Tag: Bengali news

Bengali news

  • India Bangladesh Relation: ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব’, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    India Bangladesh Relation: ‘গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব’, বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের আমলে একাধিক কাজকর্ম নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এবার শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে গর্জে উঠল নয়াদিল্লি (India Bangladesh Relation)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এভাবে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উদ্বেগজনক। ভারতের স্পষ্ট বার্তা – সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়া রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা গণতন্ত্র-বিরোধী।

    ভারতের প্রতিক্রিয়া (India Bangladesh Relation)

    মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আওয়ামি লিগকে প্রক্রিয়া ছাড়াই নিষিদ্ধ করার ঘটনা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হওয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে ভারত। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আশা করি, বাংলাদেশে দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করা হবে। গণতন্ত্র ফিরবে।” বাংলাদেশ সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও হাসিনা উচ্ছেদ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

    বাংলাদেশের বিবৃতি

    ভারতের ওই প্রতিক্রিয়ার পর বাংলাদেশের তরফে মহম্মদ ইউনূসের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, “আমরা দেখেছি, কীভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করেছে আওয়ামি লিগ, রাজনৈতিক পরিসর কম করে দিয়েছে, গত ১৫ বছরের শাসনকালে আমাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই এই দলটিকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন ছিল।” অন্তর্বর্তী সরকারের (India Bangladesh Relation) তরফে আরও বলা হয়, “আমরা দেখেছি, কীভাবে ভোটের নামে প্রহসন করা হয়েছে এতদিন। আমরা দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই। নির্বাচন একেবারেই আমাদের নিজস্ব বিষয়। আমাদের নির্বাচন, সার্বভৌমত্বকে সবাই সম্মান করি, এবং এটাই আমাদের কাম্য।”

    ছেঁদো যুক্তি!

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে শুরু হয় ভারত-পাক সংঘাত। এই আবহে গত শনিবার মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামি লিগের কার্যকলাপ।’ ইউনূস সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই (Awami League) আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে (India Bangladesh Relation)।

    শাহবাগ ব্লকেড

    জুলাই আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। তার পর থেকেই সে দেশে আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করে। আওয়ামি লিগের ছাত্র শাখা বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে কয়েক মাস আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশের নয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে টানা তিন দিন ধরে কর্মসূচি শুরু করেছিল। গত শুক্রবার থেকে শাহবাগ ব্লকেড নামে একটি কর্মসূচিও শুরু করেছে তারা (India Bangladesh Relation)। সেই আবহেই শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাকিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা-সহ অন্যান্য যা যা বিষয়ে বিচার চলছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ থাকবে আওয়ামি লিগের সব রকমের কার্যক্রম। এদিনের ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের সংশোধনীও অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুসারে ট্রাইব্যুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার শাখা সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকেও এবার থেকে শাস্তি দিতে পারবে (Awami League)।

    একাধিকবার শিরোনামে এসেছে বাংলাদেশ

    সম্প্রতি ওয়াকফ অশান্তি ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আগে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে ছিল বাংলাদেশ। কারণ সেই সময় বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দাপট চরমে ওঠে। যখন যা ইচ্ছে, তাই করে তারা। হিন্দুদের ওপর আক্রমণও করতে শুরু করে। ভাঙতে থাকে মাজারও (India Bangladesh Relation)। বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল টিমের খেলা বন্ধ করে দেয়। এই মৌলবাদীরা ক্রেন-বুলডোজার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িও ভাঙে। তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দেদার লুটপাট করতে শুরু করে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িতেও তাণ্ডব চালায়। বাংলাদেশজুড়ে আওয়ামি লিগ নেতাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। সব দেখে শুনেও মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস! যারা তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদের গ্রেফতার না করে, যাদের ওপর হামলা হচ্ছে (Awami League), তাদের ধরতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করে ইউনূস সরকার। সেই ইউনূস সরকারই এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিল আওয়ামি লিগকে।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে গিয়েছে খোদ ইউনূসেরও (India Bangladesh Relation)!

  • ISI Operative: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি! পাক হাইকমিশনের কর্তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল্লির

    ISI Operative: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি! পাক হাইকমিশনের কর্তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে চড়েছে ভারত-পাক উত্তজনার পারদ। ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যার বদলা নিতে পাকিস্তানে (Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় (ISI Operative) ভারত। সেই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দুরমুশ করে দেওয়া হয় বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি। পরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। তবে তার পরেও যে উত্তেজনার পারা এতটুকুও নামেনি, তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। এদিন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লির পাক হাইকমিশনের এক আধিকারিককে অবাঞ্ছিত (পার্সোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    পাক কূটনীতিককে বহিষ্কার (ISI Operative)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, পাক হাইকমিশনের ওই কর্তা ভারতে তাঁর সরকারি মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। দিল্লির পাক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কোন অভিযোগে ওই পাক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।

