Tag: bjp

bjp

  • Cash Recovered: ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

    Cash Recovered: ফের উদ্ধার মোটা অঙ্কের টাকা, পুলিশ হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পর এবার হাওড়া (Howrah)। ফের উদ্ধার প্রচুর নগদ টাকা (Cash)। পুলিশের (Police) জালে ভিন রাজ্যের তিন কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক। তাঁদের গাড়ি থেকেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল নোট। কার টাকা, নিয়েই বা যাওয়া হচ্ছিল কোথায়, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    শনিবারই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) পার্থ-অর্পিতা ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) নেতৃত্বে পথে নেমেছিল কংগ্রেস। এদিন রাতে তাঁদেরই দলের তিন বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হল বিপুল নগদ অর্থ। এ নিয়ে টুইটে সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাদের প্রশ্ন,  ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলা ও ঘোড়া কেনাবেচার গুঞ্জনের মধ্যেই বাংলায় তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছ থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার হল। এই টাকার উৎস কি খতিয়ে দেখবে ইডি? স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করবে?  নাকি এই তৎপরতা শুধুমাত্র বাছাই করা কয়েকজনের জন্যই?

    পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে জামতাড়াগামী একটি কালো গাড়িতে করে টাকা পাচার হচ্ছিল বলে সূত্র মারফত খবর পেয়েছিল হাওড়া পুলিশ। সেই সূত্রেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পাঁচলার রানিহাটি মোড়ের কাছে তল্লাশি চালায় পাঁচলা ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের স্টিকার লাগানো একটি কালো গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নোট ভরতি দু’টি কালো ব্যাগ। সেই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক- রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিকসাল এবং ইরফান আনসারি। পুলিশ সূত্রে খবর, চালক-সহ মোট ৫ জন ছিলেন গাড়িতে। এত নগদ কোথায়, কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তার স্বপক্ষে কোনও নথি দেখাতে পারেননি তাঁরা। এরপরেই তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করা হয়।

    আরও পড়ুন :এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    জানা গিয়েছে, এদিনই দমদম বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। আপাতত পাঁচলা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই বিধায়কদের। তাঁদের কাছে উদ্ধার হওয়ার টাকার পরিমাণ জানতে আনা হয়েছে চারটি কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন। দু’টি ব্যাগে এখনও পর্যন্ত ৪৯ লক্ষ টাকা মিলেছে বলে পুলিশের একটি সূত্রের খবর। হাওড়া জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) স্বাতী ভাঙারিয়া জানান, আমাদের কাছে আগাম খবর ছিল। সেই সূত্র ধরেই কালো গাড়িটি আটক করা হয়। 

    এদিন টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সরব তৃণমূল। গাড়ির ডিকিতে থাকা নোটের বান্ডিলের ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূলের প্রশ্ন, ইডি কি শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির ক্ষেত্রেই তৎপর?  বিষয়টি ইডির নজরে এনে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিকে ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দল বিজেপির তরফে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

  • Maharashtra Political Crisis: সম্প্রসারিত হচ্ছে শিন্ডে মন্ত্রিসভা, বিজেপি শিবসেনা কার ভাগে কত আসন, জানেন?

    Maharashtra Political Crisis: সম্প্রসারিত হচ্ছে শিন্ডে মন্ত্রিসভা, বিজেপি শিবসেনা কার ভাগে কত আসন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। অথচ এখনও সম্প্রসারণ হয়নি মন্ত্রিসভার। শেষমেশ এবার সম্প্রসারিত হতে চলেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন শিন্ডে শিবিরের ১৫-১৬ জন মন্ত্রী। বাকি আসন ভাগ হবে বিজেপি (BJP) এবং নির্দলদের মধ্যে।

    শিবসেনা (Shiv Sena) , কংগ্রেস (Congress) এবং এনসিপিকে (NCP) নিয়ে গঠিত মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সতীর্থ একনাথ শিন্ডে। তা নিয়ে উদ্ধরের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে শিন্ডের। অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে উড়ে যান একনাথ। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন একনাথ। এর পরেই আসল শিবসেনা কে, তা নিয়ে বিবাদ শুরু হয় উদ্ধব-শিন্ডে শিবিরের। শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক পেতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় শিন্ডে শিবির। আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয় উদ্ধব শিবিরের পক্ষ থেকে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    ইতিমধ্যেই গড়িয়ে গিয়েছে এক মাসের কাছাকাছি। এখন সম্প্রসারিত হয়নি শিন্ডে মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হবে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা সর্বাধিক মন্ত্রী হতে পারবেন ৪২ জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ফাঁকা রয়েছে মন্ত্রিসভার ৪০টি আসন। জানা গিয়েছে, শিবসেনা থেকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন ১৫-১৬ জন। এঁদের মধ্যে যে ন’ জন মন্ত্রী বিদ্রোহের শুরু থেকেই শিবসেনার সঙ্গে ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই জায়গা পেতে পারেন নয়া মন্ত্রিসভায়। এই ন’ জনের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন পূর্ণমন্ত্রী, বাকি চারজন প্রতিমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক! মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় শিবসেনাই, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে

    জানা গিয়েছে, ৬৫-৩৫ ফর্মুলায় বিলি হবে মন্ত্রীদের দফতর। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পাবে বিজেপি, বাকিটা শিবসেনার। এই সূত্র অনুযায়ী, শিন্ডে মন্ত্রিসভায় বিজেপি পেতে পারে ২৪-২৫টি আসন। আর ১৫-১৬টা পাবে শিন্ডে শিবির। কয়েকটি ছোট দল এবং কয়েকজন নির্দলেরও ঠাঁই হতে পারে মন্ত্রিসভায়।

     

  • Asim Sarkar- Rudranil Ghosh: গানে-কবিতায় কটাক্ষে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীর্তি

    Asim Sarkar- Rudranil Ghosh: গানে-কবিতায় কটাক্ষে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এবারে তৃণমূল মন্ত্রী গ্রেফতারের পরেই গান বাঁধলেন বিজেপি বিধায়ক অসিম সরকার। রীতিমতো হার্মোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতে দেখা গেল হরিণঘাটার বিধায়ককে। গানের প্রত্যেকটি কথায় কথায় পার্থকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গানের নাম ‘চোর ধরো, জেল ভরো’।

    [yt]https://youtu.be/2X9MAoetQyI[/yt]

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে! ইডি সূত্রে উঠে এল নতুন তথ্য

    হরিনঘাটার এই বিজেপি বিধায়ক রাজনীতি ছাড়াও তিনি সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত। তিনি একজন জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরেই শনিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এসে লাইভ করেন তিনি। সেখানেই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন ও এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে লেখা একটি গানও শোনান তিনি। এর আগেও নানা সাম্প্রতিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গান করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি সহ একাধিক বিরোধী শিবির। আর এরই মধ্যে একটু অন্যরকম পদ্ধতিতে, নিজে গান করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসিম সরকার।

    অন্যদিকে ফেসবুকে পার্থ-অর্পিতার ছবি শেয়ার করে , মমতার সরকারের প্রকল্পকে তীব্র আক্রমণ করলেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি ‘দুয়ারে গর্ত’ নামে এক কবিতার মাধ্যমে তৃণমূল সহ পার্থ-অর্পিতাকে তীব্র কটাক্ষ করেন। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রাজ্যের শাসক দলের ‘দুয়ারে’ প্রকল্প প্রসঙ্গ টেনেই রুদ্রনীল কটাক্ষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এখানেই থেমে থাকেননি রুদ্রনীল ঘোষ। এর পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও ব্যঙ্গ করে তাঁর ট্যুইটারের প্রসঙ্গ এনে বলেন যে, “এই টাকার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। সবই অপপ্রচার…।” অভিনেতার এই কবিতায় ২১ শে জুলাই-এর ঘটনা থেকে শুরু করে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধারের সমস্ত দুর্নীতির কথাই উঠে এসেছে। ফলে এভাবেই বিজেপি নেতারা তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন।

    আরও পড়ুন: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব, SSKM-এ ডনের মত আচরণ করছেন পার্থ, সওয়াল ইডির

    [fb]https://fb.watch/et0dWu5Rvb/[/fb]

  • Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে তোলপাড় সংসদ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

