Tag: Bengali news

Bengali news

  • Ramakrishna 479: “‘সত্যকথা, অধীনতা, পরস্ত্রী মাতৃসমান—এইসে হরি না মিলে তুলসী ঝুট জবান্‌”

    Ramakrishna 479: “‘সত্যকথা, অধীনতা, পরস্ত্রী মাতৃসমান—এইসে হরি না মিলে তুলসী ঝুট জবান্‌”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    সত্যকথা কলির তপস্যা — ঈশ্বরকোটি ও জীবকোটি

    একজন ভক্ত—মহাশয়, নব-হুল্লোল বলে এক মত বেরিয়েছে। শ্রীযুক্ত ললিত চাটুজ্যে তার ভিতর আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—নানা মত আছে। মত পথ। কিন্তু সব্বাই মনে করে, আমার মতই ঠিক — আমার ঘড়ি ঠিক চলছে।

    গিরিশ (মাস্টারের প্রতি)—পোপ কি বলেন? It is with our judgements ইত্যাদি

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—এর মানে কি গা?

    মাস্টার—সব্বাই মনে করে, আমার ঘড়ি ঠিক যাচ্ছে, কিন্তু ঘড়িগুলো পরস্পর মেলে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তবে অন্য ঘড়ি যত ভুল হউক না, সূর্য কিন্তু ঠিক যাচ্ছে। সেই সূর্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হয়।

    একজন ভক্ত—অমুকবাবু বড় মিথ্যা কথা কয় (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সত্যকথা কলির তপস্যা। কলিতে অন্য তপস্যা কঠিন। সত্যে থাকলে ভগবানকে পাওয়া যায়। তুলসীদাস বলেছে, ‘সত্যকথা, অধীনতা, পরস্ত্রী মাতৃসমান—এইসে হরি না মিলে তুলসী ঝুট জবান্‌।’

    “কেশব সেন বাপের ধার মেনেছিল, অন্য লোক হলে কখনও মানতো না, একে লেখাপড়া নাই। জোড়াসাঁকোর দেবেন্দ্রের সমাজে গিয়ে দেখলাম, কেশব সেন বেদীতে বসে ধ্যান করছে। তখন ছোকরা বয়েস। আমি সেজোবাবুকে বললাম, যতগুলি ধ্যান করছে এই ছোকরার ফতা (ফাত্‌না) ডুবেছে,—বড়শির কাছে মাছ এসে ঘুরছে।

    “একজন—তার নাম করবো না—সে দশহাজার টাকার জন্য আদালতে মিথ্যা কথা কয়েছিল। জিতবে বলে আমাকে দিয়ে মা-কালীকে অর্ঘ্য দেওয়ালে। আমি বালকবুদ্ধিতে অর্ঘ্য দিলুম! বলে, বাবা এই অর্ঘটি মাকে দাও তো!”

    ভক্ত—আচ্ছা লোক!

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কিন্তু এমনি বিশ্বাস আমি দিলেই মা শুনবেন!

    ললিতবাবুর কথায় ঠাকুর বলিতেছেন —

    “অহংকার কি যায় গা! দুই-এক জনের দেখতে পাওয়া যায় না। বলরামের অহংকার নাই। আর এঁর নাই!—অন্য লোক হলে কত টেরী, তমো হত—বিদ্যার অহংকার হতো। মোটা বামুনের এখনও একটু একটু আছে! (মাস্টারের প্রতি) মহিম চক্রবর্তী অনেক পড়েছে, না?”

    মাস্টার—আজ্ঞা হাঁ, অনেক বই পড়েছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—তার সঙ্গে গিরিশ ঘোষের একবার আলাপ হয়। তাহলে একটু বিচার হয়।

    গিরিশ (সহাস্যে)—তিনি বুঝি বলেন (Kathamrita) সাধনা করলে শ্রীকৃষ্ণের মতো সব্বাই হতে পারে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—ঠিক তা নয়,—তবে আভাসটা ওইরকম।

    ভক্ত—আজ্ঞা, শ্রীকৃষ্ণের মতো সব্বাই কি হতে পারে?

  • Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    Rajasthan Cough Syrup Case: রাজস্থানে কফ সিরাপ খেয়ে শিশুর মৃত্যু, সাসপেন্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে একাধিক শিশুর মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনা সামনে এল রাজস্থানে। এই ঘটনাগুলি রাজস্থান (Rajasthan Cough Syrup Case) সরকারকে তৎপর করে তুললেও, দৈনিক ভাস্করের এক এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।

    ‘নকল ওষুধে’র সংজ্ঞা বদল (Rajasthan Cough Syrup Case)

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ড্রাগ কন্ট্রোলার (Drug Controller) রাজারাম শর্মা সরকারি নথিতে ‘নকল ওষুধ’-এর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। রাজ্যের কিছু ফার্মা কোম্পানির সুবিধা করে দিতেই তিনি এটা করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাজস্থান সরকার রাজারাম শর্মাকে বরখাস্ত করেছে এবং কেসন ফার্মার সরবরাহ করা ১৯টি ওষুধ বিলিবন্দেজ করা স্থগিত করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজারাম শর্মার হস্তক্ষেপের কারণে ওষুধের উপাদানের মানদণ্ড কমিয়ে আনা হয়েছিল, যা ওষুধের গুণমানের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।

    নকল ওষুধের তথ্য

    জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ওষুধ বিভাগ যে নকল ওষুধের তথ্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এর নির্দেশে লোকসভায় পাঠিয়েছিল এবং পরে নীতি আয়োগে পাঠিয়েছিল, তাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংখ্যাগত গরমিল ছিল। রাজস্থান বিধানসভার জন্য তৈরি আর একটি প্রতিবেদনে আবারও একই ধরনের সংখ্যা ও তথ্যের গরমিল ধরা পড়ে। প্রসঙ্গত, রাজস্থানের (Rajasthan Cough Syrup Case) ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোল কমিশনারেট ১৯ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলার (প্রথম ও দ্বিতীয়), ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরির ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বিভাগের একজন জুনিয়র লিগ্যাল অফিসার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে প্রকাশ পেয়েছে যে ড্রাগ কন্ট্রোলার (দ্বিতীয়) রাজারাম শর্মা ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০-এ নির্ধারিত মানদণ্ডের বিরোধিতা করে নিজের মতো করে নকল ওষুধের সংজ্ঞা যোগ করেছিলেন। ভাস্কর জানিয়েছে, তাদের কাছে ওই বৈঠকের মিনিট-টু-মিনিট বিবরণী রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে রাজস্থানে তিনটি শিশু কাশির সিরাপের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছে (Drug Controller)। আরও দু’জনের অবস্থাও সংকটজনক। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছে ৯ জন শিশু। তাই গোটা দেশেই কাশির সিরাপের গুণগত মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Rajasthan Cough Syrup Case)।

  • Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    Kashmir: চেনা ছন্দে ফিরল ভূস্বর্গ, দশেরায় মাতল শ্রীনগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দশকেরও বেশি সময় পরে ফের ঘটা করে দশেরা উৎসব পালিত হল জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে (Kashmir)। আবারও প্রাণ ফিরে পেল ভূস্বর্গ। গত ২ অক্টোবর হাজার হাজার কাশ্মীরি হিন্দু এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও উৎসব (Grand Dussehra) পালন করতে জড়ো হয়েছিলেন শের-ই-কাশ্মীর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা একটি অঞ্চলে এটি ছিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক ঐতিহাসিক পুনর্জাগরণ।

    গর্বের দশেরা (Kashmir)

    এদিনের উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদের বিশাল মূর্তি পোড়ানো। স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে রাখা অতিকায় প্রতিমাগুলি আগুনের করাল গ্রাসে চলে গেলে ৫ হাজারেরও বেশি দর্শক করতালিতে ফেটে পড়েন। সঙ্গে ছিল ঐতিহ্যবাহী সংগীত, পটকা ফাটানো ও মিষ্টি বিতরণ। দশেরার এই উৎসব ছিল সামাজিক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক গর্বের এক বিরল মুহূর্ত। এবারের এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী ইলতিজা মুফতিও উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন (Kashmir)।

    কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি

    অনুষ্ঠানের আয়োজক কাশ্মীরি হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ইন্দিরা নগরের একটি মন্দির থেকে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা বের হয়, ঠিক ৩৩টি বছর আগেও যেমনটি হত।কাশ্মীরি হিন্দু রাহুল মাত্তু বলেন, “কাশ্মীরে দশেরা আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষদের একত্রিত করে। এটি আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।” স্থানীয় বাসিন্দারাও একই কথা বলেন। তাঁরা উৎসবটির ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “এটি আমাদের যৌথ ঐতিহ্যকে দৃঢ় করে, আশার সঞ্চার করে।” ক্ষীরভবানীর এক বাসিন্দা বলেন, “দশেরা উদযাপন আমাদের শেকড় ও যৌথ ঐতিহ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি আশা ও একতার এক বিশেষ মুহূর্ত।”

