Tag: bjp

bjp

  • MS Dhoni: অমিত শাহের সঙ্গে করমর্দনের ছবি ভাইরাল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ধোনি?

    MS Dhoni: অমিত শাহের সঙ্গে করমর্দনের ছবি ভাইরাল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ধোনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (Ms Dhoni)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ছবি। তার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রাক্তন ক্রিকেটার কি যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে (BJP)? ঘটনার জেরে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেট নাগরিকরা।

    কোন অনুষ্ঠানে দেখা হল শাহ-ধোনির?

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চেন্নাইয়ে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ৭৫তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় প্রাক্তন ক্রিকেটারের। এই ইন্ডিয়া সিমেন্টসের সাম্মানিক ডিরেক্টর পদেও রয়েছেন ধোনি (Ms Dhoni)। তাই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। এই দুজন ছাড়াও ছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএল রবি। এদিন শাহকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন তামিলনাড়ুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এল মুরুগান, বিজেপির রাজ্য সভাপতি আন্নামালাই এবং রাজ্য বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ কর্তা। এই অনুষ্ঠানেই ধোনির সঙ্গে দেখা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তার পরেই ধোনিকে হ্যান্ডশেক করতে দেখা যায় শাহের সঙ্গে।

    এর পরেই ছড়িয়েছে জল্পনা। কোনও কোনও নেটিজেনের প্রশ্ন, ধোনি (Ms Dhoni) কি তবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? অন্য একজনের মন্তব্য, ধোনি যখন শাহের সঙ্গে করমর্দন করেছেন, তখন নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই করেছেন। একজন তো প্রাক্তন ক্রিকেটারকে আর্জি জানিয়েছেন, ধোনিজি বিজেপিতে যোগ দিন। ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানের যে ছবি পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন শাহ। কিছুটা কোণাকুণিভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ধোনি। একেবারে হাসি মুখে দেখা গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ককে। ফর্মাল পোশাকে ছিলেন ধোনি। অন্য একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই শাহের সঙ্গে হাসি মুখে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছে ধোনিকে।

    আরও পড়ুন: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Congress: পাখির চোখ ২০২৪, সোমবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেস টাস্কফোর্স!

    Congress: পাখির চোখ ২০২৪, সোমবার বৈঠকে বসছে কংগ্রেস টাস্কফোর্স!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ মহারণ। দেশজুড়ে সাধারণ নির্বাচন। বিজেপিকে (BJP) দিল্লির মসনদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেস (Congress)। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে কংগ্রেস টাস্কফোর্স (Task Force) গঠন করেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের একজন। তিনি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)।

    খাড়গে গান্ধী পরিবারের বাইরের…

    খাড়গে গান্ধী পরিবারের বাইরের হলে কী হবে, গান্ধী পরিবারের একান্ত অনুগত তিনি। এই টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক বসতে চলেছে সোমবার। খাড়গে নয়া কংগ্রেস (Congress) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই টাস্কফোর্সের প্রথম সভা। এই বৈঠকে নির্বাচন স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের সদস্যরা নয়া প্রেসিডেন্টকে টাস্কফোর্সের কাজ এবং ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জিততে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে অবহিত করবেন।

    এই যে টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের (Congress) হেভিওয়েট কয়েকজন নেতা। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, পি চিদম্বরম, মুকুল ওয়াসনিক, জয়রাম রমেশ, কেসি বেণুগোপাল, অজয় মাকেন, রণদীপ সুরজেওয়ালা, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং সুনীল কানুগোলু। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়েছিলেন শশী থারুর। গান্ধী পরিবারের অনুগত মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে পরাস্ত হন তিনি। সেই শশী থারুর এই টাস্কফোর্সে নেই বলেই অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর।

    এপ্রিল মাসে রাজস্থানের উদয়পুরে বসেছিল কংগ্রেসের (Congress) চিন্তন শিবির। সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানেই বলা হয়েছিল অ্যাকশন গ্রুপের ক্ষমতায়ণের কথা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে সোমবারের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, এই যে টাস্কফোর্সের বৈঠক হতে চলেছে, তা গঠন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তিনি এই কমিটি গঠন করেছিলেন আট সদস্যের একটি কমিটির দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে।