    Rashtrapatni Remark Row: অধীরের ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে তোলপাড় সংসদ, ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনে পা রেখেছেন দেশের পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপত্নী (Rashtrapatni) মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেস (Congress) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) বিরুদ্ধে। অধীরের এই মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতিকে অবমাননার অভিযোগে সরব বিজেপি (BJP)। অধীরের এই মন্তব্যের জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে লোকসভায় দাবি করেন স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারামণরা। ওই একই দাবিতে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান পদ্ম শিবিরের সাংসদরা।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জেরা করছে ইডি। এনিয়ে এদিন সংসদে সরব হন বহরমপুরের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই সময়ই অধীর দ্রৌপদী সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে লোকসভার পাশাপাশি গোল শুরু হয় রাজ্যসভায়ও। পাল্টা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে কংগ্রেসও। একসময় উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। ঘটনার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    অধীরের এহেন মন্তব্যে ভারতের মহিলা ও আদিবাসীদের অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির। স্মৃতির অভিযোগ, দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার পর থেকেই কংগ্রেস বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেও এই ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। অধীরের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, এই ধরনের মন্তব্য কেবল নারী বিদ্বেষী নয়, সেই সঙ্গে অপমান করা হয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়কে। এদিকে, দ্রৌপদীকে ইচ্ছে করে রাষ্টপত্নী বলেননি বলে দাবি অধীরের। তাঁর দাবি, এটি নিছকই স্লিপ অফ টাং।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, লোকসভায় যখন অধীরের মন্তব্য নিয়ে হইচই হচ্ছে, তখন বিজেপি সাংসদ রমাদেবীকে সোনিয়া বলেন, অধীর চৌধুরী তো আগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, তার পরেও আমার নাম নেওয়া হচ্ছে কেন? এই সময় স্মৃতি সোনিয়াকে বলেন, আমি আপনার নাম নিয়েছিলাম। সেই সময় মেজাজ হারিয়ে সোনিয়া তাঁকে বলেন, আমার সঙ্গে কথা বোলো না। এদিকে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় এদিনই জরুরি ভিত্তিতে দলের বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া। সেখানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে অধীরকেও। থাকতে বলা হয়েছে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেও। অন্যদিকে, এদিনই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সংসদে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন অধীর।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

     

  • Gaya temple: নিয়ম-রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিহারের মন্দিরে অহিন্দু মন্ত্রী! ক্ষুব্ধ বিজেপি, কী বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ

    Gaya temple: নিয়ম-রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিহারের মন্দিরে অহিন্দু মন্ত্রী! ক্ষুব্ধ বিজেপি, কী বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে গয়ার বিষ্ণুপাদ মন্দিরের গর্ভগৃহে গিয়েছিলেন বিহারের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মহম্মদ ইজরাইল মনসুরি। অহিন্দু  কোনও ব্যক্তি কীভাবে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকলেন? প্রশ্ন তুলল বিহার বিজেপি (BJP)। বিজেপির বিহার রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালের দাবি, নীতীশ কুমারকে ক্ষমা চাইতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে বিজেপি কর্মীরা রাজ্যের সর্বত্র তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ করবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বা রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মনসুরি এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি।

    নীতীশ কুমারের সরকারি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে গর্ভগৃহে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী দু’জনের পুজো করার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। মন্দির থেকে বেরিয়ে মনসুরি বলেন, ‘‘বিষ্ণুপাদ মন্দিরের গর্ভগৃহে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রবেশ করতে পারা আমার সৌভাগ্য।’’এরপরই বিতর্ক শুরু হয়।

    মনসুরির মন্দিরে প্রবেশ নিয়ে আপত্তি তুলেছে মন্দির কমিটিও। মন্দিরের কর্তারা বলেন, আমরা জানতাম না মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীও আসবেন। তবে ওঁর উচিত ছিল মন্দিরের নিয়ম মেনে ভিতরে প্রবেশ না করা। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, হিন্দু ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষের মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ। মন্দিরের গেটে সেই বিজ্ঞপ্তি লেখাও রয়েছে। তার পরেও মনসুরি মন্দিরে কী ভাবে প্রবেশ করেছেন, সেই নিয়ে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছেন কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: বহরে বড় জাতীয় সড়ক! নয়া প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির

    বিহার বিজেপির মুখপাত্র তথা জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিখিল আনন্দ বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বা হিন্দু রীতিনীতিতে বিশ্বাস করেন না। যে ভাবে নীতীশ কুমার মন্দির চত্বর দূষিত করেছেন, তার জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। মুসলিম তোষণের জন্য নীতীশ ছবি তোলার সুযোগ খোঁজেন, এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানাই।’’

    বিজেপির বিহার রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালের প্রশ্ন, “শুধু হিন্দুদেরই কেন উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে? নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) কি পারবেন মক্কায় যেতে?” প্রসঙ্গত, বিহারে মন্ত্রীদের কয়েকটি করে জেলার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিশেষ করে উন্নয়ন এবং আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে নজর রাখার দায়িত্ব থাকে মন্ত্রীদের উপর। লালুপ্রসাদের পার্টি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মন্ত্রী মনসুরি গয়ার দায়িত্বে আছেন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর গয়া সফরে তিনি সঙ্গী ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Nitish Kumar: বদলাল পোস্টারের ভাষা, প্রকট নীতীশের কোন সুপ্ত বাসনা?  