    পাকিস্তানি কর্মীকে অবাঞ্ছিত

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ দিল্লির পাক দূতাবাসের এক আধিকারিককে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগে এক মহিলা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই পাক হাইকমিশনের ওই কর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল গৌরব যাদব জানান, সরকারি পদমর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে কর্মরত এক পাকিস্তানি কর্মীকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (ISI Operative)।

    সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে, যাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। ওই হ্যান্ডলার দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। তাদের জেরা করেই ফাঁস হয় পাকিস্তানি হাইকমিশনের ওই কর্মীর নাম – এহসান উর রহিম ওরফে দানিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের অনলাইন মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করানো হত। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা দফতরের (Pakistan) মতে, এই ঘটনা পাক চরচক্র ভাঙার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য (ISI Operative)।

  • India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেইমানির জবাব পাচ্ছে তুরস্ক! পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) যখন পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন পাকিস্তানের পাশে (Pakistan Support) দাঁড়িয়েছিল ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে আর একটি ইসলামিক দেশ আজারবাইজান।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (India)

    তার পরেই এই দুই দেশের ওপর খেপে গিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই ওই দুই ইসলামিক রাষ্ট্র পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তার জেরে ওই দুই দেশ ভ্রমণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্যটকদের একটা বড় অংশ। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য পর্যটকরাও যাতে ওই দুই দেশ বয়কট করেন, সেই ডাকও দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের বদলে পর্যটকরা বেছে নিয়েছে ভারতের মিত্র দেশ গ্রিস এবং আর্মেনিয়াকে।

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছে দেশবাসীর। তার পরেই ভারতের (India) বেশ কয়েকটি বড় ট্রাভেল এজেন্সিও তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায়। ট্রাভোমিন্ট, ইজিমাইট্রিপ এবং কক্স অ্যান্ড কিংসের মতো কোম্পানিগুলি তুরস্ক ও আজারবাইজান ভ্রমণের সব প্যাকেজ স্থগিত করার কথা জানিয়ে দেয়। পর্যটক ও ট্রাভেল এজেন্সির এই সিদ্ধান্তগুলি একটি প্রবণতা নির্দেশ করে। সেটি হল, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের আচরণ গঠনে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দিন দিন আরও প্রভাব ফেলছে।

    তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ

    পর্যটকদের সফরের তালিকা থেকে তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ যাওয়ায় সেই লিস্টে ঢুকে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং গ্রিস। এই দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, বলা ভালো, ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তার জেরেই এবার এই দুই দেশে কার্যত ঢল নামবে ভারতীয় পর্যটকদের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে বিপাকে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। শেষমেশ ভুল কবুল করে ভারতে (India) এসে পর্যটকদের সে দেশে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী। তুরস্ক এবং আজারবাইনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে (Pakistan Support) কিনা, তা বলবে সময়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, জাতীয়তাবাদী বোধ জাগ্রত হওয়ায় পর্যটকরাও এখন ভারতের মিত্র দেশগুলিতে ভ্রমণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

    ভিড় বাড়ছে আর্মেনিয়ায়    

    দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আর্মেনিয়া এখন ভারতের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আর্মেনিয়া ভারতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে এবং যৌথ সামরিক উদ্যোগেও অংশ নিয়েছে। এই কৌশলগত বন্ধুত্ব এখন নাগরিক পর্যায়েও প্রতিফলিত হচ্ছে, বিশেষত পর্যটনে। ভারতীয় পর্যটকরা, আর্মেনিয়ার ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, দেশটির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝে অবস্থিত এই দেশটির ভৌগোলিক আকর্ষণ যেমন আছে, তেমনি এর ভূরাজনৈতিক নির্ভরযোগ্যতাও ভারতীয় পর্যটকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক গির্জা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য — সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ — ভারতীয় পর্যটকদের এমন একটি গন্তব্যে আকৃষ্ট করছে, যা তাঁদের সাংস্কৃতিক কৌতূহল ও জাতীয় অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (India)।

    গ্রিসেও ভারতীয় পর্যটকদের ঢল

    আর্মেনিয়ার পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে গ্রিসের প্রতিও। সংস্কৃতি ও কূটনৈতিক আদান-প্রদানের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারা রয়েছে ভারত ও গ্রিসের মধ্যে। দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তৃত প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং জ্বালানি সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি ও কূটনৈতিক কার্যকলাপ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে, যা আরও বেশি ভারতীয় পর্যটকদের ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ঘুরে দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রাচীন অ্যাথেন্সের ধ্বংসাবশেষ থেকে শুরু করে সান্তোরিনির বিখ্যাত নীল গম্বুজযুক্ত ছাদ পর্যন্ত, গ্রিস এক অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ উপস্থাপন করে পর্যটকদের কাছে। দেশটির গভীর ঐতিহাসিক শেকড়, রঙিন উপকূলীয় শহর এবং আতিথেয়তাপূর্ণ মানুষ — এইসব উপাদান ভারতীয় মূল্যবোধ ও নান্দনিকতার (Pakistan Support) সঙ্গে গভীরভাবে মিলে যায়। তার জেরেই ভারতীয় পর্যটকদের কাছে দিন দিন বাড়ছে গ্রিসের জনপ্রিয়তা (India)।

