Tag: bjp

bjp

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

  • SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ প্রায় শেষের পথে। ১৬ ডিসেম্বর এসআইআর-এর (SIR In Bengal) খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৬ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। সোমবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে।

    ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায়

    নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায় চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৪৫। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৯, নিখোঁজ ভোটার ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭১০, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২১৫, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮৩২। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও একাধিক জেলায় এখনও আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, মূলত চারটি ক্ষেত্রে একটি ফর্ম ‘আনকালেক্টবল’ থাকে। যদি কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়ে থাকে, দ্বিতীয়ত যদি কোনও ভোটারের দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকে, তৃতীয়ত যদি কোনও ভোটার নিখোঁজ থাকেন এবং চতুর্থ হল যদি কোনও ভোটার পাকাপাকিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান।

    মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২ টিতে

    অন্যদিকে, রাজ্যের মোট দু’হাজারেরও বেশি বুথে কোনও ‘মৃত’ ভোটার নেই বলে জানা গিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজ মেলেনি। তার ফলে পূরণ করা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসে। এই অবাক করা তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট চায় তারা। এরপর ২২০৮টি যে বুথ ছিল সেটা কমতে কমতে এসে দাঁড়াল ২টি বুথে। প্রথমে ২,২০৮, দ্বিতীয়বার ৪৮০, তৃতীয়বার ২৯, চতুর্থবার ৭ ৭-এর পর এবার মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২টিতে! শুধুমাত্র হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেই এই বুথ রয়েছে। যেখানে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত হওয়া, ডুপ্লিকেট ভোটার নেই। অর্থাৎ, গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচন কমিশন যে ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার কথা বলছিল বারবার, সেই প্রক্রিয়া চলছে।

    বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক প্রমাণিত

    ২২০৮টি বুথে কোনও ‘আন-কালেক্টবল’ ফর্ম নেই, এ বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, “আমি শুধু একটা কথাই বলব, যদি কেউ মরতে না চান, যদি সারাজীবন বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। নিশ্চিতভাবে বেঁচে থাকবেন। ২০০০-এর উপর বুথে কোনও মৃত্যু হয়নি, কেউ অন্য কোথাও যায়নি, এটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। অদ্ভুত এক ভূতুড়ে জায়গা। আর জেলা প্রশাসন হচ্ছে গেছো ভূত।” বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা আমাদের পিসি সরকারের ম্যাজিক। আমাদের যে পিসির সরকার…অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই সমস্ত এলাকায় কেউ মারা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষকে বলব ওই এলাকাতেই, সবাই নিজের নিজের জেলায় যে বুথে কেউ মারা যায়নি, সেই বুথে ভোটার তালিকায় নাম লেখান। যাতে কেউ মারা না যান। ওখানে গেলে আপনারা অমরত্ব লাভ করবেন।” এনিয়ে পাল্টা দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দেখা গেল বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক হলো।

  • PM Modi On Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে, ঐক্যের মন্ত্র এই স্লোগান’, সংসদে বললেন মোদি

    PM Modi On Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে, ঐক্যের মন্ত্র এই স্লোগান’, সংসদে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে সংসদে শুরু হয়েছে বিশেষ আলোচনা। আর সেখানে বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi On Vande Mataram) বক্তব্যে উঠে এল বাংলা এবং বাঙালির কথা। তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন বঙ্গভঙ্গের সময় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদানের কথা উঠে এল, একইসঙ্গে জায়গা পেল মাস্টারদা সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম বোস-সহ একাধিক বিপ্লবীর কথাও। তিনি বলেন, “ইংরেজদের হাতিয়ার ছিল বাংলা। আর এই বাংলা থেকেই প্রথম বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিল ওরা। কিন্তু ইংরেজদের ইটের জবাব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পাথরে দিয়েছিলেন।” সোমবার সংসদ অধিবেশনের শুরুতে ‘বন্দে মাতরম’-এর উপর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই গানের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলনে এই গীতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

