Tag: Bengali news

Bengali news

  • Railway Employees Bonus: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস দেবে মোদি সরকার

    Railway Employees Bonus: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস দেবে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোতে রেলকর্মীদের ৭৮ দিনের বোনাস (Railway Employees Bonus) ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) ও নবরাত্রির মধ্যে এই সুখবরে রেলকর্মী মনে খুশির আবহ তৈরি করেছে। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রেলকর্মীদের অসাধারণ কর্মক্ষমতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উৎসবের আবহে যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের প্রাপ্য ডিএ থেকে বঞ্চিত, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের প্রতি কতটা সজাগ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় রাখে, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে সেটাও একবার প্রমাণিত হল।

    ১৮৬৫.৬৮ কোটি টাকার পিএলবি দেওয়া হবে (Railway Employees Bonus)

    রেলমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, রেলের কর্মীদের কাজের প্রতি নিষ্ঠার কথা ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষ সিদ্ধান্ত (Railway Employees Bonus) নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে উৎসবের মরশুমে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১০,৯১,১৪৬ জন রেল কর্মচারীকে ১৮৬৫.৬৮ কোটি টাকায় ৭৮ দিনের পিএলবি বা প্রোডাক্টিভিটি লিঙ্কড বোনাস অনুমোদন করেছে। ঠিক এমন কথাই জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। প্রতিবছর এই বোনাস দেওয়া হয় পুজোর সময়। গত বছরও এই বোনাস ১১,৭২,২৪০ জন রেল কর্মচারীদের ২,০২৮.৫৭ কোটি টাকা পিএলবি দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবছর প্রায় ১০.৯১ লক্ষ নন গেজেটেড রেল কর্মচারীকে ৭৮ দিনের বেতনের সমপরিমাণে পিএলবি (Railway Employees Bonus) দেওয়া হয়। পিএলবি হল মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অনুপ্রাণিত করার পুরস্কার। একে একপ্রকার ইনসেনটিভ বলাও হয়ে থাকে।

    প্রয়োজন অতরিক্ত ব্যয়কে রোধ

    অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের টাকায় আর কেনা যাবে না অপ্রয়োজনীয় জিনিস। দীপাবলির (Durga Puja 2025) আগে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এবার থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারি অর্থে আর কেনা যাবে না অন্যান্য উৎসবের উপহার সামগ্রীও। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যয় বিভাগের তরফ থেকে নির্দেশিকা তাৎক্ষণিক ভাবেই কার্যকর হয়েছে। প্রয়োজন অতরিক্ত ব্যয়কে রোধ করতে এবং জনসাধারণের অর্থের বিচক্ষণতাকে আরও সক্রিয় করতে এই নির্দেশিকা সরকারের রেলমন্ত্রক সাংবাদিক সম্মলেন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজস্ব শৃঙ্খলা ও জনসাধারণের সম্পদের ব্যবহারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে, ভারত সরকারের সব মন্ত্রক দীপাবলি ও অন্যান্য উৎসবের (Durga Puja 2025) জন্য উপহার সম্পর্কিত জিনিসপত্রের ওপর কোনও ব্যয় করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

  • West Bengal Weather Report: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নতুন নিম্নচাপ! পঞ্চমী থেকে কি ফের ভাসবে কলকাতা?

    West Bengal Weather Report: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে নতুন নিম্নচাপ! পঞ্চমী থেকে কি ফের ভাসবে কলকাতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে লাগাতার বৃষ্টিতে (West Bengal Weather Report) জমা জলে বিধ্বস্ত কলকাতা। পুজোর শুরুতে এক দিনেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩০০ মিলিমিটারের বেশি। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন পাইকারি এবং খুচরো ব্যবসায়ীরা। শহরজুড়ে (Kolkata Weather Report) প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ব্যাপক পরিমাণে জল জমে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পুজো উদ্যোক্তরা। অনেক জায়গায় এখনও জল না নামায় জনজীবন ব্যাপক ভাবে বিপর্যয়ের মুখে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে আবহাওয়া দফতর ফের একবার দক্ষিণে নিম্নচাপ ঘনিয়ে আসার কথা জানিয়েছে। শনিবার পঞ্চমী থেকেই ব্যাপক বৃষ্টির কথা জানিয়েছে, চলবে ষষ্ঠীর সকাল পর্যন্ত। কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

    মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ (West Bengal Weather Report)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, “বঙ্গোপসাগরে (West Bengal Weather Report) নতুন করে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে। শনিবারের মধ্যে দক্ষিণ ওড়িশা উপকূল দিয়ে সেই নিম্নচাপ স্থলভাগের উপর প্রবেশ করবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অষ্টমীতে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নবমীর রাত থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    ষষ্ঠী পর্যন্ত সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি

    বৃহস্পতিবার কলকাতা (Kolkata Weather Report) এবং দক্ষিণবঙ্গের (West Bengal Weather Report) বেশকিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একইভাবে বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায়। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। পঞ্চমীর দিনে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। তবে ষষ্ঠী পর্যন্ত সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি চলবে। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গে নেই সতর্কতা

    তুলনায় উত্তরবঙ্গে (West Bengal Weather Report) বৃষ্টির সম্ভাবনা কম রয়েছে। দুই এক জায়াগায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সতর্কতা রয়েছে একইভাবে কোচবিহারেও। আপাতত ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা নেই উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে।

  • Sonam Wangchuk: লেহ্-তে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক, বলল কেন্দ্র

    Sonam Wangchuk: লেহ্-তে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক, বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বুধবার লেহ্-তে যে হিংসাত্মক (Leh Violence) ঘটনা ঘটেছিল, তা উসকে দিয়েছিলেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)।’ এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন হিংসায় আগুন লাগানো হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিসে। পোড়ানো হয়েছে সিআরপিএফের গাড়ি। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। বুধবার সন্ধ্যার পরে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ওয়াংচুক হিংসা উসকে দেন। যদিও তাঁর দাবিগুলি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির সঙ্গে যে আলোচনা চলছে, তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি (Sonam Wangchuk)

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যেসব দাবির ভিত্তিতে ওয়াংচুক অনশন করেছিলেন, সেগুলি ইতিমধ্যেই এইচপিসি আলোচনার অংশ। বহু নেতা তাঁকে অনশন ভাঙার আহ্বান জানালেও তিনি অনশন চালিয়ে যান এবং আরব বসন্তধর্মী আন্দোলনের উল্লেখ ও নেপালে জেন জি প্রতিবাদের উদাহরণ টেনে জনগণকে বিভ্রান্ত করেন।” বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “২৪ সেপ্টেম্বর সকাল প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত হয়ে একদল লোক অনশন মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এসে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং লেহ্-এর সিইসি-র সরকারি কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা এই অফিসগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, নিরাপত্তা কর্মীদের আক্রমণ করে এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগায়। উন্মত্ত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, যাতে ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ এবং সিআরপিএফ কর্মী জখম হন। জনতা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করতে থাকে এবং পুলিশকে আক্রমণ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়, যাতে দুর্ভাগ্যবশত হতাহতের ঘটনা ঘটে।”

    উসকানিমূলক বক্তব্য

    মন্ত্রক জানিয়েছে, বিকেল ৪টের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিবৃতিতে ফের উল্লেখ করা হয়, “এটি পরিষ্কার যে, শ্রী সোনম ওয়াংচুক তাঁর উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে জনতাকে হিংসায় প্ররোচিত করেছিলেন (Sonam Wangchuk)।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হিংসার ঘটনার মধ্যেই সোনাম ওয়াংচুক অনশন ভঙ্গ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও চেষ্টা না করেই অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজের গ্রামে ফিরে যান তিনি (Leh Violence)। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “এটি সুপরিচিত যে ভারতের সরকার একই বিষয়ে লেহ্ এপেক্স বডি এবং কারগিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা চালিয়ে আসছে। এ সংক্রান্ত একাধিক বৈঠক হয়েছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির আনুষ্ঠানিক চ্যানেল এবং উপকমিটির মাধ্যমে, এছাড়াও নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসাধারণ ফল পাওয়া গিয়েছে। লাদাখের তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করা হয়েছে। কাউন্সিলগুলিতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভুটি ও পুরগি ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় ১৮০০ পদে নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে (Sonam Wangchuk)।”

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “তবে কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তি এইচপিসির অধীনে হওয়া অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় এবং তারা আলোচনার প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।” মন্ত্রক জানিয়েছে, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির পরবর্তী বৈঠক ৬ অক্টোবর নির্ধারিত হয়েছে। ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর লাদাখের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে (Leh Violence)।

  • AADHAAR Deactivation: সারা দেশে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    AADHAAR Deactivation: সারা দেশে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করল ইউআইডিএআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে ১.৪ কোটিরও বেশি আধার নম্বর (AADHAAR Deactivation)। এগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)। এই আধার নম্বরগুলি মৃত ব্যক্তিদের। মোদি সরকারের গত বছর শুরু হওয়া পরিস্কার অভিযানের অংশ হিসেবে ইউআইডিএআই এই পদক্ষেপ করেছে, যাতে করে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা সঠিক ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছায় এবং মৃত ব্যক্তিদের নামে কোনও ভুয়ো দাবি না করা যায়।

    ভুবনেশ কুমারের বক্তব্য (AADHAAR Deactivation)

