Tag: bjp

bjp

  • Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! হিন্দু বাঙালিরা এক হোন। ঠিক এই ভাষাতেই হিন্দু ঐক্যের (Hindu Unity) আহ্বান জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিজেপির একটি দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই সভায় যোগদান করে হিন্দু বাঙালিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাও দিলেন অভিনেতা। এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর ভাষণে ছিল আগাগোড়াই হিন্দুত্বের ছোঁয়া। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু বলি, গর্ব করে বলো যে আমি সনাতনী। আমরা সনাতনী। যদি ভগবান সনাতনী হিসাবে জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে মরব সনাতন হিসাবে। কিন্তু অন্য হাতে ওই ভাবে মার খেয়ে মরব না।’’

    বারাকপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আয়োজন করে বসন্ত উৎসব

    এদিন সন্ধ্যায় নিউ বারাকপুরের কৃষ্টি ভবনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিলে আয়োজন করেছিলেন বসন্ত মিলন অনুষ্ঠান। সেখানেই মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ট্রেলার দেখিয়ে দিয়েছে। যদি না জিততে পারেন তাহলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দু বাঙালি বলে কেউ থাকবে না। এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু আমাদের ভোট দেন না। এবার ওরা জিতে এলে কিন্তু নির্বংশ করে দেবে।’’ প্রসঙ্গত, এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন মিঠুন। এছাড়াও বারাকপুরে বিজেপির এই দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সমেত ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ডল ও জেলাস্তরের বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না – করবেন আমরা জানি না

    মিঠুনের (Mithun Chakraborty) সভা ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ ছিল একেবারে তুঙ্গে। গোটা সভাগার ছিল ভর্তি। সভা মঞ্চ থেকে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না করবেন আমরা জানি না। কিন্তু বিজেপির হিন্দু বাঙালিরা থাকবে না, এটা কিন্তু মনে করে চলবেন। এরা তৈরি হয়ে বসে আছে, আবার যদি জিতে আসি, নির্বংশ করে দেব। সেজন্য কিছু না ভেবে জিতুন।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু সমাজের ওপর আক্রমণ আঘাত নেমে এসেছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়েছে বিভিন্ন মহল। প্রশ্ন উঠেছে ইউনূস জমানার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও। এই আবহে নিজের ভাষণে মিঠুন, মমতা ও ইউনূসের শাসনকে এক করে দেখাতে চাইলেন।

    এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না, আমি চিৎকার করে অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন

    বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচি শেষ করে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘‘এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না। আমি চিৎকার করে তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন। বাংলাদেশ একটা ট্রেলার দেখিয়েছে আপনাদের। এর পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বাঙালি থাকবে কি না তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। যে ৯ শতাংশ হিন্দু এখনও ভোট করে না, তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট করুন। নইলে আসন্ন নির্বাচনে, যদি আমরা জিততে না পারি, তাহলে হিন্দু বাঙালি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য খুবই কষ্টের দিন আসতে চলেছে। খুব সাবধানে থাকুন। কারণ যে সব মিটিং চলছে সেগুলো আপনারা খবর রাখেন না। প্রকাশ্যে সেটা বলতে পারব না। বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে মিটিং করছে শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। কিছুদিন পর সব বেরিয়ে যাবে মার্কেটে। বেরিয়ে আসুন, ভোট দিন। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।’’

    হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির, তারই প্রতিধ্বনি মহাগুরুর গলায়!

    বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এই আবহে হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলা, শহরতলিতে হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই পোস্টারও সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের একাধিক সভায় বার্তা দেওয়া হয়েছে হিন্দু ঐক্যের। দিনকয়েক পরেই রয়েছে রামনবমী। সেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবারের রামনবমীকে কেন্দ্র করে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রামনবমীর উৎসবকে সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে গোটা সংঘ পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বারুইপুরে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে রামনবমী নিয়ে। বারুইপুরের সভা থেকেই ভালো করে রামবনবমী পালনের বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হিন্দুরা জেগে গেছেন। এবার বড় করে রামনবমী হবে, তারপর পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী। ঠিক এই আবহে হিন্দু ঐক্যের বার্তা দিয়ে বক্তব্য রাখতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও (Mithun Chakraborty)।

  • Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মোথাবাড়িতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এগুলির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ভিডিওগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী হিন্দুদের দোকান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে। এই আবহে মোথাবাড়ি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এ নিয়ে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব (West Bengal)। মোথাবাড়ি হিংসার ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একযোগে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্য। সাংবাদিকদের সামনে দেওয়া এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ লুট ও হিংসা শুরু করে মৌলবাদীরা।

    গ্রেটার বাংলাদেশের অভিসন্ধি ক্রমশই প্রকাশ্যে, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সুকান্তর দাবি, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন।’’ সুকান্ত মজুমদারের ওই পোস্ট করা ভিডিওতে বেশ কিছু যুবককে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেই ওই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দোকানের ভাঙা শেড।

    হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে গাড়ি, দাবি সুকান্তর

    ভিডিওটি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙে লুট করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।’’

    পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকেও তুলোধনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মোথা বাড়িতে যখন ভয়ঙ্করভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘এটাই হল (মালদার মোথাবাড়ি হিংসা) নির্লজ্জ তোষণের রাজনীতির মূল্য। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার।’’

    মোথাবাড়ির ঘটনায় পুলিশকে নিধিরাম সর্দার বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘তোষণবাজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছেন। মালদা জেলার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। মূল রাস্তা দখল করে জেহাদিরা যথেচ্ছাচারে কি ভাবে গাড়ি ভাঙচুর করছে দেখুন। জেহাদিদের সামনে পড়ে ‘নিধিরাম সর্দারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মমতা পুলিশ কে দেখুন, হাত জোড় করে যেনো করুণা প্রার্থনা করছে !’’

    আইনি পথেই মোকাবিলা করা হবে, বললেন বিরোধী দলনেতা

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে খবরের শিরোনামে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকা। নিজের সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে ওই অঞ্চলগুলির নামও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘তবে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম, এর শেষ দেখে ছাড়ব। আইনি পথে যেমন হাওড়া, শ্রীরামপুর, ডালখোলা, খিদিরপুর, রিষড়া, মোমিনপুরের জেহাদিদের বাগে এনেছি ঠিক একই ভাবে এদের কেও শিক্ষা দেবো।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যর

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিও মোথাবাড়ির সাম্প্রদায়িক হিংসার সাথে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে ওই ভিডিওটি পোস্ট করে মালব্য লিখেছেন, ‘‘দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে। উগ্র মৌলবাদীরা রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি, দোকান এবং গাড়িতে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নিজের রাজ্যের এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতি তিনি উদাসীন।’’

  • BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    BJP: তৃণমূল নেতার অভিযোগে হিন্দুদের নাম বাদ ভোটার তালিকা থেকে! একযোগে আক্রমণ মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। তার আগে ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সরগরম বাংলার রাজনীতি। এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন গেরুয়া শিবিরের তিন নেতা মালব্য-শুভেন্দু-সুকান্ত। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ, বাংলার ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে তৃণমূল। এনিয়ে কৃষ্ণনগরের ঘটনা তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি,  ওই এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল রহমান শেখের নির্দেশে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে বাদ দিচ্ছে তৃণমূল।

    তৃণমূল সরকারের (TMC) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অমিতের মালব্যর

    মঙ্গলবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) একটি পোস্ট করেন বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, ‘‘তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে হিন্দু নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম যুক্ত করছে।’’ এক্ষেত্রে অমিত মালব্য সীমান্ত অঞ্চলের কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, বিজেপি যে স্থানগুলিতে শক্তিশালী সেখানেই এমনটা করছে প্রশাসন। অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘নদিয়া, যেখানে বিজেপির সংগঠন শক্ত, সেখানে আব্দুল রহমান শেখের থেকে একটি অনুরোধ পেয়ে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) সেদিনই ভোটার তালিকা থেকে ৯৮ জন হিন্দুর নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।’’ তাঁর নিজের দাবির স্বপক্ষে অর্ডারের ছবিও পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। অমিত মালব্যর আরও দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কার্যকলাপ চলছে। ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিডিও-রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন মুসলিমরা তাঁকে ব্যাপকভাবে রাজ্যে ভোট দেয়। হিন্দুদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’’

    সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও

    এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আবদুর রহিম শেখ তিনি নাকি তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট, না কী নেতা আছেন! তিনি টুসি ঠাকুর, অমিত কুমার ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, কমলা মণ্ডল, সবিতারানি সরকার এই ভাবে একা ৯৭টা নাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন। প্রথমত, এভাবে অভিযোগ করা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব, অবিলম্বে কৃষ্ণনগরের বিডিওকে বহিষ্কার করতে। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সাদা কাগজে দরখাস্ত দিলে যদি বিডিও তার তদন্ত করেন এবং এই হিন্দু ভোটারদের ডিস্টার্ব করেন, তাহলে আমরা এই বিডিওকে সাসপেন্ড করার জন্য বলব। কারণ, এই কাজটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাজ নয়। এটা ইসিআইয়ের কাজ। বিডিও তাঁর লিমিটেশন ক্রস করছেন। এটা হচ্ছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে। আমরা কৃষ্ণনগর-২ ব্লকের এই ৯৮ জনকে নিয়ে ধর্নাও দেব, কোর্টেও যাব। এই বিডিওর বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। এই ৯৮ জনকে আবেদন করব, রেসপন্স করবেন না। এটা যথার্থ ফর্ম নয়।’’

    পরিকল্পনা করে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সুকান্তর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রীতিমতো পরিকল্পনা করে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঢোকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার ছবি সহ প্রমাণও তুলে ধরেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড়সড় চক্রান্তের অভিযোগ আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায় উঠে আসে, কৃষ্ণনগরের ঘটনা। পরিকল্পনা করে সীমান্তবর্তী জেলা থেকে হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। এনিয়ে শাহি দরবারে অভিযোগও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বেশ কিছু হিন্দু ভোটারদের কাছে নট ইন্ডিয়ান বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে যে দেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু এবার একসঙ্গে একটা বড় অভিযোগ আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ করে তুলতে কোনও খামতি রাখছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। একদিকে যেমন হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ বানানোর চক্রান্ত

    সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর স্বপ্ন দেখা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আরও মারাত্মক একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বাংলাদেশের যশোর জেলার চৌগাছা অঞ্চলের বাসিন্দা শহিদুল বিশ্বাস, তার নাম রয়েছে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়।’’ সুকান্তর মতে, ‘‘শুধু একজন শহিদুল নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে এমন লক্ষ লক্ষ অনুপ্রবেশকারীদের সম্মানের সঙ্গে ভোটার তালিকায় সংযোজিত করেছে তৃণমূল।’’

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলারা মাসে পাবেন ৩ হাজার, বড় ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলারা মাসে পাবেন ৩ হাজার, বড় ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (Bengal BJP) ক্ষমতায় এলে মহিলাদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রবিবার হলদিয়াতে এমনই আশ্বাস দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এছাড়াও ২০০ ইউনিট ফ্রি বিদ্যুত্‍ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে মহিলাদের মাসে ভাতা দেওয়ার প্রকল্প চালু রয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চায় বিজেপি। এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালে বাংলায় ক্ষমতায় এলে মায়েদের – দিদিদের – বোনেদের ১ হাজার টাকা নয়, ৩ হাজার টাকা দেবে বিজেপি।’’

    প্রতিবছরই হবে নিয়োগ ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    সম্প্রতি, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। রবিবার হলদিয়াতেই জনসভা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, ক্ষমতায় এলে তাঁরা কী কী করতে চান। একইসঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে হাতে-পায়ে ধরে টাটাকে রাজ্যে ফেরানো হবে বলেও ঘোষণা করেন শুভেন্দু। এর পাশাপাশি, নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি দেওয়া হবে। এক লক্ষ নয়, তিন লক্ষ বাড়ি দেবে বিজেপি সরকার। প্রতি বছরই এসএসসি নিয়োগ হবে। সব জেলাতেই প্রাইমারি পরীক্ষা হবে।’’