    ‘বন্দে মাতরম’ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ

    লোকসভার অধিবেশনে এদিন জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ রচনার ১৫০ বছর পূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ, ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘বন্দে মাতরম’-এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ বাদ দিয়ে দেয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। সেই নিয়েই আজ, সোমবার লোকসভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনার জন্য ১০ ঘণ্টা সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ, মূল মন্ত্র। আমাদের স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল, বলিদানের মন্ত্র ছিল বন্দে মাতরম। এটা ত্যাগের মন্ত্র, সঙ্কট মোকাবিলার মন্ত্র।” বন্দেমাতরমের আবেগ ও বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করিয়ে মোদি বলেন, “১৯০৫ সালে হরিপুরের গ্রামে শিশুরা বন্দে মাতরম স্লোগান দিচ্ছিল। ইংরেজরা তাদের বেধড়ক মারধর করেছিল। কি অসংখ্য মানুষ বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে ফাঁসিকে বরণ করেছিলেন। মাস্টারদা সূর্যসেনকে ১৯৩৪-এ ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সূর্যসেন চিঠি লিখেছিলেন, তাতে একটাই শব্দ ছিল বন্দে মাতরম।”

    বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল

    মোদি বলেন, “ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল যে ১৮৫৭ সালের পর ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে কঠিন। তারা জানত, ভারত ভাগ করে জনগণকে একে অপরের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা কঠিন। তাই তারা দেশ ভাগ করে শাসন করার সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলাকে তাদের পরীক্ষামূলক কেন্দ্র করে তোলে। সেই দিনগুলিতে বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল। তারা জানত যদি তারা বাংলাকে ভেঙে দিতে পারে, তাহলে তারা দেশ ভেঙে যাবে। কিন্তু সেই সময়ে, এই রাজ্য থেকে উদ্ভূত বন্দে মাতরম ধ্বনি তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বঙ্গভঙ্গের সময়ে প্রতিদিন বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে প্রভাত ফেরি বের হতো। বাংলার অলিতে গলিতে এই গান গাওয়া হতো। ঐক্যের শক্তি জুগিয়েছিল এই গান।”

    ‘বন্দে মাতরম’ কে টুকরো করেছিল কংগ্রেস

    মোদি কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র যে বন্দে মাতরম লিখেছেন, সেটা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ১৯০৫ সালে মহাত্মা গান্ধী বন্দে মাতরমকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে দেখেছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী, মুসলিম লিগের সামনে আত্মসমর্পণ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তুষ্টিকরণের রাজনীতির এটা একটা কৌশল ছিল।” বন্দে মাতরম প্রসঙ্গে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিন্নাহর বন্দে মাতরমের বিরোধিতার পর সুভাষ চন্দ্র বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি বন্দে মাতরমের পটভূমি পড়েছেন এবং ভেবেছিলেন এটি মুসলমানদের উত্তেজিত এবং বিরক্ত করতে পারে। বাংলায় প্রথম বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দে মাতরম স্লোগান ব্যবহার করে তার প্রতিক্রিয়া দেখতে চেয়েছিলেন।’ নেহরুর এই বয়ান আদতে বন্দে মাতরমের আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির বক্তব্য, নেহরুর এমন বয়ান বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

    ‘বন্দে মাতরম’ এর গৌরব পুনরায় স্থাপন করতে হবে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ বন্দে মাতরম-এর গৌরব পুনরায় স্থাপন করার সময় এসেছে। কংগ্রেস এখনও বন্দে মাতরমকে অপমান করছে।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, প্রথমে বন্দে মাতরমকে ভাঙা হয়েছে। আর তার পরেই ভারত ভেঙেছে। নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালে বন্দে মাতরমের ১oo বছর পূর্তিতে সংবিধানকে রুদ্ধ করা হয়েছিল।” মোদি জানান, তাঁদের সরকার বন্দে মাতরমের মাহাত্ম্যকে পুনরুদ্ধার করতে চায়। তাঁর কথায়, “ ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরও বন্দে মাতরম সঙ্কটের সময় প্রেরণা যুগিয়েছে। বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।”

  • Threat Politics: “যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব”, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    Threat Politics: “যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব”, বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, বিভাজন ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির ওপর ভিত্তি করে করা রাজনীতি কখনই ফলপ্রসূ হবে না, এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার জনজাতি সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।” শনিবার সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত (Threat Politics) বারাকাথল বাজারে একটি সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কথাগুলি বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। এদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১০৭টি পরিবারের ৩১২ জন ভোটারকে স্বাগত জানান।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Threat Politics)