    উৎসবের সমাপ্তি হয় এক মনোমুগ্ধকর আতশবাজির প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এটি শ্রীনগরের আকাশকে রঙিন করে (Grand Dussehra) তোলে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিল প্রশাসন (Kashmir)।

  • India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে ভারত-চিন (India China Agreement) সম্পর্কের বরফ। তার জেরেই চলতি মাস থেকে সরাসরি বিমান পরিষেবা (Direct Flights) শুরু হবে দুই দেশের মধ্যে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের জেরে তলানিতে ঠেকেছিল ভারত-চিন সম্পর্ক। তার পর থেকে এতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা।

    মোদি- জিনপিং বৈঠক (India China Agreement)

    কিছু দিন আগেই চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার পরেই গলে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ। ভারত-চিন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই দুই দেশের বিমান চলাচল কর্তাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত পর্যায়ের আলোচনা চলছিল। আলোচনায় মূলত সরাসরি সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং একটি সংশোধিত বিমান পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। নয়া ব্যবস্থায় ভারত ও চিনের নির্ধারিত বিমান সংস্থাগুলিকে সম্মতি পাওয়া রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। শীতকালীন সময়সূচি থেকে এই ফ্লাইটগুলি চালু হবে, যদি সমস্ত বাণিজ্যিক ও কার্যকরী শর্ত পূরণ করা যায়, তবেই।

    পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা

    দুই দেশের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের পর ইন্ডিগো তাদের চিন মূল ভূখণ্ডে পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা করেছে। ২৬ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে দৈনিক নন-স্টপ ফ্লাইটও চালু হবে (India China Agreement)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ইন্ডিগো খুব শিগগিরই দিল্লি ও গুয়াংঝুর মধ্যেও সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। ইন্ডিগো জানিয়েছে, এই রুটে তারা তাদের এয়ারবাস এ৩২০এনইও বিমান চালাবে। এই ফ্লাইটগুলি ফের চালু হলে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তপার বাণিজ্য, কৌশলগত ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব এবং পর্যটন খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। দুই দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য, আকাশপথে যোগাযোগ ফের শুরু হলে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে (Direct Flights)।

    প্রসঙ্গত, এশিয়া মহাদেশের এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তার জেরে মার খাচ্ছে ব্যবসা, পর্যটন ও অ্যাকাডেমিক বিনিময় কার্যকলাপ (India China Agreement)।

  • UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সম্ভবত ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান (Afghanistan) সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পর এই প্রথম হতে চলেছে নয়াদিল্লি ও কাবুলের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের ও মন্ত্রিস্তরের কূটনৈতিক সফর। আফগান বিদেশমন্ত্রীর এই সফরকে ভারত –আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বড় ধরনের পুনর্গঠন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো ফের উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি দ্রুত অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC) আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে নয়াদিল্লি সফরের ছাড়পত্র দিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপনারা সবাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কমিটির দেওয়া সেই ছাড়পত্র দেখেছেন, যা আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর ৯ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফরের অনুমতি দিয়েছে।”

    আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব (UNSC)

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড় এবং তালিবান নেতাদের সফরে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা, এই ঘটনাগুলি দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য। বাণিজ্য, যোগাযোগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে আফগানিস্তান ভারতের কৌশলগত স্বার্থে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির মধ্যে যে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল, আপনারা সেটা জানেন।” এছাড়াও, আফগান পক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের যৌথ সচিব পর্যায়েও আলোচনা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি (Afghanistan) ভূমিকম্পের সময় আমরা কুনার প্রদেশে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পেরেছিলাম। পরবর্তীকালে চাবাহার হয়ে আরও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয় (UNSC)।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে বিদেশমন্ত্রী বিক্রম মিস্রি এবং অন্য শীর্ষ কর্তারা আফগানিস্তানের তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে আসছেন। তাঁরা দুবাইয়ের মতো নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠক করেছেন। তবে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের এই প্রথম ভারত সফর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নির্দেশ করছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (UNSC)।

  • MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    MEA On POJK Protests: ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির পরিণতি,’ প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে যে হিংসাত্মক বিক্ষোভ চলছে, তা পাকিস্তানের (Pakistan) দমন-পীড়ন নীতিরই পরিণতি। দাবি ভারতের (MEA On POJK Protests)। ওই অঞ্চলে পাকিস্তানের কার্যকলাপের কঠোর সমালোচনাও করেছে নয়াদিল্লি। পাক সরকারের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির আহ্বানও জানিয়েছে ভারত সরকার।

    রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য (MEA On POJK Protests)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভের খবর পেয়েছি, যেখানে পাকিস্তানি সেনা বাহিনী নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এই অশান্তি পাকিস্তানের দমনমূলক নীতির স্বাভাবিক পরিণতি।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের দমনমূলক নীতি এবং এই অঞ্চলগুলির সম্পদের সুসংগঠিত লুটপাটের ফলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এগুলি এখনও তারা জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। পাকিস্তানকে তার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক সংকট, মৌলিক পরিষেবার অভাব এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে কঠোর (Pakistan) পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ফলেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফে পাক সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে (MEA On POJK Protests)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরসহ গোটা জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদিকে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্‌ফরাবাদে হিংসাত্মক বিক্ষোভের কয়েক দিনের ঘটনায় নিহতদের শেষযাত্রায় শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজা ও সমাধির শোভাযাত্রায় অংশ নিতে জড়ো হয়েছেন।

    অব্যাহত বিক্ষোভ

    শুক্রবার পঞ্চম দিনেও অব্যাহত ছিল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিক্ষোভ। এলাকায় এই আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে যখন পাক বাহিনীর গুলিতে তিন তরুণ নিহত হন। মুজাফ্‌ফরাবাদে তাঁদের শেষযাত্রায় হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ জনরোষে আরও ইন্ধন জোগায়। জম্মু-কাশ্মীর যৌথ আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ একটি ৩৮ দফা দাবিসনদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে (Pakistan)। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক সংস্কার, ভর্তুকিযুক্ত গমের আটা সরবরাহ, বিদ্যুতের শুল্ক হ্রাস, বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা বাতিলের দাবিও (MEA On POJK Protests)।

    পিটিআই পার্টির নেত্রীর দাবি

    এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মুজাফফরাবাদ। সেই আন্দোলন ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানপাট, বাজার ও পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেত্রী সৈয়দা জাহরা শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে বলেন, “কাশ্মীরের সুনামি আজ মুজাফফরাবাদকে আঘাত করবে।” তিনি একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেন। তাতে বলা হয়েছিল যে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের ওপর চালানো ব্যাপক হিংসার একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবুও জনগণ পিছিয়ে যায়নি। আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুক্রবারের নামাজের পর জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ওই ভিডিও ক্লিপে এও উল্লেখ করা হয়েছে, পাক সরকারের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি ঘৃণা ক্রমেই বাড়ছে (MEA On POJK Protests)।

    উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

    হিংসায় লাগাম টানতে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের একটি অসামরিক জোটের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হন। গুরুতর জখম হন বহু মানুষ। এর পর বৃহস্পতিবার ফের এই আলোচনা শুরু হয় বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর (Pakistan)। ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আট সদস্যের একটি কমিটি পাঠিয়েছেন। কমিটিতে রয়েছেন ফেডারেল মন্ত্রীরা আহসান ইকবাল, আমির মুকাম, সর্দার মুহাম্মদ ইউসূফ, রানা সানাউল্লাহ এবং তারিক ফজল চৌধুরি, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা রাজা পারভেজ আশরাফ ও কামার জামান কাইরা এবং প্রাক্তন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট সর্দার মাসুদ খান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হকও (MEA On POJK Protests)।

    অন্যদিকে, শোকসভায় সমবেত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেকেজেএএসি-এর নেতা মির আন্দোলনের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, প্রধান দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি বলেন, “এসব বিষয়ে আলোচনায় বসার আগে ধিরকোট-সহ অন্যান্য এলাকায় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যায় দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে (MEA On POJK Protests)।”

  • RSS at 100: ‘‘বিশ্বে সংঘের মতো আরও সংগঠন প্রয়োজন’’, আরএসএস-এর শতবর্ষে অভিনন্দন দানিশ কানেরিয়ার

