Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    Sukanta Majumdar: ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’-এ সুকান্ত, গ্রামের বৃদ্ধদের পা ধুয়ে দিলেন সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আঙ্গারিবন গ্রামে গ্রাম সম্পর্ক অভিযান করা হয়। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি নিজে হাতে গ্রামের বেশ কয়েকজন বৃদ্ধের পা ধুয়ে দেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমি কুশমন্ডির আঙ্গারিবন গ্রামে এসেছি গ্রাম সম্পর্ক অভিযানে। এখানে এসে মানুষের ভালো সাড়া পেয়েছি। এদিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির হানা নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত আমি বলি এর আগে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি যখন তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, তখন ইডি অফিসারদের ওপর তৃণমূলের হার্মাদরা হামলা করে। কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের মাথায় অশোকস্তম্ভ থাকে। অশোকস্তম্ভের সিংহকে আঘাত করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। সেই সিংহ এখন জেগে উঠেছে। সেই চুনোপুটি পোকামাকড়রা গর্তে লুকিয়ে রয়েছে। শাহজাহান এখন গর্তে গর্তে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। চিন্তা নেই, এই সিংহ জাগলে অনেক ইঁদুর পোকামাকড়কে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। শাহজাহানকে বেরিয়ে আসতে হবে।

    অনুব্রত ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি

    প্রসন্নকুমার রায়কে ইডি-র তলব নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রসন্ন রায়ের নাম এর আগেও উঠে এসেছে। তিনি পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি। তদন্ত হওয়া উচিত। তাঁর কী অপরাধ আছেে, তা সব তদন্ত করে দেখে যদি অপরাধী হয় তাকে কান ধরে জেলে ঢোকানো উচিত। কালীঘাটে মমতার বৈঠকের পর সাংসদ শতাব্দী রায় সাংগঠনিক বৈঠকে আলোচনার বিষয়টি মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন। অনুব্রত মণ্ডলকে সম্মান দেওয়ার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে জেলায় ফিরলে তাঁকে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তৃণমূল সাংসদ জানান। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন অনুব্রত মণ্ডল যদি জেলের ভেতরে মুখ খুলে দেন, তাহলেই তার সাধের ভাইপো আর জেলের বাইরে থাকবে না। তাই, কেষ্টকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আসলে ভাইপোকে বাঁচাতে অনুব্রতকে সম্মান দেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন মমতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি, অগ্নিমিত্রার হাত ধরে হল যোগদান

    Asansol: সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি, অগ্নিমিত্রার হাত ধরে হল যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে আসানসোলে (Asansol) সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যোগদান কর্মসূচিতে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শত বাধার পরও বিজেপির যোগদান কর্মসূচিতে শতাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যোগদান করেন।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন? (Asansol)

    মঙ্গলবার আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের ২৮ নং ওয়ার্ড জাহাঙ্গীর মহল্লায় বিজেপির পক্ষ থেকে যোগদানের অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, আসানসোল রেল পাড়ে নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কয়েকশো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের যোগদান করার কথা ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার রাত থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে যোগদান করলে তাদের সবরকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে এবং তাদের পরিবারের ওপর অত্যাচার করা হবে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু, এখানকার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা বঞ্চিত হওয়ার কারণে তারা বিজেপিতে যোগদান করেছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে  সভা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শত প্রতিকুলতার মধ্যে সভা করে শতাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেছে। যা দেখে শাসক দলের নেতাকর্মীরা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    আরও বহু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি যোগ দেবেন!

