Tag: Bengali news

Bengali news

  • Pahalgam Attack: পাক আকাশসীমা এড়াতে লেহ্-হিন্দুকুশ হয়ে বিমান চালাবে ভারত!

    Pahalgam Attack: পাক আকাশসীমা এড়াতে লেহ্-হিন্দুকুশ হয়ে বিমান চালাবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরে ভারতের জন্য আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পাকিস্তান (Pakistans Airspace) । স্বাভাবিকভাবেই ঘুরপথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে হচ্ছে ভারতীয় বিমানগুলিকে। যেমন ইউরোপ ও আমেরিকাগামী বিমানগুলি দিল্লি থেকে নিচের দিকে আহমেদাবাদ হয়ে আরব সাগরের ওপর দিয়ে মাস্কাট হয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ হচ্ছে বেশি, সময়ও লাগছে। সেই কারণেই নয়া ফ্লাইট রুট খোঁজার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। সমস্যা মেটাতে ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং এয়ারলাইন্সগুলির শীর্ষ কর্তারা সমাধানের পথ খুঁজতে আলোচনায় বসেছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্তারা পশ্চিমাঞ্চলের আকাশপথের যানজট কমাতে এবং বিকল্প হিসেবে নয়া ফ্লাইট পথ পরিকল্পনার কথা ভাবছেন।

    বিমান চলাচল সংস্থার কাছে আপিল! (Pahalgam Attack)

    এছাড়াও, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার কাছে আপিল করার কথাও ভাবছে। তাদের যুক্তি হল, পাকিস্তানের এই নিষেধাজ্ঞা ১৯৪৪ সালের বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত কনভেনশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলিকে একাধিক রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

    বিকল্প পথের খোঁজে আলোচনা

    সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা, বিদেশমন্ত্রক ও অসামরিক বিমান মন্ত্রকের কর্তারা গত সপ্তাহে বিকল্প পথ নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন (Pahalgam Attack)। কর্তৃপক্ষ বিমান সংস্থাগুলিকে এই পথের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করতে বলেছেন, যেখানে দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করা একটি বিমান লেহ্-এর উত্তর দিকে এগিয়ে হিন্দুকুশ পর্বতমালার ওপর দিয়ে উড়ে কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার দিকে যেতে পারে। এতে এড়ানো যাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আকাশসীমা।

    ২০২১ সালে এয়ার ইন্ডিয়া “পাপা ৫০০” নামে একটি নতুন বিমানপথ চালু করে, যা এয়ারোনটিক্যাল চার্টে উল্লেখ করা হয়। তবে এই পথে যাত্রার সময় বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমার একটি ছোট অংশ অতিক্রম করতে হয়। প্রস্তাবিত ধারণা অনুযায়ী, বিমানটিকে আরও উত্তরে উড়ে চিনের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে হতে পারে। এক সরকারি কর্তা বলেন, “রুটটির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে সরকার চিনের অনুমতি চাইতে পারে। এতে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি প্রবেশাধিকার মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে বিরতির প্রয়োজন পড়বে না (Pahalgam Attack)।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ হওয়ার পরে এখন উত্তর ভারত, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলি দক্ষিণ দিকে (Pakistans Airspace) আহমেদাবাদের কাছাকাছি দিয়ে উড়ছে। সেখান থেকে আরব সাগর পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁচ্ছছে (Pahalgam Attack)।

  • Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    Caste Census: জাতিভিত্তিক গণনার কথা ঘোষণা কেন্দ্রের, মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন নেতানেত্রী। এই তালিকায় যেমন রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah), তেমনি রয়েছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানের পাশাপাশি এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারও।

    কী বললেন শাহ (Caste Census)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই ঘোষণার ফলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নতি হবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে আজকের সিসিপিএ সভায় আসন্ন আদমশুমারিতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সামাজিক সমতা ও প্রতিটি বিভাগের অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও তার মিত্র দলগুলি কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকাকালীন জাতিভিত্তিক আদমশুমারির বিরোধিতা করেছিল এবং বিরোধী দলে থাকাকালীন একে নিয়ে রাজনীতিকরণ করেছিল। এই সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া সকল শ্রেণির ক্ষমতায়ন করবে, অন্তর্ভুক্তি প্রচার করবে এবং বঞ্চিতদের অগ্রগতির জন্য নতুন পথ প্রশস্ত করবে।”