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

    ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই নির্বাচনে দিল্লির মসনদ ফের দখল করবে বিজেপি। কারণ গত দশ বছরে দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে, তা এসেছে বিজেপির হাত ধরেই। তাই বিজেপি তো বটেই, রাজনৈতিক মহলের মতেও, দিল্লির কুর্সিতে ফের আসছে পদ্ম। যদিও বিজেপিকে বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস (Congress)। সেই কারণেই গঠিত হয়েছে টাস্কফোর্স। তবে সে ফোর্সের শক্তি কতটা, তা বলবে সময়।

     

       দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Politics: ডিসেম্বরেই কি ফের ভাঙাগড়ার খেলা হবে বঙ্গ রাজনীতিতে?

    Bengal Politics: ডিসেম্বরেই কি ফের ভাঙাগড়ার খেলা হবে বঙ্গ রাজনীতিতে?

    কালাম সিহায়ি

    ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আসন্ন মরশুমের জন্য দল বদলের “ট্রেড উইন্ডো” বন্ধ হয়ে গেল। কলকাতা নাইট রাইডার্স লকি ফার্গুসন, শার্দুল ঠাকুর এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ট্রেড করে দলে নিয়েছে৷ অর্থাৎ অন্য দলের সঙ্গে খেলোয়াড় অদলা বদলি করে এদের নিয়েছে। বদলে আবার কোনও খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছে।

    খেলোয়াড় আদান-প্রদানের এই নিয়ম ফুটবল থেকে আমদানি করা। ক্লাব ফুটবলের মরশুম শুরু হওয়ার আগে অথবা মরশুম চলাকালীনও কিছু সীমিত সময়ের জন্য এই “ট্রেড উইন্ডো” বা লেনদেনের সুযোগ পায় ক্লাবগুলি। এই ভাবে নতুন খেলোয়াড় দলে নিয়ে অথবা পুরনো কাউকে বাদ দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা করে ক্লাবগুলি।

    সাতের দশকে কলকাতার ফুটবলের কত রোমহর্ষক নাটক ঘটত এই ফুটবলারদের দলবদলকে কেন্দ্র করে। কত রক্তারক্তি, বোতল ছোড়াছুড়ি, বোমার লড়াই হতো সমর্থকদের মধ্যে। দলবদলের ১৫টি দিন, ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ ফুটবল উত্তেজনার পারদ আকাশছোঁয়া হয়ে যেত।

    এবার মূল বিষয়ে আসা যাক। খেলার মাঠে দলবদল তো আকছার হয়ে থাকে, কিন্তু রাজনীতির ময়দানে যখন “খেলা হবে” স্লোগান দেওয়া রেওয়াজে পরিণত হয়েছে তখন খেলার মাঠের এই দলবদলের রীতি রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গ্রহণ করলে দোষ কি!

    বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে কমিউনিস্টদের মধ্যে দল ভাঙানোর প্রচলন কোনওদিনই তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষ করে যখন বাংলায় দুই দল কেন্দ্রিক রাজনীতির প্রচলন অর্থাৎ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের মধ্যে দড়ি টানাটানি, তখন এই প্রথা লক্ষ্য করা যায়নি তেমনভাবে।

    তৃণমূল কংগ্রেস জন্ম হওয়ার পরে এই ‘কনসেপ্ট’ প্রয়োগ হয় বাংলায়। প্রথমে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত বড় মাপের কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। মুকুল রায়ের হাত ধরে নদিয়া জেলা সহ একের পর এক পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ভাঙিয়ে নিয়ে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে প্রায় একই চিত্র দেখা যায় মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। এক সময় রাজ্য রাজনীতিতে এই দল ভাঙানো বিষয়টি চমক থেকে একেবারে সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে যে এবার কোন কোন বিরোধী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মঞ্চে যোগদান করতে দেখা যাবে। ২০১১ ও ২০১৬ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতা বিধায়কদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে এসে ঠেকে। কেউ কেউ আবার বিধানসভার ভেতরে কংগ্রেস আর বাইরে তৃণমূল। এমনকি প্রবীণ বাম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও যোগ দেন তৃণমূলে! ছোট বড় বহু বাম নেতা যেমন উদয়ন গুহ, পরেশ অধিকারী, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে তৃণমূলে নাম লেখান।

