Tag: Bengali news

Bengali news

  • Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে যে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) কোনও সম্পর্ক নেই, বায়ুসেনার একটি পোস্টেই স্পষ্ট হয়ে গেল তা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা (IAF) জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে।” তবে এনিয়ে দেশবাসীকে কোনও রকম জল্পনা বা ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। যুদ্ধ বিরতি চললেও, সেই অভিযান যে জারি রয়েছে, এদিন তা জানিয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলার পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযান শুধুই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনার উপস্থিতির ছবিও তামাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, “এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের (Operation Sindoor) পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ পায়নি ভারত। এই আবহেই শনিবার ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতি। তার জেরে দেশবাসীর একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তার কী হবে? ভারতীয় বায়ুসেনার পোস্টে এর উত্তর পেয়ে গেলেন প্রশ্নকর্তারা। সেনা সাফ জানিয়ে (IAF) দিয়েছে, জঙ্গি দমনের জন্য তাদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলছে।

  • Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    Balochistan Conflict: স্বাধীনতা চায় বালুচিস্তান, দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে নাড়ির যোগ বালোচদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাত ও সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ইসালামাবাদ আরও একটি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সেটি হল বালুচিস্তান সঙ্কট (Balochistan Conflict)। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানের একটি বড় মাথাব্যথার কারণ। এই বালুচিস্তানের সঙ্গেই দক্ষিণ ভারতের সংযোগ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। পাকিস্তান, ইরান এবং আফগানিস্তানজুড়ে এই অঞ্চলটির সীমানা। এটি পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশগুলির একটি হওয়া সত্ত্বেও, তুলনামূলকভাবে অনুন্নত এবং জনবসতিহীন (South Indian Links)। ‘ব্রাহুই’ একটি দ্রাবিড় ভাষা, যা পার্সো আরবি লিপিতে লেখা হয় বলে ধারণা করা হয়। পাকিস্তানের প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই ভাষা ব্যবহার করেন। এর সিংহভাগই থাকেন বালুচিস্তানে। যেহেতু ব্রাহুই ভাষার মধ্যে দ্রাবিড় ভাষাগুলির সাসৃশ্য রয়েছে, সেহেতু এটি দুই অঞ্চলের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

    দ্রাবিড় ভাষাবিদের বক্তব্য (Balochistan Conflict)

    দ্রাবিড় ভাষাবিদ রবিশঙ্কর এস নাইয়ার জানান, এই বিষয়ে দুটি তত্ত্ব নিয়মিত আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বলেন, “প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী দক্ষিণ ভারতীয়রা এই অঞ্চল (বালুচিস্তান) থেকে অভিবাসিত হয়েছে, আর একটি তত্ত্ব বলছে বালুচ জনগণ দক্ষিণ ভারত থেকে অভিবাসিত হয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী প্রথম তত্ত্বটি বেশি বিশ্বাসযোগ্য।” তিনি জানান, এই অভিবাসনের সময় হতে পারে ২০০০ বছর আগে। নাইয়ার বলেন, “যদিও আমরা ব্রাহুই ভাষাটিকে দ্রাবিড় ভাষা বলে থাকি, এখন এর মধ্যে দ্রাবিড় উপাদান খুব কমই আছে। কিছু শব্দের প্রতিফলনের ক্ষেত্রে — যেমন মালয়ালম ভাষায় ‘কানুকা’ — এর সঙ্গে সংযোগ দেখা যায়। বাকি অংশে পশতু ও বালোচি ভাষার প্রবল প্রভাব পড়েছে। ফলে শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।” তিনি বলেন, “যেসব মৌলিক শব্দ দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর মধ্যে কিছু মিল আছে, যদিও তা এখন অনেক কম (South Indian Links)।”

    স্বাধীনতার দাবি

    প্রসঙ্গত, বালোচ (Balochistan Conflict) অঞ্চলটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বহু আগেই একটি বিচ্ছিন্ন সমাজব্যবস্থার জন্য পরিচিত ছিল। অষ্টাদশ শতকে এই অঞ্চলের গোত্রগুলো একজোট হয়ে একটি নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করে। ১৮৮৪ সালে বালুচিস্তান ব্রিটিশ ভারতের অংশ হয়ে গেলেও, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেক বালুচ নেতা অঞ্চলটিকে স্বাধীন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকায় এই প্রদেশটি পাকিস্তানের অংশ হয়ে যায়। তার পর থেকেই জোরালো হয়েছে স্বাধীন বালুচিস্তানের (Balochistan Conflict)।

  • Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন কান্তাপুরম এপি আবু বকর মুসালিয়ার (Kanthapuram)। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। দুজনকেই পাঠানো চিঠিতে তিনি জানায়েছেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দেশ যে লড়ছে, সেই লড়াইয়ের পাশে রয়েছেন তিনিও। ভারত সরকারের গৃহীত কঠোর অবস্থানকে নিঃসংশয়ে সমর্থন করেন তিনি। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি। আবু বকর মুসালিয়ারের মতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা কেবলমাত্র জাতীয় অখণ্ডতার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তির জন্যও এক গুরুত্ব অবদান।

    কী লিখেছেন চিঠিতে (Kanthapuram)

    প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসবাদ শুধু জাতীয় স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বৈশ্বিক শান্তি ও মানব মর্যাদার জন্যও একটি গুরুতর হুমকি। উগ্রপন্থী শক্তির কার্যকলাপ দমন করতে ভারতের সক্রিয় পদক্ষেপগুলি নিরীহ প্রাণ রক্ষায় এবং ন্যায় ও মানবতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। চরমপন্থী মতাদর্শের মোকাবিলায় ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের কৌশলগত হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক নেতৃত্ব একটি রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। নীতিনিষ্ঠ (Kanthapuram) কূটনীতিক দৃঢ় সংকল্প ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের দেশ এক অস্থির বিশ্বে স্থিতিশীলতার একটি বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।”

    দেশবাসীকে আহ্বান

    তিনি দেশের সকল নাগরিককে ধর্ম বা পটভূমি নির্বিশেষে এই জাতীয় উদ্যোগগুলির সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আমি সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি – এই জাতীয় প্রচেষ্টার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ান। আমরা সবাই বিশ্বাস বা পটভূমি নির্বিশেষে এমন মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে কাজ করব, যা আমাদের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ অথচ সঙ্গতিপূর্ণ জাতি হিসেবে একত্রিত করে। মহান সৃষ্টিকর্তা ভারতের নেতৃত্বকে শান্তি ও নিরাপত্তার এই মহৎ প্রচেষ্টায় দিকনির্দেশনা ও শক্তি দান করুন।”

    প্রসঙ্গত, মুসালিয়ার শেখ আবুবকর আহমেদ নামেও পরিচিত। তিনি ভারতের দশম ও বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি এবং সর্বভারতীয় সুন্নি জামিয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপি সুন্নিদের সামস্থ কেরলের (PM Modi) জেম আইয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদকও (Kanthapuram)।

  • Ramakrishna 347: “মেয়েটি ডাকাতের হাতে পড়িয়াছিল। মেয়েটির নাম প্রফুল্ল, পরে হল দেবী চৌধুরানী”

    Ramakrishna 347: “মেয়েটি ডাকাতের হাতে পড়িয়াছিল। মেয়েটির নাম প্রফুল্ল, পরে হল দেবী চৌধুরানী”

    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ‘দেবী চৌধুরাণী’ পাঠ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৭শে ডিসেম্বর
    মাস্টার, প্রসন্ন, কেদার, রাম, নিত্যগোপাল, তারক, সুরেশ প্রভৃতি

    আজ শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দ, (১৩ই পৌষ) শুক্লা সপ্তমী তিথি। যীশুখ্রীষ্টের জন্ম উপলক্ষে ভক্তদের অবসর হইয়াছে। অনেকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দেখিতে আসিয়াছেন। সকালেই অনেকে উপস্থিত হইয়াছেন। মাস্টার ও প্রসন্ন আসিয়া দেখিলেন ঠাকুর তাঁহার ঘরে দক্ষিণদিকে দালানে রহিয়াছেন। তাঁহারা আসিয়া তাঁহার চরণ বন্দনা করিলেন (Kathamrita)।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) শ্রীযুক্ত সারদাপ্রসন্ন এই প্রথম দর্শন করেন।

    ঠাকুর মাস্টারকে বললেন, “কই, বঙ্কিমকে আনলে না?”