    Nitish Kumar: বদলাল পোস্টারের ভাষা, প্রকট নীতীশের কোন সুপ্ত বাসনা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Poll 2024)। সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। ওই নির্বাচনেও বিজেপির (BJP) তুরুপের তাস হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁকে মাত দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি সামনে এসেছে বেশ কিছু পোস্টার। যে পোস্টারগুলিতে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar)।

    সম্প্রতি বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েছেন নীতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, ২০২৪ সালে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেই বিজেপি সঙ্গ ছেড়েছেন নীতীশ। এতদিন এসব জল্পনার স্তরেই ছিল। তবে সম্প্রতি কিছু পোস্টার প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২০ সালে পোস্টারে লেখা ছিল নীতীশই সব। বিচার এবং বিকাশ, আইন এবং শৃঙ্খলা। দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্যে যা দেখা গিয়েছে, সেই দৃশ্য দেখা যাবে গোটা দেশে। নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের এই পোস্টারের পরেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তাহলে কি নীতীশই হচ্ছেন বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?

    দিন দুয়েক আগেই নীতীশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। দুই মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। ওই ভিডিওর কথোপকথন থেকেও এটা স্পষ্ট হয়েছে, যে নীতিশই হতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সম্প্রতি জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে যে নয়া স্লোগান পোস্টারে লেখা হয়েছে, সেগুলি হল, ইয়ার্কি (Jokes) নয়, বাস্তব, মনের নয়, কিন্তু কাজের, কেবল আশ্বাস নয়, কিন্তু সুশাসন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি ১৫ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। পোস্টারে ‘জুমলা’ শব্দ ব্যবহার করে নীতীশের দল তাকেই কটাক্ষ করছে। 

    আরও পড়ুন : বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত!

    দিন কয়েক আগেও যখন বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা ছিল নীতীশের, তখনও পোস্টারে প্রকাশ পেত রাজ্যকে নিয়ে তাঁর ভাবনাচিন্তার কথা। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, প্রকৃতি তোমার প্রয়োজন পূরণ করবে, তোমার লোভ নয়। অন্য একটি পোস্টারে লেখা ছিল, সেবাই ধর্ম। সেই নীতীশেরই এহেন ভোল বদলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Modi Hosts Dinner: জয়ের শংসাপত্র দ্রৌপদীকে, কোবিন্দের ফেয়ারওয়েল পার্টিতে চাঁদের হাট

    PM Modi Hosts Dinner: জয়ের শংসাপত্র দ্রৌপদীকে, কোবিন্দের ফেয়ারওয়েল পার্টিতে চাঁদের হাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে জয়ের শংসাপত্র পেলেন এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় জয়ের শংসাপত্র। এদিকে, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে হাজির ছিলেন শাসক ও বিরোধী দলের সব সাংসদরা।

    ২০ জনের নামের তালিকা থেকে এনডিএর তরফে বেছে নেওয়া হয়েছিল দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা। দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। বিজেপি বিরোধী ১৭টি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। বিপুল ভোট তাঁকে পরাস্ত করে জয়মাল্য গলায় পরেন দ্রৌপদী। বৃহস্পতিবারই দ্রৌপদীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজেপি সহ এনডিএর সমস্ত দলের সমর্থন তো তিনি পেয়েইছেন, পেয়েছেন বিরোধীদের অনেকের সমর্থনও। তার জেরেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী। তবে বৃহস্পতিবার দ্রৌপদীকে জয়ী ঘোষণা করা হলেও, তাঁর হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় শনিবার। সোমবার  দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিকে, রবিবার ২৪ জুলাই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে প্রথা মাফিক নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির হোটেল অশোকায় শুক্রবার হয় ওই অনুষ্ঠান।  এদিন বিকেল থেকে একে একে আসতে শুরু করেন সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সাংসদরা। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির ছিলেন এই ফেয়ারওয়েল পার্টিতে। উপস্থিত ছিলেন দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বয়ংও। পদ্ম পুরস্কার পাওয়া অনেকের পাশাপাশি জনজাতির অনেক নেতাও যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই নৈশভোজে। উপরাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং মন্ত্রিসভার সব সদস্যকেই দেখা গিয়েছে এই পার্টিতে। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও যোগ দিয়েছিলেন ফেয়ারওয়েল পার্টিতে।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    ২০১৭ সালে দেশের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি ছিলেন দেশের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি। রাইসিনা হিলসে এবার আসতে চলেছেন জনজতি সম্প্রদায়ের এক মহিলা। তিনি দ্রৌপদী মুর্মু।