    তবে একটা উল্টো স্রোত বইতে শুরু করে ২০২০ সালে এসে, অর্থাৎ ২০২১-এর নির্বাচনের এক বছর আগে থেকে। এবারে শাসক তৃণমূল দলের বিধায়করা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির দিকে ভিড়তে শুরু করেন। প্রতিনিয়ত বিধায়ক, মন্ত্রী ও এমনকী শাসক দলের সাংসদও বিজেপির মঞ্চে উঠে পতাকা হাতে তুলে নেন।

    একুশের নির্বাচনের আগে যে যোগদান মেলা বিজেপি শুরু করেছিল তা একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পরে ব্যুমেরাং হয়ে যায়। একাধিক বিধায়ক–সাংসদ, যাঁরা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা নির্বাচনে পরাজয়ের পরে বিজেপির সংস্রব ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। শুভেন্দু অধিকারীর মত ব্যতিক্রমী অবশ্যই আছেন, কিন্তু তা হাতে গোনা যায়। তাই হয়তো দলবদল নিয়ে এবার বিজেপি একটু বেশি সাবধানী। বেনোজল আটকাতে কার্যকরী ফিল্টার বসাতে মরিয়া বিজেপি, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট বক্তব্য যে, “পিছন দরজা দিয়ে নয়, গণতান্ত্রিকভাবে সামনের দরজা দিয়েই ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার স্থাপন হবে। তৃণমূলের ৮০ শতাংশ বিধায়কই অসৎ। এরা সকলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মিডলম্যানের ভূমিকা পালন করে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি বিক্রি করেছে। তাই এদের নিয়ে সরকার গঠন নয়। দলে আর বেনোজল ঢোকানো হবে না।”

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাদের বার্তা হল— ‘‘তৃণমূলের নেতাদের জন্য নয়, কর্মীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও নেতা বিজেপিতে আসতে চাইলে তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তৃণমূলের সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই নেতা নয়, কর্মীদের আমরা দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে দরজা খোলা রাখছি। শুধু তৃণমূলই নয়, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নেওয়ার ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ নেই। আমরা সব দলের কর্মীদের জন্য দরজা খোলা রাখছি৷’’

    তৃণমূলের কৌশল আবার একটু ভিন্ন। বিজেপিকে ভাঙাতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি তারা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই বলে থাকেন যে, ‘‘অনেকেই বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে আসতে চাইছেন। তৃণমূল দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে।’’

    মঙ্গলবার আবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে ওদের ৩০টা বিধায়কও থাকবে না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘দল ভাঙানোর খেলা খেলি না।’’ প্রসঙ্গত, আগেও হলদিয়ার জনসভায় তিনি দাবি করেন যে দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে কিন্তু উনি দরজা বন্ধ করে রেখেছেন।

    কিন্তু বিষয়টি হল যে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে অনেকেই যোগদান করবেন বলে শোনা গিয়েছিল। প্রচুর বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের নাম নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হলেও আদতে কেউই মঞ্চে আসেননি। আর ২২ জুলাই থেকে যেভাবে একে একে তৃণমূলের মহাসচিব, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা সভাপতি জেলবন্দি হয়েছেন আর এজেন্সির জেরায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন, তাই আর কেউ ওই পথ মাড়াবেন এটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যদি কেউ এখনও সেই সম্ভাবনার লাভ ক্ষতি বিশ্লেষণ করে থাকেন তাহলে ওনার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হবে।

    দলবদলের রীতি যে একেবারে বন্ধ রয়েছে তা নয়। আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলবদলের কিছু টুকরো খবর প্রকাশিত হচ্ছে প্রায়শই, তবে তা একেবারে স্থানীয় স্তরে।

    ▪️মালদহের চাঁচলের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ফুলমণি দাস তৃণমূল দল ছেড়ে শতাধিক তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।

    ▪️আবার অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতেরই শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলাম ওরফে মুকুল তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৫০ তৃণমূল কর্মী।