    বঙ্কিম একটি স্কুলের ছেলে। ঠাকুর বাগবাজারে তাঁহাকে দেখিয়াছিলেন। দূর থেকে দেখিয়াই বলিয়াছিলেন, ছেলেটি ভাল।

    ভক্তেরা অনেকেই আসিয়াছেন। কেদার, রাম, নিত্যগোপাল, তারক, সুরেন্দ্র (মিত্র) প্রভৃতি ও ছোকরা ভক্তেরা অনেকে উপস্থিত।

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর ভক্তসঙ্গে পঞ্চবটীতে গিয়া বসিয়াছেন। ভক্তেরা চতুর্দিকে ঘেরিয়া রহিয়াছেন, কেহ বসিয়া—কেহ দাঁড়াইয়া। ঠাকুর পঞ্চবটীমূলে ইষ্টকনির্মিত চাতালের উপর বসিয়া আছেন। দক্ষিণ-পশ্চমদিকে মুখ করিয়া বসিয়া আছেন। সহাস্যে মাস্টারকে বলিলেন (Kathamrita), “বইখানা কি এনেছ?”

    মাস্টার—আজ্ঞা, হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—পড়ে আমায় একটু একটু শোনাও দেখি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও রাজার কর্তব্য

    ভক্তেরা আগ্রহের সহিত দেখিতেছেন কি পুস্তক। পুস্তকের নাম “দেবী চৌধুরানী”। ঠাকুর শুনিয়াছেন, দেবী চৌধুরানীতে নিষ্কামকর্মের কথা আছে। লেখক শ্রীযুক্ত বঙ্কিমের সুখ্যাতিও শুনিয়াছিলেন। পুস্তকে তিনি কি লিখিয়াছেন (Kathamrita), তাহা শুনিলে তাঁহার মনের অবস্থা বুঝিতে পারিবেন। মাস্টার বলিলেন, “মেয়েটি ডাকাতের হাতে পড়িয়াছিল। মেয়েটির নাম প্রফুল্ল, পরে হল দেবী চৌধুরানী। যে ডাকাতটির হাতে মেয়েটি পড়েছিল, তার নাম ভবানী পাঠক। ডাকাতটি বড় ভাল। সেই প্রফুল্লকে অনেক সাধন-ভজন করিয়েছিল। আর কিরকম করে নিষ্কামকর্ম করতে হয়, তাই শিখিয়েছিল। ডাকাতটি দুষ্ট লোকেদের কাছ থেকে টাকা-কড়ি কেড়ে এনে গরিব-দুঃখীদের খাওয়াত—তাদের দান করত। প্রফুল্লকে বলেছিল (Ramakrishna), আমি দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন করি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ও তো রাজার কর্তব্য।

  • CM Dhami: “পড়ুয়াদের সুনাগরিক করতে উত্তরাখণ্ডের স্কুলে পড়ানো হবে গীতা”, বললেন ধামি

    CM Dhami: “পড়ুয়াদের সুনাগরিক করতে উত্তরাখণ্ডের স্কুলে পড়ানো হবে গীতা”, বললেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্কুল পাঠ্যক্রমে ঢুকে পড়ল গীতা (Gita)। শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের যাতে নৈতিক মূল্যবোধের পাঠও দেওয়া যায়, তারা যাতে আরও ভালো নাগরিক ও সহানুভূতিশীল মানুষ হয়ে উঠতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (CM Dhami)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের সরকার শ্রীমদ্ভগবদ গীতাকে স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয়, বরং জীবনের কলা ও নৈতিকতার দর্শন।”

    মূল্যবোধের পাঠ (CM Dhami)

    তিনি বলেন, “এখন আমাদের সন্তানরা শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধের পাঠও পাবে, যা তাদের আরও ভালো নাগরিক ও সহানুভূতিশীল মানুষ করে তুলবে।” ওই বৈঠকে শিক্ষা বিভাগকে তিনি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সমস্ত কার্যকলাপের একটি রজত জয়ন্তী ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করতে বলেছেন। বর্ষার আগেই নাগরিক পরিকাঠামোর পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন করার কথাও বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্লাস্টার স্কুলগুলিতে আবাসিক হস্টেলের সুবিধার জন্য অন্যান্য রাজ্যের শ্রেষ্ঠ অনুশীলন মূল্যায়নের পর একটি প্রস্তাব তৈরি করা উচিত। আবাসিক হস্টেলগুলিতে শিশুদের জন্য আরও ভালো সুবিধা থাকা উচিত। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি জেলায় একটি করে আবাসিক হস্টেল নির্মাণ করা উচিত (CM Dhami)। ৫৫৯টি ক্লাস্টার স্কুলের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ছাত্রদের পরিবহণ ব্যবস্থার জন্যও একটি প্রস্তাব দ্রুত তৈরি করতে হবে।” পড়ুয়ারা যাতে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও এদিন কর্তাদের দিয়েছেন ধামি।