    নাড্ডার পোস্ট

    বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত স্তরে পিছিয়ে পড়া জাতিগুলিকে মূলধারায় আনার ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের অধিকার ও অধিকার থেকে বঞ্চিতদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি সম্প্রসারণ, সমাজের প্রতিটি অংশের উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মর্যাদা বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সমাজের সকল অংশের কল্যাণের লক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকাকালীন, কংগ্রেস সব সময় জাতিগত জনগণনার বিরোধিতা করেছে, যার প্রমাণ স্বাধীনতার পর দেশে আজ পর্যন্ত জাতিগত জনগণনা করা হয়নি। মোদি সরকারের এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত সামাজিক সম্প্রীতি প্রসারিত করার পাশাপাশি প্রতিটি শ্রেণির উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া অংশের সম্মান বৃদ্ধিতে একটি মাইলফলক (Amit Shah) হয়ে থাকবে। সমগ্র সমাজের কল্যাণে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি মোদিজিকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই (Caste Census)।”

    অজিত পাওয়ারের বক্তব্য

    মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, “দেশে সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার ঐতিহাসিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি, মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহজি এবং সমগ্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!” তিনি লেখেন, “বহু দশক ধরে অসংখ্য ব্যক্তি, সংগঠন এবং গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে জাতিভিত্তিক আদমশুমারির দাবি করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহের দূরদর্শী এবং সংবেদনশীল নেতৃত্বের কারণে এই দাবি পূরণ হয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারির অভাবে তফশিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া অন্যান্য বর্ণের জনসংখ্যার অর্থনৈতিক (Amit Shah) ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলস্বরূপ, সমাজের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ওবিসি সম্প্রদায়কে এর পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল।” মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধানও (Caste Census)।

    কী বললেন নীতীশ কুমার 

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জাতিভিত্তিক আদমশুমারির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “জাতিগত আদমশুমারি পরিচালনার জন্য আমাদের দাবি অনেক পুরানো। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে কেন্দ্রীয় সরকার জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনা বিভিন্ন শ্রেণির জনসংখ্যা নির্ধারণে সাহায্য করবে, যা তাদের উন্নয়ন ও উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নকে সহজতর করবে। এটি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শ্রদ্ধেয় শ্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনার সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন ও ধন্যবাদ (Caste Census)।”

    প্রসঙ্গত, ভারতে শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। জনগণনা হয় প্রতি ১০ বছর অন্তর। সেই হিসেবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। শেষ জনগণনা অনুসারে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১২১ কোটি (Amit Shah)। এর মধ্যে তফশিলি উপজাতি ৮.৬১ শতাংশ, তফশিলি জাতি রয়েছে মোট জনসংখ্যার ১৬.৬৩ শতাংশ। আর ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন ৫২ শতাংশ (Caste Census)।

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    Boiled rice: গরম থেকে বাঁচতে দু’বেলা ভাত! চলছে পান্তাও! অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির নিত্যদিনের সঙ্গী ভাত! যত রকমের লোভনীয় পদ থাকুক না কেন, ভাত ছাড়া বাঙালির খাওয়া অসম্পূর্ণ! বৈশাখের তীব্র গরমে আবার কেউ কেউ দিনে একাধিকবার ভাত (Boiled rice) খাচ্ছেন। অনেকেই আবার গরম এড়াতে পান্তা ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং এতে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনের একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। অনেক সময়েই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ ভাত খাওয়া হয়‌। এর ফলে কিছু জটিল রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। দেখে নেওয়া যাক, একাধিকবার ভাত খেলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে?