  • Ramakrishna 350: “তারপর ধনের কি ব্যবহার করতে হবে, প্রফুল্ল বললে, এ-সমস্ত ধন শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ কল্লাম”

    Ramakrishna 350: “তারপর ধনের কি ব্যবহার করতে হবে, প্রফুল্ল বললে, এ-সমস্ত ধন শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ কল্লাম”

    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ‘দেবী চৌধুরাণী’ পাঠ

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৭শে ডিসেম্বর
    নিষ্কামকর্ম ও শ্রীরামকৃষ্ণ—ফল সমর্পণ ও ভক্তি

    মাস্টার—অধ্যয়ণ (Ramakrishna) শেষ হলে আর অনেকদিন সাধনের পর ভবানী ঠাকুর প্রফুল্লের সঙ্গে আবার দেখা করতে এলেন। এইবার নিষ্কামকর্মের উপদেশ (Kathamrita) দিবেন। গীতা থেকে শ্লোক বললেন—

    তস্মাদসক্তং সততং কার্যং কর্ম সমাচর।
    অসক্তো হ্যাচরন্‌ কর্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ।

    অনাসক্তির তিনটি লক্ষণ বললেন—

    (১) ইন্দ্রিয়সংযম। (২) নিরহংকার। (৩) শ্রীকৃষ্ণে ফল সমর্পণ। নিরহংকার ব্যতীত ধর্মাচরণ হয় না। গীতা থেকে আবার বললেন—

    প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ।
    অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে ॥

    তারপর সর্বকর্মফল শ্রীকৃষ্ণে সমর্পণ (Ramakrishna)। গীতা থেকে বললেন, —

    যৎ করোষি যদশ্নাসি যজ্জুহোষি দদাসি যৎ।
    যৎ তপ্যসি কৌন্তেয় তৎ কুরুষ্ব মদর্পণম্‌ ॥

    নিষ্কামকর্মের এই তিনটি লক্ষণ বলেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এ বেশ। গীতার কথা (Kathamrita)। কাটবার জো নাই। তবে আর-একটি কথা আছে। শ্রীকৃষ্ণে ফল সমর্পণ বলেছে; শ্রীকৃষ্ণে ভক্তি বলে নাই।

    মাস্টার—এখানে এ-কথাটি বিশেষ করে বলা নাই।

    হিসাব বুদ্ধিতে হয় না—একেবারে ঝাঁপ

    “তারপর ধনের কি ব্যবহার করতে হবে, এই কথা হল। প্রফুল্ল বললে, এ-সমস্ত ধন শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ কল্লাম।

    “প্রফুল্ল—যখন আমার সকল কর্ম শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ করিলাম, তখন আমার এ-ধনও শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ করিলাম।

    ভবানী—সব?

    প্রফুল্ল—সব।

    ভবানী—ঠিক তাহা হইলে কর্ম অনাসক্ত (Kathamrita) হইবে না। আপনার আহারের জন্য যদি তোমাকে চেষ্টা হইতে হয়, তাহা হইলে আসক্তি জন্মিবে। অতএব তোমাকে হয় ভিক্ষাবৃত্ত (Ramakrishna)  হইতে হইবে, নয় এই ধন হইতেই দেহরক্ষা করিতে হইবে। ভিক্ষাতেও আসক্তি আছে। অতএব সেই ধন হইতে আপনার দেহরক্ষা করিবে।”

    “প্রফুল্ল—যখন আমার সকল কর্ম শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ করিলাম, তখন আমার এ-ধনও শ্রীকৃষ্ণে অর্পণ করিলাম (Kathamrita)।

    ভবানী—সব?

    প্রফুল্ল—সব।

    ভবানী—ঠিক তাহা হইলে কর্ম অনাসক্ত হইবে না। আপনার আহারের জন্য যদি তোমাকে চেষ্টা হইতে হয়, তাহা হইলে আসক্তি জন্মিবে। অতএব তোমাকে হয় ভিক্ষাবৃত্ত হইতে হইবে, নয় এই ধন হইতেই দেহরক্ষা করিতে হইবে।

  • India Pakistan Conflict: “ঘরে ঢুকে মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না,” জঙ্গিদের হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

