Tag: bjp

bjp

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুশি জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের বাজেটে বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পে আরও ২১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করল রেলমন্ত্রক। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ মূল্য বরাদ্দের পরেই চলতি বাজেট  বরাদ্দ দিয়ে লাইন পাতার কাজ করবে রেল। ওই অর্থ বরাদ্দের পরে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে বরাত প্রক্রিয়া শুরু করতে তৎপর হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ সংস্থা। তবে ওই প্রকল্পে ফের ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হতেই উচ্ছ্বসিত সব মহল। বিশেষ করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা খুশি।

    এই প্রকল্পে মোট কত টাকা বরাদ্দ করল রেলমন্ত্রক (Balurghat)

    ২০১০ সাল বালুরঘাট (Balurghat)-হিলি রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে ওই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছিল। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে জমিজটে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ থমকে যায়। মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগী হতেই ২০২২ সাল থেকে পুনরায় ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৩৩ কোটি লক্ষমাত্রা ধার্য করে রেল। ২০২২-২৩ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে ২০ কোটি ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের বাজেটে ওই প্রকল্পে পুনরায় ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। যদিও ওই অর্থ বর্ষেই ওই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৩১০ কোটি খরচ করে রেল। তারপরেই চলতি বছরের বাজেটে আরও ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।

    রাজ্য সরকারের সহযোগিতা দাবি

    এই প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, ‘এই বাজেটে বালুরঘাট-হিলি রেলের জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। ২০১০ সালে এই প্রকল্পের খরচ ছিল ২৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু এখন তা দ্বিগুণ হয়েছে। যুগের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আর্থসামাজিক কারণে দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করব।

    এই প্রকল্পে আরও টাকা দিতে প্রস্তুত রেল

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিকাংশ টাকাই বরাদ্দ হয়ে গেল। রাজ্য সরকারকে দ্রুত জমি দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করছি। ওই প্রকল্পে টাকার কোনও খামতি নেই। আমি নিজে রেলমন্ত্রক থেকে টাকা আনার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। আরও টাকা লাগলে রেল দিতে প্রস্তুত রয়েছে।‘

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা তৃণমূলের সহসভাপতি সুভাষ চাকী বলেন, ‘এই বছরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কথাটি সঠিক নয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের জন্য ধার্য করা হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার ও অশোক কুমার লাহিড়ী রাজনৈতিক কারণে কথাবার্তা বলছে। সামনে লোকসভা ভোটকে নজরে রেখে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করা হচ্ছে। প্রচুর মানুষ টাকা পেয়েছেন। নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে। উন্নয়নের কাজে রাজনৈতিক অভিপ্রায় অনভিপ্রেত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতা বিমানবন্দর যাবেন, কৈখালিতে বন্ধ মেট্রোর কাজ! সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা বিমানবন্দর যাবেন, কৈখালিতে বন্ধ মেট্রোর কাজ! সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভিআইপি রোড ধরে বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। তাই সোমবার এবং ফেরার দিন মঙ্গলবার কৈখালির কাছে মেট্রো রেলের কাজ বন্ধ রাখতে চেয়ে বিধাননগর পুলিশ হাইওয়ে ডিভিশনকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠি অনুযায়ী বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর বারোটা থেকে মঙ্গলবার দুপুর দুটো পর্যন্ত ওই এলাকায় মেট্রো রেলের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হোক। এ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সরব শুভেন্দু

    পুলিশের ওই একপাতা সরকারি চিঠিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি একাধিক প্রশ্নও তুলেছেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া মেট্রো অরেঞ্জ লাইনের কাজ কিছুদিন ধরেই চলছে। ভিআইপি রোডের উপর কৈখালির কাছে মেট্রোর কাজও কিছুদিন ধরেই চলছে। ওই রাস্তা দিয়ে প্রচুর গাড়ি চলে। আমার বিধাননগর পুলিশের কাছে দুটি প্রশ্ন রয়েছে—

    ১) যদি নির্মাণকাজ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তবে পাবলিকের সুরক্ষার জন্য আপনাদের ট্রাফিক বিভাগ এর আগে কেন পদক্ষেপ নেয়নি। এই বিপজ্জনক জায়গা দিয়ে কেন যেতে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে? তবে কি সাধারণ মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি আপনাদের মধ্যে পড়ে না?