    ইউআইডিএআইয়ের সিইও ভুবনেশ কুমার বলেন, “মৃত ব্যক্তিদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা প্রয়োজন, যাতে সরকারি কল্যাণ প্রকল্পগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে এবং কোনও ধরনের অপব্যবহারের সুযোগ না থাকে। এর ফলে সরকারি অর্থ প্রতারণামূলক দাবি বা পরিচয় জালিয়াতির পেছনে নষ্ট হবে না।” মনে রাখতে হবে, ৩৩০০–এরও বেশি সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আধার। ইউআইডিএআইয়ের লক্ষ্য হল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মৃত ব্যক্তিদের প্রায় ২ কোটি আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা (AADHAAR Deactivation)। ইউআইডিএআইয়ের আধিকারিকদের মতে, এই অভিযানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মৃত্যুর তথ্য নিবন্ধনে আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর নথিতে আধার নম্বর একেবারেই লেখা হয় না, অথবা ভুল বা অসম্পূর্ণ লেখা হয়। তথ্য বিভিন্ন আর্থিক এবং অ–আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। তাই তথ্য যাচাই ও মিলিয়ে দেখা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে।

    মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে!

    প্রসঙ্গত, সরকার লক্ষ্য করেছে যে, অতীতে একাধিকবার এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে মৃত ব্যক্তিদের নামেও সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ইউআইডিএআই (UIDAI) ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে চলেছে। ইউআইডিএআই নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তাঁরা মৃত্যুর ঘটনা এমআধার (mAadhaar) পোর্টালে রিপোর্ট করেন। সিইও কুমার বলেন, “সঠিক ও আপডেটেড ডেটাবেস বজায় রাখা লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগীর সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য এবং এটি ভারতের ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে (AADHAAR Deactivation)।”

  • ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    ECI: ভোট ‘চুরি’ রুখতে নয়া দাওয়াই নির্বাচন কমিশনের, কী করতে হবে ভোটারকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও বেশি স্বচ্ছতা আনতে বড় উদ্যোগ নিল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। যেহেতু এবার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে ভোটার কার্ড নিয়ে (Online Voter), তাই আর ভোট চুরির অভিযোগ তোলা যাবে না, ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না আর কোনও ভোটারের নাম। এবার জেনে নেওয়া যাক নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তটা ঠিক কী, ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্য ভোটারদেরই বা কী করতে হবে।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (ECI)

    কর্নাটকে ভোট চুরি হয়েছে বলে গলা ফাটিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, কর্নাটকের আলন্দ বিধানসভায় অন্তত ৬ হাজার ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে ভোট চুরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। যদিও রাহুলের অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যখন তুঙ্গে, তখনই নয়া নিয়ম আনল নির্বাচন কমিশন। বিতর্কের আবহেই নিজেদের পোর্টালে ‘ই-স্বাক্ষর’ ব্যবস্থা চালু করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, এই ব্যবস্থায় একমাত্র আধার কার্ডের মাধ্যমেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা নাম বাদ দেওয়া কিংবা তথ্য সংশোধন করা যাবে।

    কমিশনের নয়া নিয়ম

    কমিশনের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনলাইনে যদি কোনও ভোটার তাঁর নাম সংযোজন, বাদ দেওয়া বা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন (ECI), তখন তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এত দিন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ফর্ম ৬, নাম বাদ দেওয়ার জন্য ফর্ম ৭ এবং তথ্য সংশোধনের জন্য ফর্ম ৮ ফিল-আপের সময় এপিক নম্বর দিতে হত ভোটারদের। আলাদাভাবে আর কোনও তথ্য যাচাই করা হত না। এবার ফর্ম ফিলআপের সময় আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফিকেশনও করতে হবে।

    মঙ্গলবার থেকে চালু হয়েছে নয়া নিয়ম। নতুন এই ব্যবস্থায় তিনটি ফর্ম ফিল-আপের সময়ই আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর দিয়ে তথ্য যাচাই করা হবে। দেখা হবে, যাঁর নাম বাদ যাবে, তিনি নিজেই আবেদন করছেন, না কি তাঁর হয়ে অন্য কেউ?