    সিমনা মণ্ডল আয়োজিত ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কয়েক দিন আগে বলা হয়েছিল, ভারতীয় জনতা পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দলকে টিটিএএডিসি এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমরা প্রায়ই হুমকি শুনি। যত বেশি হুমকি দেওয়া হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব। আমি শুনেছি যে এখানে বারাকাথল বাজারে কোনও কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না, মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে দেওয়া হবে না, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রীকে আসতে দেওয়া হবে না, এবং বিজেপির কেউ আসতে পারবে না। কিন্তু এই জায়গাটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি সবার সম্পত্তি। যে কোনও দল যে কোনও জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু বিজেপি কখনওই শক্তি প্রয়োগ বা বিভিন্ন ধরনের চাপের মাধ্যমে ভয়-ভীতি দেখানো সহ্য করবে না।”

    জম্মু ও কাশ্মীর

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী দেশটির অখণ্ডতা রক্ষা করতে জম্মু ও কাশ্মীরে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং পণ্ডিত দীন দয়ালও মুঘলসরাইয়ে নিহত হয়েছিলেন। বিজেপি সমগ্র ভারতের অন্যতম সেরা রাজনৈতিক দল। আমাদের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তারা তাদের মতো করে কাজ করবে। কিন্তু যে রাজনীতি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বা নানা উপায়ে বিভাজন ঘটায় এবং সাম্প্রদায়িক আবেগকে উস্কে দেয়, সেই রাজনীতি কোনওদিনই ফলপ্রসূ হবে না। অতীতেও তা প্রমাণিত হয়েছে। এমন রাজনীতির মাধ্যমে উন্নয়ন সম্ভব নয়।” তিনি বলেন, “তাই আবারও বলব, বিজেপির দরজা এখনও তাঁদের জন্য খোলা, যাঁরা এভাবে চিন্তা করেন কিন্তু অন্যদের ভুল ব্যাখ্যার কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি বিজেপির পতাকার তলে আসতে। কারণ বিজেপির জনপ্রিয়তার (Threat Politics) গ্রাফ ধীরে ধীরে ওপরে উঠছে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে অনেকেই উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়তেন, বিশেষ করে জনজাতি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। কারণ তাঁরা বুঝতে পারতেন না তাঁদের প্রকৃত অভিভাবক কে। কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে তাঁদের ভুল পথে চালিত করেছিলেন। আজ উত্তর-পূর্বে প্রায় ১১-১২টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে শান্তি এসেছে। কিন্তু এখনও দেশের শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।”

    জনজাতি সম্প্রদায়

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরলস প্রচেষ্টার ফলে রাজ্যের জনজাতি সম্প্রদায়ের ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগরতলা বিমানবন্দরকে আধুনিক ত্রিপুরার নির্মাতা মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে (Threat Politics)। সাংগ্রাম্মা পূজার দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গরিয়া পূজার সরকারি ছুটি এক দিন থেকে বাড়িয়ে দু’দিন করা হয়েছে (Manik Saha)।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, পশ্চিম জেলা সদর গ্রামীণ সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জনজাতি মোর্চার সহ-সভাপতি মঙ্গল দেববর্মা, লেফুঙ্গা আরডি ব্লকের বিএসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা এবং অন্য শীর্ষ নেতা-কর্মীরা (Threat Politics)।

  • Nirmala Sitharaman:“পশ্চিমবঙ্গকে কখনও অবহেলা করা হয়নি” খতিয়ান তুলে ধরে, দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    Nirmala Sitharaman:“পশ্চিমবঙ্গকে কখনও অবহেলা করা হয়নি” খতিয়ান তুলে ধরে, দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:কেন্দ্রীয় আবগারি (সংশোধনী) বিল, ২০২৫–এর আলোচনার জবাবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গকে কখনওই অবহেলা করেনি কেন্দ্র সরকার। বরং তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের নীতিই রাজ্যের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার , রাজ্যসভায় বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ খণ্ডন করে তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিস্তারিত তালিকা পেশ করে করে তিনি বোঝান যে, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সেই টাকার যথাযথ ব্যয় না করে স্বচ্ছতা দেখায়নি রাজ্য সরকার। এমনকি তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্য থেকে শিল্প সংস্থাগুলি যে পালাচ্ছে সেই তালিকা প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী।

