Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মমতা না তাঁর ভাইপো নাকি জামাত, কে সরকার চালাচ্ছে বুঝতে পারছি না,’’ তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মমতা না তাঁর ভাইপো নাকি জামাত, কে সরকার চালাচ্ছে বুঝতে পারছি না,’’ তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সরকার (পশ্চিমবঙ্গ) কে চালাচ্ছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাচ্ছেন, নাকি জামাত চালাচ্ছে, না তাঁর ভাইপো চালাচ্ছেন, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ শনিবার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বালুরঘাটে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সরকারকে এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন। মূলত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা হ্যাক হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোন দিন দেখা যাবে সরকারটাই হ্যাক হয়ে গিয়েছে। সরকার কে চালাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাচ্ছেন, নাকি জামাত চালাচ্ছে, নাকি ভাইপো চালাচ্ছেন, আমরা তো সেটাই বুঝতে পারছি না।’’

    আবাস দুর্নীতি নিয়ে সরব (Sukanta Majumdar)

    হাতিয়ারা পূর্বপাড়াতে নকল নাম দিয়ে জল বিক্রি করার অভিযোগে এক জল ব্যাবসায়ী গ্রেফতার হয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘গোটা রাজ্য জুড়ে এমন খাদ্য দ্রব্যের বিভিন্ন ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। কখনও দামি ব্র্যান্ডকে নকল করা হচ্ছে। কখনও চাইনিজ রসুন ঢুকে যাচ্ছে। এরপরে শুনবো চাইনিজ চাল বাজারে ঢুকে যাবে। সরকার তো এবার চাইনিজ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীও চাইনিজ মুখ্যমন্ত্রীতে পরিণত হবে।’’ আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘গোটা রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতি চলছে। গরিবদের ঘর না দিয়ে বড়লোকরা ঘর পাচ্ছেন। তৃণমূল তালিকায় নাম তুলতেও টাকা নিচ্ছে। তৃণমূল সরকার যা পাবে তাই বেচে দেবে। তৃণমূল সব কিছু বিক্রি করা ছাড়া কিছু জানে না। পারলে পুরো রাজ্যটাকে বেচে দিত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    মর্ডান ইভিএমে ভোট হলে বেশিরভাগ পুরসভাতে জিতবে বিজেপি

    রাজ্যে ১৫৬টা পুরসভার চেয়ারম্যান ঠিক ঠাক করে কাজ করেননি, সেই চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে গঙ্গারামপুর পুরসভা ও বালুরঘাট পুরসভার রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেবে তৃণমূল? এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘তৃণমূল জানে শিক্ষিত লোকরা যাঁরা আত্মনির্ভর, তাঁরা কেউ তৃণমূলকে ভোট দেন না। যদি পুরসভার ভোট মর্ডান ইভিএম দিয়ে হয়, তাহলে বিজেপি বেশিরভাগ পুরসভাতে জিতবে। কয়জনকে সরাবে। শিক্ষিত মানুষরা ভোট দেন না তৃণমূলকে। রাজ্যটাকে এমন করে রেখেছে, রাজ্যে কোনও রোজগার নেই, রাজ্যে কোনও চিকিৎসা নেই, মানুষ ওই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভিক্ষে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁদেরকেই জোর করে তৃণমূলকে ভোট দেওয়াচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: নৃশংসভাবে খুন উস্তির বিজেপি নেতা, মমতাকে ‘রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী’ তোপ সুকান্তর

    BJP: নৃশংসভাবে খুন উস্তির বিজেপি নেতা, মমতাকে ‘রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী’ তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার দ্বীপের মোড় এলাকায়। বাইরে থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় থাকা বিজেপির কার্যালয়ের ভিতর থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত বিজেপি নেতার নাম পৃথ্বীরাজ নস্কর। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর লোকসভার বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনার ছিলেন। তাঁর বাড়ি আটপাড়া এলাকায়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই খুন করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিজেপি নেতা (BJP)

    গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় খোঁজ না পেয়ে গত ৭ তারিখ সন্ধ্যায় উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পুলিশ। শুরুতে খোঁজ না মিললেও পৃথ্বীরাজের ফোন চালু রাখা ছিল বলে পরিবারের দাবি। তাতেই ঘনায় রহস্য। শুক্রবার রাতে সন্দেহের বশে পরিবারের লোকজনেরা বন্ধ পার্টি (BJP) অফিসের জানালা দিয়ে কাপড় জড়ানো অবস্থায় কিছু পড়ে দেখতে দেখে পুলিশে খবর দেন। জানা গিয়েছে, তালা ভেঙে বিজেপির ওই কার্যালয়ে পুলিশ ঢোকে। সেখানে বিজেপি নেতার রক্তাক্ত দেহটি পড়ে ছিল। বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল দেহটি। জামাকাপড় পড়ে ছিল দেহের পাশেই। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তবে, পৃথ্বীরাজের মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। শেষবার তিনি কার সঙ্গে কথা বলেন, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে জায়গায় দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে পৃথ্বীরাজের বাড়ির দূরত্ব মেরেকেটে ১ কিলোমিটার। বাড়ির এত কাছে এই কাণ্ড ঘটে গেল, অথচ কেউ কীভাবে কিছু টের পেল না তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তাহলে কী অন্যত্র মেরে ওখানে দেহ রাখা হয়েছে? সেই প্রশ্নও উঠছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    গত লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির (BJP) পরাজিত প্রার্থী অশোক পুরকাইতের ছায়া সঙ্গী ছিলেন পৃথ্বীরাজ। তখন থেকেই শাসক তৃণমূলের টার্গেট হয়ে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই পৃথ্বীরাজকে অপহরণ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। ওরাই খুন করেছে। তারপর দেহ নিয়ে এসে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ফেলে রেখে গিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন পৃথ্বীরাজ। বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন করলেও পাওয়া যায়নি। এর পর ৭ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। পৃথ্বীরাজের দাদা বলেন, ‘‘আমি সবসময় বাড়িতে থাকি না। ১২টার সময় স্ত্রী ফোন করে বলল, ভাই খুন হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আসতে পারিনি। সকালে এসে শুনলাম নিয়ে গিয়েছে। সাময়িকভাবে ব্যবহার করা হত কার্যালয়টি। বিজেপির আইটি সেলের কর্মী ছিল ভাই। ঠিক ভাবে বলতে পারছি না। কিন্তু আমাদের একটা দুর্গাপুজো হয়। সেখানে জাস্টিস ফর আরজি কর লেখা ব্যানার টাঙানো হয়। বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যান সমাজবিরোধীরা। ভাইয়ের কাছে পার্টি অফিসের চাবি থাকত। অথচ পার্টি অফিসে বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমরা ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’

    মমতাকে নিশানা সুকান্তর

    দলীয় কর্মীকে খুনের ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের এক্স হ্যান্ডলে সুকান্ত দাবি করেন, কয়েকদিন আগে তাঁকে তাঁর নিজের এলাকা থেকেই তুলে নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীবাহিনী। নৃশংস খুনের আগে পৃথ্বীরাজের উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছে। সমাজমাধ্যমে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে লেখেন, ‘‘এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্যের জনবিচ্ছিন্ন, নৃশংস এবং রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কতটা ভয় পেয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আমরা আমাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও রাজ্যের প্রতিটি বিজেপি কর্মীর সুরক্ষার জন্য লড়বো। রাজ্যকে বাঁচানোর সংকল্পে রক্তপিপাসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।’’

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: রেখাকে নিয়ে কুমন্তব্যে নিন্দার ঝড়! চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করতে হল ফিরহাদ হাকিমকে

    Firhad Hakim: রেখাকে নিয়ে কুমন্তব্যে নিন্দার ঝড়! চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করতে হল ফিরহাদ হাকিমকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেখা পাত্রের উদ্দেশে কু-মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে। বিভিন্ন মহলে ওঠে নিন্দার ঝড়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ করেছিলেন রেখা পাত্র (Rekha Patra)। সন্দেশখালির রাস্তায় ফিরহাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে চাপের মুখে দুঃখপ্রকাশ করলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘আমার কথায় ওঁর (রেখার) যদি খারাপ লেগে থাকে, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কোনও নারীকে অসম্মান করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।’’ প্রসঙ্গত, বসিরহাটের হাড়োয়া কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে আগামী ১৩ নভেম্বর। বুধবারই সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন ফিরহাদ। অভিযোগ, সেখানেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং লোকসভায় সেখানকার বিজেপি প্রার্থী রেখার উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

    কী বলেছিলেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?

