Tag: bjp

bjp

  • Tripura Election: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    Tripura Election: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Election) জয়ী বিজেপি। একটি আসনও না পেয়ে মুখ পুড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। এগিয়ে রয়েছে আরও ৫৪টি আসনে। হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। নোটার থেকেও কম ভোট পাওয়ায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ত্রিপুরা বিজেপির সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। এদিকে ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্যে সরকার গড়ার পথে এগোতেই আগরতলায় পার্টি অফিসে ভিড় করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র প্রমুখ। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভার সিংহভাগ আসন বিজেপির ঝুলিতে গেলেও, ১৩টি আসনে জয় পেয়েছে ত্রিপুরার রাজকুমারের দল তিপ্রা মথা। বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ১৪টি আসন।

    ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Election)…

    এদিন সকালে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন মানিক। তার পর কার্যত নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেন ত্রিপুরার (Tripura Election) বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। সারাক্ষণ চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। তারপর যখন নিজের জয়ের খবরটা পেলেন, তখন বাড়ির সবাইকে নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মানিক। জয়ের পরেই রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, ভোটের ফল যাই হোক না কেন, কোনও অশান্তি, গোলমাল করা চলবে না। রাজ্যে বজায় রাখতে হবে শান্তির পরিবেশ। দলের জয়ের খবর আসতেই বেরিয়ে পড়েন পার্টি অফিসের দিকে। সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রকে নিয়ে আবির খেলায় মেতে ওঠেন মানিক। একে অপরকে লাড্ডুও খাইয়ে দেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থাকা সত্ত্বেও কোন জাদুবলে সম্ভব হল ত্রিপুরা (Tripura Election) জয়? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিপুরায় পালাবদলের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জমানায় তীব্র হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। নির্বাচনের মাত্র ৯ মাস আগে বিপ্লবকে সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাতেই বদলে যায় পাশার দান।

    বিপ্লবের রাজত্বকালে ত্রিপুরা বিজেপিতে জন্ম হয় একাধিক গোষ্ঠীর। যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভা রদবদল করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যদিও তার পরেও বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হতে থাকে ক্ষোভের আগুন। মানিক মুখ্যমন্ত্রী হতেই আমূল বদলে যায় ছবিটা। সেই কারণেই ত্রিপুরার কুর্সিতে ফের আসীন হতে চলেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    Adenovirus: টেস্ট কিটের আকাল! অ্যাডিনো চিহ্নিত করতেই জেরবার সরকারি হাসপাতালগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাজ্য জুড়ে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের আতঙ্ক। সাম্প্রতিক দিনে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁইছুঁই। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে রাজ্যে একের পর এক শিশুর মৃত্যু এ বার গভীর চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে প্রশাসনের। অভিভাবকদের পাশাপাশি, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। কলকাতা ছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনো। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের তৈরি। ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। করোনা যেহেতু প্যানিক হয়ে গিয়েছে। করোনার পর যে কোনও একটা ভাইরাস এলেই চিন্তিত। বাড়ির লোকজনকে যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। ওদের উপর একটু বিশেষ নজর দিতে হবে, বাইরে যাতে না বেরোয়। ঘরে রাখাটাই ভাল।”  

    অ্যাডিনো-আতঙ্ক

    মুখ্যমন্ত্রী যতই আশ্বাস দিন পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। বৃহস্পতিবার ভোরেও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হুগলির ১ বছর ৩ মাস বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম শ্রেয়া পাল। জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই শিশুকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি হুগলির সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। দেখা যায় ওই শিশুর শরীরে দানা বেঁধেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় শিশুটির দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। 