    শিল্প ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যাচ্ছে

    রাজ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় শিল্প ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যাচ্ছে,বলে দাবি করেন নির্মলা। তাঁর তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৪৮টি তালিকাভুক্ত এবং ৬,৪৪৭টি তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। নির্মলা বলেন, “প্রত্যেকটি তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রাজ্যসভার কাছে জমা দিচ্ছি। সত্য-মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে। তৃণমূল সাংসদরা জবাবদিহি চেয়েছেন যে, রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আমি তার জবাব দিচ্ছি। এখন আবার আপনারা বলছেন, সেই জবাব শুনবেন না! তিনি বলেন, এক্সাইজ বাড়ানো হচ্ছে, তামাকজাত পণ্যের উপর। সেই টাকার ভাগ পাবে রাজ্য। সেই টাকা দিয়ে রাজ্য যেন উপকার করে তামাকশিল্পে জড়িত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে। এক্সাইজ যেহেতু রাজ্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়, তাই তামাকজাত দ্রব্যের উপর এক্সাইজ বাড়ানোর জেরে রাজ্যের আয় বৃদ্ধি পাবে কিছুটা।”

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে সরে আসে পশ্চিমবঙ্গ

    রাজ্যের উন্নয়ন তৃণমূল সরকারের কারণেই থমকে আছে বলে দাবি করেন নির্মলা। এদিনই রাজ্যসভায় নির্মলা সীতারামন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের পূর্ণ সমর্থন সত্ত্বেও রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক বৃদ্ধি ব্যাহত করছে। সেন্ট্রাল এক্সাইজ (সংশোধন) বিল, ২০২৫ নিয়ে আলোচনার জবাবে মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কোনওদিন পশ্চিমবঙ্গকে উপেক্ষা করেনি। টিএমসি সদস্যদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সীতারামন বলেন, “আসলে, টিএমসি সরকারই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উন্নতি ব্যাহত করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে সরে আসে। এই প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এটা কি বাংলার মানুষের জন্য ভালো?”

    রাজ্য থেকে চলে যাচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠান

    অর্থমন্ত্রী রাজ্য থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির চলে যাওয়ার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৪৮টি তালিকাভুক্ত এবং ৬,৪৪৭টি তালিকাভুক্ত-বহির্ভূত সংস্থা রাজ্য ছেড়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই প্রবণতা রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল নয়। সীতারামন আরও পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ কর বাবদ ৫.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছে, যা ২০০৪-১৪ সময়ের ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার তুলনায় ৪.৪ গুণ বেশি। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক, এমনটাই দাবি করেন তিনি।

    পশ্চিমবঙ্গকে যা যা দিয়েছে কেন্দ্র

    কেন্দ্রের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তালিকা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গে কল্যাণী এইমস চালু হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার (CSS) অধীনে ১১টি মেডিক্যাল কলেজ অনুমোদন পেয়েছে। এনডিএ সরকারের আমলে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রেকর্ড ১৩,৯৫৬ কোটি টাকার রেল বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে, যা ২০০৯-১৪ সময়ের গড় ৪,৩৮০ কোটি টাকার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি। এ ছাড়া, রাজ্যে ৩,৮৪৭.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০১টি অমৃত স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ১,৬৫০ কিলোমিটার রেললাইন বিদ্যুদায়িত হয়েছে, ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট রেল বিদ্যুদায়নের হার ৯৮ শতাংশের বেশি দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ২,৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    অভিযোগ ঠিক নয়

    সীতারামন আরও জানান, ২০২৪ সালের অগাস্টে ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অবস্থিত বাগডোগরা বিমানবন্দর উন্নয়নের জন্য ১,৫৪৯ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। টিএমসি সাংসদ সাগরিকা ঘোষের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, সেন্ট্রাল রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড (CRIF) স্থানান্তরিত হচ্ছে না, এমন অভিযোগ ঠিক নয়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০০২-০৩ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত সিআরআইএফ-এর অধীনে ১৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে, যেখানে একই সময়ে রোড অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেস বাবদ ১২.৬২ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (MGNREGS) প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন যে, ২০০৬-০৭ থেকে ২০১৩-১৪ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্র থেকে ১৪,৯৮৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও যোগ করেন, “অন্যদিকে, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত আমাদের সরকার ৫৪,৪১৬ কোটি টাকা প্রকাশ করেছে, যা মনরেগা-এর অধীনে কেন্দ্রীয় তহবিল বিতরণে ২৬১ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।”

     

     

     

  • Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    Assam Govt: অসমের চা-বাগান কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অসমের চা-বাগান (Tea Workers) কর্মীদের জমির অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার (Assam Govt)। রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সম্প্রতি একটি বিল পাস হয়েছে, এর মাধ্যমেই চা-বাগানের ‘শ্রমিক লাইনে’ বসবাসরত বাগান শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে দীর্ঘদিনের দাবির সমাধান করতে অসম ফিক্সেশন অফ শিলিং অন ল্যান্ড হোল্ডিংস সংশোধনী বিল ২০২৫ পাশ হয়েছে।

