Tag: bjp

bjp

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় ও হিমালয় পাদদেশের পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শিলিগুড়ির বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা। দীর্ঘ ৪০ বছরের গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছেন। এই আনন্দের দিনেও পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের শুভেচ্ছা আসার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে। আনন্দের এই আবহেও  তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে ছেলেখেলা করা ঠিক হচ্ছে না। সম্প্রতি সিকিমের যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, পাহাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। এর চরিত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া মারাত্মক ভুল এবং বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    কীভাবে উত্তোরণ? (Padma Shri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কাকা কে সামনে রেখে একলব্য শর্মার পথ চলা শুরু। কাকা টিকারাম শর্মা ছিলেন খ্যাতনামা পরিবেশবিদ। পরিবেশ রক্ষায় তিনি গবেষণা করেছেন। কাজেই ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে থেকে দেখেছেন। এই আবহে কাকাকে আদর্শ করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন একলব্য শর্মা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে, তাঁর জন্ম কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ের সেন্ট আলফানসো স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে পিএইচডি করেন। তারপর নেপালের কাঠমান্ডুতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তারপর সিকিমের জিবি পন্থ ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের মুখ্য গবেষক পদে যোগ দেন। একলব্য শর্মা ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাকাদেমির একজন অন্যতম গবেষক। পরে তিনি দিল্লির টেরি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরাখন্ডের জিপি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।

     বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের অভিনন্দন

    একলব্য শর্মাকে (Padma Shri) তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই কৃতি বিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা খুব খুশি। কারণ, উত্তরের এক বিজ্ঞানী তথা পরিবেশবিদ পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। হিমালয় তথা হিন্দুকুশ পর্বতের উপর তাঁর গবেষণা এক অনন্য নজির। আগামীতে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকবে।

    কী বললেন একলব্য শর্মা?

    হিমালয়ের ওপর সামগ্রিক আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁর গবেষণা। কোথাও প্রাকৃতিক কারণে হিমালয়ের ক্ষতি। কোথাও বা মানুষের দ্বারা ভূমি, বন, জীবজন্তুর ওপর আঘাত তিনি মেনে নিয়ে পারেননি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর হিমালয়কে রক্ষা করার জন্যই তিনি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সবাই “হিমালয়ের পাহারাদার” বলে ডাকেন। একলব্য শর্মা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে আমার লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা। পদ্মশ্রী সম্মান পাব ভেবে ভালো লাগছে। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার হরিপালের সভা থেকে তিনি মমতার প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন। এমনকী অভিষেককে তাঁর খাসতালুকে তৃতীয় করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ! (Suvendu Adhikari)

    শনিবার হরিপালের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে ১৮ থেকে কুড়ি হাজার বিজেপি কর্মীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে যারা সক্রিয় কর্মী তাঁদের নাম বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে গরমিল করা হয়েছে।” তিনি  হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা এটা ছাড়ব না। এসব চলবে না। ফলতার বিডিওকে বলে রাখলাম, দরজা পরিষ্কার করে রাখুন আপনার কাছে যাচ্ছি, যে কোনও দিন। ভাইপো কে ওখানে হারাবো। বিজেপি জিতবে, ভাইপো থার্ড হবে।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভোটার তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সারা রাজ্যের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রেও ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সেই ভোটার তালিকায় মমতার প্রশাসন কতটা গরমিল করেছে তা দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কলকাতায় সংহতি মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতা বলেছিলেন, “বিজেপি রাম নিয়ে এত উচ্ছ্বাস দেখালেও সীতা দেবীকে নিয়ে কোনও কথা বলে না। বিজেপি নারী বিরোধী বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।” সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এসব চপবাজি কেউ খাবে না। পশ্চিমবঙ্গের সীতাদের খোঁজ নিতে বলুন, হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ, রামপুরহাটের সীতারা কি অপরাধ করেছে? শিখল তুলে পুড়িয়ে মেরেছেন লজ্জা লাগেনা?” প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারে এবারেও বড় অঘটন না ঘটলে প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিজেপিও প্রভাবশালী কাউকে দাঁড় করাবেন বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূলের যুবরাজের আসনেই তাঁকে হারানার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ করা তৃণমূল নেতাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মালদার (Malda) মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী তো কখনও বিজেপিকে লাঠিপেটা করার, কখনও বিজেপি সাংসদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এবার বিজেপিকে নরখাদক বলে সম্বোধন করে, দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি। হরিশ্চন্দ্রপুরে এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার  প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় আবদুর রহিম বক্সী হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন, তখন  বিজেপিরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে কীভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। ভারতবর্ষের ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। বিজেপি বড় নরখাদক। কিছু দালাল পুষেছে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে যারা টিভিতে মুখ দেখায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে। সেই নরখাদকের দল জেনে রাখ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তোমাদের ওই দাঁত-হাত-পা ভেঙে চুরমার করে দেবে। আগামী দিনে প্রত্যেকটা নরখাদকের দাঁত ভেঙে দেব আমরা।” মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ ও বিজেপি নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন। গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে জুতার মালা পরানোর নিদান দেন তিনি। বিজেপি সাংসদ এলাকায় এলে ব্যারিকেড তৈরির পরামর্শও দিলেন তিনি। তিনি বললেন, “গ্রামে ঢুকতে বারণ করুন এবং গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।”