    India Pakistan Conflict: “ঘরে ঢুকে মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না,” জঙ্গিদের হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘরে ঢুকে মারব। বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না।” মঙ্গলবার আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাষায়ই পাক মদতপুষ্ট (India Pakistan Conflict) জঙ্গিদের উদ্দেশে হুঙ্কার ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। তখনও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, জঙ্গি হামলা হলে কোনও ছাড় নেই। যে সরকার জঙ্গিদের মদত দেবে, তাদেরও একই চোখে দেখবে ভারত। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে পাকিস্তানি সেনার ভরসায় এই জঙ্গিরা বসেছিল, ভারতের সেনা-বায়ুসেনা-নৌসেনা পাকিস্তানি সেনাকে ছারখার করে দিয়েছে। আপনারা পাকিস্তানি সেনাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানে এমন কোনও ঠিকানা নেই, যেখানে জঙ্গিরা স্বস্তিতে থাকতে পারবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ঘরে ঢুকে মারব। বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না। আমাদের ড্রোন, মিসাইলের কথা ভেবেই কয়েকদিন ঘুম হয়নি পাকিস্তানের।”

    নিরাপত্তাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা (India Pakistan Conflict)

    পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ায় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ আমাদের নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সক্ষমতা রয়েছে, যার মোকাবিলা করতে পারবে না পাকিস্তান। গত দশকে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও আমাদের অন্যান্য বাহিনীতে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে, নয়া প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বড় চ্যালেঞ্জও আসে। একটি জটিল ও উন্নত সিস্টেমের ভারসাম্য বজায় রাখা, দক্ষতার সঙ্গে তা পরিচালনা করার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন। আপনারা প্রযুক্তিকে কৌশলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। আপনারা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে এই খেলায় আপনারাই সেরা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা সব ভারতীয়ের ছাতি ফুলিয়ে দিয়েছেন। মাথা উঁচু করে দিয়েছেন। সম্মান বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই বীরদের প্রণাম করতে এসেছি। আপনারা দেশকে গর্বিত করেছেন। আজ থেকে বহু বছর পরেও যখন এই পরাক্রম নিয়ে আলোচনা হবে, তখন মনে থাকবে আপনাদের কাজের কথা। আপনারা এখন দেশবাসীর প্রেরণা। সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা এবং বিএসএফকে আমি স্যালুট জানাই (India Pakistan Conflict)।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পক্ষকাল পরে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার পর এদিনই তিনি গেলেন পাঞ্জাবের আদমপুরের বায়ুসেনাঘাঁটিতে। সেখানে বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মান-মর্যাদা রক্ষায় আপনারা প্রাণ বলিদান দেন। দেশের জন্য যাঁরা বাচতে চান, কিছু করতে চান, আমি তাঁদের কথাই বলছি।” তিনি বলেন, “ভারতের সৈনিক যখন ভারত মাতা কি জয় বলেন, তখন আমাদের শত্রুদের কলিজা কেঁপে যায়। আমাদের ড্রোন আর মিসাইল যখন শত্রুর ঠিকানায় পৌঁছে যায়, তখন বলা হয় ভারত মাতা কি জয়। আমাদের সেনা পরমাণু বোমার ব্ল্যাকমেল অগ্রাহ্য করে বলে ভারত মাতা কি জয় (PM Modi)।”

    ইতিহাস রচনা করেছেন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে এদিন আদমপুরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের কারণেই ‘অপারেশন সিঁদুরে’র বীরগাথা সবাই শুনতে পাচ্ছে (India Pakistan Conflict)। সব ভারতীয়র প্রার্থনা আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আপনারা ইতিহাস রচনা করেছেন। এটা কোনও সামান্য একটা অপারেশন নয়। এটা ভারতের নীতি, নির্ণয় করেছে।” তিনি বলেন, “ভারত বুদ্ধের মাটি, আবার গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মাটিও। ওরা আমাদের বোন-কন্যার সিঁদুর ছিনিয়ে নিয়েছিল। তাই ওদের শিক্ষা দিতে ওদের ঘরে ঢুকে ওদের নিকেশ করেছি।”

    সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা ওদের সামনে থেকে আক্রমণ করে মেরেছেন। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। ভারতের দিকে তাকালে তার কঠোর সাজা হবে। একটাই মন্ত্র হবে বিনাশ ও মহাবিনাশ। ভারতের সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা পাকিস্তানের সেনাকেও ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে (India Pakistan Conflict)। আপনারা ওদের সেনাদের এও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে পাকিস্তানের এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে বসে সন্ত্রাসবাদীরা নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নেবে।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে দেশের একতার সূত্র রচিত হয়েছে। আর আপনারা দেশের সীমা রক্ষা করেছেন। সম্মান আরও উঁচু করেছেন। আমাদের বায়ুসেনা যেভাবে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে সীমা পেরিয়ে পিন পয়েন্ট টার্গেট করে ওদের গভীরে গিয়ে ক্ষতি করেছেন, সেটা একমাত্র পেশাদাররাই করতে পারেন। ওরা বুঝতেই পারেনি যে ওদের বুকের ওপর কী হয়েছে। সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা যা করেছেন, তা অভূতপূর্ব, অকল্পনীয় এবং ভাবনার অতীত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটা পরিষ্কার লক্ষ্মণ রেখা টেনে দিয়েছে (PM Modi)।”