    হাড়োয়া উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিকে কলঙ্কিত করেছে বিজেপি, সন্দেশখালির মানুষের নামে কুৎসা রটিয়েছে, দেশের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে ভুল বার্তা দিয়েছে। এখানকার মেয়েদেরও বদনাম হয়েছে। কিছু দিন আগে আমার সন্দেশখালির এক বন্ধুর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিংয়ে। কিন্তু ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। বলে, সন্দেশখালি থেকে মেয়ে আনলে পাড়ার লোকে বলবে, সে মেয়ে পবিত্র নয়।’’ এর পরে রেখার (Rekha Patra) উদ্দেশে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেন ফিরহাদ, এমনটাই অভিযোগ।

    গতকালই প্রতিবাদে নামেন সন্দেশখালির মহিলারা

    এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রেখার নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল করেই থানায় যান তাঁরা। সেখানে রেখা পাত্র বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের মন্ত্রী (Firhad Hakim) যে ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সন্দেশখালির মা-বোনেদের যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ জমা দিতে এসেছি। মন্ত্রীরাই যদি এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করেন, তা হলে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি? এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী। আমাকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষা ব্যবহার করেছেন ফিরহাদ। তা আমরা মুখে প্রকাশ করতে পারব না। লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ওঁর পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’’ অবশেষে চাপের মুখে দুঃখপ্রকাশ করলেন ফিরহাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Bypoll: অসম উপনির্বাচনে ২ কোটি টাকায় দলীয় টিকিট বিক্ৰি করেছে কংগ্রেস, বিজেপি মন্ত্রীর দাবিতে চাঞ্চল্য

    Assam Bypoll: অসম উপনির্বাচনে ২ কোটি টাকায় দলীয় টিকিট বিক্ৰি করেছে কংগ্রেস, বিজেপি মন্ত্রীর দাবিতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে উপনির্বাচনে (Assam Bypoll) দলীয় টিকিট ২ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা। এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা (BJP Minister Pijush Hazarika)। তিনি দাবি করেছেন, কংগ্রেস তাদের টিকিট বিক্রি করছে। বেহালি উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে এক নির্বাচনী সভায় এই মন্তব্য করেন পীযুষ। আাগামী ২৩ শে নভেম্বর ওই উপনির্বাচন হবে।

    বিজেপির অভিযোগ 

    বিজেপি মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা বলেন, কংগ্রেসে একাধিক সিনিয়র নেতার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছেন অসমের (Assam Bypoll) জোরহাটের সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ এবং রাজস্থানের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিং। মন্ত্রী হাজারিকার দাবি, কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ন্ত বরা, যিনি সম্প্রতি বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন, তাঁকে টিকিট পাওয়ার জন্য ২ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। এই টাকার অর্ধেক গৌরব গগৈয়ের কাছে এবং বাকি অর্ধেক জিতেন্দ্র সিংয়ের কাছে গিয়েছে। হাজারিকা বলেন, “এটি কংগ্রেস দলের জন্য এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যারা দলের জন্য কাজ করছে, তারা এখন নিজের নেতাদের কাছে প্রতারিত হচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস নেতারা জানতেন জয়ন্ত বরা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন, তার পরেও তার টিকিটকে কেন্দ্র করে ২ কোটি টাকা আদান-প্রদান হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট! বাংলায় শীত কবে থেকে?

    কংগ্রেসের ঘৃণ্য রাজনীতি

    পীযূষ হাজারিকা (BJP Minister Pijush Hazarika) আরও বলেন, কংগ্রেসের এই আচরণ অসমে বিরোধী ঐক্যকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। কংগ্রেসের কারণে বিরোধী জোট ভেঙে গিয়েছে। তারা এককভাবে বেহালি কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে অন্য বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন লড়তে চেয়েছিল। উল্লেখ্য, অসমের (Assam Bypoll) পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩ নভেম্বর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপি, কংগ্রেস, ইউপিপিএল, এজিপি সহ মোট ২৪ জন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • L K Advani: দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সর্বত্র সমাদৃত, ৯৭ বছরে লালকৃষ্ণ আডবানিকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    L K Advani: দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য সর্বত্র সমাদৃত, ৯৭ বছরে লালকৃষ্ণ আডবানিকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতিতে যখন ছাত্র তিনি, পুরোদস্তুর নেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি (Lal Krishna Advani)। ৯৭ বছর বয়সে এখন আর রাজনীতিতে সক্রিয় নন। কিন্তু তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার, ৮ নভেম্বর জন্মদিন আডবানির। ৯৭ বছরে প্রবীণ নেতা। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় আডবানিকে শুভেচ্ছা জানান মোদি। (Lal Krishna Advani Birthday)। 

    জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    ভারতের রাজনীতিতে তিনি লৌহপুরুষ। দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আডবানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, ‘ভারতের উন্নয়নে আডবানিজির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য দেশের সর্বত্র সমাদৃত উনি। বিজেপি-র খুঁটি মজবুত করতে ওঁর ভূমিকা অতুলনীয়। ওঁর দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করি। এই বছর ওনার জন্মদিন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, উনি ভারতরত্ন’। 

    আডবানির অবদান

    অটল বিহারি বাজপেয়ীর সরকারে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আডবানি। বিগত তিন দশকে বিজেপি-কে মূলস্রোতের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার নেপথ্যে আডবানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। নয়ের দশকে লোকসভায় যেখানে মাত্র দু’টি আসন ছিল বিজেপি-র, ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রাপ্তি ঘটে বিজেপি-র। আটের দশকে অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনকে সব স্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যেও ছিলেন আডবানি। সেই দাবি নিয়ে তাঁর নেতৃত্বেই বেরিয়েছিল ‘রথযাত্রা’। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই লালকৃষ্ণ আজবানিকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় কেন্দ্রের তরফে। শারীরিক অসুস্থার কারণে বাসভবনে গিয়ে লালকৃষ্ণ আডবানিকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। 

    শুভেচ্ছা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বর্ষীয়ান নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমাদের প্রাক্তন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানিজিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। গোটা জীবন ধরে তিনি দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য নিজেকে অর্পণ করেছেন। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। সুরক্ষা, একতা এবং সম্প্রীতির লক্ষ্যে কড়া অবস্থান নিয়েছেন তিনি। ভারতের রাজনীতিতে স্বচ্ছতার এক নজির গড়েছেন তিনি। তাঁর সুদীর্ঘ জীবনে তিনি দেশ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের জন্য লড়াই করেছেন। দল এবং আদর্শের জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prakash Javadekar: ওয়াকফ জমির তালিকা প্রকাশের দাবি! কেরলের এলডিএফ এবং ইউডিএফকে কটাক্ষ প্রকাশ জাভড়েকরের

    Prakash Javadekar: ওয়াকফ জমির তালিকা প্রকাশের দাবি! কেরলের এলডিএফ এবং ইউডিএফকে কটাক্ষ প্রকাশ জাভড়েকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরল (Kerala) সরকারের কাছে ওয়াকফ জমির পূর্ণ তথ্য প্রকাশের দাবি জানালেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। মঙ্গলবার পলাক্কাদে এক সভায় বিজেপির এই প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন, এই তথ্যের মধ্যে সরকারি জমি, ব্যক্তিগত জমি, কৃষকদের জমি, এবং অন্য ধর্মের মানুষের জমি—সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে এসব তথ্য ইতিমধ্যেই রয়েছে । সরকারের উচিত ২০ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রকাশ করা।

    ওয়াকফ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

    ওয়াকফকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, এটি বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়াকফ বোর্ড যে কোনও সম্পত্তির দাবি করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, মন্দির বা চার্চের বিষয়ে যদি কোনও বিতর্ক থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষ আদালতে যেতে পারে। কিন্তু ওয়াকফের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তা আদালতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এটি দেশের মধ্যে দুটি ভিন্ন আইন ব্যবস্থা সৃষ্টি করছে, যা কেরলের জনগণ উপলব্ধি করতে পারছে। তাঁর কথায়, ওয়াকফ একটি সাম্প্রদায়িক সমস্যা নয়, বরং এটি অসাম্প্রদায়িক সমাজের বিরুদ্ধে একচেটিয়া মনোভাবের প্রকাশ (Prakash Javadekar)। 

    মুনাম্বাম এলাকায় ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা

    মুনাম্বাম এলাকায় ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রকাশ (Prakash Javadekar)। সম্প্রতি ওই অঞ্চলে জমির অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছে। তিনি কেরল (Kerala) সরকারের কাছে জানতে চান, মুনাম্বামের জমি কি ওয়াকফের অন্তর্গত? ওখানে প্রায় ৬০০ খ্রিস্টান পরিবারের বাস। ওয়াকফ বোর্ডের তরফে তাদের উঠে যেতে বলা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে ওই জমি নাকি ওয়াকফের অন্তর্গত। এই ঘটনায় মুনাম্বামে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদ সুরেশ গোপি এই বিষয়ে কেরালার শাসক জোট (এলডিএফ) এবং বিরোধী জোট (ইউডিএফ)-এর মুসলিম সম্প্রদায়কে তোষণনীতির সমালোচনা করেছেন। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি শোভা সূরেন্দ্রন অভিযোগ করেছেন, এলডিএফ এবং ইউডিএফ মুনাম্বামের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং তারা ওয়াকফ সংশোধনী বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    BJP: ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাব নিয়ে ধুন্ধুমার জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়, কড়া প্রতিক্রিয়া পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও আইনি বৈধতা নেই।” ৩৭০ ধারা ফেরানোর প্রস্তাবের কপি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে এমনই মন্তব্য করলেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি (BJP) বিধায়করা। ৬ নভেম্বর, বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) ফের ৩৭০ ধারা ফেরাতে চেয়ে প্রস্তাব পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধাসভায়। প্রস্তাবটি পেশ করে রাজ্যের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন পদ্ম বিধায়করা। দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচিতে তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। পরে অবশ্য ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় প্রস্তাবটি। সেই প্রস্তাবটিরই কোনও আইনি বৈধতা নেই বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (BJP)

    জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির সুনীল শর্মা বলেন, “প্রস্তাবটি দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত না করেই পেশ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ভাষণ নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু সরকার কৌশলে এবং হঠাৎ করে এই প্রস্তাবটি নিয়ে এল।” তিনি এই প্রস্তাবটিকে ‘অবৈধ’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন (BJP), “এর কোনও আইনি বৈধতা নেই। কারণ এই (জম্মু-কাশ্মীর) বিধানসভা সংসদ বা সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বে নয়।” ৩৭০ ধারাকে ইতিহাস বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আর কেউ এই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না।”

    অমিত মালব্যের বক্তব্য

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “প্রস্তাবটি একটি মজার পরিবর্তন, যা শাসক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।” তিনি লেখেন, “৩৭০ ধারা সম্পূর্ণভাবে পুনর্বহালের ওপর জোর দেওয়ার পরিবর্তে, প্রস্তাবটি এই বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার আহ্বান জানায়— যা ৫ আগস্ট ২০১৯-পরবর্তী বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।”

    আরও পড়ুন: জয়ের পরই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে ফোন মোদির, ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে নমো-প্রশস্তি

    উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা

    এদিকে, ৩৭০ ধারা নিয়ে বৃহস্পতিবারই উত্তপ্ত হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা। এদিন রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় মার্শালদের।এদিন অধিবেশন শুরুর সময় আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ ৩৭০ ধারার সমর্থনে একটি পোস্টার তুলে ধরেন। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক হইচই। এর পর প্রথমে শাসক-বিরোধী দু’পক্ষে শুরু হয় ধস্তাধস্তি, পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, ওই বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল এবং কংগ্রেস। বিজেপির (BJP) জম্মু-কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোটকে নিশানা করে বলেন, “ওরা পাকিস্তানের হাত শক্ত করছে। জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়ার দুই সাংবাদিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। বুধবার দুই সাংবাদিককে বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার? সম্প্রতি কালীপুজোয় দক্ষিণদাড়িতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মঙ্গলবার ‘মাধ্যম’ কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। দীর্ঘ জেরার পর দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন দুজনই আদালতে জামিন পেয়ে যান।  

    কড়া সমালোচনা করলেন সুকান্ত? (Madhyom)

    এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়া অফিসে পুলিশি হানা নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ গণতন্ত্রের ওপর হামলা। মাধ্যম অফিসে পুলিশি হানা, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের গ্রেফতার করার ঘটনা জরুরি অবস্থার শামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে জরুরি অবস্থা জারি করে দিতেন। উগ্রপন্থীদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা উচিত। কিন্তু, এই রাজ্যে তা আমরা করতে দেখিনি। মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টান্তমূলক আদেশ দেওয়া হোক, যাতে পুলিশ এই ধরনের কাজ করতে না পারে। এটা পুলিশ অপরাধ করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার।”

    কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য?

    এই ঘটনা (Madhyom) নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ছে। দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়়ির কাছে কালী মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাটি মাধ্যমের সাংবাদিকরা তুলে ধরেছিলেন। আগুন জ্বলছে, পাথর ছোড়া হচ্ছে। সেই প্রকৃত সত্য ঘটনাটি পোস্ট করা কি অপরাধ? তারপর পুলিশ ওই মিডিয়ার অফিসে হানা দেয়। দুজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন আদালতে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। আদালতের ওপর মানুষের ভরসা রয়েছে। বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে। ’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    BJP: ‘মাধ্যম’ অফিসে পুলিশি হানা, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত-ভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাধ্যম’ কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে (Madhyom) আচমকা পুলিশি হানা এবং ২ সাংবাদিককে গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব যেমন এই ঘটনার নিন্দা করেছে, তেমনি এই ঘটনার খবর পৌঁছে যায় দিল্লিতেও। সেখান থেকেও একের পর এক তীব্র প্রতিবাদ ভেসে আসতে থাকে। ইতিমধ্যেই, অমিত মালব্য এই ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডেলে কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও কড়া সমালোচনা করেছেন।

