Tag: Bengali news

Bengali news

  • Holi 2025: রঙ খেলার পরে ফের কীভাবে ঝকঝকে হবেন? ত্বকের যত্ন নিতে কী করবেন?

    Holi 2025: রঙ খেলার পরে ফের কীভাবে ঝকঝকে হবেন? ত্বকের যত্ন নিতে কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসন্ত উৎসব বা হোলিতে (Holi 2024) অনেকেই চুটিয়ে রঙ খেলেন। বসন্তের আবির এবং পলাশ রঙে মেতে ওঠেন সকলে। কিন্তু এই আবহে চুল এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। রঙ খেলার পর নানা ভাবে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে জ্বালা, ক্ষয় ইত্যাদি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কীভাবে যত্ন নেবেন একবার জেনে নিন। দেখে নিন, কীভাবে হয়ে উঠবেন সেই আগের মতো।

    কেন রঙ ক্ষতিকারক? (Holi 2024)

    উত্তরাখণ্ডের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশা সাকলানি বলেছেন, “হোলিতে (Holi 2024) আবিরের সঙ্গে অনেক পরিমাণে শুকনো রঙ, পেইন্ট এবং ভেজা রঙ ব্যবহার করা হয়। আবির বা রঙে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দাম কম হওয়ায় বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয় এগুলি। কিন্তু এতে বেশি পরিমাণে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দেওয়া থাকে। ত্বক ও চুলের জন্য অনেক ক্ষতি করে।” তাই বসন্তের দোল উৎসবে (Holi 2024) রঙ খেলার সময় খুব সর্তকতা এবং নিয়ম মানলে ত্বককে ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায়। তবে কোনও বিশেষ রোগ থাকলে রঙ না খেলাই ভালো। ভেষজ রং বা আবির ব্যবহারের দিকে নিজর রাখতে হবে।

    ময়েশ্চারাইজার মাখুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির ছোট থেকে বড় সকলের ময়েশ্চারাইজার মেখে দোলে (Holi 2024) রঙ খেলা উচিত। শুধু মুখে নয়, সারা শরীরে এটি মেখে রঙ খেলুন। ফলে ত্বকের মধ্যে রঙ বসে যাবে না এবং ক্ষতি কম করবে। তাড়াতাড়ি রঙ ওঠার ক্ষেত্রে ভীষণ সুবিধাজনক হবে। তবে স্টেরয়েড ধর্মী কোনও ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।

    নারকেল তেল মাখুন

    দোলে (Holi 2024) রঙ খেলার আগে কোনও রকম শ্যাম্পু ব্যবহার করার দরকার নেই। এতে মাথার তালু শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। নারকেল তেল, জোজোবা অয়েল এক সঙ্গে মিশিয়ে দোলের আগের দিন রাতে চুলে ভালো করে মাখতে হবে। শুষ্ক ভাব থাকবে না এবং চুলের ক্ষতি কম হবে। এতে রঙ চুলের ক্ষতি কম করবে। হোলির দিনে রঙ মাখার আগে শরীরে সানস্ক্রিন ভালো করে মেখে নিন। রঙ খেলার অন্তত দু’দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

    কীভাবে রঙ তুলবেন?

    হোলিতে রঙ খেলার (Holi 2024) পর চুল থেকে তা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করতে প্রথমে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে চুলগুলিকে পরিষ্কার করুন। এতে লেগে থাকা শুষ্ক রঙ পড়ে যাবে। তারপর শুধুমাত্র হালকা গরম জল দিয়ে ভালো করে চুলগুলিকে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফলে চুলে আটকে থাকা অতিরিক্ত রঙ ও ময়লা ঝরে যাবে। এরপর হালকা বা হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে। আর সম্ভব হলে চুল ধোয়ার পর শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এই ভাবে আপনার চুলে ক্ষতি কম হবে।

    দোল উৎসবে ত্বকের যত্ন নিতে কী কী উপায় নেবেন

    ওটমিলের মিশ্রণ: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন টেবিল চামচ ওটসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং মধু মেশাতে হবে। হোলির ঠিক পরেই এই ফেস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। সামান্য শুকিয়ে এলে অল্প জল দিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। ৪০ মিনিট মুখে রেখে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

    বেসন ও দুধের মিশ্রণ– বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে মাখুন। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।  সামান্য গরম জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। দুধে আছে ভিটামিন-এ। যা ব্রণর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

