Tag: Bengali news

Bengali news

  • BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট (Bengaluru Stampede) হয়ে মৃত অন্তত ১১। বুধবারের ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এই ঘটনায় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এত বড় জমায়েতের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এই দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য লেখেন, “চিন্নাস্বামী থেকে আসা মর্মান্তিক খবরে ভীষণ শোকাহত। এটি আনন্দ ও অনুগত ভক্তির এক উৎসব হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এক মর্মান্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকার ও নেতৃত্ব যখন আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন উৎসবে খোলাখুলি আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন, তখন মাটিতে কোনও প্রস্তুতিরই ব্যবস্থা ছিল না।” তিনি লেখেন, “সরকার এই পুরো পরিকল্পনাটি ব্যর্থ করেছে এবং শেষ মুহূর্তে উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    আরসিবির জয় (BJP)

    ১৮ বছর পর শেষমেশ আইপিএল ট্রফি জিতেছে আরসিবি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)। দলের জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বেঙ্গালুরু শহর। তার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির জয় সেলিব্রেট করতে কোহলিদের জড়ো হওয়ার কথা ছিল। সেই স্টেডিয়ামের গেটেই দর্শকদের হুড়োহুড়ির জেরে ঘটল দুর্ঘটনা। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল পুলিশকে। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের সকলকেই ভর্তি করা হয়েছে শিবাজি নগরের বাউরিং হাসপাতালে (BJP)।

    সেলিব্রেশনের আগেই বিপত্তি

    এদিন সকালে আরসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ট্রফি নিয়ে দল শহরে পৌঁছতেই সেলিব্রেশন হবে। সেই হিসেবে ছকে ফেলা হয় বিরাটদের গোটা দিনের পরিকল্পনা। বিমানবন্দরে নামার পর থেকে ভিক্ট্রি প্যারেড, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনার কথা সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ার করতেই বেঙ্গালুরুতে ভিড় বাড়তে থাকে। একটা সময়ে বাসে করে রাস্তায় ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা বাতিল করা হলেও, পরে ফের করা হয়। এই সময়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায় তারা পরিস্থিতি (Bengaluru Stampede) সামাল দিতে তৈরি। ফলে সমর্থকরা বেরতে থাকেন রাস্তায়। তার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা (BJP)।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে, বিজেপিতে যোগ ১৫০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে ব্যাপক ধস তৃণমূলে (TMC)! অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগে গিয়েছে। বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া বিধানসভার কুনুরি গ্রাম-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ১৫০টিরও বেশি পরিবার। পদ্ম শিবিরের দাবি, মঙ্গলবার সিউড়িতে বিজেপির বীরভূম জেলা কার্যালয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে তাঁরা যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। মে মাসের শেষাশেষি নলহাটি বিধানসভার ৫৫টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতেও বিজেপির ঝান্ডা তুলে দেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। বিজেপির দাবি ছিল, তিন দিনে হাসন ও নলহাটি বিধানসভার মোট ২৫০টি পরিবার চলে এসেছে তাদের দিকে।

    তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল (Birbhum)

    সম্প্রতি বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কোর কমিটির ওপরই আস্থা রেখেছে দল। এই আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল শুরু হয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা তৃণমূলের কাছে অশনি-সঙ্কেত। এভাবে চলতে থাকলে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কেষ্ট গড়ে পদ্মফুল ফুটবে।

    তৃণমূলকে তোপ নবাগতদের

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তোপ দাগতে শুরু করেন নবাগতরা। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অচিন্ত্য দাস এবং গিরিধারী সরকারও। তাঁরা বলেন, “বর্তমানে গোটা বাংলার যা পরিস্থিতি, কারও যদি বিবেক বোধ থাকে, বিবেকের দংশন হয়ে থাকে, তাহলে তাঁরা কখনও তৃণমূল করবেন না।” বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের অভাব এবং সংখ্যালঘু তোষণের জন্য পুরানো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে এই পরিবারগুলি।