     

  • Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী(Draupadi Murmu)। সোমবার হয়েছে ভোট। মূল লড়াই হয়েছে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha)। ভোটের পরেই স্পষ্ট রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদীই, যশবন্ত নয়।

    ইতিমধ্যেই ব্যালট বাক্স চলে গিয়েছে দিল্লিতে। ভোট গণনা হবে ২১ জুলাই। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ২৫ তারিখে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অবসর নেবেন ২৪ তারিখে। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের ৭৭১ জন সদস্য ভোট দিতে পারেন। আর বিধানসভার ৪০২৫ জন ভোট দিতে পারেন। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন ৯৯ শতাংশ ভোটার।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    রাষ্ট্রপতি পদে কাকে সমর্থন করা হবে, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরেছিল আগেই। সেই ফাটল চওড়া হল নির্বাচনের দিন। ক্রশ ভোটিং ঠেকাতে পারলেন না বিরোধী শিবির। এনসিপি ও কংগ্রেসের দুজন করে বিধায়ক বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট না দিয়ে দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও গুজরাটের দুই এনসিপি বিধায়ক ও হরিয়ানা এবং ওড়িশার দুই কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। গুজরাটের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কান্ধাল জাদেজাও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সেকথা ঘোষণাও করলেন তিনি। যদিও তাঁর এই স্বীকারোক্তির পরে পরেই দলের তরফে শোকজ করা হয় জাদেজাকে। দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জাজেদা বলেন, আমাকে গুজরাটে থাকতে হয়। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হয়। তাই ভোটিংয়ের সময় স্বার্থপর হতে পারিনি।

    আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কমলেশ সিং বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনিও ঘোষণা করেন যশবন্ত নন, তিনি ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। তাছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় ন’ হাজারের মতো আদিবাসী ভোটার রয়েছেন। ওড়িশার কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ মোকিমও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। তাঁর দাবি, দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপুত্র। আমি একজন ওড়িয়া। তাই বিবেকের কথা শুনে দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছি। অন্তরাত্মার কথা শুনতে বিধায়কদের বাধা দেওয়া যাবে না। বিবেকের কথা শুনে ক্রশ ভোটিং করেছেন হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোই। বিরোধী প্রার্থী যশোবন্তকে ভোট না দিয়ে, তিনি ভোট দিয়েছেন এনডিএর দ্রৌপদীকে। তিনি বলেন, অন্তরাত্মার কথা শুনে ভোট দিয়েছি আমিও।

    একাধিক বিধায়কের এই ‘অন্তরাত্মা’র ডাকেই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।

     

     

  • Nitish Kumar: জেডি(ইউ) ছেড়ে বিজেপিতে পাঁচ বিধায়ক, নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের   

    Nitish Kumar: জেডি(ইউ) ছেড়ে বিজেপিতে পাঁচ বিধায়ক, নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) যখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ, ঠিক তখনই জেডি(ইউ) (Jdu) ছাড়লেন মনিপুরের পাঁচ বিধায়ক। শুক্রবার নীতীশের দল ছেড়ে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি গেরুয়া নেতৃত্ব। বিহারের (Bihar) মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে তাঁরা খোঁড়া হাঁস (Lame Duck) মুখ্যমন্ত্রী আখ্যা দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya)। নীতীশকে নিশানা করে তিনি বলেন, নীতীশ কুমার দেখতে পাচ্ছেন বিহার এবং তার বাইরেও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে তাঁর দল, অথচ তিনি স্বপ্ন দেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) হওয়ার।