    নারকেল তেল– এখন দোলের সময় বেশিরভাগ রঙই ভেষজভাবে তৈরি হয় যাতে তা ক্ষতিকারক না হয় ত্বকের জন্য। ভেষজ উপায়ে বানানো রঙ ছাড়া দোলের সময় যে রঙ সাধারণত ব্যবহার করা হয়, তাতে থাকে রাসায়নিক পদার্থ। তা থেকেই মুখে অ্যালার্জি বা অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যেখানে মনে হচ্ছে সমস্যা হচ্ছে, সেই সব জায়গায় সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল দিতে পারেন। এতে সাময়িকভাবে স্বস্তি মিলতে পারে।

    দই ও লেবুর রসের মিশ্রণ– সামান্য পরিমাণে লেবুর রস, দই এবং এক চিমটে চন্দন কাঠ ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এই মিশ্রণ ত্বক থেকে রঙের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকে আনে জেল্লা। দোলের রঙ থেকে ত্বক রক্ষা করতে এই মিশ্রণের জুড়ি মেলা ভার।

    অ্যালোভেরা– অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা আপনার ত্বককে অ্যালার্জি এবং ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা করে। দোলে রঙ মাখার আগে অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বককে হাইড্রেট করতে পারেন।

    এগুলো সবই ঘরোয়াভাবে উপলব্ধ। পাশাপাশি আরও যে উপাদানগুলো ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করবে হোলিতে সেগুলি হল, বডি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার, নন-কমেডোজেনিক এসপিএফ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঘাড়, মুখ ও কানে সানস্ক্রিন যত ঘন হবে তত ভালো।

  • Holi: দোলের আরেক নাম বসন্ত মহোৎসব, কেন জানেন?

    Holi: দোলের আরেক নাম বসন্ত মহোৎসব, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোলকে রঙের উৎসব বলা হয়, যা ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। এই বছর দোল পালিত হচ্ছে আজ অর্থাৎ ১৪ মার্চ। দোল হল অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির জয়। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন পৌরাণিক আখ্যান তাই বলছে। কিন্তু আপনি কি জানেন দোল বা হোলির ইতিহাস কী এবং কেন একে বসন্ত মহোৎসব বা কাম মহোৎসবও বলা হয়।

    দোল (Holi) বা হোলির ইতিহাস

    প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থগুলিতে হোলি বা দোলের উল্লেখ পাওয়া যায়। জৈমিনীর পূর্ব মীমাংসা সূত্র এবং কথা গড়্য-সূত্র, নারদ পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ এবং বহু গ্রন্থে এর বর্ণনা পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক দিক থেকেও হোলির গুরুত্ব কম কিছু নয়। সম্রাট হর্ষবর্ধন রচিত রত্নাবলী নাটকে এর উল্লেখ মেলে। আবার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন নামটির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন ভারতের হোলি খেলা। দোল একটি প্রাচীন উৎসব হিসাবে বিবেচিত হয়।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পুরাণ মতে, বিষ্ণুর ভক্ত প্রহ্লাদকে হত্যা করতে হিরণ্যকশিপুর পরামর্শ মতো তার বোন হোলিকা অগ্নিকুণ্ডে বসেন। হোলিকার শরীর ছিল ব্রহ্মার বরে প্রাপ্ত চাদর দিয়ে ঢাকা। এই রক্ষাকবচের ফলে হোলিকা অগ্নিদগ্ধ হবেনা কিন্তু প্রহ্লাদ জ্বলে যাবে এই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু শেষে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় চাদর উড়ে গিয়ে পড়ে প্রহ্লাদের গায়ে এবং অগ্নিদগ্ধ হন হোলিকা। তাই দোলের আগেরদিন অশুভ শক্তির পরাজয়ের প্রতীক হিসেবে হোলিকা দহনের রীতি সারা ভারতজুড়ে দেখা যায়।

    কেন দোল (Holi) পূর্ণিমাকে বসন্ত মহোৎসব বলা হয় 

    দোল উৎসব বসন্ত কালে পালিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বসন্তে পালিত হওয়ার কারণে এটিকে বসন্ত মহোৎসব এবং কাম মহোৎসব বলা হয়েছে। কামদেব সম্পর্কিত কাহিনী অনুসারে, সত্যযুগে এই দিনে, ভগবান শিব কামদেবকে ধ্বংস করার পর, রতিকে শ্রীকৃষ্ণের স্থানে কামদেব রূপে জন্মগ্রহণ করার বর দিয়েছিলেন। তাই দোলকে ‘বসন্ত মহোৎসব’ বা ‘কাম মহোৎসব’ও (Dol Purnima) বলা হয়।

  • Dolyatra: শান্তিনিকেতন-নবদ্বীপ সমেত বাংলায় আর কোথায় দোল উৎসব জনপ্রিয়?