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে যখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড়, তখনই তৃণমূলে বড় ভাঙন বীরভূমে (Birbhum)। অনুব্রতর নোংরা হুমকি ফোন ঘিরে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে। অনুব্রতর মন্তব্য নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন ঘাসফুল শিবিরেরই অনেকে। দলের তরফে তড়িঘড়ি দায় ঝেড়ে, ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেষ্টকে। ক্ষমা চাইলেও, এখনও পুলিশের তলবে হাজির হননি (TMC) অনুব্রত। এই পরিস্থিতিতেই শিবির বদল দেড়শোরও বেশি পরিবারের (Birbhum)।

  • ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বিতর্ক ঘনায় ভোটদানের হার নিয়েও। এবার সেই (Voter Turnout Trends) সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। এবার থেকে নির্বাচন চলাকালীন জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার। পুরো কাজটি হবে একটি অ্যাপের সাহায্যে। এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে। জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী সেই পদ্ধতি?

    ভিটিআর (ECI)

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নয়া এই পদ্ধতিটিকে ভোটার টার্নআউট রেশিও বা ভিটিআর বলা হচ্ছে। ইসিআইএনইটি অ্যাপের সাহায্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা নির্বাচনের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের তথ্য আপলোড করবে। এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই নয়া প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর নতুন ইসিআইএনইটি অ্যাপে সরাসরি ভোটদানের হার তুলে ধরবেন। এতে ভোটদানের হার আপডেট করার সময়সীমা কমানো যাবে। তবে এই নয়া পদ্ধতি চালু করার কথা বললেও, পুরনো পদ্ধতি অর্থাৎ পোলিং এজেন্টদের ফর্ম ১৭সি পূরণ করার নিয়মে কোনও বদল আনা হচ্ছে না।

    ভোটদানের হার

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার নির্বাচনের পর ভোটদানের হার সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এমনই আবহে চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহারে। বছর ঘুরলেই বাংলার নির্বাচন, ভোট হবে তামিলনাড়ুতেও। নয়া পদ্ধতি চালু করে ভোট প্রক্রিয়াকে আরও অভিযোগমুক্ত করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর প্রিসাইডিং অফিসাররা সরাসরি ভোটদানের হার (ECI) আপলোড করবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপ ইসিআইএনইটিতে গিয়ে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের হার পরীক্ষা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

    ইসিআইয়ের মতে, নতুন ভিটিআর ভাগাভাগি প্রক্রিয়াটি পূর্ববর্তী ম্যানুয়াল রিপোর্টিং পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের ব্যবধান হ্রাস করে। তবে পোলিং এজেন্টদের দ্বারা রেকর্ড করা ভোটের হিসেব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করার আইনি প্রয়োজনীয়তা অপরিবর্তিতই থাকছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক মিলবে না, সেখানে সংযোগ পুনরুদ্ধারের পরে (Voter Turnout Trends) এন্ট্রিগুলি অফলাইনে করা এবং সিঙ্ক করা যেতে পারে (ECI)।

  • Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারত বিরোধী মন্তব্য করতে গিয়ে ফাঁপরে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। তিনি যখন বলেন, “ভারত মুসলমানদের জঙ্গি রূপে চিত্রিত করছে”, তখন তাঁর এই বক্তব্যের (UN) তীব্র প্রতিবাদ করেন এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক।

    বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি সাংবাদিক

    মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি ভারতে মুসলমানদের অপমান ও তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।” বিলাওয়ালের এই দাবির পরেই তাঁকে ধুয়ে দেন আহমেদ ফাতহি নামে এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক। তিনি বলেন, “আপনি আজ যেটা বললেন যে, কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাকে ভারত মুসলিমদের হেয় করার জন্য ব্যবহার করছে—আমি দু’পক্ষেরই ব্রিফিং দেখেছি। যতদূর মনে পড়ে, ভারতের পক্ষ থেকে ব্রিফিং পরিচালনা করেছিলেন এক মুসলিম সেনা অফিসার।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    প্রসঙ্গত, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দেন দু’জন উচ্চপদস্থ মহিলা সেনা অফিসার— ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার পাইলট উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিও। এই ঘটনার (UN) মাধ্যমে ভারতের সেনাবাহিনীতে জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব প্রদানের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Bilawal Bhutto)।

    বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ছে দেখে খানিক ভড়কে যান বিলাওয়াল। একপ্রকার প্রায় ঢোঁক গিলে মেনে নেন ফাতহির পেশ করা যুক্তি। সাংবাদিকের মন্তব্যে যে তিনি চরম অপ্রস্তুতে পড়েছেন, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু ওই ভাঙবো তবু মচকাবো না! ওই সাংবাদিক পরে প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তাঁকে থামিয়ে নিজের কথা বলে চলেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়। আমরা ১.৫ বা ১.৭ বিলিয়ন মানুষের ভবিষ্যৎকে কিছু অ-রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না, যাদের খেয়ালে দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। এটাই যেন নতুন স্বাভাবিক অবস্থা, যা আসলে একটি বিকৃত পরিস্থিতি — এবং ভারত সরকার তা এই অঞ্চলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” বিশ্ব দরবারে কাশ্মীর ইস্যুতে যে পাকিস্তান বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এদিন তা কবুল করে নেন বিলাওয়াল। তিনি (UN) বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের অভ্যন্তরে বা বাইরে কাশ্মীরের স্বার্থে আমরা যে বাধাগুলির মুখোমুখি হই, তা এখনও রয়েছে (Bilawal Bhutto)।”

  • Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব দরবারে আরও একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)! মালয়েশিয়ায় ‘ইসলামিক তাস’ খেলতে গিয়ে মুখে চুন করে ফিরতে হল শাহবাজ শরিফের দেশকে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে আলোচিত কাশ্মীর সমস্যার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সমস্ত কর্মসূচি (Indian Delegations Visit) বাতিল করার আবেদন জানায়।

    পাকিস্তানের অনুরোধ (Pakistan)

    পাকিস্তানি দূতাবাস মালয়েশিয়ার সরকারি কর্তাদের বলেছে, “আমরা একটি ইসলামিক দেশ, আপনারাও ইসলামিক দেশ। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কথা শুনবেন না। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করুন। মালয়েশিয়ায় তাদের সব কর্মসূচি বাতিল করা হোক।” সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ার সরকার পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছে। নস্যাৎ করে দিয়েছে তাদের দাবি। মালয়েশিয়ায় ভারতের ১০টি কর্মসূচি ছিল। সেই সবকটিতেই অনুমোদন দেয় মুসলিম রাষ্ট্র মালয়েশিয়া।

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য

    সোমবার রাতে ভারতে ফিরেছে জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাঁচটি দেশ – জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সফর শেষ করে আমি দেশে ফিরেছি। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিউ নর্মাল নীতি এবং অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিশ্বকে জানানো। এই সময়ে পাঁচটি দেশের সিনিয়র মন্ত্রী, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আমরা যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত।” তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া-সহ সমস্ত দেশ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার প্রত্যেক পরিবারের উদ্দেশে তাদের সমবেদনা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে জঙ্গিঘাঁটিগুলির নির্ভুল নিশানায় ভারতের আক্রমণের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, ভারতের প্রত্যাঘাত, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সবই আলোচনা হয়েছে (Indian Delegations Visit)।

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের দলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লাল, প্রদন বড়ুয়া, হেমাঙ্গ জোশী, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের জন ব্রিটাস (Indian Delegations Visit), কংগ্রেস সাংসদ সালমান খুরশিদ এবং বাহরিন ও ফ্রান্সে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মোহন কুমার (Pakistan)।

  • BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে বারবার প্রশ্ন তুলছেন, তাতে আমি নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করছি – তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের কোনও পেইড এজেন্ট?” মঙ্গলবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সম্বিত পাত্র। সম্প্রতি রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ও অপারেশন সিঁদুরের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচারের অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায়ও তোলেন তিনি।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময় মোদি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনকলের পর আত্মসমর্পণ করেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন এবং একটি সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করছেন।” তাঁর দাবি, রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ভারত মাতার অবমাননা করছেন। তিনি যা বলছেন, তাতে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন অচলাবস্থার সময় চিনা তাঁবুর নীচে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরা হয়েছিল।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    রাহুলের ‘আত্মসমর্পণ’ শব্দ ব্যবহারের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সম্বিত বলেন, “নিজ দেশের বিষয়ে কথা বলার সময় কোনও সভ্য রাজনীতিবিদ বা বিরোধী দলনেতা কখনও আত্মসমর্পণ শব্দটি ব্যবহার করেন না। যিনি জন্মভূমির জন্য এমন শব্দ ব্যবহার করেন, তিনি রাজনীতির উপযুক্ত নন।” তিনি জানান (BJP), ২১ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে, যার ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড এবং ১১টি এয়ার বেস ধ্বংস করা হয়। সম্বিত বলেন, “তা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী ‘ভারতবর্ষ’কে আত্মসমর্পণকারী বলে উল্লেখ করেছেন এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে উপহাস করেছেন।” তিনি বলেন, “ভারত কখনওই আত্মসমর্পণ করে না, ভারতবর্ষ কখনও সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করেনি (Rahul Gandhi)।”