    স্থূলতার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে (Boiled rice)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খেলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তে পারে ক্যালোরি। যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত দু’বেলা ভাত খেলে শরীরের ওজন অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষত, যাঁরা স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য দুবেলা ভাত যথেষ্ট বিপজ্জনক। অতিরিক্ত ওজন সুস্থ জীবন যাপনের পথে বাধা। তাই দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়ার আগে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, বাড়তি উদ্বেগ ডায়াবেটিসের

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত (Boiled rice) বারবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের কোনও ভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনে একাধিকবার ভাত খাওয়া উচিত নয়। ভাত শরীরের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নিয়মিত বারবার ভাত খেলে নানান শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে।
    তবে শুধুই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য নয়, নিয়মিত বারবার ভাত খাওয়ার অভ্যাস বিপদ বাড়াতে পারে সকলেরই। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই ডায়াবেটিস আক্রান্ত নন। তবে ডায়াবেটিস প্রবণ। তাঁদের জন্যও বাড়তি বিপদ তৈরি করে।

    অতিরিক্ত ঘুম কাজের ক্ষতি করতে পারে (Boiled rice)

    ভাত খেলে অতিরিক্ত ঘুম হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত বারবার ভাত খেলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তার ফলেই অতিরিক্ত ঘুম হয়। তাই কাজ করার ইচ্ছে কমে। ক্লান্তি বোধ বাড়ে। এর জেরেই কাজের ক্ষতি হয়।

    পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি

    তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বারবার না খেলেও দিনে অন্তত একবার ভাত (Boiled rice) খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ সেদ্ধ চালের ভাত খান। আর এই ভাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান। পাশপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হয়। তাই নিয়মিত এক কাপ ভাত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে শরীরে এনার্জির জোগান‌ ঠিকমতো হয়‌। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বারবার জানাচ্ছেন, ভাতের পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া (Overeating) বিপদ ডাকতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 338: “শিবে সনাতনী সর্বাণী ঈশানী, সদানন্দময়ী, সর্বস্বরূপিণী, সগুণা নির্গুণা সদাশিব প্রিয়া”

    Ramakrishna 338: “শিবে সনাতনী সর্বাণী ঈশানী, সদানন্দময়ী, সর্বস্বরূপিণী, সগুণা নির্গুণা সদাশিব প্রিয়া”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই-১০ই নভেম্বর
    সেবকসঙ্গে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) এই কথা শুনিয়া উচ্চহাস্য করিলেন।

    মণি (অতি বিনীতভাবে)—আচ্ছা, কর্তব্য কর্ম—হাঙ্গাম— কমানো তো ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তবে সম্মুখে কেউ পড়ল, সে এক। সাধু কি গরিব লোক সম্মুখে পড়লে তাদের সেবা করা উচিত।

    মণি—আর সেদিন ঈশান মুখুজ্জেকে খোসামুদের কথা বেশ বললেন। মড়ার উপর যেমন শকুনি পড়ে। ও-কথা আপনি পণ্ডিত পদ্মলোচনকে বলেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, উলোর বামনদাসকে।

    কিয়ৎপরে মণি ছোট খাটের পার্শ্বে পাপোশের নিকট বসিলেন।

    ঠাকুরের (Ramakrishna) তন্দ্রা আসিতেছে,—তিনি মণিকে বলিতেছেন, তুমি শোওগে। গোপাল কোথায় গেল? তুমি দোর ভেজিয়ে রাখ।

    পরদিন (১০ই নভেম্বর) সোমবার। শ্রীরামকৃষ্ণ বিছানা হইতে অতি প্রতূষ্যে উঠিয়াছেন ও ঠাকুরদের নাম করিতেছেন, মাঝে মাঝে গঙ্গাদর্শন করিতেছেন। এদিকে মা-কালীর ও শ্রীশ্রীরাধাকান্তের মন্দিরে মঙ্গলারতি হইতেছে। মণি ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে শুইয়াছিলেন। তিনি শয্যা হইতে উঠিয়া সমস্ত দর্শন করিতেছেন ও শুনিতেছেন (Kathamrita)।

    প্রাতঃকৃত্যের পর তিনি ঠাকুরের কাছে আসিয়া বসিলেন।

    ঠাকুর আজ স্নান করিলেন। স্নানান্তে ৺কালীঘরে যাইতেছেন। মণি সঙ্গে আছেন। ঠাকুর তাঁহাকে ঘরে তালা লাগাইতে বলিলেন।