    ঠিক কী ঘটেছে? (BJP)  

    সম্প্রতি কালীপুজোতে দক্ষিণদাড়িতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মাধ্যম অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা পুলিশের আটজনের একটি দল অফিসে (Madhyom) ঢুকে পড়ে। মূল অভিযোগ, সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এতে নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। মাধ্যম অফিসের কর্মীরা পুলিশকে জানান, সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে যা যা দেখেছেন, সেটাই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এ কথা বারবার বোঝানো হলেও পুলিশ কোনও কথা শুনতে চায়নি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে অফিসের কম্পিউটারের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে এবং শেষমেশ অফিসের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে লেকটাউন থানায় নিয়ে যায়। একইসঙ্গে একটি কম্পিউটার এবং তার যাবতীয় সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। আজ, বুধবার, ধৃত ২ সাংবাদিককে আদালতে পেশ করার কথা।

    আরও পড়ুন: ভোটে কারচুপি মার্কিন মুলুকে! ট্রাম্পের অভিযোগে শোরগোল আমেরিকায়

    কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলনেতা (BJP) শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘ মমতার পুলিশ মা কালীর মণ্ডপ রক্ষা করতে ব্যর্থ। সেই সত্যি খবর ‘মাধ্যম’ পোর্টাল সম্প্রচারিত করেছে। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে।‘‘ 

    মমতার সমালোচনা সুকান্ত

    এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যান্ডলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মাধ্যম’ মাথা উঁচু করে থাকবে। এই লড়াই থামবে না। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে হীরক রানির বিদায় অবশ্যম্ভাবী।‘‘ 

    একাধিক প্রশ্ন তুললেন ভারতী ঘোষ

    প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কি এমার্জেন্সি জারি হয়েছে? সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কোথায়? আর কতদিন এই থ্রেট কালচার সহ্য করবে রাজ্যবাসী?’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    BJP: বাংলায় হিন্দুদের ওপর হামলা! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় হিন্দুদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত (Jotirmoy Singh Mahato)।

    ঠিঠিতে কী লেখা রয়েছে? (BJP)

    চিঠিতে (BJP) লেখা হয়েছে,  “দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতো উৎসব উদযাপনের সময় প্রতিনিয়ত বাধা, পাথর ছোড়া এবং হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। হিন্দু উত্সব এবং ধর্ম পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী হিংসামূলক ঘটনাগুলি পরীক্ষা করে দেখুন। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ এবং নীতিগুলি পর্যালোচনা করুন যা মৌলবাদী উপাদানগুলিকে উত্সাহিত করে বলে মনে হয়। হিন্দু উত্সব এবং ধর্মীয় পালনের ন্যায্য এবং আইনানুগ আচরণ নিশ্চিত করুন। হিন্দু বিরোধী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন এবং চরমপন্থী উপাদানগুলির সঙ্গে কোনও লিঙ্ক রয়েছে কি না তা তদন্ত করুন।” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্যপাল হিসেবে, ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে আপনার কিছু ক্ষমতা রয়েছে, যা এই বিষয়গুলির মোকাবিলা করতে পারে।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’, ইডি তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বঙ্গ বিজেপি

    রাজাবাজারের ঘটনা উল্লেখ চিঠিতে

    সাংসদের (BJP) চিঠিতে রাজাবাজারের ঘটনাও উল্লেখ রয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, “শুধু এই বছর রাজ্যজুড়ে দুর্গা পুজো এবং কালী পুজোর বিসর্জনের সময় বেশ কয়েকটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার রাজাবাজার এলাকায় একটি সাম্প্রতিক ঘটনায় একটি কালী পূজার বিসর্জন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, পুলিশ পরে বিষয়টিকে “পার্কিং বিরোধ” বলে উড়িয়ে দিয়েছে, যা শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং পক্ষপাতিত্বের উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।” প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর কালীপুজোর বিসর্জনের মিছিল চলছিল। সেই সময়  উত্তর কলকাতার নারকেলডাঙ্গা- রাজাবাজারে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF) লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়, ফাটায় টিয়ার গ্যাসের সেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share