Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 309: “কামিনী-কাঞ্চন স্পর্শ করে নাই; অনেকদিন ধরে কামিনী-কাঞ্চন ঘাঁটলে রসুনের গন্ধ হয়”

    Ramakrishna 309: “কামিনী-কাঞ্চন স্পর্শ করে নাই; অনেকদিন ধরে কামিনী-কাঞ্চন ঘাঁটলে রসুনের গন্ধ হয়”

     দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ     

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১লা মার্চ
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁহার নরেন্দ্রকে সন্ন্যাসের উপদেশ

    নরেন্দ্র আসিয়া প্রণাম করিয়া বসিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্রের সঙ্গে কথা কহিতেছেন। কথা কহিতে কহিতে মেঝেতে আসিয়া বসিলেন। মেঝেতে মাদুর পাতা। এতক্ষণে ঘর লোকে পরিপূর্ণ হইয়াছে। ভক্তেরাও আছেন, বাহিরের লোকও আসিয়াছেন (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রের প্রতি)—ভাল আছিস? তুই নাকি গিরিশ ঘোষের ওখানে প্রায়ই যাস?

    নরেন্দ্র—আজ্ঞে হাঁ, মাঝে মাঝে যাই।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নিকট গিরিশ কয়মাস হইল নূতন আসা যাওয়া করিতেছেন। ঠাকুর বলেন, গিরিশের বিশ্বাস আঁকড়ে পাওয়া যায় না। যেমন বিশ্বাস, তেমনি অনুরাগ। বাড়িতে ঠাকুরের চিন্তায় সর্বদা মাতোয়ারা হয়ে থাকেন। নরেন্দ্র প্রায় যান, হরিপদ, দেবেন্দ্র ও অনেক ভক্ত তাঁর বাড়িতে প্রায় যান; গিরিশ তাঁহাদের সঙ্গে কেবল ঠাকুরের কথাই কন। গিরিশ সংসারে থাকেন, কিন্তু ঠাকুর দেখিতেছেন নরেন্দ্র সংসারে থাকিবেন না—কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ করিবেন। ঠাকুর নরেন্দ্রের সহিত কথা কহিতেছেন—

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— তুই গিরিশ ঘোষের ওখানে বেশি যাস?

    সন্ন্যাসের অধিকারী—কৌমারবৈরাগ্য—গিরিশ কোন্‌ থাকের—রাবণ ও অসুরদের প্রকৃতিতে যোগ ও ভোগ 

    “কিন্তু রসুনের বাটি যত ধোও না কেন, গন্ধ একটু থাকবেই। ছোকরারা শুদ্ধ আধার! কামিনী-কাঞ্চন স্পর্শ করে নাই; অনেকদিন ধরে কামিনী-কাঞ্চন ঘাঁটলে রসুনের গন্ধ হয় (Ramakrishna)।

    “যেমন কাকে ঠোকরান আম। ঠাকুরদের দেওয়া যায় না, নিজেরও সন্দেহ। নূতন হাঁড়ি আর দইপাতা হাঁড়ি। দইপাতা হাঁড়িতে দুধ রাখতে ভয় হয়। প্রায় দুধ নষ্ট হয়ে যায়।

    “ওরা থাক আলাদা। যোগও আছে, ভোগও আছে। যেমন রাবণের ভাব—নাগকন্যা দেবকন্যাও নেবে, রামকেও লাভ করবে (Kathamrita)।

    “অসুররা নানা ভোগও কচ্ছে, আবার নারায়ণকেও লাভ কচ্ছে।”

    নরেন্দ্র—গিরিশ ঘোষ আগেকার সঙ্গ ছেড়েছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—বড় বেলায় দামড়া হয়েছে, আমি বর্ধমানে দেখেছিলাম। একটা দামড়া, গাই গরুর কাছে যেতে দেখে আমি জিজ্ঞেস কল্লুম, এ কি হল? এ তো দামড়া! তখন গাড়োয়ান বললে, মশাই এ বেশি বয়সে দামড়া হয়েছিল। তাই আগেকার সংস্কার যায় নাই।