    শেহজাদ পুনাওয়ালার বক্তব্য

    সম্বিত বলেন, “আগের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করত। সেই সময় ছিল যখন আপনারা (কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার) শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ডসিয়ার-ডসিয়ার’ খেলতেন। এখন আর ডসিয়ার নয়, শুধু ‘ডোজ’ দেওয়া হয়।” রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আর এক মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) পাকিস্তানি প্রচারের নেতা। রাহুল ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ‘লিডার অফ অপজিশন’ শব্দের মানে এখন পাকিস্তানি প্রচারের নেতা।” পুনাওয়াল্লা বলেন, “যে ধরনের প্রচার পাকিস্তানও করতে পারেনি, তা এখন করছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর বিদেশি জিনিসের প্রতি বিশেষ আসক্তি – সেটা প্রোপাগান্ডা হোক বা কোনও নেতা।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিদেশি মধ্যস্থতার দাবি খারিজ করে দিয়ে পুনাওয়ালা রাহুলকে তাঁর নিজের দলের প্রবীণ নেতাদের কথা শোনার আহ্বান জানান (BJP)।

    শশী, মনীশ, সলমনের কথা তো বিশ্বাস করুন!

    তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস যা বলেছেন, বিদেশ মন্ত্রণালয় যা বলেছে — অন্তত (Rahul Gandhi) সেটুকু তো বিশ্বাস করুন। যদি তাঁদের না-ই বিশ্বাস করেন, তাহলে অন্তত শশী (থারুর), মনীশ (তেওয়ারি) আর সলমন (খুরশিদ) যাঁরা বলেছেন যে কোনও মধ্যস্থতা হয়নি, ভারত ফোন করেনি, বরং পাকিস্তানের ডিজিএমও-ই ভারতের কাছে পৌঁছেছিল — অন্তত তাদের কথা শুনুন।’’ তাঁর দাবি, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তারা ভারতের কাছে ‘পরাজিত’ হয়েছে এবং এখন তারা ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানাচ্ছে।

    চিফ অফ ডিফেন্সের বক্তব্য

    সম্প্রতি চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান বলেছিলেন, “যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতিটা আসল নয়। আসল হল, লক্ষ্যপূরণ হয়েছে কি না।” তিনি জানান, ভারতীয় সেনা প্রাথমিক ত্রুটি শুধরে নিয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সমর্থ হয়। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাফালের মতো যুদ্ধ বিমানও (BJP)।

    চৌহান এমনতর দাবি করলেও, রাহুল ধারাবাহিকভাবে সরকারের সাফল্যের দাবিকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে বিদ্ধ করে গিয়েছেন। বিরোধী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা ব্যতিক্রম। তিনিই একমাত্র সেনার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন। ফলে সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ (Rahul Gandhi) অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন (BJP)।

  • Ramakrishna 370: মেয়েদের কথা শুনছি, শুনতে শুনতে আনন্দ হচ্ছে, এও এক রকম রমণ

    Ramakrishna 370: মেয়েদের কথা শুনছি, শুনতে শুনতে আনন্দ হচ্ছে, এও এক রকম রমণ

    সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম গৃহস্থাদির নিয়ম ও গিরিশ

    সন্ন্যাসীর ভক্ত স্ত্রীলোকের সঙ্গে বসা বা আলাপ করা ভালো নয়। নিজের ক্ষতি। আর অন্য লোকেরও ক্ষতি। অন্য লোকের শিক্ষা হয় না। লোকশিক্ষা হয় না (Kathamrita)। সন্ন্যাসীর দেহ ধারণ লোক শিক্ষার জন্য।