    বদলির প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা থাকা উচিত

    তিনি বলেন, “শিক্ষা বিভাগে বদলির প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা থাকা উচিত। এজন্য জেলা, বিভাগ এবং রাজ্যস্তরে সমস্ত দিক বিশদভাবে অধ্যয়ন করে একটি প্রস্তাব তৈরি করা উচিত। স্কুলগুলিতে এনসিসি এবং এনএসএস প্রচার করা উচিত। যেসব স্কুলে এই সুবিধা নেই, সেগুলিকে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন করা হবে।” শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকেও কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের মাধ্যমে সাহায্যের (Gita) অনুরোধও জানানো হবে বলে জানান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (CM Dhami)।

  • India Pakistan Conflict: যুদ্ধ বিরতিতে সায় ভারত-পাকিস্তানের, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় খুলল জট!

    India Pakistan Conflict: যুদ্ধ বিরতিতে সায় ভারত-পাকিস্তানের, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় খুলল জট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের আর্তনাদে মার্কিন হস্তক্ষেপ (India Pakistan Conflict)! তার জেরেই ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি। দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। শনিবারই পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে কথা হয় মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবেয়ার। রাতভর আলোচনার পরে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ, দাবি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্টের। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানালেনও সে কথা। ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণ যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে। উভয় দেশকে অভিনন্দন।”

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Conflict)

    এদিন বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর হয়েছে। সংঘর্ষ বিরতির কথা জানিয়েছে পাকিস্তানও। জল, স্থল কিংবা আকাশপথে আক্রমণ করবে না দুই দেশই। এদিন বিকেলে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ পাকিস্তানের ডিজিএমও-র তরফে ফোন করা হয় ভারতের ডিজিএমওকে। তখনই ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আর্জি জানায় পাকিস্তান।” তাতে সম্মতি জানায় ভারত। এর পরেই সিদ্ধান্ত হয় এদিন বিকেল ৫টা থেকে জল, স্থল, আকাশ সমস্ত পথে সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ফের ফোনে কথা বলবেন দুই দেশের ডিজিএমও-রা (India Pakistan Conflict)।

    জঙ্গি হামলাকে এবার যুদ্ধ হিসেবেই দেখবে ভারত

    এদিকে, জঙ্গি হামলাকে এবার যুদ্ধ হিসেবেই দেখবে ভারত। পাক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও বড় লড়াইয়ের হুঙ্কার ভারতের। ভারতে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে গণ্য হবে। পাকিস্তানকে এবার সবক শেখানোর কড়া বার্তাও দেওয়া হল ভারতের তরফে। এদিন তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এ কথা। অন্যদিকে, এদিন সকালে সেনার তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। বৈঠকে বিদেশ সচিব জানান, পাকিস্তান যে হামলা করছে, তারই জবাব দিচ্ছে ভারত। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “২৬ জায়গায় হামলার চেষ্টা হয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় তা প্রতিহত করেছে ভারত। তবে উধমপুর, পাঠানকোট, ভাতিন্ডায় জখম হয়েছেন কয়েকজন সেনা (India Pakistan Conflict)।”

  • Indias Drone Strikes: ভারতের ড্রোন হামলায় নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত!

