Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে লাড্ডু নিয়ে আসব’, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক গড় ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সভা থেকেই শুভেন্দু বলেন, “ডিসেম্বরে ফের আসব। সঙ্গে হাতে করে লাড্ডু নিয়ে আসব।” তবে ঠিক কেন এই মিষ্টিমুখ তা পরিস্কার করেননি বিজেপি নেতা। 

    কী বলেছেন শুভেন্দু? 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আমাদের এই সভাতেও ওরা বাধা দিতে চেয়েছিল। আমরা একটা ছোট প্যান্ডেলে সভা করেছি। এখানে মঞ্চ বাঁধা শুরু হওয়ার পর রাত ৯টার দিকে এখানকার এক কাউন্সিলরের বাহিনী এখানে ঢুকেছিল। ওদের আতঙ্কের নাম শুভেন্দু। তারা প্রথমে এসে যা করার করে দিল। পরে আরেক বাহিনী এল। তারা সব খুলে দিয়ে চলে গেল। আমাদের নেতা-কর্মীরা ছিলেন। আমি বলেছি আপনারা কেউ ঝগড়াতে জড়াবেন না। সবার মাথায় হাত প্যান্ডেল কী করে হবে। আমি রাত ১১টায় ফোন করলাম হাওড়ার এক ডেকরেটরকে। উনি বললেন আমি বিজেপির লোক, অবশ্যই সাহায্য করব। আমি বলেছিলাম, মাইক-জেনারেটর সব নিয়ে গেছে। উনি এসে প্যান্ডেল করে দিয়েছেন। ২০০-র বেশি গাড়ি আটকানো হয়েছে। ২০ হাজার কর্মীকে আটকানো হয়েছে। ১০০ গাড়ি ভাঙা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সিকিউরিটি আছে। কিন্তু আপনাদের সুস্থ হয়ে ফিরতে হবে। কারণ, আগামী দিনে অনেক বড় লড়াই অপেক্ষা করছে।” 

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “২০১৪, ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ভোট হত। কিন্তু ২০১৮ সালে এখানে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। গত এক মাসে ১৯ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তার পরে বলছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা।”

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিশানা দেগে বলেন (Suvendu Adhikari), “এখানকার সাংসদ সর্বভুক। কয়লা খান, বালি খান, গরু খান, স্কুলের ইউনিফর্ম খান, মদের বোতল খান। ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি দিয়ে সেখান থেকেও খেয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Uniform Civil Code: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    Uniform Civil Code: ‘সবাই একটাই বিয়ে করবে’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে কমিটি গড়ে বললেন চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করতে কমিটি গঠন করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। বৃহস্পতিবারই এ খবর জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। তিনি বলেন, এখন গোটা ভারতে (India) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা উচিত। এদিন বড়োয়ানিতে এক জন সমাবেশে যোগ দেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের সময় এসে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে আমি একটি কমিটি গঠন করছি। তিনি বলেন, সবার জন্য একটিমাত্র বিয়ের সুযোগ থাকবে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি…

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) হল দেশের সব নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং সন্তান দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রেও দেশের সব নাগরিককেই একই আইন মেনে চলতে হবে। ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এর উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রকে।

    এদিনের বক্তৃতার ভিডিও ফুটেজ ট্যুইট করেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার সময় এসেছে। আমি সত্যের পক্ষে। কেন কেউ একাধিক বিয়ে করবে? আমি মধ্য প্রদেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করছি। দিন কয়েক আগে গুজরাটের এক জনসভায় সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংগাভিও বলেছিলেন, রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকর করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ, হিমাচলে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নাড্ডার

    এ দেশের একমাত্র গোয়ায় লাগু হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তবে শিবরাজ সিং চৌহান যে দলের মুখ্যমন্ত্রী সেই বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। যেমন ভোটের আগে দেওয়া হয়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাটে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীও এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এও জানিয়েছেন, কাজ চলছে। আগামী ছ মাসের মধ্যে উত্তরাখণ্ডে লাগু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: আজ, অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর সভা! ৪০ হাজার লোকের জমায়েতের আশা

    Suvendu Adhikari: আজ, অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর সভা! ৪০ হাজার লোকের জমায়েতের আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) সভা করতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি সূত্রে খবর, ৪০ হাজার লোকের জমায়েত হবে।