    প্রসঙ্গত, আদমপুর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়ুসেনা ঘাঁটি। এখানে রাফাল এবং মিগ-২০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই সেনাঘাঁটির ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ (India Pakistan Conflict)।

  • Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ (Anti Maoist Operation) বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের দাবি, অভিযানে এখনও পর্যন্ত নিকেশ হয়েছে অন্তত ৩১ জন মাওবাদী (Bijapur)।

    ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Anti Maoist Operation)

    পুলিশ জানিয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় চলছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। তাতেই মিলেছে ৩১ জন নিকেশ হওয়ার খবর। এই অভিযান সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় কারেগুট্টা পাহাড়ের আশপাশের ঘন জঙ্গলে অপারেশন চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই মাওবাদীদের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব।

    ২০ জনকে শনাক্ত

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পরে ১১ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে। বাকিদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ২১ এপ্রিল শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক ইউনিট – ছত্তিশগড় পুলিশের জেলা রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিট এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার জওয়ান ঘিরে রেখেছে এই জঙ্গল। জঙ্গলে প্রায় ৫০০ জন মাওবাদী রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৪০০টিরও বেশি আইইডি, প্রায় ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় ২ টন বিস্ফোরক। পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের ঘাঁটি (Anti Maoist Operation) চিহ্নিত করে একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে তাদের ঘাঁটি ও অস্ত্রভান্ডার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো মাও-অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে ব্যাপক গতি পেয়েছে মাওবাদী অভিযান। জানা গিয়েছে, কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকাটি মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এখনও (Bijapur) পর্যন্ত ওই এলাকায় চালানো হয়েছে ৩৫টি অভিযান (Anti Maoist Operation)।

  • Pakistan: ভারতের আশঙ্কাই সত্যি, নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে পাকিস্তান!

    Pakistan: ভারতের আশঙ্কাই সত্যি, নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারত-পাক সংঘর্ষে যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে (IMF Aid), তাদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল শাহবাজ শরিফের দেশ (Pakistan)।

    পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ভারত (Pakistan)

    শুক্রবারই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ভারত। ভারতের আপত্তিতে কান না দিয়ে পাকিস্তানকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ। সন্ত্রাসবাদের সরাসরি সমর্থক দেশকে অর্থ সাহায্য করায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আইএমএফকে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয় নিয়ে পর্যালোচনায় বসে আইএমএফ। সেখানে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানের মতো সীমান্ত সন্ত্রাসের ঘোষিত পৃষ্ঠপোষককে পুরস্কৃত করা তামাম বিশ্বকে বিপজ্জনক বার্তা দেয়। এমনটা করা হলে আইএমএফ এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যদের সুনাম নষ্ট হয়। আদতে আন্তর্জাতিকস্তরের এই সংস্থার মূল্যবোধকে নিয়েই উপহাস করা হয়। তবে শেষমেশ ভারতের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়েই ইসলামাবাদকে অর্থ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ।

    নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ

    ফেরা যাক খবরের গোড়ায়। আইএমএফ থেকে অর্থ সাহায্য মিলছে শুনেই ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইসলামাবাদ (IMF Aid)। ঘটনার সূত্রপাত গত ২২ এপ্রিল। সেদিন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। পড়শি দেশের ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়ে ভারত ধ্বংস করে দেয় ২৪টি জঙ্গি ঘাঁটি। ভারতের ওই অপারেশন খতম হয় বেশ কয়েকজন জঙ্গি এবং তাদের কয়েকজন মাথা। এই জঙ্গিদের কফিনবন্দি দেহ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়। তাদের দেওয়া হয় শহিদের মর্যাদা। তাদের পরিবারকেই মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)।

