Tag: bjp

bjp

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে! মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে! মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করে রাজ্যের নামে প্রকল্প করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার কমন সার্ভিস সেন্টারের একটি জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    উল্লেখ্য রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ যে বন্ধ করে দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি আদালতে দাবি করেছিলেন রাজ্যে প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে মমতার সরকার।

    আদালতের নির্দেশ কী (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে নির্দেশ দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে যে আগামী ১২ ডিসেম্বর রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। উত্তরে, রাজ্য হলফনামা দেওয়ার বিষয়ে অতরিক্ত সময় চাইলে বিচারপতি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার হুঁশিয়ারি দেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সব কিছুতে রাজনীতির রঙ না দেখাই ভালো। এটা যে পিপলস ওয়েলফেয়ার স্কিম।” যদিও এই মাসের প্রথম সপ্তাহে মামলাটি বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে উঠেছিল। সেই সময় রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিচারপতিরা।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সকল প্রকল্পগুলির জন্য ই-পরিষেবার মাধ্যমে সকলকে পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে এই ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ নাম বদল করে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ রাখা হয়। এরপর সুকান্ত মজুমদার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রকল্প বন্ধের ফলে অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। এখানে অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে একটা কাজের সুযোগ ছিল। রাজ্য সরকারের রাজনীতির কারণে মানুষ নিজের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যেমন-কেন্দ্রের বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও প্রকল্পকে রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী প্রকল্প নাম দিয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    BJP Rally: ‘‘গেরুয়া সুনামি দেখবে শহরবাসী’’, বুধবারের শাহি-সভা নিয়ে প্রত্যয়ী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছর বাদে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করতে চলেছে বিজেপি (BJP Rally)। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘ওয়ার্মআপ’ জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ধর্মতলায় চলছে মঞ্চ বাঁধার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাস্থলের কাজ খতিয়ে দেখতে সেখানে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    ‘শাহি’ সমাবেশ

    সভায় বঞ্চিতদের নিয়ে আসতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একাধিক সভা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভাস্থল পরিদর্শনে এসে সুকান্ত বলেন, “বুধবার গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী।” ওয়াই চ্যানেলের সামনে এর আগে ‘শাহি’ সমাবেশ হয়েছে ২০১৪ সালে। তবে তখন অমিত শাহ ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। সেই সভায়ও তিনি আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলকে। সেবারও ইস্যু ছিল তৃণমূলের দুর্নীতি। এই ন’ বছরে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। রাজ্যে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করেছে বিজেপি।

    কলঙ্কের কালি তৃণমূলের গায়ে 

    ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলের গায়ে লেগেছে একাধিক কলঙ্কের কালি। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, তেমনি রয়েছে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি। কয়লা ও গরু পাচারের আঁশটে গন্ধও লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। এহেন আবহে রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির (BJP Rally) রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই সরকারের দুর্নীতির শেষ নেই। চাল চুরি, একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে কয়লা চুরি, সব কিছুই দেখেছেন রাজ্যবাসী। শিক্ষিত ছেলেদের চাকরি নেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি কর্মীদের সব কিছু থেকে ব্রাত্য করা হচ্ছে। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধেই আগামিকাল আমাদের সমাবেশ।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিতরা। সুকান্ত বলেন, “গেরুয়া সমর্থকরা ইতিমধ্যেই জেলা থেকে রওনা দিয়ে দিয়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) রাতেও অনেকে চলে আসবেন। আগামিকাল রাজপথে গেরুয়া সুনামি দেখতে চলেছেন শহরবাসী। স্তব্ধ হয়ে যাবে গোটা কলকাতা।” তিনি বলেন, “আগেরবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে আমরা বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। এবার যদি ফের পুলিশ বাধা দেয়, তবে তা হবে আদালত অবমাননার শামিল। আমাদের কর্মীরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি কাল কিছু হয়, তাহলে আমরাও প্রতিবাদ জানাব (BJP Rally)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে হুগলির ২ শ্রমিক। পরিবারকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখলেন হুগলির পুরশুড়ার (Hooghly) বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। বিধায়ক বলেন, এই শ্রমিক পরিবারদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। অভাবের সংসার। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে যদি কিছু সাহায্য করা যায়, তাহলে ভীষণ উপকার হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়কে তুলে ধরে বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “উত্তরকাশীতে রাস্তার সুড়ঙ্গে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই সুড়ঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। এই জেলারও রয়েছেন দুই জন শ্রমিক। তাঁদের একজন হলেন শৌভিক পাখিরা এবং অপরজন জয়দেব প্রামাণিক। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কাজ দিতে না পারায় অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছিল এই শ্রমিকদের।” দুইজন শ্রমিকের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেসকোর্সের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শ্রমিকদের বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী হলেন তাঁরাই। সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজন খুব অসহায়বোধ করছেন। তাঁদের উভয়ের বাড়িতে অসুস্থ রোগী এবং বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পাশে থেকে সাহায্য করলে খুব ভালো হয়। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে পরিবারের দুশ্চিন্তা কমবে।”