    সভার তোড়জোড়

    আজ, দুপুর ১টায় অভিষেকের কেন্দ্রে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) জনসভা। ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) এই সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির (BJP)। তৃণমূলকে সাহায্য করছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন। লাইট হাউস মাঠ থেকে চেয়ার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বলে দাবি বিজেপির। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পুলিশ-প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জোর করে মঞ্চ খুলে দেওয়ার চেষ্টা, চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনার ভিডিও ট্যুইট করে অভিযোগ করেন, হাইকোর্ট তাঁর সভায় অনুমতি দেওয়ার পরও, তা বানচালের চেষ্টা করছে লুম্পেনবাহিনী!

    গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মতো, শব্দবিধি মেনে, সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করেই সভার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। জমায়েত হতেও শুরু করেছে সকাল থেকে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বিজেপি জানাচ্ছে, তাদের লক্ষ্য ৪০ হাজার মানুষ জড়ো করা। তবে তাদের অভিযোগ, শাসকদলের তরফে ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের। বিজেপির দাবি, শাসক শিবিরের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে সভায় জড়ো হবেন ৬টি বিধানসভা এলাকার মানুষ।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ারকে কিছুতেই ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু। তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দুর সভা শুনে প্রথম থেকেই তাতে বাধা দিয়েছে শাসক দল। তাদের ইন্ধনে পুলিশ প্রশাসন জায়গা দিচ্ছিল না। তার পরেও আমরা জায়গা পেয়েছি। আইনি লড়াইয়ের পর হাইকোর্টের নির্দেশে লাইট হাউসের মাঠে সভা করতে পারছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শনিবার ফলতা, বজবজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া, মেটিয়াব্রুজ-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের সভায় আসবেন মানুষ। এ ছাড়া মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন অংশ থেকেও লাইট হাউসের মাঠে জড়ো হবেন আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    Bypoll Results: মুখ পুড়ল নীতীশের, কুরহানিতে জয়ী বিজেপি, আজম ‘গড়ে’ও ফুটল পদ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ নির্বাচনের ফলে (Bypoll Results) মুখ পুড়েছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)! একই দশা অখিলেশ যাদবেরও! নীতীশ এবং অখিলেশের গড়ের রাশ এবার এল বিজেপির (BJP) হাতে। উত্তর প্রদেশের রামপুর কেন্দ্রটি সমাজবাদী পার্টি (SP) নেতা আজম খানের (Azam Khan) গড় হিসেবেই পরিচিত। এখানেই এবার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি। জয়ী হয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি প্রার্থী…

    তার পরেই নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ তুললেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মর্মে দলের তরফে পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সপা সুপ্রিমো অখিলেশ। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগও করেছেন তিনি। ২০০২ সাল থেকে রামপুর কেন্দ্রের রাশ রয়েছে সপার হাতে। এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক আজম খান ও তাঁর পরিবার ১৯৮০ সাল থেকে একবার বাদে প্রতিবার জয়ী হয়েছেন। একটি মামলায় জেলবন্দি আজম খান বিধায়ক পদ খোয়ানোয় উপনির্বাচন হয় এই কেন্দ্রে। সেখানেই হেরে যান সপা প্রার্থী আজম ঘনিষ্ঠ আসিম রাজা। শেষ হাসি হাসেন বিজেপি প্রার্থী আকাশ সাক্সেনা।

    আরও পড়ুন: এক পদ, দাবিদার ৪, হিমাচলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কে?

    রামপুর কেন্দ্রে জয়কে বড় পাওনা হিসেবেই দেখছে বিজেপির একটা অংশ। এই কেন্দ্রের ভোটারদের বড় অংশই মুসলিম। এই কেন্দ্রে এর আগে কখনও জেতেনি বিজেপি। ১৯৮০ থেকে পরের তের বছর বিভিন্ন দলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন আজম। ২০০২ সাল থেকে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তিনি কিংবা তাঁর আত্মীয়রা। এদিকে, বিহারে মহাজোটের হাত ধরার পর এই প্রথমবার ধাক্কা খেল নীতীশ কুমার। বিহারের কুরহানি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে নীতীশের দল জেডিইউয়ের শরিক দল আরজেডি প্রার্থী অনিলকুমার সাহানি। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেদার গুপ্তা। জেডিইউ প্রার্থী মনোজ খুশওয়াকে ৩ হাজার ৬৬২ ভোটে পরাজিত করেছেন কেদার।