    ক্ষতিপূরণের বহর

    জানা গিয়েছে, অসামরিক শহিদদের পরিবারের জন্য ১ কোটি করে টাকা এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্য ১০ থেকে ২০ লাখ করে টাকা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দেওয়া হবে ১ থেকে ১৮ কোটি পর্যন্ত টাকা। এর মধ্যে হয়েছে হোম ফেসিলিটি অ্যালাওয়েন্সও। পদমর্যাদার ওপর ভিত্তি করে সাহায্য করা হবে ১৯ থেকে ৪২ কোটি টাকা পর্যন্ত। যেসব (IMF Aid) সেনা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে তাঁর অবসর গ্রহণের দিন পর্যন্ত পুরো বেতন ও ভাতা দেওয়া হবে। তাঁদের সন্তানদের জন্য স্নাতকস্তর পর্যন্ত নিখরচায় শিক্ষা এবং একটি মেয়ের বিবাহ অনুদান বাবদ দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা। সশস্ত্র বাহিনীর যারা জখম হয়েছেন, তাঁদের আঘাতের গুরুত্ব বিচার করে দেওয়া হবে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভারতের অপারেশনে যেসব ঘরবাড়ি এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যদিও ভারতের দাবি, কেবল জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করেই আঘাত হানা হয়েছে।), সেগুলি পুনর্নির্মাণ এবং আহতদের চিকিৎসার খরচও দেওয়া হবে। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার শহিদদের পরিবারের যত্ন নেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে।” এই সাহায্য প্যাকেজটি তাঁর মতে, “জাতীয় সংহতির একটি প্রতীক।” ভারত শরিফের এই প্যাকেজের তীব্র নিন্দা করেছে (Pakistan)। নয়াদিল্লির অভিযোগ, এই অর্থ সন্ত্রাসবাদে যুক্ত ব্যক্তি, যেমন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং জামাত-উদ-দাওয়ার সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ এই সব সংগঠনের জঙ্গিরাই নিহত হয়েছে (IMF Aid)।

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    পাকিস্তান সরকারের এই ক্ষতিপূরণের ঘটনায় ফুঁসছে ভারত। প্রাক্তন বিদেশ সচিব কনওয়াল সিব্বাল এই সিদ্ধান্তকে ভয়ঙ্কর দৃষ্টিভঙ্গি বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আইএমএফের পরিচালনা পদ্ধতি পশ্চিমি শক্তিদের প্রতি পক্ষপাত করে। তাদের দায়বদ্ধতার অভাবও রয়েছে।” জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার প্রশ্ন, “আইএমএফ যখন মূলত পাকিস্তানকে ভারতের ওপর হামলার জন্য অর্থ দিচ্ছে, তখন কীভাবে উত্তেজনা প্রশমন আশা করা যায়?” আফগানিস্তানের প্রাক্তন সাংসদ মারিয়ম সোলাইমানখিল আইএমএফকে রক্তপাতের অর্থদাতা বলে অভিযুক্ত করেন। তাঁর প্রশ্ন, “মানুষ খুন করতে বিশ্ব আর কতদিন অর্থ জোগাবে পাকিস্তানকে (Pakistan)?”

    এফএটিএফের বৈঠক

    সামনের সপ্তাহেই পরবর্তী বৈঠক রয়েছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF)। তার আগেই খতিয়ে দেখা হবে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সংক্রান্ত নিয়ম পাকিস্তান কেমন মেনে চলছে। কূটনীতিকদের মতে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান মুখে এক কথা বললেও, কাজে করছে ঠিক উল্টোটা। জঙ্গিদের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের অনেক পদস্থ কর্তা। সেই জঙ্গিদের পারিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আইএমএফের টাকায়। প্রত্যাশিতভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। তাদের প্রশ্ন, পশ্চিমি বিশ্ব কী ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে সমর্থন করবে, নাকি সমালোচকদের (IMF Aid) ভাষায় সন্ত্রাসের কারখানায় অর্থায়ন করেই চলবে (Pakistan)?

  • Ramakrishna 349: “বাল্মীকি ‘মরা’ মন্ত্র জপ করেছিলেন, ‘ম’ অর্থাৎ ঈশ্বর, তারপর ‘রা’ অর্থাৎ জগৎ—তার ঐশ্বর্য”

    Ramakrishna 349: “বাল্মীকি ‘মরা’ মন্ত্র জপ করেছিলেন, ‘ম’ অর্থাৎ ঈশ্বর, তারপর ‘রা’ অর্থাৎ জগৎ—তার ঐশ্বর্য”

    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ‘দেবী চৌধুরাণী’ পাঠ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৭শে ডিসেম্বর
    মাস্টার, প্রসন্ন, কেদার, রাম, নিত্যগোপাল, তারক, সুরেশ প্রভৃতি

    আগে ঈশ্বরসাধন—না আগে লেখাপড়া 

    প্রফুল্ল মূর্খ মেয়ে, কিছু বুঝিতে পারিল না। বলিল, ‘আমি অত কথা ভাই বুঝিতে পারি না। তোমার নামটি কি, এখনও তো বলিলে না (Ramakrishna) ?’

    বয়স্যা বলিল, ভবানী ঠাকুর নাম রাখিয়াছিলেন নিশি। আমি দিবার বহিন নিশি। দিবাকে একদিন আলাপ করিতে লইয়া আসিব। কিন্তু যা বলিতেছিলাম শোন। ঈশ্বরই পরম স্বামী। স্ত্রীলোকের পতিই দেবতা। শ্রীকৃষ্ণ সকলের দেবতা। দুটো দেবতা কেন ভাই? দুই ঈশ্বর? এ ক্ষুদ্র প্রাণের ক্ষুদ্র ভক্তিটুকুকে দুই ভাগ করিলে কতটুকু থাকে (Kathamrita)?