    জানা গিয়েছে, ভোট দিতে হলে আবেদনকারীকে প্রথমে ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে। সেটি জমা দিতে গেলেই খুলবে একটি ‘ই-স্বাক্ষর’ পোর্টাল। সেখানে আবেদনকারীকে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। তাতে ওই আধার নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিলে তবেই সম্পূর্ণ হবে যাচাই প্রক্রিয়া (Online Voter) এবং আবেদনকারীর আবেদন সঠিকভাবে জমা পড়বে (ECI)।

  • Ramakrishna 474: “যারা শুদ্ধভক্ত তারা ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না”

    Ramakrishna 474: “যারা শুদ্ধভক্ত তারা ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    ঠাকুরের নিজ মুখে কথিত সাধনা বিবরণ

    অষ্টসিদ্ধি ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ—গুরুগিরি ও বেশ্যাবৃত্তি 

    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঠাকুরের নাম করিয়া ব্যারাম ভাল করিব—এই কথা মাঝে মাঝে বলিতেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)—যারা হীনবুদ্ধি তারা সিদ্ধাই চায়। ব্যারাম ভাল করা, মোকদ্দমা জিতানো, জলে হেঁটে চলে যাওয়া—এই সব। যারা শুদ্ধভক্ত তারা ঈশ্বরের (Ramakrishna) পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না। হৃদে একদিন বললে ‘মামা! মার কাছে কিছু শক্তি চাও, কিছু সিদ্ধাই চাও।’ আমার বালকের স্বভাব—কালীঘরে জপ করবার সময় মাকে বললাম, মা হৃদে বলছে কিছু সিদ্ধাই চাইতে। অমনি দেখিয়ে দিলে সামনে এসে পেছন ফিরে উবু হয়ে বসলো—একজন বুড়ো বেশ্যা, চল্লিশ বছর বয়স—ধামা পোঁদ—কালাপেড়ে কাপড় পরা—পড় পড় করে হাগছে! মা দেখিয়ে দিলেন যে, সিদ্ধাই এই বুড়ো বেশ্যার বিষ্ঠা! তখন হৃদেকে গিয়ে বকলাম আর বললাম, তুই (Kathamrita) কেন আমায় এরূপ কথা শিখিয়ে দিলি। তোর জন্যই তো আমার এরূপ হল!

    “যাদের একটু সিদ্ধাই থাকে তাদের প্রতিষ্ঠা, লোকমান্য এই সব হয়। অনেকের ইচ্ছা হয় গুরুগিরি করি—পাঁচজনে গণে মানে—শিষ্য-সেবক হয়; লোকে বলবে, গুরুচরণের ভাইয়ের আজকাল বেশ সময়—কত লোক আসছে যাচ্ছে—শিষ্য-সেবক অনেক হয়েছে—ঘরে জিনিসপত্র থইথই করছে!—কত জিনিস কত লোক এনে দিচ্ছে—সে যদি মনে করে—তার এমন শক্তি হয়েছে যে, কত লোককে খাওয়াতে পারে।

    “গুরুগিরি (Ramakrishna) বেশ্যাগিরির মতো।—ছার টাকা-কড়ি, লোকমান্য হওয়া, শরীরের সেবা, এই সবের জন্য আপনাকে বিক্রি করা। যে শরীর মন আত্মার দ্বারা ঈশ্বরকে (Kathamrita) লাভ করা যায়, সেই শরীর মন আত্মাকে সামান্য জিনিসের জন্য এরূপ করে রাখা ভাল নয়। একজন বলেছিল, সাবির এখন খুব সময়—এখন তার বেশ হয়েছে—একখানা ঘরভাড়া নিয়েছে—ঘুঁটে রে, গোবর রে, তক্তপোশ, দুখানা বাসন হয়েছে, বিছানা, মাদুর, তাকিয়া—কতলোক বশীভূত, যাচ্ছে আসছে! অর্থাৎ সাবি এখন বেশ্যা হয়েছে তাই সুখ ধরে না! আগে সে ভদ্রলোকের (Ramakrishna) বাড়ির দাসী ছিল, এখন বেশ্যা হয়েছে! সামান্য জিনিসের জন্য নিজের সর্বনাশ!”

  • Ladakh Unrest: অশান্তির আগুনে পোড়ানো হল বিজেপির পার্টি অফিস, গাড়ি, তপ্ত লেহ

    Ladakh Unrest: অশান্তির আগুনে পোড়ানো হল বিজেপির পার্টি অফিস, গাড়ি, তপ্ত লেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখকে রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে উত্তপ্ত লেহ (Ladakh Unrest)। বিক্ষোভকারীদের দাবি, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের আওতায় এনে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক। এই দাবিতেই বুধবার লাদাখের লেহতে বিক্ষোভ (Statehood Protests) শুরু হয়। পরে তা হিংসার আকার ধারণ করে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন সন্ধে পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চারজনের। জখম হয়েছন প্রায় ৭০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

    বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন (Ladakh Unrest)