    আসলাম নামে এক যোগদানকারী বলেন, সোমবার রাত থেকে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপির অনুষ্ঠান যাতে না করা হয় ডেকোরেটরদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয়ে কেউ মঞ্চ তৈরি করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু, আমরা পথসভার মাধ্যমেই যোগদান করেছি। শাসক দলের বাধা না থাকলে এই এলাকার বহু মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে, বাধা দেওয়া হলেও আগামীদিনে আরও বহু কর্মী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রভু রামের জন্মস্থান দখল করতে ১ দিনে ১ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে মোঘল সম্রাট বাবর। রামাতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”এমন ভাবেই কটাক্ষ করে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দী গ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে যোগদান করে রাজ্যের তৃণমূলনেত্রীকে তোপ দাগলেন।

    ঠিক কী বলেলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা দেখতে দেখতে চেয়েছিলেন এই রাজ্যের সনাতন ধর্মের ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে হিন্দুরা নিজের নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে সাক্ষী হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। আর তাই কেন্দ্রের মোদি সরকারের তরফ থেকে বেলা হয় ২টো ৩০ মিনিটের পর যেন অফিস বা দফতরে যান। উল্লেখ্য এই দিন তো ইতিহাসে বার বার আসবে না। ৩ লক্ষ রাম ভক্ত হিন্দু প্রাণ দিয়েছেন রাম মন্দিরের আন্দোলনে। একদিনে মুসলমান শাসক বাবর ১ লক্ষ হিন্দুকে কেটেছেন, রামের জন্মস্থান দখল করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামাতঙ্করোগে ভুগছেন। তাই তিনি ছুটি না দিয়ে বাংলার হিন্দুদের মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকতে দেননি। সবটাই চক্রান্ত।”

    নেতাজি সম্পর্কে কী বললেন?

    মমতা বারবার অভিযোগ করেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে কেন্দ্র সরকার ভুলে গিয়েছে। আর এই কথাকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নেতাজিকে সব থেকে বেশি সম্মান যদি কেউ করে থাকেন তাহলে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লির প্রাণ কেন্দ্র ইন্ডিয়া গেটের কাছে কর্তব্য পথে বসানো হয়েছে নেতাজির মূর্তি। একই ভাবে কংগ্রেস সরকার যা করেনি বিজেপি সরকার নেতাজির সম্পর্কে ভারত সরকারের গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে।”

    সংহতি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে পালটা মমতার সংহতি যাত্রার পার্কসার্কাসের ভাষণকে সমালোচনা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গতকাল মমতা হিন্দুদের কাফের বলেছেন, মুসলমানরা সহ্য করছেন কীভাবে? বলছেন আল্লহর কসম! আল্লাহকে রাস্তায় নামিয়ে এনেছেন। উনি সব পারেন। নন্দী গ্রামের মানুষ চিনেছে। কলকাতার মানুষ এবার ভালো করে চিনুক।” তিনি মমতাকে চোর সম্বোধন করে আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে চোর বানিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। এখন শুধু জেলে যাওয়া টাই বাকি। চোর মমতাকে আমরা জেলে দেখতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্ধ্যা আরতির পর আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নামলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: সন্ধ্যা আরতির পর আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নামলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সাত সকালে আত্রেয়ীর ঘাটে ঝাডু নিয়ে হাজির বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর ধারে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতির অনুষ্ঠান করা হয়। বালুরঘাট শহরের বিজেপি কর্মী-সমর্থক সহ সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখ পড়ার মতো। এরকম অনুষ্ঠান কোনওদিন দেখেননি বালুরঘাটবাসী। সোমবার সন্ধ্যায় আত্রেয়ী নদীর পাড় আলোয় ঝলমল করে। হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নদীর পাড়ে এসে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাম নাম স্লোগান দেন। সোমবার অনুষ্ঠান শেষ হলেও আত্রেয়ী নদীর ধার পরিষ্কার করতে ভোলেননি বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই কারণে এদিন সাত সকালে তিনি ঝাড়ু নিয়ে হাজির হন আত্রেয়ী নদীর ধারে। নিজে হাতেই নদীর ঘাট পরিষ্কার করেন।

    আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নামেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    পাশাপাশি নেতাজির জন্মদিন পালন করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নেতাজির ছবিতে মাল্যদান করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, সোমবার রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আমরা বালুরঘাট আত্রেয়ীর ঘাটে ১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়েছিলাম। সেই জন্য আমি ও আমার দলীয় নেতৃত্বরা নদীর ঘাটে এসে পরিষ্কার করি। প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারতের কথা বলেন। আমরা আত্রেয়ী নদীর ধারে স্বচ্ছতা অভিযানে নেমেছি। স্বচ্ছ ঘাট করছি আমরা। এছাড়া এদিন বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নেতাজির জন্মদিবস পালন করা হয়।

    রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা বিজেপির লক্ষ্য

    রামকে হাতিয়ার করে ভোটে জেতা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রাম বিজেপির হাতিয়ার না, রাম হচ্ছে বিজেপির আদর্শ, রাম হচ্ছে বিজেপির চালনা শক্তি। রামকে হাতিয়ার করার কথা তারা ভাবে, যারা রামের বিরোধী। আমরা রামকে হাতিয়ার করতে চাই না। রাম আমাদের ভেতরে আছেন, অন্তরে আছেন। সেই রামকে নিয়ে এগোতে চাই। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে বিজেপির লক্ষ্য। রাম রাজ্যে কেউ বঞ্চিত হবেন না। পাশাপাশি ডিএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ডিএ নিয়ে কর্মচারীরা যারা আন্দোলনে আছে, তাদের পাশে আমরা আছি। আমরা তাদেরকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বিজেপি নেতাকে ‘রাজনৈতিক সমাধি’ দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা

    North 24 Parganas: বিজেপি নেতাকে ‘রাজনৈতিক সমাধি’ দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সভা থেকে বিজেপি নেতাকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয় সংহতি মিছিল করে তৃণমূল। পরে সভা হয়। সেই সভা থেকে তৃণমূলের দুই নেতা প্রকাশ্যে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলকে হুঁশিয়ারি দেন।

    কী হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতারা? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয় দলীয় সভা থেকে যুব তৃণমূল নেতা পাপাই রাহার বিজেপি নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এপ্রিল মাসের পর পাপ্পুকে (দেবদাস) রাজনৈতিক সমাধি দিয়ে দেব। পাপ্পুকে আর দেখা যাবে না। পাশাপাশি একটি ফ্ল্যাটের ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, সেটি দিল্লিতে দেবদাসের ফ্ল্যাট। দাম পাঁচ কোটি। সেই টাকা দেবদাস কোথায় পেয়েছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন। যুব তৃণমূল নেতার অভিযোগ, বাম আমলে মতিগঞ্জে দেবদাসকে কেউ হিসসা না দিয়ে জমি-বাড়ি কিনতে পারতেন না। একই কর্মসূচিতে দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যত দূর হাত যায়, চুলকান। আগামী দিনে কোনও অঘটন ঘটলে তৃণমূল দায়ী থাকবে না। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা নারায়ণ ঘোষও দেবদাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একই অভিযোগ তোলেন।

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেই পরিষ্কার হয়ে যাবে আমি জমি-বাড়ি লুট করেছিলাম কি না! তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর সঙ্গে আমার যে ছবি দেখানো হয়েছে, সেখানে নারায়ণের ছবিও ছিল। সেটা বাদ দিয়েছে। ২০১৫ সালে আমরা একসঙ্গে অমরনাথ গিয়েছিলাম। এ দিন বনগাঁ শহরে একই জায়গা থেকে আলাদা সময়ে তৃণমূলের দু’টি আলাদা মিছিল বের হয়। একটির নেতৃত্ব দেন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ। অন্যটির পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। দেবদাসের অভিযোগ, দু’টি মিছিল থেকে পরিষ্কার, এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কোন পর্যায়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: শ্যামও রাখলেন, কুলও রাখলেন! তৃণমূল বিধায়কের এক হাতে দলের, অন্য হাতে রামের পতাকা

    TMC: শ্যামও রাখলেন, কুলও রাখলেন! তৃণমূল বিধায়কের এক হাতে দলের, অন্য হাতে রামের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই স্লোগান কে সামনে রেখে এক হাতে দলীয় পতাকা আর অপর হাতে ধর্মীয় (রামের) পতাকা নিয়ে রায়গঞ্জে সংহতি যাত্রা করলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিধায়কের এক হাতে দলীয় পতাকা, অন্যহাতে রামের পতাকা! (TMC)