    প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার কুরহানি কেন্দ্রে হার স্বীকার করতে হল নীতীশের দলকে। কিছুতেই এই আসনটির রশি হাতে নিতে পারেনি তারা। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোটে শামিল হওয়ার পর থেকে নীতীশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই আসনটি দখল করা। কিন্তু সেখানেই চরম ব্যর্থ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই ডিসেম্বর ডেড লাইনের কথা শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে।  এরই মাঝে এবার ডিসেম্বরের তিনটি তারিখের উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বার্তা, ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজাম প্যালেসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন। দেখুন কী হয়। এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট এন্ড ওয়াচ।” যদিও এর থেকে বেশি কিছুই আর বলতে চাননি তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। 

    কী হতে পারে এই তিন দিন

    ১২ ডিসেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে করা আবেদনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির কথা। ওই দিনই আবার হাজরায় সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৪ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত (মণ্ডল) মামলার শুনানি আছে। ২১ ডিসেম্বর আবার কাথিঁতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করে যাওয়ার মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দুর। ওই তিন দিন রাজ্য রাজনীতিতে কী ঘটনা ঘটে সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

    আরও পড়ুন: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই নয়াদিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার সম্ভাবনা তাঁর। সব ঠিক থাকলে ১৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন শুভেন্দু। এই সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে করা সব FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে আপাতত হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ। তবে CBI তদন্ত করবে কি না পরে সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    Calcutta High Court: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ এমবিবিএসের মেধা তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার এমবিবিএসের (MBBS) মেধা তালিকা (Merit List) খারিজের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। চলতি বছর যে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেই তালিকাই বাতিল করে ফের নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশ আদালতের। দুঃস্থ শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় সোমবার এই  মেধা তালিকা খারিজের নির্দেশ দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে নয়া তালিকা প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলার কারণ…

    মামলাকারী তিস্তা দাস নিট পাশ করেছিলেন। মেধাতালিকায় তাঁর নামও ছিল। তিস্তার তরফে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, মেধা তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। তাই তাঁর মক্কেল যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেক দূরের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর দাবি, সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ৩ হাজার ৪১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ শতাংশ দুঃস্থদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ার কথা। কিন্তু করা হয়েছে মাত্র ২৩৪ জনকে। শতাংশের হিসেবে মাত্র ৬। তিস্তার আইনজীবী আদালতে (Calcutta High Court) জানান, সংরক্ষণের এই নিয়ম না মানায় তাঁর মক্কেল যোগ্য হয়েও অনেক দূরের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সওয়াল জবাব শেষ এদিন বিচারপতি ওই তালিকাই খারিজ করে দেন।

    আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা রাজ্যের, ঝালদায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত কিছু বলব না। তবে একথা বলতে পারি, যখন আমরা পড়াশোনা করেছি, তখন হাতেগোণা কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ, কয়েকটি মাত্র এমবিবিএসের আসন ছিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১১ বছরে যে পরিমাণ মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছেন, তা দৃষ্টান্ত। প্রায় সাড়ে চার হাজার এমবিবিএস ডাক্তারি আসনও তৈরি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা চিকিৎসার জগতে যাওয়া বা মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করার অনেক সুযোগ পেয়েছেন। সুতরাং আদালতের (Calcutta High Court) সেই বিষয়টি দেখা উচিত। তিনি বলেন, কারণ একটা নির্দেশের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কিছুদিন আগেই বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটারে নিটের ফল নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, শান্তনু সেনের মেয়ে সৌমিলি নিট পাশ না করেই মেডিক্যাল পড়ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি দাবি করেছেন ৪০-৪৫ জন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি (Nisith Pramanik)।

    বিগত কয়েকমাস থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ আরও অনেকেই তৃণমূল সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করেছেন। বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরেই ধামাকা হতে চলেছে। আর এবারে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বক্তব্যেও একই কথা শোনা গেল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় আর কী বললেন নিশীথ?

    রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, সারা রাজ্যের যা অবস্থা, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যা অবস্থা, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক, নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাসের ঘরের মত তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও সময় ওই তাসের ঘরটা ভেঙে যাবে।”

    তিনি (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “তৃণমূলের ৪০-৪৫ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ এখন মিউজিকাল চেয়ার হয়ে গিয়েছে। কার কাছে থাকবে সেটা নিয়ে দলের কর্মীরাই চিন্তায় রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। এই অবস্থায় যারা তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাবেন না বলে বিজেপিতে চলে আসবে ভাবছেন, তারা পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন ভেবে থাকলে ভুল করছেন।”  ফলে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) এই বিস্ফোরক দাবি ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    গতকালের সভায় নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বোস, মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মন, রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা সভাপতি আলি হোসেন, তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মালতি রাভা-রায় সহ বিজেপি নেতৃত্ব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। শুক্রবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে (TMC) এই ভাষায়ই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে দলীয় সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্তই। শাসক দলের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।

    খেলা হবে…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধের ব্যাপক প্রয়োগ করে তৃণমূল। দলের তরফে এনিয়ে গানও শোনানো হয় বিভিন্ন জনসভায়। তারস্বরে বাজানো সেই গানের চোটে ঘুম উড়ে যায় রাজ্যবাসীর। তৃণমূলের সেই অস্ত্রকেই এবার হাতিয়ার করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এদিনের সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপনারা এক পক্ষকে মারছেন। ভাবছেন বিজেপি কর্মীদের হাত-পা নেই। ঝান্ডার গায়ে ডান্ডা নেই। এটা ভাবলে ভুল করছেন। এর পরেই তিনি বলেন, খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। দু পক্ষেরই হবে। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমরা তো ডাকছি, আপনারা দিল্লিতে আসুন। হাডুডু খেলি! কিন্তু কেউ যেতে চাইছে না। ভাইপো বলছে যাব না। পিসিও বলছে যাব না। সুকান্ত বলেন, কিন্তু কেন যাবে না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    এদিনের সভায় অনুব্রত অনুষঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এক সময় চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা খাওয়ানোর কথা বলত, সেই কেষ্টও দিল্লি যেতে চাইছে না। দিল্লিতে গেলে ভাল গুড় বাতাসা, লাড্ডু খাওয়াব। তা সত্ত্বেও দিল্লির লাড্ডু খেতে চাইছে না। এর পরেই সুকান্ত বলেন, তাই সাবধান করছি!গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিন। বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তার মানে এই নয় যে বিজেপি দুর্বল। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেতাদের ঠান্ডা করতে জানে বিজেপি কর্মীরা। তার ওষুধও রয়েছে বিজেপির কাছে।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে। সরকার কাঁপছে। যত বড়ই চোর হোক, পার পাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, ততক্ষণ কোনও চোর চুরি করে পার পাবে না। সে যত বড় পদেই থাকুক না কেন। পুলিশের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, শাসক দলের তাঁবেদারি করা ছাড়ুন। আগামিদিনে লোকসভায় বিল আসবে। পুলিশের সংবিধান বিরোধী কাজ করা বন্ধ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: প্রথম সাক্ষাৎ রাজ্যপাল-বিজেপির রাজ্য সভাপতির, শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরেই হবে তৃণমূল সরকারের পতন, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য বিজেপির তরফে। প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) গলাতেও সেই সুর শোনা গিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবারই শুরু হচ্ছে সেই ডিসেম্বর। আর এদিকে আজই রাজভবনে নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । আর সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, প্রথমদিনেই তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নালিশ নিয়ে হাজির হন। এমনকি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগে ভরা মোট ৬৩ পাতার নথিও রাজ্যপালের কাছে জমা দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ৬৩ পাতার নথি পেশ রাজ্যপালের কাছে