    এক মাসের ব্যবধানে শাসকদলের দু’জন পঞ্চায়েত সদস্যের দলত্যাগ করা পঞ্চায়েত ভোটের আগে যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

    ▪️আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় ধাক্কা খেল তৃণমূল। শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য— গণেশ দাস ও যমুনা সুব্বা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে শাসকদল।

    ▪️‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমের মুরারই দু’নম্বর ব্লকের পাইকরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বাবুল আখতারের নেতৃত্বে কংগ্রেসে যোগ দিলেন এলাকার অন্তত দেড়শো কর্মী-সমর্থক।

    ▪️মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের দেওয়ানসরাই পঞ্চায়েতের দখল নিল বাম কংগ্রেসের জোট। তৃণমূলের সদস্যরাই অনাস্থা নিয়ে আসে প্রধান আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।

    ▪️নির্দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসা ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন৷ যার ফলে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা চেয়েছে কংগ্রেস। আস্থা ভোটেকে বোর্ডের দখল নিতে পারে সেটাই দেখার।

    এদিকে আবার ডিসেম্বর মাসের দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। না শীতকালের আমেজ, বড়দিনের কেক অথবা চড়ুইভাতির আয়োজনের কথা ভেবে নয়। কনকনে ঠান্ডায় রাজ্যবাসী রাজনীতির উত্তাপ নেওয়ার অপেক্ষায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর পারদ নামার ইঙ্গিত দিলেও রাজনৈতিক সচেতন বাঙালি বুঝে গেছেন যে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ বাড়ছে। বিগত কয়েক মাস ধরে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারী সহ মাঝারি এমনকী ছোট স্তরের সব বিজপি নেতার মুখেই শোনা গিয়েছে, ‘‘তৃণমূল সরকার ডিসেম্বরে পড়ে যাবে অথবা কার্যত থাকবে না।’’ সরকার চালাতে ব্যর্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি ২০২৩ জানুয়ারি মাসের বেতন দিতে পারবে না সরকার। আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়বে রাজ্য সরকার।

    এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও নাকি ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রীদের সচেতন করেছেন ডিসেম্বরে বাড়তি সতর্ক থাকতে। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাবধান করেছেন “ডিসেম্বর ধামাকার” সম্বন্ধে। এবার ডিসেম্বর নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তাই ডিসেম্বর মাস নিয়ে অপার কৌতূহল তৈরি হলেও  রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা যেমন আইপিএলের “ট্রেড উইন্ডো” আগামী মরশুমের জন্য বন্ধ হয়ে গেল, ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলি যেমন আর সরাসরি নিজেদের মধ্যে ক্রিকেটার অদল বদল করতে পারবে না, ঠিক তেমনি আপাতত বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও দলই অন্য দলের রাজ্যস্তরের কোনও বড় খেলোয়াড়কে “সই” করাবে না। আপাতত “ট্রেড উইন্ডো” বন্ধ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে মিছিলও করতে পারবে না তৃণমূল (TMC)। মিছিল যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি…

    গত দু দিন ধরে শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চান সিবিআই তদন্তও। বুধবার হয় ওই মামলার শুনানি।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী আদালতে জানান, ভাসবাসার নাম করে ফুল নিয়ে গিয়ে বাড়ির সামনে কর্মসূচি করা হচ্ছে। তখনই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, হতে পারে আপনাকে তাঁরা ভালবাসে। শুভেন্দুর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করাকে কি ভালবাসা বলে? তখনই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, তাহলে বেশি ভালবাসবেন না। মধুমেহ (ডায়বেটিস) হয়ে যেতে পারে। এর পরই আদালত নির্দেশ দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। এ রকম জমায়েত যাতে না হয়, তা কাঁথি থানাকে নিশ্চিত করতে বলবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত না করার নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টও তলব করা হয়। বিচারপতি জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। পাকাতে থাকেন অশান্তি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar:  ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে। তার আগে প্রস্তুতি সারছে বিজেপি৷ রণকৌশল তৈরি করতে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের কুশবসানের গৈতাতে পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলন আয়োজিত হয়েছিল দলের তরফে৷ পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য স্থানীয় বিজেপি নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত। 

    ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘেউ ঘেউ করবেন না ডি.এ দিতে পারব না। পুলিশও ডিএ পাচ্ছে না পুলিশেরও একই অবস্থা। মুখ্যমন্ত্রী তখন ঘেউ ঘেউ করবেন না বলেছিলেন, কিন্তু পুলিশ যে ঘেউ ঘেউ করবে না শুনে ওই ঘেউ ঘেউয়ের মতো কামড়াতে শিখে গেছে।” তাঁর কটাক্ষ, “আপনারা হসপিটালে গেলে ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞেস করবেন, পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে? আর তৃণমূল নেতাদের দেখলে জিজ্ঞেস করবেন পুলিশ কামড়ালে যে ভ্যাকসিন নিতে হয় সেই ভ্যাকসিন কি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পাওয়া যাবে?”

    ডিসেম্বর ডেডলাইন হুঁশিয়ারি

    আবারও সুকান্ত মজুমদারের মুখে ফের শোনা গেল ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ (December Deadline) হুঁশিয়ারি। নারায়ণগড়ের সভা থেকে ফের ডিসেম্বর-ডেডলাইন হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের। বললেন, ‘‘এখন মাগুর মাছ বেরোচ্ছে, সিবিআই রোজ মাগুর মাছের ঝোল খাওয়াচ্ছে। যত নেতা আছে, যত চোর আছে… এখন হাল্কা ঠান্ডা, ডিসেম্বরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে। তখন দেখবেন তৃণমূল কাঁপছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘টাইম আসছে গোটা তৃণমূল সরকার কাঁপবে। এই সরকারের আয়ু আর বেশিদিন নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে সাহস পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী।’’ 

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে নতুন রেল লাইনে বিস্ফোরণ, তদন্তে এনআইএ

    আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছে ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’-এর হুঁশিয়ারি। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলের গলাতেই শোনা গিয়েছে ডিসেম্বরের হুঁশিয়ারি। তৃণমূল সরকারের পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়েছেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ছ’মাস তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে না৷ তার আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে ঝাঁপ গুটিয়ে যাবে তৃণমূলের।’’ সুকান্ত এর আগে বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তার একটাই কারণ, সেটা হচ্ছে বিজেপি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিন্তাতেই রাখব। চিন্তার কিছু নেই। ডিসেম্বর হোক, জানুয়ারি হোক, ফেব্রুয়ারি হোক, ঠান্ডাও পড়বে, সরকার কাঁপবে।’’

    পুলিশকে করলেন সাবধান

    নারায়ণগড়ে পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনের প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত বললেন, ‘‘চাকরি বাঁচাতে যতটা করার করবেন, তৃণমূলের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করবেন না।’’ তিনি এও বললেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করতে তৃণমূলের সঙ্গে যদি পুলিশ হাত মেলায় তা হলে আমাদের কর্মীরা আপনাদের তৃণমূলের কর্মী হিসেবে দেখবে এবং সেই মতো ব্যবহার করবে। তখন কোনও ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় আমরা নেব না।’’ পুলিশকে ‘সাবধান’ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের অবশ্য প্রশংসা করেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ওপর তলার পুলিশদের একাংশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

  • Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) ইস্যুতে বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে তপ্ত বিধানসভা। পদ্ম শিবিরের আনা মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরে তাঁরা মশারি ও মশার মডেল নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিধানসভার বাইরে পথ চলতি মানুষদের মশারিও বিলি করা হয় বিজেপির তরফে। এদিন বাইরে বেরিয়ে বাসে বাসে মশারি বিলি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পদ্ম শিবিরের অন্য বিধায়করাও।

    দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি…

    কিছুদিন আগে পর্যন্তও রাজ্যে চোখ রাঙিয়েছিল করোনা। করোনা পিছু হঠতেই এবার কলকাতায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ডেঙ্গি রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পথে নামে বিজেপি। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রোধে রাজ্য সরকার ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। বিজেপি বিধায়করা জানান, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনাও করতে চান তাঁরা। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত হলে বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেবেন বিজেপি বিধায়কররা। তবে সে প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ। এরই প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আমাদের মুলতুবি প্রস্তাব পড়তে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে অধ্যক্ষকে জানিয়েছিলাম যে বিধানসভায় তো স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য দফতরের কেউ আসেন না। তাই আমাদের অনুরোধ ছিল, রাজ্য সরকারের কোনও মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানান, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিরোধী পক্ষের কোনও বক্তব্য শুনতে নারাজ। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এতদিন পর সোমবার একটি রিভিউ মিটিং ডাকেন। আজ অধ্যক্ষ আমাদের বললেন মুলতুবি প্রস্তাব বিধানসভায় পড়তে পারাই যথেষ্ট। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখাই।