    “এক জায়গায় সন্ন্যাসীরা বসে আছে—একটি স্ত্রীলোক সেইখান দিয়ে চলে যাচ্ছে (Kathamrita)। সকলেই ঈশ্বরচিন্তা করছে, একজন আড়চোখে চেয়ে দেখলে। সে তিনটি ছেলে হবার পর সন্ন্যাসী হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত চেষ্টা করেও প্রতিবেশীর মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে না”, পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নয়াদিল্লি বারংবার স্পষ্টভাবে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু একটি প্রতিবেশী দেশের (পড়ুন, পাকিস্তান) উন্মত্ত ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারছে (Pakistan) না।” শুক্রবার লোকসভায় কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে জয়শঙ্কর পাকিস্তানে ফেব্রুয়ারি মাসে হিন্দুদের ওপর হওয়া ১০টি হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর মধ্যে সাতটি ঘটনায় অপহরণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, দুটি ঘটনায় অপহরণ এবং একটি ঘটনায় হোলি উদযাপনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন ঘটনা (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় একটি শিখ পরিবারকে আক্রমণ করা হয়। অন্য ঘটনায় একটি পুরানো গুরুদ্বার পুনরায় খোলার কারণে একটি শিখ পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। ওই সম্প্রদায়ের একটি মেয়ের অপহরণ ও ধর্মান্তরকরণের সমস্যাও ছিল। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত দুটি মামলাও ছিল। একটি ঘটনায় একটি মসজিদ সিল করে দেওয়া হয় এবং অন্য ঘটনায় ৪০টি কবর ভেঙে ফেলা হয়। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলাও ছিল, যেখানে একজন খ্রিস্টানকে, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর কঠোর অবস্থানের মতো কোনও কঠোর পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “একটি সরকার ও দেশ হিসেবে আমরা প্রতিবেশীর ধর্মান্ধ ও সংকীর্ণ মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারি না। ইন্দিরা গান্ধীও তা পারেননি (Pakistan)।” ২৬ মার্চ হিউম্যান রাইটস ফোকাস পাকিস্তান ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে সংস্থাটি এই ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে বলে যে, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবের কারণে সাহায্য ও ন্যায়বিচার এখনও অধরা রয়েছে।

    হিউম্যান রাইটস ফোকাস (S Jaishankar) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নাভিদ ওয়াল্টার বলেন, “পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হামলা, হত্যা, ঈশ্বরনিন্দার অভিযোগ, অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও জোরপূর্বক বিয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য। তাদের দুর্দশা ও অবহেলার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ না দেওয়া আরও বেশি বেদনাদায়ক (Pakistan)।”

  • Waqf Amendment Bill: ভোট কুড়োতে ওয়াকফ বিল নিয়ে মিথ্যা প্রচার, রহস্যের পর্দা ফাঁস ‘মাধ্যম’-এর

    Waqf Amendment Bill: ভোট কুড়োতে ওয়াকফ বিল নিয়ে মিথ্যা প্রচার, রহস্যের পর্দা ফাঁস ‘মাধ্যম’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অধিবেশনেই সংসদে পেশ হতে পারে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) ২০২৪। এই বিল নিয়ে জনমানসে, বিশেষ করে মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন বিরোধীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই তাঁরা এসব করে বেড়াচ্ছেন। আজ আমরা ফাঁস করব আসল রহস্য। জানব আসলে ঠিক কী বলা হয়েছে বিলে। তার আগে আসুন জেনে নেওয়া যাক, ওয়াকফ সম্পত্তি কী?

    ওয়াকফ সম্পত্তি কী? (Waqf Amendment Bill)

    ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Properties) হল সেই স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, যা দলিলের মাধ্যমে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে দেওয়া হয়। (অনেকটা হিন্দুদের দেবত্র সম্পত্তির মতো। তবে হিন্দুদের দেবত্র সম্পত্তিতে সব হিন্দুর অধিকার থাকে না। ওয়াকফ সম্পত্তিতে বিশ্বের সব মুসলমানের অধিকার থাকে।) এই সম্পত্তি চ্যারিটি কিংবা সেবার কাজে ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার উত্তরসূরি হিসেবে ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করেন। ওয়াকফ সম্পত্তি কখনও হস্তান্তর করা যায় না। এই সম্পত্তি মূলত ব্যবহার করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবর, মসজিদ কিংবা গরিব মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য। ওয়াকফ সম্পত্তি যাদের দায়িত্বে থাকে, আইনি ভাষায় তারাই ওয়াকফ বোর্ড। ১৯৬৪ সালে তৈরি হয় সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল। দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডগুলি এই কাউন্সিলের নজরদারিতে চলে। এই ওয়াকফ সম্পত্তিতে নানা সময় উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সেই দুর্নীতিই দূর করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    এবার জেনে নেওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিলের আইনি পরিবর্তন এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বার্তা দেওয়ার বিষয়টি।

    প্রশ্ন: ওয়াকফ সম্পত্তি বাতিল করা হবে কি?

    উত্তর: বৈধভাবে ওয়াকফ ঘোষিত কোনও সম্পত্তি বাতিল করা হবে না। একবার কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ ঘোষিত হলে, তা স্থায়ীভাবে ওয়াকফ হিসেবেই থাকার কথা। বিলটি শুধুমাত্র ভালো ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার জন্য নিয়মগুলি স্পষ্ট করে। এটি জেলা কালেক্টরকে এমন সম্পত্তি পর্যালোচনা করার অনুমতি দেয় যেগুলি ভুলবশত ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, বিশেষ করে সেগুলি যদি সরকারি সম্পত্তি হয়। বৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকবে।

    প্রশ্ন: ওয়াকফ সম্পত্তির সমীক্ষা হবে না?