    অ্যাডিনোয় শিশুমৃত্যু, রাজ্যকে দুষলেন সুকান্ত

    রাজ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকারের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ, জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ভালো নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এটা বোঝা উচিত নীল সাদা রঙ বিল্ডিং করে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় না। ভালো চিকিৎসক নেই এই এলাকাগুলোতে। আর যার ফলে রোগীদের খালি রেফার করতে হচ্ছে। আর শিশু মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটছে।” তিনি আরও বলেন, “পুরো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হালই বেহাল। এটা সরকারের অপদার্থতা। মাননীয়া না হয় এই বিষয়ে কিছুই জানেন না, বোঝেন না, বা নিজে সব বুঝেও রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।” সুকান্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “শহর কলকাতা থেকে যত দূরে যাবেন, দেখবেন এই ধরনের রোগ যেমন অ্যাডিনো ভাইরাসের জন্য যেরকম ডাক্তার দরকার, সেইসমস্ত ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। লোকজন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এভাবে একটা রাজ্য চলতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    অ্যাডিনো-টেস্ট কিটের আকাল

    সুকান্তর অভিযোগ যে সত্য তার প্রমাণ হল, সরকারি হাসপাতালে কিটের আকাল। এর ফলে সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) বন্ধ অ্যাডিনোর টেস্ট (Adenovirus Test)। এদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে টেস্ট (Private Test) পিছু খরচ ৫ থেকে ২২ হাজার পর্যন্ত টাকা। নাজেহাল অবস্থা রোগীর পরিজনদের। বেসরকারি জায়গায় টেস্টের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে, কোথাও টেস্ট পিছু নেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। কোথাও বা ১৪ হাজার টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে যন্ত্রের সাহায্যে অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়, তাতে একসঙ্গে ২২টি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস চিহ্নিত হয়। একে বলে ভাইরাল প্যানেল। এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিট (Special Test Kit for AdenoVirus)। সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিকালে অ্যাডিনো ভাইরাসের টেস্ট হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে বন্ধ ভাইরাসের চিহ্নিতকরণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) ধরাশায়ী তৃণমূল (TMC)। ঘাসফুল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারালেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি বাম-কংগ্রেস জোট। তবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত সাহা। তাঁর প্রয়াণে শূন্য হয়েছিল আসনটি। সেই আসনেই গোহারা হারল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    সাগরদিঘি উপনির্বাচন (Sagardighi By Election)…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৯ জন প্রার্থী। যদিও মূল লড়াই হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস, তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার মধ্যে। এদিন গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন। গণনা শেষে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। বাইরন জয়ী হতেই অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন সাগরদিঘির বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে বাজি পোড়াতে থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা।

    তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না…

    সাগরদিঘি কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বাইরন। ফল ঘোষণার ঢের আগেই তিনি বলেছিলেন, জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি জয়ী হব। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, পরিবর্তন হবে সাগরদিঘি থেকেই। এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ বাইরনকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই বাইরন বলেন, লিখে রেখে দিন, তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না। দরকারে তৃণমূলকে কিনে নেব।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    দলীয় প্রার্থীর জয়ে (Sagardighi By Election) দৃশ্যতই খুশি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে তো প্রভাব পড়বে। যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় থাকবেই না। এটাই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, তৃণমূল ভোট লুঠের জন্য ক্রিমিনালদের জড়ো করেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে। বাম-কংগ্রেস কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোট করেছে। অধীর বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা বুঝিয়ে দিয়েছেন দ্বিচারিতাকে কীভাবে ধাক্কা দিতে হয়। খেলা এখনও অনেক বাকি আছে। 

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের জড়িয়ে পড়াটা ভালো চোখে দেখেননি ভোটাররা। তার ফলেই ৫০ হাজারে জেতা আসনে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • ADR: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    ADR: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মোট আয়ের ৯৬ শতাংশেরও বেশি অর্থ এসেছিল নির্বাচনী বন্ড থেকে। এই হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিজেপিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। নির্বাচনী বন্ড থেকে অর্থ পাওয়া মানে কর্পোরেট সংস্থা বা বড় প্রতিষ্ঠানের থেকে আসা চাঁদা। এই চাঁদার বেশিরভাগই এসে জমা হয়েছে তৃণমূলের (TMC) ঝুলিতে।