    ঐতিহাসিক মুহূর্ত (Assam Govt)

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই আইনকে এই সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনিশ্চয়তার প্রজন্ম থেকে মালিকানার ভবিষ্যতের দিকে। ল্যান্ড শিলিং অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৫ অসমের চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ৩ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে তাদের ভূমির বৈধ অধিকার দেবে। ন্যায়ের জন্য এক বিশাল পদক্ষেপ এবং অসমের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।” বর্তমানে চা-বাগানের শ্রমিকরা শ্রমিক লাইনের জমিতে মালিকানা ছাড়াই বসবাস করছেন। সংশোধিত আইনের ফলে শ্রমিক লাইনগুলোকে ‘আনুষঙ্গিক ব্যবহারের’ আওতা থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভূমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হবে তাদের জমির অধিকার। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, এর ফলে চা-বাগান শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী বাসস্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং উচ্ছেদের ঝুঁকি কমবে।

    ভূমির উত্তরাধিকার

    আইনের ওই সংশোধনে আরও বলা হয়েছে, এই ভূমি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যাবে। তবে প্রথম ২০ বছর বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। বিধানসভায় সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০ বছর পর জমি বিক্রি, লিজ, হস্তান্তর, দান বা অন্য কোনওভাবে স্থানান্তর করা যাবে, তবে শুধুমাত্র একই বাগানে বসবাসকারী চা-বাগান শ্রমিকদের মধ্যেই (Assam Govt)।” এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাজ্য সরকার উন্নয়ন ও পুনর্বণ্টনমূলক ব্যবহারের জন্য উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিত করতে পারবে এবং চা-বাগান শ্রমিকদের আবাসনকে মূলধারার সরকারি আবাসন, সামাজিক কল্যাণ এবং জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করতে পারবে বলে সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে (Tea Workers)। জানা গিয়েছে, জমির মালিকানা পাওয়ার পর ৩.৩ লক্ষাধিক চা-বাগান শ্রমিক পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জমিতে নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করতে পারবে (Assam Govt)।

  • Suvendu Adhikari: ডাক পেয়েও নবান্নে লোকায়ুক্তের বৈঠকে যোগ দেবেন না শুভেন্দু, কারণটাও জানালেন বিরোধী দলনেতা

    Suvendu Adhikari: ডাক পেয়েও নবান্নে লোকায়ুক্তের বৈঠকে যোগ দেবেন না শুভেন্দু, কারণটাও জানালেন বিরোধী দলনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন লোকায়ুক্ত চূড়ান্ত করার বৈঠকে, উপস্থিত থাকবেন না বিরোধী দলনেতা। ডাক পেলেও নবান্নে যাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লোকায়ুক্তের পরবর্তী বৈঠক (Lokayukta Meeting) হবে আগামী সোমবার, ১ ডিসেম্বর৷ নবান্নে ওই বৈঠক হতে চলেছে৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিয়ম অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও থাকার কথা ওই বৈঠকে৷ নিয়ম মেনেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে৷

    কেন যাবেন না শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘প্রথমত মুখ্যমন্ত্রী লোকায়ুক্তের রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ একাধিক নির্বাচিত বিধায়কদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় চার্জশিট জমা করা হয়েছে। চার্জশিট হওয়া নির্বাচিত সদস্যের বিরুদ্ধে বিধানসভায় রিপোর্ট দিতে হয়। সেই রিপোর্ট উনি কোনও দিন দেননি। এখানে কোনও রিপোর্ট কোনওদিন পেশ করা হয় না। সবটাই আসলে লোক দেখানো। এরকম লোক দেখানো কোন বৈঠকে আমি যাব না।’’ লোকায়ুক্তের পরবর্তী কমিশনার কে হবেন, সেই ইঙ্গিতও দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘মনোজ পন্থ যদি এক্সটেনশন না-পান, দেখা যাবে হয়তো তাঁকেই লোকায়ুক্তের কমিশনার করে দেওয়া হবে। সংবিধানকে যিনি মানেন না, সেই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বিরোধী দলনেতা যান না।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোন মিটিং নয়