    চারধামের সরল পথ এই সুড়ঙ্গ

    উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ পথে সড়কের কাজ চলাকালীন উপর থেকে ধসের কারণে পাথর ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। রয়েছেন হুগলির (Hooghly) দুই শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ এই চারধামের যাত্রা পথকে আরও সরল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে খননের কাজ খুব জোর কদমে চলছে। ৪১ টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরে। স্থানীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক রাখা হয়েছে। মনে করা হয়েছে আজ বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দলেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এমনিতেই লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছে। এমনকী নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া বাহিনী। কমিশনের তরফেও এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলা তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় শাসক দল। রত্না বিশ্বাসও দলের অন্দরেই সমালোচিত হয়েছেন। এরই মধ্যে দলীয় সভায় জেলা নেত্রীকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হল না। রত্না যে অন্যায় করেছেন, তা তৃণমূল নেতৃত্বের আচরণে স্পষ্ট বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতে ২৬ নভেম্বর সংসদীয় জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা। উপস্থিত ছিলেন বিতর্কিত বক্তব্য রাখা জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস নিজেও। কিন্তু ওই সভায় মঞ্চে দেখা যায়নি রত্নাকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নেরও জবাব দেননি তিনি। তবে, রত্নার মন্তব্য যে ভুল, তা এদিন স্বীকার করেছেন কাকলি। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। রত্নার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ও ভুল করেছে। বোঝারও ভুল হয়েছে। বলারও একটু ভুল হয়েছে। ১৯৭১ অবধি যাঁরা এসেছেন, তাঁদের একই পরিবারের কারও নাম থাকলেও অনেকের নেই। ও সেটাই বলতে চেয়েছে। ঠিক মতো বোঝাতে পারেনি।’ তবে, সাংসদ তাঁর মন্তব্য নিয়ে কথা বললেও রত্না বিশ্বাস একটি কথাও বলেননি। দলের মধ্যেই তিনি যে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনাই।

    দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    এই বিষয় নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, রত্নার বক্তব্যের পরই পরিষ্কার হয়েছে কীভাবে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ্যে বলার কারণেই মঞ্চে ঠাঁই হয়নি সংসদীয় জেলার চেয়ারপার্সনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    South 24 Parganas: ‘‘দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালদের বাস’’! প্রশাসন ‘ব্যর্থ’, তা কি মেনেই নিলেন ফিরহাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালরা থাকে”। জয়নগরের গিয়ে রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কার্যত মেনে নিলেন রাজ্যে এখন দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কতটা সুরক্ষিত? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলি। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের মধ্যে ভাগের মাল নিয়ে খুনোখুনি চলছে। রাজ্যে আইনের শাসন নেই।

    কী বলেন মন্ত্রী ফিরাদ (South 24 Parganas)?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জয়নগরের মৃত সইফুদ্দিন লস্করের বাড়িতে (South 24 Parganas) গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, “দলুয়াখাকিতে কিছু ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, তবে গ্রামে কিছুই হয়নি। বাড়ি ভাঙার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মানুষের হত্যা। আর কটা বাড়িতেই বা আগুন লেগেছে! দলুয়াখাকিতে ক্রিমিনালরা থাকে। এটা নিয়ে রাজনীতি কেন হবে? তবে ভাঙচুরকে সমর্থন করি না। যারা করেছে তাদেরকেও চিনি না।”

    বিজপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “জয়নগরের (South 24 Parganas) ঘটনাটা ভাগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি। গত তিন মাসে তৃণমূলের মধ্যে দুর্নীতির টাকার ভাগ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটেছে। বাইক নিয়ে যারা এসেছিল তারা কারা? দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল

    উল্লেখ্য, কালীপুজোর দিন ভোরবেলায় খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে। উল্লেখ্য, বাইকে করে আসা দুষ্কৃতীদের মধ্যে দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। একজনকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর এলাকায় খুনের প্রতিহিংসায় গ্রামে বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে হত্যার পরিকল্পনাও করা হয়। ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। উল্লেখ্য, যাকে ঘটনাস্থলে পিটিয়ে মারা হয়েছিল তার স্ত্রীর দাবি স্বামী তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। রাজনীতির একাংশের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বলেছেন। এ যেন জয়নগরে (South 24 Parganas) ঠিক আরও একবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের ছায়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Birbhum: ডিসেম্বর মাস তৃণমূল নেতাদের কাছে হবে ভয়াবহ, রামপুরহাটে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতাদের সাবধানবার্তা শোনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ফলে আগামী ডিসেম্বরে কি আরও তৃণমূল নেতা জেলে যাবেন? শুভেন্দুর হুঙ্কারের জেরে এই জল্পনা রাজনীতির একাংশের মানুষ করছেন। রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই তৃণমূলের আসল চোরকে ধরতে ২৯ নভেম্বর কলকাতায় যাওয়ার আহ্বান করেছেন তিনি। 

    রামপুরহাটে কী বললেন শুভেন্দু (Birbhum)?

    রামপুরহাটের (Birbhum) সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ডিসেম্বর মাস খুব ভয়াবহ হবে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে। ভোট পরবর্তী হিংসা, চুরি, জিলেটিন উদ্ধারেও তদন্ত হবে। মহম্মদবাজারে জিলেটিন উদ্ধারে অনেক তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। তাই সাবধান নেতারা।” এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “রাতের অন্ধকারে বালি, পাথর, কয়লা সহ গরু পাচার হচ্ছে। পুলিশের সহযোগিতায় এই পাচার কাজ চলছে।” এরপর রাজ্য পুলিশের ডিআইজি শ্যাম সিং এবং রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কথা উল্লেখ করে সংগঠিত বালি, পাথর, গরু, পাচারের অভিযোগ তোলেন।

    কাজল শেখের বিরুদ্ধে কী বললেন?

    পাশাপাশি বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবার নতুন একটি পাখি উড়ছে। কাজল শেখ। তাঁর ভাগ্নে বাপি। আমাদের সব নজরে আছে। যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে দেননি তাঁদের খুব ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। সব হিসেব নেওয়া হবে।”

    ডেপুটি স্পিকারকে হারানোর বার্তা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের (Birbhum) বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে নির্বাচনে পঞ্চাশ হাজার ভোটে হারানোর হুমকি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতাকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    Paschim Medinipur: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না খড়্গপুর পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুট বদলালেও দিলীপের সভার অনুমতি দিল না পুলিশ। রবিবার দুপুরে বিজেপির সভা এবং পদযাত্রার অনুমতি দিল না খড়্গপুর (Paschim Medinipur) পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, একই দিনে তৃণমূলের সভা রয়েছে তাই পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। অবশ্য এই অনুমতি না দেওয়ায় বিজপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, তৃণমূল বিজেপির শক্তিকে ভয় পাচ্ছে তাই পুলিশকে দিয়ে পদযাত্রার অনুমতি বাতিল করেছে। আগামী লোকসভার ভোটে বিরোধীদের আটকাতে কি তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করছে? উঠছে নানা প্রশ্ন। বিজেপির অবশ্য দাবি অনুমতি না দিলেও সভা আমরা করবই।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৯ নভেম্বরে কলকাতায় অমিত শাহের সভাকে পুলিশ প্রথমে অনুমতি দেয়নি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে এবং অবশেষে বিচারপতির নির্দেশে সভার অনুমতি মেলে। রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিরোধীদের সভা করার অনুমতি না দিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুমিত মণ্ডল বলেন, “গত ২১ নভেম্বর পুলিশের কাছের রুটের পদযাত্রার কথা বলে আবেদন করা হয়। খড়্গপুরের বারবেটিয়া এলাকায় একটি সভা এবং পদযাত্রার কথা আবেদন করা হয়। সময় হিসাবে উল্লেখ করা হয় দুপুর ৩ টে থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। পদযাত্রার রুট হিসাবে বলা হয়, রিলায়েন্স মোড় থেকে লোকাল থানা পর্যন্ত। কিন্তু পুলিশ রবিবার জানিয়ে দেয় সেইদিন তৃণমূলের সভা রয়েছে। তাই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। প্রথমে আইসি প্রসিড লিখলেও পরে জানিয়ে দেন সভার অনুমতি সম্ভব নয়।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূলর সহ-সভাপতি দেবশিস চৌধুরি বলেন, “আমাদেরও ওই দিন একটি সভা রয়েছে। আমাদেরও অনেক সময় নানা প্রকার অনুমতি দেয় না পুলিশ। ফলে পুলিশকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। পক্ষপাতের তেমন কোনও ব্যাপার নেই এখানে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: দলের মণ্ডল সম্পাদকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ

    Purba Medinipur: দলের মণ্ডল সম্পাদকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিজেপির ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ বিরোধী দলের কর্মীদের গ্রেফতার করছে, এ রাজ্যে এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। বিজেপির অভিযোগ, খেজুরির বাঁশগোঁড়ায় (Purba Medinipur) ‘হার্মাদমুক্ত দিবস’ পালনকে ঘিরে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দলের মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নাকে। এবার এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আজ সোমাবার বিজেপি খেজুরিতে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ পালন করল। বিজেপির দাবি, ধৃত বিজেপি নেতাকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। উল্লেখ্য, কয়লা পাচার-গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মিথ্যা গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা বলতেন। সেই কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল এক সময়। বিরোধীদেরকে বারবার শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে পুলিশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে অত্যাচার করে, এই অভিযোগে ফের একবার শোরগোল পড়ল রাজ্য রাজনীতিতে।

    কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোঁড়ায় (Purba Medinipur) ‘হার্মাদমুক্ত দিবস’ পালন করতে গেলে ব্যাপক গোলমাল বাধে। বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারের খবর শুনে শনিবার রাত সাড়ে দশটায় কাঁথি ফেরার সময় শুভেন্দু অধিকারী হাজির হন থানায়। এরপর কোনও কারণ ছাড়া বিজেপি কর্মীকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে চান তিনি। এমনকী গ্রেফতারের সময় অ্যারেস্ট মেমোতে সই করা হয়েছিল কিনা তাও জানতে চান। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “এটা অ্যারেস্ট নয়, পুলিশ অপহরণ করছে। আমি ওঁর স্ত্রীকে দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করাবো।”

    খেজুরিতে বিজেপির বন‍্‍ধ

    মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সোমবারে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (Purba Medinipur) ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ ডাকা হয়েছে। সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজপির মূল দাবি, “রবীন মান্নার নিঃশর্তে মুক্তি চাই”। এলাকায় সকাল থেকেই বিজেপি মিছিল করছে। বেশ কিছু রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের রাস্তা অবরোধ থেকে সরাতে গেলে পাল্টা রাস্তার মধ্যেই বিক্ষোভে বসেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা এলাকায় কর্মনাশা বন‍্‍ধ চান না। সকলকে দোকানপাট, বাজার খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছি। সকলকে আমরা এলাকায় শান্তি রাখার আবেদন করেছি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    Hooghly: বিজেপি-র সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে, তৃণমূলের হুমকি-পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় ‘শাহি সমাবেশে’ বিপুল জমায়েতের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর সেই সভায় যাতে জমায়েত কম হয়, তা রজন্য উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আড়ালে আবডালে নয়, একেবার প্রকাশ্যে পোস্টার দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে যাতে মানুষ যোগ না দেন, তার জন্য ভয় দেখাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। সভায় গেলে এলাকাছাড়া করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায়। এখানকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা বটতলা এলাকায় এই ধরনের পোস্টার দেখা যায়।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Hooghly)  

    ২৯ নভেম্বর ‘কলকাতা চলো’র ডাক দিয়েছে বিজেপি। ওই দিন ধর্মতলায় হবে প্রতিবাদ সভা। সেই সভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া-ব্যান্ডেলেও পোস্টার মারা হয়। বিজেপির সেই পোস্টারের উপর সাদা কাগজে ছাপানো লেখা পোস্টার মারা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘কেন্দ্র আমাদের আবাসের টাকা দিচ্ছে না। এলাকা থেকে যাঁরা এই সভায় যাবেন, তাঁদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হবে। তলায় লেখা জয় বাংলা। স্থানীয়দের নজরে পড়ে এই পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    তৃণমূল ভয় পেয়ে এসব করছে, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব করছে। ওরা মানুষের আবাসের টাকা, একশো দিনের কাজের টাকা খেয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে। আর আমাদের প্রতিবাদ সভা বন্ধ করতে হাইকোর্টে গেল, কোনও কাজ হল না। এখন ভয় দেখাচ্ছে সভায় যাতে লোক না হয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। ধৰ্মতলা সভায় বহু মানুষের ভিড় হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘বিজেপি পোস্টারের উপর নিজেরাই পোস্টার মেরে প্রচার চাইছে। ওদের সঙ্গে তিনগাছা লোক নেই। তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই পোস্টার মারতে যাবে। মানুষ সব দেখছে বুঝছে, ২৪ সালে সব জবাব দিয়ে দেবে।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share