Tag: bjp

bjp

  • Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়ার দুই সাংবাদিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। বুধবার দুই সাংবাদিককে বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার? সম্প্রতি কালীপুজোয় দক্ষিণদাড়িতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মঙ্গলবার ‘মাধ্যম’ কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। দীর্ঘ জেরার পর দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন দুজনই আদালতে জামিন পেয়ে যান।  

    কড়া সমালোচনা করলেন সুকান্ত? (Madhyom)

    এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়া অফিসে পুলিশি হানা নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ গণতন্ত্রের ওপর হামলা। মাধ্যম অফিসে পুলিশি হানা, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের গ্রেফতার করার ঘটনা জরুরি অবস্থার শামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে জরুরি অবস্থা জারি করে দিতেন। উগ্রপন্থীদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা উচিত। কিন্তু, এই রাজ্যে তা আমরা করতে দেখিনি। মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টান্তমূলক আদেশ দেওয়া হোক, যাতে পুলিশ এই ধরনের কাজ করতে না পারে। এটা পুলিশ অপরাধ করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার।”

    কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য?

    এই ঘটনা (Madhyom) নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ছে। দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়়ির কাছে কালী মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাটি মাধ্যমের সাংবাদিকরা তুলে ধরেছিলেন। আগুন জ্বলছে, পাথর ছোড়া হচ্ছে। সেই প্রকৃত সত্য ঘটনাটি পোস্ট করা কি অপরাধ? তারপর পুলিশ ওই মিডিয়ার অফিসে হানা দেয়। দুজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন আদালতে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। আদালতের ওপর মানুষের ভরসা রয়েছে। বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে। ’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    BJP: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাধ্যম’ কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে (Madhyom) আচমকা পুলিশি হানা এবং ২ সাংবাদিককে গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব যেমন এই ঘটনার নিন্দা করেছে, তেমনি এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। সেখান থেকেও একের পর এক তীব্র প্রতিবাদ ভেসে আসতে থাকে। ইতিমধ্যেই, অমিত মালব্য এই ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও কড়া সমালোচনা করেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছে? (BJP)  

    সম্প্রতি কালীপুজোতে দক্ষিণদাড়িতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মাধ্যম অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা পুলিশের আটজনের একটি দল অফিসে (Madhyom) ঢুকে পড়ে। মূল অভিযোগ, সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এতে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। মাধ্যম অফিসের কর্মীরা পুলিশকে জানান, সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে যা যা দেখেছেন, সেটাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এ কথা বারবার বোঝানো হলেও পুলিশ কোনও কথা শুনতে চায়নি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে অফিসের কম্পিউটারের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে এবং শেষমেশ অফিসের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানায় নিয়ে যায়। একইসঙ্গে একটি কম্পিউটার এবং তার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। আজ, বুধবার, ধৃত ২ সাংবাদিককে আদালতে পেশ করার কথা।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

    কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলনেতা (BJP) শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘ মমতার পুলিশ মা কালীর মণ্ডপ রক্ষা করতে ব্যর্থ। সেই সত্যি খবর ‘মাধ্যম’ পোর্টাল সম্প্রচারিত করেছে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।‘‘ 

    মমতার সমালোচনা সুকান্ত

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মাধ্যম’ মাথা উঁচু করে থাকবে। এই লড়াই থামবে না। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে হীরক রানির বিদায় অবশ্যম্ভাবী।‘‘ 

    একাধিক প্রশ্ন তুললেন ভারতী ঘোষ

    প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কি এমার্জেন্সি জারি হয়েছে? সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কোথায়? আর কতদিন এই থ্রেট কালচার সহ্য করবে রাজ্যবাসী?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় হিন্দুদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jotirmoy Singh Mahato)।

    ঠিঠিতে কী লেখা রয়েছে? (BJP)

