Tag: bjp

bjp

  • Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    Amit Shah: ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল, আপাতত স্থগিত হল অমিত শাহের বঙ্গ সফর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত স্থগিত হয়ে গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফর। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষেই রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলায় (BJP) আসছেন না। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকার কারণেই তাঁর বঙ্গ সফর স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে, পরবর্তী তারিখের ব্যাপারেও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।

    ২৯ মার্চ আসার কথা ছিল অমিত শাহের (Amit Shah)

    উল্লেখ্য চলতি মাসের ২৯ তারিখ রাতে রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। এর ঠিক পরের দিন ৩০ মার্চ রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। তবে বিজেপির তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাস নাগাদ অমিত শাহের নতুন সফর সূচি জানানো হতে পারে।

    ৩০ মার্চ দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল

    বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছিল, আগামী ৩০ মার্চ সারাদিন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই সময় কথা হবে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তবে তা পিছিয়ে গেল। বিজেপির সূত্রে শোনা যাচ্ছে, মার্চের বদলে আগামী এপ্রিল – অর্থাৎ – পরের মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন অমিত শাহ। কিন্তু এখনও সেই শাহী সফরের দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি। এনিয়ে তবে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    নয়া সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন শাহ?

    দলীয় সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, নয়া রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হলেই আসবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এরপর ছাব্বিশের বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিজেপির সাংগঠনিক নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি কেবলমাত্র যেকোনও একটি পদেই থাকতে পারবেন। বর্তমান বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রে মোদি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদেও তাঁর প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

  • BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    BJP: এবার বারে ‘চাকরি’ করতে পারবেন মহিলারাও, প্রতিবাদে শামিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-চাকরি দশা। অথচ দুয়ারে ভোট (২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন)। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অতএব, ব্যবস্থা করতে হবে কর্মসংস্থানের (Protests)। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ এবং যাবতীয় ‘শ্রী’-র টোপ দিয়ে ভোট কুড়োনো নাও যেতে পারে (BJP)। তাই মহিলাদের ক্ষমতায়নের নামে মদের দোকানে চাকরির ব্যবস্থা করতে চলেছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার! তার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে বউবাজার পর্যন্ত মিছিল করলেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স (BJP)

    রাজ্যজুড়ে ঢালাও দেওয়া হয়েছে মদের দোকানের লাইসেন্স। তার জেরে অলিগলিতে খুলেছে ‘অফ শপ’ এবং ‘অন শপ’। এই সব শপে এতদিন কাজ করতেন পুরুষরা। এবার থেকে কাজ করতে পারবেন মহিলারাও। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্টে নয়া সংশোধনী নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেঙ্গল এক্সাইজ অ্যাক্ট, ১৯০৫ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে প্রধান হল, এবার থেকে ‘অন শপ’ (চলতি কথায় বার)-এ কাজ করতে পারবেন মহিলারা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন কলকাতায় মিছিল করে পদ্ম শিবির। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়ন করতে হলে তাঁদের মদের দোকানে কাজ করতে বলা কি ক্ষমতায়ন? মহিলারা মদ পরিবেশন করে ক্ষমতাবান হবেন? আমরা এই ধরনের ক্ষমতায়ন চাই না।”

    মর্যাদা হানির চেষ্টা করছে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, বুধবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া বেঙ্গল ফাইন্যান্স বিল ২০২৫-এ এই সংশোধনী পাশ হয়। আগে ‘অন শপ’ লেখা মদের দোকানে কাজ করতে পারতেন না মহিলারা। সেখানে মহিলাদের কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞাই তুলে দিল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের ক্ষমতায়ন নামক ঢাল দিয়ে আদতে তাঁদের মর্যাদা হানি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    প্রসঙ্গত, দোলের দিন (BJP) গন্ডগোলের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শুক্রবার তমলুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল হয়। কর্মসূচি শেষে পদ্ম-নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, “বাংলার সনাতনী সমাজ মুক্তি পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হলে। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬ (পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা আসন), রাজ্যে হবে অন্তত ১৮০ এবং মমতাকে প্রাক্তন করব।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে যে বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, তা আঁচ করতে পারছেন শাসক দলের ভোট ম্যানেজাররাও। তাঁদের ‘পরামর্শে’ই এবার মহিলাদের দলে টানার চেষ্টা করছে (Protests) তৃণমূল। সেই কারণেই মহিলাদের বারে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের (BJP)।

  • Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    Rahul Gandhi: ‘‘ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই’’! মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল, সমন পাঠাল সম্ভলের আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের লড়াই শুধু বিজেপি বা আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়। কংগ্রেসের লড়াইটা গোটা রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে! কংগ্রেস কর্মীদের এক সম্মেলনে অত্যুৎসাহে বলে ফেলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এখন সেই মন্তব্যের জন্য আইনি বিপাকে পড়তে হচ্ছে রাহুলকে। এই মন্তব্যের জেরে সম্ভলের জেলা আদালত নোটিস পাঠাল লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। আগামী ৪ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলেছিলেন রাহুল

    দিল্লিতে কংগ্রেসের নতুন সদর দফতর উদ্বোধনের দিন বক্তব্য পেশ করছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বর্তমানে বিজেপি-আরএসএস দেশের সব প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। এর পরই তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যদি কেউ মনে করেন, আমরা বিজেপি কিংবা আরএসএস নামে কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে বলব দেশে কী ঘটছে তা আপনারা বুঝতে পারছেন না। বিজেপি এবং আরএসএস আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। আমাদের এখন শুধু বিজেপি, আরএসএস নয়, সামগ্রিকভাবে ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে।’’ এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে জোড়া মামলা দায়ের হয়। দুই রাজ্য থেকেই আইনি নোটিস পেয়েছেন রাহুল।

    রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা

    রাহুলের (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বিজেপি শাসিত অসমের গুয়াহাটিতে। আর একটি মামলা দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। গুয়াহাটিতে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রাহুল যা বলেছেন সেটা উগ্রপন্থীদের উসকানি দেওয়ার শামিল। ওই মামলাটি জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হওয়া। সেই মামলা গৃহীত হলে রাহুলকে ফের জেলে জেতে হতে পারে। আর উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের একটি এমপি-এমএলএ কোর্টেও রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলাতেও রাহুলকে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। সম্ভলের আদালত আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলকে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলেছে।

    রাহুলকে আক্রমণ বিজেপির

    বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, ‘‘শহুরে নকশাল এবং ডিপস্টেটের সঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বাস্তুতন্ত্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা ভারতকে অপমান, অবমাননা এবং অসম্মান করতে চায়। কংগ্রেসের কুৎসিত সত্য তাদের নিজেদের নেতাই উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করতে চাই। গোটা দেশ যা জানে, তাই তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করছেন। তিনি যা কিছু করেছেন বা বলেছেন তা ভারতকে ভাঙার এবং আমাদের সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্যেই করেছেন।’’ তীব্র আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তাহলে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী, তোমরা কেন সংবিধানের কপি হাতে নিয়ে ঘোরো?’’

  • BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ২০ মার্চ তাদের সকল লোকসভা সাংসদদের (Member of Parliament) উদ্দেশ্যে হুইপ জারি করেছে। হুইপে বলা হয়েছে ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পাসের সময় তাদের সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে। লোকসভার সকল বিজেপি সদস্যদের জানানো হয়েছে যে ২০২৫-২৬ অনুদানের বিভিন্ন দাবির উপর গিলোটিন ২০ মার্চ সংসদে পাসের জন্য তোলা হবে। তাই লোকসভায় বিজেপির সকল সদস্যকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, তারা যেন সারাদিন সংসদে ইতিবাচকভাবে উপস্থিত থাকবেন এবং যেন সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন।

    গিলোটিন কী?