    জানা গিয়েছে, এদিন বিক্ষোভ চলাকালীনই লেহতে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুন লাগানো হয় পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিআরপিএফের একটি গাড়িতেও। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জও। হিংসাত্মক প্রতিবাদের কারণে লাদাখ উৎসবের চতুর্থ ও শেষ দিনের উদ্‌যাপন বাতিল করা হয়। উৎসবের প্রথম তিন দিন উদযাপিত হয়েছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। প্রচুর দর্শকও এসেছিলেন। শেষ দিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল লেফটেন্যান্ট গভর্নর কাবিন্দর গুপ্তার, যিনি মাত্র এক মাস আগে বিজেপি নেতা হিসেবে এখানকার দায়িত্ব নিয়েছেন। সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন অনিবার্য কারণে লাদাখ উৎসবের শেষ দিনের অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে। স্থানীয় শিল্পী, সাংস্কৃতিক দল, পর্যটক এবং লাদাখের মানুষ যাঁরা অধীর আগ্রহে এই অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় ছিলেন, তাঁদের সবার অসুবিধার জন্য প্রশাসন গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে (Ladakh Unrest)।’’

    হিংসায় ক্ষুব্ধ লাদাখ আন্দোলনের অন্যতম মুখ

    এদিন প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিল লেহ অ্যাপেক্স বডির যুব শাখা। এই সংগঠনের চেয়ারম্যান থুপস্তান সোয়াং বলেন, “লাদাখে মূলত চারটি দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে হিংসার চেহারা নেয় আন্দোলন।” লাদাখের এদিনের ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ সোনম ওয়াংচুক। বস্তুত, লাদাখ আন্দোলনের অন্যতম মুখই (Statehood Protests) তিনি। ওয়াংচুক বলেন, “হিংসার কাছে হেরে গেল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। লাদাখের রাজনৈতিক দলগুলিও অযোগ্য। তারা তরুণ প্রজন্মকে সঠিক দিশা দেখাতে ব্যর্থ।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও হিংসাত্মক আন্দোলনই সমর্থন করেন না তিনি (Ladakh Unrest)।

  • Prabowo Subianto: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ‘ওম শান্তি ওম’ বলে ভাষণ শেষ করলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    Prabowo Subianto: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ‘ওম শান্তি ওম’ বলে ভাষণ শেষ করলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের প্রতিনিধি। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রে। বুধবার সেই ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো (Prabowo Subianto) স্বদেশের সংস্কৃতি মেনেই ভাষণ শুরু করলেন ‘ওম স্বস্তিয়াস্তু’ বলে। আর শেষ করলেন ‘ওম শান্তি ওম’ (Om Shanti) বলে। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই ঘটনা। রাষ্ট্রসংঘের ৮০তম সাধারণ সভায় অংশ নিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেখানেই তিনি উচ্চারণ করেন ‘ওম শান্তি ওম’। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    ‘ওম শান্তি ওম’ (Prabowo Subianto)

    দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ নাগরিকই মুসলমান। সেই দেশেরই প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাষণ শুরু করেন ‘ওম স্বস্তিয়াস্তু’ বলে। বক্তব্যের একেবারে শেষে বলেন ‘ওম শান্তি ওম’। তাঁর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তাঁকে কুর্নিশ জানান নেটিজেনরা। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, “ইহুদি, মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ সব ধর্মই এক। আমাদের সকলের একটা মানব পরিবার হিসেবে বসবাস করা উচিত। ইন্দোনেশিয়া এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট? 

    ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “যেখানেই শান্তি রক্ষার প্রয়োজন, সেখানেই সেবা দেওয়ার অঙ্গীকারে অটল আমরা।” তিনি বলেন, “ইন্দোনেশিয়া গাজা বা প্যালেস্তাইনের অন্য কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০ হাজার কিংবা তারও বেশি সংখ্যক আমাদের সন্তানদের পাঠাতে প্রস্তুত।” সুবিয়ান্তো (Prabowo Subianto) বলেন, “আজ ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর অন্যতম বৃহৎ অবদানকারী দেশ। আমরা কেবল কথায় নয়, বাস্তবে মাটিতে উপস্থিত থেকে যেখানে শান্তি রক্ষার প্রয়োজন, সেখানেই সেবা দিতে থাকব।” যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন – দু’টিই যেন স্বাধীন ও সার্বভৌম হয় এবং হুমকি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত থেকে নিরাপদে বেঁচে থাকতে পারে।” গাজায় বিধ্বংসী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (Prabowo Subianto) বলেন, “জাতিসমূহের এই সমাজকে অবশ্যই দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এই বিপর্যয় থামানোর জন্য। না হলে পৃথিবী প্রবেশ করবে এক অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায়, যেখানে যুদ্ধ হবে অবিরাম এবং হিংসা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে (Om Shanti)।”

  • Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের সূচনার পরেপরেই প্রবল বর্ষণে (Rain in Kolkata) জমা জলে নাজেহাল কলকাতা শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকা। ইতিমধ্যে শহরে ১০ জনের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত দুদিন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। বিপর্যয় উত্তরণে বেসামাল হয়ে আগেভাগেই সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এত বড় দুর্যোগ আসতে চলেছে এমন ইঙ্গিত তো আগে থেকেই আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল! প্রস্তুতি বা সুরক্ষার ব্যাপার ভেবে কেন নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা? কলকাতায় জলজমার জন্য ফরাক্কা-ডিভিসিকে দায়ী করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার মিথ্যাচারকে একযোগে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু-সুকান্ত (Suvendu Adhikari)। মমতার দাবিকে খারিজ করেছে ডিভিসিও। তারাও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, “ফরাক্কার জল কলকাতায় যায় না।” পুজোর মুখে চরম দুর্ভোগে কলকাতাবাসী, আর তাতেই চরম চাপে তৃণমূল কংগ্রেস।

    ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার (Rain in Kolkata)

    বৃষ্টির জল জমে কার্যত অবরুদ্ধ গোটা কলকাতা শহর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেন, “রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে। তিনি এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টিকে (Rain in Kolkata) হঠাৎ ও আকস্মিক বলে চালানোর চেষ্টা করে আসল সত্যকে চেপে দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করলেন। আসলে তিনি এবং তার সরকার প্রশাসনিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন।”

    সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন

    কলকাতার মেয়র ববি হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আবহাওয়া দফতর (IMD) আগেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন হবার অনেক আগেই রাজ্য সরকার এই সতর্কবার্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। মানুষ জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন আর শহরের জলমগ্ন রাস্তায় তাদের প্রাণহীন দেহ ভাসছে এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যও রাজ্যবাসীকে দেখতে হচ্ছে কারণ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন। আগাম সতর্কতা পেয়েও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। শুধুমাত্র প্রশাসনিক অবহেলা ও অব্যবস্থার কারণে এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেলো। আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতে মাননীয়া ঈশ্বরের দোহাই দিচ্ছেন।”

    পুজোর আগে এতোগুলি মৃত্যু

    জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সিইএসসি এবং সঞ্জীব গয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছেন। সম্পূর্ণ বিষয়ের উপর নজর রাখছেন তিনি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পাল্টা সুকান্ত মজুমদার, মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “পুজোর আগে এতোগুলি পরিবার নিজেদের পরিজনদের হারালেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসি এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কার উপর যে দায় চাপিয়ে দিয়েছেন তা ঠিক নয়। দায় এড়িয়ে অন্যের অপর দায় চাপানো ঠিক নয়। দেশের কোনও মেট্রোপলিটন শহরে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে না । সম্প্রতি বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদে জল জমে ছিল কিন্তু বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে কোনও মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। কলকাতায় বারবার এমন ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার! সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কাদের সম্পর্ক রয়েছে? ভোটের সময় কারা টাকা নিয়েছে সবাই জানে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

    ডিভিসির অজুহাত মমতার

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতাকে ঢাকতে সামাজিক মাধ্যমে ডিভিসির ওপর দায় ঠেলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আকস্মিক দুর্যোগের (Rain in Kolkata) আক্রমণে বিপর্যয়ে কলকাতা শহরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। ডিভিসির একতরফা জল ছাড়ায় রাজ্য এমনিতেই প্লাবিত ছিল, নদী, খাল সব টইটুম্বুর ছিল। ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের প্রচুর জল, যেখানে ড্রেজিং না হওয়ায় সমস্যা তো ছিলই। তার ওপরে এলো জল।” পাল্টা ডিভিসির সাফ কথা, “ডিভিসির জল কলকাতায় যায় না। আমতা হয়ে গঙ্গায় মিশে যায়, কলকাতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”

  • Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Sanjeev Sanyal: “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল (Sanjeev Sanyal)। গত কয়েক দিনে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা (Judiciarys Long Vacations) নিয়ে তাঁর মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। দিল্লিতে অ্যাডভোকেট জেনারেলদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিচার ব্যবস্থা। আইন অনেক সময় সমস্যার সমাধান তো করেই না, উল্টে বিষয়টিকে জটিল করে তোলে।”

    উন্নত দেশ হওয়ার পথে বড় বাধা (Sanjeev Sanyal)

    সঞ্জীবের মতে, বিচারব্যবস্থা ভারতের ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার আশার পথে সব চেয়ে বড় বাধা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মাই লর্ড’ সম্বোধনের মতো সেকেলে রীতি, ‘প্রেয়ার্স’ নামের ঔপনিবেশিক ধারা, দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার প্রথা, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব। তাঁর কথায়, “সময়ে ন্যায়বিচার মেলে না। এটা অন্যতম বড় সমস্যা।” আদালতের দীর্ঘ ছুটি দেওয়া নিয়েও আপত্তি রয়েছে সঞ্জীবের। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়?”

    ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর

    সঞ্জীবের মন্তব্যে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন আইনজীবী মহল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সঞ্জীবের ভাইরাল হওয়া বক্তব্য আদতে ভারতবাসীরই কণ্ঠস্বর। মনে রাখতে হবে, এটি শাসনব্যবস্থার কোনও বাইরের লোকের হালকা সমালোচনা নয়। বরং এটি সেই অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি, যা প্রতিটি মামলাকারী, উদ্যোক্তা এবং নাগরিক অনুভব করেছেন। ভারতে ন্যায়বিচার দেরিতে মেলে, ব্যয়বহুল এবং অপ্রাপ্য। ভারতের আইন পেশা এখনও সবচেয়ে আঁটসাঁট একটি পেশা, যা রক্ষণশীল, ঔপনিবেশিক এবং পরিবর্তনের বিপ্রতীপ। সান্যালের মন্তব্য সরাসরি বিচারব্যবস্থার অদক্ষতার সঙ্গে দেশের বৃহত্তর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের আশার মধ্যে একটা সীমারেখা টেনে দেয় বই কি!

    আইনি ডিগ্রির প্রয়োজন

    সঞ্জীবের (Sanjeev Sanyal) মতে, সব ক্ষেত্রেই আইনি ডিগ্রির প্রয়োজনও হয় না। নিজের দাবির স্বপক্ষে সওয়ালও করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সঞ্জীব বলেন, “ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা কেবল প্রক্রিয়ার কারণেই নয়, মানসিকতা ও সংস্কৃতির কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইনি ব্যবস্থা মধ্যযুগীয় কাঠামোর। এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে, যেমন সিনিয়র অ্যাডভোকেট, অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড এবং অন্যান্য। একবিংশ শতাব্দীতে এত স্তর কেন? অনেক ক্ষেত্রে মামলা লড়তে আইনি ডিগ্রিরও প্রয়োজন হয় না। কারণ আজকের বিশ্বে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তিও।”

    ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি (Judiciarys Long Vacations)

    সান্যালের বক্তব্য যে নিছক অর্থহীন, তা বলা যাবে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টে সাধারণত ছ’সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। এর সঙ্গে দশেরা ও বড়দিনে ছোট ছোট ছুটিও থাকে। হাইকোর্টগুলিও একই ধরনের ছুটির সময়সূচি মেনে চলে। সঞ্জীবের কথায়, ‘বিচার বিভাগও একটি জনসেবা। হাসপাতাল কি এক মাস বন্ধ রাখা যায়? আপনি কি পুলিশ বিভাগ বা হাসপাতালগুলিকে মাসের পর মাস বন্ধ রাখতে পারেন?’ যদিও ছুটিতেও বেঞ্চ বসে। সঞ্জীবের মতে, দীর্ঘ ছুটির এই প্রতীকী দিকটি জনগণের আস্থাকে ক্ষুণ্ণ করে, বিশেষ করে যখন বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড থেকে জানা গিয়েছে, সারা দেশে প্রায় পাঁচ কোটি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে, তাতে এই অমীমাংসিত মামলাগুলি শেষ করতে বহু বছর লেগে যাবে।

    বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা

    সান্যালের (Sanjeev Sanyal) মূল বক্তব্য হল, বিচার ব্যবস্থার অদক্ষতা ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের ডুইং বিজনেস ২০২০ রিপোর্টে চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৩তম স্থানে রাখা হয়েছে, যেখানে একটি বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গড়ে ১ হাজার ৪৪৫ দিন সময় লাগে। পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি প্রায়ই মামলার জটে আটকে থাকে। আর ভূমি ও সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিরোধ ভারতের আদালতগুলির সবচেয়ে সাধারণ দেওয়ানি মামলার মধ্যে অন্যতম (Judiciarys Long Vacations)।

    প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতার অবস্থা

    ২০১৮ সালের কমার্শিয়াল কোর্টস অ্যাক্টের অধীনে প্রি-লিটিগেশন মধ্যস্থতা চালু করা হয়েছিল যাতে এই জাতীয় বিরোধগুলিকে বিচার ব্যবস্থা থেকে দূরে সরানো যায়। কিন্তু বাস্তবে মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে এর সাফল্যের হার খুবই কম। আর অনেক মামলাকারীকে শেষ পর্যন্ত আবার আদালতে ফিরে যেতে হয়। ফলস্বরূপ, মামলার চাপ কমার বদলে প্রায়ই সময় এবং খরচ আরও বেড়ে যায়। এর পরিণতি হল, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি মূল্যায়নের সময় আইনি অনিশ্চয়তাকে হিসেবের মধ্যে রাখে। ব্যবসাগুলি এমন খাতে সম্প্রসারণে দ্বিধা করে, যেখানে চুক্তি বাস্তবায়ন অপ্রত্যাশিত থাকে। সাধারণ মানুষের জন্য ‘তারিখ পে তারিখ’ অর্থাৎ একের পর এক মুলতুবি শুনানি এক পরিচিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    আইনের নিষ্পত্তি