    ২) অথবা মেট্রোর কাজ সাময়িক স্থগিত রেখে আপনি কি মুখ্যমন্ত্রীর ইগো নিয়েই বার্তা দিলেন? যখন হীরক রানি যান তখন সকলকে থামতে হয়…

    সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ উদ্বিগ্ন নয়

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, দিনের পর দিন মেট্রোর কাজ চলছে ওই রাস্তায়। হাজার হাজার গাড়ি তার পাশ দিয়ে যাতায়াত করে। সেনিয়ে উদ্বিগ্ন নয় মমতা পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী কে? দিল্লিতে আজ ‘শাহি’ বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    Rajya Sabha Election: বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী কে? দিল্লিতে আজ ‘শাহি’ বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেই রয়েছে রাজ্যসভার নির্বাচন। বাংলায় পাঁচটি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হবে। এর মধ্যে একটি আসন অঙ্কের হিসাবে বিজেপির পাওয়ার কথা। সেই আসনের জন্য রাজ্য বিজেপির তরফে চারটি নাম ঠিক করা হয়েছে। শর্টলিস্ট সেই চারজনের নাম থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী বেছে নিতেই আজ, সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

    কখন হবে বৈঠক

    রবিবার রাতেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই সফর নিয়ে আগাম কিছু না জানালেও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করতেই দিল্লি যাত্রা শুভেন্দুর। বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের ফাঁকেই শাহের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে শুভেন্দুর। রবিবারই রাজ্যের তরফে কয়েকটি নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই সব নিয়েই শুভেন্দুর সঙ্গে শাহের আলোচনা হতে পারে। তবে কখন সেই বৈঠক হবে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সোমবার সকালে দিল্লি পৌঁছবেন।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে আবু ধাবির প্রথম মন্দির, মার্বেল গিয়েছে রাজস্থান থেকে

    অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই পছন্দ

    বাংলা থেকে কাকে রাজ্যসভায় পাঠাবে বিজেপি, তা ঠিক করতে শনিবার সল্টলেকের রাজ্য দফতরে বৈঠক করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের দুই সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক)। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, অরাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্বকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছে দল। এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধুকারী বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে নাম বাছাই করেছি। দিল্লির নেতারা তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ 

    নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৬টি আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে ১৩টি রাজ্যের ৫০ জন সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২ এপ্রিল। বাকি দু’রাজ্যে ৬ সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩ এপ্রিল।  রাজ্যসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি আগামী ৮ তারিখ প্রকাশিত হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। বিজেপি ঠিক করেছে ৭ তারিখের মধ্যেই তারা দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে ফেলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “দল না থাকলে রোজগার হবে না”, এ কী বললেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র?

    South 24 Parganas: “দল না থাকলে রোজগার হবে না”, এ কী বললেন বিধায়ক লাভলি মৈত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের তৃণমূলের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। রাজ্যে গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষক নিয়োগ, রেশন দুর্নীতি এবং পুর নিয়োগ নিয়ে শাসক দলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতামন্ত্রী জেলের মধ্যে রয়েছেন। সকলেই দুর্নীতি করে আয় বা রোজগার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘চোর মমতা’ মন্তব্যে ব্যাপক সরব হয়েছেন। ঠিক এই আবহেই তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যেও ফের একবার দুর্নীতির কথা ফাঁস হয়ে গেল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেন, “দল না থাকলে রোজগার হবে না।”এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (South 24 Parganas)?