    Indias Drone Strikes: ভারতের ড্রোন হামলায় নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ড্রোন হামলায় (Indias Drone Strikes) নড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতির ভিত! ভারত-পাক সংঘাতের (Pakistans Economy) আবহে এক সপ্তাহের নাটকীয় পতনের পর শুক্রবার করাচি স্টক এস্কচেঞ্জের ট্রেডিং সেশনে খানিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। পড়শি এই দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কেএসই- ১০০ সূচকটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক লেনদেনে ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও দিনের বেলায় এটি প্রায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, পরে সূচকটি প্রায় ১ শতাংশ হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি চারদিনের বিশৃঙ্খল পতনের পর সামান্য একটি প্রত্যাবর্তন।

    প্রচণ্ড ধাক্কা (Indias Drone Strikes)

    এই সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের বাজার পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের আশঙ্কায় প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিল। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। কেএসই-১০০ রকেটের গতিতে পড়ে যায়। এক সেশনেই এটি ৬ শতাংশেরও বেশি পড়ে যায় এবং লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছিল স্টক এক্সচেঞ্জের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সব চেয়ে খারাপ মন্দার মধ্যে একটি, যেখানে বিনিয়োগকারীদের ৮২ হাজার কোটি টাকারও বেশি হ্রাস পায়। টানা তিনটি লেনদেন দিনের মধ্যে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১.৩ লাখ কোটি, যা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বেঞ্চমার্ক সূচক তার সর্বোচ্চ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ কমে গিয়েছে। যার জেরে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

    ট্রেডিং সেশন

    করাচি ও লাহোর-সহ একাধিক শহরে ভারতীয় ড্রোন হামলার (Indias Drone Strikes) খবরের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তার জেরেই পতন ঘটে বাজারের। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের ট্রেডিং সেশনটি তীব্র ওঠানামার জন্য চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এদিন সূচকটি ১০ হাজার পয়েন্টেরও বেশি ওঠানামা করে। কেএসই-১০০ সূচকটি সাময়িকভাবে ১ হাজার ৮৭২টি পয়েন্ট বেড়ে যায়। পরে ফের ৮ হাজার ৪১০ পয়েন্ট পড়ে যায়। বিনিয়োগকারীদের ভয় এবং অনিশ্চয়তাই এর কারণ (Indias Drone Strikes) বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা (Pakistans Economy)। এই তীব্র পতনে সূচকটি ১ লাখ ৭ হাজার ০০৭ পয়েন্টে নেমে আসে।

  • Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পশ্চিমবঙ্গ (Birbhum) থেকে গ্রেফতার ২ জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। মূলত মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করে (Militants Arrested) ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার কাজই এরা করত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    বীরভূম থেকে ধৃত ২ (Birbhum)

    বছর আঠাশের আজমল হোসেন ও সাহেব আলি খান দুজনেই বীরভূমের বাসিন্দা। প্রথমজন থাকেন নলহাটিতে, আর অন্যজন মুরারইয়ে। তবে দুজনেই জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। জামাতের যে মডিউলের সদস্য এরা, তাদের দায়িত্ব ছিল মুসলমান যুবকদের মগজধোলাই করা। অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তাও ছড়িয়ে দিত এরা। পুরোটাই হত এনক্রিপ্টেড ভার্সানে। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে বিশেষ বিশেষ জায়গা ও বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার ছকও কষেছিল তারা। সেই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে নিরন্তর মগজধোলাই করে যেত মুসমনান তরুণদের।

    বাজেয়াপ্ত হয়েছে এই জিনিসগুলি

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমলের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। আজমল বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ও জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সে। আজমল বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিল বলে খবর। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল ও সাহেব। জেহাদিদের সঙ্গে টাকা লেনদেনও করত আজমল ও তার দোসর। আজমলের বাবা জার্জেশ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলে কোনওভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আজমল ছেলে কোনওদিন বাংলাদেশেও যায়নি বলেও দাবি তার। তিনি বলেন (Birbhum), “সাহেব মাঝে মাঝে আমার ছেলের কাছে আসত। সে-ই বইটই দিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালায় (Militants Arrested)। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বাংলাদেশি কিছু বই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে তারা।”

    কী বলছে অপারেশন টিম

    অপারেশন টিমের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এরা দুজনেই সক্রিয় ছিল দেশবিরোধী কাজে। দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের জেরা করে সম্পূর্ণ চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” তিনি বলেন, “দেশের বাইরে দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং সাহেব। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেনদেনও চলত বলে খবর।” জানা গিয়েছে (Birbhum), ধৃতদের আরও কয়েকজন সহযোগী বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের সাহায্যে আজমল ও সাহেব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। এর পাশাপাশি ধৃতেরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’-এর মতাদর্শ প্রচার ও বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল। ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ শব্দের অর্থ ‘ভারতে সশস্ত্র জেহাদ’ (Militants Arrested)। সূত্রের খবর, চণ্ডীপুর গ্রামের আজমল পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার। আর পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা সাহেব দর্জির কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজে লোকজন আসত। সেই সুযোগেই তরুণদের মগজ ধোলাই এবং সংগঠনে নিয়োগের চেষ্টা করত তারা।

    বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়

    বীরভূমের (Birbhum) সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল জমানায় বেশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গিদের। যেহেতু মুসলমানদের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যেহেতু তিনি অবিরাম তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছেন, তাই, বিরোধীদের মতে, পেয়ে বসেছে জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয় ঠাওরে নিয়ে আড়ে বহরে বাড়ছে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, মগজ ধোলাইয়ের কাজও করে চলেছে অবিরাম। অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হিন্দু বিতাড়নের ঘটনায়ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের উসকানি ছিল।

    জঙ্গি ধরা পড়েছে আগেও

    তবে বীরভূমের এই পাইকর থানা এলাকা নানা সময় খবরের শিরোনামে এসেছে জঙ্গি ধরা পড়ার কারণে। বছর পাঁচেক আগে এই থানারই কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা নাজিবুল্লা হাক্কানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেও জেএমবির সদস্য। নাজিবুল্লার আত্মীয়রা তাকে (Birbhum) নির্দোষ দাবি করলেও, এসটিএফ সেই সময় দাবি করেছিল, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারের সূত্র ধরে গ্রেফতার হওয়া নাজিবুল্লা আদতে জঙ্গি সংগঠনের তাত্বিক নেতা। তার হাত ধরেই বীরভূমে নয়া মডিউল তৈরির কাজ এগোচ্ছিল। তার সপক্ষেও নাজিবুল্লার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা।

    বর্ধমানের খাগড়গড়কাণ্ডে যে ১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল আদালত, তাদের মধ্যে ছিল ওই বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হাকিমও। তার বাড়ি বীরভূমেরই দেউচায় (Militants Arrested)। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে যেসব জেলায় জঙ্গি জাল ছড়ানোর হদিশ পেয়েছিল এনআইএ, সেই তালিকায় ছিল বীরভূমও। ওই কাণ্ডে একাধিক অভিযুক্তের (Militants Arrested) খোঁজ মিলেছিল বীরভূমের (Birbhum) নিমড়া গ্রামে।

  • RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে। দেশটি অচিরেই পাঁচভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।” শুক্রবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রবীণ প্রচারক ইন্দ্রেশ কুমার। পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ (RSS)

    ইন্দোরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘জিএএফসিওএন-এবিসিআই নর্থ ইন্ডিয়া লিডারস কনফারেন্স’-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “আমরা জানি না পাকিস্তানের কী হবে। কিন্তু মানুষ বলছে এই দেশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।” ইন্দ্রেশ কুমার ব্যাখ্যা করেন, ‘কিছু লোক মনে করে পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের শিকার। তারা এও মনে করে যেহেতু দেশটি ইতিমধ্যেই ৮০ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে, তাই এর অস্তিত্বের সময় হয়তো শেষের পথে। কারণ প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুই এক সময় বিলুপ্ত হয় (RSS)।’

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারত সনাতন সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা দেশ যার কোনও নির্দিষ্ট জন্মতারিখ নেই। সেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে নতুন রাষ্ট্র।” তিনি বলেন, “এই সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের যে নয়া রাষ্ট্রস্বত্ত্বা তার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না।”

    অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ এই আরএসএস নেতা বলেন, “পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি উঠছে। সিন্ধু, বালুচিস্তান, পশতু অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের মতো এলাকাগুলো আলাদা হতে চাইছে। আর পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।” তাঁর মতে, এসব আন্দোলন পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি দেশবাসীকে জাতপাত, দলীয় রাজনীতি, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও ভাষাভিত্তিক বিভাজন অতিক্রম করে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বানও জানান। বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যের পার্থক্য ভুলে একত্রিতভাবে সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে হবে এবং পাকিস্তানকে শক্ত বার্তা দিতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ গোটা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এটি আদতে (Operation Sindoor) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স মনোভাবেরই প্রতিফলন (RSS)।