    প্রসঙ্গত গিলোটিন হল একটি সংসদীয় কৌশল যা আরও আলোচনার সুযোগ না দিয়ে বিলটি দ্রুত পাস করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত যখন সরকার দ্রুত কোনও বিল পাস করতে চায়, কিন্তু বিরোধীরা বিলটির অগ্রগতি বিলম্বিত করার পালটা কৌশল নেয়। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য বড় ধরনের স্বস্তি এনেছে। পারিবারিক সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য গড়ে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসিক আয়ের উপর কোনও আয়কর নেই।

    সরকার জোর দিচ্ছে চার ক্ষেত্রে (BJP)

    সরকার উন্নয়নের চারটি বিভাগের উপর জোর দিচ্ছে। তা হল কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ এবং রফতানি। অর্থমন্ত্রীর কর ছাড়ের ঘোষণার অর্থ হল বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর শূন্য থাকবে। সীতারামন বাজেটের মূল লক্ষ্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “এই বাজেটের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে ‘বিকশিত ভারত’-এ রূপান্তরিত করার জন্য একটি ভবিষ্যৎমুখী পথ তৈরি করা। গরিব, যুবক, কৃষক এবং নারীর প্রকৃত উন্নয়ন এই বাজেটের লক্ষ্য।” বাজেটে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ, রফতানি, গ্রামীণ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সক্ষমকরণ, অভ্যন্তরীণ উপভোগ বৃদ্ধি এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা এবং সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং আর্থিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে সুক্ষ্মভাবে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। অর্থমন্ত্রী সীতারমন উল্লেখ করেছেন যে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বাস্তবায়নের পর থেকে পরোক্ষ কর উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫ সালের বাজেটকে কী বললেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটকে ভারতের উন্নয়ন যাত্রার জন্য “শক্তি গুণক” হিসেবে (BJP) অভিহিত করেছেন। তিনি এই বাজেটকে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের “আকাঙ্ক্ষার বাজেট” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তার বাজেট বক্তৃতায় বিহারে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত এবং ব্যবহৃত পুষ্টিকর খাবার মাখনার জন্য একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি আরও ঘোষণা করেন যে পাটনা বিমানবন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিহটায় একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দরের পাশাপাশি বিহারে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরগুলিকে সম্মানিত করা হবে। তিনি বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে, যা বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে ৫০,০০০ হেক্টরেরও বেশি জমি চাষকারী বিপুল সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করবে। অর্থমন্ত্রী বিহারে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণাও করেছেন।

  • BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    BJP: তেল উত্তোলনে রাজ্যের ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি, মমতা সরকারকে আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় অশোকনগরে ওএনজিসির প্রকল্প থেকে তেল-গ্যাসের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারছে না বলে গত নভেম্বরে অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্র। ওই মাসের (BJP) শেষের দিকে সংসদে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী দাবি করেছিলেন, রাজ্য উত্তোলনের জন্য জমি লিজ মঞ্জুরে গড়িমসি করায়ই দেরি হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে একাধিকবার লিজ মঞ্জুরের জন্য আবেদন করা হয়েছে (Mamata Banerjee)। কিন্তু এখনও তা পাওয়া যায়নি। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর সেই অভিযোগের পর কেটে গিয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। শেষমেশ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেল উত্তোলনের কাজ শুরু করার ছাড়পত্র পেল ওএনজিসি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার ওই ছাড়পত্র দিয়েছে। সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৫০ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা (BJP)

    ২০২০ সালে তৎকালীন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান অশোকনগরে বাণিজ্যিক তেল ও গ্যাস উত্তোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় তাঁর সেই চেষ্টা আর এগোয়নি। সরকারি ছাড়পত্র মেলায় এবার কোমর বেঁধে নামছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরপনার চারটি জায়গায় তেল খননের প্রস্তুতি ও জমি লিজ সংক্রান্ত কাজ প্রায় শেষের পথে। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লক ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চপতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। ওএনজিসি উত্তর ২৪ পরগনার ১৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩টি, নদিয়া জেলার একটি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৫টি জায়গা তেল উত্তোলনের জন্য নির্বাচন করেছে।

    মমতাকে নিশানা বিজেপির

    পাঁচ বছর পরে তেল উত্তোলনের ছাড়পত্র মেলায় মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর মন্তব্য (BJP), “২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুমোদিত এই লিজটি নতুন অনুসন্ধান লাইসেন্সিং নীতির অধীনে ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা কভার করে। এটি বহু বছর আগেই (Mamata Banerjee) একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক বিলম্বের কারণে বাংলা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, “বাংলায় রয়েছে অপার জ্বালানি সম্ভাবনা। কিন্তু আমরা কি আবার এমন বিলম্ব সহ্য করতে পারি?” তিনি বলেন, “বাংলার সম্পদ যেন তার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে তা নিশ্চিত করতে কার্যকর সরকারের সময় এসেছে। এখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরানোর সময়।”