    সোনারপুর দক্ষিণের (South 24 Parganas) প্রতাপনগরে এক কর্মী সভায় রবিবার উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী লাভলি মৈত্র। তিনি দলের কর্মীদের বলেন, “দল থাকলে রোজগার হবে, উপার্জন হবে। রোজাগার কে কীভাবে কোথা থেকে করেন আমি সব জানি। আমার কাছে সব খবর আছে। দলটাই যদি না থাকে তাহলে কীভাবে সম্ভব হবে। তাই বলছি গ্রুপবাজি বন্ধ করুন। দলের কাজে মন দিন।”

    কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি

    সোনারপুর (South 24 Parganas) কর্মীসভায় বিধায়ক লাভলি আরও বলেন, “মাত্র দুই মাস পরেই নির্বাচন! এটা একটা কর্মী সম্মেলন মাত্র, অর্ধেক লোক এসেছেন! বুথ কমিটির মধ্যে যে যে নাম আমাকে দেওয়া হয়েছিল তাতে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা লোক! অর্ধেক মানুষ অনুপস্থিত। রাজ্যের তো উন্নয়ন কোথাও থেমে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ চলছে। আপনাদের ফাজলামোর জন্য প্রত্যেক অঞ্চলের প্রত্যেক বুথে কিছু এমন মানুষ রয়েছেন যারা কোনও দলের মধ্যেই নেই। সকালে তৃণমূল, রাতে বিজেপি এবং দুপুরে সিপিএম। দলের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে।”

    বাইরে থেকে লোক এনে দল চালাব

    সোনারপুর (South 24 Parganas) কর্মীসভায় বিধায়ক লাভলি এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি দিদি ও অভিষেকদার সঙ্গে কথা বলব। যারা রেজাল্ট দিতে পারবেন না তারা সদস্য সেজে বাসে থাকলে চলবে না। আসন অলঙ্কৃত করে বসে থাকা সদস্যদের আমরা চাই না। বুথের মধ্যে এখনও দলাদলি, গ্রুপবাজি চলছে। এই গ্রুপবাজির কারণে প্রতাপনগরে দল শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের দরকার নেই আমি বাইরে থেকে লোক এনে দল চালাবো। তারপর দলের রেজাল্ট দেখাবো।”      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Dev: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এবারের লোকসভা ভোটে ঘাটাল থেকে টলিউডের হিরো দেবকেই (Dev) (দীপক অধিকারী) প্রার্থী করতে চান তিনি। দলনেত্রীর নির্দেশ থাকলে তিনিও যে ভোটে লড়তে প্রস্তুত, অভিনেতা-সাংসদ সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু, ওই ইঙ্গিত দেওয়ার মাসখানেকের মধ্যেই তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় এবার লোকসভা ভোটে কি তিনি দাঁড়াবেন না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা (Dev)

    লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দেব (Dev)। শুধু তা-ই নয়, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এতেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তিনটি সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগের মধ্য দিয়ে কি লোকসভা ভোটে লড়তে না চাওয়ারই বার্তা দিলেন সাংসদ? যদিও এই বিষয়ে সাংসদ দেব এর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  মমতার নির্দেশ আসার আগে দেব বলেছিলেন, ‘যদি সম্ভব হয়, ২০২৪- এর লোকসভা ভোটে আর দাঁড়াতে চাই না।’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলের একাংশের বক্তব্য ছিল, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের সঙ্গে ‘বিবাদে’র জেরেই রাজনীতি সম্পর্কে ‘বীতশ্রদ্ধ’ হয়ে পড়েছেন দেব। যদিও সাংসদ সে কথা কখনওই নিজের মুখে স্বীকার করেননি। দলেরও কেউ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে, ইস্তফাপত্র দেওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোন্দল রয়েছে কি না তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ!