    মেয়েদের সঙ্গে বসা কি বেশিক্ষণ আলাপ, তাকেও রমন বলেছে। রমন আট প্রকার। মেয়েদের কথা শুনছি, শুনতে শুনতে আনন্দ হচ্ছে। এও এক রকম রমণ। মেয়েদের কথা বলছি এও একরকম রমণ। মেয়েদের সঙ্গে নির্জনে চুপিচুপি কথা কচ্ছে ও এক রকম রমণ (Kathamrita)। মেয়েদের কোনও জিনিস কাছে রেখে দিয়েছি, আনন্দ হচ্ছে ও এক রকম। স্পর্শ করা একরকম। তাই গুরু পত্নী যুবতী হলে পাদ স্পর্শ করতে নাই। সন্ন্যাসীদের এইসব নিয়ম (Ramakrishna 370)।

    সংসারীদের আলাদা কথা। দু একটি ছেলে হলে ভাই-ভগ্নির মতো থাকবে। তাদের অন্য সাত রকম রমণে দোষ নাই। গৃহস্থের ঋণ আছে, দেবঋণ, পিতৃঋণ আবার মাগঋণও আছে। একটি দুটি ছেলে হওয়া আর সতী হলে প্রতিপালন করা (Ramakrishna 370)।

    সংসারীরা বুঝতে পারে না কে ভালো স্ত্রী, কে মন্দ স্ত্রী! কে বিদ্যাশক্তি কে অবিদ্যা শক্তি। ভালো স্ত্রী বিদ্যাশক্তি। তার কাম ক্রোধ এসব কম। ঘুম কম। স্বামীর মাথা ঠেলে দেয়। বিদ্যাশক্তির স্নেহ দয়া ভক্তি লজ্জায় এইসব থাকে। সে সকলের সেবা করে বাৎসল্যভাবে। আর স্বামীর যাতে ভগবানে ভক্তি হয় তার সাহায্য করে। বেশি খরচ করে না পাছে স্বামীকে বেশি খাটতে হয়। ঈশ্বর চিন্তার অবসর না হয় (Ramakrishna 370)।

    আবার পুরুষ মেয়ের অন্যান্য লক্ষণ আছে। খারাপ লক্ষণ। ট্যারা, চোখ ওঠর, বিড়াল চোখ। বাছুরেগাল (Kathamrita)।

  • Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের কারণ জানাতে আমেরিকায় গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধি দল। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেসের শশী থারুর (Shashi Tharoor)। এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলও। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের প্রতিনিধি দলই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্দেশ্যে সে দেশে গিয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে দুটি প্রতিনিধিদল একে অপরের মুখোমুখি না হলেও, দুই দলনেতা থারুর আর বিলাবলের বাগযুদ্ধ কিংবা বিবৃতিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

    নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা (Shashi Tharoor)

    গত ২৪ মে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা। সেই সময় ছুটিতে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। ফলে তাঁদের কারও সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেনি ভারতের প্রতিনিধি দল। থারুররা গায়ানা, পানামা, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল সফর শেষে ফের আমেরিকায় পৌঁছন। এদিকে, রবিবারই আমেরিকায় পৌঁছেছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, থারুররা ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে তো বটেই, মার্কিন আইনসভার প্রভাবশালী কমিটিগুলির সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। আর পাক প্রতিনিধি দল দেখা করবে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে। তবে ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দেশের দুই প্রতিনিধি দল একই সময়ে আমেরিকার একই শহরে উপস্থিত থাকবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    ভারতের প্রতিনিধি দল

    থারুরের নেতৃত্বাধীন ভারতের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা, শিবসেনা সাংসদ মিলিন্দ দেওরা, প্রাক্তন কূটনীতিবিদ তরণজিৎ সিং সান্ধু। আর পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলে বিলাবল ছাড়াও রয়েছেন সে দেশের আর এক প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার, প্রাক্তন দুই বিদেশসচিব, আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রদূত এবং প্রাদেশিক সরকারের এক মন্ত্রীও।