    কালীঘরে যাইয়া ঠাকুর আসনে উপবিষ্ট হইলেন ও ফুল লইয়া কখনও নিজের মস্তকে কখনও মা-কালীর পাদপদ্মে দিতেছেন। একবার চামর লইয়া ব্যজন করিলেন। আবার নিজের ঘরে ফিরিলেন। মণিকে আবার চাবি খুলিতে বলিলেন। ঘরে প্রবেশ করিয়া ছোট খাটটিতে বসিলেন। এখন ভাবে বিভোর—ঠাকুর নাম করিতেছেন। মণি মেঝেতে একাকী উপবিষ্ট। এইবার ঠাকুর গান গাহিতেছেন। ভাবে মাতোয়ারা হইয়া গানের ছলে মণিকে কি শিখাইতেছেন যে, কালীই ব্রহ্ম, কালী নির্গুণা, আবার সগুণা, অরূপ আবার অনন্তরূপিণী।

    গান   —   কে জানে কালী কেমন, ষড়দর্শনে।

    গান   —   এ সব ক্ষেপা মেয়ের খেলা।

    গান   —   কালী কে জানে তোমায় মা (তুমি অনন্তরূপিণী!)
    তুমি মহাবিদ্যা, অনাদি অনাদ্যা, ভববন্ধের বন্ধনহারিণী তারিণী!
    গিরিজা, গোপজা, গোবিন্দমোহিনী, সারদে বরদে নগেন্দ্রনন্দিনী,
    জ্ঞানদে মোক্ষদে, কামাখ্যা কামদে, শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণহৃদিবিলাসিনী।

    গান   —   তার তারিণী! এবার ত্বরিত করিয়ে,
    তপন-তনয়-ত্রাসে ত্রাসিত প্রাণ যায়।
    জগত অম্বে জনপালিনী, জন-মিহিনী জগত জননী,
    যশোদা জঠরে জনম লইয়ে, সহায় হরি লীলায় ॥
    বৃন্দাবনে রাধাবিনোদিনী, ব্রজবল্লভ বিহারকারিণী,
    রাসরঙ্গিনী রসময়ী হ’য়ে, রাস করিলে লীলাপ্রকাশ ॥
    গিরিজা গোপজা গোবিন্দমোহিনী, তুমি মা গঙ্গে গতিদায়িনী,
    গান্ধার্বিকে গৌরবরণী গাওয়ে গোলকে গুণ তোমার ॥
    শিবে সনাতনী সর্বাণী ঈশানী, সদানন্দময়ী, সর্বস্বরূপিণী,
    সগুণা নির্গুণা সদাশিব প্রিয়া, কে জানে মহিমা তোমার ॥

    মণি মনে মনে করিতেছেন ঠাকুর যদি একবার এই গানটি গান—

    “আর ভুলালে ভুলবো না মা, দেখেছি তোমার রাঙ্গা চরণ।”

    কি আশ্চর্য! মনে করিতে না করিতে ওই গানটি গাহিতেছেন (Kathamrita)।

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিতেছেন—আচ্ছা, আমার এখন কিরকম অবস্থা তোমার বোধ হয়!

    মণি (সহাস্যে)—আপনার সহজাবস্থা।

    ঠাকুর (Ramakrishna) আপন মনে গানের ধুয়া ধরিলেন,—“সহজ মানুষ না হলে সহজকে না যায় চেনা।”

  • Ramakrishna 336: “যতক্ষণ ‘কুম্ভ’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি কুম্ভ” থাকবেই থাকবে, যতক্ষণ ‘আমি’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি ভক্ত, তুমি ভগবান”

    Ramakrishna 336: “যতক্ষণ ‘কুম্ভ’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি কুম্ভ” থাকবেই থাকবে, যতক্ষণ ‘আমি’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি ভক্ত, তুমি ভগবান”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ৯ই-১০ই নভেম্বর
    সেবকসঙ্গে

    “আর চাতকের কথা,—ফটিক জল বই আর কিছু খাবে না।

    “আর জ্ঞানযোগ আর ভক্তিযোগের কথা।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি?