    RSS at 100: ‘‘বিশ্বে সংঘের মতো আরও সংগঠন প্রয়োজন’’, আরএসএস-এর শতবর্ষে অভিনন্দন দানিশ কানেরিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) শতবর্ষ উদযাপনে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া (Danish Kaneria)। বিশ্বে আরএসএসের মতো আরও সামাজিক সংগঠন থাকা প্রয়োজন। এই পাক ক্রিকেটারের সাফ কথা, হিন্দু হওয়ার জন্য পাকিস্তানে তাঁকে নানা রকম ভাবে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। গত ২ অক্টোবর বিজয় দশমীর দিন শতবর্ষে পদার্পণ করেছে আরএসএস। ১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনেই ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার সংঘকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    ‘‘সংগঠনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা’’ (RSS at 100)

    পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ (Danish Kaneria) বলেন, “নিজেদের পক্ষে কোনও রকম কৃতিত্ব বা স্বীকৃতি না চেয়ে আরএসএস সমাজে সেবামূলক কাজ করে যায়। এই ধরনের সংগঠন সমাজে আরও প্রয়োজন। আমি বিশ্বজুড়ে আরএসএস-এর কাজ দেখেছি। যে কোনও দুর্যোগের কাজে তারা কাজ করে, সমাজ সেবায় তারা সব সময় নিবেদিতপ্রাণ। দুর্গতদের ত্রাণ, অসহায় ও পিছিয়ে থাকাদের মধ্যে ক্ষমতায়ন করা এবং তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করা এই সংগঠনের প্রধান কাজ। জাতি, বর্ণ, ধর্মের সীমায় আবদ্ধ নয় কেবলমাত্র মানব সেবায় স্বয়ং সেবকরা কাজ করে চলেন। এই সংগঠনকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।”

    ‘‘পাকিস্তান একটি সন্ত্রাস উৎপাদনকারী দেশ’’

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের এই স্পিনার বারবার বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের কথা বলে সরব হয়েছিলেন। পাকিস্তানে কীভাবে ধর্মীয় বৈষম্যের স্বীকার হন হিন্দুরা, সেই কথাই বলেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর জীবনের কেরিয়ারকে শেষ করে দিয়েছে এই ইসলামপ্রধান রাষ্ট্র। অগত্যা দেশ ত্যাগ করে এখন আমেরিকায় বসবাস করছেন দানিশ। তিনি (Danish Kaneria) বলেছিলেন, “বর্তমানে পাকিস্তান একটি সন্ত্রাস উৎপাদনকারী দেশ। পহেলগাঁওতে হামলার পর পাকিস্তানের উপর প্রত্যঘাতে অভিনন্দন মোদিকে। জঙ্গি হামলায় যদি পাকিস্তানের হাত না থাকে তাহলে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কেন নিন্দা জানাননি? আপনি সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। আপনার লজ্জা থাকা উচিত।” পাকিস্তানে হিন্দুদের কীভাবে জোর করে ধর্মান্তর করা হয় তা নিয়েও তোপ দেগেছিলেন দানিশ। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ ছিল শহিদ আফ্রিদি নানা ভাবে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দিতেন। হিন্দুদেবদেবীদের গালাগালি এবং অবমাননাকর যুক্ত মন্তব্যও করেছিলেন মুসলিম ক্রিকেটাররা।

  • UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে ইউপিআই (UPI) লেনদেন বিনামূল্যই থাকবে। লেনদেনে লাগবে না কোনও রকম অতিরিক্ত চার্জ। এমনটাই সুনিশ্চিত করে জানালেন ভারতীয় রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। নতুন চার্জের একটা ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়তেই একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টে মডেলের স্থায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো গুজব রটে গিয়েছিল, তাই এবার গভর্নরের সিদ্ধান্তে কাটলো ধোঁয়াশা।

    ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ে প্ল্যাটফর্ম (UPI)

    গত বুধবার আরবিআই-এর (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে ভারতের ডিজিটেল পেমেন্ট ইন্টারফেস লেনদেন (UPI) ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যে থাকবে। কোনও রকম চার্জ স্বরূপ টাকা দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উভয়েই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সারা ভারত জুড়ে ডিজিটাল লেনদেনকে আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য করতে ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রাখা হবে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা

    তবে ভারতের ইউপিআই (UPI) লেনদেন এখন বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বিল পরিশোধ, কেনাকাটায় এখন একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হল এই ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা। তবে ইউপিআই পরিষেবায় একটা বিশেষ খরচ আছে। এখন গ্রাহকদের দিতে না হলেও আগামীদিনে এইম খরচ তো বহন করতেই হবে। তবে গ্রাহক নিজে বহন করবেন নাকি সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে তাও একবার ভালো করে ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভাবে কোনও কিছু কার্যকর হচ্ছে না।

    পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেণ্ট সিস্টেমস অ্যাক্ট অবশ্য নিজের আইনের বলে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে গ্রহক ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী যেই হন না কেন অতরিক্ত কর চাপানোর অনুমতি দেয় না। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং গ্রামীণ গ্রহকদের বেশি বেশি পরিমাণে ডিজিটাল পরিষেবায় যাতে অংশগ্রহণ বাড়ে সেই দিকেই ইঙ্গিত দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার।

  • Ramakrishna 478: “মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের, পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়”

    Ramakrishna 478: “মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের, পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    পূর্বকথা—শ্রীরামকৃষ্ণের মহাভাব—ব্রাহ্মণীর সেবা

    “কামিনী-কাঞ্চনই সংসার—ঈশ্বরকে ভুলিয়ে দেয়।”

    গিরিশ—কামিনী-কাঞ্চন ছাড়ে কই?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তাঁকে ব্যাকুল হয়ে প্রার্থনা কর, বিবেকের জন্য প্রার্থনা কর। ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য—এরই নাম বিবেক! জল-ছাঁকা দিয়ে জল ছেঁকে নিতে হয়। ময়লাটা একদিকে পড়ে-ভাল জল একদিকে পড়ে, বিবেকরূপ জল-ছাঁকা আরোপ করো। তোমরা তাঁকে জেনে সংসার করো। এরই নাম বিদ্যার সংসার।

    “দেখ না, মেয়ে-মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিণী মেয়েদের। পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়। যখনই দেখি স্ত্রী-পুরুষ একসঙ্গে বসে আছে, তখন বলি (Kathamrita), আহা! এরা গেছে। (মাস্টারের দিকে তাকাইয়া)—হারু এমন সুন্দর ছেলে, তাকে পেতনীতে পেয়েছে! — ‘ওরে হারু কোথা গেল’, ‘ওরে হারু কোথা গেল’। সব্বাই গিয়ে দেখে হারু বটতলায় চুপ করে বসে আছে। সে রূপ নাই, সে তেজ নাই, সে আনন্দ নাই! বটগাছের পেতনীতে হারুকে পেয়েছে।

    “স্ত্রী যদি বলে ‘যাও তো একবার’—অমনি উঠে দাঁড়ায়, ‘বসো তো’—আমনি বসে পড়ে।

    “একজন উমেদার বড়বাবুর কাছে আনাগোনা করে হায়রান হয়েছে। কর্ম আর হয় না। আফিসের বড়বাবু। তিনি বলেন, এখন খালি নাই, মাঝে মাঝে এসে দেখা করো। এইরূপে কতকাল কেটে গেল-উমেদার হতাশ হয়ে গেল। সে একজন বন্ধুর কাছে দুঃখ করছে। বন্ধু বললে তোর যেমন বুদ্ধি।—ওটার কাছে আনাগোনা করে পায়ের বাঁধন ছেঁড়া কেন? তুই গোলাপকে ধর, কালই তোর কর্ম হবে। উমেদার বললে, বটে!—আমি এক্ষণি চললুম। গোলাপ বড়বাবুর রাঁড়। উমেদার দেখা করে বললে, মা, তুমি এটি না করলে হবে না—আমি মহাবিপদে পড়েছি। ব্রাহ্মণের ছেলে (Kathamrita) আর কোথায় যাই! মা, অনেকদিন কাজকর্ম নাই, ছেলেপুলে না খেতে পেয়ে মারা যায়। তুমি একটি কথা বলে দিলেই আমার একটি কাজ হয়। গোলাপ ব্রাহ্মণের ছেলেকে বললে, বাছা, কাকে বললে হয়? আর ভাবতে লাগল, আহা, ব্রাহ্মণের ছেলে বড় কষ্ট পাচ্ছে! উমেদার বললে, বড়বাবুকে একটি কথা বললে আমার নিশ্চয় একটা কর্ম হয়। গোলাপ বললে, আমি আজই বড়বাবুকে বলে ঠিক করে রাখব। তার পরদিন সকালে উমেদারের কাছে একটি লোক গিয়ে উপস্থিত; সে বললে, তুমি আজ থেকেই বড়বাবুর আফিসে বেরুবে। বড়বাবু সাহেবকে বললে, ‘এ ব্যক্তি বড় উপযুক্ত লোক। একে নিযুক্ত করা হয়েছে, এর দ্বারা আফিসের বিশেষ উপকার হবে।’