    হিন্দুরা শুধু বাড়ি থেকে বের হন

    এর পাশাপাশি, এদিন বিরোধী দলনেতা (Bengal BJP) আবারও জোর দেন হিন্দু ভোটের দিকে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাফ কথা, হিন্দুরা একটু দয়া করলেই রাজ্যে সরকার বদলে যাবে। আবার সব হিন্দু ভোট দিতে যান না বলেও আক্ষেপ শোনা যায়  বিরোধী দলনেতার গলায়। এদিন তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম লড়ছে। কিন্তু পারছে না। ৩০ শতাংশ হিন্দু ভোট দিতে যায় না। ৬৫ থেকে ৬৮ শতাংশ হিন্দু ভোট দিতে যায়। আপনারা শুধু বাড়ি থেকে বেরোবেন। তারপর কী করতে হয়, আপনারা জানেন। একটু দয়া করবেন, উল্টে দেব আমরা।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কোনও সনাতনী মমতাকে ভোট দিতে পারে না’’, হলদিয়ায় তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলবদল করেছেন বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। এই আবহে হলদিয়াতে গিয়ে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘কোনও সনাতনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে পারে না, পারে না, পারে না….সরস্বতী পুজো, মহকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলার পর কেউ ভোট দেবে না। মানুষ প্রস্তুত এই রাজ্য মোদীজির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।’’ শুভেন্দ অধিকারী বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে বিজেপি মায়েদের ৩০০০ টাকা দেবে। যার মধ্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুত ফ্রি। এক লক্ষ টাকার নয় বরং তিন লক্ষের বাড়ি দেবে। প্রতিবছর এসএসসি হবে, সব জেলাতেই প্রাইমারি পরীক্ষা হবে। হাতে পায়ে ধরে টাটাকে ফিরিয়ে আনা হবে।’’

    এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কণ্ঠে এদিন উঠে আসে বাংলাদেশ ইস্যু। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এখনও যদি ঐক্যবদ্ধ না হন তাহলে এই বাংলাও বাংলাদেশ হবে। ২৬-এ যদি তৃণমূল যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের লোভ দেখিয়ে, মুসলিমদের জুটিয়ে আমাদের কিছু হিন্দুকে এদিক-ওদিক করে জিতে যায়। তাহলে একই অবস্থা এই অবস্থা হবে। জাত-পাত-রাজনীতি দূরে সরিয়ে রাখো।’’

    ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে

    মমতাকে তো দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরিবাল যেমন দিল্লিতে একটার সঙ্গে একটা মদ ফ্রি করেন। তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারের লাইসেন্স দিয়ে মদময় করেছেন মমতা। মদের প্রভাব যদি কারও উপর পড়ে তাহলে নারীদের উপর। ঝাঁটা গেছে একেও ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। আমরা পুরো সাংগঠনিক জেলা ডাকিনি (Haldia)। আজ প্রচুর মানুষ এসেছেন। সবাই একাট্টা হয়েছেন।’’

    শুধু বাড়ি থেকে বের হবেন

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,‘‘২০১৯-এ ভোট পড়েছে ৬১ শতাংশ। এবার পড়েছে ৬৬ শতাংশ। দিল্লিতে ১০ শতাংশ লোক বাড়তি বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। তাতেই ঝাঁটা সাফ। শুধু বাড়ি থেকে বেরবেন। তারপর কী করতে হয় আপনারা জানেন। আমার বলার দরকার নেই। শুধু ডায়মন্ড হারবারেই ১০ লক্ষ ছাপ্পা আছে। কেশপুরেও ছাপ্পা আছে। এখানেও আছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা আছে। এখানে অভিজিৎবাবুকে ঢুকতে দেয়নি। একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোক।’’

  • Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত স্থগিত হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফর। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষেই রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলায় (BJP) আসছেন না। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকার কারণেই তাঁর বঙ্গ সফর স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে, পরবর্তী তারিখের ব্যাপারেও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

    ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)

    উল্লেখ্য চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাতে রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। এর ঠিক পরের দিন ৩০ মার্চ রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। তবে বিজেপির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাস নাগাদ অমিত শাহের নতুন সফর সূচি জানানো হতে পারে।

    ৩০ মার্চ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল

    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছিল, আগামী ৩০ মার্চ সারাদিন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই সময় কথা হবে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে তা পিছিয়ে গেল। বিজেপির সূত্রে শোনা যাচ্ছে, মার্চের বদলে আগামী এপ্রিল – অর্থাৎ – পরের মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন অমিত শাহ। কিন্তু এখনও সেই শাহী সফরের দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি। এনিয়ে তবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    নয়া সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন শাহ?