    চিঠিতে (BJP) লেখা হয়েছে,  “দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসব উদযাপনের সময় প্রতিনিয়ত বাধা, পাথর ছোড়া এবং হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু উত্সব এবং ধর্ম পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী হিংসামূলক ঘটনাগুলি পরীক্ষা করে দেখুন। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এবং নীতিগুলি পর্যালোচনা করুন যা মৌলবাদী উপাদানগুলিকে উত্সাহিত করে বলে মনে হয়। হিন্দু উত্সব এবং ধর্মীয় পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন এবং চরমপন্থী উপাদানগুলির সঙ্গে কোনও লিঙ্ক রয়েছে কি না তা তদন্ত করুন।” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্যপাল হিসেবে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে আপনার কিছু ক্ষমতা রয়েছে, যা এই বিষয়গুলির মোকাবিলা করতে পারে।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    রাজাবাজারের ঘটনা উল্লেখ চিঠিতে

    সাংসদের (BJP) চিঠিতে রাজাবাজারের ঘটনাও উল্লেখ রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “শুধু এই বছর রাজ্যজুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার রাজাবাজার এলাকায় একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় একটি কালী পূজার বিসর্জন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, পুলিশ পরে বিষয়টিকে “পার্কিং বিরোধ” বলে উড়িয়ে দিয়েছে, যা শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পক্ষপাতিত্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।” প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর কালীপুজোর বিসর্জনের মিছিল চলছিল। সেই সময়  উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙ্গা- রাজাবাজারে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়, ফাটায় টিয়ার গ্যাসের সেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী সেই রাজ্যের নারীরা কি সুরক্ষিত? তৃণমূলের শাসনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। দোষীরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। নির্যাতিতারা ন্যায় বিচার পায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল মাত্র চেক দিয়েই ধামাচাপা দিতে চান। একাধিক অভিযোগের বাণে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছে বিজেপি। একদিনের দলীয় কর্মশালায় বক্তব্য রেখে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার (Bulldozer) দাঁড়িয়ে থাকবে।”

    মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন (Sukanta Majumder)?

    পূর্ব বর্ধমানের কালনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যান বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেখানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের কর্মশালায় মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।” সুকান্তর মুখে বাংলার বুলডোজার (Bulldozer) নীতিতে যেন উত্তর প্রদেশের যোগীরাজের ছায়া দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুনঃ ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    কেন্দ্রের অন্নপূর্ণা প্রকল্প

    এদিন এই সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বিজেপির মহিলা কর্মীদের জন্য অন্নপূর্ণা প্রকল্পের কথা বলেন। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের তিন হাজার করে টাকা দেবে বলে জানানো হয়। তাঁরা কীভাবে ফর্ম ফিলাপ করবেন সেই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই ভাবে রাজ্যের নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ দিয়ে মুখ খোলেন তিনি। কীভাবে বাংলায় নারীরা নিগৃহীত, নির্যাতিত হচ্ছেন সেই কথাও তুলে ধরেন। তবে নারী নির্যাতন রুখতে যোগী বাবার বুলডোজার (Bulldozer) অন্যতম প্রধান অস্ত্র সেই দিকটার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কয়েকমাস ধরে অব্যাহত নারী নির্যাতন

    উল্লেখ্য রাজ্যে গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। প্রতিবাদে রাজ্য, দেশ তথা বিদেশেও আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয় গত কয়েক মাসে জয়নগর, কৃষ্ণনগর, মালদা, চাঁচল, ভূপতিনগর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, সন্দেশখালি সহ একাধিক জায়গায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিশেষ বিল পাশ করলেও এখনও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই বিজেপি এবার বুলডোজারের (Bulldozer) কথা তুলতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘মাতৃভাষায় শিক্ষা না পেলে পড়ুয়ার চিন্তার বিস্তার বাধাপ্রাপ্ত হয়’’, ভাষা নিয়ে সওয়াল অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘মাতৃভাষায় শিক্ষা না পেলে পড়ুয়ার চিন্তার বিস্তার বাধাপ্রাপ্ত হয়’’, ভাষা নিয়ে সওয়াল অমিত শাহের