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সংহতি যাত্রা করেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। পাশাপাশি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসও পালন করলেন তাঁরা। যদিও রায়গঞ্জের বিধায়কের  “এক হাতে দলীয় পতাকা তো অন্যহাতে ধর্মীয়(রামের) পতাকা” নিয়ে রায়গঞ্জে সংহতি যাত্রাকে মেনে নিতে পারছেন না জেলা তৃণমূল কংগ্রেসও। পাল্টা রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সংহতি যাত্রা করা হয় রায়গঞ্জের রাজপথে। অপরদিকে, বিধায়কের এই যাত্রাকে তাদের শুভ বোধোদয় বলে মন্তব্য করেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। বিধায়কের এই যাত্রাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক।

    শহর তৃণমূল এবং বিধায়কের উদ্যোগে পৃথক দুটি সংহতি মিছিল

    রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সারা রাজ্যের পাশাপাশি রায়গঞ্জেও তৃণমূলের নেতৃত্বে সংহতি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।  তবে, বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও শহর তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্ব দুটি পৃথক মিছিলের আয়োজন করে। তবে, বিধায়কের মিছিল রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ এলাকার ভিএনসি মোড় থেকে শুরু হয়ে রায়গঞ্জ এনএস রোডে অবস্থিত বিধায়কের দফতরে এসে শেষ হয়। এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের দলীয় পতাকার পাশাপাশি শ্রী রামচন্দ্রের ধর্মীয় গেরুয়া পতাকায় সুসজ্জিত এই মিছিলে গ্রাম ও শহরের প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যাকে ঘিরেই তৃণমূলের দলীয় স্তরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এদিন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অপর একটি সংহতি যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রায়গঞ্জ পুরসভার পুর প্রশাসক তথা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পুরপ্রশাসক তথা জেলা সহ-সভাপতি অরিন্দম সরকার, অন্যান্য পুর কো-অর্ডিনেটর সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা পা মেলান। এ মিছিল রায়গঞ্জের বিদ্রোহী মোড়ে অবস্থিত গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে এনএস রোডে অবস্থিত নেতাজি মূর্তির সামনে এসে শেষ হয়। তবে এ মিছিলে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনও পতাকা লক্ষ্য করা যায়নি। যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ জুড়ে চলছে উৎসবের মেজাজ। কোথাও অযোধ্যায় রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে রাম মন্দির,আবার কোথাও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে বালুরঘাট শহরের একাধিক জায়গায় রাম পুজোতে অংশগ্রহণ, কোথাও আবার খিচুড়ি রান্নাতে হাত দিতে দেখা গেল বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। সোমবার সকাল থেকেই প্রথমে যুবশ্রী মোড়, উত্তামশা এলাকা,পাওয়ার হাউস এলাকা সহ শহরের একাধিক জায়গায় তিনি রাম পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। শুধু বালুরঘাট শহর নয় দিনভর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রামপুজোতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পাশাপাশি বালুরঘাটে নতুন সাংসদ অফিসের উদ্বোধন করেন তিনি।

    দিনভর কর্মসূচিতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে গোটা দেশ জুড়ে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি ব্লকেও একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুর কালীতলা এলাকায় যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর তপন করদহ এলাকায় বনার্ঢ্য র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। এদিন সন্ধ্যায় বালুরঘাট শহরের সদর ঘাটে আত্রেয়ী নদীর তিরে এক লক্ষ  প্রদীপ জ্বালিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের রামমূর্তির প্রবেশ ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসব উদযাপন করা  হয়। হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় হয়েছে নদীর তিরে। সুকান্ত মজুমদার নদীর তিরে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। সন্ধ্যা আরতি করে রামের উদ্দেশ্যে তা নিবেদন করা হয়।

    আত্রেয়ী নদীতে লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যারতি সুকান্তর

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দিনভর জেলায় প্রচুর মানুষ রাম জন্মভূমির এই উৎসবকে ঘিরে আনন্দে মেতেছে। জাতি,ধর্ম রাজনৈতিক উর্দ্ধে উঠে মানুষ আজকের দিনটাকে উৎযাপন করছে। এদিন আমরা বালুরঘাট সদরঘাটে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতি করে দিনটিকে উদযাপন করলাম। শাসক দলের কর্মসূচি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,কর্মসূচি শুধু উস্কানিমূলক কর্মসূচি। এতে প্রকৃতি হিন্দু যারা তারা কেউ যোগ দেবে না। যারা হিন্দু সেজে থাকে, যারা জালি হিন্দু তারাই যোগদান করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “রাম সকলের”, বিজেপির শোভাযাত্রায় গেরুয়া পোশাকে লাল তিলক কেটে তৃণমূল নেতারাও!