    মণি—যতক্ষণ ‘কুম্ভ’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি কুম্ভ” থাকবেই থাকবে। যতক্ষণ ‘আমি’ জ্ঞান, ততক্ষণ “আমি ভক্ত, তুমি ভগবান।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, ‘কুম্ভ’ জ্ঞান থাকুক আর না থাকুক, ‘কুম্ভ’ যায় না। ‘আমি’ যাবার নয়। হাজার বিচার কর, ও যাবে না।

    মণি খানিকক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন। আবার বলিতেছেন (Kathamrita)—

    মণি—কালীঘরে ঈশান মুখুজ্জের সঙ্গে কথা হয়েছিল—বড় ভাগ্য তখন আমরা সেখানে ছিলাম আর শুনতে পেয়েছিলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—হাঁ, কি কি কথা বল দেখি?

    মণি—সেই বলেছিলেন, কর্মকাণ্ড। আদিকাণ্ড। শম্ভু মল্লিককে বলেছিলেন, যদি ঈশ্বর তোমার সামনে আসেন, তাহলে কি কতকগুলো হাসপাতাল ডিস্পেনসারি চাইবে?

    “আর-একটি কথা হয়েছিল,—যতক্ষণ কর্মে আসক্তি থাকে ততক্ষণ ঈশ্বর দেখা দেন না। কেশব সেনকে সেই কথা বলেছিলেন (Kathamrita)।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—কি?

    মণি—যতক্ষণ ছেলে চুষি নিয়ে ভুলে থাকে ততক্ষণ মা রান্নাবান্না করেন। চুষি ফেলে যখন ছেলে চিৎকার করে, তখন মা ভাতের হাঁড়ি নামিয়ে ছেলের কাছে যান।

    “আর-একটি কথা সেদিন হয়েছিল। লক্ষ্মণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন—ভগবানকে কোথা কোথা দর্শন হতে পারে। রাম অনেক কথা বলে তারপর বললেন—ভাই, যে মানুষে ঊর্জিতা ভক্তি দেখতে পাবে—হাঁসে কাঁদে নাচে গায়,—প্রেমে মাতোয়ারা—সেইখানে জানবে যে আমি (ভগবান আছি)।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আহা! আহা!

    ঠাকুর (Ramakrishna) কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন।

    মণি—ঈশানকে কেবল নিবৃত্তির কথা বললেন। সেই দিন থেকে অনেকের আক্কেল হয়েছে। কর্তব্য কর্ম কমাবার দিকে ঝোঁক। বলেছিলেন (Kathamrita)—‘লঙ্কায় রাবণ মলো, বেহুলা কেঁদে আকুল হলো!’

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই কথা শুনিয়া উচ্চহাস্য করিলেন।

    মণি (অতি বিনীতভাবে)—আচ্ছা, কর্তব্য কর্ম—হাঙ্গাম— কমানো তো ভাল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তবে সম্মুখে কেউ পড়ল, সে এক। সাধু কি গরিব লোক সম্মুখে পড়লে তাদের সেবা করা উচিত।

    মণি—আর সেদিন ঈশান মুখুজ্জেকে খোসামুদের কথা বেশ বললেন। মড়ার উপর যেমন শকুনি পড়ে। ও-কথা আপনি পণ্ডিত পদ্মলোচনকে বলেছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না, উলোর বামনদাসকে।

    কিয়ৎপরে মণি ছোট খাটের পার্শ্বে পাপোশের নিকট বসিলেন।

    ঠাকুরের তন্দ্রা আসিতেছে,—তিনি মণিকে বলিতেছেন, তুমি শোওগে। গোপাল কোথায় গেল? তুমি দোর ভেজিয়ে রাখ।

  • Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানাও করেন (Population Survey) তিনি। অশ্বিনী সাফ জানিয়ে দেন, আলাদা করে দেশে জাতি শুমারির প্রয়োজন নেই। জনগণনার সঙ্গেই হবে জাতিভিত্তিক গণনা।

    আদমশুমারি (Caste Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর হয় আদমশুমারি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে জনগণনা হয়নি ২০২১ সালে। তার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। বুধবার, এপ্রিল মাসের একেবারে শেষ দিনে সরাসরি জাতিশুমারির কথা ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।