    Dolyatra: শান্তিনিকেতন-নবদ্বীপ সমেত বাংলায় আর কোথায় দোল উৎসব জনপ্রিয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাদ রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ! এরই মধ্যে অন্যতম হল দোল বা হোলি (Dolyatra)। আমাদের রাজ্যে যা দোল, বাইরের রাজ্যে তাই হোলি। ভারতবর্ষের প্রতিটা রাজ্যেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। মাঝখানে করোনা মহামারী আসায় বেশ কিছুটা ছন্দ পতন ঘটেছিল। পরে আবার সবকিছুই ঠিকঠাক হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই দোলের মাহাত্ম্য একেবারেই অন্যরকম। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মানা হয়। বঙ্গে কোথাও পালন হয় বসন্ত উৎসব, তো কোথাও হয় আবার রাধা- কৃষ্ণের বিশেষ পুজো (Holi)। জেনে নেওয়া যায় বাংলার কোন স্থানগুলি এই উৎসবের জন্যে বিশেষভাবে পরিচিত।

    শান্তিনিকেতনের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব (Dolyatra) শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর শুরু করা সেই উৎসব আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেক বাঙালিই। দোল খেলতে চলে যান শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা কাঠি নাচ ও গানে-নাচে উদযাপন করেন বসন্তকে। মেয়েদের পরনে থাকে হলুদ শাড়ি। ছেলেরা সাদা পাজামা-পঞ্জাবি। গলায় থাকে উত্তরীয়। আবিরের রঙে ভাসে গোটা শান্তিনিকেতন। প্রতি বছর এই বসন্ত উৎসবের টানে এখানে ভিড় জমান লক্ষাধিক ট্যুরিস্ট।

    নবদ্বীপ ও মায়াপুরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    দোল পূর্ণিমাই হল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি বলে জানা যায়। এদিনই বিশেষ উৎসব পালিত হয় হিন্দু বঙ্গ সমাজে। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা- কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষ রীতিতে। ভক্তদের বিশ্বাস, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মেতেছিলেন। একইভাবে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নদীয়া জেলার এই পবিত্র স্থানেও ট্যুরিস্ট ও পুণ্যার্থীরা হাজির হন। পবিত্র মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন দোল উৎসবে। প্রায় একমাস আগে থেকেই এখানে চলে প্রস্তুতি। কৃষ্ণপ্রেমী বিদেশীরাও রঙের উৎসবে সামিল হল আনন্দ ও নিষ্ঠার সঙ্গে।

    মদন মোহন মন্দিরের দোলযাত্রা (Dolyatra)

    বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দিরেও বড় করে দোল উৎসব হয়। ১,৬০০ খ্রীস্টাব্দের শেষ দিকে রাজা দুর্জান সিং দেব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হিন্দু ধর্মীয় বই, রামায়ণ এবং মহাভারত ইত্যাদি মন্দিরের দেয়ালগুলিতে খোদাই করা রয়েছে আজও। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে সম্মান জানাতে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাই প্রতি বছর দোলযাত্রায় এখানে বিশেষ উৎসব পালিত হয়।

    নিমদিহির দোলযাত্রা (Dolyatra)

    পুরুলিয়া জেলার নিমদিহিতে দোলের সময়ে বিশেষ লোক উৎসবের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে আগত পর্যটকরা লোকশিল্প উপভোগ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ছৌ নাচ, দরবারি ঝুমুর, নাটুয়া নাচ, বাউল গান ইত্যাদি। মূলত বসন্তকেই উদযাপন করা হয় এই সময়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দোল উপলক্ষ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব হয় মথুরা-বৃন্দাবনে। ১৬ দিন ধরে চলে এই উৎসব।

  • Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    Holi 2025: শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের এই সব দেশেও মহা উৎসাহে পালিত হয় হোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে হোলি (Holi 2025)। রঙের এই উৎসবে দেশবাসী মেতে ওঠেন। সঙ্গে থাকে নানা রকমের সুস্বাদু মিষ্টি। হোলি উৎসবের উদযাপন শুধুমাত্র রঙের উৎসব নয় বরং  এটি প্রেম ও ঐক্যেরও প্রতীক বলেও মানা হয়। পশ্চিমবঙ্গে পালিত হয় দোল। বাকি দেশে এর নাম হোলি। তবে দেশের বাইরেও হোলি উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ভারত (India) ছাড়াও যে দেশগুলিতে হোলি উৎসব (Holi 2025) সাড়ম্বরে পালিত হয়, সে নিয়েই আজকের আলোচনা।

    ১. নেপাল

    ভারতের প্রতিবেশী দেশ হল নেপাল। হিন্দু ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এই দেশটির। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই দেশেই বিবাহ হয়েছিল রামচন্দ্রের। নেপালে হোলির পরিচয় ফাগু পূর্ণিমা নামে। নেপাল জুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই উৎসব উদযাপিত হয়। কাঠমাণ্ডু এবং পোখরার মতো শহরে, মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়ে রঙ নিয়ে মেতে ওঠেন উৎসবে। গানের তালে তালে নাচ এবং উৎসবের পরিবেশে চলে হোলি উদযাপন। রঙ মেশানো জলের বেলুন এবং রঙিন আবির নিয়ে হোলি উৎসবে (Holi 2025) মেতে ওঠেন নেপালের বাসিন্দারা।

    ২. মরিশাস

    মরিশাসেও প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় রয়েছেন। মূলত উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের বাসিন্দারাই এখানে বসতি গড়েছিলেন। এই দেশেও ধুমধাম করে চলে উৎসবের পালন। ভজন-কীর্তন, হোলিকা দহন এবং রঙ খেলায় মেতে ওঠেন মরিশাসের হিন্দুরা (Holi 2025)। হিন্দু প্রধান মরিশাসে হোলির গুরুত্ব এতটাই যে এই দিনটিকে সরকার জাতীয় ছুটি বলে ঘোষণা করেছে।

    ৩. ফিজি

    ফিজিতেও বিরাট সংখ্যায় প্রবাসী ভারতীয়রা থাকেন। মূলত উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে আসা প্রবাসী ভারতীয়রাই থাকেন এখানে। ফিজিতে হোলি একটি জাতীয় উৎসব। এখানে ঐতিহ্যবাহী গান, নাচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয় হোলি। তবে কেবল ভারতীয় সম্প্রদায়ই নয়, স্থানীয় ফিজিয়ান জনগোষ্ঠীও হোলিতে অংশগ্রহণ করে।

    ৪. পাকিস্তান

    দেশভাগের পরে ইসলামিক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে পাকিস্তান। তারপরে আজও এই দেশ থেকে হিন্দু নির্যাতনের খবর সামনে আসে। তবে এসব ভীতিকে উপেক্ষা করেই পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ, করাচি, লাহোর এবং অন্যান্য অঞ্চলে অনেক হিন্দুরা হোলি উদযাপন করেন। হিন্দু মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় কেন্দ্রগুলিতে জমকালো হোলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মানুষজন রঙিন আবির নিয়ে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এই উদযাপন আরও বেশি জনপ্রিয়তা।

    ৫. বাংলাদেশ

    সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এখানকার হিন্দুরা হোলিতে মেতে ওঠেন অত্যন্ত সাড়ম্বরে। তবে চলতি বছরে ইউনূস জমানায় হোলি কতটা শান্তিপূর্ণ হবে হোলি, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে! বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের মতো শহরে, হিন্দুরা সাড়ম্বরে পালন করে হোলি। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও হোলি উদযাপিত হয়। এটি দোল পূর্ণিমা বা বসন্ত উৎসব নামেও পরিচিত, এখানে মানুষজন রঙ নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। বিশেষ পুজোয় আয়োজন করা হয় এখানে। মন্দিরগুলিতে হোম-যজ্ঞ করা হয়।

    ৬. ইন্দোনেশিয়া

    এই দেশে হোলি নয় বরং ‘প্রোহিয়ন’ নামে পালন হয় হোলি উৎসব। ইন্দোনেশিয়ার মানুষজন রঙ নিয়ে নাচে। নাচ-গানের মাধ্যে দিয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলেন ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