    দলীয় সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, নয়া রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর ছাব্বিশের বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি কেবলমাত্র যেকোনও একটি পদেই থাকতে পারবেন। বর্তমান বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রে মোদি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদেও তাঁর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

  • BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-চাকরি দশা। অথচ দুয়ারে ভোট (২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন)। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অতএব, ব্যবস্থা করতে হবে কর্মসংস্থানের (Protests)। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবং যাবতীয় ‘শ্রী’-র টোপ দিয়ে ভোট কুড়োনো নাও যেতে পারে (BJP)। তাই মহিলাদের ক্ষমতায়নের নামে মদের দোকানে চাকরির ব্যবস্থা করতে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার! তার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে বউবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স (BJP)

    রাজ্যজুড়ে ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স। তার জেরে অলিগলিতে খুলেছে ‘অফ শপ’ এবং ‘অন শপ’। এই সব শপে এতদিন কাজ করতেন পুরুষরা। এবার থেকে কাজ করতে পারবেন মহিলারাও। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে নয়া সংশোধনী নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৫ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান হল, এবার থেকে ‘অন শপ’ (চলতি কথায় বার)-এ কাজ করতে পারবেন মহিলারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন কলকাতায় মিছিল করে পদ্ম শিবির। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়ন করতে হলে তাঁদের মদের দোকানে কাজ করতে বলা কি ক্ষমতায়ন? মহিলারা মদ পরিবেশন করে ক্ষমতাবান হবেন? আমরা এই ধরনের ক্ষমতায়ন চাই না।”

    মর্যাদা হানির চেষ্টা করছে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া বেঙ্গল ফাইন্যান্স বিল ২০২৫-এ এই সংশোধনী পাশ হয়। আগে ‘অন শপ’ লেখা মদের দোকানে কাজ করতে পারতেন না মহিলারা। সেখানে মহিলাদের কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে দিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নামক ঢাল দিয়ে আদতে তাঁদের মর্যাদা হানি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রসঙ্গত, দোলের দিন (BJP) গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শুক্রবার তমলুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। কর্মসূচি শেষে পদ্ম-নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, “বাংলার সনাতনী সমাজ মুক্তি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হলে। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬ (পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা আসন), রাজ্যে হবে অন্তত ১৮০ এবং মমতাকে প্রাক্তন করব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে যে বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, তা আঁচ করতে পারছেন শাসক দলের ভোট ম্যানেজাররাও। তাঁদের ‘পরামর্শে’ই এবার মহিলাদের দলে টানার চেষ্টা করছে (Protests) তৃণমূল। সেই কারণেই মহিলাদের বারে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের (BJP)।

  • Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের লড়াই শুধু বিজেপি বা আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়। কংগ্রেসের লড়াইটা গোটা রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে! কংগ্রেস কর্মীদের এক সম্মেলনে অত্যুৎসাহে বলে ফেলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এখন সেই মন্তব্যের জন্য আইনি বিপাকে পড়তে হচ্ছে রাহুলকে। এই মন্তব্যের জেরে সম্ভলের জেলা আদালত নোটিস পাঠাল লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। আগামী ৪ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলেছিলেন রাহুল

    দিল্লিতে কংগ্রেসের নতুন সদর দফতর উদ্বোধনের দিন বক্তব্য পেশ করছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বর্তমানে বিজেপি-আরএসএস দেশের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। এর পরই তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যদি কেউ মনে করেন, আমরা বিজেপি কিংবা আরএসএস নামে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে বলব দেশে কী ঘটছে তা আপনারা বুঝতে পারছেন না। বিজেপি এবং আরএসএস আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। আমাদের এখন শুধু বিজেপি, আরএসএস নয়, সামগ্রিকভাবে ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে।’’ এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে জোড়া মামলা দায়ের হয়। দুই রাজ্য থেকেই আইনি নোটিস পেয়েছেন রাহুল।

    রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমের গুয়াহাটিতে। আর একটি মামলা দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। গুয়াহাটিতে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাহুল যা বলেছেন সেটা উগ্রপন্থীদের উসকানি দেওয়ার শামিল। ওই মামলাটি জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হওয়া। সেই মামলা গৃহীত হলে রাহুলকে ফের জেলে জেতে হতে পারে। আর উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের একটি এমপি-এমএলএ কোর্টেও রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলাতেও রাহুলকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। সম্ভলের আদালত আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলকে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলেছে।

    রাহুলকে আক্রমণ বিজেপির

    বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, ‘‘শহুরে নকশাল এবং ডিপস্টেটের সঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বাস্তুতন্ত্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা ভারতকে অপমান, অবমাননা এবং অসম্মান করতে চায়। কংগ্রেসের কুৎসিত সত্য তাদের নিজেদের নেতাই উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করতে চাই। গোটা দেশ যা জানে, তাই তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করছেন। তিনি যা কিছু করেছেন বা বলেছেন তা ভারতকে ভাঙার এবং আমাদের সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্যেই করেছেন।’’ তীব্র আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তাহলে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী, তোমরা কেন সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে ঘোরো?’’

  • BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ২০ মার্চ তাদের সকল লোকসভা সাংসদদের (Member of Parliament) উদ্দেশ্যে হুইপ জারি করেছে। হুইপে বলা হয়েছে ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পাসের সময় তাদের সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে। লোকসভার সকল বিজেপি সদস্যদের জানানো হয়েছে যে ২০২৫-২৬ অনুদানের বিভিন্ন দাবির উপর গিলোটিন ২০ মার্চ সংসদে পাসের জন্য তোলা হবে। তাই লোকসভায় বিজেপির সকল সদস্যকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, তারা যেন সারাদিন সংসদে ইতিবাচকভাবে উপস্থিত থাকবেন এবং যেন সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন।

    গিলোটিন কী?

    প্রসঙ্গত গিলোটিন হল একটি সংসদীয় কৌশল যা আরও আলোচনার সুযোগ না দিয়ে বিলটি দ্রুত পাস করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত যখন সরকার দ্রুত কোনও বিল পাস করতে চায়, কিন্তু বিরোধীরা বিলটির অগ্রগতি বিলম্বিত করার পালটা কৌশল নেয়। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য বড় ধরনের স্বস্তি এনেছে। পারিবারিক সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য গড়ে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসিক আয়ের উপর কোনও আয়কর নেই।

    সরকার জোর দিচ্ছে চার ক্ষেত্রে (BJP)

    সরকার উন্নয়নের চারটি বিভাগের উপর জোর দিচ্ছে। তা হল কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ এবং রফতানি। অর্থমন্ত্রীর কর ছাড়ের ঘোষণার অর্থ হল বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর শূন্য থাকবে। সীতারামন বাজেটের মূল লক্ষ্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “এই বাজেটের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে ‘বিকশিত ভারত’-এ রূপান্তরিত করার জন্য একটি ভবিষ্যৎমুখী পথ তৈরি করা। গরিব, যুবক, কৃষক এবং নারীর প্রকৃত উন্নয়ন এই বাজেটের লক্ষ্য।” বাজেটে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ, রফতানি, গ্রামীণ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সক্ষমকরণ, অভ্যন্তরীণ উপভোগ বৃদ্ধি এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা এবং সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং আর্থিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে সুক্ষ্মভাবে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। অর্থমন্ত্রী সীতারমন উল্লেখ করেছেন যে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বাস্তবায়নের পর থেকে পরোক্ষ কর উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫ সালের বাজেটকে কী বললেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটকে ভারতের উন্নয়ন যাত্রার জন্য “শক্তি গুণক” হিসেবে (BJP) অভিহিত করেছেন। তিনি এই বাজেটকে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের “আকাঙ্ক্ষার বাজেট” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তার বাজেট বক্তৃতায় বিহারে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত এবং ব্যবহৃত পুষ্টিকর খাবার মাখনার জন্য একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি আরও ঘোষণা করেন যে পাটনা বিমানবন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিহটায় একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দরের পাশাপাশি বিহারে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরগুলিকে সম্মানিত করা হবে। তিনি বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে, যা বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে ৫০,০০০ হেক্টরেরও বেশি জমি চাষকারী বিপুল সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করবে। অর্থমন্ত্রী বিহারে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণাও করেছেন।

  • BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় অশোকনগরে ওএনজিসির প্রকল্প থেকে তেল-গ্যাসের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারছে না বলে গত নভেম্বরে অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্র। ওই মাসের (BJP) শেষের দিকে সংসদে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী দাবি করেছিলেন, রাজ্য উত্তোলনের জন্য জমি লিজ মঞ্জুরে গড়িমসি করায়ই দেরি হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে একাধিকবার লিজ মঞ্জুরের জন্য আবেদন করা হয়েছে (Mamata Banerjee)। কিন্তু এখনও তা পাওয়া যায়নি। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর সেই অভিযোগের পর কেটে গিয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। শেষমেশ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেল উত্তোলনের কাজ শুরু করার ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ওই ছাড়পত্র দিয়েছে। সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৫০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা (BJP)