    উত্তর: সমীক্ষা করা হবে। এই বিলে সার্ভে কমিশনারের পুরানো ভূমিকা জেলা কালেক্টর দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। জেলা কালেক্টর বর্তমান রাজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে সমীক্ষা করবেন। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য সমীক্ষা প্রক্রিয়া বন্ধ না করে রেকর্ডের নির্ভুলতা উন্নত করা (Waqf Amendment Bill)।

    প্রশ্ন: অমুসলিমরা কি ওয়াকফ বোর্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে?

    উত্তর: না, বোর্ডগুলিতে অমুসলিম সদস্য থাকবে, কিন্তু তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে না। এই বিলে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য বোর্ডগুলিতে অন্তত দু’জন অমুসলিম সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে, বেশিরভাগ সদস্য মুসলিম সম্প্রদায়েরই থাকবেন। এই পরিবর্তনটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকে দুর্বল না করেই দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা আনার জন্য করা হয়েছে (Waqf Properties)।

    প্রশ্ন: নয়া সংশোধনীতে কি মুসলিমদের ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করা হবে?

    উত্তর: কোনও ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। এই বিল শুধুমাত্র ওয়াকফ হিসেবে ঘোষিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটি ব্যক্তিগত বা ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তি, যেগুলি ওয়াকফ হিসেবে দান করা হয়নি, সেগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় ও আইনত ওয়াকফ হিসেবে উৎসর্গীকৃত সম্পত্তিই নয়া নিয়মের আওতায় পড়ে।

    প্রশ্ন: সরকার কি এই বিলের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করবে?

    উত্তর: এই বিল জেলা কালেক্টরকে পর্যালোচনা ও যাচাই করার ক্ষমতা দেয় যে কোনও সম্পত্তি ভুলভাবে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে কিনা—বিশেষ করে যদি সেটি সরকারি সম্পত্তি হয়—কিন্তু এটি বৈধভাবে ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমোদন দেয় না।

    প্রশ্ন: এই বিল কি অমুসলিমদের মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনার অনুমতি দেয়?

    উত্তর: সংশোধনীতে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য বোর্ডগুলিতে অন্তত দুজন অমুসলিম সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে তাঁদের যোগ করা হয়েছে অতিরিক্ত দক্ষতা ও তদারকি করার জন্য। অধিকাংশ সদস্য মুসলিম সম্প্রদায়েরই থাকবেন, যার ফলে ধর্মীয় বিষয়গুলিতে সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণই কায়েম থাকবে (Waqf Amendment Bill)।

    প্রশ্ন: ঐতিহাসিক ওয়াকফ স্থানগুলির (যেমন মসজিদ, দরগা ও কবরস্থান) ঐতিহ্যপূর্ণ মর্যাদা কি ক্ষুণ্ণ হবে?

    উত্তর: এই বিল ওয়াকফ সম্পত্তির ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক চরিত্রে হস্তক্ষেপ করে না। এর উদ্দেশ্য হল প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং জাল দাবি রোধ করা—এই পবিত্র স্থানগুলির প্রকৃতি পরিবর্তন করা নয়।

    প্রশ্ন: ‘ব্যবহারকারীর দ্বারা ওয়াকফ’ বিধান তুলে নেওয়া মানে কি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে?

    উত্তর: এই বিধানটি অপসারণের উদ্দেশ্য হল সম্পত্তির ওপর অননুমোদিত বা মিথ্যা দাবি প্রতিরোধ করা। এটি রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে, কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষিত সম্পত্তিগুলিকেই স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে। এর ফলে বিরোধ কমে, তবে ঐতিহ্যবাহী ওয়াকফ ঘোষণাকে সম্মান করা হয় (Waqf Properties)।

    প্রশ্ন: বিলটি কি সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার অধিকারে হস্তক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে?

    উত্তর: বিলটির মূল লক্ষ্য হল রেকর্ড-সংরক্ষণ উন্নত করা, মিসম্যানেজমেন্ট কমানো এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় দান-অনুদান পরিচালনার অধিকার কেড়ে নেয় না। বরং এটি একটি কাঠামো তৈরি করে যাতে করে এই সম্পত্তিগুলি স্বচ্ছ ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয় (Waqf Amendment Bill)।

    প্রশ্ন: ১৯২৩ থেকে ২০১৩ সালে ওয়াকফের সংজ্ঞা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে?

    উত্তর: ২০১৩ সালে প্রধান সংজ্ঞাগত পরিবর্তনটি করা হয়েছিল, যখন ‘ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনও ব্যক্তির স্থায়ী উৎসর্গ’ এই অভিব্যক্তিটি প্রতিস্থাপিত হয় ‘যে কোনও ব্যক্তির স্থায়ী উৎসর্গ’ দ্বারা। এই সংশোধনের পরে ওয়াকফ যে কোনও ব্যক্তির সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডে উৎসর্গ করার পথ উন্মুক্ত করবে।

    রাষ্ট্রীয় ওয়াকফ বোর্ডের গঠনের সম্প্রসারণ

    এই সংশোধনীটি নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্রীয় ওয়াকফ বোর্ডে শিয়া, সুন্নি, বোহরা, আগাখানি এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এতে কমপক্ষে একজন করে সদস্য শিয়া, সুন্নি এবং পিছিয়ে পড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থাকবেন। এর লক্ষ্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যাকে প্রতিফলিত করা এবং ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নিশ্চিত করা (Waqf Properties)।

    রটনা!