    তিনটি সরকারি কমিটি থেকে দেবের ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি  বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। কারণ এতগুলো পদ নিয়ে বসে আছেন, চালাতে পারছেন না। এটা একটা কারণ হতে পারে। অন্য একটি কারণ, দীর্ঘদিন পর হয়তো বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূল মানে চোর, আর চোর মানেই তৃণমূল। সেই অনুভূতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন। হতে পারে, লোকসভা নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বর্তমানে তিনি তৃণমূলকে হয়তো ঘৃণা করতে শুরু করেছেন। আর শেষ সময় বুঝতে পারছেন, বিজেপি আসছে, কৈফিয়ত দিতে হবে। বিজেপির ভয়ে পদত্যাগ করলেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার ধরনায় কেউ যাচ্ছেন না!’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার ধরনায় কেউ যাচ্ছেন না!’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা মঞ্চে কেউ যাচ্ছেন না। ওখানে নাটক চলছে। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় দলীয় সভায় এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । একইসঙ্গে শেখ শাহজাহান ইস্যুতে মুখ খুললেন। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যপালকে এইআইআর করার তিনি আবেদন জানালেন। সবমিলিয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু।

    ধরনা মঞ্চে কেউ যাচ্ছে না! (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘সকালবেলা তিনি পুলিশকে নিয়ে মর্নিংওয়াক করছেন। ওটা পুলিশের ধরনা। বাংলার মানুষের কাছে এসব নাটক করে আরও কোনও লাভ হবে না।  আগেও এসব অনেক হয়েছে। এখন যেটা করা হচ্ছে, সেটা মানুষকে দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। শুভেন্দু দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক স্তরে কর্মীদের পরামর্শ দিতে গিয়েছিলেন। সাংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর রাজ্যপালের উচিত এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া। আগামী ৬ তারিখ বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্টের ওপর আলোচনার দাবি জানাব। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছি। রাজ্য সরকার তাতে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    শেখ শাহজাহানকে ফের নোটিশ দেওয়ার প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মমতার পুলিশ তার আদরের’ দুলালকে আড়াল করছে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যেভাবে আড়াল করা হচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গের কাছে লজ্জাজনক। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদ সদস্য পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দার ফোনে বলছেন, ২০০ লোক নিয়ে গ্রাম ঘিরতে হবে। রামন্দির নিয়ে যারা উৎসাহ প্রকাশ করছেন, তাদের মারধর করতে হবে। আসলে লোকসভা নির্বাচন যত সামনে আসছে, তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে যাচ্ছে। তাই, তৃণমূল নেতাদের মস্তিষ্ক থেকে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক পন্থা বেরিয়ে আসছে। কীভাবে বিজেপি কর্মীদের শায়েস্তা করতে হবে, তার ফন্দি করছেন। কিন্তু, তৃণমূল জানে না, বিজেপি কর্মীরা মজবুত সংগঠনের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিছু করতে আসলে চিন্তাভাবনা করে আসতে হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে আরও একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়! উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রাজ্যের শান্তিনিকেতনের রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত একটি রাজ্যে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা যেতে পারে। তাই পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে উদ্যোগী হলেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সেই দাবি সনদ তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার ফলে অনেক পড়ুয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হচ্ছে পাশের রাজ্য আসামে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি উঠেছে বালুরঘাট সহ জেলাজুড়ে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ-সুবিধা বাড়লে বালুরঘাট সহ জেলার যুবক যুবতীদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের বাসিন্দা সৌভিক সরকার বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। তবে, তার পরিকাঠামো এখনও সেভাবে গড়ে ওঠেনি। গোটা উত্তরবঙ্গে কোনও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সাংসদের উদ্যোগে যদি উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে আমার মতো পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। এবিষয়ে বালুরঘাটের অন্য এক বাসিন্দা শিল্পী সাহা বলেন, আমাদের পড়াশুনা অনেক আগে শেষ হয়েছে। এখন আমাদের ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়, সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে তাঁরা। পড়াশুনা থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। যা পড়ুয়াদের শিক্ষা অর্জনে বিশেষ সুবিধা দেবে।

    কী বললেন সুকান্ত?(Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কেন্দ্রের একটি নীতি রয়েছে প্রতি রাজ্যে একটি করে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেহেতু উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়া জেলা, তাই আমরা আগেও দাবি জানিয়েছি এবং আগামী দিনে এমন দাবি জানাবো। বিশেষ মর্যাদা দিয়ে উত্তরবঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও উত্তরবঙ্গে সেভাবে উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। তাই আগামী দিনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও বিষয়টি আনব, যাতে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Birbhum: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলে ভাঙন! শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল তৃণমূল। বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। লোকসভা ভোটের আগে কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে (Birbhum)

    এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত কেষ্ট গড় বীরভূম (Birbhum)। কাজল শেখ দায়িত্ব নেওয়ার পর অনুব্রত অনুগামীদের কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী দলীয় কার্যালয় থেকে অনুব্রতের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। দলের অন্দরে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। দলীয় সুপ্রিমোর নির্দেশে কেষ্টকে ফের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাজল শেখকে জেলার কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের মধ্যে এদিন দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দলে কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলাম। এলাকায় উন্নয়ন করবে বিজেপি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, এই যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা হলেও আমাদের সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হল। এখানে তৃণমূলের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আর এখন তো শাসক দলে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত। টাকা ছাড়া নেতারা কোনও কাজ করে না। দলীয় কর্মীরা সমস্যায় পড়লে পাশে থাকে না। এমনকী মিথ্যা মামলায় পুলিশ ফাঁসালেও দল কোনও প্রতিবাদ করে না। তৃণমূল থেকে এই কর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর বিধায়ক হিসেবে এলাকায় যে কাজ করেছি তাতে এলাকার মানুষ আমাদের দলের ওপর আস্থা রেখেছে। আগামীদিনে আরও বহু কর্মী আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে রয়েছে।  

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী লোকসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পর তৃণমূল সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে তিনি মুখ খুললেন। শুক্রবার চুঁচুড়ায় এসে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি বাঙালি হিন্দুর ১৯৪৫ সাল থেকে লড়াই সফল হতে চলেছে। কারণ, যে বাঙালি হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ থেকে উৎপীড়িত হয়ে এসেছেন, এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের সহনাগরিকত্ব দেওয়া নরেন্দ্র মোদীর কমিটমেন্ট। অমিত শাহর তৈরি করা আইন কার্যকর হতে চলেছে। আর তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে খবর আছে, সিএএ পোর্টাল চালু হতে চলেছে। আইন তো আগেই হয়ে গিয়েছে। রুল ফ্রেম হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তা কার্যকরের দিকে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিনি ভাবছেন, আমার সিটগুলো সব গেল। কারণ, এখানে ৩৫টি আসন বিজেপি জেতা মানে, মমতা ধপ! তার পরের দিন বিজেপি সরকার।” সিএএ আইন যে এই মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকরী করতে চলেছে তা বিরোধী দলনেতা এদিন আবারও তা স্পষ্ট করে দেন। আর সিএএ কার্যকরী হলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে জোর ধাক্কা দেওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিএএ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই লোকসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে ফের বাংলার রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৮ জানুয়ারি কাকদ্বীপের এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “গ্যারান্টি দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে।” ফলে, এই বিষয নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। আর এদিন বিরোধী দলনেতা ফের সিএএ ইস্যুতে জোর সওয়াল করেছেন। ফলে, বাংলায় সিএএ কার্যকরী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। দিনে দুপুরে নদীগর্ভ থেকে তোলা হচ্ছে বালি। রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর নদী থেকে দেদার বালি উত্তোলনের অভিযোগ। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনে দুপুরে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগর নদী থেকে চলছে অবৈধ বালি পাচার। দিনের পর দিন নদীর বক্ষ থেকে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নাগর নদী থেকে ট্রাক্টরে চলছে দেদার বালি পাচার। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    নদী ভাঙনের আশঙ্কা (Raiganj)

    বালি পাচারের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর  নদী থেকে  প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছিল। মাঝে পুলিশ প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসায় সাময়িক গা ঢাকা দিয়েছিল বালি মাফিয়ারা। কিন্তু, ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের  অভিযোগ, ভোর রাত থেকেই নৌকা ও  ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। ট্রাক্টরে বালি লোড করে একে একে পাচার করা হচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়ে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। এরফলে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা। আর সেই জন্যই দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। বালি পাচারের কিছু অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share