Tag: bjp

bjp

  • Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সহ একাধিক দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Corona)। ভারতেও (India) খবর মিলেছে  সংক্রমণের। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসভা বাতিল করেছেন তিনি। সংসদ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেখানে ভিড় হচ্ছে, সেখানেই মাস্ক পরে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় করোনা বিধি না মেনেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। করোনা সংক্রমণের আবহে তাঁর এই কর্মসূচি কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    ভারত জোড় যাত্রা…

    কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। এই পদযাত্রায় শামিল হয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী। বর্তমানে হরিয়ানায় পালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। তার আগে হয়েছে রাজস্থানে। রাহুলের ভারত জোড় যাত্রা যখন রাজস্থানে, তখনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য রাহুলকে চিঠি লিখে করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। না হলে আপাতত যাত্রা স্থগিত রাখার নিদান দেন। তার পরেও ভারত জোড় যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। আগামিকাল, শনিবার ভারত জোড় যাত্রা ঢুকবে দিল্লিতে। বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে শনিবারের পর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই কর্মসূচি।

    রাহুলের এই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচিতে অনড় থাকার সিদ্ধান্তে তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, মাসাধিক কাল ধরে চলছে ভারত জোড় যাত্রা। এর মধ্যে ফের হানা দিয়েছে করোনা। করোনার মোকাবিলায় ভারত সরকার পদক্ষেপ করছে। তাহলে কংগ্রেস কেন বিরোধিতা করছে? করোনাবিধি সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এনএস তোমর বলেন, গোটা দেশেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। দল বাঁচাতে হচ্ছে ভারত জোড় যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে নিউ ইন্ডিয়া নির্মাণ হচ্ছে, তা হজম করতে পারছে না কংগ্রেস। করোনা বিধিকে রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা না করাই ভাল। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি জোশী বলেন, আমি চাই রাহুল গান্ধী ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচি পালন করুন। তাঁর একটা রেকর্ড রয়েছে। সেটি হল, যেখানেই তিনি যান, সেখানেই কংগ্রেস পরাজিত হয়। তবে আমি আশা করব, তিনি করোনাবিধি মেনে চলবেন।

     

  • Vande Bharat Express: বাংলাকে প্রাক-নববর্ষের উপহার প্রধানমন্ত্রীর! এ রাজ্যেও চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, জানুন কবে

    Vande Bharat Express: বাংলাকে প্রাক-নববর্ষের উপহার প্রধানমন্ত্রীর! এ রাজ্যেও চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, জানুন কবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make In India) স্বপ্ন বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে (Vande Bharat Express)। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই এক্সপ্রেস ট্রেন। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি রুটে চলছে সেমি হাইস্পিডের এই ট্রেন। এবার চলবে বাংলায়ও। জানা গিয়েছে, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটেই চলবে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের ৩০ তারিখে এই ট্রেনের যাত্রার সূচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেটা হলে, এটাই হবে বাংলাকে প্রধানমন্ত্রীর প্রাক নববর্ষের উপহার।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস…

    প্রযুক্তিগত দিক থেকে শুরু করে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ, সব দিক থেকেই বিশ্বের আধুনিক ট্রেনগুলিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে সেমি হাইস্পিডের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্টের মধ্যে ভারতজুড়ে চলবে ৭৫টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে এ দেশে প্রথম চলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী ও দিল্লির মধ্যে প্রথম ছুটেছিল এই ট্রেন। ট্রেনটির গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে রেলওয়ে ট্র্যাক ঠিক থাকলে গতিবেগ বাড়ানো যেতে পারে ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে এখন সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। বন্দে এক্সপ্রেস এই পথই অতিক্রম করবে মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায়।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যে চলবে, সে কথা জানান দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত। শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংসদ বলেন, যখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করা হবে, তখন মানুষ অনেক দ্রুত নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। তিনি বলেন, এটা এই অঞ্চলের (উত্তরবঙ্গ) উন্নয়নের ক্ষেত্রে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবে। সূত্রের খবর, ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়তে চলেছে সন্ধ্যে নাগাদ।

