার্থী (Maha Kumbh Mela 2025)। সোমবারই শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ ২০২৫। প্রথম শাহি স্নান হল মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির পবিত্র দিনে। প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। আর ১৪৪ বছর পর হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ।

    সঙ্গমে স্নান

    প্রত্যাশিতভাবেই প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমে স্নান করবেন লাখ লাখ পুণ্যার্থী। কুম্ভস্নানে মোক্ষ লাভ হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। তাই কুম্ভমেলায় সাধুদের পাশাপাশি ভিড় করেন সাধারণ মানুষও। এঁদের সিংহভাগই পুণ্যার্থী। দর্শনার্থীও ভিড় করেন অনেকে। কুম্ভে আখড়া বসে। মোট ১৩টি আখড়া রয়েছে। এই আখড়াগুলি আবার তিনটি দলে বিভক্ত। এগুলি হল, সন্ন্যাসী (শৈব), বৈরাগী (বৈষ্ণব) এবং উদাসীন। শৈব আখড়াগুলির মধ্যে রয়েছে মহানির্বাণী, আতাল, নিরঞ্জনী, আনন্দ, ভৈরব, আওহান এবং অগ্নিষ। বৈরাগী আখড়াগুলি হল, নির্মোহী, দিগম্বর আনি এবং নির্বাণী আনি। উদাসীন আখড়া দুটি – উদাসীন আখড়া ও নির্মলা আখড়া।

    আখড়ার ভূমিকা

    আসুন, আখড়াগুলির সংগঠন, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং কুম্ভমেলায় তাদের মূল ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এই আখাড়াগুলি কুম্ভমেলার (Maha Kumbh Mela 2025) রক্ষক হিসেবে কাজ করে, যেখানে তারা গুরুত্বপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান পালন করে এবং পবিত্র ঘটনায় অবদান রাখে, যেমন ‘অমৃত স্নান’। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, আখাড়াগুলি হিন্দু ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের মন্দির এবং পবিত্র স্থানগুলি রক্ষায় সহায়ক ছিল। অষ্টম শতাব্দী থেকে বিভিন্ন আখাড়ার সাধুরা প্রয়াগরাজে জমায়েত হচ্ছেন অমৃত স্নান করতে। নবম শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আখাড়াগুলি একমাসব্যাপী কুম্ভ উৎসবের আয়োজন করত। অমৃত স্নানের ক্রম নির্ধারণ করত। বর্তমানে অমৃত স্নানের ক্রম প্রতিষ্ঠানভুক্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও আখাড়াগুলির এখনও একটি প্রাধান্য রয়েছে।

    আখড়ার গঠন

    আখড়াগুলির শীর্ষে থাকেন একজন মহন্ত বা আচার্য। এঁরা আধ্যাত্মিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বগুলি পালন করেন। আখড়ার মধ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদা রয়েছে। এঁদের মধ্যে আখড়ায় উচ্চ পদমর্যাদার সন্ন্যাসী হলেন মহামণ্ডলেশ্বর। তাঁদের প্রভাব এবং কর্তৃত্ব সবচেয়ে বেশি। আখড়াগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নবাগতদের। যা অত্যন্ত কঠোর। প্রশিক্ষণ পর্বে আধ্যাত্মিক অনুশীলন, ধ্যান, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, এবং শারীরিক অনুশীলন যেমন ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় কুস্তি এবং মার্শাল আর্টস অনুশীলন। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনুসৃত শৃঙ্খলা শারীরিক এবং মানসিক দক্ষতা উভয়ই অর্জন করে, যার লক্ষ্য আধ্যাত্মিকতা অর্জন।

    হিন্দু ধর্মে আখড়ার গুরুত্ব

    হিন্দু ধর্মে আখড়ার বিশাল (Amrit Snan) গুরুত্ব রয়েছে বিভিন্ন কারণে। এগুলি হল—

    প্রথা সংরক্ষণ: আখড়া প্রাচীন আধ্যাত্মিক প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান এবং শিক্ষা সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা পবিত্র গ্রন্থ, স্তোত্র এবং অভ্যাসের জ্ঞান এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে পৌঁছে দেয় এবং এভাবে তা সংরক্ষণ করে।

    আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ: এই প্রতিষ্ঠানগুলি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিবেশ দেয়। এখানে তারা কঠোর প্রশিক্ষণ নেয়। এগুলি শৃঙ্খলা, ভক্তি এবং আত্ম-আবিষ্কারের বিকাশ ঘটায়। আধ্যাত্মিক আলোকোজ্জ্বলতা অর্জনের উদ্দেশ্যে সদস্যরা কঠোর জীবনযাপন করেন।