    Malda: “রাম সকলের”, বিজেপির শোভাযাত্রায় গেরুয়া পোশাকে লাল তিলক কেটে তৃণমূল নেতারাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনে গেরুয়া পোশাক পরে বিজেপির সঙ্গে শোভাযাত্রায় পা মেলালেন তৃণমূল কর্মীরাও। এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে। সেখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে আরও তৃণমূল নেতা নিজে থেকেই যোগদান করেন শোভাযাত্রায়। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। রাজ্যে যেখানে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপিকে লক্ষ্য করে পাল্টা সংহতি যাত্রা করেছেন, সেখানে তাঁরই দলের সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীরা রাম মন্দির উদ্বোধনের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন! দলের মধ্যেই এখন তাই চরম অস্বস্তি।

    তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য

    প্রায় ৫০০ বছর অপেক্ষার পর আজ অযোধ্যায় শ্রীরামের জন্মস্থানেই নবনির্মিত গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ হিন্দু সমাজের কাছে উচ্ছ্বাসের দিন। তাই এদিন বিজেপির মিছিলে যোগদান করে মালদার (Malda) তৃণমূলের কর্মীরা বলেন, “রামলালাকে ঘিরে মানুষের আবেগকে অস্বীকার করা যাবে না। আমরা হিন্দু, এখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সকলে আমরা রামভক্ত। রাম সকলের, কোনও দলের সঙ্গে যোগ নেই শ্রীরামের। আমরা আমাদের মতো সমাজের জন্য কাজ করব।”

    বিজেপির গৈরিক পতাকার নীচে তৃণমূল (Malda)

    মালদায় (Malda) বিজেপির সঙ্গে গৈরিক পতাকার নীচে তৃণমূলের কর্মীরা। একই সঙ্গে পরনে গেরুয়া বস্ত্র, গেরুয়া উত্তরীয়, কপালে লাল তিলক, মাথায় গেরুয়া কাপড় বাঁধা। একই সঙ্গে হাত উঁচু করে কণ্ঠে ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’ দিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে মিছিল করেছেন। এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন এলাকার শত শত হিন্দু ধর্মের মানুষ।

    পুজোর স্থান কোথায় ছিল?

    আজ যখন অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে, ঠিক তেমনি বাংলার জেলায় জেলায় হিন্দু সমাজের মন্দিরে মন্দিরে পুজো-অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। আজ একই ভাবে মালাদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে একটি অস্থায়ী মন্দির বানিয়ে প্রভু রামের একটি মূর্তি নির্মাণ করে তাতেই পুজো করা হয়। এরপর একটি বিরাট শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) থেকে এলাকার গড়াগড়ি পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সম্পন্ন করা হয়। এই শোভাযাত্রার শুরু এবং শেষ স্থানে ব্যাপক রামভক্তদের সমাগম হয়। একই ভাবে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে যোগদান করেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    Murshidabad: রাম-লক্ষ্মণ-সীতা-হনুমানের মূর্তি নির্মাণ করে পুজো, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সনাতনী সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দিরের উদ্বোধন হল। এই উপলক্ষে বহরমপুরের গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে শ্রীরাম পুজোর আয়োজন করা হয় মহা সাড়ম্বরে। সোমবার সকালে এই পুজোকে কেন্দ্র করে হাজির হন সনাতনী সমাজের প্রত্যেক সদস্য, বহু ভক্ত এবং শহরের বহু সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে গঙ্গার জল আনতে যাওয়া হয় বহরমপুরের গোরাবাজার ঘাটে। আজকের দিনে বহরমপুরে (Murshidabad) গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে এই শ্রীরাম পুজোর আয়োজনে নেতৃত্ব দেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র কাঞ্চন।

    শ্রীরাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তিতে পুজো (Murshidabad)