    এদিকে, রেলমন্ত্রকের আশ্বাস, পূর্ব ভারতে অন্তত পাঁচটি রুটে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। আগামীতে হাওড়া-রাঁচি, হাওড়া-ঝাড়সুগুদা, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, হাওড়া-পাটনা রুটেও পরবর্তীতে চালানো হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, মূলত পর্যটক ও সময় বাঁচাতে চাওয়া ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখেই চালু হবে এই পরিষেবা। রেল সূত্রে খবর, কয়েকটি রুটে শতাব্দী এক্সপ্রেসের বদলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে শতাব্দীর পাশাপাশি চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: ‘বিজেপির একটি কুকুরও প্রাণ দেয়নি…’, খাড়গের মন্তব্যে উত্তাল রাজ্যসভা

    Mallikarjun Kharge: ‘বিজেপির একটি কুকুরও প্রাণ দেয়নি…’, খাড়গের মন্তব্যে উত্তাল রাজ্যসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিজেপির (BJP) একটি কুকুরও প্রাণ দেয়নি…’। কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট তথা রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) এহেন মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্যসভা। রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীনই ক্ষমা চাইতে হবে কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টকে, মঙ্গলবার এই দাবি তোলে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, গোটা দেশের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার পরে মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন কংগ্রেস পার্টি তুলে দেওয়া হোক। গোয়েল বলেন, মহাত্মা কেন বলেছিলেন তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, যেভাবে তিনি (খাড়গে) বাজে শব্দ প্রয়োগ করেছেন, সেটা তাঁর চিন্তাভাবনা এবং হিংসার প্রকাশ। তাঁর দলকে লোকে গ্রহণ না করায় তিনি হিংসা করতেই পারেন। তবে এই ধরনের ভাষার ব্যবহার হাউস এবং দেশবাসীর পক্ষে অপমানজনক।

    খাড়গে বলেন…

    সোমবার ভারত জোড় যাত্রায় যোগ দিতে আলওয়ারে যান কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি (Mallikarjun Kharge) বলেন, দেশের জন্য বিজেপির একটি কুকুরও প্রাণ দেয়নি। কংগ্রেস দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, যাদের কুকুরও দেশের জন্য প্রাণ দেয়নি, তারা সরব। আমরা কিছু করলেই তা দেশ বিরোধী বলা হচ্ছে। খাড়গে বলেন, আমাদের দুই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত হয়েছেন। এদিনের বক্তৃতায় ভারত-চিন প্রসঙ্গও টানেন খাড়গে। বলেন, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য কংগ্রেসের সকলে আছেন। আমরা এক সঙ্গে দেশকে রক্ষা করব। এর পরেই তিনি বলেন, কেন চিন নিয়ে বারবার অবস্থান বদলাচ্ছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: ‘সমলিঙ্গে বিয়ে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করবে’, সুশীল মোদি

    কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যের পরেই খাড়গের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব হয় বিজেপি। বিজেপি সদস্যদের সমবেত প্রতিবাদে উত্তাল হয় রাজ্যসভা। তার পরেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন খাড়গে। তিনি বলেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট বলেন, যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন, আপনি তাঁদের ক্ষমা চাইতে বলছেন? খাড়গের (Mallikarjun Kharge) মন্তব্যের জেরে রাজ্যসভা যখন কার্যত উত্তাল, তখন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় বলেন, দেশের ১৩৫ কোটি মানুষ আমাদের উপহাস করছেন। তাঁরা ভাবছেন, আমরা কত নীচে নেমে গিয়েছি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter 

  • Primary TET 2022: টেট পরীক্ষায় শাঁখা-পলা পরে ঢুকতে বাঁধা, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    Primary TET 2022: টেট পরীক্ষায় শাঁখা-পলা পরে ঢুকতে বাঁধা, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট (Primary TET 2022) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে দাবি করা হয় যে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিবাহিত মহিলাদের শাঁখা-পলা খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধী দল বিজেপিও। আর এর পরেই এই অভিযোগে পর্ষদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

    টেট পরীক্ষা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা

    প্রাথমিক টেট নিয়ে দূর্নীতির তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ থেকে, স্বজনপোষণ সহ একাধিক অভিযোগে জর্জরিত রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতেই ফের পর্ষদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল। প্রাথমিক টেট পরীক্ষা কেন্দ্রে হিন্দু মেয়েদের হাত থেকে শাঁখা-পলা খোলানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন মৌমিতা চক্রবর্তী নামে এক চাকরিপ্রার্থী। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদিকা পারমিতা দে এই বিষয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন যে,  ‘কেন এই কারণে পরীক্ষা দিতে পারলেন না চাকরিপ্রার্থী? তার যে ক্ষতি হল সেটা কে পূরণ করবে?’ মামলাকারীর অভিযোগ সরাসরি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: শাঁখা-পলা পরে টেট পরীক্ষায় বসতে বাধা, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপি বিধায়কের