    সাংস্কৃতিক রক্ষক: প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসব এবং তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আখড়াগুলি হিন্দু সমাজের সাংস্কৃতিক পরিসরে অবদান রাখে। কুম্ভ মেলার মতো অনুষ্ঠানগুলিতে তাদের উপস্থিতি তাদের সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক নেতৃস্থানীয় ভূমিকা তুলে ধরে।

    যুদ্ধকালীন ঐতিহ্য: ঐতিহাসিকভাবে, আখড়াগুলি যুদ্ধ প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আখড়ার সদস্যদের ধর্মরক্ষা এবং পবিত্র স্থানগুলির সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হত। এই যুদ্ধকালীন ঐতিহ্য এখনও কিছু আখড়ায় দেখা যায়, বিশেষ করে নাগা সাধুরা — যারা তাদের যোদ্ধা-ভাবমূর্তির জন্যই পরিচিত।

    সামাজিক প্রভাব: আখাড়াগুলি সামাজিক এবং দানশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নানা প্রয়োজনে সাহায্য দিয়ে থাকে।

    ‘অমৃত স্নান’ ১৩টি আখড়ার (Maha Kumbh Mela 2025) অংশগ্রহণ দিয়ে শুরু হয়। প্রতিটি আখড়া তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রম এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পবিত্র স্নান সারেন। এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সংগঠিত হয়, যেখানে প্রশাসন সময়সূচি সমন্বয় করে নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে (Amrit Snan)।

    কুম্ভমেলায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আখড়া হল-

    জুনা আখড়া: এটি ১৩টি আখড়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। জুনা আখড়া শৈবধর্মের দশনামী সাম্প্রদায়ে বিশ্বাসী, যা আদি শংকরাচার্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এঁরা ভগবান দত্তাত্রেয়র পুজো করেন। কিন্নর আখড়া (তৃতীয় লিঙ্গ আখাড়া) জুনা আখড়ারই একটি অংশ। জুনা আখড়ার অনুসারীরা প্রধানত শৈব, যাঁরা ভগবান শিবের প্রতি নিবেদিত। এঁদের মধ্যে অনেক নাগাও আছেন। জুনা আখড়া কুম্ভ মেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আখড়ার সাধুরা তপস্যা ও ত্যাগের জন্য পরিচিত। আখড়াটির একটি সমৃদ্ধশালী আধ্যাত্মিক ও মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের ঐতিহ্য রয়েছে। এর প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অভদেশনন্দ।

    নিরঞ্জনী আখড়া: দ্বিতীয় বৃহত্তম আখড়া হল শ্রী পঞ্চায়েতি নিরঞ্জনী আখড়া। ৯০৪ খ্রিস্টাব্দে গুজরাটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানে ভক্তরা প্রধানত কার্তিকের পুজো করেন। এই আখড়ায় বহু উচ্চশিক্ষিত সদস্য রয়েছেন। পিএইচডি এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও রয়েছেন। এর প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর কৈলাশানন্দজি মহারাজ।

    মহানির্বাণী আখড়া (প্রয়াগরাজ): শ্রী পঞ্চায়েতি মহানির্বাণী আখড়ার প্রধান দেবতা হলেন ঋষি কপিলমুনি। ভক্তরা ভৈরব প্রকাশ ভল্লা এবং সূর্য প্রকাশ ভল্লার মতো পবিত্র চিহ্নগুলির পুজো করেন। এগুলি যথাক্রমে সুরক্ষা ও জ্ঞানদানের প্রতীক। এই আখড়ার প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দ।

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    কিন্নর আখড়া: তৃতীয় লিঙ্গ আখড়া একটি অনন্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায় কুম্ভ মেলা এবং অন্যান্য পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। ঐতিহ্যবাহী আখড়াগুলি মূলত পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আর কিন্নর আখড়া পরিচালিত হয় তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের দ্বারা। কিন্নর আখড়ার সদস্যরা বিভিন্ন আধ্যাত্মিক চর্চায় অংশগ্রহণ করেন, যেমন আচার, প্রার্থনা, এবং ধ্যান। কুম্ভ মেলা প্রক্রিয়ায় অন্যান্য আখড়ার সঙ্গে তাঁদের অংশগ্রহণ তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের গ্রহণযোগ্যতা এবং পরিচিতির বড় প্রমাণ। কিন্নর আখড়ার উপস্থিতি হিন্দুধর্মের অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্যের একটি শক্তিশালী স্মারক। এটি আধ্যাত্মিক যাত্রায় সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে আলিঙ্গন করে (Maha Kumbh Mela 2025)।