    আরও পড়ুন: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    বিধানসভা চত্বরে একপ্রস্ত বিক্ষোভ দেখানোর পর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক বিধানসভা লাগোয়া রাস্তায় ডেঙ্গি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করেন। প্রতীকী মশা নিয়ে, মশারির মধ্যে ঢুকে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। বিলি করেন মশারিও। এদিকে, সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকা চেতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    Akhil Giri: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করায় রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় দায়ের হয়েছিল এফআইআর (FIR)। এবার খোদ রাজধানী দিল্লিতে অখিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। রবিবার সকালে রাজধানীর নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অবিলম্বে তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও পুলিশকে জানান লকেট।

    কী বললেন লকেট?

    থানা থেকে বেরিয়ে লকেট সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতিকে যেভাবে অখিল গিরি (Akhil Giri) অপমান করেছেন, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। সব চেয়ে বড় কথা, নন্দীগ্রামের ওই সভায় অখিলের পাশেই ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, এটা কেবল রাষ্ট্রপতিকে অপমান নয়, পুরো আদিবাসী সমাজকে অপমান করা এবং মহিলাদের অপমান করা। লকেট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা হয়ে একজন মহিলার অপমানের পরেও কোনও স্টেটমেন্ট নেই তাঁর। ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। হুগলির সাংসদ বলেন, যখন উত্তর প্রদেশে কিছু হয়, তখন মমতা নেতাদের দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিবৃতি দেওয়ান। বুদ্ধিজীবীরা সঙ্গে সঙ্গে মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। সাংসদরা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সেই স্পটে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মমতার কোনও বুদ্ধিজীবী, নেতা, মন্ত্রীর কোনও বিবৃতি নেই। লকেট বলেন, আমরা চাই, মমতা অখিল গিরিকে বরখাস্ত করুন এবং বিবৃতি দিন। তাঁর দাবি, অখিল গিরিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বসে রাষ্ট্রপতির পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের এক সভায় ভাষণ দিতে উঠে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিজেপি। এই প্রতিবাদেরই অঙ্গ হিসেবে এদিন অখিলের (Akhil Giri) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন লকেট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রের জল জীবন মিশন (Jal Jeeban Mission) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। এই প্রকল্পের আওতায় কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি নলের মধ্য দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতি করেছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, নলের মুখে যে ফেরুল লাগানো হয় তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা ৫০০ কোটি টাকার ‘কাটমানি’ নিয়েছে হাওড়া সদর ও সাঁকরাইলের নির্দিষ্ট চারটে এজেন্সির কাছ থেকে। এদিন নিজাম প্যালেসে সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সব ঘরে পরিশ্রুত জল যাবে। জল জীবন মিশন নামে কেন্দ্রের যোজনা আছে। কিন্তু রাজ্য এটা কোথাও উল্লেখ করে না। এই নিয়ে আমি আগের রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদিকে জল জীবন মিশনে ১০০ শতাংশ ফান্ড দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এতে রাজ্য সরকারের কোনও ফান্ড থাকে না।” 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    হাওড়া জেলার একাধিক সংস্থা ফেরুল সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য খাটিয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তালিকায় রয়েছে বালাজি ট্রেডার্স, এ কে ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকো এন্টারপ্রাইজ, সাইবাবা এন্টারপ্রাইজ, প্রীতি এন্টারপ্রাইজ নামে কয়েকটি সংস্থাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, টেন্ডার দেওয়ার যে নিয়ম তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। সেখানে কিছু গোলযোগের অভিযোগ করেছেন তিনি। 