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “মানুষ ওদেরকেই ব্যারিকেড করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির নিজের বিধানসভা এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। কালকে মালতিপুর হয়ে চাঁচল গেলাম। ওঁর বিধানসভা এলাকা। কোথায় লোক আটকাচ্ছে?…আমাকে আটকাচ্ছে না, ওঁকে আটকাবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ মন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন, এবার লড়াইয়ে নামতে হবে’, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘পুলিশ মন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন, এবার লড়াইয়ে নামতে হবে’, হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোড এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গত ২৪ তারিখ রাতে হাওড়া টিকিয়াপাড়া সংলগ্ন বেলিলিয়াস রোডে একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। একটি মিছিল থেকে এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, কিছু ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘটনায় বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন বলে জানা যায়। কারও মাথা ফাটে, হাত ভাঙে। তারপর থেকেই এলাকায় চলছে ১৪৪ ধারা। ওইদিনের ঘটনায় আহতদের দেখতে শনিবার হাওড়ায় যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। কিন্তু, হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তকে। দু’টি স্তরের ব্যারিকেড টেনে পথ আটকায় পুলিশ। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুকান্ত। পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে সে কারণেই কোনও জমায়েত করা যাবে না।

    পুলিশ মন্ত্রী তো ঘুমোচ্ছেন! লড়াইয়ে নামার ডাক দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত বলেন, “পুলিশ ১৪৪ ধারা তখনই লাগায় যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তার মানে এই পুলিশ প্রশাসন স্বীকার করে নিচ্ছে যে ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেই। সে কারণেই ১৪৪ ধারা। এটা নিজেরাই স্বীকার করছে। এই পুলিশ থেকে কী লাভ? পুলিশ সরে যাক না। দেখি তারপর কত বোমা-গুলি আছে। সেন্ট্রাল হাওড়াকে পাকিস্তান বানাতে দেব না।”ঘটনার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কেনও কেউ গ্রেফতার হয়নি সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ মন্ত্রী তো ঘুমোচ্ছেন। এবার আমাদের লড়াইয়ে নামতে হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: স্কুলের স্পোর্টসে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তুলছে তৃণমূল, অভিযোগে তোলপাড়

    Jalpaiguri: স্কুলের স্পোর্টসে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তুলছে তৃণমূল, অভিযোগে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেলা স্কুল স্পোর্টসে শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। মূল অভিযোগের তির তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের দিকেই। উল্লেখ্য কিছু দিন আগেও রায়গঞ্জের এক স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল জেলায়।