  • Ramakrishna 346: “আমি মার কাছে প্রার্থনা করতে করতে বলেছিলুম, মা আর কিছু চাই না, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও”

    Ramakrishna 346: “আমি মার কাছে প্রার্থনা করতে করতে বলেছিলুম, মা আর কিছু চাই না, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রহ্লাদচরিত্রাভিনয় দর্শনে স্টার থিয়েটারে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই ডিসেম্বর
    সত্ত্বগুণ এলে ঈশ্বরলাভ—“সচ্চিদানন্দ না কারণানন্দ”

    “আমি মার কাছে প্রার্থনা করতে করতে বলেছিলুম, মা আর কিছু চাই না, আমায় শুদ্ধাভক্তি দাও (Ramakrishna)।”

    গিরিশের শান্তভাব দেখিয়া ঠাকুর প্রসন্ন হইয়াছেন। আর বলিতেছেন, তোমার এই অবস্থাই ভাল, সহজ অবস্থাই উত্তম অবস্থা (Kathamrita)।

    ঠাকুর (Ramakrishna) নাট্যালয়ের ম্যানেজারের ঘরে বসে আছেন। একজন আসিয়া বলিলেন,

    “আপনি বিবাহ বিভ্রাট দেখবেন? এখন অভিনয় হচ্ছে।”

    ঠাকুর গিরিশকে বলিতেছেন (Kathamrita), “একি করলে? প্রহ্লাদচরিত্রের পর বিবাহ বিভ্রাট? আগে পায়েস মুণ্ডি, তারপর সুক্তনি!”

    দয়াসিন্ধু শ্রীরামকৃষ্ণ ও বারবণিতা

    অভিনয়ান্তে গিরিশের উপদেশে নটীরা (Actresses) ঠাকুরকে নমস্কার করিতে আসিয়াছে। তাহারা সকলে ভূমিষ্ঠ হইয়া নমস্কার করিল। ভক্তেরা কেহ দাঁড়াইয়া, কেহ বসিয়া দেখিতেছেন। তাহারা দেখিয়া অবাক্‌ যে, উহাদের মধ্যে কেহ কেহ ঠাকুরের পায়ে হাত দিয়া নমস্কার করিতেছে। পায়ে হাত দিবার সময় ঠাকুর বলিতেছেন, “মা, থাক্‌ থাক্‌; মা, থাক্‌ তাক্‌।” কথাগুলি করুণামাখা।

    তাহারা নমস্কার করিয়া চলিয়া গেলে ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন—“সবই তিনি, এক-একরূপে।”

    এইবার ঠাকুর গাড়িতে উঠিলেন। গিরিশাদি ভক্তেরা তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে গমন করিয়া গাড়িতে তুলিয়া দিলেন।

    গাড়িতে উঠিতে উঠিতেই ঠাকুর গভীর সমাধিমধ্যে মগ্ন হইলেন (Kathamrita)!

    গাড়ির ভিতরে নারাণাদি ভক্তেরা উঠিলেন। গাড়ি দক্ষিণেশ্বর (Ramakrishna) অভিমুখে যাইতেছে।

    মাস্টার, প্রসন্ন, কেদার, রাম, নিত্যগোপাল, তারক, সুরেশ প্রভৃতি

    আজ শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দ, (১৩ই পৌষ) শুক্লা সপ্তমী তিথি। যীশুখ্রীষ্টের জন্ম উপলক্ষে ভক্তদের অবসর হইয়াছে। অনেকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দেখিতে আসিয়াছেন। সকালেই অনেকে উপস্থিত হইয়াছেন। মাস্টার ও প্রসন্ন আসিয়া দেখিলেন ঠাকুর তাঁহার ঘরে দক্ষিণদিকে দালানে রহিয়াছেন। তাঁহারা আসিয়া তাঁহার চরণ বন্দনা করিলেন (Kathamrita)।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) শ্রীযুক্ত সারদাপ্রসন্ন এই প্রথম দর্শন করেন।

    ঠাকুর মাস্টারকে বললেন, “কই, বঙ্কিমকে আনলে না?”

    বঙ্কিম একটি স্কুলের ছেলে। ঠাকুর বাগবাজারে তাঁহাকে দেখিয়াছিলেন। দূর থেকে দেখিয়াই বলিয়াছিলেন, ছেলেটি ভাল।

LinkedIn
Share