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড

    গত ২২ এপ্রিল (Shashi Tharoor) দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। ওই ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে ভারত। এরপর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত (Bilawal Bhutto)। অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের বার্তা দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। স্থির হয় এই সাতটি দল সফর করবে বিশ্বের ৩২টি দেশ। থারুরের নেতৃত্বাধীন দলটি যাবে আমেরিকায়। ভারতের দেখাদেখি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানও। আন্তর্জাতিক মহলের সামনে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবলকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেন। পাক প্রতিনিধি দলের এক সদস্যের কথায়, “প্ররোচনা সত্ত্বেও আমরা পরিণতমনস্কতার সঙ্গে জবাব দিয়েছি। আমরা এই সত্যিটা তুলে ধরতেই এখানে এসেছি, স্লোগান দিতে নয় (Shashi Tharoor)।”

    অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা

    প্রথম দফায় যখন থারুরের দল নিউ ইয়র্কে গিয়েছিল, তখন তিনি অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, তিনি শাসক দলের প্রতিনিধি নন, বিরোধী দলের সদস্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে করেন, পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার সময় এসেছে। থারুর বলেন, “ও দেশে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল রয়েই গিয়েছে। তাই কড়া আঘাত করা জরুরি ছিল (Bilawal Bhutto)।”

    কী বললেন থারুর

    থারুর বলেন, “আগামিকাল ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল থাকবে এবং আমরা (ভারতীয় প্রতিনিধি দল) একই তারিখে ওয়াশিংটনেই থাকব। ফলে একই শহরে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে আগ্রহ আরও বাড়তে পারে।” তবে পাক প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি সত্ত্বেও নির্ধারিত লক্ষ্যভিত্তিক শ্রোতাদের কাছে ভারতের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন বলেই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন থারুর। তিনি বলেন, “এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ (Shashi Tharoor)। আমেরিকা একটি  গণমাধ্যমের ক্ষেত্র, যা বিশ্বের সংবাদ উৎপাদক হিসেবে কাজ করে। তাই আমাদের কাহিনি তাদের অগ্রাধিকারে নাও থাকতে পারে। কিন্তু যদি আমরা দক্ষিণ এশিয়া, ভারত বা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি, তাহলে আমাদের বার্তা খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারব।” তিনি (Shashi Tharoor) বলেন, “পাকিস্তানিরাও যে বিদেশে দল পাঠিয়েছে, এটা কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়। তারা কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট রাজধানীকেই গুরুত্ব দিচ্ছে (Bilawal Bhutto)।”

  • Jaish-E-Mohammed Terrorist: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় হুমকি দিয়েছিলেন মোদিকে, পাকিস্তানে সেই শীর্ষ জইশ কমান্ডারের ‘রহস্য-মৃত্যু’

    Jaish-E-Mohammed Terrorist: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় হুমকি দিয়েছিলেন মোদিকে, পাকিস্তানে সেই শীর্ষ জইশ কমান্ডারের ‘রহস্য-মৃত্যু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানেই (Pakistan) ফের রহস্যজনক মৃত্যু হল এক শীর্ষ জঙ্গি-নেতার। মৃত অবস্থায় উদ্ধার জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-E-Mohammed Terrorist) শীর্ষ কমান্ডার মৌলানা আবদুল আজিজ ইসারের দেহ। মুম্বই হামলার মূল চক্রী জইশ-চিফ মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠবৃত্তের একজন ছিল ইসার। ভারতে জইশের একাধিক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে হাত ছিল আজিজ ইসারের।

    জঙ্গি নেতার রহস্য মৃত্যু (Jaish-E-Mohammed Terrorist)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় আজিজ ইসারের দেহ। এই বাহাওয়ালপুরেই রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ওই জঙ্গির দেহে একাধিক গুলির ক্ষত রয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত যে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, সেই সময় ভারতের হিট পয়েন্টে ছিল এই বাহাওয়ালপুরও।সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজিজ ইসার মূলত জঙ্গি প্রশিক্ষণের বড় দায়িত্বে ছিল। পাঞ্জাব প্রদেশে এবং বিশেষ করে বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালপিন্ডির মতো এলাকায় ভারতের বিরুদ্ধে স্থানীয় তরুণদের উসকানি দিত সে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আজিজ ইসারের মৃত্যুতে নয়া জঙ্গি তৈরি, বিশেষ করে স্থানীয়দের নিয়োগ এবং মগজ ধোলাই নেটওয়ার্কের কাজে জইশ বড় ধাক্কা খেল। উল্লেখ্য, আজিজ ইসারই প্রথম নয়, গত এক মাসে পাকিস্তানে রহস্যমৃত্যু হয়েছে একাধিক শীর্ষ জঙ্গি নেতার।