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় হিন্দি সমিতির ৩২তম সভায়  তিনি বলেন, ‘‘মাতৃভাষায় শিক্ষা না পেলে কোনও পড়ুয়ার মানসিক বিকাশ সম্পূর্ণ হয় না। সেই কারণে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে তিনটি ভাষা শিক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।’’ এ দিনের অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে মূলত মাতৃভাষায় শিক্ষার উপরে জোর দিয়েছেন শাহ। হিন্দি ভাষার বিকাশের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় ভাষার বিস্তার ও উন্নতিতে সদা সচেষ্ট বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    হিন্দি ভাষার প্রসার

    এদিন হিন্দি সমিতির সভায় অমিত (Amit Shah) বলেন, “দেশের সব ভাষারই স্বাতন্ত্র্য, বৈচিত্র্য ও গুরুত্ব রয়েছে। বহু ভাষাভাষীর এই দেশে সবথেকে বেশি সংখ্যায় মানুষ হিন্দিতেই (Kendriya Hindi Samiti) কথা বলেন”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে হিন্দিতে ভাষণ দিয়ে এই ভাষার মর্যাদা আরও বাড়িছেন বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় হিন্দি সমিতির লক্ষ্যই হল হিন্দির বিকাশ, হিন্দি সাহিত্য সংরক্ষণ এবং এটিকে দেশের লিঙ্ক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, শিক্ষামন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. এল. মুরুগান।

    মার্তৃ ভাষায় শিক্ষা

    মাতৃভাষায় শিক্ষাদান প্রসঙ্গে অমিত (Amit Shah) বলেন, ‘‘এক জন পড়ুয়ার বিকাশ নির্ভর করে মাতৃভাষায় শিক্ষার উপরে। ছোট বয়সে মাতৃভাষায় শিক্ষা না পেলে পড়ুয়ার চিন্তার বিস্তার বাধাপ্রাপ্ত হয়।’’ তাঁর দাবি সেই কারণেই নরেন্দ্র মোদী সরকার নিট, জেইই-এর মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষা পড়ুয়াদের মাতৃভাষায় নেওয়া শুরু করেছে। প্রাথমিকের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষাতেও মাতৃভাষার ব্যবহারের উপরে জোর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয় ভাষার পরিবর্তে যখন অন্য ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয় তখন লাভবান হয় মাত্র ৫ শতাংশ পড়ুয়া। কারণ ৯৫ শতাংশ পড়ুয়া নিজেদের মাতৃভাষাতে পড়াশোনা করে বড় হয়। মাতৃভাষায় শিক্ষা হলে ১০০ শতাংশ পড়ুয়া দেশের উন্নতিতে অংশ নিতে পারত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    BJP: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনা প্রকল্পে (Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্ত (ED Probe) দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। সোমবারই এই ঘোষণা করেছেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay)। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে যে তালিকা জমা দিয়েছিল, তাতে জল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এখন রাজ্য নিজে খরচ করার আগে তালিকা যাচাই শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই তার বড় অংশে অযোগ্যদের নাম রয়েছে বলে রাজ্যই জানতে পেরেছে।’’ ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা।

    কেন্দ্রের অপব্যয় হয়েছে ৫.৫ হাজার কোটি, দাবি বিজেপির (BJP)

    ২৯ অক্টোবর শেষ হয়েছে আবাস যোজনার (Awas Yojana) সমীক্ষা। ৩০ অক্টোবর এক বৈঠকে সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আবাস যোজনার ২২.৭৬ শতাংশ আবেদন বাতিল হয়েছে। জগন্নাথ বলেন, ‘‘২০১৬ – ২২ সাল পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে রাজ্য সরকার ৩৪ লক্ষ ১৯ হাজার বাড়ি বানিয়েছে। ২২.৭৬ শতাংশ অযোগ্য ধরলে সেই তালিকায় ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার অযোগ্য প্রাপক রয়েছেন। যাদের জন্য ৯ হাজার ৪০০ কোটি বাজে খরচ হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের। এর মধ্যে কেন্দ্রের অপব্যয় হয়েছে ৫.৫ হাজার কোটি টাকা।’’