    অযোধ্যায় আজ মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ভারতবর্ষের সনাতনীরা এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় ছিল। আজ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যার সঙ্গে বাংলাও শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণ করে পুজোতে মেতেছে। বহরমপুর (Murshidabad) সায়দাবাদে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তি তৈরি করে পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে চলেছে আগত ভক্তদের মধ্যে লাড্ডু ও ভোগের প্রসাদ বিতরণ। পাশাপাশি চলে ভজন-কীর্তন। একই সঙ্গে আয়োজকদের উদ্যোগে ২০০ জন গরিব মানুষকে প্রদান করা হয় শীতবস্ত্র।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বহরমপুরের (Murshidabad) বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “রামায়ণে প্রভু রামের ১৪ বছর বনবাস হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সনাতনীদের কাছে ৫০০ বছর ধরে অজ্ঞতাবাসে রাখা হয়েছে রামলালাকে। আজ অযোধ্যায় যুগাবতার রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দিরের জন্য অনেক রাম ভক্তদের রক্ত ঝরেছে। দেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কেউ প্রভু রামের মন্দির নির্মাণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেনি। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একান্ত চেষ্টায় মন্দির নির্মাণ-উদ্বোধন হয়। আজ আমরা সকল হিন্দু সংগঠন হিসাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, সনাতনী সমাজের পক্ষ থেকে প্রভু রামের পুজো করছি। আজকের দিন আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন রামের পুজোয় মাতলেন আসানসোলের মানুষ

    Asansol: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন রামের পুজোয় মাতলেন আসানসোলের মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ‍্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে ঘিরে সেজে উঠেছে আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের ৯৯ নং ওয়ার্ডের কুলটির ভরতচক গ্রাম। সেখানে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন রামের মন্দির। সেই মন্দিরে সোমবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এমনিতেই এই মন্দিরে বছরে একবার মূর্তি গড়ে পুজো করা হয়। তবে, এখন খড়ের কাঠামোতেই জাঁকজমকভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।

    প্রাচীন মন্দিরে হয় রামের বিশেষ পুজো (Asansol)

    এদিন সকালে আসানসোলের (Asansol) ভরতচক গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, রাম মন্দিরে রাম-সীতা-ভরত-লক্ষণ-শত্রুঘ্ন -হনুমান-জাম্বুবানের খড়ের কাঠামো রয়েছে। এই গ্রামে ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে রামের পুজো হয়ে আসছে। মূলত মাঘী পূর্ণিমাতে প্রতি বছর মূর্তি গড়ে আট দিন ধরে রামের পুজোর আয়োজন করা হয়। সেই সময় হাজার হাজার ভক্ত প্রতি বছর সামিল হন। তবে, এদিন ৫৫০ বছরের লড়াইয়ের শেষে অযোধ‍্যায় রামলালা ফিরেছেন। বিশাল পুজোর মাধ্যমে এদিন সেখানে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। তাই, এই মুহূর্তকে স্মরণে রেখে পূণ্য তিথি অনুসারে ভরতচক গ্রামে প্রাচীন রাম মন্দিরেও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। আর এদিন এই পুজোয় প্রচুর ভক্ত সামিল হন।

    ভোগ বিতরণ করা হয়

    বিজেপি অমিত গড়াই বলেন, আমাদের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সকাল থেকেই রাম মন্দির সাজানো হয়। নিয়ম মেনে মন্দিরে খড়ের কাঠামোতেই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে ভক্তদের এদিন ভোগপ্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই মতো এদিন সকাল থেকে ভোগ রান্না করা হয়। আর এদিন রামের মন্দিরে পুজো দিতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে।

    শোভাযাত্রায় সামিল বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল

    রাম মন্দির উদ্বোধনের সঙ্গে আসানসোলের (Asansol) বার্ণপুরে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের হয়। দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে তিনি নিজে খঞ্জনি বাজিয়ে নগর প্ররিক্রমা করেন। রামলালার ছবি মাথায় নিয়ে তিনি শোভাযাত্রায় পা মেলান। এদিন শোভাযাত্রায় বহু কর্মী-সমর্থক সামিল হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share