    কত টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ (Jalpaiguri)?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদি, মাদ্রাসা এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির ৪০ তম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আগামী ২৭ ও ২৮ শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ধূপগুড়ি ৩ নং, ধূপগুড়ি ৪ নং এবং ধূপগুড়ি পশ্চিম মণ্ডলের ব্যবস্থাপনায় ধূপগুড়ি পৌর ফুটবল ময়দানে এটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। প্রতিবারের মতো এবারেও প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যাবতীয় খরচ বহন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে যে এই জাতীয় কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে কোনও প্রকার চাঁদা আদায় করা যাবে না। কিন্তু এবার সেই নির্দেশিকা অমান্য করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে জোর করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধেই। প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা এবং অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। নজিরবিহীন এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষকমহলে। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দলের শিক্ষক সংগঠনের একাংশ সদস্য।

    বিজেপ প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য

    অপর দিকে বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সঙ্ঘের জেলা (Jalpaiguri) সম্পাদক জয়ন্ত কর বলেন, “সরকারি খেলা বরাবর সরকারি অর্থেই হয়। কিন্তু এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুল বদল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না। এরা সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছে। ফলে সরকারি খেলা আর সরকারি থাকছে না। কার্যত তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। তাই আমরা এই জাতীয় ঘটনার প্রতিবাদ লিখিত আকারে জানিয়েছি। আমরা দাবি করছি, সমস্ত শিক্ষক সংগঠনকে যথাযথ মর্যাদা প্রদান করতে হবে। ক্রীড়া পরিচালনার পর সমস্ত স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনকে ডেকে স্বচ্ছতার সাথে আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করতে হবে।

    বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য

    বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র জেলা (Jalpaiguri) সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেন, “এবছর জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক স্তরের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা, প্যারাটিচার এবং এসএসকের সহায়ক-সহায়িকাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অদ্ভূত কায়দায় নিমন্ত্রণপত্রে কাউন্টার পার্ট করা হয়েছে। তার একটি অংশে হাতে লিখে অর্থ নেওয়া হচ্ছে এবং অন্য পার্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করে প্রতিবাদপত্র সংসদ দফতরে জমা দিয়েছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা (Jalpaiguri) সভাপতি তথা স্পোর্টস কমিটির কো-অর্ডিনেটর স্বপন বসাক বলেন, “স্পোর্টস সংক্রান্ত মিটিংগুলিতে চাঁদা আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আর তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে চাঁদা আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। চলতি বছরের স্পোর্টসের জন্য ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে শিক্ষা দফতর। সুতরাং চাঁদা আদায়ের প্রশ্নই উঠছে না। যদি কেউ চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই তার তদন্ত হবে।”

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য

    জেলা (Jalpaiguri) প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্য মোহন রায় বলেন, “সরকারি নির্দেশ রয়েছে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না। চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এই জাতীয় অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে না করে আমার কাছে করুক। তবে আমি এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাইনি।” ডিআই (প্রাইমারি) শ্যামলচন্দ্র রায় টেলিফোনে বলেন, “চাঁদা তোলার নির্দেশ আমরা দিইনি। আর এই জাতীয় অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে, তবে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: লোকসভা পিছু ৬ হাজার রামভক্তকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাবে সঙ্ঘ পরিবার

    Ram Mandir: লোকসভা পিছু ৬ হাজার রামভক্তকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাবে সঙ্ঘ পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের রামভক্তদের অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এবং মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার রামভক্তকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    যে কেউ রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারেন (Ram Mandir)  

    লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত এই উন্মাদনা জিইয়ে রাখতে তৎপর হয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে এলাকার সাধারণ কোনও মানুষ অযোধ্যায় যেতে চান কি না, তার খোঁজ নিতে হবে। রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনের জন্য অযোধ্যার যোগাযোগ ব্যবস্থা কী কী থাকছে, কোন কোন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে, সে সব তাঁদের জানাতে হবে। ইচ্ছুকদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় বলেন, অযোধ্যায় যেতে আগ্রহী অনেকেই ট্রাস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে। এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে যে কেউ রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারেন। তাঁকে বিজেপি করতে হবে, এমন কোনও মানে নেই।

    খরচ কত পড়বে?