    বিজেপি মহিলা মোর্চা কর্মীদের প্রতিবাদ

    শুধুমাত্র এক জায়গা থেকে অভিযোগ উঠে আসেনি। শাঁখা-পলা-নোয়া পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে একাধিক জেলা থেকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে গেরুয়া শিবির। গত বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চা কর্মীদের পথে নামতেও দেখা যায় জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে।

    শাঁখা, পলা খুলে টেট পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিয়মের বেড়াজালে টেট পরীক্ষাই দেওয়া হয়নি জলপাইগুড়ির এক গৃহবধূর। জলপাইগুড়ি সেবাগ্রামের গৃহবধূ মৌমিতা চক্রবর্তী জানান, “দীর্ঘদিন বাদে এবারের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা দিয়ে একটা চাকরি পাব আশা করেছিলাম৷ জলপাইগুড়ি দেবনগরের সতীশলাহিড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী কোনও অলঙ্কার পরে যাওয়া যাবে না। তাই বাড়িতেই সমস্ত সোনার গয়না খুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে থাকা পুলিশ কর্মীরা আমার শাঁখা ও পলা খুলতে বলে। আমি খুলতে পারব না জানিয়ে দিই। কারণ বিয়ের পর থেকে আমি শাঁখা পলা হাত থেকে খুলিনি। এবারও খুলতে না পারায় তাই পরীক্ষা কেন্দ্রে না ঢুকতে পেরে বাড়ি চলে আসি।”

    আর এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চার সমর্থকরা বুধবার ডিবিসি রোডের অফিস থেকে মিছিল করে কোতয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। আর এবারে পর্ষদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাও করা হল। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

  • Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    Asansol tragedy: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বুধবার আসানসোলের (Asansol) ওই দুর্ঘটনায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আসানসোল উত্তর থানায়। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা করা হয়েছে। ই অভিযোগের ভিত্তিতে কম্বলদান কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি সহ বিজেপির কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও রুজু হয়েছে মামলা। এদিকে, কম্বলদানের কর্মসূচিতে বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকণ্ঠম বলেন, কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে।

    অভিযোগ…

    পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি সহ একাধিক নেতার নামে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বুধবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ঝালি বাউরির ছেলে সুখেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তবে অভিযোগপত্রের কোথাও নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর। জিতেন্দ্র, চৈতালি ও বিজেপি কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জিতেন্দ্রও বলেন, তৃণমূল তাড়াহুড়ো করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    আসানসোলের ওই দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। কেন দশ দিন আগে অনুমতির আবেদনের চিঠি পেয়েও তারা কোনও উত্তর দেয়নি, সে প্রশ্ন তুলেছেন আয়োজকরা। দুর্ঘটনার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তিনি ঘটনাস্থল ছাড়ার পর সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয় নিরাপত্তা। তার পরেই ঘটেছে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। এত জমায়েত নজরে আসা সত্ত্বেও কেন নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল, কেনই বা সরিয়ে নেওয়া হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের অনেকেই। প্রসঙ্গত, আসানসোলের ওই অনুষ্ঠানে পাঁচ হাজার মানুষকে কম্বল দান করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছোট জায়গায় প্রচুর লোক জড়ো হয়ে যাওয়ার বিপর্যয় ঘটে বলে অনুমান। ওই ঘটনায় বিজেপির নাম জড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jharkhand Crime: ঝাড়খণ্ডে যুবতীকে খুন করে ৫০ টুকরো, গ্রেফতার তাঁর স্বামী

    Jharkhand Crime: ঝাড়খণ্ডে যুবতীকে খুন করে ৫০ টুকরো, গ্রেফতার তাঁর স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) ৩৫ টুকরো করা হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকারের দেহ। রাজস্থানের জয়পুরে কাকিমাকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করেছেন এক শিক্ষিত যুবক! এবার প্রায় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)। ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে স্ত্রীকে খুন করে ৫০ টুকরো করল জনৈক যুবক। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রুবিকা পাহাদিন। তাঁর স্বামী দিলদার আনসারিই তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। দিলদারকে আটক করেছে পুলিশ।