    আরও পড়ুনঃ মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন, ভাপি ও সুরাটের মধ্যে ন’টি নদী সেতুর কাজ সম্পূর্ণ

    সব চেয়ে বেশি নাম বাতিল হয়েছে নদিয়া জেলায়

    তিনি বলেন, ‘‘আমরা (BJP) এই দুর্নীতির (Awas Yojana) ইডি তদন্ত চাই। যে সব আধিকারিক বা রাজনৈতিক নেতা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের শাস্তি দিতে হবে। সেই দাবিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব।’’ জগন্নাথের দাবি, সব চেয়ে বেশি নাম বাতিল হয়েছে নদিয়া জেলায়। সেখানে ৩৮.২৩ শতাংশ নাম ‘অযোগ্য’ বলে সরকারি তথ্যে উঠে এসেছে। এছাড়া অযোগ্য নামের তালিকা যে জেলাগুলিতে বেশি সেগুলি হল, পশ্চিম বর্ধমান (৩৭.৩১ শতাংশ), মালদা (৩৫.৪৭ শতাংশ), হাওড়া (৩২.১২ শতাংশ) এবং মুর্শিদাবাদ (৩২.০১ শতাংশ)।

    এখানেই শেষ নয়। সমীক্ষার ফলে কেন্দ্রের অনেক টাকা বেঁচে গিয়েছে বলেও দাবি করেন জগন্নাথ। বিজেপি (BJP) নেতা জানান, মোট ১৮ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়িতে সমীক্ষা হয়েছিল। তার মধ্যে ৪ লক্ষ ১৮ হাজার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রের হিসাব অনুসারে রাজ্যে এখনও ৪৫ লক্ষ বাড়ি (Awas Yojana) বানাতে হবে। অর্থাৎ সমস্ত বাড়িতে সমীক্ষা হলে ১০ লক্ষ ২৪ হাজার আবেদন বাতিল হত। অর্থাৎ সমীক্ষা না করে বাড়ির টাকা দিয়ে দেওয়া হলে ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অকারণ খরচ হত বলে দাবি করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand Assembly Election 2024: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    Jharkhand Assembly Election 2024: “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট”, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের অধিবাসীদের নিরাপত্তা, নারীর সুরক্ষা এবং জমি বাঁচানোর জন্য সেখানে বিজেপি সরকার গঠনের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে (Jharkhand Assembly Election 2024) এসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জোট অনুপ্রবেশকারীদের জোট।” একইসঙ্গে এই তিন দলের জোটকে ‘মাফিয়াদের গোলাম’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। সোমবার গাড়োয়া জেলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে দুর্নীতি ইস্যুতেও বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদি। 

    তোষণের রাজনীতি

    আদিবাসী সমাজের জন্য ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘তোষণের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য এদের গোটা ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা গুরুতর। যখন উৎসবে পাথর ছোড়া হয়, দুর্গামাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কার্ফু জারি করা হয়, তখন জানা যায়, যে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে যখন প্রতারণা হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে জল কোথায় পৌঁছেছে। এটা চলতে থাকলে, এই রাজ্যে আদিবাসী সম্প্রদায় ক্রমশ হারিয়ে যাবে।’’ 

    বিজেপির গ্যারান্টি

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand Assembly Election 2024) মোট ৮১টি আসনে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ১৩ নভেম্বর প্রথম দফা। ও দ্বিতীয় দফা ২০ নভেম্বর। এর মধ্যেই রয়েছে ছট পুজো। ঝাড়খণ্ডবাসীকে ছট পুজোর শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ঝাড়খণ্ডের আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের আর্জি জানান। বিজেপিই রাজ্যের সমৃদ্ধি করতে পারবে বলে ‘গ্যারান্টি’ দেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্কল্প পত্রের প্রশংসা করে মোদি জানান, বিজেপি একমাত্র দল যারা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। তাই রাজ্যে নারী নিরাপত্তা রক্ষার্থে, নিজের জমি নিজের রাখতে বিজেপি তথা এনডিএ-র সরকার গঠনের কথা বলেন। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে”, বিস্ফোরক ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়