    সামান্য অনুদানের মাধ্যমে এই সফরের শরিক হতে পারেন ইচ্ছুক রামভক্তরা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকেই অযোধ্যা-সফর শুরু হবে। চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়কালে দক্ষিণবঙ্গ থেকে দিনে একটি করে ট্রেন অযোধ্যা রওনা দেবে। প্রচারে জানানো হচ্ছে, যাত্রা শুরুর কমপক্ষে ১২ দিন আগে অবশ্যই অনুদান জমা করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে আধার কার্ডের প্রতিলিপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এ দিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। এই সফরের জন্য জেলায় একাধিক যোগাযোগ প্রমুখও নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে গেলে খরচ পড়বে ১,৬০০ টাকা। বর্ধমান থেকে ১,৪০০ টাকা। আসানসোল থেকে ১,২০০ টাকা পড়বে। এর মধ্যেই ট্রেনে যাতায়াত, রাত্রিবাস, আহারাদি-সব হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: শুভেন্দুর গড়ে কর্মীদের বার্তা দিতে আসছেন অমিত শাহ, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Amit Shah: শুভেন্দুর গড়ে কর্মীদের বার্তা দিতে আসছেন অমিত শাহ, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিভক্ত মেদিনীপুরে বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সভা করতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মেচেদায় কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ফুটবল ময়দানে আগামী ২৯ জানুয়ারি ওই সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। দলের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে।

    প্রায় ১০ হাজার বুথস্তরের কর্মীকে সভায় আসার নির্দেশ (Amit Shah)

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং রাজ্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দও সম্প্রতি মেচেদায় তমলুক, কাঁথি, মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। এবার সেখানে শাহের (Amit Shah) সাংগঠনিক সভা হতে চলেছে। এই সভার প্রস্তুতিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক হবে। প্রাথমিক ভাবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক, কাঁথি, মেদিনীপুর, ঘাটাল ও ঝাড়গ্রামের মোট পাঁচটি সাংগঠনিক জেলা মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার বুথস্তরের কর্মী শাহের সভায় হাজির থাকবেন। প্রতিটি বুথ কমিটিতে গড়ে ১১ জন করে রয়েছেন। তবে প্রতিটি বুথ থেকে ৪-৫ জন করে কর্মীকে সভায় আসতে বলা হবে। আর তাতে কর্মিসভা আদতে জনসভার আকার নেবে। সেই মতো দলের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের প্রস্তুতিও প্রয়োজন। তাই বিজেপির তরফে দলীয় ভাবে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এমনিতেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও শাহের এই সফর থেকেই বাংলায় ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। এমনিতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক সভায় পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি আসন তমলুক ও কাঁথি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়ার কথা বলেছেন শুভেন্দু। গত পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে ভালো ফল করেছে বিজেপি। বিজেপি-র শক্ত জমিতেই শাহ সভা করে বুথস্তরের কর্মীদের কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

    প্রস্তুতি নিয়ে কী বললেন জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র জেলা নেতা বামদেব গুছাইত বলেন, অবিভক্ত মেদিনীপুরের পাঁচটি সাংগঠনিক জেলার বুথের পদাধিকারীদের নিয়ে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বিষয়ে কর্মীদের বার্তা দিতেই এই কর্মিসভা হবে। সভাস্থলের জায়গা ব্যবহারের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বরা সভাস্থলের মাঠ পরিদর্শন করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: চলতি মাসে ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    Amit Shah: চলতি মাসে ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দামামা প্রায় বেজে গিয়েছে। আজ ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব বাংলাকে যে পাখির চোখ করেছেন, তা বলাই যায়। জানা গিয়েছে, সব ঠিকঠাক চললে জানুয়ারি মাসের ২৮-২৯ তারিখে দু’দিনের সফরে কলকাতায় আসবেন তিনি। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, মূলত দু’টি কর্মসূচি থাকবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে।