    রুবিকা-দিলদার…

    পুলিশ সূত্রে খবর, রুবিকা দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বছর দুয়েক ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। সম্প্রতি বিয়ে করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সাহেবগঞ্জের সান্থালি মোমিন তোলা এলাকা থেকে এক মহিলার টুকরো টুকরো দেহাংশ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করেছিল, বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ওই মহিলাকে ফাঁকা, শুনশান জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে খুন করা হয় তাঁকে। টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। ওই যুবতীর পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গেলে দেহাংশ উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। দেহ শনাক্ত করেন মৃতের পরিবারের লোকজন।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া! কাকিমাকে খুন করে ১০ টুকরো করলেন যুবক

    সাহেবগঞ্জের পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বছর বাইশের এক যুবতীর দেহের ১২টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে। ওই যুবতী আদিবাসী সম্প্রদায়ের। এখনও শরীরের বেশ কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ ওই যুবতীর স্বামী দিলদার আনসারিকে আটক করেছে। যাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তিনি দিলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।

    ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন বিজেপির ঝাড়খণ্ড মুখপাত্র প্রতুল সহদেব। তিনি বলেন, হেমন্ত সরকারে আমলে কন্যা সন্তানদের ওপর নৃশংসতার ঘটনা বাড়ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু ফ্রাসট্রেটেড মানুষ এই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তার পরেও সরকার ঠুঁটো হয়ে বসে রয়েছে। কিছুই করছে না। তিনি বলেন, যদি সরকার দৃঢ় কোনও পদক্ষেপ না করে, তাহলে আমরা পথে নামব। সরকারকে যোগ্য জবাবও দেব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার রাতে শহরে এসে মুরলী ধর সেন লেনে দলের রাজ্য় সদর দফতরে পা দিয়েই বাংলায় দলের নেতাদের এই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি।

    শাহী পরামর্শ

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখান থেকে রওনা দেয় অমিত শাহের কনভয়। গাড়ির সামনের সিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক তাঁর পিছনের সিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, মঙ্গল পাণ্ডে, সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, খগেন মুর্মু, সুভাষ সরকার, স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ। 

    আরও পড়ুন: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন আধ ঘণ্টার বৈঠকে অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বেশি আসনে বিজেপি-র জয় চান তিনি। আর সেই লক্ষ্য়মাত্রা পূরণ করতে বুথ স্তর থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য় দলের রাজ্য় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, সেই ভোটের রণকৌশল নিয়েও এদিন কথা বলেন অমিত। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য় নেতাদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলায় আগের থেকে বিজেপির শক্তি বেড়েছে। সেই শক্তি আরও বাড়াতে হবে। সেই জন্য় বুথস্তর থেকে সংগঠন মজবুত করতে হবে। আমার আশা গত লোকসভা ভোটে যত আসন পেয়েছিলাম, এবার তার থেকে বেশি আসন পাবো। সেই লক্ষ্য়ে কাজ করতে হবে।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন রাজ্য় নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী করার উপরেই বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংগঠন মজবুত করতে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি। বাকি বিষয় কেন্দ্র দেখবে বলে রাজ্য় নেতাদের আশ্বাস দেন অমিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বিএসএফ নয়, সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহাররে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাবদ এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে আন্তর্দেশীয় সীমান্ত ছাড়াও আন্তর্রাজ্য সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    কী বললেন অমিত

    বিশেষ সূত্রে খবর, এদিন অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ঠিক ততটা রাজ্যেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি।” পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। 

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সীমান্ত নিরপত্তায় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অর্থ দাবির পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের পাওনা টাকার কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার নামে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানরা এই বৈঠকে ছিলেন। সদস্য রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। নবান্নে শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর শহরে আরও কয়েকটি কাজ সেরে বিকেলেই দিল্লি উড়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    BJP: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর (Nehru) ভারত (India) নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের (China) কাছে। এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। এ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধীও। তাঁর দাবি, চিন যখন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্বেগ নেই। সরকার বিষয়টিতে গুরুত্বই দিচ্ছে না। রাহুলের এহেন মন্তব্যেরই পাল্টা দিল বিজেপি।