    এডিআর (ADR)…

    নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস, সংক্ষেপে এডিআর (ADR)। বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির আয়-ব্যয়ের খতিয়ান প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। তাতেই দেখা গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বছরে আয়ের নিরিখে তৃণমূল ছিল বিজেপির (BJP) পরেই। কংগ্রেসকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে তৃণমূল। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় বেড়েছিল প্রায় ৬৩৩ শতাংশ। এই আয়ের ৯৬ শতাংশেরও বেশি অর্থ এসেছিল নির্বাচনী বন্ড থেকে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনী বন্ডের বেশিরভাগ চাঁদাই বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে। এডিআরের রিপোর্টে কিন্তু প্রকাশ, সিংহভাগ চাঁদা গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন কমিশনকে ‘কলঙ্ক’মুক্ত করতে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    জানা গিয়েছে, অরুণ জেটলি যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন নির্বাচনী বন্ড (ADR) চালু করে মোদি সরকার। ওই সময় নির্বাচনী বন্ডে স্বচ্ছতা আনার দাবি করেছিল তৃণমূল। তাদের দাবি ছিল, কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন দলকে চাঁদা দিচ্ছে, তা আনা হোক তথ্যের অধিকার আইনের আওতায়। এডিআরের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিজেপির মোট আয় ছিল প্রায় ১৯১৭ কোটি টাকা। তৃণমূলের আয় ছিল ৫৪৫.৭৫ কোটি টাকা। আর কংগ্রেসের আয় ছিল ৫৪১.২৭ কোটি টাকা। এই টাকার শতকরা ৭৪ ভাগ অর্থই খরচ করে ফেলেছে কংগ্রেস। যদিও অর্ধেক টাকা খরচ করতে হয়নি বিজেপি এবং তৃণমূলকে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে আয়েও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। ওই অর্থবর্ষে এই খাতে বিজেপি আয় করেছে ১০৩৩ কোটি টাকা। তৃণমূলের আয় ছিল ৫২৮ কোটি টাকা। আর কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২৩৬ কোটি টাকা। এডিআরের (ADR) ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের আটটি জাতীয় দলের সম্মিলিত আয় ৩,২৮৯.৩৪ কোটি টাকা। এর ৫৮.২৮ শতাংশই গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     

     

  • RSS: সংগঠনের বিস্তার প্রয়োজন, পরিকল্পনা করতে পানিপথে তিনদিনের বৈঠকে আরএসএস

    RSS: সংগঠনের বিস্তার প্রয়োজন, পরিকল্পনা করতে পানিপথে তিনদিনের বৈঠকে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে শতবর্ষপূর্তি আরএসএসের (RSS)। এই উপলক্ষে গোটা দেশে এক লক্ষ শাখা খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য পূরণ হতে আরও কিছুটা বাকি। তার ওপর আগামী বছরই রয়েছেন মহারণ। লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানো প্রয়োজন। সামনেই ৬টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এসবের জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। বিরোধীদের মাত দিতে তৈরি করা প্রয়োজন সঠিক রণকৌশল। এই রণকৌশল স্থির করতেই চলতি মাসের ১২-১৪ তারিখ পর্যন্ত হরিয়ানার পানিপথে বৈঠকে বসতে চলেছে আরএসএসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha)।

    আরএসএস (RSS)… 

    গত বছর আরএসএসের বৈঠকে গোটা দেশে এক লক্ষ শাখা খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে খোলা হয়েছে ৮০ হাজার কেন্দ্র। আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি হবে ২০২৫ সালে। তার আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই যে বাকি ২০ হাজার শাখা কীভাবে খোলা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে তিনদিনের ওই বৈঠকে। বৈঠকে যোগ দেবেন প্রায় ১৪০০ কর্মী।