    “এই কামিনী-কাঞ্চন নিয়ে সকলে ভুলে আছে। আমার কিন্তু ও-সব ভাল লাগে না—মাইরি বলছি, ঈশ্বর (Ramakrishna) বই আর কিছুই জানি না।”

  • Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু হয়েছে কর্নাটক (Karnataka) কংগ্রেসে। মাত্র চার মাসের মধ্যে মাণ্ড্য জেলার এক প্রাক্তন সাংসদ ও তিনজন বর্তমান বিধায়ক-সহ দলের চার নেতাকে প্রকাশ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে অভিযোগ (Karnataka)

    দলের শৃঙ্খলা কমিটির পাঠানো ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা দলকে বিব্রত করেছেন এবং কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে প্রতি মাসেই অন্তত একজন বা দু’জন কংগ্রেস সাংসদ প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সিদ্দারামাইয়ার বদলে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, অথবা বছরের শেষের আগে তাঁকে সেই পদে উন্নীত করা হবে। এতে দলীয় ঐক্যে ফাটল চওড়া হয়েছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার নিজেরাই বারবার কোনও ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

    শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়েছেন, তাঁরা হলেন কুনিগালের বিধায়ক এইচডি রঙ্গনাথ এবং মাণ্ড্যর প্রাক্তন সাংসদ এলআর শিবরাম গৌড়া। এর আগেও মাত্র কয়েক মাস আগে চন্নাগিরির বিধায়ক শিবগঙ্গা ভি বাসবরাজ এবং রামনগরার বিধায়ক ইকবাল হুসেনকে একই ধরনের মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ১ জুলাই শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রামনগরার কংগ্রেস বিধায়ক ইকবাল হুসেন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যেই পাঁচ বছর এবং আরও আড়াই বছর – মোট সাড়ে সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “ডিকে শিবকুমার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং দলকে ১৪০টি আসন এনে দিয়েছেন। ২০২৮ সালে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” তিনি কবুল করেন, দলের হাইকমান্ড প্রকাশ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা না করার নির্দেশ দিলেও তিনি এই মতামত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে জানিয়েছেন (Karnataka)।

    বাসবরাজের ভবিষ্যদ্বাণী

    বাসবরাজ এবারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। অগাস্ট মাসে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে এবং শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাঁর এই মন্তব্য শিবকুমার সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন। যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রঙ্গনাথ শিবকুমারকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে উল্লেখ করেন এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কৃতিত্ব দেন তাঁকেই। তিনি শিবকুমারকে উদীয়মান তারকা এবং সারা ভারতের নেতা বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, একদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি এই পদে বসার যোগ্য।

    কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনেই এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং আমি একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে চলছি।” তিনি আরও জানান, তিনি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জিসি চন্দ্রশেখরকে এই বিষয়ে মন্তব্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি যা বলছে, তার প্রতি আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই (Karnataka)।” মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন। মাঝপথে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই। দশেরা উদ্‌যাপনের সময়ও তিনি ফের বলেছিলেন, “কংগ্রেস সরকার ব্যক্তিগত অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।”

    দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    এই প্রথম নয় যে কর্নাটক কংগ্রেসের দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্টকে ঘিরে দলটির মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছিল। ওই সমীক্ষায় কর্নাটকের জাতি অনুযায়ী প্রকৃত জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ পায়, যা লিঙ্গায়ত, ভোক্কালিগা এবং কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা আশঙ্কা করেছিল, এই তথ্য রাজ্যের সংরক্ষণ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে (Karnataka)।

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে এই সমীক্ষার ফল এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে তর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি দেখিয়ে দিয়েছিল যে জাতি, সম্প্রদায় ও নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা বিভক্ত। এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ বিবাদের প্রেক্ষিতে দলটি আবারও ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, যখন দলটি সরকারে একটি স্থিতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, সেই সময় (Karnataka)।

LinkedIn
Share