    অমৃত স্নান

    কুম্ভে গিয়ে পবিত্র দিনে স্নানকে বলা হত শাহি স্নান। বর্তমানে এই নাম বদলে হয়েছে অমৃত স্নান। শব্দটি চালু করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি নিজে নাথ সম্প্রদায়ের যোগী। হরিদ্বারের মাণসা দেবী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত পুরী বলেন, ‘‘আমরা সবাই হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় কথা বলি। এটা সম্ভব নয় যে আমরা কোনও উর্দু শব্দ বলি না। কিন্তু আমরা ভাবলাম যে যখন আমাদের দেবতাদের কথা আসে, তখন আমাদের চেষ্টা করা উচিত সংস্কৃত ভাষায় নাম রাখা বা ‘সনাতনী’ নাম দেওয়ার। সেই কারণেই শাহি স্নান হয়েছে অমৃত স্নান (Amrit Snan)। আমাদের উদ্দেশ্য, হিন্দু বনাম মুসলিম করা নয় (Maha Kumbh Mela 2025)।’’ প্রসঙ্গত, এবছর অমৃত স্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। এগুলি হল, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘি পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UGC NET: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেট পরীক্ষা, হচ্ছে না ১৫ জানুয়ারি তারিখে, জানাল এনটিএ

    UGC NET: পিছিয়ে গেল ইউজিসি নেট পরীক্ষা, হচ্ছে না ১৫ জানুয়ারি তারিখে, জানাল এনটিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার, ১৫ জানুয়ারির পূর্ব নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি আয়োজিত নেট (UGC NET) পরীক্ষা হচ্ছে না। একথা জানিয়ে দিল এনটিএ (NTA)। পিএইচডি, জুনিয়র ফেলোশিপ এবং সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোট ৮৫টি বিষয়ে কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা সিবিটি মোডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৫ তারিখ পোঙ্গল এবং মকর সংক্রান্তির কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

    পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে ওই দিনের সকল পরীক্ষা বাতিল (UGC NET)

    ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-র ডিরেক্টর রাজেশ কুমার বলেন, “সংস্থার (UGC NET) পক্ষ থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে ওই দিনের সকল পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে আগামী ১৬ তারিখের নেট পরীক্ষা নির্ধারিত করা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।”

    কোন কোন বিষয়ে পরীক্ষা হবে না?

    জানা গিয়েছে, যে যে বিষয়ে পরীক্ষা (UGC NET) হওয়ার কথা ছিল তার মধ্যে রয়েছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, সংস্কৃত, নেপালি, আইন, জাপানি, উইমেনস স্টাডিজ, মালায়ালাম, উর্দু, কোঙ্কনি, অপরাধবিদ্যা, লোকসাহিত্য, ইলেকট্রনিক সায়েন্স, পরিবেশ বিজ্ঞান, ইন্ডিয়ান, ইন্ডিয়ান জ্ঞান পরম্পরা সহ মোট ১৭টি বিষয়। উল্লেখ্য, পরীক্ষায় অনিয়ম হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় গত বছর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। তাই এবারও পরীক্ষার্থীদের নেটের ওয়েবসাইটে (NTA) নজর রাখতে বলা হয়েছে।

    কীভাবে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করবেন?

    ১> প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ugcnet.nta.ac.in-এ লগ ইন করুন।

    ২> এরপর হোম পেজে প্রবেশপত্রের লিঙ্কটি খুঁজুন এবং এটিতে ক্লিক করুন।

    ৩> আপনার আবেদন নম্বর এবং জন্ম তারিখের মতো বিষয়ে তথ্য দিয়ে পূরণ করে সাবমিট বোতামে ক্লিক করুন।

    ৪> এরপর স্ক্রিনে প্রদর্শিত হওয়ারপর এবং প্রবেশপত্রটি দেখুন এবং ডাউনলোড (UGC NET)  করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 15 January 2025: জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 15 January 2025: জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) পেটের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসার জন্য বাড়তি অর্থ দরকার হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) মহিলা বন্ধুদের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) আয় ভালো থাকলেও দারিদ্র সহজে দূর হবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুবিবেচক ব্যক্তি হিসাবে উন্নতির যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) মিথ্যা বদনাম রটতে পারে।