    প্রসঙ্গত, সাংসদ সদস্য এবং সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, জামায়াতে ইসলামি হিন্দের মতো সংগঠন-সহ একাধিক স্টেকহোল্ডার এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাঁদের যুক্তি, এটি ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ১৫, ২৫, ২৬ এবং ৩০০এ-এর মতো সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন করে, যেখানে সমতা, বৈষম্যহীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সম্পত্তির অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। বিলটির একটি বিতর্কিত দিক হল, ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যদের নির্বাচিত হওয়ার বদলে সরকার কর্তৃক মনোনীত হওয়ার ব্যবস্থা। বিরোধীদের দাবি, এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে এবং সরকার ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ পাবে (Waqf Properties)। সরকারের যুক্তি হল, ‘ব্যবহার দ্বারা ওয়াকফ’ বিধানটি বাতিল করলে সম্পত্তির অবৈধ দখল রোধ করা যাবে (Waqf Amendment Bill)।

    ঘটনা

    সংশোধনী বিলটিতে দুর্নীতি রোধ ও দক্ষতা উন্নত করার একগুচ্ছ ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডগুলিকে তাদের কার্যক্রম এবং আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অপসারণ করা হয়েছে, যাতে হাইকোর্ট আপিলের মাধ্যমে জুডিশিয়াল স্ক্রুটিনি বৃদ্ধি পায়। এটি সম্ভাব্য ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা দেয়, যার ফলে ওয়াকফ সম্পত্তি বিবাদের আইনি তদারকি শক্তিশালী হয়। আর্থিক নিরীক্ষা এবং স্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করে তহবিলের অপব্যবহার রোধ করা হবে। ওয়াকফ দাবির জন্য দলিলি প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা আরোপের পাশাপাশি এই আইনের উদ্দেশ্য হল জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ (Waqf Properties) প্রতিরোধ করা এবং বেসরকারি ও সরকারি জমিকে মিথ্যা দাবি থেকে রক্ষা করা (Waqf Amendment Bill)।

  • Civil Aviation Sector: ভারতের বিমানবন্দরগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন একশো ভাগ সবুজ শক্তি ব্যবহার করছে, জানাল মন্ত্রক

    Civil Aviation Sector: ভারতের বিমানবন্দরগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন একশো ভাগ সবুজ শক্তি ব্যবহার করছে, জানাল মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে পরিচালনাধীন বিমানবন্দরগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি এখন ১০০ শতাংশ সবুজ শক্তি (Green Energy) ব্যবহার করছে।” বৃহস্পতিবার সংসদে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Civil Aviation Sector)। তারা জানিয়েছে, ১৫৯টি বিমানবন্দরের মধ্যে ৮৭টি এখন সম্পূর্ণভাবে সবুজ শক্তি, যেমন সৌর ও বায়ু শক্তি দ্বারা চালিত হচ্ছে।

    কী বললেন মন্ত্রী (Civil Aviation Sector)

    বেসামরিক বিমান পরিবহণ রাষ্ট্রমন্ত্রী মুরলিধর মোহল লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “১৫৯টি পরিচালনাধীন বিমানবন্দরের মধ্যে ৮৭টি প্রায় ৫৫ শতাংশ বিমানবন্দর, ১০০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্য অর্জন করেছে।” মন্ত্রী জানান, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন বিমানবন্দর অপারেটররা সবুজ ও নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন ও স্ব-ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন স্থানে বা বিমানবন্দরে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, “এছাড়া, কিছু বিমানবন্দর ওপেন অ্যাক্সেসের মাধ্যমে সবুজ শক্তি কিনছে।”

    গ্রিন বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড

    মুরলিধর মোহল বলেন, “অন্যান্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে গ্রিন বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ভবন নকশা গ্রহণ, প্রচলিত যানবাহনকে বৈদ্যুতিক যানবাহনে রূপান্তর, শক্তি-সাশ্রয়ী হিটিং, ভেন্টিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, আলোকব্যবস্থা ও ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম ইত্যাদি।” তিনি বলেন, “বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় (Civil Aviation Sector) সকল কার্যকরী বিমানবন্দর, যেগুলো নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে, এবং আসন্ন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরের উন্নয়নকারীদের কার্বন নিরপেক্ষতা ও নেট জিরো অর্জনের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, অন্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি, সবুজ শক্তির ব্যবহারও।”