    আজিজ ইসারের হুমকি

    ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন আজিজ ইসারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে সে সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে (Jaish-E-Mohammed Terrorist) বলে, “নরেন্দ্র মোদি, হিন্দুস্তানের সরকারকে সামলাও। মুজাহিদিন কাশ্মীর ছিনিয়ে নেবে তোমাদের কাছ থেকে।” এহেন জঙ্গি নেতার রহস্যমৃত্যুতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, বাহওয়ালপুরে জইশের সদর দফতরেই আবদুলের শেষকৃত্য হবে।

    ভারত বিরোধী বক্তৃতা দেওয়ার জন্যই পরিচিত ছিল আজিজ ইসার। গত মাসেই পাকিস্তানের এক জনসভায় ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিল সে। আজিজ ইসার ওই জনসভায় দাবি করেছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের দশা হতে চলেছে ভারতের। সোভিয়েত ইউনিয়ন যেভাবে ভেঙে গিয়েছিল, ভারতও তেমনিভাবে ভেঙে যাবে। আজিজ ইসারের মৃত্যুতে পাক সরকারের তরফে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি (Pakistan) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে ছিল আজিজ ইসারের সংগঠনের ডেরা বাহাওয়ালপুরও (Jaish-E-Mohammed Terrorist)।

  • Himanta Biswa Sarma: পাকিস্তানের মিথ্যে হুমকির বেলুন ফাটিয়ে দিলেন হিমন্ত, ইসলামাবাদকে দিলেন ভূগোলের পাঠ

    Himanta Biswa Sarma: পাকিস্তানের মিথ্যে হুমকির বেলুন ফাটিয়ে দিলেন হিমন্ত, ইসলামাবাদকে দিলেন ভূগোলের পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। তার পরেই বন্ধু দেশ চিনকে পাশে টেনে ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান (Pakistan)। শাহবাজ শরিফের দেশের ওই হুঁশিয়ারিতে যে ভারত আদৌ ভীত নয়, ওই হুঁশিয়ারি যে নিছকই ফাঁকা বুলি, তা সাফ জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    পাকিস্তানের বেলুন ফুটো (Himanta Biswa Sarma)

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, চিন যদি ব্রহ্মপুত্র নদে বাঁধ দেয় বা জল বন্ধ করে দেয়, তাহলে অসুবিধা তো দূর, বরং সুবিধাই হবে ভারতের। ২ জুন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে পাকিস্তানকে বাস্তবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “যদি চিন ব্রহ্মপুত্রের জল ভারতকে দেওয়া বন্ধ করে দেয়? পাকিস্তানের নয়া আতঙ্ক কল্পনার জবাব— ভারত যখন পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি থেকে সরে এসেছে, তখন পাকিস্তান তার মিত্র চিনের নাম করে আর একটি মিথ্যা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে – যদি চিন ভারতের দিকে ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধ করে দেয়?’ এই মিথ্যাটিকে আমরা ভয় দিয়ে নয়, বরং তথ্য দিয়ে ভেঙে দিই— ব্রহ্মপুত্র এমন একটি নদ যা ভারতে ‘বাড়ে’, ছোট হয় না। চিন ব্রহ্মপুত্রের মোট প্রবাহের মাত্র ৩০–৩৫ শতাংশ জল সরবরাহ করে, সেটিও প্রধানত হিমবাহ গলে যাওয়া ও সীমিত তিব্বতি বৃষ্টিপাত থেকে।”