    ২) ব্যবসায় পরিশ্রম বৃদ্ধি পেলেও লাভ ভালো হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে।

    ২) চোখের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বাকপটুতায় সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবেন।

    ২) জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) একটু বিপদের সম্ভাবনা আছে।

    ২) মানসিক অস্থিরতার জন্য কোনও ভালো কাজ হাতছাড়া হতে পারে। 

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সারা দিন ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    NIA: বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ায় অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে বহুদিন ধরেই খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনায় কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। জানা যাচ্ছে, এর আগেও আমিনকে ২-৩ বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশে সাড়া দেননি আমিন। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতারির পর প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে বলেন, ঘটনায় যে তৃণমূলের হাত রয়েছে এটা অন্তত স্পষ্ট হল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    গত ২৮ অগাস্ট বিজেপির ডাকা বাংলা বনধের সকালে ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি লক্ষ্য করে ৭-৮ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে আহত হন গাড়ির চালক। সেই ঘটনার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কু। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পর তদন্তে নেমে ভিডিও ফুটেজ দেখে আততায়ীদের শনাক্ত করে এনআইএ। এর পরই মহম্মদ আমিন ওরফে সোনু নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুঁজছিল তারা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এর আগেও তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আমিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

    আরও পড়ুন: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    কীভাবে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল কর্মীকে?

    এর আগেও আমিনকে ধরতে বাড়ি ঘিরে ফেলেন এনআইএ (NIA) আধিকারিকরা। কিন্তু, আমিন বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার ভোর রাতে আবারও তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। আমিনের বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধিকারিকরা। তাঁর পালানোর আর কোনও অবকাশই ছিল না। বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আমিনকে গ্রেফতার করলেই বড় মাথার হদিশ পেতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পিছনে কারা রয়েছেন, কারা ছক করেছিলেন প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডেকে খুন করার, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    Mahakumbh Mela 2025: প্রথম দিনেই সুপারহিট এআই, দেড় ঘণ্টায় উদ্ধার মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া ২৫০ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) প্রথম দিনেই সুপারহিট। ২৫০ জন নিখোঁজ পুণ্যার্থীকে ডিজিটাল (Digitally Found) উপায়ে খোঁজ করে অনন্য নজির গড়ল কুম্ভমেলা প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। কুম্ভ মেলায় হারিয়ে যাওয়াটা ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, কুম্ভে এলে হারিয়ে যাবেই! এবার এই সমস্যার সমাধানে বিরাট সাফল্য পেয়েছে মহাকুম্ভে। জীবনভর খোঁজ না মেলার এই লোকশ্রুতিকে ভুল প্রমাণিত করেছে ডিজিটাল পদ্ধতি। পুলিশ প্রশাসনও সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আরও সুশৃঙ্খল করেছে মেলাকে। মহাকুম্ভে প্রথম দিন ছিল পৌষ পূর্ণিমা। জানা গিয়েছে, মোট দেড় কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র পুণ্যস্নান করেছেন। মেলা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি পর্যন্ত। আনুমানিক ৪০-৪৫ কোটি ভক্ত এই ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন।  

    ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’ (Mahakumbh Mela 2025)

    এই বিরাট হিন্দু মেলাকে (Mahakumbh Mela 2025) সুপরিকল্পিত ভাবে পরিচালনা করার জন্য ‘ভুলা-ভাটকা ক্যাম্প’, পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র এবং মেলার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ওয়াচ টাওয়ারে কর্মীদের মোতায়েন সহ বেশ কয়েকটি ভিড় নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিশেষ করে শিশু এবং মহিলাদের এই শিবিরগুলি থেকে সামাজিক মাধ্যমে ডিজিটাল উপকরণ ব্যবহার করে খোঁজ করার সন্ধান (Digitally Found) করার প্রক্রিয়া চালানোর কাজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    মোট ১০টি শিবির

    উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিরাট কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) মোট ১০টি ‘খোয়া-পাওয়া’ অর্থাৎ হারানো এবং প্রাপ্তির কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে আধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকল তীর্থযাত্রীদের জন্য যে কোনও সহায়তা প্রধান করা হবে এই জায়গাগুলিতে। মহিলা ও শিশুদের জন্য প্রতীক্ষালয়, ডাক্তারি চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং বিনোদনের জন্য নানা উপকরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    প্র্যত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির লাইভ স্ক্রিন