    RG Kar Case: “আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে”, বিস্ফোরক ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে।” আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে এই কথা বলেছেন। সোমবার শিয়ালদা আদালতে তাঁকে তোলা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে এদিন চার্জ গঠন করা হয়েছে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ধৃতের এদিন বক্তব্য ছিল স্পষ্ট। আরজি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্ট নিয়ে তিনি আরও যে দাবি করেছেন, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো রাজ্য সরকারের মুখ পুড়তে বাধ্য। কারণ, এটা স্পষ্ট যে এর মধ্যে প্রশাসনের একাংশ জড়িত। এদিন কড়া নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়কে। অন্যদিকে, বিজেপি এদিন এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে।

    ঠিক কী বললেন সিভিক (RG Kar Case)?

    আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, “আমি কিন্তু পুরোপুরি নির্দোষ। আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড (এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে, তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও আমায় ভয় দেখিয়েছে। আমি কিন্তু নির্দোষ।” রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রশাসনের একাংশ এখন কাঠগড়ায়। যদিও মামলায় প্রথম থেকেই পুলিশ এবং ডাক্তার সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে ছিল।

    বিচারকের সামনেও বলেন নির্দোষ 

    উল্লেখ্য সোমবার দুপুর ২ টো নাগাদ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিভিকের (RG Kar Case) বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় মামলায় চার্জ গঠন হয়। এর পর শুরু হবে মামলায় বিচার প্রক্রিয়া। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিচারকের সমানেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত ধৃত সিভিক।

    চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত। তার একাধিক প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। সংগৃহীত বয়ান, ভিডিয়ো এবং ফরেন্সিক বা সায়েন্টিফিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি ‘প্রমাণ’-এর উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি চার্জশিটে ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। সেই সঙ্গে বলা হয় গোটা ঘটনার নেপথ্যে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    ধৃত সঞ্জয় রায়ের (RG Kar Case) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ষণ-খুন। তিলোত্তমা এমন কিছু জেনে ফেলেছিল, তাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল মমতা ঘনিষ্ঠ ডাক্তাররা। সঞ্জয় যা বলেছে, সেটা বঙ্গবাসীও মনে করে। ওপরতলার চাপে প্রমাণ লোপাট করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশের নিচুতলা। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী। আমরা মমতার পদত্যাগ চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Board: ওয়াকফ বোর্ড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, ওয়েইসিকে তোপ তিরুপতি মন্দিরের চেয়ারম্যানের

    Waqf Board: ওয়াকফ বোর্ড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, ওয়েইসিকে তোপ তিরুপতি মন্দিরের চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির ট্রাস্টিকে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) সঙ্গে তুলনা করার জন্য মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে এক হাত নিলেন বলিনিনি রাজাগোপাল নাইডু, যিনি বর্তমানে তিরুপতি তিরুমালা ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিরুপতি তিরুমালা মন্দিরের নয়া চেয়ারম্যান, ওয়াকফ বোর্ডকে (Waqf Board) রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেন এবং তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ বোর্ড একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। কীভাবে তার সঙ্গে তুলনা টানা হচ্ছে তিরুমালা তিরুপতি ট্রাস্টের? আমি ওয়েইসির এমন বক্তব্যের নিন্দা জানাই।’’ প্রসঙ্গত, মন্দির পরিচালন সমিতিতে কেন মুসলিম সদস্য থাকবে না, এই প্রশ্ন তুলেছিলেন ওয়েইসি।