    মন্ত্রণালয় ভারতীয় বিমানবন্দরগুলোর কার্বন অ্যাকাউন্টিং এবং রিপোর্টিং কাঠামোকে উন্নত করার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে নলেজ শেয়ারিং সেশনেরও আয়োজন করেছে। মন্ত্রী বলেন, “এছাড়াও, নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমানবন্দর অপারেটরদের তাদের নিজ নিজ বিমানবন্দরে কার্বন নিঃসরণ ম্যাপিং করার এবং ধাপে ধাপে কার্বন নিরপেক্ষতা ও নেট জিরো নিঃসরণের দিকে (Green Energy) এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে (Civil Aviation Sector)।”

  • Ramakrishna 308: “জ্ঞান আর অজ্ঞান কাকে বলে?—যতক্ষণ ঈশ্বর দূরে ততক্ষণ অজ্ঞান; যতক্ষণ হেথা বোধ, ততক্ষণ জ্ঞান”

    Ramakrishna 308: “জ্ঞান আর অজ্ঞান কাকে বলে?—যতক্ষণ ঈশ্বর দূরে ততক্ষণ অজ্ঞান; যতক্ষণ হেথা বোধ, ততক্ষণ জ্ঞান”

    দক্ষিণেশ্বরে নবমীপূজা দিবসে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্র, ভবনাথ প্রভৃতি সঙ্গে

    জীবকোটি সংশয়াত্মা (Sceptic)—ঈশ্বরকোটির স্বতঃসিদ্ধ বিশ্বাস 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভবনাথের প্রতি)—কি জানিস, যারা জীবকোটি, তাদের বিশ্বাস সহজে হয় না। ঈশ্বরকোটির (Ramakrishna) বিশ্বাস স্বতঃসিদ্ধ। প্রহ্লাদ ‘ক’ লিখতে একেবারে কান্না—কৃষ্ণকে মনে পড়েছে! জীবের স্বভাব—সংশয়াত্মক বুদ্ধি! তারা বলে, হাঁ, বটে, কিন্তু—।

    “হাজরা কোনরকমে বিশ্বাস করবে না যে, ব্রহ্ম ও শক্তি, শক্তি আর শক্তিমান অভেদ। যখন নিষ্ক্রিয় তাঁকে ব্রহ্ম বলে কই; যখন সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় করেন, তখন শক্তি বলি। কিন্তু একই বস্তু; অভেদ। অগ্নি বললে, দাহিকাশক্তি অমনি বুঝায়; দাহিকাশক্তি বললে, অগ্নিকে মনে পড়ে। একটাকে ছেড়ে আর একটাকে চিন্তা করবার জো নাই।

    “তখন প্রার্থনা করলুম, মা, হাজরা এখানকার মত উলটে দেবার চেষ্টা কচ্চে। হয় ওকে বুঝিয়ে দে, নয় এখান থেকে সরিয়ে দে। তার পরদিন, সে আবার এসে বললে, হাঁ মানি। তখন বলে যে, বিভু সব জায়গায় আছেন।”

    ভবনাথ (সহাস্যে)—হাজরার এই কথাতে আপনার এত কষ্ট বোধ হয়েছিল (Kathamrita)?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আমার অবস্থা বদলে গেছে। এখন লোকের সঙ্গে হাঁকডাক করতে পারি না। হাজরার সঙ্গে তর্ক-ঝগড়া করব, এরকম অবস্থা আমার এখন নয়। যদু মল্লিকের বাগানে হৃদে বললে, মামা, আমাকে রাখবার কি তোমার ইচ্ছা নাই? আমি বললুম, না, সে অবস্থা এখন আমার নাই, এখন তোর সঙ্গে হাঁকডাক করবার জো নাই।

    পূর্বকথা—কামারপুকুরে শ্রীরামকৃষ্ণ—জগৎ চৈতন্যময়—বালকের বিশ্বাস 

    “জ্ঞান আর অজ্ঞান কাকে বলে?—যতক্ষণ ঈশ্বর দূরে এই বোধ ততক্ষণ অজ্ঞান; যতক্ষণ হেথা হেথা বোধ, ততক্ষণ জ্ঞান।

    “যখন ঠিক জ্ঞান হয়, তখন সব জিনিস চৈতন্যময় বোধ হয়। আমি শিবুর সঙ্গে আলাপ করতুম। শিবু তখন খুব ছেলেমানুষ—চার-পাঁচ বছরের হবে। ও-দেশে তখন আছি। মেঘ ডাকছে, বিদ্যুৎ হচ্ছে। শিবু বলছে, খুড়ো ওই চকমকি ঝাড়ছে! (সকলের হাস্য) একদিন দেখি, সে একলা ফড়িং ধরতে যাচ্ছে। কাছে গাছে পাতা নড়ছিল। তখন পাতাকে বলছে, চুপ, চুপ, আমি ফড়িং ধরব। বালক সব চৈতন্যময় দেখছে! সরল বিশ্বাস, বালকের বিশ্বাস না হলে ভগবানকে পাওয়া যায় না। উঃ আমার কি অবস্থা ছিল! একদিন ঘাস বনেতে কি কামড়েছে। তা ভয় হল, যদি সাপে কামড়ে থাকে! তখন কি করি! শুনেছিলাম, আবার যদি কামড়ায়, তাহলে বিষ তুলে লয়। অমনি সেইখানে বসে গর্ত খুঁজতে লাগলুম, যাতে আবার কামড়ায়। ওইরকম কচ্চি, একজন বললে, কি কচ্ছেন? সব শুনে সে বললে, ঠিক ওইখানে কামড়ানো চাই যেখানটিতে আগে কামড়েছে। তখন উঠে আসি। বোধ হয় বিছে-টিছে কামড়েছিল।