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন রাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কৃষি, শিল্পের অবস্থা থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, এককথায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) । তিনি এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি রাজ্যপালকে জানানো দরকার। রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে আইসিইউতে চলে যাচ্ছে। সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে পারছে না, রাজ্যে যে সমস্ত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতে যা যা সুবিধা পাওয়া উচিত সেগুলি মিলছে না। কৃষি, শিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কিষাণ যোজনা সহজে চালু করতে দেয়নি। শিল্পকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু জানিয়ে আমরা ৬৩ পাতার নথি রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘রামে বিশ্বাস নেই, কিন্তু আমাকে গালি দিতে রাবণকে টানে’’, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    তিনি আরও জানিয়েছেন, আগের রাজ্যপাল থাকাকালীন মমতার সরকার কী কী করেছে, সে বিষয়েও জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। আবার সি ভি আনন্দ বোসের মন্তব্যকে উল্লেখ করে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, বাংলা সিংহের মত গর্জন করবে। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে সহমত। কিন্তু এই সরকার যেভাবে চলছে এটা চলতে থাকলে সেটা হবে না।”

    ফলে প্রথমদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেই একাধিক অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাই এরপর রাজ্যপালের কী পদক্ষেপ হতে চলেছে, সেদিকে তাকিয়েই রাজ্যবাসী। তবে এর ফলে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।

  • PM Modi: ‘ভূপেন্দ্র যাতে রেকর্ড ভাঙতে পারে, তাই কঠোর পরিশ্রম করেছিল নরেন্দ্র’, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘ভূপেন্দ্র যাতে রেকর্ড ভাঙতে পারে, তাই কঠোর পরিশ্রম করেছিল নরেন্দ্র’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি বলেছিলাম ভূপেন্দ্রই নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবেন। আর তার জন্য নরেন্দ্র মন-প্রাণ দিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করবে। আজ বলতে পারি, ভূপেন্দ্র নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙতে পেরেছে। কথাগুলি যিনি বললেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার দিল্লির দলীয় কার্যালয়ে গুজরাট নির্বাচনে (Gujarat Assembly Elections) বিজেপির (BJP) বিপুল জয় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    রেকর্ড জয়…

    অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ফের গুজরাটের ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। গেরুয়া ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। মোদি-অমিত শাহের রাজ্যে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছে পদ্ম শিবির। এ রাজ্যের বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। তার মধ্যে ১৫৬টিতেই জয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। যা রেকর্ড। গুজরাটে দলের এই ফলের কৃতিত্ব যাঁকে দিয়েছে বিজেপি, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বরাজ্যে টানা প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। যার ফলও ফলেছে হাতেনাতে। মোদিময় হয়ে উঠেছে গুজরাট। গুজরাটে দলের জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই স্বীকার করে নিলেন নিজের পরিশ্রমের কথাও।

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, গুজরাটে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময়ই আমি বলেছিলাম নরেন্দ্র মোদির ২০০২ সালের রেকর্ড ভাঙতে হবে। আমি বলেছিলাম, ভূপেন্দ্রই নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবে। আর তার জন্য নরেন্দ্র মন-প্রাণ দিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করবে। আজ বলতে পারি, ভূপেন্দ্র নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙতে পেরেছে। গুজরাটে বিজেপির এই বিপুল সাফল্যের জন্য জনগণকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের (বিজেপি) ওপরে যে বিশ্বাস ও ভরসা রেখেছেন, তাতে আমি আপ্লুত।

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়ের পর গুজরাটের ‘জনশক্তি’-কে প্রণাম প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইটে কী লিখলেন মোদি?

    গুজরাটের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, আজ, ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেল নিজের আসনে দু লক্ষেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছে। চমৎকার ফল এটা। একটি বিধানসভা আসনে দু লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হওয়া অনেক বড় বিষয়। তিনি (PM Modi) বলেন, অনেক লোকসভা কেন্দ্রেও এত ব্যবধানে জয় পান না প্রার্থীরা। এদিন বিরোধীদেরও একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আপ এবং কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, আজকের রাজনৈতিক দলগুলি মানুষের মধ্যে বিভাজন করে। কিন্তু একটা বিষয় হল, আমাদের মাতৃভূমিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, একমাত্র বিজেপিই মাতৃভূমির স্বার্থে কাজ করে। তাই আজ ভারতের সিংহভাগ মানুষের প্রথম পছন্দ বিজেপিই।

     

     

     

LinkedIn
Share