    বুধবার আরএসএসের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর বলেন, গত এক বছরের কার্যকলাপের রিভিউ হবে তিনদিনের ওই সভায়। ২০২৩-২৪ সালের পরিকল্পনা ও রণকৌশলও ছকা হবে। আরএসএস সূত্রে খবর, কর্মকর্তা তৈরি করা এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ নিয়েও আলোচনা হবে। সুনীল বলেন, আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ উৎসব শুরু হতে চলেছে। তাই শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের রূপরেখা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে সেখানে। আরএসএসের এই তিনদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত সহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। আরএসএসের একটি সূত্রের খবর, বৈঠকে দেশে হিন্দুত্বের বিকাশ, মুসলিমদের ভূমিকা, ধর্মান্তকর ছাড়াও বিলগ্নিকরণের মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুুন: ‘ভবিষ্যতের শহরের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়া জরুরি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আরএসএস (RSS) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পানিপথের এই সভা থেকেই রাজ্যওয়াড়ি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী এক বছর সংঘের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এই সভায় বাংলা থেকে ৮৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারেন। এর মধ্যে তিনটি প্রান্ত থেকে ৩২ জন প্রতিনিধি এবং ৫৪ জন বিভাগীয় কর্মী উপস্থিত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, বাংলায় শাখার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত স্বয়ং। তবে তাতেই থেমে থাকতে রাজি নন আরএসএস কর্তারা। এবার প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি পঞ্চায়েতে সংগঠনের বিস্তার চান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে শাসক দলের প্রতীক থাকলে যেন সাত খুন মাফ। রাস্তায় পুলিশও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না। রাজ্যে ঘাসফুল পতাকার মাহাত্ম্যই আলাদা। আর এই পতাকা ব্যবহার করেই দেদার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে অনেকেই। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে, বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ এবার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই যেমন সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে চারচাকা গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাওয়ার (Cattle Smuggling) জন্যই তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িতে করে একটি মাত্র গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচার না অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন, মাত্র একটি গরু চারচাকা গাড়ি করে নিয়ে যেতেও কী শাসক দলের প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। পাচারকারীরা কী ধরেই নিয়েছে এই পতাকা থাকলে সাত খুন মাফ। এসব পাচার করতে রাস্তায় কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Cattle Smuggling)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি দুধ সাদা গাড়ি সোদপুর ট্রাফিক মোড় ধরে যাচ্ছিল। গাড়ির পিছনের দিকে কালো কাচ তোলা ছিল। সামনের দিকে তৃণমূলের পতাকা গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের নিচে রাখা ছিল। ফলে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হতেই পারে একজন শাসক দলের কোনও হোমড়াচোমরা গাড়ির মধ্যে রয়েছেন। ফলে, গাড়ি আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। এই ভেবেই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, গাড়ির চালচলন দেখেই সোদপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করে রক্ষা হচ্ছে না দেখে অগত্যা চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু, জনবহুল বিটি রোডে বেশি দূর গাড়ি যেতে পারেনি। পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তার ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। পুলিশ গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ধরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে গাড়ির মধ্যে থাকা চালক এবং খালাসি বা পাচারকারি গাড়ি ফেলে রেখে পগার পার। আর গাড়ি খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। চারচাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু (Cattle Smuggling)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গরুটিকে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, গাড়ি করে গরুটিকে কোথায় থেকে নিয়ে এসে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    এই নিয়ে কী বলছেন তৃণমূল নেতা। খড়দহ যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, একটি গরু চার চাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দলের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আসলে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই, ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।

    আর বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গরু পাচার (Cattle Smuggling), বালি পাচার সব কিছুই তৃণমূলের মদতেই ঘটছে। পাচারকারীরাও নিজেদের শাসক দলের কর্মী ভাবছেন। আমরা বার বার অভিযোগ করে এসেছি। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে আবারও বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। বুধবার এই মেয়াদ বাড়িয়ে করা হল ৯ মার্চ পর্যন্ত। যার অর্থ হল, ৯ মার্চ পর্যন্ত ভোট ঘোষণা করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)…