    উত্তরপ্রদেশ এডিজি ভানু ভাস্কর বলেন, “প্রত্যেক শিবিরে ৫৫ ইঞ্চির একটা করে লাইভ স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে যার মাধ্যমে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে। মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) হারিয়ে যাওয়া কোনও হারানো এবং প্রাপ্তির খবর সম্প্রচার করা হবে। নিখোঁজকে খুঁজে পেতে ফেসবুক, এক্স, হোয়াটসঅ্যাপ-সহ আরও একাধিক সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচার-প্রসার করা হবে। একই ভাবে স্নানের জন্য কেন্দ্রীয় ঘাট ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশিকা দেওয়া হবে।”

    কীভাবে খোঁজ করা হয়?

    পাশাপাশি এই সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি এবং বস্তু সম্পর্কে যে ডিজিটাল রেকর্ড করা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেগুলিকে প্রথমে কম্পিউটারাইজড রসিদ এবং ছবি সমেত ওই ৫৫ ইঞ্চি স্ক্রিনে দেখানো হবে। এরপর একে একে সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তিতে সব জায়গায় তা প্রদর্শন করা হবে। নিখোঁজ সম্পর্কে স্ক্রিনে দেখে শিবিরে গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাবে। শুধু যে মানুষ নিখোঁজকেই সন্ধান করা হবে তাই নয়, মোবাইল, মানিব্যাগ, প্রয়োজনীয় সামগ্রীও একই ভাবে সন্ধান (Digitally Found) করার কাজে পরিষেবা মিলবে।

    মাত্র দেড় ঘণ্টায় খোঁজ মেলে

    কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) নিজের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিজনদের দ্রুত খুঁজে (Digitally Found) দিতে লাগাতার মাইকে ঘোষণার প্রক্রিয়ায়ও করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে থাকা কর্মীরাও খোঁজে বিরাট ভূমিকা রাখছেন। এই কাজের জন্য মেলার মাঠে তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্রের স্থাপন করা হয়েছে। আবার উত্তরপ্রদেশ সিভিল ডিফেন্স কর্মী নীতেশ কুমার দ্বিবেদী প্রথম দিনেই মেলার সাফল্য নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের এই বিরাট আয়োজনে অনেক হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তিকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় আমাদের সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা উদ্যোগী হয়ে ২০০-২৫০ জনকে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে কাজটি কঠিন হলেও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আমাদের ব্যাপক সহযোগিতা করেছে।” একই ভাবে মেলায় হারিয়ে যাওয়া দিল্লি থেকে আসা তীর্থযাত্রী অজয় গোয়েল জানান, মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পরিবারের লোকজনের কাছে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Retail Inflation: গত চার মাসে সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি, সস্তা হয়েছে জিনিসপত্র, দাবি কেন্দ্রের

    Retail Inflation: গত চার মাসে সর্বনিম্ন খুচরো মুদ্রাস্ফীতি, সস্তা হয়েছে জিনিসপত্র, দাবি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত চার মাসের মধ্যে ডিসেম্বরেই খুচরো বাজারে সামান্য কমেছিল জিনিসপত্রের দাম। ১৩ জানুয়ারি কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স দাঁড়িয়েছিল ৫.২২ শতাংশে (Retail Inflation)। তার ঠিক আগের মাসে এই হার ছিল ৫.৪৮ শতাংশ। এর (Inflation) অর্থ হল, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খুচরো বাজারে সামান্য হলেও কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

    কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (Retail Inflation)

    খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার পরিমাপ করা হয় ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স’-এর মাধ্যমে। এই মুদ্রাস্ফীতিকে ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখাই লক্ষ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। গত অক্টোবরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ছিল ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই সূচক ছিল ৬.২১ শতাংশ। কমতে কমতে ডিসেম্বরে তা ঠেকেছে ৫.২২ শতাংশে। কেন্দ্রের দাবি, ডিসেম্বরে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স নিম্নমুখী হওয়ার মূল কারণ খাদ্যদ্রব্যের মূল্য হ্রাস। গত মাসে শাক-সবজি, ডাল, চিনি এবং দানা শস্যের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। চিনির দর কমায় সস্তা হয়েছে মিষ্টি। এদিন শহর ও গ্রামের মুদ্রাস্ফীতির হারের তথ্যও প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭৬ শতাংশ। শহরে এই হার ৪.৫৮ শতাংশ (Retail Inflation)।