    প্রফুল্ল—দূর! মেয়েমানুষের ভক্তির (Ramakrishna) কি শেষ আছে?

    নিশি—মেয়েমানুষের ভালবাসার শেষ নাই। ভক্তি এক, ভালবাসা আর।”

    মাস্টার—ভবানী ঠাকুর প্রফুল্লকে সাধন আরম্ভ করালেন।

    “প্রথম বৎসর ভবানী ঠাকুর প্রফুল্লের বাড়িতে কোন পুরুষকে যাইতে দিতেন না বা তাহাকে বাড়ির বাহিরে কোন পুরুষের সঙ্গে আলাপ করিতে দিতেন না। দ্বিতীয় বৎসর আলাপ পক্ষে নিষেধ রহিত করিলেন। কিন্তু তাহার বাড়িতে কোন পুরুষকে যাইতে দিতেন না। পরে তৃতীয় বৎসরে যখন প্রফুল্ল মাথা মুড়াইল, তখন ভবানী ঠাকুর বাছা বাছা শিষ্য সঙ্গে লইয়া প্রফুল্লের নিকটে যাইতেন—প্রফুল্ল নেড়া মাথায় অবনত মুখে তাহাদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় আলাপ (Kathamrita) করিত।

    “তারপর প্রফুল্লের বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ। ব্যাকরণ পড়া হল, রঘু, কুমার, নৈষধ, শকুন্তলা। একটু সাংখ্য, একটু বেদান্ত, একটু ন্যায়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—এর মানে কি জানো? না পড়লে শুনলে জ্ঞান হয় না। যে লিখেছে, এ-সব লোকের এই মত। এরা ভাবে, আগে লেখাপড়া, তারপর ঈশ্বর; ঈশ্বরকে জানতে হলে লেখাপড়া চাই। কিন্তু যদু মল্লিকের সঙ্গে যদি আলাপ করতে হয় তাহলে তার কখানা বাড়ি, কত টাকা, কত কোম্পানির কাগজ—এ-সব আগে আমার অত খবরে কাজ কি? জো-সো করে—স্তব করেই হোক, দ্বারবানদের ধাক্কা খেয়েই হোক, কোন মতে বাড়ির ভিতর ঢুকে যদু মল্লিকের সঙ্গে আলাপ করতে হয়। আর যদি টাকা-কড়ি ঐশ্বর্যের খবর জানতে ইচ্ছা হয়, তখন যদু মল্লিককে জিজ্ঞাসা কল্লেই হয়ে যাবে! খুব সহজে হয়ে যাবে। আগে রাম, তারপরে রামের ঐশ্বর্য — জগৎ। তাই বাল্মীকি ‘মরা’ মন্ত্র জপ করেছিলেন। ‘ম’ অর্থাৎ ঈশ্বর, তারপর ‘রা’ অর্থাৎ জগৎ—তার ঐশ্বর্য (Kathamrita)!

    ভক্তেরা অবাক হইয়া ঠাকুরের কথামৃত পান (Ramakrishna) করিতেছেন।

  • PM Modi: “বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে নির্মূল করতে হবে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে নির্মূল করতে হবে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয়, তাহলে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে।” সোম-সন্ধ্যায় (India Pakistan Ceasefire) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “ভারত আর সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি সহ্য করবে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস ও আলোচনা) এক সঙ্গে চলতে পারে না। জল এবং রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না।”

    স্টেট স্পনসর্ড টেররিজম (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্টেট স্পনসর্ড টেররিজমের বড় উদাহরণ হল পহেলগাঁওকাণ্ড। প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে আমরা পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছি। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ও আমরা সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।” সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। আকাশ, জল থেকে মাটি – সর্বত্র আমরা প্রস্তুত থেকেছি। ‘নয়া নর্মাল’ তৈরি করেছে সেনা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবারও জবাব দেওয়া হবে। ভারত আর কোনও নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না।”