    ৭. আফ্রিকা মহাদেশ

    ইন্দোনেশিয়ার পর হোলি খেলার তালিকায় রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে। এই দেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মাধ্যমে হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত মরিশাস, মোজাম্বিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লোকেরা সব থেকে বেশি হোলি খেলায় যোগ দেন।

    ৮. আমেরিকা

    আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরেও হোলি উদযাপন করা হয়। বিশেষত আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাচের দলগুলি এদিন নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে হোলি উদযাপন করা হয়।

    ৯. ইউরোপ মহাদেশ

    ইউরোপের বেশ কিছু দেশে পালন করা হয় হোলি। বিশেষ করে ব্রিটেনে হোলি খুবই জনপ্রিয়। ব্রিটেনে প্রবাসী ভারতীয়রা হোলিতে অংশ নেন।

    ১০. ফাগওয়া

    সাদা পোশাক পরে এই দেশের মানুষজন আনন্দে মেতে ওঠেন হোলি উৎসবে। এই উৎসব বসন্তের আগমনকে চিহ্নিত করে এবং এটি ওই দেশে একটি জাতীয় ছুটির দিন।

    ১১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো

    ঐতিহ্যবাহী গান এবং নাচের মাধ্যমে উদযাপিত এই হোলি। হোলিকা দহনের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণও করা হয় এই দেশে।

    ১২. গায়ানা

    এই দেশের হিন্দু মন্দিরগুলিতে ধুমধাম করে পালিত হয় হোলি। এই উৎসবে সকল জাতি ও ধর্মের মানুষ সামিল হন।

  • Ramakrishna 296: “হা কৃষ্ণ! হে কৃষ্ণ! জ্ঞান কৃষ্ণ! প্রাণ কৃষ্ণ! মন কৃষ্ণ! আত্মা কৃষ্ণ! দেহ কৃষ্ণ! প্রাণ হে গোবিন্দ, মম জীবন!”

    Ramakrishna 296: “হা কৃষ্ণ! হে কৃষ্ণ! জ্ঞান কৃষ্ণ! প্রাণ কৃষ্ণ! মন কৃষ্ণ! আত্মা কৃষ্ণ! দেহ কৃষ্ণ! প্রাণ হে গোবিন্দ, মম জীবন!”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে ও কলিকাতায় চৈতন্যলীলা-দর্শন

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২১শে সেপ্টেম্বর

    গৌরাঙ্গপ্রেমে মাতোয়ারা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ

    অভিনয় সমাপ্ত হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) গাড়িতে উঠিতেছেন। একজন ভক্ত জিজ্ঞাসা করিলেন কেমন দেখলেন? ঠাকুর হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “আসল নকল এক দেখলাম।”

    গাড়ি মহেন্দ্র মুখুজ্জের কলে যাইতেছে। হঠাৎ ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে প্রেমভরে আপনা-আপনি বলিতেছেন, —

    “হা কৃষ্ণ! হে কৃষ্ণ! জ্ঞান কৃষ্ণ! প্রাণ কৃষ্ণ! মন কৃষ্ণ! আত্মা কৃষ্ণ! দেহ কৃষ্ণ!” আবার বলিতেছেন, “প্রাণ হে গোবিন্দ, মম জীবন!”

    গাড়ি মুখুজ্জেদের কলে পৌঁছিল। অনেক যত্ন করিয়া মহেন্দ্র ঠাকুরকে খাওয়াইলেন। মণি কাছে বসিয়া। ঠাকুর সস্নেহে তাঁহাকে বলিতেছেন(Ramakrishna), তুমি কিছু খাও না। হাতে করিয়া মেঠাই প্রসাদ দিলেন।

    এইবার শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে যাইতেছেন (Kathamrita)। গাড়িতে মহেন্দ্র মুখুজ্জে আরও দু-তিনটি ভক্ত। মহেন্দ্র খানিকটা এগিয়ে দেবেন। ঠাকুর আনন্দে যাইতেছেনও গান আরম্ভ করিলেন।

    গৌর নিতাই তোমরা দু ভাই।

    মণি সঙ্গে সঙ্গে গাইতেছেন।

    মহেন্দ্র তীর্থে যাইবেন। ঠাকুরের (Ramakrishna) সহিত সেই সব কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মহেন্দ্রের প্রতি, সহাস্যে) — প্রেমের অঙ্কুর না হতে হতে সব শুকিয়ে যাবে।

    “কিন্তু শীঘ্র এস। আহা অনেকদিন থেকে তোমার বাড়িতে যাব মনে করেছিলাম, তা একবার দেখা হল বেশ হল।”