    ২০১৮ সালে লোকায়ুক্ত নিযুক্ত করার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান লোকায়ুক্ত হলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার রায়। তিনি প্রথমবার নিযুক্ত হন নভেম্বর ২০১৮-তে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমাকে স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি যাব না। যেভাবে আমার দলের সাংসদকে মারা হয়েছে তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোন মিটিংয়ে যাওয়ার আর প্রশ্নই ওঠে না।’’ উত্তরবঙ্গে মালদা উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনাও টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি খগেন মুর্মুর রক্ত দেখার পরে কোনও সুস্থ চেতনা সম্পন্ন মানুষ এই অত্যাচারী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারেন না।’’

    বিজেপি কীভাবে কাজ করবে

    তৃণমূল কংগ্রেস এখন সর্বভারতীয় সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস লিখছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানান যে গোয়া-নাগাল্যান্ড-মেঘালয় আর ত্রিপুরার নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের যে সর্বভারতীয় তকমাটা ছিল, সেটা তারা হারিয়েছে। কারণ, জাতীয় পার্টি হওয়ার জন্য যত সংখ্যক ভোটের প্রয়োজন, সেটা তারা পায়নি বলেই তারা সেই তকমা হারিয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম। তিনি আরও বলেন, ‘‘আর তিন চার মাস পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না, তখন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এবং তখন প্রতি বছর এই রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হবে। লোকায়যুক্তকে মামলা করার জন্য সরকার সম্মতি জানাবে।’’

  • Suvendu Adhikari: পুলিশ সংগঠনকে ভোটের কাজে না-রাখার দাবি, কেন? প্রমাণ-সহ জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পুলিশ সংগঠনকে ভোটের কাজে না-রাখার দাবি, কেন? প্রমাণ-সহ জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের কাজে এ রাজ্যের পুলিশকে রাখা যাবে না! পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির বিরুদ্ধে দেশের মুখ‍্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নির্দিষ্ট তিন পুলিশ আধিকারিকের নাম করে এবং তাঁদের ভাষণের ভিডিয়ো পাঠিয়ে ওই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে বিরোধী দলনেতার দাবি, পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সঙ্গে যুক্ত কাউকে যেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে লাগানো না হয়।

    পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিঘার পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির (Digha Police Welfare Committee) অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টানেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করেন, সেই অনুষ্ঠান থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসা করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের ভোটের কাজ থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি পুলিশকর্মীদের ওই সংগঠনের আয়োজনে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় মহিলা পুলিশকর্মীদের একটি রাজ‍্য স্তরের সম্মেলন হয়েছে। সেই সম্মেলনে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক তথা মুখ‍্যমন্ত্রীর ‘আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিত শান্তনু সিং বিশ্বাস যে ভাষণ দিয়েছেন, শুভেন্দু মঙ্গলবার তার ভিডিও সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দেখিয়েছেন। বিজিতাশ্ব রাউত নামে এক ইন্সপেক্টর এবং রুহুল আমিন আলি শাহ নামে এক সাব-ইন্সপেক্টরের ভাষণের অংশবিশেষও তিনি দেখান।

    ভিডিয়ো দেশের মুখ‍্য নির্বাচন কমিশনারকে পাঠানো হয়েছে

    শুভেন্দু জানান, ওই ভিডিয়ো দেশের মুখ‍্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই ইমেল করে চিঠি ও ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে উল্লেখ না করলেও চিঠিতে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যের নামও। শুভেন্দু দাবি করেছেন, পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি কোনও ‘রাজনৈতিক সংগঠন’ নয়। সেই কারণেই তারা ‘রাজনৈতিক’ কথা বলতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার লিখিত ভাবে এই সংগঠন তৈরি করে দিয়েছিল।’’ পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের পুলিশ এমন আচরণ করে না বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সংযোজন, এ রাজ্যের পুলিশ নিজেদের মর্যাদা, আত্মসম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে তৃণমূল সরকারের (TMC Govt) হয়ে এমন কাজ করছেন।