    নলবাহিত জলের ট্যাপের মুখে ফেরুল লাগানো হয়। এই ফেরল কেনার সময়েই বড় দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। রীতিমতো একাধিক ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ফেরুলের এক একটির বাজারের দাম ২১৩ টাকা। কিন্তু, নথিতে দেখা যাচ্ছে কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। একাধিক টেন্ডারের তথ্য হাতের সামনে এনে শুভেন্দুর দাবি, ৩২ টা টেন্ডারে কোথাও ২৭ হাজার ইউনিট, কোথাও ৩২ টেন্ডারে ২৪ হাজার ইউনিট, ৩২টি টেন্ডারে ৭৩ হাজার ইউনিট ফেরুল কেনা হয়েছে। প্রতিটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকা দরে। এভাবে তৃণমূল নেতারা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দলের শীর্ষস্তরে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, গরু, কয়লা, পাথর পাচারের টাকা যেখানে পৌঁছয়, সেখানেই পৌঁছেছে এই টাকাও।

    শুভেন্দু দাবি করেন, ২জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমসের মতো দুর্নীতি হয়েছে। আমি আজই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়তকে চিঠি লিখব। এই দুর্নীতির তদন্তের অনুরোধ করব তাঁকে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু না হলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করব।

  • Saradha Scam: সারদা কাণ্ডে ফের তৎপর ইডি, জেরার মুখে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    Saradha Scam: সারদা কাণ্ডে ফের তৎপর ইডি, জেরার মুখে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর এবারে সারদা চিটফান্ড মামলায় (Saradha Scam) তৎপর ইডি বা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সারদা চিটফান্ড মামলায় প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি ফ্রিজ করা হয়েছে রজতবাবুর ২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। প্রায় ৮ বছর আগে সারদা কাণ্ড নিয়ে সিবিআই-ইডির তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলার তদন্ত শুরু হতেই সারদা মামলার তদন্ত পিছিয়ে গিয়েছিল। ফলে এবারে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। তাই এবারে ইডির স্ক্যানারে রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি।

    ইডির নজরে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি

    সম্প্রতি সারদা মামলায় (Saradha Scam) নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদারের। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায় ইডির আধিকারিকরা। একসময় রজতবাবু রাজ্য পুলিশের ডিজি ছিলেন। এরপর পরবর্তীতে রজত মজুমদার সারদায় যোগ দেন ও তাঁকে সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। এমনকি তিনি পরে রাজনীতিতেও সরাসরি প্রবেশ করেন। এরপর এই প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নাম লেখান বাংলা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেও।

    সারদা মামলায় (Saradha Scam) এর আগেও গ্রেফতার হতে হয়েছে রজত মজুমদারকে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই। পরে তিনি জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু রেহাই হল না। ফের ইডির নজরে এসেছেন তিনি। তাই তাঁকে ইডির বিধান নগরের কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে শনিবার পর্যন্ত দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় ও তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুন: আদালতে স্বস্তি শুভেন্দুর! বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আনা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারদা মামলা (Saradha Scam) নিয়ে তদন্ত শুরু করা হলে সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয় ও তারা আজও সংশোধনাগারে বন্দী। সারদা চিটফান্ড মামলায় ২০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আজও সেই টাকা সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইডির তৎপরতায় জল্পনা

    তবে আট বছর ধরে সারদা মামলার তদন্ত যেখানে পিছিয়ে গেছে, সেখানে হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই আবারও সারদা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তৎপরতা শুরু হওয়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলার শাসক শিবিরের অভিযোগ ভোটের আগে তাদের বেকায়দা ফেলতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যদিকে এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আদালতের নির্দেশেই সারদা কাণ্ডে (Saradha Scam) সিবিআই ও ইডির তদন্ত চলছে। বিপুল টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। ফলে বাকি টাকা উদ্ধারের জন্যই তদন্তকারী সংস্থা ফের তৎপর হয়ে উঠেছে।  

    সূত্রের খবর অনযায়ী, আগামী দিনে এই ঘটনায় (Saradha Scam) আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইডির জেরার মুখে পড়তে হবে বলে জানা গিয়েছে। যেসব প্রভাবশালীরা সারদা থেকে লাভবান হয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের খুব শীঘ্রই তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

LinkedIn
Share