    অমিত শাহের কর্মসূচি

    ২৮ জানুয়ারি কলকাতায় রাজ্য বিজেপি নেতাদের (Amit Shah) নিয়ে একটি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। নভেম্বর মাসের পরে ফের বাংলায় পা পড়তে চলেছে শাহের। লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ভালো ফলের আশা করছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির ইস্যুতে এমনিতেই বেশ ব্যাকফুটে শাসক দল। তাই এই শাহী সফর বলে জানা গিয়েছে। পরদিন ২৯ জানুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদাতে কর্মিসভায় অংশগ্রহণ করবেন শাহ। কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে বিজেপি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। মেচেদার কর্মসূচি সেরে ওই রাতেই বিশেষ বিমানে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে অমিত শাহের। লোকসভা ভোটের আগে এই শাহী সফর বিজেপি কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ৩৫ আসনের লক্ষ্য

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সিউড়ির জনসভা থেকেই রাজ্য বিজেপিকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন শাহ (Amit Shah)। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতারাও যে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে বর্তমানে বিজেপির পক্ষে বিপুল হাওয়া বইছে। এই আবহে লোকসভা ভোটে খুবই ভালো ফল গেরুয়া শিবিরের হবে বলে আশাবাদী রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘শাহজাহানের সব কিছু রয়েছে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘শাহজাহানের সব কিছু রয়েছে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী গত ১৩ বছরে ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করেছেন। বুধবার বিকালে মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক বিজেপি জেলার পক্ষ থেকে লালবাগে নাকুড়তলাতে বিধানসভা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যোগ দেন। রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন। একইসঙ্গে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শেখ শাহজাহানের টাকা, নথি সহ সব কিছু রয়েছে সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে। সেখানে তল্লাশি চালালেই সব পেয়ে যাবে ইডি।

    ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, গত ১৩ বছরে তৃণমূল সরকার আশা কর্মী আর চুক্তিভিক্তিক কিছু চাকরি ছাড়া আর কিছু করেনি। নতুন করে চাকরি দেওয়ার কোনও সংস্থান করেনি এই সরকার। আমি নিজে ক্যাবিনেটে ছিলাম। গত ১৩ বছরে এই সরকার ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করেছে। লক্ষ লক্ষ পদে নিয়োগ নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই শূন্য পদে নিয়োগ হবে। আর অবলুপ্ত হওয়া পদ ফিরিয়ে আনা হবে। মেধার ভিত্তিতে প্রকৃত যোগ্যদের চাকরি দেওয়া হবে।

    শেখ শাহজাহান ইস্যুতে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, মমতার নির্দেশে বুধবার সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়েছে। শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ১৯দিন পড়ে গেলে আর কিছুই পাওয়া যাবে না। শাহজাহানের বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে তোলাবাজ তৃণমূল নেতা শাসসুল সর্দারের বাড়িতে গেলে সব কিছু পাওয়া যাবে। শাহজাহানের বাড়ি থেকে সব টাকা শামসুলের বাড়িতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওর বাড়িতে এখন গেলে ২৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।

    ডবল ই়ঞ্জিন সরকারের পক্ষে ফের সওয়াল করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    দলীয় সভা মঞ্চ থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এক সুরে বেঁধে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অধীরবাবু এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিশাল চিৎকার করেন। দিল্লি গিয়ে ভাইপোর সঙ্গে ডিনার করেন। প্রধানমন্ত্রীতে নর্দমার সঙ্গে তিনি তুলনা করেছিলেন। আরে অধীর চৌধুরীকে জিতিয়েছিলেন হিন্দুরা। আর এবার আমি হিন্দু ভাইদের বলব, এই ভুলটা আর মুর্শিদাবাদে করবেন না। আমরা মানুষের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছি কেন্দ্রে যে দলের সরকার আছে, সেই দল রাজ্যে না হলে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরবেন না। বেকার সমস্যার সমাধান হবে না। পশ্চিমবঙ্গকে চোর মুক্ত করতে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেও একই সরকার গঠন করতে হবে। এটা একমাত্র সম্ভব ডবল ইঞ্জিনের সুফল। উত্তর প্রদেশ থেকে আসাম সর্বত্র পাবেন যেটা পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না। পাঁচ কোটি লোক দূরারোগ্য ব্যাধিতে চিকিৎসা সুযোগ পাচ্ছেন, কেন পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতের সুযোগ নেই একমাত্র রাজ্যে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share