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    কেন্দ্রের রিপোর্ট

    স্ট্যাটিস্টিক্স মন্ত্রকের প্রকাশিত ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, খাদ্য ও পানীয় বিভাগে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ডিসেম্বরে এই হার বার্ষিক ৭.৬৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তার আগের মাসে এই হার ছিল ৮.২ শতাংশ। আনাজপাতির মুদ্রাস্ফীতির ধীরগতির কারণে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যও হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই হার ছিল ২৬.৫৬ শতাংশ। তার আগের মাসে এই হার ছিল ২৯.৩৩ শতাংশ। মূল্য বৃদ্ধির হার ধীরগতির হলেও, গ্রাহক মূল্য সূচক-ভিত্তিক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (রিটেল প্রাইস ইনডেক্স) ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৪ শতাংশ সহনশীলতার স্তরের ওপরে ছিল। এ ক্ষেত্রে উভয় দিকেই দু’শতাংশের বিচ্যুতিও সহনশীলতার স্তরের। প্রসঙ্গত (Inflation), স্টিকি ফুড মূল্যস্ফীতি, যা পরিবারের বাজেটকে প্রভাবিত করেছে, তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় (Retail Inflation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Cancelled: ৯৫ বছরের পুরনো ব্রিজে কাজ! ডানকুনি লাইনে ১০০ ঘণ্টা বাতিল একগুচ্ছ লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন

    Train Cancelled: ৯৫ বছরের পুরনো ব্রিজে কাজ! ডানকুনি লাইনে ১০০ ঘণ্টা বাতিল একগুচ্ছ লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শুরুতেই ফের ট্রেন বাতিলের খবর। একটানা ১০০ ঘণ্টা চলবে না কোনও ট্রেন। শতাধিক লোকাল ট্রেনের (Train Cancelled) পাশাপাশি বাতিল থাকবে একগুচ্ছ এক্সপ্রেস ট্রেনও। একাধিক দূরপাল্লার ঘুরপথে চালানো হবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে। শিয়ালদা ডিভিশনের একটি রুটের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন শিয়ালদা থেকে ডানকুনির মধ্যে ৪৪টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে (অর্থাৎ চারদিন মিলিয়ে ১৭৬টি)। ফলে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বৃহস্পতিবার থেকে পরের সোমবার পর্যন্ত ওই লাইনে চলবে না কোনও লোকাল ট্রেন।

    ৯৫ বছরের পুরনো ব্রিজে কাজ চলবে! (Train Cancelled)

    শিয়ালদা ডিভিশনের (Sealdah Division) শিয়ালদা-ডানকুনি সেকশনে বালিঘাট এবং বালিহল্টের মধ্যে রেল ওভারব্রিজের পুরানো স্টিলের গার্ডার প্রতিস্থাপন করা হবে বলে এই ট্রেন বাতিলের (Train Cancelled) কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতুটি ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। ব্রিজ নম্বর ১৫ সিসিআর-এর পুরনো স্টিলের গার্ডারটির অবস্থা খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে এটি প্রতিস্থাপন করা দরকার বলে জানিয়েছে রেল। রেলের দাবি, এই সেকশনে মেরামতির কাজ করা হলে রেলের গতিও বাড়বে। এই কাজের জন্য দমদম-ডানকুনি সেকশনে ২২ জানুয়ারি রাত ১২টা (ইংরেজি মতে ২৩ জানুয়ারি) থেকে আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোর চারটে পর্যন্ত কাজ চলবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    কোন কোন এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল (Train Cancelled) থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে, কলকাতা-পাটনা গরিবরথ, তেভাগা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-সিউড়ি এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কলকাতা এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-জাঙ্গিপুর রোড এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদা-আসানসোল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। বাতিল হওয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন কামারকুন্ডু স্টেশনের পরিবর্তে নৈহাটি স্টেশনে থামবে। কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে দক্ষিণেশ্বরের পরিবর্তে বেলঘরিয়ায় স্টপেজ দেওয়া হবে।

    স্টেশন পরিবর্তন:

    উত্তরবঙ্গ ও শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস (Train Cancelled) শিয়ালদার পরিবর্তে হাওড়া থেকে ছাড়বে। আর উল্টোদিক থেকে এসে হাওড়াতেই যাত্রা শেষ করবে।

    রুট বদল:

    রেল (Train Cancelled) সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ জোড়া মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন দমদম-নৈহাটি হয়ে ঘুরে যাবে। সেই তালিকায় রয়েছে- জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস, বিকানের দুরন্ত এক্সপ্রেস, অনন্যা এক্সপ্রেস, শব্দভেদী এক্সপ্রেস, নাঙ্গল ড্যাম এক্সপ্রেস, শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, শিয়ালদা-আজমের এক্সপ্রেস, আনন্দ বিহার সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস, জম্মু-তাওয়াই হামসফর এক্সপ্রেস, প্রতাপ এক্সপ্রেস, জালিওয়ানবাগ এক্সপ্রেস।

    ট্রেনের গতি বাড়বে!