    রাজ্য সরকারের গড়িমসি

    পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে যে তেল-গ্যাসের বিপুল মজুত রয়েছে, তা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তার পরেই ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওএনজিসি খনন কার্য চালাতে ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার জমি লিজে নেওয়ার জন্য আবেদন করে রাজ্যের কাছে। ওএনজিসিকে পিএমএল দেওয়ার জন্য যে কেন্দ্র সুপারিশ করেছিল, সেই তথ্যও ওই বছরই ২১ অক্টোবর রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেয় ওএনজিসি। পুরীর দাবি, তার পর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবং গত জানুয়ারিতে ফের রাজ্যের কাছে পিএমএল মঞ্জুরের জন্য দরবার করে ওএনজিসি। ওই বছরের আবেদনটি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে পেশ করেন ডিরেক্টর জেনারেল (হাইড্রোকার্বন)। পিএমএল মঞ্জুরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পূর্বাঞ্চলের কাউন্সিলের বৈঠকেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

    বিজেপির দাবি

    গত নভেম্বরেই (BJP) সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, “অশোকনগরে উৎপাদনের জন্য ইতিমধ্যেই ওএনজিসি ১০৪৫.৫৪ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। জমি লিজ পেতে সংস্থা ১৪ বার ও কেন্দ্রীয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক চার বার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। তেল-গ্যাসের ভান্ডার থাকা সত্ত্বেও তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে না পারায় রাজ্য বিপুল রয়্যালটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে (Mamata Banerjee)।”

    অশোকনগর

    প্রসঙ্গত, অশোকনগর ক্ষেত্রটি (BJP) মহানদী-বাংলা-আন্দামান অববাহিকার অন্তর্গত। পশ্চিমবঙ্গ দীর্ঘদিন ধরে তেল ও গ্যাসের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যদিও ওএনজিসি বহু বছর ধরে এই রাজ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। তবে নমুনার অর্থনৈতিক লাভজনকতা সবসময়ই একটি সমস্যা ছিল। আশোকনগর তৈল ক্ষেত্র থেকে ২০ কিলোলিটার অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পর, ওএনজিসি নমুনাটি প্রক্রিয়াকরণের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলের হলদিয়া শোধনাগারে পাঠায়। পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, উৎপাদিত তেলের গুণমান খুবই ভালো।

    ভারত সরকারের (BJP) প্রাথমিক-মুদ্রাকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশোকনগর-১ এখন একটি তেল উৎপাদক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর অর্থ হল, ওএনজিসি ভারতে তার আটটি অববাহিকার মধ্যে সাতটি আবিষ্কার ও উন্নয়ন করেছে। এটি দেশের মোট পরিচিত তেল ও গ্যাস মজুতের ৮৩%। কোম্পানিটি ভারতের মোট হাইড্রোকার্বন উৎপাদনের ৭২% জোগান দেয়।

  • Amit Shah: “ইন্দিরার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ইন্দিরার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের সফরে উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবারই অসমে (Assam) গিয়েছেন তিনি। শনিবার অসমের ডেরগাঁওতে লাচিত বরফুকন পুলিশ অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, “অসমে কংগ্রেস সরকারের আমলে আমি মারও খেয়েছি। সেই সময় হিতেশ্বর সইকিয়া অসমের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আমরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে স্লোগানও দিয়েছিলাম।”

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে বর্তমান বিজেপি-শাসিত অসমের তুলনা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অসমে সাতদিন আমায় জেলের খাবার খেতে হয়েছিল। সারা দেশ থেকে মানুষ এসেছিলেন অসমকে বাঁচাতে। আজ অসম উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে চলছে।” প্রসঙ্গত, অসমে দু’দফায় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের হিতেশ্বর সইকিয়া। প্রথমবার ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল এবং তারপর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। হিতেশ্বর জমানার কথা তুলে ধরে শাহের কটাক্ষ, ওরা রাজ্যে শান্তি আনতে দেয়নি।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা

    এদিকে, আজ, রবিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বৈঠকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এটি পূর্ববর্তী ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে চালু করা হয়েছে। শনিবার রাতটি মিজোরামে কাটিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি অসম রাইফেলসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

    রবিবার তিনি দিনটি (Amit Shah) শুরু করবেন কোক্রাঝারে সফরের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অল বোডো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ৫৭তম বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। প্রসঙ্গত, আবসু ঐতিহাসিক বোডো শান্তি চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল পাঁচ বছর আগে।

    জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে শাহ পৌঁছবেন গুয়াহাটিতে। সেখানে অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। প্রসঙ্গত, গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর মণিপুর রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে থাকায় বৈঠকে রাজ্যের (Assam) প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, তা জানা যায়নি (Amit Shah)।

  • Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    Temple Vandalised: ফলছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল! রাজ্যের দুই মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফলতে শুরু করেছে তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল (Temple Vandalised)! এতদিন বাংলাদেশে হামলা চালানো হচ্ছিল হিন্দুদের মন্দিরে। ভাঙচুর করা হচ্ছিল, প্রতিমা, বিগ্রহ। এবার (West Bengal) সেই একই ঘটনা ঘটল এপার বাংলায়ও। এর আগেও যে এ রাজ্যে এমনতর ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। তবে তা ছিল কখনও সখনও। বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের পর বস্তুত এ রাজ্যে আছড়ে পড়েছে মন্দির ধ্বংসের ঢেউ। সম্প্রতি রাজ্যের দুটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে প্রতিমা। একটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে, আর একটি ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা দুটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিজেপির অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা সদর্থক নয়। যেহেতু সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার আশঙ্কায় ঘটনা দুটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসক দল, তাই সংবাদ মাধ্যমেও তা প্রকাশ পায়নি বলে অভিযোগ। বসিরহাট ও তমলুকের ঘটনার ছবি এবং ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    সুকান্তর পোস্ট (Temple Vandalised)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মা কালীর মূর্তিটি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, মূর্তি ভাঙার আগে মন্দিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, একটি ঘটনা ঘটেছে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নিন্দারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্খচূড়া বাজার এলাকায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ওই এলাকায় একটি মন্দিরে জোর করে ঢুকে কালী মাতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। মূর্তির হাত, পা এবং মাথা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁর আরও অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের কট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠী শাহানুর মণ্ডল স্থানীয় হিন্দুদেরও খুন করার হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পুলিশও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে (Temple Vandalised) পোস্টে লিখেছেন সুকান্ত।

    হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যথেষ্ট হয়েছে। আপনি অথবা আপনার সরাসরি সমর্থিত মৌলবাদী দানব গোষ্ঠী যদি পশ্চিমবঙ্গকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বলে মনে করেন, তাহলে আপনি একটি মিথ্যার স্বর্গে বাস করছেন। যতদিন আমরা বেঁচে থাকব, আমরা আপনাকে সনাতন হিন্দু ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করতে দেব না। যদি রাজ্যের হিন্দুদের ওপর বা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনও আক্রমণ হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি উপযুক্ত জবাব দেবে – প্রস্তুত থাকো।”

    পোস্ট শুভেন্দুরও

    এদিকে, আগুন লাগিয়ে দিয়ে প্রতিমা পোড়ানো হয়েছে তমলুকের শ্রীরামপুরের একটি ক্লাব সংলগ্ন একটি মন্দিরে। এই মন্দিরে দেব-দেবীর মূর্তিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়ান্ট কিলার (মমতাকে হারানোয় এখন এই নামেই সবাই ডাকছেন শুভেন্দুকে) শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, অন্ধকারে একটা মূর্তি পুড়ে যাচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গেও মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া ও হিন্দু দেবদেবীর অবমাননার মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য কার্যকলাপ হচ্ছে। এর মাধ্যমে উগ্র ও সাম্প্রদায়িক পরাধীনতার ওপার বাংলার সংস্কৃতি এখানেও অব্যাহত। তাঁর আরও অভিযোগ, আশপাশের এলাকার হিন্দুদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদেরও যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ডিজিকে অনুরোধ করেছেন, রাজ্যের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুক এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ

    মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন, একটি কালী মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দু দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, “এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, বসিরহাট থানার অধীনে শঙ্খচূড়া বাজারের কালী মন্দিরে দেবী কালীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তাঁর দাবি (Temple Vandalised), মন্দিরে হামলার ঘটনা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহানুর মণ্ডলের নেতৃত্বে ঘটেছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্যও নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। তিনি বলেন, “যাদবপুরের ঘটনার পর আর একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে– বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শঙ্খচূড়া বাজারে দেবী কালীর একটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হয়তো আবারও এটাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দেবেন বা এমনও দাবি করতে পারেন যে, এটা হিন্দুদেরই একটা চক্রান্তের অংশ।” তাঁর প্রশ্ন, গত পাঁচ দিনে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের উদ্বেগজনক বৃদ্ধির বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শেষ পর্যন্ত কোনও বক্তব্য রাখবেন?

    মন্দিরে হামলা হয়েছে আগেও

    বিজেপির অভিযোগ, এ রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা। গত বছরও হাওড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছিল ৫টি মন্দিরে। ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ঘটনার প্রতিবাদে সেবার রেল অবরোধও হয়েছিল। সেবারও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেবার তিনি সাফ বলেছিলেন (Temple Vandalised), দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে।

    শুভেন্দুর তোপ

    সেবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছিলেন, “গত রাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫টি সনাতনী মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয়রা রেল অবরোধ করে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমি হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অনুরোধ করছি দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করুন। সঙ্গে শান্তি ফেরাতে দ্রুত শান্তি ফেরান। যারা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন, গণপরিবহণকে প্রভাবিত না করে তাদের প্রতিবাদ করতে দিন।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সনাতনী মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গা ছাড়া ভাবের জন্যই তারা সনাতনীদের ওপর বারবার হামলা করার সাহস পাচ্ছে।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করেছে কংগ্রেস। এই কংগ্রেসেরই ডিএনএ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শরীরে। তাদেরও হাতিয়ার সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৃণমূলের প্রয়োজন একটি বিশেষ(Temple Vandalised) সম্প্রদায়ের ভোট। এ রাজ্যের ওই সম্প্রদায়ের ৩০ শতাংশ ভোটারের ভোটই পড়ে ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে। তৃণমূল তাদের তুষ্ট করতে গিয়েই নানাভাবে তোল্লাই দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই বিশেষ ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের এহেন বাড়বাড়ন্ত!

    শুধু তাই নয়, এই ভোটের স্বার্থেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যারা বিভিন্ন মন্দিরে বিগ্রহ ভাঙচুর করছে কিংবা মন্দির অপবিত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ব্যবস্থা নিতেও শোনা যায়নি বলেও দাবি সনাতনীদের একাংশের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই বাড়বাড়ন্ত তৃণমূলের এই বিশেষ ভোটারদের (West Bengal)। যে ভোটারদের ‘দাক্ষিণ্যে’ বছরের পর বছর ক্ষমতায় টিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Temple Vandalised)।

  • Yogi Adityanath: আশি-বিশের লড়াই, উত্তরপ্রদেশে বিপুলভাবে জিতবে বিজেপি, দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: আশি-বিশের লড়াই, উত্তরপ্রদেশে বিপুলভাবে জিতবে বিজেপি, দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ বছর পরেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) ৮০ শতাংশেরও বেশি আসন পাবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ২০২৭ সালের নির্বাচন হতে চলেছে আশি-বিশের লড়াই। তিনি বলেন, “২০২৭ সালের নির্বাচন আশি-বিশের যুদ্ধ। আশি শতাংশ বিজেপি এবং ২০ শতাংশে অন্যরা পাবে।”

    ২০২২ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি (BJP)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। সে সময়ও যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) এ কথাই বলতে শোনা গিয়েছিল। অর্থাৎ আশি-বিশের লড়াই। ওই নির্বাচনে বিপুল জয় পায় বিজেপি। ৪০৩টি বিধানসভার আসনের মধ্যে ২৯১টি আসনে জিতেছিল গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ মোট আসনের ৭২ শতাংশ এসেছিল বিজেপির দখলে। সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট আটকে যায় মাত্র ১০৯টি আসনে।