    “আর-একদিন রামলালের কাছে শুনেছিলুম, শরতে হিম ভাল। কি একটা শ্লোক আছে, রামলাল বলেছিল। আমি কলকাতা থাকে গাড়ি করে আসবার সময় গলা বাড়িয়ে এলুম, যাতে সব হিমটুকু লাগে। তারপর অসুখ (Kathamrita)!” (সকলের হাস্য)

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ঔষধ 

    এইবার ঠাকুর ঘরের ভিতর আসিয়া বসিলেন। তাঁর পা দুটি একটু ফুলো ফুলো হয়েছিল। ভক্তদের হাত দিয়ে দেখতে বলেন, আঙুল দিলে ডোব হয় কি না। একটু একটু ডোব হতে লাগল; কিন্তু সকলেই বলতে লাগলেন, ও কিছুই নয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভবনাথকে)—তুই সিঁথির মহিন্দরকে ডেকে দিস। সে বললে (Kathamrita) তবে আমার মনটা ভাল হবে।

    ভবনাথ (সহাস্যে)—আপনার ঔষধে খুব বিশ্বাস। আমাদের অত নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ঔষধ তাঁরই। তিনিই একরূপে চিকিৎসক। গঙ্গাপ্রসাদ বললেন, আপনি রাত্রে জল খাবেন না। আমি ওই কথা বেদবাক্য ধরে রেখেছি। আমি জানি, সাক্ষাৎ ধন্বন্তরি।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন নাগপুরে, আরএসএসের (RSS) সদর দফতরে। অথচ, স্বাধীনতার পর তিন-তিনবার নিষিদ্ধ সংগঠনের তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে আরএসএসের গায়ে। তথাকথিত উদারপন্থীদের কাছে এখনও অচ্ছুত এই সংগঠন। পাছে ভোটব্যাংকে ধস নামে, তাই আরএসএসের সংস্রব এড়িয়ে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা।

    আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন মোদি (PM Modi)

    আগামী ৩০ মার্চ সেখানে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেবি হেডগেওয়ারের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। স্থাপন করবেন মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর। হেডগেওয়ার এবং আরএসএসের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক এমএস গোলওয়ালকারের স্মৃতিসৌধগুলি নাগপুরের রেশিমবাগ এলাকায় ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানান, প্রধানমন্ত্রী ৩০ মার্চ এই স্মৃতিসৌধগুলি পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।

    গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়

    আরএসএসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নাড়ির টান। তিনি দীর্ঘদিন আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একবারও যাননি সঙ্ঘের সদর দফতরে। তবে আরএসএসের সদর দফতরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তা নিয়ে আগে-পরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরে। সেসব উপেক্ষা করেই প্রণব গিয়েছিলেন নাগপুরে। এবার যাবেন মোদি।

    এ বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। সেই উপলক্ষে বছরভর নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আরএসএস। প্রধানমন্ত্রী যে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, সেখানে থাকবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। ২০১৪ সালের পর এ নিয়ে তৃতীয়বার প্রকাশ্যে মঞ্চ শেয়ার করবেন গেরুয়া শিবিরের দুই ‘মহীরুহ’। আরএসএস ইতিহাসের এক স্কলার বলেন, “এটি প্রথমবার যে একজন সক্রিয় প্রধানমন্ত্রী ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করবেন।” তিনি বলেন, “প্রয়াত বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী ২০০৭ সালে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। মোদি এর আগে একজন প্রচারক হিসাবে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটি তার প্রথম দর্শন।” জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী ‘দীক্ষাভূমি’ও পরিদর্শন করবেন, যেখানে সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেডকর ১৯৫৬ সালে হাজারো অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, এই নাগপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির নীতীন গডকরী। আরএসএসের সদর দফতরটি যে এলাকায় রয়েছে (RSS), সেখানকার বিধায়ক বিজেপিরই দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (PM Modi)।

  • Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ-জমানায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অপব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পিএম- কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares) সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য বিরোধী দলগুলিকে (Congress) কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলের ওপর আলোচনায় রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি (Amit Shah)

    সেখানেই তিনি বলেন, দুর্যোগ ত্রাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডাইভার্টেড হয়েছিল। রাজ্যসভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল পাশ হওয়ার সময় শাহ কংগ্রেসকে তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা সম্পর্কে জবাব দিতে চ্যালেঞ্জ করেন এবং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ তোলেন যেখানে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটি সংসদ, রাস্তার প্রতিবাদ নয়। যদি আপনারা অভিযোগ করেন, তাহলে আপনাদের উত্তরও শুনতে হবে।”

    বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন

    পিএম-কেয়ার্স তহবিলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এই তহবিল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে কঠোর আর্থিক তদারকি ব্যবস্থা রয়েছে। এটি কংগ্রেসের (Congress) আমলের পিএমএনআরএফের সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি সদস্য ছিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক পরিবারকে তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও নয়ছয় করার সুযোগ দিয়েছে।’’  শাহ (Amit Shah) জানান, কীভাবে ইউপিএ সরকার পিএমএনআরএফের তহবিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে পাচার করেছিল। এই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান, ধর্মান্তরণ গোষ্ঠী এবং পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ রয়েছে (Congress)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা স্বচ্ছতার কথা বলেন? আপনার দল জিপ থেকে বোফোর্স থেকে ২জি—এতগুলি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ভারতের মানুষ আপনার ইতিহাস জানেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কেন দুর্যোগ ত্রাণের সরকারি অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত একটি ফাউন্ডেশনে পাঠানো হচ্ছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল বিতরণ না করার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের প্রতিনিধিদের সেই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকারের আমলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারগুলির তুলনায় রাজ্যে দুর্যোগ ত্রাণ বরাদ্দ ৩০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (Amit Shah)। বিরোধী দলগুলির অতিরিক্ত তহবিলের দাবিকেও প্রত্যাখ্যান করে শাহ স্পষ্ট করে দেন, দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল আসল সংকট মোকাবিলার জন্য—খয়রাতির জন্য নয়। প্রসঙ্গত, এটি পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির দিকে সরাসরি ইঙ্গিত, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ না দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শাহের এই খয়রাতির অভিযোগ শোনার পরেই ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। যদিও বলতেই থাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন (Amit Shah), “আপনাদের (TMC) ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনারা আরও তহবিল চান অথচ আগে যেসব তহবিল পেয়েছেন সেগুলি বিলি করতে ব্যর্থ হন।”

    আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়?

    তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, সংশোধনীতে দুর্যোগের সংজ্ঞার অধীনে দাঙ্গাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তৃণমূলের এই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আর দাঙ্গার মধ্যে কী সম্পর্ক? এটার কারণ কি আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়, তাই?” তাঁর এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে, বিশেষত তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাহীনতা ও রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় ডিসরাপশনের অনুমতি না দেওয়ায় তৃণমূলের সাংসদরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

    ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’

    সংশোধনীটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি সভাকে স্মরণ করিয়ে দেন, মোদিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল, যা পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি (Amit Shah)। এদিন শাহ ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ এবং ইতালির মতো দেশগুলিকে দুর্যোগ ত্রাণে সহায়তা করে মানবিক সহায়তায় একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে ভারত।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভায় পাস হওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিল, ২০২৪, বিরোধী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় ভোটে পাশ হয়ে যায়। কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সংশোধনী সরাসরি খারিজ হয়ে যায়। শাহ বলেন, “যদি কোনও ভবন মেরামত না করা হয়, তা ধসে পড়বে। একইভাবে, আইনগুলিকেও আপডেট করতে হবে (Congress)। এতে আপত্তি করার কী আছে (Amit Shah)?”

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • Ramakrishna 307: “চক্ষু উন্মীলন করিয়া দেখেন ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতেছেন, বলিতেছেন—জয় জয় দুর্গে! জয় জয় দুর্গে!”

    Ramakrishna 307: “চক্ষু উন্মীলন করিয়া দেখেন ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতেছেন, বলিতেছেন—জয় জয় দুর্গে! জয় জয় দুর্গে!”

    দক্ষিণেশ্বরে নবমীপূজা দিবসে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৯শে সেপ্টেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্র, ভবনাথ প্রভৃতি সঙ্গে

    আজ নবমীপূজা, সোমবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দ। এইমাত্র রাত্রি প্রভাত হইল। মা-কালীর মঙ্গল আরতি হইয়া গেল। নহবত হইতে রোশনচৌকি প্রভাতী রাগরাগিণী আলাপ করিতেছে। চাঙ্গারি হস্তে মালীরা ও সাজি হস্তে ব্রাহ্মণেরা (Kathamrita) পুষ্পচয়ন করিতে আসিতেছেন। মার পূজা হইবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অতি প্রত্যূষে অন্ধকার থাকিতে থাকিতে উঠিয়াছেন। ভবনাথ, বাবুরাম, নিরঞ্জন ও মাস্টার গত রাত্রি হইতে রহিয়াছেন। তাঁহারা ঠাকুরের ঘরের বারান্দায় শুইয়াছিলেন। চক্ষু উন্মীলন করিয়া দেখেন ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া নৃত্য করিতেছেন। বলিতেছেন—জয় জয় দুর্গে! জয় জয় দুর্গে!—

    ঠিক একটি বালক! কোমড়ে কাপড় নাই। মার নাম করিতে করিতে ঘরের মধ্যে নাচিয়া বেড়াইতেছেন।

    কিয়ৎক্ষণ পরে আবার বলিতেছেন—সহজানন্দ, সহজানন্দ! শেষ গোবিন্দের নাম বারবার বলিতেছেন—

    প্রাণ হে গোবিন্দ মম জীবন!