    রেলের (Train Cancelled) তরফে দাবি করা হয়েছে, যে কাজ চলবে, তা যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই। ওই কাজের পরে ওই অংশে ট্রেনের গতিও বাড়বে। আর সেই পরিস্থিতিতে ওই কাজটা করতেই হত। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগ কম হয়, সেজন্য ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে কাজ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেদিনই সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএসের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এই দিনটি দেশের উচিত ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপন করা। কারণ এই দেশ বহু শতাব্দী ধরে ‘পরচক্র’ (বহিঃ শত্রুর আক্রমণ)-এর মুখোমুখি হয়েছে।

    কী বললেন ভাগবত? (Mohan Bhagwat)

    গত বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ছিল দ্বাদশী তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর সেই তিথি ছিল ১১ জানুয়ারি। সেদিনই পালিত হয় রামলালার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “রাম মন্দির আন্দোলন কারও বিরোধিতা করার জন্য শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ভারতের ‘স্ব’ কে জাগ্রত করতে, যাতে দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।”

    জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার

    সোমবার ইন্দোরে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইকে “জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার” প্রদান করেন ভাগবত। তার পরেই দেন বক্তৃতা। সেখানেই তিনি বলেন, “গত বছর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় দেশে কোনও মতবিরোধ ছিল না।” পুরস্কার নেওয়ার পর রাই ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর এই সম্মাননাটি রাম মন্দির আন্দোলনের সমস্ত পরিচিত ও অজ্ঞাত মানুষকে উৎসর্গ করছেন, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের এই শহরে মহৎ রাম মন্দির নির্মাণে সহায়তা করেছেন। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাই বলেন, “এই মন্দির জাতীয় গর্বের প্রতীক। তিনি এর নির্মাণে একটি মাধ্যম ছিলেন মাত্র (Mohan Bhagwat)।”

    আরও পড়ুন: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    প্রতি বছর ‘জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার’ দেয় শ্রী অহল্যোৎসব সমিতি। বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সংস্থার সভাপতি লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ভাষণ দিতে গিয়ে মহাজন বলেন, “ইন্দোর শহরে দেবী অহল্যাবাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বৃহৎ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে, যাতে মানুষ তাঁর জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে (RSS) পরিচিত হতে পারেন (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    Makar Sankranti: পৌষ পার্বণে ঘরে ঘরে পিঠে-পুলির উৎসব, কেন মকর সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। যা পৌষ পার্বণ নামেও বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলার, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের ঘরে ঘরে এই দিন পিঠে-পুলির উৎসব হয়। অন্দরে অন্দরে দুধ, ক্ষির, গুড়, নারকেলের গন্ধে ম-ম করে। হাড় কাঁপানো শীতে কম্বলের আরাম ছেড়ে জোরকদমে পিঠে-পুলি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাড়ির মা-বউরা। পৌষ পার্বণ অথচ পিঠে হবে না তা আবার হয় নাকি? যুগ যুগ ধরে পৌষ সংক্রান্তির (Makar Sankranti) দিনে এই মিষ্টান্নের স্বাদ নিতে ভোলেন না বাংলার মানুষ। 

    কেন সংক্রান্তিতে পিঠে খাওয়া হয় জানেন? (Makar Sankranti)