    ২০২০ সালে তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান অশোকনগরে বাণিজ্যিক তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় তাঁর সেই চেষ্টা আর এগোয়নি। সরকারি ছাড়পত্র মেলায় এবার কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরপনার চারটি জায়গায় তেল খননের প্রস্তুতি ও জমি লিজ সংক্রান্ত কাজ প্রায় শেষের পথে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লক ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চপতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। ওএনজিসি উত্তর ২৪ পরগনার ১৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩টি, নদিয়া জেলার একটি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৫টি জায়গা তেল উত্তোলনের জন্য নির্বাচন করেছে।

    মমতাকে নিশানা বিজেপির

    পাঁচ বছর পরে তেল উত্তোলনের ছাড়পত্র মেলায় মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর মন্তব্য (BJP), “২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুমোদিত এই লিজটি নতুন অনুসন্ধান লাইসেন্সিং নীতির অধীনে ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা কভার করে। এটি বহু বছর আগেই (Mamata Banerjee) একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক বিলম্বের কারণে বাংলা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, “বাংলায় রয়েছে অপার জ্বালানি সম্ভাবনা। কিন্তু আমরা কি আবার এমন বিলম্ব সহ্য করতে পারি?” তিনি বলেন, “বাংলার সম্পদ যেন তার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে তা নিশ্চিত করতে কার্যকর সরকারের সময় এসেছে। এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরানোর সময়।”

    রাজ্য সরকারের গড়িমসি

    পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে যে তেল-গ্যাসের বিপুল মজুত রয়েছে, তা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তার পরেই ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওএনজিসি খনন কার্য চালাতে ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার জমি লিজে নেওয়ার জন্য আবেদন করে রাজ্যের কাছে। ওএনজিসিকে পিএমএল দেওয়ার জন্য যে কেন্দ্র সুপারিশ করেছিল, সেই তথ্যও ওই বছরই ২১ অক্টোবর রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেয় ওএনজিসি। পুরীর দাবি, তার পর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং গত জানুয়ারিতে ফের রাজ্যের কাছে পিএমএল মঞ্জুরের জন্য দরবার করে ওএনজিসি। ওই বছরের আবেদনটি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে পেশ করেন ডিরেক্টর জেনারেল (হাইড্রোকার্বন)। পিএমএল মঞ্জুরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পূর্বাঞ্চলের কাউন্সিলের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

    বিজেপির দাবি

    গত নভেম্বরেই (BJP) সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, “অশোকনগরে উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই ওএনজিসি ১০৪৫.৫৪ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। জমি লিজ পেতে সংস্থা ১৪ বার ও কেন্দ্রীয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক চার বার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। তেল-গ্যাসের ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় রাজ্য বিপুল রয়্যালটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে (Mamata Banerjee)।”

    অশোকনগর

    প্রসঙ্গত, অশোকনগর ক্ষেত্রটি (BJP) মহানদী-বাংলা-আন্দামান অববাহিকার অন্তর্গত। পশ্চিমবঙ্গ দীর্ঘদিন ধরে তেল ও গ্যাসের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যদিও ওএনজিসি বহু বছর ধরে এই রাজ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। তবে নমুনার অর্থনৈতিক লাভজনকতা সবসময়ই একটি সমস্যা ছিল। আশোকনগর তৈল ক্ষেত্র থেকে ২০ কিলোলিটার অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পর, ওএনজিসি নমুনাটি প্রক্রিয়াকরণের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলের হলদিয়া শোধনাগারে পাঠায়। পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, উৎপাদিত তেলের গুণমান খুবই ভালো।

    ভারত সরকারের (BJP) প্রাথমিক-মুদ্রাকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশোকনগর-১ এখন একটি তেল উৎপাদক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর অর্থ হল, ওএনজিসি ভারতে তার আটটি অববাহিকার মধ্যে সাতটি আবিষ্কার ও উন্নয়ন করেছে। এটি দেশের মোট পরিচিত তেল ও গ্যাস মজুতের ৮৩%। কোম্পানিটি ভারতের মোট হাইড্রোকার্বন উৎপাদনের ৭২% জোগান দেয়।

LinkedIn
Share