    জাতিভিত্তিক জনশুমারি

    বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনশুমারি হয়েছে। এদিন জাতিভিত্তিক জনশুমারি ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটে থাকা অন্যান্য দলকেও নিশানা করেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বরাবর জাতিভিত্তিক জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, ক্যাবিনেটের উচিত জাতিভিত্তিক জনশুমারি নিয়ে বিবেচনা করা। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনশুমারির সুপারিশ করেছিল। তার পরেও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক (Caste Census) সমীক্ষা করেছিল।” অশ্বিনী বলেন, “কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্যরা জাতিভিত্তিক জনশুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্য এই সমীক্ষা করেছে শুধুমাত্র কোনও জনজাতির সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভালো কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ মানুষ জনজাতি সম্প্রদায়ের এবং উপজাতির নাগরিক ১.৭ শতাংশ।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই বিহারই প্রথম জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল (Population Survey)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কেন্দ্রের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ (Caste Census)।

  • Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Suvendu Adhikari)। সরকারি কোষাগার থেকে এক কাঁড়ি টাকা খরচ করে তৈরি মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন হিন্দুরা। ওই ঘটনায় হিন্দুরা যে ক্ষুব্ধ, তা বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এদিন উদ্বোধন করা হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের দুদিন আগেই দিঘায় প্রায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন করলেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করছেন, তখনই এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাম না করেই শুভেন্দু নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের সমালোচনায়ও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা ২৫ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই সময় পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে আনা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি ছিলেন। ঘটনাটি আমি এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি ৯টা ১০ মিনিটে। আর সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওঁর অনীহা! চটি চাটাদের নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়েছেন।”

    রাজ্য সরকারকে নিশানা

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুরো সরকার দিঘায় তুলে এনে ২৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন। শ্রী জগন্নাথদেবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাধারমনের আসল নাম রাহুল যাদব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “টিকি রাখলেই সবাই ইসকন হয় না। সনাতনী কাজ সকলকে দিয়ে হয় না। জগন্নাথ তো সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। ধর্ম বিরোধী কাজ করলে ঈশ্বর মেনে নিতে পারেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। এ জ্বালা বিশাল জ্বালা। সাজতে এসেছিল (Jagannath Temple) হিন্দু, আমরা বানিয়েছি জালি হিন্দু। রেড রোডে হিজাব পরে হিন্দু ধর্মকে গান্ধা ধর্ম বলে (Suvendu Adhikari)! জালি কোথাকার!”

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

  • Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    Bangladesh Crisis: ছ’মাস পরে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামিন পেলেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত বন্দিদশা ঘুঁচল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দু সন্ন্যাসী তথা ইসকনের প্রাক্তন কর্তা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das)। বুধবার বাংলাদেশের আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। এদিন জামিনে ছাড়া পেলেন এই হিন্দু সন্ন্যাসী।

    জামিনের আবেদনের শুনানি (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের হাইকোর্টে এদিন চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি আয়োতার রহমান ও আলি রেজার ডিভিশন বেঞ্চ। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে চিন্ময়কৃষ্ণের মামলায় রুল জারি করেছিল আদালত। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। সেদিন আদালত জানায়, শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। সেই মতো এদিন হয় শুনানি। এবং জামিনে ছাড়া পান হিন্দু এই সন্ন্যাসী।

    চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার

    গত বছরের মাঝামাঝি সময় গণঅভ্যুত্থান ঘটে বাংলাদেশে। পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাশ যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তার পরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর শুরু হয় চরম অত্যাচার। হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্বিচারে চলতে থাকে খুন-জখম-রাহাজানি। হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। এসবের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ। এর পরেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ছিল। এর পরেই (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয় হিন্দু এই সন্ন্যাসীকে।

    চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয় ওপার বাংলায়। এই হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে ভারতেরও নানা জায়গায় মিছিল হয়। ২৭ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করার সময় আদালত চত্বরে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকে একাধিকবার চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চিন্ময়কৃষ্ণের (Chinmoy Krishna Das) হয়ে সওয়াল করতে চাননি কোনও আইনজীবীই। কারণ তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ছ’মাস পরে এদিন মিলল বহুকাঙ্খিত জামিন (Bangladesh Crisis)।

LinkedIn
Share