    পৌষ পার্বণের সঙ্গে পিঠে-পুলির যোগ নিয়ে পৌরাণিক গল্পগাথা রয়েছে। জানা যায়, এই দিনই পিতামহ ভীষ্ম স্বইচ্ছায় মৃত্যু বরণ করেন। মূলত নতুন ফসলের উৎসব (Makar Sankranti) বলেই এই দিনটিকে পৌষ-পার্বণ হিসেবে উদযাপন করেন বাঙালিরা। এই সময়ে ঘরে ঘরে নতুন ফসল থাকে। সেই নতুন ফসল দিয়েই তৈরি করা হয় এই বিশেষ মিষ্টান্ন। এই নতুন ফসলকে স্বাগত জানাতেই ঘরে ঘরে বানানো হয় এই অসাধারণ মিষ্টান্ন। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এ দিন চাল গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, ক্ষির দিয়ে তারি করা হয় রকমারি পিঠে। সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠে হল— ভাপা পিঠে। এ ছাড়াও রয়েছে চিতই পিঠে, দুধচিতই, ছিট পিঠে, দুধপুলি, ক্ষীরপুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠে, মালাই পিঠে, মোলপোয়া, পাকন পিঠে, ঝাল পিঠে ইত্যাদি। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘পৌষপার্বণ’ নামের কবিতায় রয়েছে, ‘গড়িতেছে পিঠে পুলি অশেষ প্রকার, বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ কুটুম্বের মেলা, হায় হায় দেশাচার ধন্যি তোর খেলা।’ এই কবিতাতেই বাঙালির কাছে পিঠের আসল গুরুত্ব ধরা পড়ে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য!

    তবে, এখন শহুরে বাঙালিদের হেঁশেলে পিঠে-পুলি তৈরি করার রেওয়াজ ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। ফলে, রসিক বাঙালি পিঠে (Makar Sankranti) খেতে আস্তানা গেড়েছে মেলায় বা মিষ্টির দোকানে। তাই আজ আর আগের মতো হেঁশেলে ঢুকলেই হাঁড়ির ভেতরে যবুথবু হয়ে থাকে না ক্ষিরে ভরা পাটিসাপটা। আগে তাও যৌথ পরিবার থাকায় মা, দিদিমারা মিলে বা বাড়ির বড় কোনও সদস্যা পিঠে বানানোর উদ্যোগ নিতেন। কিন্তু, এখন কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে সেই মা, দিদিমারাও। পরিবার ভেঙেছে। যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত। তাই বাড়িতে বাড়িতে কমে এসেছে পিঠে বানানোর হিড়িকও। কর্মব্যস্ততার যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির এই ঐতিহ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘বোমা ফাটালেন’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, প্রায় আড়াই বছর জেলে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফোনে কথা হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কীভাবে ফোনে কথা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রসঙ্গত, জেলে বসে মোবাইল ব্যবহার করছে অপরাধীরা। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জঙ্গিরা। নাশকতার ছক পরিকল্পনা হচ্ছে সেখান থেকেই। এই অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে কারা দফতর। আধুনিক প্রযুক্তি বিশিষ্ট জ্যামার লাগানো হচ্ছে রাজ্যের জেলগুলিতে। তার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এ হেন মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    পার্থকে নিয়ে আর কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    সোমবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। আমি আগের কথা বলব না। সম্প্রতির কথা বলব। পার্থ যেদিন চান, বেলের মোরব্বা খান। যেদিন চান, খাসির মাংস খান। গত অষ্টমীতে লুচি-ছোলার ডাল খেয়েছেন। তাই, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ের মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত। তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে। কনভিকশন করাতে চায়। তাদের বলব সুপ্রিম কোর্টকে বলে এই মামলাগুলি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যান। আমি বরাবরই দাবি করি, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই মামলাগুলি নিয়ে যাওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে শাহি স্নান সারলেন ৬০ লক্ষ ভক্ত, পুণ্যার্থীদের বার্তা মোদি-যোগীর

    জেল কাকে বলে জানেন সুদীপ-অনুব্রত!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘রোজভ্যালির মামলা ওড়িশায় ছিল বলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন জেল কাকে বলে। আজ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এরা জানেন না। জেল কাকে বলে কিছুটা অনুব্রত মণ্ডল জানেন। তিনি রাজনীতি করছেন করুন। জেলে যাওয়ার আগের ভাষা আর তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর ভাষা অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সুদীপদার ভাষার মধ্যেও আমরা তফাৎ দেখি। কিন্তু, এখানকার জেল থেকে যারা ফিরে আসেন যেমন জীবনকৃষ্ণ সাহা, মানিক ভট্টাচার্য, তাদের আমরা দেখছি নির্লজ্জের মতো, মুখে মাস্ক না লাগিয়ে ঢুকছেন, বের হচ্ছেন। আমার স্ট্যান্ডিং কমিটি কোথায় খোঁজ নিচ্ছেন।”

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্থর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। একাধিক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, অযোগ্যদের তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে, সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share