    পুলিশকে ভোটের ডিউটিতে রাখা যাবে না

    পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু সাফ জানান, ওঁদের সরিয়ে নির্বাচন করতে হবে। দলদাস পুলিশকে ভোটের ডিউটিতে রাখা যাবে না। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাবে বলে ধরে নিতে পারি। তখন থেকে শুরু করে ভোট সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সঙ্গে যুক্ত কেউ যাতে ভোটের কাজের সঙ্গে প্রত‍্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে না থাকে, আমরা তা কমিশনকে নিশ্চিত করতে বলেছি।’’ তাঁর বক্তব্য, কমিশন যাতে এখন থেকেই বিকল্প ব‍্যবস্থার কথা ভেবে নিতে পারে এবং তার প্রস্তুতি নিতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার তিন মাস আগেই তিনি কমিশনকে ওই বিষয়ে অবহিত করে রাখলেন। শুভেন্দুর কথায়, ‘’কেন্দ্রীয় বাহিনী সব কাজ পারবে না। কিছু কাজ পুলিশকেই করতে হয়। সেই কাজ অন‍্য রাজ‍্য থেকে পুলিশ এনে করাবে নাকি অন‍্য কোনও ব‍্যবস্থা করবে, তা নির্বাচন কমিশন এখন থেকে ভেবে নিক।’’

  • Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এসআইআর নিয়ে ফের একবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, তৃণমূল আদতে কোনও দলই নয়। অবৈধ ভোটাররা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই এই দলটাকে ছেড়ে এসেছেন তিনি। মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়ে এমনই দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu on SIR)। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীর কাছে এসআইআর সফল করার আহ্বান জানান।

    তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক

    সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে ভিড় দেখা যাচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এসআইআর শুরু হওয়ার পর একে একে অনেকেই বাংলাদেশ ফিরে যাচ্ছেন। সেই আবহে এদিন মন্দিরবাজারের সভা থেকে এসআইআর সফল করার ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu on SIR) বলেন, “অবৈধ রেশন কার্ড, অবৈধ ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম, গর্তে কার্বোলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পিলপিল করে সাপেরা বেরিয়ে আসছে। এই সন্দেশখালিতে দেখুন, শাহজাহান জেলের ভিতরে থেকে…কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা জেল…মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মাছ-মাংস খেয়ে…ওখান থেকে ফোনে ফোনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নির্দেশ দিচ্ছেন, বিএলওকে কী ভাষা! আজ, এসআইআর সফল করুন আপনারা। কী হিন্দু, কী ভারতীয় মুসলিম একযোগে এসআইআর সফল করুন। নইলে এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে। খাদ্য জিহাদ।” বিজেপি আগে থেকেই দাবি করে আসছে যে, এসআইআর হলে মৃত এবং ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে যা আদতে তৃণমূল ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।

    খাদ্য-জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ

    মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu on SIR)। সেই সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, এক সময় তৃণমূল দলকে ছুড়ে ফেলে এসেছেন তিনি। এটা কোনও দলই নয়! শুভেন্দুর কথায়, ”আমি যদি সেদিন নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়ে লড়াই না করতাম তাহলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী হতে হত না।” স্পষ্টত এই মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গারা ঢুকে ন্যায্যদের রেশন ছিনিয়ে নিচ্ছে। এটাই খাদ্য জিহাদ (Food Jihad)। তারা পরপর জমি দখল করে নিচ্ছে, ল্যান্ড জিহাদ। বিধায়কের বক্তব্য, এইভাবে চলতে থাকলে গোটা রাজ্যটাই (West Bengal) এদের দখলে চলে যাবে। তাই সকলের উচিত, একজোট হয়ে এসআইআর-কে সমর্থন করা এবং তৃণমূল সরকারের অবসান ঘটাতে সাহায্য করা।

  • BJP: দিল্লির বায়ুদূষণের প্রতিবাদ কর্মসূচির নেপথ্যে শহুরে নকশালরা!

    BJP: দিল্লির বায়ুদূষণের প্রতিবাদ কর্মসূচির নেপথ্যে শহুরে নকশালরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ইন্ডিয়া গেট সি-হেক্সাগনে রাজধানী নয়াদিল্লির বায়ুদূষণ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদের ঘটনায় দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে (BJP) পুলিশ। এফআইআর দায়ের হয়েছে দু’টি পৃথক থানায় (Urban Naxals)। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম এফআইআরটি দায়ের হয়েছে কর্তব্য পথ থানায়।  ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জন পুরুষ প্রতিবাদকারীকে। দ্বিতীয় এফআইআরটি দায়ের হয়েছে সাংসদ মার্গ থানায়। যেখানে বাকি প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে আগেই জানিয়েছিল যে গতকাল একদল লোক দিল্লি-ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের বায়ুদূষণ নিয়ে ইন্ডিয়া গেটে প্রতিবাদ করেছিল। তারা মাওবাদী কমান্ডার মাদভি হিদমার পোস্টার নিয়ে ঘুরছিল। মাওবাদী এই নেতা সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে।