    বিজেপির সঙ্গে জোট বন্ধন ছিন্ন করে সম্প্রতি নীতীশ কুমার কংগ্রেস (Congress) এবং লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডির (RJD) সঙ্গে হাত মিলিয়ে গড়েছেন মহাজোট। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন নীতীশ স্বয়ং। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে লালু প্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবকে। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোট গড়তেই জল্পনা ছড়ায় ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিজেপি-বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন নীতীশ। জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে, কারণ সম্প্রতি বদলে গিয়েছে নীতীশের দলের পোস্টারের ভাষা। ২০২০ সালে, নীতীশ যখন বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, তখন পোস্টারে লেখা ছিল নীতীশই সব, বিচার এবং বিকাশ, আইন এবং শৃঙ্খলা। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছে যে পোস্টার, তাতে লেখা, রাজ্যে যা দেখা গিয়েছে, সেই দৃশ্য দেখা যাবে গোটা দেশে। নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের এই পোস্টারের পরেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে, তাহলে কি নীতীশই হচ্ছেন বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?

    আরও পড়ুন : বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত!

    এদিন যাঁরা নীতীশের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন কেএইচ জয়কিষান, এন সানাতে, মহঃ আছাবউদ্দিন, প্রাক্তন ডিজিপি এলএম খাউতে এবং থাংজাম অরুণকুমার। এঁদের মধ্যে খাউতে এবং অরুণকুমার বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে গিয়েছিলেন জেডিইউতে। মনিপুরে এই দলবদলের জেরে নীতীশকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে আখ্যা দিয়েছেন খোঁড়া হাঁস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    BJP: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) উপলক্ষে শহর কলকাতা ছয়লাপ বিজেপির (BJP) পোস্টারে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বরূপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আখ্যা দেওয়া হয়েছে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী (Anti Tribal) হিসেবে। পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দেখা যাচ্ছে এনডিএ (NDA) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) সঙ্গে। তারই নীচে একটি ছবি দেওয়া হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে জনজাতির দুই মহিলা গ্লাভস পরে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এখানেই আপত্তি বঙ্গ বিজেপির।

    রাত পোহালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এনডিএ-র তরফে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি-বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। যশবন্ত তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রসিডেন্ট। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁকে টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী এই দুই প্রার্থীর ফারাক বিস্তর। দ্রৌপদী জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। যশবন্ত উচ্চবর্ণের। সেই দ্রৌপদীকে তৃণমূল সমর্থন করছে না বলেই এখনও পর্যন্ত খবর। একেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    শহর ছেয়ে যাওয়া পোস্টারে রয়েছে দুটি ছবি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী। আর তারই নীচে জনজাতি দুই মহিলার সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনজাতির প্রতিনিধি ওই দুই মহিলার হাতে গ্লাভস। ছবিটি আলিপুরদুয়ার জেলার একটি অনুষ্ঠানের খণ্ডচিত্র। কিছুদিন আগেই ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল। দেখা যাচ্ছিল, গণবিবাহের অনুষ্ঠানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নাচার সময় তিনি যাদের হাত ধরলেন, তাদের হাতে গ্লাভস পরা। এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি , নাচের তালে পা মেলানোর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে নিছকই ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। চমক জাগানোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য। খতিয়ে দেখলেই তাঁর স্বরূপ বেরিয়ে আসে। আর এই ছবি দেখিয়েই বঙ্গ বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আসলে উপজাতি সম্প্রদায় বিরোধী।   

    আরও পড়ুন : পাখির চোখ ২৪ , দুর্বল বুথে শক্তি বাড়াতে নতুন কৌশল বিজেপি-র

    তবে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর হয়ে তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদদের কাছে ভোট চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও দ্রৌপদীকে সমর্থনের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ভাঙন ধরেছে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী এসবিএসপি এবং আরজেডির জোটসঙ্গী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকেই সমর্থন করবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের কাকা শিবপাল সিং যাদবও সমর্থন করছেন দ্রৌপদীকেই।

    সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ভোটকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা শাসক, বিরোধী দুই শিবিরেই। জয়ের পাল্লা ভারী দ্রৌপদীর দিকেই। হার নিশ্চিত বুঝে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, আগে জানলে তিনি দ্রৌপদী মুর্মুকেই সমর্থন করতেন। তবে দেশে এই প্রথম কোনও আদিবাসী মহিলা যখন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন, তখন তাঁকে সমর্থন নিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে, মুখ্যমন্ত্রী এটাই বুঝিয়ে দিলেন যে কোনটা তাঁর মুখ, কোনটা মুখোশ। আর একের পর এক এমন ঘটনা তুলে ধরেই রাজ্য বিজেপি স্পষ্ট করে দিল আদিবাসী সম্পর্কে মমতার স্বরূপ।  

     

LinkedIn
Share