    তোপ বিজেপি (BJP) মুখপাত্রেরও 

    এরপরেই নাইডু বলেন, ‘‘যে ধরনের বিতর্ক শুরু হয়েছে প্রসাদ নিয়ে, তাতে আমার মনে হয় মন্দিরের আশেপাশে শুধুমাত্র হিন্দুদেরকেই ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া উচিত।’’ অন্যদিকে, এই ইস্যুতে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আরপি সিং-ও তোপ দেগেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে। তিনি বলেন, ‘‘আসাদউদ্দিন ওয়েইসি পার্থক্য ভুলে যাচ্ছেন মন্দির ট্রাস্ট এবং ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) মধ্যে। তার কারণ ওয়াকফ বোর্ড জমি নিয়েও কারবার করে। ওয়াকফ বোর্ড যে এক ধরনের ম্যানেজমেন্ট অথরিটি, সেকথাও জানান আরপি সিং। অন্যদিকে, মন্দির ট্রাস্টকে উপাসনার জায়গা, ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা হিসেবে উল্লেখ করে আরপি সিং আরও বলেন, ‘‘কোনও হিন্দু কি মসজিদ ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকে? ওয়েসি এই ইস্য়ুতে রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র।

    ওয়েইসির মন্তব্যে বিতর্ক (Waqf Board)

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যরাও থাকতে পারবেন, মোদি সরকারের নয়া প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে গিয়ে হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়েইসি জানিয়েছিলেন, তিরুপতি মন্দির পরিচালনা সমিতিতে কেন নেই মুসলিম সদস্য। ওয়েইসির এই মন্তব্যেই দানা বাঁধে বিতর্ক। অনেকে প্রশ্ন করেন, অমুসলিম সদস্যরা তো মসজিদ পরিচালনা করেন না, সেটাকে কেন নিজের উদাহরণে টানছেন না ওয়েইসি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রোটি-বেটি-মাটি সুরক্ষিত করার আহ্বান শাহের, ঝাড়খণ্ডে ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির

    Amit Shah: রোটি-বেটি-মাটি সুরক্ষিত করার আহ্বান শাহের, ঝাড়খণ্ডে ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশিত হল। এদিন বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নিজের ভাষণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি (BJP) অন্য সমস্ত দল থেকে আলাদা এবং এবং শুধু সরকার পরিবর্তন করার জন্য বিজেপি লড়ছে না, ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য বিজেপির এই লড়াই। ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎকে সুনিশ্চিত করতে হবে। এদিন রোটি-বেটি-মাটি সুরক্ষিত করার স্লোগানও দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ঝাড়খণ্ডের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে

    তিনি (Amit Shah) আরও বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডের জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে দুর্নীতিতে যুক্ত একটি সরকারকে তাঁরা রেখে দেবেন, নাকি বিজেপি সরকারকে নিয়ে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়ন তাঁরা চান কিনা! সেই সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ডের মানুষকেই নিতে হবে।’’ এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বঞ্চিত, দরিদ্র শ্রেণী, উপজাতি ও দলিতরা অনেক আশা নিয়ে বিজেপির এই সংকল্পপত্রের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন আরও অভিযোগ করেন যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের সরকারের আমলে রাজ্যের আদিবাসীরা মোটেও নিরাপদ নয়।

    সাঁওতাল পরগণায় আদিবাসীদের সংখ্যা ক্রমশ কমেই চলেছে

    তিনি (Amit Shah) বলেন, ‘‘সাঁওতাল পরগণায় আদিবাসীদের সংখ্যা ক্রমশ কমেই চলেছে। বাংলাদেশ থেকে আগত অনুপ্রবেশকারীরা এসে এখানে আমাদের মেয়েদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে এবং এখানকার জমি দখল করছে। এই প্রবণতা যদি বন্ধ না হয় তবে ঝাড়খণ্ডের সংস্কৃতি, চাকরি, জমি মেয়েরা সুরক্ষিত থাকবে না। ঝাড়খণ্ড তখনই নিরাপদ থাকবে, যখন এখানে বিজেপি সরকার তৈরি হবে।’’ এদিনের ইস্তেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সঞ্জয় শেঠ এবং বিজেপির (BJP) ঝাড়খণ্ডের সভাপতি বাবুলাল মারান্ডি। প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনের মধ্যে ভোট হবে ১৩ ও ২০ নভেম্বর। ২৩ নভেম্বর হবে ভোট গণনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share