    মহেন্দ্র—আজ্ঞা, জীবন সার্থক হল!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সার্থক তো আছেনই। আপনার বাপও বেশ! সেদিন দেখলাম; অধ্যাত্মে বিশ্বাস।

    মহেন্দ্র—আজ্ঞা, কৃপা রাখবেন যেন ভক্তি হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তুমি খুব উদার সরল। উদার সরল না হলে ভগবানকে (Kathamrita) পাওয়া যায় না। কপটতা থেকে অনেক দূর।

    মহেন্দ্র শ্যামবাজারের কাছে বিদায় লইলেন। গাড়ি চলিতেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—যদু মল্লিক কি করলে?

    মাস্টার (স্বগত)—ঠাকুর (Kathamrita) সকলের মঙ্গলের জন্য ভাবিতেছেন। চৈতন্যদেবের ন্যায় ইনিও কি ভক্তি শিখাইতে দেহধারণ করিয়াছেন?

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • India: মৌলবাদীদের রোষে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান! ওয়াকার-উজ-জামানকে কীভাবে সাহায্য করছে ভারত?

    India: মৌলবাদীদের রোষে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান! ওয়াকার-উজ-জামানকে কীভাবে সাহায্য করছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সেনাপ্রধান (Bangladesh Army Chief) জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের উপর বিরাগভাজন ইসলামপন্থীরা। তার কারণটা কী? ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট যখন গণভবনের দখল নেয় ইসলামপন্থীরা, সেসময় তাঁরা ভেবেছিলেন শেখ হাসিনাকে ধরে ফেলবেন। পরবর্তীকালে প্রকাশ্যে তাঁকে ফাঁসি দেবে। কিন্তু ইসলামপন্থীদের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত হতে যিনি দেননি তাঁর নাম জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এই সেনাপ্রধানের উদ্যোগেই শেখ হাসিনা তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন। আশ্রয় নেন ভারতে (India)। গত সপ্তাহতেই বাংলাদেশের পাকিস্তানপন্থীরা জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সরিয়ে সেদেশের ১ লাখ ৬৩ হাজার সেনার উপরে নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনাকেই ভেস্তে দিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান নেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ করার পরেই বেশ চিন্তায় পড়েছে পাকিস্তানের আইএসআই।

    বাংলাদেশে এখনও ইউনূস সরকারের কাছে নতি স্বীকার সেনা (India)

    পাক গোয়েন্দাদের হতাশ হওয়ার কারণ হল জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের সেনার কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাননি। কারণ তিনি মনে করতেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এরাই বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল। ৫ অগাস্টের পর থেকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে যে অবিচার ও অনাচার চলছে তার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানই। শুধুমাত্র কোনওভাবে নতি স্বীকার করেনি বাংলাদেশের সেনা। এই কারণেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে। একইসঙ্গে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাতে একটি সেনার অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনাপ্রধান। সেখানেই তিনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন সমালোচনা করেন। নিজের বক্তব্যে সেনা প্রধান দেশে শান্তি ও ঐক্য স্থাপনের কথা বলেন।

    জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হলে আদতে শেখ হাসিনার আত্মীয়

    জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হলেন আদতে শেখ হাসিনার আত্মীয়। তাঁকে সর্বদাই অরাজনৈতিক এবং পেশাদার সেনা হিসেবেই দেখা হয়। মনে করা হয় যে তিনি ভারতের (India) প্রতি অনুকুল মনোভাব পোষণ করেন। এইসবের কারণেই পাকিস্তানপন্থীদের ও বাংলাদেশের ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠেছেন তিনি। গত ২১ জানুয়ারি আইএসআই প্রধান জেনারেল আশিম মালিক ঢাকা সফর করেন। মনে করা হয় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই সফরের বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু ইউনূস প্রশাসনের সামনে তাঁকে নতি করতে হয়। সেনাপ্রধানের আপত্তি সত্ত্বেও এই সফর হয়।

    ভারতের (India) পরামর্শেই আফ্রিকা সফর

    জানা গিয়েছে, ভারতের পরামর্শেই বাংলাদেশের জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মধ্য আফ্রিকার প্রজাতন্ত্রের সফর করেন গত ৩ মার্চ। সেখানেই তিনি জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তাঁর একপ্রস্থ বৈঠক হয় বলে খবর। এখন দেখার বাংলাদেশের সেনার মধ্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকীভাবে পাকিস্তানপন্থীদের সরিয়ে রাখেন।