    ব্রহ্মপুত্রের জল

    তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্রের বাকি ৬৫–৭০ শতাংশ জল ভারতে তৈরি হয়, মূলত অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে প্রচণ্ড বর্ষণের ফলে। এছাড়া সুবনসিরি, লোহিত, কামেং, মানাস, ধানসিরি, জিয়া-ভরালী, কপিলি ও খাসি, গারো ও জয়ন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা নদী যেমন কৃষ্ণাই, দিগারু ও কুলসি ভারতের মধ্যে ব্রহ্মপুত্রকে প্রবাহিত রাখতে বড় অবদান রাখে। এভাবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্টভাবে বোঝান যে, চিন জল বন্ধ করলেও ব্রহ্মপুত্র ভারতের ভিতরেই বয়ে চলে এবং শক্তিশালী থাকে। পাকিস্তানের আতঙ্ক-সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে তিনি তথ্য দিয়ে খণ্ডন করে দেন (Himanta Biswa Sarma)। ব্রহ্মপুত্রের উৎস তিব্বতের মালভূমি। ভারতীয় উপমহাদেশ, দেশের উত্তর-পূর্ব অংশকে কৃষিকাজের জল জোগায়, পানীয় জল জোগায়, বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমের চেমাইয়ুংদাং হিমবাহ থেকে এর উৎপত্তি। তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র পরিচিত ইয়ারলুং সাংপো নামে। অরুণাচলপ্রদেশে এর নাম হয়েছে দিহাং। সমস্ত উপনদী সঙ্গমে এসে মিশলে নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। বাংলাদেশে এই নদেরই নাম যমুনা। শেষে এই নদী এসে মিশেছে সুন্দরবনের কাছে গঙ্গায়, যা থেকে তৈরি হয়েছে সুন্দরবন ব-দ্বীপ (Pakistan)।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “চুটিংয়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে জলের স্রোত ২০০০-৩০০০ কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ডে। অসমের সমতল গুয়াহাটিতে তা-ই ফুলেফেঁপে হয় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার কিউসেক। ব্রহ্মপুত্রের উজানের ওপর ভারত নির্ভরশীল নয়। ব্রহ্মপুত্র ভারতের বৃষ্টিনির্ভর নদী ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে, সেটি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের পরেই শক্তিশালী হয়েছে। এই সত্যটা পাকিস্তানের জানা দরকার। আর চিন যদি জলের স্রোত বন্ধ করার কথা ভাবে (চিন অবশ্য এখনও এমন কথা বলেনি), তাতে ভারত উপকৃতই হবে। প্রতিবছর বন্যা হবে না অসমে, যাতে লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হন, জীবনজীবিকা নষ্ট হয় প্রতি বছর। অন্যদিকে, পাকিস্তান ৭৪ বছর ধরে সিন্ধু জলচুক্তির সুবিধা নিয়ে এসেছে। এখন ভারত নিজের সার্বভৌমিক ক্ষমতা দাবি করায় আতঙ্কিত। ওদের মনে করিয়ে দিই, ব্রহ্মপুত্রকে কোনও একপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে না। আমাদের ভূগোল, বর্ষা এবং সভ্যতা তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ এবং ভারত এখন তার জলসম্পদ সম্পর্কে স্বাধীন ও সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম (Himanta Biswa Sarma)।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তির অধীনে ৭৪ বছর ধরে যে অগ্রাধিকারমূলক জলপ্রবাহের সুবিধা ভোগ করে এসেছে, এখন ভারত যখন বৈধভাবে তার সার্বভৌম অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে, তখন শত্রুর মতো আচরণ করা প্রতিবেশী দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    নাকের জলে চোখের জলে পাকিস্তান

    স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে স্বাক্ষরিত হওয়া সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার পর নাকের জলে চোখের জলে হওয়ার জোগাড় পাকিস্তানের। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সিন্ধুর শাখানদীগুলির জলপ্রবাহ কমে যাওয়ায় পাঞ্জাব প্রদেশে ব্যাপক জলসংকট দেখা দিয়েছে। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জলও মিলছে না (Pakistan)। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহবাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইহসান আফজল রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ভারত যদি পাকিস্তানের জল বন্ধ করতে পারে, তাহলে চিনও ভারতের সঙ্গে একই কাজ করতে পারে। মনে হয় সেটা একেবারেই ভালো কাজ হবে না। এমনটা চলতে থাকলে পৃথিবীজুড়ে এক নয়া যুদ্ধ শুরু হবে (Himanta Biswa Sarma)।

LinkedIn
Share