    সান্যাল (Sanjeev Sanyal) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই আইন তৈরি করেন অতিরিক্ত জটিল করে। কারণ তাঁরা মনে করেন অল্প সংখ্যক মানুষ এর অপব্যবহার করতে পারে। এর ফলে আইনে অসংখ্য ব্যতিক্রম ও শর্ত যোগ হয়, যা পরে বিচারিক ব্যাখ্যার স্তরে স্তরে জমা হয়ে যায়। দেউলিয়াত্ব ও দেউলিয়া আইন (Insolvency and Bankruptcy Code) এই সমস্যার একটি উদাহরণ। যদিও আইনটির ৩৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে বাস্তবে মামলাগুলি প্রায় দ্বিগুণ সময় নেয় (Judiciarys Long Vacations)। যদি বিচারব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস থাকত যে এটি সোজাসাপ্টা নিয়ম দ্রুত ও আগাম অনুমানের ভিত্তিতে কার্যকর হবে, তবে আইন প্রণেতারা প্রতিরক্ষামূলক আইন বানাতে বাধ্য হতেন না। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার শুধু মামলা-পেন্ডেন্সি কমানো নয়, বরং আরও স্পষ্ট এবং সরল শাসনব্যবস্থা তৈরির শর্ত তৈরি করা।

    স্বাধীনতা হল সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ

    বিচারব্যবস্থার রক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতা হল এর সর্বাধিক পবিত্র একটি মূল্যবোধ। এটি সঠিক, কিন্তু স্বাধীনতা মানে জবাবদিহি থেকে মুক্তি নয়। জবাবদিহি মানে নির্বাহী নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং নাগরিকের কাছে সহজলভ্যতার জন্য জবাবদিহি থাকা। দু’টি ধারণা এক সঙ্গে রাখা (Sanjeev Sanyal) সম্ভব। বিচারব্যবস্থা হল এক্সিকিউটিভ কর্তৃত্বের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ। কিন্তু এটি ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের পথে অন্তরায়ও হয়ে উঠতে পারে, যখন এটি পুরনো পদ্ধতি আঁকড়ে ধরে থাকে, বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রাখে এবং আধুনিকীকরণের পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের সংস্কার করতে ক্ষমতাবান করে তুলবে। তাদের উচিত নয়, জনগণের সমালোচনা থেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা (Judiciarys Long Vacations)।

    ‘বিকশিত ভারত’

    সান্যালের বক্তব্যটি শক্তিশালী। কারণ তিনি কোনও আইনজীবী বা বিচারক নন। তিনি অর্থনীতিবিদ, যিনি বিচারব্যবস্থাকে একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। বিচার বিভাগীয় সংস্কারকে ভারতের উন্নয়নের গতিপথের সঙ্গে যুক্ত করে তিনি বিতর্ককে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর কথা গভীরভাবে অনুরণিত হয়, কারণ তা বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন। যতক্ষণ না আদালত ন্যায়বিচার দিচ্ছে, ততক্ষণ সত্যি সত্যিই ভারতের অগ্রগতি অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। সঞ্জীব (Sanjeev Sanyal) বলেন, “আমার দৃষ্টিতে বিচারব্যবস্থাই ‘বিকশিত ভারত’ হওয়ার এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। যথা সময়ে চুক্তি কার্যকর করতে না পারা কিংবা ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হওয়া এখন এত বড় সীমাবদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমি আপনাদের বলছি যদি আমরা পুরো আইনি কাঠামোয় বড় ধরনের কোনও সংস্কার না দেখি, তবে সিস্টেমের অন্য যে ক্ষেত্রেই যত কাজই করি না কেন, তার কোনও গুরুত্ব থাকবে না।”

    আগেও বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন সঞ্জীব

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে অন্য একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়ে সঞ্জীব বলেছিলেন, “এটি (বিচার বিভাগ) ভারতের প্রবৃদ্ধির পথে কিছু দিক থেকে সবচেয়ে (Judiciarys Long Vacations) বড় বাধা। এটি এখন আমলাতন্ত্রের চেয়ে সময়ের চেয়েও ঢের বেশি পিছিয়ে।” তিনি তখনও বলেছিলেন, “এর বিশাল পরিবর্তন প্রয়োজন। আমি অবশ্য কেবল বিচারব্যবস্থাকেই দোষারোপ করব না, বিচারকদের ক্ষেত্রে – একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র রয়েছে এবং বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি আইনজীবী এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বার কাউন্সিল ইত্যাদির পদস্থ ব্যক্তিরা আসলে অগ্রগতি থামিয়ে দিচ্ছেন (Sanjeev Sanyal)।”

LinkedIn
Share