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবির পাশাপাশি আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাছাড়া তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। তার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে শুভেন্দুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Panchayat Election)। তারা আদালতকে বলে, এখনই যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া না হয়। এদিন শুভেন্দুর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও আইনজীবী। তার জেরে পিছিয়ে যায় শুনানি। পরে স্থগিতাদেশের কথা জানায় আদালত।

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে ফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে পারবে না কমিশন। তার পর এদিনও বাড়ানো হল অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Cut Money: ‘আর কত খাবেন?’, দলীয় প্রধানকে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের

    Cut Money: ‘আর কত খাবেন?’, দলীয় প্রধানকে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা! যে ঘাসফুল প্রতীকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি, সেই দলেরই এক পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, আর কত খাবেন (পড়ুন কাটমানি) (Cut Money)? হাতে আর মাত্র ৩ মাস। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের। কোনও কোনও জায়গায় আবার কাটমানি ফেরতের দাবিতেও হয়েছে বিক্ষোভ। তার পরেও বন্ধ হয়নি কাটমানি খাওয়া। বিরোধী ও জনতার সেই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক। করলেন বাপবাপান্তও।

    প্রসঙ্গ কাটমানি (Cut Money)…

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন। সম্প্রতি দিদির দূত কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কাটমানি খাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে। বিধায়কের হুঁশিয়ারি-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    গিয়াসউদ্দিন বলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে রাখা হয়েছিল। প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য-কেউই আসেননি। সব সদস্যকেই সুবিধা-অসুবিধার কথা বলি। কিন্তু কেউ আসেননি। এর পরেই বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত কি বাপের সম্পত্তি (Cut Money)? আর তিনটে মাস বাকি আছে। কত বাপের বেটা আমরা দেখে নেব। তিনি বলেন, বাপ সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত। বাপ জন্ম দিয়েছে, কর্ম করেছে? কর্ম করেছে গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কর্ম করতেই সে খারাপ। আপনারা উত্তর কুসুমের লোক। আপনারা যদি ঠিক থাকেন ৩ মাস পরে পঞ্চায়েত হবে। পঞ্চায়েতের (Cut Money) বুথে বুথে আমরা ভাল এবং শিক্ষিত লোকদের টিকিট দেব।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    উত্তর কুসুমের পঞ্চায়েত প্রধান কুতুব লস্কর বলেন, ভদ্রলোক যা বলেছেন, তা মিথ্যে কথা। আমি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সততার সঙ্গে কাজ করছি। আগামিদিনে কী হবে, তার উত্তর জনগণই দেবেন। তিনি বলেন, কে কী বলল তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। বিজেপির (BJP) জেলা নেতা সুফল ঘাটু বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি যে দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে, বিধায়কের কথায়ই তা স্পষ্ট। উত্তর কুসুম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে উপপ্রধান সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের মা

    Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে মারা গিয়েছেন ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence), আর আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তাঁরই মা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। আর এই মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে আদালতে গিয়েছিলেন অভিজিতের মা মাধবী সরকার। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শিয়ালদহ আদালতে এদিন সকালে সাক্ষ্য দিতে পৌঁছান তিনি। কিন্তু রাস্তায় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিহত বিজেপি কর্মীর মা। এর পর পুলিশই তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফলে আজ আর তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হল না।

    কী ঘটেছিল (Post Poll Violence)?