    এই মুহূর্তে ভোট হলে জিতবে বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত এই অনুষ্ঠানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে আগামী দিনে তিনি এই বিজেপির ব্যাটন সামলাবেন কিনা! এর উত্তরে যোগী (Yogi Adityanath) জানান, তিনি একজন যোগী এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য তিনি সংকল্পবদ্ধ। যোগী আদিত্যনাথের নিজের ভাষায়, “দেখুন, আমি কারও উত্তরাধিকারী নই। আমি একজন যোগী। ভারত মাতার একজন সেবক হিসেবে এইভাবেই কাজ করতে চাই। আমাকে উত্তর প্রদেশের জনগণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপির। গেরুয়া শিবির আটকে যায় ৩৩ আসনে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি জেতে ৩৭ আসনে। তবে তারপর থেকে হওয়া উপনির্বাচনগুলিতে বিপুল জয় পায় বিজেপি। এই আবহে ইন্ডিয়া টুডে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে এই মুহূর্তে ভোট হলে বিজেপি বিপুলভাবে জিতবে উত্তরপ্রদেশে। অর্থাৎ ২০২৭ সালে টানা তিনবারের জন্য উত্তরপ্রদেশে জিততে চলেছে বিজেপি। এমনটাই বলছে বর্তমান সমীক্ষা।

  • BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    BJP: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই দায়ী,” তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলের পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীই (Rahul Gandhi) দায়ী এবং তাঁর ব্যর্থতার জন্য অন্যদের দোষারোপ বন্ধ করা উচিত।” শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। দু’দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছিলেন রাহুল। দ্বিতীয় দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “বিজেপির জন্য কাজ করা দলের নেতা-কর্মীদের ছেঁকে বের করার প্রয়োজন আছে।” এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। হুঁশিয়ারি দেন অপসারণেরও।

    রাহুলকে আক্রমণ (BJP)

    এর পরেই রাহুলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “রাহুল ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী দলের শীর্ষে আসার পর থেকে কংগ্রেসের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের ১৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ নেতা গুজরাটে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সাফল্যের মূল মন্ত্র শেখাচ্ছেন। যদিও এটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাঁর মন্তব্য অবশ্যই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দুর্দশা এবং তাঁর ক্রমশ অবনতিশীল মানসিক অবস্থার দিকেই ইঙ্গিত করে।”

    সবচেয়ে খারাপ নেতা

    রাজ্যসভার এই সাংসদের অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং মিডিয়ার ওপর দোষারোপ করার পর, তিনি এখন নিজের দলের লোকদের দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। পদ্ম-পার্টির এই নেতা (BJP) বলেন, “এভাবে প্রকাশ্যে নিজের দলের লোকদের অপমান করার উদাহরণ আপনি অন্য কোনও নেতার মধ্যে খুঁজে পাবেন না। গান্ধী যদি আত্মবিশ্লেষণ করেন, তবে তিনি বুঝতে পারবেন যে তিনি দলের সবচেয়ে খারাপ নেতা।”

    বিজেপির আর এক জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “রাহুল গান্ধী গুজরাটে নিজেকে এবং তাঁর দলকে ট্রোল করেছেন এবং নিজের প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন – তিনি তাঁর ব্যর্থতার জন্য খাড়্গেজি এবং তাঁর দলের কর্মীদের দোষারোপ করছিলেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দলের অর্ধেকেরও বেশি নেতা বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত। আর তিনিই নিজের দলকে ৯০টিরও বেশি নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। এই দিক থেকে, তিনিই বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ।” তাঁর প্রশ্ন, “আপনি (Rahul Gandhi) কি বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে যুক্ত (BJP)?”

  • Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    Suvendu Adhikari: মমতাকে ফের গোহারা হারাতে নয়া ‘গেম প্ল্যান’ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে খোলা হচ্ছে কার্যালয়ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বাকি এক বছরেরও বেশি সময় (Assembly Elections 2026)। এখন থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মমতার ‘গড়ে’ ধস নামানোর ছক (Suvendu Adhikari)

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা ফের প্রার্থী হচ্ছেন ধরে নিয়েই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড। এখানেই কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পয়লা মে কার্যালয়ের উদ্বোধনও করতে চান তিনি। মঙ্গলবার এনিয়ে শুভেন্দু আলোচনা করেন ভবানীপুরের বিজেপি নেতা- কর্মীদের সঙ্গে। বিজেপি ধরেই নিয়েছে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে ভবানীপুর ‘গড়ে’ই এবারও প্রার্থী হবেন মমতা। এই গড়েই ধস নামাতে কোমর কষে নামেছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    রেডি প্ল্যান ‘এ’

    জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে মমতাকে গোহারা হারাতে ১০০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হচ্ছে। এই টিমের কাজ হবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নানা তথ্য সংগ্রহ করা। তবে এই টিমে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই কেন্দ্রের ভোটারদের মন বোঝারও চেষ্টা হবে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুকে টেক্কা দিতে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। সেই নির্বাচনে পদ্ম চিহ্নে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু।

    নন্দীগ্রামে গোল দিয়ে ঘোল খাইয়েছিলেন

    নির্বাচনের ঢের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে তাঁর ঘরের মাঠে দাঁড়িয়ে গোল দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতাকে। নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, ‘কথা’ রেখেছেন শুভেন্দু। গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে। শেষে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করিয়ে ভোটে জিতিয়ে আনতে হয় মমতাকে। এভাবেই (Suvendu Adhikari) সেবার কোনওক্রমে মুখ রক্ষা হয় তৃণমূল সুপ্রিমোর (Assembly Elections 2026)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু যে অস্ত্রে বধ করেছিলেন মমতাকে, এবারও সেই অস্ত্র প্রয়োগ করেই ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রীর গায়ে ছিটিয়ে দিতে চান পরাজয়ের কালি।

    ভবানীপুরে জেতা সহজ

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামের চেয়ে ভবানীপুরে জেতা সহজ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বৈঠকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২ এবং ৭৪। আর তৃণমূল এগিয়েছিল মাত্র তিনটিতে – ৭৩, ৭৭ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রী এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভোটার। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে ছিল মাত্র ২৭৯ ভোটে। মুখ্যমন্ত্রী যে ওয়ার্ডের ভোটার, সেখানেই কার্যালয় খুলে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই জায়ান্ট কিলারের (নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর পর এমন খেতাব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে) এহেন উদ্যোগ।

    শুভেন্দুর নির্দেশ

    বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গল-সন্ধ্যার বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে বিশেষ নজর না দিলেও চলবে। তবে বাকি ওয়ার্ডগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর যদি তা করা যায়, তাহলে এই কেন্দ্রে বিজেপির জয় এক প্রকার নিশ্চিত। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে প্রতিটি বুথে বিজেপি লড়াই করার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেই বিষয়ে এখন থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের পদক্ষেপ করতে বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা জেলার বিজেপির এক নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই হবে বলে মানসিকভাবে আমরা অনেকেই পিছিয়ে থাকি। কিন্তু শুভেন্দুদা আমাদের শক্তি জুগিয়েছেন।” তিনি বলেছেন, “বুথে শক্তি জোগাতে পারলেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলতে পারব। প্রতিটি বুথ আগলে রাখতে পারলেই যে জোরদার লড়াই সম্ভব, বৈঠকে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে সে কথাই বলেছেন শুভেন্দুদা।”

    শুভেন্দুর গেম প্ল্যান

    বিজেপি সূত্রে খবর, শুভেন্দুর নির্দেশ, যে ওয়ার্ডগুলিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়াতে হবে। আর যেগুলিতে পদ্ম-প্রার্থী পিছিয়েছিলেন, সেগুলিতে কমাতে হবে ব্যবধান। দলীয় কর্মীদের ভোটার লিস্টের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার অছিলায় যেন বিরোধী ভোটারদের নাম বাদ না দেওয়া হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে কেবল ভবানীপুরই নয় (Assembly Elections 2026), দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থীর জয় সম্ভব (Suvendu Adhikari)।

LinkedIn
Share