    পুলিশের দাবি (BJP)

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারা যখন পথ অবরোধ করার চেষ্টা করছিল, তখন পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা পুলিশ কর্মীদের ওপর পেপার স্প্রে ছোড়ে। পুলিশকে আক্রমণও করার চেষ্টা করে। এখন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”  যে ২২ জন প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থীও রয়েছেন। যদিও তাঁরা গ্রেফতার করা হয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল যে বিক্ষোভকারীদের বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তারা সরে যায়নি। জনতাকে আটকাতে যে লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল, সেগুলিও পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল প্রতিবাদীরা।

    নকশাল নেতার পোস্টার কেন

    রবিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নকশাল নেতা মদভি হিদমার পোস্টার কেন নিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপি নেতা সৈয়দ শাহনওয়াজ হুসেনের দাবি (BJP), প্রতিবাদের নামে বিক্ষোভকারীরা আসলে (Urban Naxals) নরেন্দ্র মোদি সরকারকে নিশানা করার ছুতো খুঁজছিল। তিনি বলেন, “দিল্লিতে গতকাল যে বিক্ষোভ হয়েছে, তার জন্য দূষণ ছিল কেবল একটি অজুহাত। তাদের আসল লক্ষ্য ছিল হিদমার এনকাউন্টার নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করা। এরা ‘আরবান নকশাল’, ছদ্মবেশে আসে, এরা ‘প্রটেস্ট জীবী’, যেভাবে হিদমার সমর্থনে স্লোগান উঠেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই দেশে যারা নকশাল ও সন্ত্রাসীদের সমর্থনে আওয়াজ তোলে, তাদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

    “বিশুদ্ধ বাতাস বিক্ষোভ”

    রবিবারের এই ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগেই, ৯ নভেম্বর ইন্ডিয়া গেটে হয়েছিল “বিশুদ্ধ বাতাস বিক্ষোভ”। তখনও অনেক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছিল। তারা রাজধানীতে “বায়ু জরুরি অবস্থা” মোকাবিলায় অবিলম্বে সরকারি হস্তক্ষেপ ও কড়া নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছিলেন (BJP)। ফি বার শীতকালে ঘন বিষাক্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে দিল্লির আকাশ। যার জেরে কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন। দিল্লির বেশির ভাগ এলাকার একিউআই ৩০০ থেকে ৪০০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কয়েকটি এলাকায় তো আবার ৪০০–র সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে (Urban Naxals) একিউআই। সেই কারণে ওই এলাকাগুলি ‘গুরুতর’ শ্রেণিতে পৌঁছে গিয়েছে।

    অমিত মালব্যর দাবি

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর দাবি, প্রতিবাদীদের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “গত এক দশক ধরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এক আরবান নকশাল, এবং শহরটি বছর বছর দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে থাকলেও বিশুদ্ধ বাতাসের দাবিতে বড় কোনও আন্দোলন দেখা যায়নি।” তিনি আরও লেখেন, “কিন্তু বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই হঠাৎ করে ‘অ্যাক্টিভিস্টরা’ দূষণের নামে প্রতিবাদ শুরু করেছে। স্পষ্টতই এসব প্রতিবাদ পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগের জন্য নয়, বরং একটি প্রতিক্রিয়াশীল কমিউনিস্ট অ্যাজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত।” একই ধরনের মন্তব্য করেছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘও। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা (Urban Naxals) সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু আরবান নকশাল এবং বামপন্থী, ভারত-বিরোধী শক্তিগুলি বিদেশি টুলকিটের মাধ্যমে দেশে ঘৃণা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। নকশাল, মাওবাদী বা সন্ত্রাসবাদী, তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাদের নিরপরাধ মানুষ হত্যা-নির্ভর মতাদর্শ নির্মূল করতেই হবে (BJP)।”

    বিপদের নাম শহুরে নকশাল

    প্রসঙ্গত, শহুরে নকশালরা যে উন্নয়ন বিরোধী, তা ঢের আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, এঁদের পেছনে থাকে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সমর্থনও। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, গুজরাটে নর্মদা নদীর ওপর নির্মিত সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প দীর্ঘকাল ধরে আটকে রেখেছিলেন শহুরে নকশালরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন উন্নয়ন বিরোধী কিছু মানুষও। তাঁর তোপ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ (Urban Naxals) থেকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতের উন্নয়নে বাধা দেন শহুরে নকশালরা (BJP)।

LinkedIn
Share