  • Festival of colors: রঙের উৎসবে খেয়াল থাকুক ত্বক ও চোখে! কেন বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Festival of colors: রঙের উৎসবে খেয়াল থাকুক ত্বক ও চোখে! কেন বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা! আর তার পরেই রঙের উৎসব! দোল উদযাপনে (Festival of colors) আপামর বাঙালি। তবে এই রঙিন উৎসবের আনন্দে সামিল হওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দোলের উৎসবের পরেই ত্বক এবং চোখের নানান সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। বিশেষত শিশুদের বাড়তি নানান সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের কানেও নানান সমস্যা এবং সংক্রমণ হয়। তাই তাঁদের পরামর্শ, এই উৎসবে আনন্দ করার সময় বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবেই সুস্থ ভাবে উদযাপন সম্ভব হবে। এখন দেখা যাক, কী ধরনের সমস্যার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা?

    ত্বকে অ্যালার্জি, চোখে সংক্রমণ (Festival of colors)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দোলের উদযাপনে অনেকেই নানান রকমের রঙ ব্যবহার করেন। সব রঙের গুণমান সমান হয় না। কম মানের রঙ ব্যবহার করলে ত্বকে নানা ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে। চুলকানি, Rash, গোলগোল চাকা দাগ এমন নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যা দীর্ঘদিন ভোগান্তি তৈরি করে। আবার চোখেও নানান সংক্রমণ হতে পারে। চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রায় প্রত্যেক বছরেই দোলের পরে চোখের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ে। অনেকের চোখে রঙ ঢুকে নানান ধরনের অ্যালার্জি হয়। আবার অনেকের চোখ ফুলে যায়। সংক্রমণ জটিল হয়ে গেলে দৃষ্টিশক্তিতেও প্রভাব ফেলে‌।

    কানে যন্ত্রণা

    অনেক সময় কানের সমস্যাও দেখা দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় আক্রান্তেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুরা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, আবির জাতীয় রঙ খেলার সময় (Festival of colors) সময়েই অসাবধানতার জন্য শিশুদের কানের ভিতরে রঙ ঢুকে যায়। এর ফলে পরে কানে যন্ত্রণা হয়। অনেক সময়েই জটিল সংক্রমণ দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Festival of colors)

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, দোলের উৎসব উদযাপনের সময় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখলেই এই ধরনের বিপদ আটকানো সম্ভব হবে। ত্বকের সমস্যা এড়ানোর জন্য রঙের গুণমানের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবেশবান্ধব রঙ এখন পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করলে ত্বকের নানান সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে‌।
    তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ভালোভাবে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার জাতীয় ক্রিম মেখে নিতে হবে। এতে চট করে রঙ চামড়ায় ছাপ ফেলবে না। রঙ ওঠানোও সহজ হবে।
    শিশুদের রঙের উৎসবে সামিল করার আগে বাড়তি সতর্কতা দরকার। যাতে চোখ ও কানের ভিতরে রঙ ঢুকে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রঙিন নানা রকম উইগ এবং মুখোশ ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, মাথায় উইগ কিংবা মুখে মুখোশ পরলে শিশুদের কান এবং চোখে কিছুটা আচ্ছাদন থাকে। ফলে অনেক ভোগান্তি সহজেই এড়ানো সম্ভব হয়।
    উৎসবের (Festival of colors) পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের পাশাপাশি বাড়ির বড়দেরও এই পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর দিতে হবে। হাত, নখ, চুল, চোখে যাতে রঙ ঢুকে না থাকে, তার জন্য ভালোভাবে পরিষ্কার হতে হবে। তবেই নানান রোগে আক্রান্ত (skin and eyes) হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Jadavpur University: ‘রাজ্যের উদাসীনতায় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা পায়নি যাদবপুর’, সংসদে সুকান্ত

    Jadavpur University: ‘রাজ্যের উদাসীনতায় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তকমা পায়নি যাদবপুর’, সংসদে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর (Jadavpur University) নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদাসীন, তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, সংসদে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন ওই তালিকা থেকে সরানো হয়েছে এটা জানতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। ঘটনাক্রমে, সাংসদের প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শুরুতে ৩,২৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবিত হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই বাজেট প্রস্তাব সংশোধন করে ৬০৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি’ মনে করেছে, এই বাজেটে কোনও প্রতিষ্ঠানকে উৎকর্ষকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে কমিটি সুপারিশ করেছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক। কমিশন সেই সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছে।’’