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ উঠে ছিল। ওই বছরের ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এর পর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারধর, হুমকি লুঠপাট সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালেরও। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিবিআই। কিন্তু, তাঁর নাম সিবিআই চার্জশিটে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ নিহতের মা (Post Poll Violence)

    এদিন সকাল ১১টায় শিয়ালদহ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিহত অভিজিতের মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড হওয়ার কথা ছিল (Post Poll Violence)। সেই মত তাঁকে নারকেলডাঙা থানার পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। মাধবী সরকারের সঙ্গে ছিলেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারও। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা যখন আদালতের ভিতরে ঢুকছিলেন, তখনই মাথা ঘুরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাধবী সরকার। মায়ের মাথা ঘুরে পড়ে যেতে দেখে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন বিশ্বজিৎ ও আশপাশের লোকেরা। প্রথমে তাঁকে আদালত চত্বরের ভিতরেই একটি বেঞ্চে নিয়ে গিয়ে বসানো হয়। কিন্তু মাধবী দেবীর শারীরিক অসুস্থতা ক্রমেই বাড়তে থাকায় তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীদের সাহায্য নিয়ে বিশ্বজিৎ সরকার তাঁকে সেখান থেকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত সেখানেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অভিজিতের পরিবারকে মামলা (Post Poll Violence) তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাক্ষীকে হুমকি দেন দুষ্কৃতীরা। সোমবার সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। তাঁরা পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানার পুলিশকে অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Meghalaya Poll: মেঘালয়ে নির্বাচন, ৮ ঘণ্টা ট্রেক করে বুথে পোলিং টিম!

    Meghalaya Poll: মেঘালয়ে নির্বাচন, ৮ ঘণ্টা ট্রেক করে বুথে পোলিং টিম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচন (Meghalaya Poll)। সোমবার বিধানসভার ৫৯টি আসনে হতে চলেছে ভোট গ্রহণ। মোট আসন ৬০টি। ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এইচডিআর লিংডোর প্রয়াণের কারণে সোহিয়ং বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪১৯ পোলিং টিমকে (Polling Team) লাগানো হয়েছে ভোটের কাজে।

    দুর্গম…

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এফআর খাড়কোংগর সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ইতিমধ্যেই ৯৭৪টি পোলিং টিম ভোট কেন্দ্রের দিকে রওনা দিয়েছে। শনিবার রাত্রি সাড়ে ৯টার মধ্যে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে ৮৯৩টি পোলিং টিম। তিনি বলেন, পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেকিং করেছে অনেক পোলিং টিম, কর্দমাক্ত নদীও পার হয়েছে কোনও কোনও পোলিং টিম, কোনও কোনও এলাকায় পোলিং টিমকে যেতে হয়েছে রোপওয়ে দিয়ে। নির্বাচনী আধিকারিকদের নৌকায় করে যেতে হয়েছে আমলারেম বিধানসভার কামসিং ভোট কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন মাত্র ৩৫ জন। ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম নিয়ে যেতে কোনও কোনও পোলিং টিম খাসিদের ঝুড়ি কোহ-র সাহায্য নিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, কোনও ভোটার যেন বাদ না যান।

    আরও পড়ুুন: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    সাউথ গারো পাহাড়ের একটি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছতে নির্বাচনী আধিকারিকদের ৮ ঘণ্টা ট্রেক করতে হয়েছে। কোনও কোনও টিমকে (Meghalaya Poll) গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেক করতে হয়েছে ঘণ্টা চারেক। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, বাকি যে ২ হাজার ৪৪৫ পোলিং টিম তারা গন্তব্যের দিকে রওনা দিচ্ছে আজ, রবিবার। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৪১৯ বুথের মধ্যে ৬৪০টি বুথকে অসুরক্ষিত বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩২৩টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। ৮৪টি বুথ অসুরক্ষিত এবং উত্তেজনাপ্রবণ।

    মোট প্রার্থী ৩৬৯ জন। তাঁদের মধ্যে মহিলা প্রার্থী ৩৬ জন। নির্দল হিসেবে লড়ছেন ৪৪ জন প্রার্থী। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এনপিপি ১৯টি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ২১টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ২টি আসন। ৬টি আসন পেয়েছিল ইউডিপি। কংগ্রেস ছিল একক বৃহত্তম দল। তবে ইউডিপি, বিজেপি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলের সমর্থনে সরকার গড়ে এনপিপি নেতৃত্বাধীন মেঘালয় ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share