    ভক্তেরা উঠিয়া বসিয়াছেন (Kathamrita)! একদৃষ্টে ঠাকুরের ভাব দেখিতেছেন। হাজরাও কালীবাড়িতে আছেন। ঠাকুরের ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় তাঁহার আসন। লাটুও আছেনও তাঁহার সেবা করেন! রাখাল এ সময় বৃন্দাবনে। নরেন্দ্র মঝে মাঝে আসিয়া দর্শন করেন। আজ নরেন্দ্র আসিবেন।

    ঠাকুরের ঘরের উত্তরদিকে ছোট বারান্দাটিতে ভক্তেরা শুইয়াছিলেন। শীতকাল, তাই ঝাঁপ দেওয়া ছিল। সকলের মুখ ধোয়ার পরে এই উত্তর বারান্দাটিতে ঠাকুর আসিয়া একটি মাদুরে বসিলেন। ভবনাথ ও মাস্টার (Ramakrishna) কাছে বসিয়া আছেন। অন্যান্য ভক্তেরাও মাঝে মাঝে আসিয়া বসিতেছেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Ramakrishna 306: “ও রাম! ও রাম! আমি ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন—আমি ক্রিয়াহীন! রাম শরণাগত!”

    Ramakrishna 306: “ও রাম! ও রাম! আমি ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন—আমি ক্রিয়াহীন! রাম শরণাগত!”

    রামের বাটীতে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৮শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে

    সন্ধ্যা হইল। কিঞ্চিৎ বাহ্য লাভ করিয়া ঠাকুর (Ramakrishna) মার নাম করিয়া আনন্দে গান ধরিলেন:

    শিব সঙ্গে সদা রঙ্গে আনন্দে মগনা,
    সুধাপানে ঢল ঢল ঢলে কিন্তু পড়ে না (মা)।
    বিপরীত রতাতুরা, পদভরে কাঁপে ধরা,
    উভয়ে পাগলের পারা, লজ্জা ভয় আর মানে না।

    সন্ধ্যা হইয়াছে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ হরিনাম করিতেছেন (Kathamrita)। মাঝে মাঝে হাততালি দিতেছেন। সুস্বরে বলিতেছেন—হরিবোল, হরিবোল, হরিময় হরিবোল; হরি হরি হরোবোল।

    আবার রামনাম করিতেছেন,—রাম, রাম, রাম, রাম! রাম, রাম, রাম, রাম, রাম!

    ঠাকুরের প্রার্থনা—How to Pray

    ঠাকুর এইবার প্রার্থনা করিতেছেন—“ও রাম! ও রাম! আমি ভজনহীন, সাধনহীন, জ্ঞানহীন, ভক্তিহীন—আমি ক্রিয়াহীন! রাম শরণাগত! ও রাম শরণাগত! দেহসুখ চাইনে রাম! লোকমান্য চাইনে রাম! অষ্টসিদ্ধি চাইনে রাম! শতসিদ্ধি চাইনে রাম! শরণাগত, শরণাগত! কেবল এই করো—যেন তোমার শ্রীপাদপদ্মে শুদ্ধাভক্তি হয় রাম! আর যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় মুগ্ধ হই না, রাম! ও রাম, শরণাগত!”

    ঠাকুর (Ramakrishna) প্রার্থনা করিতেছেন, সকলে একদৃষ্টে তাঁহার দিকে চাহিয়া রহিয়াছেন। তাঁহার করুণামাখা স্বর শুনিয়া অনেকে অশ্রুসংবরণ করিতে পারিতেছেন না।

    রাম কাছে আসিয়া দাঁড়াইয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)—রাম! তুমি কোথায় ছিলে (Kathamrita)?

    রাম আজ্ঞা, উপরে ছিলাম।

    ঠাকুর ও ভক্তদের সেবার জন্য রাম আয়োজন করিতেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রামের প্রতি, সহাস্যে)—উপরে থাকার চাইতে নিচে থাকা কি ভাল নয়? নিচু জমিতে জল জমে, উঁচু জমি থেকে জল গড়িয়ে চলে আসে।

    রাম (হাসিতে হাসিতে)—আজ্ঞা, হাঁ।

    ছাদে পাতা হইয়াছে। রামচন্দ্র ঠাকুর ও ভক্তগণ লইয়া গেলেন ও পরিতোষ করিয়া খাওয়াইলেন। উৎসবান্তে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna), নিরঞ্জন, মাস্টার প্রভৃতি সঙ্গে অধরের বাড়ি গমন করিলেন। সেখানে মা আসিয়াছেন। আজ মহাষ্টমী! অধরের বিশেষ প্রার্থনা, ঠাকুর থাকিবেন, তবে তাঁহার পুজা সার্থক (Kathamrita) হইবে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

LinkedIn
Share