    পাকিস্তান ব্যর্থ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান আমাদের স্কুল-কলেজ, সাধারণ নাগরিকের বাড়িঘর, মন্দিরকে নিশানা করল। এখানেও ওরা ব্যর্থ হল। দুনিয়া দেখল, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন, মিসাইল ভারতের কাছে ধুলিসাৎ হল। আকাশেই নষ্ট করে দেওয়া হল।” তিনি বলেন, “তিনদিনে পাকিস্তানের যা হাল করা হয়েছে, তা ওরা ভাবতেই পারেনি। এখন ওরা বাঁচার রাস্তা খুঁজছে। গোহারা হেরে যাওয়ার পর ১০ মে পাকিস্তানি সেনা আমাদের ডিজিএমও-র দ্বরস্থ হন। তার আগেই আমরা পাকিস্তানের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “পৃথিবীতে বড় বড় সব সন্ত্রাসবাদী হামলা একই সুতোয় বাঁধা। তাই ভারতের হামলায় সন্ত্রাসবাদের হেড কোয়ার্টার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান হতাশ। এই অবস্থায় ওরা আরও একটা ভুল করেছে। ভারতকে সঙ্গ দেওয়ার বদলে ভারতের ওপরই হামলা করল।” তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের প্রাপ্তির জন্য, সেনার পরাক্রমকে আমরা উৎসর্গ করেছি দেশের সব মা, সকল মহিলাদের। স্ত্রী, সন্তানের সামনে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ে। আমার কাছে এটা ক্রূরতা। জঙ্গিরা বুঝে গিয়েছে, মা-বোনেদের সিঁদুর মোছার পরিণাম কী।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবার পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে (India Pakistan Ceasefire) সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে এবার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই কথা হবে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আজ বুদ্ধপূর্ণিমা, শান্তির পথও যুদ্ধ দিয়েই হয়।”

  • Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চকলেট, আইসক্রিম বা ঘরের তৈরি ডাল-ভাত, যে কোনও খাবারেই হতে পারে দাঁতের ক্ষয়রোগ। তবে আধুনিক খাদ্যাভ্যাসে এমন নানান জিনিস খাবারের তালিকায় যোগ হচ্ছে, যাতে দাঁতের ক্ষয়রোগের (Tooth decay) ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে এক-দুবার দাঁত ব্রাশ করলেই সেই ঝুঁকি কমবে না। বরং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দাঁত পরিষ্কার না করলে, বিপদ বাড়তে পারে। শিশুদের প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে দাঁত ও মুখের ভিতর পরিষ্কার করার অভ্যাস রপ্ত করানো জরুরি। তাহলে তাদের দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি কমবে। মুখের ভিতরে যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। কিন্তু দাঁত পরিষ্কারের কোন পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি?

    কখন দাঁত ব্রাশ করতে হবে? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা রাতে খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই ব্রাশ করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রাশ করার সময় অত্যন্ত জরুরি। রাতে খাবার খাওয়ার পরেই ব্রাশ করলে অনেক সময়েই তা ক্ষতি হতে পারে। কারণ, খাবার খাওয়ার পরে প্রায় এক ঘণ্টা মুখের ভিতরে নানান ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড সক্রিয় থাকে। সেই সময়ে দাঁতে ব্রাশ ঘষলে কার্যত ব্যাকটেরিয়া ঘষা হয়। তাছাড়া ওই অ্যাসিড আর টুথপেস্ট একসঙ্গে দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। আর কিছুই উপকার হয় না। তাই খাওয়ার অন্তত একঘণ্টা পরে ব্রাশ করা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনিট পনেরো পরেই ব্রাশ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শুধু ব্রাশ করলেই জীবাণুমুক্ত হয় না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু ব্রাশ করলেই মুখ জীবাণুমুক্ত হয় না‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুখের ভিতরে এমন নানান জায়গা থাকে, যেখানে ব্রাশ করলেও জীবাণু থেকে যায়। মুখের ভিতরের সব জায়গায় ব্রাশ পৌঁছতে পারে না। তাই ব্রাশ করার পাশপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু দাঁত ব্রাশ যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্লাগ বা ক্ষতিকারক উপাদান জমে থাকে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে। তাই ব্রাশ করার সময়ে সেই জায়গা পরিষ্কার করা জরুরি। না হলে মুখের ভিতর জীবাণুমুক্ত হবে না।‌ দাঁতের নানান সমস্যাও (Tooth decay) দেখা দিতে পারে।

    কতক্ষণ ব্রাশ করা উচিত? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করতে কত সময় লাগবে, এই নিয়ে নানান সংশয় রয়েছে‌। দাঁত ব্রাশ করতে মিনিট তিনেক সময় লাগে। তবে দাঁত ব্রাশ করার নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জোরে জোরে উপর-নীচে ব্রাশ চালিয়ে দাঁত পরিষ্কার করেন। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল। দাঁত ব্রাশ করতে হবে গোল গোল করে। অর্থাৎ, একসঙ্গে দুই বা তিনটি দাঁতের উপরে ব্রাশ রেখে, গোল গোল করে দাঁত ঘষতে হবে। তাহলেই দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার হবে। দাঁতও ভালো থাকবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করার পাশপাশি মুখ ধোয়ার অভ্যাস জরুরি। বিশেষত শিশুরা অনেক সময়েই দিনে একাধিকবার মিষ্টিজাতীয় খাবার খায়। বারবার তাদের ব্রাশ করা হয় না। কিন্তু মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই মুখের ভিতরে ভালো করে জল দিয়ে ধোওয়া জরুরি। এতে দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো‌ যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share