    রাহুলকে নিশানা…

    বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন রাহুল গান্ধী। এদিন তাঁকেই নিশানা করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজ্যবর্ধন রাঠোর। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী চিনের এতটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন যে তিনি বুঝে যাচ্ছেন, চিন এবার কী করবে। রাহুলকে মুখের মতো জবাব দিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টানেন বিজেপির মুখপাত্র। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারত জোড় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন, যাতে দেশের সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এর পরেই তিনি বলেন, এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়, যিনি ৩৭ হাজার ২৪২ কিলোমিটার হারিয়েছিলেন চিনের কাছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তি হয়েছে বলেও দাবি করেন রাঠোর। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চলে চিনের টাকায়। তার পরেই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের চুক্তির হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাঠোর বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিকবার দখলদারির চেষ্টা করেছিল চিন। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে তিনগুণ। প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় হাতাহাতি হয় চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার। এই প্রসঙ্গেই রাহুল বলেছিলেন, লাদাখের কাছে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। এর পরেই রাহুলকে একহাত নেয় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: নিজের রাজ্যে খুঁজুন পাপ্পুকে দেখতে পাবেন! মহুয়াকে কড়া জবাব নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: নিজের রাজ্যে খুঁজুন পাপ্পুকে দেখতে পাবেন! মহুয়াকে কড়া জবাব নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের রাজ্যে খোঁজ করুন, ‘পাপ্পুর’দেখা পেতে পারেন।  তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কড়া জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ‘পাপ্পু’ প্রসঙ্গ তুলে আগে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন মহুয়া। দেশের অর্থনীতি পরিচালনা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ। এর জবাবে নির্মলা বলেন, তৃণমূল নেত্রী পশ্চিমবঙ্গে নিজের আঙিনায় যদি খোঁজ করেন সেখানে ‘পাপ্পুর’দেখা পেতে পারেন।

    মহুয়ার কথা

     প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লোকসভায় মহুয়া বলেন দেশের আর্থিক উন্নতি নিয়ে মিথ্যা কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘প্রত্যেক ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে দেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে, সকলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা যেমন গ্যাস সিলিন্ডার, বাড়ি ও বিদ্যুৎ পরিষেবা পাচ্ছেন। এগুলো সবই মিথ্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। দেশের অর্থনীতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে অনুরোধ করছি দেশের অর্থনীতি সামলান।’ এসবের পাশাপাশি তিনি ‘পাপ্পু’ বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষও করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার ও শাসক দল এই পাপ্পু শব্দটি তৈরি করেছে। চরম অক্ষমতা বোঝাতে এবং তার নিন্দা করতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে আসল পাপ্পু কে।’ এবার মহুয়া মৈত্রের এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সংসদে দাঁড়িয়ে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন তিনি। 

    নির্মলা যা বললেন

    এর আগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন যে পাগলের হাতে ম্য়াচিস কে দিল? সরকারের দিকে আয়না ধরুন। দেখে নিন আসল পাপ্পু কে? তারই জবাবে নির্মলা জানিয়েছেন, দেশলাই কার হাতে রয়েছে। এটা উদ্বেগের ব্যাপার। কাদের হাতে দেশলাই দিলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ মানুষ দিয়েছেন। জনতা দিয়েছেন। এটা আমরা ছোট করে দেখতে পারি না। কিন্তু কাদের হাতে দেশলাই কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি গুজরাটে বিজেপির বড় জয় হয়েছে। ভোট পরবর্তী সময়ে কী হয়েছে সেখানে? শান্তির বাতাবরণ। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একবার তুলনা করে দেখুন। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছিল। নির্মলা বলেন, দেশলাই কাদের হাতে কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে দেখুন। এটাই প্রশ্ন। আমাদের হাতে যখন দেশলাই ছিল তখন আমরা উজ্জ্বলা দিয়েছি, পিএম কিষান দিয়েছি স্বচ্ছ ভারত দিয়েছি। আর আপনাদের হাতে যখন দেশলাই এল তখন কী করলেন, ধর্ষণ হল, নির্যাতন হল, হিংসা হল, আমাদের কার্যকর্তাদের ঘর জ্বালিয়ে দিলেন। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমএস মুরলিধরনের উপর এমন হামলা হল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও নিরাপদে থাকলেন না। জেপি নাড্ডার গাড়িও ভাঙা হল। এটাই ভোট পরবর্তী বাংলা।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

LinkedIn
Share