    তোপ দাগলেন অমিত মালব্য

    এই আবহে যাদবপুরকে (Jadavpur University) নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবে দফায় দফায় প্রস্তাবিত বাজেট কমিয়েছে, তা নিয়ে বিজেপি প্রচার করতে শুরু করেছে। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য বলেন, ‘‘প্রথমে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ‘উৎকর্ষকেন্দ্র’ প্রকল্পের অধীনে যে বাজেট প্রস্তাব জমা দেয়, কেন্দ্রীয় সরকার তাতে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অনুদান দিতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেদের অংশীদারি তহবিল দিতে অস্বীকার করায় এই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।’’ মালব্যর আরও দাবি, ‘‘প্রথমে প্রস্তাবিত বাজেট কমিয়ে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা করা হয়েছিল। পরে তা আরও কমিয়ে ৬০৬ কোটি করা হয়। সেই অঙ্কের ২৫ শতাংশ আবার বিশ্ববিদ্যালয়কেই জোগাড় করতে বলা হয়েছিল।’’  বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদাসীনতায় এই সুবর্ণসুযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতছাড়া হল।’’

  • Science News: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মস্তিষ্কের মধ্যে ঠিক কী চলে? গবেষণার তথ্য চমকে দেওয়ার মতো

    Science News: মৃত্যুর আগের মুহূর্তে মস্তিষ্কের মধ্যে ঠিক কী চলে? গবেষণার তথ্য চমকে দেওয়ার মতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের কৌতূহল থেকেই গিয়েছে যে মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্কের ঠিক কী রকম পরিবর্তন ঘটে! এই নিয়েই সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন এজিং নিউরো সায়েন্স জার্নালে (Science News)। ওই প্রতিবেদন অনুসারে বলা হচ্ছে যে মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্ক জীবনের (Human Brain Before Death) শেষ তথা গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিগুলিকে রোমন্থন করতে থাকে। প্রসঙ্গত, মৃত্যুর পূর্বে মানব মস্তিষ্কের এই পরিবর্তন নিয়ে জার্নালটি প্রকাশিত হয়েছিল আজ থেকে ৩ বছর আগেই। ২০২২ সালের প্রকাশিত হওয়া ওই জার্নাল নিয়ে ফের একবার চর্চা শুরু হয়েছে।

    পরিবর্তন হয় মস্তিষ্কের তরঙ্গের (Science News)

    বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে লক্ষ্য করেছেন মস্তিষ্কের (Science News) বেশ কিছু তরঙ্গেরও পরিবর্তন ঘটে। গামা তরঙ্গ যা কিনা মানুষের স্মৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। অন্যান্য তরঙ্গগুলি হল ডেল্টা, থিটা, আলফা এবং বিটা- এই তরঙ্গগুলিও ওঠানামা করতে দেখা গিয়েছে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মৃত্যুর পূর্বে মস্তিষ্কে জীবনের শেষ মুহূর্তগুলিতে ফিরে আসে জীবনের স্মৃতিগুলি। এনহ্যান্সড ইন্টারপ্লে অফ নিউরোনাল কোহেরেন্স অ্যান্ড কাপলিং ইন দ্য ডাইং হিউম্যান ব্রেন শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে।

    ৮৭ বছর বয়সি এক রোগীর ওপর গবেষণা (Science News)

    এই গবেষণায় মৃত্যুর আগে এবং পরে মস্তিষ্কের (Science News) কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষণাটি ৮৭ বছর বয়সী একজন মৃগী রোগীর ওপরে করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে খবর। ডাক্তাররা মৃত্যুর সময় প্রায় ৯০০ সেকেন্ড ধরে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ রেকর্ড করেন। এর মধ্যে তাঁরা হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার আগে এবং পরের ৩০ সেকেন্ড মস্তিষ্কের পরিবর্তনগুলি পরীক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। কেন্টাকির লুইসভিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডঃ আজমল জেম্মার মতে, ‘‘মৃত্যুর আগে মস্তিষ্ক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জীবনের ঘটনাগুলিকে শেষবারের মতো স্মরণ করে।’’

LinkedIn
Share